উত্তরা গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আগুন দেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
তবে হামাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (আইডিএফ)। তারা দাবি করেছে, হাসপাতালে খালি কক্ষে ছোট অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
আইডিএফের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেছেন, ‘যদিও আইডিএফ সৈন্যরা হাসপাতালে ছিল না, তখন নিয়ন্ত্রণে থাকা হাসপাতালের ভিতরে একটি খালি বিল্ডিংয়ে একটি ছোট অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে সামরিক কার্যকলাপ এবং আগুনের মধ্যে কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে অপ্রমাণিত প্রতিবেদন প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা।’
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ল্যাব ও সার্জারি বিভাগসহ কামাল আদওয়ানের বেশ কয়েকটি অংশে ইসরায়েল সেনাদের আগুন দেওয়ার অভিযোগ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখনো ২৫ রোগী এবং ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে রয়ে গেছে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যে ইসরায়েল সৈন্যরা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে, কর্মীদের এবং রোগীদের বাইরে নিয়ে গেছে এবং শীতের আবহাওয়ায় তাদের বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য করেছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক খবরে এ অভিযানে হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অযাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রোগী এবং কর্মীদের আইডিএফ ট্যাঙ্কের সামনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এবি