মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১২ (১) ধারা অনুসারে জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল খান, কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে ২৬ নভেম্বর নিয়োগ করা হয়। কিন্তু নিয়োগ পাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে বির্তক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন তিনি বিতর্কিত ভিসি কলিমুল্লাহ এর এর ঘনিষ্ঠ ।এছাড়া একজন সেনা কর্মকর্তাকে কেন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের ভিতরে আলোচনা-সমালাচনা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার ( ২৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন এবং তার অপসারণ চেয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে তারা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল কে এ বিষয়ে অনবগত করে, কোন ভাবেই যেন ট্রেজারার যোগ দিতে না পারে সে বিষয়ে দাবি তোলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে এক শিক্ষার্থী বলেন, যে রাষ্ট্রপতি নিজেই বিতর্কিত তার সিগনেচারে একজন ট্রেজারার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন যে ব্যাক্তি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করেছেন ।এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি , অনিয়মের সাথে জড়িত।একই সাথে বিতর্কিত ব্যক্তি কলিমুল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কলিমুল্লাহ এর নেতৃত্বে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এসময় বিক্ষুব্ধ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কোনো কার্যক্রম করার সুযোগ দিবো না,তাকে এই ক্যাম্পাস কখনো মেনে নিবে না। শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করব না , শহীদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে চাই।তিনি যদি অফিসে আসার কোনোভাবে চেষ্টা করেন আমরা তাকে প্রতিহত করব। এবং ভুলক্রমে যদি রাতের আঁধারে তিনি যোগ দিতে আসেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে মেনে নিবে না।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, ট্রেজারার সরকার নিয়োগ দিয়েছেন এতে আমাদের হাত নেই। সম্প্রতি সময়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে অধ্যাপক ড কলিমুল্লাহ ও সর্বশেষ তার সহকর্মীর ট্রেজারার হওয়ার সাথে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সম্পর্ক আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উত্তর দেওয়া কঠিন। শীঘ্রই এ বিষয়ে জানা যাবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাকরিকাল গণনা সংক্রান্ত কমিটি, একাডেমিক কমিটি এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্য করা হয়। পরবর্তীতে, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পূর্বতন চাকরিকাল গণনা সংক্রান্ত কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। তবে বাকি দুটি কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করেনি রেজিস্ট্রারের কার্যালয়।
এইচএ