এইমাত্র
  • যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরকেই খাবে: আসিফ মাহমুদ
  • ড. ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’, বিবিসিকে নাহিদ
  • দায়িত্ব ছাড়লেন জসীম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম
  • সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন নাহিদ ইসলাম
  • ঢাকার মেয়র পদে লড়বেন হাসানাত-সাদিক কায়েম
  • ভারতের নিয়ন্ত্রিত নদীর পানি পাকিস্তান পাবে না: মোদি
  • দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে বিমান
  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল: আইসিইউ অচল, জীবন ঝুঁকিতে রোগীরা
  • ওভাল অফিসে দ. আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে হেনস্তা করলেন ট্রাম্প
  • আজ শুক্রবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ | ২৩ মে, ২০২৫
    উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত গ্রহণ
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে ৫ পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষাসামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।অন্যদিকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।বৈঠকে সম্পূরক বিষয়ে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য কি না, বাস্তবায়নযোগ্য হলে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা এবং বাস্তবায়নের প্রভাব বা সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ দফাওয়ারী মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুর্নবাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে বৈঠকে। খসড়াটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।এছাড়া ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।এমআর-২
    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন নাহিদ ইসলাম
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চাইছেন’, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলা এমন আলোচনার মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করেন এনসিপির আহ্বায়ক।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন নাহিদ। এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্তে আলাপ করেছেন। অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা পদে থাকার বিষয়টি নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।জানতে চাইলে নাহিদ ইসলামও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।এদিকে সন্ধ্যায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।এবি 

    জাতীয়

    সব দেখুন
    ফ্যাসিবাদবিরোধী পাঁচ দলের জরুরী বৈঠক
    দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাইর আহ্বানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী পাঁচটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।বৃহস্পতিবার(২২ মে) দিবাগত রাতে ঢাকার পুরানা পল্টনের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ফ্যাসিবাদ বিরোধী ৫টি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ প্রমুখ।বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়। কোন কুচক্রী মহল যাতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।আগামীতে দেশ গঠনে এবং দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আরো ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ কৌশল গ্রহণের বিষয়ে বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মোহাম্মদ শফিকুর রহমান মুঠোফোনে বৈঠক মতামত ব্যক্ত করেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।এমআর
    জুলাই ঐক্য বিনষ্টের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
    জুলাই ঐক্য বিনষ্টকারী এবং উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় দোসরদের অপসারণ ও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জুলাই ঐক্য।বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান প্লাটফর্মের সংগঠকরা।বিক্ষোভ সমাবেশে প্লাটফর্মের অন্যতম সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, এ জুলাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে যারা ক্ষমতায় বসেছিল তারা বিভিন্ন ইস্যুতে দৃশ্যমান কোনো কাজ করেনি। জুলাইয়ের সৈনিকদের বিপদে ঠেলে দিয়ে তোমরা ক্ষমতা ক্ষমতা করো।ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আপনার আশেপাশে যারা জুলাইয়ের গাদ্দার আছে তাদেরকে অপসারণ করুন।মিনহাজ বলেন, খুনি হাসিনাকে যেভাবে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে ভারতে পালাতে বাধ্য করেছি সেভাবে জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে যারা গাদ্দারি করবে তাদেরকেও আমরা পালাতে বাধ্য করব।উপদেষ্টা মাহফুজের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, মাহফুজ তুমি জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি করেছো। দেশের প্রশ্নে কেউ কাল হয়ে দাঁড়ালে আমরা সহ্য করব না।প্লাটফর্মের মুখপাত্র ইসরাফিল ফরাজী বলেন, আজকে জুলাই যোদ্ধারা মাঠে আছে, এখনও ঘরে ফিরে যায় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত জুলাইয়ের গাদ্দারদের বিচার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জুলাইয়ের যোদ্ধারা ঘরে ফিরবে না। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে। ঘোষণা দিয়ে সসম্মানে আমাদের সঙ্গে থাকুন।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে এ অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছিলাম। এ সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ছিল আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা সেটি না করে নির্বাচন নির্বাচন করছে।তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে কোনো ধরনের ভারতীয় দোসরদের জায়গা হবে না। কতিপয় জুলাই ব্যবসায়ীরা আমাদের ঐক্যকে নষ্ট করেছে। উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন তাদেরকে অতিসত্বর সরাতে হবে।তিন দাবি জানিয়ে মুসাদ্দিক বলেন, সকল জায়গা থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের অপসারণ করতে হবে; দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে; এবং প্রশাসন, গণমাধ্যমে যেসব আওয়ামী লীগের দোসর আছে তাদেরকে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।এমআর
    সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর
    ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রাণরক্ষায় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। আশ্রয় দেওয়া মানুষদের মধ্যে ৫৭৮ জনের নাম প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।আইএসপিআর জানায়, জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলশ্রুতিতে, সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়।এ অবস্থায়, ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকগণ আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পাঁচজন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও পরিবার পরিজন (স্ত্রী ও শিশু) ৫১ জনসহ মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে পাঁচজনকে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে গত ১৮ আগস্ট আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়, যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়। সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল।উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে সংযুক্ত করা হলো বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।এমআর
    ড. ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’, বিবিসিকে নাহিদ
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।নাহিদ ইসলাম নিজেই সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নাহিদ বিবিসিকে বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম।’প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন নাহিদ।নাহিদ বলেন, ‘স্যার বলছেন, ‘‘আমি যদি কাজ করতে না পারি...যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণ অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার.... . । কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবে না। যদি রাজনৈতিক দলগুলা, তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’ ’’এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করতে নাহিদ অনুরোধ করেন বলেও জানিয়েছেন।এনআই
    দায়িত্ব ছাড়লেন জসীম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম
    পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন রুহুল আলম সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার (২২ মে) মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, জসীম উদ্দিনের ছুটিতে যাওয়া সাপেক্ষে রুহুল আলম সিদ্দিকী পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করবেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে আসেন জসীম উদ্দিন।বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে যোগ দেন ৮ সেপ্টেম্বর। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে।সচিব হওয়ার আগে তিনি চীন, কাতার ও গ্রিসে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।তার জায়গায় রুটিন দায়িত্বে পালনে আসা সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বিসিএস একাদশ ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাই কমিশনার এবং পর্তুগালে রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, বার্লিন, নয়াদিল্লি এবং করাচি মিশনে বিভিন্ন পদে ছিলেন তিনি।এবি 
    সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ
    ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রাণরক্ষায় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। আশ্রয় দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।বৃহস্পতিবার রাতে এ তালিকা প্রকাশ করে আইএসপিআর। এর আগে ১৮ আগস্ট আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন নাগরিক সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এই প্রেক্ষাপটে বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবনরক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৬১৫ জন নিজ উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে ৪ জনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সাতজন সেনানিবাসে অবস্থান করছেন। বিস্তারিত আসছে....এবি 
    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন নাহিদ ইসলাম
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চাইছেন’, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলা এমন আলোচনার মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করেন এনসিপির আহ্বায়ক।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন নাহিদ। এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্তে আলাপ করেছেন। অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা পদে থাকার বিষয়টি নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।জানতে চাইলে নাহিদ ইসলামও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।এদিকে সন্ধ্যায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।এবি 
    উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত গ্রহণ
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে ৫ পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষাসামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।অন্যদিকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।বৈঠকে সম্পূরক বিষয়ে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য কি না, বাস্তবায়নযোগ্য হলে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা এবং বাস্তবায়নের প্রভাব বা সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ দফাওয়ারী মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুর্নবাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে বৈঠকে। খসড়াটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।এছাড়া ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।এমআর-২

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরকেই খাবে: আসিফ মাহমুদ
    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরই খাবে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুবক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। পোস্টে তিনি লেছেন, BAL, North & Delhi জোটভুক্ত হয়ে যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরই খাবে। You're not one of them—just co-opted temporarily.তিনি আরও লেখেন, আমাদের না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু। একমাত্র আফসোস, গণতান্ত্রিক রুপান্তর আর এদেশের মানুষের ভাগ্য কোনটাই ইতিবাচক পথে যাবে না আরকি।পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধহয় এদেশের ভাগ্য।এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।এনআই
    যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরকেই খাবে: আসিফ মাহমুদ
    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরই খাবে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুবক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। পোস্টে তিনি লেছেন, BAL, North & Delhi জোটভুক্ত হয়ে যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরই খাবে। You're not one of them—just co-opted temporarily.তিনি আরও লেখেন, আমাদের না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু। একমাত্র আফসোস, গণতান্ত্রিক রুপান্তর আর এদেশের মানুষের ভাগ্য কোনটাই ইতিবাচক পথে যাবে না আরকি।পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধহয় এদেশের ভাগ্য।এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।এনআই
    ঢাকার মেয়র পদে লড়বেন হাসানাত-সাদিক কায়েম
    ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দেওয়ার কথা ভাবছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার- এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারা করবেন- এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ তাদের নিজস্ব মতামত দিচ্ছেন, আবার কেউ জানাচ্ছেন তার নিজের পছন্দের প্রার্থীর নাম।আবার কেউ কেউ কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে ভালো হবে- তা নিয়েও ফেসবুকে পোস্ট করছেন।এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসএসসি) বিএনপি নেতা ইশরাককের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাদিক কায়েমের কথা বলছেন অনেকে।হাসনাত আবদুল্লাহ এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক এবং সাদিক কায়েম শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ ঘটনা নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত।তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শোনা যাচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেবে আসিফ মাহমুদ সরকার। এনসিপির মানুষজন ইশরাক হোসেন বনাম হাসনাত আবদুল্লাহ প্রচারণা চালাচ্ছে। যদি নির্বাচন হয়ই, আমি ব্যক্তিগত আরেকটা অ্যাংগেল দিই। ইশরাক হোসেন বনাম হাসনাত আবদুল্লাহ বনাম সাদিক কায়েম।খেলা হবে?’ইশরাক ও হাসনাতকে নিয়ে কথা বলেছেন এনসিপির যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন গত সাত দিনে ঢাকা শহরে যে নাগরিক-দুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অপরিপক্বতা ও অপরিণামদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে যদি সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয় এবং সেখানে (রুপক অর্থে) হাসনাত আবদুল্লাহ যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে ইশরাক হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে!’তবে কি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাদিক কায়েম?- এ প্রশ্নের উত্তর এখনই না মিললেও সময়ই বলে দেবে।এদিকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল- তা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে ইশরাকের শপথ নিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।এবি 
    বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন: খন্দকার মোশাররফ
    অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। উপদেষ্টা পরিষদে তাদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ পরিচিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাদের অব্যাহতি দেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।বৃহস্পতিবার (২২ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। কিন্তু কোনও কোনও মহলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নই যেন সরকারের কর্ম পরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, এই সরকারের সব কিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে। মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার এই সরকারের রয়েছে বলে জনগণ মনে করে না।নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছে। সরকার অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে বিএনপির মতামত নেয়নি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনে সব দলের মতামত নিয়েছে। আদালতের রায় মেনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করলেও একটি মহল কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এমআর-২
    সব দলের উদ্দেশে জামায়াত আমিরের বার্তা
    ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোকে নতুন বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বার্তা দেন তিনি। পোস্টে জামায়াত আমির লিখেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে মান, অভিমান ও ক্ষোভ একদিকে রেখে জাতীয় স্বার্থে দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাই। যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি।’শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এই জাতিকে সাহায্য করুন এবং সব ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন। আমিন।’এমআর-২
    আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে এসে তিনি এ ঘোষণা করেন তিনি।এর আগে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ৮ দিন আন্দোলন করেন তার সমর্থকরা। এর মধ্যেই মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।রিটটি খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এদিকে মেয়র ঘোষণা নিয়ে রিট খারিজের খবর আসার পর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ছাত্র উপদেষ্টারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের রাস্তায় থাকতে বলছেন ইশরাক।পরে বিকেলে কাকরাইল মোড়ে এসে সমর্থকদের আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।এমআর-২
    আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল
    মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে পশথ পড়ানোর ইস্যুতে উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার (২২ মে) ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়ার পর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে টেলিফোনে গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আমি আশা করব যে, মন্ত্রণালয়ে আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলার চেষ্টা করবেন।ইশরাক হোসেনের শপথ নেয়ার ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদেরকে সড়ক অবরোধ করে না রাখতে আহ্বানও জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।এমআর-২
    ইশরাকের পক্ষে আদালতের রায়ে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে: রিজভী
    ইশরাক হোসেনের পক্ষে আদালতের রায়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান তারেক রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে দেশের মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি শরনার্থী আইনের আওতায় লন্ডনে রয়েছেন। নিরাপত্তার কারণেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেনি। এ সময় খলিলুর রহমানের পদত্যাগ ও বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।মানবিক করিডর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের একেক জন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছে। তাতে মনে হচ্ছে সরকার পথ হারিয়ে ফেলেছে। এ সময় কিছু উপদেষ্টা নিরপেক্ষতার চেয়ে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এমআর-২

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    ঈদুল আযহা কে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তরার কামাররা
    রাজধানীর উত্তরায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে  ততই বাড়ছে টুংটাং শব্দ। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিঠাপিঠিতে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর উত্তরার কামার শালাগুলো। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বঁটি, চাপাতি ও ছুরি। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের।ঈদুল আজহা কিংবা কোরবানির ঈদে গরু, ছাগল উট, মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। এসব পশু কাটাকাটির কাজে ব্যবহার করা হয় দা-বঁটি, ছুরি-চাপাতি ইত্যাদি। এই দিনটিকে অপেক্ষা করে দিন-রাত দা তৈরিতে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা।এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে ছুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, দা ছোট ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বটি বড় ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, চাপাতি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা বিক্রি হয়।উত্তরার বিভিন্ন স্থানে দূর থেকে শোনা যাচ্ছে টুংটাং শব্দ। দোকানে ভিতরে উত্তপ্ত আগুনের পাশে বসে বানানো হচ্ছে চাপাতি। পাশে অপর একজন। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়ার পর বের করে হাতুড়ি পেটাচ্ছেন অপর একজন। তবে যে-সব দোকানে চার থেকে পাঁচজন করে শ্রমিক কাজ করত এখন সেসব দোকানে কাজ করছে দুইজন। তৈরি হওয়া যন্ত্রপাতি দোকানে সামনে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে দা, বটি, চাপাতিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন কামারিদের দোকানে। আবার কেউ কেউ দর দাম করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।বছরের বেশিরভাগ সময় শুধু চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি পুরোনো অস্ত্র শান দিয়েই হয় তাদের যা উপার্জন। এই কাজটি করে চলে তাদের পরিবারের সংসার।কামার জব্বার বলেন, বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি কাজের চাপ থাকে। বছরের এই ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন উপার্জন করার এই সময়ের ঘিরেই করা হয়। তাছাড়া কাঁচামালের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। সেই অনুযায়ী মজুরি পাওয়া যায় না।তারা আরও বলেন, কোরবানি ঈদের সময় আমরা কাজ করে কিছুটা টাকা পাই অন্যান্য সময় তো  কোন ইনকামই হয় না।এসআর
    ভূতের গলিতে যুবককে কোপানোর ঘটনায় মামলা, যা জানা গেল
    রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। গত রোববার (১৮ মে) রাতের এই ঘটনায় গুরুতর আহত ওই যুবক বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম সাইফ হোসেন মুন্না। তিনি নিউমার্কেট থানাধীন ১০ নং সেন্ট্রাল রোড পানির পাম্পের গলির মৃত জমির হোসেনের ছেলে। তাদের বাসা ভূতের গলির শেষ মাথায় চিলড্রেন হোম স্কুলের পাশে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই যুবক বিএনপির কর্মী। এই ঘটনায় মুন্নার ছোট বোন জামিলা কবির লাবনী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- ভূতের গলির পুকুরপাড় এলাকার এমসি শুভ (৩৫), মামুন (৩২), রানা (৩৩), শামীম (৩১) ও মোবারক (৩৩)। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ করেছেন বাদী জামিলা কবির লাবনী।এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ওসি মো. ফজলে আশিক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ঘটনাস্থল নিউমার্কেট থানার অধীনে হওয়ায় সেখানেই মামলা হয়েছে।  নিউমার্কেট থানার ওসি একে এম মাহফুজুল হক  গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা দিকে মামলা হয়েছে। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই যুবকের বাবা নেই। এলাকাবাসী জানিয়েছে, তিনি খুবই নিরীহ প্রকৃতির, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।  ওই যুবক বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। তিনি সার্বক্ষণিক  স্থানীয় বিএনপি নেতা মাইনুল হোসেনের সঙ্গেই থাকেনতিনি আরও বলেন, মুন্নার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল রোডস্থ সুমাইয়া হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার উপর। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ভাইয়ের ওপর হামলা হয়েছে। আশা করি পুলিশি তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মুন্নার ওপর হামলার ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়কের ওপর সাইফ হোসেন মুন্নার গতিরোধ করেন একজন। এ সময় মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন আরও দুইজন। আরেকটি মোটরসাইকেলে সেখানে হাজির হন আরেকজন। এ সময় মুন্নাকে প্রথমে একজন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এক হামলাকারী। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজন এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। ওই ব্যক্তি কালো পাঞ্জাবি এবং হেলমেট পরা ছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করলে অন্যরা মুন্নাকে ধরে মারধর করেন।‎‎জানা গেছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুন্নার হাত ও পায়ে জখম হয়েছেন। তার শরীরে বেশ কয়েকটি কোপের দাগ রয়েছে। দুর্বৃত্তরা মুন্নাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবি 
    মিরপুরে শ্যামল পল্লী বস্তিতে আগুন
    রাজধানীর মিরপুরের ১৩ নম্বরের শ্যামল পল্লী বস্তিতে আগুন লেগেছে। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ১৫ মিনিটের মাথায় মিরপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট সেখানে গেছে। পরে আরও দুটি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। দারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তালহা বিন জসীম আরও বলেন, কুর্মিটোলা ও পল্লবী ফায়ার স্টেশন থেকে আর চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।  এফএস
    সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এতে চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (১৮ মে) বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা।অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদকের নাছির উদ্দিন নাছির রয়েছেন।এছাড়া ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা রয়েছেন।এমআর-২
    উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার
    রাজধানীর আশকোনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় কেএম মুনসুর আলী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। মুনসুর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের দক্ষিণখান থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।রাজধানীর উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় কে এম মুনসুর আলী সুমন (৪০) নামে এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ মে) রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা রেলওয়ে থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন এ তথৗ জানান।তিনি বলেন, সুমন খান দক্ষিণখান থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। রবিবার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুমন খানের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলায়।পল্লবী হাজি মার্কেট এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনা। তাঁর স্ত্রী শিল্পি খাতুনও এসআই পদে গুলশান থানায় কর্মরত।এআই
    ঘের নিয়ে দ্বন্দ্ব, নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি খুন
    যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে (৫০) এলোপাতাড়ি ও গুলি করে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভয়নগর উপজেলার সুন্দলি ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে শালিস চলাকালীন খুনের ঘটনাটি ঘটে। তরিকুল ইসলাম ধোপাদি গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গোলযোগে হত্যাকান্ডটি হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। বর্তমানে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একটি মাছের ঘের নিয়ে ডহর মশিয়াহাটীর গ্রামের পিন্টু ও স্থানীয় একটি গ্রুপের কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিন্টুর বাড়িতে শালিসের আয়োজন করা হয়। শালিস চলাকালীন দুই পক্ষ গোলযোগে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুর্বৃৃত্তরা তরিকুলের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যশোর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ জাকির হোসেন জানান, নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের একটি মাছের ঘের রয়েছে। ওই ঘেরটি লিজ দেয়ার জন্য তিনি পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান তরিকুল ইসলাম। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে দুর্বৃত্তরা তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলীম জানান, মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে কৃষকদল সভাপতি তরিকুল খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে শুরু করেছে।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, খুনের খবর জানার সাথেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কি কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।এনআই
    মোংলায় কোষ্টগার্ডের "তারুন্যের উৎসব" মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন
    মোংলায় "তারুন্যের উৎসব-২০২৫” শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে অসহায়, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড।বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তীর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার জয়মনিঘোল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এ মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে প্রায় দুই শতাধিক অসহায়, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেডিকেল অফিসার সার্জন লেঃ রাইহানুল জান্নাহ ।কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ  বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২২ মে)  সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন মোংলার জয়মনিঘোল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় "তারুন্যের উৎসব ২০২৫" শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে প্রায় দুই শতাধিক অসহায়, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও, অবৈধ মৎস্য আহরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবিদের উদ্দেশ্যে জন সচেতনতা মূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। এ সময়  স্থানীয় প্রশাসন, বনবিভাগের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিগণ এবং সাধারন জনগণ উপস্থিত ছিলেন।এনআই
    জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা শিয়ালমারি পশুর হাট
    পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশুহাট। সাপ্তাহিক এ পশুহাটে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কোরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কোরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক শিয়ালমারি পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি। অনেকেই হাট ঘুরে কোরবানির গরু ও ছাগল পছন্দ করে করছেন। কেউ আবার পচ্ছন্দের পশুটির দরদাম করছেন।অধিকাংশ ক্রেতারা দেশি জাতের মাঝারি সাইজের গরু পছন্দ করছেন। ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু নিয়ে খামারিদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ লাখ টাকার উপরে দামের গরুগুলো কম বিক্রি হচ্ছে।গরু বিক্রি করতে আসা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের খামারি সামাদ আলী বলেন, নিজের পোষা ৩টি গরু আজ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। গরু নিয়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত শুধু একজন ছাড়া আর কেউ গরুর দাম জানতে চাইনি। একজন ক্রেতা ৩টি গরু সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছে। অথচ ২ মাস আগে এই ৩টি গরুর দাম বলেছিলো ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজারে গরুর খাদ্য খুদ, ভূষি ও বিচালির দাম অনেক বেশি। গরু ৩টি লালন-পালন করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তাতে করে এই দামে গরু বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।রায়পুর গ্রামের আরেক গরু বিক্রেতা শাহজামাল হোসেন বলেন, একটি দেশি জাতের গরু বাড়িতে পালন করে আজ বিক্রি করতে হাটে এসেছি। আনুমানিক ৪ মন ওজনের গরুটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।কোরবানির ছাগল কিনতে আসা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির জন্য একটা ছাগল কিনতে এসেছি। হাটে অনেক ছাগল এসেছে। দামদরে যদি ভালো মনে হয় তাহলে কিনবো। তা না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে কিনবো।পশুহাটে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম। তবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রেতারা বলেছেন, আর দুই-তিনটা স্থানীয় হাটে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাবো। বিক্রি না হলে গরুগুলো রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পশুহাটে বিক্রি করবো।এইচএ
    জমে উঠেছে জীবননগরের শিয়ালমারী পশুর হাট
    পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশুরহাট। সাপ্তাহিক এ পশুরহাটে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কোরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কোরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক শিয়ালমারী পশুরহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি। অনেকেই হাট ঘুরে কোরবানির গরু ও ছাগল পছন্দ করে করছেন। কেউ আবার পচ্ছন্দের পশুটির দরদাম করছেন।অধিকাংশ ক্রেতারা দেশি জাতের মাঝারি সাইজের গরু পছন্দ করছেন। ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু নিয়ে খামারিদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ লাখ টাকার উপরে দামের গরুগুলো কম বিক্রি হচ্ছে।গরু বিক্রি করতে আসা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের খামারি সামাদ আলী বলেন, নিজের পোষা ৩টি গরু আজ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। গরু নিয়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত শুধু একজন ছাড়া আর কেউ গরুর দাম জানতে চাইনি। একজন ক্রেতা ৩টি গরু সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছে।  অথচ ২ মাস আগে এই ৩টি গরুর দাম বলেছিলো ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজারে গরুর খাদ্য খুদ, ভূষি ও বিচালির দাম অনেক বেশি। গরু ৩টি লালন-পালন করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তাতে করে এই দামে গরু বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।রায়পুর গ্রামের আরেক গরু বিক্রেতা শাহজামাল হোসেন বলেন, একটি দেশি জাতের গরু বাড়িতে পালন করে আজ বিক্রি করতে হাটে এসেছি। আনুমানিক ৪ মন ওজনের গরুটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।কোরবানির ছাগল কিনতে আসা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির জন্য একটা ছাগল কিনতে এসেছি। হাটে অনেক ছাগল এসেছে। দামদরে যদি ভালো মনে হয় তাহলে কিনবো। তা না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে কিনবো।পশুহাটে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম। তবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রেতারা বলেছেন, আর দুই-তিনটা স্থানীয় হাটে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাবো। বিক্রি না হলে গরুগুলো রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পশুহাটে বিক্রি করবো।পিএম
    চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
    চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি গ্রামের হোগলারদাড়ির জিকে খালের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ জিকে খালের পাশ থেকে বিবস্ত্র ও অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের পরিচয় সনাক্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে কাজ করছে।স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা জিকে খালের পাশে বিবস্ত্র ও অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে জামজামি ফাড়ি পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ওই মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন ৩-৪ দিন আগের মরদেহ। তার শরীরে পচন ধরেছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুরুষাঙ্গ ও হাত-পায়ের নখ কেটে ফেলে হয়েছে।আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে হত্যা করা হতে পারে। পরিচয় সনাক্তে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশ কাজ করছে।এসআর
    তেলের টাংকিতে কাজ করতে গিয়ে নিহত ১,আহত ৩
    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড তেলের ডিপোতে কাজ করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ৪ শ্রমিক। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে চারজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে দিকে ফৌজদারহাট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংলগ্ন সিডিএ রোডের মুখে জামাল কোম্পানির কালো তেলের  ডিপোতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ সোহেল রানা।আহতদের নাম জানা গেলেও কিন্তু নিহত হওয়ার ব্যক্তির নাম সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহতরা হলেন, আরিফ, সুলতান, পেয়ারু, মীর আহমেদ। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কুমিরা ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, জামাল কোম্পানির স্ক্র্যাপ জাহাজের কালো তেলের ডিপোতে পুরাতন একটি টাংকিতে একজন শ্রমিক প্রবেশ করেন। এ সময় ওই শ্রমিক টাংকির ভিতরে অক্সিজেন সল্পতার কারণে আটকা পড়লে আরো একজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করতে টাংকির ভিতর নামেন। এভাবে একে একে  চারজন শ্রমিক টাংকির ভিতর অক্সিজেন সল্পতার কারণে আটকা পড়েন। এর মধ্যে স্থানীয়রা কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ঘটনাস্থলে একটি টিম এসে চারজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কালো তেলের ডিপোর মালিক জামাল উদ্দিন বলেন,  আমি বাহিরে আছি। শুনেছি কয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি তারপর জানতে পারব বিস্তারিত।কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের আল মামুন বলেন,  ডিপোর ভিতরে একটি টাংকির ভিভরে কাজ করতে গিয়ে অক্সিজেন সল্পতার কারণে ভিতরে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় চার শ্রমিককে  চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন,  আহত ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যায়। কিন্তু নাম সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।এনআই
    রাঙ্গামাটিতে ভূমিধস রোধে জেলা প্রশাসনের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সূমহ পরিদর্শন
    পাহাড়ি ভূমিধস রোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ এক বিশেষ সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে  উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) জনাব মো: মোবারক হোসেন বৃহস্পতিবার ( ২২ মে) বিকালে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ভেদভেদী এলাকার শিমুলতলি ও লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পাহাড় ধসে সম্ভাব্য বিপদের বিষয়ে সবাইকে অবহিত করেন। পাশাপাশি তিনি সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং পাহাড়ি এলাকায় পরিকল্পনাহীন নির্মাণ ও বৃক্ষনিধনের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।তিনি বলেন, “ভূমিক্ষয় পার্বত্য এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বড় হুমকি। এ থেকে সৃষ্ট ভূমিধস মানুষের জানমালের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং পাহাড় রক্ষা ও নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ভবিষ্যতেও এ ধরনের সচেতনতামূলক অভিযান ও প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানান হয়।এনআই
    দূর্গম নয় মাইল এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিয়েছে দীঘিনালা জোন
    খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের দীঘিনালা সেনা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে একটি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার  মেরুং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নয়মাইল এলাকায় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। এতে নয় মাইল এলাকা ও আশপাশের  ৩ শতাধিক মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ গ্রহণ করেন।দীঘিনালা সেনা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ওমর ফারুক (পিএসসি) এর নির্দেশনায় (আরএমও) ক্যাপ্টেন রাকিবুল ইসলাম চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। আরএমও ক্যাপ্টেন রাকিবুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর দীঘিনালা সেনা জোনের পক্ষ থেকে পিছিয়ে পড়া ও অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্য আজকের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের পক্ষ থেকে এমন জনসেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।এনআই
    লামায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার
    পার্বত্য বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ধারালো ছুরি ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল ৫টায় লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড সিলেটি পাড়া আব্দুল করিমের বাড়ির পাশ থেকে এইসব উদ্ধার হয়।উক্ত উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা গোয়েন্দা শাখার প্রধান কামরুল আজম, লামা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক, উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান, সাংবাদিকসহ স্থানীয় লোকজন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম উদ্ধার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের জানান, লামা আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেডের টাকা ডাকাতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী লামা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। বিকেল ৫টায় ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিমের বাড়ির পাশ থেকে তার দেখানো তথ্য মতে মাটি খুঁড়ে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড বুলেট, ধারালো ছুরি, লোহা কাটা কাটার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লামা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিম কে গ্রেফতার করা হয়।উল্লেখ্য যে, গত ৯ মে ভোর রাতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল অজ্ঞাতনামা ডাকাত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিস কক্ষে ঢুকে স্ট্যাফকে মারধর ও বেঁধে রেখে আলমারিতে রক্ষিত এক কোটি পঁচাত্তর লাখ ছয়শ আটত্রিশ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ১০ মে লামা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে মামলা হয়।উক্ত মামলায় এই পর্যন্ত মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ৬টি পৃথক অভিযানে মোট ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে।এমআর
    হালদা নদীতে অভিযানে জাল ও বরশি ধ্বংস
    ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের যৌথ অভিযানে হালদা নদী থেকে জব্দকৃত ১০টি চরঘেরা অবৈধ  জাল এবং ৩৫৭টি বিভিন্ন ধরনের বরশি ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত চরঘেরা জালগুলোর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩০০ মিটার।বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকালে  উপজেলা  মাঠে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে এসব অবৈধ মাছ ধরা সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাসিম আল মাহমুদ, ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আজিজুল ইসলাম এবং রাউজান উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আলমগীর আজাদী।ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আজিজুল ইসলাম জানান, আমরা ফটিকছড়িবাসী হালদা নদীর আমানতদার। এ আমানতদারিতা রক্ষা করতে অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশে বিশুদ্ধ প্রজাতির মাছ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে হালদা নদীতে ব্যবহৃত জাল,বরশি, ঝাক বা বাঁশের ভেলা উচ্ছেদ করতে উপজেলা মৎস্য দপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।এনআই
    গাজীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪৭ জন
    কোনো তদবির বা ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে শুধুমাত্র শারীরিক ও মেধাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে গাজীপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৪৭ জন বেকার ছেলে-মেয়ে। তাদের মধ্যে ৪১ জন ছেলে ও ৬ জন মেয়ে। অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন আরও ৯ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান, চা দোকানীও রয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুর পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে শারিরীক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন নিয়োগ কমিটির কমিটির চেয়ারম্যান ও গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নিয়োগ কমিটির সদস্য, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) আমিনুল ইসলাম, গাজীপুর পুলিশ লাইন্সের আর ও আই মিজানুর রহমান, আর ও-১ এ কে এম আমিনুল ইসলাম।ফলাফল ঘোষণার সময় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী প্রায় সকল প্রার্থী ও অনেক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।পুলিশ সুপার চৌধুরী মো: যাবের সাদেক বলেন, নিয়োগের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা ও ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক কোটা ছিল কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় একজন্র উত্তীর্ণ হয়নি। ফলে ৪৭ জন প্রার্থীই মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে। নিয়োগ যাতে স্বচ্ছ করা যায়, কেউ যাতে দালালের খপ্পরে না পরে সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়। শতভাগ স্বচ্চ, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এই ৪৭ জন প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে, তাদের মেডিকেল টেস্ট করা হবে। মেডিকেল টেস্টে যদি কেউ বাদ পড়ে, তার জন্য ৬ জনের একটি অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।ফলাফলে প্রথম হয়েছেন আমিলুল ইসলাম সাগর। তিনি গাজীপুর মহানগরী শিমুলতলী কলেজ গেট এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তার মা একজন গৃহিণী। তিনি বলেন, কোথাও কোন তদবির করতে হয়নি এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। পরিবারে আর কেউ উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি নেই। তিনি পরিবারের অভাব দুর করার পাশাপাশি দেশ সেবা করতে চান।গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা রফিক শেখ। তার মেয়ে সিমেন আক্তার রিমি। এই নিয়োগে উত্তীর্ণ হয়েছে। শতভাগ স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হওয়ায় তিনি খুবই খুশি। তিনি বলেন, তদন্তের জন্য যখন পুলিশ সদস্য তার বাড়িতে যায়, তাকে অনেক অনুরোধ করেও বাড়িতে এক গ্লাস পানি পান করাতে পারেননি।ঋতু রানী দাস। কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক নয়ন বাজারের বাসিন্দা। তার পিতা-মাতা কেউ জীবিত নেই। তিনি বলেন, তার বাড়ির পাশে পুলিশ ক্যাম্প আছে। তাদের বাড়িতে যখন ফাড়ির কোন মহিলা পুলিশ আসত, তখন বাবা বলত- আমার মেয়েও যদি এ রকম পুলিশ হতো। তিনি স্বপ্ন দেখতেন তার মেয়ে পুলিশ হবে। ঋতু রানী কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, আজকে আমি পুলিশ হয়েছি, কিন্তু আমার বাবা দেখে যেতে পারল না।তিনি আরো বলেন, আমি লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট ফেল করেছি ভেবে চলে গিয়েছিলাম। পরে আমাকে ফোন করে পাশের খবর জানালে আমি পুনরায় এসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেই। তিনি বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হওয়ায় আমি নিয়োগ পেয়েছি।গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকাশ্বর এলাকার মিস্ত্রি বিল্লাল হোসেনের ছেলে আবির হোসেন। তিনি নিজে ইলেক্ট্রিকের মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্বপ্ন ছিল পুলিশের চাকরি করবে। বাবা-মা এবং সংসারের অভাব গোচাবে এবং দেশের সেবা করবে।এনআই
    ড. ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’, বিবিসিকে নাহিদ
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।নাহিদ ইসলাম নিজেই সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নাহিদ বিবিসিকে বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম।’প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন নাহিদ।নাহিদ বলেন, ‘স্যার বলছেন, ‘‘আমি যদি কাজ করতে না পারি...যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণ অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার.... . । কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবে না। যদি রাজনৈতিক দলগুলা, তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’ ’’এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করতে নাহিদ অনুরোধ করেন বলেও জানিয়েছেন।এনআই
    নরসিংদীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
    নরসিংদীতে অতিরিক্ত গতির অনিয়ন্ত্রিত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার( ২২ মে) দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিট এর দিকে নরসিংদী পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।নিহত কলেজ শিক্ষার্থীর নাম মাছুম(১৭)। তিনি নরসিংদী আইডিয়াল কলেজের মানবিক বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার রাঙামাটি এলাকায়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে মাসুম  মাছুম বাড়ি থেকে বের হয়ে তার মোটরসাইকেল নিয়ে নাগরিয়াকান্দি ব্রীজ এলাকায় ঘুরার জন্য যায়। এসময় ব্রীজে উঠার আগেই অতিরিক্ত গতির কারনে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার গার্ডারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক জানান, দুপুরে নাগরিকান্দি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় একজন কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।এনআই
    সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই গ্রেফতার
    রাজধানীর উত্তরা থেকে বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ডা. খন্দকার রাহাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরে তার নিজ বাসা থেকে রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা রয়েছে।ডিবি-উত্তরা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ডা. খন্দকার রাহাত হোসেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই এবং শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। খন্দকার রাহাত হোসেনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলা রয়েছে।জানা গেছে, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২২ জুলাই রামপুরা ব্রিজ ও পুলিশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছিল আন্দোলনরতরা। পরে সেখানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরতদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হন। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম নামে একব্যক্তি গুরুতর আহত হন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি রামপুরা থানায় মামলা করেন।এদিকে রাহাত হোসেনের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। তাদের এমন একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছিল।অভিযানে অংশ নেওয়া ডিবি-উত্তরার এডিসি হেলালউদ্দিন ভূইয়া জানান, সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের কট্টরপন্থি নেতা রাহাত হোসেন। তার বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।এনআই
    গাজীপুরে রহস্য ঘেরা প্রাচীন পাথরকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাকাশ্বর গ্রামে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত একটি রহস্যময় প্রাচীন পাথরকে ঘিরে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহল।শত শত বছর ধরে মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকা এই পাথরটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘শ্রী শ্রী মাধব মন্দির’ নামে।স্থানীয়দের মতে, পাথরটির আবিষ্কার এক আশ্চর্যজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘটে। জানা যায় পার্শ্ববর্তী মাধবচালা গ্রামে মাটি খুঁড়তে গিয়ে প্রথম পাথরটি আবিষ্কৃত হয়।পরবর্তীতে অজানা কারণে কেউ বা কারা এটি তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়। অনেক বছর পর, একদল জেলে মাছ ধরতে গিয়ে নদীর তলদেশ থেকে পাথরটি খুঁজে পান। এ ঘটনাকে অলৌকিক বলে বিবেচনা করে।হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন একে পবিত্র নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করেন এবং একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানে পাথরটি স্থাপন করেন।এরপর থেকেই এই স্থানটি 'শ্রী শ্রী মাধব মন্দির' নামে পরিচিতি লাভ করে।স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন, পাথরটির রয়েছে অলৌকিক শক্তি।অনেকে মনে করেন, এটি মনোবাসনা পূরণে সক্ষম। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা মানত নিয়ে আসেন এখানে।কেউ কেউ বলেন, স্বপ্নে এই পাথরটি দেখেছেন, আবার অনেকে এর অলৌকিক শক্তির কারণে আশীর্বাদপ্রাপ্ত কিংবা শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলেও দাবী করেছেন।পাথরটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানান কিংবদন্তি ও লোককথা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিকবার এটি চুরি হলেও আবার ফিরে এসেছে নিজ অবস্থানে, যা এলাকার মানুষের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে।কিছু ধর্মপ্রাণ হিন্দু বিশ্বাস করেন, পাথরটির ভেতর ‘দেবত্ব’ বিরাজ করছে।এই বিশ্বাস থেকেই প্রাচীনকাল থেকেই এটি পূজিত হয়ে আসছে।বর্তমানে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্রী অনিল চন্দ্র নামের এক ব্যক্তি এই পাথরটি দেখাশোনা করছেন।ছোট্ট একটি  ঘরে পাথরটি সংরক্ষিত রয়েছে।প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ দর্শনে আসেন, পূজা দেন, মানত করেন, প্রার্থনা করেন।তবে এই পাথরটি আসলে কত বছর পুরনো, এটি কী ধরনের খনিজ পদার্থের তৈরি, কিংবা কোথা থেকে এসেছে—তা নিয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা প্রামাণ্য ইতিহাস পাওয়া যায়নি।প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণা বা বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ এই বিষয়ে আলোকপাত করতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।স্থানীয় প্রশাসন বা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যদি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করে, তবে হয়তো রহস্য ঘেরা এই প্রাচীন নিদর্শনের প্রকৃত ইতিহাস উন্মোচিত হতে পারে।ততদিন পর্যন্ত এটি থেকে যাবে একটি লোকবিশ্বাস, একটি অলৌকিক কাহিনির অংশ হিসেবে-যা যুগের পর যুগ ধরে মানুষের মনকে নাড়া দিয়ে চলেছে।এলাকাবাসী ও ভক্তদের দাবী, এই পাথরটি যেন যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও গবেষণার আওতায় আনা হয়, যাতে আগামী প্রজন্মও জানতে পারে এর গৌরবময় ও রহস্যময় অতীত।এনআই
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো এস এম সুলতান চিত্র প্রদর্শনী
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অনুষ্ঠিত হলো ‘এস এম সুলতান প্রদর্শনী’ শীর্ষক এক বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী।বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাংস্কৃতিক সংগঠন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা সংসদ (ববিচাস)-এর আয়োজনে দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আঁকা নানান শিল্পকর্ম স্থান পায়। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা ও শিল্পবোধের প্রকাশ ঘটান।প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ববিচাসের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।আয়োজকরা জানান, এটি ববিচাসের দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন। তারা বলেন, “ছবি আঁকা অনেকের শখ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ব্যস্ততায় তা হারিয়ে যেতে বসে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ধরে রাখতে ও তা সবার সামনে তুলে ধরতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”চারুকলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাদনান ফাহিম বলেন, “যারা ছবি আঁকেন বা ভালোবাসেন, তাদের জন্যই এই আয়োজন। এতে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং অন্যরাও এতে অনুপ্রাণিত হবেন।”প্রদর্শনী ঘুরে দেখা শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন শিল্পবোধ গঠনে সহায়ক। নিয়মিত এ রকম প্রদর্শনী হলে অনেকেই ছবি আঁকায় আগ্রহী হবেন।সকলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে এবং শিক্ষার্থীদের বিপুল আগ্রহে প্রদর্শনী উপভোগ করতে দেখা যায়।এনআই
    বাউফলে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ করায় বড় ভাইকে কুপিয়ে জখম
    পটুয়াখালীর বাউফলে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ করায় বড় ভাই তাওসিফ ইসলাম অর্ককে (১৭) পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত তাওসিফ ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলা সদরের স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সড়কে এ ঘটনা ঘটে।তাওসিফ ইসলাম পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি উপজেলার কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. ফয়সাল খানের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পূর্ব বিরোধের জেরে মোশারেফ হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে গত মঙ্গলবার তাওসিফ ইসলামের বাবা ফয়সাল খান পুলিশে সোপর্দ করেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্বৃত্তরা ফয়সাল খানের সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলে তাসিন ইসলাম সূর্য্যকে (১৩) হাতুড়িপেটা করে আহত করে। এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিকেলে তাওসিফ ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তাসিনের সহপাঠী ও এলাকাবাসি। পরে  বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাওসিফ ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গেলে দুর্বৃত্তরা তাওসিফ ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।তাওসিফ ইসলামের অভিযোগ করেছেন, মাহতুল মুসা ও মোসারেফ আমাকে দা দিয়ে কুপিয়েছে। এর আগে তার ছোট ভোইকেও হাতুড়িপেটা করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা।অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে পরিবার স্বজনরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কোন স্বজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। পূর্ব বিরোধের জেরে নাম জড়ানো হচ্ছে।’উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শাহরুখ আহম্মেদ বলেন, তার (তাওসিফ ইসলাম) ডান পায়ের গোড়ালির ওপরে রগে গুরুতর জখম রয়েছে। অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল বোঝা যাচ্ছিল না, রগ কেটেছে কিনা। এ কারণে দ্রæত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন,‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছে। এজাহার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এমআর
    আমতলীতে পশুর ছড়াছড়ি, ক্রেতা কম: চাঁদার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরগুনার আমতলীতে ৮টি বাজারে বেশ পশু আসছে। উপজেলায় চাহিদার চেয়ে পশু বেশী রয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম। কিন্তু সড়কে চাঁদার ভয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজারে আসছেন না বলেন জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সড়কে চাঁদা বন্ধের দাবী জানিয়েনে তারা।    আমতলী উপজেলায় প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কোরবানীর জন্য ৮ হাজার ৮’শ ১৩ টি গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে উপজেলার ৯ হাজার ৭০ টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯’শ ১২ টি গরু, ৫৯৫ টি মহিষ, ২ হাজার ৫ টি ৬৩ টি ছাগল। চাহিদার তুলনায় ২’শ৫৭ টি পশু বেশী রয়েছে। শেষ সময়ে ভালো লাভের আশায় ব্যস্ত খামারীরা। খুব যত্ন সহকারে গবাদি পশুর দেখভাল করছেন তারা। ইতিমধ্যে খামারীরা বাজারে পশু নিয়ে আসছেন।উপজেলার ৮ টি হাটের গরু দেশের যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নওগা ও নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হয়। ওই অঞ্চলগুলোর পাইকারী ব্যবসায়ীরা আমতলীর হাটগুলো গরুর হাট থেকে পশু ক্রয় করেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার ভয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজারে আসছেন না এমন অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ফলে গরুর দাম কম যাচ্ছে। প্রশাসনকে দ্রুত সড়কের চাঁদা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন তারা। গাজীপুর বন্দরের গরু ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এ বছর বাজারে গরু অনেক বেশী উঠছে। গত বছরর তুলনায় এ বছর বড় ও মাঝাই ধরনের গরু ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কোরবানী উপযুক্ত ৫২ টি গরু বিক্রি করেছি। তেমন বেশী লাভ হয়নি। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা সড়কে চাঁদার ভয়ে বাজারে আসছেন না। ফলে গরুর দাম কম। ২৭ টি গরু ঢাকায় নেয়ার উদ্দেশ্যে ট্রাক লোড করছি। কিন্তু সড়কের চাঁদার জন্য ভয় হয়। এক ট্রাক গরু ঢাকায় পৌছতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ চাঁদা বন্ধের দাবী জানান তিনি।  নেত্রকোনার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম ও নওগাঁ ব্যবসায়ী গফুর মিয়া বলেন, গরু ক্রয় করে ট্রাক লোড দিয়েছি। কিন্তু যথাস্থানে যেতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে হয়। এ নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা বেশ সমস্যায় আছি। তারা আরো বলেন, সড়কে চাঁদা বন্ধ হলে আমরা অল্প লাভে গরু বিক্রি করতে পারতাম। এখন ওই সকল খরচ ক্রেতাদের ওপরে বর্তায়।খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, বাজারে চাহিদার তুলনা গরু বেশী উঠেছে। কিছুটা কম দামে পশু বিক্রি হচ্ছে। খামার মালিকার পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন। পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৪০ হাজার টাকায় একটি ছোট গরু ক্রয় করেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম কম। জিমি এগ্রো ভেট এর মালিক আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, আমার খামারে কোরবানী উপযোগী ১৭ টি গরু রয়েছে। ওইগুলো বিক্রি করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমি গরু বাজারে নেব না। খামারে রেখেই বিক্রি করবো। অনেক ব্যবসায়ী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। খামারী জাহাঙ্গির বলেন, খামারের ৮ টি গরু বিক্রি করেছি। কোরবানী কাছাকাছি আসলে হয়ত দাম বৃদ্ধি পেতে পারে কিন্তু সেই ঝুঁকি নেইনি। আমতলী গরু হাটের ইজারাদার আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, বাজারে অনেক গরু আসছে, বিক্রিও ভালো। এ বাজারে ৫’শ গরু বিক্রি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঈদুল আজহা কাছাকাছি আসলে বিক্রি আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম কিছুটা কম। আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, উপজেলার সকল বাজারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা পশু ক্রয়-বিক্রি করে যাতে নির্বিঘে বাড়ী ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, জাল টাকা লেনদেন যাতে না হয় বেশী ব্যাপারে নজরদারী থাকবে। সড়কের চাঁদা বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন মতেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। আমতলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাদেকুর রহমান বলেন, উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশী গবাদি পশু রয়েছে। কোরবানীর চাহিদা পুরণ হয়েও কিছু পশু উদ্ভুত্ত থাকবে। তিনি আরো বলেন, বাজার মনিটরিং করতে দুইটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বাজারে পরিদর্শনে গিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, পশুর হাটগুলোর উপরে বেশ নজরদারী রয়েছে। কেউ সড়কে চাঁদা আদায় করতে পারবে না। সড়কে চাঁদা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।   এসআর
    হারানো বিড়াল খুঁজে পেতে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, পুরস্কার ঘোষণা
    বরগুনার তালতলী উপজেলায় হারিয়ে যাওয়া একটি পোষা বিড়াল খুঁজে পেতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন মোসা. মারিয়া নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী। প্রিয় পোষা বিড়ালটিকে খুঁজে পেতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছেন। কেউ বিড়ালটিকে খুঁজে দিলে এক হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।প্রায় তিন মাস ধরে পোষা বিড়ালটি লালন-পালন করেছেন মোসা. মারিয়া। তিনি তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও বড়বগী সদর ইউনিয়নের উপজেলা সড়কের বাসিন্দা। প্রিয় পোষা বিড়ালটির ছবি দিয়ে ওই পোস্টারে লিখেন, গত ১৯ মে ২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যায় প্রিয় বিড়ালটি নিখোঁজ হয়। বিড়ালটি সাদা-রঙের লম্বা লোমওয়ালা, বড় চোখের ছিলো, বয়স ৪ মাস ১০ দিন। বিড়ালটিকে ‘সিম্বা’ বলে ডাকলে সাড়া দিতো। সম্ভবত বিড়ালটি হারিয়ে গেছে বা কেউ ভুলে নিয়ে গেছে। যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি খোঁজ পেয়ে থাকেন তাহলে যোগাযোগ করবেন। বিড়ালটির খোঁজ দিতে পারলে তাকে ১ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে।এ সম্পর্কে মোসা. মারিয়া বলেন, ‘আমি শখের বসে মার্চ মাসে বরিশাল থেকে বিড়ালটি ৫ হাজার টাকায় ক্রায় করি। তখন ওর বয়স ছিলো ১ মাস ১৭ দিন। এরপর থেকে তাকে পোষা শুরু করি। ধীরে ধীরে সে আমার খুব আপন হয়ে ওঠে। আদর করে নাম রেখেছি ‘সিম্বা’। ওরে ‘সিম্বা’ বলে ডাক দিলেই সাড়া দিতো। পরে গত ১৮ মে আমাদের বাসায় মেহমান আসে তার পরের দিন সন্ধায় প্রিয় বিড়ালটি নিখোঁজ হয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, জানিনা বিড়ালটা কোথায় আছে, কী হালে আছে। কী খাচ্ছে এই চিন্তায় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমার ‘সিম্বা’ হয়তো আমাকে পাগলের মতো খঁজে বেড়াচ্ছে। পোস্টার সাঁটানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিম্বা’কে হারানোর কষ্ট থেকেই পোস্টার ছাপিয়েছি। কত স্মৃতি বিড়ালটির সঙ্গে। নইলে কি আর কেউ এ রকম করে পোস্টার ছাপায়?এসআর
    বাউফলে ইউএনওর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
    পটুয়াখালীর বাউফলে ‘অবহিত না করে’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিয়ে তর্কের জেরে বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ এইচ এম শহীদুল হকের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়েছে।বুধবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাউফল উপজেলার সর্বস্থরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের পাবলিক মাঠ-সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে কয়েকটি ঝাড়– প্রদর্শণ করা হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয় ।পরে তারা সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।বক্তারা বলেন, একজন ইউএনও যেভাবে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ঔদ্ধত্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তা খুবই ভয়ংকর এবং দুঃখজনক। তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর। শেখ হাসিনার মূখ্য সচিবের আপন ভাগ্নি জামাই। এমন ফ্যাসিবাদ ইউএনওকে অপসারণ করতে হবে।শহীদুল হক দৈনিক কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধিও। স্থানীয়ভাবে তিনি এমরান হাসান সোহেল নামে পরিচিত।উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক এ এইচ এম শহীদুল হক অভিযোগ করেছেন,‘ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার হুমকির দেওয়ার পর ইউএনও আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে ইউএনও আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সমজোতা করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ কারণে তিনি শঙ্কিত।’এ বিষয়ে জানতে ইউএনও আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শহীদুল হককে কোনো মাধ্যমেই সমজোতা করার জন্য চাপ দেননি। প্রথমত শহীদুল হক অনুষ্ঠানের অনুমতি নেননি। এরপরে তিনি ও তার সঙ্গীয় লোকজন তার সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক ও অসাদাচরণ করেছেন। ভিডিও দেখলেই বুজতে পারবেন। অথচ তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে পরিবেশ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।উল্লেখ্য,গত সোমবার বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ‚ড়ান্ত পর্বের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার সময় বিতর্ক প্রতিযোগিতার শেষ পর্বে অংশ নিতে বিদ্যালয়ে আসেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে এসেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। এ নিয়ে এ এইচ এম শহীদুল হকের সঙ্গে ইউএনওর কথা-কাটাকাটি হয়।এ সময় শহীদুল হক বলেন, ‘আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, একজন কৃষকের ফোনও ধরতেও বাধ্য।’ এর পর খেপে গিয়ে ইউএনও আমিনুল বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’ তখন শহীদুল বলেন, ‘ক্ষমতা আছে, আপনি দেন শাস্তি।’ এ সময় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।এনআই
    ওসির গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষার্থীর
    ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) গাড়ি চাপায় ঈমাম উদ্দিন (০৭) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বারবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঈমাম উদ্দিন উপজেলার বারবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাড়া গ্রামের হাবিল মিয়ার ছেলে এবং ঐ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।নিহতের আপন বড়চাচা মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, সকালে আমার ভাতিজা স্কুলে গিয়েছিল, স্কুল ছুটি হলে সে বের হতেই ওসির গাড়ির নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়, সে সময় ওসি সাহেব গাড়িতে ছিল। ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় এলাকাবাসীকে কিছু না বলে তারাহুরো করে ওসির গাড়িতে করে আহত অবস্থায় দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায়।ঈমামের মা বকুলী আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘নিজে না খেয়ে ছেলেকে মানুষ করছিলাম। সকালে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম, পুলিশ আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই, আর কিছু চাই না।'বারবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম শিফটের ক্লাস শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় চিৎকার শুনে রুমের বাহিরে বেরিয়ে দেখি ওসির গাড়ির সামনে এক শিক্ষার্থী পড়ে আছে, সামনেই ওসি দাঁড়িয়ে ছিল, আমি যাওয়ার পর ওসি আমাকে কিছু না বলে তারাহুরো করে ঈমামকে নিয়ে চলে যায়।বারবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ওসি সাহেব আমার সাথে দেখা করে চলে যাওয়ার পর ঘটনা ঘটেছে, ঘটনার সময় তিনি আমার সাথে ছিলেন না।অভিযোগ অস্বীকার করে গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, এক্সিডেন্ট তো হতেই পারে, যে যা বলবে সেটা তো সঠিক না। আমি ওসি যা বলবো তাই সঠিক।ঘটনার সময় আমি বারবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামানের অফিসরুমে ছিলাম, চিৎকার শুনে বাহিরে বেরিয়ে দেখি গাড়ির নিচে এক শিক্ষার্থী পড়ে আছে, সাথে সাথে তাকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে একাধিকবার মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।এনআই
    টিভি দেখতে বারণ করায় বিষপানে তরুণীর আত্মহত্যা
    ময়মনসিংহের নান্দাইলে টিভি দেখতে বারণ করায় মায়ের উপর অভিমান করে বিষপানে মিনা আক্তার (১৮) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২১ মে)রাত ১০টার দিকে উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের জলহরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিনা আক্তার ওই গ্রামের মো.সাইদুল ইসলামের মেয়ে।সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করে। নিহত মিনার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে মিনা টিভি দেখছিল।এ সময় তার মা দেলোয়ারা বেগম পড়ার টেবিলে বসার জন্য তাগিদ দেয়।কিন্তু টিভি দেখা বন্ধ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে টিভি বন্ধ করে দেন।এতে মিনা রাগ করে অন্য একটি রুমে চলে যায় এবং কান্নাকাটি করে।পরে সকলের অজান্তে ঘরে রাখা ফসলি খেতের জন্য রাখা কীটনাশক পান করে।এতে ব্যাপক যন্ত্রণা শুরু হলে মিনা চিৎকার শুরু করে। এসময় তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।খবর পয়ে পুলিশ গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান বলেন,নিহতের লাশ উদ্বার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য  কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এনআই
    জামালপুরে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন
    জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত কয়েক দিনে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। এছাড়াও মুন্দিপাড়া ব্রীজের মাথা থেকে মাটি সড়ে যাওয়ায় দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রীজটি। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। তীব্র স্রোতে বেড়েছে ভাঙন। প্রতিদিন ভাঙছে বসতভিটা, ফসলি জমি। নিলাক্ষিয়া, মেরুরচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। মেরুরচর ইউনিয়নের নতুন মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া, সুন্দর আলী, জুয়েল মিয়া, ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী এলাকার হাসর আলী সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ঘুঘরাকান্দি বাজার মসজিদটি ভেঙ্গে গেছে। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষগুলো। অনেকেই ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ জুয়েল মিয়া বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবার তীব্র ভাঙনে বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অতি দরিদ্র্র কৃষক। তাদের অনেকের নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য নেই। ঘুঘরাকান্দি এলাকার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ বলেন, তাদের সবাই কমবেশি ভাঙনের শিকার। ভাঙনে সহায় সম্বল বলতে যা ছিল, তার সব শেষ হয়ে গেছে। ফসলি জমিও নদীতে চলে যাচ্ছে। বারবার আবেদন করা হলেও ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।  বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, মুন্দিপাড়া ব্রীজটির এপ্রোচ ধসে যাওয়ার খবর পেয়েই সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চলাচলের জন্য আরেকটি সাকোর ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে নদীভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের তালিকা হচ্ছে,প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।এইচএ
    ঈদকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
    ঈদকে সামনে রেকে নেত্রকোনায় ভ্রাম্যমান ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৯টায় শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে এই পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। প্রথম দিন শহরের মোট পাঁচটি স্থানে ৫১৫ টাকায় ২ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি ডাল বিক্রয় করা হয়। আজ প্রতিটি স্থানে ৪শ' করে মোট ২ হাজার ভোক্তার কাছে টিসিবি স্মার্ট কার্ড ছাড়াই শুধুমাত্র এনআইডির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। যা ঈদুল আযহা পর্যন্ত চলমান থাকলে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। এছাড়াও জেলার সর্বমোট ১১টি পয়েন্টে পর্যায়ক্রমে ভ্রাম্যমান ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। যার আওতায় আসবে ৪ হাজার ৪শ' ভোক্তা। ভ্রাম্যমান ট্রাকে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি জেলা দশ উপজেলায় টিসিবি স্মার্ট কার্ডধারী ভোক্তাদের মাঝেও পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান প্রশাসন। এআই
    ‘৬ হাজার টেহার চাল পাইতেছো, ২শ টেহা দিতে পারবা না?
    ভাইরাল ভিডিওতে বলতে শুনা যায়,‘৬ হাজার টেহার চাল পাইতেছো, ২০০ টেহা দিতে পারবা না ? এবং ভিডিওতে দেখা যায়- ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান রিপন, ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ও আ.লীগ নেতা মোবারক হোসেন এবং ভারপাপ্ত  চেয়ারম্যান লাল মিয়া সরকারের সহযোগী সুজন মিয়া কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন।জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ২নং পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণে টাকা আদায়ের এই ভিডিওটি বুধবার (২১ মে) বিকালে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক সমালোচনা।এদিকে পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পোগলদিঘা ইউনিয়নে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীসহ হতদরিদ্রদের জন্য ৪৫৬টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ৫ মাসের জন্য মাথাপিছু ১৫০ কেজি করে চাল আসে। বুধবার সকাল থেকে কার্ডধারীরা চাল উত্তোলনের জন্য লাইনে দাঁড়ান। এদিকে বিতরণের শুরু থেকেই চেয়ারম্যানের কক্ষে চলে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা। ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই কার্ডধারীদের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০-৩০০ করে টাকা নেওয়া হয়।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন কার্ডধারী অভিযোগ করেন, ‘তাদের কাছ থেকে ২০০ করে টাকা নিয়েছে। আবার কাউকে ন্যূনতম ১০০ টাকা হলেও দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে চাল দিবে না।এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোবারক হোসেনে বলেন, ‘কিছুটা নিয়ে ছিলাম পরে টাকা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। সেখানে পরিষদের সচিব মহোদয় উপস্থিত ছিলেন।এ ব্যাপারে পোগলদিঘা ইউনিয়নের (ভারপাপ্ত) চেয়ারম্যান লাল মিয়া সরকারের কাছে জানতে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, ‘আমি অসুস্থ, ঢাকাতে চিকিৎসার জন্য রয়েছেন। টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না।এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী অফিসার ও সহকরি কমিশনার (ভূমি) লিসা রিছিল মুঠোফোনে বলেন, ‘ভিজিডি চাল সম্পূর্ণ বিনামূল্যের, টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। টাকা আদায়ের এমন ভিডিও ফেসবুকে দেখেছি এবং শুনেছি। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এমআর
    ভুল্লী নদীর সেতু প্রকল্পে বেইলী ব্রিজের দাবিতে মানববন্ধন
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভুল্লী নদীর ওপর চলমান সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত বেইলী ব্রিজ স্থাপনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ২টায় নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। অন্তত দুই শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ফেলার পর নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হলেও অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ না করায় স্থানীয়দের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ভুট্টা ও বাদাম পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। ফলে বাইরের পাইকাররাও পণ্য সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।তারা আরও জানান, পামুলী ও দেবীডুবা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি এই স্থানে নদী পার হয়ে গেছে। এখন এই রাস্তা ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ভ্যানে পণ্য আনার সময় উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের প্রকল্পে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেবল মাটি ফেলে একটি ডাইভারশন রাস্তা তৈরি করেছে, যা বর্ষায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দেন, সাতদিনের মধ্যে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ না হলে তাঁরা অনশনসহ সেতুর কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।এদিকে এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পে অস্থায়ীভাবে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের প্রস্তাব থাকলেও বেইলী ব্রিজের কোনো বরাদ্দ নেই।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কন্সট্রাকশন লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামান রাসেল বলেন, “স্থানীয়দের কষ্ট আমরা বুঝি। তবে প্রকল্পে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ বা ভাড়া নেওয়ার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা ডাইভারশন করে দিয়েছি। বর্ষার কথা মাথায় রেখে কাঠের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি, কিন্তু স্থানীয়রাই তাতে অংশ নিচ্ছেন না।”মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. তবারক হ্যাপি, দেবীডুবা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু এবং পামুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার প্রধানসহ অনেকে।পিএম
    ভুল্লী নদীর সেতু প্রকল্পে বেইলী ব্রিজের দাবিতে মানববন্ধন
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভুল্লী নদীর ওপর চলমান সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত বেইলী ব্রিজ স্থাপনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ২টায় নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। অন্তত দুই শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ফেলার পর নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হলেও অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ না করায় স্থানীয়দের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ভুট্টা ও বাদাম পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। ফলে বাইরের পাইকাররাও পণ্য সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।তারা আরও জানান, পামুলী ও দেবীডুবা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি এই স্থানে নদী পার হয়ে গেছে। এখন এই রাস্তা ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ভ্যানে পণ্য আনার সময় উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের প্রকল্পে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেবল মাটি ফেলে একটি ডাইভারশন রাস্তা তৈরি করেছে, যা বর্ষায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দেন, সাতদিনের মধ্যে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ না হলে তাঁরা অনশনসহ সেতুর কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।এদিকে এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পে অস্থায়ীভাবে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের প্রস্তাব থাকলেও বেইলী ব্রিজের কোনো বরাদ্দ নেই।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কন্সট্রাকশন লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামান রাসেল বলেন, স্থানীয়দের কষ্ট আমরা বুঝি। তবে প্রকল্পে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ বা ভাড়া নেওয়ার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা ডাইভারশন করে দিয়েছি। বর্ষার কথা মাথায় রেখে কাঠের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি, কিন্তু স্থানীয়রা তাতে বাধা দিচ্ছেন।মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. তবারক হ্যাপি, দেবীডুবা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু এবং পামুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার প্রধানসহ অনেকে।এসআর
    ফুলবাড়ীতে অবাধে পোনা শিকার, বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ
    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা-বারোমাসিয়া নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে বৈরালীসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এ অঞ্চলের নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়তো বৈরালীসহ রুই কাতলা টেংনা সহ বিভিন্ন মাছ। তবে সবচেয়ে বেশী ধরাপড়তো বৈরালী মাছ। সেই বৈরালী  আজ বিলুপ্তির পথে। ২০১৫ সালে বৈরালী মাছটি বিলুপ্তি ঘোষনা করে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষন সংস্থা আই ইউ সি এম। তবে স্থানীয় মৎস্য গবেষকরা দীর্ঘদিন বৈরালী মাছের গবেষনার পর পুকুরে সফল ভাবে প্রজনন করতে সক্ষম হয়েছে। ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীতে প্রতিবছর শীত ও গ্রীষ্মের সময় সামান্য পরিমানে বৈরালী সহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে একদম পাওয়া যায় না। বর্তমানে নদ-নদীতে বৈরালী রুই কাতলা টেংরা, বালিয়া,বাইম, রুই বোয়াল মাছ পাওয়া যায় তাও পরিমানে অনেক কম।এ সব ধরলা-বারোমাসিয়া নদীতে কয়েকশ জেলে প্রতিদিন জাল ফেলে কয়েক বার টানলেও আশানুরুপ বৈরালী সহ দেশী কোন মাছ পাওয়া যায় না। যে টুকু মাছ পাওয়া যায় তাও চড়া দামে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি বৈরালী মাছ ৬শ থেকে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয় অন্যান্য মাছ সাইজ ভেদে ৮শ থেকে প্রতিকেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।উপজেলার ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীতে যতটুকু বৈরালী সহ বিভিন্ন মাছ এখনও যে মাছ আছে তাও হুমকীর মুখে। কারণ আধুনিক পদ্ধতিতে নদীতে ব্যাটারী ফেলে কারেন্ট শক দিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। এতে মাছের ডিম সহ পোনা মাছ গুলো মারা যায় প্রতিনিয়ত। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বৈরালী সহ নদীর মাছ ব্যাটারী পদ্ধতির কারণে আর কোন মাছ পাবে না। নদ-নদী গুলোতে পানির সরবরাহ কমে যাওয়া ও মাত্রারিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার, কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে পোনা মাছ শিকারসহ অভয় আশ্রম থেকে মা মাছ শিকারের ফলে আজ বিলুপ্তির পথে সুস্বাধু বৈরালীসহ দেশীয় মাছ।ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একশ্রেণীর লোকেরা প্রতিযোগীতামূলক কারেন্ট জাল ও অন্যান্য জাল দিয়ে ডিমওয়ালাসহ পোনা মাছ অবাধে শিকার করছে। স্থানীয় ভাবে তেমন কেউ অবাধে মাছ শিকারকারীদে প্রতিবাদ করছে না। ফলে এ অঞ্চলের মাছের নিরব কান্না শুনার যেন কেউ নেই বলে মনে করছেন অনেকেই। এসব নদী ও জলাশয়ে মাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ে থাকে। বাংলা বছরের বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত নানা প্রজাতির মাছগুলো নদী নালা খাল-বিলে ডিম ছাড়ে। এ সময় মাছগুলো শিকার না হলে ব্যাপক আকারে মাছের বিস্তার দেখা যেত।কিন্তু একশ্রেণীর লোকজন কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র দিয়ে মাছগুলো শিকার করছে। যদিও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে এসব লোকদের হাত থেকে মাছগুলোকে রক্ষা করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। এ বছর অভিযান শুরু না করায় অবাধে কারেন্ট জাল, মা-মাছ ও পোনা মাছ শিকার করছে।মৎস্যজীবীরা জানান, ২০/২৫ বছর আগেও ধরলা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা দুধকুমার ও বারোমাসিয়া নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। অথচ বছরের পর বছর ধরে ডিমওয়ালা মাছ ধরা ও রেনু পোনা নষ্ট করার কারণে এসব নদ-নদী থেকে দেশী মাছ বৈলারী, বালিয়া, বালাচাটা, সরপুঁটি, টেংরা, টাকি, পুটি, শিং, মাগুর, কৈ, খলিসা, বাউশ, কালবাউশসহ কমপক্ষে ২০ প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। ইতিমধ্যে ওই সব নদীতে প্রতিদিনেই ডিমওয়ালা মাছ ও রেনু পোনা শিকারীদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মৎস্য শিকারীরা প্রতি বছরই বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত এসব এলাকা থেকে ডিম ওয়ালা মাছ ধরে হাট-বাজার গুলোতে বিক্রি করে থাকে।উপজেলার সোনাইকাজী আবদুল মতিন ও জব্বার জানান এক সময় ধরলা ও বারোমাসিয়া প্রচুর বৈরালী সহ রুই কাতলা টেংনা বোয়াল সহ বিভিন্ন পাছ পাওয়া যেত। কিন্তুু বর্তমানে সারাদিনে জাল টেনে এক কেজি দেড় কেজি মাছ পাওয়া কষ্টকর হয়। কিন্তু আমাদের উপায় নেই। বাধ্য হয়ে মাছ শিকার করে জীবন জীবিকার নির্বাহ করি। বালারহাট বাজারের দেশি মাছ বিক্রেতা জলধর বিশ্বাস, নিরঞ্জন বিশ্বাস ও আফজাল হোসেন আগে বৈরালী, টেংনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ পাওয়া যেত। এখন সেই মাছের সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। তবে আমরা প্রত্যেকে প্রতিদিন দুই তিন ও সর্বোচ্চ চার পাঁচ কেজি মাছ স্থানীয়দের কাছে ক্রয় করে বালারহাট বাজারে বিক্রি করি। অন্য মাছের চেয়ে ধরলা ও বারোমাসিয়া মাঝের দাম একটু বেশি। আমরা বৈরালী মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০, টেংনা ৬০০ টাকা দনে বিক্রি করি। বালারহাট মাছ বাজারের ক্রেতা ইয়াদুল হক নয়ন, শৈলান চন্দ্র রায় ও মানিক মিয়া জানান, বৈরালী টেংনা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ প্রতিদিন বাজারে বিক্রি করছেন। বাজারে ছোট বৈরালী উঠলেও প্রচুর দাম। প্রতিকেজি মাছ ৫৫০ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই মাছ গুলোর চাহিদা থাকায় দাম বেশি। তবে এই দুই ক্রেতা এসব ছোট ছোট পোনা মাছে শিকারে মৎস্য বিভাগের কট্টর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তা না হলে এই মাছ চিরদিনের মতো বিলুপ্ত হবে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জেলে ও স্থানীয়রা যাতে এ সব নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির পোনা মাছ শিকার না পারে ইতোমধ্যে জেলাদের সচেতন করা হচ্ছে। তবে আগামী শনিবার ও রবিবার মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। সেই সাথে পোনা মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।   এসআর
    আটকে আছে সেতু, স্থবির এলজিইডি
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের উমেষের ডাঙ্গায় খড়খড়িয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ চলছে ধীরগতিতে। শুরু হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি পিলার নির্মাণও। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। সামনে বর্ষায় এ কষ্ট আরও বাড়বে।স্থানীয়রা জানান, উমেষের ডাঙ্গা হয়ে পার্শ্ববর্তী সোনাহার ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড এবং দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। বাজার, স্কুল, কলেজ, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নদী পার হতে হয়। আগে এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল। কাজ শুরুর সময় সেটিও অর্ধেক ভেঙে ফেলা হয়। অসময়ে ভারী বর্ষণে বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। বর্ষায় কিভাবে নদী পারাপার হওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয়রা।এলজিইডি জানায়, ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর সেতুর কাজ শুরু হয়। বরাদ্দ হয় ৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ টাকা। নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু প্রায় তিন মাস সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজের গতি বাড়েনি।অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিলের দায়িত্বহীনতায় সুযোগ পেয়েছে ঠিকাদার। সময় মতো কাজ বুঝিয়ে নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি তাতে ব্যর্থ।সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্ধারিত চারটি পিলারের মধ্যে তিনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলেও একটি এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শুরু করা যায়নি। কনস্ট্রাকশন সাইডে নিম্নমানের পাথর ও বালু-মাটি মিশ্রিত পাথর দেখা গেছে। ব্যবহৃত রড দীর্ঘ সময় খোলা থাকায় সেগুলোতেও মরিচা ধরেছে। এতে নির্মাণমান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বলেন, সাঁকো ভেঙে ফেলার পর থেকেই দুর্ভোগে আছি। সেতুর কাজ অনেক ধীরগতিতে চলছে।কলেজছাত্র মামুন ইসলাম বলেন, স্কুল-কলেজে যেতে প্রতিদিন নদী পার হতে হয়। পানি বাড়ায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ভ্যানচালক আব্দুল হাকিম বলেন, থেমে থেমে কাজ চলছে। এক সপ্তাহ কাজ হলে পরের দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকে।স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক আল আমিন খন্দকার বলেন, সেতুর নির্মাণে শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে। ঢালাইয়ের কাজে দিনাজপুরের ব্ল্যাক স্টোন বা সমমানের পাথর ব্যবহারের কথা থাকলেও মাটিযুক্ত নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অনিয়ম এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ারকে জানালে তিনি উল্টো মামলার হুমকি দেন। এই এলাকায় কাজ না করার কথা বলেন।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি আরিফ ইসলাম বলেন, আমি এখানে ১৫ দিন আগে এসেছি। ইতিপূর্বে এখানে কী হয়েছে সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আপনাদের অভিযোগগুলো আমি ঠিকাদারকে জানাবো।দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, সময় বাড়ানো হয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টিপাতের কারণে টেম্পোরারি সেতুটি নষ্ট হয়ে গেছে। এটি পুনরায় নির্মাণ করে সচল করা হবে।এমআর
    উলিপুরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে আনন্দ মিছিল
    সদ্য ঘোষিত কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে তৃণমূলে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিদিন আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবীত ও আনন্দিত হয়েছেন।এসব কারণে বুধবার (২১ মে) বিকেলে দলীয় নেতাকর্মীরা এক বিশাল আনন্দ মিছিল করেছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে আনন্দ মিছিলটি উলিপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেখানেই গিয়ে শেষ হয়। এই আনন্দ মিছিলে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলদসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।পরে বিজয় মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা কমিটির ১নম্বর যুগ্ন আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তারিক আবুল আলা চৌধুরী, সদস্য সচিব সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা, যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ সরকার, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুর মুহাম্মদ, মহিলা দলের সভানেত্রী রিনা বেগম প্রমুখ। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তারিক আবুল আলা চৌধুরী বলেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে সবার মতামত নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে এবারে তৃণমূল থেকে যোগ্য, ত্যাগী, সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিকদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কমিটিগুলো দেওয়া হবে। এ ছাড়াও সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উলিপুর গঠনের চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গ, গত ১৪ মে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উলিপুর উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ও পৌর বিএনপির ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।এআই
    নাটোরে ১৬ টন সরকারি চাউল জব্দ করল সেনাবাহিনী
    নাটোরের সিংড়ায় খাদ্য অধিদপ্তর লেখা যুক্ত দুই গাড়ি চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।বুধবার (২১ মে) রাতে সিংড়া বাসস্ট্যন্ড এলাকা থেকে এই চাল জব্দ করে সেনা ক্যাম্পে নেয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে জব্দকৃত চাল সিংড়া থানায় হন্তান্তর করা হবে বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।   জব্দকৃত দুই গাড়িতে ৩০ কেজি ওজনের বস্তায় ১৬ টন ২১০ কেজি চাল রয়েছে।সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে দুটি গাড়িতে পলিথিন মোড়ানো খাদ্য অধিদপ্তর লেখা চাউল সিংড়া বাজার থেকে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। রাস্তায় টহলকৃত সেনাবাহিনী গাড়ি দুটি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিন্তু গাড়ির চালকরা সঠিক তথ্য দিতে না পারায় দুই গাড়ি ভর্তি চাল জব্দ করে সেনা কাম্পে নেয়া হয়।জব্দকৃত চাল অবৈধভাবে কিনে সিংড়া থেকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন সিংড়া বাজারের মেসার্স রাজু এন্টার প্রাইজ এর মালিক আলহাজ্ব রেজাউল করিম রাজু।তবে রেজাউল করিম রাজু বলেন, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দকৃত কাবিখা সহ মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের কাছে থেকে তিনি এই চাল কিনে নাটোরে বিক্রি করেন। জব্দকৃত চাল তার বৈধ চাল।এবিষয়ে সিংড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গোলাম রসুল বলেন, এই চালের সাথে খাদ্য গোডাউনের কোন সম্পর্ক নেই। ডেলিভারি দেওয়া চাল বাহিরে নিয়ে যাওয়ার পর জব্দ করা হয়েছে।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়ামুল হক বলেন, সরকারি বিভিন্ন কাজের চালের ডিও যারা কিনে বাহিরে ব্যবসা করেন তাদের চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। এই চাউলের সাথে খাদ্য অফিসের কোন সম্পর্ক নেই।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানায়, সরকারের কাবিখা প্রকল্পের চালগুলো সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিয়ম অনুযায়ী ইউএনও কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাউল উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। শ্রমিকরা কাজের বিনিময়ে চালের পরিবর্তে টাকা নিয়ে থাকেন। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ইউএনওকে অবহিত করে চাল উত্তোলন পূর্বক তা বিক্রি করে শ্রমিকদের দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য অধিদপ্তররের সরকারি চাল গুলো ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, চাল জব্দের বিষয়টি  শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর হয়নি।  সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটা হয়তো কাবিখা কর্মসূচির লেবারদের চাল আবার ভিজিএফ এরও হতে পারে। লেবাররা কাজ করে চাল না নিয়ে নগদ টাকা নেন। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের সভাপতি সেই চাল বাজারের বিক্রয় করে দেয়। এটা দেশের সব উপজেলাতেই হচ্ছে। অবৈধ কোন কিছু মনে হচ্ছে না।এনআই
    জয়পুরহাটে দুই দশকের ৫০৬ মামলার আলামত ধ্বংস
    জয়পুরহাটে আদালতের নির্দেশনায় বিগত ২০০৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষ্পত্তিকৃত মোট ৫০৬টি মামলার আলামত ধ্বংস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে জেলা আদালত প্রাঙ্গণে এই আলামত ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাস, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মোছা. আতিয়ারা আকতার। এছাড়াও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দীকের নেতৃত্বে এবং মালখানা অফিসার এসআই (নিরস্ত্র) রিয়াজুল ইসলামের উপস্থাপনায় আলামতগুলো ধ্বংস করা হয়।আলামতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১০ হাজার ৫৯৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৯ বোতল বিদেশি মদ, ৬০ প্যাকেট অফিসার চয়েজ ব্র্যান্ডের মদসহ বিভিন্ন ধরনের জব্দকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়।এ সময় এক কর্মকর্তা বলেন, নিষ্পত্তিকৃত মামলার আলামত ধ্বংসের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।এইচএ
    ঈশ্বরদীতে বালুমহলে আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ৭
    পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহল দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ৭ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২২ মে) সকাল ১০টার দিকে পদ্মানদীর তীরবর্তী উপজেলার সাড়াঘাঁট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মধ্যেকার একটি বালি ঘাটের সাড়ে ৯ কোটি টাকায় ইজারা পেয়েছে মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি শহিদুল মোল্লার পক্ষের ইঞ্জিনিয়ার মো. কাকন। এদিকে ওই বালি ঘাটের বিপরীত সাইড সাড়াঘাঁটের ইজারা পেয়েছে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি। সেই ঘাটেরই বালি উত্তোলন ও বালি বহনকারী নৌকার খাজনা আদায় করতে টনি বিশ্বাসের লোকজন গেলে তাতে অপর পক্ষ কাকনের লোকজন বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। এতে টনি বিশ্বাসের পক্ষের ৭ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।গুলিবিদ্ধ ৭ জন হলো-  ঈশ্বরদী রুপপুরের আব্দুল গফুরের ছেলে মো. লালু, সাড়া গোপালপুর এলাকার মো. সামাদ প্রামানিকের ছেলে মো. সানাউল্লাহ, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত মো. জামবার আলীর ছেলে মো. সেলিম, একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে মো. সৈকত, মৃত মো. ছানা সরদারেে ছেলে মো. চপল সরদার, হযরত আলীর ছেলে মো. রিপন ও একই উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে মো. রাসেল। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. সেলিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি দাবী করে বলেন, আমরা সরকারি অনুমোদন নিয়ে বালু উত্তোলন ও খাজনা আদায় করি। তাতে শহিদুল মোল্লা ও কাকনের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করেন। অপর পক্ষের ইঞ্জিনিয়ার কাকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক(তদন্ত)  মনিরুল ইসলাম বলেন- ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পিএম
    উল্লাপাড়ার আলোচিত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু 
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ ইয়াসিন আলী (৬০) নামে এক কয়েদি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। সে উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামের নিদান আলীর ছেলে। এর আগে তার শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে গত ১৫ দিন আগে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে রাজশাহী জেলা কারাগারে স্থানান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। ইয়াসিন আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী জানান, তার বাবা শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। তিনি আরো জানান তার বাবা বিএনপি করায় আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় প্রায় ১৫ বছর যাবৎ কারাগারে রয়েছে। তার বাবা কে আলোচিত পূর্ণীমা ধর্ষণের মিথ্যা সাজানো মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোঃ জামাল হোসাইন জানান দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াসিন আলী শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ছিলেন, এর আগে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে পরে রাজশাহী স্থানান্তর করা হয়। সকালে শ্বাসকষ্ট হলে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রসঙ্গতঃ ২০০১ সালে সারাদেশের বহুল আলোচিত পূর্ণীমা রাণী ধর্ষণ মামলা হয়। এই মামলা ২০১০ সালে ১১ জন কে দোষী করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত। এসআর
    চার দফা দাবিতে জয়পুরহাটে ঔষুধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
    ঔষধ বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত ও প্রতিস্থাপনসহ চার দফা দাবিতে জয়পুরহাটে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগ্রিস্টস্ সমিতি কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জয়পুরহাট সদর পৌর কার্যকরি কমিটির প্রচারে এ মানববন্ধন করেন তারা।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জেলা কেমিস্টস এন্ড ড্রাগ্রিস্টস সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়র রহমান ও ফারুক হোসেন, সদস্য রবিউল ইসলাম, আরাফাত হোসেন, আখতারুল ইসলামসহ অন্যরা।এসময় বক্তারা বলেন, ঔষধ বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত নেওয়া এবং প্রতিস্থাপন, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসীতে ঔষধ কোম্পানী কর্তৃক ঔষধ সরবরাহ বন্ধ ও সকল ঔষধের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে আবারও আন্দোলন করার হুশিয়ারি দেন তারা।এআই
    সুনামগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী পংকজ ও তার দুই সহযোগী গ্রেফতার
    সুনামগঞ্জে ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান পংকজ (৩৫) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বিকালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ আরপিন নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত অন্য দুইজন হলেন- পেশ্চিম তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. লিমন মিয়া (৩২) এবং দক্ষিণ আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা মো. শ্রাবনুজ্জামান (৩৪)। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান করেন জেলা ডিবির এসআই মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন, এএসআই সুদীপ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা। অভিযান চলাকালে গ্রেফতারকৃতদের দেহ তল্লাশি করে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ডিবির এসআই মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন গ্রেফতারকৃত আসাদুজ্জামান পংকজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। তবে গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এআই
    হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
    হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজাজুল মিয়া (২২) ও ইমন মিয়া (২৬) নামে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২১ মে) রাত ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর পাওয়ারপ্ল্যান্ট এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ইজাজুল মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের ছামির উদ্দিনের ছেলে ও ইমন মিয়া একই উপজেলার পিটুয়া গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে।শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী ইজাজুল ও ইমন ঢাকা যাচ্ছিলেন। মজলিসপুর পাওয়ারপ্ল্যান্ট এলাকায় পৌঁছে একটি ড্রাম ট্রাককে ওভারটেক করার সময় ট্রাকের পেছনের চাকায় চাপা পড়ে ইমন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ইজাজুলকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এআই
    হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
    হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাত ১১টায় উপজেলার মজলিসপুর পাওয়ারপ্ল্যান্ট এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের ছামির উদ্দিনের ছেলে ইজাজুল মিয়া (২২) ও একই উপজেলার পিটুয়া গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (২৬)।শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী ইজাজুল ও ইমন ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছিলেন। মজলিসপুর পাওয়ারপ্ল্যান্ট এলাকায় পৌঁছে একটি ড্রাম ট্রাককে ওভারটেক করার সময় ট্রাকের পেছনের চাকায় চাপা পড়ে ইমন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ইজাজুলকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে।এমআর
    কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথরে টাস্কফোর্সের অভিযানে ১৪ জনের কারাদণ্ড
    সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে সাদাপাথর লুটপাট করছে দুর্বৃত্তরা। লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান ১৪ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও এছাড়া ৬০টি নৌকা ভেঙ্গে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ১২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার।উপজেলা প্রশাসন পুলিশ বিজিবি ও আরএনবি সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত  টাস্কফোর্সের অভিযানে ১৪জন পাথর লুটপাটকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন পিজুস কুমার দাস, রিপন মিয়া, মো মুসা মিয়া, আরিফ মিয়া, মো.মোবারক হোসেন, হযরত আলী, মো. রাসেল মিয়া, মো. জসিম মিয়া, সামছুল হক, মো. শফিকুল ইসলাম, আলী হোসেন, রাজিব হোসেন, ফয়সল আহমদ ও দেলোয়ার হোসেন। তাদের প্রত্যককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার সময়ের কণ্ঠস্বর কে জানান সাদাপাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৪ জনকে আটক করে ২ বছর করে জেল দেওয়া হয়েছে। নৌকাতে অভিযান দেওয়া হয়েছে পাড়ে থাকা পাথর বুঝাই গাড়িগুলো ধরতে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কে বলেছি উনি টহল পাঠাবেন।এনআই
    মাধবপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলায় শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড
    মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাবি-ভাতিজিসহ ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) এর আদালতের বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।মামলার আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, ‘‘আমরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করে রায় কার্যকরের দাবি জানাই। ’’ বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুফি মিয়া বলেন, ‘‘রায়ে আমরা খুশি না। শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। ’’ মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিনের সঙ্গে তার ভাবি জাহানারা খাতুনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে ভাবিকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় তার চিৎকারে মেয়ে শারমিন আক্তার ও ভাতিজা শিমুল মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভাবি মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ভাতিজি ও ভাতিজাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তারাও মারা যান।এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর দুলাভাই মোহন মিয়া বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে (মঙ্গলবার) আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন। এইচএ

    অনলাইন ভোট

    সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদের এখন সরকার থেকে পদত্যাগ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আপনিও কি তাই মনে করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় সেনা নিহত
    ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতোয়ার জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরে কিশতোয়ারের ছাতরু এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সেনা সদস্যরা, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) করা এক পোস্টে জানিয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে গুরুতর জখম হওয়া সৈনিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের একজন বীর গুলি বিনিময়ের সময় গুরুতর আহত হন। তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া সত্ত্বেও তিনি মারা গেছেন। অভিযান চলছে।’এর আগে সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে করা এক পোস্টে জানানো হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত ‘অপারেশন ত্রাশি’ শুরু হয়েছে। কিশতোয়ারের ছাতরুতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খোঁজে এই অভিযান চলছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। ওই এলাকায় চার সন্ত্রাসী আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ছয়জনকে হত্যার এক সপ্তাহ পরেই কিশতোয়ারের এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত ১৩ মে শোপিয়ানের কেলার এলাকায় এবং ১৫ মে পুলওয়ামার ত্রালের নাদার এলাকায় পৃথক দুটি সংঘর্ষ ঘটেছিল।এমআর
    ভারতের নিয়ন্ত্রিত নদীর পানি পাকিস্তান পাবে না: মোদি
    কাশ্মীরে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর বহু ঘটনা ঘটে গেছে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে। এবার নতুন করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ভারতের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, এমন কোনো নদীর পানি পাকিস্তান পাবে না। খবর রয়টার্সের।১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির আওতায় ভারত থেকে উৎপন্ন তিনটি নদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহিত হয় এবং এর ওপর নির্ভর করে দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষিজমি। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হওয়া ভয়াবহ হামলার পর এ চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের সমর্থনে এ হামলা চালানো হয়েছে, যদিও ইসলামাবাদ তা সরাসরি অস্বীকার করেছে। এরপর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়, যা অবশেষে ১০ মে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কিছুটা প্রশমিত হয়।রাজস্থানে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে চরম মূল্য দিতে হবে—এ মূল্য দেবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, দেবে তাদের অর্থনীতি।যদিও পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি দাবি করেছেন, সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের ফলে তৎক্ষণাৎ কোনো বড় প্রভাব পড়বে না, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশটির কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ডাচ সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেন, সামরিক অভিযান এখনও চলছে। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা হয়েছে—যদি আরেকটি ২২ এপ্রিলের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে জবাব দেওয়া হবে। যারা সন্ত্রাসে জড়িত, তাদের উপরই আঘাত আসবে।তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা যদি পাকিস্তানের মাটিতে থাকে, তাহলে আমরা তাদের সেখানেই আঘাত করব।মোদি ও জয়শঙ্করের বক্তব্যের পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরিতায় ভরা। তারা তিনবার যুদ্ধ করেছে, যার মধ্যে দুটি হয়েছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। ভারত বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দেয়, যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে আসছে।সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে—যেমন সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ, স্থল সীমান্ত অচল এবং অধিকাংশ ভিসা স্থগিত রাখা। পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও উত্তেজনার আঁচ এখনো বিদ্যমান।এবি 
    গাজার প্রতিটি শিশুই আমাদের শত্রু: সাবেক ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা
    গাজার শিশুদের নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের সাবেক আইনপ্রণেতা মোশে ফিগলিন। তিনি বলেছেন, গাজার প্রত্যেকটি শিশুই আমাদের শত্রু। স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) এমন মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের চরম ডানপন্থী রাজনীতিবিদ মোশে ফেইগলিন।ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল ১৪-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের সংসদের সাবেক সদস্য ফেইগলিন বলেন, ‘শত্রু হামাস নয়, হামাসের সামরিক শাখাও নয়। গাজার প্রতিটি শিশুই শত্রু। আমাদের গাজা দখল করে সেখানে বসতি স্থাপন করতে হবে, এবং সেখানে একটি গাজাবাসী শিশুকেও রাখা যাবে না। এছাড়া অন্য কোনো বিজয় নেই।’এর আগে, আইডিএফের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ইয়ের গোলান অভিযোগ করেন, গাজার শিশুদেরকে হত্যা করা যেন নিজেদের শখে পরিণত করেছে ইসরায়েল। তার ওই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করলেন মোশে ফিগলিন।এক সংবাদ সম্মেলনে উপত্যকাটিতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ভূমিকারও তুমুল সমালোচনা করেছেন ইয়ের গোলান। বলেছেন, ইসরায়েল দিন দিন এমন এক রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, যার আন্তর্জাতিক কোনো সমর্থক নেই। কেননা সুস্থ কোনো দেশ কখনো বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনা। শখের বশে শিশু হত্যা করে না। এবি 
    এবার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো উরুগুয়ে
    অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরব কূটনীতিকদের একটি গ্রুপের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালানোর ঘটনায় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে উরুগুয়ে।এর আগে একই ঘটনার জেরে ফ্রান্স, স্পেন, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিজ নিজ দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানায়, তারা তাদের দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মিশাল হার্শকোভিটজকে তলব করেছে। কেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরব কূটনীতিকদের গ্রুপে গুলি চালানো হলো সে বিষয়ে তাকে স্পষ্ট তথ্য জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী যাদের ওপর গুলি চালিয়েছে সেসব বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে উরুগুয়ের একজন প্রতিনিধিও ছিলেন।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি জাদুঘরের কাছে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি ইহুদি জাদুঘরে একটি অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। মার্কিন পুলিশ এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এলিয়াস রদ্রিগেজ নামের এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়স অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের বাসিন্দা। এমআর-২
    ওভাল অফিসে দ. আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে হেনস্তা করলেন ট্রাম্প
    ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন বিশ্বনেতাদের বুঝে যাওয়া উচিত যে ওভাল হাউজে আমন্ত্রণ পাওয়া মানেই সম্মানজনক নয়। বরং ওই আমন্ত্রণের সঙ্গে থাকে প্রকাশ্যে অপমানিত হওয়ার ঝুঁকিও।হোয়াইট হাউজের বৈঠক মাঝে মাঝেই উসকানি ও বিব্রতকর মুহূর্তে গিয়ে ঠেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক এর চূড়ান্ত উদাহরণ। গতকাল বুধবারের ওই বৈঠকটি যেন ছিল তাকে হেনস্তা করার জন্য আগভাগে প্রস্তুত করা সুসজ্জিত এক মঞ্চ। খবর বিবিসি বাংলা। তবে এবারের পর্বে বাড়তি অনুষঙ্গ হিসাবে ছিল হঠাৎ আলো নিভিয়ে ফেলা, বড় স্ক্রিনে দীর্ঘ ভিডিও চালানো আর পুরোনো খবরের কাটিংয়ের স্তূপ এনে হাজির করা। পুরো প্রস্তুতি থেকে এটি স্পষ্ট যে এই দৃশ্যপাটের পুরোটাই আগভাগে তৈরি করা।টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে কিছুটা স্বাভাবিক আলাপচারিতা চলছিল। এর মধ্যেই একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশ্বাস করানো যাবে যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘হোয়াইট জেনোসাইড’ (শ্বেতাঙ্গদের গণহত্যা)-এর ঘটনা ভিত্তিহীন?এই প্রশ্নের উত্তর প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট-ই দেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ের সত্যতা যাচাই করার জন্য ট্রাম্পকে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের কথা শুনতে হবে। তখনই ডোনাল্ড ট্রাম্প সহকারীকে নির্দেশ দিলেন, লাইট নেভাও, টিভি চালাও। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা রামাফোসাকে কিছু বিষয় দেখাতে চেয়েছিলেন।ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ধনকুবের, এই পুরোটা সময় পেছনের সোফায় নীরব দর্শক হয়ে বসে ছিলেন।এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের কথিত নিপীড়ন নিয়ে একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং সুসজ্জিত অভিযোগ সামনে আনা হয়।গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও হোয়াইট হাউজে ডেকে একই ঢঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয়েছিলো।এবার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই পর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ওপর নির্যাতন নিয়ে একের পর এক ভিডিও এবং ছবি প্রদর্শন করতে থাকেন।বড় স্ক্রিনে চালানো ভিডিওতে দেখা যায় যে দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকজন নেতা ‘শুট দ্য বুর’ (শ্বেত চাষিদের মারো) গান গাইছে। যদিও এই গানটি মূলত বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ের একটি প্রতীক। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প তা শ্বেতাঙ্গ-বিদ্বেষের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প সাধারণত গণমাধ্যমকে অবিশ্বাস করেন। কিন্তু এবার তিনি ওই প্রতিবেদনকেই খুশিমনে ‘প্রমাণ’ হিসাবে ব্যবহার করেছেন। যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে এই তথাকথিত গণকবর কোথায়? উত্তরে তিনি শুধু বলেন, সাউথ আফ্রিকা।তিনি আরও ধরে নেন যে ভিডিওতে যাদেরকে দেখা গেছে তারা সকলে সরকারে আছেন এবং তারা শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু এটি আদৌ সত্য না।রামাফোসা অবশ্য চলতি বছর একটি বিতর্কিত আইন অনুমোদন করেছেন, যা ক্ষতিপূরণ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। তবে এখনও সেই আইন বাস্তবায়ন হয়নি।এছাড়া, ভিডিওতে যেসব আলোচিত রাজনৈতিক ভাষণ দেখানো হয়েছে, সেগুলো থেকেও তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছেন। তবে এই বৈঠকে তিনি প্রস্তুত ছিলেন।তিনি কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নন, বরং দেশটির বর্ণ বৈষম্য বিলোপ আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তিনি সেই আলোচক যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেত সংখ্যালঘু শাসনের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই অন্যদেশের নেতাদের কৌশলগত প্রশংসাবাক্য বুঝতে পারেন না। আর এবার এই বিষয়টিই কাজে লাগিয়েছেন সিরিল রামাফোসা।ডোনাল্ড ট্রাম্প গলফ খেলতে পছন্দ করেন, এ কথা সবাই জানে। তাই সিরিল রামাফোসা যখন কূটনীতি ও বাণিজ্যনীতি নিয়ে আলোচনার টেবিলে দুই শীর্ষ গলফার এর্নি এলস ও রেটিফ গুসেনকে নিয়ে এসেছেন, তখন এটিকে আর ছকে বাঁধা কোনো আলোচনা বলে মনে হয়নি।আর, পুরনো খবর বের করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের ওপর চড়াও হলেও হোয়াইট হাউসে এই দুই শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকান গলফারের উপস্থিতি যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করেছে, তা বৈঠকে উপস্থিত কারোরই চোখ এড়ায়নি।বৈঠকে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা এই দুই গলফার যতটুকু সময় ধরে অভিমত দিয়েছেন, প্রায় সমান সময় ধরে কথা বলেছেন দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নিজে। যদিও রামাফোসা বেশিরভাগ সময় সংযত থেকেছেন, ভেবেচিন্তে অল্প কথা বলেছেন। তবে এটিই ছিল রামাফোসার কৌশল। তিনি হয়তো এমনটাই চেয়েছিলেন।ওই দুই গলফার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষিমন্ত্রী, যিনি নিজেই একটি বিরোধী দলের সদস্য এবং বর্তমানে জাতীয় ঐক্য সরকারে আছেন, এই তিনজনের উপস্থিতিই যেন রামাফোসার চারপাশে এক ধরনের কূটনৈতিক ‘গোল্ডেন ডোম’ তৈরি করেছিলো এবং সেটিই কাজ করেছে।তবে ট্রাম্প বারবার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের আলোচনায় ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, অনেক কৃষককে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে জায়গা দিয়েছেন। তবে রামাফোসা এসবের কোনো উস্কানিতেই সাড়া দেননি।এক পর্যায়ে গলফার ও কৃষিমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, আফ্রিকায় যদি সত্যিই শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের গণহত্যা চলতো, তাহলে তারা আজ এখানে থাকতেন না। আমি আপনাকে হলফ করে এ কথা বলছি।ডোনাল্ড ট্রাম্প রামাফোসাকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও উল্টো দিক থেকে কোনো প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তাতে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ বলা যাবে না।এই অভিনয়ধর্মী কূটনীতির ধরনটি ওভাল অফিসে সদ্য আগত অতিথির উদ্দেশ্যে যতটা, ততটাই বা তার চেয়েও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া দর্শকদের লক্ষ্য করে করা।‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ মিশনের অন্যতম মূলমন্ত্র হলো জনগণের ক্ষোভ ও অভিযোগকে চাঙ্গা রাখা। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানেন যে তার সমর্থকরা কী দেখতে চায়।তবে এখন যেহেতু কিছু বিদেশি নেতা এই কৌশল সামলাতে শিখে ফেলেছেন, তাই এখন হয়তো ট্রাম্পকে আগের মতোই প্রভাব ধরে রাখার জন্য পরিকল্পনায় কিছুটা বদল আনতে হবে।এবি 
    ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলি বিমানবন্দর বন্ধ
    ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের অধিকৃত ভূখণ্ডে আরও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যেটি তেলআবিবের আকাশে ঘুরে বেড়ানোয় জায়োনিস্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবারও ইসরাইলি অবস্থানের ওপর ইয়েমেনি বাহিনীর হামলা অব্যাহত ছিল। যার অংশ হিসেবে এদিন সকালে তারা একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে তেলআবিবের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।টাইমস অব ইসরাইল দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জানায়, ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে অধিকৃত ‘মধ্য ইসরাইলে’ সাইরেন বেজে ওঠে।জায়োনিস্ট সেনাবাহিনী দাবি করে বলেছে, এবার তারা ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।ইসরাইলের জরুরি পরিষেবাগুলো জানায়, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় একটি সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে পালানোর সময় এক ইসরাইলি নাগরিক আহত হয়েছেন।এমআর-২
    মিয়ানমারকে সহায়তার জন্য আসিয়ানকে পাশে চায় জাপান
    মিয়ানমারে চলমান সংকট মোকাবিলায় এবং দেশটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে জাপান এবার আসিয়ান এবং বিশেষ করে মালয়েশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে। গত মার্চে দেশটিতে ঘটে যাওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে জানানো হয়েছে।বারনামা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নোরিউকি শিকাতা বলেছেন, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছি এবং দেশটির পুনর্গঠনে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে বর্তমানে কার্যকরভাবে এই সহায়তা কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত কঠিন। আমি মালয়েশিয়ার কাছে বড় প্রত্যাশা রাখি যেহেতু তারা এ বছর আসিয়ানের চেয়ারম্যান। এই সংকট মোকাবেলায় মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাপান মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।এদিকে আসিয়ান মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (এএইচএ) জানিয়েছে, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারের মান্দালয়ের কাছে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩,৭০০ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্যোগে প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ১০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৫০০ এর বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত জাপানের এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাপান সবসময় আসিয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল এবং আমরা এই চ্যালেঞ্জিং সময়েও সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই।উল্লেখ্য, জাপান ১৯৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হয় এবং ২০২৩ সালে এই সম্পর্ক ‘কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ এ পৌঁছায়। আসিয়ান প্লাস থ্রি, আসিয়ান প্লাস সিক্স, ইস্ট এশিয়া সামিট এবং আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের মাধ্যমে জাপান দীর্ঘদিন ধরেই আসিয়ানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। বারনামা আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়া ও জাপান একসাথে ‘এশিয়া জিরো এমিশন কমিউনিটি (এজেডইসি)’ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করবে, যেখানে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি নিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে শিকাতা আরও বলেন, ‘জাপান ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শিক্ষা খাতে দৃঢ় ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২০২৪ সালে ইউনিভার্সিটি অফ তসুকুবার প্রথম আন্তর্জাতিক শাখা ক্যাম্পাস স্থাপিত হচ্ছে, যা জাপানের প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এছাড়া ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত মালয়েশিয়া-জাপান ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমজিআইআইটি) আমাদের সহযোগিতার বড় উদাহরণ। শুধু ‘লুক ইস্ট’ নীতির বাইরে গিয়ে আমি চাই ‘এক অপরকে জানার নীতিতে আমরা এগিয়ে যেতে।এছাড়া জাপান ফিলিস্তিন ইস্যুতে আগের মতোই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কনফারেন্স ও কোঅপারেশন এমং ইস্ট এশিয়ান কান্ট্রিস ফর প্যালেস্টিনিয়ান ডেভেলপমেন্ট (সিইএপিএডি) এর মাধ্যমে জাপান ফিলিস্তিন, বিশেষত গাজার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার সুযোগ এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করলেই স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব। এ ধরনের উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, এবং আমরা মালয়েশিয়া সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এবি 
    চীনে ধসে পড়লো ৬শ বছরের প্রাচীন ছাদ
    চীনের আনহুই প্রদেশে মুহুর্তেই ধসে পড়লো ৬শ’ বছরের প্রাচীন ভবনের ছাদ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহাসিক ড্রাম টাওয়ার। সোমবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটে এ ঘটনা।রাজধানী বেইজিং থেকে ২শ’ মাইল দূরে ফেংইয়াং কাউন্টিতে অবস্থান ঐতিহাসিক স্থাপনাটির। প্রত্যক্ষদর্শীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ভবন ধসের চিত্র। মুহুর্মুহু ধসে পড়ে ছাদের পূর্ব পাশের টালিগুলো। কাছাকাছি হলেও নিরাপদ দূরত্বে ছিলেন পর্যটকরা। তাই কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।চীনে পর্যটকদের কাছে বহুল জনপ্রিয় ঐতিহাসিক ভবনটি। ১৩৭৫ সালে মিং রাজত্বকালে তৈরি হয়েছিল এটি। ১৯৯৫ সালে ব্যাপক সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি আবারও শুরু হয় সংস্কার কাজ। সে কারণেই বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ ছিল ভবনটি।এবি 
    চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক উন্নয়নে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান
    চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক উন্নয়নে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। একইসঙ্গে ২ দেশ পরস্পরের রাজধানীতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতেও সম্মত হয়েছে।এটিকে উভয় দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এই ঐকমত্য আসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ত্রিপক্ষীয় এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে, যেখানে ৩ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। বৈঠকটি ছিল চীনের বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি ও সংযোগ নীতির অংশ, যা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে স্পষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রদূত বিনিময়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। চীন এটিকে স্বাগত জানায় এবং এ সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।এদিকে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পটি আফগানিস্তানে সম্প্রসারণে তিন দেশই সম্মত হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চীনের পশ্চিমাঞ্চল, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত সংযোগ জোরদার হবে।উল্লেখ্য, তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এখনও কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে এবং তালেবান নিয়োগকৃত রাষ্ট্রদূতদের নিজেদের দেশেও স্বাগত জানিয়েছে।এর বিপরীতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এখনও একে অপরের রাজধানীতে কেবল ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’ (অস্থায়ী কূটনীতিক) নিয়োগেই সীমাবদ্ধ ছিল। এমআর-২
    আমার শিরায় রক্ত নয়, সিঁদুর টগবগ করছে: নরেন্দ্র মোদি
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রক্ত নয়, আমার শিরায় টগবগ করে ফুটছে সিঁদুর। তিনি দাবি করেন, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার প্রতিশোধ মাত্র ২২ মিনিটেই নিয়েছে ভারত।রাজস্থানের বিকানেরে এক জনসভায় মোদি এসব দাবি করেন বলে বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাজস্থানের পাবিস্তান সীমান্তবর্তী জেলা বিকানেরে এক জনসভা থেকে ১০৩টি অমৃত ভারত স্টেশন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে ভারতের সহস্রাধিক রেলস্টেশন আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে ১০৩টি স্টেশন।বিভিন্ন রাজ্যের স্বকীয় শিল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে এই স্টেশনগুলোতে। সেখানেই কথাপ্রসঙ্গে উঠে আসে পেহেলগাম হামলা এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথাও। মোদি দাবি করেন, “যারা ভারতের মা-বোনেদের মাথার সিঁদুর মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের ‘মোক্ষম জবাব’ দেওয়া হয়েছে। ২২ এপ্রিলের হামলার জবাব দেওয়া হয়েছে মাত্র ২২ মিনিটে। ৯টি সন্ত্রাসীঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”মোদি বলেন, “গোটা দেশ ও বিশ্বের শত্রুরা দেখেছে— যখন সিঁদুর বারুদের মতো জ্বলে ওঠে, তখন কী হয়”। তিনি আরও বলেন, “রক্ত নয়, আমার শিরায় সিঁদুর টগবগ করে ফুটছে।”মোদি দাবি করেন, “ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। পেহেলগামে গুলি চললেও, আঘাত লেগেছে ১৪০ কোটির হৃদয়ে। আমরা সন্ত্রাসের হৃদয়েই আঘাত করেছি। সরকার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, আর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানকে ‘মাটিতে নামিয়ে’ এনেছে।”উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর এটিই মোদির প্রথম জনসভা। তিনি স্মরণ করেন, ২০১৯ সালে আজাদ কাশ্মিরের বালাকোটে ‘ভারতীয় বিমানহানার’ পরেও তার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থান সীমান্তে। এবারও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর তার প্রথম জনসভা আবার এই রাজস্থানেই হলো।এমআর-২

    বিনোদন

    সব দেখুন
    বিয়ে করতে যাচ্ছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম
    ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে বিয়ে করে দেশে স্থায়ী হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম। এরপর মডেলিং শুরু করেছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন মিডিয়াতে ক্যারিয়ার গড়তে। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান সিদ্দিক। স্ত্রীকে সংসারেই মনোযোগী হতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে  দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে ডিভোর্সে রূপ নেয়। ২০১৯ সালে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি।এরপর পেরিয়ে গেছে ৬ বছর। নতুন করে আবারও সম্পর্কে জড়িয়েছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক যুবকের সঙ্গে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে নিজের ভালোবাসার মানুষের চেহারা ঢেকে রাখলেও ওই যুবককে ‘আমার ভালোবাসা’ বলেই সম্বোধন করেছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী। এ বিষয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মারিয়া মিম জানালেন, খুব শিগগিরই প্রেমিককে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।তিনি বলেন, আমি প্রেম করছি। তবে আমার বয়ফ্রেন্ড মিডিয়ার না। তিনি মিডিয়ার বাইরের লোক। সামনেই আমরা বিয়ে করব।এই মডেল বলেন, সিদ্দিক তো আমার প্রাক্তন। ডিভোর্স হয়ে গেলে তার সঙ্গে দেখা করাটাও পাপ। তিনি আমার জন্য এখন একজন পরপুরুষ। যার সঙ্গে দেখা করাটাও পাপ। প্লিজ, সিদ্দিককে জামাই বানায় দিয়েন না।এদিকে সম্প্রতি মারধরের শিকার হয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিক। এরপর বর্তমাকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা মারিয়া মিমকে কটাক্ষ করলে তাদের তুলোধুনো করেছেন এই মডেল। এক নেটিজেন মিমকে প্রশ্ন করেন, সিদ্দিক জেলে তুমি কি খুশি? জবাবে তিনি বলেন, তোমাদের বোঝা উচিত যে ডিভোর্সের ৫-৬ বছর পরেও কেউ জামাই থাকে না।এনআই
    পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা, সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরবো: নুসরাত ফারিয়া
    রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারের মাত্র দুই দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।জামিনের কাগজপত্র বেলা ১১টার দিকে ই-মেইলের মাধ্যমে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়। এরপর প্রক্রিয়া শেষ করে বিকেলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারামুক্তির সময় কারাগারের বাইরে ভক্ত ও স্বজনদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মুক্তির সময় দুটি প্রাইভেট কার ও একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস কারাগার ত্যাগ করে, তবে কোন গাড়িতে নুসরাত ফারিয়া ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।কারাগার থেকে বের হওয়ার পর কারও সঙ্গে দেখা না করলেও বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফারিয়া। তিনি লেখেন, 'সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারিরীক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।'নুসরাত ফারিয়ার চাচাতো বোন লামিয়া জানান, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরপরই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিরাপদে বাড়ির পথে রওনা দেন অভিনেত্রী।উল্লেখ্য, রবিবার (১৮ মে) সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকায়। পরে তাকে সোপর্দ করা হয় ভাটারা থানায়। এরপর ফারিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয় মিন্টো রোডের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে। গতকাল সোমবার তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। জামিনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার।এসকে/আরআই
    কারামুক্ত হলেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া
    জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নুসরাত ফারিয়া কারামুক্ত হয়েছেন।মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি কারামুক্ত হন। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।এর আগে, মঙ্গলবার সকালে নুসরাত ফারিয়াকে জামিন দেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।প্রসঙ্গত,রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে অভিনেত্রীকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর ফারিয়াকে ডিএমপির ভাটারা থানায় থাকা এক হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়—অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।এমআর-২
    সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
    নারী নির্যাতনের মামলায় সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। ডেমরার শারুরিয়ার আমতলার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে নোবেলকে আদালতে পাঠাবে পুলিশ।ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে আলোচিত হন এমনকি একাধিক বিয়ে করেও আলোচনায় এসেছিলেন এই গায়ক। কিন্তু কোনো সংসারই স্থায়ী হয়নি।  ২০১৯ সালে সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করে আলোচনার সৃষ্টি করেন নোবেল। কিন্তু মাদক ত্যাগ না করায় সে সংসার টেকেনি। এরপর ২০২৩ সালের শেষে ফের নোবেলের বিয়ের খবর সামনে আসে। অন্যদিকে, দুই বছর আগেও নোবেলকে গ্রেপ্তার ক্রেছিল পুলিশ। সেবার প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু পরে আর তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলার গানের শো সা রে গা মা পা’য় অংশ নিয়ে সবার নজরে আসেন নোবেল। তার গান দর্শকের মনে স্থান করে নেয়। পরে তার বেশ কিছু গান জনপ্রিয়তা পায়। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই তাকে ঘিরে আলচনা-সমালোচনা ছিল। একটা সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করতে গেলেও সেখানেও তাকে নিয়ে সমালচনা হয়। ২০২৩ সালে  কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তিনি।কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে। সেই ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এইচএ

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ঈদের আগেই মিলবে নতুন টাকার নোট
    সাধারণত প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা ঘিরে বাজারে নতুন টাকার নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ব্যাংকগুলোর চাহিদার ভিত্তিতেও বিভিন্ন সময় নতুন নোট সরবরাহ করা হয়। যদিও গত ঈদুল ফিতরের আগে টাকায় বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায় বাজারে নতুন নোট ছাড়েনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এবার আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (টাঁকশাল) এরই মধ্যে এসব নোট ছাপার কাজ শুরু করেছে। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। তার পরিবর্তে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও পূর্বের নকশা ফিরে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ঈদের আগেই নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে। সেভাবেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। নোট ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে ঠিক কোন নোট কোন দিন আসবে সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, টাঁকশালে ২০ টাকার নোটের ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে এ নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরের সপ্তাহে হস্তান্তর করা হবে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট। এসব নোট কবে বাজারে ছাড়া হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।তিনি জানান, প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্য শাখাগুলো এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই নতুন নোট দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিত সংখ্যক নোট ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা কম হচ্ছে।এইচএ 
    সপ্তাহ না যেতেই আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম
    সপ্তাহ না যেতেই আবারো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এখন প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ২৩ টাকা বেশিতে বিক্রি হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা।বুধবার (২১ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে, শনিবার (১৭ মে) রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর তথ্য দিয়েছিল সমিতি। বুধবার (২১ মে) প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠার পর ৮, ১০ ও ১২ মে দাম কমার ঘোষণা আসে।বুধবার রাতে বাজুসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম  বেড়ে যাওয়ায় ভরিপ্রতি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে কার্যকর হবে।২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা ধরা হয়েছে।দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেটের রুপার দর ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি দর ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠে সর্বোচ্চ, সেদিন ভরিপ্রতি দাম বেড়েছিল ৫ হাজার ৩৪২ টাকা। ওইদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায়। তার পরদিন ফের স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা আসে বাজুসের পক্ষ থেকে।চলতি বছর ৩৪ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৩ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। ২০২৪ সালে দেশের বাজারে ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়। তার মধ্যে দাম বৃদ্ধি করা হয় ৩৫ বার, তবে হ্রাস করা হয় ২৭ বার।এইচএ
    ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১৬৯৯২১ টাকা
    দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা।স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।বুধবার (২১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে গত ১৮ মে দেশের বাজারে আর এক দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। চার দিনের মাথায় এখন আবার দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৯৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা।এর আগে গত ১৮ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩০৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪৬ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা। আজ বুধবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এবি 
    ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রফতানির উদ্যোগ নেয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
    চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন। নায্য মূল্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রফতানির উদ্যোগ নেয়া হবে— এমনটা জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।বুধবার (২১ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এবছর কোরবানির আগেই পশুর চামড়া সংরক্ষণে মাদরাসা, এতিমখানাসহ প্রান্তিক পর্যায়ে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করা হবে৷ পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণের প্রায়োগিক বিষয় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। এ সময় পশুর হাটে হাসিলের হার ৫ শতাংশ থেকে কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা  ফরিদা আখতার বলেন, এই বছর স্থল, নৌপথের পাশাপাশি রেলপথেও পশু পরিবহন হবে। এছাড়া, পশুর চিকিৎসা নিশ্চিতে হাটগুলোতে ভেটেরিনারি ক্লিনিক থাকবে বলেও জানান তিনি।এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ বলেন, পশুর গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। পাশাপাশি খোলা হবে হট লাইন নাম্বার। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।এবি 
    আগামী মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে রিজার্ভ: গভর্নর
    দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী মাসেই ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে। রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য মতে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।এমআর-২
    ৫ টাকার নোটে থাকছে সাঈদ-মুগ্ধ, ১০০০ টাকায় স্মৃতিসৌধ
    সকল জল্পনা কল্পনার পর এবার নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আসছে শিগগিরই। ঈদের আগে বা পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতেই থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। জুলাই বিপ্লবে শহীদ, তারুণ্য, সুন্দরবন এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় থাকছে নতুন নোটের নকশায়। জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের চিত্র ও আতিয়া মসজিদের ছবিযুক্ত ৫০ টাকার নোট ২৯ বা ৩০ মে এবং বঙ্গভবন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবিসংবলিত ১০০০ টাকার নোট ২ জুন বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। ইউরোপ থেকে কাগজ সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় আবু সাঈদ ও মুগ্ধের অবয়বসংবলিত ৫ টাকার নোট বাজারে আসবে ঈদের পর।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, নতুন নোটের ডিজাইন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। কাগজ আনা হয়েছে। ১০০০ টাকার নোটসহ কয়েকটি ভিন্ন নোটের ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এবার কোনো নোটে মানুষের পুরোপুরি ছবি থাকছে না। তবে জুলাই বিপ্লবে শহীদ, তারুণ্য, সুন্দরবন এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় থাকছে নতুন নোটের নকশায়। আমিও ধারণা করছি, ঈদের আগে কয়েকটি নতুন নোট আসছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫ টাকায় থাকবে আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের ছবি, ১০ টাকায় থাকবে তারুণ্যের ঐক্যের প্রতীক এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ছবি। ১০০ টাকায় থাকবে ইউনেস্কোর স্বীকৃত সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ ও বাঘের চিত্র, যা সাবেক সরকারের বিদায়ের পর নোট রূপান্তরের প্রতীক। ২০০ টাকায় ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা থাকবে, আর ৫০০ টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলের ছবি।জানা গেছে, গত আগস্টে মাত্র ১৫ দিনে নতুন নোটের নকশা চূড়ান্তের প্রস্তাব করা হলেও তা বাস্তবসম্মত ছিল না। কারণ নকশা, কাগজ, নিরাপত্তা উপকরণসহ সবকিছুতেই বিদেশি অংশগ্রহণ লাগে এবং দরপত্রসহ পুরো প্রক্রিয়ায় ৫-৭ মাস সময় প্রয়োজন। সে কারণে ঈদুল ফিতরের আগেই নোট ছাড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দেশের নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয়। মানচিত্রখচিত প্রথম নোটটি ছিল ১ টাকার। ১৯৭৩ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ। এরপর ৫০ ও ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৯ সালে ইস্যু করা হয় ২০ টাকার নোট। দেশে ২ টাকার নোট চালু হয় ১৯৮৮ সালে। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই বাজারে আনা হয় সবচেয়ে বেশি মানের ১০০০ টাকার ব্যাংকনোট। আর ২০২০ সালে সর্বশেষ বাজারে আসে ২০০ টাকার নোট।এইচএ
    ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নি‌য়ে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী
    চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও’য়ের নেতৃত্বে ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল আগামী ৩১ মে ঢাকায় আসছেন। এই সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চীনা  বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও’য়ের নেতৃত্বে ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল আগামী ৩১ মে থেকে ২ জুন  ঢাকা সফর করবেন। প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরকালে বিডা আয়োজিত এক  সেমিনারে যোগ দেবেন। এ ছাড়া জয়েন্ট ইকোনমিক কমিটির বৈঠকে যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবে তারা।চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকা সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাণিজ্য উপদেষ্টা  শেখ বশীরউদ্দীন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চীনা প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এই সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে চীনা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।চীনা প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, চীনা প্রতিনিধি দল  বাংলাদেশ সফরকালে উভয় পক্ষ একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিনিময় অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজন করবে। সেখানে শত শত চীনা এবং বাংলাদেশি উদ্যোগ অংশগ্রহণ এবং আরও সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করবে।এমআর-২
    ঈদের আগেই মিলবে নতুন টাকার নোট
    সাধারণত প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা ঘিরে বাজারে নতুন টাকার নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ব্যাংকগুলোর চাহিদার ভিত্তিতেও বিভিন্ন সময় নতুন নোট সরবরাহ করা হয়। যদিও গত ঈদুল ফিতরের আগে টাকায় বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায় বাজারে নতুন নোট ছাড়েনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এবার আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (টাঁকশাল) এরই মধ্যে এসব নোট ছাপার কাজ শুরু করেছে। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। তার পরিবর্তে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও পূর্বের নকশা ফিরে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ঈদের আগেই নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে। সেভাবেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। নোট ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে ঠিক কোন নোট কোন দিন আসবে সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, টাঁকশালে ২০ টাকার নোটের ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে এ নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরের সপ্তাহে হস্তান্তর করা হবে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট। এসব নোট কবে বাজারে ছাড়া হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।তিনি জানান, প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্য শাখাগুলো এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই নতুন নোট দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিত সংখ্যক নোট ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা কম হচ্ছে।এইচএ 
    সপ্তাহ না যেতেই আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম
    সপ্তাহ না যেতেই আবারো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এখন প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ২৩ টাকা বেশিতে বিক্রি হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা।বুধবার (২১ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে, শনিবার (১৭ মে) রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর তথ্য দিয়েছিল সমিতি। বুধবার (২১ মে) প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠার পর ৮, ১০ ও ১২ মে দাম কমার ঘোষণা আসে।বুধবার রাতে বাজুসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম  বেড়ে যাওয়ায় ভরিপ্রতি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে কার্যকর হবে।২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা ধরা হয়েছে।দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেটের রুপার দর ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি দর ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠে সর্বোচ্চ, সেদিন ভরিপ্রতি দাম বেড়েছিল ৫ হাজার ৩৪২ টাকা। ওইদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায়। তার পরদিন ফের স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা আসে বাজুসের পক্ষ থেকে।চলতি বছর ৩৪ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৩ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। ২০২৪ সালে দেশের বাজারে ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়। তার মধ্যে দাম বৃদ্ধি করা হয় ৩৫ বার, তবে হ্রাস করা হয় ২৭ বার।এইচএ
    ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১৬৯৯২১ টাকা
    দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা।স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।বুধবার (২১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে গত ১৮ মে দেশের বাজারে আর এক দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। চার দিনের মাথায় এখন আবার দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৯৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা।এর আগে গত ১৮ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩০৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪৬ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা। আজ বুধবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এবি 
    ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রফতানির উদ্যোগ নেয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
    চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন। নায্য মূল্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রফতানির উদ্যোগ নেয়া হবে— এমনটা জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।বুধবার (২১ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এবছর কোরবানির আগেই পশুর চামড়া সংরক্ষণে মাদরাসা, এতিমখানাসহ প্রান্তিক পর্যায়ে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করা হবে৷ পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণের প্রায়োগিক বিষয় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। এ সময় পশুর হাটে হাসিলের হার ৫ শতাংশ থেকে কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা  ফরিদা আখতার বলেন, এই বছর স্থল, নৌপথের পাশাপাশি রেলপথেও পশু পরিবহন হবে। এছাড়া, পশুর চিকিৎসা নিশ্চিতে হাটগুলোতে ভেটেরিনারি ক্লিনিক থাকবে বলেও জানান তিনি।এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ বলেন, পশুর গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। পাশাপাশি খোলা হবে হট লাইন নাম্বার। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।এবি 
    আগামী মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে রিজার্ভ: গভর্নর
    দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী মাসেই ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে। রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য মতে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।এমআর-২

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    বিএএস'র ফেলো নির্বাচিত হলেন বাকৃবির দুই অধ্যাপক
    বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদদের জাতীয় ফোরাম বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস)। এবছর ‘বিএএস ফেলো নির্বাচন ২০২৪’-এ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন অধ্যাপক ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন, বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম এবং ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান। এর মাধ্যমে তারা বাসের স্বয়ংক্রিয়ভা‌বে স্থায়ী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকা‌লে অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞান ও সমাজে অগ্রগামী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের প্রকাশিত গবেষণা প্রব‌ন্ধের সংখ্যা ১৬৭টি। এর মধ্যে ১২৭টি স্কোপাস ইনডেক্সভুক্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে এবং ৪০টি জাতীয় জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গুগল স্কলার অনুসারে, তার বর্তমান এইচ-ইনডেক্স ৪১ এবং মোট উদ্ধৃতি সংখ্যা ৫ হাজার ১২২। তার সম্মিলিত ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ২৮১.৩। তার অধীনে ৮ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি শেষ করেছেন এবং আরও ৪ জন শিক্ষার্থীর পিএইচ‌ডি চলমান রয়েছে। তিনি ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ইউজিসি গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড,  ২০১৫ সালে বিএএস গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড, শ্রেষ্ঠ গবেষণা প্রকাশনা পুরস্কারসহ অসাধারণ গবেষণা পারফরম্যান্সের জন্য একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এলসেভিয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিমের গবেষণা প্রব‌ন্ধের সংখ্যা ৫৫০টির অধিক। এর মধ্যে ১০০টির বেশি স্কোপাস ইনডেক্সভুক্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে এবং বাকি প্রবন্ধগুলো জাতীয় পর্যায়ে প্রকাশিত হয়েছে। তার অধীনে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি শেষ করেছেন। তিনি ২০১২ সালে জাতীয় বৃক্ষ গবেষণা ও উন্নয়নে, এবং ২০১৩ সালে জাতীয় ফল গবেষণা ও উন্নয়‌নে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি একাডেমির স্বর্ণপদকসহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।এসআর
    কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন ভিসির পদত্যাগ
    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান।পদত্যাগের আগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এখানে এত নোংরামি হবে জানলে আমি কুয়েটে আসতামই না। এক শিক্ষক সাধারণ সভায় টেবিল চাপড়িয়ে আমাকে বলেছেন আপনি যেখান থেকে আসছেন সেখানে চলে যান।’গত ১ মে অধ্যাপক হযরত আলীকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ থেকে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে দায়িত্ব গ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতির মুখে পড়েন তিনি। ১৯ মে তিনি ‘দাপ্তরিক কাজে’ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ঢাকায় যান, যা শিক্ষক সমাজ ও আন্দোলনরতদের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন তোলে।এ পরিস্থিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ ও নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষক নেতাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একটি অংশও সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয়।এর আগে, শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।এমআর-২
    বুটেক্সে 'সাসটেইনেবল ওয়্যারেবল ই-টেক্সটাইলস' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
    বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) 'সাসটেইনেবল ওয়্যারেবল ই-টেক্সটাইলস' শীর্ষক টেক্সটাইল খাতের ভবিষ্যৎ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে আজ দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে এই সেমিনারটি অয়োজন করা হয়।সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও কমনওয়েলথ স্কলার ড. মারজিয়া দুলাল।তিনি তার নিজস্ব গবেষণা অভিজ্ঞতা ও উচ্চশিক্ষার পথচলার গল্প শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। কীভাবে দেশের ভিতরে ও বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়, কীভাবে গবেষণায় যুক্ত হওয়া যায়, কোন খাতে গবেষণা করার সুযোগ তুলনামূলক বেশি—সেসব বিষয় নিয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দেন।এছাড়াও তিনি টেক্সটাইল সাসটেনেবলিটি, ওয়্যারেবল ইলেকট্রনিকস, রিসাইক্লিং, লাইফ সাইকেল অ্যাসেসমেন্ট এবং ইনভায়রনমেন্ট-ফ্রেন্ডলি ম্যাটেরিয়াল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেন। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তার বিশ্লেষণমূলক আলোচনা শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু জানার আগ্রহ বাড়াবে এবং গবেষণার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উৎসাহ জোগাবে বলে শিক্ষার্থীরা আশা করেছে।বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো: নাহিদ হাসান তালুকদার বলেন, গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে তাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। স্মার্ট টেক্সটাইলস, পলিমার কেমিস্ট্রি, থ্রিডি উইভিং, কনজ্যুমার বিহেভিয়ার ও গবেষণা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দূর করা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানই আমাদের অগ্রাধিকার। আজকের সেশনটি ছিল সেই প্রয়াসেরই একটি অংশ। ভবিষ্যতেও আমরা অভিজ্ঞ রিসার্চারদের, বিশেষ করে আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী ও সফল এলামনাইদের সম্পৃক্ত করে আরও দিকনির্দেশনামূলক সেশন আয়োজন করতে চাই, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক গবেষণায় আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আল আশরাফ বলেন, সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের গবেষণা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে না। অনেকের মাঝেই আগ্রহ থাকে, কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে সেই আগ্রহ হারিয়ে যায়। আজকের সেশনটি মূলত তাদের জন্যই আয়োজন করা হয়েছে, যাতে তারা শুরু থেকেই রিসার্চের সঠিক পথটি বুঝতে পারে। রিসার্চে আগ্রহী করে তোলা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া ছিল এই সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য।তিনি আরও বলেন, শুরুটা আমরা বুটেক্স থেকেই করেছি, তবে ভবিষ্যতে আমরা এই উদ্যোগ বুটেক্সের বাইরেও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের এই আয়োজন তখনই সফল হবে, যখন সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কিছু শিখতে পারবে এবং ভবিষ্যতে নিজেদের কাজে তা প্রয়োগ করতে পারবে।সেমিনারটি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, এ ধরণের সেমিনার ভিবিষ্যতে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা শুরু করার দিকনির্দেশনা হিসাবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে বুটেক্সে এ ধরণের সেমিনার আরো আয়োজিত হবে বলে আমরা এ আশা প্রকাশ করছি।এমআর
    অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ওপর হামলা
    অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, উপাচার্য যখন গাড়ি থেকে নামছিলেন, ঠিক সে সময় স্নাতক (পাস) ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ তাকে ঘিরে ধরে অটোপাসের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় হঠাৎ ভিড়ের মধ্য থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে এবং তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন।এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর বক্তব্য জানতে পারেনি সমকাল।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, করোনা মহামারি ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২০২২ সালের স্নাতক (পাস) শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শ্রেণিকক্ষের পাঠ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে গত কয়েক মাস ধরে অটোপাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অটোপাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে নিয়মিত পরীক্ষার আয়োজন করে, যেখানে প্রায় ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তাদের জন্য গ্রেস মার্ক দেওয়াসহ খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগও রাখা হয়, যার ফলাফল চলতি মাসেই প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কিছু ব্যর্থ শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত প্ররোচনাকারীদের উসকানিতে একটি গোষ্ঠী নতুন করে অটোপাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং সেই সূত্রে আজকের হামলার ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গাজীপুরের গাছা থানায় মামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। হামলাকারীদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের কাজ চলছে বলেও জানানো হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, কোনো প্রকার অটোপাস দেওয়া হবে না। ভিসির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।এবি 

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ইন্টারনেটবিহীন জীবন চায় ব্রিটিশ তরুণদের অর্ধেক
    ব্রিটেনে তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট নির্ভরতা ও আসক্তি নিয়ে উদ্বেগের ছবি ফুটে উঠেছে সম্প্রতি ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউটের একটি জরিপে। জরিপ অনুযায়ী, ১৬ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রায় অর্ধেক তরুণই (৪৬%) এমন এক জগতের বাসিন্দা হতে চায় যেখানে ইন্টারনেট থাকবে না। সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য প্রকাশ করেছে।তরুণদের মধ্যে প্রতি দশ জনের মধ্যে সাত জন (৬৮%) স্বীকার করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর পর তারা নিজেদের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি প্রকাশ করেন। এদের অর্ধেক (৫০%) মত দিয়েছেন, রাত ১০টার পর নির্দিষ্ট অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল কারফিউ চালু করা উচিত।তরুণদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু অভ্যাসও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রতি ৪জন তরুণের একজন দিনে ৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেন। ৪২ শতাংশ তরুণ তাদের অনলাইন কার্যক্রম অভিভাবকদের থেকে গোপন রাখেন।অনলাইনে বয়স নিয়ে মিথ্যা বলা হয়েছে ৪২ শতাংশের, ৪০ শতাংশ বিকল্প অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন এবং ২৭ শতাংশ নিজেদের পুরোপুরি ভিন্ন পরিচয়ে পরিচয় দিয়েছেন।এই তথ্যের আলোকে যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল জানিয়েছেন, তারা রাতের নির্দিষ্ট সময়ে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে ভাবছেন।তবে শিশু সুরক্ষা সংস্থা এনএসপিসিসির অনলাইন নীতিমালা ব্যবস্থাপক রানি গোভেন্দর বলেছেন, শুধুমাত্র ডিজিটাল কারফিউ দিয়ে শিশুদের অনলাইনের ক্ষতিকর বিষয় থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ‘শিশুরা দিনের অন্য সময়ে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, তাই সরকার ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং কম আসক্তিকর প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করতে হবে।’জরিপে অংশ নেওয়া ২৭ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন, তারা ইন্টারনেটে অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের অবস্থানের তথ্য শেয়ার করেছেন। মহামারির সময় অনলাইন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ৭৫ শতাংশ তরুণ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সময় অনলাইনে কাটাচ্ছেন। ৬৮ শতাংশের মতে, অতিরিক্ত অনলাইন সময় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা মলি রোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বারোওস জানিয়েছেন, অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তরুণদের সামনে এমন কনটেন্ট আসে যা অজান্তেই মানসিকভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।এইচএ 
    বিশ্বে প্রথম এআই নির্ভর ক্লিনিক চালু করলো সৌদি আরব
    চিকিৎসার জগতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। বিশ্বে প্রথমবারের মতো চালু হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর একটি আধুনিক ক্লিনিক। যেখানে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেবে এআই ডাক্তার ‘ডক্টর হুয়া’। এই বিশেষ ক্লিনিক পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে সৌদি আরবের আলমুসা গোষ্ঠী, যেখানে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে চীনের এআই প্রতিষ্ঠান সিন-ই। এই এআই ক্লিনিকে রোগীরা আগে থেকে যোগাযোগ করে নির্ধারিত সময়ে যেতে পারবেন। থাকবে না লম্বা লাইনের ঝামেলা কিংবা অপেক্ষার ক্লান্তি।রোগী ক্লিনিকে পৌঁছানোর পর এআই চিকিৎসক 'ডক্টর হুয়া' প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু করবে। রোগীর সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার ধরন বুঝে নেবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে এআই ডাক্তার তৈরি করবে একটি প্রেসক্রিপশন, যা চূড়ান্তভাবে যাচাই করে স্বাভাবিক চিকিৎসক অনুমোদন দেবেন।যদিও এআই এই ক্লিনিকের মূল চালিকা শক্তি, তবু সম্পূর্ণভাবে মানুষের ওপর নির্ভরশীলতা একেবারে বাদ দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তা ও মানের কথা মাথায় রেখে রক্তমাংসের চিকিৎসকরা রয়েছেন প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণে। এছাড়াও ক্লিনিক পরিচালনার জন্য থাকছে নিরাপত্তাকর্মীসহ একাধিক জনবল।এই পরিষেবা শুধুমাত্র আউটডোর চিকিৎসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। জরুরি বিভাগে এখনো এআই ব্যবহার করা হচ্ছে না, কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, জটিল ও তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে এআই পুরোপুরি সক্ষম নয়।চিন্তার আরেকটি জায়গা ছিল—ভাষা। তবে নির্মাতাদের দাবি, এই এআই চিকিৎসককে বহু ভাষায় দক্ষ করে তোলা হয়েছে, ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রোগীদের সেবায় কোনো বাধা থাকবে না।এই পুরো প্রকল্পটি ১৮ মাসের একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু হয়েছে। সিইও ঝ্যাং শাওদিয়ান বলেন, “এতদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডাক্তারদের সহকারী ছিল। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপরই চিকিৎসার দায়িত্ব দিচ্ছি।”তবে এখনও এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কতটা সফল হবে এই উদ্যোগ, তা বলবে সময়।এইচএ
    বাংলাদেশের বাজারে লেনোভোর নতুন এলওকিউ এআই ল্যাপটপ
    লেনোভোর অনুমোদিত পরিবেশক গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন এআই পাওয়ারড লেনোভো এলওকিউ (83DV00VBLK) গেমিং ল্যাপটপ। আধুনিক প্রযুক্তি ও এআই অপটিমাইজেশন সমৃদ্ধ এই ল্যাপটপ গেমার, স্ট্রিমার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আদর্শ।১৩তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই সেভেন ১৩৬৫০HX প্রসেসর, ২৪ জিবি ডিডিআর৫এক্স র‍্যাম, এবং ৫১২ জিবি জেন ৪ এসএসডি ল্যাপটপটিতে রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করে দ্রুত কাজ করার অভিজ্ঞতা। ১৫.৬" ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে (১০০% এসআরজিবি, ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৩০০ নিটস), এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৩০৫০(৬ জিবি) গ্রাফিক্স কার্ড এবং জি-সিঙ্ক প্রযুক্তি নিশ্চিত করে চমৎকার ভিজ্যুয়াল ও স্মুথ গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স। পাশাপাশি ব্যবহারকারীর চোখকে সুরক্ষিত রাখতে ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে টিইউভি লো ব্ল‍ু লাইট ফিচার যা সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।অতিরিক্ত ফিচারের মধ্যে রয়েছে লেনোভোর নিজস্ব এআই চিপ এলএ১, নাহিমিক অডিও, ৭২০পি ক্যামেরা (ই-শাটারসহ), ওয়াইফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.২, এবং মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন যা একে করে তোলে দীর্ঘদিন ব্যাবহারের উপযুক্ত। উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য রয়েছে আরজে৪৫ ইথারনেট পোর্ট।অফিসিয়াল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ হোম নিয়ে মাত্র ২.৩৮ কেজি ওজনের ল্যাপটপটি লুনা গ্রে রঙে ২ বছরের ওয়ারেন্টিসহ পাওয়া যাচ্ছে গ্লোবাল ব্রান্ড পিএলসি - এর ওয়েবসাইট, সকল ব্রাঞ্চ এবং অনুমোদিত ডিলার হাউসে।
    পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াবে ৫ টিপস
    স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।তাই জেনে নেয়া যাক বেশ পুরনো স্মার্টফোনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর আয়ু বাড়ানোর উপায়।অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলা: স্মার্টফোনটির স্টোরেজ এবং র্যাম ক্ষমতার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে যেয়ে রীতিমত হতাশার ভেতর পড়ে যান। কারণ এর ফলে ফোনটির কার্যকারিতা প্রথমে ধীর গতি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।অ্যাপের আধিক্যের কারণে প্রায়শই আপগ্রেড সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অবিরাম নোটিফিকেশন ফোনটির সার্বিক প্রতিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসহ অন্যান্য অদরকারি ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।ফোনের স্টোরেজ এবং মেমরির কথা মাথায় রেখে অ্যাপের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এখানে অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে স্মার্টফোনের কারিগরি দিককে। অদরকারি ফাইলগুলো নিয়মিতই স্মার্টফোনকে জমা হতে থাকে, তাই নিয়মিত; কমপক্ষে তিন দিনে একবার করে হলেও সেগুলো মুছে ফেলার নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে ফোনের স্টোরেজ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা কাজের পরিমাণ কমে যাবে।ফলশ্রুতিতে ফোনটির কার্যকারিতায় গতি আসবে এবং ফোনের আয়ুও বাড়বে।অতিরিক্ত কাজ করে ফোনের ব্যাটারি গরম করা এড়িয়ে চলা: স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। সারাদিনে ফোন ব্যবহারের সাথে ওটা-নামা করে এই ব্যাটারির কার্যকারিতা। প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে যে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারিটিকে দ্রুত চার্জ দেয়া। এই কাজটি ব্যাটারির কোন ক্ষতি করে না কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ফোনটিকে একদম শূন্যে নামিয়ে তারপর চার্জ দেয়া উচিত।দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গরমের দিনে ফোনকে উন্মুক্ত স্থানে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কাজগুলো যেমন গেম খেলা, শুধু সময় অতিবাহিত করার জন্য ফোন ব্রাউজিং বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রচন্ড গরম হলে অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোন ভয়ের কারণ না থাকলেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সামগ্রিক ভাবে ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে।অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা: স্মার্টফোনের ইন্টারফেসটিকে যতটা সম্ভব দ্রুত এবং সমস্যামুক্ত রাখার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো রিলিজের সাথে সাথেই আপডেট করা উচিত। এর সুবিধাগুলোও অনেক উপকারি। যেমন- পূর্বের ভার্সনে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং আরো শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত থেকে শুরু করে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।এক্ষেত্রে কোন আপডেট মুলতুবি আছে কি না তা নিয়মিত চেক করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের প্রথম দিকে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, তাই ফোনের কোন আপডেট আছে কিনা তা দেখতে মাসের মাঝামাঝি সময় চেক করা ভালো।আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট ডিফল্ট থাকলেও যেকোনো নতুন আপডেট রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ফোন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবে না। বরঞ্চ ফোনটির সিস্টেম বা সফটওয়্যারটির ভার্সন আউটডেট  হওয়ার এক বা দুই দিন পরে নতুন আপডেটটি ডাউনলোড করবে এবং তারপরে এটি রাতারাতি চার্জ হওয়ার পরের বার ইনস্টলেশনের সময় নির্ধারণ করবে।নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে ফোনের পাওয়ার ডাউন রাখা: এটি পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিছুদিন পরপর স্মার্টফোনটিকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। আসলে এটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই একটি বস্তু, যেটির বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার ফোনকে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়ার ডাউন করার নিয়মটি পরবর্তীতে আরও দক্ষতার সাথে ফোনটিকে ব্যবহার করা যাবে।টেম্পারড গ্লাস স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা: একটি ভাঙা স্ক্রীন যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটা বিরাট বাধা। শুধু তাই নয়; ভাঙা স্ক্রীনে ফোন ব্যবহার করলে এটিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রীন বদলে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি স্ক্রীন প্রোটেক্টর শুধু স্মার্টফোনকে সুরক্ষাই দেয় না, ফোনের টাচ কার্যকারিতাটিকেও সমুন্নত রাখে।অনেকে পুরনো ফোনটির স্ক্রীন ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো ফোনটিই বদলে ফেলতে যান। কিন্তু শুধুমাত্র টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর-এ বিনিয়োগ করা নতুন ফোন কেনা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো। কেননা, স্টোরেজ ও র্যামের ক্ষমতা থেকে যথেষ্ট কম অ্যাপ ও ফাইল স্মার্টফোনে থাকলে আর অতিরিক্ত কাজ করে ফোনটিকে গরম না করলে ফোনটি আরো বহুদিন কাজ করবে। শুধু একটি টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিলেই চলবে। সুতরাং একজন সঠিক ব্যবহারকারির নতুন ফোন কেনার পরিবর্তে মেরামতের দিকে নজর দেয়া উচিত৷কারিগরি দিক থেকে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক বস্তুর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকলেও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যায়। উপরোল্লিখিত উপায় শুধু পুরনো নয়, নতুন কেনা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুরনো স্মার্টফোনটির আয়ু বাড়ানোর উপায়গুলো আকস্মিক ভাবে অর্থ ও সময় অপচয়ের সম্মুখীন হওয়া থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের মুক্তি দিতে পারে।এইচএ
    মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি
    মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, ‘নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েও মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম কমাচ্ছে না। এখন দাম না কমালে সেবার মান এবং বকেয়া পাওনাসহ তাদের দেওয়া অন্যান্য সুবিধা প্রত্যাহার নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।’রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটককে বাঁচাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘স্টারলিংকের পর এবার স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’তিনি বলেন, রাষ্ট্রের খরচ বাঁচাতে এবারের বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত হবে।গতকাল বুধবার গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট থাকা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ‘গতকাল সারাদেশে ৪০ মিনিটের মতো গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট ছিল। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।এফএস
    সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন দিচ্ছে বাংলালিংক
    স্মার্টফোন কেনার ঝামেলা এখন অতীত। স্মার্টফোনকে আগের চেয়ে আরও সাশ্রয়ী ও সবার হাতের নাগালে আনতে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে “স্মার্টফোন অন ইনস্টলমেন্ট” (সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন) অফার। এই উদ্যোগের আওতায় গ্রাহকরা ব্যাংক কার্ড ছাড়াই বাংলালিংক সেন্টার থেকে সহজ কিস্তিতে ফোরজি স্মার্টফোন কিনতে পারবেন। যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই অথবা ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে আছে দেশের এমন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য ফোরজি স্মার্টফোন সহজলভ্য করছে বাংলালিংক। পামপে, জেনেক্স, এবং আইস্মার্টুর সঙ্গে বাংলালিংকের কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে স্মার্টফোন কেনার সুযোগ থাকছে, আর বাকি অর্থ ৯ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ফলে টুজি বা থ্রিজি ফোন ব্যবহারকারীরা সহজেই ফোরজি নেটওয়ার্কে আপগ্রেড করতে পারবেন।বাংলালিংকের মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “আমরা স্মার্টফোন কেনার অর্থনৈতিক বাধা দূর করতে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের ব্যাংকিং সুবিধা নেই, তারাও এখন সহজে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।”এই অফারের আওতায় স্মার্টফোন কিনলে গ্রাহকরা পাচ্ছেন- ৩ মাসে ১৮ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি, অরেঞ্জ ক্লাব গোল্ড টিয়ারে আপগ্রেড ও মাইবিএল অ্যাপে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বোনাস।গ্রাহকরা সারাদেশে অবস্থিত যেকোনো বাংলালিংক সেন্টার থেকে আইটেল, টেকনো এবং ইনফিনিক্স ব্রান্ডের এর পছন্দের স্মার্টফোন কিস্তিতে কিনতে পারবেন। কিস্তিতে স্মার্টফোনে ক্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। পামপে অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে এবং মাত্র ৩০  মিনিটের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। এইচএ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
    সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অপর আসামিরা হলেন-ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম,  মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির,  সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন,  পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। অপর ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি পারভেজ সুমন বলেন, 'এদিন মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলা চলমান থাকাবস্থায় আসামিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন এজন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।'বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. পিন্টু আসামিদেরর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।আগামি ১ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এদিকে এদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজিরা দেন।জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে, প্রলোভন দেখিয়ে নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন মো. আলী পূর্বেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যা তিনি গোপন করেন। তার পূর্বের একটি পুত্র ও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার সব প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।পরবর্তীতে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার পূর্বের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজায়।এমআর-২

    প্রবাস

    সব দেখুন
    ট্রাম্পের ‘গণহত্যা’ অভিযোগে উত্তপ্ত হোয়াইট হাউস
    যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত বৈঠক। বৈঠকটি শুরু থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদা কৃষকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও জমি দখলের অভিযোগে একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন। এতে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যও ছিল, যা ট্রাম্প ‘গণহত্যার উস্কানি’ বলে দাবি করেন।বুধবার (২১ মে) রামাফোসা এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার সম্পূর্ণ আইনি কাঠামোর মধ্যেই ভূমি সংস্কার চালাচ্ছে। তিনি ট্রাম্পের ‘মিশন সাউথ আফ্রিকা’ কর্মসূচিরও সমালোচনা করেন, যা সাদা দক্ষিণ আফ্রিকানদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।বৈঠকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও আলোচনা হয়। ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও আর্থিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করলে রামাফোসা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। এই বৈঠকে ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত উদ্যোক্তা এলন মাস্ক, যিনি নিজেও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তার উপস্থিতি আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়, যদিও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।বাণিজ্যিক প্রস্তাবের অংশ হিসেবে রামাফোসা ট্রাম্পকে দক্ষিণ আফ্রিকার খনিজ সম্পদ ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। আলোচনার আবহ হালকা করতে সঙ্গে ছিলেন প্রখ্যাত গল্ফার এর্নি এলস ও রেটিফ গুসেন—যা বৈঠকটিকে ‘গল্ফ কূটনীতি’র রূপ দেয়।এই বৈঠক দক্ষিণ আফ্রিকা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ‘গণহত্যা’ বিতর্ক ও অভিবাসন ইস্যু ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।এসআর

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    বৃষ্টিতে যেমন তাপমাত্রা থাকবে এসিতে
    গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টির দিনে আবহাওয়া সাধারণত ঠান্ডা ও আর্দ্র হয়ে থাকে। বৃষ্টির দিনে এসি ব্যবহার একেবারে নিষিদ্ধ নয়, তবে বুঝে-শুনে চালানো দরকার। সঠিক তাপমাত্রায় এসি চালিয়ে এবং ঘরের ভেতরে স্বস্তিকর পরিবেশ বজায় রেখে এসি চালালে তা আরামদায়ক হবে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম থাকবে। বৃষ্টির দিনে অনেকেই এসি চালানো নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। এসি চালাবেন কি চালাবেন না, আর চালালেও কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালানো উচিত? বৃষ্টির সময় এসি ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।বৃষ্টির সময়ের আবহাওয়া বুঝুন: বৃষ্টি হলে বাইরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায় এবং বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় ঘরের ভেতরটা ঠান্ডা হলেও স্যাঁতসেঁতে ভাব বেশি থাকে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা শরীরের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, বিশেষ করে যারা সাইনাস, অ্যালার্জি বা হাঁপানি সমস্যায় ভোগেন।অপটিমাম তাপমাত্রা: ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: বৃষ্টির সময় এসি চালালে সেটির তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে ১৮-২০ ডিগ্রি করা উচিত নয়। এতে ঘর অত্যধিক ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বরং ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রাখা উত্তম। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে, কিন্তু অস্বস্তিকর ঠান্ডা হবে না।ড্রাই মোড ব্যবহার করুন: অনেক এসিতে ড্রাই মোড বা ডিহিউমিডিফিকেশন মোড থাকে। এই মোডটি মূলত ঘরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নেয় এবং স্বস্তিকর ঠান্ডা পরিবেশ বজায় রাখে। বৃষ্টির দিনে এ মোড ব্যবহার করাটা সবচেয়ে উপযোগী, কারণ এটি তাপমাত্রা না কমিয়ে শুধু স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করে।ঘরের বাতাস চলাচল ঠিক রাখুন: বৃষ্টির দিনে অনেক সময় জানালা-দরজা বন্ধ থাকার কারণে ঘরের বাতাস ভারী হয়ে যায়। এসি চালানোর সময় মাঝে মাঝে জানালা বা দরজা কিছুক্ষণ খুলে দিলে অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক থাকে। তাছাড়া রুম ফ্রেশনার বা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করাও ভালো।অতিরিক্ত কম্বল বা মোটা পোশাক পরিধান করবেন না: বৃষ্টির দিনে এসি চালিয়ে আবার যদি মোটা কম্বল বা সোয়েটার পরে থাকেন, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করতে পারে। এতে ঠান্ডা লাগা, জ্বর কিংবা গলা ব্যথার আশঙ্কা বাড়ে।এইচএ

    Loading…