ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র সরকারকে রাজ্যে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে এক চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর এক বাংলাদেশির হামলার ঘটনায় শিবসেনার উপনেতা রাহুল রমেশ শেওয়াল উদ্বেগ প্রকাশ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শিবসেনার উপনেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শেওয়াল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রতি আহ্বান জানান। তার আহ্বানের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে।
শিবসেনা দলীয় সংসদ সদস্য মিলিন্দ দেওরা রাজ্যে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে লেখা এক চিঠিতে রাজ্যের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মিলিন্দ দেওরা।
অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি জড়িত বলে মুম্বাই পুলিশ দাবি করার পর রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সেখানকার বিরোধী দলগুলো। মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে শিবসেনা (ইউবিটি) ও কংগ্রেস।
গত ১৬ জানুয়ারি মুম্বাই নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। মুম্বাই পুলিশ বলেছে, ওই দিন স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে সাইফ আলি খানের বাসায় ঢুকে পড়েন শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের বাংলাদেশি। পরে সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বলিউডের এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এতে তার শরীরে অন্তত ছয়টি জখম হয়।
রোববার ভোরের দিকে মহারাষ্ট্রের থানে জেলা থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ডাকাতির উদ্দেশে সাইফ আলি খানের বাড়িতে গভীর রাতে হানা দেওয়ার তিন দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনার পর আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শারদ পাওয়ার ও সঞ্জয় রাউত-সহ বিরোধী নেতারা মহারাষ্ট্র সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা দাবি করেন, মুম্বাই আর নিরাপদ নয়, এমনকি তারকাদের জন্যও।
এবি