মাদারীপুরে লনিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। অধিকাংশ ইটভাটাই কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠছে। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। ভাটার আগ্রাসনে দিন দিন কমে যাচ্ছে চার ফসলি জমি। ফলে দিন দিন ফসল উৎপাদন কমছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ থাকলেও রহস্যজনক কারণে নির্বিকার সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ইটভাটার মালিক। ইটভাটায় জ্বলছে কাঠ ব্যবহার করার কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির বৃক্ষ। আর কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ চলছে অবাধে। পরিবেশ হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা। এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন একেবারেই নিবর দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অধিকাশ ভাটাই অবৈধ। আর এসব ইটভাটার বেশির ভাগই স্থাপন করা হচ্ছে ফসলি জমি বা এর পাশ ঘেঁষে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩-এর ৮(১) (ঘ) তে বলা আছে কৃষিজমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, ওই আইনের ৩(ক)তে বলা হয়েছে নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না। তাছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ভাটা মালিকরা লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর হাই জানান ইটভাটা মালিকরা জোরপূর্বক তাদের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছেন। এতে করে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।
ঝাউদি ইউনিয়নের বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন প্রসানের সাথে ম্যানেজ ছাড়া কখনই এভাবে অবৈধ ইটেরভাটা চালানো সম্ভব না। আমারা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এসব অবৈধ ইটেরভাটা বন্ধ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ, ইটভাটার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমরা লক্ষ করেছি, জেলায় প্রায় শতাধিকটি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটা পরিবেশের পাশাপাশি কৃষি জমির ক্ষতি করছে। এ অবস্থায় জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন
মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাহ মো. শজিব বলেন, ইটভাটা চালাতে কিছু বিধি নিষেধ মানতে হয় যারা এই বিধিনিষেধ মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতিমধ্যে আমরা মাদারীপুরে দুটি ইটবাটা নষ্ট করে দিয়েছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এআই