কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা অপহরণকারীদের দমন করার লক্ষ্যে,অবশেষে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলগত অভিযান প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে।
তারেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যরা উক্ত উপজেলার গহীন পাহাড়ে একটি সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন সময়ে অপহৃত হওয়া ১৫ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। এসময় অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
উক্ত অভিযান চলাকালীন সময়ে অভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীদের একটি গ্রুপ কৌশলে পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালের দিকে সময়ের কন্ঠস্বরকে উক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা, এসআই বদিউল আলম, এস আই লক্ষ্মণ, এ এস আই ইব্রাহিমসহ পুলিশের অভিযানিক দলের সদস্যরা শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে অত্র উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত মধ্যম কচ্ছপিয়া গহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারীদের হাতে জিম্মি থাকা অপহৃত ১৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং উক্ত চক্রের সাথে জড়িত দুই সদস্যকেও আটক করতে সক্ষম হয়।
ধৃত দুই অপহরণকারী হচ্ছে-মো.হারুন (২৫) ও নুর মোহাম্মদ (১৯)। তারা দুজনেই টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত কচ্ছপিয়া করাচি পাড়া এলাকার বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া অপহৃত ১৫ ভিকটিমের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ১০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। তবে এর মধ্যে ৬ জন শিশু রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, অপহরণকারীরা বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৬-১৭ দিন ধরে বেশ কয়েক দফায় দফায় পাহাড়ী এলাকা নিয়ে আসে। এরপর ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার লক্ষ্যে তাদের শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
এবিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম টেকনাফের গহীন পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা শুরু করে। উক্ত অভিযানের সফলতার অংশ হিসেবে অপহৃত ১৫ ভিকটিম ও অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি অপহরণকারীদের দমন করার লক্ষ্যে, পুলিশ সদস্যদের অভিযানের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পিএম