এইমাত্র
  • ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন সৌদি প্রবাসী
  • আমতলীতে ভিক্ষুকদের আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান
  • "লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড" নষ্ট করছে বিএনপির ছোট একটি অংশ: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
  • নিয়ম ভাঙায় ভারতকে শাস্তি দিল আইসিসি
  • ৫৮ অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষককে শুনানিতে তলব
  • জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট আবেদন খারিজ
  • মা-মেয়ে খুন: গৃহকর্মীকে ঘিরে সন্দেহ, বোরকা পরে ঢুকে বের হন স্কুল ড্রেসে
  • খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে মঙ্গলবার আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • যে শর্ত পূরণ না হলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ
  • অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন দেওয়ার শর্ত ছিল না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
  • আজ সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    টাঙ্গাইল–৮ আসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

    টাঙ্গাইল–৮ আসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

    টাঙ্গাইল–৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন দেশীয় শিল্প–অঙ্গনের পরিচিত নাম ও লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল। বহু বছর ধরে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক দায়বদ্ধ উদ্যোগ ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত এই শিল্পপতিকে ঘিরে এখন এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে নতুন আগ্রহ ও প্রত্যাশা। স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণও তার উপস্থিতিতে নতুনভাবে নড়েচড়ে বসেছে।

    ব্যবসায়িক জগতে সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ–মন্দিরে সহযোগিতা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো দীর্ঘদিনের কাজগুলো তাকে সাধারণ মানুষের কাছেও পরিচিত করেছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত সখীপুর-বাসাইল অঞ্চলের উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাখাতে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে একজন সফল উদ্যোক্তার ব্যবস্থাপনা দক্ষতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

    রাজনৈতিকভাবে জটিল এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মনোনয়ন বঞ্চিত বহু নেতাকর্মী ইতোমধ্যেই সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলের সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আওয়ামী লীগ–ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে কয়েক শ নেতা–কর্মীর দলত্যাগ, এসব ঘটনায় আসনের রাজনীতিতে উত্তাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।

    এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বড় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দুইবারের সাবেক সাংসদ বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। স্থানীয়দের মতে, তিনি মাঠে নামলে ভোটের সমীকরণ সবসময়ই বদলে যায়। তবে এ বছর সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের সক্রিয় উপস্থিতি ও জনপ্রিয়তাই হিসাব-নিকাশকে আরও জটিল করে তুলেছে।

    বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র সময়ের কণ্ঠস্বরকে নিশ্চিত করেছে- শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত। তবে দলীয় প্রতীক নাকি স্বতন্ত্র, এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলে শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন জমা দেবেন বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

    তার সমর্থকরাও বলছেন, তিনি স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়বেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দলীয় বিরোধ এবং মাঠপর্যায়ের সাড়ার ওপর ভিত্তি করে অনেকের ধারণা, এবারের নির্বাচনে তিনি হতে পারেন সবচেয়ে বড় চমক।

    জানা গেছে, শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি শিল্পবিস্তার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবসায়িক অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। ব্যবসার সাফল্যের পাশাপাশি সমাজকল্যাণকেও তিনি নিজের দায়িত্ব বলে মনে করেন।


    গত কয়েক বছরে তিনি দুই উপজেলার অসংখ্য অসহায় রোগীর চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য বিতরণ করেছেন পাঁচ শতাধিক হুইলচেয়ার, যার ফলে সখীপুর–বাসাইল অঞ্চলে ঘরে থাকা প্রায় প্রতিটি অক্ষম মানুষই তার সহযোগিতা পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও আর্থিক উপহার এবং ৬০টির বেশি স্কুলে আর্থিক সহায়তাও তার মানবিক কাজের ধারাবাহিক অংশ।

    এছাড়া বাসাইল ও সখীপুরে ১৮ হাজার ছাতা বিতরণ, জনদুর্ভোগ লাঘবে অসংখ্য রাস্তা মেরামত, দুই উপজেলার অধিকাংশ মন্দিরে অনুদান, সখীপুরের প্রায় সব মসজিদের ইমামদের মাঝে উপহার প্রদানসহ উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। দুই হাজার অসচ্ছল পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষা সফর আয়োজন, লাবিব গ্রুপ প্রিমিয়ার ফুটবল ও ক্রিকেট লীগ, এমন তিনটি টুর্নামেন্ট আয়োজন এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে গাভীসহ আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন।

    সাম্প্রতিক সময়ে সখীপুর–বাসাইল অঞ্চলে তার কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি কাকড়াজান, যাদবপুর, কালিয়া, দাড়িয়াপুর, বহুরিয়া, বড়চওনাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে পর্যায়ক্রমে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন, যা পেয়েছেন অন্তত দেড় লাখ মানুষ। তার গণসংযোগ, পথসভা, জনসমাগম ও উঠান বৈঠকগুলোতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভিড় তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।

    ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নকে তিনি সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। সম্প্রতি সখীপুর পাইলট গভ. মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ৩০০টি মসজিদে মোট ৭৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, এটি কোনো নির্বাচনী প্রদর্শনী নয়; বরং গত এক যুগ ধরে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলমান সমাজসেবারই ধারাবাহিকতা।

    পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাকে নেতৃত্বে আরও সক্ষম করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

    সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা দেন- 'কোনোদিন এমপি হলে এক টাকা বেতন-ভাতা নেব না। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে এক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করবো।' তার এই অবস্থান সাধারণ মানুষের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, জনগণ যদি চায়, নির্বাচন করব। আর আমি নির্বাচন করি বা না করি, মানুষ ভোট দেন বা না দেন আমার সমাজসেবা চলবেই। এগুলো কোনো ভোটের হিসাব নয়।

    তিনি আরও বলেন, আমার কাজ, যোগ্যতা, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও ব্যক্তিত্ব যদি মানুষের ভালো লাগে, তখন তারা আমাকে ভোট দেবেন। হিসাব–নিকাশ করে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    এসকে/আরআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…