চকরিয়া উপজেলা সদরের পৌর কাঁচা বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ক্রেতা সাধারণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কৃষকদেরকে সরাসরি খুচরা বাজারে মাল বিক্রি করতে দেয় না এ বাজার সিন্ডিকেট। একইভাবে ঘরোয়া পরিবেশে পালন করা হাস মুরগি ও শুকনো মাছ পর্যন্ত বাজারে ডুকতে দেয় না। প্রান্তিক পর্যায়ের ছোট-বড় কৃষকরাও খুচরা বাজারে সবজি তুলতে পারে না।
ফলে পাইকারি বাজারের চেয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে সাধারণ মানুষের বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য চড়া দামে ক্রয় করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসটার্মিনালস্থ পাইকারি বাজারের তুলনায় কাঁচা শাক-সবজি খুচরা বাজারের দোকানে প্রায় দ্বিগুণ বেশি । অন্যান্য পণ্যের দামেও বিশাল পার্থক্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সকল এলাকায় পাইকারি বাজার এবং মহল্লার খুচরা বাজারের দামের পার্থক্য প্রায় অনেক বেশি । অর্থাৎ পৌর শহরের সকল খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি অঘোষিত সমঝোতা ( সিন্ডিকেট) রয়েছে যার মাধ্যমে সকল পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় ।
একাধিক কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, প্রতিদিন ভোরে পাইকারি বাজারে কেনা-বেচার সময়ই খুচরা বাজারের দাম নির্ধারণ হয়ে যায়। মোবাইল ফোন অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে সকল খুচরা ব্যবসায়ী এই মূল্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে যান এবং প্রায় একই দামে সকল এলাকায় পণ্য বিক্রি করেন।
চকরিয়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মাসউদ মোর্শেদ বলেন, কাঁচাবাজার সংলগ্ন সাবেক পান-সুপারির বাজারটি খালি করা হয়েছে সরাসরি কৃষকরা সবজি বিক্রি করার জন্য।ফলে অবৈধ সিন্ডিকেটে যারা জড়িত তারা সমস্যা করতে পারবে না।
চকরিয়া উপজেলার সদ্য বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের জন্য থানা সেন্টার ও কাঁচাবাজারের এক পাশে দুটি স্থান নির্ধারিত থাকলেও কৃষকরা সেখানে বাজার নিয়ে যায় না।
এআই