চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অবৈধভাবে বালু পাচারকারীদের সশস্ত্র হামলায় আহত হয়েছেন চারজন। এরমধ্যে গুরুতর একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বহনামুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় বালু পাচারকারীরা পার্শ্ববর্তী ছহির পাড়া এলাকার আবদুল খালেকের দোকানেও হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হামলায় আহতরা হলেন- বহনামুড়া গ্রামের মোঃ সিরাজের ছেলে মোঃ শহিদ (২৩), নুরুন্নবীর ছেলে রিদোয়ান (২৫), আবুল হাশেমের ছেলে সাইফুদ্দীন (৩৫) ও ছালেহ আহমদের ছেলে নুরুন্নবী (৪৫)।
এসময় বালু পাচারচক্রের ২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে একটি চক্র বিভিন্ন দলের নাম ভাঙিয়ে সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বহনামুড়া এলাকায় পাহাড়ি ছরায় কয়েকটি শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে দিনে-রাতে পাচার করে আসছে। প্রতিদিন অন্তত শতাধিক বালুবাহী ট্রাক ডাম্পার গাড়ির চলাচলে এলাকার সবকটি রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানান, অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার দুপুরে বালুবাহী ডাম্পার গাড়ি চলাচলে নিষেধ করলে ক্ষুব্ধ হয়ে বালু পাচারকারীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে এসে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মংতোয়াং বলেন, বালু পাচারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের ৫/৬ জন আহত হয়েছে। ২টি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জনান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফএস