ম্যাচের ৯০ মিনিট শেষ। খেলা চলছিল ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটের। বার্সেলোনা-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচে সমতা ছিল ১-১ গোলে। দর্শকরা নিচ্ছিলেন মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি। তখনই বল জড়াল বার্সার জালে! শেষ মুহূর্তে আলেকসান্দার সরলথের গোলে নাটকীয় ২-১ গোলের জয় আতলেতিকোর।
বার্সেলোনার মাঠ দুর্গ হয়ে উঠেছিল আতলেতিকোর জন্য। ২০০৬ সালের পর সেখানে অ্যাওয়ে কোনো ম্যাচ জেতেনি তারা। ১৮ বছর পর সেই দুর্গ জয় করে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে উঠে এল ডিয়েগো সিমিওনির। ১৮ ম্যাচে আতলেতিকোর পয়েন্ট ৪১, ১৯ ম্যাচে বার্সার ৩৮ আর ১৭ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের ৩৭।
লা লিগায় প্রথম ১২ ম্যাচের ১১টিই জেতা বার্সা সবশেষ ৭ ম্যাচের ৬টিতে পয়েন্ট হারাল। এই সাত ম্যাচে তাদের হার চারটি, ড্র দুই, জয় একটি। আর ঘরের মাঠে হান্সি ফ্লিকের দল হারল টানা তিন ম্যাচ। অন্যদিকে আতলেতিকো লা লিগায় টানা সাত আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জিতল টানা ১২ ম্যাচ।
লা লিগার ফল
বার্সেলোনা ১ : ২ আতলেতিকো
ওসাসুনা ১ : ২ অ্যাথলেতিক
গেতাফে ০ : ১ মায়োর্কা
সেল্তা ২ : ০ সোসিয়েদাদ
বার্সার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বিরতির আগে দাপট ছিল স্বাগতিকদেরই। প্রথম ১৫ মিনিটে আতলেতিকোর বক্সে তারা বল স্পর্শ করে ১৩বার। ২১তম মিনিটে গিলানো সিমেওনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দেননি রেফারি, ভিএআরেও বদলায়নি সিদ্ধান্ত।
৩০তম মিনিটে পেদ্রির গোলে এগিয়ে যায় কাতালানরা। গাভিকে পাস দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন পেদ্রি। ফিরতি বল পেয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। বিরতির আগে পোস্টে কোনো শট নিতে না পারা আতলেতিকো সমতা ফেরায় ৬০তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পল।
এরপর ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে নাটকীয় সেই গোল। নাহুয়েল মোলিনার পাস পেয়ে প্রথম স্পর্শে বল জালে জড়ান বদলি খেলোয়াড় আলেকসান্দার সরলথ। স্তব্ধ হয়ে যায় গ্যালারি। মাটিতে লুটিয়ে নিজেদের হতাশাই জানাচ্ছিলেন বার্সা ফুটবলাররা।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক বললেন, ‘‘খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করি আমি, তবে এই ফলে হতাশ। বড়দিনের আগে এটা বড় ধাক্কা, তবে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’’
এমআর