এইমাত্র
  • মোংলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৫০ রোগী
  • রেমিট্যান্স ডলারের দাম বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • মুন্সীগঞ্জে দুই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
  • ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের অপসারণ দাবি
  • পাকিস্তান সুপার লিগের ড্রাফটে বাংলাদেশি তারকা
  • বার্সেলোনা শিবিরে আবারও চোটের ধাক্কা
  • ভারত থেকে আমদানি চালের প্রথম চালান দেশে আসবে বৃহস্পতিবার
  • পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানের নিহত বেড়ে ৪৬
  • মেহজাবীনকে ভালোবাসার আলিঙ্গন মিমি-জয়া আহসানের!
  • নির্মাতার বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ আইশা খানের
  • আজ বুধবার, ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    আধুনিকতার যুগে কালের সাক্ষী ডাকবাক্স

    রবিন খান, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম
    রবিন খান, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম

    আধুনিকতার যুগে কালের সাক্ষী ডাকবাক্স

    রবিন খান, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম

    বর্তমানে আধুনিকতার যুগে ডাক বাক্স যেন এক সোনালী অতীত, এক সময়ের সেই ডাক বাক্সের কদর আর আগের মত নেই, ডাক বাক্সে চিঠি ফেলে দিয়ে কবে তার প্রিয়জন সেই চিঠি পাবেন এই অপেক্ষার প্রহর আর কেউ পোহায় না। স্বামী স্ত্রীর কাছে, স্ত্রী -স্বামীর কাছে আবেগ প্রবণ হয়ে আর কোন চিঠি যেমন লেখেন না, অনুরুপ ভাবে মা-বাবা তার সন্তানদের আবার সন্তান তার বাবা- মায়ের কাছে কিংবা কোন প্রেমিক- প্রেমিকা তার প্রিয় জনের কাছে চিঠি লিখে ডাক বাক্সে আর দিয়ে আসেন না।

    বর্তমান সময়ের মানুষরা তার প্রিয় জনের কাছে মোবাইল বা টেলিফোনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সেরে ফেলেন। মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেটে ফেসবুক, ম্যাসেনজার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম ও টেলিগ্রাম এ্যাপসের মাধ্যমে প্রিয়জনের কাছে দ্রুত ভাব বিনিময় করা যায় এটা সত্য, কিন্তু প্রকৃত অর্থে লেখনীর মাধ্যমে যে আবেগ প্রবণ ভালবাসার কথা সুন্দররূপে ফুটে ওঠে কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তেমনভাবে ফুটে উঠে না।

    প্রিয়জনের কাছ হাতে পাওয়ার যে আনন্দ এবং সেই চিঠির জন্য অপেক্ষা কি যে মধুর তখনকার প্রিয়জনরাই তা অনুভব করতেন। সময়-কাল পাল্টে গেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়, সকলের মন -মানসিকতাও পাল্টে গেছে সেই ছোঁয়াতেই। সময় নষ্ট করে আর কেউ যেমন চিঠি -পত্র লেখেন না, তেমনি চিঠি অনেক দেরি করে প্রিয়জনের হাতে পৌঁছে যাক এটাও কেউ আর তেমনটা চায় না।

    কথা হয় নাটোরের সিংড়ায় ডাকঘরে চিঠি রিসিভ করতে আসা সামাউন আলী নামের এক যুবকের সাথে, তিনি জানান আমি একজন খণ্ডকালীন প্রভাষক ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরত রয়েছি আমি এখানে আমার এক জরুরি চিঠি রিসিভ করতে এসেছি, ডাকঘরের কার্যক্রম বিষয়ে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি যতটুকু জানি আমরা বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার কারণে তুলনামূলক ভাবে আগের চেয়ে ডাকঘরের ব্যবহার অনেকটাই কম। এখন ডাকঘরের মাধ্যমে সব ধরনের নথিপত্র আদান-প্রদান হয় না, এখন সরকারি অফিসিয়ালি কিছু কার্যক্রম গুলো ডাকঘরের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

    প্রসঙ্গক্রমে সিনিয়র সাংবাদিক এসএম রাজু আহমেদ বলেন, ২০০২ সালে আমি যখন সাংবাদিকতায় নতুন তখন দেখেছি, সংবাদ কর্মীরা রাতে সংবাদ লিখে খোলা চিঠির খামে ভরে ডাক বাক্সে ফেলে দিয়ে আসতো, কয়েক দিন পর সেই সংবাদ ছাপা হতো। এরপর পত্রিকা অফিস ডাকযোগে সেই পত্রিকা পাঠাতো, সেই ছাপানো খবর পড়ার জন্য কখন ডাক পিয়ন ডাকবাক্স খুলবে তার জন্য আগে থেকে পোস্ট অফিসে এসে অপেক্ষা করতো সংবাদকর্মীরা। আধুনিকতার যুগে সবই যেন এখন কালের সাক্ষী।

    সিংড়া উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার রজব আলী মোল্লা জানান, আগের দিনের মত এখন আর চিঠি পত্র লেনদেন হয় না। বর্তমানে পোষ্ট অফিসে ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার, ই - কমার্স, রেজিষ্ট্রি সেবা, বীমা, পরীক্ষার খাতা পাঠানো ইত্যাদি কাজগুলো হচ্ছে। তবে অনেক গ্রাহকেরই দাবী পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পরিবার সঞ্চয় পত্র চালু করার।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…