দেশি বাজারে সয়াবিন, সরিষা, পামেলসহ বিভিন্ন প্রকার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে সরিষার চাষ। আমন ধান কাটাই-মাড়াইয়ের পর ৩ মাস ফেলে না রেখে বাড়তি আয় করতে একই জমিতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। দিনাজপুরের হিলিতে মাঠে মাঠে হলুদের সমাহার, প্রকৃতি সেজেছে হলুদ সাজে, প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে পপ্রৃতি প্রেমিদের। মাঠে-ঘাটে, গ্রাম-গঞ্জে আর রাস্তায় সরিষার ফুলের সুভাষ ছড়াচ্ছে, মুগ্ধ হচ্ছে পথচারীরা। দেশে ভেষজ তেলের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এসব ভেষজ তেল আমদানি করতে হয় বেশিরভাগ দেশের বাহির থেকে। বাহির থেকে আমদানিকৃত তেলের মূল্য বৃদ্ধি দিন দিন বেড়েই চলছে। তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে এবং চাহিদা মেটাতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করেছে সরিষার হিলির চাষিরা। তেলের দাম বাড়ায় সরিষার আবাদ বেশি করছেন তারা।
কথা হয় হিলির জালালপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষকের সাথে, তারা বলেন, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে কৃষকের খরচ হয় তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কৃষকরা সরিষা উৎপাদন করে থাকে ৬ থেকে ৭ মণ। সরিষা চাষের উপযোগী আবওহায়া ভালো থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে উৎপাদন খরচ কম ও দাম ভালো পাওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এসব এলাকার কৃষকেরা।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অন্য ফসলের তুলনায় সল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে মোট ২ হাজার জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
এআই