কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার ( ২০ জানুয়ারি) শিয়ালদহের একটি আদালত তাকে এই দণ্ড দেন।
কলকাতা পুলিশের সাবেক নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক সঞ্জয় রায়কে এদিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে আনা হয়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সাজা ঘোষণা করার আগে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনেন।
এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ৩৩ বছর বয়সী সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন, সোমবার সাজায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
গত বছরের ৯ আগস্ট ৩১ বছর বয়সী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয়।
কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এক পর্যায়ে তদন্তের দায়িত্ব নেয়া সিবিআই সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে সাজা ঘোষণার সময় আদালতে ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মামলার আসামি সঞ্জয় রায়। এ সময় তিনি বিচারককে বলেন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল এবং জোর করে নথিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমে ওই নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর কর্মস্থলে নারীদের কাজের পরিবেশ উন্নত করা এবং নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ভারত। কয়েক দফায় কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।
সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে ৯ আগস্ট ভোর ৪ টা ৩ মিনিটে সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর তিনি রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের ব্লুটুথ হেডফোনও খুঁজে পায় কলকাতা পুলিশ।
এদিকে নিহত চিকিৎসকের পরিবার জানিয়েছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ তাদের মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে প্রথমে জানিয়েছিল। পরে তীব্র ক্ষোভের মুখে পুলিশ এই ঘটনায় খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
এবি