পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে পুরো জেলা যেন কাঁপছে শীতের দাপটে। চারদিক কুয়াশায় ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও সূর্যের দেখা মিলছে না। মাঝে মাঝে সূর্য উঠলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে উষ্ণতা নেই । ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল (২০ জানুয়ারি) এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। দিনমজুর এবং নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। সূর্যের অনুপস্থিতি এবং হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো জেলা ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে, যা জনজীবনকে স্থবির করে তুলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা জরুরি। তারা দাবি করেছেন, আগে থেকেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণ হলে অসহায় মানুষদের দুর্ভোগ অনেকটা কমতো।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, উত্তরের দিক থেকে আসা হিমশীতল বাতাস এবং ঘন কুয়াশার কারণে তেঁতুলিয়া সহ পুরো পঞ্চগড়ে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পিএম