

দেশের বৃহত্তম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে উদ্বোধনের মাধ্যমে স্বপ্নের যমুনা রেল সেতুর দ্বার খুললো। নব-নির্মিত প্রমত্তা যমুনার উপরে দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পারাপার শুরু হলো। ৪.৮ কিলোমিটার মূল সেতু ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের সময়ে পারাপারে উচ্ছাসিত সাধারণ মানুষ।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার ২৪ মিনিটে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনটি পৌছায়। এরআগে, ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ইব্রাহিমবাদ স্টেশন থেকে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার মধ্য দিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর উত্তাল রেলপথের মাধ্যমে দেশের ঢাকার রাজধানীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য অংশের সাথে ট্রেন সংযুক্ত হলো। উদ্বোধনী ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে মাত্র ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড সময়ে সেতু পার হয়।সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনটি পৌছার পরে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদুত এইচ.ই. সাইদা শিনিচি, জাইকার সাউথ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মিঃ ইতো তারুকী, যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ও মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো. আফজাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ প্রকল্পটির ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আই এইচ আই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।২০২০ সালের ২৯শে নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্র্যাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, নির্মিত এই সেতুটি ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্ত সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে সেটা আর থাকবে না। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহন খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে। উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পণ্য সহজেই ঢাকাসহ সারাদেশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে।এমআর-২/আরআই

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর: তৌহিদ হোসেন
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ইসলামিক খিলাফতকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন সেটি গুরুতর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যে প্রতিক্রিয়া (তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের) জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ওটাই। ওনার (তুলসী গ্যাবার্ড) বক্তব্য গুরুতর।সোমবার (১৭ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ক্যাথলিক ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভাগ্যজনক নিপীড়ন, হত্যা ও অন্যান্য নির্যাতন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের উদ্বেগের একটি প্রধান ক্ষেত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্র শুরু হচ্ছে, কিন্তু এটি উদ্বেগের মূল জায়গার একটি হয়ে রয়েছে।সোমবার রাতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থি খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।এদিকে, স্থানীয় সময় সোমবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সরাসরি কোনো জবাব দেননি।এমআর-২
জাতীয়
সব দেখুন
আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি, কবে থেকে কত দিন
ঈদ মানে আনন্দ, আর এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেন মানুষ। সেজন্য অনেকে সারা রাত অপেক্ষা করেন ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কিংবা লঞ্চে ওঠেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আর নিজের আপন ঠিকানায় ফিরে ক্লান্তিক্লিষ্ট শরীরে এলিয়ে পড়তে চাই নিজের পুরোনো ঘরে, পুরোনো বালিশ আর বিছানায়, পুরোনো ঘ্রাণের ভেতর। তাই ঈদ এলেই আমরা খুব আগ্রহের সাথে জানতে চায় ছুটি কবে থেকে কত দিন? আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার লম্বা ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঈদ উপলক্ষে এর মধ্যে পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবার পাঁচ দিনের ঘোষিত ছুটির আগে-পরে আছে মহান স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবার কার্যত লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। ঈদের আগে ও পরে ১১ দিনের মধ্যে মাত্র ২ দিন অফিস খোলা থাকবে।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসেবে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটি। অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে এই ছুটি। এর মধ্যে ঈদের দিন সাধারণ ছুটি। আর ঈদের আগের দুই দিন এবং পরের দুই দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একই দিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। এই ছুটি শুরুর আগে আবার আছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। তার পরদিন ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) এক দিন অফিস খোলা থাকবে। অন্যদিকে, ছুটি শেষে অফিস খুলবে আগামী ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। অর্থাৎ ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে অফিস চলবে মাত্র ২ দিন (২৭ মার্চ ও ৩ এপ্রিল)। এক দিন ঈদের আগে ও আরেক দিন ঈদের পরে। ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। এবি

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর: তৌহিদ হোসেন
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ইসলামিক খিলাফতকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন সেটি গুরুতর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যে প্রতিক্রিয়া (তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের) জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ওটাই। ওনার (তুলসী গ্যাবার্ড) বক্তব্য গুরুতর।সোমবার (১৭ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ক্যাথলিক ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভাগ্যজনক নিপীড়ন, হত্যা ও অন্যান্য নির্যাতন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের উদ্বেগের একটি প্রধান ক্ষেত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্র শুরু হচ্ছে, কিন্তু এটি উদ্বেগের মূল জায়গার একটি হয়ে রয়েছে।সোমবার রাতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থি খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।এদিকে, স্থানীয় সময় সোমবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সরাসরি কোনো জবাব দেননি।এমআর-২
সংখ্যালঘু নির্যাতন যেভাবে বলা হয়েছে, সে মাত্রায় হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা
যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে, সে মাত্রায় হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, দেশে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সরকার।তিনি আরও বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের বিষয়ে সরকার কঠোর। তারা মিছিল করার চেষ্টা করেছে সরকার ভন্ডুল করে দিয়েছে। মাজারে হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।হজের ভিসা জটিলতার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এবার প্রায় ৮০ হাজারের মত হাজী ওমরাহ করতে যাওয়ার পর বাকিরা ভিসা জটিলতায় পড়েছেন। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সৌদি সরকার এই সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঈদের পর ভিসা পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।এমআর-২
তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।চট্টগ্রামে খালাসের জট কমেছে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ, পণ্য খালাসের জট কমেছে। সয়াবিন তেল কি ভাসছে? সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সয়াবিনটা ভাসছে, এটা আমাদের দৃষ্টিতে আসছে। ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নানান রকম ইসে যায়...। যাই হোক, আমরা চেষ্টা করছি। যতবেশি চালাক হয়, আমাদের আরও একটু বেশি চালাক হয়ে কাজ করতে হবে।কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, সে বিষয়টি কি আপনারা দেখবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, কীভাবে করেছে, কিন্তু তারা এটা ভালোভাবে ম্যানেজ করেছে।অর্থনীতির বিষয়গুলোও সেখানে আছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতির বিষয় তো আমি জানি ভেতরে কী হচ্ছে। এত হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২৬ সালে একটা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি নিয়েছি। স্মুথ মানে ধম করে নামে না, প্লেন যেমন আস্তে আস্তে নামে। আমরা এটা অলরেডি করছি।তিনি আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশের দিকে অন্যান্য দেশ তাকিয়ে আছে। আমরা জানি বাংলাদেশের পারফরমেন্স ওভারঅল সন্তোষজনক। ভুল-ত্রুটি আছে তার মধ্যেও। ইভেন... বলেছে তোমরা যদি করো অন্যান্য দেশ সাহস পাবে। আর আমাদের গৌরবটা একটু বাড়বে। হয়তো কিছু কিছু প্রিপারেশন লাগবে, আমরা প্রিপারেশনে যাচ্ছি। এমআর-২
দেশের বৃহত্তম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে উদ্বোধনের মাধ্যমে স্বপ্নের যমুনা রেল সেতুর দ্বার খুললো। নব-নির্মিত প্রমত্তা যমুনার উপরে দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পারাপার শুরু হলো। ৪.৮ কিলোমিটার মূল সেতু ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের সময়ে পারাপারে উচ্ছাসিত সাধারণ মানুষ।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার ২৪ মিনিটে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনটি পৌছায়। এরআগে, ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ইব্রাহিমবাদ স্টেশন থেকে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার মধ্য দিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর উত্তাল রেলপথের মাধ্যমে দেশের ঢাকার রাজধানীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য অংশের সাথে ট্রেন সংযুক্ত হলো। উদ্বোধনী ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে মাত্র ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড সময়ে সেতু পার হয়।সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনটি পৌছার পরে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদুত এইচ.ই. সাইদা শিনিচি, জাইকার সাউথ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মিঃ ইতো তারুকী, যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ও মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো. আফজাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ প্রকল্পটির ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আই এইচ আই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।২০২০ সালের ২৯শে নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্র্যাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, নির্মিত এই সেতুটি ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্ত সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে সেটা আর থাকবে না। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহন খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে। উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পণ্য সহজেই ঢাকাসহ সারাদেশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে।এমআর-২/আরআই
গুম কমিশনের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়লো
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘঠিত ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে যে কমিশন হয়েছে সেটির মেয়ার আরও ৩ মাস বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সময় বাড়ানোর এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বাড়তি মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এটি গত ১৫ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পাবে। পাঁচ সদস্যের এ কমিটির ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে কয়েক ধাপে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৭ অগাস্ট গঠিত এ কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৫ নভেম্বর কমিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, কমিশনে গুমের ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধেই ছিল সবচেয়ে বেশি ১৭২টি। অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।গুম কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রথমে গত ২৭ অগাস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপনে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উদ্দেশ্য ও দায়িত্বে পরিবর্তন আনে সরকার। তবে পাঁচ সদস্যের কমিশন রাখা হয় আগের মতই।এবি
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে যমুনা রেল সেতু, পার হতে লাগবে ২-৩ মিনিট
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে উত্তরের সাড়ে তিন কোটি মানুষের আগ্রহের জায়গায় থাকা যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতু আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগে একটি নতুন দ্বার খুলছে।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সেতুর পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে ছেড়ে একটি ট্রেন যমুনা রেলসেতু পার হয়ে পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেলস্টেশন যাবে।এর আগে, সকালে সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন এলাকায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সেতুটির উদ্বোধন করা হবে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি ও জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।উদ্বোধনের পর সংশ্লিষ্টরা ট্রেনে করে যমুনা সেতুর পূর্বপ্রাপ্তে যাবে। সেখানে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।পরে অতিথিরা দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা নদীতে বর্তমান সড়কসেতুর পাশে নতুন এই রেলসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেলসেতুতে আসা–যাওয়ার দুটি লাইন (ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক) রয়েছে।সেতুটি ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দেশের দীর্ঘতম ও আধুনিক এ সেতুর ওপর দিয়ে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে। ১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় ৩৮টি ট্রেন প্রতিদিন তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে যাতায়াত করে।এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল। এতে সেতুটি পাড়ি দিতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন মিনিট।সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।এবি
এবার ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর, কমবে দাম
রমজান মাসে তাজা ফলের দাম সাধারণ জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখতে আমদানিতে শুল্ক-কর ১৫ শতাংশ কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।এতে বলা হয়, রমজান মাসে তাজা ফলের দাম সাধারণ জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বৃহত্তর জনস্বার্থে সরকার তাজা ফল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়ে গত ১৬ মার্চ দুইটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।এছাড়া গত ১০ মার্চ আরও একটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ফল আমদানিতে বিদ্যমান অগ্রিম আয়করের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে, ফল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-করাদি ১৫ শতাংশ কমানো হলো।উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত কয়েক মাসে সকল প্রকারের ভোজ্য তেল, চিনি, আলু, ডিম, পেয়াজ, চাল, খেজুর এবং কীটনাশকের ওপর আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর এবং আগাম করের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে করছাড় প্রদান করেছে। করছাড়সহ সরকারের নানাবিধ সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে এবছর রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।সরকার জনস্বার্থে, আপামর জনগণ কর্তৃক বহুল ব্যবহৃত দ্রুতগামী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেল সেবার ওপর বিদ্যমান ভ্যাট সম্পূর্ণ অব্যাহতি প্রদান করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে পুস্তকের সহজলভ্যতা, আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ই-বুক সেবায় স্থানীয় সরবরাহ ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।এছাড়া হজ্ব যাত্রীদের খরচ কমানোর লক্ষ্যে হজ্ব টিকিটের ওপর আরোপযোগ্য আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করাসহ সরকার জনস্বার্থে নানাবিধ করছাড় দিয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।এমআর
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
উপদেষ্টা মাহফুজ-আসিফের পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদের জরুরি জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।রাশেদ খান বলেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ইসলামি শক্তিকে সহ্য করতে পারছেন না। আলেম-ওলামা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেছেন। মাহফুজ আলম জাতীয় ঐক্য সংহতি পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন। তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, এরকম বিতর্কিত ব্যক্তি কোনভাবেই সরকারের উপদেষ্টা পদে বহাল থাকতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।তিনি বলেন, তথ্য উপদেষ্টাকে সরকারের মূখপাত্র হিসেবে কাজ করে। তবে তিনি (উপদেষ্টা মাহফুজ আলম) কখনও হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব বক্তব্যরে কারণে অনৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন পরিষদের এই নেতা।সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষেদর এই নেতা। প্রয়োজনে নতুন নিরপেক্ষ সরকার সগঠন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।সংবাদ সম্মেলন থেকে আরেক ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসাবে চেয়ারে রয়েছেন জনাব আসিফ মহম্মদ সজীব ভুঁইয়া এবং জনাব মাহফুজ আলম। তাদেরকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।এমআর-২
উপদেষ্টা মাহফুজ-আসিফের পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদের জরুরি জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।রাশেদ খান বলেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ইসলামি শক্তিকে সহ্য করতে পারছেন না। আলেম-ওলামা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেছেন। মাহফুজ আলম জাতীয় ঐক্য সংহতি পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন। তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, এরকম বিতর্কিত ব্যক্তি কোনভাবেই সরকারের উপদেষ্টা পদে বহাল থাকতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।তিনি বলেন, তথ্য উপদেষ্টাকে সরকারের মূখপাত্র হিসেবে কাজ করে। তবে তিনি (উপদেষ্টা মাহফুজ আলম) কখনও হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব বক্তব্যরে কারণে অনৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন পরিষদের এই নেতা।সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষেদর এই নেতা। প্রয়োজনে নতুন নিরপেক্ষ সরকার সগঠন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।সংবাদ সম্মেলন থেকে আরেক ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসাবে চেয়ারে রয়েছেন জনাব আসিফ মহম্মদ সজীব ভুঁইয়া এবং জনাব মাহফুজ আলম। তাদেরকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।এমআর-২

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক রাফি
বিয়ে করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। সোমবার (১৭ মার্চ) তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। স্ট্যাটাসে রাফি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দুয়া একান্ত কাম্য।’ তবে তার নববধূর পরিচয় এখনো প্রকাশ করেননি।এদিকে তার বিয়ের খবর প্রকাশের পর বন্ধু, সহযোদ্ধা এবং অনুসারীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে রাফি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।তালাত মাহমুদ রাফি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের (২০২২-২৩) শিক্ষার্থী। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাফি।এমআর-২

মানুষের কল্যাণে কাজ করুন, উপদেষ্টাদের রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্টের যে চূড়ান্ত আন্দোলন, এটা ১৫ বছরের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন যে আন্দোলন তার চূড়ান্ত বর্হিপ্রকাশ। এই ১৫ বছরের মধ্যে ইলিয়াস আলী নেই, চৌধুরী আলম নেই, সুমন নেই। আমি উপদেষ্টাদেরকে বলব যে ক‘দিন আছেন মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করুন।সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সারা দেশে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে মহিলা দল।রিজভী বলেন, ১৫ বছরের মধ্যে ইলিয়াস আলী নেই, চৌধুরী আলম নেই, সুমন নেই। কারণ এরা সোচ্চার ছিলো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি ঘটানোর জন্য। এই কারণে ওরা জীবন দিয়েছে, সেই জীবনের একটা চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখলাম শিশু-তরুণ-কিশোররা জুলাই-আগস্টে জীবন দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে।তিনি আরও বলেন, আমি উপদেষ্টাদেরকে বলব যে, যে ক‘দিন আছেন মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করুন। এখন তো মিনিকেট চালের কেজি ৮৫ টাকা, এদিকে আপনারা নজর দিন, পাইজাম চাল, একেবারে মোটা চাল সেটার দাম ৫৬/৫৭ টাকা; এগুলোর দিকে নজর দিন।রিজভী আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি প্রধান উপদেষ্টা… মানুষের বিশ্বাস আপনার ওপর। আমাদের বিশ্বাস আপনার হাত দিয়ে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আপনারা দেখেছেন, নুসরাত পারুল থেকে শুরু করে গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একের পর এক নারীরা ধর্ষিতা হয়েছে.. যারা ধর্ষণকারী তাদের কোনো বিচার হয়নি, এমনকি হত্যাকারী যারা তাদের কোনো বিচার হয়নি। কারণ যারা গুম-খুন-হত্যা করেছিলো তারাই কিন্তু সেই সময়ে রক্ষক হিসেবে অন্যদেরকে দিয়ে কাজগুলো করাতো। আজকে আমরা এমন একজনের কাছে দায়িত্ব তুলে দিয়েছি যাকে আমরা মনে করি শান্তির প্রতীক। আশা করছি আমাদের দেশ নিরাপদে থাকবে, আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদে থাকবে, সবাই মুক্ত স্বাধীন কথা বলতে পারবে।গত চার বছরে ৭ হাজার শিশুসহ ৪৩ হাজার নারী ধর্ষণে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর তুলে ধরে তিনি বলেন, এগুলোর কোনো বিচার হয়নি। আমরা দেখেছি মাগুরার শিশু আছিয়া হত্যার পরে এক সপ্তাহের মধ্যে যেন মনে হয় মহাউৎসব লেগেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ১১ জন নারী-শিশু ধর্ষিতা হয়েছে। এই ধর্ষিতা হওয়ার কারণটা কি?মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, জেবা খান প্রমুখ।এবি

ইয়াং জেনারেশন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে: ফখরুল
ইয়াং জেনারেশন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৭ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।ফেসবুকে পোস্টে ফখরুল লিখেন, আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজকে সেখানে আমাদেরকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কিন্তু আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই বিচলিত হয়ে পড়ি। আবার দেখা যাচ্ছে সেই হত্যা-খুন-জখম-ধর্ষণ। এগুলো এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যে, আমাদেরকে সকল উৎপীড়িত করছে। তিনি বলেন, আমরা দেখছি যে, ইয়াং জেনারেশন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অর্গানাইজেশনগুলোর কর্মীরা দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমে এসেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা দুই বছর আগে দিয়েছি, যে সংস্কারের কথা কেউ বলেনি। সেই সংস্কারগুলো আজকে উঠে এসেছে। যার সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা মনে করি যে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত, নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও রক্ষা করা দরকার।তিনি বলেন, আমরা এখন যেটা চাইছি, অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাইছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব দিয়েছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে যেটা আমরা বার বার করে বলেছি, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সমস্ত সংস্কারগুলো প্রয়োজন সেগুলো করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিকে যাবেন। ফখরুল আরও বলেন, আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে যে- যত দেরি হবে তত বেশি আবার বাংলাদেশে পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করবার জন্য বিরুদ্ধ শক্তি-ফ্যাসিস্ট শক্তিরা আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করে দেবে এবং তারা শুধু নয় একই সঙ্গে যারা জঙ্গি মনোভাব পোষণ করে থাকে, যারা উগ্র মনোভাব পোষণ করে থাকে তারাও এই সুযোগগুলো নেয়ার চেষ্টা করবে।বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, যত দ্রুত জনগণের প্রতিনিধিরা সংসদে আসবে, সংসদে এসে একদিকে তারা দেশ পরিচালনা করবেন অন্যদিকে বাকি যে-সব প্রয়োজনীয় সংস্কার আছে, সেগুলো আমরা এক সঙ্গে করতে পারব। এমআর-২

মাগুরার শিশু আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় মারা যাওয়া শিশু আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ফেসবুকে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘মাগুরার শিশু আছিয়ার পরিবার নিতান্তই একটি অসহায় পরিবার। তার পিতা একজন মানসিক রোগী। এ পরিবারে অন্য কোন পুরুষ সদস্য নেই। মানবিক কারণে এই পরিবারের দায়িত্ব মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইনশাআল্লাহ নিচ্ছে।’তিনি আরও লিখেন, ‘ইতোমধ্যে মজলুম এই পরিবারের সদস্যবৃন্দকে তা অবহিত করা হয়েছে। সকলের কাছে দোয়ার আবেদন, আল্লাহ তা’য়ালা যেন সঠিকভাবে এ দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে তাওফিক দান করেন। আমীন।’এর আগে, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছর বয়সি শিশু আছিয়া। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এবি

ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: মোশাররফ
ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচন বিলম্ব করতে উছিলা দেওয়া হচ্ছে।শনিবার (১৫ মার্চ) যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে আমরা বুঝি।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছরে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে গেছে। সেটি মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।মোশাররফ বলেন, অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করা হোক। রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। জনগণের নির্বাচিত সরকার তখন পতিত সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সাত মাসেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো স্পষ্ট রূপরেখা ঘোষণা দিতে পারেনি।এমআর-২

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না: নাহিদ
মৌলিক সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না বলেও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্তব্য করেছেন এই তরুণ নেতা।শনিবার (১৫ মার্চ) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য তুলে ধরেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির দলীয় অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।সংস্কার ও গণহত্যার বিচারে জনগণের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে নাহিদ বলেন, সংস্কারের মৌলিক ভিত্তি এই সরকারের আমলেই তৈরি করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না। এ ছাড়া সংবিধান ও গণপরিষদ নিয়েও আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি।বৈঠকে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির হয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স অংশ নেন।এমআর-২
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
ঈদে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথ এবং নিউমার্কেটসহ বেশকিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ডিএমপি। সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে এলাকায় যানবাহনের চলাচলের সুবিধার্থে এবং মহানগরের অন্যান্য রাস্তা চলমান রাখার জন্য কয়েকটি স্পটে ডাইভারসন দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এবং এর পরে ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ডাইভারশনগুলো মোতায়েন থাকবে।ক্রসিংগুলো হলো-১. পান্থপথ এলাকা, নিউমার্কেট এলাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা এবং মিরপুর- এসব এলাকায় যাওয়ার জন্য যানবাহনকে সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে শাহবাগ ঘুরে আসতে হবে ।২. পান্থপথ, গ্রীণ রোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনকে (পান্থপথে ইউটার্নকারী যানবাহনসহ) গ্রিন রোডে, রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেইটের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।৩. মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আসা নিউমার্কেটগামী যানবাহনকে সাইন্সল্যাব ক্রসিং হতে বামে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারসন দেওয়া হবে।৪. নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহনকে (সিটি বাস ছাড়া) নিউমার্কেট ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে ।এ ছাড়া নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে সাইন্সল্যাব ক্রসিং পর্যন্ত মিরপুর রোডের উভয় পাশে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেন (যে লেন দিয়ে কমপক্ষে ৩টি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারবে) তৈরি করা হচ্ছে।সকল রিকশা চালক ও যাত্রীদের ওই লেনে চলাচল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যারা কেনাকাটা করবেন না তাদেরকে ওই দিনগুলোয় মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।এমআর-২
চৈত্রের বিকালে ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
চৈত্র মাসের শুরুতে মৃদু গরম ও অস্বস্তির পর অবশেষে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির দেখা পেল রাজধানীবাসী।সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও গরমের আধিক্য কমেছে। আর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন রাজধানীর মানুষজন।এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ২টা ৮ মিনিটে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ এর আশপাশের জেলায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেন, ঢাকা শহরের উপর দিয়ে বৃষ্টিপাত অতিক্রমের সম্ভব্য সময় দুপুর আড়াইটার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে।এদিকে সোমবার আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাঙামাটি, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।এমআর-২

আত্মহত্যার হুমকি ভাইরাল সেই তরমুজ বিক্রেতা রনির
রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে ‘ওই কিরে, ওই কিরে’, ‘মধু, মধু’, ‘রসমালাই’ প্রভৃতি মজাদার স্লোগান দিয়ে তরমুজ বিক্রি করে ভাইরাল হন মোহাম্মদ রনি। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি।জানা গেছে, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে ব্যাপক শেয়ার হয়। তবে ভাইরাল হওয়ার পর সেই রনিই এখন তরমুজ বিক্রি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও উৎসুক মানুষ তার দোকানের সামনে প্রতিদিন ভিড় করায় ক্রেতারা তার দোকান এড়িয়ে যেতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।রোববার (১৬ মার্চ) এক ভিডিওতে রনি জানান, ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই। আমার দেড় লাখ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।’ তিনি আরও জানান, ‘আমি তো ভিডিও করার জন্য না বলি নাই। আমি ভিডিও দিব। আপনারা যা বলবেন আমি তাই শুনব, কিন্তু আমারে ভালো রাখেন। কর্ম করে খাইতে দেন ভাই।’এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ জানিয়ে রনি বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না ভাই।’এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই তার পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন এবং ভিডিও বানানো বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রনিকে সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে দিতে বলছেন।এমআর-২

কর্মবিরতির মধ্যেও চলছে মেট্রোরেল, ফ্রিতেই চলাচল করছেন যাত্রীরা
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে এমআরটি পুলিশের কয়েকজন সদস্য লাঞ্ছিতের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন করছেন মেট্রোরেল কর্মীরা। ফলে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের আশঙ্কা ছিল। তবে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেল চলছে। যদিও কাজে যোগ দেননি মেট্রোরেল কর্মীরা। কর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়ায় মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে একক যাত্রার যাত্রীরা বিনা টিকিটে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। আর পাঞ্চ মেশিন কার্যকর না থাকায় যাদের এমআরটি কার্ড আছে তারাও কার্ড পাঞ্চ না করে ঢুকতে পারছেন।মেট্রোরেল সূত্র জানায়, এমআরটি পুলিশের কয়েকজন সদস্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় রোববার (১৬ মার্চ) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি দেওয়া হয়। ফলে আজ সকাল থেকে মেট্রোরেল কর্মীরা কাজে যোগ দেননি। মেট্রোলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে তাদের ফ্রিতে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এখন বিষয়টি সমাধানে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। আশা করা যায়, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।আরইউ

কর্মীদের কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
এমআরটি পুলিশ সদস্যদের দ্বারা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা। এতে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রবিবার (১৬ই মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ দ্বারা মৌখিকভাবে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। মূলত আনুমানিক বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে দুজন মহিলা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র না দেখিয়েই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে অবস্থিত সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন ও একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে সুইং গেইট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএর সঙ্গেও ইএফও তে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমওর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে।উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীরা বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। এ ধরনের ঘটনা মেট্রোরেলের কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) তিনি উক্ত ঘটনার পর ঘটনার বিবৃতি দেয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৬ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবি গুলো হলো- ১) আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা উক্ত পুলিশ সদস্যকে (এস আই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল পুলিশ সদস্যকে শাস্তি দিতে হবে এবং তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ২) মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। ৩) এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ৪) স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্যান্য সকল কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৫) অফিসিয়াল পরিচয় পত্র ছাড়া ও অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ৬) আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেলের সকল স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সেখানে আরও বলা হয়, আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মেট্রো স্টেশনে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।এদিকে, যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ডিএমটিসিএল-এর কর্মকর্তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।পিএম
বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, বাড়ি ঘেরাও
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর এলাকার জাফরপুর গ্রামে মেয়েকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জন্মদাতা বাবার বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে জাফরপুর পাওয়ার হাউস পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জাফরপুরের পাওয়ার হাউস পাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে এনামুল হক জনি (৪০) একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী। এর আগে সে একাধিক বিয়ে করেছে। জনির আগের স্ত্রীর ১৪ বছর বয়সী একটি কন্য সন্তান রয়েছে। ওই কন্যাসন্তান মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। বিভিন্ন সময় সেই মেয়ে ওপর কু-নজর ও কু-প্রস্তাব দিত অভিযুক্ত পিতা এনামুল হক জনি।পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, গত ১ ডিসেম্বর জনি তার বর্তমান স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নিজের কন্যা সন্তানকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। তখন কৌশলে নিজেকে রক্ষা করে ওই শিশুটি। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তার এক বান্ধবীকে বলে দেয় সে।এরপর গত ১৪ মার্চ কর্মস্থল থেকে বাবা (জনি) বাড়িতে ফেরার কথা শুনে ঘরে থাকা তিনটি প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করেন ভুক্তভোগী মেয়ে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও দেয়া হয় তাকে। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সোমবার রাতে অভিযুক্ত এনামুল হক জনির বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয় জনতা। প্রায় রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সদর থানার ওসি খালেদুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এসময় অভিযুক্ত এনামুল হক জনি বাড়িতে না থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই বাড়ি থেকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয় ভুক্তভোগী শিশু কন্যাকে।চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষনা চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে।এআই
যশোরে যুবককে গুলি করে হত্যা
যশোর শহরের রেলরোডে সাদি (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের পাশে তার নিজ বাড়ির সামনে খুনের ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাদি রেলরোড এলাকার শওকত আলীর ছেলে। নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী ট্যাটু সুমন ও মেহেদিসহ কয়েকজন সাদিকে লক্ষ্য করে ৭/৮ রাউন্ড গুলি করে। এসময় দুটি গুলি তার শরীরে লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, সাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর পর তিনি মারা যান৷ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিরুল ইসলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার বুকে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সেবক (নার্স) বাবুল গুপ্ত জানিয়েছেন। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, রেলরোডে সাদি নামে এক যুবককে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। খুনের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।এনআই

চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৬টি সোনার বার উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বিওপির বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী মো. রাজ রকি (৩২) নামে এক কারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। সে জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রেজাউল হক লিটনের ছেলে।সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার ঝিনাইদহের মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বিওপির বিজিবি সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় জীবননগর থানা মোড়ে অভিযান চালায়। এ সময় জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রেজাউল হক লিটনের ছেলে মো. রাজ রকিকে আটক করা হয়। আটককৃত রকিকে প্রথমে জীবননগর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে স্বর্ণের ব্যাপারে কোনো তথ্য বিজিবির কাছে দেয়নি। পরবর্তীতে রকিকে মলত্যাগ করানো হলে তার মলদার থেকে টেপ দিয়ে মোড়ানো দু'টি পোটলা বের হয়ে আসে। পরে পোটলা দু'টি খুলে ৬ টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের বার আদালতের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ।এনআই

বার্ষিক সম্মেলন করলো ইবির ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন শাখার আয়োজন বার্ষিক সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ই মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এই সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাতের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম ও প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতী আহমদ আব্দুল জলিল। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম, মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, সায়েম আহমেদ, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ ও অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়েন তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের চেয়ে অবশ্যই ভিন্ন। এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কখনোই কোন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারি কিংবা কারো প্রতি অতিউৎসাহী হয়ে হামলা করার রেকর্ড নাই। আগামীর বাংলাদেশ যেন ইসলামের বাংলাদেশ হয় সেজন্য ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা একটি দমবন্ধ অবস্থায় ছিলাম। সেখান থেকে মহান আল্লাহ আমাদের একটি মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে অনুষ্ঠানের সুযোগ দিয়েছেন। ইতোপূর্বে ক্যাম্পাসে সম্মেলন করা তো দূরের কথা, সম্মেলনের প্রস্তুতিও শুরুর আগেই আমাদের ভাইদের উপর হামলা করেছে তৎকালীন ছাত্র সংগঠন। আগামীর বাংলাদেশে যেন কোনভাবে নতুন কোন স্বৈরাচারের জন্ম না হয় সেদিকে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, রোজা মহান আল্লাহর রহমত। এই রমজানে কুরআন নাজিল হয়েছে। আমাদের রমজানকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং তাকওয়া অর্জন করতে হবে। আমাদের সমস্ত পাপাচার থেকে, অন্যায় অশ্লীলতা থেকে ও জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে হবে। ইসলামের আদর্শে আমাদের জীবন গড়তে হবে৷ নিজেদের অন্তরে মহান আল্লাহর ভয় জাগ্রত রাখতে হবে৷ আমরা রমজানে যেভাবে নিজেদের সংযমী করছি, পানাহার থেকে বিরত থাকছি, বিভিন্ন জিনিস থেকে বিরত থাকছি, এই শিক্ষক যদি আমরা বাকি ১১ মাসও নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেক সুন্দর ও সাবলীল হবে। বাংলাদেশের মাটিতে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ২০২৪ সালের কমিটি বিলুপ্ত এবং ২০২৫ সেশনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে ইসমাইল হোসেন রাহাত, সহ সভাপতি ইব্রাহিম খলিল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাজ্জাদ সাব্বিরের নাম ঘোষণা করেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি মুহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম।এনআই

হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও ভূমিহীনদের পুণর্বাসনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালীতে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সকল খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন এবং তাদের পুণর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৭ মার্চ) বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আকবর আলী, সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রেজাউল করিম রেজা, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: ইদ্রিস আলী, জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মনসুর রহমান, স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, লাবসা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, খলিশাখালি ভূমিহীন সমিতির সদস্য আব্দুল হালিম, জেলা ভূমিহীন সমিতির নেত্রী নাজমা আক্তার নদী, বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মীর আশিক ইকবাল বাপ্পি প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা দেবহাটার খলিশাখালীতে ভূমিহীনদের উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে। তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভূমিহীনদের পুণর্বাসন করতে হবে। এ সময় বক্তার আরো বলেন, অবিলম্বে এই রায় বাস্তবায়ন না হলে ঈদের পরে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। মানববন্ধন শেষে একটি রেলি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ভূমিহীন নেতারা।এনআই
মিরসরাইয়ে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে কেনাকাটা জমে উঠেছে। এবার রমজানের শুরু থেকে বিকিকিনি ভালো হচ্ছে। ক্রেতা টানতে উপজেলার বিপনী বিতানগুলোতে আলোকস্বজ্জার পাশপাশি নিত্য নতুন পোষাকের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরের মত এবারও মার্কেটে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে। ২০ রমজান থেকে বেচাকেনা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছরগুলোতে ১৫ থেকে ২০ রমজান থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়। এবার প্রথম রমজান থেকে ক্রেতাদের ভীড় ভেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মার্কেটে ক্রেতাদের ভীড় রয়েছে। ক্রেতাদের কাছে টানার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের প্রতি লক্ষ্য রেখে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন পোশাকে সাজানো হয়েছে উপজেলার মার্কেটগুলো। দেশীয় জামদানি, টাঙ্গাইল ও তাঁতের নতুন ডিজাইনের শাড়িসহ নারীদের বিভিন্ন পোশাক বিক্রি হচ্ছে ধুমধারাক্কা। ফ্যাশনের পাশাপাশি ঐতিহ্যতেও গুরুত্ব দিচ্ছেন নারীরা। আর প্রচুর কালেকশনের পাশাপাশি দাম স্বাভাবিক থাকায় খুশি তারা। দোকানগুলো শাড়ী, থ্রিপিস, পাঞ্জাবী, জুতা, বাচ্চাদের নানা রঙের কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভাইরাল ও ফারসি। এই দুই পোষাক ক্রেতাদের বেশী আকৃষ্ট করছে, বিক্রিও হচ্ছে ভালো। এছাড়া নতুন কালেকশানের মধ্যে রয়েছে সারারা, আলিয়া কার্ড, সাদা বাহার, ওয়াকা, সাকিরা, তেরেনাম, সোহানা সহ নানা ধরনের নিত্যনতুন ডিজাইনের পোষাক রয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বড় ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র বারইয়ারহাটের মসজিদ গলির লাকী ফ্যাশন মল ও সেঞ্চুরী মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর লাকি ফ্যাশন মল। পুরুষের তুলনায় নারীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। এবার নতুন কালেকশানের মধ্যে রয়েছে ভাইরাল ও ফারসি। এছাড়া সারারা, আলিয়া কার্ড, সাদা বাহার, ওয়াকা, সাকিরা, তেরেনাম, সোহানা সহ নানা ধরনের নিত্যনতুন ডিজাইনের পোষাক রয়েছে।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে ঘিরে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে উপজেলার বানিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র বারইয়ারহাটের গ্রীণ টাওয়ারের অর্কিড, হোম প্লাস, সুলতান, সেঞ্চুরী সুপার মার্কেট, মসজিদ গলির লাকি ফ্যাশন মল, আল আমিন মার্কেট, জমিদার মার্কেট, জোরারগঞ্জ, আবুরহাট, মিঠাছরা, বামনসুন্দর দারোগাহাট, আবুতোরাব, মিরসরাই সদরের মোজাম্মেল এন্ড আজিজুল টাওয়ার, কাশেম শপিং কমপ্লেক্স। শাড়ী থ্রিপিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, পারফিউম, কসমেটিক সামগ্রী, জুতা সহ বিভিন্ন পন্য ক্রয় করছেন ক্রেতারা। বারইয়ারহাট মসজিদ গলির হাসান সুজ, অহনা সুজ, আয়েশা সুজ, গ্রীন টাওয়ারে অবস্থিত লটো, বাটা, এপেক্স বারইয়ারহাটের নূর সু গ্যালারী, মিঠাছরার জুতার হাট শোরুমে ভালো বিকিকিনি লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রির দিক থেকে এবারো শীর্ষে থাকতে পারেন বারইয়ারহাটের ঐতিহ্যবাহী লাকি ফ্যাশন মল, মিঠাছড়ার খাজা ক্লথ ও আবুতোরাবের ভূঁইয়া ক্লথ স্টোরে।বারইয়ারহাট লাকী ফ্যাশন মলের স্বত্বাধিকারী মো. শামসুদ্দিন বলেন, প্রায় তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে বারইয়ারহাটে আমরা সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। এবার রমজানের শুরু থেকে বেচা-কেনা মোটামুটি ভালো চলছে। আশা করছি ২০ রমজানের পর আরো বেশি বিক্রি হবে। অন্যদিনের তুলানায় ছুটির দিনে ভিড় বেশি হচ্ছে।জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের কেনাকাট করতে পারে এ জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া থানার অন্যান্য বাজারে পুলিশের টহল টিম রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি-ছিনতাই রোধে আমার থানায় এলাকায় পুলিশের কয়েকটি টিম ভাগ হয়ে কাজ করছে। এসআর
'মধুর লোভে' কক্সবাজার ছাড়ছেন না তন্তুমনি চাকমা!
২০২০ সালের শেষের দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ে যোগদান করেন তন্তুমনি চাকমা। এরমধ্যে শুধু তিন বছরই কাটিয়েছেন মাদকের করিডোর টেকনাফে। গত ১০ মাস ধরে উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন কক্সবাজার কার্যালয়ে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঘুরে ফিরে মাদকের হটস্পট খ্যাত এই জেলায় চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি।এই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য বলছে, যতদিন চাকরির মেয়াদ অর্থাৎ তার বেশিরভাগ সময় মাদকের প্রাণকেন্দ্র কক্সবাজারে কর্মরত। বদলি যেন তার ডিকশনারিতে নেই। চাকরির শুরুতে মাঠে পদায়ন পান। নানা জায়গায় মাত্র কয়েক বছর চাকরির পর আর কক্সবাজার জেলার বাইরে যেতে হয়নি। ক্ষমতা, প্রভাব ও আওয়ামী লীগ সরকারের অতি-আস্থাভাজন হয়ে উঠাকে চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করে কক্সবাজারে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। জব্দ করা মাদক গায়েব করে ব্যবসা, আটক বাণিজ্য কিংবা চোরাকারবারিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে দু’হাতে কামিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। প্রায় পাঁচ ধরে কক্সবাজারের মধু খেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন ফন্দি-ফিকির করে এখানে থেকেই উচ্চপদে পদোন্নতি বাগিয়ে নিতে মরিয়া এই কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই জেলায় কর্মরত থাকার কারণে মাদক কর্মকর্তা তন্তুমনি চাকমার সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, তার ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী মাদক নেটওয়ার্ক, যা পুরো কক্সবাজার শহরে মাদক সাপ্লাই করে যাচ্ছে।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তন্তুমনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি পর্যন্ত; মাদক কার্যালয়ের সব অপরাধেই তার নাম জড়িয়ে আছে। মাদক উদ্ধার অভিযানে বড় বড় নাটকের জন্ম দেন তিনি। উদ্ধারকৃত মাদকের সিংহভাগই গোপনে তার ডিলারদের কাছে বিক্রি করেন তিনি।অনুসন্ধানে জানে গেছে, অভিযান চালানোর নামে ছোটখাটো ডিলারদের আটক করা হয়। আবার জব্দ তালিকা কিংবা আটকদের নিয়ে করা হয় কয়েক ধাপের বাণিজ্য। শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে একজনের মাদকে আসামি করা হয় অন্যজনকে। ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে কার্যালয়ে নিতে নিতে সেই মাদকের চালান অর্ধেকে পরিণত হয়। কখনো কখনো বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ের মাদকসহ আটকদের ছেড়ে দেওয়ার জনশ্রুতিও রয়েছে।সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি অভিযানের তথ্য প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার মাদক উদ্ধারের অধিকাংশ অভিযান বির্তকিত। ইয়াবা, হিরোইন ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আরফা বেগম নামের এক নারীকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ আটক করা হলেও মামলায় মাত্র ২ হাজার পিস ইয়াবা দেখানো হয়—অর্থাৎ বাকি ২ হাজার পিস ইয়াবা ও পুরো নগদ টাকা তিনি নিজেই মেরে দিয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রামুতে বোধন বড়ুয়া ও উসাই মং মারমা নামের দুজনকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ১৫ হাজার পিস ইয়াবা দেখানো হয়—অবশিষ্ট ৫ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ অর্থের কোনো হদিস নেই। গত ২ মার্চ কক্সবাজার ইসমাইল ড্রাইভার নামের এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হলেও কাগজে-কলমে ৮ হাজার পিস ইয়াবা দেখানো হয়। সূত্র জানান, কক্সবাজারের পোস্টিং যেন মাদক কর্মকর্তা তন্তুমনির কাছে সিঙ্গাপুরে পরিণত হয়েছে। এখানে যোগদানের পর থেকে স্বল্প বেতনের এই কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক বনে যাওয়া এই কর্মকর্তার গ্রামে তৈরি করেছেন বিলাসবহুল বাড়ি, যার মূল্য কোটি টাকারও বেশি। মাদক উদ্ধার অভিযানের সময় বড় ধরনের কারসাজি করেন মাদকের এই কর্মকর্তা। উদ্ধার করা মাদকের সামান্য অংশ মামলার জব্দ তালিকায় দেখানো হলেও, বাকি অংশ গোপনে তার নিয়োগকৃত ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এভাবেই গড়ে তুলেছেন তিনি এক শক্তিশালী মাদক চক্র।স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই কর্মকর্তা শুধু মাদক ব্যবসায় জড়িতই নন, বরং মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো অপরাধেও যুক্ত। তার বিরুদ্ধে এসব বেশ পুরোনো হলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে তিনি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক যুবক বলেন, মাদক কর্মকর্তা তন্তুমনি চাকমার ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ বহু পুরনো। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তার ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের পরিমাণ তার সরকারি চাকরির আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর দেওয়া স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে তন্তুমনির নাম। একাধিক মাদক ব্যবসায়ী বলছেন, টাকার বিনিময়ে মামলা দেওয়া হয়। মাদক জব্দ করে তা অনেক সময় নিজের কাছে রেখে দেন। পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে নষ্ট করে ফেলেন মামলায় ব্যবহার করা যায়, এমন আলামতও। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া, তিনি নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করেন এবং মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার তথ্য আগেই পাচার করেন।শুধু তন্তুমনি নন, তার মতো কক্সবাজারের অনেক মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাই মাদক বিক্রি, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। কারো কারো বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার নাগরিকরা তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত তন্তুমনির শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরে দুর্নীতি নির্মূল করা না গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম কোনোভাবেই সফল হবে না।জানতে চাইলে অভিযুক্ত তন্তুমনি চাকমার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ভাই, আপনি আমাকে বদলির ব্যবস্থা করে দিন, মিষ্টি খাওয়াবো।' তবে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে দাম্ভিকতার সঙ্গে প্রতিবেদককে তার অফিসে গিয়ে বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে ফোনের সংযোগটি বিছিন্ন করে দেন।এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, 'আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এসকে/আরআই

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকের নামে গায়েবি মামলা
চাঁদাবাজির অভিযোগে চট্টগ্রামের সাংবাদিক আবু বকর ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন। মামলার এজাহারে বলা হয় ১০ মার্চ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে আবু বকর ছিদ্দিকসহ অন্য আসামিরা চাঁদা দাবি করেন তার কাছ থেকে। অথচ ১০ মার্চ পুরোদিনেই আবু বকর ছিদ্দিক চট্টগ্রামে ছিলেন। ওইদিন দৈনিক আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসেই তিনি উপস্থিত ছিলেন বলে জানানো হয়। আরও জানাযায়, আজকের পত্রিকা অফিস ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১০ মার্চ দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটে তিনি অফিসে প্রবেশ করেন। আজকের পত্রিকা অফিসের বায়োমেট্রিক এটেনডেন্ট শিটেও এর সত্যতা নিশ্চত হওয়া গেছে। তবে মামলার এজাহার বলা হয়, ১০ মার্চ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে আবু বকরসহ আসামিরা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এলাকায় ইটভাটায় চাঁদা আদায় করতে গিয়েছিলেন। ১১ মার্চ খাগড়াছড়ি সদর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন, দীঘিনালার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন। ওই মামলায় চট্টগ্রামের সাংবাদিক আবু বকর ছিদ্দিক, দৈনিক আজকের পত্রিকাকার রামগড় প্রতিনিধি বেলাল হোসাইন এবং এনটিভি অনলাইনের দীঘিনালা প্রতিনিধি মো. আক্তার হোসেনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার মালিকানাধীন ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে আসামিরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।জানাযায়, ফোর বিএম ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীর অবৈধভাবে ইট ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে গত ২০ জানুয়ারি এই ভাটা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যায় বলে জানাযায়।মামলার আসামী এনটিভির দিঘীনালা প্রতিনিধি আক্তার হোসেন জানান, প্রশাসন বন্ধ করে দেয়ার পরেও আলমগীর তার ভাটার কার্যক্রম অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকমাস আগে এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু আমাকে যে মামলায় আসামী করা হয়েছে সে বিষয়ে আমার নূণ্যতম সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়রানির উদ্দেশ্যে আমাকে আসামী করা হয়েছে।আজকের পত্রিকার রামগড় প্রতিনিধি বেলাল হোসাইন জানান, আমি আমার জীবনে কখনোই দীঘিনালা যাইনি।এমনকি বাদীর সাথে আমার সামান্য পরিচয় ও নেই। কাদের ইন্ধনে এই গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে সেটি বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আবু বকর ছিদ্দিক জানান, এটি মিথ্যা এবং হয়রানি মূলক মামলা। এসব বিষয়ে আমি কিছু্ই জানিনা।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সালেহ নোমান জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কথা বলব।এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকার ব্যুরো চীফ চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সভুর সুভ জানান, সাংবাদিক আবু বকর ছিদ্দিক চট্টগ্রামে থাকেন এবং চট্টগ্রামেই কাজ করেন। আমার জানামতে তিনি কোনভাবেই এই মামলায় জড়িত নয়। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী মো. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতিবেদক। তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরবর্তীতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বাতেন বলেন, মামলায় নিরিহ কাওকে অভিযুক্ত করা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রাথমিক তদন্ত করার সুযোগ থাকে না। তবে ঘটনায় জড়িত নয় এমন কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না।এসআর

কর্ণফুলী টানেল: এক বছরের ব্যবধানে প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল নিয়ে স্বপ্ন ছিল অনেক বড়। চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামকে 'ওয়ান সিটি টু টাউন' হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল এই প্রকল্প। দক্ষিণ চট্টগ্রামকে শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে শিল্পায়ন, পর্যটন, বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, উদ্বোধনের এক বছরের মাথায় প্রতিদিন ১৮,৪৮৫টি গাড়ি টানেল ব্যবহার করবে। তবে ২০২৪ সাল পার হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৩,৯১০টি গাড়ি টানেল দিয়ে যাতায়াত করছে। এই সংখ্যা প্রত্যাশিত মাত্রার এক চতুর্থাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবে এই প্রকল্প এখন পর্যন্ত তার প্রত্যাশিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের অর্থায়নে নির্মিত এই টানেলটি চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (CCCC) নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৬,৭৪৬ কোটি টাকা চীনের ঋণ। কর্ণফুলীর দুই পাড় পতেঙ্গা ও আনোয়ারাকে সংযুক্ত করা এই টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার, যার মধ্যে মূল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।টানেলের দুটি টিউব দিয়ে একমুখী গাড়ি চলাচল করে। ৩৫.৪ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উচ্চতার এই টানেল দিয়ে প্রাথমিকভাবে দিনে ১৮,০০০ এর বেশি গাড়ি চলবে বলে আশা করা হয়েছিল। এর ফলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমে যাবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে এটি এশিয়ান হাইওয়ের সংযোগ তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল।টানেলের চালু হওয়ার পর থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের ফারাক স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী বছরে প্রায় ৭৬ লাখ গাড়ি টানেল ব্যবহার করবে বলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধনের পর এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত টানেল ব্যবহার করেছে মাত্র ১৫ লাখ গাড়ি।টানেলে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে ৭৭% ছিল প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস, ১০% বাস এবং ১২% ট্রাক। ফলে ভারী যানবাহনের অংশগ্রহণ কম থাকায় টোল আদায়ের পরিমাণও প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম।প্রতিদিন সাড়ে ১০ লাখ টাকা টোল আদায় হলেও টানেল পরিচালনায় প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। ফলে প্রতিদিনই বড় অঙ্কের অর্থ লোকসানে যাচ্ছে। এক বছরে ৩৮ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হলেও, পরিচালন ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা। বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পায়ন, বাণিজ্যিক অঞ্চল ও আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আনোয়ারা, পটিয়া বা বাঁশখালীতে উল্লেখযোগ্য কোনো নগরায়ন বা শিল্পায়ন হয়নি। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ টানেল ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না।টানেলের ব্যবহার সীমিত থাকার অন্যতম কারণ হলো, একই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প পথের সহজলভ্যতা। শাহ আমানত সেতু দিয়ে সহজেই আনোয়ারা বা পটিয়া যাওয়া যায়, যেখানে অতিরিক্ত টোল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ফলে পরিবহন খাতের অনেকেই টানেলের পরিবর্তে সেতু ব্যবহার করছেন।টানেল পরিচালনার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও টোল আদায়ে দৈনিক খরচ অনেক বেশি। পাশাপাশি টানেলের বিভিন্ন খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে, যা ব্যয় আরও বাড়িয়ে তুলছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্ণফুলী টানেল একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হলেও, সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভাবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে পারেনি। উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কার্যকর নীতির মাধ্যমে এই অবকাঠামো প্রকল্পকে লাভজনক ও কার্যকর করা সম্ভব। নতুবা, এটি একসময় রাষ্ট্রের জন্য বিরাট আর্থিক বোঝায় পরিণত হতে পারে।সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হলে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বাস্তবায়িত হলে কর্ণফুলী টানেল দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। নতুবা এটি বিশাল ব্যয়ে নির্মিত একটি অপূর্ণ স্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে।এসআর

চকরিয়ায় তামাকের বদলে স্ট্রবেরি চাষে কৃষকের বাজিমাত
চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রামে মিনিবাজার এলাকার কৃষক মোহাম্মদ কাইছার (৪২) এবার বাড়ির নিকটস্থ মাতামুহুরী নদীর চরে তামাকের বদলে এবার ফেস্টিভ্যাল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেতে যাচ্ছেন।এ জাতের স্ট্রবেরি এ উপজেলায় প্রথম চাষ করা হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে স্ট্রবেরি চাষ করছেন কৃষক কাইছার। তবে আগের তুলনায় এবছর নতুন জাতের স্ট্রবেরি চাষে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান মানে লাখপতি হবার স্বপ্ন দেখছেন সফল কৃষক মোহাম্মদ কাইছার। কৃষক কাইছারের জমির চারপাশে যেখানে তামাক চাষে মাঠ ভরে গেছে সেখানে আধুনিক ও নতুন জাতের স্ট্রবেরি চাষ সত্যিই অকল্পনীয়। এককথায বলতে গেলে কাকারা ইউনিয়নের মোট জমির ৪ ভাগের ৩ ভাগ জমিই প্রতিবছর তামাক চাষে ভরে যায়।চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনি ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন। শীতের আবাহাওয়া থাকলে খেত থেকে আরও ২ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করা যাবে। স্ট্রবেরি চাষ করতে মাঠ প্রস্তুত, চারা কেনা ও পরিচর্যা বাবদ তাঁর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।মাতামুহুরী নদীর চরে ২৫ শতক জমিতে প্রস্তুত করেন কৃষক মোহাম্মদ কাইছার। রাজশাহীর এক নার্সারি থেকে উন্নত জাতের ফেস্টিভ্যাল জাতের ৩ হাজার স্ট্রবেরির চারা এনে গত ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর রোপন করেন। চারা রোপনে পর স্ট্রবেরি গাছে সাদা রঙের ফুল আসে।এনজিও সংস্থা আনন্দ ও সীপের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় স্ট্রবেরি চাষে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন।সরেজমিনে দেখা গেছে, মাতামুহুরীর চরের সবুজ মাঠে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা একটি ফসলে মাঠ। সেখানে মালচিং পদ্ধতিতে এ স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। সবুজ পাতার মধ্যে যেদিকে চোখ গেছে, থোকা থোকায় স্ট্রবেরি ফল। কোনোটা টকটকে লাল, কোনোটার হলুদ রং ধারণ করেছে। কৃষক কায়সার ও তাঁর এক শ্রমিক স্ট্রবেরির পরিচর্যা করছেন, অন্যজন খেত থেকে তুলছেন স্ট্রবেরি ফল।কৃষক মোহাম্মদ কাইছার বলেন, ‘২০০৭সালে প্রথম স্ট্রবেরি চাষ সম্পর্কে ধারণা পাই। দুই বছর চাষ করার পর বন্ধ করে দিই। তখন স্ট্রবেরি মানুষ চিনত না। তারপর ২০২২সালে এ ফল চাষ আবার শুরু করি। চলতি মৌসুমে রাজশাহী থেকে ফেস্টিভ্যাল জাতের স্ট্রবেরি চারা সংগ্রহ করি। গত বছর ১৭ নভেম্বর চারা রোপন করে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি প্রথম স্ট্রবেরি ফল উত্তোলন করি।’তিনি বলেন, ‘মূলত স্ট্রবেরি শীতকালীন বিদেশী ফল। প্রথমে পাওয়ার টিলার দিয়ে মাটি ঝরঝরে করে চাষ দিতে হয়। তারপর সার, গোবরসহ নানা উপাদান ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত করতে হয়। এখন খেত থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি পরিমাণ স্ট্রবেরির ফল উত্তোলন করা যায়। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শীতের আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফল পাওয়া যাবে। চকরিয়া ও কক্সবাজার শহরে সুপার শপ ও ফলের দোকানে সরবরাহ করছি।চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেনকে জানান, ‘উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে স্ট্রবেরি চাষ হলেও কাইছারের এখানে বেশি হচ্ছে। বর্ষাকালে মাতামুহুরী নদীর উজান থেক নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্যাপনহারে পলি পড়ে এসব জমিতে। তাই ভালো ফলন হওয়ায় ফলের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।ইতিমধ্যে তাঁর স্ট্রবেরি খেত চাষ পদ্ধতির দেখা দেখিতে কৃষকেরা লাভজনকভাবে স্ট্রবেরি চাষের প্রতি উৎসাহিত হচ্ছে। আমরাও উৎসাহী কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে আরো বেশী পরিমানে চাষ হয়।এআই
গোয়ালন্দে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।সোমবার (১৭ মার্চ) দিনগত রাত ১১টার দিকে দৌলতদিয়া পুড়াভিটা এলাকার মৌসুমীর বাড়ির সামনে গলির রাস্তার উপর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার সুর্য্য নগর এলাকার মো. মুসলেম সরদারের ছেলে মো. আকাশ সরদার (১৯), একই উপজেলার বড়চর বেনী নগর এলাকার ইউনুচ সরদারের ছেলে মো. মিনহাজুল সরদার (২০), ও চর নাড়ায়নপুর এলাকার মো. আজাহার মাস্টারের ছেলে মো. আতাহার (২৬)।জানা গেছে, গোয়ালন্দঘাট থানার এসআই আমিনুল হক সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাতে পারেন যে একদল দুর্বৃত্ত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া পুড়াভিটা এলাকার মৌসুমীর বাড়ীর সামনে গলির রাস্তার উপর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু, একটি নীল রংয়ের সুজুকি জিক্সার ১৫০সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদেরকে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এআই
ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকা থেকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই এলাকার তোতা আলীর ছেলে আমির আলী (৬৫) ও তার সহধর্মিণী সমেলা (৫৫)। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহন পুর এলাকার আমির আলীর ছেলে সাব্বিরের সাথে ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী গৃহবধুর। সংসারের তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে প্রবাসে চলে যায় সাব্বির। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তার উপর শারীরিক নির্যাতন। বিভিন্নভাবে চলে অত্যাচার অবিচার। গত তিন বছর আগে শ্বশুর আমির আলী তার পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা পারিবারিক শালিসির মাধ্যমে পুত্রবধূর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটমাট করে। এদিকে ১২ মার্চ রাতে পুত্রবধূর শয়নক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্বশুর আমির আলী। এসময় ডাকচিৎকার শুরু করলে শ্বশুর পালিয়ে যায়। বিষয়টি শাশুড়ি সমেলা বেগমকে অবগত করলে তিনি উল্টো পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে। মারধর করে একপর্যায়ে চোখে মুখে জখম করে। পরবর্তী ১৬ মার্চ রাতে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করে জখমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত গৃহবধূ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, আমার শ্বশুর আমার বিয়ের পর থেকেও আমার প্রতি কুদৃষ্টি দেয়। তিন বছর আগে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কোন রকম প্রাণে বেঁচে যাই। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মিমাংসা করে। এরপর থেকে আমাকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো। ১২ মার্চ রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ আমার শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তিনিও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে আমি কোন রকম প্রাণে বেঁচে আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেই ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। আমি আমার লম্পট শ্বশুর ও তাকে সহায়তাকারী আমার শাশুড়ির বিচার চাই। কোন পুত্রবধূ যেন আমার মতো নির্যাতনের শিকার না হয়। এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে জানা যায় গৃহবধুর শ্বশুর আমির আলী লম্পট প্রকৃতির লোক। পরেই তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টায় সাধু গ্রেফতার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কোরআন শরীফ আগুনে পুড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টার অভিযোগে হরিদাস বর্মণ (৫০) নামে এক সাধুকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত সাধু হারিদাস বর্মণ পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার মনোরঞ্জন বর্ষণের ছেলে। বর্তমানে তিনি জগন্নাথপুর দক্ষিনপাড়া এলাকা হাজী রেনু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। থানা পুলিশ ও অভিযোগকারীর সূত্রে জানা যায়, ১৬ মার্চ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব শাখার সভাপতি চন্দন কুমার পাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সাধু হরিদাস বর্মণের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে পরে পুলিশ কে বিষয়ে টি খতিয়ে দেখতে নিদের্শনা দেন। তাদের অভিযোগে জানান হরিদাসের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকল্পে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগিয়ে দিয়ে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করবে বলে হুমকি পান। এতে সনাতন ধর্মালম্বীগন আতঙ্কিত হয়ে ভৈরব থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ মার্চ সকালে পৌর শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিনপাড়া এলাকায় হাজী রেনু মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযানে তাকে গ্রেফতার করেন। এসময় তার কাছে কোরআন শরীফ পুড়ানোর আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে সাধু হারিদাস বর্মণকে অভিযুক্ত করে এসআই এমদাদুল কবির বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৭/১১৩ ।এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, হরিদাস বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদ ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত হানতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন। এছাড়া ভৈরবের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভীতি প্রর্শন করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকালে আসামীকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এসআর

আশুলিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬
আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় গত ৯ মার্চ ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।এই ঘটনায় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে দোকান মালিক দিলীপ দাস মারা যান। ডাকাতির ঘটনায় মূল কিলার ছিল রিপন ও আরিফ। নিহত দিলীপ আশুলিয়ার গোপীনাথপুর এলাকার মৃত দুলাল দাসের ছেলে।এই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে মূল আসামীকে গ্রেফতার ও স্বর্ণ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, গতরাতে এই হত্যায় জড়িত ২ জন আসামীকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে এবং বাকিদের অন্য জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা হত্যা কান্ড ঘটনার পর ককটেল বিস্ফোরণ করে সেখান থেকে চলে যায়। এসআর

কাপাসিয়ায় নদীর মোহনায় জেগে উঠা এক ভূখন্ড 'ধাঁধার চর'
কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় বিন্দু বিন্দু বালু জমে জেগে উঠা মনোলোভা এক ভূখন্ড 'ধাঁধার চর'। অনেকের কাছে মাইঝ্যার চর বা মাঝের চর নামেও বেশ পরিচিত। ধারনা করা হচ্ছে প্রায় আড়াইশ বছর আগে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া ও নরসিংদী জেলার সীমানাবেষ্টিত শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের তারাগঞ্জ, রানীগঞ্জ, লাখপুর, চরসিন্দুর এলাকায় নদীর মাঝ খানে এ চর জেগে উঠে।আয়তনের দিক দিয়ে ২৫০ একর। সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা সবুজে ঘেরা ধাঁধার চর দৈর্ঘ্যে সাড়ে চার কিলোমিটার। বর্ষাকালে নদীর বিশাল ঢেউ দেখলে মনে হয়, এ যেন আরেক সমুদ্র সৈকত। দূর থেকে দেখে যে কারো মনে হবে এ যেনো ভেসে উঠা দৈত্যকার কোনো জাহাজ। দেখতে বেশ চমৎকার মনোলোভা এ 'ধাঁধাঁর চর। বর্ষাকালে এর ঢেউ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন নানা বয়সী পর্যটকরা। এখানে পেয়ারা, বড়ই, কলা, জাম, জলপাইসহ রকমারি ফল যেন আগ বাড়িয়ে ইশারা করে। আম-কাঁঠালের সবুজ ছায়া, পাখির কিচিরমিচির, ফসলের মাঠ, নদীর হিমেল হাওয়া যেন ক্লান্তিনাশের এক মহৌষধার এ ধাঁধার চর।এছাড়া আরও যা আছে কাপাসিয়া ভূখণ্ডে দীর্ঘতম নদ ব্রহ্মপুত্র, বানার নদ হয়ে শীতলক্ষ্যার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদের পাশেই দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদ। এখানেই তিনি শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন। এছাড়া ব্রিটিশ রাণী ভবানী দরদরিয়াতে বসবাস করতেন। এখনও সেই রানীর ডাকবাংলোর ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যমান রয়েছে। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শতবর্ষী লিচুগাছ, যেখানে বেঁধে নির্যাতন করা হতো অবাধ্য নীল চাষীদের। শীতলক্ষ্যাকে ঘিরে কাপাসিয়ার রয়েছে নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য। কখনও সমৃদ্ধ জনপদ, কখনও গভীর অরণ্য, কখনও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া, কখনও বা নতুন নতুন ভূমির সৃষ্টি। শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র মিলিত হওয়ার কারণে বৃন্দু বৃন্দু বালি কনা জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়েছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মনোলোভা ধাঁধার চর। দেখতে অনেকটা নদীর তলদেশ থেকে জেগে উঠা টাইটানিক আকরিতির মতো লাগে।শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে জেগেউঠা নদীর অববাহিকার ঐতিহাসিক এক নিদর্শন 'ধাঁধাঁর চর', একডালা দুর্গ,এগারোশিন্দুরে ঈশা খা দুর্গ,টোকের সুলতানপুরে ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ (গায়বী মসজিদ),দরদরিয়ায় রানী ভবানীর বসবাস চিহ্ন,যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্ট করে আসছে। বহু ঐতিহাসিক নদী শীতলক্ষ্যা, ব্রহ্মপুত্র,বানার নদী এবং নদীগুলোর অববাহিকার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন নদী পরিবাজক বহু ব্যাক্তি। রানীগঞ্জ, লাখপুর, চরসিন্দুর এলাকার ঠিক মাঝখান দিয়ে ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষ্যা প্রবাহিত হয়েছে।এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদী টোকের শেষ প্রান্ত উত্তরে কিশোরগঞ্জ, পূর্ব ও দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লাখপুর দিয়ে শীতলক্ষ্যায় মিলিত হয়েছে। ইতিহাস ও স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায়, চরের সূচনালগ্নে এর মালিকানা নিয়ে ভাওয়ালের রাজা ও বারো ভূঁইয়াদের এক ভূঁইয়া মহেষ উদ্দীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিরোধ মেটাতে এগিয়ে এলেন স্থানীয় মাতবররা। তারা একটি কলসি নদীতে ভাসিয়ে দিলেন। বললেন, কলসিটি নদীর যে পাড়ে গিয়ে ভিড়বে চরের দখল পাবেন সেই পাড়ের লোকজন। কলসিটি নদীর পশ্চিম পারে অর্থাৎ ভাওয়াল রাজার এলাকায় (বর্তমানে গাজীপুরের কাপাসিয়া) এসে ভিড়ে। তারপর থেকেই ধাঁধার চরটি পশ্চিমপারের ভাওয়াল রাজার পরগনার (বর্তমানে গাজীপুরের কাপাসিয়া) দখলে চলে আসে।হিন্দু কৃষকরা ভাওয়ালের রাজাকে খাজনা দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। পরে ১৮১৬-১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার চরের জরিপ করে কৃষকদের বৈধ মালিকানা দেয়।১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর হিন্দুরা চরের জমি বিক্রি করে ভারতে পাড়ি জমায়। এখন পুরো চরের মালিকানা মুসলিম কৃষকদের হাতেই। এ চরের মাটি খুবই উর্বর। একসময় চরে প্রচুর আখ হতো। এখন সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। সারবিহীন ফসল সুস্বাদু। ১৯৬০, ১৯৮৮, ১৯৯৮ সালের বন্যায় এ চরটি তলিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পূনরায় আবার চরটি দুই নদীর মোহনায় জেগে ওঠে। এখন পর্যন্ত আছে।১৯৬০ সালের বন্যায় চরে কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকার ফলে মাটির উর্বরাশক্তি আরো বাড়তে থাকে। যে কারণে কৃষকরা সারবীহীন ফসল ফলাত।২০০৬ সালের সার্ক সম্মেলনের সময় "ধাঁধার চর" গ্রামীণ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব উঠে। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এসআর
পানি ওঠছেনা ভোলার ১০ হাজার টিউবওয়েলের
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহরসহ ২১টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার ডিপ টিউবওয়েলে (গভীর নলকূপ) পানি না ওঠায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। অধিকাংশ বাড়িতে টিউবওয়েল অকেজো। কিছু টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করা গেলেও তা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে গিয়ে আনতে হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তীব্র দাবদাহে অধিকাংশ পুকুর, খালে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে অকেজো হয়ে পড়েছে টিউবওয়েলগুলো। ফলে সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে।পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, 'চরফ্যাশন শহরের চারপাশের খালগুলো অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণের কারনে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে তা শুকিয়ে গেছে। একসময় কৃষি কাজে খালের পানি ব্যবহার হতো। এখন খালে পানি না থাকায় সাবমার্সিবল পাম্প দ্বারা ভূগর্ভস্থ থেকে পানি সংগ্রহ কৃষি জমিতে ব্যবহার করতে হচ্ছে।'পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল বলেন, 'চরফ্যাশন শহরে জমির দাম বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের ৯৫ শতাংশ পুকুর ভরাট করে ফেলেছেন স্থানীয়রা। এতে ভূগর্ভে পানির স্তর কমে যাওয়ায় গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না। পরিবারের দৈনন্দিন রান্না, গোসলসহ অন্যান্য প্রয়োজনে পরিমাণ মতো পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।'উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন পৌরসভাসহ ২১টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৭৩টি হস্তচালিত নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮৫১টি সচল ও ২২২টি অকেজো রয়েছে। অদ্য পর্যন্ত ২৮টি মেরামত করা হয়েছে।এদিকে হস্তচালিত নলকূপের সংখ্যা উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের তথ্য মতে ১০ হাজার ৭৩টি হলেও সরেজমিনে এর পরিমাণ প্রায় চারগুণ। এ উপজেলার ৬০ শতাংশ বাসিন্দা নিজস্ব অর্থায়নে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বাসিন্দার নলকূপ অকেজো রয়েছে।বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর চরফ্যাশন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন মুঠোফোন বলেন, 'ভূগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলনের জন্য সাবমার্সিবল পাম্পের অনুমোদন আমার দেই না। মূলত খাল থেকে পানি তুলে কৃষি জমিতে দেওয়ার জন্য বিএডিসির ৮২টি সেচ পাম্প রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় ১ হাজার ৭১৮টি সেচ পাম্প দিয়ে খাল থেকে পানি তুলে কৃষি জমিতে দেওয়া হচ্ছে। যেসব কৃষি জমির পাশে খাল নেই কিংবা খালে পানি নেই, সেখানকার কৃষকরা অবৈধভাবে সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ থেকে কৃষি জমিতে সেচ দিতে পারে। তবে ওইসব অবৈধ সাবমার্সিবলের সংখ্যা জানা নাই।'উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ বলেন, 'গত বছরের চেয়ে এ বছর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে এমন সংকট দেখা দেয়। তবে বর্ষাকালে এ সমস্যা থাকে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসছে যে, হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি তুলতে পারছে না বাসিন্দারা। অপরিকল্পিত পুকুর ভরাটর করার কারনেও গভীর নলকূপগুলোতে পানি ওঠে না।'এমআর
বাউফলে পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী বাজার ব্যবাসায়ী সমিতি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় কালিশুরী বাজরে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। বাজার কমিটির সভাপতি ফয়সাল মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক দলিল উদ্দিন মোল্লা, ব্যবসায়ী ফিরোজ মিয়া ও ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। বক্তরা বলেন, সম্প্রতি বাজারের চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে ব্যবসায়ীরা। কয়েক বছর আগে কালিশুরী বাজারে একটি পুলিশ ফাঁিড় ছিল তখন ব্যবসায়ীরা মোটামুটি নিরাপত্তায় ছিল। কিন্তু পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে কালিশুরীতে চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে ব্যবসা বানিজ্য করতে পারে এবং জনগনের নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকে এরজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পুলিশ ফাঁড়ি পূর্ন স্থাপনের দাবি জানান।এমআর

বরগুনায় বিয়ে করলেন সমন্বয়ক রাফি
বরগুনায় বিয়ে করলেন ২৪ এর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। বিষয়টি তালাত মাহমুদ রাফি ভেরিফাই ফেসবুকে নিশ্চিত করেন।খান তালাত মাহমুদ রাফি ফেসবুকে তার হবু স্ত্রীর ছবি দিয়ে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দো’আ একান্ত কাম্য। অপরদিকে তার হবু স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু তার ফেসবুকে তাদের ছবি দিয়ে লিখেন আলহামদুলিল্লাহ।খান তালাত মাহমুদ রাফির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে আবদ্ধ হওয়া নারী জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুর বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরকগাছিয়ার গাবতলায়। মিতুর মা একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাবা মো. জাকির হোসেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।বিয়ের বিষয়ে মিতুর বাবা জাকির হোসেনকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান , পারিবারিকভাবেই রাফি ও মিতুর বিয়ে হচ্ছে। তবে কখন কোথায় হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি পরে জানাবেন বলে জানান।এনআই

জালেমদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
জালেমদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতাকে খুনের পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নকারী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ খুনিদের বিচার বাংলাদেশের পেনাল কোর্ট অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ঝালকাঠি পৌর মিনি স্টেডিয়ামের সামনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতে ইসলামী এ সভার আয়োজন করে।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদরা কারো পারিবারিক সম্পত্তি নয়, শহীদরা এ জাতির সম্পদ। আমরা সবাই শহীদ পরিবারের সদস্য। জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টের সব শহীদ পরিবারের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে। শহীদ সেলিম তালুকদারের কন্যাসন্তানকে দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা শহীদ সেলিম তালুকদারের নবজাতক কন্যাসন্তানকে দেখতে এসেছি। আমরা তার নাম রেখেছি সাইমা সেলিম রোজা। তার বেড়ে ওঠা, বিকশিত হওয়া, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিয়ে পর্যন্ত আমরা তার দায়িত্ব নিচ্ছি।ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে মানবিক বাংলাদেশ গড়ব। সেই বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মানুষের দুঃখে সাড়া দেবে এবং প্রথম সাড়া দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে সরকারের। সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি কল্যাণকর এবং মানবিক রাষ্ট্র গড়বে। কোরআনের ভিত্তিতে এমন একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি আমরা। সেই অভিযাত্রায় দেশবাসীকে পাশে পাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। জামায়াতের আমির বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে নির্বাচন করলে জামায়াত নেতাদের দুনিয়ার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে না বরং আখেরাতের সম্পদ বাড়বে। জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, ঝালকাঠি-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার।এসআর

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ববি’র শিক্ষার্থীসহ ৭ পরিবারকে সহায়তা
বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ ও আহত এক পরিবার পেলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএর) সরকারি সহায়তা।সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবাররের সাথে মতবিনিময় শেষে তাদের মাঝে অর্থিক অনুদানের চেক বিতরন করা হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর সামনে বাস চাপাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মায়িশা ফওজিয়া মীম এর পরিবার কে ৫ লাখ টাকার সহায়তার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন।এ সময়ে সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত অরো ৭ টি পরিবার কে ৩৫ লাখ ও আহত এক পরিবার কে ১ লাখ টাকার মোট ৩৬ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।এসময়ে আরো উপস্থিথ ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুচি কান্ত হাজং, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক খালেদ মাহমুদ, মটরযান পরিদর্শক সৌরভ সাহা ও দেবাশিষ বিশ্বাস। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর অর্থ সহায়তা পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।এসআর
বকশীগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেলসহ ইউপি সদস্য বাসর সরদার ও তার সহযোগী নুহ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার (১৭ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পৃথক এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাসর সরদার সূর্যনগর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত গফুর সরকারের ছেলে। তিনি সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য। নুহ মিয়া একই এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নুহ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালালে তার গোয়াল ঘর থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। নুহ মিয়াকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, মোটরসাইকেলটি ইউপি সদস্যের কাছ থেকে ক্রয় করেছে। পরে ইউপি সদস্য বাসর আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। চোরাই মোটরসাইকেলটি জব্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এসআর
নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেফতার
নেত্রকোনার কথিত কবিরাজ, বৃক্ষপ্রেমিক ও মানবসেবক আব্দুল হামিদকে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। মৃত সিরাজ আলী মন্সীর ছেলে কবিরাজ আব্দুল হামিদের আসল বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর গ্রামে। তিনি নেওয়াজনগর এলাকার একটি বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকেন। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর দেড়টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী খান পাঠান। অভিযুক্ত মোঃ আব্দুল হামিদ জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত সিরাজ আলী মন্সীর ছেলে।পুলিশ জানায়, মানবসেবক নামের ভণ্ড আব্দুল হামিদ গত ১০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে খতিবনগুয়া এলাকার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৬) চিকিৎসার কথা বলে হাসপাতাল রোডের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে কিশোরীটি বাড়ি ফিরে তার মাকে ওই ঘটনাটি জানায়। এরপর কিশোরীর মা জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হন যে, আব্দুল হামিদ এর আগেও কয়েকবার তাকে চিকিৎসার কথা বলে ধর্ষণ করেছেন। এ অবস্থায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে রবিবার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ভোর রাতে মডেল থানা পুলিশ আব্দুল হামিদকে নেওয়াজনগর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে পৌর শহরের নেওয়াজনগর ভাড়াটিয়া বাসা হতে গ্রেফতার করা হয়। ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, আব্দুল হামিদকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এসআর

নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ বন্ধের পায়তারার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীর ব্যানারে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে অস্থায়ী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ও নেত্রকোনা সর্বসাধারণের ব্যানারে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে একাধিক স্থনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তারা একইস্থানে গিয়ে সমাবেশ করে।সমাবেশে শিক্ষর্থীরা বলেন, নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে তা এখানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নেত্রকোনাবাসী মেনে নেবে না। অবিলম্বে কলেজের মান নিয়ে ট্যাগ দেয়া বন্ধ করে কলেঝের সমস্যার সমাধান করতে হবে। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। জেগেছে রে জেগেছে নেত্রকোণা জেগেছে। তুমি কে আমি কে, এনএমসিআর এনএমসিআর।এসআর/ এবি

ভালুকায় ঋতুরাজ বসন্তে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল ফুল
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে বাংলার প্রকৃতি লাল-হলুদের বাহারে সেজেছে। গাছে গাছে পলাশ, কাঞ্চন আর শিমুল ফুলের সমারোহে মুখরিত গ্রামীণ জনপদ। তবে কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছসহ প্রকৃতির কিছু বৈচিত্র্য, যা বসন্তের রূপকে ম্লান করছে বলে জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।বসন্তের সূচনায় প্রকৃতিতে দেখা মিলছে নানান রঙের খেলা। কোকিলের কুহু ধ্বনি, মৌমাছির গুঞ্জন আর ফুলের সুবাসে গ্রামাঞ্চলের পথ-প্রান্তর যেন উৎসবমুখর। ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পলাশ-কাঞ্চনের পাশাপাশি শিমুল ফুলের লাল আভায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। কাঠালী ইউনিয়নের মাঠেঘাটে রক্তলাল শিমুল ফুলের দৃশ্য পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে।তবে গ্রাম বাংলার চিরচেনা শিমুল গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। পরিবেশবিদদের মতে, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে এই গাছ। শিমুল সাধারণত নিজে থেকে জন্মালেও রোপণে অনীহার ফলে এর সংখ্যা কমছে। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আগে বসন্তে শিমুল ফুলে আকাশ লাল হয়ে থাকত। এখন গাছ কমে যাওয়ায় সেই দৃশ্য বিরল।'ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা আশিকুর রহমান ইমরান বলেন, 'শিমুল, পলাশ আর কাঞ্চন ফুলের মেলা না দেখলে বসন্ত অসম্পূর্ণ। প্রতিটি ফুলের রঙ ও গঠন যেন প্রকৃতির অনন্য নৈপুণ্য।'বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও দূষণের প্রভাবে ঋতুচক্রের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক রূপ ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন তারা। শিমুলের মতো দেশীয় প্রজাতির গাছ রক্ষা করা গেলে বসন্তের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। এজন্য সামাজিক সচেতনতা জরুরি।প্রকৃতির এই উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে বৃক্ষরোপণ ও বন ধ্বংস রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। অন্যথায়, ভবিষ্যতে বসন্তের রঙিন আবেশ শুধু স্মৃতিতেই থাকতে পারে বলে উদ্বেগ তাদের।

ময়মনসিংহে ছদ্মবেশে থাকা নারীসহ আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক
ময়মনসিংহ নগরীতে মধ্যরাতে একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি'র (আরসা) ৪ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা জব্দ করা হয় বলে জানা গেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরীর নতুন বাজার মোড়ের গার্ডেন সিটি নামে একটি বহুতল ভবনের ১০ তলার এ ব্লক থেকে তাদের আটক করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, দুইজন নারীসহ দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছে ভবনের অন্য বাসিন্দারা। তবে তাদের নাম এবং কী উদ্দেশ্যে তারা এখানে অবস্থান করছিল তা এখনো জানা যায়নি।এদিকে র্যাবের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, র্যাবের কাছে তথ্য ছিল ময়মনসিংহের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) কয়েকজন সদস্য পরিবার নিয়ে বসবাস করছে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।তারা আরও জানান, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে আটককৃতরা কিছুদিন ধরে এই ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু তাদের কথাবার্তা, চলাফেরায় কেউ বুঝতে পারেনি তারা মিয়ানমারের আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির সদস্য।তবে এই বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। এ সময় অভিযানকারী দলটি আটককৃতদের গাড়ীতে তুলে দ্রুতগতিতে স্থান ত্যাগ করেন। এর আগে, রাত পৌনে ২টার দিকে ঐ ভবনের সামনে অবস্থান নেয় র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য। এ সময় আভিযানিক দলটির বেশিরভাগ সদস্য ভবনের ভেতরে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অভিযান পরিচালনা করে। তবে অভিযানকালে আটককৃতদের কাছ থেকে কী কী জব্দ করা হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।এসকে/আরআই
ফুলছড়িতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে মাদ্রাসা পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী (১০)কে ধর্ষণের অভিযোগে বিষা শেখ (৭৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার(১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের চর হরিচন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার বিষা শেখ ওই গ্রামের হোসেন মুন্সির পুত্র। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের হরিচন্ডি গ্রামের বাসিন্দা ও কিসামত ধলী কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া (১০) বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় একই গ্রামের বিষা শেখ (৭৫) গল্প শোনানোর কথা বলে কৌশলে ওই শিশুটিকে তার ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সুযোগ বুঝে বৃদ্ধ বিষা শেখ মেয়েটির মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি তার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বাবামায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আটক করে। স্থানীয়দের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বিষা শেখ নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, শয়তানের প্ররোচণায় একাজ করেছি। পরে জনতা আটক বৃদ্ধের বিষয়ে ফুলছড়ি থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বিষা শেখকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ফুলছড়ি থানার পুলিশ জানায়, ভিকটিমকে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং তার শারীরিক পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা জানার পর পুলিশ অভিযুক্ত বিষা শেখকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজনকে থানায় এসেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান ।এনআই
লালমনিরহাটে পিস্তল-মাদকসহ তিনজন আটক
লালমনিরহাটে পিস্তল-গুলি ও মাদকদ্রব্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের সাকোয়া টিকটিকি মোড়ে একটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে গুলিসহ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সোহাম্মদ নুরনবী। আটককৃতরা হলেন ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাংগালা এলাকার নওশের আলীর ছেলে জুয়েল ইসলাম (২৮), ছোট সাকরাইল এলাকার সরেদব হালদারের ছেলে লিটন হালদার (২৭) ও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার খালিশা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আসলাম মিয়া (৩৫)। পুলিশ জানায়, অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ তিন ব্যক্তি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসে আসছিলেন। তারা কুলাঘাট-বড়বাড়ী সড়ক দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সাকোয়া টিকটিকি এলাকায় অবস্থান নিয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করে তল্লাশি চালায়। এসময় পিস্তল-গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বাদল কুমার মন্ডল জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা কোথায় কার কাছ থেকে পিস্তল-গুলি ও মাদদকদ্রব্য নিয়েছেন সেব্যাপারে এখনো জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। এনআই

বেরোবিতে সমন্বয়কদের গণ ইফতারে খাবার পায়নি হাজারো শিক্ষার্থী
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ ইফতার আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। এই ইফতার আয়োজনে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ইফতার পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ইফতার না দিয়ে খালি প্যাকেট বিতরণ করতে দেখা যায়। সোমবার (১৭ মার্চ) সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে সমন্বয়ক রহমত,আরমান,খোকন,আশিক,সুমন, আবিরসহ বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এ ইফতারের আয়োজন করেন। ইফতারি না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা । রাজু আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে পোস্টে লিখেন,যেটা ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারবেন না সেটা নিয়ে এত ঢোলপেটাবেন না।বিশৃঙ্খলা ও কোন সিস্টেম না করে লোক দেখানো ও শো আপ করার জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ ইফতার মাহফিলের আয়োজন কেন করলেন?? ৪০% রোজাদার বান্দাদের আপনারা ইফতার দিতে পারেন নাই এবং অনেকে ইফতারের সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ইফতার করেছে( নিজের তত্বাবধানে)।কে বা কারা এরকম আয়োজন করেছেন তাঁরা নেক্সট টাইম কোন প্রোগ্রাম করলে সবদিক চিন্তা করে করবেন।আমি শুধু একটা ওয়ান টাইম গ্লাস পেয়েছি। ইফতার না-পেয়ে কষ্ট লেগেছিল।এম এম মুয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী পোস্ট করেন, বেরোবিতে এক টুকরো গাজা দেখলাম। ওমর ফারুক নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, মানুষকে এইভাবে অপমানিত না করলেও পারতেন। সাব্বির এইচ নামের আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন,সাধারন শিক্ষার্থীর ব্যানারে এসব প্রোগাম বন্ধ করেন। নিজের বা কোন সংগঠনের আপনারা তা ক্লিয়ার করে প্রোগাম করেন। আমানুল্লাহ নামের শিক্ষার্থী মন্তব্যে বলেন, এক টুকরো গাজা দেখলাম, যেটা পারবেন না সেটা করেন কেন? ১০০০+ মানুষ খাবার না পেয়ে ঘুরে আসছে। নাইবুর নামের শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন , গণ হয়রানি মনিরুল ইসলাম মনা মন্তব্য করেন, ফুটেজ খাওয়ার আয়োজন। নুরুল হুদা নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, গণ ইফতারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।এইদিকে আয়োজকদের মধ্যে রহমত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপাতত কোন বক্তব্য নেই। আমরা কাজের মধ্যে আছি। উপাচার্য অধ্যাপক ড.শওকাত আলী বলেন, যারা আয়োজক ছিল তারা সবাই শিক্ষার্থী। প্রথম আয়োজন সেজন্য বুঝে উঠতে পারি। যাইহোক তারপরও তারা চেষ্টা করেছে। বড় আয়োজন একটু সমালোচনা থাকবেই। এনআই

লালমনিরহাটে ৫ বছরের ভাতিজিকে ধর্ষণ, চাচা গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পাঁচ বছর শিশুকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ রাবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় রাবিউল ইসলাম তার ৫ বছর বয়সী ভাতিজিকে নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় রাবিউল পালিয়ে যায়।শিশুটির বাবা বলেন, ‘অভিযুক্ত রাবিউল ইসলাম আমার চাচাত ভাই। আমার মেয়ের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি।হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, শিশুটির বয়স ৫ বছর। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন নবী বলেন, ‘রাবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।এফএস

কুড়িগ্রামে গাছ সুরক্ষায় পেরেক অপসারণ
গাছের সুরক্ষার জন্য সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ কুড়িগ্রামের উদ্যোগে গাছ থেকে পেরেক অপসারণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মির্জা মোঃ নাসির উদ্দিন, সহকারী বন সংরক্ষক রাশিদ আরিফ সহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। প্রফেসর মির্জা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, 'গাছের প্রান আছে, এই বিষয়টি অনুভব করলে পেরেক মারা থেকে যেকোন মানুষ বিরত থাকতো।'কুড়িগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা ডাক্তারদের ফেস্টুন গুলো এভাবে প্রায় গাছে পেরেক মেরে বিজ্ঞাপনের কাজ করে প্রতিষ্ঠানগুলো।এ বিষয়ে উত্তম কুমার রায় বলেন, "এটি আইনগত অপরাধ এবং আমাদের পরিবেশ এর জন্য ক্ষতির, তাই এগুলো অপসারণের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হবে, ভবিষ্যতে যেন আর এমনটি না করে।"বন অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মাইকিং সহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এর মাধ্যমে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারণা চলমান।এমআর
পুঠিয়ায় ১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নকারী গ্রেফতার
রাজশাহের পুঠিয়ায় ১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আব্দুর রশিদ (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে পুঠিয়ার মধুখালির মৃত সইমুদ্দিনের ছেলে।সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শিশুটির বাবা নাজমুল হক জানান, তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ তার মেয়েকে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আদর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে যৌন নিপীড়ন করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী রশিদকে ধরে পাশের বাড়ির একটি ঘরে আটক রাখে।এ ঘটনায় সোমবার রাত আটটার দিকে পুঠিয়া থানায় মামলা করে ওই শিশুর বাবা নাজমুল হক। পরে একমাত্র আসামি রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে যৌন নিপীড়নের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা আসামী রশিদকে গ্রেফতার করেছি। এনআই
জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচী
জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে এক স্কুল শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা রাত ৮টায় শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করেন তিনি। অবস্থান নেওয়া ওই স্কুল শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা ছোঁয়া। সে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এসময় "জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে"? লেখা প্লেকার্ড হাতে মুখের কালো কাপড় বেঁধে প্রায় ১ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার চারপাশে প্রায় শতাধিক মোমবাতি জ্বালানো হয়। অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এখন ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাই। আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই। আমাদের নিরাপত্তা দিবে কে? তিনি আরো বলেন, আমরা যাতে স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাটে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি সেই নিরাপত্তা চাই। যাতে আর কোন জীবিত আছিয়াকে ধর্ষণ কিংবা কোন নারীকে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। এজন্যই অবস্থান কর্মসূচিতে দাঁড়িয়েছি। মেয়েটির বাবা যাযাবর ব্যান্ড এর সঙ্গীত শিল্পী ক্যাপ্টেন বলেন, আমরা ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়ত ভয় কাজ করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমরা দেখেছি সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আমরা আর কতো প্রান হারাতে দেখবো? আর কবেই বা আমার আপনার ছেলে-মেয়েরা ভয় মুক্ত সত্যিকারের স্বাধীন দেশ পাবে?তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলায় কোন ধর্ষকের স্থান নাই। আমরা আছিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। জীবিত আর কোন আছিয়াকে আমরা হারাতে চাইনা। দ্রুত ধর্ষকদের বিচারকার্য শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হোক এমনটায় আমার চাওয়া।এনআই

নওগাঁয় অবৈধ মজুত করা ধান-চাল উদ্ধার
নওগাঁয় ধান ও চাল অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগে এক চালকল মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছে। একইসাথে মজুতকৃত ২০৩ মেট্রিক টন ধান ও ৩৫ মেট্রিক টন চালসহ গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সরকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই নির্দেশনা দেন।অভিযানে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব বিন জামান প্রত্যয়, নওগাঁ জেলা খাদ্য বিভাগের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ জেলা খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, অবৈধ মজুতের কারণে মিলার এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের পার নওগাঁ সুফিয়া অটোমেটিক রাইস মিলে বিধি বহির্ভূতভাবে ধান ও চাল মজুত করা অবস্থায় পাওয়ার পর ওই মিলের মালিক শফিকুল ইসলাম নাথুর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পাশাপাশি মজুত করা চাল ও ধানের গুদামে সিলগালা করা হয়।এনআই

রাজশাহী সিল্ক ফৌজদার টেক্সটাইলের মালিকের বিরুদ্ধে নারী শ্রমিক মারধরের অভিযোগ
রাজশাহী সিল্ক ফৌজদার টেক্সটাইল অ্যান্ড প্রিন্টিং কারখানা ও শো-রুমের বিরুদ্ধে বিগত মাসের বেতন না দিয়ে এক নারী শ্রমিককে মারধর শেষে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কর্মীরা অভিযোগে বলছেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক শফিকুল ইসলাম বেলাল ফৌজদার (৬০) তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করছেন, নিয়মিত বেতন দিচ্ছেন না। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের মালিক নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নারী কর্মী সুরাইয়া খাতুন শাপলা (২৭) তার বকেয়া বেতন চাইতে গেলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই মালিক শফিকুল ইসলাম ফৌজদার কারখানা থেকে পালিয়ে যান।সুরাইয়া জানান, তিনি জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটির শো-রুমে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন এবং সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পরিশ্রম করতেন। তার বেতন নির্ধারিত ছিল ১০,০০০ টাকা, কিন্তু ফেব্রুয়ারির বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি।তিনি আরও অভিযোগ করেন, বেতন চাইতে গেলে মালিকপক্ষ তাকে কুপ্রস্তাব দেয়, যা প্রত্যাখ্যান করায় তাকে স্টকের হিসাব নিয়ে হয়রানি করা হয়। এরপর তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন, এমনকি তার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়েও কটূক্তি করা হয়।সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হলো, শফিকুল ইসলাম ফৌজদার তাকে নমিনি বানিয়ে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়েছেন। সুরাইয়া এই ঋণের দায় থেকে মুক্তি চান এবং মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। শুধু সুরাইয়াই নন, এর আগেও অনেক নারী কর্মী মালিকের অনৈতিক প্রস্তাব ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।সাবেক কর্মচারী কাজলী বলেন, "আমি চার বছর এখানে কাজ করেছি। করোনাকালীন সময়ে ব্যবসার অবস্থা খারাপ দেখিয়ে মালিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। আমরাও প্রায় ২ লাখ টাকার ঋণ তুলতে নমিনি হিসেবে সহযোগিতা করি। কিন্তু ঋণের টাকা তোলার পর থেকেই মালিক আমাদের নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। বেতন পাওয়া কঠিন হয়ে যায়, অনৈতিক প্রলোভন তো থাকেই।"তিনি আরও জানান, "প্রথমে মালিক ভালো ব্যবহার করতেন, পরে নানা কৌশলে কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন। সুন্দরী নারীদের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দিতেন। যারা রাজি হতো, তারাই চাকরি ধরে রাখতে পারত।"মালিকের ছেলে শান্ত ফৌজদার তার বাবার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, "বাবার কর্মকাণ্ডে আমি লজ্জিত, কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু করতে পারব না।"স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, এত কর্মী চলে গেলেও কারখানাটি কীভাবে চালু আছে? তারা মনে করেন, মালিকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত হওয়া দরকার।ভুক্তভোগীরা শফিকুল ইসলাম বেলাল ফৌজদারের বিচার দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বেতন পরিশোধ না করা, অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া এবং ব্যাংক ঋণের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা জানিয়েছে, তারা অভিযোগটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্ক শিল্পের সঙ্গে জড়িত একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ সত্যিই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে শ্রমিকরা ন্যায়বিচার পান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।এনআই

সিরাজগঞ্জে আট বছরের শিশু ধর্ষণ
জেলার সদর উপজেলায় আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।শিশুটির স্বজনরা জানান, রোববার বিকালে শিশুটি খেলা করছিল। ওই সময় তাকে এক কিশোর ধরে নিয়ে পাশের একটি টয়লেটে ধর্ষণ করলে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি ঢেলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।রাতে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে সে স্বজনদের ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এরপর রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রায়হান খন্দকার বলেন, “শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত। প্রতিবেদন পেলে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।উল্লেখ্য মাগুরা জেলায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যায়। এর মধ্যেই সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটল।সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, শুনেছি কোন অভিযোগ আসেনি এখনো।এমআর
মঞ্চে উঠে আপ্লুত হামজা শুধু বললেন 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ'
ইংলিশ ফুটবলার দেওয়ান হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার পরিচয়টা হচ্ছে ভিন্ন। অভিষেক হতে যাচ্ছে দেশের হয়ে লাল সবুজের জার্সি গায়ে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার নিজ গ্রাম হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে যান। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় হামজাকে। সংবর্ধনা মঞ্চে আপ্লুত এই ফুটবলার কয়েক সেকেন্ড কথা বলেন, যেখানে তার মুখে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ কথাটিই স্পষ্ট শোনা যায়।মা-স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখান থেকে সড়কপথে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে রওনা হন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি গ্রামে পৌঁছান। গ্রামবাসী হামজার বাড়িতেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার মঞ্চ তৈরি করে। গ্রামে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাকে নেওয়া হয় সেই মঞ্চে। তখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল সেখানে। মঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তাকে। এরপর কয়েক সেকেন্ডের বক্তব্য দেন হামজা। ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলা হামজাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ এরপর তিনি ঘরে চলে যান।সোমবার সকাল থেকেই শত শত মানুষ ও সংবাদকর্মী দেওয়ান হামজা চৌধুরীর গ্রামের বাড়িতে জড়ো হন। একনজর দেখতে সেখানে তারা অপেক্ষায় ছিলেন। হামজাকে বরণে পথে পথে তোরণ নির্মাণ করা হয়। বাড়ির প্রবেশ পথেও তোরণ করা হয়। সংবর্ধনার জন্য তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। অতিথিদের আপ্যায়নে ইফতারের আয়োজন ছিল।দেড় বা দুই বছর বয়স থেকেই তার (হামজা চৌধুরী) দেশে আসা শুরু, কিন্তু এবারের আসাটা ভিন্ন। এবার তার সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী, সন্তানরাও। তাদের জন্য বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর। পুত্রবধূ প্রথমবার আসছেন শ্বশুর বাড়িতে। তাই বিদেশি বধূকে বরণে ব্যাপক আয়োজন করেছেন স্বজনরা। লাইটিং করা হয়েছে পুরো বাড়িতে।হামজা চৌধুরীর চাচা দেওয়ান মাসুদ চৌধুরী বলেন, “২০১৪ সালে সর্বশেষ দেশে এসেছিল হামজা। ২০২২ সালে সে বিয়ে করে। এরপর আর তার দেশে আসা হয়নি। সে দেশে আসায় আমরা আনন্দিত। ভাতিজার সাথে এবার তার স্ত্রী এবং আমাদের নাতি-নাতনিদের দেখেছি। মূলত তাদের বরণ করতেই বাড়ি সাজানো হয়েছে। আমাদের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করছে। শুধু আমাদের বাড়ি নয়, জেলাজুড়ে মানুষের মধ্যে তাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।”হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, “অনেকেই সংবর্ধনার আয়োজন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি বারণ করেছি। একে তো রমজান মাস, আবার সে লম্বা বিমান সফর করে আসছে। সে অনেক ক্লান্ত। তাই কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। বলেছি, এটিই তো শেষ আসা নয়। যেহেতু দেশের হয়ে খেলবে, পরের বার এলে সংবর্ধনা দেওয়া যাবে। “এবার আমি নিজে বাড়িতে ছোট আয়োজন করেছিলাম। যেহেতু বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসেছে, তাই সবার সম্মানে এ আয়োজন। ছোট একটি মঞ্চ তৈরি করেছিলাম। এখানে সবার সাথে কুশলবিনিময় করল, তারপর সবাইকে নিয়ে ইফতার। ব্যস, এটুকুই। একটি রাত বাড়িতে থাকাই মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার ঢাকায় চলে যাবে সবাই।”এর আগেও স্নানঘাট গ্রামে এসেছিলেন হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার আসায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এবার তিনি এসেছেন নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলতে। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বছাই পর্বে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরীর। এমআর
হামজার আগমনে হবিগঞ্জের নিজ গ্রামে উৎসবের আমেজ
ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার পরিচয়টা হচ্ছে ভিন্ন। অভিষেক হতে যাচ্ছে দেশের হয়ে লাল সবুজের জার্সি গায়ে। আর এ উপলক্ষ্যে আসছেন প্রিয় মাতৃভূমিতে।সোমবার (১৭ মার্চ) হামজা চৌধুরী সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানে থেকে নামার পর গাড়িযোগে সরাসরি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে যাবেন। তার আগমনকে ঘিরে নিজ গ্রাম স্নানঘাটসহ পুরো জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।সাজ সাজ রব পড়েছে তার নিজ গ্রামে। হামজাকে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিজ এলাকার কৃতি সন্তানকে বরণ করতে প্রস্তুত গ্রামবাসী। হামজার আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে বাফুফে। হামজার সাথে গ্রামের বাড়িতে আসছেন তার মা, ভাই, স্ত্রী ও তিন সন্তান। বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী চলে এসেছেন আগেই।জানা গেছে, ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির তারকা হামজা চৌধুরী। যিনি একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াচ্ছেন হামজা। ছোট বেলা থেকেই দেশের প্রতি অন্যরকম টান ছিল হামজার। মা-বাবার সাথে দেশে এসেছেনও বেশ কয়েকবার। শান্ত ও নম্র স্বভাবের হামজার খোলোয়াড়ি জীবনে যেমন ছড়িয়েছেন খ্যাতি, তেমনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছেও তিনি অত্যন্ত প্রিয়। হামজা গ্রামের বাড়ি স্নানঘাটে গড়ে তুলেছেন একটি হাফিজিয়া মাদরাসা। যেখানে পড়াশোনা করছেন এতিম শিশুরা।পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর পর দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী। একদিন থাকবেন গ্রামের বাড়িতে। পরদিন ১৮ মার্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। আর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলতে ২০ মার্চ দেশ ছাড়বেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে দেওয়ান হামজা চৌধুরীর। পরিবারের সদস্যরা জানান, খাবারের তালিকায় ভাত ও গরুর মাংস তার প্রিয় খাবার। সাথে দেশি সবজিও তার পছন্দের। হামজার খাবারের তালিকায় বেশ কয়েক ধরনের মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে বলে জানান তারা। আর রাতে ঘুমাবেন তার পৈত্রিক ঘরেই।স্নানঘাট এলাকার পল্লী চিকিৎসক সজল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমাদের গ্রামের সন্তান দেশের জার্সি গায়ে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে এটা আমাদের জন্য গৌরবের। তার আগমনকে ঘিরে আমরা উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে তরুণরা তাকে এক নজর দেখার জন্য বিশেষ আগ্রহে বসে আছে।তিনি বলেন, হামজা যখন ছোট থাকতে বাড়িতে আসত তখন আমি নিজেও তার সাথে ফুটবল খেলেছি। ফুটবলের প্রতি ছোট বেলায় থেকেই তার টান ছিল। আব্দুল আজিজ বলেন, হামজা আমাদের ছেলে। আমরা চাই সে দেশের হয়ে লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে উচিয়ে ধরুক। হামজা আসার পর আমরা তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছি।হামজার বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, যদি হামজার মতো আরো খেলোয়াড় দেশের হয়ে খেলতে আসে এবং ট্রেনিংসহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পায়, তা হলে আগামী ২০৩০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা থাকবে।তিনি আরো বলেন, ভারতের বিপক্ষে খেলায় যেন দেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারে সেজন্য সবাই তার প্রতি দোয়া রাখবেন।এসআর

মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন
মৌলভীবাজারের মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ।রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধরাণ সম্পাদক আজিজ আহমদ কিবরিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল বাছিত চৌধুরী, তাজুল ইসলাম খান, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, ইম্পিরিয়েল কলেজের কো-অর্ডিনেটর মো. সিতাব আলী, দৈনিক যুগান্তরের হোসাইন আহমদ, সহকারি অধ্যাপক এইচ এম আলাউদ্দিন, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পেশাজিবী নেতা আব্দুল কুদ্দুস নোমান ও আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মুর্শেদ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মৌলভীবাজার জেলাবাসী তাদের পাওনা অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালকে অনতিবিলম্বে মেডিকেল কলেজে রুপান্তরের দাবি জানান তারা।এমআর

হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের চক্রান্তের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের চক্রান্তের প্রতিবাদে ও দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্তরে যানবাহন এক ঘন্টা অবরোধ করা হয়েছে। এসময় অবরোধকারীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হটকারি সিন্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন। রোববার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসুচি পালন করে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ হবিগঞ্জ। অবরোধ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা, উপজেলার নাগরিকবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কুতিক সংগঠনের লোকজন, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত অংশগ্রহণ করেন। ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও শামছুল হুদার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র সাংবাদিক মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুখলিছুর রহমান, সাবেক উপজেলায় চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সাবেক মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, প্রভাষক আব্দুল করিম, সিনিয়র সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, সৈয়দ মুশফিক হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিল্লুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জের মেডিকেল কলেজ হবিগঞ্জেই থাকবে, বন্ধের চক্রান্ত করা হলে পরবর্তীতে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এমনকি সিলেট বিভাগকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। এছাড়াও অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর বলে মন্তব্য করেন আন্দোলনকারীরা। তাকে উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। ##এমআর

হবিগঞ্জের সুতাং নদে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব
হবিগঞ্জের সুতাং নদে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ ও জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকদের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আশপাশের হাওরগুলোতে বোরো ধান চাষে এ নদের পানি সেচকাজে ব্যবহৃত হয়। নদ ও হাওরের মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করছে, এ কথা বলাই যায়। এমনকি হাওরের ধানেও মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকার আশঙ্কার কথা বলছেন গবেষকেরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে।পাঁচ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট প্লাস্টিকের কণাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করা কারখানাগুলো যখন তাদের শিল্পবর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেয়, তখন এর থেকে নির্গত কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলো ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। এসব মাটিতে মিশে যাওয়ার ফলে উর্বরতা হ্রাস পায়। আর প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলো বাতাসের মাধ্যমেও বিভিন্নভাবে মানবদেহে প্রবেশ করে। এ মাইক্রোপ্লাস্টিককে খাবার ভেবে নদীর মাছ, ঝিনুক এমনকি সাগরের তিমিরাও গ্রহণ করে। হবিগঞ্জের অন্যতম নদ হচ্ছে সুতাং। এ সুতাং নদের উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা। ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুতাং নদ হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, লাখাই ও চুনারুঘাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। একসময় এই নদ এলাকাবাসীর যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। এখনো বোরো মৌসুমে এই নদের পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজ সম্পন্ন হয়। তবে দেশের অন্যান্য নদ-নদীর মতো এই নদের অবস্থা আজ সংকটাপন্ন। এর জন্য দায়ী হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকায় সাপ্রতিক সময়ে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানাগুলো। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব কারখানার বর্জ্য নদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী শৈলজুড়া খালের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে সুতাং নদী দূষিত করছে। পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে নদের তীর দিয়ে চলাচলও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দূষণের কারণে মৎস্যশূন্য হয়ে পড়েছে নদটি।অপর দিকে এই নদের পানি দূষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় নদ অববাহিকায় বিদ্যমান বিস্তীর্ণ হাওরের বোরো ফসলের সেচকাজে ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকেরা। নদের পানি ব্যবহারকারীরাও পড়েছেন গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। আক্রান্ত হচ্ছেন চর্মরোগসহ নানা অসুখে। নদের পানির সংস্পর্শে আসা হাঁস, মুরগি ও গবাদিপশু মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, হবিগঞ্জের সুতাং নদসহ অন্যান্য খাল-বিলে শিল্পবর্জ্য ফেলায় পানি কুচকুচে কালো হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নদের তলদেশে বর্জ্যের স্তর (প্লাস্টিক মাইক্রোবেডস) পড়ে গেছে। অসহনীয় দুর্গন্ধ ও দূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে গেছে। শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নদপারের লোকেরা। এ শিল্পবর্জ্যের বিষাক্ত কালো পানি সুতাং-বলভদ্র হয়ে এখন মেঘনা নদীতে গিয়েও পড়ছে।সুতাং নদের পানিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ভারী ধাতুর (হেভি মেটাল) অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণাটিতে প্রধান গবেষকের দায়িত্বে আছেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শাকির আহম্মেদ। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ইফতেখার আহম্মেদও এই গবেষণায় যুক্ত আছেন। তাঁরা নদের বুল্লা অংশ থেকে সুতাং পর্যন্ত কাজ করতে গিয়ে নদে কোনো জলজ প্রাণীর খোঁজে পাননি।গবেষক মো. শাকির আহম্মেদ জানান, মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব পড়ার কারণে এ নদে এখন কোনো প্রজাতির মাছ নেই। এমনকি শামুক পর্যন্ত নেই। তাঁরা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়েছেন, সুতাং নদে মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও জানান, সুতাং নদ ঘেঁষে যতগুলো হাওর আছে, সেই হাওরের কৃষিসেচে সুতাং নদের পানি ব্যবহার করা হয়। সেই হাওরের ধানেও একই রকম মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব থাকার আশঙ্কা অনেক বেশি।একই গবেষণায় যুক্ত প্রভাষক ইফতেখার আহমেদ বলেন, সুতাং নদের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করা পানি এবং মাছের নমুনায় বিভিন্ন রং ও আকারের মাইক্রোপ্লাস্টিকের ব্যাপক উপস্থিতি তাঁরা পেয়েছেন। আরও নমুনা পরীক্ষার কাজ গবেষণাগারে চলমান আছে। মূলত বর্ষা ও শীতকালীন নদের পানির দূষণের মাত্রা এবং মাছ, পানি, সেডিমেন্টে (পলি) মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি, আকার, পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে গবেষণাটি পরিচালনা করছেন তাঁরা। এসব দূষণের ফলে নদতীরবর্তী মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত কীরূপ ঝুঁকি আছে, তাও নিরূপণ করা সম্ভব হবে।এসআর
অনলাইন ভোট

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আপনিও কি তাই মনে করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
যে কারণে ধসে পড়ল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং তিনটি মধ্যস্থতাকারী দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, এবং মিসরের ব্যাপক প্রচেষ্টায় ছিল। এই চুক্তি অনুসারে গাজার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সামারিক অভিযানের ইতি টেনেছিল ইসরায়েল। ভয়াবহ সেই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা, সেই হামলার জবাব দিতে এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে এ অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েল।যে চুক্তির ভিত্তিতে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল, সেটি তিন পর্বে বিভক্ত। প্রথম স্তরে হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে থাকা বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক করার শর্ত ছিল। দ্বিতীয় স্তরের শর্ত ছিল যে অবশিষ্ট সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং গাজা থেকে নিজেদের সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল।চুক্তির প্রথম পর্বের মেয়াদ ছিল ৬ সপ্তাহ। সেই মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়েছে; তারপর থেকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে সমস্যায় পড়েছে ইসরায়েল ও হামাস। কারণ হামাস চাইছে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অন্যদিকে ইসরায়েলের আশঙ্কা— গাজা থেকে সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের সংগঠিত করে ফের ইসরায়েলে হামলা চালাবে হামাস।এর মধ্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সেনা সদস্য ইদান আলেক্সান্দারসহ চার জন দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ ইসরায়েলকে ফেরত দেয় হামাস। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে ইদান আলেক্সান্দার ও বাকি ৩ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করেছে হামাস যোদ্ধারা, তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এই নিয়ে দু’পক্ষের টানাপোড়েনের মধ্যেই গত সোমবার রাতে গাজায় ফের সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযানে ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ শ’ ফিলিস্তিনি।ফলে ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল, গতকাল সোমবার কার্যত তা শেষ হয়ে গেছে।এবি

তসলিমা নাসরিনকে দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর দাবি বিজিপির
কলকাতা থেকে এক সময় ‘বিতাড়িত’ বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে পুনরায় পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর আবেদন করেন বিজেপি। এ লক্ষ্যে এবার রাজ্যসভায় বকতৃতা দেওয়ার সময় তসলিমার পক্ষে কথা বললেন বিজেপি সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্য।বর্তমানে রয়েছেন দিল্লিতে তসলিমা। ২০২৪ এর জুলাই মাসে ভারতে থাকা রেসিডেন্স পারমিট শেষ হয়ে যায় তার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শায়ের কাছে মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। তার দাবি মেনে বাড়ানো হয় রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ। তবে ২০০৭ সালের পর তার আর ফেরা হয়নি কলকাতায়। ২০০৭ সালে কলকাতায় তাকে নিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শহর ছাড়তে হয়েছিল এই সাহিত্যিককে। তারপর কেটে গেছে ১৮ বছর। তবে প্রায় দুই দশক পরে বিতর্কিত এই লেখিকাকে কলকাতায় আবারও ফেরানোর দাবি বিজেপির ‘মাস্টার্স স্ট্রোক’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সোমবার রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বক্তৃতা করার সময় বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর আবেদন করেন। তিনি বলেন, সাহিত্যিককে কলকাতা শহরে থাকার অনুমতি দিক সরকার। তিনি আরও বলেন, তদানীন্তন কিছু কংগ্রেস নেতাদের প্ররোচনায় কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তসলিমা। সেই নেতারা এখন পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের মাথা। নিজের বক্তব্যে তৎকালীন বাম সরকারেরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি শমীক। অন্যান্য নারীবাদী বিষয়ে সোচ্চার হলেও তসলিমার ক্ষেত্রে তারা মৌন কেন সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।রাজ্যসভায় শমীকের এই বক্তব্যে স্বভাবতই খুশি তসলিমা। মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য নিজের ফেসবুকে শমীককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বাম সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, তারপর আর কেউ তার হয়ে কথা বলেননি। বর্তমান রাজ্য সরকার তার লেখা মেগা সিরিয়াল বন্ধ করে দেয় বলে দাবি করেন তিনি।তিনি লেখেন, “জানিনা, কলকাতায় শেষ পর্যন্ত আমার ফেরা হবে কি না, তবে তিনি যে আমার কথা মনে করেছেন, মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর অপরাধে নিজের জন্মভূমি থেকে নির্বাসিত আমাকে বাংলায় লেখালেখি চালিয়ে যেতে হলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি-পরিবেশে বাস করা আমার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তিনি উপলব্ধি করেছেন বলে তাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।”তৃণমূলের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপরে সব কিছু।”সিপিএম অবশ্য শমীকের এই বক্তব্যে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে ধর্মীয় মেরুকরণের ইঙ্গিত দেখছে। সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি এবং তৃণমূল একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ২০১৪ থেকে সরকার চালাচ্ছে। এতদিনেও কেন তসলিমাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়া হলো না?”তসলিমাকে ফেরত আনার পক্ষে কথা বলাকে পারতপক্ষে ভোটের আগে তৈরি করা একটা ইস্যু বলে মনে করছেন তিনি। তার কথায়, “বিজেপি এবং তৃণমূল যে সাংঘাতিক ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে, তসলিমা-প্রসঙ্গ তারই একটি অংশ।”১৯৯৪ সালে লজ্জা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই স্বভূমি থেকে বিতাড়িত তসলিমা। দীর্ঘদিন কলকাতায় থাকলেও ২০০৭ সালে তার বই দ্বিখণ্ডিত নিয়ে শহরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার সুরক্ষার জন্য তাকে শহর ছাড়তে বলা হয়।এরপর পুলিশি নিরাপত্তায় দিল্লি এবং জয়পুরে কাটিয়ে ভারত ছেড়ে ইউরোপে থাকতে শুরু করেন তিনি। পরে দিল্লিতে ফিরে আসেন তিনি। এখন সেখানেই বসবাস করেন তসলিমা।এবি

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত বেড়ে ৩৪২
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজানে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দলখদার ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪২ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সূত্র। এছাড়া এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৪ জন।এদিকে গাজার অবরুদ্ধ এবং অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর “বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ” হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাস জানায়, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার জন্য ইসরায়েল অবরুদ্ধ ও অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর “বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ” আক্রমণ চালিয়েছে।এছাড়া আরেক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ” করার অভিযোগ করেছে। এই যুদ্ধবিরতি চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ছিল।আল জাজিরা জানায়, গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় এক গর্ভবতী নারী নিহত হয়েছেন। গাজা থেকে আল জাজিরার মারাম হুমাইদ বলেছেন, আজ ভোরে নিহত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী এবং তার শিশুও রয়েছেন।গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসাইরাতের নিজেদের বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় তারা নিহত হয়েছেন বলেও হুমাইদ জানিয়েছেন।এদিকে ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তা গাজায় স্থল আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করা ওই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলের আক্রমণ যতদিন প্রয়োজন ততদিন অব্যাহত থাকবে এবং বিমান হামলার বাইরেও বিস্তৃত হবে। যা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের সম্ভাব্য স্থল অভিযানে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করার জন্য হামাস যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-কে গাজা উপত্যকায় আরোপিত অন্যায্য অবরোধ ভাঙতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।একইসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠক করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস, যাতে ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করা যায়।এমআর-২

বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক হামাসের
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপরেই বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দেয় সংগঠনটি। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আরব ও মুসলিম দেশগুলোর জনগণ এবং বিশ্বের মুক্ত মানুষকে গাজায় ইসরায়েলের বিধ্বংসী হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।এছাড়া গাজা উপত্যকায় বসবাসরত জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীদের পুনরায় হামলা প্রত্যাখ্যান করে বিশ্বব্যাপী জনগণকে তাদের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এদিকে, পবিত্র রমজানে গাজার বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হামাসের দাবি, একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ করে দিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু ও তার উগ্রপন্ত্রী সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বানচালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন অনিশ্চিত।জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলা শুরু করেছে। আমরা আমাদের শত্রুদের প্রতি কোনো দয়া দেখাব না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের সব জিম্মির বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত ইসরায়েল থামবে না।এদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, গাজায় সর্বশেষ হামলা শুরু করার আগে ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল ইসরায়েল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি ও ইরানসহ যারা ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায় তাদের মূল্য দিতে হবে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ।এ ছাড়া দখলদারদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে লাখ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।এমআর-২
ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল: হোয়াইট হাউস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হোয়াইট হাউস জানায়, গাজায় সর্বশেষ হামলার আগে ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল ইসরায়েল।মূলত যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ফের ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে কমপক্ষে ১৭০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় সর্বশেষ আক্রমণ শুরু করার আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি জানান, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান — যারা কেবল ইসরায়েলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায় — তাদের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।”তিনি আরও বলেন, “হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী প্রতিনিধিদের উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। কারণ তিনি (ট্রাম্প) বলেন যে— তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।”এদিকে আল জাজিরা তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭০ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।এদিকে বিমান হামলায় হামাস কমান্ডার এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। ইসরায়েলের সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে সর্বশেষ এই হামলা চালানো হয়েছে।এমআর-২
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ফের বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গাজা সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি বোমা হামলায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।এর আগে একটি চিকিৎসা সূ্ত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছিল, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৭৮ জন উপত্যাকার দক্ষিণাঞ্চলের।আলজাজিরার সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা।এদিকে আলজাজিরা আরবির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা সিটিতে ইসরাইলি বিমান হামলার ফলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-দারাজ পাড়া শহরে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল আল-তাবি'ইন স্কুলে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ও বোমা হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।এছাড়াও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন।অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রভিদের মতে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরাইল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।ছয় সপ্তাহ ধরে চলা প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরাইল প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ইসরাইল এবং হামাস মধ্যস্থতামূলক আলোচনা শুরু করেছিল।এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা বলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে (ইসরাইলি সামরিক বাহিনী) এবং শিন বেইট গাজা উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করছে। এবি
মঙ্গল গ্রহে পানির অস্তিত্বের নতুন প্রমাণ
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইনসাইট (InSight) ল্যান্ডার থেকে পাওয়া নতুন সিসমিক (ভূকম্পন) ডেটার বিশ্লেষণে মঙ্গল গ্রহের গভীরে তরল পানির উপস্থিতির সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।গবেষকরা ২০২৪ সালে প্রস্তাব করেছিলেন যে, মঙ্গলের গভীর ভূত্বকের (প্রায় ১১.৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে) অঞ্চল পানিতে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এই গবেষণাটি মার্সকোয়েক (Marsquake) বা মঙ্গলের ভূমিকম্প থেকে পাওয়া সিসমিক তরঙ্গের গতি বিশ্লেষণ করে করা হয়েছে। যা সম্প্রতি আরও জোরালো সমর্থন পেয়েছে।মঙ্গলের ভূগর্ভে তরল পানি?জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকুও কাটায়ামা এবং মেরিন জিওডায়নামিকস গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইউয়া আকামাতসু নিশ্চিত করেছেন, নতুন এই ডেটা তরল পানির অস্তিত্বের ধারণাকে আরও জোরদার করছে।কাটায়ামা বলেন, ‘অনেক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, প্রাচীন মঙ্গলে প্রায় বিলিয়ন বছর আগে পানি ছিল। তবে আমাদের মডেল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আজকের মঙ্গলেও তরল পানি থাকতে পারে’।গবেষণার ভিত্তি: ইনসাইটের সিসমিক ডেটাএই গবেষণার ভিত্তি ছিল নাসার ইনসাইট ল্যান্ডারের SEIS (Seismic Experiment for the Interior Structure) যন্ত্র থেকে পাওয়া ভূকম্পন সংক্রান্ত ডেটা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মঙ্গলের পৃষ্ঠে কাজ করা ইনসাইট প্রথমবারের মতো মঙ্গলে ভূকম্পন পরিমাপ করেছে।SEIS তিন ধরনের সিসমিক তরঙ্গ শনাক্ত করেছিল:P-ওয়েভস (Compression waves): শব্দ তরঙ্গের মতো সামনে-পেছনে দুলে চলে।S-ওয়েভস (Shear waves): নিচে-ওপরে কম্পনের মাধ্যমে তরঙ্গ তৈরি করে।সারফেস ওয়েভস: জলাশয়ের পানিতে সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো গ্রহের পৃষ্ঠ বরাবর চলাচল করে।এই তরঙ্গগুলোর গতি এবং গতিপথ বিশ্লেষণ করে গবেষকরা মঙ্গলের ভূগর্ভে তরল পানির অস্তিত্বের সম্ভাবনা উন্মোচন করেছেন।মঙ্গলগ্রহে জীবন খোঁজার নতুন দিগন্তএই আবিষ্কারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি মঙ্গলের ভূগর্ভে তরল পানি থাকে, তাহলে সেখানে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। ভবিষ্যতে মঙ্গল গবেষণা ও মানব অভিযানের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সূত্র: জিও নিউজএমআর
যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীতে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং মার্কিন নৌবাহিনীর অবস্থানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে।রোববার (১৬ মার্চ) রাতে দেওয়া এক ভাষণে সারি বলেন, ‘মার্কিন শত্রু ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় ৪৭টির বেশি বোমা ফেলেছে। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীও মার্কিন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যেতে পিছপা হবে না’।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারি আরও জানান, মার্কিন বাহিনী তাদের সর্বশেষ আগ্রাসনে বহু গণহত্যা চালিয়েছে এবং বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। এরই জবাবে ইয়েমেনি বাহিনী ১৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।এই হামলার প্রেক্ষাপট হিসেবে তিনি শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমন্বিত বিমান হামলাকে উল্লেখ করেন। যা মূলত ইসরাইলি আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে চালানো হয়েছে।এদিকে ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি এক ঘোষণায় জানান, গাজা উপত্যকার সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর ইয়েমেন ইসরাইলি জাহাজ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকর করেছে।তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসন কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়বে এবং ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন বিমানবাহী রণতরী এবং এই অঞ্চলে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে।একই সঙ্গে আল-হুথি ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরাইলগামী কোনো জাহাজকেই আমরা ছাড় দেব না এবং যে কোনো সময় সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে’।আবদুল-মালিক আল-হুথি এর আগে ইসরাইলকে চার দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন। যাতে তারা গাজার সীমান্ত খুলে দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেয়। সূত্র: মেহের নিউজএমআর-২
এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাইলেন ফরাসি এমপি
যুক্তরাষ্ট্রের আইকন স্ট্যাচু অব লিবার্টি। এই ভাস্কর্যটি উত্তর আমেরিকার এই দেশটির স্বাধীনতার প্রতীক। ফ্রান্সের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল এই মূর্তি।আর এবার সেই স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের এক আইনপ্রণেতা। তার দাবি, যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে এটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল সেই মূল্যবোধের মর্যাদা দেয় না ট্রাম্প সরকার।ফরাসি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।ফরাসি সংবাদপত্র লা মন্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন একজন ফরাসি পার্লামেন্ট সদস্য। তার যুক্তি, ভাস্কর্যটি যে মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে আমেরিকা আর তা ধারণ করে না।ফরাসি ওই পার্লামেন্ট সদস্যের নাম রাফায়েল গ্লাকসম্যান। তার দাবি, যে কারণে ফ্রান্স আমেরিকাকে ওই ভাস্কর্যটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল এখন সেই মূল্যবোধের মর্যাদা দেয় না ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। আর তাই আমেরিকার কাছ থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে নেওয়া উচিত ফ্রান্সেররোববার একটি জনসমাবেশে এই দাবি করেন বামপন্থি রাজনীতিবিদ রাফায়েল গ্লাকসম্যান।ওই সমাবেশে তিনি বলেন, “আমাদের স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে দাও। আমরা সেইসব আমেরিকানদের বলব যারা অত্যাচারীদের পক্ষ বেছে নিয়েছে, যারা বৈজ্ঞানিক স্বাধীনতার দাবিতে গবেষকদের বরখাস্ত করেছে তাদের উচিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে দেওয়া।”তার দাবি, এই ভাস্কর্য আমেরিকাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন সেই ভাস্কর্যের মর্যাদা রাখতে পারছে না। তাই নিজের দেশেই সেই মূর্তি ঠিকমতো থাকবে।প্রসঙ্গত, ১৮৮৫ সালে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফ্রান্স থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ওই মূর্তির ডিজাইন করেছিলেন ফরাসি শিল্পী ফ্রেডেরিক বার্থোলডি। ১৮৮৬ সালের অক্টোবরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট গ্লোভার ক্লিভল্যান্ড ওই মূর্তির উদ্বোধন করেন।এরপর ১৯২৪ সালে এই মূর্তিকে ‘জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ’ হিসেবে ঘোষণা করে মার্কিন সরকার। ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে লিবার্টি দ্বীপে অবস্থিত এই স্ট্যাচু এখন ফ্রান্সের হাতেই ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করলেন রাফায়েল গ্লাকসম্যান।উল্লেখ্য, ইউক্রেন ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি বিরোধিতা ও সমালোচনা করেছেন গ্লাকসম্যান। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদল করেছেন এবং আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ হ্রাস করছেন তারও সমালোচনা করেছেন তিনি।এছাড়া মার্কিন গবেষকরা যেন ফ্রান্সে এসে কাজ করতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়ার জন্যও ফরাসি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্লাকসম্যান।এবি
পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার কথা বলবেন ট্রাম্প
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার কথা বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করতে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর এএফপির। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এরই মধ্যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে কিছু সম্পদ ভাগাভাগি করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।এর আগে মস্কোয় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বৈঠকের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘ভালো ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ সৃষ্টি করেছে।বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে হওয়া ওই বৈঠকের পর ক্রেমলিন জানায়, শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্ক আশাবাদ’-এর সঙ্গে একমত।তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেন, পুতিন আলোচনার নামে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টার্মারও বলেছেন, পুতিন যেন যুদ্ধবিরতির নামে ‘খেলা’ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইউক্রেন গ্রহণ করলেও রাশিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এতে সম্মতি দেয়নি। পুতিন বলেন, এই ধারণা সঠিক এবং আমরা একে সমর্থন করি... তবে কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা দরকার।জেলেনস্কি একে ‘চাতুর্যপূর্ণ’ প্রতিক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি বলেন, পুতিন এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না, কারণ তাতে তিনি সব হারাবেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পুতিন কূটনীতি ব্যর্থ করতে চাইছেন এবং আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করছেন, যাতে তার বাহিনী মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখতে পারে।এমআর-২
বিনোদন
সব দেখুন
হিরো আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাক করে নোংরা ছবি পোস্ট
আশরাফুল হোসেন আলম নামে (হিরো আলমের) ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে। এখন সে আইডিতে নোংড়া ছবি ও বিভিন্ন লেখাও পোস্ট করেছে হ্যাকাররা।আজ দুপুর ০৩.০৯ মিনিটে ‘সময়ের কন্ঠস্বরে ফোন করে হিরো আলম এ তথ্য জানান।এ প্রসঙ্গে হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমার বাবা খুবই অসুস্থ। আমি বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। আজ আমার বাবার টিউমার অপারেশন। আর এই সময়ে আমার আইডি হ্যাক করে আমাকে ছোট করতে নোংড়া ছবি ও লেখা পোষ্ট করা হচ্ছে।এফএস

যারা ধর্ষণের বিচার চাইছে, তারাই কাজের বিনিময়ে শোয়ার শর্ত দিয়েছে: স্বাগতা
শোবিজাঙ্গনে বেশ আলোচিত অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।স্বাগতা জানালেন তার জীবনের বাস্তবতার কথা। তার মতে, পরিচিতি এমন অনেকেই ধর্ষকের বিচার চাইছেন, যারা নিজেরাই কাজের বিনিময়ে তাকে বিছানায় শোয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।শুক্রবার(১৪ মার্চ) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে স্বাগতা লিখেছেন, 'আমার নিউজফিডে প্রচুর পুরুষকে দেখছি ধর্ষকের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আমাকে কাজের বিনিময়ে শোয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। রাজি হইনি বলে চিরতরে কাজের সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে তারাও কি ধর্ষক নয়?'অভিনেত্রীর সেই পোস্টে একজন লিখেছেন, 'তারা তোমার অনুমতি চেয়েছে, জোর জবরদস্তি করেনি ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তোমার যেমন 'না' বলার স্বাধীনতা আছে, তাদেরও তেমন কাজে 'না' নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।'স্বাগতা লিখেছেন, 'এটা হলো সিন্ডিকেট করে কাজ বন্ধ করা। যেন আমি বাধ্য হই ইয়েস বলতে। টেকনিক্যালি ধর্ষণ, যদি কাজ করতেই হয় তাহলে রাজি হতেই হবে।'তবে কারা কাজের বিনিময়ে আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছিল, তাদের নাম ফাঁস করেননি এই অভিনেত্রী।

প্রকাশিত হলো হোসাইন নূরের ৩০০তম নাশিদ ‘কুরআন’
বাংলাদেশের ইসলামি সংগীত জগতে এক অনন্য নাম 'হোসাইন নূর'। ছন্দের মোহনায় হৃদয়স্পর্শী ভাবনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নাশিদ রচনায় তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়। দীর্ঘ সাত বছরের পথচলায় একের পর এক জনপ্রিয় গজল উপহার দিয়ে এবার তিনি পৌঁছেছেন এক অনন্য উচ্চতায়—৩০০তম নাশিদের মাইলফলকে!এই বিশেষ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশিত হলো তার ৩০০তম গজল 'কুরআন'। পবিত্র কুরআন মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ উপহার, যার প্রতিটি আয়াত আলো ছড়ায় মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। 'কুরআন' নাশিদটি সেই বার্তাকেই নতুনভাবে তুলে ধরেছে। এর কথায় রয়েছে হৃদয় জুড়ানো আহ্বান— "সকল পড়ার আগে পড়ো কুরআন / কুরআন খুলেই জুড়াও মনো প্রাণ। / পড়লে নেকি, শুনলে নেকি, / বুঝলে নেকি, মানলে নেকি, / মহাব্বতেই বাড়বে তোমার মান।"এই নাশিদ কেবল তিলাওয়াতের ফজিলতই নয়, হাফেজদের মর্যাদা, বাবা-মায়ের জন্য এর উপহার এবং আখিরাতে শাফায়াতের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। নাশিদের শেষাংশে বলা হয়েছে— "কাল হাশরে বাড়বে শান বাবা মায়ের/ হাফেজে কুরআন হলে সন্তান তাদের। / নূরের তাজে, সবার মাঝে / সম্মানিত মানুষ সাজে, / পুরস্কৃত করবেন আল্লাহ সুবহান।"নাশিদটি কণ্ঠে তুলেছেন দেশের দুই জনপ্রিয় শিশুশিল্পী সুরাইয়া আক্তার সাইফা ও সারামনি। তাদের মায়াবী ও আবেগময় কণ্ঠে নাশিদটির আবেদন দ্বিগুণ হয়েছে। গানের সুরারোপ করেছেন নন্দিত সুরকার মাসুদ রানা।'কুরআন' নাশিদটির সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন অনু মুস্তাফিজ, যার কারিগরি দক্ষতায় গানটির প্রতিটি শব্দ আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। ভিডিও নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা আলম মোর্শেদ, যিনি অসাধারণ নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন চমৎকার কথাগুলো।নাশিদটির রচয়িতা হোসাইন নূর ২০১৭ সালের শেষ দিকে গজল লেখা শুরু করেন। তার লেখা নাশিদ বেশকিছু নাশিদ দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে। এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের বেশি শিল্পী একক ও যৌথভাবে তার লেখা গজল গেয়েছেন, যার মধ্যে দেশের শীর্ষ ইসলামি শিল্পীরাও রয়েছেন। গ্রাম থেকে শহর, হাট থেকে মসজিদ—তার লেখা গজল সর্বত্রই প্রতিধ্বনিত হয়। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও তার সফলতা ঈর্ষণীয়—৪০টির বেশি গজল মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জন্ম নেওয়া হোসাইন নূর আজ ইসলামি সংগীতাঙ্গনে এক সুপরিচিত নাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন— "শুরুটা সহজ ছিল না, কিন্তু আল্লাহ যখন বিশেষভাবে রহম করেন, তখন সবকিছুই সহজ হয়ে যায়। এই দীর্ঘ পথচলায় যারা পাশে ছিলেন, সবার প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।"আরইউ

লাস্যময়ী ভঙ্গিতে হাজির হয়ে রূপের রহস্য প্রকাশ পরীমণির
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার অভিনয় দক্ষতা যেমন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে, তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ-সবই ছিল সংবাদের শিরোনামে। তবে সমালোচনা যাই হোক, নিজের সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্বের ঝলক দেখিয়ে বারবারই ক্যামেরার আলো নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছেন এই তারকা। নেটিজেনদের মনে বরাবরই প্রশ্ন-কীভাবে তিনি এত উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় থাকেন? এবার সেই রূপের রহস্য নিজেই খোলাসা করলেন পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে নিজের রূপচর্চার বিষয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। ভিডিওতে তাকে লাস্যময়ী ভঙ্গিতে হাজির হতে দেখা যায়। যেখানে তিনি বলেন, "আমরা সবাই ব্যস্ত, কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়া কী বিলাসিতা? এরপরই উত্তর দেন নিজেই, 'মোটেও না! নিজের যত্ন নেওয়া মানে নিজেকে ভালোবাসা।'" নিজের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'একটা ভালো অনুভূতি, পুরো দিন বদলে দিতে পারে। একটুখানি যত্ন পারে তোমাকে এনে দিতে নতুন আত্মবিশ্বাস। নিজেকে ভালোবাসো, নিজের যত্ন নাও।'এরপর তিনি একটি শাওয়ার জেল দেখিয়ে দাবি করেন সেটাই তার রূপের রহস্য। পরীমণির এই স্বীকারোক্তি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা তার সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করছেন। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, শুধু শাওয়ার জেলই কি পরীর রূপের রহস্য, নাকি আরও কিছু লুকোনো রহস্য আছে? তবে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, অভিনয় দক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি নিজের রূপের যত্ন নিতেও যে তিনি বেশ পারদর্শী, তা আবারও প্রমাণ করলেন ঢালিউডের এই আলোচিত নায়িকা।
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
টিসিবির জন্য ২৭৩ কোটি টাকার ডাল-তেল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠকে এই তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল কেনার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা অনুমোদন দিয়েছে।গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে এই তেল কানা হবে। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার তেল কিনতে খরচ হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।এর মধ্যে গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে।বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা।এইচএ/এমআর

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
দেশের খাদ্য মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০৯ এর আওতায় ৫০ মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৯.৫৫ (চারশ ঊনত্রিশ দশমিক পাঁচ পাঁচ) মার্কিন ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এ চাল আমদানি করা হবে। প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩ টাকা ২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪.৫৫ মার্কিন ডলার। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।তারও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে ও ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।এইচএ

জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ
কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) সহায়তার জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে সরকার। যার মাধ্যমে জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। এই ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণে সহায়তা পাবেন।উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে। সোমবার (১৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আমির উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালক নওশাদ মুস্তফা, সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ নীতিমালা চালু থাকবে এবং এর সাথে অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ নামের একটি নতুন শ্রেণিও যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।একইদিনে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনা মতে, সিএমএসএমই খাতে মেয়াদি ঋণের পাঁচ বছরের স্থলে সর্বোচ্চ সাত বছর করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রকল্পভেদে যেমন কারখানা নির্মাণ ইত্যাদি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ থেকে ১২ মাস গ্রেস পিরিয়ড দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখাতে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়ক জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এখাতে সহায়ক জামানত ছাড়াকে পাঁচ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ দেয়া ও নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্ক বিবেচনায় সহায়ক জামানত ছাড়াকে ২৫ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।নীতিমালায় বলা হয়েছে, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট ছোট উদ্যোক্তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণ নিতে জামানতও লাগবে না। তারা অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ পাবেন। কোন উদ্যোক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন, নীতিমালায় তাও পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে।এফএস

ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৫ হাজার টন চাল
ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে ২টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম চালানের ১৭ হাজার ৮০০ টন চাল দেশে পৌঁছেছে।জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে চাল খালাসের কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।এমআর-২

ঈদের আগে বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) দাম দুই হাজার ৬১৩ টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন এ দর কার্যকর হবে।রবিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের এ মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায়।এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে এক লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ২৫ হাজার ৫৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এমআর

মার্চের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৫ কোটি ডলার
দেশে মার্চের ১৫ দিনে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। রবিবার (১৬ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি চার লাখ ছয় হাজার ৬৬৬ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ঈদে পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের জন্য প্রবাসীরা রমজানে অর্থ পাঠানো বাড়িয়ে দেন।আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন ধারা দেখা গেছে। এবারো বাড়তি অর্থ পাঠানো অব্যাহত রয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আগের বছরের মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন এসেছিল ছয় কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ডলার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গড়ে প্রতিদিন আসে ৯ কোটি দুই লাখ ৭২ হাজার ৮৫৭ ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৫ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ডলার।এমআর-২

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-৯ এর আওতায় এই চাল কেনা হবে।প্রতি টন চাল দাম পড়বে ৪২৯ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।সেসময় প্রতি টন চালের দাম ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার ধরা হয়। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।এমআর-২

টিসিবির জন্য ২৭৩ কোটি টাকার ডাল-তেল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠকে এই তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল কেনার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা অনুমোদন দিয়েছে।গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে এই তেল কানা হবে। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার তেল কিনতে খরচ হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।এর মধ্যে গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে।বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা।এইচএ/এমআর

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
দেশের খাদ্য মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০৯ এর আওতায় ৫০ মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৯.৫৫ (চারশ ঊনত্রিশ দশমিক পাঁচ পাঁচ) মার্কিন ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এ চাল আমদানি করা হবে। প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩ টাকা ২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪.৫৫ মার্কিন ডলার। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।তারও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে ও ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।এইচএ

জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ
কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) সহায়তার জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে সরকার। যার মাধ্যমে জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। এই ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণে সহায়তা পাবেন।উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে। সোমবার (১৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আমির উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালক নওশাদ মুস্তফা, সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ নীতিমালা চালু থাকবে এবং এর সাথে অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ নামের একটি নতুন শ্রেণিও যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।একইদিনে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনা মতে, সিএমএসএমই খাতে মেয়াদি ঋণের পাঁচ বছরের স্থলে সর্বোচ্চ সাত বছর করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রকল্পভেদে যেমন কারখানা নির্মাণ ইত্যাদি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ থেকে ১২ মাস গ্রেস পিরিয়ড দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখাতে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়ক জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এখাতে সহায়ক জামানত ছাড়াকে পাঁচ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ দেয়া ও নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্ক বিবেচনায় সহায়ক জামানত ছাড়াকে ২৫ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।নীতিমালায় বলা হয়েছে, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট ছোট উদ্যোক্তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণ নিতে জামানতও লাগবে না। তারা অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ পাবেন। কোন উদ্যোক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন, নীতিমালায় তাও পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে।এফএস

ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৫ হাজার টন চাল
ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে ২টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম চালানের ১৭ হাজার ৮০০ টন চাল দেশে পৌঁছেছে।জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে চাল খালাসের কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।এমআর-২

ঈদের আগে বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) দাম দুই হাজার ৬১৩ টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন এ দর কার্যকর হবে।রবিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের এ মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায়।এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে এক লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ২৫ হাজার ৫৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এমআর
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় শেষ, মোট আবেদন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন
জিএসটি অন্তর্ভুক্ত দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। সোমবার,১৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পেরেছিলো। এদিন রাত ১২ টা পর্যন্ত গুচ্ছে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।আজ মঙ্গলবার,১৮ মার্চ গুচ্ছের আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছিল। আগামীকাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান শাখায় আবেদন করেছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৮জন, ইউনিট ‘বি’ মানবিক শাখায় আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৪৫ জন।এছাড়াও ইউনিট ‘সি’ বাণিজ্য শাখা ২৩ হাজার ৫৪ জন ভর্তিচ্ছু।উল্লেখ্য, ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গঠিত গুচ্ছের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫শে এপ্রিল বাণিজ্য (সি ইউনিট),২রা মে মানবিক (বি ইউনিট ), ৯ই মে বিজ্ঞান (এ ইউনিট) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক(ড্রয়িং) পরীক্ষা ৫ই মে বিকাল ৩ হতে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।মোট ২১ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।এসআর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্ণারের নতুন নাম 'নজরুল কর্ণার'
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্ণারের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘নজরুল কর্ণার’। শেখ রাসেল শিশুপার্কের নতুন নাম ‘বুলবুল শিশুপার্ক’।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ৪ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বঙ্গবন্ধু কর্ণার (গ্রন্থাগার ও হল) এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে।এছাড়া একই আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য স্থাপনারও নতুন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলের নাম ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ থেকে পরিবর্তন করে 'বিদ্রোহী হল' এবং ছাত্রী হলের নাম 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুন্নেসা মুজিব হল' পরিবর্তন করে ‘শিউলিমালা হল’ রাখা হয়েছে। এছাড়া 'শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ' নাম পরিবর্তন করে 'বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ' এবং বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নতুন নাম 'জুলাই বিপ্লব-২০২৪ স্কয়ার', শেখ রাসেল শিশু পার্কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বুলবুল শিশু পার্ক। উল্লেখ্য, গতবছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে হল দুটির নাম কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম 'বিদ্রোহী' কবিতা ও 'শিউলিমালা' গল্পগ্রন্থের নামে পরিবর্তন করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।এসআর

শেকৃবিতে দক্ষিণ অঞ্চলের ২১টি জেলার শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) টিএসসি ভবনে দক্ষিণ অঞ্চলের ২১টি জেলার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বিশাল ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইফতার মাহফিলটি ছিল শেকৃবির দক্ষিণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মিলনমেলা।সোমবার (১৭ই মার্চ) ইফতার মাহফিলে দক্ষিণ অঞ্চলের ২১টি জেলার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ইফতার মাহফিলে আগত অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাহফিলে আগত অতিথিরা একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।ইফতার মাহফিলের আয়োজকরা জানান, এই ইফতার মাহফিলটি দক্ষিণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে সাহায্য করবে।ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এই ইফতার মাহফিলটি তাদের জন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা। তারা এই ধরনের আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।ইফতার মাহফিলটি শেকৃবির দক্ষিণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে। এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এসআর

জাবিতে ১৬ দিনের ছুটি
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৬ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, শব-ই-কদর, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৩ মার্চ হতে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৬ দিন ক্লাস ছুটি থাকবে।এছাড়া অফিস ছুটি থাকবে ২৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১২ দিন।এসআর
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে আসছে নতুন সুবিধা
হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করলে প্রস্তুতি না থাকায় চেহারা নিয়ে অনেক সময় বেশ বিব্রত হতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে ফোনের ক্যামেরা বন্ধ রেখেই ভিডিও কলে কথা বলার নতুন সুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ পরীক্ষামূলক সংস্করণে (বেটা ভার্সন) নতুন এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল রিসিভ করলেই ফোনের সামনের ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ফলে চাইলেও ক্যামেরা বন্ধ রেখে ভিডিও কলে কথা বলা যায় না। নতুন এ সুবিধা চালু হলে সামনের ক্যামেরা বন্ধ রেখেই অন্যদের করা ভিডিও কলে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলা যাবে। সুবিধাটি কবে নাগাদ উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে শিগগিরই সুবিধাটি উন্মুক্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির তথ্যমতে, সুবিধাটি চালু হলে ভিডিও কল আসার সময় হোয়াটসঅ্যাপে ‘টার্ন অফ ইয়োর ভিডিও’ নামের একটি অপশন দেখা যাবে। এরপর ‘একসেপ্ট উইথ আউট ভিডিও’ বাটনে ক্লিক করলেই ভিডিও কলের সময় ফোনের সামনের ক্যামেরা বন্ধ থাকবে এবং অডিও মোডে কথা বলা যাবে।এর পর যদি আপনি চান, মাঝপথে ভিডিও অন করতে, তার অপশনও আছে। সে ক্ষেত্রে কল চলার সময়েই ‘টার্ন অন ইয়োর ভিডিও’-তে ক্লিক করলেই ক্যামেরা চালু হয়ে যাবে।এইচএ

ফেসবুক স্টোরি থেকে আয়ের সুযোগ
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট নির্মাতারা তাদের ফেসবুক স্টোরিজ থেকেও অর্থ আয় করতে পারবেন। কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য আয়ের নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এখন থেকে ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট নির্মাতারা তাদের ফেসবুক স্টোরিজ থেকেও অর্থ আয় করতে পারবেন। নির্মাতারা তাদের ভিডিও, রিলস বা দৈনন্দিন জীবনের মুহূর্তগুলো স্টোরিতে শেয়ার করেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকের মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের সদস্যদের জন্য চালু হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ একটি রেসিপি ভিডিও তৈরি করে এবং সেটির কিছু অংশ স্টোরিতে শেয়ার করেন তবে সেটি থেকেও আয়ের সুযোগ থাকবে।ফেসবুকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্টোরির পেমেন্ট নির্ধারিত হবে কনটেন্টের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউয়ের শর্ত ছাড়াই নির্মাতারা আয়ের সুযোগ পাবেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন আয়ের পথ তৈরি করতে চাইছে। মেটা ইতোমধ্যে নগদ বোনাস, কনটেন্ট চুক্তি এবং অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ক্রিয়েটরদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য কী সুবিধা আনছে?ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক উভয় প্ল্যাটফর্মেই কনটেন্ট মনিটাইজেশন সহজতর হবে।স্টোরির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে।কোনো অতিরিক্ত সেটআপ ছাড়াই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে।আশা করা হচ্ছে, ফেসবুকের এই নতুন উদ্যোগ কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য বড় একটি সুযোগ তৈরি করবে।এসআর

৩.৫ বিলিয়ন বছর আগের উল্কাপাতের রহস্য উন্মোচন
পৃথিবীর প্রাচীনতম উল্কাপাতের গহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে বিশাল এক উল্কাপিণ্ড আঘাত হানে বর্তমান পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পিলবারা অঞ্চলে। এতে সৃষ্টি হয় ‘নর্থ পোল ডোম সাইট’ নামে পরিচিত এই বিশাল গহ্বর।পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (GSWA) এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স স্কুলের গবেষকরা এই আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই উল্কাপাত পৃথিবীর পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল এবং হয়তো প্রাণের উদ্ভবের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিল। গবেষণাটি নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিম জনসন বলেন, এর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম উল্কাপাতের গহ্বর ছিল ২.২ বিলিয়ন বছর আগের। নতুন আবিষ্কারটি আমাদের গ্রহের ইতিহাস সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।বিজ্ঞানীরা ‘শ্যাটার কোন’ নামের বিশেষ শিলার গঠন পর্যবেক্ষণ করে এই উল্কাপাতের প্রমাণ পেয়েছেন। সাধারণত উল্কাপাতের বিশাল চাপের ফলে এই ধরনের শিলা গঠিত হয়। গবেষকদের মতে, উল্কাপাতের সময় উল্কাটি ঘণ্টায় ৩৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে আঘাত হানে, যা প্রায় ১০০ কিলোমিটার ব্যাসের এক বিশাল গহ্বর তৈরি করে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দেয়।অধ্যাপক জনসন আরও বলেন, আমরা জানি যে প্রাচীন সৌরজগতে উল্কাপাতের ঘটনা ছিল খুবই সাধারণ। চাঁদের উপর উল্কাপাতের দাগ দেখে আমরা তা অনুমান করতে পারি। কিন্তু এত পুরনো গহ্বরের সন্ধান না পাওয়ায় ভূতাত্ত্বিকরা এতদিন বিষয়টি উপেক্ষা করছিলেন।এই আবিষ্কার পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে আরও গবেষণার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবীর অতীতের আরও প্রাচীন উল্কাপাতের চিহ্ন ভবিষ্যতে আবিষ্কৃত হতে পারে।এমআর

দেশের বাজারে নতুন ল্যাপটপ আনল লেনোভো, থাকছে বিশেষ মূল্য ছাড়
এই পবিত্র রমজান মাসে লেনোভো তার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে এক বিশেষ উপহার! লেনোভোর অথোরাইজড ইন্টেল প্রসেসর যুক্ত যেকোনো ল্যাপটপ, বিশেষ করে লেনোভো আইডিয়া প্যাড স্লিম ৩আই (83EM007FLK) কিনলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন বিশেষ মূল্য ছাড় সাথে নির্দিষ্ট মূল্যের স্বপ্ন ভাউচার। এই অফারটি আপনার রমজানকে করে তুলবে আরও আনন্দময় এবং প্রযুক্তি ব্যবহারকে করে তুলবে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী।লেনোভো আইডিয়া প্যাড স্লিম ৩আই (83EM007FLK) ল্যাপটপটি লেনোভোর নতুন সংযোজন, যা আধুনিক প্রযুক্তি এবং ব্যবহারকারীদের চাহিদার সাথে এক চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়েছে। এই ডিভাইসটি ১৩তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসর দ্বারা চালিত, যা দ্রুত গতি এবং উচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মাল্টিটাস্কিং বা ভারী কাজের চাপেও নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন।এই ল্যাপটপে রয়েছে ৪.৬ গিগাহার্জ ১৩৪২০এইচ প্রসেসর, ৮ জিবি ডিডিআরফাইভ ৪৮০০ র্যাম, ৫১২ জিবি এসএসডি, ১৫.৬" ফুল এইচডি এন্টি গ্লেয়ার ডিসপ্লে, টিইউভি লো ব্লু লাইট ফিচার, ১০৮০পি প্রাইভেসি শাটার ক্যামেরা, ডলবি অডিও, ওয়াই-ফাই ৬, এবং ব্লুটুথ ৫.২। এটি ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স সহ গ্রাফিক্স ডিজাইন ও হালকা এডিটিং এর কাজের জন্য উপযুক্ত। এছাড়াও, MILITARY GRADE-STD-810H টেস্টেড হওয়ায় এটি বালি, ধূলো, তীব্র তাপমাত্রা, চরম ঠান্ডা, এবং অন্যান্য কঠোর পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম।ল্যাপটপটির ওজন ১.৬২ কেজি এবং পাওয়া যাচ্ছে আর্কটিক গ্রে কালারে। ২ বছরের ওয়্যারেন্টিসহ এর মূল্য ৬৯,৫০০/- টাকা। আপনি গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি-এর ওয়েবসাইট, তাদের বিভিন্ন শাখা অফিস এবং অনুমোদিত রিসেলার পয়েন্ট থেকে এটি কিনতে পারেন।

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্টারলিংক
বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের অংশীদার হয়ে কাজ করছে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান।শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। এই সফরে বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ভূমি বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের মতো কার্যক্রম পরিচালনায় এসব সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে। স্টারলিংক টিম এই কাজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব সম্পত্তি এবং কিছুক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে স্টারলিংক।প্রকল্পের স্থান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক বাংলাদেশের শহরে কিংবা প্রান্তিক অঞ্চলে, উত্তর অঞ্চল কিংবা উপকূলে লোডশেডিং কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলামুক্ত রিলায়েবল এবং হাইস্পিড ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা দেবে। এটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা এবং উচ্চমান কোয়ালিটি সার্ভিসের নিশ্চয়তা দিবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং ডিজিটাল ইকোনমিক ইনিশিয়েটিভগুলোকে বেগবান করবে। আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সাথে একটা বোধগম্য মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যাতে তিনি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।প্রধান উপদেষ্টা মাস্ককে জানান, এই সফরে মাস্ক বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন, যারা এই প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে।প্রধান উপদেষ্টা তার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের মধ্যে দীর্ঘ টেলিফোন আলাপ হয়, যেখানে তারা ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সেইসঙ্গে স্টারলিংক সেবা বাংলাদেশে চালুর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।এবি

মঙ্গল গ্রহ লাল কেন
মঙ্গল গ্রহের ছবিগুলোতে বেশ লালচে ভাব থাকে। এই অস্বাভাবিক রংয়ের কারণ লুকিয়ে আছে গ্রহটির ধুলোয় মিশে থাকা লৌহ খনিজ পদার্থের সঙ্গে। তবে চোখে লাল রং ধরা দেয় শুধু শুষ্ক খনিজ হেমাটাইটের কারণেই নয়।তাহলে মঙ্গলের রং লাল দেখা যায় কেন? বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে যে পাথর বা বালু আছে। তাতে থাকা লোহা এবং পানির সঙ্গে অক্সিজেনের বিক্রিয়া হয়। এই কারণে ওই খনিজগুলি তৈরি হয়েছে। যা দেখতে মনে হয় যেন মরিচা ধরে গেছে।শত কোটি বছর ধরে এই আয়রন অক্সাইড ধুলোয় পরিণত হয়ে মঙ্গল গ্রহের বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো কোনো বিজ্ঞানির মতে, জারিত লোহা বা ফেরিহাইড্রেটের কারণে মঙ্গলের রং লাল। আরও একটি তত্ত্ব আছে, শুধু আয়রন অক্সাইড-ই মঙ্গল গ্রহের লাল রংয়ের কারণ নয়। আসলে আয়রন অক্সাইড লাল রংয়ের অন্যতম কারণ। মঙ্গলের শিলায় থাকা লোহা পানি ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আয়রন অক্সাইড তৈরি করেছে বলে মনে করা হয়। এসব কারণেই মঙ্গল গ্রহের যত ছবি সামনে আসে তা লাল মনে হয়।এমআর-২
আইন-আদালত
সব দেখুন
পরিবারসহ নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের ৩ সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান ও যূলিকা নাঈম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা জমা রয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।দুদকের আবেদন সূত্রে জানা গেছে, এসব ব্যাংক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে মোট জমা ছিল ৩৮৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৯ টাকা এবং বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয় ৩৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭৫ টাকা।এদিন এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক আফরোজা হক খান।আবেদনে বলা হয়, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে ওই অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য নিজ নামে এবং স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা ও ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং করাসহ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।অনুসন্ধানকালে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক সদস্যদের নামে কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।আবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্যাংক হিসাবে রাখা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে ব্যাংক হিসাবগুলোতে রাখা অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হলে অনুসন্ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী-কন্যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।এমআর-২
প্রবাস
সব দেখুন
ইতালিতে চাঁদপুর কমিউনিটির উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠিত
ইতালির ভিছেন্সা প্রভিন্সের থিয়েনে বসবাসরত চাঁদপুরবাসীদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় ইসলামীক সেন্টারে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থিয়েনে ও আশপাশের এলাকায় বসবাসরত চাঁদপুরবাসী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই আয়োজনে অংশ নেন।চাঁদপুর কমিউনিটির পক্ষ থেকে শাহাদাত হোসেন, হুমায়ুন কবির, সাদ্দাম হোসেন, আহসান হাবীব রাহেল অতিথিদের আন্তরিকভাবে বরণ করে নেন। ইফতার আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্যতিক্রমধর্মী ও সুস্বাদু খাবারের সমাহার যা উপস্থিত অতিথিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।ইফতারের আগে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উক্ত মসজিদের ইমাম ও খতিব হযরত হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম। তিনি মুসলিম উম্মাহ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিশেষ করে চাঁদপুরবাসীর শান্তি, সুস্থতা ও সফলতার জন্য দোয়া করেন। একইসঙ্গে ইফতার আয়োজন সফল করতে যাঁরা পরিশ্রম করেছেন ও আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন তাঁদের জন্যও বিশেষ দোয়া করা হয়।অনুষ্ঠান শেষে চাঁদপুর কমিউনিটির অন্যতম ব্যক্তিত্ব শাহাদাত হোসেন এবং মসজিদের সেক্রেটারি কাজী সাত্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তারা আয়োজনে অংশগ্রহণকারী ও সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এই আয়োজনে বিশেষ অবদান রাখেন হুমায়ুন কবির, হাসান আহমেদ, এমদাদ বেপারী, মতিউর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, রাশেদ ভূঁইয়া, এনামুল হক সাব্বির, ইমরান, শুকুর আলম, আহসান হাবীব রাহেল, আব্দুল কাহার, রাকিব, কাজী রাজিব, শরীফ হোসেন, সাকিব, ইকবাল হোসেন, আরমান, পাটোয়ারী সোহেল, আফতাব উদ্দিন শাকিলসহ আরও অনেকে।চাঁদপুর কমিউনিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক আয়োজন অব্যাহত রাখবে। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্য আরও দৃঢ় করেছে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এআই
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
ঘুমের সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজের সম্পর্ক, বাড়তে পারে ঝুঁকি
সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাতে ঘুম ভালো না হলে সকালে উঠে প্রায়ই ক্লান্ত লাগে। অনেকেই ঘুম থেকেই ওঠার পর মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা হতে পারে। তবে হয়তো এই ক্লান্তি এবং মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা সাধারণ কোনো কারণে হচ্ছে না, বরং রক্তে শর্করার পরিমাণ ভারসাম্য হারাচ্ছে।‘চায়না ওয়েস্টলেক ল্যাবরেটরি অব লাইফ সায়েন্সের এন্ড বায়োমেডিসিন’ কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘুমের সঙ্গে রক্তের শর্করা মাত্রার সম্পর্ক রয়েছে। এর কারণে ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য হজম সম্পর্কিত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।৪৬ থেকে ৮৩ বছর বয়সী ১১০০ জন ব্যক্তির উপর এই সমীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমের সঙ্গে সরাসরি রক্তে শর্করার পরিমাণ সম্পর্কিত। প্রতিদিন কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন এবং কখন ঘুমাতে যাচ্ছেন, তা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করতে পারে। ঘুমের ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামা করে। বিপাক এবং ডায়াবেটিসের ওপরও এর প্রভাব পড়ে। গবেষণায় ঘুমের সময়কে ভিত্তি করে ৪ টি ভাগ করা হয়েছে- ৪ থেকে ৪.৭ ঘণ্টা ঘুমানোকে অতিমাত্রায় অপর্যাপ্ত ঘুম বিবেচনা করা হয়।৫.৫ থেকে ৬ ঘণ্টার ঘুমকে অপর্যাপ্ত ধরা হয়।৬.৮ থেকে ৭.২ ঘণ্টা ঘুমকে সামান্য অপর্যাপ্ত ঘুম বিবেচনা করা হয়।৮ ঘণ্টা এবং এর চেয়ে আধ বেশি সময় ঘুমকে পর্যাপ্ত ঘুম বলা হয়। যারা প্রতিদিন কম ঘুমান তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। ৫.৫ ঘণ্টা থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের মধ্যে গ্লাইসেমিকের ব্যাপক পরিবর্তন নজরে পরে। যারা দেরিতে ঘুমায় তাদের গ্লাইসেমিক শতকরা ১.১৮ ভাগ বেশি ছিল। যারা এরচেয়েও কম ঘুমায় তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও নেতিবাচকভাবে অনিয়ন্ত্রিত ছিল। রক্তে শর্করা অসামঞ্জস্যতা কেবল ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদের জন্য উদ্বেগজনক নয়। এই সমস্যা আরও অনেক মারাত্মক সমস্যা ; যেমন- শক্তিমাত্রা কমিয়ে দেওয়া, বারবার ক্ষুধা লাগা, বিপাক গতি মন্থর করা, ইনসুলিন প্রতিরোধ করাসহ সার্বিক স্বাস্থ্যের অবনতি করাতেও দায়ী। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানো ছাড়াও, দৈনিক চিনি সেবন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২৫ গ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৬ গ্রাম চিনি গ্রহণ মাত্রা বিবেচনা করা হয়।এইচএ