২০ বছরের তরুণ নাজমুলের যে সময়টা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডায় খেলে পার করার কথা সেই সময়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে মৃত্যুযন্ত্রণায়। দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে শিশুকালেই বাবা হারানো নাজমুলের।
কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের নধার এলাকার বাসিন্দা মো: নাজমুল আজ জীবনের শেষপর্যায়ে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।
তরুণ বয়সের নাজমুলের শরীরে যে মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। যখন জানতে পারলো ততক্ষণে তার দু'টি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে।
শিশুকালেই বাবা হারানো নাজমুল নানারবাড়িতে থেকে দিনমুজুরের কাজ করার সাথে লেখাপড়া চালিয়ে যান। বর্তমানে ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে নাজমুলের দেহ। তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। এতিম নাজমুলকে বাঁচাতে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন যা যোগার করার সামর্থ্য নেই স্বজনদের। বর্তমানে এলাকাবাসীর সাহায্য সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নাজমুল
প্রতিবেশীরা জানান, নাজমুল একজন ভালো মানুষ। অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়লো, যা সত্যিই দুঃখজনক।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল জানান, ছোট থাকতেই বাবা মারা যায় নাজমুলের। এরপর কখনো রাজমিস্ত্রী আবার কখনো রডমিস্ত্রির কাজ করার পাশাপাশি পড়ালেখাও করে। আমরা এলাকাবাসী মিলে সামর্থ্য অনুযায়ী তার পাশে দাঁড়িয়েছি। অন্যরাও এগিয়ে আসলে মেধাবী ছেলেটি বাঁচতে পারবে।
নাজমুলের নানী অনুফা বেগম জানান, এতদিন সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। হঠাৎ করে নাজমুলের অসুস্থতা দেখা দেয়। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। চোখের সামনে আমার নাতিটা যন্ত্রণা ভোগ করছে। কিছুই করতে পারছি না। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর চাওয়ার মতো জায়গা নেই।
নিরুপায় নাজমুল হাসপাতালের বেডে শুয়ে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে বলেন, দিনদিন আমার শরীরের অবস্থা অবনতি হচ্ছে। আমার আত্মীয় স্বজনের কারো সামর্থ্য নেই আমার চিকিৎসা করানোর। যদি সমাজের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো কিছুদিন বাঁচতে পারবো।
নাজমুলকে সাহায্য ও যোগাযোগের জন্য : ০১৭০৩০৩৬৫৯০।
এইচএ