এইমাত্র
  • সুবাতাস বইছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পালে
  • মেসিকে রাষ্ট্রপতি পদক দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
  • নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য সময় জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • জম্মু ও কাশ্মীরে ৩ ভারতীয় সেনা নিহত
  • বাধ্যতামূলক ছুটিতে ফার্স্ট সিকিউরিটির এমডি
  • আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় জিডির হিড়িক!
  • ৩২ বছর গোসল না করে রেকর্ড ভারতীয় সাধক গঙ্গাপুরির
  • দেশটাকে পুটলা করেছে হাসিনা পরিবার: জামায়াত আমির
  • টেকনাফের নাফনদে কোস্টগার্ডের সাথে গোলাগুলি
  • দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল
  • আজ রবিবার, ২১ পৌষ, ১৪৩১ | ৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    ২০২৫-এর নবজাতকদের নতুন পরিচয় জেন-বেটা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম

    ২০২৫-এর নবজাতকদের নতুন পরিচয় জেন-বেটা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    বাংলাদেশের স্বৈরাচার সরকার পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে জেন-জি প্রজন্ম, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যাদের জন্ম হয়েছিল। জেন-জির পূর্ণরূপ হলো জেনারেশন-জেড। এরপর ২০১৩ থেকে আসে জেন-আলফা। ২০২৪ সাল বিদায়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে জেন-আলফা যুগের। ২০২৫-এর নবজাতকদের অভিহিত করা হবে জেন-বেটা হিসেবে।

    গ্রীক বর্ণমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে, জেনারেশন আলফার পরে আসছে জেনারেশন-বেটা প্রজন্ম। অস্ট্রেলিয়ান গবেষণা সংস্থা ম্যাকক্রিন্ডেলের মতে, জেনারেল বিটার সদস্যরা ২০২৫ এবং ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করবে। এই প্রজন্ম হবে তরুণ মিলেনিয়াল এবং জেন-জি-দের সন্তান।

    জেনারেশন আলফার সদস্যরা যেখানে কেবলমাত্র স্মার্ট প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রাথমিক রূপ দেখতে পেয়েছিল, সেখানে জেনারেশন বেটা সদস্যরা এই প্রযুক্তিগুলোর আরও উন্নত সংস্করণ প্রত্যক্ষ করবে। ম্যাকক্রিন্ডলের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি এই প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।

    জেনারেশন বেটা এমন একটি পৃথিবী পাবে, যা বর্তমানে বড় বড় সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক জনসংখ্যা স্থানান্তর এবং দ্রুত নগরায়নের কারণে টিকে থাকা এবং টেকসই উন্নয়ন এই প্রজন্মের জন্য কেবল চাওয়া নয়, বরং চাহিদা হয়ে উঠবে।

    ম্যাকক্রিন্ডলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "মিলেনিয়াল এবং জেন-জি বাবা-মায়েরা টেকসইতা, সমতা এবং খাপ খাওয়ানোর মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবে। তাদের এই মানসিকতা নতুন প্রজন্মকেও প্রভাবিত করবে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক জনসংখ্যার পরিবর্তন তাদের শুধুমাত্র অগ্রাধিকার না বরং প্রত্যাশা হবে।"

    জেন-জি বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি সচেতন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ম্যাকক্রিন্ডলের তথ্যমতে, ৩৬% জেন-জি অভিভাবক এবং ৩০% মিলেনিয়াল অভিভাবক বিশ্বাস করেন যে শিশুদের স্ক্রিন টাইম সীমিত করা উচিত।

    ২০৩৫ সালের মধ্যে জেনারেশন বেটা বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৬% হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ২২তম শতাব্দী পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। ২০২৫ সালে জন্ম নেওয়া একটি শিশু ২১০১ সালে ৭৬ বছর বয়সী হবে।

    জেনারেশন বেটা এমন এক সময়ে জন্মাবে যখন প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং সামাজিক কাঠামো দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তারা এক নতুন পৃথিবী গড়ে তুলবে।

    প্রজন্মের নাম সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী মানুষদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

    নামকরণের ক্রম:

    বেবি বুমারস (1946-1964)

    জেনারেশন এক্স (1965-1979)

    মিলেনিয়ালস (1980-1994)

    জেনারেশন জেড (1995-2009)

    জেনারেশন আলফা (2010-2024)

    জেনারেশন বেটা (2025-2039)

    জেনারেশন বেটা কেবল একটি নতুন প্রজন্ম নয়, বরং একটি নতুন যুগের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাদের সামনে যেমন বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তেমনই প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি তাদের জন্য নিয়ে আসবে অসাধারণ সম্ভাবনা। এ প্রজন্ম কীভাবে পৃথিবীকে বদলে দেবে, তা দেখতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে বর্তমান সময়ের মানুষ।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…