বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোরগঞ্জে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ারেসুজ্জামান টুটুলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের নগুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ ওয়ারেসুজ্জামান টুটুল জেলা শহরের নগুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকার মৃত হাজী আঃ আলী মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, গত (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূরসহ দলের অন্য নেতাদের হুকুমে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তা ছাড়া একই সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গুলিতে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাদী সাজ্জাদ হোসেনসহ অনেকে আহত হন।
হামলার ঘটনায় মো. সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে গত (৭ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সৈয়দা জাকিয়া নূরসহ আওয়ামী লীগের ৬২ নেতা-কর্মীর নামে ও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মো. ওয়ারেসুজ্জামান টুটুলসহ অন্যান্য আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাতস্থানে পলাতক ছিলেন। আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মামলা দায়ের পর থেকে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি মো. ওয়ারেসুজ্জামান টুটুলকে গতকাল শুক্রবার রাতে জেলা শহরের নগুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মো. ওয়ারেসুজ্জামান টুটুল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমআর