বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অচিরেই একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, "৫৪তম বিজয় দিবস আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তাবেদার মাফিয়া চক্রের পতন হয়েছে এবং জনগণের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো জনগণ। জনগণের ভোটাধিকার এবং জবাবদিহিমূলক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত। তিনি বলেন, "ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। বিএনপি এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।"
তারেক রহমান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের রোডম্যাপ ঘোষণা করে এবং জনগণের কাছে স্বচ্ছ থাকে। তিনি বলেন, "রাষ্ট্র ও সমাজ মেরামতে কতটা সময় প্রয়োজন সেটি জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।"
তারেক রহমান ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার, চিকিৎসা খরচের চাপ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলেন, "সংস্কারের নামে সরকার যদি সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণের কাছে 'সংস্কার আগে না সংসার আগে'—এ প্রশ্ন সামনে আসবে।"
তিনি বলেন, "বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে, যার লক্ষ্য একটি মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া। লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিটি নাগরিককে দায়িত্ব নিতে হবে।"
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এবং সেলিমা রহমান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গত আগস্টে পূর্বতন সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে। এমন সময়ে তারেক রহমানের এই বক্তব্য ভবিষ্যৎ নির্বাচনি প্রক্রিয়া এবং রাষ্ট্র সংস্কারের দিকনির্দেশনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এসএফ