গত দেড় বছর ধরে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজারে। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। তবে, অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পরিসংখ্যানকে ভুল দাবি করলো লন্ডনভিত্তিক বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা।
পিয়ার রিভিউড জার্নালটিতে প্রকাশিত সমীক্ষাটির দাবি, প্রাণহানির প্রকৃত তথ্য দিতে পারেনি হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্তত ৪১ শতাংশ কম করে দেখানো হয়েছে নিহতের সংখ্যা। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকদের এক সমীক্ষায় পাওয়া গেছে এ তথ্য।
প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, গাজায় আগ্রাসন শুরুর প্রথম ৯ মাসে প্রাণহানি ছিল ৬৪ হাজারেরও বেশি। যদিও তখন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৩৭ হাজারের বেশি বলে উল্লেখ করে। ধারণা করা হচ্ছ্ নথিভুক্ত হয়নি বহু মৃত্যুর তথ্য। গবেষণায় বলা হয় প্রাণ হারানোদের ৫৯ শতাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক।
ব্রিটিশ ঐ গবেষকরা বলছেন, গাজার যুদ্ধপূর্ব জনসংখ্যার ২ দশমিক ৯ শতাংশই বিলুপ্ত হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়। প্রতি এক হাজার জনে গড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরেই ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাম লিখিয়েছেন মৃত্যুর খাতায়। তবে, ল্যানসেটে প্রকাশিত এমন গবেষণার বিপরীতে মন্তব্যহীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজায় আগ্রাসন শুরুর প্রথম ৯ মাসে সংঘঠিত হত্যাযজ্ঞের ওপর পরিচালিত হয় গবেষণাটি। ব্যবহার করা হয় ক্যাপচার-রিক্যাপচার পরিসংখ্যান পদ্ধতি। যাতে, শুধুমাত্র বিস্ফোরণজনিত কারণে নিহতদেরই রাখা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কিংবা খাবারের অভাবজনিত কারণে মৃত্যুকে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণহানি এক লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে মেডিকেল জার্নালটি। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৬ হাজার।
এবি