আজ নববর্ষের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইটে) রাজধানীর বাসা-বাসা বাড়ির ছাদ, ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে সমাগম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আতশবাজি, পটকা, ককটেলের ব্যবহার বন্ধেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি সঙশ্লিষ্ঠদের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। গতকাল সোমবার রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মো.আশরাফ উজ জামান।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।
এছাড়া ইংরেজি নববর্ষ উৎযাপন ঘিরে ফানুষ উড়ানো, আতোশবাজি, পটকা, উচ্চশব্দ রোধে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার দীপংকর বর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেজানানো হয়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী এসব কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনে এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। পুনরায় অপরাধ করলে ছয় মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোতে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এ কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকতে সকলের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়।