বছর দুয়েক আগে শুরু হওয়া কাজের পারিশ্রমিক এখনও না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তরুণ অভিনেত্রী আইশা খান। পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।
বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ এনে নির্মাতাকে মেনশন করে অভিনেত্রী লেখেন, 'আপনার ভাষ্যমতে আমি যদি একজন লক্ষ্মী শিল্পীই হয়ে থাকি, তাহলে ২ বছর আগে শুরু হওয়া কাজের রেমুনারেশন (পারিশ্রমিক) আমাকে দিতে এত অপেক্ষা করাচ্ছেন কেন আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়া ভাইয়া?'
এরপর তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লে-কে উল্লেখ করে বলেন, 'দীপ্ত প্লে, আপনারা কেন পরিচালকের থেকে প্রতিটি শিল্পীর সাইন করা এনওসি (অনাপত্তিপত্র) আগে সংগ্রহ করে পুরো কাজের বিল তাকে পরিশোধ করেন না?'
দীপ্ত প্লের কর্মকর্তা সাইফুর রহমান সুজনকে মেনশন করে অভিনেত্রী লেখেন, 'আপনি কি জানেন ভাইয়া আপনার কাছ থেকে পুরো পারিশ্রমিক পাওয়ার পরও হায়াত ভাইয়া আমার বকেয়া পারিশ্রমিক শোধ করেননি?'
আইশা লেখেন, 'এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট আমার প্রতিটি সিনিয়র সহশিল্পী তাদের রেমুনারেশন পেয়েছেন। তাহলে আপনার সেটে, আপনাকে কাজে সহযোগিতা করার পরেও আমার সাথে এই বৈষম্যমূলক আচরণ কেন হায়াত ভাইয়া?'
সবশেষে তিনি লেখেন, 'আপনাকে গত সপ্তাহে অভিমানের সাথে অনুরোধ করে করা খুদেবার্তা কি এতটাই অগ্রহণযোগ্য যে আপনি/আপনার টিমের কেউ আমাকে কোনো কিছু বলারও প্রয়োজন মনে করলেন না? নাকি এখনও অসুস্থতা অথবা কাজের দোহাই দিয়ে যাবেন বিগত ১০ মাসের মতো?'
পরে এ বিষয়ে আইশার সঙ্গে যোগোযোগ করার চেষ্টা করেছেন হায়াত মাহমুদ। গণমাধ্যমে আইশা বলেন,"আমি পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উনি (আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়া) আমাকে কল দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি খুব আপসেট ছিলাম। কারণ কষ্ট বেশি না পেলে এ ধরনের পোস্ট আমি দিই না। সেখানে দুই বছর হয়ে গেছে এবং গত আট মাস ধরে তিনি একই অজুহাত দিচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্য অসুস্থ, হাতে টাকা নেই, শুটিং চলছে, সামনের মাসে টাকা এলেই আমাকে দিয়ে দেবে- বিষয়গুলো গত দশ মাস ধরে শুনছি। আর শুনতে চাচ্ছিলাম না। এ জন্য আমি ফোনটা ধরিনি। এর পাঁচ মিনিট পর দেখি উনি আমাকে 'থ্যাঙ্কস' লিখে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।"
জানা যায়, দীপ্ত প্লের একটি সিরিজে কাজ করেছিলেন আইশা খান। ২০২২ সালের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে শুটিং শুরু হয়। ২৬ পর্বের কাজ ছিল। মাসে একদিন করে শুটে যেতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সবশেষ এ বছরের কোরবানি ঈদে তাঁকে বিল দেন পরিচালক।
এদিকে, প্রযোজনা সংস্থা থেকে পারিশ্রমিকের পুরোটাই পরিচালককে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আইশা বলেন, 'দীপ্ত প্লের কর্মকর্তা সুজন ভাই আমাকে বললেন, আর্টিস্ট পছন্দ করা ছাড়া সিরিজটির কোনোকিছুতে তারা হস্তক্ষেপ করেননি। পরিচালকের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। সবার পারিশ্রমিকও পরিচালককে বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা।'
প্রশ্ন রেখে আইশা বলেন, 'আমার কথা হচ্ছে একজন শিল্পীকে এসব বিষয় নিয়ে ভুগতে হবে কেন?' তবে এ বিষয়ে এখনও পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।