

আ.লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম
আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না, এটিই শহীদদের প্রতি অঙ্গীকার বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা আইনের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। আইনের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাব। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ এই মতাদর্শ ও এই নামে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। জুলাইয়ে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং সম্মাননা প্রদান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে শিক্ষার্থীদের বৈধ নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালোভাবে এসেছে।আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘হিরোস অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক সভায় তাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, মাহিন সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় পরিবর্তনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়। ফলে সব স্বৈরশাসকরাই সব সময় চেষ্টা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দমন করে রাখতে। স্বৈরশাসকের সময়ে বিগত ১৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে, ক্যাম্পাসে নির্যাতন, নিপীড়ন ও ভয়ের সংস্কৃতি চালুর মধ্য দিয়ে আমাদের সকল কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ স্বৈরশাসকরা ভালো করেই জানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে গেলে সমগ্র জাতি দাঁড়িয়ে যাবে এবং পরিবর্তন আসন্ন হবে।তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা পরিবর্তনের যে স্বাদ এখন পাচ্ছি তা যদি অব্যাহত থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে পারে; মেধার স্বাক্ষর যদি অব্যাহত রাখতে পারে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত থাকে তাহলে এই জাতির পরিবর্তন হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। এই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে রক্ষা করা। আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা আস্ফালন দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, জুলাই মাসকে ভুলে যাবেন না। জুলাইয়ের চেতনা শেষ হয়ে যায়নি। যদি বিন্দু পরিমাণ আস্ফালনের চেষ্টা করা হয় আমরা দ্বিগুণ শক্তিতে প্রতিহত করব আপনাদেরকে। জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।বক্তব্য দানকালে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের নেতাদের ছেলেরা বিদেশে পড়ে আবার নেতা হয়ে দেশে ফিরে আসে। যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়াশোনা করে তারা নেতার ছেলের পেছনে কামলা খেটে একাডেমিক জীবন শেষ করে। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদার পার্টিকে সার্ভ করার জন্য ছাত্রসংগঠন তৈরি হোক। মাদার পার্টিকে সার্ভ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু কেন্দ্রিক নির্বাচন চলবে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী দলের না হয়ে শিক্ষার্থীদের নেতা হয়ে উঠুক।জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নারী শিক্ষার্থীরা যখন জেগে উঠেছিল তখন খুনি হাসিনার ভীত নেড়ে উঠেছিল। আমাদের হল ছাড়ার পরে কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই-বোন রাস্তায় নেমেছিল তখন এই আন্দোলন জ্বলে উঠে। এরপর মাদরাসা শিক্ষার্থী, সাধারণ ছাত্র-জনতার বিপুল অংশগ্রহণে আমরা আজকের এই দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, ডেভিল কার্যক্রমে যদি বর্তমানের কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকেও ডেভিল হান্টের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।অনুষ্ঠানে পাঁচটি দাবি জানান আবু বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে প্রাতিষ্ঠানিক এবং রাষ্ট্রীয় বিচারের আওতায় আনতে হবে।তিনি আরও দাবি জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অগ্রগামী ভূমিকা ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে ভিসি চত্বরে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, কার্জন হলের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের স্মরণীয় করতে জুলাই প্রতিরোধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা, হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের অবদান স্বীকৃত করতে শিকল মুক্তির স্তম্ভ নির্মাণ করা; শিক্ষার্থীদের বৈধ নেতৃত্ব বাছাই করতে অবিলম্বে ডাকসু নিশ্চিত করা।আব্দুল কাদের বলেন, বিগত সময়ের প্রশাসন ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। যখন যে সরকার আসে তখন সেই সরকারের ছাত্রসংগঠন হলগুলো দখল করে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালায়। যেকোনো দুর্বিপাকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হল বানানো হয় অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী, তাদের জন্য মাত্র পাঁচটি হল। আমাদের এতো এতো ভাই-বোন যে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, তারা চায় দাসত্বের এই রাজনীতি আর ফিরে না আসুক।নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসুর জন্য আমরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। প্রতিদিন নানা পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে কাজ চলছে। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে নানা কাজ চলছে। অনেকগুলো গবেষণার কাজ হচ্ছে, অ্যাকাডেমিক পারপেকটিভে অভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলার কাজ হচ্ছে।সভায় আরও কথা বলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ।এফএস

সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
অন্তবর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সেখানে যারা ছিলেন তারা অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন— ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি এবং জনগণও প্রত্যাশা করছে।
জাতীয়
সব দেখুন
আ.লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম
আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না, এটিই শহীদদের প্রতি অঙ্গীকার বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা আইনের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। আইনের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাব। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ এই মতাদর্শ ও এই নামে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। জুলাইয়ে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং সম্মাননা প্রদান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে শিক্ষার্থীদের বৈধ নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালোভাবে এসেছে।আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘হিরোস অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক সভায় তাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, মাহিন সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় পরিবর্তনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়। ফলে সব স্বৈরশাসকরাই সব সময় চেষ্টা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দমন করে রাখতে। স্বৈরশাসকের সময়ে বিগত ১৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে, ক্যাম্পাসে নির্যাতন, নিপীড়ন ও ভয়ের সংস্কৃতি চালুর মধ্য দিয়ে আমাদের সকল কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ স্বৈরশাসকরা ভালো করেই জানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে গেলে সমগ্র জাতি দাঁড়িয়ে যাবে এবং পরিবর্তন আসন্ন হবে।তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা পরিবর্তনের যে স্বাদ এখন পাচ্ছি তা যদি অব্যাহত থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে পারে; মেধার স্বাক্ষর যদি অব্যাহত রাখতে পারে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত থাকে তাহলে এই জাতির পরিবর্তন হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। এই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে রক্ষা করা। আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা আস্ফালন দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, জুলাই মাসকে ভুলে যাবেন না। জুলাইয়ের চেতনা শেষ হয়ে যায়নি। যদি বিন্দু পরিমাণ আস্ফালনের চেষ্টা করা হয় আমরা দ্বিগুণ শক্তিতে প্রতিহত করব আপনাদেরকে। জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।বক্তব্য দানকালে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের নেতাদের ছেলেরা বিদেশে পড়ে আবার নেতা হয়ে দেশে ফিরে আসে। যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়াশোনা করে তারা নেতার ছেলের পেছনে কামলা খেটে একাডেমিক জীবন শেষ করে। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদার পার্টিকে সার্ভ করার জন্য ছাত্রসংগঠন তৈরি হোক। মাদার পার্টিকে সার্ভ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু কেন্দ্রিক নির্বাচন চলবে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী দলের না হয়ে শিক্ষার্থীদের নেতা হয়ে উঠুক।জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নারী শিক্ষার্থীরা যখন জেগে উঠেছিল তখন খুনি হাসিনার ভীত নেড়ে উঠেছিল। আমাদের হল ছাড়ার পরে কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই-বোন রাস্তায় নেমেছিল তখন এই আন্দোলন জ্বলে উঠে। এরপর মাদরাসা শিক্ষার্থী, সাধারণ ছাত্র-জনতার বিপুল অংশগ্রহণে আমরা আজকের এই দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, ডেভিল কার্যক্রমে যদি বর্তমানের কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকেও ডেভিল হান্টের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।অনুষ্ঠানে পাঁচটি দাবি জানান আবু বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে প্রাতিষ্ঠানিক এবং রাষ্ট্রীয় বিচারের আওতায় আনতে হবে।তিনি আরও দাবি জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অগ্রগামী ভূমিকা ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে ভিসি চত্বরে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, কার্জন হলের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের স্মরণীয় করতে জুলাই প্রতিরোধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা, হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের অবদান স্বীকৃত করতে শিকল মুক্তির স্তম্ভ নির্মাণ করা; শিক্ষার্থীদের বৈধ নেতৃত্ব বাছাই করতে অবিলম্বে ডাকসু নিশ্চিত করা।আব্দুল কাদের বলেন, বিগত সময়ের প্রশাসন ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। যখন যে সরকার আসে তখন সেই সরকারের ছাত্রসংগঠন হলগুলো দখল করে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালায়। যেকোনো দুর্বিপাকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হল বানানো হয় অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী, তাদের জন্য মাত্র পাঁচটি হল। আমাদের এতো এতো ভাই-বোন যে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, তারা চায় দাসত্বের এই রাজনীতি আর ফিরে না আসুক।নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসুর জন্য আমরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। প্রতিদিন নানা পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে কাজ চলছে। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে নানা কাজ চলছে। অনেকগুলো গবেষণার কাজ হচ্ছে, অ্যাকাডেমিক পারপেকটিভে অভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলার কাজ হচ্ছে।সভায় আরও কথা বলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ।এফএস

শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনকারীরা, যান চলাচল শুরু
অবশেষে শাহবাগ মোড়ের অবরোধ ছেড়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত (তৃতীয় ধাপ) সহকারী শিক্ষকরা। এর ফলে শাহবাগের চারটি সড়কের যান চলাচল শুরু হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে সড়ক ছেড়ে পাশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকেই পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারী সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সড়ক থেকে তুলে দিতে বল প্রয়োগ শুরু করেন।এর আগে আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।বেলা দুইটার দিকে পুলিশ এসব আন্দোলনকারীর ওপর চড়াও হয়। তবে সেসময় পুলিশের লাঠিপেটার পরও আন্দোলনকারীরা শাহবাগ এলাকা ছাড়েননি। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এবি
পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে ফাঁস হয়েছে এনআইডির তথ্য
অন্তত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তৃতীয় পক্ষের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। প্রাথমিক তদন্তে এ নিয়ে প্রমাণ পেয়েছে ইসি।সোমবার (১০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আজ সকালে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। এরপরই তিনি এ কথা জানান।ইসির সাথে চুক্তিবদ্ধ ১৮২টি প্রতিষ্ঠান এনআইডির তথ্য যাচাই–সংক্রান্ত সেবা নিয়ে থাকে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস এনআইডির তথ্য ফাঁস করেছে বলে ইসি সূত্র জানায়।ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যাদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে, তারা ইসির অগোচরে অন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য দিচ্ছে। যেটা কাম্য নয়। এটা নিয়ন্ত্রণে আনা ও ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে আলোচনা হয়েছে।কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন ইসি সচিব। বলেছেন, তথ্য ফাঁস বা পাচারের বিষয়গুলো কারিগরি, এগুলো আরও যাচাইবাছাই করা হবে। তা ইচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে, নাকি অসাবধানতাবশত হয়েছে, সেটা দেখা হচ্ছে।এবি
আগামীকাল দুবাই সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দুবাই শহরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম।রফিকুল আলম বলেন, আগামী ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক আমির শাইখ মুহাম্মাদ বিন রাশিদ আল মাখতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন মর্মে সম্মতি প্রদান করেছেন।তিনি আরও বলেন, এবারের সম্মেলন সরকারগুলোর মধ্যে কার্যকরী অংশীদারিত্ব ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যকার সেতুবন্ধন সৃষ্টিতে প্ল্যাটফর্মটির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তার চিন্তা এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।তিনি বলেন, একই সময়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সফরকালে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং অভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে এ সম্পর্ক ক্রমে সুসংহত হয়েছে। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।এবি
কেউ হজে যেতে না পারলে দায় এজেন্সিকেই নিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
অবহেলার কারণে কোনো যাত্রী হজে যেতে না পারলে হজ এজেন্সিকে সেই দায় নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান তিনি।ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে মিনা ও আরাফায় তাবু ও ক্যাটারিং সার্ভিস ছাড়াও বাড়ি ও হোটেল কর্তৃপক্ষ, পরিবহন প্রতিষ্ঠান, ক্যাটারিং সেবাদানকারীর মতো হজ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই সময় আর বাড়ানো হবে না। ৭০টি লিডিং এজেন্সির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৮টির চুক্তি সম্পাদনের কাজে অগ্রগতি আছে। বাকিগুলো পিছিয়ে আছে।ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এজেন্সির অবহেলার কারণে কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে, সেই দায় এজেন্সিগুলোকেই নিতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা সৌদি সরকার সেই দায় নেবে না।ওমরাহর টিকিট সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে গ্রুপের নামে আর বুকিং দেয়া হবে না। নাম, পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে টিকিট বুক করতে হবে। ৭ দিনের মধ্যে টিকিট ইস্যু করতে হবে। তা না হলে পরের তিন দিনের মধ্যে এয়ারলাইন্স তা বাতিল করবে। এই সিন্ডিকেটকে খুঁজে বের করতে সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিবকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এবার হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন। আর এ বছর হজ কোটা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। তবে এবার হজে শিশুদের নেয়া যাবে না। যদিও শিশুদের বয়স কত হবে তা এখনো জানায়নি সৌদি আরব।ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, অন্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া বেশি নয়। হজযাত্রার ভাড়া কমাতে আগামী বছর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বাইরে তৃতীয় ক্যারিয়ারের অনুমোদন পেলে টেন্ডার দিয়ে নতুন বিমান সংস্থাকে নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।এবি
ঢাকায় ডিবি পরিচেয়ে ডাকাতি: যুবলীগ নেতা বেলালসহ গ্রেফতার ১২
রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে দুটি ডাকাতির ঘটনায় মতিঝিল থানার ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বেলাল চাকলাদারসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশর (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম।আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান, রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৩ জানুয়ারি ধানমন্ডির আড্ডা রেস্টুরেন্টের সামনে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে একটি ভোজ্যতেলের ট্রাক ডাকাতি করা হয়। এ মামলার তদন্তে করতে গিয়ে জানা যায়, একই কায়দায় ২২ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থেকেও একটি তেলের ট্রাক ডাকাতি করা হয়। দুটি ট্রাক থেকে ২২ হাজার লিটার তেল ডাকাতি করা হয়। পরে তদন্তে নেমে মুন্সীগঞ্জ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ট্রাক দুটি। এরপর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে। মো. মাসুদ আলম জানান, মুন্সীগঞ্জের একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরি থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯ হাজার লিটার তেল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই ডাকাত দলের প্রধান ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল চাকলাদার। উপ-পুলিশ কমিশনার আরও জানান, বেলাল দীর্ঘ দিন ধরেই এ কাজ করে আসছেন। গণ-অভ্যুত্থানে দুটি হত্যা মামলা থাকার পরও এলাকায় থেকেই ডাকাতির কাজ করছিলেন তিনি। সে ঢাকা ছাড়াও বরিশালের সফিপুর ইউনিয়ন যুবলীগেরও যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওয়ার্ড মেম্বার। এবি
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সরিয়ে নিতে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।আজ সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগে সড়ক মোড় অবরোধ করেন শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এরপর দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে। পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে যান চলাচল সীমিত পরিসরে শুরু হতে দেখা গেছে। তবে আন্দোলনকারীরা একেবারে সরে যায়নি, শাহবাগ মোড়ের আশেপাশে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের।আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।এবি
শাহবাগে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ
শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা। আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন তারা। এ সময় তাদের নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে ও দ্রুত নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলেন, আমাদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটি বৈষম্যমূলক। এ সরকারই আমাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। আবার আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এটি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় বাতিল করে আমাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।সাব্বির সাদেক নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এখান থেকে সরব না।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।তারও আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।এবি
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
অন্তবর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সেখানে যারা ছিলেন তারা অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন— ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি এবং জনগণও প্রত্যাশা করছে।
সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
অন্তবর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সেখানে যারা ছিলেন তারা অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন— ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি এবং জনগণও প্রত্যাশা করছে।

‘নির্বাচন দেরি হলে কলঙ্কিত হতে পারে ড. ইউনূসের মর্যাদা’
দ্রুত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, নির্বাচন বিলম্ব হলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মর্যাদা কলঙ্কিত হতে পারে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এমন কথা যেন কেউ না বলে যে নির্বাচন ২০২৬- এর মাঝামাঝি হতে পারে।ডেভিল হান্ট নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ডেভিল হান্ট শুরু হলে গাজীপুরে আক্রমণ হত না। এখন নির্বাচন দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখাতে হবে।’বিএনপি মৃত ব্যক্তির ভোটে জিতে ক্ষমতায় যেতে চায় না বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা। তারা বলেন, ‘যারা মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করেন, মির্জা ফখরুলের সমান হোন। এরপর সমালোচনা করুন।’এবি

৬৪ জেলায় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখাসহ নানা দাবিতে সারাদেশে সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট দিনে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোথায় বক্তব্য দেবেন, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।১২ ফেব্রুয়ারিস্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (লালমনিরহাট), নজরুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ), সালাহ উদ্দিন আহমেদ (ফেনী), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (খুলনা), ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আসাদুজ্জামান রিপন (রাজবাড়ী), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (পটুয়াখালী), আরিফুল হক চৌধুরী (সুনামগঞ্জ), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল (জামালপুর)।১৭ ফেব্রুয়ারিবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (যশোর), স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান (টাঙ্গাইল), সেলিমা রহমান (মাদারীপুর), আবদুল আউয়াল মিন্টু (চাঁদপুর), শামসুজ্জামান দুদু (ঠাকুরগাঁও), আবদুস সালাম (বগুড়া), আরিফুল হক চৌধুরী (মৌলভীবাজার), জহির উদ্দিন স্বপন (ভোলা)।১৮ ফেব্রুয়ারিস্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ (কক্সবাজার), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (পাবনা), শামসুজ্জামান দুদু (পঞ্চগড়), জয়নুল আবেদিন ফারুক (কুমিল্লা দক্ষিণ), আবুল খায়ের ভুঁইয়া (ঝিনাইদহ), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (মানিকগঞ্জ), যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী (হবিগঞ্জ), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (নেত্রকোনা)।১৯ ফেব্রুয়ারিস্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (নোয়াখালী), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (সিলেট), দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জ), মিজানুর রহমান মিনু (কুষ্টিয়া), ফরহাদ হালিম ডোনার (শরীয়তপুর), মজিবুর রহমান সারোয়ার (পিরোজপুর), রুহুল কবির রিজভী (রাজশাহী)।২০ ফেব্রুয়ারিমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঢাকা), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সেলিমা রহমান (বরিশাল দক্ষিণ), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ময়মনসিংহ দক্ষিণ), আসাদুজ্জামান রিপন (ফরিদপুর), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান (চুয়াডাঙ্গা), মিজানুর রহমান মিনু (নওগাঁ), আবদুস সালাম (কুড়িগ্রাম)।২২ ফেব্রুয়ারিজয়নাল আবেদীন (ঝালকাঠি), আহমেদ আজম খান (চট্টগ্রাম দক্ষিণ), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (ময়মনসিংহ উত্তর), হারুনুর রশীদ (জয়পুহাট), মাহবুব উদ্দিন খোকন (কুমিল্লা উত্তর), আসলাম চৌধুরী (বান্দরবান), আবুল খায়ের ভুঁইয়া (রংপুর), যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ (নরসিংদী)।২৪ ফেব্রুয়ারিস্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন (মুন্সিগঞ্জ), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বরিশাল উত্তর), ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী (নড়াইল), আহমেদ আজম খান (নাটোর), হারুনুর রশীদ (গাইবান্ধা), হাবিব উন নবী খান সোহেল (রাঙ্গামাটি), আবদুস সালাম আজাদ (মাগুরা), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (সৈয়দপুর)।২৫ ফেব্রুয়ারিস্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (নারায়ণগঞ্জ), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (গাজীপুর), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (চট্টগ্রাম উত্তর), বরকত উল্লাহ বুলু (বাগেরহাট), নিতাই রায়ে চৌধুরী (সাতক্ষীরা), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (দিনাজপুর), আমান উল্লাহ আমান (মেহেরপুর), জয়নুল আবদিন ফারুক (নীলফামারী), মনিরুল হক চৌধুরী (খাগড়াছড়ি), আবদুস সালাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।এবি

তারেক কন্যা জাইমার রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে
গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠান হয়। যেখানে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিবর্তে তার প্রতিনিধি হিসেবে কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। জাইমা রহমান লন্ডন থেকে এবং মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান।রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ স্রেফ একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও তাতে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বিশ্বনেতারা অংশগ্রহণ করে থাকেন। স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেখানে উপস্থিত থাকেন। সুতরাং বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে এমন একটি অনুষ্ঠানে জাইমা রহমানের অংশগ্রহণ করা নিশ্চয়ই তাৎপর্যপূর্ণ।এমন প্রেক্ষাপটে ধারণা করা যায়, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে ধাতস্থ করার জন্য ঐতিহ্যবাহী এই প্রাতরাশ অনুষ্ঠানে তাকে পাঠানো হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে রাজনীতির প্রাথমিক সিঁড়িতে পা রেখেছেন তিনি।তবে জাইমা রহমানের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি এখনো কৌতূহলের পর্যায়েই রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টা এখনো কৌতূহল পর্যায়েই আছে। কারণ, জাইমা রহমানের রাজনীতিতে আসা নিয়ে বিএনপি এখনো কোনো ঘোষণা দেয়নি কিংবা জাইমা রহমান নিজেও বলেননি তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। তবে জাইমা রহমানের যোগ্যতা-কার্যক্রম যদি দলের জন্য উপকারী হয়, দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সে অবস্থায় জিয়া পরিবারের উত্তরাধিকার হিসেবে ভবিষ্যতে তার দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে। এটা দোষের কিছু না। কারণ, ভারতীয় উপমহাদেশে পারিবারিক রাজনীতির ঐতিহ্য রয়েছে।তিনি আরও বলেন, অবশ্য আন্তর্জাতিক একটা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে জাইমা রহমান রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন, এমনটা বলা যাবে না। হয়তো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যস্ততার কারণে তার প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশ নিয়েছেন জাইমা রহমান। তবে বিএনপি যে জাইমাকে প্রতিনিধিত্ব করতে সুযোগ দিয়েছে, সেটা তার জন্য নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। দলে তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে উনি সেখানে যেতেই পারেন। তা ছাড়া বিএনপিতেও তরুণ নেতৃত্ব আসছে। সে দিক থেকে জাইমার অংশগ্রহণ একটা ভালো বিবেচনার বিষয় হয়েছে। কেননা, তরুণরা কীভাবে ভাবছে, কী ভাবছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আর বিএনপিও যে তরুণদের প্রাধান্য দিচ্ছে, জাইমার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এটা ইঙ্গিত দেয়, জাইমা রহমান রাজনীতিতে আসছেন। কারণ, আমাদের দেশে পারিবারিক ধারায় রাজনীতিতে আসাটাই স্বাভাবিক। এটা বিএনপির জন্য এক ধরনের বার্তা।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ জাইমা রহমানের অংশগ্রহণে উচ্ছ্বসিত বিএনপির তরুণ নেতারা বলছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। জিয়া পরিবারের সদস্য হিসেবে জাইমা রহমানের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ যোগ দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ এবং যুবসমাজ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি কালবেলাকে বলেন, ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তার মেয়ে জাইমা রহমান। আন্তর্জাতিক ওই অনুষ্ঠানে তিনি শুধু বাবার প্রতিনিধিত্বই করেননি, দেশের সব তরুণ সমাজেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের।বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারি। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ সেই তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান তার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের ও সম্মানের। জাইমা রহমানের বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ঘটনাকে রাজনীতিতে নতুন বার্তা বলে মনে করেন তিনি।ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডন যান তারেক রহমান। এর ফলে ছোটবেলা থেকে লন্ডনেই পড়াশোনা করেছেন জাইমা রহমান। বিশ্বখ্যাত লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন তিনি। পড়াশোনা করার সময় রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি তাকে। তবে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তারেক রহমান লন্ডন থেকে ঢাকার ছাত্র সমন্বয়কারীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যে বৈঠক করেন, সে সময় জাইমা রহমান তার সঙ্গে ছিলেন বলে জানা যায়।

আমরা হাসিনারেই গুনি নাই, এরা তো আমাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী: ইশরাক
পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগতে রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে রয়েছে এবং ষড়যন্ত্র করছে এই কথাটি আমরা শুরু থেকে বারবার বলেছি। গাজীপুরের পুরো ঘটনায় সেই কথাটি প্রমাণ হয়েছে। এখনও আমরা বলছি সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, সচিবালয়সহ সব জায়গায় এদের অপসারণ ও গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।তিনি আরও বরেন, এত ভয় পাওয়ার কী আছে? সেনাবাহিনী বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ব্যাপারে বলা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, কওয়া যাবে না কথা? আমরা জনগণ হাসিনারেই তো গুনি নাই, আর এরা তো আমাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী। অবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি, আমরা পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

একটি গোষ্ঠী দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: দুদু
একটি গোষ্ঠী দেশকে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা ও সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেটা মোকাবিলা করতে হবে। পট পরিবর্তনের পর জনগণ ও বিশ্ববাসীও প্রত্যাশা করেছিল দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সেটার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মানুষের প্রত্যাশা ছিল, একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ পাবে, কিন্তু তা পায়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে নাগরিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এখনো আস্থা রয়েছে। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনে যেমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস সন্ত্রাসীরা পায় কোথায়?বিশৃঙ্খলা এড়াতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিশীলতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করলে বিএনপি জানে কীভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সরকার উদ্যোগ নিলে ভালো, না হলে হয়তো আরেকটি লড়াইয়ের প্রয়োজন পড়তে পারে।এমআর-২

পিরোজপুরের জামায়াতের প্রার্থী হচ্ছেন সাঈদীর দুই ছেলে
পিরোজপুরের দুটি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন দলটির সাবেক নায়েবে আমির ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী। পিরোজপুর-১ আসন (ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আল্লামা সাঈদীর সেজো ছেলে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী এবং পিরোজপুর-২ আসন (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আল্লামা সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম সাঈদী।বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ভান্ডারিয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিমিয় সভায় পিরোজপুর জেলার তিনটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিরোজপুর-২ আসনে (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) থেকে প্রার্থী করা হয়েছে আল্লামা সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম সাঈদীকে। এর আগে পিরোজপুর-১ আসনে (ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর) মাসুদ সাঈদীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। বিশ্বনন্দিত মুফাসসির আল্লামা সাঈদী পিরোজপুরসহ সারা পৃথিবীতে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। পিরোজপুরে তার পরিবারের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে দলটি তার দুই ছেলেকে পিরোজপুরের দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।বিগত চার দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পিরোজপুর-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০০১ সালে জোট ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তিনি পিরোজপুরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সততার দৃষ্টান্ত হিসাবে তার পরিবারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা রয়েছে। তার ছেলে মাসুদ সাঈদী পাঁচ বছর ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালেও সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করেছেন। তিনিও বাবার মতো সৎ এবং আদর্শের অনুসারী হিসাবে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করেছেন।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনের বিভিন্ন এলাকা একাধিকবার সফর করেছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে দৌঁড়ঝাপও করছেন। সম্প্রতি শামীম সাঈদীও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সফর করেছেন।পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জাল হোসাইন ফরিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিরোজপুর-১ আসনে (ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর) মাসুদ সাঈদীকে এবং পিরোজপুর-২ আসনে (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) শামীম সাঈদীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।’প্রার্থীতার বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাদের দুই ভাইকে পিরোজপুরের দুটি আসনে প্রার্থী মনোনীত করে আমাদের ওপর যে মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে তা আমানদারীতার সাথে পালন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর দয়া আর জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমরা আমাদের পথ চলবো। আমাদের সম্মানিত বাবা শহীদ আল্লামা সাঈদী যেভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করে গেছেন আমরাও তেমনি বাবার মতো জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। পিরোজপুরকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করে একটি উন্নত বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধশালী একটি রাষ্ট্র গড়ার চেতনায় আমরা তরুণদের সাথে নিয়ে কাজ করব। স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের জন্য তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই হবে আমাদের লক্ষ্য।মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, এই পিরোজপুরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা ব্রিজ, কালভার্টসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যা কিছু দৃশ্যমান তার ৯০ ভাগই আমার বাবা শহীদ আল্লামা সাঈদীর হাতে গড়া। তার পরে এই আসনে অনেকেই সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু এই এলাকার মানুষ স্বাক্ষী এই এলাকার উন্নয়নে তারা কোনো কাজ করেনি। সবচেয়ে বড় কথা সাধারণ মানুষ তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। আমরা এই জায়গাটিতে পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা নির্বাচিত হলে সর্বস্তরের মানুষের কথা শোনার জন্য প্রস্তত থাকবো, সুখে-দুঃখে সবসময় তাদের পাশেই থাকবো। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।এমআর-২
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
তিন ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা শিক্ষার্থীদের
ঢাকা উত্তরায় তিন ছাত্র আটকের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাওয়ের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলা চালান বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হয়েছেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। সেখান থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমাদের তিন সহপাঠী আকাশ, রবিন ও বাপ্পিকে আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ওই তিন ছাত্রকে পরে পুলিশ ছেড়ে দেয়। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রদের বৈঠক চলছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়েছেন।এফএস
ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেল
ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দু’মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল ১১ বছরের আরাবি ইসলাম সুবা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিখোঁজ হয় সে।ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে দেখা গেছে। তবে সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।এদিকে শিশু সুবার নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা ইমরান রাজিব সোমবার সন্ধ্যায় আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।জানা গেছে, বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবা। সম্প্রতি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তার মায়ের কেমোথেরাপি শুরু হয়। গত চারদিন আগে সুবাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাছে আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন সুবার মা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফুপাতো ভাইকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় সুবা। কৃষি মার্কেট এলাকার প্রিন্স বাজার এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় তার ভাই একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর সুবা আর বাসায় পৌঁছায়নি।সুবার বাবা ইমরান রাজিব বলেন, স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় বোনের (সুবার ফুফু) বাড়িতে আছি। সুবা নিখোঁজের ঘটনায় আদাবর থানায় জিডি করেছি। পুলিশ বলেছে তারা চেষ্টা করছে।এ বিষয়ে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বলেন, মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশপাশের একাধিক সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।এবি

মহাখালীতে ট্রেন আটকে দিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলপথ অবরোধ করেছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করেছেন। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করছেন।আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী মোড়ের দিকে অগ্রসর হন। এ সময় তিনজন অনশনকারী শিক্ষার্থীকেও হুইলচেয়ারে করে নেওয়া হয়। মিছিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। এদিকে রেললাইন অবরোধের ফলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আটকে গেছে। লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেনটি থামানো হয়।আটকে যাওয়া ট্রেনটির লোকোমাস্টার লতিফ বলেন, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩টা ২৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে। আমার ট্রেনের গতিসীমা ছিল ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে তিতুমীর রেলগেটে দূর থেকেই লাল পতাকা ও মানুষের জটলা দেখতে পাই। পরে ট্রেনটি দ্রুত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গতি কমিয়ে থামাতে সক্ষম হই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

হাতিরঝিলে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সংঘর্ষ, কলা বিক্রেতাসহ গুলিবিদ্ধ ২
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে জিলানী (৫৫) ও শুভ (১৭) নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিরঝিল থানাধীন ফুলন পুরাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গুলিবিদ্ধ জিলানীর ছেলে সাইফুল জানান, তার বাবা উলন পুরাবাড়ি এলাকায় কলা বিক্রি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়ে। এতে তার বাবা গুলিবিদ্ধ হন। তখন পাশে থাকা শুভ নামের একজনও গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, হাতিরঝিলের উলন এলাকা থেকে এক বৃদ্ধ ও এক কিশোরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এমআর

পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আহতদের ফের সড়ক অবরোধ
সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ফের রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। এ সময় পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কের দুই লেনই অবরোধ করেন তারা। এতে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে আহতরা অবস্থান নেন বলে জানা যায়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউ সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমে এসেছেন। সড়কে শুয়ে অনেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ স্ট্রেচারে ভর করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তারা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।দেখা যায়, জুলাই আন্দোলনের আহতরা ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আস্থা নাই রে আস্থা নাই’ ইত্যাদি নানান স্লোগান দিচ্ছেন।আরও দেখা যায়, সড়কের দুলেনে অবস্থান নিয়ে জুলাই আন্দোলনের আহতদের বিক্ষোভের কারণে আগারগাঁওগামী ও আগারগাঁও থেকে শিশুমেলা মোড় পর্যন্ত লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়িগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে সামনে পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।আহতদের মধ্যে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে পতন ঘটানোর আন্দোলনের আহতরা টাকা-পয়সা কিছুই চাই না, শুধু সুচিকিৎসা, পুনবার্সন চাই। শেখ হাসিনার পতনের পর যে সরকার আমাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি তাদের কাছে আমাদের আর কোনো আস্থা নাই।’এ সময় উপদেষ্টাদের প্রতি আহতদের কোনো আস্থা নেই বলে তারা আজ রাস্তায় নেমেছেন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের নেতা কোরবান শেখ হিল্লোল বলেন, ‘আজকে বিদেশি ডাক্তার এসেছিল। তারা আমাদের পরীক্ষা করে একটা মতামত দিয়েছে। আমাদের মধ্যে যাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছে, তাদের আর আমাদের শারীরিক অবস্থা একই বলে ডাক্তারদের মতামতে উঠে এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আমাদের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ কারণে আবার পথে নেমেছি। আমাদের কথা কেউ শুনছে না। আমাদের ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন।’এমআর
ঝিনাইদহে নাশকতার মামলায় ৩ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
নাশকতার মামলায় ঝিনাইদহ সদরের ৩ ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী এ আদেশ দেন।আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম সিরাজ ও হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম।জানা যায়, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন।৬ সপ্তাহ পার হওয়ার পর সোমবার তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনায় জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামী ছিলেন এই তিন জন।এফএস
ঝিনাইদহের ৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থীর নাম ঘোষণা
ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামী। ঝিনাইদহ জেলা শাখার জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ঝিনাইদহ জেলার যে ৪টি আসন রয়েছে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেপ্রার্থীরা হলেন, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা উপজেলা নিয়ে গঠিত) আসনে শৈলকূপা উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ (ঝিনাইদহ ২টি উপজেলা সদর-হরিনাকুণ্ডু উপজেলা নিয়ে গঠিত) আসনে জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকর, ঝিনাইদহ -৩ (ঝিনাইদহের ২টি উপজেলা কোটচাঁদপুর-মহেশপুর নিয়ে গঠিত) আসনে কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবেক আমির অধ্যাপক মতিউর রহমান ও ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক নিয়ে গঠিত) আসনে কালীগঞ্জ উপজেলা আমির মাওলানা আবু তালেব।ঝিনাইদহ জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকর বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে পর্যালোচনার পরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে নিজেদের কোনো চাওয়া-পাওয়া বা না পাওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা চাই সুন্দর-দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।এমআর

মিরপুরে দেশীয় অস্ত্রসহ আ.লীগের ৫ নেতা কর্মী গ্রেফতার
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অপারেশন ডেভিল হান্টে পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতাকে গ্রেফতার করে মিরপুর থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হচ্ছেন- মিরপুর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি তেঘরিয়া এলাকার বেনজির আহমেদ পলাশ, আমবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশারফ হোসেন মুশা, কুর্শা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পোড়াদহ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজরাহাটি এলাকার বর্তমান মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও মিরপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রাজ্জাক পল্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ঝুটিয়াডাঙ্গা এলাকায় নাশকতার প্রস্তুতিকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় অনেকেই পালিয়ে যায়।গ্রেফতারকৃত সকলেই আওয়ামী লীগের পদধারি নেতাকর্মী। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে চারটি রামদা, বারটি বাঁশের লাঠি, ছয়টি রডের টুকরা, আধা বস্তা ইটের টুকরা পাওয়া গিয়েছে। ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, গতরাতে নাশকতার প্রস্তুতিকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় অনেকেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে বাকিদের গ্রেফতারের অভিধান অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের মিরপুর থানায় একটি নাশকতার মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।এআই

শার্শায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
যশোরের শার্শায় তিনদিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান মেলার উদ্বোধন করেন।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর পরিষদ চত্বরে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে। মেলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন, খামার যন্ত্রপাতি, ধানের আধুনিক জাত ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫টি স্টল কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মেলা চলবে।এ সময় শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা, কৃষি কর্মকর্তা দিপক কুমার শাহ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানি গুলশান ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেবাশীষ ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি সকলকে নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এমআর-২

মেহেরপুরের ৩ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
মেহেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামে তিন ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা তিনটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তিন ইটভাটা থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট পানি দিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে, এসএইচবিসি ইটভাটার মালিক ইকরামুল হককে ২ লাখ টাকা, ফোর স্টার ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার অপরাধে শ্রমিক ইকলাছুর রহমানকে ১০ হাজার, বলাকা ব্রিকসের মালিক মিলন হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এসময় ফায়ারা সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য দিয়ে পানি ছিটিয়ে ফোর স্টার ব্রিকস’র কাঁচা ইট ধ্বংস ও এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে হিজলবাড়িয়ার বলাকা ব্রিকস।ভাটাগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। একই সঙ্গে তিনটি ইটভাটায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক ইটভাটায় কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ একর তিন ফসলি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। এসময় বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতাও ভিড় জমান।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোজফ্ফর খান। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগীতা করেন, গাংনী থানা পুলিশ ও বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইনে দুটি ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় ভাটা দুটিতে পানি দিয়ে কাঁচা ইট বিনষ্ট ও এক্সকাভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশদূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটাতে অভিযান চালানো হবে।উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০৮টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে।এআই
ডেভিল হান্টে সাতকানিয়ায় দুদিনে কোনো গ্রেফতার নেই
সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলছে। তবে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় গত দুইদিনে কোনো ডেভিল গ্রেফতার বা আটক নেই।সাতকানিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবদুল মোন্নাফ এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, বর্তমানে দেশব্যাপি ডেভিল গ্রেফতারের অভিযান চলছে। তবে আমার থানা এলাকায় এ সংক্রান্ত কোনো আসামি গ্রেফতার বা আটক নেই। একটি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতকানিয়া গঠিত।২৮২.৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সাতকানিয়া থানা এলাকার উত্তরে চন্দনাইশ, দক্ষিণে লোহাগাড়া, পূর্বে বান্দরবান সদর এবং পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলা।তবে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসায়নি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সন্দেহজনক গতিবিধি ও গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে না। উপজেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তায় নেই বাড়তি নজরদারি। ফলে ডেভিলরা বিনা বাধায় চলাফেরার সুযোগ পাচ্ছে। যেটি ছাত্র ও সাধারণ জনগণের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবিতে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট দুপুর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দখল করে নেয় আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কৃষক-শ্রমিক, জনতাসহ সকল শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। ওইদিন বেলা ৩টায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের সাতকানিয়া উপজেলার মিঠাদিঘী থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এছাড়া খণ্ড খণ্ড মিছিল বের হয় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে। মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা কেরানীহাট স্টেশনের দিকে আসতে থাকেন।একপর্যায়ে কেরানীহাট স্টেশনে পৌঁছালে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। তবে সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্র-জনতা তাদের ধাওয়া দিলে পিছু হটে তারা।জানা যায়, ওইদিন সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন কেরানীহাটে। ছাত্র-জনতাকে দমনে সেখানে দফায় দফায় বৈঠক করেন তারা। সিদ্ধান্ত নেন ছাত্র-জনতাকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার। যার তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কয়েকজন আওয়ামীপন্থি জনপ্রতিনিধি। তাদের প্রত্যক্ষ মদদেই সেখানে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে অস্ত্রধারীরা।সূত্র বলছে, সেই দিনের অস্ত্রধারীদের অনুসারী কেউ কেউ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার দিন অস্ত্র বহন এবং গুলি বর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুললে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে তাদের অনুসারীরা সেদিন গুলিবর্ষণ করেছে। কিন্তু ঘটনার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই অস্ত্রধারী কেউ গ্রেফতার হননি।চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামী ডেভিলদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ও সাধারণ জনগণ।দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সারা দেশে একযোগে পরিচালিত হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এ অপারেশন যৌথভাবে পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপারেশনে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।এফএস
দুই বছর পর চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেলেন বাঁশখালীর লেয়াকত আলী
দীর্ঘ দুই বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার পক্ষে রায় দেন। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসিফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পূর্বের আদেশ বাতিল করে তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।লেয়াকত আলীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও মুহম্মদ মিজানুর রহমান। তারা আদালতে তুলে ধরেন যে, লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালত তাদের যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে লেয়াকত আলীকে তার পূর্বের পদে পুনর্বহালের আদেশ দেন।২০১৮ সালের ৪ জুন বাঁশখালী সরকারি আলাওল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে লেয়াকত আলী বক্তব্য দেন। অভিযোগ করা হয়, সেই বক্তব্যে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘খুনি’ এবং আওয়ামী লীগকে ‘খুনির দল’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া, ‘খুনি হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে, দেশ বাঁচাও জালেম সরকার হঠাও’— এমন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।এরপর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয় এবং চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়। চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহর সুপারিশে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে লেয়াকত আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে তিনি আর চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাননি। তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওসমান গণী।২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এস. আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারের কাজে বাঁধা প্রদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বাঁশখালী থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন এবং ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট মুক্তি পান।আইনি লড়াই চালিয়ে দুই বছর পর অবশেষে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের রায়ে তিনি পুনরায় তার চেয়ারম্যান পদ ফিরে পান। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেয়াকত আলী বলেন,"শেখ মুজিবকে নিয়ে কটুক্তি ও শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে আমাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ হাইকোর্ট সেই আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আমাকে কারাগারে রেখে একটি শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছিল, যার লিখিত জবাব দিয়েছিলাম। যদি আমার জবাব সন্তোষজনক না হতো, তাহলে স্থায়ী বরখাস্ত করা হতো। কিন্তু আমাকে বহালও রাখা হয়নি, স্থায়ী বরখাস্তও করা হয়নি। দুই বছর ধরে আমাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। আজ আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট।"এই রায় নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপি এবং স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে "ন্যায়বিচারের জয়" বলা হলেও, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।গণ্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই লেয়াকত আলীর চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "দুই বছর ধরে আমরা একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে পাইনি। এখন তিনি ফিরে আসছেন, আশা করি উন্নয়নের কাজ আবার গতি পাবে।"চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার পর লেয়াকত আলী বলেছেন, তিনি তার ইউনিয়নের উন্নয়নে নতুন করে কাজ শুরু করবেন। একই সঙ্গে, তিনি দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং তিনি তার আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী দ্রুত তার পুনর্বহালের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে জানা গেছে।এফএস

কুমিল্লায় 'ডেভিল হান্ট' অভিযানে আ. লীগের ৩ নেতা আটক
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে 'ডেভিল হান্ট' অপারেশনে তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজীবী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউল করিম খোকন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, মোকাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন।বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর মামলার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।তাদের মধ্যে রেজাউল ও জামালকে রবিবার রাতে বুড়িচং থানা পুলিশ আটক করে। এদিকে আইনজীবী রেজাউল করিম খোকনকে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা কোর্টের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি।এমআর

আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা হলো না যুবলীগ নেতা কাশেমের
চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মো. আবুল কাশেম (৪৪) কে গ্রেপ্তার করেছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদরঘাটের ইউসিবি ব্যাংকের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম জানান, ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে কাসেম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় রাখা হয়েছে এবং শিগগিরই সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রাম ছেড়ে নগরীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং মাঝে মাঝে কর্ণফুলীর ইছানগর এলাকায় নিজ বাড়িতে যেতেন। ঘটনার সময় তিনি কোনো আর্থিক কাজে সদরঘাট এলাকার ইউসিবি ব্যাংকে গেলে কোতোয়ালি পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েন।স্থানীয়দের দাবি, আবুল কাশেম কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক মিছিল, মিটিং ও সভা-সমাবেশে সক্রিয় ছিলেন। কিছুদিন আগে যুবলীগের সম্মেলন শেষে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টারে নিজেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।তিনি কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মৃত সালেহ আহমদের ছেলে।পুলিশ জানিয়েছে, নাশকতার অভিযোগের সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালতে পাঠানো হবে।

ফটিকছড়িতে পাঁচদিনের ব্যবধানে ফের আগুন, ৭ দোকান পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ৭ দোকান পুড়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে পাঁচটায় উপজেলার কাজিরহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো- কাশেমের তেলের দোকান, ইদ্রিস সওদাগরের মুদি দোকান, বাহাদুরের ফুল দোকান, বেলালের ফুল দোকান, ইলিয়াসের সাইকেল দোকান, জয়নালের চা দোকান এবং আকিবের ফার্মেসি দোকান।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাশেমের তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে৷ এলাকাবাসী ও ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। আগুনে ৭টি দোকান পুড়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তেল এবং গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় দ্রুত আগুনে পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা বলে হচ্ছে।উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি একই বাজারে আগুন লেগে ১১টি দোকান পুড়ে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
শ্রীপুরে কুখ্যাত মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর আলম গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকার মৃত খাইরুল ইসলাম মিলনের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে শ্রীপুরসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাদক বিক্রি ও সরবরাহের কাজ করত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার করে অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন।গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার টেংরা পশ্চিম পাড়া এলাকার মুন্সী বাড়িতে। তিনি মৃত হোসেন আলী মুন্সির সন্তান। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।পুলিশ আরও জানায়, জাহাঙ্গীর আলমের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে শ্রীপুরে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান আরও তীব্র হবে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭০-৮০ শতাংশ দুর্নীতি ক্রয়নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ পিপিআর ২০০৬ এবং পিপিআর ২০০৮ রিলেটেড। এদিকে নজর দিলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতির ওপর ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর আপনারা পেয়েছেন। কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর।অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) আক্তার হোসেন বলেন, দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ(আইইবি)'র সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম রিজু।উল্লেখ্য, সরকারি ক্রয়নীতির ওপর ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দুদকের সহকারী পরিচালক এবং উপসহকারী পরিচালক মিলিয়ে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

সিরাজদিখানে প্রবাসী সৈকত মাহমুদ হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সৌদি আরব প্রবাসী সৈকত মাহমুদ (২২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল কাদির (৫০) ও মো. পলাশ (৩২) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার শনিরআখড়া ফুট ওভার ব্রীজ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানার তারাবো চৌরাস্তা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে। পরে সোমবার দুপুরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। আব্দুল কাদির (৫০) সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে এবং মো. পলাশ (৩২) খালপাড় গ্রামের বাজানগরের দারগ আলীর ছেলে।জানা যায়, গত ১৫ই জানুয়ারি উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে হেলাল বেপারীর ছেলে কাদের বেপারী সাথে একই গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে সৈকত মাহমুদের সাথে মারামারীর ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈকত মাহমুদ গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্বজনরা ওই দিন আহত সৈকত মাহমুদকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতাল পরে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার ১২ দিন পর রোববার দিবাগত রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সৈকত মাহমুদের বড় ভাই চিত্রকোট ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।সিরাজদিখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, প্রবাসী সৈকত মাহমুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১০। পরে তারা সোমবার দুপুরে থানায় হস্তান্তর করলে আমরা বিকালে আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছি।

সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টসকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেফতার ২
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ বাসায় ভাগনে-ভাতিজাকে আটকে রেখে এক গার্মেন্টকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নূর কামালের সহযোগী শরীফসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার আরেক আসামি মো: ফয়সাল পলাতক রয়েছেন।গত রোববার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পূর্বপাড়া আল-আমিন নগর এলাকার নুর ভিলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলো, সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের নাসিরের ছেলে মো. শরীফ (২৭) ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পেয়াদাবাড়ির এলাকার লালু মোল্লার ছেলে মো. মিজান (৪০)। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পূর্বপাড়া আল আমিন নগর এলাকার নুর ভিলা নামক একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাগনে ও ভাতিজা। অভিযুক্ত শরীফ ওই বাড়ির দেখভালকারী ও মিজান ভাড়াটিয়া। রোববার রাতে হঠাৎ বাসায় এসে ধাক্কা ধাক্কি শুরু করে শরীফ দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে ওই নারীকে রান্নাঘরে আটকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন শরীফ ও ফয়সাল। আর বাসায় থাকা তাঁর ভাগনে ও ভাতিজাকে আটকে রাখেন মিজান। পরে আশপাশে মানুষ টের পেলে অভিযুক্তরা সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ এবং দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।

টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল হায়াত পৌর শহরের আকুর-টাকুর পাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে শহরের বটতলা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইকবালকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর দায়ের করা (মামলা নং ১৮) দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, সমবার দুপুরে ইকবাল হায়াতকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ভোলায় অপারেশন ডেভিল হান্টে আ.লীগের ১৪ নেতাকর্মী আটক
ভোলায় অপারেশন ডেভিল হান্ট এর অভিযানে ১৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।দুপুরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্টগার্ড জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতৃক নির্দেশিত 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' এর আওতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন সদর উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম (৪১), সুজন মাতব্বর (৩২), ফেরদৌস আহমেদ (৪৫), রুহুল আমীন মোল্লা (৩৫), ইসমাঈল মোল্লা (৫৫), টিএম সিরাজুল আলম (৪৮), আব্বাস ক্বারী (৩০), মো. ফরিদ দালাল (৫০), জামাল উদ্দিন (৫৫), সামসুদ্দিন পালোয়ান (৫০), ফরিদ শনি (৫২), মফিজুল ইসলাম (৭৫), মানিক মেম্বার (৫৫) ও আব্দুর রউফ (৬৭)।পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পাশের রাষ্ট্রকে খুশি করতে গোপনে দেশবিরোধী চুক্তি করেছে আ.লীগ: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, ‘৭১ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের কাজ দেশের মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে পাশের (ভারত) রাষ্ট্রকে খুশি করা। গোপনে দেশবিরোধী অনেক চুক্তি করেছে। ট্রানজিটের নামে করিডর দেওয়া হয়েছে। তাদের সুবিধার জন্য সব কিছু করা হয়েছে।’ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেষ বিকালে কলাপাড়া পৌরশহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা ন্যায্য দাবি আদায়ে যখন আওয়াজ তুলেছিল তখন কেউ সাহস করে পাশে দাঁড়ায়নি। একমাত্র একটি রাজনৈতিক দল সর্বপ্রথম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানার নিয়ে আমার নেতৃত্বে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। বিগত সরকার পাঠ্যবইতে নাস্তিকের থিওরি অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা যখন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করেছি। তখন ভারত থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তাই একত্রিত হয়ে ইসলামের সুফল কী তা ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান। পীর সাহেব চরমোনাই এই গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম,পটুয়াখালী জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মো: নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মো. আব্দুল হাকিম, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জেড এম কাওসার, মো. নাইমুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ মুনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান ইউসুফ, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান আলী প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি মুফতি মো. হাবিবুর রহমান।ছাত্রজনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি মুফতি মো হাবিবুর রহমান ইহকালীন-পরকালিন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অধিকাংশ বক্তারা আগামি সংসদ নির্বাচনে হাত পাখা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আহবান জানান। সমাবেশটি এক পর্যায়ে হাত পাখার নির্বাচনী সমাবেশে পরিণত হয়।

পিরোজপুরে মাকে গাছে বেঁধে রেখে ঘরে আগুন দেয়া যুবক গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাকে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে বসতঘরে আগুন দিয়েছে মো. আল-আমীন নামে এক যুবক। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এর আগে পিতার দায়ের করা মামলায় রবিবার রাতে পত্তাশী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত আল আমীন (২৬) ইন্দুরকানি উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের জয়নাল কাজীর পুত্র। তিনি একজন চাকরিচ্যুত সেনাবাহিনীর সদস্য। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামের জয়নাল কাজীর ছেলে মো. আল-আমীন নারী সংক্রান্ত কারণে প্রথম স্ত্রীর অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে ২০২৪ সালে চাকরিচ্যুত হয়। পরে আল আমিনের চারিত্রিক সমস্যার কারণে তার দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। এসব বিষয়ে আল আমীন তার বাবাকে দোষারোপ করতে থাকে। রবিবার সকালে আল-আমিন চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি এসে তার পিতাকে হত্যার জন্য দা নিয়ে ঘুরতে থাকে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ইন্দুরকানী থানার পুলিশ তার বাড়িতে গেলে আল আমিন পালিয়ে যায়। পরে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে তার মাকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে রেখে বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আল আমীনের পিতা জয়নাল কাজী বলেন, ঘরে আগুন দিয়েছে। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মামলা দিয়েছি এর বেশি কিছু বলতে চাই না। এ বিষয় ইন্দুরকানী থানার (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য আল-আমীনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। তার পিতার মামলা শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গৌরনদীতে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ
গণঅধিকার পরিষদের বরিশালের গৌরনদী উপজেলা শাখা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংগঠনের বরিশাল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলার সরিকল এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন বাদি হয়ে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।নুরুল আমিন জানিয়েছেন, গত তিনমাস পূর্বে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গয়নাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নুরুল ইসলাম বেপারীর নিকট থেকে একটি টিনসেট ঘর ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। সেখানে ৩০টি চেয়ার, টেবিলসহ নগদ এক লাখ ৪৭ হাজার ৭৩২ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাগজপত্র ছিল। রোববার সকালে দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি সমর্থক খলিল বেপারী ও তার স্ত্রী উপজেলা মহিলা দলের সদস্য ফিরোজা বেগমসহ তাদের ৭/৮ জন সহযোগীরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে তাতে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দের কারণে মালামাল বের করে কক্ষ তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নুরুল আমিন নামের একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে ওসির বক্তব্য প্রত্যাখান করে নুরুল আমিন বলেন, কার্যালয়ে সাইনবোর্ড রয়েছে। সেখানে আমাদের নম্বর রয়েছে। মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ থাকলে আমাদের কল করে মালামাল সরিয়ে নিতে বলতো। কিন্তু তা না করে কার্যালয় ভাঙচুর করে মালামাল তছনছ ও লুট করে তালাবদ্ধ করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

ঝালকাঠিতে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল আইসিটি ল্যাব সহকারির
ঝালকাঠিতে বাস চাপায় উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি ল্যাব সহকারি শুকদেব মন্ডল (২৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পিংড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শুকদেব মন্ডল ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউলকাঠি গ্রামের মৃত. দেবেন্দ্র মন্ডলের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের কর্তব্য শেষ করে ঝালকাঠি শহর থেকে রাজাপুরের বাগড়ি এলাকায় একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে যায়। খাওয়া শেষ করে অটোরিকশাযোগে নিজ বাড়ি দেউলকাঠিতে ফিরছিলেন। হঠাৎ অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়লে একটি বিআরটিসি বাস চাপায় গুরুতর আহত হন শুকদেব। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শুকদেব মন্ডলের নিকট আত্মীয় অমিত মন্ডল বলেন, ‘দুই বছর আগে বাবাকে হারায় শুকদেব, আগামীকাল তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে তার বাড়িতে চার শত লোকের খাবারের আয়োজন ছিল বাজারও করা হয়েছে কিন্তু বাস চাপায় শুকদেব এর মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেল।ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অটোরিকশা থেকে পড়ে বাস চাপায় শুকদের মন্ডল নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃতদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রয়েছে।
জামালপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র,আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিচার এবং কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে জামালপুরের ইসলামপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা,পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে থানামোড় বটতলা চত্তরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে উপজেলা বিএনপির সাথারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম নবাব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবির আহমেদ বিপুল , প্রচার সম্পাদক বাবলু সর্দার, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ পাপন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এতে পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাসমত মিয়া,পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শান্ত সহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ নেন।এফএস
ভালুকা শ্রমিকদলের পক্ষ থেকে ফুটপাতে অবৈধ দোকানের অনুমতি
ভালুকা পৌসভায় সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ইজারাদার। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও পৌরসভা এবং উপজেলা প্রশাসন নীরব। সড়ক ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না তারা বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও পথচারীদের। সড়ক ও ফুটপাথ দখলে থাকায় পথচারীরা বাধ্য হয়ে (ভালুকা বাজার রোডের) রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। অন্যদিকে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।সরজমিনে ভালুকা বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানের সামনের সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করছে। কেউ কেউ বেঞ্চ বসিয়ে আবার কেউ দোকানের মালামাল ফুটপাথের উপর রেখে লোহার গ্রিল দিয়ে রাস্তা পর্যন্ত সীমানা দখল করে রেখেছে। ভালুকা বাজার রোডের রাস্তা প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট চওড়া। রাস্তার দু’পাশে ফুটপাথ রয়েছে প্রায় আড়াই থেকে তিন ফিট। এদিকে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাঁচ রাস্তার পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। অধিকাংশ দোকানের মালামাল দিয়ে ফুটপাথ দখল করে রাখা রয়েছে। কিছু কিছু দোকানের মালামাল সড়কেও রাখা হয়েছে।এ ব্যাপারে দোকান মালিক আনিস বলেন, অন্য সব দোকানের মালামাল সামনে রাখে, তাই আমরাও রাখি। এতে আমাদের দোষ কি?স্থানীয় ফুটপাথের কলা ব্যবসায়ী বলেন, ফুটপাথে দোকান রাখলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, বেশির ভাগ দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা ভালুকার স্থানীয় তাই উচ্ছেদ করা হয় না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকান মালিক বলেন, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ এর সাথেই পৌর কর্তৃপক্ষ ৮ফু্টের রাস্তা সহ ফুটপাত নির্মাণ করে। এই ফুটপাতের রাস্তা কিছুদিন পরেই সাধারণ জনসাধারণের চলাচলে বাধাগ্রস্থ করে অবৈধ ফল ব্যবসায়ীরা রমরমা বাণিজ্য ও ইজারার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে। উজ্জল, এনামুল, সিদ্দিক, সুজন, রাসেদ, রিপন, নূরু এরা অবৈধ ফল ব্যাবসায়ী যারা কিনা ফুট ওভার ব্রিজ হতে ফলের দোকান গুলো নতুন রাস্তায় বিনা অনুমতিতে অবৈধ ফল ব্যাবসা রমরমা চালিয়ে যাচ্ছে।ফুটপাত দখল নেওয়া ব্যবসায়ী উজ্জল বলেন, এখানে সাবেক ইউএনও ও পৌর শ্রমিকদলের নেতার মাধ্যমে ফুটপাতের জায়গায় আমাদের ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা রাজনৈতিক দল করি, শ্রমিকদল করায় আমাদের অগ্রাধিকার বেশি। আমি ৩নং ওয়ার্ড পৌর শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছি। স্থানীয় কয়েকজন পথচারী ও এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এসব দোকানে কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত ফুটপাথ দখলমুক্ত করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করার আহ্বান ভুক্তভোগীদের।পৌর বিএনপির সভাপতি মাহাবুব মোল্লা বলেন, ভালুকা ফুট ওভারের পাশের জায়গায় সাবেক ইউনও-এসিল্যান্ড সহ ফলের দোকানের জন্য ১৬টি দোকানের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। রাত্রের আধারে ভালুকা বাজার ব্যবসায়ী আশিক তার লোকজনের মাধ্যমে নিদিষ্ট জায়গায় ফলের দোকানে ভাংচুর করে মালামাল লুটপাঠ করে নিয়ে যাওয়ায়, এ বিষয়ে একটি মামলাও করা হয়। সাবেক ইউএনও ও হাতেম খান বলেন কিছু সময় দেন এর একটা সমাধান করি, কিন্তু আমার দায়িত্বশীল কাজের জন্য এই বিষয়ে কোন ভাবেই অগ্রসর হওয়া যায় নি। আর শ্রমিক দল করা হলেই রাস্তার উপর দোকান পাট বসানোর বিষয়ে আমরা কিছুই বলি নি। ফলের দোকানদাররা এসে বলছে নেতা আপাদত বসছি, কিছুদিন পরে উঠে যাব। আমি আরো বলছি বসছো ঠিক আছে, কিন্তু একসময় দলের নাম বিক্রি করবা। ফলের সমিতি থেকে ফুটপাতে দোকানপাঠ দিয়েছো, এটা তোমাদের বিষয়, আমাদের কে কোন ভাবেই জড়ানো যাবে না। এটা জণসাধারণের জন্য ফুটপাতের রাস্তা করা হয়েছে, জনসাধারণের সমস্যা না হয়, ফুটপাতের রাস্তায় অবৈধ দোকানপাট বসায় জনসাধারণের দূভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোখসানা খাতুন বলেন, ফুটপাথ সম্পর্কে মৌখিক নানান অভিযোগ পেয়েছি। এ সকল স্থানগুলোতে আমি ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছি। খুব শিগগিরই উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এমআর

ময়মনসিংহে টাকার বিনিময়ে জাল দলিল তৈরি করে দিত আলমগীর
ময়মনসিংহে জাল দলিল তৈরি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এম মোহাইমেনুর রশিদ।তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার চর ইশ্বরদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল দলিল, সরকারি বিভিন্ন ২০ কর্মকর্তার ৬২ টি সিলসহ আবুল মুনছুরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩১) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায় সে ও তার চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে নতুন জাল দলিলসহ দলিলের ভেতরে নতুন করে খতিয়ান, দাগ, নাম পরিবর্তন করে বিবাদ রয়েছে এমন সব জমিতে যে ব্যক্তি জমির মালিক নন তাকে ঐ জমির মালিক বানিয়ে দিত। এছাড়াও জমির নামজারি করার ক্ষেত্রে নতুন নাম সংযুক্ত করাসহ যে জমি প্রাপ্য নয় তাদের নাম সংযুক্ত করে তাদের সেই জমিতে অংশীদার বানিয়ে দিত এবং তারা জমির প্রকৃত মালিকদের নাম বিলুপ্ত করাসহ জমির পরিমাণ কমিয়ে অন্যদের নতুন করে নামজারি করে তাদের জমির অংশীদার বানিয়ে দিত। আসামির সাথে আরও সক্রিয় ৪ সদস্য রয়েছে, তাদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অভিযানকালে আলমগীরের বাড়িতে তল্লাশি করে ৮ টি জাল দলিল, ৩৬ টি খোলা রাবার সিল, ২ টাকা থেকে ১০০ টাকা মূল্যের ১৭৮ টি স্ট্যাম্পের পাতা এবং জাল দলিল তৈরির ১৫০ পাতা কাগজ উদ্ধার করা হয়।

পরকীয়া প্রেমে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা, প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরকীয়া প্রেমে স্বামী হেলাল উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিককে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ (৫ম) আদালতের বিচারক আলী মনসুর এই রায় দেন। একইসাথে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পরকীয়া প্রেমিক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৪৯) এবং নিহতের স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৪০)। এর মধ্যে হাফিজা খাতুনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা হলেও এখনো পলাতক অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। আর তৃতীয় আসামি আরমান মারা যাওয়ায় আগেই আদালত তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৩ বছর আগে হাফিজা খাতুনের সঙ্গে মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। এরই মাঝে হেলাল উদ্দিন জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চলে গেলে হাফিজা খাতুন ডেসটিনিতে যোগ দিয়ে দণ্ডিত অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুদের অধীনে কাজ শুরু করেন। এতে মাসুমের সঙ্গে হাফিজার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠলে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাসে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন মাসুম। এরপর হেলাল উদ্দিন প্রবাস থেকে ফিরে এলে আসামিরা হেলাল উদ্দিনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করে ডাকাত খুন করেছে বলে প্রচার করেন।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শামীম উল আজম খান লিসন জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিরা অভিযুক্ত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৬
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একজন, মাদক মামলায় দুইজন ও অন্যান্য মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সোহাগী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল হোসেন ওরফে তোফায়েল (৪০), মাইজবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মাইন উদ্দিন (৫০),আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ফারুক মিয়া (৪০) ও মোঃ কাইরুম (৪৫)। অপরদিকে মাদক মামলায় উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মৃত আঃ মতিনের পুত্র মোঃ লিটন মিয়া(২৫) ও জামাল মিয়া (৩৬)।ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে ও সার্কেল স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করে রাজনৈতিক মামলায় ৪ ও মাদক মামলায় ২ অসামিসহ ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা পুলিশের এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এআই
বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষে সাফল্যের হাতছানি
অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে শস্য প্রধান দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সাফল্য পেয়েছে কৃষক মকবুল হোসেন। তাঁর মত অল্প পুঁজি ও শ্রমে মালচিং পদ্ধতিতে উপজেলার ৭ জন কৃষক স্কোয়াশ চাষ করেছেন। শসার মত দেখতে এই সবজি চাষের মধ্য দিয়ে উপজেলার কৃষিতে যোগ হয়েছে নতুন একটি সবজি। এতে স্কোয়াশ চাষে নতুন সম্ভাবনাও দেখছে কৃষি বিভাগ।স্কোয়াশ সবুজ ও হলুদ দুই রঙের হয়ে থাকে। অনেক আগে থেকে বাংলাদেশে স্কোয়াশের চাষ শুরু হলেও খানসামা উপজেলায় গত মৌসুম থেকে এই সবজির চাষ শুরু হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে বেশ সাফল্য পেয়েছেন চাষীরা। স্কোয়াশ দেখতে শসার মত হলেও গাছটি মিষ্টি কুমড়ার মত। পাতা, ডগা, কাণ্ড দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াশ গাছ? উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭ টি স্থানে চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। প্রতি স্থানে প্রায় ২০ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। এতে দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, জৈব বালাইনাশক এবং সহায়তা প্রদান করেছে কৃষি বিভাগ। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া দোলাপাড়া, আংগারপাড়া ও জাহাঙ্গীরপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তাঁর ক্ষেতের প্রতিটি গাছে ঝুলছে ছোট-বড় স্কোয়াশ। এসবের কোনোটা পাকা, আবার কিছু পরিপক্ব হওয়ার পথে। এই সবজিতে রোগবালাই কম, বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার বেশি ফলন হয়েছে। কৃষকরা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়াও পরিপক্ব স্কোয়াশ তুলে বিক্রির জন্য আড়তে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষক। প্রতিটি স্কোয়াশের ওজন প্রায় এক কেজি থেকে তিন-সাড়ে তিন কেজি। আঙ্গারপাড়া এলাকার কৃষক তাইজুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষাবাদের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে এ বীজ রোপণ করা হয়। বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। যা অনেক লাভজনক। বর্তমানে অন্য সবজির দাম কম হওয়ায় স্কোয়াশ গড়ে প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষী মকবুল হোসেন বলেন, প্রথমবারের মত কৃষি বিভাগের সহায়তায় স্কোয়াশ আবাদ করছি। এতে অন্য ফসলের চেয়ে খরচ ও পরিশ্রম কম। আলুসহ অন্য সবজির দাম কম হওয়ায় বর্তমানে প্রতি পিস স্কোয়াশ গড়ে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ২০ শতক জমিতে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে ৬০-৭০ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করা যাবে। তিনি বলেন, তাঁর ২০ শতক জমিতে প্রায় ৫০০ স্কোয়াশ বীজ রোপণ করা হয়েছে। প্রতি গাছ থেকে ৮-১০ বার স্কোয়াশ তোলা যাবে। যা অনেক লাভজনক হওয়ায় আগামীতে স্কোয়াশ চাষ বৃদ্ধির কথা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, পানির ব্যবহার কমাতে, আগাছা ও রোগ বালাই থেকে গাছকে সুরক্ষা দিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ক্ষেতে কীটনাশকের পরিবর্তে ফেরোমন ট্যাপ ও ইয়োলো স্টিকিট্র্যাপ ব্যবহার করেছেন। যাতে কীটনাশক মুক্ত সবজি উৎপাদন করে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া যায়। কীটনাশকমুক্ত থাকায় তাঁর স্কোয়াশের ফলন ও বিক্রিও অনেক ভালো।ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম ফারুক আহমেদ বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষে লাভবান হচ্ছেন। বাজারে চাহিদা ও কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকরা স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, এ উপজেলায় ৭ জন কৃষক কৃষি বিভাগের সহায়তায় স্কোয়াশ চাষ করেছেন। এই শস্যটি অপ্রচলিত হলেও লাভজনক। কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই ফসলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পারলে উৎপাদন ও চাহিদা বাড়বে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সবধরনের পরামর্শ দেওয়া হবে।এমআর-২
কুড়িগ্রামের বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাঁশজানী সীমান্তের শূন্যরেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯ এস এর ৯৭৮ নম্বর পিলারের শূন্যরেখায় ইউক্যালিপটাস গাছে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন বিএসএফের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে শূন্যরেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিএসএফ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানালে তারা বিএসএফকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলেন।তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হলেও ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বলে জানা গেছে।কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদুর রহমান বলেন, শূন্যরেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ তা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছে।এফএস

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ১২৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ১২৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ভোটগোজ বর্ষালুপাড়া এলাকায় দুলাল হোসেনের বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুলাল হোসেন একই এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে।এনএসআই'র দেওয়া তথ্যের ভিত্যিতে পঞ্চগড় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এ.এস.এম মঈনউদ্দীন কবিরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে এনএসআই এর একটি টিম সহযোগিতা করে। অভিযানে ১২৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে দুলাল হোসেন পালিয়ে যায়। এই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বালাপাড়া এলাকার আরেক মাদক ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলামও পালিয়ে যায়।পঞ্চগড় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এ. এস. এম মঈনউদ্দীন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় দুলাল ও সহিদুলকে আসামি করে আটোয়ারী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এআই

মাঘের শেষে শৈত্যপ্রবাহের কবলে গাইবান্ধা
সকাল দশটার পর রোদের দেখা মিললেও মাঘ মাসের শেষ পর্যায়ে এসে সকাল-সন্ধ্যায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে দেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধার জনপদ। গত কয়েকদিন ধরে শীত অনেকটাই কমে গিয়েছিল। মাঘের একেবারে শেষ পর্যায়ে গত তিন দিন তীব্র শীতে বিপর্যস্ত মানুষের জীবন। কুয়াশা না থাকলেও হিমেল বাতাসে যেন সকাল-সন্ধ্যায় শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জেলার ছিন্নমূল ও শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুররা। গত তিন দিনে রাস্তাঘাটেও লোকজনের আনাগোনা সীমিত হয়ে পড়েছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই জবুথবু হয়ে কাজে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় গাইবান্ধায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই অবস্থা আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।গোবিন্দগঞ্জ শহরের বসবাস করেন মিতু বেগম, খুব সকালে সন্তানকে নিয়ে যেতে হয় স্কুলে, মিতু বেগম সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, তিন দিন হলো সকালে বাসা থেকে বের হতে কষ্ট হচ্ছে, শীতের কারণে ঠিকঠাক যানবাহনও পাওয়া যায় না, চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় আমাদের।সাঘাটার চর এলাকা থেকে শহরে শাক বিক্রি করতে আসা কুদ্দুস মিয়া সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ভোরে ভ্যানে করে শহরে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রকারের শাক বিক্রি করি। বেলা ১১টার মধ্যে বাড়ি চলে যাই। তবে বেশ কিছু দিন শীত কম ছিল। গত তিন দিন তীব্র শীতের কারণে অধিকাংশ লোক ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বাড়ি যেতে দুপুর হয়ে যাচ্ছে।দিনমজুররা বলেন, এক দিন কাজে না আসলে সংসার চলবে না। তাই ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে এসেছি। আজ অতিরিক্ত ঠান্ডা। হাত-পা ঠান্ডায় অবশ হয়ে আসছে। পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজ করতে বের হয়েছি। শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রিকশাচালক জসিম উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, কয়েকদিন ঠান্ডা কম পড়ছিল। হঠাৎ দুই দিন রাত থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাত-পায়ে কাঁপুনি ধরে গেছে। দিনে রোদের তাপে শীত অনুভূত না হলেও বিকেল থেকে তীব্রতা বাড়ছে শীতের।রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, মাঘ মাস জুড়েই রাত ও সকালে এমন ঠান্ডা থাকতে পারে।এমআর-২

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদেশী পিস্তলসহ আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিদেশী পিস্তলসহ সোহেল রানা (৩৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে ৩টায় পৌরশহরের গোবিন্দনগর এলাকা থেকে অস্ত্রসহ যুবককে আটক করে সদর থানা পুলিশ। আটকৃত যুবক একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ বাজারের ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং-এ কর্মরত রয়েছেন। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ টীম সেই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। বাড়ি তল্লাশির সময়ে তার শয়ন কক্ষে বিছানার নিচ থেকে বিদেশি পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেই নিমিত্তে আমরা তার বাড়ি অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনাকালে তার শয়নকক্ষে বিছানার নিচে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে এটি বিদেশি পিস্তল মনে হয়েছে। একজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এআই
অপারেশন ডেভিল হান্ট: সিংড়ায় গ্রেফতার ২
দেশজুড়ে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে নাটোরের সিংড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত-রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান (বাঘা) (৪৫), তিনি রানীনগর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। অপরজন সিংড়া পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিপন হোসেন (২৫), তিনি নিংগইন গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৮ ও ২০২৩ সালের ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এফএস
প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা, অভিযুক্ত স্বামী আটক
পাবনা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেছে স্ত্রী সাথী খাতুন (১৭) এর। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে স্বামী শাওন ইসলাম (১৯) কে আটক করেছে পুলিশ।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পাবনার পৌর সদরের দিলালপুর টেকনিক্যাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত সাথী খাতুন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাছিমপুর গ্রামের নবিরুল ইসলামের মেয়ে। আর আটকৃত শাওন ইসলাম (১৯) পাবনা পৌরসভার দিলালপুর পুরাতন টেকনিক্যাল এলাকার শরিফ উদ্দিনের ছেলে।পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিকভাবে সাথী ও শাওনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসার জীবনে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। মাঝেমধ্যেই সাথীকে মারপিট কতেন শাওন। তারই জেরে সোমবার সকালে সাথী তাঁর বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বললে দু'জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাওন পেছন থেকে সাথীকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হয়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে শাওনকে আটক করে। সেইসঙ্গে সাথীকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত স্বামী শামওনকে আটক করা হয়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।'এমআর

সিরাজগঞ্জে সংসদীয় আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
সিরাজগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনের পাঁচটি আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।সিরাজগঞ্জ সদর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্ব সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টায় সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম অ্যাকাডেমি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের এক দায়িত্বশীল সভায় প্রার্থী ঘোষণা সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: সংসদীয় আসন-৬২ সিরাজগঞ্জ-১(কাজিপুর ও সদরের ৫ ইউনিয়ন) আসনে জেলা জামায়াতের আমীর, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা শাহীনুর আলম, সংসদীয় আসন-৬৩ সিরাজগঞ্জ-২(সদর ও কামারখন্দ) আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সংসদীয় আসন-৬৫ সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা) আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সংসদীয় আসন-৬৬ সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি,এনায়েতপুর ও চৌহালী) আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ আলী আলম, সংসদীয় আসন-৬৭ সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান। এছাড়া সংসদীয় আসন-৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় জামায়াতের পক্ষ থেকে এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।এমআর

পাবনায় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জাকারিয়া পিন্টুসহ বিএনপির ৩ নেতা
১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৩ বিএনপি নেতা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। এ সময় জেল গেটে নেতাকর্মীদের পদচারণায় ও ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় আনন্দঘন পরিবেশ। মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য দুইজন হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল ও ঈশ্বরদীর যুবদল নেতা মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেখান থেকে তারা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৌঁছালে তিনজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন কারামুক্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু।পরে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জাকারিয়া পিন্টুসহ বিএনপির নেতাদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে। জেলা বিএনপি'র কার্যালয়ে থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাছপাড়া, টেবুনিয়া, দাশুরিয়া হয়ে তাদের নিজ এলাকা ঈশ্বরদী গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কারামুক্ত নেতাদের বিশাল গণসংবর্ধণার আয়োজন করে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি।প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাকারিয়া পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'মামলাটি ছিল সম্পূর্ন ভুয়া মামলা। তৎকালীন আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং এর কারণে সেই গণ্ডগোল হয়েছিল। সেখানে আমরা স্যাবোটাজ হয়ে গেছি যেভাবেই হোক। পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বিএনপির ৫২ জন নেতাকর্মীকে জড়িয়ে মামলাটি করেছিল। পরে সেই মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়েছিল। যাতে ঈশ্বরদীতে বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। আর কারামুক্তির অনুভূতি তিনি তারেক রহমানকে উৎসর্গ করেন।'উল্লেখ্য ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।এ ঘটনায় ওই সময় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।মামলায় তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো স্বাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু সহ স্থানীয় বিএনপির আরও ৯ নেতাসহ ৪৭ জনের সবাইকে খালাসের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জানান, 'খালাসপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ৩০ জন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার আগে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাবনা কারাগারে ছিলেন জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন। তারা সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পান। এছাড়া রাজশাহী ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে থাকা বাকি নেতারা মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাবেন।'

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার শেরপুরে ডেভিল হান্ট অভিযানে গুয়াগাছি এলাকা থেকে উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম আইয়ুব খান (৫৭) ও খামারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গত ১৫ নভেম্বর শেরপুর থানায় দায়ের করা জিআর মামলার (৩১৮/২০২৪) রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আশরাফুল আলম আইয়ুব খানকে তাঁর নিজ বাড়ি ও রফিকুল ইসলামকে গাড়িদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রানা ও আমিনুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চাঁদাবাজি,জুলুম-লুটপাটের ফল আ.লীগ পেয়েছে: আনিসুল হক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের তাহিরপুর বাজারে বিশাল কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-সাধারণ সম্পাদক,সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হক।তিনি বলেন, দলের পরিচয় দিয়ে কেউ চাঁদাবাজি,জুলুম লুটপাট করবেন না। এর ফল আওয়ামীলীগ পেয়েছে পরিনতি দেখেছেন।তাই আমরা ছোট খাট সোনা,হিরার টুকরার দিকে ছুটবো না। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবো তাহলে মানুষ ভালবাসবে। বিএনপি শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান মানুষের অধিকার আদায়ের জন পরিশ্রম করেছে যার জন্য মানুষ বিএনপিকে চায়। আরযত ক্ষন ভোটের অধিকার প্রয়োগ না করতে পারেন ততক্ষণ রাজ পথে থাকার জন্য জনাব তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য অন্তবর্তি সরকার যেন একটি ভোটের নির্বাচনের জন্য একটি রোড ম্যাপ তৈরি করে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে এই অন্তবর্তি সরকার কে। নির্বাচনী রোড ম্যাপে যদি ভোটের অধিকার প্রয়োগ সুযোগ আসে তাহলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনরা আপনাদের অধিকারের ভোট বিএনপিকে,জনাব তারেক রহমানের পক্ষে ধানের শীষের পক্ষে এই অঞ্চলের বিএনপির প্রতিনিধি পক্ষে প্রদান করবেন এবং সারা দেশে ভোটের মাধ্যমে বিএনপি তথা তারেক রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলে কাউকে আর পিছিয়ে থাকতে হবে না। সবাই সমান অধিকার পাবেন। বৈষম্য থাকবে না। উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল কালামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন রশীদ,জেলা বিএনপি সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক রাখাব উদ্দিন,জেলা বিএনপি সাবেক তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ভাষ্কর রায়,বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম সিকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম নাসের উজ্জ্বল,সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাদল মিয়া,উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান সংগ্রাম,উপজেলা যুবদল আহবায়ক এনামুল হক এনাম,সদস্য সচিব আবু সায়েম,উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক শাহিন আলম মেম্বার,সদস্য সচিব ডাঃ হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা বিএনপি,যুবদল,কৃষকদলসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।উপজেলা কৃষকদের আহবায়ক ও সদস্য সচিব জানান,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে তিন মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসাবে সমাবেশ কে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় কৃষকদের নেতা কর্মীগন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের মধ্যে দিয়ে ৭টি ইউনিয়নের কৃষক সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে।এমআর
শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী সালমান আটক
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে খুনসহ ডাকাতির ক্লুলেস মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সালমান উদ্দিনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। সে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য দেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল। এর আগে প্রাপ্ত গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শিমূলতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে খুনসহ ডাকাতি মামলার অন্যতম পলাতক আসামি সালমান উদ্দিন গ্রেফতার হয়। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়- রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বড়চর তালুগড়াই এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ফার্দিন-মার্দিন হোটেলে চা পান করার উদ্দেশ্যে যান। চা পান শেষে ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে হঠাৎ রাস্তার পাশে থাকা ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত লোহার রড ও রামদা দিয়ে ভিকটিমকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য আহত অবস্থায় দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মহসিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই মোঃ তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে মামলার পলাতক আসামী সালমান উদ্দিনকে আটক করা হয়।এমআর

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রিয়াদ সেনাবাহিনীর হাতে আটক
শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী পলাতক আসামি কামরুজ্জামান আল রিয়াদকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি। এছাড়া সে উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ছিল। রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ বলেন- শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় আসামি রিয়াদকে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। এর আগে মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল মো. সাইদুল ইসলাম (ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ) এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন আরাফি তাজওয়ার আমিন ১৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধীকারী ও ছাত্রদের উপর হামলাকারী পলাতক আসামি রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিয়াদ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪নং মামলার ৬৮ নম্বর আসামি। এআই

ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে আনন্দ ভ্রমণে আসা ১৫ জন আহত
শায়েস্তাগঞ্জে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে আনন্দ ভ্রমণে আসা ১৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং ব্রিজ এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক বলেন- সিলেট থেকে কুমিল্লাগামী ইউনিক পরিবহনের বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাস উদ্ধার করা গেলেও ট্রাক পাওয়া যায়নি। ওসি জানান- যাত্রীরা শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে নারায়নপুর দাখিল মাদ্রাসা কুমিল্লা থেকে সিলেট জাফলং ভ্রমণ আসেন। ভ্রমণ শেষে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে শায়েস্তাগঞ্জে এসে দুর্ঘটনার শিকার হন। ১৩ ইবি মাধবপুর আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার হুমায়ুন টল চলাকালীন সময়ে দুর্ঘটনার বিষয়টি নজরে আসে। তাৎক্ষণিক তিনিসহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ মিলে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এআই

সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
সুনামগঞ্জে বাসের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছে। শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার আহসানমারা সেতু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘাতক বাসটি আটক করেছে এলাকাবাসী।নিহতরা হলেন সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফিরিজ আলীর ছেলে আলীনূর (৩৩) ও গোলাপ মিয়ার ছেলে জমির হোসেন (৩০)। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।নিহতদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট বিশ্বনাথ এলাকার ইশবপুর সাহেব বাড়ীর উরস মাফহিল থেকে সিএনজিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ৫ যুবক। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের শান্তিগঞ্জ আহসান মারা সেতু এলাকায় পৌঁছালে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজির চালকসহ ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আলীনূর ও জমির হোসেন নামের দুই যুবকের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত তিন জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে রেফার করেন কর্তব্যরত ডাক্তার।শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকরাম আলী বলেন, সকালে বাস সিএনজি ও মুখোমুখি সংঘর্ষ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে ময়নাতদন্তের শেষে হস্তান্তর করা হবে। এমআর-২
অনলাইন ভোট

সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আপনি কি তার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রেমিকার
পালিয়ে সংসার আর করা হল না যুবতীর। প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে গিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় এক যুবতীর মৃত্যু ঘটল। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে আসামের ধেমাজি জেলার শিলাপাথরে। মৃত যুবতী হলেন জনমণি মেদক।জানা যায়, শচীন দলের সঙ্গে জনমণির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ দুর্ঘটনায় প্রেমিক শচীন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি। এ নিয়ে পরিবারের মাঝে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

জানুয়ারিতে গাজায় ৭ ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে আইডিএফ
গত মাসেই গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে সাতজন সাংবাদিককে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট (পিজেএস)। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট (পিজেএস) অভিযোগ জানায় যে ইসরায়েলি বাহিনী টার্গেট করে গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যা করছে।নিহত সাতজন সাংবাদিকরা হলেন, ওমর আল-দিরাউই, সাইদ আবু নাভান, আহলাম আল-তালুলি, মোহাম্মদ বশির আল-তালামিস, আকেল সালেহ, আহমেদ আল-শিয়াহ এবং আহমেদ হিশাম আবু আল-রুস।পিজেএস জানিয়েছে যে ইসরায়েলি বাহিনী জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের পরিবারের নয়জন সদস্যকে হত্যা করেছে এবং তাদের মধ্যে ছয়জনের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে।গাজার ওপর ইসরায়েলের যুদ্ধ গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে ১৫ মাস ধরে ২শ’ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি জানিয়েছে যে অনেক সাংবাদিককে লক্ষ্যবস্তু হামলায় হত্যা করা হয়েছে।এবি

হজে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল সৌদি আরব
এ বছর হজে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। শিশুদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে এবং হজ পালনের সময় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া থেকে সুরক্ষা দিতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। খবর গালফ নিউজমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজে যেতে শিশুদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর। গত বছর শিশুদের জন্য সর্বনিম্ন এই বয়স নির্ধারণ করে দেয় সৌদি সরকার।এছাড়া যারা আগে হজ করতে পারেননি তাদের এবারের হজে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর মাধ্যমে সুবিচার ও হজের পুনরাবৃত্তি কমিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।এবারের হজ মৌসুমের জন্য নিবন্ধন করতে নুসুক অ্যাপ এবং অফিশিয়াল অনলাইন পোর্টালের মাধ্যম সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। হজযাত্রীদের তথ্য যাচাই, সঙ্গী যুক্ত করা এবং কোনো ছাড়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজযাত্রীদের তাদের পছন্দের প্যাকেজ নিয়ে ই-ওয়ালেট টপ আপ নিশ্চিত করতে হবে। তারপর তাদের নির্বাচন চূড়ান্ত করতে হবে। দেশীয় হজযাত্রীরা এখন তাদের হজ প্যাকেজের জন্য তিনটি কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। প্রথম কিস্তি, যা প্যাকেজের খরচের ২০ শতাংশ, বুকিং করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তি—প্রতিটির পরিমাণ প্যাকেজের মোট খরচের ৪০ শতাংশ—যথাক্রমে রমজান ২০ এবং শাওয়াল ২০ তারিখে পরিশোধ করতে হবে।মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চূড়ান্ত কিস্তি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত একটি বুকিং নিশ্চিত হবে না এবং প্রতিটি আংশিক পরিশোধের জন্য রসিদ দেওয়া হবে।এবি

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩১ মাওবাদী নিহত
ভারতের মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩১ মাওবাদী নিহত হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিজাপুর জেলার ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আরও প্রাণ হারিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য। চলতি বছরে দেশটির সবচেয়ে বড় এনকাউন্টারের ঘটনা এটি। গোপন সূত্রের বরাতে সেখানে অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। জেলা রিজার্ভ গ্রুপ, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও বাস্তার ফাইটার ফোর্সের নিরাপত্তা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর হাতে নাস্তানাবুদ হয় মাওবাদীরা। অভিযানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ অনেক গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।ছত্তিশগড়ের বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) পি সুন্দররাজ বলেন, এনকাউন্টারে নিহত একজন সেনা ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদীবিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) রাজ্যস্তরের সদস্য ছিলেন।এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, নকশালমুক্ত ভারত অর্জনের পথে এটি বড় সাফল্য। গত বছর তিনি ২০২৬ সালের মধ্যেই মাওবাদী বিদ্রোহ দমন করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেন, দেশ তথা রাজ্য থেকে সমূলে নকশালদের উৎখাত করতে হবে।জানুয়ারির শুরুতেও বিজাপুরের একটি আইইডি বিস্ফোরণে আটজন নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন বেসামরিক চালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সেখানে শুরু হওয়া মাওবাদী বিরোধী অভিযান। ৩১ জানুয়ারির সেই অভিযানে প্রাণ হারায় আটজন মাওবাদী।উল্লেখ্য, ভারতীয় সৈন্যরা ১৯৬৭ সাল থেকে মাওবাদীদের সাথে লড়াই করে আসছে। দেশটির সরকারি নথি অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে গত বছর ২৮৭ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ছত্তিশগড়ের। বিদ্রোহীদের দাবি, প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য তারা লড়াই করছেন।এবি
বিয়েতে নাচতে নাচতে হার্ট অ্যাটাক করে তরুণীর মৃত্যু
খুশির দিনে নেমে এল শোকের অন্ধকার। বিয়েতে নাচতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবতীর। পরিণীতা ইন্দোরের বাসিন্দা। তিনি খুড়তুতো দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশার ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসা ওই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, যে ‘হলদি’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নাচছিলেন তিনি। সেই সময় ২০০ জনের বেশি অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার একটি রিসোর্টে। ওই যুবতীর নাম পরিণীতা জৈন (২৩)। জানা গিয়েছে, এক আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচার সময় আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরিণীতা। তখন সকলে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।জানা গিয়েছে, পরিণীতা ইন্দোরের বাসিন্দা। তিনি খুড়তুতো দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশার ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসা ওই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, যে ‘হলদি’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নাচছিলেন তিনি। সেই সময় ২০০ জনের বেশি অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। পরিণীতা তখন ‘লেহরা কে বলখা কে’ নামে একটি বলিউড গানের তালে নাচছিলেন। তখন তিনি হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থলে শোরগোল পড়ে যায়। তখন পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছে ছুটে আসে। ওই অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁকে সিপিআর দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারে শোকের ছায়া নামে। জানা গিয়েছে, পরিণীতা এমবিএ স্নাতক ছিলেন। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ইন্দোরের দক্ষিণ তুকোগঞ্জে থাকতেন।উল্লেখ্য, ১২ বছর বয়সে তাঁর ভাইও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। তবে, মধ্যপ্রদেশে নাচতে গিয়ে হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে, আগর মালওয়া জেলায় ক্রিকেট খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। একইভাবে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি যোগব্যায়াম অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে নাচতে নাচতে ৭৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।জুন মাসে আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তর প্রদেশের নৈনিতাল জেলায় বিয়ের আগে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন দিল্লির ২৮ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয়। অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে তিনি হৃদরোগে মারা গিয়েছিলেন।এর আগে, ২০২৩ সালে বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতেই মৃত্যু হয়েছিল যুবকের। জানা গিয়েছিল, মৃত যুবকের নাম মুত্যম সে তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার কুভীর মণ্ডলের পরদি নামক একটি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ গান করে বেশ আনন্দ করছিল ১৯ বছর বয়সের ছেলেটা। আনন্দে আত্মহারা হয়ে শার্টের সামনের বোতাম খুলে গানের তালে তালে নাচছিল সে। ভেতরের গেঞ্জি দেখিয়ে বলিউড তারকার মতো কোমর দোলাচ্ছিল সে। তবে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেই যুবক।সঙ্গে সঙ্গে ভাইঁসাতে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালেই কলেজ ফেস্টে নাচতে নাচতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মাস্টার্সের এক ছাত্র। মৃত ছাত্রের নাম, অভিজিৎ শিন্ডে। তাঁর বয়স ২৬ বছর। অভিজিৎ মহারাষ্ট্রে নাসিকের বাসিন্দা। সে বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এভাবে এক ছাত্রের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার। এর আগে হায়দরাবাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকা মৃত্যু হয়েছিল এক পুলিশকর্মীর। জিম করতে গিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়।এবি
লিবিয়ায় গণকবর থেকে প্রায় অর্ধশত অভিবাসী-শরণার্থীর লাশ উদ্ধার
লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে অন্তত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের যারা দেশটির মধ্য দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন এগুলো তাদের মরদেহ।রোববার দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব দিকের কুফরা শহরের একটি খামারের গণকবর থেকে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশের দেহাবশেষ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। কুফরার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদিল বলেন, কর্তৃপক্ষগুলো শহরটির একটি বন্দিশিবিরে অভিযান চালালে সেখানে আরও একটি গণকবর পাওয়া যায়। এই কবর থেকে অন্তত ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এই কর্মকর্তা বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, এই গণকবরে প্রায় ৭০ ব্যক্তিকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ গণকবরটিতে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। পূর্ব ও দক্ষিণ লিবিয়ায় অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের সহায়তাদানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠান আল-আবরিন বলেছে, গণকবরে যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাদের কাউকে কাউকে মাটিচাপা দেয়ার আগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।লিবিয়াতে গণকবর শনাক্তের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণের শুয়ারিফ অঞ্চলের একটি গণকবর থেকে অন্তত ৬৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মূলত আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ লিবিয়াকে বেছে নেন। তাদের নানা ধরনের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। অঞ্চলটির চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়াসহ ছয়টি দেশের সীমান্ত জুড়ে এক দশকেরও বেশি ধরে অস্থিতিশীলতা, অভিবাসন এবং শরণার্থী প্রত্যাশীদের পাচার থেকে তারা বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।মানবাধিকার গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো লিবিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের শিকার শরণার্থী প্রত্যাশীদের ওপর নির্যাতন নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সাগর থেকে যাদের আটক করে লিবিয়ায় ফিরিয়ে দেয়া হয় তাদের সরকার পরিচালিত বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়। সেখানে তারা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন।এমআর
হজযাত্রীদের সাথে শিশু সঙ্গী নিষিদ্ধ করলো সৌদি
চলতি বছর হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের সঙ্গী হিসেবে নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব সরকার। এ বিষয়ে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।প্রতিবছর তীব্র ভিড়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ঝুঁকি থেকে শিশুদের সুরক্ষা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । শিশুদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিতএবং হজযাত্রীদের সময় তাদের যেকোনও ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এড়াতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সৌদির এই মন্ত্রণালয় জানিয়েছে , চলতি বছর হজে অংশগ্রহণের জন্য তাদের সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যারা এর আগে পবিত্র হজপালন করেননি।চলতি বছরের হজের নিবন্ধন নুসুক অ্যাপ এবং সৌদি আরবের সরকারি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে করতে হবে । ইতোমধ্যে সৌদিনাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুটি মাধ্যমে নিবন্ধন চালু করা হয়েছে। হজযাত্রীদের তথ্য যাচাই-বাছাই, সঙ্গীদের যুক্ত করা এবং মাহরাম পরিবর্তনের অনুরোধ অনলাইনে অথবা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে জমাদিতে হবে।এদিকে, হজ প্যাকেজ বিক্রয়ের আগে নিজেদের প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। যদিও ইতোমধ্যে নুসুকপ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।এমআর
কাতারে অবৈধদের সাধারণ ক্ষমা শুরু
কাতারে অবৈধদের জন্য আজ থেকে আগামী ৩ মাসের জন্য জেল-জরিমানা ছাড়াই দেশ ত্যাগের বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Moi)। কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে। যারা কাতারের আবাসন আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং যাদের আইডি বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা এই সুযোগের মাধ্যমে জেল বা জরিমানা ছাড়াই কাতার ত্যাগ করতে পারবে। এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে তিন মাস পর্যন্ত চলবে।এমআর
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করল পাকিস্তান
সরকারি চাকরিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা বাতিল করেছে পাকিস্তান সরকার। মূলত চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের কোনও ধরনের পরীক্ষা বা প্রতিযোগিতা ছাড়াই চাকরি পাওয়ার যে বিধান দেশটিতে এতোদিন ছিল সেটা বাতিল করা হয়েছে।শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।সংস্থাটি বলছে, চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া সরকারি কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার সুবিধা বাতিল করেছে সরকার। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সংস্থাপন বিভাগ। সংস্থাপন বিভাগের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি পাওয়ার এই সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।তবে মৃত কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা এখনও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্যাকেজের অধীনে অন্যান্য সুবিধার জন্য যোগ্য হবেন। স্মারকলিপিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের জন্য এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আগে সম্পন্ন করা নিয়োগগুলোও এই রায়ের কারণে প্রভাবিত হবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গত বছর, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরির কোটা প্রকল্পকে বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করার রায় দেয়। অতীতে এই প্রকল্পের অধীনে কোনও মৃত কর্মচারীর বিধবা স্ত্রী বা স্বামী বা চিকিৎসাগতভাবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর সন্তানকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা বা যোগ্যতা-ভিত্তিক নির্বাচনী পরীক্ষার প্রয়োজন ছাড়াই কোনও একটি সরকারি পদে নিয়োগ করা হতো।রায়ে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত উল্লেখ করে, এই ধরনের প্রকল্পটি নিম্ন-গ্রেডের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে বৈষম্যমূলক। আদেশে বলা হয়, “এই চাকরিগুলো বংশগত নয় বা করা যাবে না।”আদালত আরও বলেছিল, যে কোনও নীতি বা আইন যদি সাংবিধানিক নীতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তা বিচারিক পর্যালোচনার বিষয় হবে। ফেডারেল এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য করে এই আইনগুলো প্রত্যাহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।এবি
গুলশানে বিলাসবহুল ভবনের বাসিন্দার তালিকাভুক্ত ছিলেন টিউলিপ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি বিলাসবহুল ১০ তলা ভবনের বাসিন্দা হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম তালিকাভুক্ত ছিল। তার পরিবারের নামে ভবনটির নামকরণ হয়। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি)। তার খালা শেখ হাসিনা।ঢাকার কর্মকর্তাদের ধারণা, ২০১৪ সালে টিউলিপের ‘স্থায়ী ঠিকানা’ ছিল ‘সিদ্দিকস’ নামে ঢাকার এই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর ছিলেন।অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটির অবস্থান ঢাকার গুলশানে। এই এলাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের পাশাপাশি বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।আদালতের নথিপত্র বা সংবাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, এ নিয়ে বাংলাদেশে টিউলিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চম সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেল।
বিনোদন
সব দেখুন
'এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়' তাহসান খানের বিয়ে প্রসঙ্গে মিথিলা
চলতি বছরের শুরুতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। মেকওভার শিল্পী রোজা আহমেদকে বিয়ে করেছেন তিনি।রোজাকে বিয়ের আগে অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য ছিল তাহসানের। ২০১৭ সালে তাদের সেই সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা। অন্যদিকে মিথিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্কে জড়াননি তাহসান। তবে ২০২৫ সালের শুরুতেই নিজের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর খবর প্রকাশ্যে আনেন।প্রাক্তনের বিয়ের পর মিথিলার প্রতিক্রিয়া কি ছিল, সেটা জানতে ব্যাপক আগ্রহী ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তাহসানের বিয়ে নিয়ে শুরু থেকেই নীরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। এমনকি সাবেক স্বামীর প্রতি কোনো শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠাননি তিনি।তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাহসানের বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন মিথিলা। যেখানে তিনি বলেন, 'বিয়ে নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই। এটা নিয়ে কথা বলতেও চাই না। এটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, এটা আমারও কোনো ব্যক্তিগত বিষয় না যে আমি কথা বলবো। যার জীবনের ঘটনা, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে আমার কিছুই বলার থাকতে পারে না।' এর আগে মিথিলা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাহসানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। অভিনেত্রী মনে করেন, সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সর্বাগ্রে।অভিনেত্রীর কথায়, 'আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই তাহসানের সঙ্গে এখনো আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। আমাদের প্রায়সই কথা হয় মেয়েকে নিয়ে।'

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাওন ও সাবাকে ছেড়ে দিলো পুলিশ
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।শুক্রবার বিকেল ৪টায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি কার্যালয় থেকে আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে শাওনের নাম উঠে আসে। এরপর তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই অভিনেত্রীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেদের হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শাওনকে একটি মাইক্রোবাসে সরাসরি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।এর আগে এদিন সন্ধ্যায় এই অভিনেত্রীর জামালপুরে নরুন্দি রেলওয়ে সংলগ্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এরপর শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সোহানা সাবাকে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।ডিবি সূত্রে জানা যায়, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা নজরদারিতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।এফএস

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি থেকে তাকে আটক করা হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের (গোয়েন্দা) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা আমাদের নজরদারিতে ছিলেন। তাকে কিছু সময় আগে আমাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটক হন মেহের আফরোজ শাওন। তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার
রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আরও পড়ুন- মেহের আফরোজ শাওনের বাড়িতে ভাঙচুর-আগ্নিসংযোগ বিক্ষুব্ধ ছাত্র জানতার ডিবিপ্রধান বলেন, ডিবি হেফাজতে তাকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগামীকাল তাকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।এফএস/এমআরআই
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২ শত মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এলপিডা জিআর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা জাহাজে রক্ষিত গমের মধ্যে ৩০ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। ইমদাদ ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসব বিশেষ লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক।ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।এতে আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান।চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।দুদকের আবেদনে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেইফ ডিপোজিট খোলার আবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।এবি

এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল ১৯ টাকা
চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।এবি

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে তিন দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে এটি রেকর্ড।আজ শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।দাম বাড়ার ফলে প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকায় বিক্রি হবে।তবে স্বর্ণেরর দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকবে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১১১ টাকা ওসনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। যা পরের ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এফএস

করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়তে পারে আরও ১৫ দিন
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগ। তবে নির্ধারিত এই সময়ের পরও সারাবছরই জমা দেয়া যাবে রিটার্ন। যার জন্য গুণতে হবে বাড়তি জরিমানা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগের অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে ৪০ লাখের বেশি। চলতি অর্থবছরে যার প্রত্যাশা ছিল অন্তত ৫০ লাখ। কিন্তু গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়ে ৩৪ লাখের কাছাকাছি। তাই এনবিআরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সায় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ও।প্রত্যাশিত রিটার্ন জমা না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও। রয়েছে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জটিলতাও।এবি

দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাবেন: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকেরা জমা টাকা ফেরত পাবেন। আমরা আপনাদের টাকা উদ্ধার করব। একটু সময় দিতে হবে। এখনই পারা যাবে না, আমরা ধাপে ধাপে করবো, রেজুলেশন অ্যাক্টে যাচ্ছি। তবে সে জন্য সময় দিতে হবে। ধাপে ধাপে আপনাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ পরিস্থিতি নিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুল কাদের।অনুষ্ঠানের শেষের দিকে উপস্থিত একজন গভর্নরের কাছে জানতে চান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর কী হবে? সেখানে তাঁরা যে টাকা রেখেছেন, তা ফেরত পাওয়া যাবে কি না?জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গত ১০ বছর আগে থেকে বলে আসছি এস আলমের ব্যাংকে আপনারা টাকা রাখবেন না। কিন্তু আপনারা টাকা রেখেছেন। তারা ২ শতাংশ সুদ বেশি দিয়েছে, আপনারা সেখানেই টাকা রেখেছেন, এখন ধরা খেয়েছেন।’আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘এখন আমরা আপনাদের উদ্ধার করব; কিন্তু এখনই সেটি পারা যাবে না। আমরা ধাপে ধাপে করব; সে জন্য সময় দিতে হবে। আমরা ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্টের দিকে যাচ্ছি, কিছু ব্যাংক একীভূত করতে হবে। অনেক কিছু করা যাবে, করা হবে। এ বছরই হয়তো অনেক কিছু করা হবে। এতটুকু বলতে পারি, আপনারা টাকা পান আর বন্ড পান, কিছু একটা পাবেন।’আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক বলেন, ‘বড় বড় বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে এবং তাদের মধ্য থেকে বড় বড় খেলাপি হচ্ছে। তাদের জন্য আমরা হয়রান হচ্ছি। সে তুলনায় ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা অনেক ভালো আছে।’টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ কতটা ভূমিকা রাখছে, তা পর্যালোচনার পরামর্শ দেন পিকেএসএফের এমডি মো. ফজলুল কাদের। তিনি বলেন, বর্তমানে দাবি করা হয় ৬ কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা আছেন। তবে একজনের একাধিক হিসাব সমন্বয় করলে এই সংখ্যা কমে যাবে। তাঁর মতে, এটি তিন কোটির বেশি হবে না। সে ক্ষেত্রে আনসাসটেইনেবল ঋণ বাড়ছে কি না, তা দেখতে হবে।ফজলুল কাদের আরও বলেন, সরকারের ২২টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলোর প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।এ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের ২২টা মন্ত্রণালয়ে যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চলছে, তার যৌক্তিকতা আছে কি না, সেটা দেখা প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, সরকারের এ ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।এমআরএ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণের মধ্যে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণ ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক থেকে ৯৭ হাজার কোটি টাকার আমানত তুলেছে। এর মধ্যে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করেছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ এএমআরএ সনদপ্রাপ্ত ৭২৪টি প্রতিষ্ঠানের ২৬ হাজারের বেশি শাখা রয়েছে বলে জানানো হয়।এবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলছে আজ
বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, রিজার্ভের অর্থ তছরুপ ও সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে তার সম্পদ পরীক্ষা করতে চায় সংস্থাটি।রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে, আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে। পরে তা আদালতকে জানানো হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধারের পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে লকার খোলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ চান দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাক।দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। সংস্থার আতশি কাচে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস, পরিচালক ইমাম আবু সাঈদ, পরিচালক (এফপিআইবি) সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রউফ, মঞ্জুর হোসেন খান, মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, জোবায়ের হোসেন, নিক তালুকদার, রুবেল চৌধুরী, লেলিন আজাদ পলাশ, উপমহাব্যবস্থাপক তরুণ কান্তি ঘোষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, পদস্থ কর্মকর্তা এ বি এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক হামিদুল আলম সখা, সহকারী পরিচালক মো. কাদের ও সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।দুদকের তালিকায় সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, খুরশিদ আলম, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, সাবেক উপপরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্ত) সিকদার লিয়াকত ছাড়াও বিএফআইইউর তিন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই যুগ্ম পরিচালক ও এক উপপরিচালক রয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, সেসব আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০০৬ সাল থেকে যেসব কর্মকর্তা বিএফআইইউতে কর্মরত ছিলেন বা এখনও আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, প্রতারণার মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে টাকা আত্মসাৎ, রিজার্ভের অর্থে গঠিত তহবিল তছরুপের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। ফলে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে লকার রয়েছে, তারা চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।এবি

আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২ শত মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এলপিডা জিআর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা জাহাজে রক্ষিত গমের মধ্যে ৩০ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। ইমদাদ ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসব বিশেষ লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক।ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।এতে আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান।চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।দুদকের আবেদনে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেইফ ডিপোজিট খোলার আবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।এবি

এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল ১৯ টাকা
চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।এবি

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে তিন দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে এটি রেকর্ড।আজ শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।দাম বাড়ার ফলে প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকায় বিক্রি হবে।তবে স্বর্ণেরর দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকবে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১১১ টাকা ওসনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। যা পরের ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এফএস

করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়তে পারে আরও ১৫ দিন
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগ। তবে নির্ধারিত এই সময়ের পরও সারাবছরই জমা দেয়া যাবে রিটার্ন। যার জন্য গুণতে হবে বাড়তি জরিমানা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগের অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে ৪০ লাখের বেশি। চলতি অর্থবছরে যার প্রত্যাশা ছিল অন্তত ৫০ লাখ। কিন্তু গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়ে ৩৪ লাখের কাছাকাছি। তাই এনবিআরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সায় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ও।প্রত্যাশিত রিটার্ন জমা না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও। রয়েছে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জটিলতাও।এবি
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
চতুর্থ কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়নে বাকৃবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ফেব্রুয়ারি
কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও জীবাশ্মসম্পদের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে দেশে প্রথমবার আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে "ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং"শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ছয়টি টেকনিক্যাল সেশন, একটি ব্যবসায়িক সেশন ও দুটি পোস্টার সেশনে মোট ১৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এছাড়াও একটি কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কৃষিবিষয়ক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করা হবে। দেশের বৃহত্তম আটটি কৃষি-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অংশ নেবে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কৃষি গবেষক ও প্রযুক্তিবিদরা কৃষি প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করবেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে "আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও জীবাশ্মসম্পদের দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়ন"। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল। বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএএমবিই) এবং বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। দেশি-বিদেশি কৃষি প্রকৌশলী, উদ্যোক্তা ও কৃষকসহ মোট তিন শতাধিক অংশগ্রহণকারী এতে অংশ নেবেন। দেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও জীবাশ্মসম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়ে অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল আরো জানান, বর্তমান বিশ্বে কৃষি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে । আধুনিক যন্ত্রপাতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, আইওটি, জিপিএস ও জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষির উৎপাদনশীলতা যেমন বাড়ছে, তেমনি শ্রম ও ব্যয়ের পরিমাণ কমে আসছে। তবে এসব প্রযুক্তি কীভাবে দেশের কৃষি ব্যবস্থায় কার্যকরভাবে একীভূত করা যাবে, কীভাবে কৃষকরা এর সুবিধা পাবেন এবং কীভাবে এটি কৃষিকে আরও লাভজনক করে তুলবে- এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, সম্মেলনে বাংলাদেশের কৃষি প্রকৌশলীরা কীভাবে কৃষির টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এবং সরকার, নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী ও কৃষকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কীভাবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে লাভজনক করা যায়- এসব বিষয় নিয়ে সরকারি পর্যায় থেকে প্রান্তিক কৃষক পর্যন্ত সকলের মতামত নেওয়া হবে । দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, নীতিনির্ধারক ও উদ্যোক্তাদের উপস্থিতিতে এই সম্মেলন হবে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান আদান-প্রদানের এক বিশাল ক্ষেত্র।কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুল মজিদ,আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক-ই-রব্বানী, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. টুম্পা রাণী সরকারসহ আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।আয়োজকবৃন্দ আরও জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ কৃষি বিপ্লবের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও জীবাশ্মসম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সম্মেলনে যেসকল সুপারিশ উঠে আসবে সেগুলো নিয়ে পরবর্তীতে কাজ করবে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএএমবিই)। দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে এই সুপারিশগুলো লিখিত আকারে প্রদান করা হবে। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হলো আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির সমস্যা, সমাধান ও উন্নয়নের সকল তথ্য কৃষির সকল পর্যায়ের ব্যক্তবর্গের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।এমআর

ঢাকা কলেজ 'শহীদ রুমী সংসদের' নেতৃত্বে সাবাব ও ফাহিম
ঢাকা কলেজে ‘শহীদ রুমী সংসদ’-এর ৫৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে ‘শহীদ রুমী সংসদ’-এর ২য় কার্যনির্বাহী কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ রুমী সংসদ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যনির্বাহী কমিটির সমন্বয়ক মশিউর রহমান-এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আনোয়ার মাহমুদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ওবায়দুল হক, শহীদ রুমী সংসদের উপদেষ্টা ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য এবং নবনির্বাচিত কার্যনিবাহী কমিটি ঘোষণা করেন ঢাকা কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ ও শহীদ রুমী সংসদের উপদেষ্টা অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। বক্তারা আলোচনা সভায় শহীদ রুমী সংসদের ২য় কার্যনির্বাহী কমিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে শহীদ রুমীসহ বীর মনীষীদের জীবন চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নৈতিকতার অবক্ষয়ের অন্ধকারে আলোর মশাল তুলে ধরার কার্যক্রম পরিচালনা করে আরো সক্রিয়ভাবে ভূমিকার রাখার আহ্বান করেছেন।নবনির্বাচিত কমিটি- সভাপতি: নাহিয়ান শাবাব, সহ-সভাপতি (প্রশাসন): মেহেদী হাসান মন্টি, সহ-সভাপতি (সাংস্কৃতিক): শাহেদুল ইসলাম ভূঁইয়া ঈমন, সহ-সভাপতি (সামাজিক): শাহজালাল সুজন, সহ-সভাপতি (কর্মশালা): মাহমুদুল হাসান অর্নব, সাধারণ সম্পাদক: খন্দকার ফাহিম সহ-সাধারণ সম্পাদক: সুদীপ্ত দাস গুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক: আসিফ আহম্মেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: শাহাদাত রনি, দপ্তর সম্পাদক: রেজওয়ান হাসান রাশা, উপ-দপ্তর সম্পাদক: আরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক: রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সহ-অর্থ সম্পাদক: আসিফ আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: শুভ্র দেব, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান ঈমন,উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: তানভীর মাহাতাব নাভিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: জয়ন্ত সরকার, সহ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: অনন্ত দে অপু, সহ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক : সোহানুর রহমান সোহান, সহ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক : রাতুল হাসান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: মুজিব ফরায়েজি, উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: তাহমিদুল হাসান মাছুম, উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: মঈনউদ্দীন, পাঠআড্ডা বিষয়ক সম্পাদক: আবু বকর, সহ পাঠআড্ডা বিষয়ক সম্পাদক: অমিত চাকমা, সহ পাঠআড্ডা বিষয়ক সম্পাদক: সুদেব দাস টুটুল, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক: নিয়াজ মোর্শেদ,সহ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক: ইয়ামিন ইসলাম, সাহিত্য বিষয় সম্পাদক: আরিফ হোসেন, উপ-সাহিত্য বিষয় সম্পাদক: মুহাম্মদ হুজাইফা, আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক: রবিউল ইসলাম রবি, সহ আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক: মুরাদ হোসেন,সহ আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক: শায়হাম রহমান শান্ত, বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক: শিহাব মুন্সি, সহ বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক: ইফতেকার ঈমন, সহ বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক: নসিব হাসান, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক: মো. রাসেল মিয়া, সহ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক: মো. আসিফ,সহ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক: মলয় রায়, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক: আশরাফুল মামুন জারিফ, সহ নাট্য বিষয়ক সম্পাদক: ফয়সাল আহমেদ, সহ নাট্য বিষয়ক সম্পাদক: অনিক বিশ্বাস, ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবী বিষয়ক সম্পাদক: সোহাগ আহমেদ, সহ ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবী বিষয়ক সম্পাদক: নাঈম ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: জাহিদুল ইসলাম, সহ সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক: নূর আস সাদিকসদস্য: কাউসার আহমেদ, জয়রুপ মজুমদার, আল হেলাল রিজু, সাবের হোসেন, মো. পারভেজ, সাজিদুল ইসলাম, অর্পন সরকার, মনিরুল ইসলাম, নহিয়ান আলম চৌধুরী, সুবোধ জ্যোতি চাকমা, অংকন চন্দ্র দাস, দীপ্ত কান্তি দাস, মেহেদী হাসান।এমআর

রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই যুগ পূর্তি উৎসব ২২ ফেব্রুয়ারি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্ট ইউনিটি'র (রুরু) দুই যুগ পূর্তি উৎসব আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্ট ইউনিটি'র (রুরু) দুই যুগ পূর্তি উৎসব আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবটি তিনিটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে সকাল ৯টায় কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবনে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে কেক কেটে বেলুন-পায়রা উড়িয় দুই যুগ পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। এরপরে এক আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবেন সংগঠনটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ।দ্বিতীয়ধাপে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে অবস্থিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিসিডিসি) গ্যালারিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক থাকবেন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন।তৃতীয় ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা মুক্তমঞ্ছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতিক সন্ধ্যায় র্যাফল ড্র, স্মৃতিচারণসহ থাকবে সুনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ও মিউজিক ব্যান্ডের পরিবেশনা।জানতে চাইলে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লাবু হক বলেন, দুই যুগ মানে একটি মাইলফলক। রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সেই মাইলফলকে এখন। দুই যুগ সন্ধিক্ষণের এই মুহুর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই মূলত এই আয়োজন। এই আয়োজনে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রথম প্রকাশনা 'দ্বিযুগবার্তা'র মোড়ক উন্মোচনসহ সংগঠনটির বর্ষ সেরা সংবাদকর্মীদের পুরষ্কৃত করা হবে৷ এছাড়া বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা এই আয়োজনে আলোচনা করবেন, যা সংগঠনটির সদস্যদের প্রেরণা জোগাবে। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় সুন্দর একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখবে।এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান মিলু বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি গৌরবের সাথে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা করে আসছে। দেখতে দেখতে প্রাণের এ সংগঠনটি দুই যুগে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজস্ব প্রকাশনায় 'দ্বিযুগবার্তা' র মোড়ক উন্মোচন নতুনমাত্রা যোগ করবে। সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের মাঝে এক মিলনমেলা হবে । আমি প্রত্যাশা করছি, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটা মনোমুগ্ধকর আয়োজনে আমাদের দ্বিযুগ পূর্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি একটি ক্রিয়াশীল সাংবাদিক সংগঠন। যা ২০০১ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে চলেছে।এআই

নোবিপ্রবি বিএনসিসি প্লাটুনের নতুন সিইউও সার্জেন্ট মিরাজ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুনের (সেনা শাখা) সর্বোচ্চ পদ সিইউও (ক্যাডেট আন্ডার অফিসার) পদে পদান্নিত হয়েছেন ক্যাডেট সার্জেন্ট মিরাজ মাহমুদ। ক্যাডেট আন্ডার অফিসার মিরাজ মাহমুদ কর্ণফুলী রেজিমেন্টের সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রামের ক্যাডেট ছিলেন।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান প্রিন্স এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হাবিবুল্লাহ,বিএনসিসিও তাকে সিইউও র্যাংক পরিয়ে দেন।বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) হচ্ছে সেনা, নৌ ও বিমান শাখার ক্যাডেটদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সারির, আধাসামরিক, স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী। এটি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, জেসিও, এনসিও, বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত। বিএনসিসির মূলমন্ত্র হলো- 'জ্ঞান ও শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক'। নোবিপ্রবি বিএনসিসির নতুন সিইউও মিরাজ মাহমুদ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘কলেজ জীবনের শুরুতে ২০১৯ সালে বিএনসিসির সাথে আমার যাত্রা শুরু। ক্যাডেট র্যাংক থেকে এখন ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ পদ পাওয়ার মাধ্যমে দায়িত্বের ভার আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেল। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো আমার বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমার প্রিয় এই বিএনসিসির মুখ আরো উজ্জ্বল করতে। ভবিষ্যতে এই সংগঠনের দ্বারা শুধু আমার ক্যাম্পাস বা প্রতিষ্ঠান নয় আমি আমার পুরো দেশের সকল মানুষের কাছে এর সেবা, শ্রম এবং সুবিধাসমূহ পৌঁছে দেবো। আমি সততা, সচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আপনাদের সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।’উল্লেখ্য, মিরাজ মাহমুদ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী।এমআর-২
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
বরিশাল বিভাগের অদম্য নারীদের সম্মাননা প্রদান
বরিশালে অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৫-এর বিভাগীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তত্ত্বাবধানে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় নারী বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে আয়োজনে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রায়হান কাওছার।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা ও বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক নাইমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ৩ জন, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ৩ জন, সফল জননী নারী ৩ জনসহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আরো পাঁচ নারী।নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন জীবন শুরু করেছে বরিশালের সদর উপজেলার রিপা খানম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে বরিশাল সদর উপজেলার উম্মে সুমাইয়া। তারা বিভাগের পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।এছাড়া সাধারণ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন বিভাগের ১৭ নারী। পরে অদম্য নারীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।এমআর-২

৯০ বছর বছর বয়সে নভোচারীর স্বপ্ন পূরণ
এড ডুইট ১৯৬০-এর দশকে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হতে পারতেন – কিন্তু রাজনীতি তার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল। ২০২৪ সালে, ৯০ বছর বয়সে, তিনি অবশেষে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পেলেন।মানবজাতি এখন মহাকাশ পর্যটনের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ন্যূনতম ৪,৫০,০০০ ডলার (£৩৬০,০০০) খরচ করে ধনী ব্যক্তিরা "নভোচারী" উপাধি দাবি করতে পারেন, একটি সংক্ষিপ্ত উপ-কক্ষপথীয় উড়ানে মহাকাশের কিনারায় গিয়ে ফিরে আসার মাধ্যমে এবং প্রায় ১০ মিনিট ধরে পৃথিবীর ওপরে ভরশূন্য অবস্থা অনুভব করার মাধ্যমে।বর্তমানে ব্লু অরিজিন ও ভার্জিন গ্যালাকটিকের মাধ্যমে পরিচালিত এই নিকট-মহাকাশ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে সাধারণত একজন ক্রু সদস্য থাকেন, যার নাম ও গল্প শিরোনামে উঠে আসে– এবং প্রায়ই তারা বিনামূল্যে যাত্রার সুযোগ পান।২০২১ সালে, ব্লু অরিজিনের প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইটে, সেই ব্যক্তি ছিলেন ৮২ বছর বয়সী বৈমানিক ও প্রাক্তন মার্কিউরি ১৩ সদস্য ওয়ালি ফাঙ্ক। কয়েক মাস পরে, এটি ছিলেন অভিনেতা এবং প্রাক্তন স্টার ট্রেক ক্যাপ্টেন উইলিয়াম শ্যাটনার। ২০২৪ সালের মে মাসে, ব্লু অরিজিনের সপ্তম স্বল্প-মেয়াদী ফ্লাইটে সেই ব্যক্তি ছিলেন এড ডুইট।ডুইট একজন খ্যাতনামা ভাস্কর, যার শিল্পকর্ম যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গ্যালারি ও জনস্মৃতিস্তম্ভে প্রদর্শিত রয়েছে। শ্যাটনারের মতো তিনিও ৯০ বছর বয়সী ছিলেন, তবে শুধুমাত্র তার বয়স বা ভাস্কর্যের জন্যই তিনি আলোচনায় আসেননি। তার পরিচয় ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ – তিনি ছিলেন আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী প্রার্থী।।“অনেকেই তাকে শুধু একজন শিল্পী হিসেবে চেনেন,” বললেন আন্তোনিও পেরোনেস।তিনি স্পেস ফর হিউম্যানিটি-এর নির্বাহী পরিচালক, যা একটি দাতব্য অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থাটি তার মহাকাশ যাত্রার জন্য অর্থায়ন করেছে এবং সকলের জন্য মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করতে চায়।“তারপর হঠাৎ মানুষ জানতে পারে—এক মিনিট, তার জীবনের আরেকটি পুরো অধ্যায় আছে? আমি মনে করি, এটি অনেকের জন্য সত্যিই চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার ছিল।” তার সেই অতীত সত্যিই চমকপ্রদ।ডুইট একজন এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, পাশাপাশি একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৬১ সালে টেস্ট পাইলট স্কুলে ছিলেন, যখন তিনি পেন্টাগন থেকে একটি চিঠি পেলেন। এটি প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির অনুমোদিত ছিল, যেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি কি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হতে চান। প্রথমে এটি মজা বলে মনে করলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জানতে পারেন যে এটি মূলত একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল, যা কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। “প্রেসিডেন্ট নাসার কাছে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘তোমরা কি এই মানুষটিকে প্রশিক্ষণ দেবে?’ আর নাসার উত্তর ছিল, ‘না, কারণ এতে আমাদের পুরো কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে যাবে, আমাদের করভিত্তি নষ্ট হবে, এবং আমরা জনগণের কাছ থেকে আর কখনও এক পয়সাও পাব না যদি এই মুহূর্তে আমাদের কর্মসূচিতে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করি,’” ডুইট ২০১৯ সালে বিবিসি ৫ লাইভ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।তিনি আরও বলেন, “প্রথম সাতজন নভোচারীর খ্যাতি ছিল যেন তারা সুপারহিরো।” তিনি ১৯৫৮ সালে নির্বাচিত বিখ্যাত মার্কিউরি সেভেন দলের কথা উল্লেখ করছিলেন। “যদি তখনই এর মধ্যে একজন কৃষ্ণাঙ্গ বা একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তবে এই ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষের মতোই মনে হতো বিশ্ববাসীর কাছে, বিশেষ করে করদাতা জনগণের চোখে। তাই প্রেসিডেন্টকে আরেকটি মহাকাশ কর্মসূচি—একটি সামরিক মহাকাশ কর্মসূচি—তৈরি করতে হয়েছিল।”ডুইট তাই সামরিক বাহিনীর ম্যানড অরবিটিং ল্যাবরেটরি (MOL) কর্মসূচির অংশ হিসেবে নভোচারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যখন কেনেডির সরকার ঘোষণা করল যে তারা আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী নির্বাচন করেছে, তখন ডুইট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা পান এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন বক্তৃতা দেন।এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, ১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তাকে নাসার অ্যাস্ট্রোনট গ্রুপ ৩-এর জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অষ্টম স্থানে রাখা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র প্রথম সাতজনই মার্কিউরি সেভেন হিসেবে নির্বাচিত হন। এক মাস পরেই, ডুইটের নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে যায়।"যে দিন প্রেসিডেন্ট নিহত হলেন, সেদিন আমার জীবন বদলে গেল" – এড ডুইট"২২ নভেম্বর ১৯৬৩—এই দিনটি আমাদের প্রকল্পের একেবারে শেষ ছিল," ডুইট বলেন।প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যার পর, তাকে বিদেশে বিভিন্ন পদে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তিনি আরও কয়েক বছর বিমান বাহিনীতে থেকে যান। কিন্তু মহাকাশে যাওয়ার তার শেষ সম্ভাবনাটিও কেনেডির সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছিল।একজন আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী মহাকাশে যেতে সক্ষম হন ডুইটের ২০ বছর পর, যখন গাইয়োন "গাই" ব্লুফোর্ড—যিনি একইসঙ্গে একজন এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্কিন বিমান বাহিনীর পাইলট ছিলেন—নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাত্রা করেন। ব্লুফোর্ড ছিলেন ১৯৭৮ সালে নির্বাচিত ৩৫ জন নভোচারীর দলের সদস্য, যারা স্পেস শাটল কর্মসূচির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এটিই ছিল প্রথমবার, যখন নভোচারীরা সবাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ বা শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন না। সংগ্রামের গল্প২০২৩ সালের ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র, দ্য স্পেস রেস, মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, যেখানে ব্লুফোর্ড ও ডুইট-এর গল্পের পাশাপাশি তারা যে বৈষম্য ও বর্ণবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে।"ডুইট এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে পরীক্ষামূলক টেস্ট পাইলট ও এ্যারোস্পেস গবেষণা কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন এবং তার শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীদের মতোই সব যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন," চলচ্চিত্রটির পরিচালক লিসা কোর্টেজ আমাকে স্পেস বোফিনস পডকাস্টে বলেন।"ডুইট ছিলেন অসাধারণ যোগ্য, কিন্তু ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন""এড ডুইট একজন অত্যন্ত যোগ্য কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ছিলেন, কিন্তু তিনি ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন," বলেন কোর্টেজ। "তিনি সবসময় বলেন, যদি তিনি ২০ বছর পর জন্মাতেন, তাহলে তখন যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট সামাজিক অগ্রগতি হতো, যা তাকে দৃশ্যমানতা ও স্বীকৃতি দিত এবং সত্যিকারের একজন নভোচারী প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করত।"ডুইট সামরিক নভোচারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর নাসায় একাধিকবার আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কখনোই নির্বাচিত হননি। তখনকার সময় ভিন্ন ছিল, তবে নাসা পরবর্তীতে তার মহাকাশ অভিযানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং আজকের বহুমুখী নভোচারী দল আধুনিক আমেরিকার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।"আমরা এই অধ্যায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করেছি""আমরা জানতাম যে আমরা মহাকাশ স্বপ্নের এই অধ্যায়কে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করছি," বললেন আন্তোনিও পেরোনেস। "আমরা সেই ধারণাটিকে আবার জাগিয়ে তুলতে চাই—যে বাধা ভেঙে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, চ্যালেঞ্জের মুখেও সাহস দেখানো যায়, এবং এড ডুইট সেই সাহসের প্রকৃত উদাহরণ।""অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করবেন ডুইট"ডুইট এখন স্পেস ফর হিউম্যানিটি-এর অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। "আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, কত মানুষকে তিনি অনুপ্রাণিত করতে পারেন, এবং সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।" তবে ডুইটের নিজের কথাই সবচেয়ে সেরা উদ্ধৃতি, যা তিনি মহাকাশযাত্রার পর বলেছিলেন—তার নভোচারী প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ৬০ বছরেরও বেশি সময় পরে।"আমি ভেবেছিলাম, আমার জীবনে এই অভিজ্ঞতার দরকার নেই," তিনি বললেন, "কিন্তু আমি মিথ্যা বলেছিলাম। আসলে, আমার সত্যিই এটা প্রয়োজন ছিল।"এমআর

ধেয়ে আসছে অ্যাস্টারয়েড, ২০৩২ সালে আঘাত হানার আশঙ্কা
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা একটি অ্যাস্টারয়েড নিয়ে সতর্ক করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ‘2024 YR4’ নামের এই অ্যাস্টারয়েডটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীতে আঘাত হানার ১ ভাগেরও কিছু বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাস্টারয়েডটি ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট চওড়া। যদিও এটি মানবজাতির অস্তিত্ব বিলীন করার মতো বড় নয়, তবে কোনো বড় শহরে আঘাত করলে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।, নাসার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাস্টারয়েডটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ করলে প্রায় ৮ মেগাটন টিএনটির সমপরিমাণ শক্তি নির্গত হবে। এই শক্তি হিরোশিমায় ব্যবহৃত পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি।2024 YR4 অ্যাস্টারয়েডটি প্রথম নজরে আসে ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর। এটি চিলিতে অবস্থিত নাসার অর্থায়নে পরিচালিত `অ্যাস্টারয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম' স্টেশনে ধরা পড়ে।এর ঠিক চার দিন পর, ৩১ ডিসেম্বর, এটি নাসার স্বয়ংক্রিয় `সেন্ট্রি রিস্ক লিস্ট'-এ অন্তর্ভুক্ত হয়। এই তালিকায় এমন অ্যাস্টারয়েডগুলো থাকে, যেগুলোর ভবিষ্যতে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে 2024 YR4-এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১ শতাংশ। তবে ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি পৃথিবীতে আঘাত করবে না।সময়ের সঙ্গে নতুন তথ্য ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ঝুঁকি তালিকা থেকে অ্যাস্টারয়েডটির নাম বাদও পড়তে পারে। আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা এর আগেও অনেক অ্যাস্টারয়েডকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে নতুন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে সেগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই অ্যাস্টারয়েডটিও একইভাবে ঝুঁকিমুক্ত প্রমাণিত হবে। নাসার মতে, এখন পর্যন্ত এটির মতো বড় কোনো অ্যাস্টারয়েড পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের ১ শতাংশের বেশি সম্ভাবনা নিয়ে চিহ্নিত হয়নি। তবে ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণগুলো বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তুলবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও 2024 YR4 পৃথিবীতে আঘাত করার সম্ভাবনা কম, তবুও এটি মহাকাশ পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণ করে। পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য এসব অ্যাস্টারয়েডের গতিপথ নির্ধারণ ও তাদের উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।এমআর

ফেরেশতাদের শব্দ রেকর্ড করলো নাসা!
মহাকাশ নাকি সম্পূর্ণ নিঃশব্দ-এটাই এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল! কিন্তু নাসার গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য! মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা এক রহস্যময় ধ্বনি রেকর্ড করেছে নাসা, যা শুনে গবেষকরা অবাক! তাদের মতে, এটি যেন কোটি কোটি মানুষের একসঙ্গে কোনো মন্ত্র বা সংগীত গাওয়ার মতো শোনাচ্ছে! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এই শব্দ কি সত্যিই শুধুই বৈজ্ঞানিক কম্পন, নাকি ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি? ১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আকাশের প্রতিটি অংশে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং আল্লাহর জিকিরে ব্যস্ত! তাহলে কি এবার সেই সত্যের প্রমাণ পেল বিজ্ঞান?সাহীহ মুসলিম হাদিস আবু দার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন সাহাবারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আকাশে কী দেখেছেন? কী শুনেছেন?”জবাবে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখতে পাও না। আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শুনতে পাও না। আকাশজুড়ে প্রচণ্ড কম্পনের শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর এর পেছনে রয়েছে এক গভীর রহস্য! আকাশের প্রতিটি অংশে, এমনকি চার আঙুল পরিমাণ জায়গাও খালি নেই-সেখানে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর জিকিরে মশগুল।”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মতো শব্দ হচ্ছে। অতীতে ধারণা করা হতো যে, মহাকাশ একটি সম্পূর্ণ বায়ুশূন্য পরিবেশ, যেখানে শব্দের সৃষ্টি অসম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাসার একাধিক গবেষণা এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা ও কম্পনের ফলে বিশেষ ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয়, যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।নাসার “আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট” এবং “লিসেন টু দ্য ইউনিভার্স” শীর্ষক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে মহাকাশে শব্দের সৃষ্টি হয়। সংস্থাটির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও গবেষণা সরঞ্জামের মাধ্যমে এসব মহাকাশীয় শব্দ শনাক্ত ও রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রের তোলা ছবিগুলোর তিনটি নতুন সোনিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি নতুন এক ডকুমেন্টারি NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করে।সোনিফিকেশন হলো তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। চন্দ্র এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রগুলো মহাকাশ থেকে যে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে, তা সাধারণত ডিজিটাল সংকেত আকারে থাকে এবং পরে চিত্র আকারে রূপান্তরিত করা হয়। সোনিফিকেশন প্রকল্প সেই তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করে, যা নতুন এক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে।নাসার নতুন ডকুমেন্টারি "Listen to the Universe" NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। এটি দেখায় কীভাবে সোনিফিকেশন তৈরি করা হয় এবং এই প্রকল্পের পিছনের গবেষণা দল কিভাবে কাজ করে।২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প মূলত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য মহাকাশের তথ্য সহজলভ্য করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যায়।নাসার চন্দ্র প্রোগ্রামের ভিজুয়ালাইজেশন ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিজ্ঞানী কিম্বারলি আরক্যান্ড বলেছেন, আমরা NASA+ এবং SYSTEM Sounds-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই গল্পটি বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। দুর্দান্ত বিষয় হলো এই প্রকল্পটি দারুণভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং অনেক মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে।গবেষকদের মতে, মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রের বিকিরণের ফলে কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়, যা থেকেই এসব শব্দের উৎপত্তি ঘটে। মূলত, এসব শব্দ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ হিসেবে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৪০০ বছর আগেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির মতো শব্দ হয়।নাসা বর্তমানে বলছে, এই শব্দগুলি কাঁপুনির কারণে সৃষ্টি হয়। এমনকি গবেষণার সাথে যুক্ত একজন বিজ্ঞানী মন্তব্য করেছেন, যে শব্দ শুনে তার মনে হয়েছে যেন একত্রে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হলো খ্রিস্টানদের একধরনের ধর্মীয় সঙ্গীত, যা একসঙ্গে গাওয়া হয়। তবে, ১৪০০ বছর আগে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন।নাসা মহাকাশে যে শব্দ আবিষ্কার করেছে, তার পেছনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে, যেমন নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র বা প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণ। তবে, এই শব্দের বর্ণনা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি ১৪০০ বছর আগে বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন। যদিও নাসা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবে এই শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি কিনা, তা কেবল আল্লাহই জানেন।এফএস

নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি, ‘নবীজির ঘর মোবারক’ শীর্ষক শিরোনামে দুটি ছবির একটি কোলাজ ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে৷রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের নয় বরং প্রথম ছবিটি তাঁর ঘরের আদলে করা একটি অ্যানিমেশনের এবং দ্বিতীয় ছবিটি ভারতের একটি রাজপ্রাসাদের অন্দরের ছবি৷ এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত প্রথম ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Devlet-i Aliyye-i Turkiya নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘[3D] The Inside of The Prophet Muhammad’s House and His Belongings (Replica)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের প্রথম ছবিটির মিল রয়েছে।ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি হাদিসের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘর ও ঘরের জিনিসপত্রের প্রতিরূপ। এই প্রদর্শনীটি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রথম ছবিটি ব্যবহার করে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের আসবাবপত্র’ শীর্ষক শিরোনামে একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।অন্যদিকে, রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মিডিয়া স্টক ওয়েবসাইট Shutterstock এ ‘Ancient Kitchen Utensils’ শিরোনামে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্ত করা একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের দ্বিতীয় ছবিটির মিল রয়েছে৷ এফএস

অ্যালেক্সায় আসছে এআই
অ্যালেক্সা অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম। একাকী জীবনে অনেকেরই ভরসা হয়ে উঠেছিল অ্যালেক্সা। কিন্তু এআইয়ের দাপটে কিছুটা স্তিমিত ছিলো। তবে এবার নতুন উদ্যমে তাকে শক্তিশালী করে তুলছে অ্যামাজন। এবার অ্যালেক্সার মস্তিষ্কে যুক্ত হচ্ছে এআই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যালেক্সা নতুন বিপ্লব নিয়ে আসবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। গত দুবছর ধরেই অ্যালেক্সাকে ঢেলে সাজাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে অ্যামাজন। তবে সংস্থার আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স টিমের নেতৃত্বে থাকা রোহিত প্রসাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও সময় আসেনি। আপাতত আরো নানা প্রযুক্তিগত বাধা পেরতে হবে অ্যালেক্সাকে। তারপরই তাকে উন্মুক্ত করা হবে।যেসব বাধা এখন অ্যালেক্সার চ্যালেঞ্জএর মধ্যে রয়েছে হ্যালুসিনেশন অর্থাৎ নকল জবাব। এছাড়াও সাড়া দেয়ার গতি ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারার মতো বিষয়গুলোতেও আরো নিখুঁত করা হচ্ছে অ্যালেক্সাকে। এখনও অ্যালেক্সাকে খুব সহজ কাজ দেয়া হয়। যেমন, অ্যালার্ম দেয়া কিংবা গান বাজানো। নতুন করে সে ভালো রেস্তোরাঁ খুঁজে দিতে পারবে কিংবা ব্যবহারকারীর ঘুমের রুটিন মেনে বেডরুমের আলোর দিকটা খেয়ালে রাখবে।ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিট আসার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। মাইক্রোসফট, গুগল, মেটা ও অন্য সংস্থাগুলো দ্রুত নিজস্ব এআই মডেল বাজারে আনলেও তাড়াহুড়া করতে রাজি হয়নি অ্যামাজন। সেই সময় থেকেই তারা ব্যস্ত অ্যালেক্সাকে আরো নিখুঁত করে তুলতে। কয়েক বছর আগে আত্মপ্রকাশ করার পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যালেক্সা। সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে অ্যামাজনের এই ওয়্যারলেস ডিভাইসটি। এইচএ
আইন-আদালত
সব দেখুন
ঢাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রাতে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। হবিগঞ্জের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।এফএস
প্রবাস
সব দেখুন
মসজিদে নববীতে ইফতারে নতুন নিয়ম
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মদিনার মসজিদে নববীতে ইফতারে নতুন নিয়ম বেধে দিয়েছে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, ইফতারের মৌলিক মেনুর সঙ্গে শুধু দুটি আইটেম যুক্ত করতে পারবেন ইফতার সরবরাহকারীরা।মদিনার মসজিদে নববীতে প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসে অনেক প্রতিষ্ঠান ও অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রোজাদারদের জন্য ইফতার সরবরাহ করে থাকেন। মসজিদে নববীতে ইফতারের খাবারের তালিকায় সাধারণ খেজুর, রুটি, দই, প্যাকেটজাত টিস্যু ও পানির বোতল সরবরাহ করা হয় । মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা ইফতার সরবরাহ করবেন তারা চাইলে বাদাম, কাপকেক, পাই, কুকি এবং মাংস-পুদিনা-শাক দিয়ে ঠাসা সেদ্ধ খেজুর দিতে পারেন। তবে দুটি আইটেমের বেশি আর অন্য কোন ইফতার সামগ্রী দেওয়া যাবে না।এছাড়া ইফতার সরবরাহ করতে হবে অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে এবং যারা রোজাদারদের সেবা প্রদান করবেন তাদের তথ্য ওয়েবসাইটে সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো জানাতে হবে ।উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সৌদি আরবে রমজান শুরু হবে। এ মাসের প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুসলিমদের সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এমআর-২
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি, রাশিফলে কী আছে জেনে নিন
প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা দিনের শুরুতেই কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখতে চান তারা একবার পড়ে নিতে পারেন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)মেষ হল কাল পুরুষের প্রথম রাশিচক্র। মেষ রাশি একটি অস্থির রাশিচক্র সাইন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি আগুনের উপাদানের লক্ষণ। এই রাশির প্রতীক হল ভেড়া। অশ্বিনী ও ভরনি নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং কৃত্তিকা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব এই রাশিচক্রের অধীনে আসে। মেষ রাশির চরিত্র ক্ষত্রিয়। মঙ্গলকে মেষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। শারীরিক গঠনে এরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দিনটি ভালো কাটবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় উন্নতি হবে। চাকরিজীবীরা অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)বৃষ রাশিকে একটি স্থির রাশিচক্রের চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি পৃথিবীর উপাদান চিহ্ন। এই রাশির প্রতীক ষাঁড় অর্থাৎ বৃষ। এই রাশিচক্রের অধীনে কৃত্তিকা নক্ষত্রের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্ব, রোহিণী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং মৃগাশিরা নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আসে। বৃষ রাশির চরিত্র বৈশ্য। শুক্রকে বৃষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। ভাস্য চতুর্মুখী। শারীরিক গঠনে এঁরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকেন। তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। চাকরি সংক্রান্ত সমস্যার অবসান হতে পারে। অনেকদিন পর কাজে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারবেন। ব্যবসায়ীরা আজ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর্থিক দিক শুভ। আজ খুব সাবধানে ধারালো বস্তু ব্যবহার করুন। সতর্ক না থাকলে আজ আঘাত পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)মিথুনকে দ্বৈত প্রকৃতির রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক যমজ মুখ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বুধ। মিথুন রাশির দিক পশ্চিম। মৃগাশিরা, অর্দ্র ও পুনর্বাসু নক্ষত্রে রয়েছে এই রাশি। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। মিথুন একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন, এটি দিনের মধ্যভাগে একটি শক্তিশালী রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। অফিসে আপনার পারফরম্যান্স দেখে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা খুশি হতে পারেন। ব্যবসায় ঝুঁকি না নিলেই আজ ভালো করবেন। আজ আপনি বাড়ির সাজসজ্জায় কিছু পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করতে পারেন। আজ অনেকটাই দুর্বল অনুভব করতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকা এড়িয়ে চলুন।কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কর্কট একটি পরিবর্তনশীল রাশিচক্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রাশির প্রতীক কাঁকড়া। এই রাশির শাসক গ্রহ হল চাঁদ। কর্কট রাশির দিক উত্তর দিকে। এই রাশির পুনর্বাসু নক্ষত্রের প্রথম পর্ব হল পুষ্য ও অশ্লেষা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। কর্কট একটি মহিলা রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসায়ীদের আর্থিক লাভ হতে পারে আজ। আপনার কৃতিত্বের জন্য আপনার প্রিয়জনরা খুব গর্ববোধ করবে। চাকরিজীবীরা অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন। আজ আপনি নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন। অর্থের দিক দিয়ে দিনটি ভালো কাটবে। ঘরের পরিবেশ শান্ত থাকবে। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তারা স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)সিংহ রাশিকে একটি স্থিতিশীল রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশির প্রতীক সিংহ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল সূর্য। সিংহ রাশির দিকটি পূর্ব। মাঘ ও পুর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের সকল পর্বের পাশাপাশি এটি উত্তরা ফাল্গুনীর প্রথম পর্ব। এটি একটি অগ্নি উপাদান চিহ্ন। সিংহ রাশি একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন। তাদের অনুকূল রং লাল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। চাকরিজীবীরা আজ বসের দেয়া কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। পার্টনারশিপ ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেন। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। আর্থিক অবস্থা ভালো থাকবে। পিঠ বা কোমরের সমস্যা হতে পারে। একটানা বসে কাজ করা এড়িয়ে চলুন। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কন্যা রাশিকে প্রকৃতি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল একটি মেয়ে তার হাতে একটি ফুলের ডাল ধরে। এই রাশির অধিপতি বুধ। কন্যা রাশির দিক দক্ষিণ। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। এর শুভ রং সবুজ। ভাগ্যবান সংখ্যা ৫। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। এ রাশির জাতক জাতিকাদের আজ স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। অতীতের কোনো কাজের সুফল আজ পেতে পারেন। চাকরিজীবীদের আয় বাড়বে। ব্যবসায়ীদেরও আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। বিবাহিত জীবনে আজ স্বস্তি ফিরে পেতে পারেন।তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)তুলা রাশিকে রাশিচক্রের সপ্তম রাশি বলে মনে করা হয়। তুলা একটি রাশিচক্রের চিহ্ন যা বায়ু উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর শাসক গ্রহ শুক্র। তুলা রাশির দিক পশ্চিম। চিত্রা নক্ষত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়, স্বাতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং বিশাখা নক্ষত্রের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় রয়েছে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসায়ীদের আজকের দিনটি মোটামুটি কাটবে। চাকরিজীবীরা আজ কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন। আজ আপনি পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। মানসিক স্বাস্থ্য ও অর্থের অবস্থা ভালো থাকবে।বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)বৃশ্চিক রাশিচক্রের অষ্টম রাশি। এটি একটি মহিলা রাশিচক্র সাইন। এর প্রতীক বিছে। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। এই রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই রাশির দিকটি উত্তর। এই রাশিচক্রে বিশাখা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব, অনুরাধা এবং জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই রাশির শাসক গ্রহ হল মঙ্গল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হতে পারেন। আজ কোনো অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্য করার সুযোগ পাবেন। খরচ বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা আজ বড় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চাকরিজীবীরা কাজে মনোযোগ দিলে ভালো করবেন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)কাল পুরুষের রাশিফলের নবম রাশি হল ধনু। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল তীরন্দাজ, যার পিছনে একটি ঘোড়ার শরীর। এই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি। ধনু রাশির দিকটি পূর্ব। এই রাশির রাশিগুলি হল মুল এবং পূর্বাষাধা নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং উত্তরাষাধা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব। এটি অগ্নি উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। অফিসের কাজে মনোযোগ বাড়াতে হবে। পার্টনারশিপ ব্যবসায় নতুন কোনো কাজ শুরু না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বাড়বে। স্বাস্থ্যগত কোনো জটিলতা দেখা দিতে পারে।মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)মকর হল কাল পুরুষের রাশিফলের দশম রাশি। এই রাশির চিহ্ন হল ছাগল, এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। মকর রাশির দিক দক্ষিণ। এই রাশির বর্ণগুলি হল ভো, জা, জি, খি, খু, খে, খো, গা, গি। এই রাশির রাশিগুলি হল উত্তরাষাধা নক্ষত্রের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শ্রাবণ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসায়ীরা কঠোর পরিশ্রম করেও প্রত্যাশিত ফল পাবেন না। আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। চাকরিজীবীরা আজ অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না। পারিবারিক জীবনের পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে। বিবাহিত জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। ডিহাইড্রেশন সমস্যায় ভুগতে পারেন।কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কুম্ভ হল কাল পুরুষের রাশিচক্রের একাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক একটি কলস। এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। কুম্ভ রাশির দিক পশ্চিম। এই রাশির বর্ণগুলি হল গু, গে, গো, সা, সি, সু, সে, সো, দা। এই রাশিচক্রের নক্ষত্রগুলি হল ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শতভিষা নক্ষত্রের চারটি পর্যায়, পূর্বাভাদ্রপদ প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। পারিবারিক জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে। আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাবেন। ব্যবসায়ীদের অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মীন হল কালপুরুষের রাশিফলের দ্বাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক হল একজোড়া মাছ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। মীন রাশির দিক উত্তর। এই রাশির বর্ণগুলি হল দি, দু, থা, ঝা, এন, দে, দো, চা, চি। এই রাশিচক্রের নক্ষত্র হল পূর্বাভাদ্রপদের চতুর্থ পর্ব এবং উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায়। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসায়ীরা আজ লাভবান হতে পারেন। সরকারি চাকরিজীবীদের কাজের দায়িত্ব বাড়বে। কঠোর পরিশ্রমের ফল পেতে পারেন আজ। আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।এমআর