লালমনিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের ভূমি দস্যু সন্ত্রাসীদের হামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলামের মা ভাই সহ তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২ জন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু ও তার কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে।
গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা শিক্ষারটারী নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সদর থানায় দুটি এজাহার দাখিল করা হলেও এখন পর্যন্ত আসামি ধরা দূরের কথা মামলার রেকর্ড করা হয়নি। থানায় অভিযোগ করা হলে সন্ত্রাসীরা অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মামলার বাদী মো. রশিদুল হক এজাহারে উল্লেখ করেন, আমার বসত বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে অনুমান ২০০ গজ দুরে নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমার মরহুম পিতার কবলা খরিদা জমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। এমতাবস্থায় আসামি মোছাঃ আছমা বেগম ও তার স্বামী-মোঃ আনোয়ার হোসেন পিচ্ছি, মোহাম্মদ আবুল (৬৫) ও তার ভাই মোঃ আব্দুল (৫৫), মোঃ জাহেরুল (৪২) ও তার ভাই মোঃ মামুন (৩৩) মোঃ সোহাগ (২৪) মোঃ হায়দার (৫০) মোঃ রাজ্জাক (৪৫), পিতা-মোঃ আবুলসহ অজ্ঞাত উল্লেখিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজস করে আমার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত নিম্ন তফসিল জমির অংশ জবর দখল করার অপচেষ্টাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া একাধিকবার উক্ত বিবাদীদের সাথে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করিলে, দস্যু প্রকৃতির বিবাদীগণ আপোষ মিমাংসা না মানিয়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। অতঃপর ২০/১২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৪টা ১৫ ঘটিকার সময় আমি ও আমার কাজের লোকজনসহ নিম্ন তফসিল জমিতে ঘর উঠাতে থাকি। ঐ সময় উল্লেখিত আসামিরা হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, ছোড়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর তুলতে বাধা প্রদান করে এবং রান্না সে হুম দেয়।
এ সময় আমার ছোট ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৪০), উক্ত বিবাদীদের এই অন্যায় কার্যকলাপে প্রতিবাদ করলে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড দ্বারা আমার ভাই রবিউল ইসলামকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলাফুলা জখম করে। ঐ সময় আমার মা রাশেদা বেগম বেওয়া (৬৫), ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে আমার ছোট ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আমার মায়ের চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর ও হামলা চালায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে। তখন আমার ভাই ও মায়ের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে আমার অসুস্থ্য মা ও রবিউল ইসলামকে রক্ষা করে পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত আহত দুইজন লালমনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি এজাহার করেছেন।
সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু আমার নিকটতম আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি ও তার কলেজ পড়ুয়া নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে ভিডিও ধারণ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ভূমি দস্যুরা।
লালমনিহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচএ