এইমাত্র
  • 'চাপাবাজীর অস্কার অনন্য মামুন পাবেন', বলছেন শাকিব ভক্তরা
  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
  • ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • শেখ হাসিনা কীভাবে পদত্যাগ করেছেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ
  • শুরু হলো বরবাদ'র শুটিং, শাকিব খান যোগ দেবেন কবে?
  • মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবি, ১১ মরদেহ উদ্ধার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
  • কারাগারে ইমরানকে দেওয়া হয় মাটন মুরগি দই জুস আঙ্গুর
  • ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ না করে উল্টো হুমকি যত ইচ্ছে নিউজ করেন : ভূমি সহায়ক শাহানুর
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪
    রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় তারা সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানান।সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। পরে শাহবাগমুখী রাস্তা ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, উপাচার্যের বাসভবন ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’; ‘আমার ভাই কবর, খুনি কেন ভারতে’; ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, করতে করতে হবে’; ‘এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়’; ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘ছাত্রলীগ/সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে কোনোভাবে আর এদেশে মেনে নেবে না। গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড তাদের কোনোভাবে ছাত্রসংগঠন হিসেবে বৈধতা দেয় না। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শিগগিরই তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগ থাকবে কি না তা ঠিক হয়ে গেছে ১৫ জুলাই। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট। ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন আর কখনও হবে না।রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উদ্দেশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনি বঙ্গভবনের বিলাসিতা নিয়ে নিজের রাস্তা মাপুন।সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ছাত্রসংগঠনের নামে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হয়ে ও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে যারা, তাদের অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।এর আগে, চবিতে রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।জানা যায়, সোমবার ভোর ৪টা নাগাদ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকায় আপ্যায়ন নামে এক দোকানে হামলা করে। এরপর আশপাশের আরও কিছু দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আতঙ্ক ছড়ায়। এফএস
    শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও অন্তবর্তী সরকার গঠন এখন মীমাংসিত বিষয় বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান  জানিয়েছেন তিনি।আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃস্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ওইদিন (৮ আগস্ট) সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপীল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃস্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এফএস

    জাতীয়

    সব দেখুন
    ছাত্র হত্যা মামলায় ব্যারিস্টার সুমন গ্রেফতার
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানা ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম সুমনকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ‘আজ রাতে ঢাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনের সময় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে আসামি রাখার মতো জায়গা নেই। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।এর আগে, রাত সোয়া ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি ও ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’এর কিছুক্ষণ পরেই মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলা গ্রেফতার দেখানো হয় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে।এমআর
    ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
    উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের পর ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন ও শারদীয় দুর্গাপূজায় দু'দিন ছুটি থাকবে। সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে মোট ছুটি থাকবে ২৬ দিন। এর মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার।সাধারণ ছুটি;২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৮ মার্চ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ১ মে মে দিবস, ২১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখি পূর্ণিমা), ৭ জুন ঈদুল আজহা, ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.), ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।নির্বাহী আদেশে ছুটি:১৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ২৮ মার্চ শবে কদর, ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে দুই ও পরে দুদিনসহ মোট চারদিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ৫ ও ৬ জুন এবং পরে ৮ থেকে ১০ জুনসহ পাঁচদিন, ৬ জুলাই আশুরা এবং ১ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমীর দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।ঐচ্ছিক ছুটিঐচ্ছিক ছুটির মুসলিম পর্বের মধ্যে রয়েছে- ২৮ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ, ৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের পরের তৃতীয় দিন, ১১ জুন ঈদুল আজহার পরের চতুর্থ দিন, ২০ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৪ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রী ব্রত, ১৪ মার্চ দোলযাত্রা, ২৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৩১ অক্টোবর শ্যামাপূজা।এ ছাড়া ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ৫ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৭ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।ঐচ্ছিক ছুটির বৌদ্ধ পর্বের মধ্যে রয়েছে- ১১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ১০ ও ১২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা (পূর্বের ও পরের দিন), ৯ জুলাই আষাঢ়ি পূর্ণিমা, ৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।এফএস
    শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও অন্তবর্তী সরকার গঠন এখন মীমাংসিত বিষয় বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান  জানিয়েছেন তিনি।আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃস্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ওইদিন (৮ আগস্ট) সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপীল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃস্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এফএস
    শেখ হাসিনা কীভাবে পদত্যাগ করেছেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ‘মৌখিকভাবে’ পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।আজ সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য দেন আসিফ মাহমুদ।ক্রীড়া উপদেষ্টা ফেসবুকে লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় খুনি হাসিনা।জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে সেই পদত্যাগের ‘দালিলিক প্রমাণ’ তার কাছে নেই বলে নতুন করে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার দিনই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসের বেশি সময় চলে যাওয়ার পর নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি শুনেছেন যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তার কাছে এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।গতকাল রবিবার পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমিও খুঁজছি (হাসিনার পদত্যাগপত্র), তিনি হয়তো সময় পাননি।এফএস
    হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, এখানে তার পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে শুনেছেন কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই’ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন এর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।   বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, ‘হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে; একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।’এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ রাষ্ট্রপতির কাছে না থাকার বক্তব্যে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।এবি
    হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন: আসিফ নজরুল
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।ড. আসিফ নজরুল বলেন, তার এই পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।এর আগে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।এবি 
    যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল
    যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও আরব আমিরাতে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। রাশিয়ায় ছিলেন কামরুল আহসান এবং আরব আমিরাতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন মো. আবু জাফর।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।এর আগে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সাংবাদিক মুশফিকুর ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পদায়নের জন্য তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।এবি 
    রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী
    সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সাংবাদিক মুশফিকুর ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পদায়নের জন্য তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়, অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিন বছরের জন্য তাকে এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে।মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্টনিউজবিডিডটকম-এর সম্পাদনার পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের সদর দফতর ও হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব পালন করেন।উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানা প্রশ্ন করতেন তিনি। বিশেষ করে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন জালিয়াতি এবং আওয়ামী শাসন নিয়ে প্রায়ই জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউজের প্রেস কনফারেন্সে প্রশ্ন করতেন তিনি।এবি 

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    শেখ হাসিনার মামলা প্রত্যাহারে রাজধানীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেয়া সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একদল সাবেক ছাত্রনেতা এ বিক্ষোভ মিছিল করে।   বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যখন সমৃদ্ধির মহাসড়ক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছিলেন তখন পাকিস্তান সমর্থিত সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারাদেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।  বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়, সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি। এসব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা রাজপথে আছি, এসব মিথ্যামালা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমের সরকারকে মিথ্যা মাললা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, হচ্ছে। চেপে বসা অপশক্তির সরকার তাদের দোসরদের দিয়ে এই অসত্য মামলা করছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠ থেকে উচ্ছেদ করার অসৎ উদ্দেশে চেপে বসা সরকার এসব নোংরামি করছে। আমরা এইসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবু আব্বাস ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, হাসান আহম্মেদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি এম. এম. নাজমুল হাসান, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রান, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি পারভিন মিশু ও লাবনী চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. হাসান প্রমূখ।এবি 
    শেখ হাসিনার মামলা প্রত্যাহারে রাজধানীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেয়া সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একদল সাবেক ছাত্রনেতা এ বিক্ষোভ মিছিল করে।   বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যখন সমৃদ্ধির মহাসড়ক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছিলেন তখন পাকিস্তান সমর্থিত সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারাদেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।  বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়, সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি। এসব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা রাজপথে আছি, এসব মিথ্যামালা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমের সরকারকে মিথ্যা মাললা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, হচ্ছে। চেপে বসা অপশক্তির সরকার তাদের দোসরদের দিয়ে এই অসত্য মামলা করছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠ থেকে উচ্ছেদ করার অসৎ উদ্দেশে চেপে বসা সরকার এসব নোংরামি করছে। আমরা এইসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবু আব্বাস ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, হাসান আহম্মেদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি এম. এম. নাজমুল হাসান, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রান, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি পারভিন মিশু ও লাবনী চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. হাসান প্রমূখ।এবি 
    প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন: রিজভী
    বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপিসহ সকল দল সমর্থন জানিয়েছে উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পাবনা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মরহুম মির্জা আদুল আউয়ালের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহবান জানান।পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটুলা ইউনিয়নের জয়নগর ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণে এই স্মরণসভার আয়োজন করে বেড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি।জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আয়না ঘর কোনো প্রতিষ্ঠানের ছিল না। দেশের প্রতিটা জেলখানাই ছিল আয়না ঘর।' সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, আনিসুল হক বাবু, নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা, রেহানুল ইসলাম বুলাল, শহিদুল ইসলাম লাালু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিমেল রানা প্রমুখ।সভা শেষে মরহুম মির্জা আব্দুল আউয়ালের মাগফেরাত কামনা ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
    ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে যা বললেন শিবির সভাপতি
    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতা মেজারমেন্ট করা উচিত। আদতে তারা কতটুকু পারবে। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। যাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। রবিবার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।   শিবির সভাপতি বলেন, এতদিনেও সুরাহা করা হয়নি রাষ্ট্রযন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসা ফ্যাসিবাদের বিধ্বংসী মেশিনারিজ। আবার কেউ কেউ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনে কাজ করে চলেছে গোপন ও প্রকাশ্যে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থ্যানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট। এর তিনদিন পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে থাকা লোকজন। এ নিয়ে নানা সমালোচনাও চলছে বিভিন্ন মহলে।  এসএফ 
    আ.লীগসহ ১৪ দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরামর্শ পার্থর
    গণহত্যার বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলকে সব ধরনের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে দলটির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ সাংবাদিকদের এই কথা জানান।বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি গণহত্যার দায়ে বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলকে সব ধরনের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছি।’পার্থ বলেন, ‘নির্বাচনমুখী সংস্কার হওয়া জরুরি। এমন কোনো সংস্কার হওয়া উচিৎ নয়, যেটা মনে হবে এটা নির্বাচিত সরকারের করা উচিত। বিগত তিন নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো স্টেপ নেয়া যায় কি না, সেটাও দেখার পরামর্শ দিয়েছি।’এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি।এসএফ 
    শেখ হাসিনার আকাম-কুকামের কারনেই তাকে পালাতে হয়েছে: এবি পার্টির আহবায়ক
    আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহবায়ক ডা. মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল? যার ডাকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার মেয়ে পালিয়ে গেছে। কেন পালিয়ে গেছে? যে আকাম-কুকাম এতো বেশি করেছে, না পালাইলে তাকে ধরে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে, তারপরে ওই ছাই বিক্রি হতো। এক চিমটি ছাই কেনা হতো লাখ লাখ টাকা দিয়ে। শেখ হাসিনার মৃত্যুর ছাই হিসেবে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতো সবাই। মানুষের মনে তার জন্য এতো ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে। কারণ তিনি মানুষকে ঘৃণা করতেন।শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে রোজ গার্ডেন চাইনিজ রেস্তোরায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে এবি পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা এবি পার্টির ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ জন নতুন সদস্য দলটিতে যোগদান করেন। তিনি আরও বলেন, বিচারহীনতা, কোর্টের বিচার হওয়ার আগেই লোকজন জানে রায় কি হবে। খালেদা জিয়াকে মাত্র ২ কোটি টাকার জন্য আটকে রাখা ছিল অন্যায় ও অবিচার। স্বাধীনতার আগেই সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক স্বীকৃতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরে তা ওলট-পালট হয়ে গেছে। যোগ হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র। কিন্তু স্বাধীনতার আগে এসব ছিলো না। আবদুল ওহাব আরও বলেন, শেখ হাসিনা মানুষকে তুচ্যজ্ঞান করতেন। টুপ করে ফেলে দেবেন, চুবাবেন। কি সব নোংরা কথাবার্তা। দশটা হুন্ডা বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। একজন প্রধানমন্ত্রী কি এভাবে কথা বলতে পারেন? কাজের বুয়াওতো এমন নোংরা কথা বলেন না। তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে বলেছেন তার পিয়নের কাছে নাকি ৪০০ কোটি টাকা আছে। তাহলে মালিকের কাছে ৪ হাজার বিলিয়ন টাকা থাকতে পারে। এতো টাকা তারা পেলেন কোথায়? আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী, যিনি দেশ ও মানুষকে পরিচালনা করবেন, তাকে ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। সৎ মানুষ দেখতে চাই। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, জেলা এবি পার্টির সদস্য সচিব চৌধুরী এম এ সাকিব, যুগ্ম-সদস্য সচিব ইমরান হোসেন রাকিব ও যুগ্ম-আহবায়ক ডা. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।এমআর
    সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গড়িমসি না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।ঢাকার জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে শনিবার (১৯ অক্টোবর) ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। আমাদের কথা যেই ক্ষমতা আসুক, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।দেশের প্রতিটি কারাগার শেখ হাসিনার আয়নাঘর ছিল দাবি করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলবে, তাদের সেই ঘরে বন্দি করে রাখা হতো। যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চলেছে।বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের দুর্বৃত্তদের কালো টাকা এখনও সমাজের আনাচে-কানাচে গভীরে ছড়িয়ে আছে। তারা নাশকতা করে যাচ্ছে, করবে। কারণ, সরকারি সংস্থায় স্বৈরাচারের লোক রয়েছে, তারা এসব করবে।অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা যদি হাসিনার দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়গুলোতে বসান, তাহলে নাশকতা তো হবেই। এদের বসানোর কারণেই স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। যার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে।তিনি দাবি করেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি রাতে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এতদিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণ তো বলবেই, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো, এখনও বাড়ছে।মহাসচিব বলেন, ভয়ংকর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, ছিল জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা।এইচএ 
    সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়, প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে গণফোরাম
    রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আবারও সংলাপে বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রথমেই গণফোরামের সঙ্গে বসেন তিনি। সংলাপ শেষে দলটির সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই সংলাপে অংশ নেয়।গণফোরামের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান বাজার অবস্থা, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয় উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া সংস্কার করে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনের কথাও বলা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। আমরা সেই কমিশন করার প্রস্তাব দিয়েছি।গণফোরামের সমন্বয় কমিটির এই চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব গণফোরাম থেকে দেওয়া হবে।জানা গেছে, আজ বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সাত দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে বরাবরের মতো এবারও ডাকা হয়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা)।সাত দল ও জোটের মধ্যে রয়েছে- গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সামনে সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন তারা। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে দলগুলো।এর আগে, গত ৫ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আজ সংলাপ করবেন তিনি। সবশেষ তৃতীয় দফার সংলাপ শেষের পর এবারের দফায় জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণ পাওয়ার জোর গুঞ্জন উঠলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকদের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত ডাকা হয়নি দলটিকে।এইচএ

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    শেখ হাসিনার মামলা প্রত্যাহারে রাজধানীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেয়া সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একদল সাবেক ছাত্রনেতা এ বিক্ষোভ মিছিল করে।   বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যখন সমৃদ্ধির মহাসড়ক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছিলেন তখন পাকিস্তান সমর্থিত সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারাদেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।  বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়, সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি। এসব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা রাজপথে আছি, এসব মিথ্যামালা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমের সরকারকে মিথ্যা মাললা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, হচ্ছে। চেপে বসা অপশক্তির সরকার তাদের দোসরদের দিয়ে এই অসত্য মামলা করছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠ থেকে উচ্ছেদ করার অসৎ উদ্দেশে চেপে বসা সরকার এসব নোংরামি করছে। আমরা এইসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবু আব্বাস ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, হাসান আহম্মেদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি এম. এম. নাজমুল হাসান, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রান, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি পারভিন মিশু ও লাবনী চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. হাসান প্রমূখ।এবি 
    মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ১
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে শাহনেওয়াজ ওরফে কাল্লু (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি চাপের দোকানে কাজ করতেন।বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।জেনেভা ক্যাম্পের সামির নামে একজন জানান, ক্যাম্পে প্রায়ই মাদক ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি এবং হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। বুধবার রাতে জেনেভা ক্যাম্পে আবারও মাদকের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি শুরু করে শীর্ষ মাদক কারবারি ভূইয়া সোহেল গ্রুপ ও মাদক কারবারি পারমনু গ্রুপ। এ সময় ভূইয়া সোহেল গ্রুপের গুলিতে শাহ নেওয়াজ কাল্লু নামের যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ভূইয়া সোহেল বর্তমানে জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি। সোহেল, তার ভাই রানা ও টুনটুনের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয় পুরো ক্যাম্প এলাকার হেরোইন কারবার৷ তাদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যান তারা। তিনি আরো জানান, শাহ নেওয়াজ কাল্লু জেনেভা ক্যাম্পের আরেক মাদক কারবারি লালনের বড় ভাই। লালন ভেনেভা ক্যাম্পের মাঝারি পর্যায়ের একজন মাদককারবারি। তার নামেও রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা। তিনি আরেক মাদককারবারি পারমনুর বিশ্বস্ত সহযোগী। জানা যায়, নিহত শাহ নেওয়াজ ওরফে কাল্লু মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ছিলেন। তিনি জেনেভা ক্যাম্পের ৮ নম্বর ব্লকে থাকতেন।মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলী ইফতেখার হাসান বলেন, গোলাগুলিতে জেনেভা ক্যাম্পে কাল্লু নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে প্রাথমিকভাবে তিনি সেটা বলতে পারেননি।তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমি র‍্যাব এবং পুলিশ পাঠিয়েছি জেনেভা ক্যাম্পে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। আপনারা জানেন এই ক্যাম্পের ভিতরে নানা ধরনের অপকর্ম হয়। কিছুদিন আগেও আমরা সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে উদ্যোগ না নিলে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সামাজিকভাবে তাদেরকে পুনর্বাসন করা দরকার। আপনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার। আমরা এযাবৎ কালের মধ্যে এখানে সবচেয়ে বড় যৌথ অভিযান করেছি।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিনে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার অস্ত্রাগার লুট করে জেনেভা ক্যাম্পের মাদককারবারিরা। সে অস্ত্র হাতে ওই দিন থেকেই মাদক নিয়ে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা। ৬ আগস্ট গুলিতে নিহত হয় একজন। সেপ্টেম্বরে প্রাণ যায় আরও দুইজনের।এমআর
    ৮৭ দিন পর চালু হলো মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন
    ৮৭ দিন পর চালু হলো কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভাঙচুর-হামলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মেট্রো রেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে এ স্টেশন থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে ওঠানামা করতে পারছেন। জুলাই আন্দোলনে রাজধানীতে মেট্রোরেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্টেশন কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিগত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্টেশন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে।তবে এক বছর নয়, দুমাসের মাথায় গত ২০ সেপ্টেম্বর চালু হয় কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশনটি। এরপর থেকেই নগরবাসীর প্রতীক্ষা, কবে সচল হবে ব্যস্ততম স্টেশন মিরপুর-১০।অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সুখবর দিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। গত ১৯ জুলাই বন্ধ হওয়ার দুই মাস ২৭ দিনের মাথায় আজ মঙ্গলবার থেকে মিরপুর-১০ স্টেশনে ফের শুরু হয়েছে যাত্রী ওঠানামা। শুধু তাই নয়, এখন থেকে শুক্রবার মেট্রোরেলের হেডওয়ে বা দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতির সময় ১২ মিনিট থেকে কমিয়ে ১০ মিনিটে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।কিন্তু কীভাবে সম্ভব হলো এতো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি সচল করা? ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলছেন, কোনো সরঞ্জাম আমদানি না করে দেশীয় সম্পদের ব্যবহার করেই এটি সচল করা হয়েছে। এছাড়া, যাত্রীচাপ তুলনামূলক কম থাকায় তিনটি স্টেশনে কিছু যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালুর পর স্বস্তির কথা জানালেন নগরবাসী। বেসরকারি চাকরিজীবী সুরাইয়া নাজনীন জানান, সকালে অফিসে আসার জন্য তিনি ১১ নম্বর থেকে মেট্রোরেলে উঠেন। আজ ট্রেনটি মিরপুর-১০ স্টেশনে থামে এবং সেখানে যাত্রী ওঠানামা করে। এ সময় সেখান থেকে উঠা যাত্রীরা সবাই স্বস্তি প্রকাশ করেন। 
    মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইউল্যাব শিক্ষার্থী আহত
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ  (ইউল্যাবের) কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিউল হাসান নাবিল ছিনতাইকারীর এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর বন্ধু মিলন শিকদার সময়ের কন্ঠস্বরকে বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।ভুক্তভোগীর সহপাঠী মিলন শিকদার সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন,  আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় নাফিউল হাসান নাবিল ক্লাস শেষ করে বাসার ফেরার সময় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ অটো স্ট্যান্ডে ছিনতাইকারীরা তার উপর অতর্কিতভাবে এলোপাথাড়ি  হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হাতের কবজি এবং পা জখম করেছে। এতে তার হাতে পায়ে মোট ২০ টা সেলাই দেয়া হয়েছে। নাবিলের সাথে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল নিয়ে গিয়েছে ছিনতাইকারীরা।এ ব্যাপারে কোন মামলা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মিলন শিকদার বলেন, আগে আমাদের বন্ধু সুস্থ হোক।তারপর সে বিষয়টি দেখা যাবে। এসএফ 
    সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ জড়িত: আমান
    সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেছেন, সাগর রুনির বিচার কিন্তু এখনো পাইনি। অবিলম্বে সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং এই বিচার দ্রুত করতে হবে।সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।আমান বলেন, এতদিন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণ একমাত্র একটাই, আওয়ামী লীগ সরকার এখানে জড়িত ছিল। তখন প্রতিবেদন জমা হয়নি, বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আজকে এই বিচার বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।সাইফুদ্দিন মনিকে স্মরণ করে তিনি বলেন, সাইফুদ্দিন মনির স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে যখন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তখনই তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা দ্রুত একটি গণতন্ত্র ফিরে পাবো, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাব এবং দ্রুত একটি জনগণের সরকার পাব। যেখানে এই দেশের সরকার পরিচালিত হবে জনগণের মাধ্যমে।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, সাবেক এমপি ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমুদ্দিন আলম, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামে সভাপতি সাইদুর রহমান, জাতীয়তাবাদ সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।পিএম
    ফকির সেজে শিশু পাচারের সময় গ্রেফতার ২
    কুষ্টিয়ার মিরপুরে শিশু পাচারের সময় পাচার চক্রের দুজন সদস্য কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচার হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুর থানার নওদা বহলবাড়িয়া এলাকা হতে মোঃ তারিকুল হকের মেয়ে মোছাঃ ফুলরানি (৫) কে পাচারের উদ্দেশ্যে ফকির সেজে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল। এমন সময় গ্রামবাসী ভিকটিম ফুলরানি ও পাচারকারী ফকির সুদেবী খয়রাতী (১৫) কে আটক করে। পাচারকারী সুদেবী খয়রাতি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার চরদোয়ানী গ্রামের সুবীর খয়রাতির মেয়ে।পরবর্তীতে এলাকাবাসী মিরপুর থানা পুলিশের খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পাচারকারী সুদেবী ও ভিকটিমকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার মিরপুর থানায় একটি মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ তদন্ত করে পাচারের সঙ্গে জড়িত উক্ত ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আসামী মোঃ নায়েব আলী (৩৫) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম এলাকার রফিক শেখের ছেলে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ বলেন, বহলবাড়িয়া এলাকায় ফকির সেজে এক শিশু কন্যাকে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী সন্দেহজনকভাবে ওই নারীকে আটক করে। পরবর্তীতে মিরপুর থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমের পরিবার মিরপুর থানা একটি মামলা দায়ের করলে মিরপুর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের মাধ্যমে মামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।উক্ত ঘটনায় মিরপুর থানায় একটি মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতে সুদেবী খয়রাতি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।এমআর
    মোংলায় খাদ্য, ভূমি, জল ও জলবায়ু ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি এলাকাবাসীর
    খাদ্য, ভূমি, জল ও জলবায়ু ধ্বংসের জন্য উন্নত বিশ্বকে আমাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। জমি, খাদ্য, পানি মানুষের জন্য মুনাফার জন্য নয়। টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির সভা চলাকালীন সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মোংলার দক্ষিণ কাইনমারিতে পশুর নদের পাড়ে ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষেতমজুর, দিন মজুর, জেলে,বাওয়ালি, মৌয়ালী, বনজীবী, মৎস্যজীবী ও নারীদের অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়।এ অবস্থান কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। অবস্থান কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারীনেত্রী কমলা সরকার, তন্বী মন্ডল, চন্দ্রিকা মন্ডল, ইয়ুথ লিডার হাসিব সরদার, প্রদীপ সরকার, মার্টিন সরকার প্রমূখ। অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার পদক্ষেপ নিতে হবে। লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলের কৃষি, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণীজ আমিষ মৎস্য সম্পদকে রক্ষা করতে হবে। নদী ভাঙ্গনে বাস্তুচ্যুত এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, বিশ্ব বাজার নয়, জনগণের খাদ্যের জন্য টেকসই খাদ্য ব্যবস্থায় অর্থায়ন করুন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য ও জলবায়ু সংকটের জন্য উন্নত দেশগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে। উল্লেখ্য ২১-২৫ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিএফএস) এর ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে খাদ্য অধিকারের নির্দেশিকা নিয়ে রোমে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সভাকে কেন্দ্র করে এশিয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মোংলায় খাদ্য, ভূমি, জল ও জলবায়ু ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ এবং  টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা রূপান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। খাদ্য উৎপাদন ও সংগ্রহের সাথে জড়িত শতাধিক কৃষক, ক্ষেত মজুর, দিন মজুর, জেলে, মৎসজীবী,বনজীবী ও নারীরা এই অবস্থান কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেন।এমআর
    খুলনায় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
    খুলনায় মাদক মামলায় নান্টু হাওলাদার না‌মের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত। একই সঙ্গে তা‌কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদা‌য়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।সোমবার (২১ অক্টোবর) খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমি আহ‌মেদ এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। রায়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শু‌ভেন্দু রায় চৌধুরী। সাজাপ্রাপ্ত আসামি নান্টু হাওলাদার নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকার লালু হাওলাদা‌রের ছে‌লে।আদালত সূ‌ত্রে জানা‌ গে‌ছে, ২০১২ সা‌লের ২ ফেব্রুয়ারি নগর গো‌য়েন্দা পু‌লিশ জান‌তে পা‌রে সঙ্গীতা সি‌নেমা হ‌লের সাম‌নে এক যুবক এক‌টি ব‌্যা‌গে ফে‌ন্সি‌ডিল নি‌য়ে অবস্থান কর‌ছেন। এমন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে পু‌লিশ সেখা‌নে অভিযান চালায়। পু‌লি‌শের উপ‌স্থি‌তি টের পে‌য়ে নান্টু হাওলাদার ঘটনাস্থল ত‌্যাগ ক‌রতে গি‌য়ে ব‌্যর্থ হন। পু‌লিশ এ সম‌য় তার ডান হা‌তে থাকা ব‌্যাগ তল্লা‌শি ক‌রে ৫০ বোতল ফে‌ন্সি‌ডিল উদ্ধার ক‌রে।এ ঘটনায় ডি‌বি পু‌লি‌শের এস আই মো. হো‌সেন আল মাহাবুব বাদী হ‌য়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ওই দিন মামলা দা‌য়ের ক‌রেন। ডি‌বি পু‌লি‌শের এস আই হান্নান শরীফ আসা‌মি নান্টু হাওলাদার‌কে অভিযুক্ত ক‌রে একই বছ‌রের ২১ মার্চ আদাল‌তে চার্জশিট প্রদান ক‌রেন। এ ঘটনায় আদাল‌তে পাঁচজন সাক্ষ‌্য প্রদান ক‌রেন। এর ১২ বছর পর রায়ে আজ নান্টু হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এবি 
    চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার
    চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাঠ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।নিহত আব্দুল মান্নান (৪০) গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হিরাজ মন্ডলের ছেলে।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭টার সময় বাসা থেকে বের হয় নিহত আব্দুল মান্নান। তিনি দর্শনা ভাই ভাই গার্মেন্টসের কর্মচারী ছিলেন তিনি। রাতে সে বাসায় না ফিরলে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও পরিবারের লোকজন কোন সন্ধান পাইনি।পরদিন সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে লোক মারফত সংবাদ পাই গ্রামের মাঠে মৃত অবস্থায় মান্নানের লাশ পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে এএসপি (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ূন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ূন কবীর জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ মান্নান বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এবিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রজু করা হয়েছে।এইচএ
    তীব্র ভাঙ্গন, আহাজারি-কান্নায় দিনরাত পার করছে পদ্মা পাড়ের মানুষ
    কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর, বারুইপাড়া ইউনিয়নের মির্জানগরের বসতবাড়ি, কৃষিজমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কবরস্থান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও জাতীয় মহাসড়কসহ সরকারি স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এসব স্থাপনা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বারুইপাড়া ইউনিয়নের মির্জানগরে পদ্মা নদীর অংশে দেখা যায়, পদ্মার আগ্রাসী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই এলাকার বসতবাড়ি, কৃষিজমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন অনেকে। কেটে নিয়ে গেছেন নদীর পাড়ের গাছপালা।বর্তমানে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় মীর আব্দুল করিম কলেজ, মির্জানগর কবরস্থানসহ অসংখ্য স্থাপনা। এ ছাড়া কয়েক মিটার দূরেই কুষ্টিয়া-পাবনা জাতীয় মহাসড়কটিও হুমকির মুখে রয়েছে।মির্জানগর কবরস্থান কমিটির কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে পদ্মার যে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে, তাতে কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় চলে এসেছে। আগে আমরা নদী দেখতে যেতাম। নদী দেখতে যাওয়ার সময় তিন-চার বার দম নেওয়া লাগতো। সেই নদী এখন আমাদের নাগালে। গোরস্থান সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন পৌঁছে গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে কবরস্থান নদীতে চলে যাবে। এ ছাড়া পাশেই রয়েছে একটি কলেজ। সেটিও ভাঙনের হুমকির মুখে আছে।’সাহেবনগর এলাকার মওদুদ আহমেদ রাজিব বলেন, কোন মতেই ঠেকানো যাচ্ছে না নদীর ভাঙ্গন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিদিন জিও ব্যাগ ফেলা হলেও কোন লাভ হচ্ছে না। জিও ব্যাগ সহ নদীর পাড় ও গ্রাম রক্ষা বাঁধ ইতিমধ্যেই ভেঙে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ইতিমধ্যে নদীর পেটে চলে গেছে জাতীয় গ্রিডের তিনটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার। গত এক সপ্তাহে সাহেবনগর, মির্জানগর, তালবাড়ীয়া এলাকায় প্রায় ১০০ একর বেশি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।উপজেলার বহলবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক ইসাহক জানান, ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কয়েক বিঘা জমি। বসতবাড়িই এখন সম্বল। যেভাবে ভাঙছে নদী তাতে শেষ সম্বলও বিলীন হয়ে যাবে।বহলবাড়ীয়া জামিউল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘পদ্মা নদীর ভাঙন মাদ্রাসার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। যেভাবে ভাঙছে তাতে যেকোনো মুহূর্তে মাদ্রাসাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি।’পদ্মা নদী রক্ষা কমিটির নেতা মুফতি ইয়াকুব বিন আজমল বলেন, ‘পদ্মায় পানি কমার কারণে সম্প্রতি ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে স্থানীয় সাহেবনগর জামিউল মাদ্রাসা ভবন।’কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে, সেসব এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’এইচএ
    স্ত্রীর জানাযায় অসুস্থ হয়ে জামায়াত নেতার মৃত্যু
    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্ত্রী মরিয়ম বেগমের (৬৪) জানাযায় অসুস্থ হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম (৭০) মারা গেছেন। মাজহারুল উপজেলার লামচর ইউনিয়ন শাখার জামায়াত ইসলামীর আমির ছিলেন। একদিন না যেতেই স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার লামচর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাশিমপুর গ্রামের বাড়িতে মাজহারুল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ৭ টার দিকে তার স্ত্রী  মারা যান। লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাজহারুল ও তার স্ত্রী মরিয়মের মৃত্যুতে জামায়াতে ইসলাম গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।মাজহারুল বেড়ি বাজার নুরাণী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও লামচর ইউনিয়নের পশ্চিম কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, রোববার সকাল ৯ টার দিকে আমার চাচা মাজহারুল তার স্ত্রীর জানাযায় অংশ নেন। তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সোমবার দুপুর ২ টার দিকে তিনি মারা যান। রাত সাড়ে ৮ টায় জানাযা শেষে মাজহারুলের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।এমআর
    সন্ত্রাসী হামলার শিকার চেয়ারম্যান আবদুল খালেক
    কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক চৌধুরী।সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সোয়া দশটার দিকে জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে হামলার শিকার হন তিনি। পরে অন্য আইনজীবীরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।চেয়ারম্যান খালেক চৌধুরী মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেজপুর এলাকার মৃত আবু বক্করের ছেলে।আহত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, পেশাগত কাজ শেষে আমি জজ কোর্ট থেকে ফিরছিলাম।  এ সময় এবি পার্টি জেলার সাবেক নেতা মহেশখালীর মৌলভীকাটা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে অ্যডভোকেট  নুরুল ইসলাম অতর্কিতভাবে আমার গতিরোধ করে শার্টের কলার ধরে চোর চোর বলে হামলা চালায়। এ সময় হামলায় অংশ নেন নাছির উদ্দিন হত্যা মামলার আসামী মুকবেকী খুশিয়ার পাড়া এলাকার মৃত আছদ আলীর ছেলে নুরুল হক, সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ সিরু ডাকাত, নুরুল ইসলাম, আব্দুল গফুর, আবুল কাশেম আমাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য আইনজীবীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা শেষে আমি আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছি।তিনি আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের সাথে আমার পূর্বশত্রুতা ছিল। আজ সুযোগ বুঝে তারা আমাকে অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানান চেয়ারম্যান খালেক।জানতে চাইলে অভিযুক্ত আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, আমিও শোনেছি কিছু লোক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে হামলা করেছে। তাকে হামলার বিষয়টি আমি জানিও না। আমার বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। অথচ ঐ সময় আমি চেম্বারে ছিলাম।জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি শোনেছি লিখিত অভিযোগ পলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এমআর
    ফটিকছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ৫ ব্যবসায়ীকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা  করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার  (২১ অক্টোবর ) দুপুর দেড়টায় এসব জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন। সূত্রে জানা গেছে,  দোকানে পণ্যের যথাযথ মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ৫টি মামলায় জানে আলম, হক, ভান্ডারি, হাশেম ও লোকমান স্টোরকে ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী করে বলেন, প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে সর্তকতামূলক জরিমানা করা হয়েছে। তারা সংশোধিত না হলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এইচএ
    তরুণ সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়
    তরুণ সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় নিয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন জিসান ফাউন্ডেশনের অঙ্গসংগঠন জিসান স্মৃতি ক্রীড়া সংঘের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জিসান ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়ক শামসুদ্দিন তুহিন আগামী ১বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেন।কমিটিতে সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন জাবেদ।বাকিরা হলো-সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম রায়হান, সহ সভাপতি আবু হানিফ স্বপন, মাহবুব মামুন, নাসির উদ্দীন সজিব, মোঃ ইমাম হাসান, মোঃ সেলিম হোসেন, মাসুদ করিম শিপন, কামরুল ইসলাম মিলন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান কাউসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জনি, মোঃ জাবেদ হোসেন, কাউসার মানিক বাদল, মনির আহমেদ টিপু, আজিম হোসেন হারুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব মুন্না রিপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব রিমন, রাকিব পাটোয়ারী, ক্রীড়া সম্পাদক মাহফুজ আহম্মেদ, সহ ক্রীড়া সম্পাদক হোসেন জামান রাসেল, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রিয়াদ হোসেন, সহ প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক রেদোয়ান হোসেন মুন্না, কোষাধ্যক্ষ তছলিম ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ সেলিম চৌধুরী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মহি উদ্দিন সোহেল, প্রচার সম্পাদক মেহেরাজ হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ রবিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান তীব্র, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাবর, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সহ পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান নিরব, ধর্ম বিষযক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিয়াদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক খোকন চন্দ্র দেবনাথ, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তৌসিফ আলম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রাহাত হোসেন বাবু, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহ তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম অপু, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরমান হোসেন, সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রুমন, পরিবেশ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফরহাদ, সহ পরিবেশ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশীদ কিরন।জিসান স্মৃতি ক্রীড়া সংঘের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ক্রীড়া শক্তি, ক্রীড়া বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল এ শ্লোগানে জিসান স্মৃতি ক্রীড়া সংঘ প্রতিষ্ঠিত। আর যার নামে এ সংগঠন সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ সোলেমান উদ্দিন জিসান, তিনি ছিলেন ক্রীড়ামোদি। আমরা তার স্মরনে তরুন প্রজন্ম কে মাদক এবং ভিডিও গেমস থেকে দুরে রাখতে আমাদের এই প্রয়াস দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান। ইনশাআল্লাহ চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন এর তরুন প্রজন্ম কে পূর্ন রুপে মাদকাসক্তি এবং মোবাইল আসক্তি থেকে সরিয়ে খেলার মাঠে আনাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য!  আমাদের উপর যে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে আশা করি আমরা এর সঠিক বাস্তবায়ন করবো।এবি 
    নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরামুলের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
    নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে ট্রাকশ্রমিক মো. খোকন (১৭) নিহতের মামলায় ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।    সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন এই আদেশ দেন।এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী কোর্ট ইন্সপেক্টর শাহ আলম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো.সবজেল হোসেন।    এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক এমপি একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।প্রসঙ্গত, নোয়াখালীতে ২০১৩ সালে ট্রাকশ্রমিক খোকন নিহতের ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নিহত ট্রাকশ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা করেন। ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাটের দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা। ট্রাকশ্রমিক খোকন সেসময় নিজ বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাচ্ছিলেন। সেখানে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। সেসময় একরামুলসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে খোকন গুলিবিদ্ধ হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, খোকনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।এইচএ
    ১৫ বছর ধরে স্বামীর নির্যাতনের শিকার স্ত্রী, দেখার কেউ নেই!
    মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ক্ষমা রানী দে নামে এক গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী উত্তম দে'র বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর ধরে যৌতুকসহ নানা অযুহাতে গৃহবধূ ক্ষমা রানী দে'র উপর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গৃহবধূর। পাষন্ড স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে আদালতের দারস্থ হয়েও ন্যায় বিচার না পেয়ে গতকাল সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন ক্ষমা রানী দে।স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে উপজেলার মালখানগর গ্রামের দুলাল দে'র ছেলে উত্তম দে'র সাথে হিন্দু রিতি রেওয়াজ অনুযায়ী জেলারটংগীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুর (করমজের বাড়ী) গ্রামের মৃত হরিদাস ভদ্রের মেয়ে ক্ষমা রানী দে'র বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ওরশে একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে। বিয়ের কয়েক বছর ভরণপোষন দিলেও প্রায় ১৫ বছর যাবৎ ক্ষমা রানী দে'র ভরণপোষণের খরচ না দিয়ে যৌতুকের জন্য নানা ভাবে নির্যাতন চালায় স্বামী উত্তম দে ও তার পরিবারের লোকজন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে  গ্রামে গ্রামে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করে সংসারের খরচ যোগান দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগান দিয়ে আসছেন গৃহবধূ ক্ষমা রানী দে। একদিকে সংসার আর সন্তানদের পড়াশোনার খরচের বোঝা আরেক দিকে মারপিট আর হুমকি ধমকিতে অতিষ্ট হয়ে এক পর্যায়ে ক্ষমা রানী দে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দারস্থ হয়ে সামাজিক ভাবে স্বামী উত্তম দেসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের নির্যাতনের বিচার চান। কিন্তু তাতে কোন প্রতিকার পাননি তিনি। উল্টো স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করে আসছেন উত্তম দে। স্থানীয়  গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিচার না পেয়ে স্বামী উত্তম দেসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ দায়রা জর্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ক্ষমা রানী দে।স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় নির্যাতনের মাত্রা আরো কয়েকগুন বারিয়ে দেয় স্বামী উত্তম দেসহ তার পরিবার। এমনকি স্বামী উত্তম দে গৃহবধূ ক্ষমা রানী দে'কে তার মাদক ব্যবসা করতে বাধ্য করলে ক্ষমা রানী দে তাতে অস্বীকৃতি জানালে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতনের পাশাপাশি নাইশিং গ্রামের চান মিয়ার ছেলে রতন সৈয়াল ও মালখানগর গ্রামের বাদশার ছেলে রাজিবসহ উত্তম দের অনুসারী বেশ কয়েকজনকে দিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন গৃহবধূ ক্ষমা রানী দে। স্বামী ও তার লোকজন কর্তৃক দেওয়া হুমতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষমা রানী দে একাধিকবার সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী করলেও সাবেক এমপি মহিউদ্দিনের পুত্র রিয়াদের প্রভাব খাটিয়ে লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী উড়িয়ে দেন স্বামী উত্তম দে। গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ প্রশাসন ও আদালতে নির্যাতনে বিচার চেয়ে না পেয়ে বর্তমানে গৃহবধূ ক্ষমা রানী দে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ ক্ষমা রানী দে স্থানীয় সাংবাদিকদের দারস্থ হয়ে অভিযোগ করে বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাকে সে ভরণপোষণ দেয় না। আমি বাড়িতে বাড়িতে কাপড় বিক্রি করে  ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে আদালতে মামলা করেও আমি কোথাও কোন বিচার পাই নাই । কেউ আমাকে সাহায্য করতে আসলে আমার স্বামী তাদের সংখ্যালঘু  নির্যাতনের মামলা দিয়ে হয়রানী করবে তাই কেউ আমাকে সাহায্যও করতে আসে না। আমি অসহায় হয়ে গেছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি আমার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ও আমার স্বামীর পালিত লোকজনের নির্যাতন আর হুমকি ধমকি থেকে রেহাই পেতে চাই।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উত্তম দে'র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হযরত আলী বলেন, উত্তম দে মাদক সেবী এবং মাদক ব্যবসা করে। আমি এলাকার মাদক নির্মূল করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ছয়টামামলার আসামী হয়েছি। উত্তম দে তার বৌকে নির্যাতন করে সেই বিচারে গিয়ে আমরা কয়েকজন মামলা খেয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছি।  সাংবাদিকরা লেখা লেখি করে বিষয়টা প্রশাসনের নজরে আনেন। আমরা তার পাশে আছি।এ ব্যপারে মুন্সিগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজয় চক্রবর্তী বলেন,  উত্তম দে একজন মাদকাশক্ত। সে তার স্ত্রী ক্ষমা রানী দে'কে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতনের বিচার করতে গেলে সে পুজা উদযাপন পরিষদের নেকাককর্মীদের হুমকি ও একাধিক মেম্বারসহ স্থানীয়গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি উত্তম দের যথাযথ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।এমআর
    এই স্বাধীনতাকে কখনো ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: আমানউল্লাহ
    বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারকে পতন মাধ্যমে নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কখনো ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে কেরানীগঞ্জের আটি বাজার ও হযরতপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজের অসমাপ্ত কাজের পরিদর্শনকালে এসব কথা তিনি। আমানউল্লাহ আমান বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামীতে যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের আমলের বিডিআর হত্যা মামলা, গুম-খুনসহ সকল অপকর্মের বিচার করা হবে এদেশে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশে দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এদেশের বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষকে গুম-খুন, কারাবন্দি করে রেখেছিল। আর পালিয়ে যাওয়ার দুইদিন আগেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বলেছিলো শেখ মুজিবের মেয়ে পালায় না।পরিদর্শনে ঢাকা সার্কেলের সড়ক ও জলপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সিনিয়র সহসভাপতি হাজী শামীম আহসান, নাজিম উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক মনির উপস্থিত ছিলেন।এমআর
    টাঙ্গাইলে নারীসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
    টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নারীসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) দক্ষিণ। । এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার শাখারিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের স্ত্রী নুরজাহান খাতুন (৪৮) ও ভূঞাপুর উপজেলার জগৎপুরা গ্রামের মো. লাল খানের ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন খান(৩০)।জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন জানান, চলমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি দক্ষিণ)পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল গোপালপুর  উপজেলার শাখারিয়া এলাকায়  একটি অভিযান চালায়। এ সময় ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা ইয়াবার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গোপলপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।এইচএ
    ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ না করে উল্টো হুমকি যত ইচ্ছে নিউজ করেন : ভূমি সহায়ক শাহানুর
    চাহিদামতো ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ না করে উল্টো ধমক হুমকির অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক শাহানুর ইসলাম এর বিরুদ্ধে। চাহিদামতো ঘুষের টাকা হাতে নিয়ে বছরের পর বছর সেবাগ্রহিতাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কাজ না করে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো ধমক হুমকি দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন শাহানুর ইসলাম।ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাত ও হয়রানির হুমকি দিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ বেশ পুরোনো। সাধারণ মানুষ সরকার নির্ধারিত ফ্রি এর প্রায় দশগুণ টাকা ঘুষ দিয়েও সেবা না পেয়ে হতাশ।জানা যায়, জমি খারিজ বা নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত খরচ ১ হাজার ১৭০ টাকা হলেও অফিস সহায়ক শাহানুর দলিলভেদে নেন ১০ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। অথচ নামজারির আবেদনের জন্য কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন বা হালকরণ ফি ১ হাজার টাকা ও প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান সরবরাহ বাবদ ১০০ টাকার বাইরে আর কোনো খরচ নেই।অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছর ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্ৰামের মোঃ ইকবাল মিয়ার নিজস্ব জমি খারিজের উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিস সহায়ক শাহানুর ইসলাম চুক্তি করে জমি খারিজ করে দিবেন টাকা লাগবে ১০ হাজার টাকা অতঃপর ঘন্টাখানেক দফারফা করার পর নগদ ৯ হাজার ৫০০ টাকা গ্ৰহণ করে জমি খারিজ এর দায়িত্ব নেন শাহানুর। মাস অতঃপর বছর সময় পেরিয়ে গেলেও খারিজ অথবা টাকা কিছুই পাননি মোঃ ইকবাল মিয়া। একাধিকবার শাহানুর এর সাথে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি উল্টো ধমক হুমকি খেতে হয়েছে।মৃগা ইউনিয়ন ভাটিরাজিবপুর গ্ৰামের কৃষক মোঃ কামাল মিয়াও নিজস্ব জমি খারিজের জন্যে ভূমি অফিসে গেলে অফিস সহায়ক শাহানুর ১৭ হাজার টাকায় চুক্তি করে। চাহিদামতো ঘুষের টাকা দিয়েও বছর পেরিয়ে গেলে জমি খারিজ হয়নি অতঃপর দীর্ঘদিন অফিস সহায়ক শাহানুর এর পেছনে পেছনে ঘুরে ১০ হাজার টাকা ফেরত নিলেও বাকি ৭ হাজার টাকা ফেরত দেইনি। আর একজন সেবাগ্রহিতা মৃগা ইউনিয়নের মোঃ সামছুল হক জমি খারিজের জন্য অফিস সহায়ক শাহানুর কে এক বছর পূর্বে ১০ হাজার টাকা দিলেও খারিজ বা টাকা কোনোকিছুই ফেরত দেননি উল্টো ধমক হুমকি দিয়ে মুখের উপর ফোন কেটে দিয়েছেন।মৃগা ইউনিয়নের ভাটিরাজিবপুর গ্ৰামের কৃষক রতন মিয়া অফিস সহায়ক শাহানুর এর কাছে ৭ হাজার টাকা দিয়েছে জমি খারিজের জন্য কিন্তু কাজ না করে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কোনো কিছু পাননি।মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা ভূঁইয়া বাড়ির মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, এক বছর পূর্বে জমি খারিজ এর জন্য অফিস সহায়ক শাহানুর কে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বছর পেরিয়ে গেলেও খারিজ তো হয়নি কাগজপত্রও ফেরত পাননি তিনি। সকাল বিকাল ফোন দিয়েও শাহিনুর এর সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয় না।ভূমি অফিসের সেবা সেবাগ্রহিতাদের এমন শতাধিক অভিযোগ অফিস সহায়ক শাহানুর এর বিরুদ্ধে। একাধিক লোকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে জানান, শাহানুর মৃগা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বে আসার পর জমি খারিজ এবং জমি ভূমিহীন এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং কিছু টাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফেরত দিয়েছে। যারা অসহায় সাধারণ মানুষ তারা টাকা ফেরত পাইনি উল্টো ধমক হুমকি খেয়ে টাকার আশা ছেড়ে দিয়েছে।ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বে থাকাকালীন সাধারণ মানুষকে জমি খারিজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ইসলাম। তিনি এখন এলংজুরী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বে আছে। উল্লেখ্য যে, এলংজুরী ইউনিয়নের একাধিক লোকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে তার দূর্নীতির কথা জানিয়েছেন।এই বিষয়ে অফিস সহায়ক শাহানুর এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় দেখিয়ে ভয় দেখান এবং টাকা ফেরত দিবেন না যত ইচ্ছে নিউজ করতে বলেন। এছাড়াও অফিস সহায়ক শাহানুর এর বিরুদ্ধে নিউজ করে কিছু করতে পারবে না এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারেন।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, অফিস সহায়ক শাহানুর ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টা খোঁজখবর নিয়ে দেখব। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবি 
    শরীয়তপুরে সাঁকো পাড়াপাড় নিয়ে দ্বন্দ্বে কৃষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
    শরীয়তপুরের রাজনগর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্ধে কৃষক কামাল বেপারীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বরিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার অঞ্চল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাারকৃতরা হলেন- নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজী কান্দি গ্রামের নুরু সরদারের ছেলে আমির হোসেন (৪৩) ও আলী হোসেন (৩৫)।মাদারীপুর র‍্যাব-৮ এর অধিনায়ক মীর মনির হোসেন জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিহত কামাল বেপারী ও একই গ্রামের আলী হোসেন সরদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শুক্রবার সকালে কামাল বেপারীর স্ত্রী মাসুদার সঙ্গে সাঁকো পাড়াপাড় নিয়ে তর্কবিতর্ক হয় আলীহোসেন সরদারের ভাই আয়নাল সরদারের স্ত্রী শিরিন বেগমের। এঘটনার পর কামাল বেপারী আন্দারমানিক বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আলী হোসেন সরদারের নেতৃত্বে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে মুমূর্ষু অবস্তায় ফেলে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় গতকাল রবিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের স্ত্রী। চঞ্চল্যকর এই মামলার দায়েরের ৪৫মিনিটের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভার অঞ্চল থেকে ১নং আসামি আলী হোসেন ও ৩নং আসামি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৮ এর অভিযানিক দল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নড়িয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।এইচএ
    পিরোজপুরে পৃথক ধর্ষণ মামলা, আটক ২
    পিরোজপুরের নাজিরপুরে পৃথক দুই ধর্ষন ও ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা পুলিশ ধর্ষক সুমন শিকদার (২২) ও ছত্তার মিয়া (৪৫) নামের দুইজনকে আটক করেছেন। এ ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত সুমন শিকদার উপজেলা সদরের শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের জেষ্ঠ্য সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন ওই কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মো. ফাইজুল ইসলাম ফয়েজ। জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিন চিথলিয়া গ্রামের আফতার শিকদারের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা সুমন শিকদার (২২) গত রবিবার দুপুরে তার সহপাঠী নাজিরপুর কলেজের স্নাতক  দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী (২২) এর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে উপজেলার বাঘাজোড়ার বাড়িতে যায়। সেখানে কেউ না থাকার সূযোগে তাকে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে জোর করে ধর্ষন করে। ওই ছাত্রীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ ছাড়া একই দিন উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের আবাসনে ছত্তার মিয়া (৪৫) কর্তৃক ৯ বছরের এক প্রতিবন্ধীকে জোর করে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযুক্ত ছত্তার বাগেরহাট জেলার বউলপুর উপজেলরা মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে।  নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ বলেন, পৃথক দুই ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমআর
    শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টারসহ তিন জনের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ
    বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোস্টার বাণিজ্য ও অনিয়মের মূলহোতা ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন, তরিকুল ইসলাম সোহাগের স্বৈরাচারী কার্যক্রম ও কর্মচারীদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে অভিযুক্ত ৩ কর্মচারীর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরা।সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে কর্মসূচী পালন করেন তারা। পরে ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রাব্বি আল মামুনের সভাপত্বিতে উপস্থিত ছিলেন- শাহাদাত হোসেন শান্ত, কায়ুম, ফয়সাল, আমিনুল ইসলাম, জব্বার ঢালী, আনোয়ার হোসেন, কামালসহ সকল কর্মচারীরা।  এ সময় কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালটির ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন ও তারিকুল ইসলাম সোহাগ দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম করে আসছে তাই এই দূর্নীতি, স্বৈরাচারী কার্যক্রম ও কর্মচারী নির্যাতন কারীদের দ্রুত অপসারণের দাবি জানাই আমরা।তারা আরো বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে কর্মবিরতিতে যাওযার ঘোষণা দেন।শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা দূর্নীতি, স্বৈরাচারী কার্যক্রম ও কর্মচারীদের নির্যাতনের অভিযোগ এনে ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এইচএ
    অবাধে চলছে ইলিশ নিধন উৎসব, আনুষ্ঠানিকতায় ব্যস্ত কর্মকর্তারা
    গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের জন্য ইলিশ নিধন, বিক্রি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঝালকাঠিতে চলছে কিছুটা ব্যাতিক্রম। খোদ মৎস্য অফিসের যোগসাজসে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনেক জেলেরা নদীতে মা ইলিশ নিধন অব্যাহত রেখেছে। এদের মধ্যে মৌসুমী জেলের সংখ্যাই বেশি। নিষেধাজ্ঞা শুরু থেকে গেলো এক সপ্তাহে সরজমিন অনুসন্ধানে যা পাওয়াযায় তাহলো শতাধিক মানুষ সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে লক্ষাধীক মিটার জাল নিয়ে পৃথকভাবে ইলিশ নিধনের মহোৎসবে মেতেছে। যা মধ্য রাতে দৃশ্যমান থাকে। অনেকে বলছেন অসাধূদের ইলিশ নিধনের বিষয়টির সাথে জেলা মৎস্য অফিসও জড়িত। নিষেধাজ্ঞার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কিছু জাল জব্দ এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দু'জনকে কারাদন্ড দেয়া ছাড়া তেমন কোনো সাফল্য নেই মৎস্য অফিসের। তারা নামমাত্র অভিযান, ফটোসেসনসহ তাদের দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতায় ব্যস্ত।তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  নলছিটির তেতুলবাড়িয়া এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা শুরুর দিন থেকেই বিষখালী নদীর ভবানীপুর, ইসলামপুর, তেতুলবাড়িয়া লঞ্চঘাট ও সুগন্ধা নদীর মগড় জাঙ্গালিয়া ইটভাটা, অনুরাগ, দপদপিয়া, মাটিভাঙা এলাকায় চলছে অবাধে মা ইলিশ মাছ নিধন। অভিযানে নামার আগাম খবর পেয়ে যায় জেলেরা। এর পরই শুরু হয় মৎস্য দপ্তরের লোকেদের সাথে লুকোচুরি খেলা' নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি গ্রামের জুয়েল হাওলাদার বলেন, 'শতাধিক ডিঙ্গি নৌকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নদীতে। মৎস্য অফিসের অভিযানের ট্রলার আসার আগেই এরা নৌকা নিয়ে ছোটো ছোট খালে আত্মগোপনে চলে যায়। অভিযানের লোকেরা চলে গেলে তারা আবার নৌকা নিয়ে নদীতে প্রবেশ করে।' অসাধূ জেলেদের সাথে মৎস্য অফিসের লোকদের যোগসাজস রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জুয়েল। ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা নান্টু সেলিম বলেন,'তালিকাভুক্ত (কার্ডধারী) অনেক জেলে নিজে নদীতে না নেমে মাছের ভাগের বিনিময়ে নৌকা ও জাল দিয়ে মৌসুমি জেলেদের সহযোগিতা করছেন। আবার এলাকার কিছু লোক নৌকা কিনে মৌসুমি জেলেদের কাছে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকায় ভাড়া দিচ্ছেন। আর মৎস্য অফিসের লোকজন সারাদিন নির্দিষ্ট একটি গন্ডির মধ্যে ট্রলার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় কিছু জাল ধরে ফটোসেসন করে চলে যায়।' নদীতীরের বাসিন্দা অনেকেই জানালেন, 'মৎস্য অফিসের সাথে যারা লিয়াজো না করে তাদেরকেই ধরা হয়। আর লিয়াজোকারীরা লুকোচুরির মতো খেলায় দিন কাটিয়ে মা ইলিশ নিধন উৎসব করছে। জাল তোলার পর মাছ নৌকা থেকে নামিয়ে নদীর তীরের ঝোঁপ-জঙ্গলে ও কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখছে। এসব ইলিশ সস্তায় কিনতে দূর-দূরন্ত থেকে ক্রেতারা আসছে প্রতিদিন।'  খেয়াঘাটে দায়িত্বরত অনেকে জানালেন, 'পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট নদীতে অভিযানে নামলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলফোনে অসাধূ জেলেদেরকে খবর জানিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে বেশ কিছু লোক। বিনিময়ে প্রত্যেককে ৫০০-৬০০ টাকা করে প্রতিদিন দেওয়া হয়। এদের কাজ হলো নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং নদীতে প্রশাসন অভিযানে নামলেই মা ইলিশ নিধনকারী মৌসুমি জেলেদের সাবধান করে দেওয়া। কারন মৎস্য কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তাদের হিমধরা আতংক। গনমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ ক'জন জেলে জানান, 'বর্তমানে প্রচুর ইলিশ জালে উঠছে। দিনের চেয়ে রাতেই বেশি নিরাপদ। তাই রাতেই বেশি জাল ফেলছেন। ইলিশ বিক্রির জন্য কোনো চিন্তা করতে হয় না। ক্রেতারা নদীর তীরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন মাছ কেনার জন্য। কিছু ক্রেতা মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেন। ফোন দিলেই তারা এসে মাছ নিয়ে যায়' অসাধূ জেলেদের সাথে অসাধূ উপায়ে লিয়াজো রাখা সহ সকল অভিযোগ অস্বিকার করে এ প্রতিবেদককে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন, 'যখন যেখানে জাল ফেলার সংবাদ পাচ্ছি তখনই সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। আমরা যেভাবে গোপন খবর পেয়ে অভিযানে ছুটেযাই ঠিক তেমনি আমাদের অভিযানের তথ্যটিও অসাধু জেলেদের কেউ খবর দিয়ে দেয়। তাই অনেক সময় ব্যাটে বলে মিলেনা। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আবার আমাদেরকে ফোন করে ভুল তথ্যও দিচ্ছে অজ্ঞাত লোকজন। ভুল তথ্যের কারনে অভিযানেও ব্যঘাত ঘটছে।' জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, '৬৩ কিলোমিটার নদীর ৮ পয়েন্টে আমরা আলাদা নজর রাখছি। মৎস্য অফিসের অভিযান বা টহল টিম নির্ধারিত গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, পুরো এলাকায়ই টহল দেয়া হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।' এমআর
    উপকূলের শতাধিক শিশুদের সাঁতার প্রতিযোগিতা
    "জীবনের জন্য সাঁতার" এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালী জেলার  উপকূলের শতাধিক শিশুদেরকে দশ দিনব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় জেলার মহিপুর থানার মম্বিপাড়া গ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ  (সিআইপিআরবি) এর অন্যতম একটি প্রজেক্ট ভাসা এর উদ্যোগে প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট এর সেভই সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু,  সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির,  সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ সহ অনেকে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া, শিশু  লামিয়া, সুয়াইয়, রিপা, রবিউল, আব্দুল্লাহ,  হাসান সহ অনেকেই  সাঁতার শিখে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।  এসময় তারা বলেন, আমরা সাঁতার জানতাম না, দশ দিন প্রশিক্ষণ শেষে সাঁতার শিখতে পেরেছি। প্রথমে পানি দেখে ভয় পেতাম।  এখন সাতার কাটতে পারি তাই পানি দেখে ভয় পাই না।  স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন,  আমরা উপকূলের মানুষ। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। তাই আমাদের বাচ্চাদের সাঁতার জানাটা খুবই জরুরী।  যে প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শিশুরা এখন পুরোদমে সাঁতার কাটতে পারে। এ বিষয়ে (সিআইপিআরবি) ভাসা প্রজেক্ট এর সেভই সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা কলাপাড়া উপজেলায় শিশুদের নিয়ে কাজ করি। বরিশাল ডিভিশনে শিশুদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি বছরে প্রায় ১৯ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।  আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো প্রতিবছর পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু, এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। কলাপাড়া উপজেলায় সব কটা ইউনিয়নে শিশুদের এ সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে।  এবছর অত্র উপজেরায় পাঁচ হাজার শিশুকে  সাঁতার শেখানোর টার্গেট নিয়েছি। এমআর
    কিশোরীদের দেয়া হবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা
    আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে বরিশাল নগরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্‌যাপিত হবে।রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নগর ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নগর ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর ইতোমধ্যেই ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভায় এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং একই ধারাবাহিকতায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এ এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৩০ টি ওয়ার্ডে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য ৩২০ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৮ দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আর বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতায় ২১ হাজার ৭০৩ জন কিশোরী রয়েছে যাদেরকে এ টিকা প্রদান করা হবে।তিনি বলেন, ১৮ দিনের ক্যাম্পেইনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ দিন ৩২০ টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের এবং বাকি ৮ দিন ১০ থেকে১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার টিকা (এইচপিভি)টিকা দেওয়া হবে।সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য বিভাগ, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প, বিভিন্ন বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি সহ এই বৃহৎ টিকা কার্যক্রমে মোট টিকাদান কর্মী ২৪০ জন। পাশাপাশি ভ্যাকসিন পোর্টার ৬০ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক ৭২০জন পর্যায়ক্রমে ১৮ দিন এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কাজ করবেন।উল্লেখ্য বরিশাল সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ দিনই এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চলবে। ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্র সকাল সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এই ক্যাম্পেইনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি-বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে না ।তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার এক ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত,নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে কিশোরীদের অভিভাবকবৃন্দ এইচপিভি টিকার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং কিশোরীদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা.সজল পান্ডেসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এআই 
    অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়ার
    ময়মনসিংহে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ড্রামট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাদিয়া (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও সড়কের সুতিয়াখালী শেষমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সাদিয়ার ৫ বছরের শিশু সন্তান ও সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ আরও ৪/৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত সাদিয়া আক্তার গফরগাঁও উপজেলার ইমামবাড়ী এলাকার তামিমের স্ত্রী।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া আক্তার গফরগাঁও থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে গফরগাঁও-ময়মনসিংহ সড়কের সুতিয়াখালী শেষমোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী ড্রামট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনা স্থলে অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়ার মৃত্যু হয় এবং নিহত সাদিয়ার ৫ বছরের শিশু সন্তান ও স্বজন সিএনজিচালকসহ আর ৪ থেকে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শফিক উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং আহতরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এইচএ
    গৌরীপুরে তরুণী হত্যা, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর
    যৌন নির্যাতনের কারণেই আমার মেয়ে শাহিদা আক্তার (১৪) মৃত্যু হয়েছে। সে আত্মহত্যা কেন করবে, তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে গৃহকর্তা নুরুল হায়দার রাকিব ধরার চেষ্টা করতো, এনিয়ে হাতাহাতি করতো। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাদিরা নাজনীন সেতু’র নিকট অভিযোগ দিয়েছিলো। এ নিয়ে দু’জনের মাঝে দ্ব›দ্ব ও মারামারিও হয়েছে। আমার মেয়েকেও শাসিয়েছে। এতে লজ্জায় হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে, নয়তো তাকে মেরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। সোমবার (২১ অক্টোবর) এসব কথা বলেন, ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের পশ্চিমপাড়া মহল্লার নিহত শাহিদা আক্তারের মা মাহফুজা।  তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে মরতে পারে না। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।এ দিকে শাহিদা আক্তারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৃহকর্তা নুরুল হায়দার রাকিব ও তার স্ত্রী নাদিরা নাজনীন সেতুকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ঢাকার খিলগাঁও থানার পুলিশ। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মো. সাদেকুল ইসলাম জানান, শাহিদা খিলগাঁও তিলপা পাড়া নুরুল হায়দারের বাসায় ভাড়া থাকতেন মো. রাকিবুল ইসলাম। রাকিবুলের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো শাহিদা। বাসা কেউ না থাকায়। দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের নানা জুবেদ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।  অপরদিকে শাহিদা’র মৃত্যুর সংবাদে বিক্ষুব্দ জনতা সেতু’র বাবা সতিষা গ্রামের হাসমত আলীর বাড়িতে হামলা-ভাংচুর করেছে। হাসমত আলী জানান, হামলাকারীরা এ সময় তার ঘর থেকে স্বর্ণাংলকার, ল্যাপটপ, মূল্যবান জিনিসপত্র, নলকুল ও মোটর সাইকেল লুট করে নিয়ে গেছে। ঘরের দরজা-জানালা ও বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। গৌরীপুর ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ প্রসঙ্গে শাহিদার বাবা শহিদ মিয়া জানান, আমি ও আমার পরিবারের কেউ যাইনি। কে বা কারা হামলা করেছে তাও বলতে পারছি না। এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে শাহিদার লাশ আসার পরে এলাকাবাসী আবারও বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেন। লাশ দাফন না করে এ সময় তারা বিচারের দাবি জানান। এরপরে সেনাবাহিনীর একটি টিম আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তার লাশ দাফন করা হয়। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাহিদার বাবা শহীদ মিয়া পেশায় রিকশাচালক। মা মাহফুজা বেগম গৃহিণী। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শাহিদা সবার বড়। ছোট বোন মীম আক্তারের বয়স আট ও ছোট ভাই মেহেদি হাসান মারুফের বয়স দুই বছর। ২০২০ সালে ঢাকায় নূরুল হায়দার রাকিবের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয় শাহিদা আক্তার। রাকিব গৌরীপুর পৌর শহরের সতিষা মহল্লার হাসমত আলীর মেয়ের জামাতা। শাহিদার বাবা শহিদ মিয়া বলেন, আমি গরিব রিকশাচালক মানুষ। ভিটেমাটি ছাড়া কিছু নেই। চার বছর আগে পাশ্ববর্তী মহল্লার হাসমত আলী তার মেয়ের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য আমার মেয়ে শাহিদাকে নিয়ে যায়। এখন সেই বাড়ি থেকেই মেয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল। কেন আমার মেয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল আমি এর বিচার চাই।শাহিদার মা মাহফুজা বেগম বলেন, গত কুরবানীর ঈদের সময় মেয়ে বাড়ি ফিরে আর যেতে চাইছিল না। পরে হাসমত আলী বুঝিয়ে শোনিয়ে দুই মাসের কথা বলে শাহিদাকে ঢাকায় তার মেয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। গত সোমবার রাতে শাহিদার সাথে শেষ কথা হয়। মেয়ে বলে এখন আসবো না কয়েকদিন পর একেবারেই চলে আসবো। কিন্তু এখন মেয়ে আসলো লাশ হয়ে। জীবিত মেয়েকে আর দেখা হলো না।রাকিবের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানান হাসমত আলী। তিনি বলেন, আমার মেয়ে নাদিরা নাজনীন সেতু তার স্বামী রাকিবের সাথে ঢাকায় বসবাস করে। চার বছর ধরে শাহিদা ওদের সাথেই থাকতো। আমার মেয়ে শাহিদাকেও বোনের মতো দেখতো। কিভাবে কি হল বলতে পারছি না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসবো।এইচএ  
    ময়মনসিংহে ডিবির সাবেক ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
    ময়মনসিংহের পুরোহিতপাড়ায় ক্রসফায়ারে রাজন হত্যার ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক ওসি আশিকুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নিহত রাজনের বাবা হারুন অর রশিদ (৫৪) বাদী হয়ে ময়মনসিংহ সদর ১ নম্বর আমলী আদালতে মামলার জন্য অভিযোগ দাখিল করেন।অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রওশন জামিল ঘটনা তদন্তপূর্বক কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।মামলার আসামিরা হলেন- পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, এসআই ফারুক আহমেদ, এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই আব্দুল মজিদ, এএসআই জিন্নাত হাসান মানিক, এএসআই জাকির হোসেন, এএসআই জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল কাউসার হাবিব, কনস্টেবল গোলজার, কনস্টেবল সোহরাব আলী, কনস্টেবল সাইফুল, কনস্টেবল সেলিম, কনস্টেবল রাশেদুল, কনস্টেবল সানোয়ার ও কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাছিনুর রহমান। তিনি জানান, বাদী হারুন অর রশিদ ডিবি পুলিশের সাবেক ওসিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছেন। আদালত কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)- কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২২ মে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তৎকালীন ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নগরীর পুরোহিতপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাদীর ছেলে রাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে বাদী তার ছেলেকে দেখার জন্য ডিবি কার্যালয়ে যান। কিন্তু দুই দিনেও তাকে ছাড়েনি। এরপর ২৪ মে সকালে বাদী আবারও ছেলেকে ছাড়াতে ডিবি কার্যালয়ে গেলে ওসি আশিকুর রহমান ১০ লাখ টাকা রাতের মধ্যে দিতে হবে- এমনটা দাবি করেন।কিন্তু বাদী টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে পুরোহিতপাড়া রেলওয়ে ভাঙা ওয়াল সংলগ্ন পুকুরপাড় দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায় রেনু বেগমের বাড়ির পাশে রাজনকে নিয়ে গিয়ে ওসি আশিকুর রহমানের নির্দেশে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে ও পেটের নিচে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের হাতে লাশ তুলে দেয়।মামলার বাদী হারুন অর রশিদ দাবি করে বলেন, ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় ওসি আশিকুর রহমানসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা আমার ছেলেকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় দায়ীদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছি।এমআর
    চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় প্রতারক গ্রেফতার
    বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে নগদ অর্থ আত্মসাৎকারী অভিলাষ মোহন দাস (৪৫) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।  রবিবার(২০ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখ্যপ্রাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।গ্রেফতারকৃত অভিলাষ মোহন দাস মোহনগঞ্জ উপজেলার মাইলোড়া গ্রামের দীনেশ মোহন দাসের ছেলে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আনুমানিক দুই বছর আগে অভিলাষ মোহনের সাথে গৌরীপুর উপজেলার হিম্মতনগর গ্রামের মো. হারুণ অর রশিদের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে অভিলাষ অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কোন প্রার্থী থাকলে তাকে  চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বললে হারুণ অর রশিদ ৬ লাখ ৫০ হাজর টাকার বিনিময়ে তার স্ত্রীর ছোট ভাইকে পুলিশের কনস্টেবল চাকরি দেওয়ার জন্য প্রস্তাবে রাজি হন। সেই প্রস্তাব অনুসারে গত ২৩ সালের ০১ জানুয়ারী কয়েকজন সাক্ষীর সামনে চাকরির আশায় অগ্রিম নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করেন।  কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দীর্ঘ দিন অতিক্রান্ত হলেও হারুণের শ্যালকের  চাকরি না হওয়ায় অভিলাষ মোহন দাস এর নিকট  চাকরির বিষয়ে এবং পূর্বে প্রদান করা টাকা চাইলে অভিলাষ নানা তালবাহানা করতে থাকে।সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে প্রতারক অভিলাষ পুনরায় হারুনকে ফোন করে বলে তার শ্যালকসহ আরো প্রার্থী থাকলে তাদেরকেও অর্থের বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে দিবে।এমতবস্তায় হারুণ তার স্ত্রীর ছোটবোনকে সাথে নিয়ে অভিলাষের কথা মতো গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় পৌর শহরের সাতপাই কালীবাড়ী মন্দিরের সামনে আসেন।ইতোমধ্যে হারুণ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, অভিলাষ মোহন দাস একজন প্রতারক এবং তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সাতপাই এলাকায় প্রতারক অভিলাষের সাথে দেখা করে শ্যালকের  চাকরির জন্য দেয়া একলক্ষ টাকা ফেরৎ চাইলে প্রতারক তাকে টাকা দিবেনা বলে উল্লেখ করে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিলাষ মোহন দাসকে আটকে রেখে সেনাক্যাম্পে সংবাদ দেয়। পরবর্তীতে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ অভিলাষ মোহন দাসকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়।জেলা পুলিশের মুখ্যপ্রাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, এই ঘটনায় মোঃ হারুন অর রশীদ লিখিত অভিযোগ করায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী আনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।এবি 
    'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে'
    বিগত ১৫ বছরের গুম খুনের হোতা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। তিনি বলেন, বিগত পনের বছর বাংলাদেশে বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ যে সমস্ত গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেছে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আর নেই। ক্ষমতা আকঁড়ে ধরে রাখার জন্য বিগত মাফিয়া সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা নির্বিচারে এই গুম ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বাংলার মাটিতে তাঁর বিচার কার্যকর করতে হবে।শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালি ইউনিয়নের কাচারি বাজার এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সাগর হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা সমাজ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ক্ষণে ক্ষণেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক। সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।  জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমনের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট মিথ্যা মামলা দায়ে করে দন্ডিত করেছে। এতে বিচারকদের জিম্মি করে রায় ঘোষনা করানো হয়েছে। অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। অন্যথায় এদেশের ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।  জনসভায় স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মিলনের সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন ও আব্দুর রশিদের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ভূইয়া ও রতন আকন্দ, বিএনপি নেতা সৈয়দ শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি রফিকুল আলম শামীম, পেশাজীবী নেতা কৃষিবিদ ড. মাহাবুবুর রশিদ গোলাপ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিপন তালুকদার ও যুবদল নেতা তোফাজ্জাল হোসেনসহ প্রমূখ।  এআই
    স্কুলছাত্র হত্যা মামলার ৯ বছর পর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েলকে অপহরণের পর হত্যার ৯ বছর পর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস. এম রেজাউল বারী এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে নুরুজ্জামান (৩৮), ডাহেনাপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩০) এবং বলরামপুর গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে হাসানুল ইসলাম (৩২)। এদের মধ্যে নুরুজ্জামান ও হাসানুল পলাতক রয়েছেন।অপরদিকে, হত্যার শিকার আসাদুজ্জামান পায়েলের বাড়িও দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামে। ২০১৫ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন পায়েল। নিখোঁজের চারদিন পরে বিকেলে বাড়ির এক কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ওই দিনই মামলা দায়ের করেন পায়েলের বাবা সুলতান আলী। পায়েল স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পায়েল নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে বাবা সুলতান আলীর কাছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বিকৃত কণ্ঠে পায়েলের মুক্তিপণ বাবদ তিনলাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা নিয়ে কোথায় যেতে হবে তা জানানো হয়নি। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অপহরণে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় ওই তিনজনের। পরে স্থানীয়ভাবে বসে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডোবা থেকে বস্তাবন্দি পায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ওই তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে একই বছরের ৩১ আগষ্ট পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছে বলেই বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার ন্যায় বিচারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলো ভিকটিমের পরিবার। দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।এর আগে, গত বছরের ১১ মার্চ রাইজিংবিডিতে ‘৮ বছরেও শেষ হয়নি স্কুলছাত্র পায়েল হত্যার বিচার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিলো। সেসময় পায়েলের বাবা সুলতান আলী ন্যায় বিচারে আশঙ্কা করেছিলেন। এবি 
    সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন
    কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত আশিক হত্যা মামলায় কুড়িগ্রামের সুনামধন্য ৩ সাংবাদিককে অন্তর্ভূক্তের প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে ফুলবাড়ীর সাংবাদিকদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ মজনু, নুরনবী মিয়া, সাধারণ শিক্ষার্থী, আরিফুল ইসলাম, লিমন মিয়া, মেহেদী হাসান ও আতিক হাসান প্রমুখ। সময় বক্তারা বলেন, গত ৪ আগস্ট তৎকালীন সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের দ্বারা সাংবাদিকরা কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ ঘোষপাড়ায় অবরুদ্ধ ও পৌর বাজারে হামলার শিকার হন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করেন। এমন কি কয়েকজন সাংবাদিকের সন্তান ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলো। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের তিন সাংবাদিকের নামে পুলিশ কোনো তদন্ত না করেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি গ্রহণ করেন। তাই অতিদ্রুত কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোড় দাবী জানান বক্তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন। সমাবেশে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য ও সদস্য ইউসুফ আলমগীরের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান সাংবদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষার্থীরা।উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ এনে ৩ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রহুল আমির নামের এক শিক্ষার্থী। এ মামলায় ১০৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কালের কণ্ঠ ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক ছাড়াও নিউজ২৪ টিভি ও দৈনিক সংবাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনধি হুমায়ুন কবির সূর্য এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ইউসুফ আলমগীর।এআই 
    বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি, চোর আটক
    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চুরি করার সময় হাতেনাতে রানা (২৫) নামে একজন চোরকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হাসপাতালের পূর্ব পাশ দিয়ে প্রচীরের উপর দিয়ে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে। ভিতরে ফুলবাগানের ভিতরে থাকা পুরাতন ভাংগা লোহার চেয়ার, টেবিল, জানালা দরজা চুরি করতে থাকে। হাসপাতালে থাকা নাইটর্গাডরা দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে। তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন চোর পালিয়ে যায়। আটককৃত রানা পৌরশহরের পশু হাসপাতাল এলাকার মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রসুল রাখি জানান, এর আগেও হাসপাতাল থেকে আনেক কিছু চুরি হয়েছে। অনেকদিন থেকে চোরকে ধরার চেস্টা চালিয়ে কালকে চোর ধরতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আটককৃত চোরকে থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, থানায় চুরির মামলা হয়েছে, আটককৃত চোরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।এমআর
    চলন্ত ভটভটির চাকা খুলে গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আহত ৫
    গরু বিক্রি করতে গিয়ে চলন্ত ভটভটির চাকা খুলে যাওয়ায় শহিদুল ইসলাম (৫০) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও পাঁচ গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের টিকটিকির বাজার সংলগ্ন ফুলবাড়ী-টু-বড়বাড়ী যাওয়ার সড়কে জোড়া কালর্ভাট এলাকায়। নিহত গরু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম হলেন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নেন বালাতাড়ী গ্রামের মৃত কপুর উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন- ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে মোগল মিয়া (৪৫), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া (২৭), কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার আব্দুল মিয়ার রহিজ উদ্দিন (৫৫), শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জকুরটল এলাকার মোক্তার আলীর ছেলে হাসানুর রহমান (৩০) ও একই ইউনিয়নের আছিয়ার বাজার এলাকার ভটভটির চালক মজনু মিয়া (৩৫)। চালক মজনু মিয়া গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ও ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান স্বজনরা। গরু ব্যবসায়ী আজাহার আলী ও বালাতাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন জানান, নিহত শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে গরু কেনা বেচা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তিনি মুলত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে গরু ক্রয় করে। পরে তিনি গরুগুলো ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট, খরিবাড়ী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী হাটে গিয়ে বিক্রি করেন। রবিবার ভোরে কয়েকটি গরু নিয়ে বড়বাড়ী হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথে চলন্ত ভটভটির চাকা খুলে গেলে শহিদুল ইসলাম ভটভটির ছাদ থেকে পাকা সড়ক পড়ে মাথা ও মুখ থেতলে গেলে ঘটনাস্থলে মারা যান। চালকসহ আহত পাঁচজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এআই 
    হিলিতে কমেছে ডিম ও বিভিন্ন সবজির দাম
    দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ডিম ও বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। সবজি প্রতি কেজিতে প্রকারভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা দাম কমেছে, ডিম হালিতে কমেছে ৪ টাকা। মোকামগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।বর্তমানে বেগুন কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা, পটল ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা কমে ২০০ টাকা, করলা ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, শষা ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে কমেছে ডিমের দাম, প্রতি হালি ডিম ৪ টাকা কমে এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। অন্যদিকে টমেটোর দাম বেড়েছে, টমেটো কেজি প্রতি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ নৃত্যপূণ্যর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।হিলি বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা আশিকুল আলমের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, কয়েক দিন থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে সব সবজির দাম বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে সবজির বাজারে দাম বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। যার কারনে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। তবে একবারে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১০ টাকা কমালে হবে না। যার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার। কিন্তু হিলিতে তা করা হয় না। যার কারনে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজের ইচ্ছে মতো দাম বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, দুই দিন থেকে মোকামে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রকারভেদে সবচির দাম কমেছে।হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ভারত থেকে ডিম আমদানি হবে এমন সংবাদে খামার মালিকরা ডিমের দাম কমে দিয়েছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে প্রতি পিচ ডিম এক টাকা কমেছে। এখন প্রতি হালি লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমে গেছে।এবি 
    জয়পুরহাট আদালতে ৪৪ জন কর্মচারীর মধ্যে ২৮ জনেই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার
    জয়পুরহাট আদালতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম করে ৪৪জনের মধ্যে ২৮জনেই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার এমন অভিযোগে মানববন্ধন করেছে জেলা জাতীয়তাবাদি আইনজীবি ফোরামের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জয়পুরহাট আদালত চত্বর সড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করা হয়।মানববন্ধন চলাকালে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালামত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তরুণ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনুর রহমান শাহিন, ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনা চৌধুরীসহ অন্যরা।বক্তব্য বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক সচিব গোলাম সরোয়ার এর নিদের্শে জয়পুরহাটসহ সারাদেশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজনদের ও তাদের নিকট আত্বীয়দের দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য করেছে বলে প্রদীয়মান। নিয়োগ-বাণিজ্য করে জয়পুরহাটেও আদালতে ৪৪জন কর্মচারীর মধ্যে ২৮জনেই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বলে জানান।এমআর
    মদের দোকান নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন
    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মদের দোকান মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শাহজাদপুর পৌর শহরের প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে উপজেলা ছাত্রদল ও পৌর ছাত্রদলের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদল ও শতশত সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাহজাদপুরে মদের দোকান ও মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ-মামুন-জুয়েল, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ ইউনুস আলী, মির্জা স্বপন, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ -আল সাফায়েত আদিব, অনিক আহমেদ, বিশাল আহমেদ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, হযরত মখদুম শাহ দৌলা (রহঃ) এর পূণ্যভূমি ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর এবং হযরত শাহ হাবিবুল্লাহ (রহঃ) এর পবিত্র মাটিতে কোন রকমের মাদক দ্রব্য বিক্রি হতে আমরা দিব না। এসময় তারা প্রশাসনের কাছে মদের দোকান বন্ধের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, মদের দোকান বন্ধের দাবিতে শাহজাদপুরের জনসাধারণ অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।এমআর
    প্রকৃতিতে শীতের আমেজ, নওগাঁয় চাষ হচ্ছে আগাম সবজি
    প্রকৃতিতে  এখন শীতের আমেজ। আর শীতকালকে বলা হয় সবজির ভরা মৌসুম। যখন হরেক রকম শাক-সবজির স্বাদ নেওয়ার সুযোগ মেলে। যদিও শীত আসতে অনেকটা সময় বাকি তবুও এর মধ্যে নওগাঁর মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন, মুলা, পালংশাকসহ এমন নানা শাক-সবজিতে ভরে গেছে কৃষকের খেত। ভালো দাম পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধ্য পর্যন্ত খেত পরিচর্যায় ব্যাস্ত কৃষকরা। এদিকে এরমধ্যে বাজারেও উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে দাম অনেক চড়া।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে- এবছর শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে।সরজেমিনে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল, কীর্ত্তিপুর, বক্তারপুর, চক আতিথা, তিলকপুর এলাকার মাঠগুলোতে দিনভর চাষিদের ব্যাস্ততা দেখা গেছে। সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, বেগুন, মুলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাজর, পালংক শাক, লাল শাকসহ হরেক রকম আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষকরা রোদে পুড়ে সবজির ক্ষেত পরিচর্যায় করছেন। কেউ চারার পরিচর্যা করছেন আবার কেউ সার-বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। এছাড়াও যারা পিছিয়ে পড়েছেন তারা জমি প্রস্তত, বীজ বপণে তোড়জোড় শুরু করেছেন।কৃষকরা বলছেন- আগাম শীতকালীন সবজি চাষে পোকা মাকড়ের আক্রম, বৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও খরচ হয় বেশি। তারপরও বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভ হয় দ্বিগুণ। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।কীর্ত্তিপুর গ্রামের আগাম সবজি চাষি নুরুল হক বলেন, ১০ কাটা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এবছর মাঝখানে বৃষ্টির কারণে চারা কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তারপরও যেসব চারা আছে সেগুলোই এখন পরিচর্যা করছি ভালে দাম পাওয়ার আশায়।আরেক কৃষক সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৩০ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি। আগাম শীত মৌসুমের জন্য যেসব সবজি চাষ করা হয় দাম ভালোই পাওয়া যায়। কিন্তু পরিচর্যা বেশি করতে হয়। পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। আবার বৃষ্টি হলে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ভালো দামের আশায় আগাম সব সবজি চাষ করা হয়।বক্তারপুর গ্রামের সবজি চাষি সিদ্দিক আলী বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছি। এ বছর বৃষ্টির কারণ আগাম সবজবি চাষে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এজন্য একটু বেশি পরিচর্যা করতে হয়েছে। অনেক খরচ পড়ছে। তবে অসময়ে বাজারে এই সবজির চাহিদা থাকে অনেক। এ কারণে এই সবজিগুলো বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। এ জন্য আগাম শীতকালীন সবজি চাষে আমাদের আগ্রহ বেশি থাকে।নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পর থেকে কৃষকরা আগাম শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করেছেন। যা এরইমধ্যে বাজারে উঠেছে এবং কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আগাম শীতকালীন সবজি চাষে একটু ঝুকি বেশি থাকে। এজন্য কৃষকদের  সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সার, জৈব সার এবং কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।এইচএ
    বেলকুচি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ
    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তেয়াশিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় শ্রেণির এই চাকরির ১১তম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন ৩২ হাজার ২৪০ টাকা। এই বেতনে চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন সিরাজগঞ্জ শহরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাটে।এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তেয়াশিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কামারখন্দ উপজেলার দশশিকা গ্রামের দলিল লেখক মৃত তসলিম মহুরীর ছেলে। পৈতৃক সুত্রে পাওয়া ১২ শতক জায়গা থেকে অঢেল সম্পদের মালিক এখন এই ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী রেজাউল। জানা গেছে, রেজাউল করিম রেজা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী পদে ২০০৪ সালে যোগদানের পরই কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এক ভুক্তভোগী আল জাহিদ হোসেন বাধঁন বলেন, ‘জমির নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলেই রেজাউল করিম রেজাকে ঘুষ দিতে হয়। আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এনায়েতপুর গোপালপুর মৌজার একটি জায়গা নামজারি করার জন্য ১৬ হাজার টাকা নিয়ে দের বছর পেরিয়ে গেলও জমির নামজারি করে দেয়নি। নামজারি কথা বলতে গেলে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে মারধর করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে,এর পর বেলকুচি উপজেলা সহকারী  কমিশনার (ভুমি) প্রতীক মন্ডল বরাবর ঘুষ নিয়ে নামজারি না করে দেওয়ায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। প্রায় এক মাস হলেও উপ-সহকারী রেজাউলের বিরুদ্ধে কোন  ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর এক মাস পার হলেও  এসিল্যান্ড প্রতীক মন্ডল রেজাউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে পুনরায় ঔ জায়গার নামজারির জন্য আবেদন করতে বলেন। গত ৬ আগস্ট সোমবার আবেদন করার পর এখনও কোন সমাধান পাইনি।সরেজমিনে ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এর মধ্যে নায়েব রেজাউল করিম রেজা  ২০১৭ সালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর ফুটবল মাঠের পশ্চিমে সয়াধানগড়ায় ৪২ লাখ টাকায় কিনেছেন প্রায় ৫শতক জায়গা।দশশিকা গ্রামের শাহিন রেজা বলেন, নায়েব রেজাউল করিম রেজার বাবার বাড়ি সহ দেড় বিঘা জমি ছাড়া কিছুই ছিল না। এই চাকরি করে তার নিজ এলাকা কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসুতি ও দশশিকা মৌজায় করেছেন  বাড়ি, রয়েছে অন্তত ৫ বিঘা ফসলি জমি। ছেলেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে (ফিনল্যান্ড)পাঠিয়েছেন লেখাপড়ার জন্য।  তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে তার নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জের  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার ৯৪ নং আসামি নায়েব রেজাউল করিম। জানা গেছে, আগেও তার ঘুস ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৯ সালে চাকরি চলে যায়। এরপর আওয়মী লীগের রাজনীতি করার সুবাদে নেতাদের সহযোগীতায় ২০১০ সালে আবার চাকরি ফিরে পান। এদিকে রেজাউল করিম রেজা অল্প দিনে আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ায় বিস্মিত তার নিজ গ্রামবাসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার বাড়ির পাশের একজন বলেন, রেজাউল করিম রেজা  ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হয়েই ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন। এসব কারণে ২০০৯ সালে তার চাকরি চলে যায়। আওয়ামী লীগে রাজনীতি করার কারণে জেলার নেতাদের সহযোগীতায় ২০১০ সালে চাকরি ফিরে পান।কিন্তু অবৈধ ঘুস দুর্নীতির অভ্যাস আজও ছাড়তে পাড়েননি। নিজ এলাকায়ও তিনি লাখ লাখ টাকার সম্পদ কিনেছন। তার এই চাকরির বেতনে কিভাবে সম্ভব এটা আপনারাই বলেন। দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াশিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী আলমিন বলেন, ‘জমির নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলেই রেজাউল করিম রেজাকে ঘুষ দিতে হয়। গত ২০২২ সালে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২৪ শতক জায়গার বাবত (৩৭৫০০) ৩৭ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়ে ১০ টাকার রশিদ কেটে দিলো। বাকি টাকার রশিদ চাইলে বলেন ওটা দেওয়া হয় না। এখন ২০২৪ সালে ঔ জায়গার খাজনা দিতে গেলে ভূমি উপ-সহকারী রেজাউল বলেন, ও জায়গা আপনার নেই, পরে জানতে পারি ২৪ শতক জায়গা আমার চাচাতো ভাইদের নামে নায়েব রেজাউল নামজারী করে দিয়েছে। এমন কি দেখা যায় ৮ বছর আগে মৃত ব্যক্তি নামেও নামজারি করে দিয়ছেন। এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রতীক মন্ডল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ না করে আমাকে তিনি বলেন, আপনি নামজারির উপর মিস কেস করেন রেজাউলকে বলে ঠিক করে দেওয়া হবে। আল-আমীন আরও বলন, এভাবে ঘুষ নিয়ে কত জনের সর্বনাশ করেছে। সরকারের কাছে  নায়েব রেজাউল এর সুষ্ঠ বিচার ও দুদককে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।রেজাউল করিম রেজা তেয়াশিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজার কাছে ঘুষ দুর্নীতি ও সম্পদের  কথা জানতে চাইলে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা তবে লাখ লাখ টাকার জায়গা ও ছেলেকে বিদেশে পড়ালেখার কথা জানতে তিনি বলেন, চাকরির আগে ব্যবসার টাকা দিয়ে কিছু জায়গা কেনা ছিল আর বর্তমানে কিছু জায়গা কেনা হয়েছে। এ সময় ছেলে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে পড়ালেখার কথা তিনি এড়িয়ে যান।বেলকুচি সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জানতে বলেন। বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, নায়েব রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে এর সত্যতা যাচাই  করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এইচএ
    নাটোরের গুরুদাসপুরে নীতিমালা অনুসারে সার না পাওয়ার অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের
    সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নাটোরে গুরুদাসপুরে বিসিআইসি ডিলারগণ খুচরা ব্যবসায়ীদের সার ও কমিশন না দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  করেছে খুচরা সার ডিলাররা। সোমবার (২১অক্টোবর) বেলা ১১ টায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা খুচরা সার ডিলার কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম। পরে বক্তব্য রাখেন সায়েম সরদার,আতিকুল ইসলাম,ফেরদৌস আলম,আরব আলী,হাফিজুল ইসলাম। এসময় উপজেলা,পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের খুচরা সার ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।খুচরা সার ব্যবসায়ীরা বলেন,‘তারা সরকারী পরিপত্র অনুসারে নিয়মনীতি অনুসরন করে খুচরা সার ব্যবসায়ী হিসাবে জামানত সাপেক্ষে সরকারীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। নীতিমালা অনুসারেই দীর্ঘ সময় তারা সরকার নিযুক্ত ডিলারদের মাধ্যমে প্রাপ্ত সারের ৫০ শতাংশ ও নির্ধারিত কমিশন পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত আগষ্ট মাস থেকে বিসিআইসি সার ডিলারগন খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। বেশি মুনাফা লাভের আসায় ডিলাররা সিন্ডিকেট করছে। একারনেই খুচরা ব্যবসায়ীরা সার ও কমিশন পাচ্ছেনা। বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও সুবিচার না পাওয়ার দাবী ওই ব্যবসায়ীদের’ ।তারা আরো বলেন,‘হাতের নাগালে সার না পেয়ে কৃষকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উপজেলা সদরে এসে তাদের সার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে সময় অপচয় হচ্ছে,উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। সরকারি নীতি অনুযায়ী কমিশনসহ সার পাওয়ার দাবি জানান সংশিষ্ট কর্মকর্তার কাছে’।এব্যাপারে উপজেলা বিসিআইসি সার ডিলার কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবাহান মুঠোফোনে বলেন, ‘খুচরা সার ডিলার ব্যবসায়ীরা যে সকল অভিযোগ করছেন তা মিথ্যা। সেপ্টেম্বর মাসে সকলেই সকল ধরনের সার উত্তোলন করেছে। তাছাড়াও চলতি মাসে খুচরা অনেক ব্যবসায়ীরা ইউরিয়া, নন ইউরিয়া সার উত্তোলন করেছে। যারা সার উত্তোলন করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই আমরা দিবো। উদ্দেশ্যমুলক ভাবে তারা আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।’উপজেলা নির্বাহী ও বীজ সার মনিটরিং কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, ‘খুচরা সার ব্যবসায়ীরা তাদের অভিভুক্ত বিসিআইসি ডিলারদের কাছে সার না পাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে তদন্ত সাপেক্ষে সার না দেয়া ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’এবি 
    হবিগঞ্জে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি
    হবিগঞ্জে হাওর পাহাড় নদীর সাথে যুক্ত হয়েছে শিল্পাঞ্চল। ফসলি জমি আবাদ করে একের পর এক গড়ে উঠছে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি। এরসাথে হারিয়ে যাচ্ছে তাল, নারিকেল, সুপারি ও খেজুরসহ নানা প্রজাতির গাছ। বাবুই পাখি আর তাদের নিপুণ বাসা বোনার কথা কার না জানা। হবিগঞ্জে এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার নিজের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সেই ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। সে দৃশ্য যেনো হারিয়ে যেতে বসেছে। তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় আবাস তৈরির স্থান পাচ্ছে না বাবুই পাখিরা। অথচ প্রকৃতির ভারসাম্য ধরে রাখতে এ বুনন শিল্পী পাখি ও তার শিল্প টিকিয়ে রাখা দরকার। জেলায় একসময় তিন প্রজাতির বাবুই পাখি দেখা যেতো। এরমধ্যে বাংলা ও দাগি বাবুই এখন বিলুপ্তির পথে। টিকে আছে কিছু দেশি বাবুই। বাসা তৈরির জন্য বাবুই পাখির পছন্দের তাল, নারিকেল, সুপারি ও খেজুর গাছ কমতে থাকায় আবাসস্থল সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কৃষিকাজে কীটনাশক ব্যবহার করায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এ পাখি। তালগাছ আর বাবুই পাখির বাসা এ যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। একটিকে বাদ দিয়ে অপরটিকে নিয়ে ভাবা যায় না। শুধু তালগাছকে নিয়ে ভাবলে, বাবুই পাখির বাসা এমনিতেই যেনো চোখে ভেসে আসে। অথচ একসময় বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছ দেখা যেতো। আর সেই তালগাছের পাতায় পাতায় দেখা যেতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা। যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতো। দেখে মনে হতো তাল গাছ যেন তার কানে দুল পড়ে আছে। কিন্তু এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না।জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা যায়, একসময় যেসব গ্রামে সারিসারি তালগাছ ছিলো, সেইসব তালগাছের পাতায় পাতায় মোড়ানো থাকতো বাবুই পাখির বাসা। পাশাপাশি পাখির কিচিরমিচির শব্দে গ্রামাঞ্চল মুখরিত থাকতো। সেইসব গ্রামে এখন আর তালগাছও নেই, বাবুই পাখির বাসাও নেই। ১৪-১৫ বছর আগেও গ্রামের রাস্তা-ঘাট, পুকুরপাড় ও মাঠের মধ্যে সারিসারি তালগাছ ছিলো। আষাঢ় মাস আসার আগে থেকেই বাবুই পাখি বাসা বুনতে শুরু করতো। তখন কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত থাকতো পুরো গ্রাম। এখন হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি তালগাছ চোখে পড়ে। এখন আর মুখরিত হয়না কিচিরমিচির শব্দে গ্রামবাংলার জনপদ। পরিবেশপ্রেমিকদের মতে, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, কীটনাশকের অপব্যবহার, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, মানববসতি বাড়ায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে তালগাছ ও বাবুই পাখি বিলুপ্ত হতে বসেছে। তবে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি এলাকায় পাকা সড়ক, বিভিন্ন গ্রাম ও পাহাড়ি অঞ্চলে কয়েকটি তালগাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা গেছে। যা একনজর দেখতে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা একটু হলেও থমকে দাঁড়ায়।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল মনে করেন, আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক প্রকৃতির সুন্দর সৃষ্টি বাবুই পাখি টিকিয়ে রাখা জরুরি। এজন্য বেশি করে তাল, খেজুর ও নারকেল গাছ রোপণ করতে হবে। সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া না হলে বাবুই পাখির বাসা তৈরির গল্প শুধু বই-পুস্তকেই থেকে যাবে।হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল কাদের বলেন, সকল বন্যপ্রাণিই একটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বাস করে থাকে। মানুষের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করে। প্রকৃতির ভারসাম্য ধরে রাখতে এ পাখি টিকিয়ে রাখা জরুরী। এজন্য জেলার স্থানে স্থানে বেশি করে তাল, নারকেল ও খেজুর গাছ রোপণ এবং সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।এআই 
    শায়েস্তাগঞ্জে নদীর বাঁধ কেটে বালু বিক্রি, হুমকির মুখে বাড়িঘর-ফসলের জমি
    শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদীর ভাঙন আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই পুনরায় শুরু হয়েছে বালু উত্তোলনের তান্ডব। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। চক্রটি নদীর বাঁধ কেটে ট্রাক্টর দিয়ে বালু বিক্রি করছে।এতে নদী তীরে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এদিকে আগস্টে ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়ার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সময় বাঁধ কেটে বালু না নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই চক্রটি নদীর বাঁধ কেটে বালু বিক্রি শুরু করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আলাপুর ও পূর্ব লেঞ্জাপাড়া এলাকা দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলন করা বালু বিক্রির জন্য চক্রটি নদীর বাঁধ কেটে ট্রাক্টর নদীর চরে প্রবেশ করিয়ে বালু বিক্রি করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছে। এর ফলে নদীর তীরে ভাঙন শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের বাড়িঘর এবং ফসলের জমি হুমকির মুখে পড়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগস্টে ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন স্বেচ্ছাশ্রম বালুভর্তি বস্তা ফেলে কোনোভাবে ভাঙন রোধ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এখন আবার বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় তাদের সেই আতঙ্ক পুনরায় ফিরে এসেছে। তারা বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা  আক্তার মিতা বলেন, বাঁধ কাটার অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নদীর বাঁধ রক্ষায় কার্যক্রম চলছে।  এমআর
    একযুগ পর দেশে ফিরেছেন কয়ছরসহ যুক্তরাজ্য বিএনপির ৮৫ নেতা
    দীর্ঘ একযুগ পর দেশে ফিরছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ। একেই সময়ে তার সঙ্গে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে নির্বাসিত আরও ৮৫ জন প্রবাসী নেতা।তারা হলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাতুর রেজা,যুক্তরাজ্য বিএনপির সেচচা সেবক দলের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন,বার্মিংহাম ওয়েস্ট মিডল্যান্ড বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক  আওলাদ হোসেন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আং খালিক, সাবেক সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান,সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আং কবির,সেচ্ছা- সেবক দল বিএনপির সভাপতি রফু মিয়া,ও সিটি বিএনপি যুবদলের সভাপতি খয়ছর আলী শাহীন ও বি ত্রন পি নেতা ইমরান আহমেদ ও সাজু আহমেদ এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি আং রউফ,সহ সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী,লন্ডন সিটি বিএনপির সভাপতি বাদল মিয়াসহ ৮৫জন।জগন্নাথপুর উপজেলার বিএনপি নেতাগন জানান,যুক্তরাজ্য বিএনপির ও বার্মিংহাম ওয়েস্ট মিডল্যান্ড বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে আগামী মঙ্গলবার উপজেলার ডাবর ছয়হারা রাস্তা হয়ে দুপুরে জগন্নাথপুর পৌরপয়েন্টে আয়োজিত সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী নতুন আশা,নতুন উদ্দীপনা,নতুন অঙ্গীকার,নতুন প্রতিশ্রুতি,নতুন স্বপ্ন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের নিয়ে দুপুর ৩ টায় উপজেলার জনগন ও নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষন প্রদান করবেন তিনি।এদিকে কয়ছর এম আহমেদ ও তার সফর সংঙ্গীদের জগন্নাথপুর  আগমন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দীন খান বার্মিংহাম ওয়েস্ট মিডল্যান্ড বিএনপি।এমআর
    জাফলংয়ে শতকোটি টাকার পাথর লুট: বিএনপি নেতাসহ আসামি ১১৪
    প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা সিলেটের জাফলংয়ে বালু-পাথর লুটের মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শনিবার বিকালে বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, “শুক্রবার গোয়াইনঘাট থানায় অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বাদী হয়ে একটি ও বৃহস্পতিবার সিলেটের পরিবেশ আদালতে অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ ২২ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। দুই মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১১৪ জনকে।”দুই মামলাই আসামি করা হয়েছে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় পদ স্থগিত হওয়া সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ এবং সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপনকে।ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, “গণমাধমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের আলোকে লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে মামলা করা হয়েছে।”মামলার বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলাম শাহপরাণের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। শাহ আলম স্বপনও ফোন ধরেননি।৫ অগাস্ট থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের পাথর কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু ‘লুটপাটের’ শুরু।স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে পাথর মজুতের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে পরিমাপ করে প্রতি মাসেই হিসাব সংরক্ষণ করত প্রশাসন।সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই জাফলংয়ে প্রায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ ঘনফুট পাথর মজুত ছিল। ৫ অগাস্ট রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে সেখানকার সিসি ক্যামেরা বিকল করে দুষ্কৃতকারীরা। পরে টানা দুই সপ্তাহ জাফলং জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন পিয়াইন ও গোয়াইন নদের আশপাশে জমে থাকা অন্তত এক কোটি ঘনফুট পাথর লুট করা হয়। এর আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি টাকা। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ১৮ অগাস্ট গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। গত ১৪ অক্টোবর জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলা বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান চলে।ওইদিন জাফলংয়ে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় বলে জানান, গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “অভিযানে অবৈধভাবে পাথর তোলায় ব্যবহৃত ৭০০টি নৌকা, সাড়ে ৮ লাখ ঘনফুট বালু, ১৫ হাজার ঘনফুট পাথর, দুটি পাথর ভাঙার মেশিনসহ আটটি ইঞ্জিন নৌকা, দুটি শ্যালো বোমা মেশিন, তিনটি ট্রাক, তিনটি ডাম ট্রাক, দুটি পে- লোডার জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।”এ সময় গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা, সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোয়াইনঘাট থানার এসআই ফখরুল ইসলাম ছিলেন।অভিযান শেষে গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি-বেলার দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রতিপালনের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশ সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালায়।”অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এবং আলামতের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর বাংলাদেশের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা-ইসিএভুক্ত এলাকায় বিধি অনুযায়ী মামলার কথা জানিয়েছিলেন ইউএনও।পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চলবে জানিয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জাফলংকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা-ইসিএ ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এখানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশও হুমকির মুখে।”এ ঘোষণার পর জাফলং থেকে সব ধরনের বালু ও পাথর তোলা নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বে একটি গোষ্ঠী বালু-পাথর তোলার মাধ্যমে জাফলংয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।এবি 
    বিএনপির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন, আমি ভুল করলে ভুল ধরিয়ে দেন: কামরুল
    নেই পুলিশী হয়রানির কোনো ভয়, নেই আওয়ামিলীগ ও তাদের দালালদের চক্রান্ত। গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দোসররা অনেক হয়রানি করেছে,তার সঠিক জবাব পেয়েছে। আপনারাই আমার দায়িত্ব নিবেন।আমি ভুল করলে ভুল ধরিয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও  তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল।তিনি শুক্রবার(১৮ অক্টোবর) উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কর্মীসভায় কথা গুলো বলেন।বিকেলে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,আজ কর্মী সভা জনভায় পরিনত হয়েছে। আপনারাই আমার শক্তি, মনের জোড় আর বেচেঁ থাকার প্রেরনা। আপনাদের এত ভালবাসা আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। লন্ডনে আমি আমার আয়েশে থাকতে পারব। কিন্তু আপনারা যে আমাকে এত ভালবাসেন তা ত পাব না। আপনার তৃণমূল নেতৃবৃন্দ যারা আছেন তারা আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে আপনারা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করুন। আওয়ামীলীগ নামক ফ্যাসিদ বরবর স্বৈরাচারী সরকার ও শেখ হাসিনার দূশরদের চক্রান্তে পা দিবেন না। লুটপাট কারীদের সাথে থাকবেন না। বরং আপনারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলের কাজ করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গুলেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি,শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী,সহ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সেলিম,সাংবাদিক বাবরুল হাসান বাবলু, বালিজুরি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন,বিএনপি নেতা আবুল হোসেন,উপজেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক সাইদুল কিবরিয়া,জেলা যুবদলের সহ গ্রাম সহকার বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক সামরুল ইসলাম,তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাম্মিল হক নাসরুম,বিশ্বম্ভরপুর দীগ্রন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজের সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক আবুল হাসান রাসেল,সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মুন্না প্রমুখ।এমআর

    অনলাইন ভোট

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিকে আপনি কি সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবি, ১১ মরদেহ উদ্ধার
    মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটিতে ৩০ জন ছিলেন। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। দক্ষিণ তানিনথারি অঞ্চলের কিয়াউক কার গ্রামের এক সন্ন্যাসী বলেছেন, গত রাতে ও আজ সকালে আমরা ১০টি মরদেহ পেয়েছি। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে তিনি বলেন, নৌকাটিতে অধিকাংশই শিক্ষার্থী ছিল। তারা দুই সপ্তাহের বিরতির পরে গ্রাম থেকে মাইক শহরে ফিরছিল।তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে নৌকাটি গ্রাম থেকে ছেড়ে যায়। বেশি যাত্রীর কারণেই এটি ডুবে গেছে। সন্ন্যাসী বলেন, গ্রামবাসী মৃতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাসী চলছে বলেও জানান তিনি। নৌকাডুবি মিয়ানমারে সাধারণ ঘটনা। এটি দেশটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন। তবে নিরাপত্তার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয় না। এবি 
    কারাগারে ইমরানকে দেওয়া হয় মাটন মুরগি দই জুস আঙ্গুর
    আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য দিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান গোহর আলী খান। জানিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে জেলখানায় দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। তাকে খাবারের কষ্টও দেওয়া হচ্ছে। তার এমন অভিযোগের পর ইমরান খানের খাবারের মেনু প্রকাশ করেছে আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ।গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। তার সঙ্গে দেখা শেষে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইমরান খান জানিয়েছেন তার সেলের বিদ্যুৎ সরবরাহ পাঁচ দিনের জন্য স্থগিত ছিল। তাকে সংবাদপত্র বা টিভি সুবিধা দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়েছে। যার নিন্দা জানিয়ে গোহর ইমরানকে কারাগারে তার প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দাবি করেন।এসব অভিযোগের জবাবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ইমরান খানকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, সঠিক খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের সুযোগ সহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তার জন্য একজন পেশাদার বাবুর্চি খাবার প্রস্তুত করেন। যার মধ্যে তার স্বাদের জন্য বিস্তৃত খাবার অন্তর্ভুক্ত ছিল।ইমরানকে কী কী খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেসবও উল্লেখ্য করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। যেখানে তারা জানায়, ‘খানের প্রাতঃরাশের মধ্যে রয়েছে কফি, চিয়া বীজ, বিটরুটের রস, দই, চাপাতি, বিস্কুট এবং খেজুর। দুপুরের খাবারের জন্য, তাকে ঐতিহ্যবাহী তরকারি, স্থানীয় মুরগি, চাপাতি, সালাদ, সবুজ চা এবং মাটন পরিবেশন করা হয়। রাতের খাবারের মধ্যে রয়েছে পোরিজ, নারকেল, নারকেল জুস এবং আঙ্গুর। যার সবকিছু তার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়।পিটিআই নেতাদের সংবাদ সম্মেলনের সময় ইমরানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের যে দাবি করা হয়েছিল তা খারিজ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তার খাবার তার পছন্দ অনুযায়ী এবং কঠোর তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়।’এবি 
    বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে হারিকেন অস্কারের তাণ্ডবে বেহাল কিউবা
    কিউবায় প্রবল বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যেই আছড়ে পড়েছে হারিকেন অস্কার। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় আঘাত হানা ঝড়ের কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, রোববার দক্ষিণপূর্ব বাহামার গ্রেট ইনাগু দ্বীপে হারিকেন অস্কার আছড়ে পড়ে। কিউবার গুয়ান্তানামোতে হারিকেনের মধ্যভাগ পৌঁছায় স্থানীয় সময় ছয়টা ১০ মিনিটের দিকে। সেসময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।শক্তিশালী এই হারিকেনের ফলে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। হারিকেন আছড়ে পড়ার পর চারিদিকে ধসের ছবি দেখা গেছে। একের পর এক বাড়ি ধ্বংস করে চলে গেছে এই শক্তিশালী ঝড়।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে পাঁচ থেকে ১০ ইঞ্চি বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ঝড় ও বৃষ্টির ফলে বহু জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। এর ফলে গুয়ান্তানামো, হবগুইন, লাস তুনাস এলাকায় প্রবল বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।হারিকেন অস্কারের ফলে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। গাছ উপড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গা পানির তলায় চলে গেছে। ফলে গুয়ান্তানামো ও তার আশপাশের এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।কিউবার শক্তিমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ-সংকট সোমবার বা মঙ্গলবার সকালে কাটতে পারে। তখন বিদ্যুতের গ্রিড আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারে।তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, হারিকেন অস্কারের তাণ্ডবের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। যে সব জায়গায় প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, সেখানেই অস্কার তাণ্ডব চালিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার থেকে কিউবায় ব্ল্যাক আউট চলছে। সরকার জরুরি নয় সেই সব জায়গায় বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার পুরো গ্রিড ব্যবস্থা বসে যায়। ফলে এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।শনিবার সকালে আবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ৬০ বছরের পুরোনো বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি জোগাড় করতে গিয়ে তারা অসুবিধায় পড়েছেন। হাভানার কিছু এলাকায় রবিবার বিদ্যুৎ এসেছে। কিন্তু রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা অন্ধকার ছিল।নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরে সাবধান করে দিয়ে বলছেন, কিউবার পাওয়ার গ্রিড ভেঙে পড়ার মুখে রয়েছে। কারণ, তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অনেক পুরোনো।আর সরকারও জ্বালানি কেনার অবস্থায় নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই ক্ষেত্রে কিউবার অবস্থা কেবলই খারাপ হয়েছে।এবি 
    গাজায় হামাসের হামলায় ইসরায়েলি সিনিয়র কমান্ডার নিহত
    উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাথে লড়াইয়ের সময় ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর ৪০১তম সাঁজোয়া ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল এহসান ডাকসা নিহত হয়েছেন। রবিবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, গাজার একটি অঞ্চলে নিকটবর্তী এলাকা পরিদর্শনের জন্য ট্যাংক থেকে বের হয়েছিলেন আহসান দাকসা। বের হওয়ার মাত্রই তিনি এক বিস্ফোরক হামলার শিকার হন। এই হামলায় ইসরায়েলের আরও ২ সেনা গুরুতর আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হ্যাগারি।   ৪১ বছর বয়সী ডাকসা আইডিএফ-এ সবচেয়ে সিনিয়র অফিসারদের একজন ছিলেন। তিনি ইসরায়েলের দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্য। এ নিয়ে মোট ছয়জন আইডিএফ কর্নেল যুদ্ধে নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪জন গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় নিহত হয়েছিলেন। এবি 
    টিকটক তারকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তো
    ইন্দোনেশিয়ার সাবেক জেনারেল প্রাবোও সুবিয়ান্তো দেশটির অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টে শপথ নিয়েছেন। রোববার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৭৩ বছর বয়সী প্রাবোও। তিনি ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সুহার্তোর জামাতা। কে এই প্রবোও সুবিয়ান্তো:একটা সময় ছিলো যখন প্রবোও সুবিয়ান্তোর নাম বেশির ভাগ ইন্দোনেশিয়ানকে ভয় ধরিয়ে দিতো। হবেই না কেন? ধনী রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ তার। একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ যিনি ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন তার পুত্র সুবিয়ান্তো। তবে, ১৯৫৭ সালে বিতর্কের মধ্যে দেশ ছেড়েছিলেন তার বাবা। বাবাকে অনুসরণ করে শৈশবের এক দশক ইউরোপে নির্বাসনে কাটিয়েছিলেন।এরপর ফিরে আসেন নিজ দেশে। যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। দ্রুত পদে উন্নীত হয়ে ইন্দোনেশিয়ার অভিজাত বিশেষ বাহিনী কোপাসাসের অধিনায়ক হন। পদোন্নতির সাথে সুবিয়ান্তোর জীবনে আসে এক কালো অধ্যায়। তৎকালীন অশান্ত পূর্ব তিমুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এই প্রাক্তন বিশেষ বাহিনীর কমান্ডার, যেখানে তিনি ইউনিটের সদস্য হিসাবে কাজ করেছিলেন।তিমুরে সামরিক অভিযানে তার সঠিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শত শত মানুষকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত হন তিনি। যদিও হত্যাকাণ্ড কখনও প্রমাণিত হয়নি এবং তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেই এসেছেন। তবে, ২০১৪ সালে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপহরণের নির্দেশ দেয়া তিনি স্বীকার করেন। তবে শুধুমাত্র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই তা করেছিলেন তিনি।ঐই ঘটনার পর প্রবোওকে সামরিক বাহিনী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। এরপর তিনি জর্ডানে স্ব-আরোপিত নির্বাসনে চলে গিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ব্ল্যাক লিস্টেড ছিলেন তিনি।এরপর ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও তিনি হেরে যান। কিন্তু তার আসল প্রত্যাবর্তন ধরা যায় ২০১৯ সালে। সেই বছর, উইডোডো নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর, সুবিয়ান্তোকে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উইডোডো; তার চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে মিত্রে পরিণত করেছেন।যদিও প্রবোও তার পরাজয়ের পেছনে ক্ষমতাসীনদের প্রতারণা রয়েছে বলে দায়ী করেছিলেন। সেই সময়ে সহিংস বিক্ষোভে আটজন নিহত হয়।শপথ গ্রহণ:শপথ অনুষ্ঠানে সুবিয়ান্তো ইন্দোনেশিয়ার নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সব নাগরিকের, এমনকি যারা আমাদের ভোট দেননি, তাদের স্বার্থকেও অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা ইন্দোনেশিয়া সরকারকে নেতৃত্ব দেব। এ সময় আইনপ্রণেতারা তার নামে স্লোগান দেন এবং সাধুবাদ জানান। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানী জাকার্তায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় এক লাখ পুলিশ ও সেনাসদস্য। শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি, চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংসহ বেশ কিছু বিদেশি কূটনীতিক অংশ নেন।নতুন ক্যাবিনেটে কতজন সদস্য রয়েছে?১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম বিশাল ১০৯ জন সদস্য নিয়ে মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন সুবিয়ান্তো। গত ফেব্রুয়ারিতে, ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার পরপরই অনানুষ্ঠানিক ভোট গণনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুবিয়ান্তো এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জিবরান রাকাবুমিং রাকাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০ মার্চ দেশটির নির্বাচন কমিশন তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে। জিবরান রাকাবুমিং রাকা হলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বড় ছেলে।ইন্দোনেশিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি প্রথম দফায় ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত না করতে পারেন, তবে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। তবে প্রাবোও প্রথম দফার ভোটাভুটিতেই প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেন।নেচে কীভাবে জনপ্রিয় হলেন প্রাবোও সুবিয়ান্তো?নির্বাচনী প্রচারণা ভিন্ন আঙ্গিকে করছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণায়, তিনি নৃত্য পরিবেশন করেন। তার ডান্স স্টেপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে বেশ সাড়া ফেলেছে। ইন্দোনেশিয়ার শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের মানুষ নাচেছেন সুবিয়ান্তো সেই ডান্স স্টেপে। সবার তাকে আদর করে নাম দিয়েছেন ‘কাডল ড্যাডি’।সুবিয়ান্তোর ডান্স প্রসঙ্গে ২৫ বছর বয়সী একজন সমর্থক অ্যালবার্ট জোশুয়া বলেন, তিনি বয়সে অনেক বড়। কিন্তু তিনি আমাদের প্রজন্মকে আলিঙ্গন করতে সক্ষম।প্রবোও’র টিকটক ভিডিওগুলো ভাইরাল হবার সাথে সাথে, তার প্রতিকৃতির কার্টুনও বের হয়েছে। সমর্থকরা নাচের ভিডিওতে প্রবোর কার্টুন যুক্ত করে আনন্দের সাথে নেচে যাচ্ছেন।তবে, নেচে নেচে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো অনেক মানুষ। নির্বাচনের সময় একজন তরুণ ভোটার, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেছেন, তিনি ভীষণ আতঙ্কিত, যদি প্রবো জয়ী হয়। কারণ, অতীত বলে, যদি তিনি কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার সহযোগী হতে পারেন, তাহলে তিনি নির্বাচিত হলে বিরোধী কণ্ঠস্বরগুলিকে নীরব করে দিতে পারেন মুহূর্তের মধ্যেই।তিনি আরও বলেন, কিউট নাচ কিংবা ‘কাডল ড্যাডি’ খেতাব একজন যোগ্য নেতা তৈরি করতে পারে না। ভালো নাচলে যদি নেতা হয়, তাহলে সবার উচিৎ বিড়ালছানাকে নির্বাচিত করা। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া প্রবোর নির্বাচনী প্রচারণার মূল ভিত্তি হয়েছে। মেটার তথ্য অনুযায়ী, তার অফিসিয়াল ফেসবুক এবং অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাকাউন্টগুলি গত তিন মাসে বিজ্ঞাপন নাগাদ ১ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছে। যা বাংলাদেশে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বেশি। অবশেষে, নেচে নেচে টিকটকে জনপ্রিয় হয়ে দেশটির মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন সাবেক এই জেনারেল। তবে, ক্ষমতা গ্রহণের পর সাধারণ মানুষের জন্য তার দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কতখানি বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।এবি 
    হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলের দফায় দফায় হামলা
    লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। রোববার (২০ অক্টোবর) এই অভিযানের মূল টার্গেট ছিল গোষ্ঠীটির অর্থনৈতিক স্থাপনা। রাজধানী বৈরুতের দক্ষিনাঞ্চলে অন্তত ১২ দফায় ড্রোন ও মিসাইল ছুঁড়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ- আইডিএফ’র দাবি, ব্যাংকসহ হিজবুল্লাহর অন্যান্য অর্থনৈতিক অবকাঠামোয় চালানো হয়েছে অভিযান। গোষ্ঠীটির আর্থিক শাখা, আল-কার্দ-আল হাসান অ্যাসোসিয়েশন ধ্বংস করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে তেলআবিব।সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে দাহিয়ে এলাকায়। লেবাননে হিজবুল্লাহর অন্তত ৩০টি অর্থনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। যার মাঝে ১৫টিই বৈরুতে অবস্থিত। জনবহুল এলাকায় লাগাতার হামলায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। নতুন করে বৈরুত, বেকা ভ্যালিসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল। এবি 
    ২৩ অক্টোবর সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় ডানা
    আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ২৪ অক্টোবর সকালে এটি বঙ্গোপসাগরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।রোববার এক সতর্কতাবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইএমডি। সংস্থাটি বলেছে, ২২ অক্টোবর সকালে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৪ অক্টোবর পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ওইদিন সকালেই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে।সংস্থাটি আরও জানায়, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর উত্তাল ও ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ এবং ঝড়ো হাওয়ার গতি ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।অপরদিকে বঙ্গোপসাগর ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তাল ও সেখানে ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকতে পারে। ওই সময় বাতাসের গতি ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর, ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। এছাড়া জাহাজ, বন্দর, সাগর ও উপকূলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমসএমআর
    ভ্রূণেও প্রবেশ করতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিক: গবেষণা
    চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে খাবারেও প্লাস্টিকের অস্তিত্ব। কারণ খাবার রাখার ব্যাগ, কন্টেইনার থেকে পানির বোতল, সবকিছুই প্লাস্টিকের। খাবার গরম করার পাত্র থেকে বাচ্চার খেলনা, সবখানেই প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত হেলথ স্টাডিতে দেখা গেছে, প্লাস্টিক সহজে নষ্ট হয় না। ফলে মাইক্রো এবং ন্যানো-প্লাস্টিক পার্টিকেলস নিঃশ্বাসের সঙ্গে খুব সহজে মানব শরীরে ঢোকে। এমনকি প্লাস্টিক প্যাকেট-বন্দি খাবার থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে ঢুকতে পারে। আর সেই সব প্লাস্টিকের কণা প্লাসেন্টার প্রাচীর ভেদ করে গর্ভস্থ ভ্রূণের কোষের মধ্যে ঢুকে যায়। বিষয়টি জানতে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করেছিল আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়।পরীক্ষামূলকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সন্তানসম্ভবা ইঁদুর মায়েদের শরীরে পলিঅ্যামাইড-১২ প্রবেশ করানো হয়েছিল। সন্তান জন্মের পরে তাদের শরীর পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে বিষয়টি। বিজ্ঞানীদের দাবি- এ গবেষণা থেকে স্পষ্ট, মানুষের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রূণেও প্রবেশ করতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিক। ইঁদুরের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শাবক জন্মের দীর্ঘসময় পর পর্যন্ত তাদের কোষের মধ্যে সেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি থাকে। মানবসন্তানের ক্ষেত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্থায়িত্বের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গর্ভস্থ মানবশিশুও আর নিরাপদ নয়। সদ্যোজাতকের মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ডের মতো অর্গানে যদি এমন ক্ষতিকারক প্লাস্টিক জড়ো হয়, তাহলে কিন্তু শরীর রোগের ডিপো হতে পারে। ভবিষ্যতে বাসা বাঁধতে পারে মারণ রোগও। ছয়টি গর্ভবতী ইঁদুরকে ১০ দিন অ্যারোসোলাইজড ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক পাউডারের ধারে-কাছে রাখা হয়েছিল।তারপরই তাদের ওপর করা হয় পরীক্ষা। তবে একটা জিনিস তখনও ভাবাচ্ছিল বিজ্ঞানীদের, সন্তান জন্ম হয়ে যাওয়ার বহু পরেও কি এই প্লাস্টিকের কণাগুলো এভাবেই বহাল তবিয়তে থেকে যায় শরীরে? তবে দীর্ঘদিন ধরে তারা নজর রেখে দেখেছেন, অন্তত ইঁদুরের ক্ষেত্রে তো এসব ক্ষতিকর জিনিস পাকাপাকি ভাবে শরীরেই থেকে যায়। জন্মের দুই সপ্তাহ পর, দুটি নবজাতক ইঁদুরের শরীরে মাইক্রো এবং ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল।এমআর
    যুক্তরাষ্ট্রে পার্টিতে এলোপাতাড়ি গুলি: নিহত ৩
    যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে একটি স্কুলের ফুটবল ম্যাচ বিজয় উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় শেরিফ উইলি মার্চ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহতদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৯ বছর এবং একজনের বয়স ২৫ বছর।বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, আহতদের বিমানযোগে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেরিফ জানান, স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে জরুরি সেবায় ফোন আসে এবং তারা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর নিরাপত্তাকর্মীরা এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সম্মুখীন হন।শেরিফ মার্চ বলেন, সবাই দৌড়াচ্ছিল, কাঁদছিল, চারিদিকে বিশৃঙ্খলা ছিল। কারণ সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ ছিল।প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পার্টিতে ২০০ থেকে ৩০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ফুটবল খেলা শেষ হওয়ার ৩-৪ ঘণ্টা পর এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে যুক্ত ছিল না।শেরিফ বলেন, আমরা এখনো সহিংসতার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। সবাই বলছে, তারা কোনো দ্বন্দ্ব দেখেনি।আয়োজকদের একজন জো জনসন জানান, পার্টি শেষ হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট আগে গুলি শুরু হয়। তিনি বলেন, গুলির শব্দ অনেকটা মেশিনগানের মতো শোনাচ্ছিল। জনসন আরও জানান, সেদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও কোনোভাবে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশ করে।এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বন্দুক সহিংসতার ধারাবাহিকতার একটি অংশ। চলতি বছর এ পর্যন্ত দেশটিতে ৪২২টিরও বেশি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে হোমকামিং পার্টিতে গুলির ঘটনা ঘটলো। কয়েকদিন আগেই টেনেসির ন্যাশভিলে একটি হোমকামিং অনুষ্ঠানের পর বন্দুকহামলায় একজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছিলেন।এসএফ 
    ইসরাইলের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে প্রস্তুত হিজবুল্লাহ
    লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানা গেছে। যা ইতোমধ্যেই তাদের চলমান এবং ক্রমবর্ধমান আক্রমণগুলোতে প্রতিফলিত হয়েছে। শনিবার ইসরাইলের আলমা রিসার্চ সেন্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম রাইআল ইয়ুমে প্রকাশিত হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহর অস্ত্র গুদামগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেগুলোতে  ছোট এবং মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ ছিল। তা সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ এখনও ইসরাইলে বড় ধরনের আঘাত হানার সক্ষমতা ধরে রেখেছে।এ বিষয়ে আলমার গবেষণা বিভাগের পরিচালক তাল বীরি বলেন, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং তাদের চলমান এবং ক্রমবর্ধমান হামলা সেই প্রস্তুতির প্রতিফলন।ইসরাইলের ওয়ালা নিউজের বিশ্লেষক আমির বোহবোটের বক্তব্য উদ্ধৃত করে রাইআল ইয়ুম আরও বলেছে, তিনি হিজবুল্লাহর উচ্চমানের সামুদ্রিক সামরিক ক্ষমতা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত রাডার সিস্টেমের কথা উল্লেখ করেছেন। আমির বোহবোটে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে হিজবুল্লাহ এখনও নৌ-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মালিক। যা ইসরাইলের জাহাজ, গ্যাস প্ল্যাটফর্ম এবং বন্দরগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম।বর্তমানে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের বর্ধিত বিমান হামলা এবং সাম্প্রতিক স্থল অভিযানের জবাবে হিজবুল্লাহ তাদের সামরিক অভিযানগুলো আরও তীব্র করেছে। যেমনটা শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননে বেসামরিক জনসংখ্যার ওপর ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হিজবুল্লাহর অভিযানকে ‘নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ’ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গোষ্ঠীটি। সূত্র: ইরনাএসএফ 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    'চাপাবাজীর অস্কার অনন্য মামুন পাবেন', বলছেন শাকিব ভক্তরা
    মেগাস্টার শাকিব খান মানেই সিনেমা ক্লিন হিট৷ তার নামেই প্রচারণা হয় সিনেমার। এ চিত্রনায়কের প্রিয়তমা, তুফান সিনেমায় তাই দেখা গিয়েছে। গল্প এবং অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। আগামী ১৫ নভেম্বর ঢালিউড কিং খানের 'দরদ' সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছে। ছবির প্রচারণা নিয়নানা সময় নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন এর নির্মাতা। তিনি বলেন, '৫০ ফিট সাইজের কাটআউট উন্মুক্ত করবেন লায়ন্স সিনেমাসে।'বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বললো ৫০ ফিট সাইজের কাটআউট উম্মুক্ত করবে বললেও বাস্তবে একটা বড় ব্যানার উন্মুক্ত করেছেন 'দরদ' নির্মাতা অনন্য মামুন। এ নিয়ে বেজায় চটেছেন শাকিবিয়ামরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাকিব খানের ভক্তরা বলছেন, 'এইটা দেখার পর অনন্য মামুনের উপর আর বিন্দু-মাত্র বিশ্বাস নাই। এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বললো ৫০ ফিট সাইজের কাটআউট উম্মুক্ত করবে আর বাস্তবে একটা বড় ব্যানার উন্মুক্ত করল। ভন্ডামীর একদম চূড়ান্ত সীমায় আছেন মামুন সাহেব। ভন্ডামী বা চাপাবাজীর নোবেল কিংবা অস্কার থাকলে অনন্য মামুন প্রতি বছর একটা করে জিততেন।'অনেকে আবার বলছেন, 'অনন্য মামুন সাহেব আপনি কাটআউট আর বিলবোর্ড এক জিনিস না। এটা জানেন কি? বললেন ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য কাটআউট লায়ন সিনেমাসে লাগাবেন কিন্তু লাগালেন বিলবোর্ড। এ কি তামাশা ভাই?মামুনের এমন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শাকিবিয়ানদের মধ্যে। অনন্য মামুনের কারণেই ফ্লপ হতে পারে মেগাস্টার শাকিব খানের সিনেমা 'দরদ' বলে মনে করছেন তারা। শাকিবের প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র দরদ মুক্তি পাচ্ছে ১৫ নভেম্বর। বিশ্বব্যাপী এদিন দরদ মুক্তি দেওয়া হবে। ছবিটি নিয়ে দেশের দর্শকদের অপেক্ষা ছিল। কেননা এই ছবির মাধ্যমে তিনি প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্রে পা রাখেছেন। এই ছবিতে কিং খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন বলিউডের সোনাল চৌহান। টিজার। ছবিটির অফিসিয়াল আইটেম সং-এর ঝলকও প্রকাশ্যে। সাইকো থ্রিলার গল্পের এই সিনেমায় রোমান্সে জমে উঠবে শাকিব-সোনালের রসায়ন; পর্দায় দুলু ও তার স্ত্রী। ছবিটি মূলত বাংলা ভাষায় মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে হিন্দি ভাষায়ও ছবিটি মুক্তি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন পরিচালক অনন্য মামুন। সামাজিক মাধ্যমে অনন্য মামুন জানালেন, হিন্দি ও বাংলা দুই ভাষাতেই 'দরদ' মুক্তি দিতে চান তিনি। 
    শুরু হলো বরবাদ'র শুটিং, শাকিব খান যোগ দেবেন কবে?
    প্রিয়তমার পর আরও একবার দেখা যাবে শাকিব-ইধিকার রোমান্স। শাকিব খান ও ইধিকা পালকে নিয়ে মেহেদী হাসান হৃদয় বানাচ্ছেন 'বরবাদ'। গতকাল নায়ককে ছাড়াই মুম্বাইয়ে শুরু হয়েছে সিনেমার শুটিং। ফেসবুকে শুটিং সেটের ছবি শেয়ার করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা। অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। দুই দেশের কলাকুশলীদের দেখা যাবে এতে। বেশির ভাগ শুটিং হবে ভারতে। গত মাসে শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে ভারতে উড়াল দিয়েছেন নির্মাতা। প্রি-প্রোডাকশনের সব কাজ মিটিয়ে অবশেষে গতকাল থেকে মুম্বাইয়ের ইলোরা স্টুডিওতে ক্যামেরা ওপেন হলো। মুম্বাইয়ে শুটিং শুরু হলেও এখনো বাংলাদেশে অবস্থান করছেন শাকিব। ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজে। জানা গেছে, সবকাজ গুছিয়ে আগামীকাল ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবেন তিনি। পরশুদিন থেকে যোগ দেবেন 'বরবাদ' এর শুটিং।  বরবাদ দিয়েই বড় পর্দায় পরিচালক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে হৃদয়ের। সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী নির্মাতা। হৃদয় বলেন, 'বাংলা সিনেমার দর্শক অনেক অ্যাকশন সিনেমা দেখলেও এই ধরনের অ্যাকশন দেখেনি। প্রযোজকদের কাছে যা চেয়েছি, তাঁরা কিছুতে না করেননি। শিল্পী থেকে শুরু করে অনেক বিষয়ে চমক আছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকরা হতাশ হবে না।' আগামী বছরের রোজার ঈদে 'বরবাদ' মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। 
    দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি লাকীর
    বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ–বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল–ভাউচারের মাধ্যমে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। দুদকের চার সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিমের কার্যক্রম চলমান।জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
    নাবালিকাদের দিয়ে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়, আইনি জটিলতায় একতা কাপুর
    আইনি জটিলতায় পড়লেন বলিউডের অন্যতম প্রযোজক একতা কাপুর। এবার পড়লেন মামলার কবলে। ওয়েব সিরিজে নাবালিকাদের দিয়ে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে শুটিং করার অভিযোগ এনে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।ওয়েব সিরিজের দৃশ্য নিয়েই মূলত বিপত্তি বেঁধেছে। 'গন্দি বাত' নামক সিরিজে নাকি কয়েকটি অশ্লীল দৃশ্য রয়েছে। অভিযোগ―সিরিজটির ষষ্ঠ মৌসুমে কুরুচি ভাবে দেখানো হয়েছে নাবালিকাদের। স্কুলের পোশাকে নাবালিকারা কীভাবে যৌনকর্ম ও মাদকসেবনে লিপ্ত হয়েছে, সেসব নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, সিরিজটিতে যারা সেসব দৃশ্যে অভিনয় করেছেন, তারা কেউই প্রাপ্তবয়স্ক নয়। অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে সবাই। আর নাবালিকা শিল্পীদের কুরুচিকর দৃশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ এনে বলিউডে প্রযোজক ও নির্মাতা একতা কাপুর এবং তার মা শোভা কাপুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন এক যোগগুরু। সিরিজটি প্রচার হয় ২০২১ সালে। বিতর্কের সূত্রপাত শুরু হতেই বন্ধ করে দেয়া হয় তা। তবে এতেও নিস্তার মেলেনি। পকসো আইনের ১৩ এবং ১৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিরোধ আইনের ধারা ৬৭(এ), নারী নিষেধাজ্ঞা আইনের ২৯২ ও ২৯৩ এবং ২৯৫(এ) ধারায় মামলা হয়। মুম্বাইয়ের বোরিভিলি থানায় 'অল্ট বালাজী'র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন যোগগুরু স্বপ্নীল রেওয়াজী। প্রসঙ্গত, 'অল্ট বালাজী' মূলত একতা কাপুর ও তার মায়ের মালিকানাধীন একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। তাতে কেবলই প্রাপ্তবয়স্ক সিরিজের ছড়াছড়ি। এবার সিরিজে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যে ব্যবহার করাতেই ফেঁসে গেলেন প্রভাবশালী এই প্রযোজক। 

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    চালের ওপর শুল্ক কমালো এনবিআর
    চালের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একইসাথে চালের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মূলত, দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময়ে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম কমবে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই উদ্যোগের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।এসএফ
    তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৮৪ কোটি ডলার, শোধ ১১২ কোটি ডলার
    বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েই চলছে বাংলাদেশের ওপর। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) যত বৈদেশিক ঋণ এসেছে দেশে, পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেকটা বেশি।রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে এ চিত্র।ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করাতে পেরেছে সরকার। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণ ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি ঋণ শোধও বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম প্রান্তিকে ১২৮ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছিল দেশে, যা এবারের চেয়ে ৪২ কোটি ডলার বেশি। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার ২৫ কোটি ডলার ঋণ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।অবশ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েকশো কোটি ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এখন পর্যন্ত অর্থ ছাড় যেমন কমেছে, আবার ঋণ পরিশোধও বেড়েছে। ফলে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য নেতিবাচক।জানা গেছে, ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকে। তবে, ডলারের বাড়তি দাম ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও প্রায় তলানিতে নেমেছে। ওই তিন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।ইআরডি সূত্র বলছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ছাড় করা মোট অর্থের মধ্যে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ঋণের আসল হিসেবে ৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং সুদ বাবদ ৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।এসএফ 
    ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ কমেছে ১০০ কোটি টাকার বেশি
    দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে চলতি বছরের আগস্ট মাসে ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। যা জুলাই মাস থেকে ১০২ কোটি টাকা কম। জুলাই মাসে ক্রেডিট কার্ডে ৪৭৫ কোটি টাকা খরচ করেছে বাংলাদেশিরা। জুন মাসে খরচ করেছিল ৫২৪ কোটি টাকা। এভাবে ধারাবাহিকভাবে খরচ কমছে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বেশি খরচ করে। তবে আগস্ট মাসের সবগুলো দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে বাংলাদেশিদের। ক্রেডিট কার্ডে খরচের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউকে, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। গত দুই মাসে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশের বেশি এই ৫ দেশে হয়েছে।বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের খরচ ভারতে কমেছে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে আমেরিকায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন। দেশটিতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। আমেরিকার খরচের এ অঙ্ক জুলাইয়ে ছিল ৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। একইভাবে আগস্টে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভারতে খরচের এ অঙ্ক জুলাইয়ে ছিল ৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।আগস্টে যুক্তরাজ্যে খরচ করেছেন ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, থাইল্যান্ড গিয়ে বাংলাদেশিরা ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, সিঙ্গাপুরে গিয়ে খরচ করেছেন ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া কানাডায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। এ অর্থ কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন, আবার বিদেশে যাওয়ার সময় নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট করতে গেলে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে। এইচএ
    তৈরি পোশাক শিল্পখাত এখন স্থিতিশীল: বিজিএমইএ
    পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।শনিবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সবাই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তার জন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাছাড়া ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রেখেছে। বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।তিনি আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও দেখা করেছে। তারপর বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বেতনভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।আরইউ
    সবজির বাজারে অস্বস্তি, ডিমের ডজন কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাস পার হতে চললেও স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে দামের বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার সুফলও দেখা যাচ্ছে বাজারে। বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। তবে ডিমের দাম কমলেও এবার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ শুধু নয়, মধ্যবিত্তরাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।অন্যদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল। পাশাপাশি সামান্য কমলেও সবজির দাম এখনো সাধারণ মানুষের স্বস্তির মধ্যে আসেনি। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের চিত্র এমন।বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ আলোচনায় ছিল ডিম। বিশেষ করে চলতি সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে এ দাম এখন বড়বাজারে ১৫০ টাকায় নেমেছে। যদিও পাড়া-মহল্লায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো ডিম বিক্রি করছেন ১৬০ টাকায়। সরকার এরমধ্যে ডিমের শুল্কছাড়, আমদানির অনুমতি এবং বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। যার সুফল মিলছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নিয়মিত অভিযান এবং খামারি ও করপোরেটদের ডিম সরবরাহ বাড়ানোর কারণে দাম কমে আসছে। তাছাড়া শুল্কছাড়ের সঙ্গে সরকার নতুন করে আরও সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। এটিও দাম কমার পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।অপর দিকে, একই সময় বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়তে দেখা গেছে। এ মুরগির দাম আগের সপ্তাহেও বেড়েছিল। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১৫ টাকা পর্যন্ত। যা দুই সপ্তাহ আগে ১৮০ টাকার মধ্যে ছিল। এদিকে, অস্বাভাবিকভাবে সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ২৭০-২৮০ টাকা ছিল।এদিকে মাসখানেক ধরে উত্তাপ ছড়ানো সবজির বাজারও রয়েছে কমতির দিকে। যদিও এখনকার দাম সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে কয়েক দিন আগে রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে দাম কমে এখন খুচরায় ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ কয়টি পণ্যের দাম কমা ছাড়া বাকি সব সবজি এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গোল বেগুন মানভেদে কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল ১০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস লম্বা লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে কেজিপ্রতি পার্থক্য দেখা গেছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল কারওয়ান বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুন মানভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।এদিকে চলতি সপ্তাহে তেল ও চিনিতেও শুল্কছাড় দিয়েছে নতুন সরকার। কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, শুল্ক কমানোর খবরে পাইকাররা তেল ও চিনির দরে কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। তবে ভোক্তারা শুল্কছাড়ের সুফল পেতে কিছু দিন সময় লাগবে। চিনির দর নতুন করে বাড়েনি। বরং এক সপ্তাহে পাইকারিতে বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০-২০০ টাকার মতো কমেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এসব পণ্যের খুচরা দাম কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চড়া দামের কারণ সরবরাহ ঘাটতি ও বারবার হাতবদল। উৎপাদন পর্যায়ের চেয়ে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে দাম কয়েক গুণ বাড়ছে।লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহে সংকট আছে, এ কারণে দাম তেমন কমছে না। তবে কাঁচা মরিচ ও টমেটোর দাম অনেকটাই কমেছে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমতে থাকবে। এছাড়া ভাড়া, প্রায় ২৫ শতাংশ পণ্য পচে যাওয়া এবং ইজারাদারদের বাড়তি টাকা দিতে গিয়ে খরচ বেড়ে যায়। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামে বড় ব্যবধান তৈরি হয়।এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদহার বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। চলমান ডলার সংকটের মধ্যেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে জোর দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, চিনি ও ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া, চাঁদাবাজি রোধে নানা উদ্যোগ, টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং পণ্য উৎপাদন ও সরবররাহ নিশ্চিত করতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরও বাজারে স্বস্তি ফিরছে না।এইচএ
    এবার ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড়
    এবার ডিম আমদানিতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর বলছে, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৩ দশমিক ৮০ টাকা কমবে। আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে বাজারের ডিমের সরবরাহ বাড়বে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমবে। এ ছাড়া কনফেকশনারি, বেকারিসহ ডিমনির্ভর খাদ্য উৎপাদন শিল্পের খরচও কমবে।এদিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে আবারও কর ছাড় দিয়েছে সরকার। স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি উভয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ছাড় দেওয়া হয়েছে।আজ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (ইআরডি) থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই ছাড়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে চিনি আমদানিতেও শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার।পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় অব্যাহত থাকবে।বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়।নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে আপাতত ভ্যাট দিতে হবে না এই শিল্প ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের। বিদেশ থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ ভ্যাট দিলেই হবে।সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোজ্যতেল পরিশোধন শিল্পের সমিতি জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে দাম তারা বাড়াবে না, যদি সরকার আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে। পাশাপাশি স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারও চায় তারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও দুই মাসের জন্য উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছিল। আর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয়েছিল।এফএস
    রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
    সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক- এ রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নতুন এমডি ও সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এ চার প্রতিষ্ঠানে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে।উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক থেকে এমডি পদে পদোন্নতি ও পদায় দিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জরি করা হয়েছে। আর বাকি ৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের সুপারিশ করে পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান। জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান।অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম। রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিম।বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের আরেক সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামান।এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসারি-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে।এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে শেখ হাসিনা সরকারের সময় তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওদের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে সরকার।গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করতে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে এসব ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ শূন্য ছিলো।যোগাযোগ করা হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ৪টি ব্যাংকের ডিএমডি-কে পদোন্নতি দিয়ে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ৬টি ব্যাংকের এমডি নিয়োগের জন্য সুপরিশ করে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন পরিচালনা পর্ষদ তাদেরকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেবেন।এবি 
    চালের ওপর শুল্ক কমালো এনবিআর
    চালের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একইসাথে চালের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মূলত, দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময়ে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম কমবে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই উদ্যোগের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।এসএফ
    তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৮৪ কোটি ডলার, শোধ ১১২ কোটি ডলার
    বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েই চলছে বাংলাদেশের ওপর। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) যত বৈদেশিক ঋণ এসেছে দেশে, পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেকটা বেশি।রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে এ চিত্র।ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করাতে পেরেছে সরকার। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণ ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি ঋণ শোধও বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম প্রান্তিকে ১২৮ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছিল দেশে, যা এবারের চেয়ে ৪২ কোটি ডলার বেশি। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার ২৫ কোটি ডলার ঋণ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।অবশ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েকশো কোটি ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এখন পর্যন্ত অর্থ ছাড় যেমন কমেছে, আবার ঋণ পরিশোধও বেড়েছে। ফলে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য নেতিবাচক।জানা গেছে, ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকে। তবে, ডলারের বাড়তি দাম ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও প্রায় তলানিতে নেমেছে। ওই তিন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।ইআরডি সূত্র বলছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ছাড় করা মোট অর্থের মধ্যে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ঋণের আসল হিসেবে ৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং সুদ বাবদ ৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।এসএফ 
    ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ কমেছে ১০০ কোটি টাকার বেশি
    দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে চলতি বছরের আগস্ট মাসে ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। যা জুলাই মাস থেকে ১০২ কোটি টাকা কম। জুলাই মাসে ক্রেডিট কার্ডে ৪৭৫ কোটি টাকা খরচ করেছে বাংলাদেশিরা। জুন মাসে খরচ করেছিল ৫২৪ কোটি টাকা। এভাবে ধারাবাহিকভাবে খরচ কমছে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বেশি খরচ করে। তবে আগস্ট মাসের সবগুলো দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে বাংলাদেশিদের। ক্রেডিট কার্ডে খরচের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউকে, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। গত দুই মাসে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশের বেশি এই ৫ দেশে হয়েছে।বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের খরচ ভারতে কমেছে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে আমেরিকায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন। দেশটিতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। আমেরিকার খরচের এ অঙ্ক জুলাইয়ে ছিল ৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। একইভাবে আগস্টে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভারতে খরচের এ অঙ্ক জুলাইয়ে ছিল ৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।আগস্টে যুক্তরাজ্যে খরচ করেছেন ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, থাইল্যান্ড গিয়ে বাংলাদেশিরা ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, সিঙ্গাপুরে গিয়ে খরচ করেছেন ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া কানাডায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। এ অর্থ কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন, আবার বিদেশে যাওয়ার সময় নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট করতে গেলে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে। এইচএ
    তৈরি পোশাক শিল্পখাত এখন স্থিতিশীল: বিজিএমইএ
    পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।শনিবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সবাই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তার জন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাছাড়া ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রেখেছে। বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।তিনি আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও দেখা করেছে। তারপর বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বেতনভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।আরইউ
    সবজির বাজারে অস্বস্তি, ডিমের ডজন কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাস পার হতে চললেও স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে দামের বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার সুফলও দেখা যাচ্ছে বাজারে। বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। তবে ডিমের দাম কমলেও এবার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ শুধু নয়, মধ্যবিত্তরাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।অন্যদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল। পাশাপাশি সামান্য কমলেও সবজির দাম এখনো সাধারণ মানুষের স্বস্তির মধ্যে আসেনি। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের চিত্র এমন।বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ আলোচনায় ছিল ডিম। বিশেষ করে চলতি সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে এ দাম এখন বড়বাজারে ১৫০ টাকায় নেমেছে। যদিও পাড়া-মহল্লায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো ডিম বিক্রি করছেন ১৬০ টাকায়। সরকার এরমধ্যে ডিমের শুল্কছাড়, আমদানির অনুমতি এবং বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। যার সুফল মিলছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নিয়মিত অভিযান এবং খামারি ও করপোরেটদের ডিম সরবরাহ বাড়ানোর কারণে দাম কমে আসছে। তাছাড়া শুল্কছাড়ের সঙ্গে সরকার নতুন করে আরও সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। এটিও দাম কমার পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।অপর দিকে, একই সময় বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়তে দেখা গেছে। এ মুরগির দাম আগের সপ্তাহেও বেড়েছিল। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১৫ টাকা পর্যন্ত। যা দুই সপ্তাহ আগে ১৮০ টাকার মধ্যে ছিল। এদিকে, অস্বাভাবিকভাবে সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ২৭০-২৮০ টাকা ছিল।এদিকে মাসখানেক ধরে উত্তাপ ছড়ানো সবজির বাজারও রয়েছে কমতির দিকে। যদিও এখনকার দাম সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে কয়েক দিন আগে রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে দাম কমে এখন খুচরায় ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ কয়টি পণ্যের দাম কমা ছাড়া বাকি সব সবজি এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গোল বেগুন মানভেদে কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল ১০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস লম্বা লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে কেজিপ্রতি পার্থক্য দেখা গেছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল কারওয়ান বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুন মানভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।এদিকে চলতি সপ্তাহে তেল ও চিনিতেও শুল্কছাড় দিয়েছে নতুন সরকার। কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, শুল্ক কমানোর খবরে পাইকাররা তেল ও চিনির দরে কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। তবে ভোক্তারা শুল্কছাড়ের সুফল পেতে কিছু দিন সময় লাগবে। চিনির দর নতুন করে বাড়েনি। বরং এক সপ্তাহে পাইকারিতে বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০-২০০ টাকার মতো কমেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এসব পণ্যের খুচরা দাম কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চড়া দামের কারণ সরবরাহ ঘাটতি ও বারবার হাতবদল। উৎপাদন পর্যায়ের চেয়ে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে দাম কয়েক গুণ বাড়ছে।লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহে সংকট আছে, এ কারণে দাম তেমন কমছে না। তবে কাঁচা মরিচ ও টমেটোর দাম অনেকটাই কমেছে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমতে থাকবে। এছাড়া ভাড়া, প্রায় ২৫ শতাংশ পণ্য পচে যাওয়া এবং ইজারাদারদের বাড়তি টাকা দিতে গিয়ে খরচ বেড়ে যায়। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামে বড় ব্যবধান তৈরি হয়।এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদহার বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। চলমান ডলার সংকটের মধ্যেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে জোর দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, চিনি ও ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া, চাঁদাবাজি রোধে নানা উদ্যোগ, টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং পণ্য উৎপাদন ও সরবররাহ নিশ্চিত করতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরও বাজারে স্বস্তি ফিরছে না।এইচএ

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় তারা সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানান।সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। পরে শাহবাগমুখী রাস্তা ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, উপাচার্যের বাসভবন ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’; ‘আমার ভাই কবর, খুনি কেন ভারতে’; ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, করতে করতে হবে’; ‘এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়’; ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘ছাত্রলীগ/সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে কোনোভাবে আর এদেশে মেনে নেবে না। গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড তাদের কোনোভাবে ছাত্রসংগঠন হিসেবে বৈধতা দেয় না। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শিগগিরই তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগ থাকবে কি না তা ঠিক হয়ে গেছে ১৫ জুলাই। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট। ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন আর কখনও হবে না।রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উদ্দেশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনি বঙ্গভবনের বিলাসিতা নিয়ে নিজের রাস্তা মাপুন।সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ছাত্রসংগঠনের নামে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হয়ে ও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে যারা, তাদের অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।এর আগে, চবিতে রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।জানা যায়, সোমবার ভোর ৪টা নাগাদ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকায় আপ্যায়ন নামে এক দোকানে হামলা করে। এরপর আশপাশের আরও কিছু দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আতঙ্ক ছড়ায়। এফএস
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী সিএসই ফেস্ট অনুষ্ঠিত
    উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও সৃজনশীলতার প্রসারের লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে দিনব্যাপী সিএসই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে একাডেমিক ভবন-২ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বেরোবি সিএসই ফেস্ট ২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন উপাচার্য।সিএসই ফেস্ট ২০২৪ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপাচার্যের নেতৃত্বে বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক, প্রক্টর ড. মোঃ ফেরদৌস রহমান এবং বেরোবি সিএসই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সিএসই ফেস্টে প্রজেক্ট শোকেসিং, গেমিং কনটেস্ট, ইনডোর গেম, আন্তঃবিভাগ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠাানের আয়োজন করা হয়।এমআর
    সক্রিয় ভূমিকায় ববি ছাত্রদল, নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বিগত দিনের মত ক্যাম্পাসের বাইরে সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে দেখা গেছে তাদের (ছাত্রদল)। এদিকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের হাতে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট ও কলম উপহার দেওয়া হয়। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় তাঁদের(শিক্ষার্থীদের)। ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে কথা এই প্রতিবেদকের সাথে। তারা জানান, আমরা ছাত্রদলের পক্ষ হতে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে এসেছি। ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রলীগ যাতে কোন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেজন্য আমাদের অবস্থান থাকবে।আমরা সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করতে চাই। যেকোন যৌক্তিক দাবি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে ববি ছাত্রদল সবসময় সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক এমডি সিহাব বলেন, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষে আমরা তাদেরকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছি।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা ও সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গায় বৃদ্ধি করতে সারাদেশে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তারই অংশ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আজকের আয়োজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ববি ছাত্রদলের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক এম.ডি. সিহাব, সহ-প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বি খান, সদস্য মোশাররফ হোসেন, সাব্বির হোসেন, মিজান, সাকিব আল হাসান, সোহানুর রহমান সিফাত সহ অনেক নেতৃবৃন্দ।এইচএ 
    অবশেষে বেরোবিতে ভর্তি হয়েছেন কবজি দিয়ে লেখা সেই মিনারা
    হাতের কবজির সাহায্যে লিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ম্যানেজমেন্ট  স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও অর্থাভাবে ভর্তির আশংকায় থাকা সেই মিনারার ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ রাউফুল আজম খান।এইদিকে ভর্তি আশংকায় থাকা মিনারার বিষয়টি গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.শওকাত আলীর দৃষ্টিগোচরে আসলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেন।তিনি বলেন, বিষয়টি আমি গতকাল জানার পরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি ব্যবস্থা করতে বলি। আজ তার (মিনারা) ভর্তি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।জানা গেছে, জন্ম থেকেই দুই হাতে কোনো আঙুল নেই মিনারার। তবুও অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে হাতের কবজির সাহায্যে লিখতে তিনি। মিনারা খাতুন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল দক্ষিণ বাঁধ এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলাম ও মৃত মর্জিনা বেগমের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে মিনারা ছোট।জীবন যুদ্ধে হারতে নারাজ মিনারা। দুই হাতের আঙুল না থাকলেও, কবজির সাহায্যে লিখেই তিনি একে একে পিইসি, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় পাস করেন। পরে কারমাইকেল কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। গত ২০২২ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হন। এবার দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় দিয়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান মিনারা।মায়ের মৃত্যুর পর সাতবার নদীতে বাড়িভাঙনের শিকার বাবা রফিকুল ইসলাম মিনারার খালাকে বিয়ে করেন। শারীরিকভাবে মিনারা স্বাভাবিক থাকলেও তার দুহাতে কোনো আঙুল নেই। দুই হাতের কবজির সাহায্যে কলম ধরে তিনি এখন পর্যন্ত পড়ালেখা চালিয়ে আসছেন।বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর। অভাবের সংসার তার। নুন আনতে পানতা ফুরায়। নদী ভেঙে পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ পাউবো বাঁধে আশ্রিতদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত তার।এইচএ

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    নিষিদ্ধ হলো হোয়াটসঅ্যাপের ৮৪ লাখ অ্যাকাউন্ট
    হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে একের পর এক ফিচার নিয়ে আসছে। তবে নিয়ম ভঙ্গ করলে অ্যাকাউন্ট ব্যান করতেও সময় নেয় না প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা হোয়াটসঅ্যাপের।এবার সে কারণেই ভারতের ৮৪ লাখ অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। মাত্র ১ মাসের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলোকে ব্যান করেছে মেটা। এর আগেই বেশ কয়েকবার এমন অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করেছে সংস্থাটি।মেটার দাবি, তাদের প্ল্যাটফর্ম স্ক্যামের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে সন্দেহভাজন কিছু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আসলে বহু ব্যবহারকারীই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে এই ধরনের স্ক্যাম সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিল।কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রায় ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(১)(ডি) এবং ৩এ(৭) ধারায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বারংবার অভিযোগ আসার ফলে নজরদারি বাড়িয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এরপরে অবিলম্বে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ওই সংস্থা।সংস্থার রিপোর্টে দেখানো হয়েছে যে, গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে এই সব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬.৬১ লাখ অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বাকি অ্যাকাউন্টগুলো যাচাই করার পরে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ব্যবহারকারীদের থেকে কোনো রকম অভিযোগ না পেয়েও ১৬ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কারণ নজরদারির সময় অপব্যবহারের বিষয়টি সামনে এসেছিল।সংস্থার পক্ষ প্রকাশ করা রিপোর্টে আরও দেখানো হয়েছে যে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ব্যবহারকারীদের থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর পাশাপাশি ই-মেইল কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোম্পানির বক্তব্য, স্ক্যাম এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত কাজেই জড়িত ওই অ্যাকাউন্টগুলো।কী কী কারণে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হচ্ছে তা জেনে রাখুন-ব্যবহারকারীরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে একের পর এক মেসেজ পাঠাতে থাকেন কিংবা প্রতারণামূলক ভুলভাল মেসেজ অথবা গুজব ছড়ান, তাহলে তাঁদের অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।কোনো ব্যবহারকারী যদি আইন লঙ্ঘন করেন এবং সন্দেহজনক কাজকর্মের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের অ্যাকাউন্টের উপরেও চাপানো হবে ৩. হোয়াটসঅ্যাপে যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অথবা প্রতারণা করার অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্তের পরে এই ধরনের ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হবে।এইচএ
    ফোন চার্জ করার পর চার্জার খুলেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানুন
    অনেকেই ফোন চার্জ করার পর চার্জার খুলে রাখেন না। দীর্ঘ সময় চার্জে লাগানো থাকে স্মার্টফোন। এমন ভুল করে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? ফোন কত শতাংশ চার্জ হলো, কত দ্রুত চার্জ হলে এইসব দিকেই নজর থাকে সবার। কিন্তু, চার্জ হওয়ার পর চার্জার খুলে রাখতে ভুলে যান অনেকেই। এতে বড় বিপদ ঢেকে আনতে পারেন।ভাবতে পারেন চার্জার খুলে রাখা কেন এতো জরুরি। চার্জ হয়ে গেলে অবশ্যই চার্জার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যদি আগের অবস্থাতেই থাকে তাহলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে এবং বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে।চার্জারের সঙ্গে একটানা বিদ্যুৎ কানেকশনের ফলে স্পার্কিং থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেকেই এই দিকে নজর দেন না। কিন্তু চার্জিং করার সময় এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।চার্জার প্লাগ-ইন অবস্থাতেই যদি রেখে দেন, তাহলে সেটি ক্ষতি হওয়া আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এর ফলে অ্যাডাপটার গরম হতে শুরু করে এবং যার প্রভাব ফোনেও দেখা যায়। তাই সচেতন থাকা উচিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের। এগুলো না মানলে চার্জার তো খারাপ হবেই, তার সঙ্গে বারোটা বাজবে ফোনের। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে চললে, দীর্ঘদিন ফোন ও চার্জার ব্যবহার করতে পারবেন।এছাড়া বেশিরভাগ মানুষ আরেকটি ভুল করেন। সেটি হচ্ছে সারারাত ফোন চার্জে দিয়ে রাখেন। এটি ফোনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাতভর চার্জ দেওয়ার ফলে ফোনে প্রচন্ড পরিমাণে হিট তৈরি হয়, যার ফলে বিস্ফোরণ হতে পারে। সূত্র: উইকিহাউ
    নিজেই নকশা করে স্ত্রীকে গাড়ি উপহার দিলেন মার্ক জাকারবার্গ
    ভালোবেসে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের জন্য তৈরি করেছিলেন তাজমহল। এবার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে নিজে গাড়ির নকশা করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। সেই গাড়ি তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত মোটারগাড়ি নির্মাতা পোরশে। পোরশের সেই গাড়ি স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে উপহার দিয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।নিজের জন্যও একটি পোরশে গাড়ি কিনেছেন, তবে সেটির নকশা মার্কের করা নয়। দুটি গাড়ি পেছনে রেখে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের ছবিও প্রকাশ করেছেন মার্ক জাকারবার্গ।স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের জন্য জাকারবার্গের নকশায় তৈরি করা গাড়িটির নাম পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান। সাধারণত এমন গাড়ি পোরশে বানায় না। শুধু মার্ক জাকারবার্গের জন্যই ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় মিনিভ্যানটি তৈরি করেছে পোরশে। জাকারবার্গের নিজের জন্য কেনা গাড়িটির মডেল পোরশে ৯১১ জিটি৩। দুটি গাড়ির রংই ধূসর।প্রসঙ্গত ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমসের মাধ্যমে ক্রেতারা চাইলেই নিজের মতো করে গাড়ির নকশা ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই নিজের পছন্দের নকশায় স্ত্রীর জন্য পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান গাড়িটি তৈরি করেন মার্ক জাকারবার্গ।ইনস্টাগ্রামে মার্ক জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আরেকটা নতুন গল্প। প্রিসিলা একটি মিনিভ্যান চেয়েছিল, তাই আমি এমন কিছু নকশা করেছি। আমি নিশ্চিতভাবে এমন একটি নকশা করেছি, যা একটি পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান। আরেকটি ম্যানুয়াল জিটি–৩ নিয়েছি। পোরশে ও ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমকে ধন্যবাদ।’গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়ির পেছনের উঠানে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের বিশাল ভাস্কর্য উন্মুক্ত করেন মার্ক জাকারবার্গ। রুপালি চাদরে আচ্ছাদিত ভাস্কর্যটিতে প্রিসিলা চ্যানের চেহারা সবুজ রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হাইপারবিস্ট এসএফ 
    নাসার হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মিরহার সাফল্য
     বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের চলতি বছরের ‘বাংলাদেশ পর্বে’ রাজশাহী বিজিবি স্কুলের শিক্ষার্থী মিরহা সেনায়াত বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে।মিরহা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাজশাহী পরিচালিত শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা এসএম আজম রাজশাহীর একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। মা শাহিদা ফেরদৌসি একজন গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে মিরহা বড়। ছোট বোন মাহদিয়া নুসাইবা একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেজি ক্লাসের ছাত্রী।মেধাবী ছাত্রী মিরহা তার এ সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি। গত জুলাই মাসে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের বাছাই পর্বে জয়ী হয়ে এ বিষয়ে আমার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। ঢাকায় নাসা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এত বেশি আনন্দ পেয়েছি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর থেকে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত টানা ৩৬ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।এদিকে গত ৬ অক্টোবর রাতে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ পর্বের বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ মিলিয়ে মোট ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। একইসঙ্গে স্কুল শিক্ষার্থীদের দল ‘সোলার শ্যাডো’ পেয়েছে বিশেষ সম্মাননা।সৌরজগতে গ্রহ-উপগ্রহ সম্পর্কে খেলতে খেলতে শেখার গেইম তৈরি করে এ সম্মাননা জিতেছে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবহা সাফায়াত সিজদার নেতৃত্বাধীন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সেজদা জাকির তারল্য, মিরহা সেনায়াত, আমিনুর রহমান সাজিম ও গোলাম তাহরীম বিন আরিক।এসএফ
    সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে ৮ সদস্যের কমিটি
    গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। হয়রানিমূলক এসব মামলা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হলো।কমিটি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ করবে এবং সময়ে সময়ে মামলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। কমিটিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (সম্প্রচার) সভাপতি করা হয়েছে।কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন– তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার, আইন ও বিচার বিভাগের একজন প্রতিনিধি (জেলা জজ পদমর্যাদার), চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস)।এসএফ
    মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক
    বিশ্বজুড়ে বহুল পরিচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ফেসবুক। যেখানে স্ট্যাটাসে কিংবা পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের মিউজিক ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরণের ছবির ভিডিও পোস্ট করে থাকে। এছাড়া অনেকেই আবার ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফেসবুকের সাধারণত ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস নামের তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে আয় করা যায়। তবে সম্প্রতি কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে। এই নতুন প্রোগ্রামটি ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।এক ঘোষণায় ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, গত বছরগুলোতে নির্মাতারা রিলস, ভিডিও, ছবি ও টেক্সট পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছেন। তবে অনেক নির্মাতাই তাঁর সম্ভাব্য আয়ের সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি। ফেসবুকের মনিটাইজেশন থেকে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ নির্মাতা বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করে আয় করতে পেরেছেন। নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি ২০২৫ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে, এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা এবং নিরাপত্তা উন্নয়নেও কাজ করছে, যাতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আরও সহজ এবং নিরাপদ হয়।এই উদ্যোগ ফেসবুকের ক্রিয়েটরদের প্ল্যাটফর্মে আরও আকৃষ্ট করবে এবং ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে। ক্রিয়েটররা এই সুযোগগুলোর মাধ্যমে তাদের আয়ের ধরন এবং কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার সুযোগ পাবেন।বিশেষ করে নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে কনটেন্টের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং বিজ্ঞাপনদাতারাও এই প্ল্যাটফর্মে আরও আগ্রহী হবে। একসাথে, এই প্রোগ্রামটি ফেসবুককে একটি শক্তিশালী কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলবে। যা ক্রিয়েটরদের ভবিষ্যৎ কনটেন্ট তৈরির প্রক্রিয়া এবং আয়ের জন্য আরও সহায়ক হবে।

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    আগাম জামিন পেলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না
    রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলায় আগাম জামিন পেলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্না। পুলিশ রিপোর্ট দাখিল হওয়া পর্যন্ত এ মামলায় জামিনে থাকবেন তিনি।জেড আই খান পান্নাকে আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ অনেকে।এর আগে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, এই হত্যা চেষ্টা মামলায় পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।মামলায় বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে।এইচএ

    প্রবাস

    সব দেখুন
    সৌদিতে গাড়িচাপায় রেমিট্যান্স যোদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু
    সৌদি আরবে গাড়িচাপায় মো. শাকিল মাঝি (২৩) নামে এক বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধা যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে । রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে দেশটির আভা খামিজ মোসাইদ শহরে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মো.শাকিল মারা যান।নিহত শাকিল লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের হাওলাদার স্টেশন এলাকার মাঝি বাড়ির, কৃষক আলিম উদ্দিন মাঝির ছেলে। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।নিহত শাকিলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ৬ মাস আগে শাকিলকে সৌদি আরব কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান । সেখানে সে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন। ঘটনার দিন সে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়ালে গাড়ি পেছনে নেওয়ার সময় চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মরদেহ আভা শহরের সরকারি হাসপাতালের হিমঘরে সংরক্ষিত করে রাখা রয়েছে।পিএম

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    কম ঘুমে লোপ পায় স্মৃতিশক্তি, আরও যেসব ক্ষতি হয়
    একজন সুস্থ মানুষের দিনে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। রাতের ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সারাদিন অসুস্থবোধ হয়। তবে জানেন কি, রাতের ঘুম ভালো না হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? ফিনল্যান্ডের আল্ট্রো ইউনিভার্সিটি এবং ওলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়। ঘুমের অভাবে মানুষের শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধতে পারে তা এই গবেষণায় দেখা হয়। একজন ব্যক্তিকে পাঁচ মাস ধরে ট্র্যাক করা হয়েছিল যিনি দিনের পর দিন কম ঘুমের শিকার হয়েছিল।গবেষণায় দেখা যায়, কম ঘুম বা রাতের পর রাত জেগে থাকার অভ্যাস ওই ব্যক্তির স্মৃতি শক্তির ওপর প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি কোনো বিষয়ে আর মনোযোগ দিতে পারছেন না। তবে ঘুমের ঘাটতি যে কেবল স্মৃতি শক্তি দুর্বল করে আর মনোযোগ কমায় তা নয়। অনিয়মিত ঘুমের আরও অনেকে প্রভাব পড়ে শরীরে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- মেজাজ খিটখিটে হওয়াঘুম নিয়মিত না হলে মুড একেবারেই ভালো থাকে না। সারাদিন একটা খিটখিটে ভাব দেখা যায় আচরণের মধ্যে। অর্থাৎ, ঘুমের অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। বিভ্রান্তিসারাদিন আমাদের মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে তথ্য পৌঁছায়। এর মধ্যে কিছু তথ্য ঘুমের সময় মস্তিষ্ক যত্ন করে রেখে দেয়, বাকিটা ফেলে দেয়। কিন্তু ঘুম যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে এই কাজটি সঠিকভাবে হয় না। ফলে মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ওজন বৃদ্ধি  কম ঘুমের কারণে হজম ক্ষমতা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। এতে ওজন বেড়ে যায় খুব দ্রুত। ডায়াবেটিসদীর্ঘদিন রাতে যদি কেউ না ঘুমায় তাহলে শরীর ইনসুলিন সঠিকভাবে উৎপাদন করতে পারে না। এতে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। উচ্চ রক্তচাপপর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের লিভিং অর্গানিজমগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দেয়।এমআর

    Loading…