এইমাত্র
  • তেজগাঁওয়ে থেমে থাকা ট্রেনে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
  • টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১
  • দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলছে ভারত
  • থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের ফের পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১
  • রেলওয়ের সকল স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
  • পেরুতে সড়ক থেকে গভীর খাদে বাস, নিহত অন্তত ৩৭
  • ইসরায়েলি সেনাদের যৌন নির্যাতনের ভয়াবহতা বর্ণনা করলেন ফিলিস্তিনি নারী
  • গাজায় এক মাসেই ২৮২ বার যুদ্ধবিরতি ভাঙল ইসরায়েল
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত
  • ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশেকে অস্থিতিশীল করছে: ভিপি নূর
  • আজ বুধবার, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১২ নভেম্বর, ২০২৫
    টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় একজন পথচারী আহত হয়েছেন এবং রাস্তার পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় জানা যায় যায়নি।ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল মালিক নাজমুস সাকিব জানান, তিনি ফুটপাথের পাশে বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি ককটেল ছুটে এসে এখানে পড়ে। এতে তার মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, টিএসসিতে গুম বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন চলছিল। এরমধ্যে ককটেল দুটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ককটেল দুটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল মারা হয়েছে। আমরা একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। তবে সেটি অস্পষ্ট।এফএস
    আগামীকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করবে।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। এমআর-২

    জাতীয়

    সব দেখুন
    হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তলব
    ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে উদ্বেগ জানায় বাংলাদেশ। খবরটি নিশ্চিত করেছেন উচ্চপদস্থ এক কূটনৈতিক।সূত্রমতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুদেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।এসময় ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয় যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।এসএম
    গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এ বছর কৃষকরা খুব সম্ভবত আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের আবদার মেটাতে গিয়ে কথিত গণভোট করতে হলে রাষ্ট্রকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হবে। চাষীদের কাছে এই সময়ে গণভোটের চেয়ে মনে হয় আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল ভেবে যা ইচ্ছা তাই আদায় করে নিতে চায়; কিংবা জনগণের দ্বারা বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপকৌশল গ্রহণ করে; সেটি মনে হয় শেষ পর্যন্ত তাদের নিজেদের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে কিনা সে ব্যাপারে তাদেরও সতর্ক থাকা দরকার।রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, যারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন, দয়া করে তা করবেন না। এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্যও দেশের গণতান্ত্রিককামী জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।তারেক রহমান বলেন, কিছু দলকে আমরা দেখছি বর্তমানে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গণতান্ত্রিকামী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে বা নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানান তারেক রহমান।বিশ্বে খুব সম্ভবত সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের তালিকায় বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে শত-শত দফা আলোচনা হলেও সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনায় মনে হয় জায়গা করে নিতে পারেনি। এমআর-২
    বৃহস্পতিবার বাস চলাচল নিয়ে যে ‍সিদ্ধান্ত জানালো পরিবহন মালিক সমিতি
    কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের লকডাউনের সময় গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। একই সঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সতর্কভাবে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ।জোবায়ের মাসুদ বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো আগামীকালও সড়কে গণপরিবহন চলবে। তবে কোথাও কোনো বাসে অগ্নিকাণ্ড না ঘটে সেজন্য পরিবহন মালিক এবং প্রতিটি বাস টার্মিনালের সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বাসগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘১০ নভেম্বর দিনগত রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় একটি বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক পরিবহন শ্রমিক দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। নিহত ও আহত শ্রমিকদের প্রতি প্রতিবাদ হিসেবে আজ বুধবার ঢাকাসহ দেশের সব বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা আজ রাতভর এবং আগামীকালও টার্মিনাল পাহারা দেবেন।’এদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং চোরাগুপ্ত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এর প্রভাব পড়েছে সড়কে যানবাহনের চলাচলে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ঢাকার সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহন কিছুটা কম দেখা গেছে।এসএম
    আগামীকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করবে।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। এমআর-২
    নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমোদন বাতিলের দাবি
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষো করে ফিলিপ মরিসের নিকোটিন পাউচ তৈরির কারখানা স্থাপনের অনুমোদন বাতিলের দাবি জানিয়েছে নারী মৈত্রী। এই সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকারের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়াসের সাথে সাংঘর্ষিক বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। সেই সাথে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী অবিলম্বে পাস করার দাবি জানানো হয়েছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি এসআরও জারির মাধ্যমে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম সংশ্লিষ্ট সকল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর মে মাসে দেশে ই-সিগারেট/ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিষ্টেম (ENDS) যন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের অনুমতি প্রদান না করার নির্দেশনা দেয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বৈশ্বিক তামাক কোম্পানি ফিলিপ মরিসকে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে নিকোটিন পাউচ উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।সম্প্রতি বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন দাবি করেছেন, নিকোটিন পাউচ উৎপাদন বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বৈধ ব্যবসা। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত্ত করে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিষেধাজ্ঞা জারির পরও কীভাবে এটি বৈধ ব্যবসা হয়? অনুমোদন বাতিলের দাবি জানিয়ে নারী মৈত্রীর সভাপতি মাসুমা আলম বলেন, বিশ্বের বহু দেশ জনস্বাস্থ্যের হুমকি বিবেচনায় নিকোটিন পাউচ নিষিদ্ধ করেছে। ঠিক এমন সময়ে বেজা বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ফিলিপ মরিসকে দেশে নিকোটিন পাউচ উৎপাদন কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। এটি দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকী। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই অনুমোদন বাতিল করতে হবে।তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি (FCTC) চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হলেও এখনো তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাশ হলে এফসিটিসির মানদণ্ড অনুযায়ী আইনটি শক্তিশালী হবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তা হবে এক বড় পদক্ষেপ। তাই আমি বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি ফাহমিদা আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় দেশে ই-সিগারেট/ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিষ্টেম (ENDS) যন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের অনুমতি প্রদান না করার নির্দেশনা দেয়ার পরও এই নিকোটিন পাউচ কারখানা স্থাপনের অনুমোদন সরকারের নীতি এবং সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের লঙ্ঘন। এটি দেশের তরুণ, নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যকে আরও ঝুঁকির মুখে ফেলবে। তাই বেজা কর্তৃক ফিলিপ মরিসকে দেওয়া নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে হেলথ রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বী বলেন, সমাজ বদলের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়ে নীতিনির্ধারকরা যখন নিকোটিন পাউচের মত জীবনঘাতি পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন দেয় তখন সেটা জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়। এই প্রতারণার দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লাবিন রহমান বলেন, আমাদের সন্তানদের ত্যাগে যে বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা ধূলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে। নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমোদন দিয়ে সরকার অনেক নিন্দনীয় কাজ করেছে। আমি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও তামাক মুক্ত দেশ গড়তে যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাস করা হয়।এতে অন্যান্যদের মধ্যে ইয়ুথ ফোরামের সদস্য আশরাফিয়া জান্নাত, মাহমুদুল হাসান হামিম, মাদার্স ফোরামে কো-কনভেনার শাহনাজ বেগম পলিসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া নারী মৈত্রী টিচার্স ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো, নারী মৈত্রী মাদারস ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো ও নারী মৈত্রী ইয়ূথ ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, তামাকজাত দ্রব্যের মতো নিকোটিন পাউচও শরীরে নিকোটিন গ্রহণের একটি পদ্ধতি। এটি একটি নতুন ধরনের পণ্য যার মাধ্যমে ধূমপান বা তামাক চিবানো ছাড়াই নিকোটিন গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন সুগন্ধি এবং রাসায়নিক মিশিয়ে বাজারজাত করা হয় পণ্যটি। বিশ্বের বহু দেশ জনস্বাস্থ্যের হুমকি বিবেচনায় নিকোটিন পাউচ নিষিদ্ধ করেছে।আরডি
    ‘আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা হবে ঐতিহাসিক’
    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’বুধবার (১২ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কানাডীয় সংসদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। পাশাপাশি প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা।তিনি বলেন, ‘আপনারা এমন এক সময়ে এসেছেন, যখন যুবসমাজের নেতৃত্বে সংঘটিত এক অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ একটি বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা হবে জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আট বছর পার হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র কার্যকর সমাধান, এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজারো শিশু জন্ম নিচ্ছে ও বেড়ে উঠছে, কিন্তু তাদের নাগরিকত্ব বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনো স্বচ্ছতা নেই—তারা ক্ষুব্ধ। এখন আমরা আর্থিক সংকোচনের মুখে পড়েছি, যা এই সংকটকে আরো গভীর করছে।’সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বক্তব্য দেবেন এবং কানাডার পক্ষ থেকে বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়ের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।অধ্যাপক ইউনূসের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা বিষয়ে কথা বলে আসছি। এটি অত্যন্ত গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের উচিত, তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মনোযোগী হওয়া।’প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ (স্কারবোরো সেন্টারুডন ভ্যালি ইস্ট, লিবারেল), সংসদ সদস্য সামির জুবেরি—বৈচিত্র্যবিষয়ক মন্ত্রীর পার্লামেন্টোরি সেক্রেটারি, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই)-এর গ্লোবাল সিইও মাসুম মাহবুব, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ (এইচসিইউএসএ)-এর সিইও আহমাদ আত্তিয়া, গেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও এবং ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও উসামা খান।এসএম
    আগামীকালের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবিপ্রধান
    কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি বা অপতৎপরতার চেষ্টা করছে, আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের দমন করা হবে।বুধবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীদের পাশাপাশি তাদের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও গ্রেফতার করছি। আজকেও ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শফিকুল ইসলাম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা বিভিন্ন উসকানি ও নির্দেশনা দিচ্ছে, তাদের বিষয়ে ডিবি সতর্ক রয়েছে। আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন উসকানি ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে তবে রাজপথে তাদের দেখা যায় না। এমনকি একজন নিরীহ রিকশাওয়ালাকে ৫০০ টাকা দিয়ে স্লোগান দিতে বলা হয়েছে, পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই রিকশাচালকের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। এভাবে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যা ডিবি কঠোরভাবে দমন করছে।তিনি আরও বলেন, আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ ধরনের অপতৎপরতা দমন করা হবে। নাগরিকদের অনুরোধ করছি, গুজবে কান না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করুন।এমআর-২
    ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ৫ জনের
    সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৩৯ জন।বুধবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১১৩৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৭৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৩ জন, খুলনা বিভাগে ৮৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৪৬ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিহং বিভাগে ৮২ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ৫ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে ৩ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ১ হাজার ৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৯৮৯ জন।এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮১ হাজার ৭৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩২৩ জনের।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।এমআর-২

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশেকে অস্থিতিশীল করছে: ভিপি নূর
    গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি  ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে  দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই নেতা। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে সদর-শায়েস্তাগঞ্জ-লাখাই আসনের গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমানের নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।নুরুল হক নুর বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আমরা আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। যদিও নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে।ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমরা বলতে চাই দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী যারা কোনো অপরাধ করেনি, দেশের টাকা লুটপাট করেনি, জনগণের প্রতি জুলুম করেনি সেসব নেতাকর্মীর জন্য সব দলের রাজনৈতিক দরজা উন্মুক্ত।তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ভাবে কাউকেই মামলায় দেওয়া যাবে না। অনেকেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মামলা দিয়ে একটি বাণিজ্যের হাতিয়ার গড়ে তুলেছে। নেতাকর্মী, সমর্থক দিয়ে মামলা দিচ্ছে আবার টাকা-পয়সা নিয়ে তাদের জামিন করাচ্ছে। এজন্যই আমরা বলছি- যারা গণহত্যায় অভিযুক্ত ছিল তাদের বিচার হতেই হবে। আমরা তাদের বিচার চাই।তিনি বলেন, আমরা এখনো কারও সঙ্গে নির্বাচনি জোট করিনি। তবে দেশের প্রয়োজনে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে চাই। যেন পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তি আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে।সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজু, উচ্চতর পরিষদের সদস্য হবিগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান, তাহমিদ হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ অনেকেই।আরডি
    ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশেকে অস্থিতিশীল করছে: ভিপি নূর
    গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি  ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে  দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই নেতা। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে সদর-শায়েস্তাগঞ্জ-লাখাই আসনের গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমানের নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।নুরুল হক নুর বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আমরা আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। যদিও নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে।ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমরা বলতে চাই দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী যারা কোনো অপরাধ করেনি, দেশের টাকা লুটপাট করেনি, জনগণের প্রতি জুলুম করেনি সেসব নেতাকর্মীর জন্য সব দলের রাজনৈতিক দরজা উন্মুক্ত।তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ভাবে কাউকেই মামলায় দেওয়া যাবে না। অনেকেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মামলা দিয়ে একটি বাণিজ্যের হাতিয়ার গড়ে তুলেছে। নেতাকর্মী, সমর্থক দিয়ে মামলা দিচ্ছে আবার টাকা-পয়সা নিয়ে তাদের জামিন করাচ্ছে। এজন্যই আমরা বলছি- যারা গণহত্যায় অভিযুক্ত ছিল তাদের বিচার হতেই হবে। আমরা তাদের বিচার চাই।তিনি বলেন, আমরা এখনো কারও সঙ্গে নির্বাচনি জোট করিনি। তবে দেশের প্রয়োজনে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে চাই। যেন পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তি আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে।সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজু, উচ্চতর পরিষদের সদস্য হবিগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান, তাহমিদ হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ অনেকেই।আরডি
    একটি দলের সঙ্গে আ.লীগের গভীর যোগাযোগ রয়েছে, দাবি রিজভীর
    একটি দল ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় ওৎ পেতে থাকা স্বৈরাচার উত্থানের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে জিয়াউর রহমান আর্কাইভের আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, এখন তারা কারসাজি করেই যাচ্ছে। যা সমাজের জন্য নেতিবাচক পরিবেশ গড়ে তুলেছে।তিনি বলেন, স্বৈরাচারের টাকার অভাব নেই। সব টাকা তো পাচার হয়নি। সেই টাকা দিয়ে বোমা বানানো তাদের কাছে কঠিন বিষয় নয়। দুই-একটি মিডিয়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের খবর ফলাও করে প্রচার করছে। সেসব মিডিয়াকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।রিজভী বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল সক্রিয়। তাদের মূল লক্ষ্য আগামী নির্বাচন বানচাল করা।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, সরকারের ভেতরে দুর্বলতা বা ‘খুঁত’ আছে বলেই তারা আসল শত্রুকে চিহ্নিত না করে বিএনপির পেছনে লেগে আছে। এটি সরকারের পরিচালনার দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে। এমআর-২
    গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে: আমীর খসরু
    দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে একটি নির্বাচিত সংসদ গঠনের আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও, গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়  তিনি এই মন্তব্য করেন।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমীর খসরু বলেন, ‘অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের পর গণতন্ত্র যখন আবারও ফিরে আসার পথে, ঠিক তখনই তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এই হুমকি আসছে যখন দেশের সব মানুষ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একটি নির্বাচিত সংসদ করতে চায় ঠিক সময়ে। দেশের মানুষের মালিকানা ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’দেশে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার আনার আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সংস্কার অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদেই হতে হবে। কোনো নির্দেশনা দিয়ে, প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোনো সংস্কার হতে পারে না।’ আরডি
    আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে এনসিপির কর্মসূচি ঘোষণা
    কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল করবে দলটি।বুধবার বিকেলে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে অংশ নিতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয় দলের পক্ষ থেকে।ফেসবুক বার্তায় এনসিপি জানিয়েছে, আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর এই প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করবে। প্রতিবাদী মিছিলে এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ থেকে শুরু করে সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এটাকে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল।তবে সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ককটেল বিষ্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়। এ ছাড়া রাজধানীর বাইরেও অগ্নিকাণ্ড ও ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।এসএম
    ‘আ.লীগের লকডাউন ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট’
    শুনলাম কাল নাকি আওয়ামী লীগের লকডাউন। কালকে সব দল মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগকে মাঠে ঠেকানোর জন্য তো আমাদের এক হাসনাত আবদুল্লাহই যথেষ্ট। হাসনাত আবদুল্লাহ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী।বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জামায়াতসহ আট দল দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবেন বলে আশা করি। আর গণভোট বাংলাদেশে হবেই। বিএনপি ১০০ বছর অপেক্ষা করলেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নাকি মামলা তুলে নেয়া হবে। এক বছরে টাকার বিনিময়েতো সব মামলা তুলেই নেয়া হয়েছে, সেটার স্বীকৃতি দিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর বিএনপির এক বছরের সফলতা চাঁদাবাজি আর মামলাবাজি। এছাড়া আর কোনো সফলতা নেই, এই সফলতা নিয়েই জনগণের কাছে ভোট চাইবেন? পাটওয়ারী বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু একটি দল বেরিয়ে গেছে এই প্রক্রিয়া থেকে। দেশের একটা বড় জেনারেশন সংস্কার চায়। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়, সেটাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। বিএনপিকে সংস্কারের পথে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া জনগণের পালস ধরতে পেরেছিলেন। তাই দেশের হাল ধরতে পেরেছিলেন। কিন্তু এখন যারা আছেন বিএনপিতে, তারা জনগণের পালস বোঝেন না। তাই তাদের প্রতি আহবান, ইগো না রেখে সংস্কারের পথে আসুন। সরকারের সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন বলেন, এখন সবচেয়ে বড় সংকট রাষ্ট্র, জনগণ থেকে সরকারের বিচ্ছিন্নতা ও দূরত্ব। ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা চলা শুরু করেছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্সদের। এখন সবার একটাই প্রশ্ন, সংস্কার প্রয়োজন আছে, নাকি নাই। রাষ্ট্রের যে ফ্যাসিবাদি সিস্টেম, সেভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।  তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হলো, যে মানুষগুলো বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এতদিন, তাদের অধিকার নিশ্চিত করা। সরকারের চেয়ারে বসা মানে জনগণের যে দাবিগুলো আছে, সেগুলো জনগণকে বুঝিয়ে দেয়া। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান, জনগণকে একটি স্বাস্থ্য কাঠামো দিন। এমআর-২
    চলতি মাসের শেষ দিকে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: সালাহউদ্দিন
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় নিজের বাসভবনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষের দিকেই তিনি দেশে ফিরবেন। দু-একদিন এদিক-ওদিক হতে পারে, তবে আমরা আশাবাদী।এর আগেও বিএনপির নেতারা বারবার জানিয়েছেন, খুব শিগগির তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। নভেম্বরের শেষ নাগাদ তার ফেরার সম্ভাবনার কথাও দলের ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি বিএনপি।২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় পরিবারসহ দেশ ছাড়েন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তখন থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার জটিলতা কেটে গেলেও তিনি এখনো দেশে ফেরেননি।গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলায় প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কবে দেশে ফিরবেন। উত্তরে তিনি বলেন, দ্রুতই মনে হয়। দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনের আগে তিনি দেশে থাকবেন কি না। জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতি করছি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নির্বাচনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন হবে, তখন আমি কীভাবে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের মাঝেই থাকার।এমআর-২
    বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন।আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ও চেয়ারপারনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।এছাড়া, এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির এবং বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ।এইচএ

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    এবার মিরপুরে বাসে আগুন দিল দূর্বৃত্তরা
    রাজধানীর মিরপুর-১ নাম্বারে সনি সিনেমা হলের সামনে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ‎বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও ‎স্থানীয়রা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে শতাব্দী পরিবহন নামে একটি বাসে আগুন দেয়। এ সময় আশপাশের সবাই আতঙ্কে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।ডিএমপি শাহ আলী থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. রিপন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাঠিয়েছি। এখনো আমরা বিস্তারিত জানতে পারিনি।এর আগে সকালে রাজধানীর উত্তরায় একটি মাইক্রোবাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এমআর-২
    রাজধানীতে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত
    রাজধানীর বাড্ডায় গুলিতে মামুন শিকদার (৩৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।নিহত মামুনের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি থানার আলগি গ্রামে।বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কে বা কারা মামুন শিকদার নামের ওই ব্যক্তিকে গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তবে কে বা কারা তাকে গুলি করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি।ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তি একজন শ্রমজীবী ছিলেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে  জড়িতদের ধরার জন্য আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। মামুন যে বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি সে বাসায় থাকতেন না। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন, মধ্য বাড্ডার কমিশনার গলির একটি মেসের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।এমআর-২
    রমনা থানার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন
    রাজধানীর রমনা থানার সামনে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ আগুন কোনো দুর্বৃত্ত দেয়নি বলে জানা গেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।জানা গেছে, গাড়ির কাজ করার সময় হঠাৎ আগুন লেগে যায়। বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক।তিনি জানান, গাড়ির কাজ করার সময় হঠাৎ ব্যাটারি সংযোগ এক হয়ে আগুন লেগে যায়। পরে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।তিনি আরও জানান, গাড়ির মিস্ত্রির ভুলে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।ইখা
    উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
    রাজধানীর উত্তরায় একটি মাইক্রোবাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে উত্তরার জসীম উদ্দিন রোডে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ইঞ্জিন ওভার হিটের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।  তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।ইখা
    শয়তানের নিশ্বাসে অচেতন করে অর্থ-স্বর্ণালংকার লুট: রূপনগর থেকে প্রতারক তানিয়া গ্রেপ্তার
    রাজধানীর রূপনগর এলাকায় ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামে পরিচিত স্কোপোলামিন জাতীয় কেমিক্যাল ব্যবহার করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোসা. তানিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে রূপনগর থানা পুলিশ।পুলিশ জানায়, শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রূপনগরের বাসিন্দা বেলাল হোসেনের স্ত্রী নাসিমা আক্তারের সঙ্গে তানিয়ার পরিচয় হয়। পরে সে কৌশলে নাসিমার বাসায় প্রবেশ করে কথোপকথনের একপর্যায়ে ব্যাগে থাকা স্কোপোলামিন জাতীয় ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নাসিমার নাকে প্রয়োগ করে তাকে অচেতন করে ফেলে। সুযোগে বাসা থেকে ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তানিয়া।ঘটনার পর বেলাল হোসেন বাদী হয়ে রূপনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তে নেমে রূপনগর থানার পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তানিয়ার অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাত তুরাগ থানার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।অভিযানে তানিয়ার হেফাজত থেকে তিন ভরি ছয় আনা স্বর্ণালংকার, বিক্রিত স্বর্ণের ৯ লাখ ১ হাজার ৮৪০ টাকা, একটি প্রাইভেটকার, স্বর্ণ মাপার ডিজিটাল মেশিন, কিছু ইমিটেশনের গয়না ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।রূপনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, তানিয়া দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। নিজেকে প্রবাসী বা প্রবাসীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জন করত। পরে কথাবার্তার ফাঁকে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ প্রয়োগ করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যেত।পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃত তানিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ৩৮টি মামলা রয়েছে।এনআই
    নাশকতা রোধে বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
    দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বর ঘোষিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতামূলক ঘটনা রোধে বন্দরের প্রবেশপথে পরিচয়পত্র যাচাই ও ব্যাগ তল্লাশি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বেনাপোল বন্দরে ৩৪টি পণ্যাগার ও কার্গো টার্মিনালে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন পণ্য সংরক্ষিত থাকে, যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। নিরাপত্তার জন্য ১৬৩ জন আনসার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা আল আরাফার ১২৯ জন কর্মী এবং আর্মড ব্যাটালিয়নের ৪০ জন সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া বন্দরে ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত নাশকতার কোন সরাসরি তথ্য নেই। তবে সজাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাতে কোনও ধরনের নাশকতা ঘটতে না পারে। বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় বন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে দূর্বৃত্তরা নাশকতা ঘটাতে না পারে।এনআই
    ঝিনাইদহে প্রতারণার অভিযোগে ছাত্রশিবিরের নেতা গ্রেপ্তার
    ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে প্রতরণার অভিযোগে শিশির আহমদে নামের এক ছাত্রশিবিরের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা শহরের সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার শিশির আহমদে ওই উপজেলার বলুহর গ্রামের সব্দুল সরকারের ছেলে। তিনি স্থানীয় বলুহর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা শিশির স্কুলে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে চাকরি না পেয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর  বলেন, ‘শিশির আহমেদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্কুলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শিশিরকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।এফএস
    যশোরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
    যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা ফিলিং স্টেশনের সামনে বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম রাকিব হোসেন (২২)। তিনি বাঘারপাড়ার ধলগ্রাম ইউনিয়নের দরিয়া হাগ্রা গ্রামের নবির হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে কবিরুল ইসলাম (২৬) ও শাহজাহানের ছেলে সুইট হাসান (২৭)। তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।জানা গেছে, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে খাজুরা ফিলিং স্টেশনের সামনে দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ঘটে। উভয় মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি ছিল। দুর্ঘটনায় সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে তিনজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত সুইট হাসান ও কবিরুলকে ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক শাকিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে রাকিবকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আহত দুইজনের অবস্থা গুরুতর।এনআই
    সাতক্ষীরার জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজনা
    সাতক্ষীরার জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সাতক্ষীরায় ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত হয়। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে কিছু তরল জাতীয় পদার্থ ঢেলে আগুন জ্বালাচ্ছে।ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান জুলাই যোদ্ধা ইমরান হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।জুলাই যোদ্ধা ইমরান হোসেন বলেন, "জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে আগুন দেওয়া একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। অথচ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।" বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, "আগুন দেওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা উচিত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সহজেই ওই যুবককে শনাক্ত করা সম্ভব।"ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম। এর পরপরই সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে ওই ঘটনাকে 'গুজব' বলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে বলা হয়, "গুজব সচেতনতা: সম্প্রতি কিছু ছবি ফেসবুকে 'সাতক্ষীরায় জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দেওয়া হলো' এমন একটি খবর ছড়িয়েছে, কিন্তু এটি সত্য নয়। অনুগ্রহ করে কোনো ধরনের গুজব বা মিথ্যা তথ্যের উপর বিশ্বাস করবেন না।"পোস্টটি প্রকাশের পরই উত্তেজিত হয়ে নানা রকম পোস্ট দিতে শুরু করেন জুলাই যোদ্ধারা। এরপর পোস্টটি এডিট করা হয়। এতে বলা হয়, "সম্প্রতি কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে, কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে কোনো ক্ষতি হয়নি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত আছে। দুষ্কৃতকারীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর: 01320143098। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ফেসবুক পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জুলাই যোদ্ধা নাজমুল ইসলাম রনি বলেন, "আমরা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে ওই ঘটনাকে গুজব বলে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই মিথ্যাচার ও গুজব প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"এনআই
    বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ইবির ৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
    বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়।অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি বিভিন্ন বিভাগের ও বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭০তম সাধারণ সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান সায়েমকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই কারণে মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়কে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।তাদের এই বহিষ্কারাদেশ গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২৭১তম সিন্ডিকেটের সাধারণ সভায় প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকবেন মর্মে বিভাগের সভাপতির কাছে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার আদেশ দেয় প্রশাসন।উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করে। পরে আটক থাকা অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা সমন্বয়কদের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।এনআই
    চকরিয়ায় ছাত্রলীগের ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা
    কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) চকরিয়া থানার এসআই ফরিদ হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে, আওয়ামী লীগ ঘোষিত ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচী সফল করতে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মিছিল বের করে। সাবেক এমপি জাফর আলম ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ছবি নিয়ে মিছিলটি পৌরসভার মগবাজার এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি ২০–৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে নেতাকর্মীরা মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়েন। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।ঘটনায় চকরিয়া থানার এসআই ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত পৌর ছাত্রলীগের ১৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।আসামীরা হলেন, ছাত্রলীগ নেতা শওকতুল ইসলাম সুমন (২৮), ফয়সাল মোহাম্মদ সৌরভ (২৭), মোহাম্মদ ছোটন এ বাইটা ছোটন (২৫), মোহাম্মদ আরিফ (২৪), মোহাম্মদ নোমান (২২), মোহাম্মদ ফাহিম (২০), মোহাম্মদ রিয়াদ (২১), ফরহাদুল ইসলাম খোকা (২১), মোহাম্মদ আরফাত (২২), নাঈমুল (২২), আলা উদ্দিন (২৭), তৈয়ব তাহের মিশকাত (২২), সৌরভ মাহাবি (৩৩) ও ইবনুল জাওয়ান।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল আনোয়ার জানান, গত ১০ নভেম্বর চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মগবাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মিছিল বের করে। মিছিল শেষে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এঘটনায় থানার এসআই ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এনআই
    দুর্গম চরাঞ্চলের কালভার্ট যেন মরণফাঁদ, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা
    লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৮ নং  চরবংশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মোল্লার হাটের দক্ষিণ চর কাছিয়া গ্রামের   মিয়ার হাট সড়ক সংলগ্ন কালভার্টটি মাঝখানে ভেঙ্গে পড়ায়, কালভার্টটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে, এতে করে চরম   ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা । কালভার্টটি দিয়ে প্রতিনিয়ত কয়েকটি গ্রামের হাজারখানেক মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করে। কালভার্টটির মাঝে ভেঙে গিয়ে অনেক বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছেন ছোট শিশু ও বয়ঃবৃদ্ধরা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা। জরুরি মুহূর্তে রোগী বা গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও ঘটছে দুর্ঘটনা।কালভার্টের এমন অবস্থার জন্য চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চরাঞ্চলের মানুষ। দুর্ভোগ নিরসনে উক্ত স্থানে নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবি এ অঞ্চলের হাজার মানুষের।স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মাঝি বলেন, ‘কালভার্টটি দিয়ে খুব কষ্টে আমরা যাতায়াত করছি, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেরা সাইকেল চালিয়ে এখান দিয়ে যায়। সম্প্রতি একটি ছেলে এখানে দুর্ঘটনায় পড়ে গুরুতর আহত হয়।’ অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এই কালভার্টটি দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি না, আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে মালামাল নিতে-আনতে। দ্রুত একটি নতুন কালভার্ট করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি।’এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সুমন মুন্সির বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি  সম্পর্কে অবগত রয়েছি, ওই স্থানে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’এসএম
    চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসভবনে পুলিশের অভিযান, আটক ৭
    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমানে পলাতক) মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল-এর নগরীর বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানের সময় সেখানে উপস্থিত সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নগরের দুই নম্বর গেট এলাকার চশমা হিলে অবস্থিত নওফেলের পারিবারিক বাসভবনে এ অভিযান পরিচালনা করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে কয়েকজন ব্যক্তি মহিবুল হাসানের বাসায় জড়ো হচ্ছেন এমন একটি ফেসবুক পোস্টের সূত্রে অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান শেষে পুলিশ বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর বক্স জব্দ করে। তাৎক্ষণিকভাবে আটক সাতজনের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও, তাঁরা ওই ভবনে কর্মরত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, “আমরা একটি ফেসবুক পোস্ট পেয়েছিলাম যেখানে বলা হয়, নিষিদ্ধ দলের কিছু সদস্য এখানে জড়ো হচ্ছেন এবং বাইরে থেকে খাবার পাঠানো হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই। যদিও ঘটনাস্থল থেকে সে ধরনের কার্যক্রমের প্রমাণ মেলেনি। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।”স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দুই পুত্রের একজন মহিবুল হাসান নওফেল এবং অন্যজন বোরহান চৌধুরী। বোরহান চৌধুরী ও বিএনপি নেতা নিয়াজ যৌথভাবে ‘ক্যাফে মিলানো’ নামে একটি রেস্তোরাঁ পরিচালনা করতেন, যা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে এখনো তারা খাবার বিক্রি করে আসছেন বলে জানা যায়। আটক সাতজন নিজেদের ওই রেস্তোরাঁর কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।অভিযান চলাকালে চশমা হিল এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশি শেষে পুলিশ অভিযানে জব্দ সামগ্রী নিয়ে স্থান ত্যাগ করে।এসএম
    আবারও ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরকান আর্মি
    সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আবারও মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) হাতে অপহৃত হয়েছেন বাংলাদেশের ১৩ জেলে। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোটমালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, তার ঘাটের দুটি ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে মিয়ানমারের জলসীমার কাছাকাছি অবস্থান করলে আরাকান আর্মির সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলার দুটি আটক করে এবং ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। একটি ট্রলারের মালিকের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যটির মালিক সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এ ঘটনার পর উপকূলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলেদের মাঝে। ট্রলার মালিক মো. সৈয়দ আলম বলেন,‘আরাকান আর্মির ভয়ে এখন নাফনদী বা সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এবার একটি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে সুযোগে আরাকান আর্মি সেটিসহ আরও একটি ট্রলার আটক করে। দুই ট্রলারে ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে জেলে-ট্রলার মালিকদের জীবনে ভয়াবহ দুর্দিন নেমে আসবে। আমরা সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাই।’এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। তাদের দাবি, আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরার অভিযোগে বেশ কিছু বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত তারা অন্তত ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আইন অমান্য করার কারণে এবার পুনরায় ট্রলার আটক করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে গণমাধ্যমটি।এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী ও সংলগ্ন সাগর এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। বিজিবির সহায়তায় এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। এখনো ১৫০ জনের বেশি জেলে তাদের কবজায় রয়েছে।স্থানীয়দের মতে, আরাকান আর্মির তৎপরতা ও অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় সাগরে নামতে ভয় পাচ্ছেন জেলেরা। ফলে উপকূলের হাজারো পরিবার জীবিকার অনিশ্চয়তায় পড়েছে।এসআর
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই শাখার আসবাবসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে ভল্টের টাকা লুট বা বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।গ্রামীণ ব্যাংকের চান্দুরা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. কলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে বাইরে থেকে জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানো হয়। নিরাপত্তা প্রহরী বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের জানান। ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে আগুন জ্বলতে দেখি। আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, শিট, গ্রাহকদের পাসকার্ড, আসবাব, জানালার কাপড় পুড়ে গেছে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভাই। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে।’কলিম উদ্দিন জানান, ব্যাংকের পেছনে রান্নাঘরের পাশে একটি চেয়ার রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই চেয়ারের মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা এসে কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন। তিনিসহ কয়েকজন ব্যাংকের পেছনে ডরমিটরিতে থাকেন। তাই দ্রুত আগুন নেভাতে পেরেছেন।বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা কেউ দেখেনি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।এসকে/আরআই 
    গাজীপুরে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আটক ৩
    গাজীপুর সদর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফিনিক্স হ্যাচারীর দক্ষিণ পাশ থেকে তিন ছাত্রলীগ নেতা পেট্রোল বোমা সহ আটক হয়েছেন।বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সন্দেহজনক আচরণের কারণে তিনজনকে পেট্রোল বোমা সহ আটক করা হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই রফিকুল ইসলাম ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান (২৮), দপ্তর সম্পাদক আকাশ (২৫) এবং ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল (৩৫) কে পেট্রোল বোমা ও লোহার পাইপ সহ আটক করেন। জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ আহমেদ বলেন, আটকদের থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পুলিশ তৎপর রয়েছে।এনআই
    আলফাডাঙ্গায় চরাঞ্চলের ৯২ পরিবার পেল ১৮৪টি ছাগল
    ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার নদীবিধৌত চরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯২টি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১৮৪টি ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। ​মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ছাগল বিতরণ করা হয়। উপজেলার বানা, টগরবন্দ ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারের হাতে দু'টি করে মোট ১৮৪টি ছাগল তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আসজাদ।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত দেন, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘মধুমতি নদী বিধ্বস্ত চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত এই প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী খামারিদের পর্যায়ক্রমে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগি দেওয়া হবে। ​প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলার টগরবন্দ, গোপালপুর, বানা ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত এলাকার ১ হাজার ৮৪৮ জন হতদরিদ্র নারী-পুরুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এর ফলে তারা নিজেদের ঘরে বসে ছোট পরিসরে পশুপালন ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১০০ জন সুফলভোগী খামারির হাতে ২১টি করে মোট ২,১০০টি হাঁস প্রদান করা হয়েছে।’আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন জানান, ‘এই প্রকল্পটি নদীবিধৌত চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ছাগল বিতরণের পাশাপাশি পরিবারগুলোকে ছাগল পালনের উপর প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবাও দেওয়া হবে। যা তাদের দারিদ্র্য বিমোচন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।’এসএম
    মুন্সিগঞ্জে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা, প্রশাসনের জরিমানা
    মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সরকারি জায়গায় বালু ভরাট করে দখলের চেষ্টা করায় এক ব্যাক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বারী। অভিযানে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে বালু ভরাটের অপরাধে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) কে জরিমানা করা হয়।অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. লিয়ার হোসেন এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বারী বলেন, ‘অবৈধভাবে ভরাট করা বালু দ্রুত অপসারণ করে সরকারি জায়গা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে সরকারি জায়গা দখল ও অনুপ্রবেশ রোধে মোবাইল কোর্টের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।’এসএম
    কিশোরগঞ্জে মৎস্যখামার দখলের উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ
    কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধুনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১৫৬ শতাংশ জমিতে মাছ চাষ করে আসা এক পরিবারের ফিশারী দখলের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের একটি হোটেলের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মোঃ মোশাররফ হোসেন রনি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের ফিশারীজবরদখলের উদ্দেশ্যে মহড়া দিয়ে আসছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় মোঃ মোশারফ হোসেন সবুজের ইন্ধনে ভাড়া করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বাহিনীটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও তার ভাই মোঃ সোহেল রানা, যাদের সহযোগী ৩০-৩৫ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি নিয়মিত ফিশারীর পাড়ে অবস্থান নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।রনি আরও জানান, ‘এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতি, অবৈধ জমি দখল, হামলা, মাছ চুরি ও মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিকাশ কর্মী মোঃ ওমর ফারুক অপহরণ মামলা। তিনি বলেন, এতসব অপরাধ করেও রুবেল বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’রনি অভিযোগ করেন, ‘ওই বাহিনীর নেতারা প্রকাশ্যে বলাবলি করে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবে না, পুলিশ প্রশাসন নাকি তাদের কেনা গোলাম। রুবেল বাহিনীর পেছনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম খান চুন্নু ও তার ছোট ভাই শাহিন করিমের নামও স্থানীয়ভাবে শোনা যাচ্ছে।’রনি জানান, তিনি নিজে গুলশানে রেজাউল করিম খানের বাসায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেন। কিন্তু তার কিছুদিন পর শাহিন করিম দেশে ফিরে আসার পর থেকেই হামলার পরিমাণ বেড়ে যায়। চলমান জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শাহিন করিম এক “উকিল দরবারে” তাদের চাচা মোঃ শাহাব উদ্দীনকে ডেকে নিয়ে উপস্থিত সকলের সামনে মারধর করেন।দরবারের রায় তাদের পক্ষে আসলে, পরবর্তীতে তাদের ভাই মোঃ ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়। সবশেষে গত ২৯ অক্টোবর তাদের চাচা শাহাব উদ্দীন ও চাচাতো ভাই পরাশ উদ্দীন রাকিবের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় রুবেল বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ তোলা হয়।সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ হোসেন রনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের পরিবার এখন সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় রেজাউল করিম খান চুন্নু মনোনয়ন পেলেই ফিশারী বালু দিয়ে ভরাট করে আমাদের ধ্বংস করবে। আমরা চাই দ্রুত এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হোক এবং আমাদের পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে বেশ কিছুদিন আগে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অনেকেই গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে থাকলেও কয়েকজন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। বিকাশ কর্মী অপহরণ মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন থাকায় এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’এসএম
    ইউএনওর দেয়া ব্যাগটি দরিদ্র সহপাঠীকে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ল মহুয়া
    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট ক্লাসরুমে হাসি-খুশি মুখগুলোর ভিড়। সদ্য শেষ হয়েছে পাঠ। ইউএনও এসেছেন পরিদর্শনে, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে হাতে এনেছেন কয়েকটি ছোট উপহার। সেদিনের সৌভাগ্যবানদের একজন ছিল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মহুয়া আক্তার। ভালো ফলাফলের স্বীকৃতি হিসেবে তার হাতে তোলা হয় একটি নতুন স্কুল ব্যাগ। মহুয়ার চোখে ঝিলিক, মুখে হাসি, কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়।একদিন পরেই খবর এলো, মহুয়া নাকি ব্যাগটা নিজের কাছে রাখেনি। চতুর্থ শ্রেণির এক সহপাঠী, যার বাবা দিনমজুর, তার কাছে ব্যাগটা দিয়েছে চুপিচুপি। কারণ, 'ওর প্রয়োজন আমার চেয়ে বেশি।' সম্প্রতি মানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের মটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ইউএনও মোছা. আকলিমা বেগমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।সেখানে তিনি লেখেন, ইউএনও হিসেবে স্কুল পরিদর্শনের সময় বাচ্চাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য টুকটাক উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। সর্বোচ্চ উপস্থিতি, মেধা বা প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরাই এই উপহার পেয়ে থাকে। সেদিনও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মহুয়া ভালো করায় তাকে একটি ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়। পরে জানতে পারেন, মহুয়া আপাতত নিজের প্রয়োজন না থাকায় ব্যাগটি চতুর্থ শ্রেণির এক গরিব সহপাঠীকে উপহার দিয়েছে।স্ট্যাটাসে ইউএনও লিখেছেন, 'অল্প বয়সে কত বড় মনের অধিকারী হলে এরকম ভালো কাজ করা সম্ভব! মহানুভবতার এক দারুণ উদাহরণ। মহুয়াসহ তার পুরো পরিবার এই ভালো কাজের দাবিদার। তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দেরও অবদান অনস্বীকার্য।' শেষে ইউএনওর একটিমাত্র বাক্য যেন পুরো গল্পটার সারমর্ম- 'মহুয়া, তোমার জন্য আমার অনেক দোয়া ও ভালোবাসা। তুমি আকাশের সমান বড় হও! তোমাদের হাত ধরেই বদলে যাক আমাদের এই পৃথিবী।'এই স্ট্যাটাসটি ছুঁয়ে গেছে অসংখ্য মানুষকে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন- এমন শিশুরাই আগামী দিনের মানবিক সমাজ গড়বে। মহুয়া হয়তো জানে না, তার ছোট্ট এই কাজটিই হয়ে উঠেছে বড় এক শিক্ষা, দেওয়ার আনন্দ পাওয়ার চেয়েও গভীর।মহুয়া আক্তার বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের মটরা গ্রামের মো. শহীদুল ইসলাম ও হামিদা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিন বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করেন, মা গৃহিণী। পরিবারে আর্থিক অবস্থা সাধারণ হলেও শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও ভদ্র আচরণের জন্য মহুয়া শিক্ষকদের কাছে প্রিয় ছাত্রী।বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, “ইউএনও ম্যাডাম ব্যাগটি দেওয়ার পর আমি আমার গণিত ক্লাসে গিয়ে জানতে চাই, কে কী পুরস্কার পেয়েছে। সবাই বলল, মহুয়া একটি ব্যাগ পেয়েছে। আমি দেখতে চাইলে সে বলে, ‘স্যার, আমি ব্যাগটা চতুর্থ শ্রেণির এক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে দিয়ে দিয়েছি।’ তখন আমার কাছে সে এত বিশাল মনের অধিকারী মনে হলো যে, অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে।”তিনি আরও বলেন, 'যে শিক্ষার্থীকে ব্যাগটি দিয়েছে, সে সত্যিই খুব দরিদ্র। আমরা শিক্ষকরা নিজেরাও তাকে পোশাকসহ আনুষঙ্গিক কিছু দিতে চেষ্টা করেছি। পরে পুরো ক্লাসের সামনে মহুয়াকে প্রশংসা করেছি এবং অন্য শিক্ষার্থীদেরও অনুপ্রাণিত করেছি। সবাইকে বলেছি, দেখো আমরা অনেক সময় অন্যের কথা ভাবি না, অথচ মহুয়া এত ছোট হয়েও অন্যের প্রয়োজন বুঝে কাজ করেছে। বিষয়টি আমি ইউএনও ম্যাডামকেও জানিয়েছি।' এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'সেদিন আমি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ইংরেজি সাবজেক্ট থেকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। মহুয়া সেগুলোর উত্তর ভালোভাবে দিতে পেরেছিল। তাই তাকে ব্যাগ উপহার দিই। পরে জানতে পারি, চতুর্থ শ্রেণির এক সহপাঠী, যার ব্যাগ নেই এবং যার আর্থিক অবস্থা খারাপ, তাকে সে ওই দিনই ব্যাগটি দিয়ে দিয়েছে।' তিনি যোগ করেন, 'সাধারণত আমরা বড়রাও উপহার পেলে নিজের কাছেই রাখতে চাই। কিন্তু সে নিজের প্রয়োজনের আগে অন্যের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েছে, এটা সত্যিই ব্যতিক্রম। বিষয়টি আমার কাছেও অনুপ্রেরণার। আমি নিজেও হয়তো ওই বয়সে এমনটা করতে পারতাম কিনা সন্দেহ আছে।' একটি সাধারণ স্কুল ব্যাগ-যার দাম হয়তো অল্প, কিন্তু যার ভেতর লুকিয়ে আছে অমূল্য শিক্ষা। মহুয়া দেখিয়ে দিয়েছে, ভালো মানুষ হতে বয়স লাগে না; লাগে কেবল একটি সহানুভূতিশীল মন। তার সেই ছোট্ট ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছে বড় এক আলো- যে আলোয় হয়তো গড়ে উঠবে আরও অনেক মহুয়া, যারা শেখাবে, ‘দেওয়াতেই সবচেয়ে বড় তৃপ্তি।’এসকে/আরআই 
    ৩৭ কেজির বিরল ‘কালো পোয়ার’ দাম লাখের উপরে
    পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩৭ কেজি ওজনের বিরল সামুদ্রিক মাছ ‘কালো পোয়া’। স্থানীয়ভাবে এটি ‘দাঁতিনা’ বা ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের মনোয়ারা ফিশে আনা হলে সেটি দেখতে ভিড় জমে যায়। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না।আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি তরিকুল মাছটি ধরেন। ৩৭ কেজি ওজনের এই মাছ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার টাকায়।স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সগির আকন বলেন, এমন মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। শুনেছি দাম এক লাখ টাকার বেশি- এটা সত্যিই অবাক করার মতো।ইকোফিশ বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, ‘কালো পোয়া’ (Protonibea diacanthus) Sciaenidae পরিবারের দুষ্প্রাপ্য মাছ। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০-১৮০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১০-২৫ কেজির মধ্যে হলেও কখনো ৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এদের দেখা মেলে।তিনি আরও বলেন, মাছটির বায়ু থলি বা এয়ার ব্লাডার চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম অনেক বেশি।কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জেলেরা ৩৭ কেজির দাঁতিনা পেয়েছেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এ ধরনের মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। সরকারের জাটকা ও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল এখন দেখা যাচ্ছে।উল্লেখ্য, চলতি বছরে আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরে এ প্রজাতির ৫টি মাছ বিক্রি হয়েছে। মাছের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য বাড়ায় উপকূলীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।এনআই
    পাথরঘাটায় মিথ্যা মামলা করায় বাদির কারাদণ্ড
    বরগুনার পাথরঘাটায় মিথ্যা ডাকাতি মামলা করার কারণে প্রাথমিক তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাদি আব্দুর রব মুন্সিকে (৬০) ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দশ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।বুধবার দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. পনির শেখ এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মুবিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আব্দুর রবের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামে।জানা যায়, প্রবাসী নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে পাথরঘাটা থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন আব্দুর রব। ওই মামলা তদন্ত করেন এসআই শহিদুল ইসলাম। তদন্ত শেষে বাদির করা মামলার বিবরণ মিথ্যা বলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই চার্জশিটের ভিত্তিতে আসামীর উপস্থিতিতে আদালত ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দশ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।পাথরঘাটা থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, "আমার তদন্তে প্রমাণিত হয় বাদির অভিযোগ মিথ্যা। সাক্ষ্য প্রমাণ অনুযায়ী চার্জশিট দাখিল করেছি।"এনআই
    ঘুঘু শিকার করে ফেসবুক লাইভে রান্না ও ভোজন, যুবকের অর্থদন্ড
    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২০ টি ঘুঘু ও শাকিল পাখি শিকারের পর ফেসবুক লাইভে রান্না। বায়েজিদ আমীন (২৭) নামের এক যুবককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা বারোটার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের আমতলী পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক। এসময় কলাপাড়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোসারেফ হোসেন ও এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে প্রশাসেনর এমন পদক্ষেপের জন্য স্বাদুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। এর আগে মঙ্গলবার রাত দুইটায় ওই যুবক বন্ধুদের নিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে পাখিগুলো রান্না করেন।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক বলেন, এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে এক যুবককে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পরে সে অর্থ পরিশোধ করে পাখি শিকার করবেনা মর্মে মুচলেখা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশে সংরক্ষিত ৭০০ পাখি শিকার হত্যা, আটক ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ন বেআইনি। ভবিষ্যতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসআর
    মনপুরায় ভয়াল ১২ নভেম্বরকে 'উপকূল দিবস' স্বীকৃতির দাবিতে র‌্যালি
    ভোলার মনপুরায় ভয়াল ১২ নভেম্বরকে জাতীয় 'উপকূল দিবস' হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে র‌্যালি করেছে উপজেলা যুবদল। উপকূল ফাউন্ডেশন'র উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের উদ্যোগে এ র‌্যালির আয়োজন করা হয়।বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা যুবদলের কার্যালয় থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়।এ সময় ৭০'র ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ নিহতদের স্মরণ, উপকূলের সংকট, সমস্যা, সম্ভাবনা ও উপকূলের মানুষের ন্যায্যতার দাবির ভিত্তিতে ১২ নভেম্বরকে 'জাতীয় উপকূল দিবস' হিসেবে রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবি জানান বক্তারা।র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদল সভাপতি মোঃ সামসুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ কামাল উদ্দিন, সদস্যসচিব হাফেজ মোঃ আব্দুর রহিম, যুবদল নেতা মোঃ ইয়াসিন মিয়া, মোঃ ইলিয়াস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান পলাশ, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক ইকরামুল কবির, সদস্য সচিব মোঃ শাহীন সহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লখ্য, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর দেশের উপকূলজুড়ে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্কারি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। ওই জলোচ্ছ্বাসে পানির নিচে তলিয়ে যায় বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের সব উপকূলীয় জেলা ও উপজেলাসমূহ। এতে অন্তত ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। সেই থেকে ১২ নভেম্বর আসলেই উপকূলের মানুষের চোখে ভেসে ওঠে স্বজন হারানোর বেদনা। তাই অন্তত এসব স্বজন হারানো মানুষদের জন্য একটি দিন তথা 'উপকূল দিবস'র দাবি জানিয়ে আসছেন উপকূলের মানুষ।ইখা
    সত্তরের ১২ নভেম্বর: ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ
    আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ভোলাসহ উপকূলবাসীর বিভীষিকাময় এক দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ভোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। উপকূলীয় এলাকাগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। সেসময় দেড় লক্ষাধিক মানুষ প্রলয়কারী এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারায়। একইসাথে নিখোঁজ হয় সহস্রাধিক মানুষও।সেই ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে আজো বেঁচে আছেন অনেকে। ৫৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই বিভীষিকাময় দিনটি মনে পড়তেই আঁতকে উঠছেন স্বজনহারা মানুষেরা।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আবহাওয়া আরও খারাপ হতে শুরু করে। মধ্যরাত থেকেই ফুঁসে উঠে সমুদ্র। তীব্র বেগে উপকূলীয় এলাকার দিকে ধেয়ে আসে পর্বতসম উঁচু ঢেউ। সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে লোকালয়ের উপর। আর মুহূর্তেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষ, গবাদি পশু, বাড়ি-ঘর, ক্ষেতের সোনালী ফসলসহ বহু কিছু। পথে প্রান্তরে খোলা আকাশের নীচে পড়েছিলো কেবল লাশ আর লাশ। মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয় ভোলাসহ গোটা অঞ্চল। এই বন্যাতে ভোলাতেই দেড় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উত্তাল মেঘনা নদীসহ খাল-বিলগুলো রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের স্তুপে। নদীতে এত মরদেহ ছিল যে, প্রশাসন মাছ ধরায় পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে।ভয়াবহ দিনটির বর্ননা দিয়ে নীলকমল ইউনিনের বাসিন্দা মো. রতন বলেন, ‘তখন ছিল পবিত্র রমজান মাস। এবং প্রচুর শীত ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। মধ্যরাতে হঠাৎ মানুষের আত্মচিৎকার শুনে সবাই জেগে উঠি। তখন দক্ষিণ থেকে পানি আসতেছে এমন শব্দ শুনতে পাই। বাইরে প্রচুর বাতাস। মুহুর্তেই জোয়ারের পানিতে মানুষের বসতঘর ডুবে যায়। তখন কেউ চনের চালায়, কেউ টিনের চালায়, কেউ গাছের মগডালে, কেউ হাতের কাছে যা পেয়েছে তাই ধরে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করেছে। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের।’বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণঘাতী ঝড়ের তালিকা করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। তালিকার প্রথমেই পৃথিবীর প্রাণঘাতী ঝড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের উপকূলে সংঘঠিত ঝড় "সাইক্লোন ভোলা"। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় কয়েক জেলায় আঘাত হেনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সাইক্লোন ভোলার বাতাসের গতি ও জলোচ্ছ্বাসের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ১৯৬০ থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমানায় আঘাত হানা ঝড়ের সেই তালিকায় সাইক্লোন ভোলার বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ২২৪ কিলোমিটার এবং এর প্রভাবে ১০-৩৩ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই তালিকা থেকে আরো জানা যায়, ঝড় আঘাত করেছিল তখনকার পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশের ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা এবং চট্টগ্রাম জেলায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রাণহানি হয় ভোলা জেলায়।চরফ্যাশন উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, তখনকার সময়ে মানুষের কাছে আবহাওয়ার খবর পৌঁছানোর জন্য বর্তমানের মতো কোন প্রযুক্তি ছিল না। আধুনিক যুগে কোন দুর্যোগ সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষ তার আগাম খবর পেয়ে যায়। এছাড়াও জরুরি দুর্যোগ মুহুর্তে উপকূলের মানুষদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য এই উপজেলাতে পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মৌসুমে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।এনআই
    শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
    ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের পলাশতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন—নালিতাবাড়ী উপজেলার খিশাকুড়ি বাঘবের গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে রতন মিয়া (৩৫) ও তার মেয়ে নুরিয়া খাতুন (৭)।স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান রতন মিয়া। বুধবার ভোরে পরিবারের লোকজন ঘরের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় রতন ও তার মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। একই ঘর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রতনের স্ত্রী জুলেখা খাতুনকে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে হালুয়াঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন।ওসি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত রতনের শ্বশুর দুলাল মিয়া ও তার স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আমরা কাজ করছি।”বাবা-মেয়ের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও আতঙ্কের ছায়া। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন শতাধিক স্থানীয় উৎসুক মানুষজন ও আত্মীয়স্বজনরা।ইখা
    জামালপুরে বিনা অনুমতিতে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ
    জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে কদমতলী-সানন্দবাড়ী মেইন রাস্তার সরকারি তিনটি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান এর বিরুদ্ধে। জানা যায়, পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা নাজমুল হাসান কয়েক বছর পুর্বে বাড়ি করার জন্য দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে জমি কিনেন। বাড়ির কাজ করার সময় তিনি সরকারি জমিতে থাকা তিনটি কড়ই গাছ কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানায়, বিগত কয়েক বছর আগে চরপাড়া এলাকায় মেইন রাস্তার সাথে বাড়ি করার জন্য জমি কিনেন নাজমুল হাসান। গত কয়েক দিন আগে সড়কের পাশে থাকা সরকারি তিনটি গাছ টিনের বেড়া দিয়ে আটকে তার জমির অন্তর্ভুক্ত করে নেন।বিগত রোববার (০৯ নভেম্বর) সকালবেলা গাছগুলো কাটা শুরু করলে স্থানীয় জনগণ এলাকার ইউপি সদস্যকে খবর দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাপ্পি ও আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ বলেন, ‘এগুলো সরকারি গাছ। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গাছগুলো কেটেছেন। গাছগুলোর বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর, রাস্তার দুধারে আরোও অনেক প্রজাতের গাছ রয়েছে।’এ ব্যাপারে জমির মালিক নাজমুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন তিনি সরকারি ভাবে গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে এসেছেন কিন্তু অনুমতির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।ডাংধরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ফজলুল করিম মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাছ কাটার অনুমতির কোন কাগজ পত্র নাজমুল হাসান দেখাতে পারেনি তাই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গাছ গুলো জব্দ করে  ডাংধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নেওয়া হচ্ছে, পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’এসএম
    আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনন্য- নান্দাইলে ইউএনও
    ময়মনসিংহের নান্দাইলে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেবেকা সুলতানা ডলি উপস্থিত ছিলেন।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসিনক সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভার শুরুতে নবাগত ইউএনও উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রথমে নিজের পরিচয় তুলে ধরে  উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন। এ সময় তিনি নান্দাইলের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য ও মতামত জানতে চান।ইউএনও বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র ও উন্নত জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনন্য। সুষ্ঠু ধারার সাংবাদিকতা সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।তিনি বলেন, নান্দাইলকে একটি আদর্শ, উন্নত ও সুশৃঙ্খল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ সকল স্তরের অংশীজনদের সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।এজন্য আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা লাগবে। আশা করছি, আমরা মিলেমিশে এ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে পারবো।সভায় নান্দাইলের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক হান্নান মাহমুদ, এনামুল হক বাবুল, এবি সিদ্দিক খসরু, সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বাবুল, সাংবাদিক প্রবাল মজুমদার,জালাল উদ্দিন মণ্ডল, মোখলেছুর রহমান, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।সভায় নান্দাইলে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।এসএম
    ময়মনসিংহে দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
    ময়মনসিংহ–নেত্রকোনা রুটে রেল চলাচল প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গৌরীপুর রেলস্টেশনের কাছে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর ট্রেনটি দ্রুত থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে হঠাৎ ধোঁয়া ও আগুন দেখে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।ময়মনসিংহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ইঞ্জিনে আগুন লাগার পরই ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে বিকল্প ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ–নেত্রকোনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।”রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি তদন্তে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি টিম গঠন করেছে।ইখা
    গৌরীপুরে কমিউটার ট্রেনে আগুন, বন্ধ ট্রেন চলাচল
    ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লেগে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গৌরীপুর রেলস্টেশনের কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে।রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া অভিমুখী ৪৯ নম্বর বলাকা কমিউটার ট্রেনটি গৌরীপুর পৌঁছানোর আগে ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে চালক দ্রুত ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, ‘ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগে। পরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ইঞ্জিন পরিবর্তনের কাজ চলছে।’ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘শটসার্কিট থেকেই মূলত ইঞ্জিনে আগুন লাগে। রিলিফ ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। ইঞ্জিন পরিবর্তনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গৌরীপুর–ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।’রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বিকল ইঞ্জিন সরিয়ে নেওয়া ও রুট সচল করতে উদ্ধারকাজ চলছে।ইখা
    ফুলবাড়ীতে রাসযাত্রা উৎসব সম্পন্ন
    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রাসযাত্রা উৎসবে হাজারও ভক্তদের মাতিয়ে তুললেন লীলা শিল্পীরা। গভীর রাতে শীতকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তগণ লীলা শিল্পীদের অসাধারণ লীলা কীর্তন উপভোগ করেন।লীলা কীর্তনের মধ্য দিয়ে সাতদিন ব্যাপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসযাত্রা উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুধবার দুপুরে মোহন্ত বিদায় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। এর আগে গেল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত ৯টায় উপজেলার গোরকমণ্ডল এলাকায় রাধাগোবিন্দ সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন জ্বালানি সাতদিন ব্যাপী রাসযাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধক প্রধান শিক্ষক ও পুজা পরিষদের নেতা সৌরেন্দ্র চন্দ্র গোস্বামী ও প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি কার্তিক চন্দ্র রায়।অনুষ্ঠানের সভাপতি গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সাতদিন ব্যাপী রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে ভাগবত আলোচনা, ভজন কীর্ত্তণ ও মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান ও লীলা কীর্তন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সাতদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়াও প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরাও অনুষ্ঠানস্থলে এসেছেন এবং খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ জন্য কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’সাতদিন ব্যাপী রাসযাত্রা অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডল জানান, গত দুই বারের চেয়ে এ বছর অনুষ্ঠানটি অনেকগুন ভালো হয়েছে। শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন ও বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন। ফলে সাতদিন ব্যাপী রাসযাত্রা উৎসব ফুলবাড়ী উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম, রাজারহাটসহ পাশের জেলা লালমনিরহাট থেকেও বহুভক্ত এসেছেন। কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিদিন ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেন অনুষ্ঠানটি অনেক ব্যয়বহুল। ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়। স্থানীয়ভাবে সবাই মিলে যার যতটুকু সামর্থ্য ততটুকু নিয়েই অনুষ্ঠানটি করা হয়। এ বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এক মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেন। এ জন্য কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো। সব মিলিয়ে এবারের অনুষ্ঠানটি অত্যান্ত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, ‘সাতদিন ব্যাপী রাসযাত্রা উৎসবের প্রথম দিন থেকে আমাদের পুলিশ বাহিনী সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। আমি কয়েক দিনে গিয়ে দেখেছি অনুষ্ঠানটি অনেক বড়। সেখানে বিজিবির সদস্যরা সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করেছে। তবে সবার প্রচেষ্টায় এতোবড় অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সমাপ্তি হয়েছে।’ইখা
    রংপুরে গাছের পাতা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে তেল
    রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় গাছের পাতা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে তেল। বিস্ময়কর এই কাজটি করে দেখিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা কাউনিয়া উপজেলার সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান আরিফ।জানা যায়, তাইওয়ানের একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে পাঁচ বছর চাকরির সুবাদে ওই কোম্পানির মালিকের পরামর্শ ও সহযোগিতায় কয়েক বছর আগে তিনি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের শ্রীকান্ত গ্রামে লিজ নেওয়া এক একর জমিতে শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ান ‘টি ট্রি’ গাছের চাষ। এ বছর সেই গাছের পাতা থেকে বিশেষ মেশিনের সাহায্যে অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ও হাইড্রোসল ওয়াটার উৎপাদন শুরু করেছেন তিনি। চলতি বছর তার প্রকল্প থেকে ৩০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।তবে আরিফের যাত্রাটা সহজ ছিলনা। শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে বিদেশ থেকে চারা আনতে পারেননি। পরে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড থেকে অল্প কিছু বীজ সংগ্রহ করেন। কিন্তু সেই বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটের সহায়তায় তিন বছরের প্রচেষ্টায় ৪০টি চারা উৎপাদনে সফল হন তিনি। সেই চারাগুলোর কাটিং থেকে এখন তার এক একরের প্রকল্পে ২ হাজারের বেশি টি ট্রি গাছ রয়েছে।গাছ বড় হওয়ার পর পাতা থেকে কিভাবে তেল উৎপাদন করবেন সেটা নিয়েও পড়েন বিপাকে। চীন থেকে ছোট একটি মেশিন এনে সেটি বিশ্লেষণ করে স্থানীয়ভাবে ৫০০ লিটার ধারণক্ষমতার মেশিন তৈরি করেন তিনি। বর্তমানে সেই মেশিন দিয়ে সফলভাবে তেল ও হাইড্রোসল উৎপাদন করে তা দেশে ও বিদেশে বিক্রি করছেন। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন ১০ থেকে ১২ জনের।প্রথমে শ্রমিকরা গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে সেগুলো ড্রামের পানিতে ধুয়ে স্ট্রিলের চৌবাচ্চায় তোলেন। পরে সেই পাতাগুলো চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা জাল দিয়ে স্টিম ডিস্টিলেশন পদ্ধতিতে বের করা হয় তেল ও হাইড্রোসল। প্রতি ব্যাচে ৫০ কেজি পাতা থেকে তিন ব্যাচে দিনে দেড় লিটার তেল উৎপাদন হচ্ছে এখন সেখানে। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, সেখানে তাদের কর্মসংস্থান হওয়ায় তাদের সংসার বেশ ভালো চলছে।পীরগাছা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান মো. এজাজুল ইসলাম জানান, তিনি জানতেন গাছের পাতা শুধু ঝরে যায়, তা দিয়ে কোন কাজ হয়না। কিন্তু গাছের পাতা থেকে যে তেল হয়, শুনে তিনি অবাক হয়েছেন। তিনি নিজেও সেই তেল ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন। দেশে আরিফের মত আরও নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হোক, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক এই প্রত্যাশা করেন তিনি।আরিফ বলেন, ‘টি ট্রি পাতার তেল ও হাইড্রোসল ওয়াটার বিশ্বব্যাপী স্কিন কেয়ার, চুলপড়া, খুশকি, ব্রণ, ফাঙ্গাস, স্ক্যালব সমস্যার সমাধানসহ প্রসাধনী ও ওষুধের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি যা থাইল্যান্ড ও তাইওয়ানে রপ্তানি করা হচ্ছে। দেশের বাইরে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। এবছরে চীনে স্যাম্পল পাঠিয়েছি। বছরে একবার ফসল উঠে। সরকার যদি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করেন, তাহলে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়সহ অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখতে চাই।’পীরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, গাছটি লাগানোর ২ থেকে ৩ বছর পরে ফল পাওয়া যায়। একবার গাছ লাগালে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা সম্ভব। আমরা কাটিং করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। একই সাথে এই গাছের পাতা থেকে উৎপন্ন তেলে ক্ষতিকর দিক আছে কিনা সেটাও যাছাই করে দেখা হচ্ছে। পোকা মাকড় থেকে গাছগুলোকে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি।’ইখা
    ১২ বস্তা চায়ের তদন্তে নেমে ৮ হাজার ৬০০ কেজির রাজস্ব ফাঁকির সন্ধান
    পঞ্চগড়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পপুলার টি ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে চা পাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পেয়েছে কাস্টমস। কাস্টমসের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আট হাজার ৬০০ কেজি চায়ের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার তথ্য মিলেছে। টাকার অংকে যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। যার তদন্ত শুরু হয়েছিল ১২ বস্তা চা সুন্দরবন কুরিয়ারে বুকিং দেওয়াকে কেন্দ্র করে। এর প্রতিটি বস্তায় ছিল ৫০ কেজি চা।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পপুলার টি ফ্যাক্টরি মালিকপক্ষকে  পঞ্চগড় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সার্কেল থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়। শুনানিতে অংশ নেওয়ার দিন ধার্য করা হয় ১৮ নভেম্বর। এছাড়া লিখিত জবাব দাখিলের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।কারখানা কর্তৃপক্ষ শুনানিতে অংশগ্রহণ বা লিখিত জবাবসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিলের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা পর্যালোচনা করে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।এর আগে গত ১৬ অক্টোবর কুরিয়ারে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না নিয়ে চা বুকিং ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পপুলার টি ফ্যাক্টরির চা পাচারের অভিযোগে সময়ের কণ্ঠস্বরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের একটি দল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের দেবীগঞ্জ এজেন্সী ও পপুলার টি ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে জানা যায়, কুরিয়ার এজেন্সী যে কাগজপত্র দেখিয়েছে তা বৈধ ডকুমেন্ট নয়। ফ্যাক্টরীতে যাওয়ার পর ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ কুরিয়ারে বুকিং দেওয়া চায়ের বিপরীতে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরমধ্যে মূসকের ৬.৩ চালান না থাকাসহ ক্রয়-বিক্রয় রেজিস্টারে অসঙ্গতি দেখা গেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি লিখিতভাবে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগকে জানান তারা। এরপরই তদন্ত শুরু করে কাস্টমস।পঞ্চগড় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সার্কেলের সহকারী কমিশনার খন্দকার সোলায়মান বলেন, যদিও প্রাথমিক ভাবে ১২ বস্তা চায়ের রাজস্ব ফাঁকির ধারণা করা হচ্ছিল তদন্তে আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর কাস্টমস অভিযান চালিয়ে কারখানার বাইরে পরিবহনরত অবস্থায় ১৩ হাজার কেজি চা জব্দ করে এবং জাল নথি ব্যবহারের প্রমাণে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করে। পরবর্তীতে ২০ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ চা বোর্ড অবৈধভাবে চা স্থানান্তরের অভিযোগে পপুলার টি ফ্যাক্টরির অনুমোদন ও নিবন্ধন স্থগিত করে কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। পরে মালিকপক্ষের আবেদন ও চাষীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় নিয়ে কারখানার কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেয় চা বোর্ড।এসআর
    সময়ের কন্ঠস্বরে সংবাদের পর বিরামপুরের সেই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ
     ‘বিরামপুরে একই চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে দুই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ' শিরোনামে গত সোমবার (১০ নভেম্বর) অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কন্ঠস্বরে সংবাদ প্রচারের পর নড়েচড়ে স্বাস্থ্য বিভাগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুমোদনহীন সেই দিনাজপুরের বিরামপুরে মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের সকল কার্যক্রম। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিরামপুরে একই চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে দুই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ' শিরোনামে একটি নিউজ সময়ের কন্ঠস্বরের অনলাইনে দেখতে পাই। পরে দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে সেই অনুমোদনহীন মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি বিরামপুরের অনুমোদনহীন মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারে এক যুবকের টনসিল অপারেশন করেন ডা. শের আলী মর্তুজা। অপারেশনের পর ঐ যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রংপুরে নিয়ে তার শরীরে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়, কিছুক্ষণ পর রোগীটির মারা যায়। আবার ঐ একই ডাক্তার নবাবগঞ্জে আর এক যুবকের টনসিল অপারেশন করতে গেলে ঐ যুবকও মারা যায়।এসআর
    ৪৯তম বিসিএস: শিক্ষা ক্যাডারে ইতিহাস বিভাগে প্রথম নীলফামারীর সোহেল রানা
    ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এবারের পরীক্ষায় মোট ৬৬৮ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।উত্তীর্ণদের মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারের ইতিহাস বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নীলফামারী জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের কুখাপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান মো. সোহেল রানা।তিনি কৃষক আবু হোসেন ও গৃহিণী সাহিদা বেগমের চতুর্থ সন্তান।সোহেল রানা ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে সিজিপিএ-৩.৫৪ পেয়ে স্নাতক এবং ২০২১ সালে একই বিভাগ থেকে সিজিপিএ-৩.৫৬ পেয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।এর আগে তিনি ২০১৪ সালে সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ এবং ২০১৬ সালে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।প্রতিক্রিয়ায় সোহেল রানা সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এই অর্জন শুধু আমার একার নয়, এটি আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও পরিবারের সকলের পরিশ্রমের ফল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার। আমি বিশ্বাস করি, মনোযোগ, পরিশ্রম ও ধৈর্য থাকলে গ্রাম থেকে উঠে এসেও বড় কিছু করা সম্ভব।’তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে কাজ করতে চাই, যাতে গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।’সন্তানের সাফল্যে বাবা আবু হোসেন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘আমি একজন কৃষক মানুষ। সারা জীবন জমিতে কাজ করে ছেলেদের মানুষ করেছি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না, কিন্তু আমি কখনো সোহেলকে পড়াশোনার পথে বাধা দিইনি। আজ সে দেশের একটি বড় পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। এটা আমাদের গ্রামের, আমাদের পরিবারের গর্ব। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার ছেলের এই সাফল্যে আমি আনন্দে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমার বিশ্বাস, সে একদিন দেশের জন্য কিছু করবে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া।’এসআর
    লালপুরে পুতুলের প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল
    নাটোরের লালপুরে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুলের প্রার্থীতা বাতিল ও নতুন প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নাটোর-১ (লালপুর–বাগাতিপাড়া) আসনের প্রার্থীর সমর্থকরা লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু করে রামকৃষ্ণপুর এলাকায় শেষ করেন। মিছিলকারীরা ব্যারিস্টার পুতুলের মনোনয়ন বাতিল করে ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজনকে প্রার্থী করার দাবিতে স্লোগান দেন।লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, “তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে দুঃসময়ের কাণ্ডারী ও ত্যাগী নেতা ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজনকেই প্রার্থী করতে হবে।”মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আশরাফুল আলম লুলু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক কালু, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রায়হান কবির সুইট, গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।উল্লেখ্য, ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন মরহুম ফজলুর রহমান পটলের বড় ছেলে ও নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য। ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুলকে নাটোর-১ আসনে প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই পুতুলের প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে ডা. রাজনের সমর্থকরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। তবে জেলা বিএনপির অনেকেই পুতুলের সমর্থন জানাচ্ছেন।এনআই
    ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন
    নওগাঁর ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে ১৬টি ইট ভাটার মালিক-শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। দ্রুত ভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রতাহার করে ইটভাটা পুনরায় চালু করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি দেওয়ান ওয়াজেদ আলী কবির, সহসভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য আবু সাঈদ সিদ্দিকী, আবদুল মালেক, আবদুর কাদের, শ্রমিক মো. সোহেল, রকিবুল ইসলাম প্রমুখ।ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকারকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে ইটভাটা ব্যবসা করি। একটি ভাটায় মোট ২৫০ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। আমরা চলতি মৌসুমে ইট ভাটার ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রিম ঋন করেছি। আবার অগ্রিম লেবার শ্রমিকদের বেতনসহ কয়লা, মাটি স্টকের পাশাপাশি জমির মালিকদের অগ্রিম ভাড়া প্রদান করেছি। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চলতি মাসে ইটভাটা বন্ধের নোটিশ করেছেন। আমরা এমতাবস্থায় ভাটা চালু না করতে পারলে চর্তুমুখী ক্ষতির সম্মুখিন হব।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানববন্ধনের মাধ্যমে ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা মিলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টার নিকট ইটভাটা চালুর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের জীবন-জীবিকা ও এলাকার অর্থনীতি সচল রাখতে সুদৃষ্টি কমনা করি।’ইখা
    দাদন ব্যবসায়ীর খপ্পর থেকে বাঁচতে একাট্টা এলাকাবাসী
    সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে আব্দুর রশিদ নামের এক দাদন ব্যবসায়ীর খপ্পর থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং তার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হরিনাথপুর বাজারে এ মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভুক্তভোগীদের সাথে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। আব্দুর রশিদ উপজেলার হরিনাথপুর মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আব্দুর রশিদের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম সুদের ব্যবসা। ছোট খাটো ব্যবসায়ীসহ গ্রামের নিম্নবিত্ত মানুষদের চড়াসুদে ঋণ দেন তিনি। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতাকে নিজের স্বাক্ষর করা খালী চেক (ব্ল্যাঙ্ক চেক) ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। পরে ঋণ গ্রহীতা সুদসহ সমুদয় পাওনা পরিশোধ করলেও তার মুক্তি মেলে না। জমা ফাঁকা চেক ফেরত চাইলে এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন আব্দুর রশিদ। টাকা না মিললে মামলার ভয় দেখান, পাঠান আইনি নোটিশ।ভুক্তভোগী হরিনাথপুর গ্রামের বুদার ছেলে ফজলুল হক বলেন, 'আমি ২০২৩ সালে সোয়া দুই লাখ টাকা লোন নিয়েছি রশিদের কাছ থেকে। দুই বছর সুদ টেনেছি মাসিক ১০ টাকা শতাংশ হারে। পরে পরিশোধ করতে না পারলে নতুন করে ৩ লাখ টাকা দাবী করে আমার কাছে। প্রথম ধাপে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু বাকী ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেবার জন্য চেষ্টা করেও পারিনি উপরন্তু উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে আমার নামে। সেখানে উল্লেখ করেছে আব্দুর রশিদ আমার কাছে ২৫ লাখ টাকা পায়।'মোহাম্মদ কাফি নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, 'চার বছর আগে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। ১৫ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে সুদ দিয়েছি। পাঁচ লাখের ওপর সুদই পরিশোধ করেছি আমি। পরে এনজিও থেকে লোন করে সেই টাকা পরিশোধ করেছি। আব্দুর রশিদ এখন আমার কাছে দশ লাখ টাকা দাবী করছে।'মানববন্ধনে উপস্থিত হরিনাথপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, 'আব্দুর রশিদ একজন সুদ খোর। সে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করছে। সেই ব্ল্যাক চেক দিয়ে সে মামলাও করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আগেও মীমাংসার চেষ্টা করেছি কিন্তু রশিদ পাত্তা দেননি।'স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিপন মিয়া বলেন, 'মাঝে মাঝেই আব্দুর রশিদের এই সুদের কারবার নিয়ে আমরা বিচার সালিশ করি। তিনি গোপনে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও খালি স্ট্যাম্পে সই নিয়ে চড়া সুদে ঋণ দেন। পরে নানাভাবে ঋণ গ্রহিতাদের হয়রানি করেন। এর আসলে একটা সুরাহার হওয়া দরকার। প্রায় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী আছেন যারা রশিদের হয়রানিতে অতিষ্ঠ। 'অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে সৌরভ বলেন, 'মাসিক শতকরা দশ টাকা হার সুদে ঋণ দেয় আমার বাবা। জামানত হিসেবে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প জমা দেন ঋণ গ্রহিতারা। যারা আমার বাবার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে তারা টাকা নিয়ে পরিশোধ করে নাই।'এ ব্যাপারে কাজীপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। উনি যদি সমবায়ের ব্যানারে সুদের ব্যবসা করে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ব্যক্তিগত ভাবে চড়া সুদে ঋণ দিলেও তিনি অপরাধী।'কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, 'বিষয়টা আমার নলেজে নেই। যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে।'কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'যদি অপরাধ করে এমন অভিযোগ আসে তাহলে বিধি মোতাবেক তদন্ত করে অপরাধের প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'এসআর
    উল্লাপাড়ায় ঘুষ না দেওয়ায় চাকরি হারালেন নারী শিক্ষিকা
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এনটিআরসি নিয়োগপ্রাপ্ত এক নারী শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদ শিক্ষক মোমেনা খাতুনের কাছ থেকে চাকরিতে যোগদানের সময় দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে এমপিওভুক্তির নাম করে আরও বিশ হাজার টাকা চান তিনি। এমনকি সাম্প্রতিক অডিটের সময় মাদ্রাসার স্টাফদের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মোমেনা খাতুন বলেন, সে এনটিআরসি’র মাধ্যমে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরও সুপার বারবার ঘুষের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের হয়রানি শুরু করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করি। পরদিনই তাকে সেই সুপার অশালীন ভাষায় গালাগাল করে এবং এক দিনের মধ্যে বরখাস্ত করেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, সুপার আব্দুস সামাদ তাঁর স্ত্রীকে সভাপতি করে পুরো মাদ্রাসাটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। হাজিরা খাতা ও ক্লাস রুটিনে দেখা গেছে, সুপারসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শিক্ষক নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ক্লাস নিচ্ছেন মাদ্রাসার আয়া ও পিয়নরা। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেমে এসেছে স্থবিরতা, ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী।এ বিষয়ে সুপার আব্দুস সামাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ মিললে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসআর
    গরুর ব্যবসায়ী থেকে মানবপাচার চক্রের সদস্য শফিকুল!
    ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালি পাঠানোর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের এক সদস্য। প্রাণহানির ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপগামী বহু তরুণ সর্বস্ব হারিয়ে ফিরে আসছেন বা নিখোঁজ হচ্ছেন। চক্রটির অন্যতম সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের গুয়াগাঁতী গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে শফিকুল ইসলাম।লেখাপড়া না জানা শফিকুল ইসলাম এলাকায় গরুর ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যবসায় লোকসানের পর প্রায় চার বছর আগে তিনি লিবিয়া যান। সেখানে গিয়ে তার যোগাযোগ হয় ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়ার মাফিয়া চক্রের সঙ্গে। এরপর থেকে তিনি হয়ে ওঠেন মানবপাচারকারী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ লিবিয়া হয়ে ইতালি পৌঁছেছেন। প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে গড়ে ২০ লাখ টাকা করে।প্রতারিত যাত্রীর ভয়াবহ অভিজ্ঞতানাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইতালিগামী যাত্রী জানান, শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ১৯ লাখ টাকায় চুক্তি হয়। প্রথমে ১০ লাখ টাকা শফিকুলের স্ত্রীকে দেওয়া হয়। পরে ওমরাহ ভিসার আড়ালে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সেখানে চার দিন থাকার পর মিশর হয়ে লিবিয়ার বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো হয়।তিনি বলেন, ‘লিবিয়ায় পৌঁছার পর শফিকুল আমাদের সবাইকে তার বাসায় রাখে। ১৫ দিন পর নিয়ে যায় বেনগাতি এলাকায় একটি ঘরে, যাকে তারা ‘গেমঘর’ বলে। ৪০ ফিট দৈর্ঘ্যের সেই ঘরে ১৭০ জন যাত্রীকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন এক বেলা অল্প খাবার দেওয়া হতো, সাত দিন পর পর গোসলের অনুমতি মিলতো। আলো জ্বালাতে দেওয়া হতো না। এক মাস সেখানে ছিলাম, একদিনও ঘুমাতে পারিনি।’তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থ হয়ে পড়ার পরও কাউকে চিকিৎসা নিতে দেয়নি । অবশেষে আমাদের (১৭০ জন) একটি স্পিডবোটে তুলে দেওয়া হয় ভূমধ্যসাগরে। পরে ইতালিয়ান কোস্টগার্ড অসুস্থ অবস্থায় আমাদের উদ্ধার করে। ইতালি পর্যন্ত পৌঁছাতে আমার ১৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, যা পুরোটা দেওয়া হয়েছে উল্লাপাড়ার দালাল শফিকুলের বাড়িতে।’তিনি আরও বলেন, ‘শফিকুলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বিমানের মাধ্যমে ইতালি পাঠাবেন। কিন্তু তা না করে মৃত্যু ঝুঁকিতে স্পিডবোটে ইতালি পাঠিয়েছেন।’তবে এ বিষয়ে শফিকুলের বাড়িতে গেলে তার বড়ভাই আব্দুস ছালাম প্রথমে তার ভাই ইতালি পাঠানোর কথা অস্বীকার করলেও পরে জানান শফিকুল লিবিয়া গেছে, পরিচিত যারা আছে তাদেরকে ইতালি পাঠিয়েছেন। তিনি আরো জানান, শফিকুল লিবিয়া থেকে ইতালিতে ভূমধ্যসাগর দিয়ে পৌঁছে দিয়ে থাকে, এতে সে টাকা পায়। স্থানীয়দের বক্তব্যগুয়াগাঁতী গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শফিকুল আগে গরুর ব্যবসা করতো। চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত হয়ে লিবিয়া গেছে। এখন সে মানুষকে ইতালি পাঠায়। আমাদের এলাকা থেকেই দুজন গেছে, আরও দুজন বর্তমানে তার সংস্পর্শে আছে। তাদেরকেও ইতালি পাঠাবেন । এই পথে যাওয়া মানে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া।মানবপাচারের আইনি দিকবাংলাদেশের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ অনুযায়ী প্রতারণা, প্রলোভন বা জোরপূর্বক কাউকে অন্য দেশে পাঠানো বা পাঠানোর চেষ্টা করা মানবপাচার অপরাধ।এই আইনে বলা হয়েছে, মানবপাচারের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।ঢাকা সেইফ মাইগ্রেশন এবং উন্নয়ন কর্মীরিফিউজি অ্যাড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন গ্রামের অনেক তরুণ দালালের প্রলোভনে পড়ে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। অনেকে আর ফিরে আসে না। IOM এর তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ১ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ৫৮৪০ জন বাংলাদেশী ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালি গেছেন।  ২০২৪ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২,৫০০-এর বেশি অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন। দালালরা ভিসা লাগবে না বলে প্রতারণা করে ১৯/২০ লাখ টাকা নেয়, আর তরুণরা মানবপাচারকারীর ফাঁদে পড়ে।’তিনি আরও বলেন, ‘মানবপাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী এই অপরাধে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে এসব দালাল চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।অবৈধ পথে বিদেশযাত্রা আত্মঘাতী উত্তরণের পথ একটাই, সচেতনতা ও বৈধ অভিবাসন। স্বপ্নের ইউরোপ নয়, নিরাপদ জীবনের জন্য বৈধ পথেই যাত্রা করুন।’অভিযোগ রয়েছে, লিবিয়ায় অবস্থানরত শফিকুল ইসলাম এখনও সক্রিয়ভাবে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জেলার মানুষকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সচেতন মহল বলছেন, মানবপাচারের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ ঠেকাতে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।ইখা
    যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ
    লাইন মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সিলেটের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডারের শিবগঞ্জ পয়েন্ট, শিবগঞ্জ সোনারপাড়া, টাইম স্কয়ার এবং ১১ কেভি উপশহর ফিডারের উপশহর ব্লক-এ, বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়ার্টার, ব্লক-সি, তেররতন, ব্লক-জে, ট্রাফিক অফিস ও আশপাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ থাকবে না।বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিউবো'র পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।এইচএ
    সিলেটের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা থাকবে না বিদ্যুৎ
    সিলেট মহানগরীর ট্রান্সফরমার মেরামত, সংরক্ষণ লাইনের জরুরি সংস্কার এবং গাছের শাখা-প্রশাখা কাটার কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে (পিডিবি)।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই সিলেটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জরুরি সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।এর আগে, সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক।  তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বোরহান উদ্দিন মাজার, শাপলাবাগ, কুশিঘাট, মেন্দিবাগ, মিরাপাড়া, নোয়াগাঁও, সাদাটিকর ও আশপাশ এলাকা। মিরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, টুলটিকর, পীরেরচক ও সংলগ্ন এলাকা। উপশহর ই-ব্লক, মেইন রোড, ডি-ব্লক, রোজভিউ পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকা। রোজভিউ পয়েন্ট, উপশহর ডি-ব্লক মেইন রোডের উভয় পাশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।নির্ধারিত সময়ের আগে মেরামত কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী রাজ্জাক। সাময়িক অসুবিধার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।এইচএ
    রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই
    হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ২৩৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে, প্রার্থী না দেওয়া বাকিগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জের এই আসনটিও রয়েছে। ফলে নবীগঞ্জ ও বাহুবলের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে—কে পাচ্ছেন ধানের শীষের প্রতীক।আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজন- যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া এবং নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। তবে সম্প্রতি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় এখন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনে। এই তিনজনই বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন।দলীয় মনোনয়নের প্রসঙ্গে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি দলে যোগদান করেছি তা ঠিক আছে। দল এ আসনে প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে সময় নিচ্ছে। দলের নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলছেন, তারা আরও কিছু স্থানে এখনও প্রার্থী মনোনীত করেননি। বাকিগুলো একসঙ্গে করা হবে।’শেখ সুজাত মনোনয়ন পাচ্ছেন—এমন কথার জবাবে তিনি মন্তব্য করেন, ‘শেখ সুজাতকে আসনটি যদি দেওয়া হয়, তা হবে হাস্যকর। এখন বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার অপেক্ষায় আছি আমি।’রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ ও বিভক্ত দল আমজনতার দলের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।এদিকে, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপনির্বাচনে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জানান, মনোনয়ন পাওয়া দাবিদার তিনি। এখন যদি বাইরের কাউকে দেওয়া হয়, তা দলের নেতা-কর্মীরা মেনে নেবেন বলে মনে হয় না।নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীও মনোনয়ন চাইছেন। তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী নির্ণয়ে যে ক্রাইটেরিয়া দিয়েছেন, তার পুরোটাই আমার দ্বারা পূরণ করা সম্ভব। কারণ, আমিই একমাত্র প্রার্থী এলাকায় থেকে দলের জন্য কাজ করছি। বাকিরা সবাই বাইরের লোক। সে হিসেবে দল আমাকেই মনোনয়ন দেওয়ার কথা।’হবিগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে কেবল হবিগঞ্জ-১ আসনটি বিএনপি ফাঁকা রেখেছে। দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ায় এই তিনজনের সমর্থকদের মধ্যে চলছে কর্মতৎপরতা, আর এলাকাবাসী তাকিয়ে আছে বিএনপির ঘোষণার দিকে।ইখা
    সিলেটে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
    সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রবিবার (৯ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে সিলেট নগরের ঐতিহাসিক ক্বিনব্রিজ এলাকায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রফিটি উন্মোচন করা হয়।এ সময় দুই দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অ্যান্ডু বালবিরনি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমসহ বিসিবির পরিচালকরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।প্রথমবারের মত বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে আয়ারল্যান্ড। আগামী মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এর পর ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে দ্বিতীয় টেস্ট। পরবর্তীতে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে গড়াবে টি—টোয়েন্টি সিরিজ।এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর থেকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিলেটে পৌঁছায় আইরিশরা। পরে সেখান থেকে টিম হোটেলে গেলে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।ইখা
    সিলেটে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যাত্রী নিহত
    সিলেটের জৈন্তাপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে মো. হারুন অর রশিদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মো. হারুন অর রশিদ (৫০) জৈন্তাপুর উপজেলার কলাগ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে।তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে মো. হারুন অর রশিদ দরবস্ত বাজার থেকে হরিপুর বাজারে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে ওঠেন। হরিপুর বাজার থেকে পাখিটেকি এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ চলন্ত অটোরিকশা থেকে তিনি পড়ে যান। এতে তার মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হন।স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।’ইখা

    অনলাইন ভোট

    নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ এখন আর নেই—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই মন্তব্যে কি আপনি একমত?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলছে ভারত
    রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‌‘‘সন্ত্রাসী হামলা’’ বলে দাবি করেছে ভারত। বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভাপতিত্বে দেশটির মন্ত্রিসভার উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই দাবি করা হয়েছে।একই সঙ্গে দেশটির প্রাণকেন্দ্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকার কাছের এই বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কমিটি। এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও আরও কয়েক ডজন গুরুতর আহত হয়েছেন।বুধবার লাল কেল্লা বিস্ফোরণের বিষয়ে আলোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে দিল্লিতে দেশটির মন্ত্রিসভার উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে লাল কেল্লার কাছে ১১ নভেম্বরের বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয়।সরকারের বিবৃতিতে সোমবারের ওই বিস্ফোরণকে প্রথমবারের মতো ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়েছে ভারত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দেশবিরোধী শক্তির সংঘটিত এক জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা প্রত্যক্ষ করেছে ভারত।’’বিবৃতিতে বিস্ফোরণের ওই ঘটনাকে ‘‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোর পরিচালিত নৃশংস ও কাপুরুষোচিত কাজ’’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এছাড়া ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যাওয়া চিকিৎসাকর্মী ও উদ্ধারকারী দলের অসাধারণ নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতারও প্রশংসা করা হয় বিবৃতিতে।মন্ত্রিসভা বলছে, হামলার ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ভারতের প্রতি সংহতি জানিয়েছে। এই ঘটনায় সরকার তদন্ত ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে’ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে; যাতে হামলাকারী, তাদের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা যায়।সূত্র: এনডিটিভি, এএফপিএবি 
    থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের ফের পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১
    যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পৌঁছানো যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নতুন সংঘাতে জড়িয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বুধবার দুই দেশের সৈন্যরা পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে। এ সময় থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর হামলায় কম্বোডিয়ায় অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।প্রতিবেশী দুই দেশের নতুন এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর আগে, বুধবার সকালের দিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কম্বোডিয়া নতুন করে স্থল মাইন পুঁতে রাখায় সোমবার এক থাই সৈন্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় কম্বোডিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে থাইল্যান্ড।মঙ্গলবার থাইল্যান্ড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে গত মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। কম্বোডিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা নতুন কোনো মাইন পুঁতে রাখেনি এবং থাইল্যান্ডকে অক্টোবরের চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানায়। জুলাই মাসে দুই প্রতিবেশী দেশের পাঁচ দিনের সংঘর্ষ শেষে স্বাক্ষরিত প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির ভিত্তিতে সম্প্রসারিত ওই চুক্তিতে পৌঁছায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে থাই সেনারা একটি বিতর্কিত সীমান্ত গ্রামের কাছে গুলি চালিয়েছেন। এ ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইনথাই সুভারি বলেন, কম্বোডিয়ার সৈন্যরা প্রথমে থাইল্যান্ডের ভেতরে গুলি চালিয়েছেন। তিনি বলেন, থাই বাহিনী আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালিয়েছে। নিয়ম মেনে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই গুলি চালানো হয়েছে। এতে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রায় ১০ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।বিতর্কিত একটি সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি দাবি রয়েছে। থাইল্যান্ড বলছে, এটি তাদের সা কেও প্রদেশের বান নং ইয়াও ক্যাও গ্রামের অংশ।আর কম্বোডিয়া বলছে, এটি তাদের বানতেয় মেনচে প্রদেশের প্রেই চান গ্রামের অন্তর্ভুক্ত।থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোর্নদেজ বালানকুরা সাংবাদিকদের বলেছেন, সোমবারের স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার কাছে দুঃখপ্রকাশের দাবি জানিয়েছে। আমরা ঘটনাটির সত্যতা যাচাই এবং দায়ীদের শনাক্ত করার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।তবে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কম্বোডিয়ার সরকার। গত জুলাই মাসে দুই দেশের সংঘর্ষে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ সাময়িক বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। ওই সময় দুই দেশ রকেট, ভারী কামানের গোলা ও বিমান হামলা চালায়।সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণ ঘিরে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল। মাইন বিস্ফোরণে গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত সাত থাই সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছেন।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব মাইনের কিছু নতুন করে পোঁতা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। থাই সেনাবাহিনীর সরবরাহ করা মাইনের আলামত বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানিয়েছেন।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ৮১৭ কিলোমিটার স্থলসীমান্তের বিভিন্ন অনির্ধারিত অংশ নিয়ে শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে। ফরাসি ঔপনিবেশিক আমলে ১৯০৭ সালে দুই দেশের সীমান্তের প্রথম মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল।সূত্র: এএফপি, রয়টার্সএবি 
    ইসরায়েলি সেনাদের যৌন নির্যাতনের ভয়াবহতা বর্ণনা করলেন ফিলিস্তিনি নারী
    ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় বারবার যৌন নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের শিকার হওয়ার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এক ফিলিস্তিনি নারী। ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (পিসিএইচআর) এক বিবৃতিতে ওই নারীর সাক্ষ্য প্রকাশ করেছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই নারীকে ইসরায়েলি সেনারা চারবার ধর্ষণ করেছে, নগ্ন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করেছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেছে, শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং কুকুর ব্যবহার করে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে। সংস্থাটি এসব ঘৃণিত কর্মকাণ্ডকে ‘যৌন নির্যাতনের একটি সংগঠিত ও পদ্ধতিগত রূপ’ বলে বর্ণনা করেছে।৪২ বছর বয়সী ওই নারী ২০২৪ সালের নভেম্বরে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাংশে একটি ইসরায়েলি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় গ্রেপ্তার হন। তিনি বলেন,‘আমাকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছে ইসরায়েলি সেনারা। চারবার ধর্ষণ করা হয়। অশ্লীল গালাগাল দিয়েছে, পোশাক খুলে নিয়েছে, ভিডিও করেছে, শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেছে ও মারধর করেছে।’ খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।তিনি আরও জানান, ভোরে সৈন্যরা চিৎকার করছিল ‘ফজরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।’ তারা আমাকে পোশাক খুলতে বলে। আমি তাই করি। তারপর তারা আমাকে ধাতব টেবিলের ওপর শুইয়ে দেয়, হাতকড়া দিয়ে বেঁধে ফেলে, পা দুটো জোর করে টেনে ধরে-একজন মানুষ আমাকে ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করি, তারা পিঠে ও মাথায় আঘাত করে, চোখে পট্টি বাঁধা অবস্থায় আমি শুধু মৃত্যুর কামনা করছিলাম।’ ধর্ষণের পর তাকে একই ঘরে নগ্ন অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেঁধে রাখা হয়।একদিন পুরোটা আমি নগ্ন ছিলাম, তারা দরজার ফাঁক দিয়ে দেখছিল।’ নারীটি বলেন, 'আমি যে ঘরে ছিলাম, সেখানে পুরো একদিন নগ্ন অবস্থায় কাটিয়েছি। তৃতীয় দিনেও পোশাকহীন ছিলাম। তারা দরজার ফাঁক দিয়ে আমাকে দেখছিল, ভিডিও করছিল। এক সৈন্য বলেছিল, আমার ছবি তারা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করবে।’ পরে যখন তার মাসিক শুরু হয়, তখনই তাকে পোশাক পরতে দেয়া হয় এবং অন্য একটি কক্ষে স্থানান্তর করা হয়।সংস্থাটি জানায়, যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন পুরুষ বন্দীরাও। ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ, যিনি গাজায় মানবিক সহায়তা কেন্দ্রে কাজ করতেন, জানান ‘আমাদের সাতজনকে সৈন্যরা হাঁটু গেড়ে বসতে বলে। তারপর বোতল ঢুকিয়ে আমাদের ধর্ষণ করা হয়।’পিসিএইচআর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েল যেন অবিলম্বে এই পদ্ধতিগত নির্যাতন, গুম ও যৌন সহিংসতার নীতি বন্ধ করে এবং বিনা বিচারে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়। সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রসকে যেন অবিলম্বে এবং বাধাহীনভাবে সব ইসরায়েলি আটক কেন্দ্র পরিদর্শনের সুযোগ দেয়া হয়।সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দীর জীবন এখন ঝুঁকির মুখে, কারণ ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট সম্প্রতি একটি মৃত্যুদণ্ড বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার রাতে ভোটে ৩৯ জন সমর্থনে ও ১৬ জন বিপক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবটি অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তিকে 'সন্ত্রাসবাদের অপরাধে' দোষী সাব্যস্ত করা হবে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া সম্ভব হবে।’এই নির্যাতনের সাক্ষ্যগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি একটি ‘সংগঠিত রাষ্ট্রীয় নীতি’, যার লক্ষ্য ‘মানুষের মর্যাদা ভেঙে দেয়া ও ফিলিস্তিনি পরিচয় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা।’ সংস্থাগুলো একে গাজায় চলমান গণহত্যার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করছে।’এবি 
    গাজায় এক মাসেই ২৮২ বার যুদ্ধবিরতি ভাঙল ইসরায়েল
    অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই এক মাসে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্যানুসারে, ১০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ২৮২ বার যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে- আকাশপথ ও স্থল হামলা, গোলাবর্ষণ এবং সরাসরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৪২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬২২ জন আহত হয়েছেন। গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ৮৮ বার সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, ১২ বার আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়েছে, ১২৪ বার বোমা বর্ষণ করেছে, এবং ৫২ বার ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। এছাড়া ২৩ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এইসব হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজার ওপর মানবিক সহায়তা অবরোধ ও অবকাঠামো ধ্বংস অব্যাহত রেখেছে।যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি: গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার অধীনে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। তবে এই প্রস্তাবে কোনো ফিলিস্তিনি প্রতিনিধির অংশগ্রহণ ছিল না। ১. পরিকল্পনার প্রথম ধাপে বলা হয়: ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষের সব ধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।২.  ইসরায়েলকে অবরুদ্ধ গাজায় সবধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।৩. গাজায় বন্দী থাকা সব ইসরায়েলিকে মুক্ত করতে হবে, জীবিত বা মৃত যেই হোক না কেন।৪. ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে এবং ইসরায়েলি বাহিনীকে ‘ইয়েলো লাইন’ পর্যন্ত পিছু হটতে হবে।১৩ অক্টোবর মিশর, কাতার ও তুরকির মধ্যস্থতায় প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিল, যা এই চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পরের ৩১ দিনের মধ্যে ২৫ দিনই ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়েছে। অর্থাৎ, মাত্র ছয় দিন গাজায় কোনো সহিংসতা বা প্রাণহানি ঘটেনি। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যাচ্ছে যে ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে’।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ২৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ ও ২৯ অক্টোবর ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন। এই দুই দিনে ১৫৪ জন প্রাণ হারান।১৯ অক্টোবর রাফাহ এলাকায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল হামাসকে দায়ী করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়, যাতে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে হামাসের সামরিক শাখা ‘আল কাসাম ব্রিগেড’ জানায়, রাফাহ অঞ্চল সম্পূর্ণ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে কোনো ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিল না। গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এক ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হলে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়, এতে ১০৯ জন নিহত হয়, যার মধ্যে ৫২ জনই শিশু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করেছে, আর তাদের করা উচিতও ছিল।’ তিনি এই হামলাকে ‘প্রতিশোধ’ বলে অভিহিত করেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ‘সব ধরনের মানবিক সহায়তা অবিলম্বে গাজায় পাঠানো হবে।’ কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তার মাত্র অর্ধেক পৌঁছাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংস্থাগুলোর জোট বলছে, যুদ্ধবিরতিতে যে পরিমাণ সহায়তা দেয়ার কথা ছিল, তার মাত্র এক-চতুর্থাংশ বাস্তবে পৌঁছেছে।১০ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত গাজায় পৌঁছেছে মাত্র তিন হাজার ৪৫১টি ট্রাক, যেখানে চুক্তি অনুযায়ী এই সংখ্যা হওয়া উচিত ছিল প্রায় ১৫ হাজার ৬০০। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে ৬০০ ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও বাস্তবে পৌঁছেছে মাত্র ১৭১টি ট্রাক।এদিকে হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, ১৫ হাজার ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে-যা ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে। এছাড়া ইসরায়েল ৩৫০টিরও বেশি অপরিহার্য খাদ্যপণ্য, যেমন মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্য ও শাকসবজি নিষিদ্ধ করেছে, অথচ অস্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন চকোলেট, স্ন্যাকস ও কোমল পানীয় প্রবেশে অনুমতি দিয়েছে।১৩ অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস গাজায় আটক থাকা ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় এবং বিনিময়ে ইসরায়েল এক হাজার ৯৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এছাড়া হামাসের কাছে থাকা ২৮ ইসরায়েলির মৃতদেহের বিনিময়ে ইসরায়েল ৩৬০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত হামাস ২৪ ইসরায়েলির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, বাকিগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে বলে জানায়।অন্যদিকে, ইসরায়েল ৩০০টি ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলিতে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল এবং বেশ কয়েকজনের পরিচয় অজানা।লিবার ইনস্টিটিউটের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি মানে হলো ‘সক্রিয় যুদ্ধ স্থগিত করা’ বা ‘সংঘাতকে সাময়িকভাবে স্থির করা’। তবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করা সবসময় আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়-যদি না তা কোনো বাধ্যতামূলক চুক্তি বা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের অংশ হয়।বর্তমান বাস্তবতা হলো-‘যুদ্ধবিরতি’ নামে যে সময় চলছে, সেটি গাজাবাসীর কাছে এখনও রক্ত, ধ্বংস ও ক্ষুধার সময়, যেখানে প্রতিদিনই নতুন করে ফুঁসে উঠছে এক দগদগে মানবিক বিপর্যয়।এবি 
    তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২০
    তুরস্কের সামরিক বিমান সি-১৩০ বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানে থাকা ২০ জন সেনার সবাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং সিগনাঘি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।বুধবার (১২ নভেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিশ্চিত করা হয়।প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার নিহত সেনাদের শহিদ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তুরস্ক ও জর্জিয়ার যৌথ তদন্ত দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের নির্মাতা মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি লকহিড  মার্টিন এ ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করবে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ তৈরি করে মাটিতে বিধ্বস্ত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ।সামরিক কার্গো বিমানের এ ঘটনাটি ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক দুর্ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাতার, ইরান, মিশরসহ বিভিন্ন দেশ ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে দুর্ঘটনার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত, লকহিড মার্টিন নির্মিত সি-১৩০ চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান যা বিশ্বের বহু দেশের সেনাবাহিনীতে মালামাল ও সৈন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।এমআর-২
    চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু
    ভারতে একটি চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় সম্প্রতি উদ্বোধন করা পুথুর চিড়িয়াখানায় এই ঘটনা ঘটে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।বুধবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালার সদ্য উদ্বোধিত ত্রিশূরের পুথুর চিড়িয়াখানায় বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে অন্তত ১০টি হরিণ নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. আরুন জাকারিয়াসের নেতৃত্বে একটি দল।চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, পোস্টমর্টেম শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা যাবে। তবে যোগাযোগ করা হলেও চিড়িয়াখানার পরিচালক নাগারাজ মন্তব্য করতে রাজি হননি।এনডিটিভি জানায়, সম্প্রতি পুথুর চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থীদের জন্য অ্যাডভান্স রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত শুধু স্কুল ও কলেজের দলগুলোকেই সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এটি খোলার তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।৩৩৬ একর জমিতে গড়ে ওঠা ত্রিশূর চিড়িয়াখানাটি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারতের প্রথম ‘ডিজাইনার জু’ হিসেবে পরিচিত। গত ২৮ অক্টোবর কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।চিড়িয়াখানাটিতে ২৩টি উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ঘেরায় ৮০ প্রজাতির ৫৩৪টি প্রাণী রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। পুরোনো ত্রিশূর চিড়িয়াখানা থেকে ধীরে ধীরে প্রাণীগুলোকে নতুন স্থাপনায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।তবে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এখনো প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।এমআর-২
    আফগানিস্তানে নারীদের বোরকা পরে হাসপাতালে প্রবেশের নির্দেশ
    আফগানিস্তানের হেরাতে নারী রোগী, সেবিকা ও কর্মীদের হাসপাতালে প্রবেশের আগে বোরকা পরার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান প্রশাসন। আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানায়, ৫ নভেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। খবর বিবিসিরসংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন নিয়মের কারণে নারীদের চিকিৎসা নেওয়ার পথে বড় বাধা তৈরি হয়েছে, ফলে জরুরি রোগী ভর্তি ২৮ শতাংশ কমে গেছে। এমএসএফের আফগানিস্তান প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারা শাতো বলেন, এই বিধিনিষেধ নারীদের জীবন আরও কঠিন করে তুলছে, এমনকি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনেও অনেক নারী আসতে পারছেন না।তবে তালেবান সরকারের মুখপাত্র এমএসএফের দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ ধরনের খবর মিথ্যা। আমাদের অবস্থান হিজাব নিয়ে, বোরকা নয়।যদিও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের পর কিছু এলাকায় নিয়ম আংশিকভাবে শিথিল হয়েছে বলে জানা গেছে।এমএসএফ জানায়, হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালে নতুন নিয়ম চালুর পর থেকেই জরুরি বিভাগে রোগী আসা কমেছে। সংস্থার মতে, তালেবান সদস্যরা হাসপাতালে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে বোরকা না পরা নারীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে মানবাধিকারকর্মীরা জানান, শুধু হাসপাতালে নয়—স্কুল, সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। হেরাতের এক নারী অধিকারকর্মী বলেন, এখন বাইরে বের হতে হলে নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক।ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এক আফগান কর্মী এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) বোরকা পুড়িয়ে প্রতিবাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।১৯৯০-এর দশকে প্রথম ক্ষমতায় থাকাকালেও তালেবান নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করেছিল। ২০২১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর তারা নারীদের ওপর ক্রমেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যাচ্ছে। ২০২২ সালে মুখঢাকা পোশাকের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তখন সেটিকে ‘পরামর্শ’ বলা হয়েছিল।এমএসএফের মতে, এবারই প্রথম হেরাতে নির্দেশটি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সারা শাতো বলেন, গত কয়েক দিনে হাসপাতালে বোরকা পরা নারীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে।বর্তমানে আফগানিস্তানে নারীদের কর্মক্ষেত্র, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবৈষম্য’ হিসেবে উল্লেখ করে এর অবসান দাবি করেছে।এমআর-২
    ভারতে বোরকা পরায় হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হলো না নারীকে
    ভারতের রাজধানী দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর (জিটিবি) হাসপাতালে বোরকা পরিহিতা এক মুসলিম নারীকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এটিকে কেন্দ্র করেই ভারতে ধর্মীয় বৈষম্য ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।সোমবার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর।প্রতিবেদনে বলা হয়, বোরকা পরে আসায় হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। তাবাসসুম নামে ওই নারী বৈধ গেটপাস নিয়েই সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া তার ভাবিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রবেশদ্বারে দায়িত্বে থাকা নারী নিরাপত্তারক্ষীরা তার বোরকা নিয়ে আপত্তি তোলেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, তাবাসসুম বলছেন— নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বলেন, “এই পোশাক পরে ভেতরে যাওয়া যাবে না”। তিনি নিয়ম দেখাতে বললে তারা কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই তার গেটপাস উপেক্ষা করেন এবং অন্যদের সহজেই প্রবেশ করতে দেন।এই ঘটনায় তাবাসসুমের পরিবারের সদস্যরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন। তার এক আত্মীয় জানান, “এটা লজ্জাজনক। মুসলমানরা কি এখন অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে এলেও অপমানিত হবে?” তারা প্রশ্ন তোলেন, ধর্মীয় পোশাক পরার সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি এমন অবজ্ঞা কেন?জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ইরফান আহমেদ ঘটনাটিকে “ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার প্রতিচ্ছবি” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রথমে স্কুল-কলেজ, এখন হাসপাতাল? সংখ্যালঘুরা এভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জায়গাগুলোতে অনিরাপদ বোধ করছে। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”যদিও কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, অতীতে চুরি বা নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝে মাঝে মুখ দেখানোর নিয়ম থাকতে পারে, তবে জিটিবি হাসপাতালে বোরকা পরা নিষিদ্ধ নয়। অনেকের মতে, এটি ছিল স্পষ্ট ইসলামবিদ্বেষ, কোনো নিরাপত্তা প্রোটোকল নয়।এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর (জিটিবি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে মানবাধিকারকর্মীরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে বৈষম্য রোধে কঠোর নীতিমালা তৈরির দাবি করেছেন।এমআর-২
    মসজিদে নববীতে সালাতুল ইসতিসকা পড়াবেন শায়েখ আহমদ হুজাইফি
    পবিত্র মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সালাতুল ইসতিসকা অর্থাৎ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি) এই নামাজে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পবিত্র মসজিদে নববীর ইমাম শায়েখ আহমদ হুজাইফি।সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদের নির্দেশে সারা রাজ্যে একযোগে এ নামাজ আদায় করা হবে। রয়্যাল কোর্ট থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা.–এর সুন্নত অনুসরণে আল্লাহর রহমত ও বরকতের বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইসতিসকার এ আয়োজন করা হয়েছে।উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৬টা ৫১ মিনিটে। পবিত্র মসজিদে নববীতে অনুষ্ঠিত এ নামাজে মুসলমানদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা দোয়া, ইস্তেগফার ও তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করেন।শায়েখ আহমদ হুজাইফি নামাজ শেষে খুতবা প্রদান করবেন এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ তায়ালা রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন, ভূমিকে সজীব করেন ও মানুষকে তাঁর করুণা ও মাফের ছায়ায় আচ্ছন্ন করেন।সালাতুল ইসতিসকা ইসলামি ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা নবী করিম সা. খরা ও পানির অভাবে আল্লাহর রহমত কামনায় আদায় করতেন। সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা এ নামাজের মাধ্যমে রহমত, ক্ষমা ও বরকতের প্রার্থনা করে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা যেন এই সালাতুল ইসতিসকার মাধ্যমে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ওপর রহমতের ধারা বর্ষণ করেন।ইখা
    ফ্রান্সসহ ইউরোপজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান দিবস
    ১১ নভেম্বর— ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। ১৯১৮ সালের এই দিনে জার্মানির আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় মানবসভ্যতার ভয়াবহতম সংঘাতগুলোর একটি— প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। দিনটিকে স্মরণে রেখে ফ্রান্সসহ ইউরোপজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান দিবস, যা ‘আর্মিস্টিস ডে’ (Armistice Day) নামেও পরিচিত।রাজধানী প্যারিসে Arc de Triomphe (আর্ক দ্য ত্রিওঁফ)-এর নিচে অবস্থিত অজ্ঞাত সৈনিকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সারাদেশে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়— সেই মুহূর্তটির স্মরণে, যখন ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১১টায় থেমে গিয়েছিল যুদ্ধের কামানের গর্জন।এই দিনে ফরাসি নাগরিকরা বুকে ধারণ করেন নীল রঙের ছোট ফুল Bleuet de France (ব্লুয়ে দ্য ফ্রঁস)— যা নিহত ও আহত সৈনিকদের স্মরণে শান্তি ও ঐক্যের প্রতীক। দেশজুড়ে স্কুল, সামরিক প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্মৃতিচারণমূলক নানা আয়োজন।১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলা এই চার বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ হারান প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ, আহত হন আরও কয়েক কোটি। যুদ্ধ শেষে পতন ঘটে জার্মান, রাশিয়ান, অস্ট্রো-হাঙ্গেরি ও উসমানি সাম্রাজ্যের। পরবর্তীতে ভার্সাই চুক্তির (Treaty of Versailles) মাধ্যমে জার্মানিকে নিরস্ত্র করে দেওয়া হয় এবং গঠিত হয় লীগ অব নেশন্স (League of Nations), যার বর্তমান রূপ জাতিসংঘ।আজও ফ্রান্সজুড়ে ঘণ্টাধ্বনি, প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে সেই ভয়াবহ যুদ্ধের অবসান এবং শান্তির সূচনা। ১১ নভেম্বর আজও মানবতার বিজয় ও বিশ্বশান্তির প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে অম্লান হয়ে আছে।এবি 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন বাঁচিয়ে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়লেন গায়িকা
    বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা পলক মুচ্ছল একাধিক সুপারহিট সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।  শুধু তার সুরেলা কণ্ঠেই নয়, এবার মানবসেবার ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়ে শ্রোতাদের মন জয় করলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পী এবার ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি শিশুর হার্ট সার্জারির উদ্যোগ নিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম লেখালেন।কণ্ঠশিল্পীদের নাম সাধারণত সংগীত প্রতিভার জন্যই গিনেস বুকে উঠে থাকে। তবে এবার তার ব্যতিক্রম ঘটলো। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে বলিউডের গায়িকা পলক মুচ্ছলের। তবে এ অর্জন সংগীতের জন্য নয় বরং মানবসেবায় তার অসাধারণ অবদানের জন্য এই খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। ভারতের লিমকা বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছে তার।ভারতের সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পলকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'পলক পলাশ চ্যারিটেবল’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ভারত এবং এর বাইরেও ৩ হাজার ৮০০ টিরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হার্ট সার্জারির খরচ বহন করে। সংগীতের প্রতি তার ভালোবাসাকেই তিনি রূপ দিয়েছেন এক আজীবন মানবিক মিশনে।পলকের এই দানের যাত্রা শুরু হয়েছিলো অল্প বয়সেই। ছোটবেলায় এক ট্রেন যাত্রায় কিছু দরিদ্র শিশুর সঙ্গে দেখা হয় তার। সেই ঘটনাই বদলে দেয় তার জীবনের পথ। সেদিন থেকে নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন \একদিন আমি ওদের সাহায্য করব।’সেই প্রতিজ্ঞা থেকেই জন্ম নেয় ‘পলক পলাশ চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন’। যার মাধ্যমে আজ পর্যন্ত বহু শিশুর জটিল হার্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।তার এই মানবিক উদ্যোগের শুরুটাও দারুণ। কার্গিল যুদ্ধে আহত জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য রাস্তায় নেমে গান গেয়ে মাত্র সাত-আট বছর বয়সেই তিনি ২৫ হাজার টাকা উপার্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে, একটি স্কুলপড়ুয়ার বাচ্চার হার্ট সার্জারির জন্য প্রায় ৫১ হাজার টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে পলকের হার্ট ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।পলকের প্রত্যেকটা কনসার্টই শিশুদের হার্ট সার্জারির জন্য আয়োজিত হয়। তার এই ধারাবাহিক মানবিক উদ্যোগ তাকে প্রথম কোনো বলিউড গায়িকা হিসেবে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ এ স্থান করে দিয়েছে। গায়িকা হিসেবে মানবসেবায় তার অসামান্য অবদান লাখো মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম।জাদুকরি কণ্ঠের পলক ‘মেরি আশিকি’, 'কৌন তুঝে’, 'প্রেম রতন ধন পায়ো’ এর মতো জনপ্রিয় গান গেয়ে সংগীতপ্রেমীদের প্রিয় গায়িকা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।এইচএ
    শেখ হাসিনাকে নিয়ে মীর স্নিগ্ধর পোস্ট নিয়ে শাওনের প্রতিক্রিয়া
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমানের (মুগ্ধ) যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বলেছেন, ফ্যাসিস্ট দলের প্রধান শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত তার নাম মাথায় ঘুরবে। গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।কিন্তু এমন মন্তব্যের পরপরই এটিকে অন্যের দ্বারা লেখা স্ক্রিপ্ট বলে মনে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। স্নিগ্ধর স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টা পোস্টে অভিনেত্রী বলেন, আপনার স্ক্রিপ্ট কে লিখে দেয় ভাইয়া? অতিদ্রুত তাকে বদলে একজন ভালো স্ক্রিপ্টরাইটার নিয়োগ দিন, প্লিজ।এই স্ক্রিপ্ট ‘লিটনের ফ্ল্যাট’-এর রচয়িতার চেয়েও খারাপ হয়েছে বলে উল্লেখ্য করেন মেহের আফরোজ শাওন।এর আগে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এক বক্তব্যে আপসহীন নেত্রী শেখ বলার পরেই আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বলেন। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমের নেটিজেনরা বলছেন, তার সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাই এই স্ট্যাটাস।সদ্য বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ লিখেছেন, অন্তরে ঘৃণা নিয়ে যে নামটির জন্ম হয়েছে, সেটি হলো শেখ হাসিনার নাম। এটা শুধু আমার নয়; বরং বাংলাদেশের সব সাধারণ মানুষের, বিগত ১৬ বছরে অত্যাচারিত হয়েছে— এমন সব পরিবারের।তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশের মাটিতে ফাঁসির দড়িতে না ঝোলানো হচ্ছে, ততদিন সকাল-বিকাল, সজ্ঞানে কিংবা ঘুমের স্বপ্নেও এই হাসিনার নাম মাথায় ঘুরবে।তিনি আরও বলেন, যতবার এই নাম মুখে আসে, মনে রাখবেন—তা কেবল ঘৃণা থেকেই আসে। এই খুনি শেখ হাসিনা যতদিন ফাঁসির দড়িতে না ঝুলছে, ততদিন শান্তি নেই। শেখ শেখ মুখ দিয়ে বের হবেই যতদিন পর্যন্ত না ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে বলেও জানান মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।এইচএ
    প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে পুরস্কার নেবে ‘নতুন কুঁড়ি’র শ্রেষ্ঠ বিজয়ীরা
    বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ ২০২৫ আসরের সবগুলো পর্ব ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুক, গল্প বলা, অভিনয়সহ ১২টি বিষয়ে প্রতিভাবান শিশু-কিশোররা অংশ নেয়। আঞ্চলিক বাছাই, বিভাগীয় বাছাই, চূড়ান্ত বাছাই, সেরা দশ এবং ফাইনাল রাউন্ড শেষে সেরাদের সম্মাননা জানাতে আগামী ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাবৃন্দ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ। প্রতিযোগিতার সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে এ বছরের ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার সফল পরিসমাপ্তি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজয়ী প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবকদের ১২ নভেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্র, রামপুরায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও সেটির সংখ্যা বা নাম-পরিচয় এখনই ঘোষণা করছে না বিটিভি কর্তৃপক্ষ।নতুন কুঁড়ির সামগ্রিক আয়োজন বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘‘নতুন কুঁড়ি’ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মেধা, মনন ও সাংস্কৃতিক বিকাশের অন্যতম মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকেই উঠে এসেছে দেশের বহু খ্যাতনামা শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানও সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নবীন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ‘নতুন কুঁড়ি’র পুরস্কার বিতরণ শেষ হয়ে গেলে প্রতিযোগীরা পারফর্মেন্স বন্ধ করে দেবে তা কিন্তু নয়। এই শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তারা যেন তাদের শিল্পচর্চা অব্যাহত রাখে। কারণ ‘নতুন কুঁড়ি’র মূল অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর এই শিল্পীদের নিয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠান নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বিটিভির। আগামী ‘নতুন কুঁড়ি’ পর্যন্ত তাদেরকে নিয়ে এ আয়োজন চলতেই থাকবে। এসব অনুষ্ঠানে তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে, কারা কেন শ্রেষ্ঠ হয়েছিল। ছুটির দিনে ‘শিশু প্রহর’ নামে একটি বড় অনুষ্ঠান করারও পরিকল্পনা আছে- যেখানে শিশু-কিশোররা বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণ করবে। ‘নতুন কুঁড়ি’ পুরস্কারের এ আয়োজন শেষ হওয়া মানেই তাদের প্রকৃত শিল্প সাধনার যাত্রা শুরু।’’বলা দরকার, প্রতিভা অন্বেষণে উপমহাদেশের প্রথম রিয়েলিটি শো বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিগনেচার প্রোগ্রাম ‘নতুন কুঁড়ি’। বিটিভির উদ্যোগে ১৯৭৬ সালে এটি শুরু হয়। ২০০৫ সালের পর থেকে এটি অলিখিত রাজনৈতিক কারণে বন্ধ থাকে। অবশেষে চলতি বছরের (২০২৫) ১৫ আগস্ট থেকে এই প্রতিযোগিতা ফের শুরু করে বিটিভি কর্তৃপক্ষ।এইচএ
    বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা জামান, ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিতে নবদম্পতি
    বিয়ে করেছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা জামান। গত ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকায় পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বরের নাম রাকিবুল হাসান। নারায়ণগঞ্জের ছেলে রাকিবুল পেশায় ব্যবসায়ী (টেক্টটাইল ইঞ্জিনিয়ার)। বিয়ের পরের দিন নবদম্পতি ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন। আগামী ২৩ নভেম্বর দেশে ফিরবেন তারা।   প্রিয়াঙ্কা জামান গণমাধ্যমে বলেন, “রাকিবের সঙ্গে পরিচয় খুব বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন এবং আগামীতে আমাকে কতটা আগলে রাখতে পারবে। সবকিছু বিবেচনা করে তাকে বিয়ে করেছি। মূল কথা, বিগত দিনে যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমনি একজন মানুষ।”   স্বামীর মুগ্ধতা প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কা জামান বলেন, “নারী জীবনের স্বপ্নই থাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন ভালো মনের মানুষ পাওয়া, রাকিব ঠিক তাই। রাকিবও আমাকে পেয়ে ভীষণ খুশি, আমি তার বিনয়ে মুগ্ধ, তার যত্নে মুগ্ধ। বিয়ের পরের দিন ওমরাহ হজ পালনের জন্য রওনা হই। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকিটা জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে কাটাতে পারি। আগামী জানুয়ারিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।”  প্রেম নয়, পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা-রাকিব। এ তথ্য জানিয়ে রাকিব বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে প্রথম প্রিয়াঙ্কাকে দেখি, প্রথম দেখেই তাকে ভীষণ ভালো লেগেছিল। এরপর আমাদের মধ্যে দু-তিনবার দেখা হয়েছে। তবে প্রেমের সম্পর্কে না গিয়ে সরাসরি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিই, যা পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়। আলহামদুলিল্লাহ, তাকে পেয়ে আমি খুব খুশি।”  ছোট ও বড় পর্দায় কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রিয়াঙ্কা জামান। এখন তার অভিনীত দুটো ধারাবাহিক নাটক টিভিতে প্রচার হচ্ছে। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। তার অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমাগুলো হলো—‘কী করে বলব তোমায়’, ‘যন্ত্রণা’, ‘তবুও প্রেম দামি’।এইচএ

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    রমজানে ব্যবহৃত ১০ পণ্য আমদানিতে সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ
    রমজানে ব্যবহৃত ১০ ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করে তা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর— এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। নির্দেশনাটি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।এতে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খুলতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।এফএস
    একলাফে স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ২৫০৭ টাকা
    দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে মূল্যবান এই ধাতু বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।সবশেষ গত ১০ নভেম্বর রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৫০৭ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২ নভেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ বার, আর কমেছে মাত্র ২৩ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
    বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
    বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মার্কিন অর্থনীতির দুর্বল তথ্য প্রকাশের পর আরও একদফা দাম বাড়ল স্বর্ণের।আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্বর্ণের দাম ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। দুর্বল মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্যের কারণে আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা আরও জোরদার হয়েছে। অন্যদিকে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এবং দুর্বল অর্থনৈতিক সূচক—দুটি বিষয়ই স্বর্ণের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্পট গোল্ডের দাম ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৭৯ দশমিক ৪৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২৭ অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৮৭ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের সিনিয়র গবেষণা বিশ্লেষক জিগার ত্রিবেদী বলেন, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপদ বাণিজ্যের কারণে স্বর্ণ কেনা বেড়েছে, যা স্বর্ণের মুদ্রার দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে সরকারি ও খুচরা খাতে। এ ছাড়া ব্যবসাগুলো ব্যয় সংকোচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি গ্রহণের কারণে কর্মী ছাঁটাই বাড়িয়েছে। এদিকে, ভোক্তা আস্থাও প্রায় তিন বছর সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ৪০ দিনের দীর্ঘ সরকারি অচলাবস্থা (শাটডাউন) অর্থনীতিতে চাপ ফেলেছে।বাজার বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীরা এখন ৬৭ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন যে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানো হতে পারে। সাধারণত সুদের হার কমলে স্বর্ণের দাম বাড়ে, কারণ এতে মুনাফাবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের আকর্ষণ বাড়ে।অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪৯ দশমিক ৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২১ অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ, প্লাটিনামের দাম ২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫শত ৭৬ দশমিক ২৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪ হাজার ৩ দশমিক ৬৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।এইচএ 
    লাইসেন্স পেলো ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’, চেয়ারম্যান নাজমা
    ৫টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে পরিচালনার জন্য শরিয়াহভিত্তিক নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক' প্রাথমিক লাইসেন্স পেয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে।গতকাল রবিবার (৯ নভেম্বর) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের একটি বিশেষ অনলাইন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত ৫ নভেম্বর ব্যাংকটির জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র (এলওআই) ও লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।প্রস্তাবিত ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। অন্য বোর্ড সদস্যদের মধ্যে রাখা হয়েছে অর্থ বিভাগের সচিব মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম সাইফুল্লাহ পন্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন ও যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদকে।এর আগে গত ৫ নভেম্বর আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো-এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। কে কোন ব্যাংকের প্রশাসক হলেন এক্সিম ব্যাংক: এক্সিম ব্যাংকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শওকাতুল আলম। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সালাহ উদ্দিন।ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান। ইউনিয়ন ব্যাংক: ইউনিয়ন ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেম। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর বর্তমান আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পুঁজি ঘাটতি ও অনিয়মের কারণে এগুলো টেকসইভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এই ব্যাংকগুলো চালানো হবে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না, গ্রাহকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে। একীভূত হলে প্রথমদিন থেকে বাজারভিত্তিক মুনাফা পাবেন গ্রাহকরা। এলসি ও রেমিট্যান্সের কার্যক্রম চলমান রাখবেন প্রশাসকরা। কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে না; তারা আগের মতোই বেতন-ভাতা পাবেন। সরকার পরিবর্তন হলেও ভয় নেই, এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরমধ্যে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার স্বচ্ছতা আনতে বিশেষ অডিট শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে একীভূতকরণ বা পুনর্গঠনের বিকল্প ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। সম্পদ থেকে দায় বেশি থাকায় ব্যাংকগুলোর শেয়ার মূল্য শূন্য করা হয়েছে। এসআলমসহ যারা ব্যাংক খাত ধ্বংসে অপকর্ম করেছে তারা আর কখনো ফিরতে পারবে না।’এদিকে, আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।এইচএ
    নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
    নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।রবিবার (০৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের সঙ্গে আমার চূড়ান্ত কথা হবে ১৫ তারিখে। আইএমএফের সঙ্গে আমার জুমে কথা হয়েছে। ওরা বলেছে তোমাদের সার্বিক অর্থনৈতিক দিকটা আমরা অত্যন্ত হ্যাপি। ঠিক আছে যা যা করার তোমরা চেষ্টা করছো, করেছো।তিনি বলেন, ওদের কিছু কিছু রিকমেন্ডেশন আছে। যেমন রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সেটা আমি স্বীকার করেছি, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও লো। সেটার অনেক কারণ আছে। আমাদের লোকজন ট্যাক্স দিতে চায় না। আবার এনবিআর বন্ধ ছিল দুই মাস। সেটার জন্য আমাদের বিরাট একটা... হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। দ্বিতীয় ওদের (আইএমএফ) আরেকটা ফাইন্ডিং আছে সামাজিক সুরক্ষার জন্য আরও বেশি ব্যয় করা, বিশেষ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা সামাজিক নিরাপত্তা এবং খাদ্যটা। খাদ্যটা আমরা মোটামুটি ভালো করছি।আপনি কি আশাবাদী? নির্বাচনের তিন মাস বাকি, আপনি পাবেন কি না? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আগে আমরা যেটা করবো যতটুক কাজ করেছি সেটা কনসোলিডেট করবো। সংস্কার শেষ করে ফেলব সেটা তো নয়, সংস্থা তো শেষ করা যাবে না। সংস্কার তো একটা কন্টিনিউ প্রসেস। আমরা এটাকে একটা ভালো করে প্যাকেজিং যেটা বলে আর কি, প্যাকেজিং করে আমরা দেবো, আগামী সরকারের কাছে, যেসব মেজর সরকার সংস্কার।তিনি বলেন, ইভেন আমি একটা কমিটি করেছি ট্যাক্সের ব্যাপারে আপনারা জানেন কিছু ইকোনমিস্টদের নিয়ে, তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তারা কিছু রিকমেন্ডেশন দেবে।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা পে-কমিশনের ব্যাপার আছে সেটা আমরা এখন কিছু বলতে পারি না, কারণ ওটা দেখা যাক কতদূর যায়। সেটা আগামী সরকারের..। আগামী সরকার হয়তো সেটা এসে করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যাংক সেক্টর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংক সেক্টরটা মোটামুটি যেটা শুরু হয়েছে, আর বাকিগুলো ধীরে ধীরে করবে। এই জিনিসগুলো আমরা আগামী সরকারের জন্য...।এমআর-২
    রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতিও ভালোভাবে চলবে: গভর্নর
    দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে রাজনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলে অর্থনীতি সামনে আরও ভালোভাবে চলবে—  এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) টাঙ্গাইলে মাইক্রোক্রেডিট রোগুলেটরী অথরিটির (এমআরএ) উদ্যোগে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের অর্থ সহজে পৌঁছে দেয়া উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার অগ্রগতির বিষয়ে গভর্নর বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আইনজীবী পাঠানো হয়েছে যুক্তরাজ্যে। বিভিন্ন গ্রুপ অফ কোম্পানিগুলোর ক্লেমটা এসটবলিস্ট করার চেষ্টা করছেন। যদি এটি সফল হয়, তাহলে দ্রুতই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।এমআরএ'র নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান ও ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল মোমেন। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন এনজিও'র চেয়ারম্যানরা।এইচএ 
    বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের খালাস না হওয়া ৩১ গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে
    বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের আমদানিকৃত ৩১টি গাড়ি জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় এনবিআর।এনবিআর জানায়, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত ওই ৩১টি গাড়ির মোট শুল্ক ও করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চমূল্যের এসব গাড়ির একেকটির প্রদেয় শুল্ক ও করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ না করে গাড়িগুলো খালাস না করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী সেগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে নিলামে কোনো ক্রেতা যৌক্তিক মূল্য বিড না করায়, জনস্বার্থে গাড়িগুলো যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।এনবিআর জানিয়েছে, এসব গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সব শুল্ক ও কর পরিশোধ করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় খালাস করতে চাইলে, কাস্টমস হাউস চট্টগ্রাম শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ ও প্রাসঙ্গিক আইন, বিধি এবং আদেশ মেনে খালাসের অনুমতি দিতে পারবে।প্রযোজ্য শুল্ক ও কর আদায় সাপেক্ষে গাড়িগুলো ভবিষ্যতে আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা করা হলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সেগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত দেবে।এনবিআর আরও জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত গাড়ির ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে জানানো হয়-এসব গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য নয়।গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা দেয়, এসব আমদানিকারক স্বাভাবিক হারে শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন।এইচএ
    রমজানে ব্যবহৃত ১০ পণ্য আমদানিতে সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ
    রমজানে ব্যবহৃত ১০ ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করে তা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর— এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। নির্দেশনাটি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।এতে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খুলতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।এফএস
    একলাফে স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ২৫০৭ টাকা
    দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে মূল্যবান এই ধাতু বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।সবশেষ গত ১০ নভেম্বর রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৫০৭ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২ নভেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ বার, আর কমেছে মাত্র ২৩ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
    বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
    বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মার্কিন অর্থনীতির দুর্বল তথ্য প্রকাশের পর আরও একদফা দাম বাড়ল স্বর্ণের।আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্বর্ণের দাম ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। দুর্বল মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্যের কারণে আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা আরও জোরদার হয়েছে। অন্যদিকে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এবং দুর্বল অর্থনৈতিক সূচক—দুটি বিষয়ই স্বর্ণের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্পট গোল্ডের দাম ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৭৯ দশমিক ৪৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২৭ অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৮৭ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের সিনিয়র গবেষণা বিশ্লেষক জিগার ত্রিবেদী বলেন, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপদ বাণিজ্যের কারণে স্বর্ণ কেনা বেড়েছে, যা স্বর্ণের মুদ্রার দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে সরকারি ও খুচরা খাতে। এ ছাড়া ব্যবসাগুলো ব্যয় সংকোচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি গ্রহণের কারণে কর্মী ছাঁটাই বাড়িয়েছে। এদিকে, ভোক্তা আস্থাও প্রায় তিন বছর সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ৪০ দিনের দীর্ঘ সরকারি অচলাবস্থা (শাটডাউন) অর্থনীতিতে চাপ ফেলেছে।বাজার বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীরা এখন ৬৭ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন যে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানো হতে পারে। সাধারণত সুদের হার কমলে স্বর্ণের দাম বাড়ে, কারণ এতে মুনাফাবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের আকর্ষণ বাড়ে।অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪৯ দশমিক ৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২১ অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ, প্লাটিনামের দাম ২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫শত ৭৬ দশমিক ২৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪ হাজার ৩ দশমিক ৬৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।এইচএ 
    লাইসেন্স পেলো ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’, চেয়ারম্যান নাজমা
    ৫টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে পরিচালনার জন্য শরিয়াহভিত্তিক নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক' প্রাথমিক লাইসেন্স পেয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে।গতকাল রবিবার (৯ নভেম্বর) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের একটি বিশেষ অনলাইন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত ৫ নভেম্বর ব্যাংকটির জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র (এলওআই) ও লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।প্রস্তাবিত ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। অন্য বোর্ড সদস্যদের মধ্যে রাখা হয়েছে অর্থ বিভাগের সচিব মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম সাইফুল্লাহ পন্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন ও যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদকে।এর আগে গত ৫ নভেম্বর আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো-এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। কে কোন ব্যাংকের প্রশাসক হলেন এক্সিম ব্যাংক: এক্সিম ব্যাংকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শওকাতুল আলম। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সালাহ উদ্দিন।ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান। ইউনিয়ন ব্যাংক: ইউনিয়ন ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেম। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর বর্তমান আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পুঁজি ঘাটতি ও অনিয়মের কারণে এগুলো টেকসইভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এই ব্যাংকগুলো চালানো হবে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না, গ্রাহকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে। একীভূত হলে প্রথমদিন থেকে বাজারভিত্তিক মুনাফা পাবেন গ্রাহকরা। এলসি ও রেমিট্যান্সের কার্যক্রম চলমান রাখবেন প্রশাসকরা। কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে না; তারা আগের মতোই বেতন-ভাতা পাবেন। সরকার পরিবর্তন হলেও ভয় নেই, এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরমধ্যে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার স্বচ্ছতা আনতে বিশেষ অডিট শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে একীভূতকরণ বা পুনর্গঠনের বিকল্প ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। সম্পদ থেকে দায় বেশি থাকায় ব্যাংকগুলোর শেয়ার মূল্য শূন্য করা হয়েছে। এসআলমসহ যারা ব্যাংক খাত ধ্বংসে অপকর্ম করেছে তারা আর কখনো ফিরতে পারবে না।’এদিকে, আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।এইচএ
    নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
    নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।রবিবার (০৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের সঙ্গে আমার চূড়ান্ত কথা হবে ১৫ তারিখে। আইএমএফের সঙ্গে আমার জুমে কথা হয়েছে। ওরা বলেছে তোমাদের সার্বিক অর্থনৈতিক দিকটা আমরা অত্যন্ত হ্যাপি। ঠিক আছে যা যা করার তোমরা চেষ্টা করছো, করেছো।তিনি বলেন, ওদের কিছু কিছু রিকমেন্ডেশন আছে। যেমন রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সেটা আমি স্বীকার করেছি, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও লো। সেটার অনেক কারণ আছে। আমাদের লোকজন ট্যাক্স দিতে চায় না। আবার এনবিআর বন্ধ ছিল দুই মাস। সেটার জন্য আমাদের বিরাট একটা... হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। দ্বিতীয় ওদের (আইএমএফ) আরেকটা ফাইন্ডিং আছে সামাজিক সুরক্ষার জন্য আরও বেশি ব্যয় করা, বিশেষ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা সামাজিক নিরাপত্তা এবং খাদ্যটা। খাদ্যটা আমরা মোটামুটি ভালো করছি।আপনি কি আশাবাদী? নির্বাচনের তিন মাস বাকি, আপনি পাবেন কি না? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আগে আমরা যেটা করবো যতটুক কাজ করেছি সেটা কনসোলিডেট করবো। সংস্কার শেষ করে ফেলব সেটা তো নয়, সংস্থা তো শেষ করা যাবে না। সংস্কার তো একটা কন্টিনিউ প্রসেস। আমরা এটাকে একটা ভালো করে প্যাকেজিং যেটা বলে আর কি, প্যাকেজিং করে আমরা দেবো, আগামী সরকারের কাছে, যেসব মেজর সরকার সংস্কার।তিনি বলেন, ইভেন আমি একটা কমিটি করেছি ট্যাক্সের ব্যাপারে আপনারা জানেন কিছু ইকোনমিস্টদের নিয়ে, তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তারা কিছু রিকমেন্ডেশন দেবে।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা পে-কমিশনের ব্যাপার আছে সেটা আমরা এখন কিছু বলতে পারি না, কারণ ওটা দেখা যাক কতদূর যায়। সেটা আগামী সরকারের..। আগামী সরকার হয়তো সেটা এসে করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যাংক সেক্টর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংক সেক্টরটা মোটামুটি যেটা শুরু হয়েছে, আর বাকিগুলো ধীরে ধীরে করবে। এই জিনিসগুলো আমরা আগামী সরকারের জন্য...।এমআর-২

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    আ. লীগের লকডাউনকে ঘিরে ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল
    আওয়ামী লীগ কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা করে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিরোধ, জুলাই-সহ সকল গণহত্যার বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবি, আইন শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের উদাসীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। এসময় ‘নারায়ে-তাকবির, আল্লাহু আকবর; সারা বাংলায় খবর, মুজিববাদের কবর, মুক্তির মূল মন্ত্র, ইসলামি শাসনতন্ত্র; চব্বিশের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়৷ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বারবার ঘোষণা দিচ্ছে তারা বাংলার মাটিতে আবার মাথা উচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু এ জুলাই বিপ্লবী ছাত্রসমাজ তা হতে দিবে না। আগামীকালে যে কর্মসূচি দিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই— “দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না”।অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, 'সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী নির্বাচনের আগে গণভোট এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে।'এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনারা জুলাই বিরোধীদের কাঙ্ক্ষিত শাস্তি দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাবেক প্রক্টর জুলাই আন্দোলনকারীদের হয়রানি সহ ৪ আগস্ট মিছিলে যারা অংশগ্রহণ করে মিছিল দিয়েছিল, তারা ভালো বা খারাপ হোক, তাদের পরিচয় হলো— তারা তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে মিছিল দিয়েছিল। তাদের সাময়িক বহিষ্কার নয়, বরং স্থানীয়ভাবে বহিষ্কার করা হোক।'এনআই
    ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) থেকে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করেছে বর্তমান ডাকসুর নেতৃত্ব।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে ডাকসুর দ্বিতীয় সাধারণ সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) সাদিক কায়েম।তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ। সাধারণ সভায় সেই বিতর্কিত রেজুলেশন বাতিল করা হয়েছে।’উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের বিতর্কিত ডাকসু নির্বাচনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পর তৎকালীন ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রব্বানীর উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করা হয়। তবে সেই সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন। সবশেষ ২০১৯ সালে ৩০ মে মাসে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় হাসিনাকে ‘আজীবন সদস্য’ করা হয়। এরপর ওইদিনই ডাকসুর প্যাডে এক বিবৃতিতেও হাসিনাকে আজীবন সদস্য পদ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে ডাকসুর জিএস রাব্বানীর স্বাক্ষর থাকলেও ভিপি নুরুল হক নুরের স্বাক্ষর ছিল না। এনআই
    টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় একজন পথচারী আহত হয়েছেন এবং রাস্তার পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় জানা যায় যায়নি।ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল মালিক নাজমুস সাকিব জানান, তিনি ফুটপাথের পাশে বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি ককটেল ছুটে এসে এখানে পড়ে। এতে তার মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, টিএসসিতে গুম বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন চলছিল। এরমধ্যে ককটেল দুটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ককটেল দুটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল মারা হয়েছে। আমরা একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। তবে সেটি অস্পষ্ট।এফএস
    বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ইবির ৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
    বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়।অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি বিভিন্ন বিভাগের ও বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭০তম সাধারণ সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান সায়েমকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই কারণে মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়কে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।তাদের এই বহিষ্কারাদেশ গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২৭১তম সিন্ডিকেটের সাধারণ সভায় প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকবেন মর্মে বিভাগের সভাপতির কাছে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার আদেশ দেয় প্রশাসন।উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করে। পরে আটক থাকা অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা সমন্বয়কদের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।এনআই

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে ৭ পরিবারের মামলা
    চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের পর আত্মহত্যা ও মানসিক সংকটে পড়ার অভিযোগে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে ৭টি পরিবার মামলা করেছে। প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ রবিবার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪টি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে চ্যাটজিপিটি সরাসরি আত্মহত্যায় উৎসাহ দিয়েছে, আর বাকি ৩টি মামলায় বলা হয়েছে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের মানসিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণ হয়।একটি ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী জেইন শ্যাম্বলিন নামে এক তরুণ আত্মহত্যার আগে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথন করেন। তার পরিবারের দাবি, কথোপকথনের শেষদিকে এআই তাকে আত্মহত্যায় উৎসাহ দিয়ে লিখেছিল, Rest easy, king. You did good.পরিবারগুলোর অভিযোগ, ওপেনএআই গুগলের জেমিনি মডেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা যাচাই ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে জিপিটি-৪০ মডেলটি ২০২৪ সালের মে মাসে বাজারে আনে। ওপেনএআই স্বীকার করেছে, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছোট কথোপকথনে ভালো কাজ করলেও দীর্ঘ আলোচনায় কার্যকারিতা কমে যেতে পারে, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সেফটি ট্রেনিং দুর্বল হয়ে যেতে পারে।এইচএ
    যে কারণে ফলোয়ার সরিয়ে নিচ্ছে ফেসবুক
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিতে যখন ইচ্ছা অনুভূতি শেয়ার করছেন। ফেসবুকে আপনার অসংখ্য বন্ধু এবং ফলোয়ার রয়েছে নিশ্চয়ই। তবে খুব শিগগির আপনার প্রোফাইল আর কেউ ফলো করতে পারবেন না এবং আপনার আইডিতে আর ফলোয়ারও থাকবে না। এরই মধ্যে ফেসবুক ব্যক্তিগত প্রোফাইলের পাবলিক ফলোয়ার থাকার ক্ষমতা সরিয়ে নিয়েছে। ভবিষ্যতে সবার ক্ষেত্রেই এটি কার্যকর হবে। যার ফলে ফলোয়ার তালিকা থাকবে না। পাবলিক ফলোয়ার থাকা এবং ইনসাইটস এর মতো ক্রিয়েটর টুলগুলোতে অ্যাক্সেস পেতে, ব্যবহারকারীদের তাদের ব্যক্তিগত প্রোফাইলটি পেশাদার মোডে স্যুইচ করতে হবে।আপনি যদি স্যুইচ না করেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলটি ব্যক্তিগত হয়ে যাবে এবং আপনি কেবল বন্ধুদের কাছে দৃশ্যমান হবেন। অর্থাৎ আগে আপনাকে যারা ফলো করতেন এবং আপনার ফলোয়ার তালিকায় ছিলেন তারা আর আপনার পোস্ট দেখতে পাবেন না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন এমনটা করছে ফেসবুক? এর বেশ কয়েকটি কারণ আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক-প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন: ফেসবুক ব্যক্তিগত প্রোফাইলগুলোকে পাবলিক ফলোয়ারদের থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। পাবলিক ফলোয়ার সংখ্যা শুধু পেশাদার অ্যাকাউন্টগুলির জন্য উপলব্ধ থাকবে।পেশাদার মোডকে উৎসাহিত করা: এই পরিবর্তনটি এমন ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করে যারা পাবলিক ফলোয়ার চান, পেশাদার মোডে স্যুইচ করতে, যা স্রষ্টার সরঞ্জাম এবং নগদীকরণ বিকল্পগুলোতে অ্যাক্সেস দেয়।স্বয়ংক্রিয় সুইচ: যদি আপনি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনো পছন্দ না করেন (যা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু রোলআউট চলছে), তাহলে আপনার প্রোফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেশাদার মোডে স্যুইচ হবে যাতে পাবলিক ফলোয়াররা সংরক্ষণ করা যায়।এরই মধ্যে ফেসবুক অনেককেই নোটিফিকেশ পাঠিয়েছে। যেখানে পেশাদার মোড চালু করার অপশন দিয়েছে। আপনি যদি পাবলিক ফলোয়ারদের ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে পেশাদার মোড চালু করতে হবে। এটি আপনাকে পাবলিকলি অনুসরণ করতে সাহায্য করবে এবং আপনি ক্রিয়েটর টুলগুলোতে অ্যাক্সেস পাবেন।আর যদি আপনার প্রোফাইল গোপন রাখতে চান তাহলে আপনি একটি নিয়মিত প্রোফাইল ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার আর পাবলিক ফলোয়ার থাকবে না। শুধু আপনার বন্ধুরা আপনার কন্টেন্ট দেখতে পারবে।এইচএ
    ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপে এসেছে মেটা এআই, যা যা করা যাবে
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালুর পর এবার বাংলাদেশেও উন্মুক্ত হলো মেটা এআই চ্যাটবট। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সরাসরি এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের সুবিধা নিতে পারছেন।মেটা প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল দ্বারা পরিচালিত এই চ্যাটবট ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মতোই কাজ করে। তবে মেটা এআইয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো— এটি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের ভেতর থেকেই ব্যবহার করা যায়।ব্যবহারকারীরা চাইলে মেটা এআইকে দিয়ে ছবি বা জিআইএফ তৈরি, ই–মেইল বা প্রবন্ধের খসড়া লেখা, এমনকি জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করতেও সাহায্য নিতে পারেন। শুধু লিখতে হবে নির্দেশনা, যেমন, ‘সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাঘের ছবি তৈরি করো’— মুহূর্তেই তৈরি হবে ছবি।মেটা এআই ব্যবহার করা যাবে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের সার্চবারে থাকা এআই আইকন থেকে, কিংবা ইংরেজিতে @Meta AI লিখে প্রশ্ন করেও। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই কথা বলা সম্ভব।এছাড়া ব্যবহারকারীরা নিজেদের ছবি আপলোড করে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে বা অপ্রয়োজনীয় বস্তু সরিয়ে ফেলতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা হোমওয়ার্কে, ডেভেলপাররা কোডিংয়ে কিংবা ভ্রমণপ্রেমীরা ছুটির পরিকল্পনায় এটির সহায়তা নিতে পারবেন।মেটার দাবি, তাদের এই প্রযুক্তি সাধারণ ব্যবহারকারীর পাশাপাশি কনটেন্ট নির্মাতা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।আরডি
    ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে ২ বছর জেল ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা
    ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’অধ্যাদেশের ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।এসএম
    ‘বাজারের ৬০ শতাংশ মোবাইল অবৈধ’
    দেশের মোবাইল ফোন বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশই অবৈধভাবে আমদানি হওয়ায় সরকারের বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওনার্স অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এমআইওবির মতে, অবৈধ মোবাইল ফোন বেচাকেনায় দেশীয় নির্মাতারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি রাষ্ট্রও হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে এমআইওবি সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, বর্তমানে বাজারে থাকা মোবাইল ফোনের প্রায় ৬০ শতাংশই অবৈধভাবে আমদানি করা। এতে সরকারের বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। অথচ দেশে উৎপাদন সরঞ্জামের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেলেও তারা এখনো হ্যান্ডসেটের দাম বাড়াননি বলেও দাবি করেন তিনি। সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগের (এনআইআর বাস্তবায়ন) বিরুদ্ধে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে এনইআইআর নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। লাগেজ পার্টিরাই এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে।জাকারিয়া শাহীদ আশ্বাস দিয়ে বলেন, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল ফোনের দাম এক টাকাও বাড়ানো হবে না, বরং সরকারের রাজস্ব আয় হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে।এমআইওবির সহ-সভাপতি রেদওয়ানুল হক বলেন, একটি ব্র্যান্ড বাদে বিশ্বের প্রায় সব শীর্ষ ব্র্যান্ড এখন দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন করছে। দেশের ৯০ শতাংশ চাহিদা দেশীয় কারখানায় পূরণ হচ্ছে। আমাদের শতভাগ সক্ষমতা আছে, কিন্তু বর্তমানে ৬০ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এনইআইআর যেন কখনও বন্ধ না হয়।স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অনার ব্র্যান্ডের বাংলাদেশি উৎপাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আইন মেনে দেশে মোবাইলফোন ব্যবসা করা এখন খুব সহজ। অনেকেই এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। মোবাইল এখন আমাদের ব্রেড অ্যান্ড বাটার। দেশে উৎপাদন শুরু হওয়ায় বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ আইফোনের বাজার সম্পূর্ণটাই অবৈধ আমদানিনির্ভর।সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন এমআইওবির প্রধান নির্বাহী মনিরুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মোবাইলফোন ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কপুরিয়া এবং মোবাইল কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্যামসাং বাংলাদেশের অনুমোদিত পরিবেশক এক্সেল টেলিকমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাইফুদ্দিন, ভিভো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইমাম উদ্দীন।এসএম
    আজ দেখা যাবে ‘বিভার সুপারমুন’, বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ
    আজ আকাশে দেখা যাবে বছরের অন্যতম আকর্ষণীয় পূর্ণচন্দ্র— ‘বিভার মুন’ বা ‘বিভার সুপারমুন’। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে পূর্ণতা পাবে এ চাঁদ।নভেম্বরের পূর্ণিমা ‘বিভার মুন’ নামে পরিচিত। নাসা জানায়, এটি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সুপারমুন, এর আগে অক্টোবর মাসে দেখা গিয়েছিল ‘হারভেস্ট সুপারমুন’।সুপারমুন হিসেবে আজকের চাঁদ সাধারণের চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল দেখা যাবে। কারণ, এটি পৃথিবীর তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে— প্রায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮০ কিলোমিটার দূরত্বে।আজ চাঁদ বিকেল ৫টা ৩১ মিনিটে উঠবে, ঠিক সূর্যাস্তের পরই পূর্ব আকাশে এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। নাসার পরামর্শ অনুযায়ী, দূরবীন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে আরও পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে।আজকের পূর্ণচন্দ্রের সঙ্গে আকাশে আরও কয়েকটি নাক্ষত্রিক সৌন্দর্যও দেখা যাবে— যেমন প্লাইয়েডস এবং হাইডস নক্ষত্র ক্লাস্টার, ওরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জ এবং বৃহস্পতি গ্রহ (জুপিটার)।‘বিভার মুন’ নামটির উৎপত্তি নেটিভ আমেরিকান ও ইউরোপীয় ঐতিহ্য থেকে। নভেম্বর মাসে বীবররা শীতের প্রস্তুতিতে বাঁধ মজবুত করত ও খাবার মজুত করত। তাই এই সময়ের পূর্ণিমা তাদের নামে পরিচিত হয়। কিছু সংস্কৃতিতে এটি ‘ফ্রস্ট মুন’, ‘ফ্রিজিং মুন’, বা ‘ট্রেডিং মুন’ নামেও পরিচিত।আজকের সন্ধ্যায় যদি আকাশ মেঘমুক্ত থাকে, তবে বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকেই দেখা যাবে এই উজ্জ্বল ও পূর্ণ সৌন্দর্যের বিভার সুপারমুন।এইচএ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    শপথ নিলেন হাইকোর্টের ২১ বিচারপতি
    ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্টের ২১ অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর তাদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি এ শপথবাক্য পাঠ করান। তবে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন অসুস্থ থাকায় তিনি আজ শপথ নেননি।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।গত ১১ নভেম্বর ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্টের ২২ অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২২ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের নিম্নবর্ণিত ২২ জন অতিরিক্ত বিচারককে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।তারা হলেন– বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন, বিচারপতি মো. মনসুর আলম, বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান, বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথীকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, বিচারপতি মো. তৌফিক ইনাম, বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী।এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ হতে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দুই বছরের জন্য ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে বিধান অনুসারে ৪৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় স্থায়ীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী। তবে তিনি বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।এইচএ 

    প্রবাস

    সব দেখুন
    কুমিল্লা-৬ আসনে ইয়াসিনের মনোনয়নের দাবিতে প্রবাসীদের সমাবেশ
    কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের মনোনয়নের দাবিতে ইতালির ভিছেন্সা প্রভিন্সের আলতে মন্তেকিয়ো শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভিছেন্সা প্রভিন্স বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাফর আহমেদ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পারভেজ আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ব্যবসায়ী রবিন সরকার।বক্তারা বলেন, ‘আমিনুর রশিদ ইয়াসিন কুমিল্লা-৬ আসনের রাজনীতিতে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ত্যাগ ও নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে দুঃসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তিনি “মাটি ও মানুষের নেতা” হিসেবে সবার ভালোবাসা অর্জন করেছেন।’বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নে এমন একজন জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাকে উপেক্ষা করা হলে তা হবে দলের প্রতি অবিচার।বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা দলীয় সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি, তবে প্রাথমিক মনোনয়ন এখনও পরিবর্তনযোগ্য — তাই আমরা বিশ্বাস করি দল ও দেশপ্রেমিক নেতা তারেক রহমান এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।’সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা জানান, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত কুমিল্লা-৬ আসনের প্রবাসীরা ইয়াসিনের পক্ষে একযোগে দাবি তুলেছেন। তারা বিশ্বাস করেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকটি যদি হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তবে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে।প্রতিবাদ সভায় প্রবাসী নেতাকর্মীরা বলেন, ‘তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমরা আশা করি, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা আমিনুর রশিদ ইয়াসিনকে পুনর্বিবেচনা করে প্রার্থিতা দেওয়া হবে।’ইখা

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    রক্তে চর্বি ও ওজন নিয়ন্ত্রণে জাম্বুরার উপকারিতা
    চলছে জাম্বুরার মৌসুম। জাম্বুরা অতি পরিচিত একটি মৌসুমি ফল। বাজারে এখন বেশ কমদামেই মিলছে সুস্বাদু এই ফলটি। পুষ্টিগুণের বিবেচনায় অত্যন্ত মূল্যবান  এই ফলে কেবল ভিটামিন সি নয়, আছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ ও ফোলেট। গড়পড়তা একটা জাম্বুরা খোসা ছাড়ানোর পর সেটির ওজন দাঁড়ায় ৫০০ বা ৬০০ গ্রামের মতো। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই পরিমাণ জাম্বুরায় যতটা ভিটামিন সি আছে, তা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রোজকার চাহিদার ৪০০ শতাংশের বেশি। এই পরিমাণ জাম্বুরায় অন্য যেসব পুষ্টি উপাদান আছে, সেসব থেকেও শরীরের নানা পুষ্টি উপাদানের চাহিদার অনেকটাই মিটবে।তাই মোটামুটিভাবে একটা জাম্বুরার চার ভাগের এক ভাগ খেলেই একজন প্রাপ্তবয়স্কের রোজকার চাহিদামাফিক ভিটামিন সি পূরণ হবে। তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ জাম্বুরা খেলে তা কিন্তু দেহে জমা থাকবে না। ফলে এক দিন বেশি পরিমাণ জাম্বুরা খেয়ে কয়েক দিনের চাহিদা মিটিয়ে নেওয়া যাবে, তেমনটা ভাবার সুযোগ নেই। তবে কিছুটা বেশি খেয়ে ফেললেও তেমন কোনো অসুবিধা নেই। পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায় বলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে বাড়তি ভিটামিন সি।আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবেন জাম্বুরায়। ত্বকের স্বাভাবিক টান টান ভাব ধরে রাখতে কোলাজেন প্রোটিন তৈরি হওয়া চাই ঠিকঠাক। এই কোলাজেন তৈরির জন্যও প্রয়োজন ভিটামিন সি। দেহকে ভেতর থেকেও তরুণ রাখে এই ভিটামিন। আমাদের অন্ত্রে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে জাম্বুরার আঁশ।জাম্বুরার আঁশ রক্তের খারাপ চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখা চাই পর্যাপ্ত আঁশ। ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ফোলেট, কপার, পটাশিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আমাদের সার্বিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন।ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে জাম্বুরার মতো ফল। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্যও জাম্বুরা দারুণ। তবে পটাশিয়াম বেশি থাকায় দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য জাম্বুরা ভালো নয়।জাম্বুরার আঁশ খারাপ চর্বির মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। তবে যাদের রক্তে খারাপ চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ওষুধ সেবন করতে হয়, তাদের জন্য এটিকে সেই ওষুধের বিকল্প ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই।বরং কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের ওষুধের সঙ্গে জাম্বুরা খাওয়া অনিরাপদ হতে পারে। তাই চর্বি কমানোর ওষুধ সেবন করলে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখুন।এইচএ

    Loading…