বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, নির্বাচন হলে জনগণের ভোটে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। ক্ষমতায় বড়াই করতে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে নির্বাচন দিলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর হাসপাতাল মোড়ে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মোদী (নরেন্দ্র মোদী) খুব রাগ করেছেন হাসিনাকে কেন খেদাইলাম। হাসিনা থাকতে তো বাজার ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ভারতের মতো একটা বিশাল দেশ তাদের দ্বিতীয় রেমিট্যান্স যেতে বাংলাদেশ থেকে। বোঝেন ভারত কত টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যেতো! আমাদের ছেলেমেয়েরা চাকরি পায় না, ভারতের লোকজন এসে এখানে চাকরি করে। কীভাবে চাকরি হলো? চাকরি করারও তো কিছু নিয়ম রয়েছে। ট্যাক্স দিতে হবে সেটাও দেয়নি। আমার রাস্তা দিয়ে ভারতের গাড়ি চলবে, সেটারও ট্যাক্স দেয়নি।
আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘বন্যার সময় আমাদের ভাসিয়ে দেবে, শুকনোর সময় পানি না দিয়ে মরুভূমি করবে। এগুলো বলা যাবে না, এগুলো বললেই আমরা ভারতবিরোধী। আমরা ভারতের বিরুদ্ধে না, আমরা নিজেদের পক্ষে। আজ স্বাধীনতার এত বছর পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী কীভাবে (বলার) সাহস পান যে, ১৬ ডিসেম্বর তাদের বিজয় দিবস। আমরা ধিক্কার জানাই।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছি কারও দয়ায় না। ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তার মানে এই না আমার দেশটা বেইচা দিছি। এই দেশ সিকিম না ভুটানও না, এটা বাংলাদেশ। কাজেই কেউ ইচ্ছা করলেই এই দেশ দখল করতে পারবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল সালাম সাগর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসাসের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত আজিজ, হোসেনপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ, হোসেনপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিব, নূরে আলম এরশাদ, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মেহেদী হাসান সাব্বিন, কিশোরগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির কিবরিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, হোসেনপুর উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম পারভেজ, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান সারোয়ার, হোসেনপুর উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ।
এমআর