প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। ফলে ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। এদকে দেশের রাজধানীতে শীতের তেজ কিছুটা কমলেও থেমে নেই বায়ুদূষণ। তাছাড়া শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ক্রমেই যেন বাড়ছে। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো শহর। আর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের শীর্ষ ২ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মানও নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আইকিউএয়ার বাতাসের মান নিয়ে লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক প্রকাশ করে। যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে।
বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভোর স্কোর ৪৪৬। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ৩০৮ স্কোর নিয়ে আছে ঢাকা। এছাড়া ২৩২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
এবি