কক্সবাজারের টেকনাফে গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ তিন মানবপাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
চলমান এই অভিযানে উক্ত বাহিনীর সদস্যরা চক্রের হাতে জিম্মি থাকা নারী-শিশুসহ সাতজন ভিকটিমকেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
ধৃত তিন পাচারকারী হলো—টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত মারিশবুনিয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) এবং বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দীন (৩০)।
জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার হওয়া ভিকটিমরা হলেন—তসলিমা (২৫), মো. সোহাইল (৪), হোসেনা বিবি (৫), হাসনা (১৮), শাহিদা (১৯), বশির আহমেদ (২৬) এবং উখিয়ার ইনানী জালিয়াপালং এলাকার নুর মোহাম্মদ (৪০)।
এদিকে সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, ধৃত তিন পাচারকারীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক কোস্টগার্ড জানতে পারে—সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজনকে গহিন পাহাড়ে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
সেই তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাহারছড়া সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় কোস্টগার্ডের অভিযানিক দল একটি সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
এরপর উক্ত অভিযানে পাচারকারীদের জিম্মি দশা থেকে সাত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং তিন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি দেশীয় তৈরি একটি অস্ত্র ও লোহার শিকল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার ভিকটিমরা জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা উন্নত জীবনের মিথ্যা লোভ দেখিয়ে তাদের মালয়েশিয়ায় পাচার করতে চেয়েছিল। পাশাপাশি মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।
উদ্ধার করা ভিকটিম, জব্দকৃত অস্ত্র ও আটক তিন মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এনআই