নব্বই দশকের শুরুর দিকে চালু হওয়া সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালিকপক্ষের টাঙিয়ে দেওয়া এক নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়।
নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই ভোরের কাগজে কিছু সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সংবাদকর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোরের কাগজের মালিকপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে।
ভোরের কাগজের একাধিক সংবাদকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে আগে থেকে আমাদের কিছু জানানো হয় নি। হুট করেই জানলাম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে মালিক। প্রধান কার্যালয় বন্ধ হওয়া মানেই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়া।
তারা আরও জানান, এই প্রতিষ্ঠানে কারও বেতন বকেয়া নেই। তবে সংবাদকর্মীদের একটি অংশ অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে বেতন পান। কিন্তু যাদের কনস্যুলেটেড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওয়েজবোর্ড দাবি করছেন। এটি নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরের কাগজের কয়েকজন সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। গতকাল রোববার সংবাদকর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মালিকপক্ষ নোটিশটি জারি করে।