রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি (অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়) শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে তাঁদের মরদেহ রাহিমাপুরের খিয়ারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আনা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সাড়ে ৪ টায় মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে স্থানীয় রহিমাপুর চাকলা সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোনাব্বর হোসেন, তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন , উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক ডা. আলী হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার কর্মরত শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার দুই ছেলে রাজেশ রায় ও সুবেন্দ্র রায়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ পুলিশে ও একজন র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে কর্মরত আছেন।
পরে যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের শেষকৃত্য বাড়ির পাশের শ্মশানে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর খিয়ারপাড়া গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী সুর্বণা রায় (৬০)-কে তাদের নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে গলা ও মাথায় কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করে দুর্বৃত্তরা।
উল্লেখিত ঘটনায় নিহত দম্পতির পুত্র সুবেন্দ্র রায় বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ২, তারিখ: ০৭ ডিসেম্বর,২০২৫।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘নিহত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় হয়েছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
আরডি