এইমাত্র
  • হংকংয়ে এক রাতে ১০ হাজার বার বজ্রপাত
  • ফার্মেসির ওষুধ চুরি করে চাকরি হারান মিল্টন সমাদ্দার
  • মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
  • খালেদা জিয়া সিসিইউতে
  • মোহাম্মদপুরে ড্রেন খোঁড়ার সময় গ্রেনেডসদৃশ বস্ত উদ্ধার
  • চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
  • মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
  • বন্ধুদের সঙ্গে গ্রামের নদীতে মাশরাফির কাঁদা মাখামাখি
  • চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
  • আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪
    মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
    ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টনকে সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছেন। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।উল্লেখ্য, মিল্টন সমাদ্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়। মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।তার আবেদনে সাড়া দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১৬টির বেশি নম্বর এবং তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকা জমা হয়। এর বাইরে অনেকেই তার প্রতিষ্ঠানে সরাসরি অনুদান দিয়ে আসেন। মানবিক কাজের জন্য এখন পর্যন্ত তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু মানবিকতার আড়ালে ভয়াবহ প্রতারণার জাল বিস্তার করেছেন মিল্টন। প্রকৃতপক্ষে তিনি যে কয়জনকে লালন-পালন করছেন, প্রচার করছেন তার চেয়ে কয়েক গুণ। লাশ দাফন করার যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতেও আছে বিরাট গরমিল। সবচেয়ে ভয়ংকর, মিল্টনের বিরুদ্ধে রয়েছে অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির অভিযোগ।মিল্টন সমাদ্দারের ব্যক্তি জীবনেও নৈতিকতা বা মানবিকতার বালাই নেই। কিশোর বয়স থেকেই ছিলেন অর্থলোভী। প্রতিবেশী, চিকিৎসক কিংবা সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় তার কাছে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এমনকি নিজের জন্মদাতা বাবাকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে মানবসেবার অন্তরালে যে নির্মম ও বর্বরোচিত চিত্র ফুটে উঠেছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। মানবসেবা পরম ধর্ম কিন্তু মানব সেবার নামে মুখোশের আড়ালে রাস্তা থেকে অসুস্থ, অসহায় ও নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।এফএস
    ১৬ ঘন্টা লোডশেডিং, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা বললেন 'আমাদের হাত-পা বাঁধা'
    ৫৪ বছরের ইতিহাসে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৩০ এপ্রিল রাত ৯টায়। ওই সময় জাতীয় গ্রিডে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়েছে। এরপরও বেতাল ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে আছে লোডশেডিং। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। এমন অবস্থায় রাতে নেই ঘুম, দিনের কাজে নেই স্বস্তি। গরম আর বিদ্যুতহীনতায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের জনজীবন অতিষ্ঠ। এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। যখন দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহে হাফিয়ে উঠছে এবং হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, ঠিক তখনই নজিরবিহীন লোডশেডিং মানে কার্যত মরার ওপর খাঁড়ার-ঘা।বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রিড থেকে স্টেশন ভিত্তিক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে তাই বিতরণ করা হয়। এর বাইরে তাদের আসলে কার্যত কিছু করার নেই, হাত-পা বাঁধা। জানা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এরমধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা আছেন সববেশি বেশি ভোগান্তিতে। একসময় রাতের বেলায় লোডশেডিং হতো, বর্তমানে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে সমানে সমান। দিন ও রাতে ১৫-১৬ ঘন্টা থাকে না বিদ্যুৎ। এ অবস্থায় দৈনন্দিন কাজে ঘটছে বিঘ্ন, রাতে ঘুমাতে পারছেন না মানুষ। বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সী নারী-পুরুষের। এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহে বোরো ধানের ক্ষেতের মাটি শুকিয়ে গেলেও লোডশেডিংয়ের কারণে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না অনেক কৃষক। দ্রুত পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা না গেলে ধানগাছের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অন্যদিকে দাবদাহের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলদা ইউনিয়নের ধুবলিয়া গ্রামের সিফাত রহমান বলেন, গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুব খারাপ পর্যায়ে গেছে। দিন-রাত মিলিয়ে ১৫-১৬ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এমনিতেই টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, তারমধ্যে আবার বিদ্যুৎ থাকছে না। সবমিলিয়ে মানুষ বড় অশান্তির মধ্যে আছে। তাড়াই গ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন, রাতে বিদ্যুৎ তিন থেকে চার ঘন্টা থাকে কিনা সন্দেহ। আর সারাদিনে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা। তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়া, বমি, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন নানা বয়সের শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর আমরা বড়রা তো রাতে গরমে ঘুমাইতেই পারি না। ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের আজিজ মন্ডল বলেন, যে গরম, অথচ বিদ্যুৎ থাকেই না। এক ঘন্টা থাকলে, চারঘন্টা আর খবর নাই। রাতে সমস্যা বেশি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিদ্যুতের লোকজন বলে উৎপাদন নাই, দেব কোথা থেকে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিস হওয়ার পর থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেকটাই কমে গেছে। তবে ঈদের পর থেকে বেড়েছে। শুনেছি, গোপালপুর সাব-স্টেশনের পরে বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনে এসিআর লাগানোর পর থেকে বিদ্যুৎ সমস্যা বেশি হচ্ছে। সেখান থেকে মেইন লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে পুরো ভূঞাপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। যদিও আরইবির কর্মকর্তারা বলেছেন, এসিআর হচ্ছে একটি প্রোটেকশন। এতে দুর্ঘটনা থেকে সিস্টেম বাঁচে। ত্রুটি না হলে মেইন লাইন গোপালপুর থেকে বন্ধ করার সুযোগ নেই। জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রতিষ্ঠার পর ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতা বাড়তে থাকে। ফলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভৌগলিক এলাকা ময়মনসিংহ জেলার ৩টি উপজেলার ময়মনসিংহ  সদর (আংশিক), ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা এবং টাঙ্গাইল অংশের মধুপুর, ধনবাড়ী. গোপালপুর, ভূঞাপুর ও ঘাটাইলকে  অন্তর্ভুক্ত করে বিস্তৃত হয়। ময়মনসিংহের অংশের চেয়ে টাঙ্গাইলের গ্রাহক সংখ্যা বেশি। আর এ অঞ্চলের গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ সুবিধায়ও পিছিয়ে সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতি বছর লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণাও পোহাতে হয় চরমভাবে। জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান খান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমাদের সাব-ষ্টেশনে ৬টি ব্রেকার থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দুইটি নষ্ট। আমরা ৪টি ফিডারের মাধ্যমে ভূঞাপুর উপজেলা ও ঘাটাইলের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকি। ঘাটাইল গ্রিড যা বরাদ্দ পায় তাঁর থেকে আমাদের ৬ দশমিক ৫ পারসেন্ট দেওয়া হয়। বর্তমানে তীব্র তাপদাহে আমার চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। সেখানে আমি ৫০ পারসেন্টই পাই না। যা বরাদ্দ পাই একসঙ্গে দুইটি ফিডার চালু রাখাই কষ্ট হয়ে যায়। বাকি দুইটা বন্ধ রাখতে হয়। ১৪-১৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মনমোহন চন্দ্র সরকার বলেন, সম্প্রতি ঘাটাইল নতুন গ্রিড চালু হওয়ার পর থেকে ভূঞাপুর, গোপালপুরসহ টাঙ্গাইল জেলার ৫টি উপজেলা এখান থেকে বিদ্যুৎ নেই। এখানে আমাদের টোটাল দরকার ৭৬ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা ২৮ থেকে শুরু করে ৫৬-৪৬ পর্যন্ত পাই। ৫০ পারসেন্ট বরাদ্দ পেলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ১২ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কারণে আরও এক, দুই ঘন্টা এড হয়ে যায়। জানতে চাইলে গোপালপুর জোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসাইন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বর্তমানে এক লাইনে ভূঞাপুর ও গোপালপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ভূঞাপুরের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সেটি তাঁরা পাচ্ছে। আমরাও পারসেন্ট অনুযায়ী নিচ্ছি। সেখানে ভূঞাপুরের লাইন বন্ধ করে গোপালপুরে নেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সারাদেশের মধ্যে গত সোমবার ময়মনসিংহ অঞ্চলে লোডশেডিং বেশি ছিল, যা গণমাধ্যমেও এসেছে। আসলে উৎপাদন তো কম। দেশের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে এখন গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তাঁরমধ্যে ১০ পারসেন্টই ঢাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন শিল্প ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া লোড নিয়ে নিচ্ছে। গ্রাম এলাকাতে আমার এখানে ২০ মেগাওয়াটের উপরে চাহিদা আমি পাচ্ছি ৬, ৭, ৮ এরকম। মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা তো আসলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী। আমাদের এখানে যতটুকু আসে, সেটাই সরবরাহ করতে পারি। উৎপাদন তো পুরোটাই সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তারপর বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে আমাদের কাছে আসে। এখন গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে, এটা নিশ্চিত। আমি নিজেও এটা ফিল করি কিন্তু আসলে আমাদের হাত-পা বাঁধা, বিদ্যুৎ না পেলে তো আর দিতে পারি না। তাপমাত্রা না কমলে কিংবা বৃষ্টি না নামলে লোডশেডিং থেকে আপাতত মুক্তির উপায় নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।  এদিকে যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার শহিদ উদ্দিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, গতকাল তো সারাদেশেই আড়াইহাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, তাঁরমধ্যে ময়মনসিংহ একটু বেশি হয়েছে। এর কারণ এখানে যে স্পেশাল লাইন সেই লাইনে তো বিদ্যুৎ আনতে পারি না। আগে জামালপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো, এখন আমরা ঘাটাইল থেকে নিচ্ছি। আমাদের টোটাল ৩০-৪০ পারসেন্ট লোডশেড করা লাগে। গতকাল ৬০ পারসেন্ট লোডশেড ছিল। তিনি বলেন, আমার তো ভূঞাপুর গ্রাহক বেশি না, মাত্র ২০ হাজার গ্রাহক। ভূঞাপুরের তো আলাদা লাইন নেই, আগে ঘাটাইলের সঙ্গে ছিল, এখন গোপালপুরের সঙ্গে আছে। ঘাটাইল থেকে বিদ্যুৎ যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে তাপদাহ বেশি থাকায় লোডের পরিমাণ বেশি, ক্রাইসিস বেশি, যেটা আগে দুই মেগাওয়াট ছিল সেটি এখন ৪ মেগাওয়াট হয়ে গেছে। একটু ওয়েদার ঠিক হয়ে গেলে এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে। এসময় গোপালপুরে এসিআর বসানো নিয়ে জানতে চাইলে জেনারেল ম্যানেজার শহিদ উদ্দিন বলেন, ৩৩ কেভি লাইনে এসিআর  হচ্ছে একটি প্রোটেকশন। দুর্ঘটনা থেকে সিস্টেম বাচে। লাইন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও আমি বিষয়টি দেখতেছি।

    জাতীয়

    সব দেখুন
    বেনাপোলে শ্রমিকলীগের উদ্যোগে মে দিবস পালিত
    ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও, এক হও’ এই শোগানকে সামনে রেখে স্থলবন্দর বেনাপোলে মহান মে দিবস পালন করেছে হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন, অটো শ্রমিক, মটর শ্রমিক সংগঠন, বাস-ট্রাক শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠন।বুধবার সকালে জাতীয় শ্রমিক লীগ, বেনাপোল পৌর শাখার উদ্যোগে একটি বিশাল র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বেনাপোল বন্দরের ২নং গেইট শ্রমিক কার্যালয় থেকে শুরু করে বেনাপোল বন্দর এলাকা ও বেনাপোল বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় শ্রমিক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। দেশের সকল শ্রেণী পেশার শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে দিবসটি যথাযথভাবে পালন করতে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক নেতা রাজু রহমান এবং আক্তারুজ্জামান বলেন, শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করে প্রাণ দিয়েছিল। আজ পৃথিবীর সব দেশে মে দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর আমরা মে দিবস পালন করি। কিন্তু লক্ষ্য করেছি, আজও শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কমানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, বাঁচার মতো মজুরি নিশ্চিত করাসহ শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যাদি তুলে ধরেন তারা।এদিকে মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্টেযাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।এমআর
    খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আ.লীগের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শ্রমিকদের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশে শ্রমিক শ্রেণির দাবির জন্য বা কথা বলার জন্য তো আমরা আছি। আমরা কিন্তু বলি। আমি প্রধানমন্ত্রী শুধু না, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। আমি সেই ভাবেই নিজেকে বিবেচনা করি। আপনাদের কোনো অসুবিধা যদি হয়, আমি জানি, আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদেরও শ্রমিক সংগঠন আছে। কাজেই সেগুলো আমরা দেখব। আমাদের দেশে কিছু কিছু ভাড়াটে লোক আমি বলবো, কথায় কথায় তারা শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় নামার চেষ্টা করে। এখন যে কারখানা আপনার ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করছে, কাজের ব্যবস্থা করছে, জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে, সেই কারখানা নিজেরা যদি ধ্বংস করতে যান, ভাঙচুর বা আগুন দেওয়া—এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে কার ক্ষতি হচ্ছে?'তিনি বলেন, 'নিজের ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের ক্ষতি হচ্ছে, মালিকদেরও ক্ষতি হচ্ছে। তবে মালিকদের তো আর ওই একটা ব্যবসা থাকে না, আরও ব্যবসা থাকে। তারা হয়তো পুষিয়ে নিতে পারেন কিন্তু আপনাদের নিজেদের ক্ষতি তো নিজেরা করেন।'শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে কেউ বঞ্চিত করলে, সে যত বড় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হোক না কেন তাকে আমরা ছাড়বো না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। মালিকদের বলবো, শিল্প কলকারখানা শিল্প মালিকরা বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিবেন, সেটাই আমরা চাই।’
    ৫৪ বছরের ইতিহাস ভেঙে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
    দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯টায় এই রেকর্ড হয়। ফলে দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে।রাতে বিদ্যুৎ বিভাগের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ‘দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে আজ রাত ৯টায়। এ সময় জাতীয় গ্রিডে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়েছে।’বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল রাত ৯ টায় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ১৬ হাজার ২৩৩  মেগাওয়াট। আজ সেটাও টপকে গেছে। প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট।এফএস
    দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
    চলতি বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করেছে সরকার।এ হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রথম দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও তৃতীয় দফায় মে মাসের জন্য ঘোষিত দামে ডিজেল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম বেড়েছে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হচ্ছে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়। পেট্রল ও অকটেনের দাম বেড়েছে লিটারে আড়াই টাকা। পেট্রলের নতুন দাম প্রতি লিটার ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা ও অকটেনের দাম ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা। এফএস
    আবারও বাড়ল হজ ভিসার আবেদনের সময়
    হজের ভিসার আবেদনের শেষ সময় আগামী ২৯ এপ্রিল থাকলেও সেটি বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।এদিকে নানা জটিলতায় এখনো ৮০ শতাংশ হজযাত্রীই ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এজন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সময় বাড়ানোয় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচিব বলেন, হজ এজেন্সিগুলো এসময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। তার আগে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এমএইচ
    রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা
    তাপপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিং মল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং একইসাথে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বাড়তি উৎপাদনের পরও লোডশেডিং এড়াতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। শহরে স্বস্তি থাকলেও, গ্রামে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা।বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল পেতে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি বা এর ওপরে রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকতেও আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটর চালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকেও বিরত থাকতে গ্রাহকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।  এফএস
    স্কুল-মাদরাসা বন্ধে হাইকোর্টের রায় নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
    চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হয়। হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি। এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করাই বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন সংবাদমাধ্যমে আসা এমন সংবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন, তাও দেখার বিষয়। মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়! যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ নেই।উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহে ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আজ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। পরে হাইকোর্ট বেঞ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ রাখার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে এ আদেশ 'ও' লেভেল, 'এ' লেভেলের পরীক্ষা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, যেসব স্কুলে এসি আছে এবং যেখানে পরীক্ষা চলছে সেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে।
    ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
    থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা। এর আগে ব্যাংকের ডন মুয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ফ্লাইটটি।থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা গত ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউজে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।সেখানে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একইদিন ব্যাংককের ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স সেন্টারের (ইউএনসিসি) এসক্যাপ হলে এশিয়া ও প্যাসিফিকের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    খালেদা জিয়া সিসিইউতে
    ফুসফুসের পানি অপসারণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চতুর্থতলায় সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে পৌঁছান সন্ধ্যা সাতটা ৫ মিনিটে।গত ২ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। সে সময় বিএনপিপন্থী ডাক্তার নেতা জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ৩০ মার্চ বাসায় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।সেই সুপারিশ মেনে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরই তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেগুলো বাসায় করানো সম্ভব হয় না, সেগুলো করানো হয়। পরের দিনও (৩১ মার্চ) কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে উনি (খালেদা জিয়া) গত সোমবার থেকে ধীরে ধীরে সুস্থতা বোধ করেন। পরে তার স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় বসে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তার বয়স এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের চেয়ে বাসায় রেখে চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করে বোর্ড।৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত ৩০ মার্চ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাঁর চিকিৎসা চলে।এফএস
    খালেদা জিয়া সিসিইউতে
    ফুসফুসের পানি অপসারণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চতুর্থতলায় সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে পৌঁছান সন্ধ্যা সাতটা ৫ মিনিটে।গত ২ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। সে সময় বিএনপিপন্থী ডাক্তার নেতা জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ৩০ মার্চ বাসায় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।সেই সুপারিশ মেনে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরই তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেগুলো বাসায় করানো সম্ভব হয় না, সেগুলো করানো হয়। পরের দিনও (৩১ মার্চ) কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে উনি (খালেদা জিয়া) গত সোমবার থেকে ধীরে ধীরে সুস্থতা বোধ করেন। পরে তার স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় বসে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তার বয়স এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের চেয়ে বাসায় রেখে চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করে বোর্ড।৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত ৩০ মার্চ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাঁর চিকিৎসা চলে।এফএস
    আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া
    আবারও হাসপাতালে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে দিকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান।বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার হাসপাতালে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারন। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি তার গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান।সর্বশেষ ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।৭৯ বয়সী এই রাজনীতিবিদ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
    খালেদা জিয়াকে আজ আবার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।তিনি বলেন, আজ ভোরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছু দিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।সবশেষ গত ৩১ মার্চ হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল তাকে। পরে ২ এপ্রিল তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
    শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিশ্চিতে বিএনপি সংকল্পবদ্ধ : মির্জা ফখরুল
     বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মহান মে দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি ও নিরাপদ জীবন কামনা করি।’ আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মহান মে দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস একটি অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক দিন। সারা দুনিয়ায় শ্রমিকরা নিগৃহীত ও নিপীড়িত। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকের আত্মত্যাগের এই দিনকে ‘মে দিবস’হিসেবে পালন করা হয়। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেটে’এই দিনে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের ন্যায্য দাবি এবং শোষণ—বঞ্চনার শিকার শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে আত্মদানের রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছিল। এর ফলে শ্রমিকদের কাজের সময় নেমে আসে ৮ ঘণ্টায়।বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, তাই এই দিবসের তাৎপর্য ও প্রভাব সুদূরপ্রসারী। সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি সংকল্পবদ্ধ এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী—কর্মজীবী মানুষের কাজের পরিবেশ নিরাপদ এবং তাদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। শ্রমজীবী মানুষের রক্তঝরা ঘামেই বিশ্ব সভ্যতার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। শ্রমিকের ঐতিহাসিক অবদানের ফলেই বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। মে দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ’। মে দিবসে এই নীতি বাস্তবায়ন করতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গতিশীল চিরায়ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার জরুরি। নিশ্চিত করতে হবে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন। আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত শ্রমিকরা তাদের সকল ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের প্রকোপে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান ও শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সবসময় আপসহীন সংগ্রাম করে গেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় এবং তা রক্ষায় এই দলটি প্রতিশ্রুতি পালনে কখনোই পিছপা হয়নি। আজকের এই মহান দিনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ও উদ্যোগী হওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই।এমএইচ
    ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতি প্রত্যাহার
      দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালের কাছে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দুঃখ প্রকাশ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।গত ২১ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনককে। মো. জিয়াউর রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সবার সম্মতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার খোকন। এ ঘটনায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কায়সার কামালের কাছে ব্যারিস্টার খোকন দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। এ কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয় বলে ফোরামের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।  তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের বিদায়ী সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তবে বিএনপির প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত তিন জন ওই দিন দায়িত্ব গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোনও পদধারী নেতা। শুধু ব্যারিস্টার খোকনের অনুসারী বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আওয়ামী লীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০ জন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।তবে গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চার জনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দেন।এমএইচ
    হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন
    হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন । তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা। এফএস
    কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না: কাদের
    বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।রোববার (২৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, পাকিস্তান একসময় আমাদের বোঝা ভাবত, এখন আমাদের উন্নয়নে তারা লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরিফ যা দেখে সেটাও দেখে না।ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো বিদেশি শক্তির প্রভাব ছিল না। জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে তা দলটিকে পরিস্কার করতে হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্তের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমানে সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    রাজধানীর পল্লবীতে বাসচাপায় শিশুসহ নিহত ২

    রাজধানীর পল্লবীতে বাসচাপায় মোছা. খায়রুন বেগম (৩৬) নামে এক নারীসহ তার ভাতিজা মো. ইয়াসিন (৪) নিহত হয়েছে। 


    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পূরবী সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 


    খায়রুন বেগমের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। তিনি পল্লবী এলাকায় থাকতেন। পোশাক শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। আর শিশু মো. ইয়াসিন খায়রুন বেগমের ভাতিজা।


    এলাকাবাসী জানান, ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।


    পল্লবী থানার অপারেশন অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পারি পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় বসুমতি পরিবহন নামের একটি বাস তাদের দুই জনকে চাপা দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।


    তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসের চালককে আটক করা হয়েছে, বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    এআই 

    রাজধানীর মিরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    রাজধানীর মিরপুরে বাকিয়া সুলতানা তুরাবা (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত তুরাবার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের উকিলপুর গ্রামে।

    বুধবার (০১ মে) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ফরিদের বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এক বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আফনানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে হয় তুরাবার। তারা দুই দম্পতি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাঁশ পট্টির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। 


    নিহত তুরাবার শ্বশুর ফরিদ জানান, আমার ছেলের স্ত্রী তুরাবা বেশ কিছুদিন শারিরীক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত মাসে তাদেরকে ভাড়া বাসা থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসি। আজ বুধবার ১ লা মে সকালে বাড়ির লোকজনদের ডাকচিৎকারে আমার ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে দেখি তুরাবা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা অনেক ডাকাডাকি করলেও সে রুমের দরজা খুলছেনা। 


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গে তুরাবার। সকাল আনুমানিক ৬টা৩০ মিনিটের দিকে ফের তিনি তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ দেন। এরপর অনেক ডাকাডাকি করার পরও তুরাবা কোনো সারাশব্দ না করাসহ দরজা না খুললে শাহ আলী থানা পুলিশকে খরব দেই। পরে শাহ্ আলী থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে দরজা ভেঙে তুরাবার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।


    এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহ আলী থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয় মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছাই। উপস্থিত জনসম্মুখে ভেতর থেকে বন্ধ একটি রুমের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তুরাবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 


    লাশের ময়না তদন্তের জন্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনা একটি নিয়মিত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।

    এআই 

    ঢাকাতে রাত ১১টার পর মহল্লার চা দোকান বন্ধের নির্দেশ

    ঢাকায় রাত ১১টার পর মহল্লার সব চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

    এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করতে থানা পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে কোনো মহল যাতে রাজধানীতে ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।

    আজ রোববার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

    ৫০টি থানা এলাকার মার্চ মাসের অপরাধ নিয়ে পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া সম্মনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশঙ্খৃলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

    তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।

    এফএস


    ঢাকাসহ ৫ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা

    দেশে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৃথক বার্তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ থাকবে। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু প্রাথমিকের সব ক্লাস মর্নিংয়ে (সকালে) হবে তাই প্রাথমিক খোলাই থাকবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

    দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

    উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

    ঈদের ছুটির পর তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি বাড়িয়ে রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। খুলে দেওয়ার দিনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    এমআর

    তীব্র গরমে এসি বিক্রি বেড়েছে তিন গুণ

    রাজধানী সহ সারা দেশে চলছে তীব্রতাপদহ। এই তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ।দেশের বেশ কিছু জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

    এই অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে বৈদ্যুতিক পণ্যের শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। ফলে এসি বিক্রি বেশ বেড়েছেছে।

    রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, সদরঘাট এলাকার বেশ কয়েকটি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এসি বিক্রি বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।

    বর্তমানে দেশে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রোমার্ট, ট্রান্সকম, এসকোয়্যার, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বাটারফ্লাই, র‌্যাংগ্স, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল, মিনিস্টার, ভিশন, এলজিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

    লক্ষ্মীবাজারের ওয়ালটন ব্রাঞ্চের ম্যানেজার উত্তম বলেন, আগের তুলনায় ওয়ালটন এসির বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। ধরেন আগে যদি আমার এই শোরুমে দৈনিক পাঁচটা এসি বিক্রি করতাম এখন করছি ১৫ টা। গরমের তীব্রতায় মানুষ ধারকর্য করে হলেও এসি কিনছে। আগে আমরা নির্দিষ্ট টাইমে দোকান খুলতাম এবং বন্ধ করতাম। এখন বিক্রির চাপ এতটা বেড়েছে যে আমাদের কম বেশি সবার ওভারটাইম করা লাগছে। 

    এসির দাম বাড়ার বিষয়ে এই ম্যানেজার বলেন, গত তিন বছরে আমাদের এসির দাম বাড়েনি। গরম বেড়েছে তাই বলে যে আমরা এসির দাম বাড়াবো বিষয়টা এমন না। অনলাইনে এবং শোরুমে এসি কেনার পার্থক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে শোরুমে না এসে অনলাইনে এসি অর্ডার করছেন। সেক্ষেত্রে দামের কিছুটা পার্থক্য আছে। তবে বেশি না সর্বোচ্চ দু'তিন হাজার টাকা।

    পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারের বাটারফ্লাই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের এখানে গত দুই সপ্তাহে প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে। সত্যি বলতে আমাদের এখন এসি বিক্রি নেই। কারণ ইকো এবং হায়ার এসির স্টক আউট। আমার এখানে এখন শুধু এলজি কোম্পানির এসি আছে। এটার তুলনামূলক দাম বেশি। তাই একটু কম সেল হয়। হেড অফিসে ক্রেতাদের চাহিদা এবং এসির স্টক আউটের বিষয়ে জানিয়েছে তারা হয়তো কিছু একটা করবেন। এসির চাহিদা কেমন বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ম্যানেজার বলেন, গত তিন মাসে যত টাকার এসি বিক্রি করেছি এই মাস এখনো শেষ হয়নি তার চেয়ে বেশি বিক্রি করেছি। স্টক আউট না হলে হয়তো আরো বেশি বিক্রি হতো।

    এসি বিক্রির বিষয়ে পুরান ঢাকার র‍্যাংগস ই-মার্ট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আশরাফুল বলেন, আমাদের এখানে স্যামসাং, এলজি, ডাইকিং, হাইসেন্স এবং তোসিন এই পাঁচটি কোম্পানির এসি বিক্রি করা হয়। আগের তুলনায় বেচাবিক্রি অনেক ভালো। 

    পূর্বের তুলনায় বিক্রি কত শতাংশ বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ম্যানেজার বলেন, আমরা দিনে বা সপ্তাহে কয়টি এসি বিক্রি করেছি সেই হিসেব করি না তবে কত টাকা সেল করেছি সেই হিসেবে করি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আমরা ২০ লাখ টাকার এসি বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় সপ্তাহে ২১ লাখ টাকা। তৃতীয় সপ্তাহে সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকার কোটায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে আমরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার এসি বিক্রি করেছি। বলা চলে গত মাসের তুলনায় চারগুণ পাঁচ গুণ বেশি সেল করেছি। এই তাপদাহ যদি আরো এক সপ্তাহ চলমান থাকে তাহলে হয়তো পূর্বের বেচাকেনার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

    এমআর

    বন্ধুদের সঙ্গে গ্রামের নদীতে মাশরাফির কাঁদা মাখামাখি

    বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক, টানা দুইবারের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ; মাশরাফি বিন মুর্তজার নামের সঙ্গে যুক্ত আছে অসংখ্য বিশেষণ। তবে নড়াইলে গ্রামের বাড়িতে গেলেই ভিন্ন এক মাশরাফিকে দেখা যায়। ছুটে যান এখানে-সেখানে, আড্ডায় মাতেন শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে।

    খুনশুটিতে মেতে ওঠা মাশরাফিকে দেখা গেল আজও। নড়াইলের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা সাবেক এই পেসার বন্ধুদের সঙ্গে নেমে পড়লেন মধুমতি নদীতে। চলল কাঁদা মাখামাখি, মেতে উঠলেন হৈ-হুল্লোড়ে, যেন কিশোর বয়সের সেই কৌশিক (মাশরাফির ডাকনাম, এই নামেই ডাকেন এলাকার মানুষ)।

    মাশরাফির খুনশুটির তেমনই একটি ভিডিওতে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সেটি দেখে কে বলবে এই অঞ্চলেরই টানা দুইবারের সংসদ সদস্য মাশরাফি। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাশরাফি। এই আসন থেকেই ২০১৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

    মূলত, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে একটু স্বস্তি পেতেই নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে নেমে পড়েন মাশরাফি। কারণ, নড়াইলে চলছে তীব্রপ্রবাহ। আর সংসদ সদস্য হওয়ায় প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়েছে মাশরাফিকে।

    এফএস

    শরবত বিতরণ করতে গিয়ে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

    ঠান্ডা শরবত বিতরণ করতে গিয়ে নজরুল ইসলাম (৫০) নামে জামায়াত ইসলামীর এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 


    বুধবার (০১ মে) বেলা ১১টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজার চারতলা জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


    গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ইসলাম বাগআঁচড়া মোল্লা পাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ও ১নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি।


    জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমে সারাদেশের মতো যশোরের শার্শা-বেনাপোলেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আর এই দাবদাহে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য পথচারিসহ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শরবত বিতরণ করছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগআঁচড়া শাখার কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ সময় পুলিশ এসে জামায়াত নেতা নজরুলকে গ্রেপ্তার করে শার্শা থানায় নিয়ে যায়।


    এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। আজ খবর পেয়ে শরবত বিতরণ করার সময় গ্রেপ্তার করে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    এআই

    মেহেরপুরে গাংনীতে স্কুল ভবন ভেঙ্গে বিক্রি করার অভিযোগ

    মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি একতলা ও দোতলা বিল্ডিং ভেঙ্গে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।


    জানা গেছে, এলাকার মানুষের শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ১৯৮৩ সালের তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক তৎকালীন চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বিশ্বাস এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়েরটিতে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া করছে। শিক্ষা প্রসারের জন্য সরকার কর্তৃক নতুন বিদ্যালয় ভবনের অনুমতি পাই বিদ্যালয়টি। গত ০৫ মার্চ বিদ্যালয়ের দুটি ভবন নিলামের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। নিলামের জন্য মাইকিং করা হলেও কিন্তু নিলাম করেননি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। রাতের আঁধারেই বিদ্যালয়ে ভবন ভেঙে প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি করে দেয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এ নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। 


    লিখিত অভিযোগে মনায়ারুল ইসলাম জানান, কোন প্রকার দরপত্র ছাড়া বিল্ডিং ভাঙছে এ নিয়ে আমি গত ১২ মার্চ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আমি ২৮ এপ্রিল তারিখে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রকার তদন্তভার গ্রহণ করেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 


    তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির জোকসাজসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ওই ভবনের মালামাল মাত্র ৭০ হাজার টাকায় রাতের আধারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।  


    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ক্ষমতাশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না এলাকাবাসীর অনেকেই। কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে নিজেরাই অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে দাবি করেন এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় দাবিও জানান তারা।

      

     

    তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে। তবে কেউ লিখিতভাবে অনুমোদন না দিলেও মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়ে ভাঙ্গার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা একটি সমন্বয় কমিটি তৈরি করে বিল্ডিং ভেঙেছি ও প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি করা হয়েছে যা সভাপতি জানে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠান আমার, কার নির্দেশে টেন্ডার করবো, ইচ্ছা হয়েছে ভেঙে ফেলেছি।


    তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে। বিদ্যালয় এর কোন মালামাল বিক্রি করা হয়নি। আর বিদ্যালয়ের ভাঙ্গার সব কথা ইউএনও স্যার জানেন।


    গাংনীর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেঙে বিক্রি করতে হলে অবশ্যই টেন্ডার করতে হবে। ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে ভাঙার কোন সুযোগ নেই। তবে বিষয়টির খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

     

    গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও, কোনো প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হননি। 


    মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান জানান, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এআই 

    চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবা‌হে শ্রমজীবী মানু‌ষের মা‌ঝে সরকা‌রি সহায়তা প্রদান

    অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রমজীবী মানুষের মাঝে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থে‌কে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হ‌য়ে‌ছে।


    বুধবার (০১ মে) দুপুর ১২টায় ডি‌সি সাহিত্য ম‌ঞ্চে চুয়াডাঙ্গা পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের ২২৫ জন শ্রমজীবী‌কে এই সরকা‌রি সহায়তা প্রদান ক‌রা হয়।


    শ্রমজীবী‌দের ম‌ধ্যে ছি‌লেন, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, রং মি‌স্ত্রি ও নারী শ্র‌মিক।


    চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আ‌য়োজ‌নে অনু‌ষ্ঠিত সরকা‌রি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠা‌নে প্রধান অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কি‌সিঞ্জার চাকমা। 


    ‌বিশেষ অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন, অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসন রিয়াজুল ইসলাম (পু‌লিশ সুপার প‌দে পদন্ন‌তি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), চুয়াডাঙ্গা মোঃ নাজমুল হামিদ রেজা, অ‌তি‌রিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) শার‌মিন আক্তার ও সদর উপজেলা ‌নির্বাহী অ‌ফিসার ফা‌তেমাতুজ জহুরা। 

    এআই 
    বেনাপোলে বাস চাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

    যশোরের বেনাপোলে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চাপায় মো. মোস্তফা (৪৮) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আনিসুর রহমান (৩৩) নামে অপর এক সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়েছে।


    বুধবার (০১ মে) সকালে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দিঘীরপাড় বেনাপোল সানরাইজ স্কুল ও রজনী ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মোস্তফা শার্শার লাউতাড়া গ্রামের আবুল ঢালীর ছেলে এবং আনিসুর রহমান একই গ্রামের রেজাউল মুন্সির ছেলে।


    বাসে থাকা যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী গোল্ডেন লাইন (ঢাকা মেট্রো-ব ১২-১৭৬৮) বাসটি দ্রুত গতিতে আসছিলো। বেনাপোলের দিঘীরপাড় সানরাইজ স্কুল ও রজনী ক্লিনিকের সামনে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেনাপোলগামী দুইজন সাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মোস্তফার মৃত্যু হয় এবং অপর একজনকে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে নাভারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বাসটিকে আটকিয়ে রাখলেও বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।


    বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজন নিহত ও আর একজন আহত হয়েছে। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন বিধায় নাভারন হাইওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। 

    এআই 

    রামগড়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে বিজিবির জিরো টলারেন্স

    সারাদেশে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ই মে রামগড় উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন  নিশ্চিত করতে শান্তি বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে রামগড় ৪৩ বিজিবি কঠোর ভূমিকা পালন করবে। আজ বুধবার ১লা মে সকালে মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় ৪৩ বিজিবির জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন এসব কথা বলেন। 

    জোন সদরের সম্মেলন কক্ষে মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় এসময় জোন অধিনায়ক পাহাড়ের অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ সহ সকল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সীমান্তে অপরাধমূলক তৎপরতা দমন করতে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সাংবাদিক জনপ্রতিনিধি ও হেডম্যান, কারবারিদের প্রতি আহ্বান জানান। 

    তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ছাড়াও সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সবসময় যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা এসব কর্মকান্ডে জড়িত হবে তাদের কোন ছাড় নয়।

    বিজিবির মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় রামগড় উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং পাতাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর, রামগড় উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ নিজামউদ্দিন, রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন, রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারী  রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা প্রমুখ। 

    এসময় রামগড় ৪৩ বিজিবির উপ-পরিচালক মোঃ রাজু আহমেদ, মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন সৈয়দ নূর হোসেন, স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান  কারবারি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এমআর

    শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে বন্ধ কুবি, হল ছাড়তে চান না শিক্ষার্থীরা

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের কারণে সিন্ডিকেট সভায় গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা দেয়। বন্ধ ঘোষণার কয়েক ঘন্টার পর ক্যাম্পাস জুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। 

    আজ বুধবার  (০১ মে ) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ হাসান বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথায় যাবো না। আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো। আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চাই। 

    নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহসীন জামিল বলেন, ঈদের পর পর ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমাদের ক্যাম্পাস কেনো বন্ধ হবে। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি। এখন হল বন্ধ হলে আমরা কিভাবে পড়াশোনা করবো। আমরা এ হল ছাড়বো না। 

    সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। 

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,ভিসি- শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও  হল  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান বলেন, উপাচার্য নিজেই যখন সন্ত্রাসী তখন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দয়া মায়া থাকে না৷ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন তার বিরুদ্ধে গিয়েছে তখন তার নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না। তার প্রশাসনের সকল সহকর্মীরাই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তার পতন শুধুই সময়ের ব্যপার৷ তাই তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করেছেন।

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে আমার কিছু করার নেই।

    এমআর

    ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে পেটাল যুবদল নেতাকর্মীরা

    কক্সবাজারের টেকনাফে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বাজারের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। গায়ের শার্ট খুলে নিয়ে কয়েক দফা অমানবিক নির্যাতনের ছবি-ভিডিও বিএনপির 'মিডিয়া সেল' নামের একটি পেইজ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনাটি এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী কবরস্থানের পাশে রাস্তার উপর এই ঘটনা ঘটে। 

    পরে হ্নীলা দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পল্লী চিকিৎসক নুরুল আজিম সোহেলের চেম্বারের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রহার করা হয়। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতার নাম নাছির উদ্দিন (২৬)। তিনি হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভিডিওতে মারধর করতে দেখা গেছে দুই যুবককে।

    অভিযুক্তরা হলেন, হ্নীলার ৫ নং ওয়ার্ডের দরগাহ পাড়া এলাকার আবুল কাশের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মামুন কবির (২২), সিকদার পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে শহিদ (১৯) ও হ্নীলা বাজার এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে ইউনিয়ন দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম সোহেল (৩২)।

    ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ের শার্ট খুলে কোমরে রশি দিয়ে এক যুবককে টেনেহিঁচড়ে কয়েকজন বাজারের দিকে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা উপর্যুপরি প্রহার করতে থাকেন। তিনি আকুতি-মিনতি করলেও নির্যাতনকারীরা থামছেন না। এই ঘটনায় এলাকাবাসীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

    সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, কয়েকমাস আগে সড়ক প্রশস্ত করতে কয়েকজনকে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। এই ঘটনায় গত ২৪ মার্চ সাবেকুন নাহার নামের এক নারী তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে ইউনিয়ন দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম চেয়ারম্যানকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন। সেটি আমার চোখে পড়লে রিপ্লাই সেকশনে আমি প্রতিবাদ জানাই। এরপর সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে।

    আমি সেটি খুব সাধারণ ভাবেই নিয়েছিলাম। আমার ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলাম। আমি হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে পৌঁছানো মাত্র যুবদল নেতা সোহেলের অনুসারী মামুন করিম, ও শহিদসহ কয়েকজন আমার গতিরোধ করে মারধর করতে শুরু করে। দুর থেকে সোহেল বেশি করে মারতে নির্দেশনা দিতে থাকেন। আমাকে বাঁচানোর জন্য একজনও এগিয়ে আসেনি। ফেইসবুক পোষ্ট মন্তব্য কিংবা প্রতিবাদ করার জেরে নয়; মুলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করণে এমন নির্যাতন চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এই ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন।

    হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে একটি স্টেশনের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে অভিযুক্তরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী বলেন, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এমআর

    শ্রমিক দিবসে লক্ষ্মীপুরে রিকশা শ্রমিকদের র‍্যালি

    পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে র‍্যালি করেছে রিকশা শ্রমিকরা। 


    বুধবার (০১ মে) সকালে রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার ব্যানারে এ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। 


    র‍্যালিটি শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে বাজার রোড হয়ে পূনরায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এসময় তারা বিভিন্ন দাবিতে শ্লোগান তোলেন। র‍্যালিতে শতাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ইজিবাইক  নিয়ে শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


    এতে বক্তব্য রাখেন রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা কমরেড এমএ মজিদ, সভাপতি এড. মিলন মন্ডল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. মোজাম্মেল হোসেন রিয়াজ, দপ্তর সম্পাদক ফারভেজ মোশাররফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের প্রমূখ।

    বক্তারা আরও বলেন, অতিদ্রুত ব্যাটারি চালিত যানবাহনকে বিআরটিএয়ের মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। ইজিবাইক চালকদের হয়রানি ও অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে এবং ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেনসহ সুনির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নিশ্চিত করতে হবে।

    এআই 
    টেকনাফে শ্রমবাজার রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে, বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

    কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করার কর্মস্থলগুলো দিনের পর দিন দখল করে নিচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা। বলতে গেলে অত্র উপজেলার আনাচে কানাছে রোহিঙ্গা নর-নারীদের অবাধ বিচরণ চোঁখে পড়ার মত। অথচ তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য শরণার্থী শিবিরগুলোর ভেতরে এবং বাহিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি দখল করে নিচ্ছে শ্রমবাজারগুলো।


    এদিকে রোহিঙ্গা শ্রমিকরা কম টাকার বিনিময়ে শ্রম দেওয়ার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ছে স্থানীয় শ্রমিকরা।


    অনুসন্ধানে দেখা যায়, টেকনাফ উপজেলার সড়কে চলাচলকারী মোটরচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক (টমটম) এর প্রায় চালক রোহিঙ্গা। আবার হোটেল, রেস্তোরা ও চায়ের দোকানে কাজ করা কর্মচারীও রোহিঙ্গা। বলতে গেলে শ্রমবাজারের বেশীরভাগ কর্মস্থলে রোহিঙ্গা শ্রমিকদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো। 


    ইদানিং সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও উঠে এসেছে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গা নর-নারী স্থানীয় অর্থলোভী পরিবারের সাথে আত্মীয়তা তৈরি করে তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে অত্র এলাকার স্থানীয় অসাধু মালিকদের ভাড়া বাসায় বসতি স্থাপন করে মাদক, মানব পাচারসহ টাকার বিনিময়ে এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংঘটিত করছে না। এতে করে উক্ত উপজেলায় সংঘটিত অপহরণ বাণিজ্য, মানুষ হত্যাসহ নানা প্রকার অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে।


    এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি সময়ের কন্ঠস্বরকে অভিমত প্রকাশ করে বলেন, টেকনাফের স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটনস্পট খ্যাত উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অবাধ বিরচন প্রতিরোধ না করলে অত্র এলাকার মাদক পাচার, অপহরণ বাণিজ্য বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি নানামুখী অপরাধ কর্মকাণ্ড বাড়তেই থাকবে। স্থানীয়দের মাঝে বসতি স্থাপন করা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে না আসলে স্থানীয় শ্রমবাজারসহ পাড়া মহল্লায় রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বাড়তেই থাকবে। যদি এখন থেকে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রন করা না হয়।  এমন একদিন আসবে টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো রোহিঙ্গাদের দখলে চলে যাবে বলেও অভিহিত করেছেন তারা।


    শ্রমবাজার রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে, টেকনাফ পৌরসভার বেশ কয়েকজন অর্থলোভী হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, স্থানীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে কাজ করালে তারা কাজ করে কম, টাকা চায় বেশি। আর রোহিঙ্গা শ্রমিকরা কাজ করে বেশি, টাকা নেয় কম। এই কারণে বিপাকে পড়ে যাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা।


    এ ব্যাপারে টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আলম বাহাদুর সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে উখিয়া-টেকনাফের স্বল্প আয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে উখিয়া স্থানীয় শ্রমবাজারগুলো এখন রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখল করে নিয়েছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সর্বপ্রথম স্থানীয় জনগণকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের ভাড়া বাসা দিয়ে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই সমস্ত অর্থলোভী বাসা মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।


    রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করার জন্য ক্যাম্পে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি কঠোর নজরদারি অবলম্বন করার পাশাপাশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে অত্র এলাকার শ্রমবাজারগুলো রোহিঙ্গা শ্রমিকদের হাত থেকে দখল মুক্ত হবে এবং স্থানীয় অসহায় দিন মজুর শ্রমিকদের আয়ের উৎস বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।


    এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, অত্র এলাকায় ঘটে যাওয়া অপহরণ, মাদক, মানব পাচারসহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত রোহিঙ্গারা। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে- অর্থলোভী স্থানীয় ব্যক্তিরা কম টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নর-নারীদেরকে ব্যবহার করে মাদক ব্যবসাসহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে। বেশি টাকা মুনাফার আশায় কম টাকার বিনিময়ে তাদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে অত্র এলাকার শ্রমবাজারগুলো রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে। 


    তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে হলে স্থানীয়দের মাঝে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অপরাধীদের অবস্থান নিশ্চিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। 


    পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কাছে বাসা ভাড়া দেওয়া অসাধু মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


    উল্লেখ্য, বুধবার (১লা মে) মহান মে দিবস। আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের আজকের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।


    সেইদিন থেকে নিহত শ্রমিকদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

    মাটিখেকোদের থাবায় পাহাড়ের লালমাটি, নিরুপায় প্রশাসন

    টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় ছোট-বড় অর্ধশতাধিক লালমাটির টিলা রয়েছে। ওইসব টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দিন-রাত ওইসব টিলার মাটি ইটভাটায় সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটি কাটা রোধে একাধিক বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও স্থায়ী কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। নির্বিচারে পাহাড়ি টিলা কাটায় স্থানীয় পর্যায়ের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

    জানাগেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চল; ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের দেওপাড়া, ধলাপাড়া, সাগরদীঘি, লক্ষিন্দর , সন্ধানপুর, সংগ্রামপুর, রসুলপুর ও দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের কিয়দাংশ; মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই, আজগানা, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়ন এবং সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, কালিয়া, দাড়িয়াপুর ও কালমেঘা ইউনিয়ন পাহাড়ি এলাকা হিসেবে পরিচিত।

    টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও সখীপুর এ চার উপজেলায় বন বিভাগের গেজেটভুক্ত বন ভূমির পরিমাণ ৭৭ হাজার ৩১১ দশমিক ৭২ একর। বিএস রেকর্ড অনুযায়ী বন ভূমির পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯২৩ দশমিক ১৪ একর। এরমধ্যে বিএস রেকর্ড অনুযায়ী কালিহাতী উপজেলায় ২২৪ দশমিক ৫২ একর, ঘাটাইল উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৬ একর, মির্জাপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৩১৮ দশমিক ৭০ একর এবং সখীপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ২৬ দশমিক ৬৬ একর বন ভূমি রয়েছে। 

    এসব বনভূমিতে প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছ-গাছরা সহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক টিলা রয়েছে। ওইসব টিলায় স্ব স্ব স্থানীয় মাটিখোকোদের চোখ পড়েছে। তারা নানা ছলছুতো ও প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত করে এসব এলাকার প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের পাহাড় ও টিলা কেটে ইটভাটায় মাটি বিক্রি ও সরবরাহ করছে। তাছাড়া পাহাড়ের লাল মাটি দিয়ে পুকুর ও নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদের নাম করে কিংবা বাড়িঘর নির্মাণের অজুহাতে ২০-৩০ ফুট উঁচু টিলা কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।  

    স্থানীয়রা জানায়, ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের জুগিয়াটেংগর গ্রামের আবুবকর মিয়া, আবুল হোসেন ও তার ভাই নুরুল ইসলাম সহ আরও অনেকের নেতৃত্বে ছোট-বড় লাল মাটির অনেক পাহাড় ও টিলাসহ বন বিভাগের জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। পাহাড় ও টিলা কাটার আগে ওইসব স্থানের প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছগুলোও কৌশলে কেটে বিক্রি করা হয়। উল্লেখিত  ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রতি বছর চলে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কাটার ধুম। এ বছরও লাল মাটির সুউচ্চ টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের পাশের এলাকার টিলা ইতোমধ্যে কেটে শেষ করা হয়েছে।দেওপাড়া, মলাজানি ও ঝড়কা থেকে দক্ষিণ দিকে ভানিকাত্রা হয়ে মাইধারচালা পর্যন্ত রাস্তার পাশে পাহাড় কাটা হচ্ছে।

    সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, কালিয়া, দাড়িয়াপুর ও কালমেঘা ইউনিয়নের সাপিয়ার চালা, বাগেরবাড়ি, ইন্দারজানী, গড়বাড়ি, আড়াংচালা, আমতৈল, আমগাছ চালা ও গিলাচালা প্রভৃতি এলাকায় মাটি ব্যবসায়ী শহীদ, রুস্তম আলী, হায়দর আলী, সোহেল, হাসমত ডাক্তার, পান্নু, মেহেদী, আরিফ, হাইসাব, মজনু, আজিজ ও নাফিকুল অবাধে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কেটে বিক্রি করছেন।

    মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই, আজগানা, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়নের পাহাড় ও টিলা কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর দেওয়ান, আমিনুর, আবিদ শিকদার, শহিদুল দেওয়ান ও জুলহাস।

    খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মাটি ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দিনে-রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় ও টিলার লাল মাটি কেটে ভারি ভারি ড্রাম ট্রাকে পরিবহণ করে ইটভাটায় বিক্রি ও সরবরাহ করছেন। 

    মাটি ভর্তি ওভারলোডের ভারি ড্রাম্প ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক বিনষ্ট হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তা ও আঞ্চলিক সড়কের পাশে আবাদ করা ধান ক্ষেত, সবজি ক্ষেত, বাড়িঘর, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধূলায় ঢেকে যাচ্ছে। মাটিখেকোরা পাহাড় ও টিলার মাটি কাটার আগে সেখানকার গজারি, আকাশমনি, কাঁঠাল গাছ, বাঁশঝাড় সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকু মেশিন(খনন যন্ত্র) দিয়ে যথেচ্ছভাবে পাহাড় ও টিলার মাটি কাটায় মির্জাপুরের লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর, নৌকারচালা, শেরখারচালা, ট্যাকপাড়া ও কদমা গ্রামের কয়েকটি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিতে রয়েছে। কোন কোন স্থানে উঁচুু টিলার লাল মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহের পাশাপাশি সমতল করা জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ আবাসস্থল গড়ে তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও মাটিখোকো চক্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।

    পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। এক সময় সখীপুর উপজেলার নানা অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণি বসবাস করতো। কালক্রমে জনসংখ্যার আধিক্যে বনাঞ্চল নিধন, পাহাড়-টিলা কেটে বাড়ি-ঘর ও ফ্যাক্টরী তৈরির কারণে বন্যপ্রণির মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় শুধুমাত্র ২-১টা বানর দেখা যায়- এরাও খাদ্যাভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করলে এবং গাছপালা ধ্বংস করলে এক সময় ধরিত্রী জনমানব ও প্রাণিকূলের বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

    টাঙ্গাইলের পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি বিরুদ্ধে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েও মাটি ব্যবসায়ীদের ফেরানো যাচ্ছে না। বার বার দিন ও রাতে অভিযান চালিয়ে আর্থিক জরিমানা ও কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েও তেমন কোনো প্রতিকার মিলছেনা। জামিনে মুক্ত হয়ে বা জরিমানা পরিশোধ করে আবার পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রির মাধ্যমে জরিমানার টাকা ঊঁশুল করায় মেতে উঠছে। মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকার দলীয় স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের যোগসাজস থাকায় তারা বেপরোয়া। ফলে স্থানীয় প্রশাসনের শক্ত অবস্থানেও পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।

    কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানায়, স্ব স্ব স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, বন বিভাগের বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের মৌখিক অনুমতি নিয়েই তারা পাহাড় ও টিলার মাটি কাটছেন। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে মৌখিক সমর্থন আদায় করতে হয়। দিনশেষে তাদের হাতে দিনমজুরির টাকাই থাকে। কোনো কাজ নাই- তাই তারা মাটির ব্যবসা করে কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন।

    মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর দেওয়ান দম্ভোক্তি করে জানান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের জানিয়েই দিন-রাত মাটি কাটছেন। জাহাঙ্গীর দেওয়ান প্রকাশ্যে লতিফপুর ইউনিয়নের নৌকারচালা, শেরখারচালা ও কদমা গ্রামের লাল মাটির টিলা ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাকে ইটভাটায় বিক্রি ও সরবরাহ করছেন।

    কয়েকটি ইটভাটার মালিক জানায়, ইট তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে মাটি। সমতলের সাদা-কালো মাটি সহজলভ্য নয়- যা পাওয়া যায়, দাম অনেক বেশি। এদিকে, শুধু পাহাড়ি লালমাটি দিয়ে ইট তৈরি করা যায়না। লাল মাটির সঙ্গে বালু মিশিয়ে তার সঙ্গে খৈল, টিএসপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ইট তৈরির উপযোগী করা হয়।

    টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, পাহাড়ের লাল মাটি কাটার জন্য তারা ইতোমধ্যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মাটি কেটে যারা পরিবেশ বিনষ্ট করছে তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান জানান, টাঙ্গাইলের পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করায় তারা কয়েকটি ভেকু মেশিন জব্দ ও কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় তিনি কথা বলেছেন। এরপরও কোথাও লালমাটি বা টিলা কাটা হলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, জেলার পাহাড় ও টিলা কেটি মাটি বিক্রির অপরাধে গত তিন মাসে অন্তত ৫০ জনকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেকগুলো ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮০-৯০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

    তিনি জানান, অবৈধভাবে পাহাড় বা টিলা কেটে মাটি বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। অপরাধীরা যত কূটকৌশলই অবলম্বন করুক আইনের হাত থেকে তারা রেহাই পাবেনা।

    এমআর

    ১৬ ঘন্টা লোডশেডিং, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা বললেন 'আমাদের হাত-পা বাঁধা'

    ৫৪ বছরের ইতিহাসে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৩০ এপ্রিল রাত ৯টায়। ওই সময় জাতীয় গ্রিডে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়েছে। এরপরও বেতাল ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে আছে লোডশেডিং। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। এমন অবস্থায় রাতে নেই ঘুম, দিনের কাজে নেই স্বস্তি। গরম আর বিদ্যুতহীনতায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের জনজীবন অতিষ্ঠ। এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। যখন দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহে হাফিয়ে উঠছে এবং হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, ঠিক তখনই নজিরবিহীন লোডশেডিং মানে কার্যত মরার ওপর খাঁড়ার-ঘা।


    বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রিড থেকে স্টেশন ভিত্তিক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে তাই বিতরণ করা হয়। এর বাইরে তাদের আসলে কার্যত কিছু করার নেই, হাত-পা বাঁধা। 


    জানা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এরমধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা আছেন সববেশি বেশি ভোগান্তিতে। একসময় রাতের বেলায় লোডশেডিং হতো, বর্তমানে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে সমানে সমান। দিন ও রাতে ১৫-১৬ ঘন্টা থাকে না বিদ্যুৎ। এ অবস্থায় দৈনন্দিন কাজে ঘটছে বিঘ্ন, রাতে ঘুমাতে পারছেন না মানুষ। বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সী নারী-পুরুষের। 


    এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহে বোরো ধানের ক্ষেতের মাটি শুকিয়ে গেলেও লোডশেডিংয়ের কারণে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না অনেক কৃষক। দ্রুত পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা না গেলে ধানগাছের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অন্যদিকে দাবদাহের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। 


    ফলদা ইউনিয়নের ধুবলিয়া গ্রামের সিফাত রহমান বলেন, গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুব খারাপ পর্যায়ে গেছে। দিন-রাত মিলিয়ে ১৫-১৬ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এমনিতেই টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, তারমধ্যে আবার বিদ্যুৎ থাকছে না। সবমিলিয়ে মানুষ বড় অশান্তির মধ্যে আছে। 


    তাড়াই গ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন, রাতে বিদ্যুৎ তিন থেকে চার ঘন্টা থাকে কিনা সন্দেহ। আর সারাদিনে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা। তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়া, বমি, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন নানা বয়সের শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর আমরা বড়রা তো রাতে গরমে ঘুমাইতেই পারি না। 


    ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের আজিজ মন্ডল বলেন, যে গরম, অথচ বিদ্যুৎ থাকেই না। এক ঘন্টা থাকলে, চারঘন্টা আর খবর নাই। রাতে সমস্যা বেশি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিদ্যুতের লোকজন বলে উৎপাদন নাই, দেব কোথা থেকে। 


    এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিস হওয়ার পর থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেকটাই কমে গেছে। তবে ঈদের পর থেকে বেড়েছে। শুনেছি, গোপালপুর সাব-স্টেশনের পরে বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনে এসিআর লাগানোর পর থেকে বিদ্যুৎ সমস্যা বেশি হচ্ছে। সেখান থেকে মেইন লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে পুরো ভূঞাপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। 


    যদিও আরইবির কর্মকর্তারা বলেছেন, এসিআর হচ্ছে একটি প্রোটেকশন। এতে দুর্ঘটনা থেকে সিস্টেম বাঁচে। ত্রুটি না হলে মেইন লাইন গোপালপুর থেকে বন্ধ করার সুযোগ নেই। 


    জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রতিষ্ঠার পর ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতা বাড়তে থাকে। ফলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভৌগলিক এলাকা ময়মনসিংহ জেলার ৩টি উপজেলার ময়মনসিংহ  সদর (আংশিক), ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা এবং টাঙ্গাইল অংশের মধুপুর, ধনবাড়ী. গোপালপুর, ভূঞাপুর ও ঘাটাইলকে  অন্তর্ভুক্ত করে বিস্তৃত হয়। ময়মনসিংহের অংশের চেয়ে টাঙ্গাইলের গ্রাহক সংখ্যা বেশি। আর এ অঞ্চলের গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ সুবিধায়ও পিছিয়ে সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতি বছর লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণাও পোহাতে হয় চরমভাবে। 


    জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান খান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমাদের সাব-ষ্টেশনে ৬টি ব্রেকার থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দুইটি নষ্ট। আমরা ৪টি ফিডারের মাধ্যমে ভূঞাপুর উপজেলা ও ঘাটাইলের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকি। ঘাটাইল গ্রিড যা বরাদ্দ পায় তাঁর থেকে আমাদের ৬ দশমিক ৫ পারসেন্ট দেওয়া হয়। বর্তমানে তীব্র তাপদাহে আমার চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। সেখানে আমি ৫০ পারসেন্টই পাই না। যা বরাদ্দ পাই একসঙ্গে দুইটি ফিডার চালু রাখাই কষ্ট হয়ে যায়। বাকি দুইটা বন্ধ রাখতে হয়। 


    ১৪-১৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মনমোহন চন্দ্র সরকার বলেন, সম্প্রতি ঘাটাইল নতুন গ্রিড চালু হওয়ার পর থেকে ভূঞাপুর, গোপালপুরসহ টাঙ্গাইল জেলার ৫টি উপজেলা এখান থেকে বিদ্যুৎ নেই। এখানে আমাদের টোটাল দরকার ৭৬ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা ২৮ থেকে শুরু করে ৫৬-৪৬ পর্যন্ত পাই। ৫০ পারসেন্ট বরাদ্দ পেলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ১২ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কারণে আরও এক, দুই ঘন্টা এড হয়ে যায়। 


    জানতে চাইলে গোপালপুর জোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসাইন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বর্তমানে এক লাইনে ভূঞাপুর ও গোপালপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ভূঞাপুরের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সেটি তাঁরা পাচ্ছে। আমরাও পারসেন্ট অনুযায়ী নিচ্ছি। সেখানে ভূঞাপুরের লাইন বন্ধ করে গোপালপুরে নেওয়ার সুযোগ নেই। 


    তিনি বলেন, সারাদেশের মধ্যে গত সোমবার ময়মনসিংহ অঞ্চলে লোডশেডিং বেশি ছিল, যা গণমাধ্যমেও এসেছে। আসলে উৎপাদন তো কম। দেশের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে এখন গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তাঁরমধ্যে ১০ পারসেন্টই ঢাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন শিল্প ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া লোড নিয়ে নিচ্ছে। গ্রাম এলাকাতে আমার এখানে ২০ মেগাওয়াটের উপরে চাহিদা আমি পাচ্ছি ৬, ৭, ৮ এরকম। 


    মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা তো আসলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী। আমাদের এখানে যতটুকু আসে, সেটাই সরবরাহ করতে পারি। উৎপাদন তো পুরোটাই সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তারপর বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে আমাদের কাছে আসে। এখন গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে, এটা নিশ্চিত। আমি নিজেও এটা ফিল করি কিন্তু আসলে আমাদের হাত-পা বাঁধা, বিদ্যুৎ না পেলে তো আর দিতে পারি না। 


    তাপমাত্রা না কমলে কিংবা বৃষ্টি না নামলে লোডশেডিং থেকে আপাতত মুক্তির উপায় নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।  

    এদিকে যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার শহিদ উদ্দিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, গতকাল তো সারাদেশেই আড়াইহাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, তাঁরমধ্যে ময়মনসিংহ একটু বেশি হয়েছে। এর কারণ এখানে যে স্পেশাল লাইন সেই লাইনে তো বিদ্যুৎ আনতে পারি না। আগে জামালপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো, এখন আমরা ঘাটাইল থেকে নিচ্ছি। আমাদের টোটাল ৩০-৪০ পারসেন্ট লোডশেড করা লাগে। গতকাল ৬০ পারসেন্ট লোডশেড ছিল। 


    তিনি বলেন, আমার তো ভূঞাপুর গ্রাহক বেশি না, মাত্র ২০ হাজার গ্রাহক। ভূঞাপুরের তো আলাদা লাইন নেই, আগে ঘাটাইলের সঙ্গে ছিল, এখন গোপালপুরের সঙ্গে আছে। ঘাটাইল থেকে বিদ্যুৎ যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে তাপদাহ বেশি থাকায় লোডের পরিমাণ বেশি, ক্রাইসিস বেশি, যেটা আগে দুই মেগাওয়াট ছিল সেটি এখন ৪ মেগাওয়াট হয়ে গেছে। একটু ওয়েদার ঠিক হয়ে গেলে এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে। 


    এসময় গোপালপুরে এসিআর বসানো নিয়ে জানতে চাইলে জেনারেল ম্যানেজার শহিদ উদ্দিন বলেন, ৩৩ কেভি লাইনে এসিআর  হচ্ছে একটি প্রোটেকশন। দুর্ঘটনা থেকে সিস্টেম বাচে। লাইন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও আমি বিষয়টি দেখতেছি।

    গাজীপুরে ট্রাকের চাপায় প্রকৌশলী নিহত

    গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার মীরের বাজার এলাকায় ট্রাকচাপায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।  


    বুধবার (০১ মে) ভোর ৫টার দিকে গাজীপুর-গাউছিয়া বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 


    নিহত প্রকৌশলীর নাম শাহাদাত হোসেন মুন্না (২৭)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রামগতি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। 


    তিনি গাজীপুর-গাউছিয়া হাইওয়ে সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শক্তি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 


    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জিএমপির পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।


    পুলিশ জানায়, ভোরে শাহাদাত নিজের মোটরসাইকেল চড়ে গাজীপুর মহানগরীর উলুখোলা থেকে ভোগড়া বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মালবোঝাই ট্রাক ভোগড়া বাইপাস থেকে উলুখোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে পড়ে যান। ট্রাকটি তাঁকে চাপা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


    ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, ট্রাকচাপায় আহত মোটরসাইকেল আরোহীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এআই 

    সাভারে কিশোর অপরাধীসহ ৭ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

    সাভার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক কিশোর অপরাধীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। চলমান অভিযানের আরও ৭ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


     বুধবার (০১ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি। এর আগে গতকাল ৩০ এপ্রিল পৃথক অভিযানে সাভারের বাজার রোড, জালেশ্বর ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।


    গ্রেপ্তারকৃতরা হলন- শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার উত্তর চকপাড়া গ্রামের মো. হাবিব মিয়ার ছেলে মোঃ আকাশ ওরফে আকাই (২৩), সাভার উত্তরপাড়ার মো. হাসান মোল্লার ছেলে মোঃ রাকিব হাসান হৃদয় (২৬), বাগেরহাট জেলা সদর থানার ষাটগম্বুজ রেল স্টেশন এলাকার কালাম মোল্লার ছেলে মোঃ সাব্বির (২৪), কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার বাঁশগাড়ী গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নাইম (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলা সদর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আল আমিন (২৮), ও ডেঞ্জার সাগর (২৫) সহ আরও একজন। তাদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম, সাভার মডেল থানায় দস্যুতা, হত্যা ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 


    আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাই ঢাকা জেলার এই অংশে বিশেষ করে সাভার ও আশুলিয়ায় আমরা সাম্প্রতিক কালে লক্ষ করেছি অল্প বয়সি, কিশোর বয়সী ক্ষেত্রে বিশেষে বয়স ৩০ এর ওপরে হলেও অনেকে যে আচরণগুলি করে থাকেন আমরা সাধারণত এটাকে কিশোর গ্যাং বলে থাকি। এরকম বয়সী অপরাধীদের দ্বারা বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আমাদের নজরে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয় গুলো নোটিশ করেছি। তারই ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে এ ধরনের সঙ্ঘবদ্ধ কিশোর অপরাধী যারা অথবা সঙ্ঘবদ্ধ ছাড়াও একজন দুই জন যারা নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনেছি। ক্ষেত্র বিশেষে যদি কারও বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকে তাহলে স্থানীয় কিংবা অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি। এমন ২ শতাধিক অপরাধীদের গত ১০/১৫ দিনে আমরা আটক করেছি। আমাদের অফিসাররা মোবাইল পেট্রোলিং কার্যক্রম ও চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম করার সময় গতকাল তিনটি গ্রুপকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা মুল্যের হেরোইন ও চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 


    অভিযানে পরিচালনা করা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, আটকদের মধ্যে দুইজন গত ২২ সালে সিঅ্যান্ডবি বাস স্ট্যান্ডে একজন এসিল্যান্ডকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা জিনিসপত্র লুটে নেয়। তারা কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে আবার ছিনতাই কার্যক্রমে নেমে পরে। এছাড়া আটকদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিরাও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    এআই 

    শরীয়তপুরে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে পুকুরে বিষ প্রয়োগ, লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন

    শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হিজলতলায় দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ভাইয়ের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।


    বুধবার (০১ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হিজলতলা গ্রামে মোতালেব সরদারের পুকুরের বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।


    ভুক্তভোগী ও থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলতলা গ্রামের পশ্চিম সোনামুখি এলাকার গগন সরদারের দুই ছেলে মোতালেব সরদার ও মোতাহার সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বে জের ধরে বেশ কয়েকবার মোতাহার সরদার তার ভাই মোতালেব সরদারের পুকুরের মাছ মেরে ফেলার চেষ্টা করে। 


    বুধবার দিবাগত রাতে মোতাহার সরদার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নিয়ে মোতালেব সরদারের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষক্রিয়া হয়ে পুকুরের সব মাছ মারা গেলে স্থানীয় সুরভী আক্তার পুকুরের মালিক মোতালেব সরদারকে খবর দেয়। এরপর পুকুর পাড়ে গিয়ে মোতালেব সরকার দেখতে পান পুকুরের রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংড়া, ফলি, শিং, কইসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ বিষের প্রভাবে মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।


    পুকুরের মালিক মোতালেব সরদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুকুর পাড়ে এসে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এক বছর ধরে আমি মাছের পরিচর্যা করেছি। রমজানেও একটি মাছ ধরে পরিবার নিয়ে খাইনি ভালো দামের আশায়। আমার ভাই মোতাহার সরদার ছাড়া এলাকায় আমার কোনো শত্রু নেই। সে ছাড়া এমন কাজ আর কেউ করতে পারে না। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।


    অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে মোতাহার সরদার বলেন, মোতালেব সরদার আমার ভাই। তার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমার শত্রুতা আছে একথা ঠিক। কিন্তু তার পুকুরের মাছ কীভাবে মরল সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।


    এ বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, থানায় অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত করব, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এআই 

    সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

    বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের একটি সংবাদ সম্মেলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করাসহ ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাথরঘাটার সাংবাদিকরা।


    বুধবার (০১ মে) সকাল ১০টায় পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ারে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে ও উপজেলা প্রেসক্লাবসহ পাথরঘাটার সকল সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


    ভিন্ন ভিন্ন মামলায় আসামিরা হলেন- পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি জাফর ইকবাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মানবজমিন প্রতিনিধি জাকির হোসেন খান, নির্বাহী সদস্য ও আজকের পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সুমন, উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও আরটিভি প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভ, কালবেলা প্রতিনিধি আল আমিন ফোরকান ও আলোকিত প্রতিদিন এর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান।


    পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কাউন্সিলর কাকন মোল্লা, এডভোকেট নাসির উদ্দিন সোহাগ, শফিকুল ইসলাম খোকন, জাকির হোসেন খান ও অমল তালুকদার প্রমুখ।


    বক্তারা বলেন- সমাজের ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজের চরিত্রহীন, ভুমি দস্যু, ও নারী লোভীদের মুখোশ উন্মোচন করায় আজ পাথরঘাটার সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে। 


    এরমধ্যে বিরুদ্ধে আল মামুন নামে এক ব্যক্তির কতৃক পাওয়ার অফ আ্যটনি নিয়ে তার চাচাতো ভাই লিটন হাওলাদার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। এই আল মামুন প্রবাসে থাকা অবস্থায় এক নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এর ভিডিও তৈরি করে ব্লাকমেইল করে। এর প্রতিবাদ করায় ঐ নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে ১৩টি মামলা করেন। এই মামলায় অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগী নারী পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলে ঐ সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার করলে আল মামুন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। এতে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি, মোহনা টিভির প্রতিনিধি ও কালবেলার প্রতিনিধিকে আসামি করা হয়।



    এছাড়াও হরিণঘাটা বনের হরিণ শিকারী চক্রের সদস্যরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে। এ সংবাদ সম্মেলন প্রচার করায় মানবজমিন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন পারভিন নামে এক নারী।


    চরদুয়ানি ইউনিয়নের এক নারী ইউপি সদস্যের স্বামী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির নিউজ করায় সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।


    পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের ধন্ধ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আরটিভি প্রতিনিধি ও আলোকিত প্রতিদিনের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।


    মানববন্ধনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এসময় শতাধিক মানুষের উপস্থিত ছিলেন।

    এআই 

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বজ্রপাতে কৃষকের তিনটি গরুর মৃত্যু

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। 


    বুধবার (০১ মে) রাত তিনটায় উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কৃষকের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে।


    কৃষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার জানান, অতিরিক্ত গরমের কারনে রাতে গরুগুলো খড়ের বাহিরে বেঁধে রেখেছিলাম। সকালে উঠে দেখি গরুগুলো মৃত পড়ে আছে। ধারনা করছি রাত তিনটায় বজ্রপাতে গরুগুলো মারা যায়। 


    চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বাবুল মাস্টার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডিসি স্যারকে অবগত করেছি। দেখি পরবর্তীতে উনার জন্য কিছু করা যায় কিনা। 


    উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা. জামাল উদ্দিন জানান, আমার অফিস থেকে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    এআই 
    কুয়াকাটায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। 


    বুধবার (০১ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্নাঢ্য র‍্যালী ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়ক ও রাখাইন পল্লী রোডসহ পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত  অনুষ্ঠিত হয়। 


    কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার।


    শ্রমিকলীগ সভাপতি শাহীন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু অনন্ত মুখার্জি, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ আকন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস মৃধা, জালাল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো: জব্বার বিশ্বাস,শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক ছগির মোল্লা, ইজি বাইক সভাপতি শহিদুল গাজী ও শ্রমিক নেতা বেল্লাল হাওলাদার প্রমুখ।


    শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েকশত শ্রমিক অংশগ্রহণ করে। আলোচনা শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

    এআই 

    বরগুনায় তীব্র তাপদাহের পর গভীর রাতে স্বস্তির বৃষ্টি

    সারা দেশ তীব্র তাপদাহের পর গভীর রাতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে বরগুনায়। টানা ১ মাস ধরেই ছিল গ্রীষ্মের উষ্ণতা।


    বুধবার (০১ মে) রাত ৩টার দিকে বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করা জনজীবনে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও দেখা গেছে মানুষের স্বস্তিমূলক পোস্ট। এ যেন আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি।


    বৈশাখের এই প্রথম কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত। সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতি। মুহূর্তে যেন শীতলতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বজ্রপাতের তুলনায় বৃষ্টি ততটা হয়নি। ঝড় থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল ১৫ থেকে ২০ মিনিটি। যতটুকুই বৃষ্টি হয়েছে এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। 

    এআই 
    পিরোজপুরে যুবলীগের সম্মেলন, এক যুগ পর নতুন নেতৃত্বের আশা

    পিরোজপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সংগঠন। সে অনুযায়ী আগামী ১৮ মে (শনিবার) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলনের এ তারিখ জানানো হয়।

    বর্তমান পিরোজপুর জেলা যুবলীগের কমিটি নিষ্ক্রিয় থাকায় উক্ত শাখাকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ সম্মেলনের এ তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানা যায়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গঠনতন্ত্রের ১৬ ও ২১ ধারা মোতাবেক আগামী ১৮ মে শনিবার পিরোজপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

    পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ-উল্লাস দেখা দিয়েছে। যুবলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা সংগঠনের হাল ধরেছেন, জেলা কমিটি নিষ্ক্রিয় থাকার পরেও যারা সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গেছেন, যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে- তাদেরই নতুন নেতৃত্বে আসা উচিত।

    এমআর

    প্রয়াত প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর জানাজায় মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী

    জামালপুরের ইসলামপুরে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফের স্ত্রীর জানাজায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের মোবাইল ফোন কে বা করা হাতিয়ে নিয়েছেন।  


    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এই ঘটনা ঘটে।


    ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফের সহধর্মিণী হাসনা মোশারফের নামাজে জানাজায় অংশ নেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। এ সময় তিনি পাঞ্জাবির পকেটে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেটটি রেখে দেন। জানাজার নামাজ শেষ করে পাঞ্জাবি পকেটে রাখা মোবাইলটি ব্যবহার করতে গিয়ে সেটা আর পাননি তিনি।


    এ বিষয়ে জানতে বুধবার ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শিপন আহম্মেদ কল রিসিভ করে বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় এখন ব্যস্ত আছেন।’ হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো হারিয়ে যাওয়া মোবাইল সেটটি পাওয়া যায়নি।’


    ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন তালুকদার বলেন, ‘জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পর ধর্মমন্ত্রী মহোদয় পাঞ্জাবির পকেটে রাখা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফেলেন। জানতে পেরেছি, মন্ত্রী মহোদয় সেটিংয়ে এয়ারপ্লেন মুড অপশন চালু রেখে পাঞ্জাবির পকেটে মোবাইল সেটটি রেখেছিলেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    এআই 
    শেরপুরে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু

    দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। গত কয়েক দিন ধরে শেরপুরের তাপমাত্রা ৩৮-৩৯ ডিগ্রীতে উঠানামা করলেও মঙ্গলবার শেরপুরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে (সূত্র আবহাওয়া অফিস)। গতকাল সোমবার ছিল ৩৯ ডিগ্রীর উপরে। 


    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লার ইস্রাফিলের দেড় বছরের কন্যা ইসরা নামে এক শিশু মারা গেছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ঘরে বসবাস করা ইস্রাফিলের পরিবারের ওই শিশু গরমে অসুস্থ হলে হাসপাতাল পর্যন্ত আনা যায়নি। অপর দিকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে শেরপুর আফসর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবনা আক্তার নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে হাসপতালে ভর্তি করা হয়।


    সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও জমসেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজের ডিগ্রীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠানো হয়েছে। 


    গতকাল ২৯ এপ্রিল নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি পাগার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গরমে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল গুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বেড়েছে। শেরপুর জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। শিশু ওয়ার্ড ৪০ শয্যার হলেও এখন এই ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়েছে। এদিকে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার প্রধান বাজার গুলোতে তীব্র গরমে করণীয় সম্পর্কিত ১০ দফা করণীয় নিয়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহরে উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।


    সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেছেন, পারতে পক্ষে রোদে না যাওয়াই ভালো। বেশি বেশি পানি ও তরল খেতে হবে, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। শরীর খারাপ লাগলেই হাসপাতালে আসতে হবে।

    এআই 

    গৌরীপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় দেবর-ভাবী জেল হাজতে

    ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেবর মো. আপেল মিয়া (৩৫) ও তার ভাবী বিউটি আক্তার (৪০) রোববার (২৮ এপ্রিল) বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। প্রতিপক্ষ মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজের অপকর্ম প্রকাশ পেয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার গার্মেন্ট কর্মী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসে গৌরীপুর থানায় আসলে থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়ের কৌশলে বেড়িয়ে আসে গণধর্ষণের আসল তথ্য। ধর্ষণের আলামত তৈরি করতে রাতে আপেল মিয়া ও তার দু’বন্ধু মিলে ওই নারীকে গণধর্ষণের মতো একটি জঘন্যতম কাজ করে। ভাবী বিউটি ও দেবর আপেল পরিকল্পিতভাবে মামলার বাদী ও সাক্ষীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন প্রতিপক্ষ বাদী-সাক্ষ কে রক্ষা ও ধর্ষণের জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশংসায় ভাসছেন গৌরীপুর অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়। 

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া আগপাড়া গ্রামের মো. সাদেক মিয়ার স্ত্রী মোছা. বিউটি আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ওই গার্মেন্ট কর্মী শনিবার (২৭ এপ্রিল/২৪) গণধর্ষণের ঘটনায় উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া আগপাড়া গ্রামের খন্দকার রায়হান হোসেন, খন্দকার আজমল হোসেন ও খন্দকার মো. লাক মিয়ার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। 

    ওই গার্মেন্ট কর্মী অভিযোগ করে আবু রায়হানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম চলছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করে। একই সময় মো. আব্দুস সাত্তারের পুত্র মো. আপেল মিয়া (৩৫) মুঠোফোনে পুলিশকে জানায়, গণধর্ষণের আসামী আবু রায়হান তার সামনে রয়েছে, আসলেই ধরতে পারবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু রায়হানকে আটক করে। 

    এরমধ্যে অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর তথ্যে গড়মিল পরিলক্ষিত হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। অফিসার ইনচার্জ এ সময় ৩জন নির্মাণ শ্রমিকের ছবি দেখিয়ে বলেন আমরা ধর্ষণে জড়িতদের আটক করেছি। আপনি (ধর্ষণের শিকার নারী) ‘আবু রায়হান’ চিহ্নিত করে দিন। তখন ওই নারী দীর্ঘদিনের সেই প্রেমিক হিসাবে সুন্দর গোলগাল চেহারার এক শ্রমিককে সনাক্ত করায় প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসে। 

    পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানায়, তাকে সঙ্গে করে বিউটি আক্তারের বাড়িতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল/২৪) গাজীপুর থেকে বেড়াতে নিয়ে আসেন। তার মা ও বিউটি একই গার্মেন্টে চাকুরী করে। শুক্রবার (২৬এপ্রিল/২৪) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে অন্য কক্ষে নিয়ে যায় বিউটি আক্তার। এরপরে সেখানে মো. আপেল মিয়া ও তার দু’বন্ধু ফজল মিয়া, শাহীন মিয়া পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। বিউটি আক্তার ও আপেল মিয়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করায়। প্রকৃতপক্ষে তিনি তাদের কাউকে চিনেন না।

    এদিকে ওসির নির্দেশে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইমরান আল হোসাইন, রায়হানকে সনাক্তকারী ও তথ্যদাতা আপেল মিয়াকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে থানায় নিয়ে আসেন। ধর্ষণের মূলরহস্য বেড়িয়ে আসার বিষয়টি টের পেয়ে থানা থেকে পালিয়ে যান আপেল মিয়া। এরপরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে, আপেল মিয়াকে আবারও গ্রেফতার করেন। 

    গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায় জানান, ধর্ষণের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, জড়িত ২জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ওসি (তদন্ত) ইমরান আল হোসাইন জানায়, ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ ও ভিকটিমকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।   

    অপরদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, আপেল মিয়ার স্ত্রী মোছা. তাসনিম আক্তার ২০২১সনের ২৬ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ৪, ৫ ও ৬ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনে জিরাফ প্রতীকে পায় ১হাজার ৭৯৫ ভোট। একই গ্রামের খন্দকার লাক মিয়ার স্ত্রী মোছা. জেসমিন আক্তার হেলিকপ্টার প্রতীকে পায় ১হাজার ৩৫৭ ভোট। তাসনিম আক্তারের পরাজয়ের পরপরেই জেসমিনের কর্মী-সমর্থক ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি হয়।

    ২০২২সনের ৮ ফেব্রুয়ারি আপেল মিয়ার নেতৃত্বে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খন্দকার রায়হান হোসেন বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি ও খন্দকার রায়হান হোসেন গংদের আসামী করে ১২ ফেব্রুয়ারি বিউটি আক্তার বাদী হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। খন্দকার রায়হানের মামলায় আপেল মিয়া জেলহাজতে ছিলেন। এতে ওরা আরও ক্ষুব্দ ও প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে উঠে। 

    ওই নির্বাচনের জেরে হামলা-মামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ খন্দকার রায়হান হোসেন গংদের ফাঁসাতে আপেল মিয়া ও বিউটি আক্তারের পরিকল্পনায় গার্মেন্টকর্মীকে নিজেরা গণধর্ষণ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অপচেষ্টা চালায়। তবে ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন ২হাজার ৬৮ ভোট পেয়ে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী মোছা. হোসনে আরা বেগম।

    এমআর

    ভালুকায় বৃষ্টি কামনায় দোয়া ও ইসতিসকার নামাজ

    ময়মনসিংহের ভালুকায় তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও স্বস্তির বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

    সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সিডষ্টোর বাজারস্থ হযরতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ নামাজ (ইসতিসকার) পরিচালনা করেন সিডষ্টোর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব, হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়াহইয়া সুতারপুরী।

    নামাজ ও বিশেষ দেয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মুসুল্লিরা আল্লাহ’র সাহায্য কামনা করে কান্নাকাটি করেন।

    এমআর

    জামালপুরে সেচ পাম্পে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কৃষকের মৃত্যু

    জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজু আহমেদ (৩১) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর বালিয়ামারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার ইজ্জত শেখের ছেলে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে কৃষক রাজু আহমেদ তার বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে সেচ দিতে যান। এসময় বৈদ্যুতিক পাম্প চালু করতে সুইচ দিতে গিয়ে আগে থেকেই সুইচটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকা সুইচে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। 


    ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সুমন তালুকদার  বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

    মে দিবস উপলক্ষে হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    আজ আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 


    বুধবার (০১ মে) সকালে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।


    বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রহমান লিটন জানান, আজ আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে ছুটি থাকায় দিবসটি উদযাপনে দুই দেশের পরিবহণ শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়িরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। 


    এ কারণে আজ বুধবার সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০২ মে) থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে জানান তিনি।


    এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, মে দিবস উপলক্ষে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মতো আজও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা চলাচল করছেন।


    প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

     এআই 

    কুড়িগ্রামে শিশুকে হত্যা করলো চাচি

    কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ‘চাচির বঁটির কোপে’ দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচিকে আটক করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    নিহত শিশুর নাম দিশা। সে ওই গ্রামের অটোরিকশা শ্রমিক দুলালের মেয়ে। আটক চাচির নাম কামনা বেগম (৩২)। তিনি দুলালের বড় ভাই সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    নিহত শিশুর মায়ের বরাত দিয়ে তার আরেক চাচা ফখরুল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একমাত্র মেয়ে দিশাকে নিয়ে মা শাবনুর নদীকে কাপড় কাচতে যান। দিশাকে ফখরুলের স্ত্রীর কাছে দিতে বলে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা কামনা বেগম দিশাকে কোলে নেন। শাবনুর বাড়িতে ফিরে দিশাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় কামনার ছেলে সিদ্দিক (১৫) তাদের ঘরে গিয়ে দিশাকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কামনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    ফখরুল বলেন, ‘কামনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। বঁটি দিয়ে কুপিয়ে দিশার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছেন। সবার সামনে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। ’

    ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওহিদুন্নবী ও সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে।

    হত্যার কারণ কী জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘পরিবার ও স্থানীয়রা বলেছেন যে ওই নারী মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

    এফএস

    কৃষকের লাউ গাছের এক ডগায় ১৮ লাউ

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক চাষির লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ টি লাউ ধরায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ কদমেরতল এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেনের রান্না ঘরের চালে লাগানো একটি লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ টি লাউ ধরেছে। একটি ডগায় এক সঙ্গে ১৮ টি লাউ দেখার জন্য প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে কৃষক ইসমাইল হোসেনর বাড়ীতে। 

    কৃষক ইসমাইল হোসেন জানান,সাত থেকে আট মাস আগে বাজার থেকে একটি লাউ গাছের চারা কিনে আনেন তিনি। তারপর একটি বস্তার মধ্যে জৈব সার ও মাটি ভরে লাউয়ের চারাটি সেখানে রোপন করেন। 

    কিছুদিন পর চারা গাছটি বেড়ে উঠলে রান্না ঘরের চালে লাউয়ের ডগা উঠিয়ে দেন তিনি। এক পর্যায়ে লাউ গাছটি গোটা চালে ছড়িয়ে যায় এবং এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ টি লাউ ওই গাছ থেকে ছিড়ে তারা রান্না করে খান। কিন্তু গত ১৫ দিন আগে গাছটির গোড়ার দিকের একটি ডগায় এক সাথে অনেক গুলো লাউয়ের জালি দেখতে পান তিনি। পরে গুনে দেখেন সেখানে একসাথে ১৮ টি জালি লাউ রয়েছে। লাউয়ের জালি গুলো বর্তমানে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে।  

    তিনি আরও বলেন, এক ডগায় এক সাথে ১৮টি লাউ ধরার খবর শুনে প্রতিদিনই আশপাশের অনেকেই আসছেন লাউগুলো দেখতে। 

    লাউ দেখতে আসা কবির মামুদ গ্রামের মিথুন মিয়া ও ফজলুল হক জানান, লাউ গাছের একটি ডগায় একসাথে এতগুলো লাউ কোনদিনও দেখিনি। আজ লাউ গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে। একই এলাকার ফিরোজ ও একরামুল হক জানান, জীবনের এই প্রথম এক সাথে একটি ডগায় ১৮ টি লাউ ধরা দেখলাম। সব আল্লাহের কৃপায় সব হয়। 

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, কৃষক ইসমাইল হোসেনের লাউ গাছের একটি ডগায় এক সাথে ১৮ টি লাউ ধরার খবরটি শুনেছি এবং ছবিও দেখেছি। এটা জেনেটিক সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না, তবে এটা কৃষকের জন্য খবই ভাল। আমি আজকালের মধ্যে সেখানে যাব এবং এটা নিয়ে আমরা কাজ করবো।

    এমআর

    বিরামপুরে কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ

    বিরামপুর উপজেলার কৃষকদের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে আউশ ধানের বীজ, পাটবীজ ও পেঁয়াজ বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।


    উপজেলা কৃষি চত্বরে সার-বীজ বিতরণের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। 


    এসময় তার সাথে ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভার:) কৃষিবীদ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মণ্ডল, মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার আলী, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন প্রমূখ। 


    ৬০০ কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল আউশ বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি, ১২০ জন কৃষকরে মাঝে  ১কেজি করে পাট বীজ এবং ৪০জন কৃষকের মাঝে  কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি এমওপি ও ২০ কেজি করে ডিএপি বিতরণ করা হয়েছে।

    এআই

    বিরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত

    দিনাজপুরের বিরামপুর রেলষ্টেশনে ট্রেনের বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়েছে। 


    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিরামপুর রেলষ্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার হাবিবপুর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র এবং হাবিবপুর গ্রামের মেহেদুল ইসলামের ছেলে।  


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্ধুদের সাথে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বকুল চিলাহাটি এক্স্রপ্রেস ট্রেনে বিরামপুর স্টেশনে ওঠে। ঘটনাক্রমে তার এক বন্ধুর ব্যাগ ট্রেন থেকে নিচে পড়ে গেলে বকুল তা তুলতে যায়। সে সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করাকালে বকুল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়। তাকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস তাকে মৃত: ঘোষণা করেন।



    বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে এবং পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এআই 

    শ্রমিক-মালিক হাতে হাত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো: খাদ্যমন্ত্রী

    খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শ্রমিক-মালিক হাতে হাত রেখে একসাথে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। শ্রমিক-মালিক এক না হলে বা শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি না পেলে তারা কাজ করতে পারে না। আমাদের শ্রমিক যেনো কোন ভাবে শোষিত না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে কোন শ্রমিক আর শোষিত হতে দিতে চাইনা।


    বুধবার (০১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।


    বঙ্গবন্ধুর উদ্বৃত্তি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত। শোষক এবং শোষিত। তিনি ছিলেন শোষিতের পক্ষে। অর্থ্যাৎ শ্রমিকের পক্ষে বা খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে। দেশে জমি ও মানুষ আছে। এ দেশে শ্রমিক, কৃষক ও মজুর আছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে ইনশাল্লাহ।


    এসময় জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সভাপতি ডি.এম আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন সহ অন্যরা।


    পরে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সহ শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।

    এআই 

    নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

    নাটোরের গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুঞ্জুর ইসলাম মঞ্জুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।


    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালপুর উপজেলার গোপালপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪৫) গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের পাশের বাহাদিপু এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে।


    জানা গেছে, রাতে স্টেশনের একটি কনফেকশনারির দোকানে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বসে ছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজনের একটি দল মোটরসাইকেলে এসে স্টেশনে নামে। পরে তারা হেঁটে এসে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর মাথায় ও বুকে দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


    লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, মঞ্জু গোপালপুর বাজারে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এসে মুঞ্জুরের মাথায় ও পেটে গুলি করেন। দুর্বৃত্তরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।


    অপরদিকে রাত ১২টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    এআই 

    নাটোরে ইয়াবাসহ কৃষি কর্মকর্তা আটক

    নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ২০ পিস ইয়াবাসহ কাউসার আহমেদ (২৮) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। 

    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    আটক কাউসার আহমেদ পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার হাবিবপুর এলাকার হোসেন আলীর ছেলে এবং বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি দপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। অপরজন একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে ভ্যানচালক মাসুদ আলী।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশ কাউসার আহমেদের ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।

    বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

    এমআর

    জয়পুরহাটে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থকের বিরুদ্ধে। তবে দুলাল মিয়া সরদার এবং অভিযুক্ত সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

    রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

    ঘটনার পর পর মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। এমনকি "মশিউরের গালে গালে, জুতা মার তালে তালে" স্লোগানও দিচ্ছেন তারা।

    এ নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক মেহেদী হাসান রিটার্নিং অফিসার ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। 

    অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পলাশের মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারণা অফিস স্থাপন করা হয়। সেখানে ঘটনার দিন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম দলীয় রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে ১০/১২ জনের দলবল নিয়ে সেই অফিসে চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। 

    তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার এবং মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম।

    তাদের অভিযোগ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ষড়যন্ত্র করে নিজেই নিজের অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

    অভিযুক্ত মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো। মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা সেখানে টাঙানো আমাদের দোয়াত কলম প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে। পরে আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওসি স্যারকে জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে তারা ভয় পেয়ে নিজেরাই নিজেদের অফিসে ভাংচুর করে আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। যে অভিযোগ করেছে সেই মেহেদী অবসর চৌধুরির লোক। সে অবসরের ভোট করেছে। এখন গা বাঁচাতে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে চৌমুহনী বাজারে নিয়ে গিয়ে মারবে বলেও হুমকি দিয়েছে।

    দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ওরাই আমাদের পোস্টার ছিঁড়েছে তবে আমরা কোন অভিযোগ করিনি। পরে ওরা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাংচুর করেছে। এসব নোংরামু করে কি হবে। এসব ভাল কাজ নয়।

    মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, দুলার মিয়া সরদারের সমর্থক মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম তাঁর দলবল নিয়ে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    তারা নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করছে। তবে জনগণ তাদের এসবে ভয় পায়না।

    ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ রিটানিং কর্মকর্তার মাধ্যমে পেয়েছি। অভিযোগে বর্নিত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

    পিএম

    নওগাঁয় ৭ হাজার কৃষক পেল কৃষি প্রণোদনা

    নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।

    সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজন করে।

    এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

    এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।

    এমআর

    মৌলভীবাজারে মহান মে দিবস পালিত

    ''শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার ও শ্রম অধিদপ্তর এর আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে।


     বুধবার (০১ মে) জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে মহান মে দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


    জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড.উর্মি বিনতে সালাম।


    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো: জিল্লুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।


    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান (পিপিএম-বিপিএমবার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মোঃ আব্দুস সালাম চৌধুরি,সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাসরিন চৌধুরি ও জেলা আওয়ামীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল।


    এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর আসাদ হোসেন মক্কু, জেলা ট্রাক,লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আজাদুর রহমান অদুদ,মৌলভীবাজার জেলা বাস, মিনিবাস,মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ছালেহ আহাম্মদ, জেলা অটো টেম্পু, অটোরিকশা মিশুক, সিএনজি সড়ক পরিবহনের সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান জেলা অটো মোবাইল ওয়াকশপ ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রব প্রমূখ।


    স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রমঅধিদপ্তর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম।


    প্রতি বছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যাপন দিবস। ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন।


    প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়।

    এআই 

    প্রচণ্ড গরমে বিপাকে শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকরা

    চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দেশের অন্য অঞ্চলের মতো শ্রীমঙ্গলেও সাধারণ জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকরা। বিশেষ করে উপজেলার চা শ্রমিকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।



    বৈশাখের তীব্র খরতাপে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কয়েকটি চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রচণ্ড গরমে বাগানে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকদের কেউ কেউ হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি ও পেটের পীড়ায়ও ভুগছেন অনেক শ্রমিক।


    উপজেলার শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগান ও দেওছড়া চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও উঁচু টিলার ওপর পাতা তুলছেন বাগানের চা শ্রমিকরা। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পালাক্রমে দিনভর কাজ করতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের।


    কয়েকজন চা শ্রমিক জানান, তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করে তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা, দুপুর ১২টা থেকে ২টা ও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন শিফটে বাগানে কাজ চলে। রোদ ও গরমের কারণে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় তাদের প্রতিদিনকার মজুরি কমে যাচ্ছে।


    চা শ্রমিক বাসন্তী বাউরী জানান, সারাদিনে যেখানে ৩০ থেকে ৪০ কেজি পাতা তোলার কথা, সেখানে মাত্র ৮ থেকে ১০ কেজি পাতা তুলতে পারছেন তিনি। ফলে দৈনিক বাধ্যতামূলকভাবে যে পরিমাণ পাতা তুলতে হয়, সেই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হচ্ছে না।


    শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগানের চা শ্রমিক অলকা বালা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও বাগানের হাসপাতালে ওষুধ নেই। এ অবস্থায় চা শ্রমিকদের বাগানের ভেতরে কাজ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।


    শ্রীমঙ্গল কয়েকটি চা বাগানের ম্যানেজার আলাপকালে জানিয়েছেন, তাদের বাগানে শ্রমিকদের জন্য শতভাগ ওষুধ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া গরমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ৩০ এপ্রিল মৌলভীবাজারের শ্রীঙ্গমলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত এক সপ্তাহের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আরও কয়েকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অথবা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মে মাসের প্রথম থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।


    মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) প্রণয় কান্তি দাস জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে এবার কিছু ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং তারা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে উপজেলার সর্বত্র লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

    এআই 

    শায়েস্তাগঞ্জে তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

    হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ২০২১ সালে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কলেজছাত্র তানভীর হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেট।


    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের মো. উজ্জ্বল মিয়া, নুরপুর গ্রামের মো. জাহিদ মিয়া ও রোমান মোহাম্মদ শান্ত। 


    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।


    তিনি জানান, মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং তাদের তিনজনের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার আরেক আসামি মো. লিমন মিয়াকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।


    তথ্য মতে, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।


    পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামি উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল। ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত।


    পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

    এআই 

    নবীগঞ্জে বসতঘরে আগুন, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

    হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ১টি বসত ঘর পুড়ে গেছে। 

    মঙ্গলবার (৩০শে এপ্রিল) সকাল ১১টায় সদর  ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামের বারইকান্দি উত্তর পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ছুরুক মিয়ার  ১টি বসত ঘরসহ নগদ টাকা স্বর্ণ অলংকার পুড়ে যায়। 

    আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই আগুনে ১টি বসত ঘরসহ ঘরে থাকা সব মালামাল জ্বলে নষ্ট হয়ে যায়। 

    ক্ষতিগস্ত ছুরুক মিয়া জানান, আগুনের শব্দ শুনে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় কিন্তু ততক্ষণে ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। ঘর থেকে আমরা কেউ কোন জিনিসপত্র বের করতে পারিনি এখন সবকিছু হারিয়ে আমার পরিবারের সকল নিঃশ্ব হয়ে গেছি। 

    ক্ষতিগ্রস্ত ছুরুক মিয়া আরও জানান, আমরা  সকল ভাইয়ের পরিবারের সদস্য মিলে একসাথে তাকি আমাদের অনেক বড় ঘর আমাদের বসত ঘরে আলমারিতে নগদ ১০ লক্ষ টাকাসহ স্বর্ণ অলংকার সহ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

    বিলাল আহমেদ নামে স্থানীয় একজন জানান,তাদের বসত ঘর অনেক বড় এবং ঘরসহ সকল আসবাব জিনিসপত্র সহ সব আগুনে পুড়ে আনুমানিক ৩০থেকে ৪০লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে।

    নবীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দিলে তারা জানান, সকাল ১১ টায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তার আগেই তাদের ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে যায়। ধরণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হবে।

    এমআর

    বাহুবলে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২

    হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তগলীতে মাছ বোঝাই পিকআপ ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৬ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহতরা হলেন- পিকআপ চালক চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৬) ও হেলপার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং (পূর্ব নোয়াগাও) গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে রিপন মিয়া (২৪)।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে সুতাং বাজার থেকে মাছ বোঝাই পিকআপটি (ঢাকা মেট্রো ন ১৯-২৩২১) বাহুবল বাজারে কিছু মাছ দিয়ে শ্রীমঙ্গল হয়ে জুড়ী যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী নামক স্থানে পৌঁছে। সিলেটগামী সিমেন্ট ট্রাক (ঢাকা মেট্রো শ ১৩-০৫৭৩) তগলী নামক স্থানে পৌঁছলে উভয় গাড়ীর সংঘর্ষে পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

    এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালকসহ দুইজন মারা যান।খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি দুর্ঘটনার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    এমআর

    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    হংকংয়ে এক রাতে ১০ হাজার বার বজ্রপাত
    এক রাতেই হংকংয়ে প্রায় ১০ হাজার বার বজ্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আবহাওয়া দপ্তর জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতে এক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৯১৪টি বজ্রপাত রেকর্ড করেছে সংস্থাটি। বুধবার সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে বজ্রপাতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৪৩৭টিতে। এ বজ্রপাতের অধিকাংশই হংকংয়ের নিউ টেরিটরি পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বজ্র ঝড়ে বাঁশের তৈরি একটি ক্যান্টোনিজ অপেরা থিয়েটারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, (আজ) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এফএস
    ফিলিস্তি’নিদের সমর্থনে মালয়েশিয়ায় কেএফসি বয়কট, শতাধিক আউটলেট বন্ধ
    মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে কেএফসির ১০০টিরও বেশি আউটলেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনের পক্ষে বয়কটের জেরে বিশ্বজুড়ে মার্কিন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।কেএফসি ছাড়াও, স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গাজায় চলমান সহিংসতার মধ্যে ইসরাইলকে সমর্থনের কারণে তীব্র বয়কটের মুখে পড়েছে। মালয়েশিয়ার কেএফসি রেস্টুরেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, টানা কয়েক মাস খুলে রাখার চেষ্টার পর দেশব্যাপী কেএফসির ১০০টিরও বেশি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।   একটি সূত্র অনুসারে, ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কেএফসির ১০৮টি শাখা সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং দেশটির কেলানতান প্রায় ৮০ শতাংশ শাখা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে জোহরে ১৫টি শাখা (সাময়িকভাবে বন্ধ), কেদাহ (১১), তেরেঙ্গানু (১০), পাহাং (১০), পেরাক (৯), নেগেরি সেম্বিলান (৬), পেরলিস (২), মেলাকা (২), পেনাং (৫), কুয়ালালামপুর (৩), সাবাহ (১) এবং সারাওয়াকে ২টি শাখার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জানা গেছে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই এবং কম্বোডিয়াতে ৮৫০টির বেশি কেএফসি চেইন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে কিউএসআর ব্র্যান্ডস। সেই সাথে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ৫০০টিরও বেশি পিৎজা হাট রেস্টুরেন্ট চেইন পরিচালনা করে আসছে তারা।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে কিউএসআর ব্র্যান্ডস জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার কমিউনিটিতে ইতিবাচক অবদান রাখা, কেএফসির প্রতি ভালোবাসা ধরে রাখা এবং কর্মীদের সুরক্ষা দেয়া প্রতিষ্ঠানটির অগ্রাধিকার।  মালয়েশিয়ার কেএফসি রেস্টুরেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, দেশব্যাপী কেএফসির ১০০টিরও বেশি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ানদের সেবা দিয়ে আসা সংস্থা হিসেবে, গ্রাহকদের মানসম্পন্ন পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।  পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার টিম সদস্যের (৮৫ শতাংশ মুসলিম) চাকরির সুরক্ষার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে কিউএসআর ব্র্যান্ডস।  এদিকে কেএফসি ছাড়াও, স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গাজায় চলমান সহিংসতার মধ্যে ইসরাইলকে সমর্থনের কারণে তীব্র বয়কটের মুখে পড়েছে।এমএইচ
    নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হচ্ছে!
     ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর পাশাপাশি ইসরাইলের শীর্ষ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি দাবি করেছে, নেতানিয়াহুর পাশাপাশি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হবে। তবে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা থামাতে কূটনেতিক চ্যানেলে চেষ্টা চালাচ্ছে তেলআবিব। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, যেসব সামরিক কর্মকর্তা আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে পড়তে পারেন তার মধ্যে সেনাপ্রধান হেরজি-হালেভি রয়েছেন। আইসিসি এই খবরকে অস্বীকার করেনি, আবার নিশ্চিতও করেন। সংস্থাটি এনবিসি টেলিভিশনকে জানিয়েছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি তদন্ত করছে।ইসরায়েল ২০১৪ সালে গাজা এবং পশ্চিমতীরে যুদ্ধের নামে যে হত্যাযজ্ঞ ও অপরাধ চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ২০২১ সাল থেকে তদন্ত চালাচ্ছে আইসিসি। এছাড়া, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় যে বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনের মতো ইহুদিবাদী ইসরায়েলও আইসিসি’র সদস্য নয়। সেক্ষেত্রে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য হেগে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।এমএইচ
    ফিলিস্তনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ছাত্রত্ব স্থগিত করলো কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি
     যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ছাত্রত্ব স্থগিত করা শুরু করেছে। গতকাল সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন দমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্কে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে অবস্থান নিয়েছে, সেই অবস্থান তুলে নিতে অস্বীকার করার পর এই পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোশ শফিক নিজেই এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা তাঁবু গেঁড়ে যে অবস্থান নিয়েছে, তা তুলে নিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাডেমিক নেতৃত্বের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে বলে যে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার মধ্যে অবস্থান ছেড়ে উঠে যেতে হবে এবং এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে যে, তাঁরা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা মেনে চলবে। অন্যথা হলে, তাদের ছাত্রত্ব স্থগিত করা হবে এবং সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। তবে সোমবার দুপুরের সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সরে না যাওয়ায় কঠোর পথেই হাঁটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন শ্যাং সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব স্থগিত করা শুরু করেছি।’ এর আগে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলেছিলেন, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ইসরায়েলে যে অর্থায়ন করে, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। যদিও এটি বিক্ষোভকারীদের একটি মূল দাবি। তবে এর বদলে শফিক প্রস্তাব দেন গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ করার এবং কলম্বিয়ার সরাসরি বিনিয়োগের হোল্ডিংগুলিকে আরও স্বচ্ছ করার। যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে পিছু হটবে না শিক্ষার্থীরাযুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে পিছু হটবে না শিক্ষার্থীরাতবে বিক্ষোভকারীরা তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যানহাটান ক্যাম্পাসে তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন—ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাধারণ ক্ষমা।এমএইচ
    তীব্র দাবদাহে পুড়ছে এশিয়ার যেসব দেশ
    তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। মিয়ানমারে গত রোববার (২৮ এপ্রিল) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তীব্র দাবদাহে এসব দেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশে দেশে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর। ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ৩৮ ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, যা ১৯১৫ সালের পর রেকর্ড। এ অবস্থায় দেশটিতে দুদিনের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কম্বোডিয়ার সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গরমে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে, ভিয়েতনামে তীব্র দাবদাহের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।   দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তীব্র দাবদাহ চলছে। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। প্রতিবেশি মিয়ানমারে রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলিয়াস, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি করেছে সতর্কতা।  বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের তাপমাত্রার  জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবকে দায়ী করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, দাবদাহ দীর্ঘস্থায়ী, তীব্র ও বারবার হতে পারে।এমএইচ
    ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
    রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। খবর আল আরাবিয়া।বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন বরেল। সম্মেলনের অবসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে ‘সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণা’র শামিল।
    ৬৫০ ফুট গভীর খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, নিহত ২৫
    পেরুতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে গেলে এই ঘটনা ঘটে। রোববার মধ্যরাতে ঘটা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর এএফপির।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর ২৫ জন মারা গেছেন এবং আরও এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে বলেছেন, গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে গর্তযুক্ত ময়লা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে এবং বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে এই তথ্য হালনাগাদ করে ২৫ জন বলে জানান হয়।পৌরসভার কর্মকর্তা জেইম হেরেরা বলেন, ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি একটি নদীর ধারে পড়ে যায় এবং আরোহীদের কয়েকজন পানিতে ভেসে গেছে।উদ্ধারকর্মীরা এবং দমকলকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পর সেলেনডিন পৌরসভা ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে। বাসটি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।এমআর
    যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত
    যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও পাঁচজন।স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ক্যারোলিনার শার্লট শহরে বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক ব্যক্তিকে আটক করতে গিয়েই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল।  একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একটি ব্যারিকেডেড বাড়ির সামনের উঠানে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোলাগুলি ও বন্দুক হামলার এই ঘটনা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অফিসাররা সামনের উঠানে একজন আততায়ীর দিকে গুলি চালায়, তারপর বাড়ির ভেতরে থেকে তাদের ওপর আরও গুলি চালানো হয়।সোমবার শহরের পূর্বের একটি আবাসিক এলাকায় হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পরও গোলাগুলি চলছিল। পরে গালওয়ে ড্রাইভে পুলিশ বাড়িতে হামলা চালালে ঘটনাটি শেষ হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে বাড়ির ভেতরে থাকা আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বলেছেন, নিহত দুই কর্মকর্তা অঙ্গরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক সংশোধন বিভাগের সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আজকের নৃশংস হামলায় নিহত অফিসারদের পরিবার এবং সহকর্মীদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।’পুলিশ এখনও এই ঘটনায় হতাহত কোনো কর্মকর্তার নাম বা জড়িত সন্দেহভাজনদের নাম প্রকাশ করেনি। অভিযান ও অবরোধের সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি স্কুল লকডাউনে রাখা হয়েছিল। আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল এবং অ্যাম্বুলেন্স আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে কাছাকাছি রাস্তাগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।প্রত্যক্ষদর্শী টাইলার উইলসন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে কাজ করছিলেন। এসময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পুলিশকে চিৎকার করতে শোনেন।তিনি বলেন, ‘এর পরে, যা হয়েছে তা ছিল শুধুই বিশৃঙ্খলা। দুইপাশ থেকেই গোলাগুলি হচ্ছিল। আমাদের এখানে সোয়াত ছিল, এবং ইউএস মার্শালরা আমাদের বেডরুমে স্নাইপার বসিয়েছিল। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সরাসরি গোলাগুলি হয়েছে।’শার্লট শহরের মেয়র ভি লাইলস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকে শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ অফিসার এবং ইউএস মার্শালদের ওপর গুলির ঘটনায় তিনি গভীরভাবে দুঃখিত।’পিএম
    মালিতে রুটি-দুধের চেয়ে দাম বেশি বরফের
    ব্যারোমিটারের পারদ ছুঁয়েছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। তীব্র দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কাজ করছে না ফ্রিজও। তাই রেকর্ড ভাঙা গরমে দুধ-রুটির চেয়ে বেশি দামে বরফ বিক্রি হচ্ছে আফ্রিকার দেশ মালির অনেক অঞ্চলে।রাজধানী বামাকোতে ১৫ বছরের কিশোরী ফাতুমা ইয়াত্তারা বিবিসিকে বলে, ‘এখন খুব গরম, তাই বরফ কিনতে বেরিয়েছি। কিছু জায়গায় ছোট এক ব্যাগ বরফের দাম ১০০ সিএফএ ফ্রাংক। কখনো আবার ৩০০ থেকে ৫০০ দিয়েও কিনতে হয়। দাম সত্যিই অনেক বেশি। সূত্র : বিবিসিতবে বরফের এই আগুন দাম হলেও পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে ২৫০ সিএফএ ফ্রাংকের বিনিময়েই ভালো মানের রুটি পাওয়া যায়।মালিতে বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে জীবনসংগ্রাম যেন আরো বড় হয়ে দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা নানা  কোনাত ট্রাওরের। আগে যেভাবে সপ্তাহে দু-এক দিন রান্না করলেই চলত, সেখানে এখন এই হাঁসফাঁস গরমের মধ্যে প্রতিদিন তাঁকে হাঁড়ি ঠেলতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রায়ই আমাদের সারা দিনই বিদ্যুত্হীন কাটাতে হয়। তাই খাবার নষ্ট হয়ে যায়।স্থলবেষ্টিত দেশ মালিতে প্রায় এক বছর আগে বিদ্যুতের এই সমস্যা শুরু হয়। শত শত কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার পরও মালির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কম্পানি দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে এই গরমে পাখাও চলবে না। ফলে অনেকেই ঘরের বাইরে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।মার্চ মাসেই মালির তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। তখন তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু মালিই নয়, পাশের সেনেগাল, গিনি, বুরকিনা ফাসো, নাইজেরিয়া, নাইজার ও চাদও ভয়াবহ এই তাপপ্রবাহে আক্রান্ত। এই চরম তাপমাত্রার জন্য মানবঘটিত জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। এফএস
    মিয়ানমারে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
    মিয়ানমারে দেশটির সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল হিসেবে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি তাপপ্রবাহে পুড়ছে।দেশটির আবহাওয়া অফিসের বিবৃতি অনুসারে, মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ের চাউক শহরে রবিবার পারদ ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়।৫৬ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এপ্রিল মাসে মিয়ানমারের কোথাও দেখা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি। একই দিনে বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দ্বিতীয় শহর মান্দালেয় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। সূত্র : এএফপিমিয়ানমারের শুষ্ক কেন্দ্রীয় সমভূমিতে অবস্থিত চাউকের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখানে খুব গরম ছিল এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম। এ রকম হলে আমরা কিছুই করতে পারি না।’দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের শুষ্ক প্রাণকেন্দ্রে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড় থেকে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।বৈশ্বিক তাপমাত্রা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, এশিয়া বিশেষ করে দ্রুত গতিতে উষ্ণ হচ্ছে, এই অঞ্চলে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরো গুরুতর হয়ে উঠছে।বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছেম, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপপ্রবাহ দীর্ঘতর, ঘন ঘন ও তীব্রতর হচ্ছে।এফএস

    বিনোদন

    সব দেখুন
    চোখ মেলছেন নিবিড়, ছেলের মুখে বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ
    হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা যেন মুহূর্তেই সব হিসাব–নিকাশ পাল্টে দেয়। কানাডায় ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনায় ছেলে কুমার নিবিড় এতটাই মারাত্মকভাবে আহত হন, এর পর থেকে বাবা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত হন কুমার বিশ্বজিৎ। ১৪ মাস ধরেই এমন অবস্থা চলছে। সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার প্রহর গুনছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাবা কুমার বিশ্বজিৎ। আশায় বুক বেঁধেছেন বাবা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা নিবিড়কে এখন চেয়ারে বসানো যাচ্ছে। চোখ মেলে তাকিয়ে বাবা–মাকে দেখছেনও।আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেশের প্রথম সারির একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ।১৪ মাস ধরে কুমার বিশ্বজিৎ অবস্থান করছেন কানাডার টরন্টোয়। সেখানে সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর একমাত্র সন্তান কুমার নিবিড়। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা–মা দুজনেরই ঠিকানা সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সুরের বাইরে। ১৮ এপ্রিল সপ্তাহ তিনেকের জন্য ঢাকায় এসেছেন তিনি। গত বছরের নভেম্বরেও একবার এসেছিলেন।ছেলের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, ‘শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমি কানাডায় যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে রিহ্যাবে নেওয়া হবে।কুমার বিশ্বজিৎ বললেন,‘ রিহ্যাবে নেওয়ার পর ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি। এসব থেরাপি হাসপাতালে ওইভাবে হয় না। নিবিড়ের চিকিৎসা এখন আর হাসপাতালের নয়, তাই কানাডায় ফিরে রিহ্যাবে নেওয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে। রিহ্যাবের সময়টাও দীর্ঘ। তাই ওটা শুরুর আগে দেশের কিছু কাজ গুছিয়ে নিতে এলাম।কুমার বিশ্বজিৎ জানালেন, ‘নিবিড়ের মা অনেক কষ্ট করছে। সকালে হাসপাতালে আসা, এরপর রাতে আবার বাসায় যাওয়া—সব মিলিয়ে কঠিন সময় কাটছে। যদিওবা আমাদের আত্মীয়স্বজনও আছেন। তাঁরাও হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আসেন, নিবিড়ের দেখাশোনায় সময় দেন।কানাডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলে নিবিড়ের মুখে বাবা–মা ডাক শোনার জন্য তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তাঁর স্ত্রী নাঈমা সুলতানা। কবে নিবিড়ের কণ্ঠে বাবা–মা ডাক শোনা যাবে, তা এখই বলা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসাবিদ্যার সব ধরনের চেষ্টা চলছে। এখন কিছুটা উন্নতির দিকে শারীরিক অবস্থা। এ প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, ‘এত মাস তো হাসপাতালের বিছানায় শোয়া ছিল। এখন নিবিড়কে তুলে চেয়ারে বসানো যায়। ঘাড় ঘোরায় সে। হাত-পা ফ্লেক্সিবল হয়েছে আরকি। এত লম্বা সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে হাত–পা সব অসাড় হয়ে গিয়েছিল। মাস দুয়েক ধরে চেয়ারে তুলে বসানো হচ্ছে। সবকিছু আস্তে আস্তে হচ্ছে, খুবই ধীরে ধীরে। খাবার এখনো কৃত্রিম উপায়ে খাওয়ানো হচ্ছে।নিবিড় এখন চোখ মেলে তাকান। তাকিয়ে মা–বাবাকে দেখেন, জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ। প্রশ্ন ছিল নিবিড় কি তাঁর বাবা–মাকে চিনতে পারেন? ‘নিবিড়ের এক্সপ্রেশনে দেখে মনে হয়, বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো, ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, “বাবা আসছে, মা আসছে”, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, “আমাদের চিনতে পারো?” তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’ বললেন কুমার বিশ্বজিৎ।এফএস
    এ আর রহমানের স্টুডিওতে গান গেয়ে যা বললেন আসিফ
     অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গান রেকর্ডের সুযোগ পেয়েছেন বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের ‘কেএম’ স্টুডিওতে গান রেকর্ড করেছেন আসিফ। এ আর রহমানের স্টুডিওতে গান রেকর্ডিংয়ের বিষয়টিকে সৌভাগ্য হিসেবে দেখছেন এই গায়ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নিজের সেই অভিজ্ঞতার গল্প তুলে ধরেছেন আসিফ। যেখানে ভারত ও বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির পার্থক্য তুলে ধরেছেন এই তারকা।ফেসবুকে আসিফ লিখেছেন, ‘মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রহমান স্যারের কেএম স্টুডিওতে। কমপক্ষে পনেরো হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও। ভেতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কি চমৎকার পরিবেশ! যাঁরা ওনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন তাঁদের জন্য ছাদে শেড দেওয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। ওনার ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।’দেশের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আক্ষেপ ঝেড়ে আসিফ লিখেছেন, ‘এখানে (ভারতে) শিল্পী মিউজিশিয়ানদের পেশাগত নিরাপত্তার চমৎকার সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশ এসবের ধারেকাছেও নেই। রাষ্ট্রীয় কিছু উদ্যোগ থাকলেও চামচিকা আর উলু খেয়ে ফেলে সব।’আসিফ মনে করেন মিউজিক এবং মিউজিশিয়ানদের বাঁচাতে রাষ্ট্রের উদ্যোগ জরুরি। আসিফের কথায়, ‘সমিতি আর নির্বাচনী কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি। বয়সও বেড়েছে, হইচই করতে আর ভালোও লাগেনি। শৌখিন এবং মৌসুমি প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে। রাষ্ট্র, প্লিজ একটা কিছু করুন। মিউজিক এবং মিউজিশিয়ানদের বাঁচান।’পোস্টের প্রথমে আসিফ দেশের রমরমা অডিও ইন্ডাস্ট্রির অতীত মনে করেছেন। যখন দেশেও অনেক ভালো মানের স্টুডিও ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যাপ্তি বাড়ার কথা থাকলেও হয়েছে এর উল্টো।আসিফ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে কিংবা ছোট খুপরির মতো সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছে মিউজিশিয়ানরা। যেখানে ইন্ডাস্ট্রি আরও বিশাল হওয়ার কথা সেখানে সংকুচিত হয়ে এসেছে আমাদের পৃথিবী।’এমএইচ
    এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
    আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এর আগে বগুড়া ও ঢাকার আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও এবার ঝিনাইদহ-১ আসনে লড়বেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা থেকে মুঠোফোনে সময়ের কণ্ঠস্বরকে তিনি এ কথা জানান।এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, 'আমার এক ভাই কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে এসেছি। আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে স্থানীয়রা আমাকে চাচ্ছে। তাঁরা বলেছে, দুই একদিনের মধ্যেই মনোনয়নপত্র তুলবেন। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।'তবে শেষপর্যন্ত মাঠে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে ভোট হবে ৫ জুন। এ উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে ও ভোট হবে ৫ জুন। 
    শাকিব খানের 'তুফান' সিনেমা নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য
    ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হয় ‘তুফান’ চলচ্চিত্রের। সেই থেকে হৈচৈ-এর শুরু ঢালিউড সুপার স্টার শাকিব খান অভিনীত এই নতুন মুভি নিয়ে। ২৮ মার্চ প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দর্শক ও গণমাধ্যমজুড়ে জল্পনা-কল্পনা যেন আরও বেড়ে গেছে। শাকিব ভক্ত ছাড়াও ছবিটি এবার বাংলা মুভিপ্রেমিদের আরও বড় অংশকে আকৃষ্ট করছে। কেননা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে অংশ নিচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সব তারকারা। চলুন, অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র ‘তুফান’ নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।‘তুফান’ এর পর্দার পেছনের শিল্পীরাছবিটির নির্দেশনায় রয়েছেন এ সময়ের ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি। প্রথম ছবি ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) দিয়ে বাজিমাত করার পর থেকে তিনি একের পর এক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন। ‘পরান’ (২০২২), ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ (২০২১) এবং ‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩) এ অনবদ্য নির্মাণশৈলী রাফিকে এনে দিয়েছে স্বতন্ত্র ভক্তশ্রেণী।বাংলাদেশের আলফা-আই স্টুডিওস ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এবং ভারতের এসভিএফ- এই ৩টি প্রোডাকশন হাউজ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ছবিটি। স্বভাবতই নির্মাণ খরচের প্রতিযোগিতায় সমসাময়িক সব সিনেমাকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে ‘তুফান’।‘তুফান’ চলচ্চিত্রের গল্পকাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা এখনও গোপনীয়তা বজায় রেখে চলেছেন। এরই মধ্যে ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ভক্তদের মাঝে ছবি নিয়ে কৌতুহলটা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।সোফায় হেলান দেওয়া শাকিব খানের বৈমানিক সানগ্লাসের সঙ্গে কালো জ্যাকেট, লম্বা ও ঢেউ খেলানো চুল মারদাঙ্গা কাহিনীর আভাস দিচ্ছে।বুকের কাছে বোতাম খোলা শার্টের মাঝে গলার কালো লকেট, হাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠায় কালো আংটি। এর সঙ্গে পায়ের কাছে কালো বন্দুকটি হলিউডের গডফাদার মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়। সর্বপরি, দর্শক এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় দেখতে চলেছে গ্যাংস্টার শাকিবকে। সেই সূত্রে বলা যেতে পারে যে, আদ্যোপান্ত হাই-ভোল্টেজ অ্যাকশন ঘরানার ছবি হতে যাচ্ছে ‘তুফান’।‘তুফান’ এ দুই বাংলার সেরা তারকারাসিনেমাটির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয়টি হলো এর কাস্টিং। বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সব তারকাদের বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে এখানে। ফলে প্রত্যেক তারকার স্বতন্ত্র ভক্তদের সংযোজনে দুই বাংলা জুড়ে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে ‘তুফান’ এর জন্য।শাকিব খানের বিপরীতে প্রধান সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন কলকাতার তারকা মিমি চক্রবর্তী।এটি কেবল মিমি-শাকিব জুটির প্রথম ছবিই নয়, সেই সঙ্গে এটি মিমির অভিনয় ক্যারিয়ারেও প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালের ‘বাপি বাড়ি যা’ এবং ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন মিমি। এরপর থেকে বিভিন্ন আর্ট ফিল্মসহ অনেক ব্যবসায়িক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিগত বছরগুলোতে তার সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এসওএস কলকাতা’ (২০২০) এবং ‘বাজি’ (২০২১)।‘তুফান’-এ প্রধান সহশিল্পী হিসেবে আরও থাকছেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার তারকা মাসুমা রহমান নাবিলা। বড় পর্দায় আনাগোণাটা খুব একটা না থাকলেও ‘আয়নাবাজি’ (২০১৬)-এর মাধ্যমে দর্শকদের মনে এক বিশাল জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউড অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তকে। বিনোদন জগতে তার পদার্পণ বেশ আগে হলেও ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০১০), ‘নৌকাডুবি’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২) চলচ্চিত্রগুলো তাকে ব্যাপক সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। বিগত দশকে তার সেরা কাজগুলো ছিলো ২০১৪-এর ‘জাতিস্মর’, ২০১৫-এর ‘রাজকাহিনী’ ও ‘আরশিনগর’, ২০১৬-এর ‘জুলফিকার’।অতিথি চরিত্র হলেও ‘তুফান’-এর সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর যুক্ত হওয়াটা দারুণ চমক দিয়েছে মুভিপ্রেমীদের।চলতি বছরের ‘রুমি’ এবং ‘মনোগামী’ এর জনপ্রিয়তার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন সিনেমার খবরটি নেটিজেনদের মধ্যে রীতিমতো প্রত্যাশার ঝর বইয়ে দিয়েছে। বিশেষ চরিত্রটি কেমন হবে তা এখনও খোলাসা করা হয়নি। ফলে রায়হান রাফি ও চঞ্চল চৌধুরীর এই কাজ নিয়ে কৌতুহল বেড়েই চলেছে সিনেমাপ্রেমীদের।এখানেই শেষ নয়; ‘তুফান’ টিমের সঙ্গে আরও রয়েছেন ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী বর্ষিয়ান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তার এই সেরা কাজগুলো হচ্ছে ‘শঙ্খনাদ’ (২০০৪), ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ (২০১৬), ‘ফাগুন হাওয়ায়’ (২০১৯), ‘গহীন বালুচর’ (২০১৭) এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ (২০২০), এবং ‘নোনা জলের কাব্য’ (২০২১)। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহু সিনেমায় কাজ করলেও শাকিব খানের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছেন ফজলুর রহমান বাবু।এছাড়া রায়হান রাফির ২০২১ সালের সিনেমা ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’তেও তার কাজ ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়। যে কোনো চরিত্রে অবলীলায় মিশে যাওয়ার মতো এক অদ্ভূত স্বতঃস্ফূর্ততা রয়েছে এই শক্তিমান অভিনেতার মাঝে।‘তুফান’ সিনেমায় আরও দেখা যাবে শহীদুজ্জামান সেলিম, একে আজাদ সেতু, গাজী রাকায়েত এবং হাসনাত রিপনকে।কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘তুফান’সিনেমার শুটিং শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ পর্যন্ত ভারতের হায়দারাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৯০ দশকের গাড়ি, বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনায় সাজানো সেটটি দারুণ ভাবে নজর কেঁড়েছিল দর্শকদের।বর্তমানে কলকাতা শহরে দৃশ্য ধারণের কাজ চলছে, যেটি শুরু হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল থেকে। চলবে প্রায় এক মাস ধরে। পরিকল্পনা অনুসারে একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। বাকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যাবতীয় চমক নিয়ে ‘তুফান’ এর পর্দা উঠবে আগামী ঈদুল আজহায়।শেষাংশদুই বাংলার বড় বড় ৩টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে শাকিব খানের ‘তুফান’ মুভি বাংলাদেশি ছবির জন্য এক মাইলফলক হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) এর বদৌলতে রায়হান রাফির ভিন্ন ধারার নির্মাণশৈলী বাংলাদেশি ছবির নতুনত্বের ব্যাপারে অবহিত করবে গোটা বিশ্বকে।অন্যদিকে, শাকিব খানসহ মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা, ও ফজলুর রহমান বাবুর ভক্তরা সব মিলে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি করছে ‘তুফান’-এর জন্য। এই ধারাবাহিকতায় সর্বাঙ্গীনভাবে এই সিনেমার জন্য শৈল্পিক গুনগত মানের পাশাপাশি থাকছে ব্যবসায়িকভাবেও সফল হওয়ার অপার সম্ভাবনা।

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    আবারও ভরিতে কত কমলো সোনার দাম?
     সোনার দাম আবারও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।সংগঠনটি এবার ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৪২০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা।মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা ও ২৯ এপ্রিল ১১৫৫ টাকা কমানো হয়।তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ২০৬৫ টাকা।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯০ হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৫৬০ টাকায় বিক্রি করা হবে।এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।এমএইচ
    টানা ৫ দফা কমলো স্বর্ণের দাম
    ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ নিয়ে টানা ৫ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১২ টাকা। রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।   এর আগে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৪০২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা। এ নিয়ে গত ১১ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৬ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৫ সমন্বয়েই হ্রাস পেয়েছে স্বর্ণের দাম। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৮ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।এমএইচ
    বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
    বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সরকার।শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।ভারত সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য রপ্তানি বন্ধ ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ। তবে এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারত সরকার।ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়।যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এফএস
    আবারও কমলো সোনার দাম
     ফের সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এর আগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা এবং ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয়। তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সোনার দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ বিকেল পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা টাকায় বি‌ক্রি হয়।এমএইচ
    ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
     একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা। এমএইচ
    বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ, প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট
    বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ব্যাংকের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন সাংবাদিকরা।জানা গেছে, সাংবাদিকরা  বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধে প্রবেশ করতে পারলেও গত এক মাস ধরে তারা সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে অসন্তোষ জন্ম নেয়। ফলে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। তবে কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।'
    সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দিশা ইসলাম
    একটা সময় ফেসবুক ছিল শুধুই একটা যোগাযোগ মাধ্যম, যেখানে অনেক পুরনো বন্ধু খুঁজে পাওয়া যেত। দেশে ও দেশের বাইরের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হতো। কিছুটা বিনোদন, কিছুটা অলস সময় কাটানোর ক্ষেত্র ছিল ফেসবুক। কিন্তু বর্তমানে উদ্যোক্তাদের জন্য এই ফেসবুক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যেখানে নারীরা তাদের পণ্য কেনাবেচা থেকে শুরু করে নেটওয়ার্কিং, নানা বিষয়ে কর্মশালা ও ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ পর্যন্ত করতে পারছেন। এবং ফেসবুককে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বল্প পুঁজিতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন।তেমনই একজন দিশা ইসলাম। রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সরকারি ইডেন মহিলা কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেছেন তিনি। লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না করে ইচ্ছা ছিল নিজের প্রচেষ্টায় কিছু করবেন। আলাদা পরিচয় তৈরি করবেন। প্রথম দিকে তেমন একটা সাহস করে উঠতে পারেননি। চাকরির সুযোগ থাকলেও নিজেকে কার্যত 'বন্দি' করতে চাননি তিনি। ঘরে বসেই কিছু করার চিন্তা নিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাবেন মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করবেন। ২০১৭ সালে প্রাথমিকভাবে অল্প পুঁজি নিয়ে নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘দিশা কালেকশন (Disha Collection's)' নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলেন। শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের রুচিশীল শাড়ি ও থ্রি-পিস বিক্রি করতেন তিনি। ভোক্তাদের রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী দেশীয়, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান থেকে তিনি পণ্য এনে থাকেন। দাম ও মানের কারণে তিনি সাধারণের কাছে অল্প সময়ে ভালো অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ইতিমধ্যে উদীয়মান নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছেন দিশা। বর্তমানে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের গ্রীন স্মরণিকা শপিং মলের তৃতীয় তলায় একটি শপ নিয়েছেন তিনি। যেখান থেকে অনলাইন ব্যবসাও পরিচালনা করা হয়। দিশা ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমার কাছে মনে হয় একটা নারীর ঘরের বাইরে বের হয়ে কাজ করার জন্য পরিবারের সাপোর্টটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার শুরুটা অনেক সহজ না হলেও পরিবারের সহযোগিতাতেই আমি এগিয়ে চলার সাহস পেয়েছি। লেখাপড়া করে চাকরি করার ইচ্ছে থাকে অনেকের, সেই জায়গা থেকে ব্যবসায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হয়তো ভালো একটা চাকরি করতে পারতাম। কিন্তু অনেক সময় সিচুয়েশনের একটা ব্যাপার থাকে, যেটা কিনা আমাকে বিজনেস করতে বাধ্য করেছে। সেই বাধ্য করার পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে তাঁরমধ্যে অন্যতম বৃহত্তর জায়গা থেকে কাজ করার ইচ্ছা। তিনি বলেন, চাকরি করলে একটা ডেস্ক থাকবে, নির্দিষ্ট জব ডেসক্রিপশন থাকবে আর যখন আমি ব্যবসা করব তখন নিজের জব ডেসক্রিপশন যেমন পাবো, তেমনি অসংখ্য মানুষের জব ডেসক্রিপশন তৈরি করতে পারব। তো আমার কাছে মনে হয় এই জায়গাটা আরও বেশি উন্মুক্ত। আর মানুষ তো উন্মুক্ত জায়গায় যেতেই বেশি পছন্দ করে। তাই আমি আমার নিজের জন্য, দেশের জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য শেষপর্যন্ত ব্যবসাকে বেছে নিয়েছি। এই তরুণ নারী উদ্যোক্তা বলেন, ২০১৭ সালে ছোট করে অনলাইনে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আমি আমার ব্যবসা শুরু করেছিলাম। অনলাইনে আমি ভালো সাড়া পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে আমি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের স্বরণীকা শপিং মলের তৃতীয় তলায় একটি শপও নিয়েছি। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি মোটামুটি রিজেনেবল প্রাইজে ১০০ পারসেন্ট ভালো মানের প্রডাক্ট সেল করার, যাতে কম বেশি সবাই কিনতে পারে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দিশা ইসলাম বলেন, আমার কাছে মনে হয় একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই তাঁর মধ্যে ব্যক্তিত্ব থাকতে হবে। আমি উদ্যোক্তা হিসেবে স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশে অনেক লোক বেকার আছে, তাদের জন্য একটা জায়গা তৈরি করা। যেখানে মানুষের একটা মিনিমাম রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারি। এবং আমি তখনই খুব খুশি হবো, যখন দেখব আমার কোনো প্রতিষ্ঠানে অনেক লোক কাজ করে তাদের পরিবার-পরিজনকে চালাচ্ছে। এটা আমার জীবনের অনেক বড় একটা স্বপ্ন। নারীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখনকার নারীরা কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। অনেকেই ঘরে এবং ঘরের বাইরে পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি যেহেতু একজন নারী আমার কাছে যেটা মনে হয় প্রতিটা নারীরই নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিৎ। কারণ একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হলে পরিবার নানাভাবে উপকৃত হয় যেমন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন, পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত, পরিবারের চিকিৎসার খরচ জোগান এবং পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিরা ভরসার জায়গা খুঁজে পান। দিশা বলেন, যেসব নারীরা উদ্যোক্তা হতে চান তাঁরা অবশ্যই তাঁর পছন্দ অনুযায়ী কাজ করে উদ্যোক্তা হতে পারেন। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বলবো আমাদের জীবনে তখনই পরিপূর্ণতা আসে যখন আমরা দেশের বৃহত্তর জায়গা থেকে অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউট করতে পারি। নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে সমাজ ও দেশের মানুষের জন্য এই কিছু করতে পারাটা একটা নারীর জন্য অনেক সম্মানজনক। শুধু নারী নয়, এটা তাঁর পরিবারের জন্যও সম্মানজনক।
    আবারও ভরিতে কত কমলো সোনার দাম?
     সোনার দাম আবারও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।সংগঠনটি এবার ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৪২০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা।মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা ও ২৯ এপ্রিল ১১৫৫ টাকা কমানো হয়।তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ২০৬৫ টাকা।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯০ হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৫৬০ টাকায় বিক্রি করা হবে।এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।এমএইচ
    টানা ৫ দফা কমলো স্বর্ণের দাম
    ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ নিয়ে টানা ৫ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১২ টাকা। রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।   এর আগে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৪০২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা। এ নিয়ে গত ১১ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৬ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৫ সমন্বয়েই হ্রাস পেয়েছে স্বর্ণের দাম। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৮ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।এমএইচ
    বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
    বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সরকার।শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।ভারত সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য রপ্তানি বন্ধ ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ। তবে এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারত সরকার।ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়।যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এফএস
    আবারও কমলো সোনার দাম
     ফের সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এর আগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা এবং ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয়। তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সোনার দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ বিকেল পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা টাকায় বি‌ক্রি হয়।এমএইচ
    ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
     একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা। এমএইচ

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    এশিয়ার সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রাবি
    যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই)-এর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। মর্যাদাপূর্ণ এ র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নাম লেখার গৌরব অর্জন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের তালিকায় রাবিসহ দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাংকিং করেছে প্রতিষ্ঠানটি।টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত বিগত সালগুলোর 'এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং'-এর  তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো এই র‌্যাংকিংয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে। র‌্যাংকিংয়ের তালিকায় ৪০১-৫০০ -এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে রাবি। তালিকা ঘেঁটে আরো জানা যায়, এযাবৎ যত এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালে প্রকাশিত এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশের ১৫টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিলেও নাম আসেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের।তার আগে, ২০২২ সালে দেশের মোট ৬টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসলেও তালিকাভুক্ত হয়নি প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এ শিক্ষালয়ের। এছাড়া ২০২১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত সব র‌্যাংকিং ঘেঁটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো এই র‌্যাংকিংয়ে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নাম উঠল এ বিদ্যাপীঠের।২০২২ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আমন্ত্রণে 'গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক' কনফারেন্সে অংশ নিতে ৪ দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। সেখানে টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর গবেষণা ও উন্নয়নবিষয়ক মহাব্যবস্থাপক রীথিন মালহোত্রা'র সাথে সাক্ষাত করেন তিনি। এসময় তাঁরা রাবির র‌্যাংকিং বৃদ্ধির মাধ্যমে কীভাবে একে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। ক্রমপর্যায়ে জাতীয় পর্যায়ে মানবৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাবির র‌্যাংকিং বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উভয় পক্ষ একমত হোন। বছর পেরোতেই তার সুফল পেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত সকল ব্যর্থতা কাটিয়ে নিজেদের নাম লিখিয়েছে সেরাদের তালিকায়। এর আগে, টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৪ -এ প্রথমবারের মতো নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়েও স্থান পেল এ বিদ্যাপীঠ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক মো. আজিজুর রহমান শামীম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো এই র‌্যাংকিংয়ে নিজের অবস্থান অর্জন করে নিয়েছে। এটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। আশা করি, পরবর্তীতে এই র‌্যাংকিংয়ে আমরা ডে বাই ডে উন্নতি করব, আরো ভালো অবস্থানে যাব। র‌্যাংকিংয়ে ভালো করতে যেসকল তথ্য লাগবে সেগুলো আমরা প্রতি বছরই হালনাগাদ করব। তিনি আরো বলেন, র‌্যাংকিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুবই মনোযোগী এবং উদ্যোগী এবং আন্তরিক। এজন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আন্তরিক আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সেই সকল গবেষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের গবেষণা এই র‌্যাংকিংয়ের জন্য ভালো একটি প্রভাব আছে।উল্লেখ্য, প্রকাশিত এ তালিকায় এশিয়ার সেরা ৩০১-৩৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরপর ৩৫১-৪০০ -এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ৪০১-৫০০ -এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ -এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।এমআর
    শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে বন্ধ কুবি, হল ছাড়তে চান না শিক্ষার্থীরা
    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের কারণে সিন্ডিকেট সভায় গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা দেয়। বন্ধ ঘোষণার কয়েক ঘন্টার পর ক্যাম্পাস জুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। আজ বুধবার  (০১ মে ) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ হাসান বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথায় যাবো না। আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো। আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চাই। নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহসীন জামিল বলেন, ঈদের পর পর ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমাদের ক্যাম্পাস কেনো বন্ধ হবে। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি। এখন হল বন্ধ হলে আমরা কিভাবে পড়াশোনা করবো। আমরা এ হল ছাড়বো না। সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,ভিসি- শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও  হল  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান বলেন, উপাচার্য নিজেই যখন সন্ত্রাসী তখন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দয়া মায়া থাকে না৷ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন তার বিরুদ্ধে গিয়েছে তখন তার নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না। তার প্রশাসনের সকল সহকর্মীরাই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তার পতন শুধুই সময়ের ব্যপার৷ তাই তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করেছেন।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে আমার কিছু করার নেই।এমআর
    রাজধানীর পল্লবীতে বাসচাপায় শিশুসহ নিহত ২
    রাজধানীর পল্লবীতে বাসচাপায় মোছা. খায়রুন বেগম (৩৬) নামে এক নারীসহ তার ভাতিজা মো. ইয়াসিন (৪) নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পূরবী সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খায়রুন বেগমের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। তিনি পল্লবী এলাকায় থাকতেন। পোশাক শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। আর শিশু মো. ইয়াসিন খায়রুন বেগমের ভাতিজা।এলাকাবাসী জানান, ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।পল্লবী থানার অপারেশন অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পারি পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় বসুমতি পরিবহন নামের একটি বাস তাদের দুই জনকে চাপা দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসের চালককে আটক করা হয়েছে, বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।এআই 
    সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠি
    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়েরের বরাত দিয়ে এ খবরটি নিশ্চিত করেন। এমএ খায়ের বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সম্প্রতি এই চিঠি পাঠিয়েছেন।চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের পাতা নং৩৩ এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরীখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।’ মহিবুল হাসান চৌধুরী চিঠিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর বিধায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও বাংলাদেশ: বাংলাদেশ বর্তমানে তার অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ বিশেষ ধাপ অতিক্রম করেছে। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যথাযথ সুফল পাওয়ার জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা। ভারত ও চীনসহ উন্নত বিশ্ব এই স্ট্রাটেজিই অনুসরণ করে সফল হয়েছে।’ শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর যাবত তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু, লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততোধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যার ফলস্বরূপ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অজস্র চাকরি প্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততোধিক। ফলে চাকরি প্রার্থীগণ বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে সাতাশ বছর পেয়েছে। উক্ত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ৩৯ মাসের ব্যাকডেট ধরে একটি বয়স ছাড় প্রদান করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাকডেট কার্যকর ছিল ১৩ মাস, বাকি ২৬ মাস তা অকার্যকর অবস্থায় ছিল। তাই স্থায়ীভাবে বয়স বৃদ্ধি অতীবও জরুরি।’বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে চিঠিতে বলা হয়, ‘বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুবসমাজকে মানবসম্পদ হিসেবে কাজে লাগাতে পারলে সেটি হবে যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কয়েক ধাপ অগ্রসর হওয়া যাবে।’ শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, ‘ভারতসহ বিশ্বের সব উন্নত রাষ্ট্র এই নীতি অনুসরণ করেই বেকারত্ব কমিয়েছে এবং মেধা রপ্তানি করে রেমিটেন্স বাড়িয়েছে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ করে রাখার কারণে দেশে দক্ষ জনবল, গবেষক গড়ে উঠছেনা এবং বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারছেনা। আমাদের উচিত সফল ও উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করা। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নাম্বার অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।’ চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুয়ায়ী সর্বনিম্ন ৩৫ বছর (বিজেএস, ডাক্তার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর), পুলিশের এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান; সরকারি নীতি অনুযায়ী গবেষণা ও বিবিধ বিশেষ দক্ষতামূলক ক্ষেত্রে উক্ত বয়সসীমা উন্মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল।’এআই 

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
    পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিন তাদের বিলুপ্তি ঘটবেই। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো কোনো সময় গণবিলুপ্তি ঘটেছে। যাকে 'মাস এক্সটিঙ্কশন' বলা হয়ে থাকে।  সহজভাবে বলতে গেলে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহাকাশের গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে বহু প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটালে তাকে 'মাস এক্সটিঙ্কশন' বা গণবিলুপ্তি বলে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত পাঁচবার এরকম বিপর্যয় ঘটেছে যা গ্রাস করেছিল গোটা প্রাণিকুলকে। এতে অধিকাংশ স্থলপ্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গণবিলুপ্তিটি ঘটেছিল ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে।  একটি গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ডাইনোসর প্রজাতি। পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়ানো এই প্রজাতির বিলুপ্তি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে বিভিন্ন দেশে। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওটাতেই শেষ নয়, পৃথিবী আরেকটি অর্থাৎ ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির সময় পার করছে। আর এর কারণ কোনো গ্রহাণু নয় বরং মানব সভ্যতা নিজেই। পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংসের মাধ্যমে মানুষ নিজেই বাসযোগ্য এ পৃথিবীকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছে। নতুন এক গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের পরিণাম হিসেবে পৃথিবীর পরবর্তী গণবিলুপ্তি ঘটবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে এই গণবিলুপ্তি দ্রুততর হবে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের একদল গবেষক গবেষণাটি চালিয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন মতে, একাধিক কম্পিউটার সিমুলেশন বলছে, পৃথিবী একটি গণবিলুপ্তির মুখোমুখি হবে যার ফলে সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কবে নাগাদ এই গণবিলুপ্তি শুরু হবে সে ব্যাপারে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবীতে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রতিবেদন বলছে, মানুষ যদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এখনই একেবারে বন্ধ করে দেয় তাহলেও উক্ত সময়ের মধ্যে সেটা ঘটবে। বিজ্ঞানীদের একটি অংশ বলছেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস তথা বনজঙ্গল উজাড় ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহারের মতো কিছু কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস বিশেষ করে কার্বন নির্গত হচ্ছে। যার ফলে পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ বা গরম হয়ে উঠছে। যা জলবায়ু পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। সূত্র: ডেইলি মিরর ও সিএনএন।   মানুষ যদি পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ না করে, পৃথিবীর এই উষ্ণায়ন বাড়তেই থাকবে। অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে বাড়বে। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের গবেষকরা বলছেন, আগামী ২৫ কোটি বছর সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে জীবিত যেকোন প্রাণীকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ১৫৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোকাবিলা করতে হবে। গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট যে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মানুষ ও অন্য প্রাণীদের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হবে না। ফলে এসব প্রাণী গণহারে মারা পড়বে। যার মধ্যদিয়ে শুরু হবে গণবিলুপ্তি। নতুন গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের স্কুল অব জিওগ্রাফিক্যাল সায়েন্সেস-এর সিনিয়র গবেষণা সহযোগী ড. আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থ। এই গবেষক বলেছেন, 'দূর ভবিষ্যতের দৃশ্যটা খুব অন্ধকার ও অনিশ্চিতই মনে হচ্ছে।’ ফার্নসওয়ার্থের মতে, কার্বনের মাত্রা এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ হতে পারে। অন্যান্য অনেক প্রজাতির সাথে মানুষও ওই দাবদাহের সাথে অভিযোজন করতে পারবে না। ফলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়, প্রাণিকুলের বিভিন্ন প্রজাতি তার স্বাভাবিক গতির চেয়ে ৩৫ গুণ বেশি গতিতে গণবিলুপ্তির পথে হাঁটছে। প্রত্যেক বিলুপ্তির সময় অনেক প্রজাতি হারিয়ে যায়; অন্যদিকে কিছু কিছু প্রজাতি টিকে থাকে। মানুষ যদি মনে করে যে হারিয়ে যাওয়ার এই চক্রে শুধু তারাই বেঁচে থাকবে, সেই ধারণা ভুল হবে। ওই সমীক্ষার সহকারী লেখক জেরার্ডো সেবেলোস বলেন, পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া এই শূন্যস্থান অবশ্যই পূরণ হয়। কিন্তু প্রকৃতির জীববৈচিত্র্যের মধ্যে কারা টিকে থাকবে আর কারাই বা হারিয়ে যাবে তা বলা কষ্টসাধ্য।   গত বছর প্রায় কাছাকাছি সময়ে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘বায়োলজিক্যাল রিভিউজ’-এ প্রকাশিত আলাদা এক গবেষণায় বলা হয়, পৃথিবীতে ভয়ংকর সর্বনাশের এই প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে ক্রেটাসিয়াস যুগের পর প্রাণের গণহারে বিলুপ্তির ষষ্ঠ পর্যায় শুরু হয়ে গেছে খুব কম করে হলেও ৭০০ বছর আগে তথা ১৫০০ শতক থেকেই। ওই গবেষণায় আরও বলা হয়, পৃথিবীর চেনা-জানা ২০ লাখ প্রাণী ও উদ্ভিদের সাড়ে সাত থেকে ১৩ শতাংশই এরই মধ্যেই গণহারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা চিরতরে হারিয়ে গেছে। যেভাবে হারিয়ে গিয়েছিল ডাইনোসর। এফএস
    হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, নম্বর সেভ না করেই যাবে কল
      নম্বর সেভ না করেই দ্রুত ফোনকলের জন্য ‘অ্যাপ ডায়ালার’ ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে ফোনের মতো অ্যাপ ডায়ালারে পছন্দের মতো নম্বর দিলেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কল করা যাবে। ব্যস্ততার সময়ে ফিচারটি ব্যবহারকারীদের বেশি কাজে দেবে। ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ডাব্লুএবেটাইনফো। ডায়ালারটি কেমন হতে পারে, তার একটি স্ক্রিনশটও ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশ করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ বেটা সংস্করণে (২.২৪. ৯.২৮) ফিচারটি দেখতে পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এই ফিচারে স্ক্রিনের নিচের দিকে ফোনের মতো টি৯ কিপ্যাড থাকবে। সেই সঙ্গে সবুজ কালারের একটি ডায়াল বাটন থাকবে। ফিচারটি উন্মোচন হলে ফোনে নম্বর সেভ না থাকলেও যেকোনো নম্বরে কল করা যাবে। এর আগে মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ফিচার চালু করে হোয়াটসঅ্যাপ। সেভ না করেও বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে মেসেজ দেওয়ার সুবিধা দেয় এই প্ল্যাটফরম। এই ফিচারের ফলে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার আরও সহজ হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে কল যেহেতু এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড থাকে, তাই ডায়ালার ফিচারের মাধ্যমে কল করলেও ব্যবহারকারীদের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ সংগ্রহ করবে না বলে আশা করা যায়। বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সহজভাবে ফাইল শেয়ার করার জন্যও নতুন ফিচার নিয়ে কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি, ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরনের ফাইল শেয়ার করা যাবে। ‘লোকাল ফাইল শেয়ারিং’ নামে ফিচারটির মাধ্যমে নিকটবর্তী হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ফাইল পাঠানো যাবে। এই ফিচার ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীদের নম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে। ফিচারটি ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ডেটা ও সময় বাঁচাবে। আবার ফোন নম্বরের সঙ্গে নোট যুক্ত করার ফিচার হোয়াটসঅ্যাপের ২.২৪. ৯.২৭ এর বেটা সংস্করণে দেখতে পাওয়া গেছে। যারা নোট তৈরি করেছে, তারাই শুধু নোটগুলো দেখতে পারবে। সংশ্লিষ্ট নম্বর এই নোট দেখতে পারবে না। ফিচারটি মোবাইল অ্যাপ ও হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণের জন্য উন্মোচন করা হবে। তথ্যসূত্র: স্যামমোবাইল ও অ্যান্ড্রয়েড পুলিশএমএইচ
    একটা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বেসিসে নির্বাচন করতে চাই না: এলিট
    নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেছেন, মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য শর্ট টাইম একটা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমরা বেসিসে নির্বাচন করতে চাই না। আগামী ৮ মে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস( বেসিস) এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ কথা বলেন তিনি।সময়ের কণ্ঠস্বরের সাথে একান্ত আলাপকালে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমাদের ‘টিম স্মার্ট’ যদি নির্বাচিত হয় তাহলে উদ্যোক্তাদের যে সমস্যা গুলো আছে, যে বার্নিং ইস্যু গুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। পাশাপাশি আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু ইলেকশনে জেতার জন্য, মানুষকে আকৃষ্ট করা জন্য দুই বছরের শর্ট টাইম পরিকল্পনা নিয়ে বেসিসে নির্বাচন করছি না। আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমরা আগাতে চাই।  নিয়াজ মোর্শেদ আরও বলেন, আমি টেক ইন্ড্রাস্ট্রির একজন কর্মী হিসেবে সহকর্মীদের সমস্যা এবং সমাধানে কাজ করার ইচ্ছা আছে। যেমন ধরেন বেসিসে তো অনেক ধরনের মেম্বার আছে, কিছু মেম্বার আছে যারা এক্সপোর্ট করছে তাদের সমস্যা এক ধরনের। তাদের ভর্তুকির টাকা, ব্যাংক সেটেলমেন্টের টাকাটা পেতে দেরি হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের এক ধরনের সমস্যা। আসলে সেক্টর ওয়াইজ আমরা প্রবলেম গুলোকে আলাদা করেছি। এবং সেক্টর ওয়াইজই প্রবলেম গুলো সমাধানে কাজ করব। তবে এ মুহুর্তে সব চাইতে বার্নিং ইস্যু হলো টেক্স হলিডে। এ বিষয়টিকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই আমরা। সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মার্কেট গুলো এবং অনন্যা দেশের যে রেগুলেটররা আছে তাদের সাথে ক্লোজলি কাজ করার ক্ষেত্র গুলো তৈরি করে দিতে চাই আমরা। নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, সব মেম্বারদের নিয়েই কিন্তু বেসিস। বেসিস আসলে হওয়া উচিত সব মেম্বারদের আস্থার জায়গা। সদস্যদের সমস্যা গুলো মোকাবেলা করার জন্যে বেসিসের শক্ত অবস্থানে কাজ করা দরকার। আমরা সেই চেষ্টাই করব। পোশাক শিল্পের সমস্যায় বিজিএমইএ এবং বিকেএমই এ যেভাবে কাজ করে বা ভূমিকা রাখেন আমাদের বেসিসেরও এমনই হওয়া উচিত। বেসিসে আমরা নির্বাচিত হলে একজন সদস্যের সমস্যাতেও ঝাপিয়ে পড়তে চাই। যেহেতু আমাদের প্যানেল টিম স্মার্টের ১১ জন সদস্যই স্ব স্ব অবস্থানে সফল এবং প্রত্যেকেরই দেওয়ার মন মানসিকতা আছে।  আমার নিজেরও দেওয়ার মন মানসিকতা আছে তাই বেসিসের সুন্দর আগামী গড়ে তোলার জন্যে ‘টি স্মার্ট’ কাজ করবে। উল্লেখ্য, নিয়াজ মোর্শেদ এলিট তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বড়তাকিয়া গ্রুপে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি এই গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। একই সাথে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নগদের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।তিনি ২০০০ সালে চট্রগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০২ সালে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ চট্রগ্রাম থেকে এইচএসসি এবং ২০০৭ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেন।  এছাড়া ২০১৭ সালে জাপানের ফুকুওমা থেকে জেসিআই একাডেমি থেকে উচ্চ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।নিয়াজ মোর্শেদ এলিট  আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছাত্র জীবনে তিনি চট্রগ্রাম কমার্স কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতে সম্পৃক্ত হন। রাজনীতির বাইরে তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের সফল নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি তার নিজের নামের প্রতিষ্ঠা করেছেন নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাব। যেখান থেকে প্রতিদিনই সুবিধা গ্রহণ করছেন রক্ত গ্রহিতারা।
    ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে তিন-চারদিন লাগতে পারে
    দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এটি পুরোপুরি ঠিক হতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশন।সংগঠনটির সভাপতি ইমদাদুল হক একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানান, ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল লাইসেন্সধারীরা যদি নিজেরা উদ্যোগ নেয়, তাহলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হতে পারে।বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি বলছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল কাটা পড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সিমিউই-৫ দিয়ে ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিমিউই-৪ সাবমেরিন কেবল দিয়ে বিকল্পভাবে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলছে প্রতিষ্ঠানটি। ওদিকে শুক্রবার রাত থেকে দেশজুড়ে ইন্টারনেটের দুর্বল গতির কারণে অনলাইননির্ভর ব্যবসায়ী ও ফ্রিল্যান্সাররা পড়েন চরম বিপাকে।এদিকে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানিয়েছেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয়। এটি এখন বন্ধ আছে। সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
    বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ
    বিশ্বের সেরা ১০০ বিমাবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কাইট্র্যাক্স। এতে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরকে নামিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে কাতারের দোহা হামাদ বিমানবন্দর। দ্বিতীয় স্থানে চাঙ্গি। আর তৃতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।শীর্ষে দশে থাকা অন্যান্য বিমানবন্দরগুলো হলোজাপানের টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর ও নারিতা বিমানবন্দর, ফ্রান্সের রিস শার্ল দ্যু গল বিমানবন্দর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দর, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দর এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দর। তাদের অবস্থান ৩৬তম। এ ছাড়া তাদের গোয়া, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমাবন্দরও রয়েছে তালিকায়। এই তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর। দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা বা নেপালের কোনো বিমানবন্দরও এই তালিকায় নেই। বিমান ও বিমানবন্দরবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের র‌্যাঙ্কিং করে থাকে স্কাইট্র্যাক্স। ১৯৯৯ সাল থেকে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে তারা। এফএস
    মোবাইলের অব্যবহৃত অ্যাপ যেভাবে অটো আর্কাইভ করবেন
    অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্টোরেজ দেওয়া থাকলেও প্রয়োজনের থেকে বেশি অ্যাপ থাকলে ডিভাইসের স্টোরেজ দখল করে নেয়।সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড একটি অপশন চালু করেছে যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আর্কাইভ হয়ে যাবে ফোনের অব্যবহৃত অ্যাপ।২০২৩ সালের এপ্রিলে প্লে স্টোরের মাধ্যমে চালু হয় অ্যান্ড্রয়েডের অটো-আর্কাইভ। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীরা যেসব অ্যাপ ব্যবহার করছেন না, সেগুলো বাদ দিয়ে ফোনে নতুন অ্যাপ ইনস্টল করার জায়গা তৈরি করে। এটি কার্যকর ফিচার হলেও কেবল তখনই পাওয়া যেত যখন ফোনের স্টোরেজ শেষ। সম্প্রতি গুগল এ ফিচার আপডেট করেছে। এখন ফোনে যতটুকু স্টোরেজই থাকুক না কেন, চালু করা যাবে অটো আর্কাইভ ফিচারটি। গুগলের প্লে স্টোরের একটি টগলের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা এ ফিচার চালু করতে পারবেন।গুগল বলছে, এ ফিচারটি কেবল তখনই অ্যাপগুলো আর্কাইভ করবে যখন একজন ব্যবহারকারীর ফোনের জায়গা একেবারে কমে আসবে। কেউ ফোনে অনেক ফাঁকা জায়গা নিয়ে ফিচারটি চালু করা হলেও, স্টোরেজের সংকট না দেখা দেওয়া পর্যন্ত অ্যাপগুলো আর্কাইভ করা হবে না।যেভাবে ফিচারটি চালু করবেনঅটো-আর্কাইভ ফিচারটি চালু করতে প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোর অ্যাপটি চালু করতে হবে। সেখান থেকে নিজের প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করতে হবে। এরপরে ‘সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে। সেটিংসের ‘জেনারেল’ বিভাগে প্রবেশ করলেই ‘অটোমেটিকালি আর্কাইভ অ্যাপস’ নামের টগলটি চালু করে দিতে হবে।যখন ফোন বিভিন্ন অ্যাপ আর্কাইভ করা শুরু করবে, প্লে স্টোরে ব্যবহারকারীর অ্যাপ লাইব্রেরির ‘আর্কাইভড’ শিরোনামের নিচে অ্যাপগুলোর তালিকা দেখা যাবে।এমএইচ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    স্থায়ী জামিন পেলেন সেই মুশতাক
    রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীর স্থায়ী জামিন (পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত) দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য আদালত আগামী ২ জুন প্রতিবেদন দাখিলেন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।মোশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আসামিদের স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করি। আদালত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।গত বছর ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা আদালতে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩ মার্চ মামলার বাদী সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন। পরে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

    প্রবাস

    সব দেখুন
    মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার
    মালয়েশিয়ার জোহর বারু অভিবাসন বিভাগ ভিসার অপব্যবহার দায়ে ১৩২ জন বাংলাদেশিসহ ২০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পাসির গুদাংয়ের একটি নির্মাণ স্থলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জোহর ইমিগ্রেশনের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির এ তথ্য জানান।বাহারউদ্দিন তাহির জানান, এ অভিযানে ৯০ জন ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছিল। ২০৬ জন অভিবাসীকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে তাদের ভিসা অপব্যবহারের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাহারউদ্দিন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৩২ জন পুরুষ, চীনের ৫১ জন পুরুষ, মিয়ানমারের ১০ জন, পাকিস্তানের ছয়জন পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার তিনজন পুরুষ, ভিয়েতনামের দুজন পুরুষ এবং চীনের দুজন নারী রয়েছেন।তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ এর মধ্যে। তদন্তে সহায়তা করার জন্য আমরা একজন স্থানীয় ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছি। ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ধারা ৬(১)(সি) এবং ধারা ১৫(১) সি) এর অধীনে বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।এমআর

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    অতিরিক্ত ঘাম রোধে এড়িয়ে চলুন ৫ খাবার
    গরমে অতিরিক্ত ঘামছেন? এমনকী আশেপাশের অনেকের থেকেই আপনার ঘাম বেশি হচ্ছে? এর পেছনে থাকতে পারে কিছু কারণ। বিশেষ করে দায়ী হতে পারে আপনার খাবার। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। তাই গরমের সময়ে সেসব খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। নয়তো অতিরিক্ত ঘামের কারণে আপনি অস্বস্তিতে তো ভুগবেনই, সেইসঙ্গে অসুস্থ হয়ে যাওয়ারও ভয় থাকতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো আপনার ঘাম বাড়িয়ে দিতে পারে-১. কফিএক কাপ কফি অনেকের জন্য দিন শুরু করার একটি প্রধান জিনিস।  পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রার পরামর্শ অনুযায়ী, এই ক্যাফেইনযুক্ত আনন্দের ক্ষেত্রে সংযম গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাফেইন আপনার অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এটি হাতের তালু, পা এবং আন্ডারআর্মের ঘাম বাড়িয়ে দেয়। যদিও কফি কারও কারও জন্য অপরিহার্য হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে কফির কাপে পরিমিতভাবে চুমুক দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।২. মসলাদার খাবারখুব মসলাদার খাবার খাচ্ছেন এবং হঠাৎ আপনার কপাল এবং উপরের ঠোঁটে ঘাম জমতে শুরু করলো, দৃশ্যটা পরিচিত না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মসলাদার খাবার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রার মতে, অন্য যেকোনো ধরনের তাপের মতোই, মসলাদার খাবারও ত্বক থেকে একই রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে ঘাম হয়।৩. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারমিষ্টি খেতে ভালো তো লাগবেই, তবে সাবধান! এটি স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি ঘামের কারণ হতে পারে। ওয়েবএমডির মতে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে। ইনসুলিনের এই আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামে পরিচিত।৪. অ্যালকোহলআপনি কি জানেন যে অ্যালকোহল আপনার ঘামের উৎপাদন বাড়াতেও ভূমিকা রাখতে পারে? হেলথলাইনে উল্লিখিত, অত্যাধিক অ্যালকোহল গ্রহণ পেরিফেরাল রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে, যা আপনার শরীরে ঘামের সৃষ্টি করে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।৫. কোমল পানীয়এই গরমে অনেকেই ঠান্ডা কোমল পানীয়তে চুমুক দিয়ে প্রশান্তি অনুভব করেন। যদিও এটি আপনার তৃষ্ণা মেটাতে পারে, কিন্তু তা সাময়িক। কোমল পানীয় কখনোই শরীরের জন্য ভালোা নয়। অতিরিক্ত চিনি থাকার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রার ওঠানামার কারণ হতে পারে, সেখান থেকে দেখা দেয় ঘাম।এমআর

    Loading…