জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীর পল্লবীতে বাসচাপায় মোছা. খায়রুন বেগম (৩৬) নামে এক নারীসহ তার ভাতিজা মো. ইয়াসিন (৪) নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পূরবী সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খায়রুন বেগমের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। তিনি পল্লবী এলাকায় থাকতেন। পোশাক শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। আর শিশু মো. ইয়াসিন খায়রুন বেগমের ভাতিজা।
এলাকাবাসী জানান, ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পল্লবী থানার অপারেশন অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পারি পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় বসুমতি পরিবহন নামের একটি বাস তাদের দুই জনকে চাপা দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসের চালককে আটক করা হয়েছে, বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এআই
রাজধানীর মিরপুরে বাকিয়া সুলতানা তুরাবা (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত তুরাবার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের উকিলপুর গ্রামে।
বুধবার (০১ মে) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ফরিদের বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এক বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আফনানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে হয় তুরাবার। তারা দুই দম্পতি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাঁশ পট্টির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত তুরাবার শ্বশুর ফরিদ জানান, আমার ছেলের স্ত্রী তুরাবা বেশ কিছুদিন শারিরীক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত মাসে তাদেরকে ভাড়া বাসা থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসি। আজ বুধবার ১ লা মে সকালে বাড়ির লোকজনদের ডাকচিৎকারে আমার ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে দেখি তুরাবা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা অনেক ডাকাডাকি করলেও সে রুমের দরজা খুলছেনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গে তুরাবার। সকাল আনুমানিক ৬টা৩০ মিনিটের দিকে ফের তিনি তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ দেন। এরপর অনেক ডাকাডাকি করার পরও তুরাবা কোনো সারাশব্দ না করাসহ দরজা না খুললে শাহ আলী থানা পুলিশকে খরব দেই। পরে শাহ্ আলী থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে দরজা ভেঙে তুরাবার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহ আলী থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয় মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছাই। উপস্থিত জনসম্মুখে ভেতর থেকে বন্ধ একটি রুমের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তুরাবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশের ময়না তদন্তের জন্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনা একটি নিয়মিত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
এআই
ঢাকায় রাত ১১টার পর মহল্লার সব চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করতে থানা পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে কোনো মহল যাতে রাজধানীতে ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।
আজ রোববার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।
৫০টি থানা এলাকার মার্চ মাসের অপরাধ নিয়ে পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া সম্মনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশঙ্খৃলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।
এফএস
দেশে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৃথক বার্তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ থাকবে। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু প্রাথমিকের সব ক্লাস মর্নিংয়ে (সকালে) হবে তাই প্রাথমিক খোলাই থাকবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ঈদের ছুটির পর তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি বাড়িয়ে রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। খুলে দেওয়ার দিনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এমআর
রাজধানী সহ সারা দেশে চলছে তীব্রতাপদহ। এই তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ।দেশের বেশ কিছু জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এই অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে বৈদ্যুতিক পণ্যের শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। ফলে এসি বিক্রি বেশ বেড়েছেছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, সদরঘাট এলাকার বেশ কয়েকটি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এসি বিক্রি বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।
বর্তমানে দেশে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রোমার্ট, ট্রান্সকম, এসকোয়্যার, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বাটারফ্লাই, র্যাংগ্স, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল, মিনিস্টার, ভিশন, এলজিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।
লক্ষ্মীবাজারের ওয়ালটন ব্রাঞ্চের ম্যানেজার উত্তম বলেন, আগের তুলনায় ওয়ালটন এসির বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। ধরেন আগে যদি আমার এই শোরুমে দৈনিক পাঁচটা এসি বিক্রি করতাম এখন করছি ১৫ টা। গরমের তীব্রতায় মানুষ ধারকর্য করে হলেও এসি কিনছে। আগে আমরা নির্দিষ্ট টাইমে দোকান খুলতাম এবং বন্ধ করতাম। এখন বিক্রির চাপ এতটা বেড়েছে যে আমাদের কম বেশি সবার ওভারটাইম করা লাগছে।
এসির দাম বাড়ার বিষয়ে এই ম্যানেজার বলেন, গত তিন বছরে আমাদের এসির দাম বাড়েনি। গরম বেড়েছে তাই বলে যে আমরা এসির দাম বাড়াবো বিষয়টা এমন না। অনলাইনে এবং শোরুমে এসি কেনার পার্থক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে শোরুমে না এসে অনলাইনে এসি অর্ডার করছেন। সেক্ষেত্রে দামের কিছুটা পার্থক্য আছে। তবে বেশি না সর্বোচ্চ দু'তিন হাজার টাকা।
পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারের বাটারফ্লাই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের এখানে গত দুই সপ্তাহে প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে। সত্যি বলতে আমাদের এখন এসি বিক্রি নেই। কারণ ইকো এবং হায়ার এসির স্টক আউট। আমার এখানে এখন শুধু এলজি কোম্পানির এসি আছে। এটার তুলনামূলক দাম বেশি। তাই একটু কম সেল হয়। হেড অফিসে ক্রেতাদের চাহিদা এবং এসির স্টক আউটের বিষয়ে জানিয়েছে তারা হয়তো কিছু একটা করবেন। এসির চাহিদা কেমন বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ম্যানেজার বলেন, গত তিন মাসে যত টাকার এসি বিক্রি করেছি এই মাস এখনো শেষ হয়নি তার চেয়ে বেশি বিক্রি করেছি। স্টক আউট না হলে হয়তো আরো বেশি বিক্রি হতো।
এসি বিক্রির বিষয়ে পুরান ঢাকার র্যাংগস ই-মার্ট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আশরাফুল বলেন, আমাদের এখানে স্যামসাং, এলজি, ডাইকিং, হাইসেন্স এবং তোসিন এই পাঁচটি কোম্পানির এসি বিক্রি করা হয়। আগের তুলনায় বেচাবিক্রি অনেক ভালো।
পূর্বের তুলনায় বিক্রি কত শতাংশ বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ম্যানেজার বলেন, আমরা দিনে বা সপ্তাহে কয়টি এসি বিক্রি করেছি সেই হিসেব করি না তবে কত টাকা সেল করেছি সেই হিসেবে করি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আমরা ২০ লাখ টাকার এসি বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় সপ্তাহে ২১ লাখ টাকা। তৃতীয় সপ্তাহে সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকার কোটায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে আমরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার এসি বিক্রি করেছি। বলা চলে গত মাসের তুলনায় চারগুণ পাঁচ গুণ বেশি সেল করেছি। এই তাপদাহ যদি আরো এক সপ্তাহ চলমান থাকে তাহলে হয়তো পূর্বের বেচাকেনার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
এমআর
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক, টানা দুইবারের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ; মাশরাফি বিন মুর্তজার নামের সঙ্গে যুক্ত আছে অসংখ্য বিশেষণ। তবে নড়াইলে গ্রামের বাড়িতে গেলেই ভিন্ন এক মাশরাফিকে দেখা যায়। ছুটে যান এখানে-সেখানে, আড্ডায় মাতেন শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে।
খুনশুটিতে মেতে ওঠা মাশরাফিকে দেখা গেল আজও। নড়াইলের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা সাবেক এই পেসার বন্ধুদের সঙ্গে নেমে পড়লেন মধুমতি নদীতে। চলল কাঁদা মাখামাখি, মেতে উঠলেন হৈ-হুল্লোড়ে, যেন কিশোর বয়সের সেই কৌশিক (মাশরাফির ডাকনাম, এই নামেই ডাকেন এলাকার মানুষ)।
মাশরাফির খুনশুটির তেমনই একটি ভিডিওতে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সেটি দেখে কে বলবে এই অঞ্চলেরই টানা দুইবারের সংসদ সদস্য মাশরাফি। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাশরাফি। এই আসন থেকেই ২০১৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মূলত, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে একটু স্বস্তি পেতেই নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে নেমে পড়েন মাশরাফি। কারণ, নড়াইলে চলছে তীব্রপ্রবাহ। আর সংসদ সদস্য হওয়ায় প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়েছে মাশরাফিকে।
এফএস
ঠান্ডা শরবত বিতরণ করতে গিয়ে নজরুল ইসলাম (৫০) নামে জামায়াত ইসলামীর এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০১ মে) বেলা ১১টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজার চারতলা জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ইসলাম বাগআঁচড়া মোল্লা পাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ও ১নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি।
জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমে সারাদেশের মতো যশোরের শার্শা-বেনাপোলেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আর এই দাবদাহে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য পথচারিসহ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শরবত বিতরণ করছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগআঁচড়া শাখার কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ সময় পুলিশ এসে জামায়াত নেতা নজরুলকে গ্রেপ্তার করে শার্শা থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। আজ খবর পেয়ে শরবত বিতরণ করার সময় গ্রেপ্তার করে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এআই
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি একতলা ও দোতলা বিল্ডিং ভেঙ্গে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।
জানা গেছে, এলাকার মানুষের শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ১৯৮৩ সালের তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক তৎকালীন চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বিশ্বাস এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়েরটিতে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া করছে। শিক্ষা প্রসারের জন্য সরকার কর্তৃক নতুন বিদ্যালয় ভবনের অনুমতি পাই বিদ্যালয়টি। গত ০৫ মার্চ বিদ্যালয়ের দুটি ভবন নিলামের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। নিলামের জন্য মাইকিং করা হলেও কিন্তু নিলাম করেননি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। রাতের আঁধারেই বিদ্যালয়ে ভবন ভেঙে প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি করে দেয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এ নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
লিখিত অভিযোগে মনায়ারুল ইসলাম জানান, কোন প্রকার দরপত্র ছাড়া বিল্ডিং ভাঙছে এ নিয়ে আমি গত ১২ মার্চ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আমি ২৮ এপ্রিল তারিখে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রকার তদন্তভার গ্রহণ করেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির জোকসাজসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ওই ভবনের মালামাল মাত্র ৭০ হাজার টাকায় রাতের আধারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ক্ষমতাশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না এলাকাবাসীর অনেকেই। কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে নিজেরাই অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে দাবি করেন এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় দাবিও জানান তারা।
তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে। তবে কেউ লিখিতভাবে অনুমোদন না দিলেও মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়ে ভাঙ্গার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা একটি সমন্বয় কমিটি তৈরি করে বিল্ডিং ভেঙেছি ও প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি করা হয়েছে যা সভাপতি জানে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠান আমার, কার নির্দেশে টেন্ডার করবো, ইচ্ছা হয়েছে ভেঙে ফেলেছি।
তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে। বিদ্যালয় এর কোন মালামাল বিক্রি করা হয়নি। আর বিদ্যালয়ের ভাঙ্গার সব কথা ইউএনও স্যার জানেন।
গাংনীর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেঙে বিক্রি করতে হলে অবশ্যই টেন্ডার করতে হবে। ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে ভাঙার কোন সুযোগ নেই। তবে বিষয়টির খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও, কোনো প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান জানান, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআই
অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রমজীবী মানুষের মাঝে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (০১ মে) দুপুর ১২টায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে চুয়াডাঙ্গা পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের ২২৫ জন শ্রমজীবীকে এই সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়।
শ্রমজীবীদের মধ্যে ছিলেন, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, রং মিস্ত্রি ও নারী শ্রমিক।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসন রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), চুয়াডাঙ্গা মোঃ নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) শারমিন আক্তার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জহুরা।
এআইযশোরের বেনাপোলে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চাপায় মো. মোস্তফা (৪৮) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আনিসুর রহমান (৩৩) নামে অপর এক সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার (০১ মে) সকালে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দিঘীরপাড় বেনাপোল সানরাইজ স্কুল ও রজনী ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মোস্তফা শার্শার লাউতাড়া গ্রামের আবুল ঢালীর ছেলে এবং আনিসুর রহমান একই গ্রামের রেজাউল মুন্সির ছেলে।
বাসে থাকা যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী গোল্ডেন লাইন (ঢাকা মেট্রো-ব ১২-১৭৬৮) বাসটি দ্রুত গতিতে আসছিলো। বেনাপোলের দিঘীরপাড় সানরাইজ স্কুল ও রজনী ক্লিনিকের সামনে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেনাপোলগামী দুইজন সাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মোস্তফার মৃত্যু হয় এবং অপর একজনকে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে নাভারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বাসটিকে আটকিয়ে রাখলেও বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজন নিহত ও আর একজন আহত হয়েছে। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন বিধায় নাভারন হাইওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এআই
সারাদেশে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ই মে রামগড় উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন নিশ্চিত করতে শান্তি বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে রামগড় ৪৩ বিজিবি কঠোর ভূমিকা পালন করবে। আজ বুধবার ১লা মে সকালে মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় ৪৩ বিজিবির জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন এসব কথা বলেন।
জোন সদরের সম্মেলন কক্ষে মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় এসময় জোন অধিনায়ক পাহাড়ের অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ সহ সকল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সীমান্তে অপরাধমূলক তৎপরতা দমন করতে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সাংবাদিক জনপ্রতিনিধি ও হেডম্যান, কারবারিদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ছাড়াও সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সবসময় যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা এসব কর্মকান্ডে জড়িত হবে তাদের কোন ছাড় নয়।
বিজিবির মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় রামগড় উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং পাতাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর, রামগড় উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ নিজামউদ্দিন, রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন, রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারী রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা প্রমুখ।
এসময় রামগড় ৪৩ বিজিবির উপ-পরিচালক মোঃ রাজু আহমেদ, মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন সৈয়দ নূর হোসেন, স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান কারবারি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের কারণে সিন্ডিকেট সভায় গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা দেয়। বন্ধ ঘোষণার কয়েক ঘন্টার পর ক্যাম্পাস জুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
আজ বুধবার (০১ মে ) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ হাসান বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথায় যাবো না। আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো। আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চাই।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহসীন জামিল বলেন, ঈদের পর পর ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমাদের ক্যাম্পাস কেনো বন্ধ হবে। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি। এখন হল বন্ধ হলে আমরা কিভাবে পড়াশোনা করবো। আমরা এ হল ছাড়বো না।
সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,ভিসি- শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান বলেন, উপাচার্য নিজেই যখন সন্ত্রাসী তখন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দয়া মায়া থাকে না৷ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন তার বিরুদ্ধে গিয়েছে তখন তার নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না। তার প্রশাসনের সকল সহকর্মীরাই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তার পতন শুধুই সময়ের ব্যপার৷ তাই তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করেছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে আমার কিছু করার নেই।
এমআর
কক্সবাজারের টেকনাফে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বাজারের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। গায়ের শার্ট খুলে নিয়ে কয়েক দফা অমানবিক নির্যাতনের ছবি-ভিডিও বিএনপির 'মিডিয়া সেল' নামের একটি পেইজ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনাটি এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী কবরস্থানের পাশে রাস্তার উপর এই ঘটনা ঘটে।
পরে হ্নীলা দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পল্লী চিকিৎসক নুরুল আজিম সোহেলের চেম্বারের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রহার করা হয়। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতার নাম নাছির উদ্দিন (২৬)। তিনি হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভিডিওতে মারধর করতে দেখা গেছে দুই যুবককে।
অভিযুক্তরা হলেন, হ্নীলার ৫ নং ওয়ার্ডের দরগাহ পাড়া এলাকার আবুল কাশের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মামুন কবির (২২), সিকদার পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে শহিদ (১৯) ও হ্নীলা বাজার এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে ইউনিয়ন দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম সোহেল (৩২)।
ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ের শার্ট খুলে কোমরে রশি দিয়ে এক যুবককে টেনেহিঁচড়ে কয়েকজন বাজারের দিকে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা উপর্যুপরি প্রহার করতে থাকেন। তিনি আকুতি-মিনতি করলেও নির্যাতনকারীরা থামছেন না। এই ঘটনায় এলাকাবাসীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, কয়েকমাস আগে সড়ক প্রশস্ত করতে কয়েকজনকে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। এই ঘটনায় গত ২৪ মার্চ সাবেকুন নাহার নামের এক নারী তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে ইউনিয়ন দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম চেয়ারম্যানকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন। সেটি আমার চোখে পড়লে রিপ্লাই সেকশনে আমি প্রতিবাদ জানাই। এরপর সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে।
আমি সেটি খুব সাধারণ ভাবেই নিয়েছিলাম। আমার ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলাম। আমি হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে পৌঁছানো মাত্র যুবদল নেতা সোহেলের অনুসারী মামুন করিম, ও শহিদসহ কয়েকজন আমার গতিরোধ করে মারধর করতে শুরু করে। দুর থেকে সোহেল বেশি করে মারতে নির্দেশনা দিতে থাকেন। আমাকে বাঁচানোর জন্য একজনও এগিয়ে আসেনি। ফেইসবুক পোষ্ট মন্তব্য কিংবা প্রতিবাদ করার জেরে নয়; মুলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করণে এমন নির্যাতন চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এই ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে একটি স্টেশনের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে অভিযুক্তরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী বলেন, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর
পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে র্যালি করেছে রিকশা শ্রমিকরা।
বুধবার (০১ মে) সকালে রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার ব্যানারে এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিটি শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে বাজার রোড হয়ে পূনরায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এসময় তারা বিভিন্ন দাবিতে শ্লোগান তোলেন। র্যালিতে শতাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ইজিবাইক নিয়ে শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা কমরেড এমএ মজিদ, সভাপতি এড. মিলন মন্ডল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. মোজাম্মেল হোসেন রিয়াজ, দপ্তর সম্পাদক ফারভেজ মোশাররফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের প্রমূখ।
বক্তারা আরও বলেন, অতিদ্রুত ব্যাটারি চালিত যানবাহনকে বিআরটিএয়ের মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। ইজিবাইক চালকদের হয়রানি ও অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে এবং ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেনসহ সুনির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নিশ্চিত করতে হবে।
এআইকক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করার কর্মস্থলগুলো দিনের পর দিন দখল করে নিচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা। বলতে গেলে অত্র উপজেলার আনাচে কানাছে রোহিঙ্গা নর-নারীদের অবাধ বিচরণ চোঁখে পড়ার মত। অথচ তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য শরণার্থী শিবিরগুলোর ভেতরে এবং বাহিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি দখল করে নিচ্ছে শ্রমবাজারগুলো।
এদিকে রোহিঙ্গা শ্রমিকরা কম টাকার বিনিময়ে শ্রম দেওয়ার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ছে স্থানীয় শ্রমিকরা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, টেকনাফ উপজেলার সড়কে চলাচলকারী মোটরচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক (টমটম) এর প্রায় চালক রোহিঙ্গা। আবার হোটেল, রেস্তোরা ও চায়ের দোকানে কাজ করা কর্মচারীও রোহিঙ্গা। বলতে গেলে শ্রমবাজারের বেশীরভাগ কর্মস্থলে রোহিঙ্গা শ্রমিকদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো।
ইদানিং সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও উঠে এসেছে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গা নর-নারী স্থানীয় অর্থলোভী পরিবারের সাথে আত্মীয়তা তৈরি করে তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে অত্র এলাকার স্থানীয় অসাধু মালিকদের ভাড়া বাসায় বসতি স্থাপন করে মাদক, মানব পাচারসহ টাকার বিনিময়ে এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংঘটিত করছে না। এতে করে উক্ত উপজেলায় সংঘটিত অপহরণ বাণিজ্য, মানুষ হত্যাসহ নানা প্রকার অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি সময়ের কন্ঠস্বরকে অভিমত প্রকাশ করে বলেন, টেকনাফের স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটনস্পট খ্যাত উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অবাধ বিরচন প্রতিরোধ না করলে অত্র এলাকার মাদক পাচার, অপহরণ বাণিজ্য বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি নানামুখী অপরাধ কর্মকাণ্ড বাড়তেই থাকবে। স্থানীয়দের মাঝে বসতি স্থাপন করা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে না আসলে স্থানীয় শ্রমবাজারসহ পাড়া মহল্লায় রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বাড়তেই থাকবে। যদি এখন থেকে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রন করা না হয়। এমন একদিন আসবে টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো রোহিঙ্গাদের দখলে চলে যাবে বলেও অভিহিত করেছেন তারা।
শ্রমবাজার রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে, টেকনাফ পৌরসভার বেশ কয়েকজন অর্থলোভী হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, স্থানীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে কাজ করালে তারা কাজ করে কম, টাকা চায় বেশি। আর রোহিঙ্গা শ্রমিকরা কাজ করে বেশি, টাকা নেয় কম। এই কারণে বিপাকে পড়ে যাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আলম বাহাদুর সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে উখিয়া-টেকনাফের স্বল্প আয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে উখিয়া স্থানীয় শ্রমবাজারগুলো এখন রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখল করে নিয়েছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সর্বপ্রথম স্থানীয় জনগণকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের ভাড়া বাসা দিয়ে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই সমস্ত অর্থলোভী বাসা মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করার জন্য ক্যাম্পে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি কঠোর নজরদারি অবলম্বন করার পাশাপাশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে অত্র এলাকার শ্রমবাজারগুলো রোহিঙ্গা শ্রমিকদের হাত থেকে দখল মুক্ত হবে এবং স্থানীয় অসহায় দিন মজুর শ্রমিকদের আয়ের উৎস বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, অত্র এলাকায় ঘটে যাওয়া অপহরণ, মাদক, মানব পাচারসহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত রোহিঙ্গারা। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে- অর্থলোভী স্থানীয় ব্যক্তিরা কম টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নর-নারীদেরকে ব্যবহার করে মাদক ব্যবসাসহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে। বেশি টাকা মুনাফার আশায় কম টাকার বিনিময়ে তাদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে অত্র এলাকার শ্রমবাজারগুলো রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে হলে স্থানীয়দের মাঝে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অপরাধীদের অবস্থান নিশ্চিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে।
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কাছে বাসা ভাড়া দেওয়া অসাধু মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বুধবার (১লা মে) মহান মে দিবস। আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের আজকের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
সেইদিন থেকে নিহত শ্রমিকদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় ছোট-বড় অর্ধশতাধিক লালমাটির টিলা রয়েছে। ওইসব টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দিন-রাত ওইসব টিলার মাটি ইটভাটায় সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটি কাটা রোধে একাধিক বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও স্থায়ী কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। নির্বিচারে পাহাড়ি টিলা কাটায় স্থানীয় পর্যায়ের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
জানাগেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চল; ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের দেওপাড়া, ধলাপাড়া, সাগরদীঘি, লক্ষিন্দর , সন্ধানপুর, সংগ্রামপুর, রসুলপুর ও দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের কিয়দাংশ; মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই, আজগানা, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়ন এবং সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, কালিয়া, দাড়িয়াপুর ও কালমেঘা ইউনিয়ন পাহাড়ি এলাকা হিসেবে পরিচিত।
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও সখীপুর এ চার উপজেলায় বন বিভাগের গেজেটভুক্ত বন ভূমির পরিমাণ ৭৭ হাজার ৩১১ দশমিক ৭২ একর। বিএস রেকর্ড অনুযায়ী বন ভূমির পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯২৩ দশমিক ১৪ একর। এরমধ্যে বিএস রেকর্ড অনুযায়ী কালিহাতী উপজেলায় ২২৪ দশমিক ৫২ একর, ঘাটাইল উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৬ একর, মির্জাপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৩১৮ দশমিক ৭০ একর এবং সখীপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ২৬ দশমিক ৬৬ একর বন ভূমি রয়েছে।
এসব বনভূমিতে প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছ-গাছরা সহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক টিলা রয়েছে। ওইসব টিলায় স্ব স্ব স্থানীয় মাটিখোকোদের চোখ পড়েছে। তারা নানা ছলছুতো ও প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত করে এসব এলাকার প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের পাহাড় ও টিলা কেটে ইটভাটায় মাটি বিক্রি ও সরবরাহ করছে। তাছাড়া পাহাড়ের লাল মাটি দিয়ে পুকুর ও নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদের নাম করে কিংবা বাড়িঘর নির্মাণের অজুহাতে ২০-৩০ ফুট উঁচু টিলা কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের জুগিয়াটেংগর গ্রামের আবুবকর মিয়া, আবুল হোসেন ও তার ভাই নুরুল ইসলাম সহ আরও অনেকের নেতৃত্বে ছোট-বড় লাল মাটির অনেক পাহাড় ও টিলাসহ বন বিভাগের জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। পাহাড় ও টিলা কাটার আগে ওইসব স্থানের প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছগুলোও কৌশলে কেটে বিক্রি করা হয়। উল্লেখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রতি বছর চলে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কাটার ধুম। এ বছরও লাল মাটির সুউচ্চ টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের পাশের এলাকার টিলা ইতোমধ্যে কেটে শেষ করা হয়েছে।দেওপাড়া, মলাজানি ও ঝড়কা থেকে দক্ষিণ দিকে ভানিকাত্রা হয়ে মাইধারচালা পর্যন্ত রাস্তার পাশে পাহাড় কাটা হচ্ছে।
সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, কালিয়া, দাড়িয়াপুর ও কালমেঘা ইউনিয়নের সাপিয়ার চালা, বাগেরবাড়ি, ইন্দারজানী, গড়বাড়ি, আড়াংচালা, আমতৈল, আমগাছ চালা ও গিলাচালা প্রভৃতি এলাকায় মাটি ব্যবসায়ী শহীদ, রুস্তম আলী, হায়দর আলী, সোহেল, হাসমত ডাক্তার, পান্নু, মেহেদী, আরিফ, হাইসাব, মজনু, আজিজ ও নাফিকুল অবাধে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কেটে বিক্রি করছেন।
মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই, আজগানা, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়নের পাহাড় ও টিলা কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর দেওয়ান, আমিনুর, আবিদ শিকদার, শহিদুল দেওয়ান ও জুলহাস।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মাটি ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দিনে-রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় ও টিলার লাল মাটি কেটে ভারি ভারি ড্রাম ট্রাকে পরিবহণ করে ইটভাটায় বিক্রি ও সরবরাহ করছেন।
মাটি ভর্তি ওভারলোডের ভারি ড্রাম্প ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক বিনষ্ট হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তা ও আঞ্চলিক সড়কের পাশে আবাদ করা ধান ক্ষেত, সবজি ক্ষেত, বাড়িঘর, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধূলায় ঢেকে যাচ্ছে। মাটিখেকোরা পাহাড় ও টিলার মাটি কাটার আগে সেখানকার গজারি, আকাশমনি, কাঁঠাল গাছ, বাঁশঝাড় সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকু মেশিন(খনন যন্ত্র) দিয়ে যথেচ্ছভাবে পাহাড় ও টিলার মাটি কাটায় মির্জাপুরের লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর, নৌকারচালা, শেরখারচালা, ট্যাকপাড়া ও কদমা গ্রামের কয়েকটি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিতে রয়েছে। কোন কোন স্থানে উঁচুু টিলার লাল মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহের পাশাপাশি সমতল করা জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ আবাসস্থল গড়ে তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও মাটিখোকো চক্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। এক সময় সখীপুর উপজেলার নানা অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণি বসবাস করতো। কালক্রমে জনসংখ্যার আধিক্যে বনাঞ্চল নিধন, পাহাড়-টিলা কেটে বাড়ি-ঘর ও ফ্যাক্টরী তৈরির কারণে বন্যপ্রণির মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় শুধুমাত্র ২-১টা বানর দেখা যায়- এরাও খাদ্যাভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করলে এবং গাছপালা ধ্বংস করলে এক সময় ধরিত্রী জনমানব ও প্রাণিকূলের বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
টাঙ্গাইলের পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি বিরুদ্ধে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েও মাটি ব্যবসায়ীদের ফেরানো যাচ্ছে না। বার বার দিন ও রাতে অভিযান চালিয়ে আর্থিক জরিমানা ও কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েও তেমন কোনো প্রতিকার মিলছেনা। জামিনে মুক্ত হয়ে বা জরিমানা পরিশোধ করে আবার পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রির মাধ্যমে জরিমানার টাকা ঊঁশুল করায় মেতে উঠছে। মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকার দলীয় স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের যোগসাজস থাকায় তারা বেপরোয়া। ফলে স্থানীয় প্রশাসনের শক্ত অবস্থানেও পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানায়, স্ব স্ব স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, বন বিভাগের বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের মৌখিক অনুমতি নিয়েই তারা পাহাড় ও টিলার মাটি কাটছেন। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে মৌখিক সমর্থন আদায় করতে হয়। দিনশেষে তাদের হাতে দিনমজুরির টাকাই থাকে। কোনো কাজ নাই- তাই তারা মাটির ব্যবসা করে কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন।
মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর দেওয়ান দম্ভোক্তি করে জানান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের জানিয়েই দিন-রাত মাটি কাটছেন। জাহাঙ্গীর দেওয়ান প্রকাশ্যে লতিফপুর ইউনিয়নের নৌকারচালা, শেরখারচালা ও কদমা গ্রামের লাল মাটির টিলা ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাকে ইটভাটায় বিক্রি ও সরবরাহ করছেন।
কয়েকটি ইটভাটার মালিক জানায়, ইট তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে মাটি। সমতলের সাদা-কালো মাটি সহজলভ্য নয়- যা পাওয়া যায়, দাম অনেক বেশি। এদিকে, শুধু পাহাড়ি লালমাটি দিয়ে ইট তৈরি করা যায়না। লাল মাটির সঙ্গে বালু মিশিয়ে তার সঙ্গে খৈল, টিএসপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ইট তৈরির উপযোগী করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, পাহাড়ের লাল মাটি কাটার জন্য তারা ইতোমধ্যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মাটি কেটে যারা পরিবেশ বিনষ্ট করছে তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান জানান, টাঙ্গাইলের পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করায় তারা কয়েকটি ভেকু মেশিন জব্দ ও কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় তিনি কথা বলেছেন। এরপরও কোথাও লালমাটি বা টিলা কাটা হলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, জেলার পাহাড় ও টিলা কেটি মাটি বিক্রির অপরাধে গত তিন মাসে অন্তত ৫০ জনকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেকগুলো ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮০-৯০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি জানান, অবৈধভাবে পাহাড় বা টিলা কেটে মাটি বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। অপরাধীরা যত কূটকৌশলই অবলম্বন করুক আইনের হাত থেকে তারা রেহাই পাবেনা।
এমআর
৫৪ বছরের ইতিহাসে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৩০ এপ্রিল রাত ৯টায়। ওই সময় জাতীয় গ্রিডে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়েছে। এরপরও বেতাল ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে আছে লোডশেডিং। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। এমন অবস্থায় রাতে নেই ঘুম, দিনের কাজে নেই স্বস্তি। গরম আর বিদ্যুতহীনতায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের জনজীবন অতিষ্ঠ। এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। যখন দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহে হাফিয়ে উঠছে এবং হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, ঠিক তখনই নজিরবিহীন লোডশেডিং মানে কার্যত মরার ওপর খাঁড়ার-ঘা।
বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রিড থেকে স্টেশন ভিত্তিক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে তাই বিতরণ করা হয়। এর বাইরে তাদের আসলে কার্যত কিছু করার নেই, হাত-পা বাঁধা।
জানা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এরমধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা আছেন সববেশি বেশি ভোগান্তিতে। একসময় রাতের বেলায় লোডশেডিং হতো, বর্তমানে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে সমানে সমান। দিন ও রাতে ১৫-১৬ ঘন্টা থাকে না বিদ্যুৎ। এ অবস্থায় দৈনন্দিন কাজে ঘটছে বিঘ্ন, রাতে ঘুমাতে পারছেন না মানুষ। বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সী নারী-পুরুষের।
এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহে বোরো ধানের ক্ষেতের মাটি শুকিয়ে গেলেও লোডশেডিংয়ের কারণে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না অনেক কৃষক। দ্রুত পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা না গেলে ধানগাছের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অন্যদিকে দাবদাহের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
ফলদা ইউনিয়নের ধুবলিয়া গ্রামের সিফাত রহমান বলেন, গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুব খারাপ পর্যায়ে গেছে। দিন-রাত মিলিয়ে ১৫-১৬ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এমনিতেই টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, তারমধ্যে আবার বিদ্যুৎ থাকছে না। সবমিলিয়ে মানুষ বড় অশান্তির মধ্যে আছে।
তাড়াই গ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন, রাতে বিদ্যুৎ তিন থেকে চার ঘন্টা থাকে কিনা সন্দেহ। আর সারাদিনে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা। তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়া, বমি, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন নানা বয়সের শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর আমরা বড়রা তো রাতে গরমে ঘুমাইতেই পারি না।
ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের আজিজ মন্ডল বলেন, যে গরম, অথচ বিদ্যুৎ থাকেই না। এক ঘন্টা থাকলে, চারঘন্টা আর খবর নাই। রাতে সমস্যা বেশি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিদ্যুতের লোকজন বলে উৎপাদন নাই, দেব কোথা থেকে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিস হওয়ার পর থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেকটাই কমে গেছে। তবে ঈদের পর থেকে বেড়েছে। শুনেছি, গোপালপুর সাব-স্টেশনের পরে বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনে এসিআর লাগানোর পর থেকে বিদ্যুৎ সমস্যা বেশি হচ্ছে। সেখান থেকে মেইন লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে পুরো ভূঞাপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
যদিও আরইবির কর্মকর্তারা বলেছেন, এসিআর হচ্ছে একটি প্রোটেকশন। এতে দুর্ঘটনা থেকে সিস্টেম বাঁচে। ত্রুটি না হলে মেইন লাইন গোপালপুর থেকে বন্ধ করার সুযোগ নেই।
জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রতিষ্ঠার পর ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতা বাড়তে থাকে। ফলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভৌগলিক এলাকা ময়মনসিংহ জেলার ৩টি উপজেলার ময়মনসিংহ সদর (আংশিক), ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা এবং টাঙ্গাইল অংশের মধুপুর, ধনবাড়ী. গোপালপুর, ভূঞাপুর ও ঘাটাইলকে অন্তর্ভুক্ত করে বিস্তৃত হয়। ময়মনসিংহের অংশের চেয়ে টাঙ্গাইলের গ্রাহক সংখ্যা বেশি। আর এ অঞ্চলের গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ সুবিধায়ও পিছিয়ে সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতি বছর লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণাও পোহাতে হয় চরমভাবে।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান খান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমাদের সাব-ষ্টেশনে ৬টি ব্রেকার থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দুইটি নষ্ট। আমরা ৪টি ফিডারের মাধ্যমে ভূঞাপুর উপজেলা ও ঘাটাইলের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকি। ঘাটাইল গ্রিড যা বরাদ্দ পায় তাঁর থেকে আমাদের ৬ দশমিক ৫ পারসেন্ট দেওয়া হয়। বর্তমানে তীব্র তাপদাহে আমার চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। সেখানে আমি ৫০ পারসেন্টই পাই না। যা বরাদ্দ পাই একসঙ্গে দুইটি ফিডার চালু রাখাই কষ্ট হয়ে যায়। বাকি দুইটা বন্ধ রাখতে হয়।
১৪-১৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মনমোহন চন্দ্র সরকার বলেন, সম্প্রতি ঘাটাইল নতুন গ্রিড চালু হওয়ার পর থেকে ভূঞাপুর, গোপালপুরসহ টাঙ্গাইল জেলার ৫টি উপজেলা এখান থেকে বিদ্যুৎ নেই। এখানে আমাদের টোটাল দরকার ৭৬ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা ২৮ থেকে শুরু করে ৫৬-৪৬ পর্যন্ত পাই। ৫০ পারসেন্ট বরাদ্দ পেলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ১২ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কারণে আরও এক, দুই ঘন্টা এড হয়ে যায়।
জানতে চাইলে গোপালপুর জোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসাইন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বর্তমানে এক লাইনে ভূঞাপুর ও গোপালপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ভূঞাপুরের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সেটি তাঁরা পাচ্ছে। আমরাও পারসেন্ট অনুযায়ী নিচ্ছি। সেখানে ভূঞাপুরের লাইন বন্ধ করে গোপালপুরে নেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সারাদেশের মধ্যে গত সোমবার ময়মনসিংহ অঞ্চলে লোডশেডিং বেশি ছিল, যা গণমাধ্যমেও এসেছে। আসলে উৎপাদন তো কম। দেশের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে এখন গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তাঁরমধ্যে ১০ পারসেন্টই ঢাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন শিল্প ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া লোড নিয়ে নিচ্ছে। গ্রাম এলাকাতে আমার এখানে ২০ মেগাওয়াটের উপরে চাহিদা আমি পাচ্ছি ৬, ৭, ৮ এরকম।
মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা তো আসলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী। আমাদের এখানে যতটুকু আসে, সেটাই সরবরাহ করতে পারি। উৎপাদন তো পুরোটাই সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তারপর বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে আমাদের কাছে আসে। এখন গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে, এটা নিশ্চিত। আমি নিজেও এটা ফিল করি কিন্তু আসলে আমাদের হাত-পা বাঁধা, বিদ্যুৎ না পেলে তো আর দিতে পারি না।
তাপমাত্রা না কমলে কিংবা বৃষ্টি না নামলে লোডশেডিং থেকে আপাতত মুক্তির উপায় নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার শহিদ উদ্দিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, গতকাল তো সারাদেশেই আড়াইহাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, তাঁরমধ্যে ময়মনসিংহ একটু বেশি হয়েছে। এর কারণ এখানে যে স্পেশাল লাইন সেই লাইনে তো বিদ্যুৎ আনতে পারি না। আগে জামালপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো, এখন আমরা ঘাটাইল থেকে নিচ্ছি। আমাদের টোটাল ৩০-৪০ পারসেন্ট লোডশেড করা লাগে। গতকাল ৬০ পারসেন্ট লোডশেড ছিল।
তিনি বলেন, আমার তো ভূঞাপুর গ্রাহক বেশি না, মাত্র ২০ হাজার গ্রাহক। ভূঞাপুরের তো আলাদা লাইন নেই, আগে ঘাটাইলের সঙ্গে ছিল, এখন গোপালপুরের সঙ্গে আছে। ঘাটাইল থেকে বিদ্যুৎ যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে তাপদাহ বেশি থাকায় লোডের পরিমাণ বেশি, ক্রাইসিস বেশি, যেটা আগে দুই মেগাওয়াট ছিল সেটি এখন ৪ মেগাওয়াট হয়ে গেছে। একটু ওয়েদার ঠিক হয়ে গেলে এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে।
এসময় গোপালপুরে এসিআর বসানো নিয়ে জানতে চাইলে জেনারেল ম্যানেজার শহিদ উদ্দিন বলেন, ৩৩ কেভি লাইনে এসিআর হচ্ছে একটি প্রোটেকশন। দুর্ঘটনা থেকে সিস্টেম বাচে। লাইন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও আমি বিষয়টি দেখতেছি।
গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার মীরের বাজার এলাকায় ট্রাকচাপায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (০১ মে) ভোর ৫টার দিকে গাজীপুর-গাউছিয়া বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রকৌশলীর নাম শাহাদাত হোসেন মুন্না (২৭)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রামগতি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
তিনি গাজীপুর-গাউছিয়া হাইওয়ে সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শক্তি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জিএমপির পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
পুলিশ জানায়, ভোরে শাহাদাত নিজের মোটরসাইকেল চড়ে গাজীপুর মহানগরীর উলুখোলা থেকে ভোগড়া বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মালবোঝাই ট্রাক ভোগড়া বাইপাস থেকে উলুখোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে পড়ে যান। ট্রাকটি তাঁকে চাপা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, ট্রাকচাপায় আহত মোটরসাইকেল আরোহীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই
সাভার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক কিশোর অপরাধীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। চলমান অভিযানের আরও ৭ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (০১ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি। এর আগে গতকাল ৩০ এপ্রিল পৃথক অভিযানে সাভারের বাজার রোড, জালেশ্বর ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলন- শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার উত্তর চকপাড়া গ্রামের মো. হাবিব মিয়ার ছেলে মোঃ আকাশ ওরফে আকাই (২৩), সাভার উত্তরপাড়ার মো. হাসান মোল্লার ছেলে মোঃ রাকিব হাসান হৃদয় (২৬), বাগেরহাট জেলা সদর থানার ষাটগম্বুজ রেল স্টেশন এলাকার কালাম মোল্লার ছেলে মোঃ সাব্বির (২৪), কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার বাঁশগাড়ী গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নাইম (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলা সদর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আল আমিন (২৮), ও ডেঞ্জার সাগর (২৫) সহ আরও একজন। তাদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম, সাভার মডেল থানায় দস্যুতা, হত্যা ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাই ঢাকা জেলার এই অংশে বিশেষ করে সাভার ও আশুলিয়ায় আমরা সাম্প্রতিক কালে লক্ষ করেছি অল্প বয়সি, কিশোর বয়সী ক্ষেত্রে বিশেষে বয়স ৩০ এর ওপরে হলেও অনেকে যে আচরণগুলি করে থাকেন আমরা সাধারণত এটাকে কিশোর গ্যাং বলে থাকি। এরকম বয়সী অপরাধীদের দ্বারা বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আমাদের নজরে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয় গুলো নোটিশ করেছি। তারই ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে এ ধরনের সঙ্ঘবদ্ধ কিশোর অপরাধী যারা অথবা সঙ্ঘবদ্ধ ছাড়াও একজন দুই জন যারা নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনেছি। ক্ষেত্র বিশেষে যদি কারও বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকে তাহলে স্থানীয় কিংবা অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি। এমন ২ শতাধিক অপরাধীদের গত ১০/১৫ দিনে আমরা আটক করেছি। আমাদের অফিসাররা মোবাইল পেট্রোলিং কার্যক্রম ও চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম করার সময় গতকাল তিনটি গ্রুপকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা মুল্যের হেরোইন ও চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে পরিচালনা করা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, আটকদের মধ্যে দুইজন গত ২২ সালে সিঅ্যান্ডবি বাস স্ট্যান্ডে একজন এসিল্যান্ডকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা জিনিসপত্র লুটে নেয়। তারা কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে আবার ছিনতাই কার্যক্রমে নেমে পরে। এছাড়া আটকদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিরাও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এআই
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হিজলতলায় দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ভাইয়ের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।
বুধবার (০১ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হিজলতলা গ্রামে মোতালেব সরদারের পুকুরের বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলতলা গ্রামের পশ্চিম সোনামুখি এলাকার গগন সরদারের দুই ছেলে মোতালেব সরদার ও মোতাহার সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বে জের ধরে বেশ কয়েকবার মোতাহার সরদার তার ভাই মোতালেব সরদারের পুকুরের মাছ মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
বুধবার দিবাগত রাতে মোতাহার সরদার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নিয়ে মোতালেব সরদারের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষক্রিয়া হয়ে পুকুরের সব মাছ মারা গেলে স্থানীয় সুরভী আক্তার পুকুরের মালিক মোতালেব সরদারকে খবর দেয়। এরপর পুকুর পাড়ে গিয়ে মোতালেব সরকার দেখতে পান পুকুরের রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংড়া, ফলি, শিং, কইসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ বিষের প্রভাবে মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
পুকুরের মালিক মোতালেব সরদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুকুর পাড়ে এসে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এক বছর ধরে আমি মাছের পরিচর্যা করেছি। রমজানেও একটি মাছ ধরে পরিবার নিয়ে খাইনি ভালো দামের আশায়। আমার ভাই মোতাহার সরদার ছাড়া এলাকায় আমার কোনো শত্রু নেই। সে ছাড়া এমন কাজ আর কেউ করতে পারে না। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে মোতাহার সরদার বলেন, মোতালেব সরদার আমার ভাই। তার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমার শত্রুতা আছে একথা ঠিক। কিন্তু তার পুকুরের মাছ কীভাবে মরল সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, থানায় অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত করব, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআই
বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের একটি সংবাদ সম্মেলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করাসহ ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাথরঘাটার সাংবাদিকরা।
বুধবার (০১ মে) সকাল ১০টায় পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ারে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে ও উপজেলা প্রেসক্লাবসহ পাথরঘাটার সকল সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ভিন্ন ভিন্ন মামলায় আসামিরা হলেন- পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি জাফর ইকবাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মানবজমিন প্রতিনিধি জাকির হোসেন খান, নির্বাহী সদস্য ও আজকের পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সুমন, উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও আরটিভি প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভ, কালবেলা প্রতিনিধি আল আমিন ফোরকান ও আলোকিত প্রতিদিন এর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কাউন্সিলর কাকন মোল্লা, এডভোকেট নাসির উদ্দিন সোহাগ, শফিকুল ইসলাম খোকন, জাকির হোসেন খান ও অমল তালুকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- সমাজের ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজের চরিত্রহীন, ভুমি দস্যু, ও নারী লোভীদের মুখোশ উন্মোচন করায় আজ পাথরঘাটার সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে।
এরমধ্যে বিরুদ্ধে আল মামুন নামে এক ব্যক্তির কতৃক পাওয়ার অফ আ্যটনি নিয়ে তার চাচাতো ভাই লিটন হাওলাদার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। এই আল মামুন প্রবাসে থাকা অবস্থায় এক নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এর ভিডিও তৈরি করে ব্লাকমেইল করে। এর প্রতিবাদ করায় ঐ নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে ১৩টি মামলা করেন। এই মামলায় অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগী নারী পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলে ঐ সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার করলে আল মামুন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। এতে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি, মোহনা টিভির প্রতিনিধি ও কালবেলার প্রতিনিধিকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও হরিণঘাটা বনের হরিণ শিকারী চক্রের সদস্যরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে। এ সংবাদ সম্মেলন প্রচার করায় মানবজমিন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন পারভিন নামে এক নারী।
চরদুয়ানি ইউনিয়নের এক নারী ইউপি সদস্যের স্বামী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির নিউজ করায় সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের ধন্ধ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আরটিভি প্রতিনিধি ও আলোকিত প্রতিদিনের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
মানববন্ধনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এসময় শতাধিক মানুষের উপস্থিত ছিলেন।
এআই
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (০১ মে) রাত তিনটায় উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কৃষকের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার জানান, অতিরিক্ত গরমের কারনে রাতে গরুগুলো খড়ের বাহিরে বেঁধে রেখেছিলাম। সকালে উঠে দেখি গরুগুলো মৃত পড়ে আছে। ধারনা করছি রাত তিনটায় বজ্রপাতে গরুগুলো মারা যায়।
চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বাবুল মাস্টার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডিসি স্যারকে অবগত করেছি। দেখি পরবর্তীতে উনার জন্য কিছু করা যায় কিনা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা. জামাল উদ্দিন জানান, আমার অফিস থেকে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এআইপটুয়াখালীর কুয়াকাটা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (০১ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্নাঢ্য র্যালী ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়ক ও রাখাইন পল্লী রোডসহ পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার।
শ্রমিকলীগ সভাপতি শাহীন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু অনন্ত মুখার্জি, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ আকন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস মৃধা, জালাল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো: জব্বার বিশ্বাস,শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক ছগির মোল্লা, ইজি বাইক সভাপতি শহিদুল গাজী ও শ্রমিক নেতা বেল্লাল হাওলাদার প্রমুখ।
শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েকশত শ্রমিক অংশগ্রহণ করে। আলোচনা শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এআই
সারা দেশ তীব্র তাপদাহের পর গভীর রাতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে বরগুনায়। টানা ১ মাস ধরেই ছিল গ্রীষ্মের উষ্ণতা।
বুধবার (০১ মে) রাত ৩টার দিকে বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করা জনজীবনে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও দেখা গেছে মানুষের স্বস্তিমূলক পোস্ট। এ যেন আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি।
বৈশাখের এই প্রথম কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত। সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতি। মুহূর্তে যেন শীতলতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বজ্রপাতের তুলনায় বৃষ্টি ততটা হয়নি। ঝড় থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল ১৫ থেকে ২০ মিনিটি। যতটুকুই বৃষ্টি হয়েছে এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।
এআইপিরোজপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সংগঠন। সে অনুযায়ী আগামী ১৮ মে (শনিবার) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলনের এ তারিখ জানানো হয়।
বর্তমান পিরোজপুর জেলা যুবলীগের কমিটি নিষ্ক্রিয় থাকায় উক্ত শাখাকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ সম্মেলনের এ তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গঠনতন্ত্রের ১৬ ও ২১ ধারা মোতাবেক আগামী ১৮ মে শনিবার পিরোজপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হলো।
পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ-উল্লাস দেখা দিয়েছে। যুবলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা সংগঠনের হাল ধরেছেন, জেলা কমিটি নিষ্ক্রিয় থাকার পরেও যারা সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গেছেন, যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে- তাদেরই নতুন নেতৃত্বে আসা উচিত।
এমআর
জামালপুরের ইসলামপুরে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফের স্ত্রীর জানাজায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের মোবাইল ফোন কে বা করা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফের সহধর্মিণী হাসনা মোশারফের নামাজে জানাজায় অংশ নেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। এ সময় তিনি পাঞ্জাবির পকেটে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেটটি রেখে দেন। জানাজার নামাজ শেষ করে পাঞ্জাবি পকেটে রাখা মোবাইলটি ব্যবহার করতে গিয়ে সেটা আর পাননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বুধবার ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শিপন আহম্মেদ কল রিসিভ করে বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় এখন ব্যস্ত আছেন।’ হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো হারিয়ে যাওয়া মোবাইল সেটটি পাওয়া যায়নি।’
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন তালুকদার বলেন, ‘জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পর ধর্মমন্ত্রী মহোদয় পাঞ্জাবির পকেটে রাখা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফেলেন। জানতে পেরেছি, মন্ত্রী মহোদয় সেটিংয়ে এয়ারপ্লেন মুড অপশন চালু রেখে পাঞ্জাবির পকেটে মোবাইল সেটটি রেখেছিলেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এআইদেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। গত কয়েক দিন ধরে শেরপুরের তাপমাত্রা ৩৮-৩৯ ডিগ্রীতে উঠানামা করলেও মঙ্গলবার শেরপুরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে (সূত্র আবহাওয়া অফিস)। গতকাল সোমবার ছিল ৩৯ ডিগ্রীর উপরে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লার ইস্রাফিলের দেড় বছরের কন্যা ইসরা নামে এক শিশু মারা গেছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ঘরে বসবাস করা ইস্রাফিলের পরিবারের ওই শিশু গরমে অসুস্থ হলে হাসপাতাল পর্যন্ত আনা যায়নি। অপর দিকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে শেরপুর আফসর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবনা আক্তার নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে হাসপতালে ভর্তি করা হয়।
সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও জমসেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজের ডিগ্রীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ২৯ এপ্রিল নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি পাগার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গরমে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল গুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বেড়েছে। শেরপুর জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। শিশু ওয়ার্ড ৪০ শয্যার হলেও এখন এই ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়েছে। এদিকে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার প্রধান বাজার গুলোতে তীব্র গরমে করণীয় সম্পর্কিত ১০ দফা করণীয় নিয়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহরে উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেছেন, পারতে পক্ষে রোদে না যাওয়াই ভালো। বেশি বেশি পানি ও তরল খেতে হবে, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। শরীর খারাপ লাগলেই হাসপাতালে আসতে হবে।
এআই
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেবর মো. আপেল মিয়া (৩৫) ও তার ভাবী বিউটি আক্তার (৪০) রোববার (২৮ এপ্রিল) বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। প্রতিপক্ষ মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজের অপকর্ম প্রকাশ পেয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার গার্মেন্ট কর্মী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসে গৌরীপুর থানায় আসলে থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়ের কৌশলে বেড়িয়ে আসে গণধর্ষণের আসল তথ্য। ধর্ষণের আলামত তৈরি করতে রাতে আপেল মিয়া ও তার দু’বন্ধু মিলে ওই নারীকে গণধর্ষণের মতো একটি জঘন্যতম কাজ করে। ভাবী বিউটি ও দেবর আপেল পরিকল্পিতভাবে মামলার বাদী ও সাক্ষীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন প্রতিপক্ষ বাদী-সাক্ষ কে রক্ষা ও ধর্ষণের জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশংসায় ভাসছেন গৌরীপুর অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া আগপাড়া গ্রামের মো. সাদেক মিয়ার স্ত্রী মোছা. বিউটি আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ওই গার্মেন্ট কর্মী শনিবার (২৭ এপ্রিল/২৪) গণধর্ষণের ঘটনায় উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া আগপাড়া গ্রামের খন্দকার রায়হান হোসেন, খন্দকার আজমল হোসেন ও খন্দকার মো. লাক মিয়ার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই গার্মেন্ট কর্মী অভিযোগ করে আবু রায়হানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম চলছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করে। একই সময় মো. আব্দুস সাত্তারের পুত্র মো. আপেল মিয়া (৩৫) মুঠোফোনে পুলিশকে জানায়, গণধর্ষণের আসামী আবু রায়হান তার সামনে রয়েছে, আসলেই ধরতে পারবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু রায়হানকে আটক করে।
এরমধ্যে অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর তথ্যে গড়মিল পরিলক্ষিত হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। অফিসার ইনচার্জ এ সময় ৩জন নির্মাণ শ্রমিকের ছবি দেখিয়ে বলেন আমরা ধর্ষণে জড়িতদের আটক করেছি। আপনি (ধর্ষণের শিকার নারী) ‘আবু রায়হান’ চিহ্নিত করে দিন। তখন ওই নারী দীর্ঘদিনের সেই প্রেমিক হিসাবে সুন্দর গোলগাল চেহারার এক শ্রমিককে সনাক্ত করায় প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসে।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানায়, তাকে সঙ্গে করে বিউটি আক্তারের বাড়িতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল/২৪) গাজীপুর থেকে বেড়াতে নিয়ে আসেন। তার মা ও বিউটি একই গার্মেন্টে চাকুরী করে। শুক্রবার (২৬এপ্রিল/২৪) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে অন্য কক্ষে নিয়ে যায় বিউটি আক্তার। এরপরে সেখানে মো. আপেল মিয়া ও তার দু’বন্ধু ফজল মিয়া, শাহীন মিয়া পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। বিউটি আক্তার ও আপেল মিয়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করায়। প্রকৃতপক্ষে তিনি তাদের কাউকে চিনেন না।
এদিকে ওসির নির্দেশে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইমরান আল হোসাইন, রায়হানকে সনাক্তকারী ও তথ্যদাতা আপেল মিয়াকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে থানায় নিয়ে আসেন। ধর্ষণের মূলরহস্য বেড়িয়ে আসার বিষয়টি টের পেয়ে থানা থেকে পালিয়ে যান আপেল মিয়া। এরপরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে, আপেল মিয়াকে আবারও গ্রেফতার করেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায় জানান, ধর্ষণের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, জড়িত ২জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ওসি (তদন্ত) ইমরান আল হোসাইন জানায়, ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ ও ভিকটিমকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
অপরদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, আপেল মিয়ার স্ত্রী মোছা. তাসনিম আক্তার ২০২১সনের ২৬ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ৪, ৫ ও ৬ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনে জিরাফ প্রতীকে পায় ১হাজার ৭৯৫ ভোট। একই গ্রামের খন্দকার লাক মিয়ার স্ত্রী মোছা. জেসমিন আক্তার হেলিকপ্টার প্রতীকে পায় ১হাজার ৩৫৭ ভোট। তাসনিম আক্তারের পরাজয়ের পরপরেই জেসমিনের কর্মী-সমর্থক ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
২০২২সনের ৮ ফেব্রুয়ারি আপেল মিয়ার নেতৃত্বে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খন্দকার রায়হান হোসেন বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি ও খন্দকার রায়হান হোসেন গংদের আসামী করে ১২ ফেব্রুয়ারি বিউটি আক্তার বাদী হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। খন্দকার রায়হানের মামলায় আপেল মিয়া জেলহাজতে ছিলেন। এতে ওরা আরও ক্ষুব্দ ও প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে উঠে।
ওই নির্বাচনের জেরে হামলা-মামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ খন্দকার রায়হান হোসেন গংদের ফাঁসাতে আপেল মিয়া ও বিউটি আক্তারের পরিকল্পনায় গার্মেন্টকর্মীকে নিজেরা গণধর্ষণ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অপচেষ্টা চালায়। তবে ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন ২হাজার ৬৮ ভোট পেয়ে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী মোছা. হোসনে আরা বেগম।
এমআর
ময়মনসিংহের ভালুকায় তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও স্বস্তির বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সিডষ্টোর বাজারস্থ হযরতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ নামাজ (ইসতিসকার) পরিচালনা করেন সিডষ্টোর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব, হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়াহইয়া সুতারপুরী।
নামাজ ও বিশেষ দেয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মুসুল্লিরা আল্লাহ’র সাহায্য কামনা করে কান্নাকাটি করেন।
এমআর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজু আহমেদ (৩১) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর বালিয়ামারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার ইজ্জত শেখের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে কৃষক রাজু আহমেদ তার বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে সেচ দিতে যান। এসময় বৈদ্যুতিক পাম্প চালু করতে সুইচ দিতে গিয়ে আগে থেকেই সুইচটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকা সুইচে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (০১ মে) সকালে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রহমান লিটন জানান, আজ আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে ছুটি থাকায় দিবসটি উদযাপনে দুই দেশের পরিবহণ শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়িরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এ কারণে আজ বুধবার সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০২ মে) থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, মে দিবস উপলক্ষে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মতো আজও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা চলাচল করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
এআই
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ‘চাচির বঁটির কোপে’ দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশুর নাম দিশা। সে ওই গ্রামের অটোরিকশা শ্রমিক দুলালের মেয়ে। আটক চাচির নাম কামনা বেগম (৩২)। তিনি দুলালের বড় ভাই সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত শিশুর মায়ের বরাত দিয়ে তার আরেক চাচা ফখরুল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একমাত্র মেয়ে দিশাকে নিয়ে মা শাবনুর নদীকে কাপড় কাচতে যান। দিশাকে ফখরুলের স্ত্রীর কাছে দিতে বলে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা কামনা বেগম দিশাকে কোলে নেন। শাবনুর বাড়িতে ফিরে দিশাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় কামনার ছেলে সিদ্দিক (১৫) তাদের ঘরে গিয়ে দিশাকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কামনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ফখরুল বলেন, ‘কামনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। বঁটি দিয়ে কুপিয়ে দিশার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছেন। সবার সামনে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। ’
ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওহিদুন্নবী ও সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে।
হত্যার কারণ কী জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘পরিবার ও স্থানীয়রা বলেছেন যে ওই নারী মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এফএস
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক চাষির লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ টি লাউ ধরায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ কদমেরতল এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেনের রান্না ঘরের চালে লাগানো একটি লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ টি লাউ ধরেছে। একটি ডগায় এক সঙ্গে ১৮ টি লাউ দেখার জন্য প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে কৃষক ইসমাইল হোসেনর বাড়ীতে।
কৃষক ইসমাইল হোসেন জানান,সাত থেকে আট মাস আগে বাজার থেকে একটি লাউ গাছের চারা কিনে আনেন তিনি। তারপর একটি বস্তার মধ্যে জৈব সার ও মাটি ভরে লাউয়ের চারাটি সেখানে রোপন করেন।
কিছুদিন পর চারা গাছটি বেড়ে উঠলে রান্না ঘরের চালে লাউয়ের ডগা উঠিয়ে দেন তিনি। এক পর্যায়ে লাউ গাছটি গোটা চালে ছড়িয়ে যায় এবং এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ টি লাউ ওই গাছ থেকে ছিড়ে তারা রান্না করে খান। কিন্তু গত ১৫ দিন আগে গাছটির গোড়ার দিকের একটি ডগায় এক সাথে অনেক গুলো লাউয়ের জালি দেখতে পান তিনি। পরে গুনে দেখেন সেখানে একসাথে ১৮ টি জালি লাউ রয়েছে। লাউয়ের জালি গুলো বর্তমানে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক ডগায় এক সাথে ১৮টি লাউ ধরার খবর শুনে প্রতিদিনই আশপাশের অনেকেই আসছেন লাউগুলো দেখতে।
লাউ দেখতে আসা কবির মামুদ গ্রামের মিথুন মিয়া ও ফজলুল হক জানান, লাউ গাছের একটি ডগায় একসাথে এতগুলো লাউ কোনদিনও দেখিনি। আজ লাউ গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে। একই এলাকার ফিরোজ ও একরামুল হক জানান, জীবনের এই প্রথম এক সাথে একটি ডগায় ১৮ টি লাউ ধরা দেখলাম। সব আল্লাহের কৃপায় সব হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, কৃষক ইসমাইল হোসেনের লাউ গাছের একটি ডগায় এক সাথে ১৮ টি লাউ ধরার খবরটি শুনেছি এবং ছবিও দেখেছি। এটা জেনেটিক সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না, তবে এটা কৃষকের জন্য খবই ভাল। আমি আজকালের মধ্যে সেখানে যাব এবং এটা নিয়ে আমরা কাজ করবো।
এমআর
বিরামপুর উপজেলার কৃষকদের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে আউশ ধানের বীজ, পাটবীজ ও পেঁয়াজ বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি চত্বরে সার-বীজ বিতরণের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন।
এসময় তার সাথে ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভার:) কৃষিবীদ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মণ্ডল, মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার আলী, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন প্রমূখ।
৬০০ কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল আউশ বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি, ১২০ জন কৃষকরে মাঝে ১কেজি করে পাট বীজ এবং ৪০জন কৃষকের মাঝে কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি এমওপি ও ২০ কেজি করে ডিএপি বিতরণ করা হয়েছে।
এআই
দিনাজপুরের বিরামপুর রেলষ্টেশনে ট্রেনের বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিরামপুর রেলষ্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার হাবিবপুর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র এবং হাবিবপুর গ্রামের মেহেদুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্ধুদের সাথে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বকুল চিলাহাটি এক্স্রপ্রেস ট্রেনে বিরামপুর স্টেশনে ওঠে। ঘটনাক্রমে তার এক বন্ধুর ব্যাগ ট্রেন থেকে নিচে পড়ে গেলে বকুল তা তুলতে যায়। সে সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করাকালে বকুল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়। তাকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস তাকে মৃত: ঘোষণা করেন।
বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে এবং পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শ্রমিক-মালিক হাতে হাত রেখে একসাথে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। শ্রমিক-মালিক এক না হলে বা শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি না পেলে তারা কাজ করতে পারে না। আমাদের শ্রমিক যেনো কোন ভাবে শোষিত না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে কোন শ্রমিক আর শোষিত হতে দিতে চাইনা।
বুধবার (০১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর উদ্বৃত্তি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত। শোষক এবং শোষিত। তিনি ছিলেন শোষিতের পক্ষে। অর্থ্যাৎ শ্রমিকের পক্ষে বা খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে। দেশে জমি ও মানুষ আছে। এ দেশে শ্রমিক, কৃষক ও মজুর আছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে ইনশাল্লাহ।
এসময় জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সভাপতি ডি.এম আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন সহ অন্যরা।
পরে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সহ শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
এআই
নাটোরের গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুঞ্জুর ইসলাম মঞ্জুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালপুর উপজেলার গোপালপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪৫) গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের পাশের বাহাদিপু এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে।
জানা গেছে, রাতে স্টেশনের একটি কনফেকশনারির দোকানে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বসে ছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজনের একটি দল মোটরসাইকেলে এসে স্টেশনে নামে। পরে তারা হেঁটে এসে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর মাথায় ও বুকে দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, মঞ্জু গোপালপুর বাজারে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এসে মুঞ্জুরের মাথায় ও পেটে গুলি করেন। দুর্বৃত্তরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
অপরদিকে রাত ১২টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এআই
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ২০ পিস ইয়াবাসহ কাউসার আহমেদ (২৮) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক কাউসার আহমেদ পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার হাবিবপুর এলাকার হোসেন আলীর ছেলে এবং বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি দপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। অপরজন একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে ভ্যানচালক মাসুদ আলী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশ কাউসার আহমেদের ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এমআর
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থকের বিরুদ্ধে। তবে দুলাল মিয়া সরদার এবং অভিযুক্ত সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পর মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। এমনকি "মশিউরের গালে গালে, জুতা মার তালে তালে" স্লোগানও দিচ্ছেন তারা।
এ নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক মেহেদী হাসান রিটার্নিং অফিসার ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পলাশের মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারণা অফিস স্থাপন করা হয়। সেখানে ঘটনার দিন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম দলীয় রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে ১০/১২ জনের দলবল নিয়ে সেই অফিসে চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার এবং মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম।
তাদের অভিযোগ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ষড়যন্ত্র করে নিজেই নিজের অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
অভিযুক্ত মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো। মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা সেখানে টাঙানো আমাদের দোয়াত কলম প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে। পরে আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওসি স্যারকে জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে তারা ভয় পেয়ে নিজেরাই নিজেদের অফিসে ভাংচুর করে আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। যে অভিযোগ করেছে সেই মেহেদী অবসর চৌধুরির লোক। সে অবসরের ভোট করেছে। এখন গা বাঁচাতে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে চৌমুহনী বাজারে নিয়ে গিয়ে মারবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ওরাই আমাদের পোস্টার ছিঁড়েছে তবে আমরা কোন অভিযোগ করিনি। পরে ওরা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাংচুর করেছে। এসব নোংরামু করে কি হবে। এসব ভাল কাজ নয়।
মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, দুলার মিয়া সরদারের সমর্থক মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম তাঁর দলবল নিয়ে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
তারা নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করছে। তবে জনগণ তাদের এসবে ভয় পায়না।
ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ রিটানিং কর্মকর্তার মাধ্যমে পেয়েছি। অভিযোগে বর্নিত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
পিএম
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজন করে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
এমআর
''শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার ও শ্রম অধিদপ্তর এর আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (০১ মে) জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে মহান মে দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড.উর্মি বিনতে সালাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো: জিল্লুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান (পিপিএম-বিপিএমবার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মোঃ আব্দুস সালাম চৌধুরি,সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাসরিন চৌধুরি ও জেলা আওয়ামীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর আসাদ হোসেন মক্কু, জেলা ট্রাক,লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আজাদুর রহমান অদুদ,মৌলভীবাজার জেলা বাস, মিনিবাস,মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ছালেহ আহাম্মদ, জেলা অটো টেম্পু, অটোরিকশা মিশুক, সিএনজি সড়ক পরিবহনের সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান জেলা অটো মোবাইল ওয়াকশপ ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রব প্রমূখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রমঅধিদপ্তর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম।
প্রতি বছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যাপন দিবস। ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন।
প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়।
এআই
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দেশের অন্য অঞ্চলের মতো শ্রীমঙ্গলেও সাধারণ জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকরা। বিশেষ করে উপজেলার চা শ্রমিকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
বৈশাখের তীব্র খরতাপে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কয়েকটি চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রচণ্ড গরমে বাগানে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকদের কেউ কেউ হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি ও পেটের পীড়ায়ও ভুগছেন অনেক শ্রমিক।
উপজেলার শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগান ও দেওছড়া চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও উঁচু টিলার ওপর পাতা তুলছেন বাগানের চা শ্রমিকরা। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পালাক্রমে দিনভর কাজ করতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের।
কয়েকজন চা শ্রমিক জানান, তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করে তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা, দুপুর ১২টা থেকে ২টা ও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন শিফটে বাগানে কাজ চলে। রোদ ও গরমের কারণে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় তাদের প্রতিদিনকার মজুরি কমে যাচ্ছে।
চা শ্রমিক বাসন্তী বাউরী জানান, সারাদিনে যেখানে ৩০ থেকে ৪০ কেজি পাতা তোলার কথা, সেখানে মাত্র ৮ থেকে ১০ কেজি পাতা তুলতে পারছেন তিনি। ফলে দৈনিক বাধ্যতামূলকভাবে যে পরিমাণ পাতা তুলতে হয়, সেই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হচ্ছে না।
শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগানের চা শ্রমিক অলকা বালা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও বাগানের হাসপাতালে ওষুধ নেই। এ অবস্থায় চা শ্রমিকদের বাগানের ভেতরে কাজ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শ্রীমঙ্গল কয়েকটি চা বাগানের ম্যানেজার আলাপকালে জানিয়েছেন, তাদের বাগানে শ্রমিকদের জন্য শতভাগ ওষুধ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া গরমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ৩০ এপ্রিল মৌলভীবাজারের শ্রীঙ্গমলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত এক সপ্তাহের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আরও কয়েকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অথবা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মে মাসের প্রথম থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) প্রণয় কান্তি দাস জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে এবার কিছু ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং তারা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে উপজেলার সর্বত্র লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
এআই
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ২০২১ সালে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কলেজছাত্র তানভীর হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের মো. উজ্জ্বল মিয়া, নুরপুর গ্রামের মো. জাহিদ মিয়া ও রোমান মোহাম্মদ শান্ত।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।
তিনি জানান, মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং তাদের তিনজনের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার আরেক আসামি মো. লিমন মিয়াকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
তথ্য মতে, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামি উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল। ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত।
পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।
এআই
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ১টি বসত ঘর পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৩০শে এপ্রিল) সকাল ১১টায় সদর ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামের বারইকান্দি উত্তর পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ছুরুক মিয়ার ১টি বসত ঘরসহ নগদ টাকা স্বর্ণ অলংকার পুড়ে যায়।
আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই আগুনে ১টি বসত ঘরসহ ঘরে থাকা সব মালামাল জ্বলে নষ্ট হয়ে যায়।
ক্ষতিগস্ত ছুরুক মিয়া জানান, আগুনের শব্দ শুনে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় কিন্তু ততক্ষণে ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। ঘর থেকে আমরা কেউ কোন জিনিসপত্র বের করতে পারিনি এখন সবকিছু হারিয়ে আমার পরিবারের সকল নিঃশ্ব হয়ে গেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত ছুরুক মিয়া আরও জানান, আমরা সকল ভাইয়ের পরিবারের সদস্য মিলে একসাথে তাকি আমাদের অনেক বড় ঘর আমাদের বসত ঘরে আলমারিতে নগদ ১০ লক্ষ টাকাসহ স্বর্ণ অলংকার সহ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিলাল আহমেদ নামে স্থানীয় একজন জানান,তাদের বসত ঘর অনেক বড় এবং ঘরসহ সকল আসবাব জিনিসপত্র সহ সব আগুনে পুড়ে আনুমানিক ৩০থেকে ৪০লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে।
নবীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দিলে তারা জানান, সকাল ১১ টায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তার আগেই তাদের ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে যায়। ধরণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এমআর
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তগলীতে মাছ বোঝাই পিকআপ ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৬ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- পিকআপ চালক চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৬) ও হেলপার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং (পূর্ব নোয়াগাও) গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে রিপন মিয়া (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে সুতাং বাজার থেকে মাছ বোঝাই পিকআপটি (ঢাকা মেট্রো ন ১৯-২৩২১) বাহুবল বাজারে কিছু মাছ দিয়ে শ্রীমঙ্গল হয়ে জুড়ী যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী নামক স্থানে পৌঁছে। সিলেটগামী সিমেন্ট ট্রাক (ঢাকা মেট্রো শ ১৩-০৫৭৩) তগলী নামক স্থানে পৌঁছলে উভয় গাড়ীর সংঘর্ষে পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালকসহ দুইজন মারা যান।খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি দুর্ঘটনার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এমআর