রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠক শেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
এর আগে রেলপথ উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রমিক নেতা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া ও কর্মবিরতি নিয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠক হয়।
পরে রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় কথা দিয়েছেন, আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত আমাদের বিষয়টি সমাধান করবেন।আগে আমরা যেসব সুবিধা পেয়েছি, সেসব বহাল থাকবে। আমরা এখন থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার প্রত্যাহার করে নিলাম। রানিং স্টাফ ভাইদের বলব, তাঁরা যেন কাজে ফিরে যান।’
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার।
শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমস্যার সমাধান করতে রেল উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি।’
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানীর কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক-সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা।
গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তাঁরা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তাঁরা।
এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।