শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ভর্তি পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ভর্তিতে বিদ্যমান পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সামগ্রিক কোটা ১১% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত কোটা ব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩%, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও উপজাতির জন্য ১% করে কোটা রাখা হয়েছে। কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে আসন পূরণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানিয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শেকৃবি শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, "এটি সময়োপযোগী এবং শিক্ষার্থীবান্ধব একটি সিদ্ধান্ত। বৈষম্য দূরীকরণে এতদিনের সংগ্রামের ফল মিলেছে।"
শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ জানান, একাডেমিক কাউন্সিলে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ৫% করা হয়েছে। এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা থেকেই এই সংশোধিত কোটা পদ্ধতি কার্যকর হবে। তিনি বলেন, "দেশের এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বৈষম্য দূরীকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ স্টেকহোল্ডারের সম্মতিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।"
পিএম