এইমাত্র
  • প্রবাসীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
  • রোববার থেকে দৈনিক আমার দেশ প্রকাশের ঘোষণা
  • নতুন সুন্দরী বাগিয়ে নিলেন জয়?
  • বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা, গুজবের ফ্যাক্টরি ‘ময়ূখ রঞ্জন’
  • হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • উপদেষ্টা হাসান আরিফের জানাজা কোথায় কখন
  • উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ড. ইউনূস
  • না ফেরার দেশে ‘উজান ভাটি’র নির্মাতা সি বি জামান
  • ভরা স্টেডিয়ামে স্ত্রীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে গভীর চুম্বন ট্রাম্পের
  • আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিলেন ড. ইউনূস
  • আজ শনিবার, ৬ পৌষ, ১৪৩১ | ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম

    বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম

    রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, ইতোমধ্যে যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু' নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার স্ব-স্ব এলাকার জায়গার নামেই বিভিন্ন স্থাপনার নাম দিতে আগ্রহী। যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত রেলওয়ে সেতুটির ক্ষেত্রেও তাই হতে পারে। তবে এখনও কোনো নাম চুড়ান্ত হয়নি।

    শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সেতুর পশ্চিমপাড় এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    রেলপথ সচিব আরও বলেন, যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে কম গতিতে ট্রেন চলতো। যে কারণে সময় বেশি লাগতো। নতুন এই সেতু চালু হলে প্রতিটি ট্রেন দ্রুত গতিতে চলতে পারবে। আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারী অথবা ফেব্রুয়ারী মাসে এ সেতুর উদ্বোধন হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পে কোনো অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরে সেতুর পূর্বপাড় এলাকা পরিদর্শনে যান রেলপথ সচিব।

    পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে। গতি কমের কারণে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে থাকে শিডিউল বিপর্যয়, বাড়তে থাকে যাত্রী ভোগান্তি।

    এসব সমস্যা সমাধানে তৎকালীন সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা।

    ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু” নাম দিয়ে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের এই সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। নির্মান ব্যয়ের মধ্যে ৭২ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

    জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করর্পোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন রেল সেতু চালু হলে ডাবল লাইনে দ্রুত গতিতে মালবাহীসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…