বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আগামী ৩০ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো কৃষক দিবস উদযাপিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “কৃষকবান্ধব প্রযুক্তি সম্প্রসারণ হোক আমাদের অঙ্গীকার।” ২০২৩ সালে বাকৃবি প্রশাসনের আদেশনামা অনুযায়ী বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বাউএক) তত্ত্বাবধানে এ দিবসটি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বাউএকের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ৩শ কৃষকের মধ্যে পাঁচ ধরনের ১৫শ বীজের প্যাকেট বিতরণ করা হবে। বীজসমূহ হলো ডাঁটাশাক, লালশাক, চালকুমড়া, ঢেঁড়স এবং মিষ্টিকুমড়া। কৃষি কাজে সাফল্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বাগান তৈরীর জন্য ৬ জন কৃষক ও কৃষাণীকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়াও একটি বর্ণাঢ্য কৃষক র্যালি, কর্মশালা এবং বাকৃবির খামারসমূহ পরিদর্শনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
কৃষকদের কৃষি কাজে উৎসাহিত করা, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করা, এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও চাহিদার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ চাহিদাভিত্তিক (নিড-বেইজড) প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া এ দিবসের মূল উদ্দেশ্যে বলে জানান বাউএক পরিচালক।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন আরও বলেন, “শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কৃষকদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরির উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের সমস্যাগুলো অনুধাবনের মাধ্যমে গবেষকরা নতুন গবেষণায় আগ্রহী হবে এবং সেই ফলাফল মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ করবে।
অধ্যাপক আরও জানান, ১৯৭৬ সালে ‘এগ্রি ভার্সিটি এক্সটেনশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে এটি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাউএক গ্রামীণ কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এবং সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে বাউএক মাঠ পর্যায়ে শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ, গবাদিপশু ও পাখির টিকা প্রদান, মাঠ ফসলের প্রদর্শনী, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পারিবারিক খাদ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম, মাছ চাষ এবং স্থানীয় নেতৃত্ব তৈরির মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এফএস