কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। তন্মধ্যে গুরুতর আহত চারজন বর্তমানে জেলা সদরের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গতকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে মিটামইনের গোপদীঘি সিংগা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারী ও আহতরা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আহতরা হচ্ছেন জেলা সদরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিদ্দীক মিয়া (৬৫), আবু সাঈদ (৭০), গণি মিয়া (৬৮) এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হারিছ মিয়া (৫০)। এ ছাড়া অপর আহত খলিল মিয়া (৩২) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় আহত খলিল মিয়া একই এলাকার তারু মিয়া, রাজা মিয়া, বাহার উদ্দিন, জসিম মিয়া, ফুল মিয়া, হাবি মিয়াসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করে মিঠামইন থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
ঘটনার ব্যাপারে এজাহারকারী খলিল মিয়া জানান, হামলাকারী আসামীরা গত আট বছর ধরে আমার পৈতৃক জমি জবর-দখল করে অবৈধ ভোগ-দখল করে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য গতকাল ১৯ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে মিঠামইন থানায় একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে উপস্থিত সবাই সর্বসম্মতক্রমে ওই জমি আমাদের বলে ভোগ-দখলের রায় দেন। সালিশের রায় মোতাবেক গতকাল দুপুরে ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাদের উপর হামলা ও আহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় মোঃ ছিদ্দিক মিয়ার পা ও আবু সাঈদের হাত ভেঙ্গে ফেলাসহ পাঁচজনকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
এ বিষয়ে মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিউল আলমের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এবি