গাজীপুর-১ আসনে ধানের শীষের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মেয়র মজিবুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর জরুরি সংবাদ সম্মেলনে হামলার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
জানা গেছে, রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়া চালা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চলাকালে পেপার নজরুল ও তার ভাই পারভেজের নেতৃত্বে ২০–৩০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী হঠাৎ করেই লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। মুহূর্তেই ধানের শীষের প্রচারে ব্যবহৃত ১২ থেকে ১৩টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এবং আতঙ্কে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও আহতদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তানহা হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করেন। এ হামলার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী মেয়র মজিবুর রহমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আজকের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন পৌর ছাত্রদলের সভাপতি অন্তর হোসেন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজীব হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি সৈকত হোসেন, চন্দ্রা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ। এ ছাড়া তুহিন, শিবলীসহ আরও অনেকে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রচারকে বাধাগ্রস্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী মাঠে থাকব। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দও হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানান।
ইখা