জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর বিপুল হত্যা মামলার পলাতক পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
গেপ্তারকৃতরা হলেন- আনোয়ারা বেগম (৬০), সাজিত ইসলাম তানজিল (১৬) তানজিল ইসলাম তাসিন (২৬) তাসলিমুল ইসলাম তমাল (২২), বিন্দু তালুকদার (২৪)। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই আল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার নিহত বিপুল মিয়ার পিতা আনোয়ার হোসেন কালু মিয়া ও তার চাচাতো ভাই তোতা মিয়ার সাথে বসতবাড়ীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে শুক্রবার (১৭ ই জানুয়ারি) সকালে আনোয়ার হোসেন কালু মিয়ার বসতবাড়ী আঙ্গিনায় গাছ কাটা নিয়ে হুমকি দেয় তোতা মিয়ারর ছেলে আসাদুজ্জামান আপেলসহ তার লোকজন। নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় বিপুল ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ও পুত্রবধূ মুক্তা বেগম। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র রাম দা, চাইজি কোড়াল, লোহার রড় নিয়ে আতাউর রহমান বিপুল, মুক্তা বেগম ও আসমা বেগম এর উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় আসাদুজ্জামান আপেলসহ তার লোকজন। এ সময় বিপুলের ডান হাত ও ডান পা কুপিয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং তার স্ত্রী মুক্তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে। পরে বিপুলের মা আছমা বেগম ফিরাতে গেলে তারও একটি হাত ভেঙে দেয় আপেল ও তার লোকজন। এসময় হামকারীরা সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
পরে তাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপুল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। বাকি আছমা বেগম ও মুক্তা বেগম ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে নিহতের বড় ভাই আল আমিন বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান আপেলকে প্রধান আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় ১০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ারা বেগম ও সাজিদ ইসলাম তানজিলকে সরিষাবাড়ি থেকে এবং বাকি তিন জনকে গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।