চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি সড়কের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার এলাকাবাসীর। সড়ক নদীতে বিলিন হয়ে গেলেও বছরের পর বছর অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন এখনকার বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই সড়ক নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই। দ্রুত সড়কের সংস্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ নিউ বারোনী সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাঁশখালী, আজমপুর, পাতকোট, মুহুরী প্রজেক্ট গ্রামের প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। বিশেষ করে ওচমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ওচমানপুর দাখিল মাদরাসা, যাত্রামোহন স্কুল, পাতাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গাচোরা ও কয়েকটি অংশে ফেনী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে কোনমতে মানুষের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় ২ থেকে তিন ফুট রাস্তায় চলাচল করতে হয়। সড়কের ওই অংশ দিয়ে কোন সিএনজিচালিত অটোরিকসা ও রিকসা চলাচল করতে পারেনা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে একেবারে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব। সম্প্রতি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ওই এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ ছিলনা।
স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী জানান, একটি সড়কের জন্য আমরা বছরের পর বছর দুর্ভোগে রয়েছি। নদী দখল করে মৎস্য প্রকল্প করায় বর্ষাকালে পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্থ করে আমাদের গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি নদীগর্ভে চলে গেছে। এলাকার যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গাড়ি চলাচল সম্ভব হয়না। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার বারবার আশ্বাস দিলেও কোন কাজ করেছি। এখানকার বেশীরভাগ মানুষ বিএনপি-জামায়াত সমর্থক হওয়ায় বিগত ১৬ বছরে এক টাকার কাজও করেনি। তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবুল হক তার বাড়ি পর্যন্ত কার্পেটিং করে আর কাজ করেনি।
ওচমানপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুল হক বলেন, সড়কের আমার বাড়ি পর্যন্ত বেশী গর্ত থাকায় কার্পেটিং করা হয়েছে। এরপর পুকুরের পাড় ও নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি। তারপরো প্রথমে মাটি দিয়ে কাজ করতে হবে। রাস্তা বড় করে তারপর সলিং করা হবে।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ওচমানপুর ইউনিয়নের নিউ বারোনি সড়কের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এলাকাবাসীও বিষয়টি আমাকে অবহতি করেনি। আমি শীঘ্রই উপজেলা প্রকৌশলীকে পরিদর্শনে পাঠাবো। এরপর সড়কের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমআর