


জাতীয়
সব দেখুন
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন






চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করে বিএনপি। এই সমাবেশ চলাকালে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয় বলে জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মী হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়ে। এ সময় মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংঘাত থামাতে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে সংঘাতরত নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কিন্তু ততক্ষণে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তবে ছাত্রদলের কোন গ্রুপের ওপর কোন গ্রুপ হামলে পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নির্ধারিত বক্তব্য থামিয়ে বলেন, যারা সংঘাত করছে তারা সরকারের দালাল।
এদিকে, সমাবেশে খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আল্টিমেটাম দেন। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
বৃষ্টির হওয়ার একদিন পরও ডুবে ছিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এই জলাবদ্ধতার বিষয়ে দায় না নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সে দিন টানা ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালগুলো আমরা ভরাট করে ফেলছি, দখল করছি। এছাড়া যেখানে-সেখানে পলিথিন, বোতল, আবর্জনা ফেলছি। যেগুলো গিয়ে ড্রেনে পড়ছে, সেগুলো পানি নামা বাধাগ্রস্ত করছে। পানি প্রবাহ নষ্ট হয়ে, যেতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। সেই পানি নেমে যেতে সময় লাগছে, সেই সময় তো দিতে হবে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মেয়র। এ দিন ‘আগামীর অনুপ্রেরণা’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আর্ট ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএনসিসি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, একসময় শেওড়াপাড়া, মধুবাগ, খেজুরবাগান, সংসদ ভবনের পাশের রাস্তা, নেভির সামনের রাস্তা ডুবে যেত। এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। জলাবদ্ধতা হয়, আবার পানি নেমে যায়। ঢাকা শহরের অলিগলি ২০ ফুটের কম হলে আমরা রাস্তা জন্য বরাদ্দ দেব না। এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ২০ ফুটের কম রাস্তা হলে সেখানে ড্রেন করার জায়গা থাকে না। এখনো অনেক রাস্তা আছে যেগুলো ২০ ফুটের কম। সেগুলোতেই মূলত জলাবদ্ধতার সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় বোতল, পলিথিন, নানা আবর্জনা আমরা ইচ্ছে মতো যেখানে-সেখানে ফেলছি। সেগুলো গিয়ে ড্রেনের মধ্যে ঢুকছে, সেগুলোই পানি নামতে সমস্যা করছে। তাই জলাবদ্ধতা কমে যেতে বা পানি সরে যেতে কিছুটা সময় লাগছে।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১০টি র্যাপিড অ্যাকশন টিম গঠন করে দিয়েছি। তারা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এবং জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। আমরা কিন্তু বসে নেই। আমরা, কাউন্সিলররাসহ সংশ্লিষ্টরা মিলে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হলো রাস্তাগুলো ২০ ফুট করতে হবে। আর অলিগলিতে যেসব ড্রেন আছে সেগুলো আমরা বড় করার কাজ শুরু করেছি, যাতে দ্রুত পানি নেমে যেতে পারে। দক্ষিণখান এবং আজমপুরে আমরা এ কাজগুলো ইতোমধ্যে শুরু করেছি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর থেকে শেওড়াপাড়ার দিকে যে রাস্তা, এটাতে আগে জলাবদ্ধতা হলে দুই-তিন দিন যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকত। আমরা কিছু কাজ করার ফলে এখন কিন্তু সেখানে ওইরকম জলাবদ্ধতা থাকে না। সব ড্রেনের ডায়ামিটার কিন্তু এক না, অলিগলিতে একটু ছোট লাইন, সেখান থেকে পানি আসবে বড় লাইনে, এরপর সেখান থেকে পানি খালে নামবে। সেহেতু পানি সরে যেতে কিছুটা সময় দিতে হবে।
মেয়র বলেন, কল্যাণপুরে ১৩০ একর জায়গার ওপরে ওয়াটার রিটেনশন পন্ড ছিল, যেখানে বৃষ্টির পানি গিয়ে জমা হতো। সেখানে ইতোমধ্যে একটি সরকারি সংস্থা ৪০ বিঘা জমি বালি দিয়ে ভরাট করেছে। তাহলে রাজধানীর যে জলাবদ্ধতা, যে পানি জমে থাকে সেই পানি কোথায় গিয়ে নামবে? আমাদের সবার মনে রাখতে হবে আমরা যেন পরিবেশটা নষ্ট না করি। পরিবেশ নষ্ট করলে পরিবেশ নিজেই এক সময় প্রতিশোধ নেবে। জলাবদ্ধতাসহ এমন নানা সমস্যার সম্মুখীন আমাদের হতে হবে।

ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সোয়া ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে গুলশান ১ এর ৮ তলা ভবনে লাগা আগুন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২ জন মহিলা পাঁচজন পুরুষকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১ টা ৩৮ মিনিটে সংবাদ পেয়ে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ৩টি এবং বারিধারা ফায়ার স্টেশন ২টি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত দেড়টায় গুলশান ১ নম্বর এলাকায় ৩ নম্বর রোডের ৫০ নম্বরের ৮ তলা ভবনের ৪ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ১:৪৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। পরে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ৩টি এবং বারিধারা ফায়ার স্টেশন ২টি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট যুক্ত হয়। রাত ৩: ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর এলাকায় একটি ৮ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১ টা ৩৮ মিনিটে সংবাদ পেয়ে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ৩টি এবং বারিধারা ফায়ার স্টেশন ২টি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত দেড়টায় গুলশান ১ নম্বর এলাকায় ৩ নম্বর রোডের ৫০ নম্বরের ৮ তলা ভবনের ৪ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ১:৪৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। পরে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ৩টি এবং বারিধারা ফায়ার স্টেশন ২টি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট যুক্ত হয়।
সর্বশেষ রাত পৌনে তিনটায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি ফায়ার সার্ভিস।

রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়েছেন পাঁচজন।
নিহতরা হলেন- মো. মিজান, তার স্ত্রী মুক্তা এবং তাদের ছেলে হোসাইন। অনিক নামে আরেক ব্যক্তি মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে চারজন মারা গেছেন। বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়েছেন পাঁচজন।
আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। এদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে বলে তিনি জানান।
যশোরের শার্শায় অভিযান চালিয়ে দুইটি বিদেশী পিস্তলসহ ৬টি অস্ত্র ও ১৯ রাউন্ড গুলিসহ কুখ্যাত মাদক, স্বর্ণ চোরাকারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন ওরফে পিস্তল নাসির উদ্দীন ওরফে গোল্ড নাসির উদ্দীনকে আটক করেছে র্যাব-৬, যশোর সদস্যরা।
শনিবার সকালে যশোরের শার্শা থানার বাগআচঁড়া হাইস্কুল মার্কেটের সামনে হতে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে খুলনা র্যাবের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে যশোর র্যাব থেকে প্রেসনোটের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়।
আটক নাসির উদ্দীন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি গ্রামের মৃত বুদো সর্দারের ছেলে।
যশোর র্যাব-৬ এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, তাদের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, শার্শা থানার বাগআচঁড়া হাইস্কুল মার্কেটের সামনে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য বেচাকেনা ও চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এ খবরের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি শনিবার সকালে উক্ত মার্কেটের সামনে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত মাদক, স্বর্ণ চোরাকারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীনকে আটক করে।
এ সময় তার হেফাজত থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রিভলবার ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আটক আসামী সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়,সে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে এবং ৭/৮ বছর সে চোরাচালান সামগ্রী মাদক ও গোল্ড পাচারের লেবারের কাজ করে। পরবর্তীতে নিজে বড় চোরাকারবারি হয়ে উঠে এবং তার নিয়ন্ত্রনে একটা বড় মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ পাচার ও অস্ত্র ব্যবসা সংগঠন গড়ে তোলে।
সে চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা হতে অর্জিত অবৈধ টাকা আড়াল করার জন্য বেনাপোলের সীমান্তবর্তী পুটখালি এলাকায় একটি বড় গরুর ফার্ম দেয়। সে স্বল্প দামে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অস্ত্র ক্রয় করে অধিক দামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকে। তার বিরুদ্ধে যশোরের বিভিন্ন থানায় একটি অস্ত্র মামলা, একটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ মোট তিনটি মামলা বিচারাধীন আছে।
উক্ত আসামীকে আটকের উদ্দেশ্যে র্যাব দীর্ঘদিন যাবৎ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ও আটককৃত আসামীকে যশোরের শার্শা থানায় হস্তান্তর ও আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান।
এফএস
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'কোন আন্দোলন সংগ্রামে সরকার ভীত নয়। সরকার যে কোনো মূল্যে বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করে যথাসময়ে় বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে পুলিশের ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমেরিকার ভিসা নীতির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার। কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবেনা সেটি একান্তই তাদের সিদ্ধান্ত। তবে যারা সুষ্ঠ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে বা নির্বাচন ভন্ডুল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে।'
দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়ে়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন কোনো দেশের উন্নয়ন দেখতে হলে বাংলাদেশ ঘুরে আসুন, কোনো নেতা দেখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে দেখে আসুন।'
এসময় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম মঈন উদ্দীন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জমান ও জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্নভোজ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা তিনটায় কালিগঞ্জের নলতা কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভার উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারযোগে রওনা দেন।
এআই

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় বন্দরের হাড়বাড়িয়া-১১ নম্বরে নোঙর করেছে জাহাজটি।
ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে লাইটার জাহাজে করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পাত্তাই বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বানিজ্যিক জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। সেখান থেকে প্রথমে ১৮ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন কয়লা চট্রগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়। পরে অবশিষ্ট কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড, খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে এই কয়লা লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে নিয়ে সেখান থেকে কয়লা ইয়ার্ডে রাখা হবে।
এর আগে গেল ১০ সেপ্টেম্বর রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছে এমভি জেইল অব শহর নামক একটি বাণিজ্যিক জাহাজ।
এআই

ভারতে শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের অনুমোদন পাওয়া তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানে ৪৫ টন ৮০০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে। ১২ ট্রাকে করে এই ইলিশ মাছ ভারতে গেছে।
তবে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি না আসায় কোন মাছের চালান রপ্তানি করতে পারেনি রপ্তানিকারকরা। দুপুরের দিকে অনুমতি আসার পর মাছ রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাস্টমস ও মৎস্য দপ্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশের ট্রাক প্রবেশ করে। এর আগে বুধবার ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন।
আজ যে ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে তার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিসা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং, রিপা এন্টারপ্রাইজ ও প্যাসিফিক সি ফুড। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম এস আর ইন্টারন্যাশনাল, নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বারখা বিকাস ফিস এজেন্সি। প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ইলিশের প্রথম চালানে ১২ টি ট্রাকে করে ৪৫ টন ৮০০ কেজিমাছ ভারতে প্রবেশ করেছে। পর্যায়ক্রমে বাকী ইলিশ রপ্তানি হবে। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এরপর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা উপহার স্বরুপ ইলিশ দিয়েছে।
গত ২০২১ সালে দুর্গাপূজায় ১১৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় ইলিশ সংকট ও রপ্তানি মূল্যের চেয়ে কেনা মূল্য বেশির কারণে এক হাজার ১০৮ টন ২৮০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। একই কারণে ২০২২ সালে দুই দফায় ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই হাজার ৯ শত ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত বছর ইলিশ রপ্তানি হয় এক হাজার ৩০৬ দশমিক ৮১৩ মেট্রিক টন ইলিশ। যা বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের দেওয়া রপ্তানি আদেশের ৪৪ ভাগ ইলিশ ভারতে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান মাছ না পেয়ে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। তারপরও পদ্মার ইলিশ পেয়ে ওপারের অনেকে খুশি। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু স¤প্রদায়ের সেরা উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। অনেক ভোজন রসিকরা পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে অপেক্ষায় থাকে।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট যুথী এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিজানুর রহমান বলেন, এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি এক হাজার ১০০ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হবে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানে ৪৫ টন ৮০০ মেট্রিক টন আজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে। দ্রুত রফতানি করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠাবে ৭৯ প্রতিষ্ঠান শারদীয় দুর্গা উৎসবে ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে জানানো হয়, ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। তালিকায় ঢাকার ৩৯টি, যশোরের ১২টি, পাবনার ৯টি, খুলনার ৭টি, বরিশালের ৫টি, চট্রগামের ৩টি ও নড়াইল, মৌলভীবাজার, সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজার জেলার একটি করে প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছেন। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন।
আবার সরকার প্রয়োজন মনে করলে রপ্তানির এই আদেশ যে কোনো সময় বন্ধও করতে পারবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন রুপ বিধি নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে বলে অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, ব্যবসায়ীদের রপ্তানি নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি কনসাইনমেন্ট রপ্তানি শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না। এ অনুমতি কোন ভাবেই হস্তান্তর যোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতিত সাব কন্ট্রাক এ রপ্তানি করা যাবে না।
ঢাকার অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী বিষুদানন্দ আচার্য্য বিশু জানান, দুর্গাপূজায় ভারতে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছি। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়ে রপ্তানির সব কার্যক্রম শুরু করেছি।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম-কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন জানান, ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। চিঠির আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআই

বেনাপোল পৌর গেটের সামনে একটি কালভার্টের নীচ থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বেনাপোল পোর্ট থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ ইব্রাহিম হোসেন।
তিনি জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। কালভার্টের নীচে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া গেছে। লাশটির গায়ে কালো রংয়ের টিশার্ট পরিহিত এবং কোমরে গামছা বাঁধা এছাড়াও পরনে লুঙ্গি ভাঁজ করে পরিহিত। লাশটির শরীরে পোকা ধরেছে। অনুমান করা হচ্ছে ৬/৭ দিনের পুরোনা মরদেহ এটি। এখনো তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এআইমিয়ানমার থেকে আসা গুলিসহ চারটি বিদেশি পিস্তল ও ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোদার বিলের ইমাম হোসেনের বাড়ি থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
এদিন রাত ৯টায় টেকনাফ জোন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রামের বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরু উল্লাহ কাজল।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একটি মাদক কারবারি চক্র মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রের চালান এনে স্থানীয় এক বাড়িতে মজুত রেখেছে। পরে অভিযান চালিয়ে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ১৪১ রাউন্ড গুলি, ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা ও সন্দেহজনক ৭০০ গ্রাম মাদক উদ্ধার করা হয়।
জাফরু উল্লাহ বলেন, মূলত মাদক কারবারিরা শক্তি প্রয়োগ করতে মিয়ানমার থেকে মাদকের সঙ্গে অস্ত্রের চালান মজুত করছে। অস্ত্রগুলো সামনের নির্বাচনে ব্যবহার করতেও মজুত করা হতে পারে। আমরা কোনো অস্ত্র বা মাদক কারবারিকে ছাড় দিচ্ছি না। এ ঘটনার পেছনে যারা জড়িত, তাদের খোঁজ বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িত ৭ জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রে আইনে মামলার করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তাফা, পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী নাথ প্রমুখ।
এআই
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাইমুম সরওয়ার কমলের এই জনসভা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। নির্বাচনের আগে বিশাল এই জনসভাকে এমপি কমলের শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখছেন সবাই।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রামু খিজারী স্টেডিয়ামে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
জনসভায় আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠনগুলোর উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কেন্দ্রভিত্তিক নেতারা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, ধর্মীয় ও পেশাজীবী নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
দুপুর ২টা থেকেই রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ নেচে-গেয়ে এবং মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেয়। স্টেডিয়ামের উত্তর প্রান্তে নির্মিত বিশাল উন্মুক্ত মঞ্চে দুপুরের পর থেকে চলে নেতাকর্মীদের বক্তব্য।
জনসমাবেশকে ঘিরে জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে স্টেডিয়ামের বাইরে চৌমুহনী, বাইপাস ফুটবল চত্বরসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার সড়কে। হাজারো মানুষের ভিড়ে সবখানে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
জনসভায় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, 'রেললাইন, আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ অনেক মেঘা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করে সরকার কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। চারলেনের সড়ক, বড় বড় সেতু নির্মাণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও অকল্পনীয় উন্নয়ন হয়েছে। '
করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্বের অনেক দেশ বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। দেশের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব জানিয়ে এই এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মানুষ প্রমাণ পেয়েছে, তাই আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় এনে এদেশের ১৬ কোটি মানুষের নিরাপত্তা, অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নৌকা প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে।
বিগত ১০ বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছি এ দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামের গলিতে আমি চষে বেরিয়েছি। সেবা করতে গিয়ে কখন রাত, কখন দিন বুঝতে পারিনি। আমার নিরলস পরিশ্রমে অসংখ্য মানুষকে সেবা দিয়েছি। নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, রামু কলেজ ও খিজারী উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ ও বিকেএসপি স্থাপনের মাধ্যমে রামুকে শিক্ষার নগরী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
সমাবেশে এমপি কমল আরও বলেন- যারা দলের দূর্দিনে পাশে ছিলো না, মানুষের দূর্দিনে খবর নেয়নি, করোনাকালে ঘরের বাইরে আসেনি- তারা এখন নৌকার মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের মানুষ কখনো দেখেনি। অনেকের নামও মানুষ জানেনা। অনেক নেতা ৩ উপজেলার সকল ইউনিয়নের নাম ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নামও বলতে পারবে না। একমাস আগে সৃষ্ট বন্যাতেও এসব নেতাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। এসব নব্য নেতারা এখন নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মতোই আমার মনোনয়ন ঠেকাতে একজোট হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঠাঁই দলেও নাই, মানুষের হৃদয়েও নাই। এরা নিশ্চিত ভরাডুবি জেনেই দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মনোনয়ন নাটক শুরু করেছে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেন, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য কমল বিগত ১০ বছর দায়িত্ব পালনকালে সবসময় মানুষের সুখে-দুখে পাশে ছিলেন।
রামুর ১১টি ইউনিয়নের সড়ক, সেতু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল-ক্লিনিক দেখলেই বোঝা যায়, এমপি কমল মানেই উন্নয়নের রূপকার। তাই উন্নয়নের রূপকার কমলই আওয়ামী লীগের যোগ্য মনোনয়নপ্রত্যাশী।
জনসভায় কথা হয় রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সুখমনিয়া গ্রামের অধিবাসী প্রবাস ফেরত আবদুল হাকিম (৫৪) সাথে। শুধু হাকিম নয়, জনসভায় আসা অগণতি কর্মী বলেন, গত এক দশক আগেও চান্দেরগাড়ি (জিপ) ছাড়া রামুর পাহাড়ঘেরা ইউনিয়ন কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, ঈদগড় ও গর্জনিয়ায় যাওয়ার বিকল্প ছিল না। তা-ও নির্দিষ্ট কিছু সময়েই জড়ো হয়ে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমান সরকারের টানা সময়ে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন নামিদামি যানবাহন নিয়ে দিনরাত যেকোনো সময় এসব এলাকায় যাওয়া যায়। আমি এক যুগ পর প্রবাস থেকে এসে এ উন্নয়ন দেখে বিমোহিত হয়েছি। কৃতজ্ঞতায় নৌকার জনসভায় এসেছি।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, আওয়ামী লীগ নেতা খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গণি, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম, রামু উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, সাধারণ ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামশুল আলম, ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো. ঈসমাইল নোমান, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হক, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো, রামু উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তপন মল্লিক সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, সহসভাপতি আনছারুল হক ভুট্টো, ঝিলংজার ৬ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক আমিন প্রমুখ।

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে পাচার হওয়া ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ টাকার স্বর্ণসহ টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মো. আরাফাত (৩৫) নামে এক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন টেকনাফ সড়কে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন গভীর রাতে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে বন্দরের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে সড়কে আসতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড সদস্য তাকে থামার সংকেত দেয়। এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মো. আরাফাত নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তি জাদিমুড়া শরণার্থী ক্যাম্প-২৭ এর একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। পরবর্তীতে, কোস্ট গার্ড সদস্যরা আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমরে পলিথিনে মোড়ানো রাবারের টিউবের মধ্য থেকে চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করে। যার বাজারমূল্য ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িত।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ জানান, জব্দ স্বর্ণের বার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষের নিকট এবং আটক ব্যক্তিকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এআই

বিএনপিকে আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল কী করল না এতে কিছুই যায় আসে না।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজী পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউর প্রতিনিধি দল না পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না এমন প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়।
যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না আসলেও কোনো অসুবিধা নেই। কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করল না এতে কিছুই আসে যায় না। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারসহ যে সব নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে ১০০ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষ পুড়িয়েছিলেন, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিলেন আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সে ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে। সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব।

পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েতগামী বিমানে উঠে আলোচনায় আসা গোপালগঞ্জের শিশু জুনায়েদ মোল্লা (১২) এখন রীতিমতো ভাইরাল।
সেইবার নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি তার। এবার এই শিশুর স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে এই শিশুর।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।
জুনায়েদ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী ইমরান মোল্লার ছেলে।
ওয়ালটন প্লাজার প্রতিনিধি তারেকুর রহমান বলেন, ওয়ালটন প্লাজা সব সময় স্বপ্নবাজদের পাশে থাকে। ছোট্ট শিশু বিমানে চড়ার জন্য নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে বিমানে উঠলেও চড়তে পারেনি। তার আক্ষেপের বিষয়টি ওয়ালটন প্লাজার নজরে আসলে সেই শিশুটির স্বপ্ন পূরণের জন্য বিমান যোগে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয় তাকে।
জুনায়েদ বলেন, নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
শিশুটি জানিয়েছে, একান্ত কৌতূহলবশত প্লেনে উঠেছে। তিন মাসে চারবার বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায় সে। এর আগেও প্লেনে চড়তে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে। এবার কৌশল পালটে বিমানবন্দরে ঢোকে শিশুটি। একটি পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমে মিশে যায় সে। তাই কেউ ধরতে পারেনি যে ছেলেটি সেখানে একা কিংবা তার কাছে কোনো পাসপোর্ট বা বোর্ডিং পাশ নেই।
জুনায়েদের চাচা ইউসুফ মোল্লা বলেন, আমার ভাতিজার কারণে আমিও প্রথম বিমানে চড়তে পারলাম। ওয়ালটন আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসলো। আমার ভাতিজা জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণ হলো। এ ছাড়া যে নিরাপত্তাকর্মীদের চাকরি চলে গেছে, তাদের চাকরি যেন তারা ফিরে পায় সরকারের কাছে এই আবেদন জানাই।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা ৮ আমর্ড পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আমির জাফর বলেন, দুপুর ১টার দিকে নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শিশু জুনায়েদ কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে তাকে ওয়ালটন গ্রুপের প্রধিনিধিরা রিসিভ করেন। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর পাসপোর্ট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই নয়টি নিরাপত্তা স্তর ফাঁকি দিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকে জুনায়েদ। কেবিন ক্রু তাকে সিটে বসতে দিলেও পরে তার কাছে ভিসা-পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি তাকে বিমান থেকে নামিয়ে পুলিশের জিম্মায় দেয়। এনিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঢেলে সাজানো হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এফএস
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একই দিনে ভিন্ন-ভিন্ন স্থানে থেকে দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার আহম্মদ নগর এবং সফিপুর কাঁঠালতলা এলাকা থেকে সোহেল মিয়া (৩০) ও ইয়ানূর ইসলাম(২৩) নামের দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক সোহেল মিয়া ঠাকুরগাঁও জেলার পিরগঞ্জ থানার সড়কপাড়া এলাকার কাশেম আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার আহম্মদ নগর চৌরাস্তা এলাকার ফারুকের বাসায় ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
অপরজন হলেন, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বোয়ালদা গ্রামের মৃত ইমতাজ আলীর ছেলে ইয়ানূর ইসলাম (২৩)। তিনি সফিপুর কাঁঠাল তলা এলাকার নাসিরের ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় এক পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর কাঁঠাল তলা এলাকায় ইয়ানূর ইসলামের লাশ তার নিজ ঘরের বারান্দার সাথে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা।
অপরদিকে উপজেলার সফিপুর আহম্মেদ নগর চৌরাস্তায় এলাকায় একটি সাজনে গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিলেন সোহেল মিয়া। পরে খবর পেয়ে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ দুটি উদ্ধার করেন।
কালিয়াকৈর থানার মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ইয়ানূর ইসলামের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে এবং সোহেল মিয়ার লাশের স্বজনরা এলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এআই
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবৈধ গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দগ্ধ হয়েছেন চারজন। এদের মধ্যে তিনজনই নারী। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের দিঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন- মো. রহমান মিয়া (৪৫), চায়না বেগম (৩৫), হাসিনা মমতাজ (৫৫) ও তার মেয়ে নিপা আক্তার (৩৫)। আহতদের উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াইহাজার পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় একটি ভবনের চার তলায় হাসিনা মমতাজ তার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তাদের ভাড়া বাসায় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে পাইপ টেনে গ্যাস দেয় একটি চক্র। বিগত কিছুদিন ধরে ওই পাইপ থেকে চারতলার কক্ষটিতে গ্যাস লিক করছিল। পরে শুক্রবার ওই কক্ষে মোবাইল চার্জ দেওয়ার সময় বৈদ্যুতিক স্পার্ক হলে জমে থাকা গ্যাসের মাধ্যমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
পরে খবর পেয়ে আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, দগ্ধ চার জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি।
এআই

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নে গোপনাঙ্গে আঘাত করে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার শাহরাস্তি এলাকার মৃত শরীফ ভান্ডারীর ছেলে শাহজাহান (৪৮)। তিনি সোনারগাঁয়ের কাচঁপুর সোনাপুর এলাকার আক্কাস আলীর ভাড়াটিয়া।
নিহতের স্বজনরা জানান, শাহজাহান দ্বিতীয় বিয়ে করে কাচঁপুর এলাকায় বসবাস করছিল। কিন্তু প্রায়ই পারিবারিক নানা বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হতো। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে আবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রোজিনা তার স্বামীর গোপনাঙ্গে আঘাত করে। এ সময় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শাহজাহানকে কাঁচপুরের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোজিনাকে আটক করা হয়েছে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
এআই

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকিমূলক অভিযানে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তিন প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিহাতী উপজেলার বাঘুটিয়া বাজারে ৩টি ঔষধের দোকানে এ জরিমানা করেন।
জানাগেছে, টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শিকদার শাহীনুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি টিম কালিহাতী উপজেলার বাঘুটিয়া বাজারে তদারকি করে প্রচুর পরিমানে মূল্য বিহীন ঔষধ পায়। এ অভিযোগ প্রিয়াংকা ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা, কল্পনা ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা, লাইসেন্স ব্যাতীত প্রচুর পরিমানে মূল্য বিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় ব্রাদার্স মেডিকেল হলকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২০ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়। এছাড়া টাঙ্গাইলের পার্কের বাজারে আলু, পেয়াজের আড়ত তদারকি করা হয়েছে।
এ অভিযানে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ব্যবসায়িদের ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে অনুরোধ জানানো হয় এবং সচেতন করতে লিফলেট, প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়।
এই তদারকিমূলক অভিযানে সহায়তা করেন জেলা পুলিশ টাঙ্গাইল। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এআই

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় জামাল উদ্দিন (৫৬) নামের জেলা পুলিশের (টিএসআই) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় পিকআপ ভ্যানের চালককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা সিপি কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জামাল উদ্দিন টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর জেলা পুলিশের (টিএসআই) ছিলেন। আটক চালকের নাম মারুফ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকার সিপি কারখানার সামনে একটি পিকআপ ভ্যানকে থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু পিকআপ ভ্যানটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা জামালকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর জেলার পল্লী বিদ্যুৎ ট্রাফিক অফিসের (টিএসআই প্রশাসন) নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এআই
বরগুনার পাথরঘাটায় অটোরিকশার চাপায় জুনায়েত মোল্লা (৫) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মাছেরখাল-খলিফারহাট সড়কের মোল্লা বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জুনায়েত মোল্লা ওই এলাকার মো: ইসমাইল মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত জুনায়েত মোল্লা তার দাদা মো: ইদ্রিস মোল্লার সাথে বাড়ির পাশের মাঠে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে যাওয়ার সময় রাস্তা পারাপারের জন্য দৌড় দিলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লেগে রাস্তায় পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাথরঘাটা থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসিম সিকদার জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরগুনায় রিয়াজ নামের এক মোটরসাইকেল চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের একটি সুপারি গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
রিয়াজ বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা গ্রামের লতিফ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রিয়াজ। পরে সকালে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বাড়ির পাশের একটি সুপারি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বজনরা। পরে পুলিশ খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুক ব্যবস্থা নেব তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
এফএস
বরগুনায় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সুরঞ্জনা ইকো-ট্যুরিজমে মাস ব্যাপী শরৎ উৎসবের আয়োজন করেছে। এসেছে শরৎ, শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম আর এ মৌসুমকে ঘিরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ পর্যটনের অপরাধ সম্ভাবনাময় জেলা বরগুনায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে মাসব্যাপী শরৎ উৎসব।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার পরে এ উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক জনাব মোহা. রফিকুল ইসলাম। উৎসবে থাকছে গ্রামীণ সংস্কৃতির হারিয়ে যাওয়া বধূ উৎসব, ইলিশ উৎসব, পিঠা উৎসব, পুঁথিপাঠ উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, জোছনা উৎসব এবং ফানুস উৎসবসহ ব্যতিক্রমী নানা আয়োজন। এমন উদ্যোগে উচ্ছাসিত স্থানীয়রা। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেড়েছে পর্যটকদের পদচারণা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম, জেলা পর্যটন উন্নয়ন উদ্যোক্তা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ খান, সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম এন্ড রিসোর্ট এর প্রধান উপদেষ্টা এ্যাড.সোহেল হাফিজ, সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম এন্ড রিসোর্ট এর চেয়ারম্যান রোকসানা বেনজু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জান, দেশের বৃহত্তম ইলিশ উৎসবের পাশাপাশি জোসনা উৎসব অনুষ্ঠিত হতো বরগুনায়। কিন্তু করোনার ধাক্কায় তা বন্ধ হয়ে যায়। শরৎ উৎসবের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল উৎসব পুনরায় চালুর পাশাপাশি উৎসবের জেলা হিসেবে খ্যাতি পাবে বরগুনা এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
এফএস

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা রবিবার সকালে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সদরের কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।
এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নেন। শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন।
বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন ভালো ছাত্রদের যেমন খোঁজখবর নেন তেমনি দুর্বল ছাত্রদের যত্ন সহকারে খোঁজখবর নিতে হবে। আপনাদের কাছে সকল শিক্ষার্থী সমান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, শিক্ষক হল জাতি গড়ার কারিগর। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথীকা সাহা ও কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির মোল্লা সহ শিক্ষকবৃন্দ।
এফএস

বরগুনায় বজ্রপাতে সাবেক ইউপি সদস্যের মৃত্যু
বরগুনার আমতলীতে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বজ্রপাতে চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মস্তফা বিশ্বাস (৬৫)মৃত্যু হয়েছে ।
রবিবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯.২০ এর সময় আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালীস্থ কুয়াকাটা বরিশাল মহাসড়কের পাশে ফসলী জমিতে কাজ করে বাড়ি ফেররা সময় মস্তফা বিশ্বাস (৬৫)এর ওপর বজ্রপাত হয়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মস্তফা বিশ্বাসের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগগ সভাপতি পৌরসভার মেয়র মো.মতিয়ার রহমান, চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আখতারুজ্জামান খান বাদল, চাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য মো. আহরুজ্জামান আলমাস খান প্রমুখ।

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের এক বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে তার পালিত ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়নের কালীপুড়া গ্রামের বাসিন্দা রুস্তুম আলী আকনের বসতবাড়ির গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে চোরের দল তার পালিত কালো রং এর ৩টি গাভীন গরু ও ১টি লাল রং এর বাছুর গরু চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে গোয়াল ঘরে দেখেন তালা ভাঙা ও ৪টি গরু নেই।
সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করে কোথাও চুরি যাওয়া গরুগুলো কোথাও না পেয়ে সন্ধ্যায় আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। চুরি হওয়া গরুগুলো বাজার মূল্য অনুমান সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
কুকুয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রুস্তুম আলী আকন বলেন, আমার বাড়ির গোয়াল ঘরের তালা কেটে চোরের দল আমার পালিত ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাকোওয়াত হোসেন তপু বলেন, গরু চুরির ঘটনায় মালিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত করে গরুগুলো উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই
প্রাইম কোড ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে এলজিইডির রাস্তার কার্পেটিং। উপজেলা প্রকৌশলী বললেন, এটাতো হাতের কাজ, মেশিনের নয়। একটু উনিশ-বিশ হতেই পারে। রাস্তার উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশে লিপিবদ্ধ তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড সাইটে থাকার কথা থাকলেও উপজেলা প্রকোশলী সাংবাদিকদের বলেন তথ্য নিতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ রাতেও কাজ হয়েছে। ব্যবহার হয়েছে নিম্মমানের সামগ্রী।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা মোড় হতে সাইন উদ্দিন মোড় এলাকা পর্যন্ত এলজিইডির পাকা রাস্তার উন্নয়ন কাজের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র এটি।
স্থানীয় কয়েকজন জানান- উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে সাইন উদ্দিন মোড় পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় ৩ কিঃ মিঃ পাকা রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু প্রায় এক মাস আগে। শুরু থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ রাস্তার উন্নয়ন কাজে নানা কারচুপি, অনিয়ম ও নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করেন।
কার্যাদেশের তথ্য সম্বলিত কোন সাইনবোর্ডও নেই সাইটে। যে কারনে রাস্তার কার্যাদেশ সম্পর্কে তারা কিছু জানেনা। অতি সম্প্রতি এ রাস্তায় ধূলা-বালি ও মাটি পরিস্কার না করে ম্যাকাডমের উপর প্রাইম কোড ছাড়াই কার্পেটিং করে তড়িগড়ি করে রাস্তার কাজ করেন।
এ রাস্তার কাজটি বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে তারা জানান।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকন্দ এন্টার প্রাইজের ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান- তার কাজের গুণগত মান ভাল। কোথাও ফিটনেস কম থাকলে এলজিইডি অফিস তা পূরণ করে দিবে।
উপজেলা প্রকৌশলী অসিদ বরন দেব জানান- আমরা চেষ্টা করি কোয়ালিটি মেইনটেনেন্স প্যাসিফিক যা আছে, সে মোতাবেক কাজ করতে। আমাদের লোকও সেখানে আছে। এখন উনিশ-বিশ হতে পারে হাতের কাজ তো, মেশিনের নয়। রাস্তার ব্যাপারে তথ্য নিতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন।
এফএস
সংবাদ প্রকাশের জেরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীদের হামলায় আহত হয়েছে চার সাংবাদিক। শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্যের জন্য গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। ঘটনার পরপরই ত্রিপল নাইন এর ফোন পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ ও ত্রিশালের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
জানাযায়, ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম নিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ একাধিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শনিবার সকালে হাসপাতালে খাবারের নিম্নমান নিয়ে সরজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় কর্মচারীরা। এসময় আহত হয় দৈনিক আজকের পত্রিকার ত্রিশাল উপজেলা প্রতনিধি সাইফুল আলম তুহিন, নয়া শতাব্দীর রাকিবুল হাসান সুমন, দেশ সংবাদের রিয়াদুল হাসান এবং গণমুক্তির মাসুদ রানা। পরে তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আহত সাংবাদিক সাইফুল আলম তুহিন বলেন, হাসপাতালের নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে আমরা সংবাদ প্রচার করে আসছি। এতে রোগিদের মধ্যে কিছুটা স্বস্থি এসেছে। রোগি এবং তাদের স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে হাসপাতালের খাবারের মান নিয়ে তথ্য চাইতে গেলে বাবুর্চি সোহরাব হোসেন প্রথমে ক্যামেরায় হাত দেয়। পরে তাৎক্ষণিক ৬ থেকে ১০জন এসে অতর্কিত হামলা শুরু করে। তাদের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছি আমরা চারজন। পরে স্থানীয় সাংবাদিক এবং পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করে।
নয়া শতাব্দীর রাকিবুল হাসান সুমন বলেন, হাসপাতালের কর্মচারীরাই প্যাথলজিক্যাল থেকে শুরু করে সবকিছু করেন। এ নিয়ে আমার করা একটি ভিডিও রিপোর্ট ভাইরাল হয়। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। পরে ৯৯৯ কল করলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। মারধরে শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই।
আহত সাংবাদিক কবি মাসুদ রানা বলেন, হাসপাতালের কর্মচারী সোরহাব এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সে বলে আমাদের টিএইচও( ডাঃ নজরুল ইসলাম) স্যার বলছে এদেরকে মেরে বেধে রাখতে এ কথা বলেই আমাদের উপর ৬/১০ মিলে হামলা করে আহত করে। পরে পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিকরা গিয়ে উদ্ধার করে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে সাংবাদিকরা টিএইচও ও ওসিকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। না হলে তারা সাংবাদিকদের উপর হামলার বিচার চেয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী দিবেন।
এফএস

শেরপুর জেলা কারাগারে মানিক মিয়া (৩০) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
শেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মানিক মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের ডোবারচর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হায়দর আলী ছেলে।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় কারা অভ্যন্তরে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মানিক। পরে বিকেল তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ কামাল কেয়া বলেন, তিনি দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ থাকলে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
জেল সুপার আরও বলেন, তিনি নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) এবং ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)/৮(৭) এর মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
এআই

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মৌমাছির কামড়ে কোরবান আলী (৪০) নামের এক কাঠমিস্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নন্নী বাইগরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে কোরবান আলীসহ ৫/৬ জন মিলে বর্শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য পাশ্ববর্তী মরাগাঙ্গী খালের খরখরিয়া ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে যান। সেখানে আগে থেকেই একটি গাছে মৌমাছি বাসা বেঁধেছিল।
গাছের নিচে বসে মাছ ধরার একপর্যায়ে মৌচাকের অনেকগুলো মৌমাছি দল বেধে কোরবান আলীকে কামড় দেয়। এ সময় তার ডাকচিৎকারে সঙ্গীয়রা আগুনের সাহায্যে কোরবান আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে নন্নী হাসপাতালে আনেন। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কোরবান আলীকে সেখানকার চিকিৎসক পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোরবান আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এফএস

শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গ্রাম পুলিশের অপকর্মের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীডাংরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ রাস্তায় ওই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্রাম পুলিশ সাদা মিয়ার পরিবার একাধিক হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত। এব্যাপারে সেসহ তার পরিবারের নামে একাধিক মামলা চলমান আছে। এরপরেও প্রত্যন্ত এই গ্রামে সে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জুয়ার আসর বসায়।
এছাড়াও এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটিয়ে উঠতি বয়সী তরুণীদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে তার নির্দেশে এক নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। বর্তমানে সেই নারী স্বাভাবিক জীবনে চলতে পারছে না।
তার অপকর্মের বিচারের দাবিতে শ্রীবরদী থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শেরপুর পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে কোনো ফল না পেয়ে এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
তবে এব্যাপারে সাদা চৌকিদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, সাদা চৌকিদার দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এআই
দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কণ্ঠস্বরের লালমনিরহাট প্রতিনিধি সাংবাদিক ইউনূস আলীর (৪৫) গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃতুবরণ করেন। লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ স্টেশন এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।
নিহত সাংবাদিক ইউনূস আলীর পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। সমাজকল্যাণমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। এছাড়াও মন্ত্রী পরবর্তীতে নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে আরও সহায়তার ঘোষণা দেন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সার্কিট হাউজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিহিত সাংবাদিক ইউনুস আলীর স্ত্রীর হাতে টাকা তুলে দেন মন্ত্রী।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ তারা তুলে ধরে। তাদেরকে কেউ অবহেলা করবেন না।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রোদ বৃষ্টি তাদের কাছে কোনো কিছুই না।
মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু এক লাখ টাকায় নয়, তার দুই ছেলে সন্তান আছে তাদেরও খোঁজ খবর আমি রাখব। তাদের যেকোনো সমস্যায় আমার এখানে আসলে আমি তাদের পাশে দাঁড়াবো। আশা করছি, সন্তান দুটি মানুষের মতো হলে এই কষ্ট আর থাকবে না।
অর্থ বিতরণের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান এবং লালমনিহাটের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার জাতীয় পার্টির জেলা সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহ শেষে আদিতমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সাংবাদিক ইউনুছ আলী।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাড়াশি অভিযানের পর কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুতে দাম কমেছে ৬-১০ টাকা। গত সপ্তাহেও রংপুর নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে যে আলু সর্বোচ্চ ৪৫-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল, তা রবিবার নেমেছে সর্বনিম্ন ৩৬-৪০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার বড় বড় কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন ভোক্তা অধিকারসহ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামাতে সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, একারণে দামও কমতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরোনো আলুর মজুত আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। একারণে পুরোনো আলুর সরবরাহ কমানোর চেষ্টা করেছিল একটি চক্র। তবে এখন সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা করেন। ওইদিন ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে নির্ধারণ করা হয়। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ জেলা প্রশাসকদের বাজার মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সকালে নগরীর সিটি বাজার, শাপলা চত্বর খান বহুমূখী মার্কেট ও কামাল কাছনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে আলুর দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সিটি বাজারের পাইকারী বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে তারা আলু বিক্রি করছেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সিটি কাঁচা বাজারে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়। এর আগে শহরের বিভিন্ন কোল্ড-স্টোরেজ থেকে আলু সরকারি মূল্যে সরবরাহ করা হয়।
সিটি বাজারে পাইকাররা কার্টিনাল আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি, শিল আলু ৪৭-৪৮ টাকা, ঝাউ ৫৪-৫৫ কেজি বিক্রি করছেন। এছাড়া পেঁয়াজ (এলসি) ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, মরিচ ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানকার লাকী ভান্ডারের শুকুর আলী জানান, সরকার আলুর বাজারে লাগাম টেনে ধরায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বড় বড় কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা এখনো তাদের জিম্মি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর ৩৮-৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু ৫০-৫২ টাকা এবং ঝাউ ৫৫-৬০ টাকা, শিলআলু ৫০-৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব আলুর আকার ও ধরণ ভেদে দাম উঠানামা করছে বলেও জানিয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসন, এনএসআই’সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কঠোর মনিটরিং ও ব্যবসায়ীদের সহনশীল মনোভাবের কারণে রংপুরে আলুর বাজারে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইছে।
শাপলা চত্বর খান বহুমূখী মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আনাম ইসলাম বলেন, এখন সরকার নজরদারি বাড়িয়েছে, এজন্য পাইকাররাও দাম কমিয়েছে। আমরা ৩৬ টাকা কেজিতে আলু কিনে সেটা ৩৮-৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। অন্যদিকে কামাল কাছনা বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, পাইকারি বাজারে ৩৫-৩৬ টাকা দরে আলু কিনে ৪০ টাকার বেশি বিক্রি না করলে খুচরা ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে। এ কারণে আলু কেনা আপাতত বন্ধ করেছি। আগের কিছু আলু আছে সেগুলো সামান্য লাভে বিক্রি করছি।
নগরীর এরশাদ মোড় কাঁচাবাজারে আসা রাজু আহম্মেদ জানান, কার্ডিনাল আলুর দাম সামান্য কমেছে। কিন্তু অন্যান্য আলুর দাম তেমন কমেনি। বড় বড় ব্যবসায়ীদের শক্তভাবে ধরতে পারলে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তেমন জোরালো পদক্ষেপ না থাকায় ব্যবসায়ীরা এখনো সিন্ডিকেট করার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি ওই বাজার থেকে পাঁচ কেজি শিল আলু (বড় আকার) ২৮০ টাকায় কিনেছেন বলেও জানান।
রংপুর সিটি কাঁচাবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবু বলেন, কিছুদিন আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসেছিলেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। এরপর কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মালিক এবং ব্যবসায়ী নেতা যারা রয়েছেন সবাই মিলে আমরা সরকারের বেধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি শুরু করেছি। একজন ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ৫ কেজির বেশি আলু দিচ্ছি না। সিটি কাঁচা বাজারে প্রতিদিন ২০০ থেকে আড়াইশ বস্তা আলুর প্রয়োজন হয়।
রংপুর জেলা প্রশাসন জানায়, রংপুর এর বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৩০ টাকায় আলু সরবরাহ ও ক্রেতাদের কাছে ৩৬ টাকায় বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় কোল্ড স্টোরেজগুলো এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন কোল্ড-স্টোরেজ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, প্রতি কেজি আলুতে উৎপাদন খরচ সাড়ে ৯ টাকা, হিমাগার ভাড়া ৬ টাকা, বস্তার মূল্য ১.৪০ টাকা, পরিবহন, লোডিং আনলোডিং এক টাকা এছাড়া ওজন,ব্যাংক ঋণের সুদ ও অন্যান্য ব্যয় ১.৬০ টাকা ধরে মোট খরচ ১৯.৫০ টাকা। অথচ মৌসুমের শেষে এসে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কঠোর মনিটরিংয়ের কারণে আলুর দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, মৌসুমের শুরুতে আলু ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন কৃষকরা। সেই আলু চার মাসে কয়েক হাত ঘুরে সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ছে। আর সিন্ডিকেট চক্রই বেশি মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে ক্রেতার পকেট কাটছে। দেরিতে হলেও সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে মনিটরিং করছে। আমরা চাই সকল পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকুক।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, শনিবার থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। পর্যায়েক্রমে সবগুলো বাজারেই হবে। কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বিক্রি করতে পারবে না। এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবগুলোকে বাজারে একযোগে ৩৬ টাকা কেজিতেই আলু বিক্রি হবে।
সরকার আলুর দাম বেঁধে দেয়ার পরই সিন্ডিকেট ভাঙতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিদফতর। চলতি মাসে আলুর অবৈধ মজুদসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তারপরও কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমছে না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছি আমরা। রংপুরের হিমাগারগুলোতে মজুমদারের সতর্ক করে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এদিকে বাজার স্থিতিশীল না হলে কঠোর হবার পাশাপাশি ডিমের মতো আলুও আমদানি করার কথা জানিয়েছেন ভোক্তার মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। গত বুধবার রংপুরে অবৈধ মজুতদারের সিন্ডিকেট ভাঙতে হিমাগার অভিযানে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ভোক্তার ডিজি বলেছেন, আমরা কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩-৪ দিন দেখব। এরমধ্যে বাজার স্থিতিশীল না হলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।
দেশের বাজারে এখনও দুই মাসের আলু মজুত আছে। অথচ হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীদের যৌথ সিন্ডিকেট আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সফিকুজ্জামান বলেন, নিজেদের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তির সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যারা কৃষকদের ঋণ দিয়ে স্বল্পমূল্যে আলু এনে হিমাগারে রেখে মুনাফা লুটছে।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাতকাহন ফ্রেন্ডস্ ক্লাব নামে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে সংগঠনটি। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বালারহাট আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করে ১০টি ঔষধি গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
এ সময় তরুন সাংবাদিক নুরনবী মিয়া সংগঠনটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় ফুলবাড়ী উপজেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী পরিষদের সদস্য সচিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান আজাদী, উপজেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্পোর্টস কমিউনিটি ফুলবাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ সজল পোদ্দার।
সাংবাদিক নুরনবী মিয়া ও ফুলবাড়ী উপজেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী পরিষদের সদস্য সচিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান আজাদীসহ বক্তারা বলেন, ভয়কে জয় করে সর্ব প্রথম এই সংগঠনটির কাজ হবে মাদকের হাত থেকে তরুন-যুবক সমাজকে মুক্ত করা। সেই সাথে বাল্যবিবাহ থেকে কমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ষাসহ তাদের শ্লোগান এবং লক্ষ্য গুলো বাস্তবায়ণ করলে সাতকাহন ফ্রেন্ডস ক্লাব নামের সংগঠনটি এগিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এ সময় সাতকাহন ফ্রেন্ডস্ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক পলাশ ইসলাম সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এটি একটি অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার মাদক, বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলাসহ আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবো। ক্রীড়া, শিক্ষা, বিনোদন ছাড়াও ক্লাবটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে হেলিকপ্টার করে বউ নিয়ে এসে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করলেন ছেলে স্বপ্ন সামিউল্লাহ।
শনিবার বিকালে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ আলিমুদ্দীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নববধু কে নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে আসেন তিনি৷
স্বপ্ন সামিউল্লাহ পেশায় একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার৷ উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ভবানন্দপুর গ্রামের শরীফ হোসেনের ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। স্বপ্ন সামিউল্লাহ সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থায় ভিডিও কলে সামাজিক নীতি মেনে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করা মুমতারিন নাজনীন সুইটির সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
দেশে এসে বাবা মায়ের সেই শখ পূরণে প্রতি ঘন্টায় ৮০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথমে ঢাকা থেকে পাবনা শশুরবাড়ী সেখান থেকে নিজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে চড়ে আসেন এ নবদম্পত্তি। এ সময় আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ জড়ো হয় এ দৃশ্য দেখতে।
নববধূ মুমতারিন নাজনীন সুইটি বলেন, ‘তার স্বামী আজ বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে। পাশাপাশি অনেক ভালো লাগছে নতুন এক অভিজ্ঞতায়। গ্রামবাসী আমাদের বরণ করে নেয়াটাও অনেক উপভোগ করেছি আমরা।
স্বপ্ন সামিউল্লাহ বলেন, আমরা ৪ ভাই বোন। ভাই বোনের মধ্যে আমি তৃতীয়। ছেলে হিসেবে বাবা মায়ের শখ পূরণ করতে হলো। তাই ঘণ্টায় ৮০ হাজার টাকা হিসেবে হেলিকপ্টারটি ভাড়া করে স্ত্রীকে ঘরে এনে বাবা মায়ের শখ পূরণ করতে পেরেছি।
সামিউল্লাহর পিতা শরিফ হোসেন বলেন, আজ আমি গর্বিত বাবা। ছেলে আমার স্বপ্ন পূরণ করলেন। সকলে আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
এফএস

১৯৭৫ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গুম ও খুনের ঘটনা শুরু করেছিলেন উলেখ করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের আগে বাংলাদেশে গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেনি।
জিয়াউর রহমান বিমান বাহিনী ও সেনা বাহিনীর বহু সদস্যকে গুম ও খুন করেছেন। কোন সামরিক সদস্য অন্যয় করে থাকলে তাকে কোট মার্শালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। কিন্তু তিনি সেই আইন কোন দিন মানেন নি। এরপর তিনি বহু গুম ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান যে সকল অন্যায় করেছেন তার সকল দালিলিক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মায়ের কান্নার আয়োজনে ‘খুনি জিয়া, অগ্নিসন্ত্রাসী খালেদা ও কুলাঙ্গার তারেকের শাসনামলে কোথায় ছিলো মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
মায়ের কান্নার প্রধান উপদেষ্টা কর্ণেল নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের এমপি আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী। এসময় বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, লুটপাটের শিকার ভুক্তভোগীরা বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে দেশের বাইরে থাকায় শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেচে যান। কিন্তু তার পরিবারের সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশে এনে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দেশে গুম ও খুনের রাজনীতি শুরু করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারার জন্য ২৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে। ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
সে সময় তারেক রহমান হাওয়া ভবনের বসে শেখ হাসিনা হত্যার পরিকল্পনা করে। সে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কাছ থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র দেশে আনেন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। বিএনপি এখনও গুম ও খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নাই।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে আইন রয়েছে কোন মৃত ব্যক্তির নামে কোন বিচার হয় না। কিন্তু খুনি জিয়ার বিচার করতে গেলে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন বা কমিশন গঠন করতে হবে। জিয়াউর রহমানের মরোনত্তর বিচার হওয়া দাবী যা এখন সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে। গুম ও খুনের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সকল পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করার কথা জানান মন্ত্রী।
এআই
নাটোরের নলডাঙ্গায় পিস্তল ঠেকিয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এসেছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার হাপানিয়া-বাঁশভাগ সড়কের আলমের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার একই উপজেলার বাঁশভাগ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাফানিয়া থেকে জাহাঙ্গীর মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় চার-পাঁচজন যুবক জাহাঙ্গীরের পথরোধ করে। তারা জাহাঙ্গীরের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে তার কাছে থাকা দুই লাখ নিয়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখানে গিয়ে পিস্তলের একটি ম্যাগাজিন পায়। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বগুড়ায় শিক্ষক গোলাম রব্বানী, এরুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলম শেখসহ নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বেলা সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বানদিঘী এলাকার সচেনতন এলাকাবাসী।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ৮/১০ দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘী গ্রামের 'আশিক সরকার' নামের এক ব্যক্তির হাতের কব্জি কেটে নেয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত ঘটনা রাতের আঁধারে কে বা কারা ঘটিয়েছে তা আমাদের সবারই অজানা। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশিক সরকারের ভাই বানদিঘী মন্ডলপাড়ার সর্বপরিচিত দাদন ব্যবসায়ি 'সুদখোর লালন সরকার' সম্পূর্ণ অনুমানের উপর ভিত্তি করে গত (৫ সেপ্টেম্বর) বগুড়া সদর থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামি করা হয় বানদিঘী এলাকার জনপ্রিয় শিক্ষক গোলাম রব্বানী, এরুলিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আলম, মেম্বারের ছেলে শরিফসহ আরও কয়েকজন নির্দোষ ব্যক্তিকে।
ভীত্তিহীন এই মিথ্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৪জন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। সুদখোর লালন তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মামলা করে এলাকার নির্দোষ ও সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করছে। আমরা সচেতন এলাকাবাসী হিসেবে এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বগুড়া সদর থানা পুলিশকে জানাতে চাই, অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা হতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল নির্দোষ ব্যক্তির নাম ও বানোয়াট ভীত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি সুদখোর লালনের একপেশে বানোয়াট কাহিনী প্রচার না করে, উক্ত ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে সত্য খবর প্রকাশ করার জন্য। এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যের স্ত্রী মোছাঃ মনিরা বেগম, ইউপি সদস্যের পুত্রবধু মোছাঃ তহমিনা বেগম। শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ভাতিজা মোঃ আলফাজ, মোঃ রায়হান, মিরুজুল ইসলাম, আব্দুর রহমানসহ এরুলিয়া ইউনিয়নের শতাধিক সচেতন এলাকাবাসী।
এআই

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রহিমা খাতুন নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার ঢাকইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা ওই গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকইর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে রহিমা খাতুন (১৮) রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তার মা ঘরের দরজায় ডাকাডাকি করলে তার কোন কোন সাড়া না পাওয়ায় তার মা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পায়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে রহিমা খাতুনকে নিচে নামায়। এরপর তারা দেখে রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। রহিমা খাতুন নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা ডিগ্রী কলেজে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, গত রাতে রহিমা খাতুন মারা গেলেও তার পরিবার আজ শনিবার সকালে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। এছাড়া লাশটি নিজেরাই নামায়। আমরা জানতে পেরেছি তার পিতা-মাতার মধ্যে কলহ ছিলো।
সে কারণেই হয়তোবা রহিমা খাতুন আত্মহত্যা করে। তার ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এআই
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বাইতুল হিকমাহ্ মডেল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পুরষ্কার প্রদান ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ বৃক্ষ বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বেলকুচি পৌর এলাকার শেরনগরে অবস্থিত বাইতুল হিকমাহ্ মডেল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পুরষ্কার বিতরনের পরে শিক্ষার্খীদের মাঝে ১ হাজার ফলজ গাছ বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সলঙ্গা শাখার ম্যানেজার মো: রাশেদুল ইসলাম। এসময় সভাপতিত্ব করেন বাইতুল হিকমাহ্ মডেল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুল্লাহ, পরিচালক মো: শামচুল আলম, শিক্ষানুরাগী শাহীন হোসাইন, কাজী মওলানা হারুন অর রশিদ প্রমূখ।
এআই

নওগাঁর মান্দায় বাস ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটের আহ্বান করেছে নওগাঁ জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এ কারণে সকল রুটে সকাল থেকে সব ধরনের বাস ও সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে বলে নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
এর আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে নতুন চেকপোস্ট বসিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে গত ২৯ আগস্ট মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন তাদেরকে মারধর করেন। শুক্রবার নামাজের পর ফেরিঘাট থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার সময় নতুন চেকপোস্টে একটি অটোরিকশা থামিয়ে এর চালককে মারধর করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাস শ্রমিকরা আবারও সিএনজি মালিক ও চালকের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য নওগাঁ জেলার বাস শ্রমিক মালিকরা এ ধর্মঘট আহ্বান করেন।
নওগাঁর জেলার বাস শ্রমিক ইউনিয়নর সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউজ্জামান বলেন, সিএনজি শ্রমিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস ধর্মঘট চলবে।
এআই
বিএনপি'র চেয়ারপার্সন,সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজনে মিছিলটি পুরাতন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএনপি'র অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে বের হয়ে কালিবাড়ি মোড় ফুলকলি দোকানের সামনে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি এড.শেরেনুর আলী,ফুল মিয়া,রেজাউল হক,আবুল কালাম আজাদ,নাদের আহমদ,জেলা বিএনপি সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দল আহবায়ক আনিসুল হক,যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহিম শাহীন,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. মাসুক আলম,সুনামগঞ্জ জেলা যুবদল সভাপতি আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত,সাধারণ সম্পাদক এড.মামুনুর রশিদ কয়েছ, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল
সভাপতি শামসুজ্জামান, আহবায়ক জেলা ছাত্রদল জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ মিছিল পরিবর্তি বক্তব্য রাখে। সমাবেশে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষকদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফএস
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে স্ত্রীসহ তিন সন্তান কীটনাশক পান করে। এই ঘটনায় তিন সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মা গুরুত্বতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
আজ রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলায় ফেনারবাক ইউনিয়নের শান্তিপূর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা হল,শাহেদ(০৫)তামজীদ(১৩),সাকিবা (১৪)।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলায় ফেনারবাক ইউনিয়নের শান্তিপূর গ্রামে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তার স্ত্রী যমুনা বেগমের ঝগড়া হয়। এতে করে যমুনা বেগম (৩৫),সাহেদ(০৫), তামজীদ(১৩),সাকীবা (১৪)কীটনাশক পান করে। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য গুরুতর অবস্থায় জামালগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে প্রেরণ করে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন সন্তান শাহেদ,তামজীদ,সাকিবাকে মৃত ঘোষণা করে মায়ের চিকিৎসা শুরু করেন।
জামালগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মা বেঁচে আছে এখন। কিন্তু তিন সন্তান মারা গেছে তারা সবাই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আছে।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুলিশের পিকআপ ও একটিপ্রাইভেট কারের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ী নামক স্হানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থেকে একটি প্রাইভেট কারে একই পরিবারের চারজন ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। সন্ধায় ৬টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ী এলাকায় এসে বিপরীত দিক থেকে আসা শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল পিক আপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি গাড়িই ধুমড়ে-মুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে থাকা রোমানিয়া গামী যাত্রী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার উপজেলার ধর্মদীহি গ্রামের রবিন্দ্র দাসের ছেলে রাজিব দাস (২৫), তার ভাই রাজন দাস, চাচা দীলিপ দাস ও বোন জামাই অর্জুন দাস মারাত্মক আহত হন। এদিকে ঘটনায় আহত হন শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এস আই মনিরুল ইসলাম, কনষ্টেবল নূরু নবী ও মিজানুর রহমান আহত হন।
আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্হা গুরুত্বর, তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত রাজিব দাস জানান, শুক্রবার রাত তিন টার একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রোমানিয়া যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। স্বজনরা তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তিনিসহ পরিবারের ৪ জন সদস্যই গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভুইয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এস আই মনিরুল কনষ্টেবল ও নূর নবী গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
এআই

হবিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী জেরিনকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের দেড় লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৪) ও পাটুলী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে নূর আলম (২২)।
রায় ঘোষণার সময় জাকির আদালতে উপস্থিত থাকলেও নূর আলম পলাতক। এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পেশকার পার্থ প্রতীম সেন।
হত্যার শিকার মদিনাতুল কুবরা জেরিন ধল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। সে রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। জেএসসিতে জিপি-৫ পাওয়া ওই ছাত্রী দশম শ্রেণির মেধাতালিকায় প্রথম ছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি নূর আলমের সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে অটোরিকশায় ওঠেন জাকির। পরে স্কুলের সামনে মেয়েটিকে নামিয়ে না দেওয়ায় সে ধস্তাধস্তি শুরু করে।একপর্যায়ে গাড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় সে। এ অবস্থায় পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় জেরিনের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাকির প্রায়ই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েটিকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির লেখাপড়া শেষ করে বেকার এবং নূর আলম অটোরিকশার চালক ছিলেন।
এআই

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় উৎসাহ পায়নি উল্লেখ করে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সবক্ষেত্রে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন।
তিনি বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ও রিচি ইউনিয়নে পৃথক মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সংসদ সদস্য আরও বলেন, বিএনপি সরকার বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরাতন বই তুলে দিত। এতে বাচ্চারা নিরানন্দ হয়ে বাড়ি ফিরতো। বাচ্চারা কিভাবে লেখাপড়ায় আগ্রহী হয় এমন কোন উদ্যোগ বা পরিকল্পনা করেনি বিএনপি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বছরের প্রথম দিনে উৎসবের মাধ্যমে বাচ্চাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। এতে লেখাপড়ায় তাদের উদ্দীপনা বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের মায়ের মোবাইল নম্বরে মাসে মাসে টাকাও দেওয়া হচ্ছে। ফলে সকল পেশার মানুষের সন্তানরা এখন শিক্ষামুখী। তাঁরা যুগোপযোগী শিক্ষা নিয়ে শেষ বয়সে বাবা-মায়ের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগের কারণে লেখাপড়া শেষে তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে।
এ সময় বক্তারা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমপি আবু জাহির হবিগঞ্জে যে অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মকাÐ বাস্তবায়ন করেছেন তা তুলে ধরেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। এছাড়া দুটি পৃথক সমাবেশে উপস্থিত প্রায় ৫ হাজার নারী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে থাকবেন বলে হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন।
সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরা বেগমের সভাপতিত্বে পৃথক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আক্রাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, রিচি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, লোকড়া ইউপি চেয়ারম্যান কায়সার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিক আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহির মিয়া, রিচি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, লোকাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম তালুকদার, রিচি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহির মিয়া, লোকড়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ, শ্রমিক নেতা শেখ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে নারী ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নারী নেত্রীরা প্রথমেই এমপি আবু জাহিরকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তারা ব্যাপক উন্নয়ন কাজের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংসদ সদস্য বরাবর আরও দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেন।
এআই
অনলাইন ভোট
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন



বিনোদন
সব দেখুন



অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন











শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন



তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
65028f438cd28.webp)




আইন-আদালত
সব দেখুন
প্রবাস
সব দেখুন
লাইফস্টাইল
সব দেখুন