এইমাত্র
  • না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী মনির খানের বাবা
  • মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ১ জনকে নিয়েই পাঠদান, অনুপস্থিত ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী
  • ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যুবক নিহত
  • তিন বছর ধরে ভালোবাসা দিবস নেই তানজিন তিশার
  • ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলায় ছাত্রদলের হামলা, দুই শিক্ষার্থী আহত
  • চুয়াডাঙ্গা কাস্টমস অফিসে দুদকের অভিযান
  • পুলিশের সব ইউনিটে একই পোশাক থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
  • বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক উষ্ণ, ৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের আশা
  • পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে বলবেন ট্রাম্প
  • পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
  • আজ মঙ্গলবার, ৮ মাঘ, ১৪৩১ | ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভূঞাপুরে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি আটকে দিয়েছে মসজিদের নির্মাণ কাজ

    তৌফিকুর রহমান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম
    তৌফিকুর রহমান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম

    ভূঞাপুরে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি আটকে দিয়েছে মসজিদের নির্মাণ কাজ

    তৌফিকুর রহমান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম

    টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মাইজবাড়ি দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের উপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টেজের পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের খুঁটি থাকায় প্রায় আটমাস যাবত আটকে আছে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন মসজিদ। খুঁটি সরানোর জন্য বার বার আবেদন করলেও আমলে নেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময় নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছে অত্র মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ১১ হাজার ভোল্টেজের তারসহ পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি নির্মাণাধীন মসজিদের পিলারের সাথে ছুঁই ছুঁই অবস্থা। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। ফলে মসজিদের পিলারের উপরিভাগের রডের সাথে তারের সংঘর্ষ এড়াতে গ্রামবাসী বাশের খুঁটি দিয়ে তার উঁচু করে মসজিদের গ্রেডভিম এবং পিলার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ছাদ তৈরিতে বাধে চরম বিপত্তি। বিদ্যুতের খুঁটি এবং তার না সরিয়ে কোনোভাবেই ছাদের কাজ করা যাবে না। এতে যে কোনো সময় রডের সাথে তারের স্পর্শ লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য ঝুঁকি এড়াতে মসজিদ কমিটি মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে খুঁটি সরানোর জন্য ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি ১ এর আওতায় সাব জোনাল অফিসে একটি আবেদন করে।

    লাইনটি সরানোর জন্য মসজিদ কমিটি পল্লীবিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস বরাবর লিখিত আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে বিদ্যুতের লাইন না সরানোর কারণে দায়িত্বরত নির্মানকারি (রাজমিস্ত্রী) সঠিক সময়ে মসজিদের কাজটি সম্পন্নও করতে পারছে না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করবে না বলে কাজ ফেলে চলে গেছে নির্মাণ শ্রমিকরা। এতে প্রায় আটমাস যাবত আটকে রয়েছে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ের মসজিদ নির্মাণ কাজ।


    ফজলুল হক নামের এক মুসল্লি জানান, প্রায় ১০ বার আমরা খুঁটি সরানোর জন্য অবেদন করেছি। প্রত্যেক বারই আশ্বাস দেয় কিন্তু কাজ করে দেয় না। এভাবেই দিনের পর দিন মসজিদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের অযুহাত দেখায় এবং টাকা না দিলে কাজ করে দিবে না বলেও জানিয়ে দেন অফিসের লোকজন।

    মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি নিজে কয়েকবার আবেদন দিয়েছি। প্রত্যেক বারই বলে আবেদন সঠিক হয় নাই। তারপর আমরা অফিসের কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে আবেদন লিখে সভাপতি সম্পাদক সাক্ষর করে দিয়েছি সেটাও নাকি ভুল হয়েছে। তাদের কর্মকর্তা কর্মচারি পরিবর্তন হলে আবার নতুন করে আবেদন দিতে বলে। এভাবে আমরা প্রায় ১০ বার আবেদন দিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

    উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রানা আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই লাইনটি স্থানান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে জিএম স্যার অবগত আছেন।

    এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শহিদ উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আমি নিজেও ওই মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। আমি আবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। অতি দ্রুতই লাইনটি স্থানান্তর করা হবে।

    বারবার আবেদনটি ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদনটি বারবার ফিরিয়ে দেয়ার কথাটি সঠিক নয়। মসজিদ কমিটি কাজটি বিনামূল্যে করেদিতে বলেছে। আমার বিনামূল্যে কাজ করে দেয়ার অনুমতি নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া করতে পারি না। এটার জন্য নির্দিষ্ট একটি ফি আছে। মসজিদ কমিটি সেই মোতাবেক কাজ করলে অনেক আগেই সম্ভব হয়ে যেত। কিন্তু মসজিদ কমিটি টাকা দিয়ে কাজ করাবে না। যতটুকু না নিলেই নয় আমি তাই বলেদিয়েছি। তারা ফ্রিতে কাজ করতে চায় তাই আমি আবেদনটি ঢাকায় পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই আমি কাজ করে দেব।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…