এইমাত্র
  • সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
  • ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
  • ‘টেসলা’র ধাক্কায় গুরুতর জখম অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
  • 'পিনিক'র পোস্টারে খাঁচায় বন্দি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী
  • সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
  • নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
  • ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
  • কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
  • রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
  • রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
  • আজ রবিবার, ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
    সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২
    চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ‘নো মানস ল্যান্ড’ এলাকায় ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জানা গেছে, কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশিদের আম গাছের ডাল কাটার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।  এতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা শুরু হয়। বেলা তিনটায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও সংঘর্ষ চলছিল। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভারত সীমান্তের নাগরিকরা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরা লাঠিসোঁটা ও হাসুয়া নিয়ে সীমান্ত অবস্থান করছে।কিরণগঞ্জ সীমান্ত থেকে এ উত্তেজনা শুরু হয় যা পরে ছড়িয়ে পড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে আলোচিত সেই চৌকা সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত। ওই সীমান্তের তিন কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ ও ভারতীয়রা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশি আম গাছ কেটে নষ্ট করে তাণ্ডব চালায়। পরে তাদের প্রতিরোধে বিজিবি এবং বাংলাদেশিরা একসঙ্গে তাদের মোকাবিলার চেষ্টা করে। বিএসএফ অনবরত টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে বলেও জানান স্থানীয়রা।বিনোদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. কামাল উদ্দীন বলেন, বিএসএফের সদস্যরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে আমাদের এলাকার আম গাছের ডালপালা কেটে দিয়েছে। পরে বিজিবি ও স্থানীয়দের মুখোমুখিতে তারা ডালপালা ফেলে চলে গেছে। সীমান্ত এলকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং আমি এখন সীমান্তের দিকে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব। এবি 
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রবিবার
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রবিবারের শুনানির কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন। আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।এছাড়াও গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।এবি 

    জাতীয়

    সব দেখুন
    সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়। এরপর রাফি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট দিয়ে হুমকির বিষয়টি জানান।রাফি লেখেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গোলাম রাব্বানী আজকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। প্রথম ১২ জুলাই আমাকে কল দেয় এবং জিজ্ঞেস করে, আমার কি লাগবে। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে কনভিন্স করার চেষ্টা করে। সবশেষে যখন কনভিন্স করতে পারেনি, তখন আমাকে নানানভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে কল কেটে দেয়।তিনি আরও লেখেন, ঠিক একই নম্বর থেকে শনিবার সকালে কল দেয়। প্রথম কলটা রিসিভ করিনি। দ্বিতীয় কলটা রিসিভ করার পর জিজ্ঞেস করল- চিনতে পেরেছি কি না! আমি চিনেও বললাম, না চিনতে পারিনি। তারপর কল কেটে দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাসেজ করল, ‘তুমি শেষ হয়ে যাবে, অনলি তিন দিন ব্রো।’ ম্যাসেজটির স্ক্রিনশট রাফি ফেসবুকে শেয়ার করেন।তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমি জানি না, আমি আর কতদিন বাঁচতে পারব! প্রতিনিয়ত এমন অহরহ হুমকি আসছে। কিন্তু আমাকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলে এই সরকারের সুশীলতা দায়ী থাকবে।’অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া মেলেনি। তবে রাফির পোস্টের মন্তব্যের ঘরে রাব্বানীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন।এফএস
    জাতীয় কবির নাতির চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন
    রাজধানীর বনানীতে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজীর (৫৯) চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।এর আগে, সকাল পৌনে ৭টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।সে সময় আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, ভোর ৫টার দিকে বনানীর বাসায় ওয়াশরুমে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ হন বাবুল কাজী। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সকালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।এবি 
    গত সাড়ে পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং
    দেশে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ৪০টি মাজার ও তার সাথে সম্পর্কিত ৪৪টি স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মাজার ও দরগাহে হামলার ঘটনায় পুলিশের প্রতিবেদনের বিষয়ে এই তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ পুলিশ ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি মাজার (সুফি সমাধিক্ষেত্র/দরগাহ) ও তার সাথে সম্পর্কিত ৪৪টি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা রিপোর্ট পেয়েছে।'” এই ঘটনার মধ্যে মাজার ও ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে সেখানে বলা আছে।পুলিশ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১৭টি মাজার বা মাজার সর্ম্পকিত হামলার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে এককভাবে ৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।এ পর্যন্ত ৪৪টি হামলার ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বা পুলিশের পক্ষ থেকে স্বঃপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন থানায় ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।'আর এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি নিয়মিত মামলায় ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র আদালতে দেওয়া হয়েছে। বাকি মামলা এবং জিডির তদন্ত চলছে।মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের সবাইকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বলছে, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাজার ও দরগাহে যেকোনো হামলার ঘটনায় ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতিতে অটল রয়েছে। পুলিশকে প্রতিটি ঘটনা কঠোরভাবে তদন্ত করার এবং জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।”ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা-ভাঙচুরের একাধিক ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তখনও সরকারের পক্ষ থেকে এসব বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরের কয়েক মাসে তা কমে আসে।এর মধ্যে গত ৮ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর মাজারে হামলা চালিয়ে মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসাছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারটির একটি অংশ ভেঙে ফেলে।পরদিন কোনো গানের আসর কিংবা মাজারে হামলা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।এবি 
    লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ জন বাংলাদেশি
    লেবাননে আটকে পড়া আরও ৪৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।এ পর্যন্ত একই প্রক্রিয়ায় ১৯টি ফ্লাইটে মোট ১ হাজার ২৪৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক লেবানন থেকে দেশে ফিরে এলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের (পশ্চিম এশিয়া) পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়—ফিরে আসা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।আইওএম প্রত্যেক ফিরিয়ে আনা নাগরিককে ৫, ০০০ টাকা পকেট খরচ, খাদ্য সামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। সরকারের কর্মকর্তারা ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের সাথে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে চলমান সংঘাতের ফলে তাঁদের অভিজ্ঞতা শুনেছেন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, লেবানন থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক সব বাংলাদেশির প্রত্যাবর্তন খরচ সরকারই বহন করবে এবং তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস সবসময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং স্বস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছে।উল্লেখ্য, লেবাননে চলমান সহিংসতার কারণে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।গত বছর লেবাননে চলমান সংঘাতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ২০ অক্টোবর প্রথম ধাপে আহত, নারী ও শিশুসহ ৫৩ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে ধাপে ধাপে দেশে ফিরছেন সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকেরা।এবি 
    জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনগণের অভিমত জানতে চায় সরকার
    জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনগণের অভিমত জানতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। চিঠির মাধ্যমে জানানো যাবে মতামত। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিঠি মারফত সুচিন্তিত মতামত পাঠাতে হবে, মাহফুজ আলম উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই ঠিকানায়। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিমত জানানো যাবে।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে অভিমত চাওয়া হয়েছে। এ অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। জনগণের উপস্থিতিতে তা অনতিবিলম্বে ঘোষণা করা হবে। এবি 
    মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন: এইচআরডব্লিউ
    বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।সম্প্রতি সংস্থাটির ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ৫৪৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের গুমের ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছে। পাশাপাশি তার আমলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংস্কার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন। ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলে এসব পদক্ষেপের অগ্রগতি হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারে।মীনাক্ষী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা দেওয়া, গুম নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বেসামরিক তদারকির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনিবন্ধিত শরণার্থীরা ক্ষুধার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে, এই ভয়ে তারা স্বাস্থ্যসেবা নেন না।এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে তারা সুরক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য রেশন পায়।এমআর
    ফেসবুকে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম
    স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার তাগিদ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সে উদ্দেশ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য সময়ও বেধে দেয় সরকার। সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।এবার সেই সম্পদের বিবরণী নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক পোস্টে সেই বিবরণী লিখে প্রকাশ করেন তিনি।ফেসবুক স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ২০০০ সালের দিকে আমার বাবা ঢাকা শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকা ডেমরার কাছে জুরাইন এবং যাত্রাবাড়ীর মধ্যবর্তী দনিয়া এলাকায় পাঁচতলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ করেন। সেই ভবনের একটি ১,১৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। ২০১০ সালে দনিয়া ছেড়ে চলে আসলেও এখনো সেই ফ্ল্যাট আমার মালিকানায় আছে। একসময় আমি সেটি আমার এক ভাইয়ের কাছে বিক্রি করার কথা ভেবেছিলাম, যিনি এখনো সেখানে থাকেন। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। জীবনের এক পর্যায়ে হয়ত আবার দনিয়ায় ফিরে যাব। বাবা-মায়ের বাড়িতে গেলে আমি এখনো সেই সরু করিডোরগুলোতে তাদের হাঁটতে দেখি। আমার প্রয়াত বাবার কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ শুনি, মা যেভাবে বিনয়ের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন তাও যেন দেখতে পাই।তিনি আরও লেখেন, ২০১৪ সালে আমি শাহীনবাগে ১,১০০ বর্গফুটের একটি তিন বেডরুমের ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। ভাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছু টাকা দিয়েছিলেন, আর বাকিটা আমার সঞ্চয় থেকে দিয়েছিলাম। আমি জায়গাটি ভালোবাসি। তবে নিরাপত্তার কারণে হয়ত খুব শিগগিরই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে হবে। সম্প্রতি দেখছি, আমাদের এলাকার মসজিদের ভিক্ষুকরাও আমাকে চেনেন। কিছুদিন আগে কয়েকজন তরুণ আমাকে তাদের আড্ডার সামনে দিয়ে হাঁটার সময় ‘গণশত্রু’ বলে ডেকেছিল। এ কারণে আমাকে হয়ত শিগগিরই সরকারি একটি ফ্ল্যাটে চলে যেতে হবে। আমার পরিবার এই নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত।এছাড়া তিনি আরও লেখেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি আমার এক শ্যালকের কাছ থেকে ময়মনসিংহে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। খুব সস্তায় পেয়েছিলাম সেটি। একই ভবনে আমার স্ত্রী তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই দুটি ফ্ল্যাট আমাদের জন্য মাসিক আয়ের একটি উৎস। এছাড়া গ্রামে আমার ৪০ শতাংশ আবাদি জমি আছে। বহু বছর ধরে একটা ভ্রান্ত ধারণায় ভুগেছি যে, অবসরে গ্রামে ফিরে যাব। শুধু লিখব আর হাঁটব—এটাই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু এখন মনে হয়, গ্রামে আর কখনো ফিরে যাওয়া হবে না। হয়ত আমি মরে গেলে আমার সন্তানরা আমাকে বাবা-মায়ের পাশেই কবর দেবে।আমার একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা (১১.৪ মিলিয়ন টাকা) সঞ্চিত আছে। এই আগস্টে আমি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিতে দুই দশকের চাকরি ছেড়েছি। অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের বেশিরভাগই আমার এএফপির চাকরির পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির। কিছু মানুষ আমার কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছে। আমার ধারণা, বছরের শেষে আমার সঞ্চয় হয় অপরিবর্তিত থাকবে, নয়তো খরচের কারণে কমে যাবে। আমার একটি গাড়ি আছে। ঢাকা শহরে একটি গাড়ি পরিচালনা এবং ড্রাইভার রাখার মাসিক খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা।আমি জানি না, প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শেষ করার পর আমার ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে। তবে নিশ্চিত জানি, এই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কোনো কাজ না পেলেও আমি মধ্যবিত্তের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করতে পারব। ক্ষমতায় থাকলে অনেকেই আপনার উপার্জন নিয়ে মিথ্যা রটায়। এটাই আমার পূর্ণাঙ্গ সম্পত্তির প্রকাশ।
    মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
    অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘মেডিকেল কলেজে আসন বৃদ্ধি নয়, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অধিক সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার। প্রয়োজনে সমন্বয় করা হবে কলেজগুলোকে।আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ কেন্দ্রে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, ‘আমি যদি ভালো শিক্ষক না পাই, তাহলে ভালো ডাক্তার কোত্থেকে তৈরি হবে।’ এ জন্য প্রয়োজন নির্ভর ডাক্তার তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।আজ সকাল ১০টায় দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক স্থানে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে ভর্তি পরীক্ষা।স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী। আর কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে চলতি বছর আসনপ্রতি লড়ছেন ২৫ শিক্ষার্থী।এফএস

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
    সংস্কার কার্যক্রমের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও, আন্দোলন’ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংবিধান মেনে গণঅভ্যুত্থান হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলঙ্কায় নির্বাচন হয়েছে, তিউনিশিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। সেসব দেশে কি সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময় নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন কায়েম হয়েছে, এটাই হচ্ছে নিয়ম। সংস্কার হচ্ছে জনগণের শাসন কায়েম করা, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। সুতরাং সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করা, সেটা আমরা চাই না। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি কারও মাথায় যেন না থাকে। আমরা তা দেখতে চাই না। সেজন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যই আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। নির্বাচনের জন্যই যেন আবার আমাদের রাস্তায় নামতে না হয়, মাঠে যেন নামতে না হয়, সেটাই বর্তমান সরকারকে ভেবে দেখতে বলব।নাগরিক সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বিএনপির ২৭ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের চার দফা নিয়ে ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। জনগণ ৩১ দফা গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি লায়ন ফারুক রহমান বলেন, শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট কন্যা হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, যদি ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে আপনারা গণ শত্রুতে পরিণত হবেন।দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি বাবলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সমবায় দলের সভাপতি নূরে আফরোজা জ্যোতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা আক্তার, আইনজীবী সম্রাট শাহজাহান প্রমুখ।এবি 
    ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
    সংস্কার কার্যক্রমের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও, আন্দোলন’ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংবিধান মেনে গণঅভ্যুত্থান হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলঙ্কায় নির্বাচন হয়েছে, তিউনিশিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। সেসব দেশে কি সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময় নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন কায়েম হয়েছে, এটাই হচ্ছে নিয়ম। সংস্কার হচ্ছে জনগণের শাসন কায়েম করা, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। সুতরাং সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করা, সেটা আমরা চাই না। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি কারও মাথায় যেন না থাকে। আমরা তা দেখতে চাই না। সেজন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যই আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। নির্বাচনের জন্যই যেন আবার আমাদের রাস্তায় নামতে না হয়, মাঠে যেন নামতে না হয়, সেটাই বর্তমান সরকারকে ভেবে দেখতে বলব।নাগরিক সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বিএনপির ২৭ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের চার দফা নিয়ে ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। জনগণ ৩১ দফা গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি লায়ন ফারুক রহমান বলেন, শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট কন্যা হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, যদি ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে আপনারা গণ শত্রুতে পরিণত হবেন।দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি বাবলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সমবায় দলের সভাপতি নূরে আফরোজা জ্যোতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা আক্তার, আইনজীবী সম্রাট শাহজাহান প্রমুখ।এবি 
    রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি। তবে মুক্ত চিন্তা ব্যতীত কোনো জাতি সামনের দিকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমির খসরু বলেন, ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে। মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে যে আকাঙ্ক্ষা দেখেছে যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছে সেটি আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক হিসেবে ধারণ করতে হবে দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কীভাবে গড়ব, সে বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর অবস্থান থাকতে হবে।বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। কৃষক-শ্রমিক ব্যবসায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর তিনি নজর রাখতেন।তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে গুম হয়েছে তাদের পরিবারের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একদলীয় কায়েম করে ধ্বংস করে দিয়েছে, এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর শামীমা সুলতানা প্রমুখ।এবি 
    কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান বিএনপির
    সাধারণ জনগণের ওপর কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক আরোপিত কর ও ভ্যাট জনগণের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এ আহ্বান জানান।তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই ১০০ টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, চাপ বাড়াবে।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তারা চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির প্রথম ধাপের ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তী সম্ভাব্য ঘাটতি মেটাতে ও ট্যাক্স-জিডিপি শর্ত পূরণ করে আইএমএফের ঋণের জন্য এই ভ্যাট বাড়িয়েছে। কারণ বর্তমান রাজস্ব দিয়ে সরকার বাজেটের খরচ মেটাতে পারছে না। একইভাবে কিছুদিন আগে সরকার ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে কয়েকটি লুণ্ঠিত ব্যাংকের তারল্য সংকট মোকাবিলায়।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ প্রমুখ।এবি 
    শেখ পরিবারের রক্ত থাকায় দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ: রিজভী
    টিউলিপ সিদ্দিকের রক্ত শেখ পরিবারের। তাই যুক্তরাজ্যের এমপি হওয়ার পরেও টিউলিপ সিদ্দিকী দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বড় হয়েছে লেখাপড়া করেছে। ইংল্যান্ডের একজন এমপি দুর্নীতি করবে এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। কিন্তু তার জিন হচ্ছে বাংলাদেশের শেখ পরিবারের। ওখানে লেখাপড়া করে এমপি হওয়ার পরেও তার জেনেটিকাল যে লাইন সেই লাইন সে ক্রস করতে পারেনি। আর করতে পারেনি বলেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো, দুর্নীতির প্রমাণগুলো এখন বেরিয়ে আসছে।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এটিএম খালেদের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।টিউলিপের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৫০০ কোটি ডলার চুক্তি করেছে। আর সেখান থেকে টিউলিপ ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংক থেকে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটা একদম সুস্পষ্ট গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।’গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমাণিত করেছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তার মতে, ‘মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান তুলনামূলক কম। দলটির ভেতর রাজনৈতিক উন্নয়নের কথা নেই। তারা মনে করতো, তাদের রাজনীতি বাইরে গেলেই সবাই অপরাধী।’‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তারা উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে।’এ সময় ভারত কী কারণে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এমন প্রশ্নও তোলেন রিজভী। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে আছে? শেখ হাসিনার দুটি পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে। তারপরও ভারত তাকে রাখে কীভাবে? এত বড় একজন দুর্নীতিবাজ, ছাত্র-জনতা হত্যাকারীকে ভারত রাখে কীভাবে?’শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগেরই একজন ঘনিষ্ঠ লোক বলেছেন— শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি তার ছেলে-ভাগনেদের কন্ট্রোল করতে পারেনি। জাহানারা ইমাম শেখ হাসিনার কাছের লোক ছিলেন, তিনি এসব বলে গেছেন।’আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, দলটির নেতাদের এমন প্রচারণার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘দেশে কিসের উন্নয়ন? সবকিছুতে চাঁদাবাজি করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন করতো, উন্নয়নের মধ্য দিয়েই তো টাকা পাচার করা যায়। উন্নয়ন কী তার বাবার টাকা দিয়ে করেছেন? উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে পাচার করেছেন, লুটপাট করেছেন।’এ টি এম খালেদ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেলো, তাদের বিচার এখন হয়নি কেন? এ দ্বায় আপনাদের কৃষিবিদদেরও আছে। আমাদের সবার আছে। এরকম একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা; তার হত্যার বিচার হলো না— এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।’কৃষিবিদ ড. রাশেদুল হাসান হারুন ও ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামিম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লবসহ নেতারা।
    এবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করলো ছাত্রদল
    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সংঘটিত সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করবে তারা।আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে March for Justice কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আগামীকাল শনিবার দুপুর দুইটায় এ কর্মসূচি শুরু হবে।বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নেতারা ছাত্রদলের সব নেতাকর্মীসহ ছাত্রসমাজকে মিছিলে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
    ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালালেও প্রশাসন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি: শিবির সভাপতি
    ফ্যাসিস্ট হাসিনা পলায়নের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশের প্রশাসন এখনো পুরোপুরি ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা নানাভাবে বাংলাদেশকে অশান্ত, অকার্যকর ও অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ছাত্র-জনতার ওপর যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের সিংহভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো বিচার হয়নি।ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রথম সাধারণ অধিবেশন-২০২৫ এর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজধানীর মগবাজরস্থ আলফালাহ মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী (১৬ ও ১৭ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রথম সাধারণ অধিবেশন শুরু হয়। উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে শহীদ সামিউ আমান নূরের বাবা মো. আমান।উদ্বোধনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামলে দীর্ঘ ষোলো বছর বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করেছে পঙ্গু। দেশের মানুষকে নানাভাবে দ্বিধাবিভক্ত করে আমাদের জাতীয় সংহতিকে দুর্বল করার নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম, খুন ও নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে মুক্তিকামী মানুষের ওপর। বিশেষত ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় ও অমানবিক দমন-পীড়ন চালিয়েছে। অবশেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার ভারতে পলায়নের মধ্য দিয়ে এক শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে আমাদের মুক্তি মিলেছে। কিন্তু যে দেড় হাজার ছাত্র-জনতার রক্ত ও হাজার হাজার মানুষের আহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ মুক্তি এসেছে, আমরা এ ঋণের দায়ে আবদ্ধ।তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের সিংহভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো বিচার হয়নি। এমনকি অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। অনেক অপরাধীকে নির্বিঘ্নে সীমান্ত পার হয়ে যেতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। অনলাইন ও অফলাইনে আমরা খুনিদের আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি৷ আওয়ামী লুটতন্ত্রের সময়ে দেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে, তা উদ্ধারের উদ্যোগও অপর্যাপ্ত। বরং লুটেরারা এ অর্থ বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য ব্যয় করছে। ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের অনেক আহত বীর এখনো শহীদ হচ্ছেন, অনেকে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কিন্তু তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। একদিকে আমরা শহীদদের দাফন করছি, অন্যদিকে খুনীরা আজও মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না।মানুষ একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষিত যে পরিবর্তন; রাষ্ট্রের কাঙ্খিত সংস্কারসমূহ এখনো ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। এ কার্যক্রমে আমরা খুবই ধীরগতি লক্ষ করছি।অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শহীদ-গাজীদের আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন যদি আমরা নিয়ে আসতে চাই, তাহলে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে আমাদের সবসময় ধারণ করতে হবে ও সমুন্নত রাখতে হবে। এ দুটি স্পিরিটকে যদি আমরা সমুন্নত রাখতে পারি, তাহলে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমরা ভূমিকা রাখতে পারবো। অন্যথায় এ স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। শুরু থেকেই ঐক্যকে ধারণ ও বিকশিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে শিবির। আগামীদিনেও দৃঢ়তার সাথে এ ভূমিকা পালন করবে।পতিত স্বৈরাচারের সময় বাংলাদেশের শিক্ষাখাত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজটি যেভাবে হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞদের নিয়ে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করে নৈতিকতা ও আধুনিকতার সমন্বয়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তাদের দেশের সম্পদে পরিণত করতে হবে। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে। চলমান ছাত্র আন্দোলনে আমরা সংহতি জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে এ সমস্যার শিক্ষার্থীবান্ধব সমাধান নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হল নির্মাণ করে শতভাগ শিক্ষার্থীকে হলে সিঙ্গেল আসন বরাদ্দ দেওয়া এবং হলে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি।আওয়ামী লীগের ইসলামবিদ্বেষী শাসনামলে বাংলাদেশের মাদ্রাসাসমূহ অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখনো দেশের মাত্র ৩টি মাদ্রাসা সরকারি আর অল্প কিছু মাদ্রাসায় অনার্স-মাস্টার্স রয়েছে। কোনো মাদ্রাসায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ নেই। মাদ্রাসাসমূহে অনার্স-মাস্টার্সের সুযোগ বিস্তৃত করার পাশাপাশি আলিয়া ও কওমি সকল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী যেন পড়াশোনা শেষ করার পর সম্মানজনক কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারেন, এটা নিশ্চিতকরণে এ শিক্ষার্থীদের জন্য চাকুরিতে সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। মাদ্রাসাসমূহে কমার্স চালু করতে হবে।বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। অথচ শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ও শিক্ষার্থীদেরকে আগামীদিনের নেতৃত্ব হিসেবে তৈরির জন্য এ নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এখন পর্যন্ত হাতে গোণা মাত্র দুয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। অবিলম্বে সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ আড়াই দশকের গণতন্ত্রহীনতা পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।গতকাল এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বাংলাদেশে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদী গ্রুপ তৈরি হচ্ছে যারা কোনো ধরনের সত্যতার যাচাই না করেই ছাত্রশিবিরের ওপর নিজেদের অপকর্মের দায় উঠিয়ে দেন। এসব মিথ্যাচার বন্ধ না করলে আমরা তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানো হয়েছে। এ সকল ঘটনার নিন্দা জানানো ভাষা আমাদের জানা নেই। অবিলম্বে এ সকল ঘটনা দায়িদের আইনের আওতায় এনে সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড় নিয়ে যারা নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের এ সকল অপতৎপরতা বন্ধে সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।এবি 
    ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
    অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বের হন। বাবরের মুক্তির খবরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মী ও তার নেত্রকোনা এলাকা থেকে দলে দলে লোকজন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করেন।লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ তার মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছে।গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। এ রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে খালাস পান। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানানো হয়।২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেফতার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারে পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর।এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।এবি 

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এলো হাজারীবাগের ট্যানারির আগুন
    রাজধানীর হাজারীবাগ কাঁচাবাজারে একটি লেদার গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিত তিন ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে দুপুর ২টার কিছু সময় আগে আগুন লাগে।ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর (অপারেশনস) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে দাহ্য পদার্থ আছে। প্লাস্টিক, চামড়া, কাপড়, কেমিক্যালসহ নানা সামগ্রী আছে। এজন্য আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি কাজ করে।  তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। 
    হাজারীবাগে ট্যানারি গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
    রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি কাঁচাবাজারে একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, সাততলা একটি ভবনের পঞ্চম তলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুই ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। এরপর আরও ইউনিট বাড়িয়ে বর্তমানে মোট ১২টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন লাগা ভবনের পাঁচতলা থেকে কাচ ভেঙে নিচে পড়ছে। আগুনের ভয়াবহতা বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। 
    ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় এসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা নিহত
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় আদম আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ আহত হয়েছেন আরও তিন জন।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আসাদগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আদম আলী মারা যান। নিহত আদম আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানাধীন মুক্তা রামপুর গ্রামের ওয়ারেজ আলীর সন্তান। তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মো. মাসুম জানান, তার চাচা পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। ছেলে শাকিরকে ডাক্তার দেখাতে পরিবারসহ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। পরিবারের চার সদস্য সিএনজি অটোরিকশায় করে আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে আসাদগেট এলাকায় দ্রুতগামী একটি ট্রাক সিএনজি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তার চাচাসহ সিএনজিতে থাকা চারজনই আহত হন।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। আদম আলীর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসা: অভিযুক্ত চিকিৎসকের জামিন
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত তার জামিন আদেশ দেন।  এর আগে আসামি ড. শাহেদারা বেগমকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশু ইরতিজা আরিজ হাসানের বাবা মাহমুদ হাসান মামলাটি করেন।এজাহার সূত্রে জানা যায়, চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে দেড় বছর বয়সী ইরতিজার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। তবে বাম চোখের বদলে ডান চোখে চিকিৎসা করা হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে চিকিৎসা করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্র্যাবিসমাস সার্জন ডা. শাহেদারা বেগম।এবি 
    শিশুর ভুল চোখের চিকিৎসায় ডা. শাহেদারা গ্রেপ্তার
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত সেই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মাহমুদ হাসানের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই নারী চিকিৎসকের নাম ডা. শাহেদারা বেগম। তিনি ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ।এজাহারে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার দেড় বছর বয়সী এক শিশুর চোখে তিনি (চিকিৎসক) ভুল অপারেশন করেছেন। শিশুর বাম চোখে সমস্যা অথচ ওই চিকিৎসক ডান চোখে অপারেশন করেছেন।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে হাসপাতালে শিশুর চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় ঘটে বিপত্তি। দেড় বছর বয়সী শিশু ইর্তিজা আরিজ হাসানের বাম চোখের বদলে ডান চোখে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে অস্ত্রোপচার করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্র্যাবিসমাস সার্জন ডা. শাহেদারা বেগম।এবি 
    ইএফটি জটিলতায় বেতন পাননি যশোরের আড়াই হাজার শিক্ষক
    যশোরের আড়াই হাজার শিক্ষক এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) জটিলতার কারণে তাদের বেতন আসেনি বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। ফলে তারা চরম অর্থ কষ্টে ভুগছেন। সদর উপজেলার রুপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমীর প্রধান শিক্ষক বিএম জহুরুল পারভেজ জানান, ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে শিক্ষকদের একাউন্টে বেতন চলে আসবে। এজন্য ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের অর্ন্তভূক্ত করার লক্ষ্যে নভেম্বর মাসে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সারা দেশে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে বলা হয়। এ লক্ষ্যে যশোরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক তাদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিজেদের কাগজপত্র জমা দেন। কাগজ পত্রের মধ্যে শিক্ষকদের যোগদানের পত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি ও ব্যাংক একাউন্ট নম্বর। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে শিক্ষকদের কাগজপত্র গুলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় পাঠিয়েছে। কিন্তু শিক্ষকরা গত ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনো পাননি।নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আই প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারে শিক্ষকদের বেতন তাদের একাউন্টে আসার কথা ছিল। সফটওয়্যার জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, তার স্কুলে ২৫জন শিক্ষকের মধ্যে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে বেতন পেয়েছেন ১৪ জন। এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি ১১ জন শিক্ষক।বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল আনাম আজাদ জানান, তার স্কুলে ২৪জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ৮জন বেতন পেয়েছে। তিনিসহ ১৬জন এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। কবে তারা বেতন পাবে তিনি সেটা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি।এই বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের আইবাস প্লাস সফটওয়্যারের অর্ন্তভূক্ত করার কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে যশোরে ইলেকট্রিক ফ্যান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে আড়াই হাজার শিক্ষক এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এমআর
    নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
    ঝিনাইদহ সদরে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর রুবেল হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাদপুকুর গ্রামের সোহেল মিয়া নামের এক ব্যাংকারের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রুবেল হোসেন ওই গ্রামের পিন্টু মিয়ার ছেলে।স্থানীয়রা জানায়, গত ১১ জানুয়ারি বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন রুবেল হোসেন। বিভিন্ন জায়গায় তাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। শনিবার দুপুরে সোহেল মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে কাজ করতে আসেন কয়েকজন শ্রমিক। সেসময় ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। তখন শ্রমিকরা স্থানীয়দের ডেকে নেয়। পরে তারা গিয়ে দেখতে পায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ওই যুবকের মরদেহ পড়ে আছে। সেসময় তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।এব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।এআই
    কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
    কুষ্টিয়ায় মিরপুরে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের নিকট থেকে রামদা ও ছুরা উদ্ধার ও একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমন জব্দ করা হয়।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার কাকিলাদহ ফাড়ি পুলিশ রাধানগর-দর্গাপাড়া গামী রোডের মধ্যবর্তী গলাকাটা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন- মেহেরপুর সদর থানার বামনপাড়া এলাকার কিবরিয়া মুন্সী (২৭), রাধাকান্তপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন (২৩), চকশ্যামনগর এলাকার আশিক (২১), সুজন মিয়া (২০) ও রাজাপুর এলাকার গোলাম সারোয়ার (২৪)। এছাড়াও উক্ত ঘটনায় স্থানীয় দুজন ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী কাকিলাদহ ফাড়ির ইনচার্জ তাহমুদুল ইসলাম বলেন, ওইদিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একদল ডাকাত অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশ ফোর্স রাধানগর-দর্গাপাড়া গামী রোডের মধ্যবর্তী গলাকাটা নামক স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের দুই জন সদস্য পালিয়ে গেলে ৫ জন ডাকাতকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।তাদের নিকট থেকে একটি বড় রামদা, একটি ছোট রামদা, একটি ছুরি ও দড়ি উদ্ধারসহ একটি ইঞ্জিন চালিত গরু টানা গাড়ি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের রাতেই থানাতে সোপর্দ্দ করা হয়। এ ঘটনায় ৭ জনের নামে থানাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মিরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের অভিযানে ৫ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাকীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।এআই
    যশোর হাসপাতালে জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
    শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয়বাদী আদর্শে বিশ্বাসী সকল চিকিৎসক, নার্স, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। হাসপাতাল সভাকক্ষের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. মোজাম্মেল হোসেন, ডা. এসএম আবু আহসান লাল্টু, ডা. একেএম মেসবাহ উর রহমান।ডা. উবায়দুল কাদির উজ্জলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. শরিফুল আলম খান, ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ, ডা. আহসান কবীর বাপ্পী, ডা. মনিরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা.রবিউল ইসলাম তুহিন।এআই
    বাগেরহাটে দিনব্যাপী জেলা বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত
    "যুক্তির আলোয়  মুক্তির জয় গান' শ্লোগানে" বাগেরহাটে প্রথমবারের মতো বসুন্ধরা সিমেন্ট (এনডিএফ বিডি) বাগেরহাট জেলা বিতর্ক উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার আয়োজনে দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিক ভাবে এই উৎসব শুরু হয়।জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বাগেরহাটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুসংস্কার দূর করতে এবং তাদের যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে এ উৎসবের আয়োজন বলে জানান আয়োজকেরা।ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান।দিনব্যাপী এ বিতর্ক উৎসবে ছিলো, জনপ্রিয় শিশু বিতর্ক প্রদর্শনী, সংসদীয় বিতর্ক, পেশাজীবী বিতর্ক, প্লানচেট বিতর্ক প্রদর্শনী, সনাতনী বিতর্ক, বারোয়ারী বিতর্ক, পাবলিক স্পিকিং  ও কুইজ প্রতিযোগিতা।এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দুটি কর্মশালার মধ্যে ছিলো ইংলিশ ডিবেট ওয়ার্কশপ এবং সনাতনী বিতর্ক কর্মশালা। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন। বিশেষ গুরুত্ব বহনকারী এই বিতর্ক উৎসবে অংশ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।বিতর্ক উৎসবকে ঘিরে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয় অনুষ্ঠানস্হল। ভবিষ্যতে বাগেরহাটে এই ধরনের আরও মহতী উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষিত করে যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশ গঠনে তাদের ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা স্থানীয়দের।এআই
    চকরিয়া মসজিদের বাথরুম থেকে মুসল্লির মরদেহ উদ্ধার
    কক্সবাজারের চকরিয়ায় মসজিদের বাথরুম থেকে নুরুল ইসলাম (৬২) নামে এক মুসল্লির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে চকরিয়া থানা সেন্টার মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।মুসল্লীরা জানান, নুরুল ইসলাম এশার নামাজ পড়ার জন্য থানা মসজিদে আসে। পেস্রাব করার জন্য মুসল্লী নুরুল ইসলাম বাথরুমে গেলে তার মৃত্যু হয়। মুসল্লীগনদের ধারণা স্ট্রোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। মৃত নুরুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাটাখালী এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, বাথরুম সারতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে ওই মুসল্লি। মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।এআই
    চকরিয়ায় স্ত্রী হত্যা: ঘাতক স্বামী পুলিশ হাতে আটক
    চকরিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় ঘাতক স্বামী শওকত হাসান মেহেদী বান্দরবানে আটক করেছে লামা থানা পুলিশ।  পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা থানাধীন কুমারী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জামিল আহমদের নেতৃত্বে ঘাতক মেহেদী শওকত হাসান মেহেদীকে ঘটনার ৮ ঘণ্টার মধ্যে লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের  ইয়াংছা কাঁঠালছড়া থেকে রাত সাড়ে ৮টার সময় আটক করা হয়। চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেছে স্বামী মেহেদী। ঘটনাস্থলে নিহত হন স্ত্রী। তারা চকরিয়া নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে ও স্ত্রী।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে খুনি শওকত হাসান মেহেদী (২৩) চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আজমুল্লা পাড়ার মরকাজ মসজিদ সংলগ্ন আবুল কাসেমের ছেলে। ঘটনার পরপরই নিহত উম্মে হাফসা তুহি আর ঘাতক মেহেদীর একটি কাপল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত ছবি দেখে ঘাতক মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ জামিল আহমেদ বলেন, আসামিকে লামা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এআই
    টেকনাফে রহস্য ঘেরা আগুনে পুড়ে ছাঁই হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প!
    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখায় শত শত বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনতার মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।তথ্য সুত্রে দেখা যায়, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে এই দুই উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে বেশ কয়েক দফায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।নিহত-আহত হওয়ার পাশাপাশি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল প্রায় এক হাজার বসত বাড়ি। তবে উক্ত আগুনের সুত্রপাতের সঠিক তথ্য উদঘাটন নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, নানান অপকর্মে জড়িত অপরাধী চক্রের সদস্যরা তাদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ভাবে গভীর রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।আবার আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় রোহিঙ্গারা বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি অসহায় রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে এবং তাদের মাথা বিক্রি করে ক্যাম্প গুলোতে সাহায্য প্রদানকারী বিদেশী এনজিও সংস্থার কাছ থেকে কোটি কোটি বাজেট আদায় করে নিয়ে আসার পাশাপাশি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে, নাশকতায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ক্যাম্প আগুন লাগার ঘটনা ঘটাচ্ছে ক্যাম্পে দায়িত্বরত অর্থলোভী এনজিও কর্মকর্তারা।এদিকে তারেই ধারাবাহিকতায়, গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে টেকনাফে উপজেলার অন্তর্গত হ্নীলা ইউনিয়নে অবস্থিত নয়াপাড়া ২৬নং মোচনী রেজিস্ট্রেশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রহস্যময় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। উক্ত আগুনের লেলিহান শিখায় প্রায় দুই শতাধিক বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়। এতে বসত বাড়ি হারা হয়ে পড়ে প্রায় ৬ শতাধিক অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পের বাসিন্দা পানের দোকানদার মো. জোবায়ের নামে এক যুবক সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমার পার্শ্ববর্তী ব্লকের মধ্যে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখাটি স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্যাম্পের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার আগ মুহূর্তে পুড়ে যাওয়া অনেক বসত বাড়ির দরজায় তালা লাগানো ছিল। এতে করে বোঝা যাচ্ছে নাশকতায় জড়িত অপরাধী চক্রের সদস্যরা ইচ্ছে করে ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলেও ধারণা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় রোহিঙ্গারা।আগুনে পুড়ে করুন মৃত্যুর শিকার হওয়া, শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকার পিতা ইব্ররাহিম গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, আগুন লাগার সাথে সাথে সবাইকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়েকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারি আমার শিশু কন্যা ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে মারা গেছে। পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আগুন লাগার আসল ঘটনা উদঘাটন করে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন তিনি।আগুন লাগার বিষয়ে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেছেন, ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে আকস্মিক আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ,স্থানীয় জনতা ও পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক শ' বসত বাড়ি এবং নানা প্রকার স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উক্ত ঘটনায় এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে আগুন লাগার ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত কিনা সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলেও জানান তিনি।এআই
    নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
    নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে হত্যা মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার আজমল হোসেন ওরফে ইরাজ (৪৫) উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের আজাহারের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।  শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ওছখালী এলাকার সরকারি দ্বীপ কলেজের সামনের সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ইরাজের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ দুপুরের মধ্যেই তাকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এআই
    বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় শিশুকে পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ
    কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় দুই শিশুকে মারধর ও পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বুড়িচং থানার পূর্বপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে৷ এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহানকে অভিযুক্ত করে বুড়িচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী দুই শিশুর মা শামছুন নাহার তানিয়া (৩৫)।অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে বুড়িচং থানার পূর্ব পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নজির আহম্মেদের দুই মেয়ে মিফতাহুল মাওয়া (০৪) এবং গালিবা সুলতানা (১০) বালি নিয়ে খেলা করছিলেন ওই এলাকার মো. শাহ জাহান (৫০) এর বাড়ির সামনে। এসময় একই এলাকার বাসিন্দা ও তাদের প্রতিবেশী মো. শাহ জাহান (৫০) পূর্ব শত্রুতার জেরে নজির আহমেদের ছোট মেয়ে মিফতাহুল মাওয়াকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং কোলে তুলে পুকুরে ফেলে দেয়। এসময় গালিবা চিৎকার করলে শাহ জাহান তাকেও মারধর করে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত শাহজাহান পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা আহত দুই শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মিফতাহুল মাওয়ার অবস্থার অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, অভিযুক্ত শাহ জাহানের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য শাহ জাহানকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য বুড়িচং থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি।
    শ্রীনগরে অতিরিক্ত সচিবের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৭
    মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিম খান ও তার চাচাতো ভাই রেজানুর খানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় লুন্ঠিত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত চাকু, কাটার, রেঞ্জ, কাউয়ালিসহ বিভিন্ন সরমঞ্জমাদি উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার বেলা ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার।গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে মূল পরিকল্পনকারী সালাহউদ্দিন চৌকিদার (৩৭), রুবেল হোসেন (৩৭), উজ্জল দাস (৪৮), সজিব মিয়া (২৫), মো. ফয়সাল (২৭), মিলন (৩৮) ও মো. ওবায়দুল হক ওরফে সুমন (২৭)। পুলিশ সুপার জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মধ্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ভোর ৪ টার দিকে জেলার শ্রীনগর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামে পাট মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতি হয়। এসময় পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদল। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারীতে অতিরিক্ত সচিবের বোন রওশন আরা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।এমআর
    মাদারীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা
    মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে এলাকায় সিটি হাসপাতাল চলছে ঝুকিপূর্ণ ভবনে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কার করছে স্থানীয়রা।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার টেকেরহাট এক নম্বর ব্রিজ এলাকার মহাসড়কের পাশের একটি পুকুর ভরাট করে ৬তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এই ভবনেই সিটি হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করেন। কার্যক্রম শুরু করার পরেই ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবী, হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র ছাড়াই চলছে। তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবী ষড়যন্ত্র করে কেউ কেউ মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দা ওমর শেখ বলেন, যেখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে ওখানে আগে পুকুর ছিলো। পুকুর ভরাট করেই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকায় লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।রাজৈর পৌরসভার সচিব ইকরামুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাটি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হলে ৬তলা ভবনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। তবে সিটি হাসপাতালের ভবন নির্মাণের অনুমতি আছে কিনা তা জানা নেই বলে জানান তিনি।সিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ইটের গাথুনি পানি কম দিলে ফাটতেই পারে। আমার সম্পদ। আমার মাথা ব্যথা নেই ,অন্যদের মাথা ব্যথা? ফায়ার সার্ভিস, পৌরসভা সবকিছু দেখেই অনুমতি দিয়েছে। মানুষ শত্রুতা মূলকভাবে এসব মিথ্যা কথা বলছে।মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনির আহম্মদ বলেন, যেসব শর্তসাপেক্ষে সরকার লাইসেন্স দিয়ে থাকে তা প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা আমরা পর্যাবেক্ষণ করি। যদি কোন বিঘ্ন করতে দেখি তাদের আমরা পরপর ৩টি নোটিস দেই। যদি সংশোধন না হয় তখন আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বন্ধ করে দেই। উক্ত হাসপাতালটি লাইসেন্স নবায়নের পর্যায় আছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।এমআর
    কিশোরগঞ্জে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
    পৌষের শেষে তীব্র শীতে নাকাল জনজীবন। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে চরম দুর্ভোগে পড়েন ছিন্নমূল মানুষ। এই শীতে অসহায় দুস্থ শীতার্তদের একটু উষ্ণতা দিতে কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে শোলাকিয়া কানিকাটা মোড়ে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করা হয়।এসময় শোলাকিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্দোক্তা মেহেদী হাসান সাদবিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এ কে নাসিম খান, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন, শহীদ খায়রুল স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হাসান বাবুল সহ শোলাকিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ। এ সময় ৭ শত দুস্ত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীত বস্ত্র গ্রহণকারী আমেনা আক্তার বলেন, গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে রাতে ঘুমাতে খুব কষ্ট হয়েছে। শোলাকিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেয়া কম্বল পেয়ে সেই কষ্ট লাঘব হবে। মেহেদী হাসান সাদবিন বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আজ ৭শত অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো মানবসেবা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।এমআর
    জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছে: ফরিদপুরে অধ্যাপক ইলিয়াস
    ফরিদপুর-১ আসনের জামায়াত নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মোল্যা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বিগত পতিত স্বৈরাচার এমন কোনো কাজ বাকী নাই, যেটা করেনি। রাষ্ট্র থেকে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে দলের জাতীয় নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলাইরচর চৌরাস্তা এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।সভায় সদর ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের আমীর মো. শাহাদাত হোসেন খোকন মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্যা বলেন, জামায়াতের লোকেরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে না। জামায়াতের লোকেরা স্বজনপ্রীতি করে না, রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে না, জামায়াতের প্রত্যেকটি লোক আলাদা আলাদা ব্যবসা ও চাকরি করে। উপার্জিত অর্থ থেকে আমরা একটা অংশ দলকে দিয়ে থাকি। এসময় একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্যা।ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ইমারত হোসেন চৌধুরী ও উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা কামাল হোসাইন।এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পৌর শাখার আমীর ওয়াহিদুল ইসলাম, উপজেলা শাখার সেক্রেটারী এস এম হাফিজুর রহমান, রাজধানীর পল্টন থানা পেশাজীবি সংগঠনের সভাপতি শাহাজাহান সিরাজ, উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সেক্রেটারী এস এম রিদওয়ানুন্নবী রিদওয়ান, অফিস সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান ও উপজেলা যুব বিভাগের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মারুফ শেখ প্রমুখ।এমআর
    ভারত থেকে ফ্যাসিবাদীরা মন্দিরে হামলার প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: ফারুকী
    সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, কথিত ফ্যাসিস্ট আমাদের পাশের দেশে গিয়ে লুকিয়ে আছে। মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা তারাই করেছে কিন্তু সফল হয়নি। এই চক্রান্ত এখনো তারা চালাচ্ছে। আমি অনুরোধ করবো আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের ওপর হামলার কাল্পনিক প্রোপাগান্ডা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মাসব্যাপী লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ফারুকী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাউলশিল্পীদের নিয়ে নানা রকম প্রোপাগান্ডা চলছে। এগুলোর ব্যপারে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।তিনি বলেন, যেকোনো বড় রাজনৈতিক ঘটনা একটি সাংস্কৃতিক ঘটনার বহিঃপ্রকাশ। জুলাই এর ঘটনা একদিন দুইদিনের ঘটনা নয় মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ দিয়ে এই জাতিকে দুই ভাগ করা হয়েছে। আমাদের ধর্ম আমাদের সংস্কৃতির অংশ না, এটা বলে ধর্মকে সংস্কৃতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা যদি সাংস্কৃতিক বিরোধ মেটাতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ মিটবে না।উপদেষ্টা বলেন, অনেক টাকা ব্যয় করে নগরীতে সংস্কার করলে যদি দর্শনার্থী না আসে তাহলে সংস্কারের কোন মূল্য থাকবে না। ৫০-৬০ বছর পরে আবারো এগুলো ধ্বংসের মুখে পড়বে। সোনারগাঁকে পর্যটন নগরী করা সম্ভব ঢাকা থেকে দর্শনারথীরা পরিবার নিয়ে দর্শনীয় স্থান দেখার পাশাপাশি রাত্রি যাপন করতে পারে এবং বিভিন্ন কালচারাল অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করতে পারে। সোনারগাঁ বাংলাদেশের মধ্যে বড় ট্যুরিজমের জায়গা হতে পারে।তিনি আরও বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়া যে কোনো জাতির লক্ষ্য। কিন্তু সামনে এগিয়ে যেতে গেলে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পেছনে কোন রাস্তাটা ফেলে এসেছে বা কোন রাস্তা দিয়ে হেঁটে এসেছে এ জাতি, সেদিকে নজর রাখা। এ দিকে নজর রাখার কাজই হচ্ছে লোক ও কারুশিল্প মেলার কাজ। আমরা কোথা থেকে এসেছি এবং আমাদের জার্নিটা কেমন ছিল সেই দিকে খেয়াল রাখা।প্রতিবছরের মতো এবারও বড় আকারে আয়োজন হয়েছে জানিয়ে ফারুকী বলেন, এখানে আসার বড় বাধা হচ্ছে, এখানের অ্যাপ্রোচ রোডটা খুব সরু। এটা আজকেই সমাধান করতে না পারলেও এই বিষয়টি আমরা অ্যাড্রেস করবো। যাতায়াত ব্যবস্থা যাতে আরও উন্নত হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব হেলালউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক এ কে এম আজাদ সরকার। উৎসবে  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্পী  মিলঞ্চি সিং, চিত্রিত হাতি ঘোড়া কারুশিল্পী ধীরেন্দ্র সূত্র ধর, টেপা পুতুল কারুশিল্পী সুনীল পালকে শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী পুরষ্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। প্রত্যেককে একভরি ওজনের পদক ও এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়। দুজনকে শিল্পাচারয জয়নুল আবেদীন  আজীবন সম্মাননা ২০২৪ দেয়া হয়। নকশি কাঁথা শিল্পের জন্য বেগম হোসনে আরা ও তামাকাসা শিল্পের জন্য মানিক সরকার এ পুরস্কার পেয়েছেন। দুজনের প্রত্যেকে তিন লাখ টাকা ও দেড় ভরি ওজনের পদক দেওয়া হয়।আবহমান বাংলার বিলুপ্ত প্রায় লোক ঐতিহ্য ও লোক সংস্কৃতির সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবনের লক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের এ উৎসবের আয়োজন করেছে। এবারের উৎসবে কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টিসহ মোট ১০০টি স্টল স্থান পেয়েছে। সারাদেশের প্রথিতযশা ৬৪ জন কারুশিল্পী কর্মরত প্রদর্শনীতে এবার অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া উৎসবে রয়েছে লোকজীবন প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ, গ্রামীণ খেলা, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কারুশিল্পীদের তৈরি  লোকজ পণ্য এবং উদ্যোক্তাদের কারুপণ্য প্রদর্শন ও বিপননের ব্যবস্থা।প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে পরিবেশিত হবে বাউলগান, পালাগান, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি গান, জারি-সারিগান, হাছন রাজারগান, শাহ আব্দুল করিমের গান, লালন সংগীত, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ নৃত্যনাট্য, গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, চর্যাগান ও লোকগল্প বলা।প্রতি শুক্রবার ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে লোকজীবন প্রদর্শন ও কানামাছি ও বউচিসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা প্রদর্শন করা হবে।দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে থানা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উৎসব খোলা থাকবে। উৎসবে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা।
    পটুয়াখালীতে তথ্যসেবা কেন্দ্রের দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার সময় আটক ১
    পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে লোহার দরজা ও জানালা খুলে নেওয়ার সময় একজনকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়িয়া গ্রামের চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত ব্যক্তির নাম হানিফ মোল্লা (৫৫)। তিনি বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লামনা গ্রামের আপ্তের মোল্লার ছেলে।জানা যায়, শনিবার সকালে হানিফ মোল্লা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের ভবনে ঢুকে দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন মালামাল খুলে একটি অটোভ্যানে তুলছিলেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে দ্রুত কলাগাছিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। খবর পেয়ে তদন্ত কেন্দ্রের এসআই কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে হানিফ মোল্লাকে আটক করেন এবং মালামাল জব্দ করেন।এ ঘটনায় বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রেজিনা আক্তারের নাম উঠে এসেছে। আটক হানিফ মোল্লা স্বীকার করেছেন যে, অধ্যক্ষ রেজিনা আক্তারের নির্দেশেই তিনি দরজা-জানালা খুলছিলেন।রেজিনা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “তথ্যসেবা কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ দুইটি রুম ইউনিয়ন পরিষদের। তবে বাকি রুমগুলো আমাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। তথ্যসেবা কেন্দ্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা হয়। তাই দরজা-জানালা খুলে নিতে বলেছি।বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের মালামাল ও আটক ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তথ্যসেবা কেন্দ্রটি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে করা হয়েছিলকলাগাছিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক ঝিলন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার করা মালামাল পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।এমআর
    বরগুনায় জেলেদের দিক নির্ণয়ের জন্য লাইট হাউজ স্থাপন
    বরগুনার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় নির্বিঘ্নে সব ধরনের দেশি-বিদেশি জাহাজ ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলে সুবিধার্থে তালতলীতে একটি বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজ স্থাপন করা হয়েছে। এতে যেকোনো দূর্যোগ হলে জেলেরা ট্রলার নিয়ে দ্রুত তীরে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবেন।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় নির্মিত এ  বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে সালমা। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ তালতলী-আমতলীর সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাইরাজ মাঝী, পায়রা নদী ইলিশ রক্ষা কমিটির সভাপতি শাহাজান শেখ প্রমুখ। জানা যায়, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়েন। এ সময় দ্রুত সাগর মোহনায় উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে হয় তাদের। তবে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ের ফিরতে বিশেষ করে রাত্রিকালীন সময়ে কোনো দিক নির্দেশনা না থাকায় বিপাকে পড়তে হত জেলেদের। এ কারণেই জেলেদের সুবিধার্থে তালতলীর তেতুল বাড়িয়া এলাকায় পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় দি শেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সহযোগিতায় সিবিডিপি এ বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজটি বাস্তবায়ন করেন। এ ছাড়াও প্রকল্পটির সার্বিক সহযোগিতা করেন জাগোনারী, ঈশানা নারী ফাউন্ডেশন এবং রাখাইন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (আরএসডিও)।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ তালতলী-আমতলীর সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, দিক নির্ণয়ের জন্য কোন রকম সিগন্যাল না থাকায় উপকূলীয় জেলারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো লাইট হাউজ স্থাপন করার। তিন নদীর মোহনায় একটি লাইট হাউজ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করায় জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। জেলেরা যে কোনো সময় এখানে এসে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, লাইট হাউজটি নির্মাণের ফলে জেলেরা দ্রুত সময়ে উপকুলে ফিরে আসতে পারবেন। এ ছাড়াও লাউট হাউজের সঙ্গে একটি বিশ্রামাগার থাকায় জেলেরা সেখানে এসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। জেলেদের সুরক্ষায় ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের  পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।এমআর
    প্রকল্প পরিচালকের গাড়িবহর আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা
    প্রকল্পে অধিগ্রহনকৃত বসতঘরের মূল্য পরিশোধের দাবীতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রকল্প পরিদর্শনে আসা প্রধান উপদেস্টার কায্যালয়ের সচিব সাইফুল্লাহ পান্না, প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামানের গাড়ী বহর আটকে দেয় ভুক্তভোগী পরিবারের সদ্যসরা।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের প্রকল্প এলাকা ধানখালীতে ভুক্তভোগী চার শতাধিক পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ চলালাকালে তাদের গাড়ী বহর আটকে দেয়। পরে দ্রুততম সময়ে সম্যস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে গাড়ী বহর ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।এসময় তাদের সাথে সফরসংগী ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো.কাউসার, জেল প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার'র প্রকল্প পরিচালক, ডিজেল পাওয়ার প্লান্টের পরিচালক, এম এম বিল্ডাসের চেয়ারম্যান সহ জেলার উর্ধতন কর্মকর্তারা। ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামানের ছবিতে আঅগ্নিসংযোগ করে। বসতঘরের মূল্য পরিশোধ এবং প্রকল্প পরিচালকের পদত্যাগের দাবীতে নানা শ্লোগান দেয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আল-মামুন, সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ তালুকদার, আনাসার উদ্দিন মোল্লা, আসাদুজ্জামান আলমগীর প্রমুখ।বক্তারা বলেন, প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেন চার শতাধিক পরিবারের বসতঘরের মুল্য পরিশোধ করেনি আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট এবং এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং।নানা অযুহাতে সময়ক্ষেপণ সহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। দ্রুত ন্যয্য পাওনা পরিশোধের দাবী জানিয়ে বক্তারা বলেন, তাদের দাবী আদায় না হওয়া পযন্ত প্রকল্প এলাকায় কোন কাজ চলমান থাকতে পারেনা।  বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান বাতিল প্রকল্পে ইতোমধ্যে ৮'শ কোটি টাকা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছেন। অথচ ভুক্তভোগী পরিবারের বসতঘরের টাকা দিচ্ছেন না। বরং প্রশাসন সহ স্থানীয় দালালদের ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছেন।এমআর
    ঝালকাঠিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
    বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পিংরি নামক স্থানে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টার দিকে বরিশাল মুখি একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক সোলায়মান ফকির (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। একই মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী গুরুতর আহত হয়েছে। তবে এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত আহতের পরিচয় মেলেনি।নিহত সোলায়মান ফকির ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওরা ইউনিয়নের মৃত আবুল ফকিরের ছেলে। সে কৃষি ব্যাংকে এমএলএসএস পদে চাকুরি করতেন। বর্তমানে বাড়িতে থেকে সুপারী ও কাচামালের ব্যবসা করতেন। রাজাপুর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন এ দুর্ঘটনায় নিহতের তথ্য গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, 'ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা ও ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।এমআর
    সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে শক্তিশালী করতে হবে: আব্দুল আউয়াল
    বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগীয় দলনেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, যারা র্দীঘ দিন ধরে রাজনীতি করতে আছে, দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে দলকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সেই রকমের নেতা যেন আমাদের কর্মীদের ধারা নির্বাচিত হয়। সেই বিষয় গুলো নিয়েই আজ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন কমিটি হবে, অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে। অনেক মতামত দিবে, ওই মতামত গুলো আমরা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে আমরা কিভাবে দলকে শক্তিশালি করতে পারবো এবং নির্বাচনে দলীয় লোকের পক্ষে থেকে যেন কাজ করা হয় সেই বিষয় গুলো নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা যখন নতুন নেতৃত্ব হবো তখন দেখবেন কোন বিরোধ থাকবে না আপনাদের মধ্যে। আব্দুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে বলেন, দেশে প্রায় ১২শ’ নেকাকর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে।  বরিশালেও যদি কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে দল ঠিক এ্যাকশন নিবে। তিনি আরও বলেন, গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন শুধু এক মাসের সাফল্য নয়, এই সফলতা বিগত ১৫ বছরব্যাপী বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফসল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে বরিশাল মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাঃ জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান। এছাড়াও মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সট-আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগীয় টিম প্রধান।এআই
    ময়মনসিংহের রেলপথে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা কেন বাড়ছে?
    ময়মনসিংহ রেলপথে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মৃত্যুর পরও রেললাইনগুলো ব্যবহার হচ্ছে হাঁটার পথ হিসেবে, অথচ এটি যে আইনত: নিষিদ্ধ সেই খবরও অনেকেই রাখেন না।অনেকে রেললাইন ধরে হাটা নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যখন দুই দিক থেকেই ট্রেন আসে তখন তারা বুঝতে না পেরে একদিকে সরে দাঁড়ান এবং ট্রেনের নীচে পড়েন। এছাড়া অনেকেই রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলেন বা হেডফোন লাগিয়ে রাখেন কানে।গেল ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ নগরীর পঁচাপুকুরপাড় এলাকার রেলক্রসিংয়ে বিয়ের বাজার করে অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন একই পরিবারের নারীসহ দুইজন যাত্রী, কিন্তু রেলক্রসিংয়ের একটি বেড়িয়ার নষ্ট থাকায় অটোরিকশাটি রেললাইনে ওঠে পড়ে ঠিক সেসময় জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে অটোরিকশার দুই যাত্রী ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে নিহত হন।নগরীর পঁচা পুকুরপাড় এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখানে একটি ছোট্ট রেলক্রসিং আছে, ট্রেন আসলে একপাশ থেকে দেখা যায় না, আবার যেপাশ থেকে দেখা যায় না, সেখানকার বেড়িয়ারটা ১ বছর যাবত নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, যার কারণে প্রায়ই রেললাইনে যানবাহন ওঠে পড়ছে, ঘটছে ছোটখাটো দূর্ঘটনা।আরেক বাসিন্দা বলেন, দিনে যে কয়বার ট্রেন আসে, গেইটম্যান বেড়িয়ার নামালেও অনেক যানবাহনের চালক জোর করে পার হতে চায়, বাধা দিলে গেইটম্যানকে গালাগালি করে, বিভিন্ন সময় গায়ে হাত তুলে। মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে কিচ্ছু করার নেই।রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আকতার হোসেন বলেন, রেললাইন বসে থাকা, মোবাইল গেমিং করা, সখেরবশে সেলফি তুলতে আসা এসব বন্ধ করতে হবে। আমরা বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে থাকি, প্রতিমাসে ওপেন হাউজডের মাধ্যমে সভা করি।১৮৯০ সালের রেল আইনে রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফুটের মধ্য দিয়ে মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। এমনকি এর মধ্যে গরু-ছাগল ঢুকে পড়লে সেটিকেও নিলামে বিক্রি করে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। রেলে কাটা পড়ে কেউ আহত হলে উল্টো ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধেই মামলা করতে পারে রেলওয়ে। এতসব কঠোর নিয়ম থাকার পরও প্রতিবছর প্রায় একশোর মতো মানুষের এভাবে মৃত্যু হচ্ছে।"রেললাইনে প্রতিবছর এত মৃত্যুর দায় রেল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এড়াতে পারে না বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। রেল পুলিশের হিসেবে ২০২৪ ও ২৫ এর শুরুতে রেললাইনে কাটা পড়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় একশজন মানুষের।দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইনকে সুরক্ষিত করার কথা বলছেন আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফারজানা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, রেলের আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে, পাশাপাশি আইনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রেলপথকে সুপরিকল্পিতভাবে সুরক্ষিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি রেলে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কিনা সেটা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বের করার পরামর্শও দেন তিনি।কিন্তু যে রেললাইন দিয়ে চলাফেরা করা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা থেকে মানুষকে বিরত রাখা যে খুব সহজ নয় জানালেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে সুপারিন্টেন্ডেন্ট নাজমুল হক খান।তিনি বলেন, রেললাইনের দু'পাশের ১০ ফিট জায়গাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে, এখানে সম্পূর্ণ চলাচল নিষেধ। কিন্তু তারপরও মানুষ অসচেতনতাবশত, খেয়ালখুশিমতো অথবা আত্মহত্যা জনিত কারণে রেললাইনে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।এমআর
    ত্রিশালে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
    ময়মনসিংহের ত্রিশালে সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পৌরসভা সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় রোডে সহস্রাধিক নারীপুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী শান্ত, রিশাদ, মোরাদ ও তাদের গ্রুপের সকলকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।মানববন্ধনে পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শামসুন্নাহার শিরিন, তাজাম্মুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি গোহাটা সিএনজি স্টেশনে ড্রাইভারদের কাছে অবৈধ চাঁদা দাবি করায় লাল মিয়া, নবি হোসেন ও লতিফ প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী শান্ত, রিশাদ, মোরাদ সহ মোট ১৫ জন তাদের উপর দেশীয় অস্র নিয়ে হামলা করে গুরুতর জখম করে। এতে গুরুতর আহত হয়ে তারা এখন হাসপাতালে ভর্তি কিন্ত মামলা দায়ের হলেও আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে এই সন্ত্রাসীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার দাবি করছি। আহত লাল মিয়ার ছেলে তাজাম্মুল ইসলাম বাদি হয়ে ত্রিশাল থানায় এবিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ বলেন, ঘটনার দিনই এবিষয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওইদিন থেকেই আসামীদের ধরতে তৎপরতা চালানো হলেও পলাতক থাকায় তাদের এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। এমআর
    'শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে এনে বিচার করা হবে'
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটন বলেছেন আগামী দিনের রাষ্ট নায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। অতীতের ষড়যন্ত্র তাঁকে রাজনীতি থেকে সরাতে পারে নাই। তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেই রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে গেছে। ডাঃ লিটন বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে 'মা বাবার বুক' খালি করেছেন।এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী দিনে খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে এনে বিচার করা হবে।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ত্রিশাল উপজেলার  বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক ভূঁইয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান শামীম,যুগ্ম আহ্বায়ক মুঞ্জুরুল ওয়াহেদ নিক্সন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুজ্জামান মূর্ধা, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল ফরাজী, যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান জামিল যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মতিন,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আলেক চাঁন দেওয়ান।এআই
    নেত্রকোনায় কৃষকের শরীরে এসিড নিক্ষেপ, আটক ১
    নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমি-সংক্রান্ত সমস্যায় পূর্ব বিরোধের জেরে খলিলুর রহমান (৫০) নামের এক কৃষকের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফ মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটককৃত শরিফ মিয়া (৩৬) উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ধানীপাড়া এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ওই কৃষকের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নাওদ্বারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।পারিবার ও মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দক্ষিণ নাওদ্বারা গ্রামের খলিলুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল প্রতিবেশী আঃ হান্নান ও মিজান মিয়ার। এ ঘটনায় গত (১১ জানুয়ারি) শনিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন খলিলুর। সেই জের ধরে (১৫ জানুয়ারি) বুধবার দিবাগত মধ্যে রাতে খলিলুর প্রসাব করতে বের হলে শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসিডে তার শরীরের পেছনের অংশ পুড়ে ঝলসে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে দ্রুত ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় এসিড নিক্ষেপকারীরা। আহত কৃষকের ছেলে মিজানুর রহমান জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। বাবা রাতে প্রসাব করার জন্য রুম থেকে দরজা খুলে বের হলে দরজা খোলার শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এর পাঁচ মিনিট পরেই বাবার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আঃ হান্নান ও শরীফ পালিয়ে যাচ্ছে। পরে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, শরীরের ১০% ভাগ এসিডে ঝলসে গেছে। হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা স্থিতিশীল আছে। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করার পরে অভিযুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করি। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে সোর্পদ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।এআই
    আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ
    এনসিটিবি কর্তৃক বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’ আহুত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ এর নৃশংস সন্ত্রাসীর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে নেত্রকোণা কালিবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রকোণা জেলা সংসদের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করেছে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) ভুঁইফোড় সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ নামক সংগঠন আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যে পৈশাচিক হামলা করে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে এটা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে সাংঘর্ষিক। তারা সংগঠনের নামে সভেরেন্টি রেখেছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে তারা কিভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদের পূর্ণ সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুমির অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়, এই বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা মুখ্য ভুমিকা রেখেছেন। আদিবাসী শব্দের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে একটা বিচ্ছেদে রাজনীতি জিইয়ে রাখা হচ্ছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’বক্তারা আরও বলেন, ‘৭১ এর পরাজিত আলবদররা বাংলার রাজনীতিতে অদিষ্ট হয়ে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট ফর সভারেনটি তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। দেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, সকল জাতি গোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস-সংস্কৃতি তুলে ধরা সময়ের দাবি। পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী সম্বলিত গ্রাফিতি পুনরায় সংযুক্ত করতে হবে। একই সাথে  গতকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় মিছিলে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রকোণা জেলা সংসদের সভাপতি আহমদে তানভীর মোকাম্মেল  এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান সায়েম সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন,জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিক, সহকারী সাধারণ সম্পাদক পুজা সরকার, দপ্তর সম্পাদক হাসান জাওয়াদ খান,প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পৃথ্বীরাজ রুদ্র,সদস্য হৃদয় শেখ, নূর আলম সিদ্দিকী,জহির রায়হান এবং সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম মোস্তফা হীরা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।এআই
    আজহারীর মাহফিল থেকে ফেরার পথে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
    লালমনিরহাটে  আজহারীর মাহফিল শুনে ফেরার পথে  ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে রাজ (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলার হাজরানীয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দিনাজপুর বিরল থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী গামী এক্সপ্রেস ৭১ ট্রেনটি কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তরন কলেজ এলাকায় পৌঁছালে ঐ ট্রেনে থাকা কিশোর রাজ অসাবধানতা বসত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়ে মারা যায়। রাজ কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত এলাকার মহুবার রহমানের ছেলে।স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিল শুনে ট্রেন যোগে বাড়ি ফিরছিলেন রাজ, অসাবধানতা বসত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়ে মারা যায় সে।এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি মামুন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলের গেছেন। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।এমআর
    লালমনিরহাটে কৃষি জমির টপ সয়েল পুড়ছে ইটভাটায়
    লালমনিরহাটে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র গেড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। আর এই অধিকাংশ ইটভাটাই কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠছে। কৃষি জমির টপ সয়েল পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে ইট। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অধিকাংশ ইটভাটায় নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। আর এতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। ভাটার আগ্রাসনে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। ফলে দিন দিন ফসল উৎপাদন কমছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ থাকলেও রহস্যজনক কারণে নিরব সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ইটভাটার মালিকরা, কৃষিজমি নষ্ট করে জমির অংশ  টপসওয়েল ইট ভাটায় চলে যাচ্ছে। ইটভাটায় কাঠ, বাশেঁর মুরা ব্যবহার করার কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির বৃক্ষ। আর কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ চলছে অবাধে। পরিবেশ হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা। এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন একেবারেই নিবর ভূমিকা পালন করছে। কোন প্রকার প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় কোন প্রকার নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না মেনেই চলছে এসব ইটভাটা। জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৫৫টি ইটভাটা মধ্যে ৩২টি অবৈধ রয়েছে। এসব ইটভাটার অধিকাংশ ভাটাই অবৈধ। আর এসব ইটভাটার বেশির ভাগই স্থাপন করা হচ্ছে ফসলি জমি বা জনবসতি এলাকার পাশ ঘেঁষে।ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে কৃষিজমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। শুধু তাই নয় ওই আইনের আরো বলা হয়েছে নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না। তাছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ভাটা মালিকরা লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ইটভাটা মালিকরা জোরপূর্বক রাতের আধারে তাদের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছেন। এতে করে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।জেলার আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, প্রসানের সাথে ম্যানেজ ছাড়া কখনই এভাবে অবৈধ ইটেরভাটা চালানো সম্ভব না। আমারা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এসব অবৈধ ইটেরভাটা বন্ধ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকা রাখবে।এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.সাইফুল আরেফিন বলেন, ইটভাটার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমরা লক্ষ করেছি, জেলায় প্রায় শতাধিকটি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটা পরিবেশের পাশাপাশি কৃষি জমির ক্ষতি করছে। এ অবস্থায় জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, ইটভাটা চালাতে কিছু বিধি নিষেধ মানতে হয় যারা এই বিধিনিষেধ মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এআই
    উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
    কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাপায় আরশি খাতুন নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের সুড়িরডারা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আরশি ওই এলাকার এজাবুল হকের মেয়ে। এ ঘটনায় আরও তিন অটো যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এজাবুল হক তার কন্যা শিশু আরশি খাতুনকে নিয়ে মোড়ের দোকানে আসছিলেন। শিশুটি বিস্কুট নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাণিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুত গতির অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। এ সময় ওই অটোরিকশায় থাকা আরও তিন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরশি খাতুনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এআই
    পঞ্চগড়ে কিসমত স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস স্টপেজের দাবিতে রেললাইন অবরোধ
    পঞ্চগড়ের আটোয়ারী-বোদার একমাত্র রেলস্টেশন কিসমত রেলওয়ে স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন স্টপেজ চালু রাখার দাবিতে অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে শুরু হওয়া এই অবরোধ দুই ঘণ্টা ধরে চলে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিসমত রেলস্টেশনটি আটোয়ারী ও বোদা উপজেলার যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রাবিরতি ছিল। কিন্তু রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ট্রেনটি স্টেশন থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা অবরোধে সামিল হন।অবরোধে অংশ নেওয়া আবু হাসান বলেন, "ঢাকা ও রাজশাহীর সঙ্গে সরাসরি যাতায়াতের জন্য দ্রুতযান এক্সপ্রেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, এই স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রাবিরতি নিয়মিত রাখা হোক।"অবরোধের খবর পেয়ে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।স্টেশন মাস্টার বজলুর রহমান বলেন, "দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনে মাত্র দুই মিনিটের জন্য থামত। তবে টিকিট বিক্রির হার খুবই কম হওয়ায় ট্রেনটির যাত্রাবিরতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"উল্লেখ্য, কিসমত রেলস্টেশনটি পার্বতীপুর-পঞ্চগড় রেললাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এটি ১৯৬৭ সালে নির্মিত হয় এবং ২০১৪ সালে ডুয়েল গেজ লাইনে উন্নীত করা হয়। স্টেশনটিতে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়াও একতা এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসসহ আরও কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাবিরতি রয়েছে। দুই উপজেলার একমাত্র রেলস্টেশন হওয়ায় এটি স্থানীয় যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এআই
    মাঘের শুরুতেই তেঁতুলিয়ায় ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত
    কথায় বলে, মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। আজ মাঘ মাসের পঞ্চম দিন। অনেকটা বাঘ কাঁপানোর মতোই শীত বিরাজ করছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত দেখা মিলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারপাশ।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।উত্তরে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে এই অঞ্চলে। সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল করছে লাইট জ্বালিয়ে। বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত মোকাবেলা করার চেস্টা করছে। শ্রমজীবীরাও অনেকে কাজে তেমন বের হয়নি। বাজার ঘাটে লোকসমাগম অনেকাংশে কমে গেছে।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ সকালগটায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এআই
    ভাঙ্গুড়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
    পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে উপজেলার তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহারুজ্জামান। এসময় উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. আব্দুস ছালাম, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৪৫ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৯ জন সুপারভাইজার অংশগ্রহণ করেন। সংগ্রহকারীগণ আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন।এআই
    'বাংলাদেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল বিএনপি'
    পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমী মাঠে এই কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এদিন বিএনপির কর্মী সমাবেশ ঘিরে উপজেলার ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমীতে জনতার ঢল নামে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা। নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করেন।পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার।প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, গত ১৬ বছরে আমরা কথা বলতে পারি নাই। আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় নাই। হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার করে আমাদের ওপরে নির্যাতন করা হয়েছে। মনে রাখবেন বাংলাদেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল বিএনপি। আমরা সকলে হিংসা বিভেদ ভুলে যেন নতুন বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আরও অনেক দূর এগুতে হবে।সভায় বক্তব্য দেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোজাহিদ স্বপন, সদস্য সচিব প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম বরাত, আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা, আলতাব হোসেন খান, পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মাষ্টার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হুমায়ূন আহমেদ মুন, ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল রানা পিন্টু প্রমুখ।এসময় উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এআই
    কৃষি মেলায় আ.লীগের বাণী প্রচার, তীব্র ক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার
    নাটোরের বড়াইগ্রামে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচার ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের বাণী সম্বলিত কৃষিকথা প্রচারের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি প্রকাশ পেলে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে বাণীটি প্রত্যাহার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মেলার শেষ দিনে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের বাণী লেখা কৃষিকথা নামক কৃষিবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিতরণ করা হয়। সেখানে সাবেক সরকারের কৃষি উন্নয়নের চিত্র বিভিন্ন পৃষ্ঠায় তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন ভাবনা ও কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কৃষি মেলায় সাবেক ফ্যাসিবাদ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের লেখা এক পৃষ্ঠার বাণী সম্বলিত কৃষিকথা ম্যাগাজিন হাতে পেয়ে অনেকেই ফোন করে আমাকে জানালে মেলাতে উপস্থিত হই। মেলায় আসা লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে জনক্ষোভের মুখে কৃষি অফিসের লোকজন দ্রুত কৃষিকথা নামক ম্যাগাজিনগুলো মেলা থেকে প্রত্যাহার করে নেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারফুদুল হক বলেন, সম্প্রতি ঢাকা থেকে নতুন-পুরাতন বইগুলো পাঠানো হয়েছে। একটি বান্ডিলে ফল মেলার জন্য তৈরি কৃষিকথা বইটি ছিল। বইটির ভেতরের একটি পৃষ্ঠায় সাবেক কৃষি মন্ত্রীর বাণী ছিল। কৃষি অফিসের কর্মচারীরা এগুলো না পড়ে, না দেখে মেলায় বিতরণ করে ফেলে। বিষয়টি যখনই আমাদের নজরে আসে তখনই বইগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে।এআই
    নাটোরের ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ঈশ্বরদী থেকে গ্রেপ্তার
    নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নাটোরের জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তাকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিয়াজুল ইসলাম মাসুম নাটোর সদর আসনের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের ঘনিষ্ঠ সহচর বলে পরিচিত।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই বিক্ষুব্ধ জনতা রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তবে ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব ছিলেন।নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মাসুমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পাবনার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে নাটোরের কয়েকজন লোক। এরপর তারা খবর দিলে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে নাটোরে আনে।ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাসুমের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যাসহ সাতটি মামলা রয়েছে।এআই
    বাছুর হাতে নারীদের ফটোসেশন করিয়ে ডিম-খিচুড়ি খাইয়ে বিদায়!
    প্রকল্পের নাম হতদরিদ্রদের মাঝে উন্নত জাতের গাভীর বাছুর বিতরণ। বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা। সুফলভোগী ১০ জন নারী। কিন্তু তাদের বাছুর দেবার কথা বলে ডেকে এনে প্রশিক্ষণের নামে বাছুর হাতে ধরিয়ে ছবি তুলে ডিম-খিচুড়ি খাইয়ে বিদায় করা হয়েছে। কাউকে গরুর বাছুর দেওয়া হয়নি। খামার থেকে দশটি বাছুর এনে ছবি তোলা শেষে আবার খামারেই ফেরত পাঠানো হয়েছে মর্মে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।গরু দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে না পাওয়ায় হতাশ ওই সকল গরীব দুঃস্থ নারীরা। ফটোসেশনের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও তাদের গাভীর বাছুর বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ প্রকল্পের টাকা পুরোটাই কৌশলে আত্মসাতের অপচেষ্টা করছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকার মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা নামের এনজিও'র নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলুর বিরুদ্ধে। বিষয়টি এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে সমালোচনা চলছে।ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর আর্থিক সহায়তায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা এনজিও'র উদ্যোগে দশজন দুস্থ মহিলাকে গাভীর বাছুর দেওয়ার কথা বলে রেলবাজারে নিয়ে আসা হয়। নিজের পরিচিত একটি খামার থেকে দশটি গাভীর বাছুর গাড়িতে করে নিয়ে আসেন এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু। এরপর এলাকার কিছু ব্যক্তিকে তার বাসভবন সংলগ্ন এনজিও’র সামনে ডেকে এনে দশজন মহিলাকে দাঁড় করিয়ে গরু দেওয়ার ফটোসেশন করেন।পরে ঐ সকল দুস্থ মহিলাদের গাভীর বাছুর না দিয়ে খিচুড়ি ডিম খাইয়ে বিদায় করা হয়। এরপর বাছুরগুলো আবার একই গাড়িতে করে একই খামারে ফেরত দিয়ে আসা হয়। সেখানে উপস্থিত অনেকেই গরু প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী পরিচালক বাবলু জানান পরে দেওয়া হবে।কুবিরদিয়ার মাঠপাড়া গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে খুশি খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর বাবার বাড়িতে এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। অন্যের বাড়িতে ও মাঠে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান।তিনি বলেন, ’ট্রেনিং এর কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। গাভীর বাছুর হাতে ধরিয়ে ছবি তোলে। কিন্তু আমাকে গাভীর বাছুর দেয় নাই। বলছে এবার অন্য এলাকার লোকদের দেবো, পরেরবার তোমাকে দেবো। পরে খিচুরি ডিম খাওয়ায়ে বিদায় করছে। বাবলু কাকা ত্যাড়া মানুষ। বেশি কথা বললে আবার ধমক দেয়। তাই আর কিছু বলার সাহস পাই নাই।’এর আগে একবার আমাকে একটা ছাগল দিয়েছিল বাবলু কাকা। তবে সেজন্য আমার কাছ থেকে নগদ ১৩০০ টাকা নিয়েছিল।অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করে সংসার চালানো এক গৃহবধূ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ’আমাদের গাভী দেবার কথা বলে ট্রেনিংয়ে ডেকে নেয়। তারপর ট্রেনিং শেষে আমাদের বাছুর হাতে দিয়ে ছবি তুলে বিদায় করেছে। বলছে, এখন না, পরে দেবো। এখন পর্যন্ত পাইনি। ট্রেনিংএ আমরা বিভিন্ন গ্রামের দশজন মহিলা ছিলাম।’যে গাড়িতে গরুর বাছুরগুলো আনা নেওয়া করেছে সেই গাড়ি চালক শুভ দাস বলেন, ‘ওইদিন আমার গাড়ি নিয়ে মথুরাপুর এলাকার একটি গরুর খামার থেকে দশটা বাছুর নিয়ে রেলবাজার বাবলু সাহেবের বাসার সামনে নেয়। পরে অনুষ্ঠান শেষে ওখান থেকে ওই বাছুরগুলো আবার মথুরাপুরের একই খামারে নামিয়ে দেওয়া হয়। এর বেশি কিছু জানা নেই।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, 'আমাকে অতিথি করে দাওয়াত দিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি। প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই। তবে আমার অফিসের প্রত্যয়ন দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি প্রত্যয়ন নেওয়ার জন্য রিপোর্ট অফিসে জমা দিয়েছেন কি না দেখে বলতে পারবো। তবে এরকম অভিযোগ থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সে মোতাবেক প্রত্যয়ন দেওয়া হবে।'বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) মোস্তফা কামাল ভূঞা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিশেষ প্রকল্পের আওতায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা নামের এনজিওকে আমরা ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। তার মধ্যে প্রথম অবস্থায় ৩ লাখ টাকা দিয়েছি। কার্যক্রমে সন্তোষজনক রিপোর্ট পেলে তাকে বাকি ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে।'তিনি আরো জানান, 'এ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট ইউএনও বা তাঁর প্রতিনিধিকে একিভূত করে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। কারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্টে ইউএনও'র প্রত্যয়ন লাগবে। ১৫/২০ দিনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এখনও তাঁর রিপোর্ট হাতে পাইনি। আমরা বিষয়টি পর্যক্ষেণ করছি। রিপোর্ট আসার পর যাচাই বাছাই করে দেখবো, ঘাপলা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনজিও মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু বলেন, আমরা দশজন ছাড়াও আরো কয়েকজনকে ডেকেছিলাম। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ দশজনকে গাভীর বাছুর দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পরের প্রকল্পে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রকল্পের নামে দুই সপ্তাহেও হতদরিদ্র মহিলাদের গাভীর বাছুর দেওয়া হয়নি, তার অর্থ এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক প্রকল্পের পুরো টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টা করছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর নিজের পিঠ বাঁচাতে তিনি দুস্থ মহিলাদের গাভীর বাছুর কিনে দিতে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।
    মৃত মুক্তিযোদ্ধা মামাকে পিতা বানিয়ে ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ
    সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে জন্মদাতা পিতার পরিচয় না দিয়ে অর্থ লোভে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ আলী, আপন মামাকে পিতা বানিয়ে ভাগ্নি ফজরুন নেছার সকল সরকারী সম্মানী ভাতা উত্তোলন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।কাগজপত্রে দেখা যায়, ফজরুন নেছা পিতা: মৃত তোতা মিয়া, মাতা আস্তুরা বেগম। আপন মায়ের সাথে প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে তাহার সুচতুর-স্বামী চাঁন মিয়া, পিতা মদরিছ আলী কাকুরাইলের বাসিন্দা এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার নামীয় সকল ভাতার ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত মুক্তিযুদ্ধার কোনো সন্তানাদি ছেলে-মেয়ে না থাকায় উত্তরাধিকারী সূত্রে ভাইয়ের সম্পদে বোনের অগ্রাধিকার। তা থাকা সত্ত্বেও মা আস্তুরা বেগম, স্বামী: মৃত তোতা মিয়া, গ্রাম বিজয় পারুয়া এই বয়োবৃদ্ধা, কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি একজন অসহায় মহিলা। আমার মেয়ে ও জামাই আমাকে ঠকিয়েছে। রীতিমতো শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে শেষ করছে। আমার পিতা- মাতা ও ভাই-বোন জীবিত নাই। তাহাদের কোন উত্তরাধীকারী নাই। আমার মেজো ভাই আলমাছ আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাহার নামীয় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণের একমাত্র উত্তরাধীকারীনি আমি। কিন্তুও প্রতারক মেয়ের জামাই মো. চাঁন মিয়ার প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।আমার মেয়ে ফজরুন নেছা আমার স্বামী: মৃত তোতা মিয়ার ঔরেসে জন্মগ্রহণ করে পিতার পরিচয় গোপন করে। আমার ভাই তাহার মামাকে জন্মদাতা পিতা বানিয়ে বিগত ৩০ বৎসরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা-বাবদ ৪৮ লাখ টাকা উত্তোলন করিয়া আত্মসাৎ করিছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ এবং আমি তার কঠিন বিচার দাবি করছি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিবুন নাহার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘সময়ের কণ্ঠস্বর’কে জানান, আমি ১৪ তারিখে কোম্পানীগঞ্জে যোগদান করি। এ বিষয়ে অবগত নই। বিষয়টি সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এইচএ
    সুনামগঞ্জের বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নজরুল, সম্পাদক হারুন
    দীর্ঘ এক যুগ পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বিজয়ী হয়েছেন।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।নির্বাচনে সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম সিকদার ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে সেলিম হায়দার পেয়েছেন ২৫৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে হারুন অর রশিদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিক নিয়ে ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওবায়দুর রহমান শাওন মোরগ প্রতিকে ২৬২ ভোট পেয়েছেন। সহসভাপতি পদে আব্দুর রউফ সিএনজি প্রতিকে ৭শ' ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলাম উদ্দিন কলসি প্রতিকে ২৫৪ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মুখলেছুর রহমান দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে ৪৪৩ ভোট পেয়েছে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম দেওয়াল ঘড়ি প্রতিক নিয়ে ৪০৭ ভোট পেয়েছেন।ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করেন বাজারের বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী।নির্বাচনে বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি পদে ৭ জন, সহ-সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন এবং কোষাধক্ষ পদে ৩ জনসহ মোট ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বিপরীতে ১২২৯ ভোটের মধ্যে ১২০১ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করে। এআই
    মৌলভীবাজারে যুবতী মহিলার জরায়ু কাটার অভিযোগ
    মৌলভীবাজারে ২৮ বছর বয়সী যুবতী মাম্পী রাণী দে এর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা: ফারজানা হক পর্ণার বিরুদ্ধে। মাম্পী রাণী দে মৌলভীবাজার পৌর শহরের সৈয়ারপুর এলাকার ব্যবসায়ী অনিমেষ দে এর স্ত্রী।মাম্পী রাণী দে ও তার স্বামী অনিমেষ দে বলেন, ৮ জানুয়ারী হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা: ফারজানা হক পর্ণা’কে দেখালে তিনি আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দেখে বলেন, আপনাদের দেড় মাসের একটি বেবি নষ্ট হয়েছে। হাসপাতালে ডিএনসি করতে হবে। ডিএনসি করে আধাঘন্টা রেষ্ট নিয়ে বাসায় চলে যেতে পারবেন। এটা খুব কঠিন কিছু না। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমরা স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পরের দিন (৯ জানুয়ারী) ভর্তি হলে দুপুর ২টায় এসে ফোনে কথা বলতে বলতে অপারেশন ত্রিয়েটারে ঢোকেন ডা: ফারজানা হক পর্ণা। দুই মিনিট পরেই বের হয়ে বলেন আপনার স্ত্রীর রক্ত লাগবে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করুন। আমি বিভিন্ন জায়গায় রক্তের জন্য যোগাযোগ করতে থাকি। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের দুইজন স্টাফ রক্ত দেয়া শুরু করেন। আমার স্ত্রীর চিল্লাচিল্লি শুনে আমি ওটিতে ঢোকতে চাইলে আমাকে ঢোকতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায়ে আমি জোর করে ওটিতে ঢোকে দেখি আমার স্ত্রীর রক্তে ফ্লোর বেসে যাচ্ছে। রক্ত ফোম দিয়ে বউলে তোলে বেচিনে পালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার স্ত্রীকে সিলেট নিয়ে যেতে চাইলে দেয়া হয়নি। কিভাবে রোগীকে বাঁচানো যায় জানতে চাইলে ডাক্তার বলেন, জরায়ু কেটে ফেলতে হবে। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়। ১০ মিনিট পর আরও একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরবর্তীতে ২ঘন্টা ১৭ মিনিট পর ডাক্তার বের হয়ে বলেন, এখানে আশার আগে আপনারা অন্য কোথায়ও ড্রাই করছিলেন? আপনাদের ৪ মাসের একটি বেবি ছিল। এক পর্যায়ে আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে উনি চলে যান। ৩দিন আমরা হাসপাতাল ছিলাম। কিন্তু একবারও আমাদের এসে দেখেননি।এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি চিকিৎসক ডা: ফারজানা হক পর্ণা বলেন, “আমি রিক্স নিয়ে রোগীকে বাঁচিয়েছি। সুস্থ্য হয়ে বাসায় গিয়ে কার পরামর্শে আমার নামে বদনাম করছেন আমি বুঝতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, অপারেশন চলাকালিন সময়ে হঠাৎ রোগীর ব্লিডিং শুরু হলে রোগীকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালের স্টাফরা ব্লাড দেন। তখন ডাক্তার আবু বক্কর মোস্তফাও ছিলেন। এক পর্যায়ে আমরা বুঝতে পারলাম জরায়ুতে সমস্যা থাকায় ব্লিডিং হচ্ছে। ব্লিডিং বন্ধ করতে এবং রোগীকে বাঁচাতে হলে জরায়ু কাটতে হবে। তখন রোগীর স্বামীর অনুমতি ও হাসপাতালের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে জরায়ু কাটি। রোগীর স্বামী তাকে সিলেট নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রোগীকে আমি সিলেট যেতে দেইনি। আমি রোগীকে সেইফ করার জন্য আন্তরিকতার সহিত অপারেশন করিছি। আমার কাজে কোনো দুর্বলতা ছিল না।এমআর
    তাহিরপুরে ইয়াবাসহ যুবক আটক
    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় ইয়াবাসহ মোফাজ্জল হোসেন (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। মোফাজ্জল হোসেন উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের মো. আব্দুছ ছাত্তার এর ছেলে।মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রজনী লাইন এলাকায় আটক করে।বিজিবি জানায়, টেকেরঘাট বিওপি টহল দল ভোর রাতে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রজনী লাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮২ পিস ভারতীয় ইয়াবা, ১টি মোটর সাইকেল, গ্রামীণ সিমসহ ১টি মোবাইল ফোন ও বাংলাদেশী নগদ ৪ হাজার ৮শ ৩০ টাকাসহ মোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে।এর সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল একে এম জাকারিয়া কাদির জানিয়েছেন, আটক মোফাজ্জল হোসেনকে তাহিয়পুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি সহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এআই
    টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ১০ লাখ টাকার কারেন্ট ও রিং জাল আগুনে পুড়িয়ে ছাই
    মাদার ফিসারিজ খ্যাত রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ১০ লাখ টাকার কারেন্ট জাল ও রিং জাল আগুনে পুড়িয়ে ছাই করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফ আলী, উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষন কর্মকর্তা মো. হাসিবুল তারেক, উপজেলা প্রশিক্ষিকা সুমাইয়া সুলতানা এবং রুপনগর আনসার ক্যাম্পের আনসার ও পুলিশ সদস্যগন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, অভিযানে ২ হাজার মিটার রিং চাই ও ৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জালের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা। পরে গোলাবাড়ী আনসার ক্যাম্পের সামনে জনসম্মুখে সমস্ত জাল পুড়িয়ে ছাই করা হয়। এছাড়াও হাওরের জীব বৈচিত্র্য, মাছ, পাখি রক্ষায় আমাদের অভিযান চলবে।এআই

    অনলাইন ভোট

    সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আপনি কি তার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে: কাতার
    গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি আগামীকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার। আজ শনিবার সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৫ মাস চলা এ যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিরতি আসতে চলেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল এবং মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে আগামীকাল স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।গাজাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’যুদ্ধবিরতির সঠিক সময় এর আগে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে ইসরায়েল জানিয়েছিল, তাদের মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করলেও স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার আগে কোনো বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে না।ছয় সপ্তাহের প্রথম যুদ্ধবিরতির পর্যায়ে হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী (সেনা ও বেসামরিক), শিশু এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ থাকবে। প্রথমে নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সীদের মুক্তি দেবে, পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনজন করে জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস। ৩৩ জিম্মির বাকি অংশ মুক্তি দেবে চুক্তির শেষের দিকে। প্রথমে জীবিতদের মুক্তি দেওয়া হবে, তারপর জিম্মিদের মরদেহগুলো পাঠানো হবে।অন্যদিকে ইসরায়েল প্রতিটি বেসামরিক জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি প্রতি ইসরায়েলি নারী সেনাদের বিপরীতে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ জন মুক্তি পাবে।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন সেনা ও বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এর পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। এই যুদ্ধে ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ। অন্যদিকে জিম্মিদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গাজায় হামাসের কাছে এখনো ৯৮ জন জিম্মি জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় রয়েছেন।এবি 
    ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দি
    গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহু সরকার তাদের কারাগারে থাকা ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে। যদিও এর আগে মুক্তি দেয়া হবে এমন ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল বিচার মন্ত্রণালয়।গত বুধবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। শুক্রবার ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে ভোট দেয়। পরের দিন শনিবার সকালে ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন দেয়।ইসরায়েলি বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশু থাকবে। তবে তাদের মুক্তি স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৪টার আগে হবে না।এর আগে এই মন্ত্রণালয় ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। তাদের বেশিরভাগই নারী ছিলেন। তাদের গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে।নতুন তালিকায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হলো জাকারিয়া জুবেইদি। তিনি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ দলের সশস্ত্র শাখার প্রধান। জুবেইদি ২০২১ সালে ইসরায়েলের গিলবোয়া কারাগার থেকে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপর থাকে ধরতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে তিনি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।এ ছাড়া মুক্তি পেতে যাওয়া আরেকজন হলেন খালিদা জারার। তিনি একজন বামপন্থি ফিলিস্তিনি আইনপ্রণেতা। জারার ফিলিস্তিন লিবারেশন ফ্রন্টের একজন প্রধান সদস্য।৬০ বছর বয়সী জারারকে গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে পশ্চিম তীর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তখন থেকে তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা হয়েছে।যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, গাজায় হামাসের হাতে থাকা ৩৩ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এসব বন্দিকে মুক্তি দেবে। দুইজন হামাস-ঘনিষ্ঠ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে তিনজন নারী সেনা রয়েছে।আগামীকাল রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরা চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হওয়ার পথ খুলছে। এই চুক্তিটি তিন ধাপে কার্যকর হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হবে ছয় সপ্তাহের।এবি 
    তেহরানে বন্দুকধারীর হামলায় দুই সিনিয়র বিচারপতি নিহত
    ইরানের রাজধানী তেহরানে ট্রাইব্যুনাল ভবনের বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দুই সিনিয়র বিচারপতি নিহত হয়েছেন। দেশটির বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টারের একটি বিবৃতি অনুসারে, একজন সশস্ত্র ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে আদালতের বাইরে গুলি চালানোর পরে ওই বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করেন।বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্রীয় মিডিয়া দেয়া তথ্য অনুসারে, নিহত দুই বিচারপতি হলেন, হোজ্জাত আল-ইসলাম রাজিনি এবং হোজ্জাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমীন মোকিসেহ। তারা আদালতের বিভিন্ন শাখায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নিহত দুই বিচারপতি সক্রিয়ভাবে জাতীয় নিরাপত্তা, গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপরাধ মোকাবিলায় জড়িত ছিলেন। নিহত বিচারকরা ছিলেন সাহসী এবং অভিজ্ঞ।’ তবে হামলাকারীর পরিচয় এবং তার উদ্দেশ্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। সূত্র : রয়টার্সএবি 
    রাশিয়ার সঙ্গে ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর ইরানের
    রাশিয়ার সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইরান। শুক্রবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে এ চুক্তি। গত জুলাই মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। তারপর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো রাশিয়া সফরে আসেন তিনি। স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় আগামী ২০ বছর প্রতিরক্ষা, সামরিক মহড়া, যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, যুদ্ধজাহাজ তৈরিসহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতে পারস্কপরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে ২ দেশ।চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়ায় পেজেশকিয়ান বলেন, “আমরা একটি বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার পথে এগোতে চাই এবং এই পথের একটি উদ্দীপক পদক্ষেপ হলো এই চুক্তি।”অন্যদিকে পুতিন বলেন, “এই চুক্তির ফলে শুধু নিরাপত্তা খাতই নয়, বরং অর্থনীতি ও বাণিজ্যখাতেও দুই দেশের সহযোগিতামূলক তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। কারণ এই কৌশলগত চুক্তির একটি শর্ত হলো— এখন থেকে উভয় দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক আদান প্রদান দুই দেশের নিজ নিজ মুদ্রায় হবে।”“এখন আমদের প্রয়োজন আমলাতন্ত্রের প্রভাব কমানো এবং সত্যিকার গঠনমূলক কার্যক্রম বাড়ানো। কেবল তাহলেই অন্যরা যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, সেসব আমরা অতিক্রম করতে পারব।”প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার মিত্রতা দীর্ঘদিন। তবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প ইস্যুতে ইরানের বিরুদ্ধে এবং ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের জেরে রাশিয়া বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেসব নিষেধাজ্ঞাই আরও কাছাকাছি এনেছে মস্কো-তেহরানকে।এবি 
    আলোচিত আরজি কর হত্যা মামলার রায় আজ
    কলকাতার চাঞ্চল্যকর আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঘোষণা করা হবে। আজ দুপুরের দিকে শিয়ালদহ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।আদালত সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় দুপুরে এই রায় ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস। আরজি কর মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে নিম্ন আদালতে। সেই তালিকায় রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা, সিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা, কলকাতা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের কয়েকজন সহপাঠী।গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই দিন ভোরে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে কলকাতার সল্টলেকের পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে গ্রেপ্তার করে। সিবিআই এই হত্যা মামলার তদন্তে নেমে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। বলেছে, বহু প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। সিবিআই হাসপাতালের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও সংশ্লিষ্ট টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের।  এই ধর্ষণ ও খুনের কথা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যব্যাপী শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। সেই প্রতিবাদের ঝড় রাজ্য ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।এবি 
    মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৭৬
    মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে আবারও বাংলাদেশিসহ ৭৬ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানায়, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সেলাঙ্গও রাজ্যের শাহ আলম এবং কাজাং-এ অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বেশি সময় ধরে অবস্থানকারী ৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালিত এই অভিযানে ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন বিভাগের ১১৩ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।অভিযানে মোট ৩৭৪ জন বিদেশী নাগরিককে তল্লাশি করা হয়েছে এবং এদের মধ্য থেকে বিভিন্ন অপরাধে ৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক। যাদের বয়স ২০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।জাকারিয়া বলেন, পরিচয়পত্র না থাকা এবং অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করার অপরাধে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর অধীনে আরও তদন্তের জন্য আটক অভিবাসীদের জোহরের পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।পরিচালক  বলেন, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অভিবাসীদের পাচার ও চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ (অ্যাটিপসম) আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।এর আগে, দেশটির পাহাড়ি এলাকা ক্যামেরন হাইল্যান্ডসে টানা দুইদিনের যৌথ অভিযানে অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ৭৬ বাংলাদেশিসহ ১২১ অভিবাসীকে আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।এবি 
    আমার প্রশাসন চাপ সৃষ্টি না করলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কখনোই হতো না: ট্রাম্প
    নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এবং তার আসন্ন প্রশাসন চাপ সৃষ্টি না করলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি কখনো হতো না। ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার অনুমোদনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। এতে ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকছে। পরে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির শর্তাবলি চূড়ান্ত করা হবে। খবর এএফপির।দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের চারদিন আগে ট্রাম্প ড্যান বোঙ্গিনো শো’তে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফসহ তার দলের চাপ ছাড়া আলোচনা কখনোই চূড়ান্ত হতো না। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যদি এই চুক্তির সঙ্গে জড়িত না থাকতাম, তাহলে চুক্তি কখনোই হতো না।’ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা চুক্তির গতিপথ পরিবর্তন করেছি এবং তা দ্রুতই করেছি। সত্যি বলতে, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে এটা একটা ভালো কাজ হয়েছে।’ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তির কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিন্দা করেছেন এবং তাকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি কিছুই করেননি। আমি যদি এটা না করতাম, বা আমরা যদি না জড়াতাম, তাহলে জিম্মিরা কখনোই বেরিয়ে আসতে পারবে না।’বাইডেন গত মে মাসে শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব করেছিলেন, যা চলতি সপ্তাহে আলোর মুখ দেখবে। এমআর
    ধূমপানের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু পাকিস্তানে
    ধূমপানজনিত কারণে বিশ্বে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলভুক্ত এই দেশটিতে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৯১ দশমিক ১ জন মারা যান ধূমপানজনিত কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায়। এমনকি এই হার বৈশ্বিক এবং দক্ষিণ এশিয়ার গড় হারেরও বেশি। বর্তমানে বিশ্বে গড়ে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যু হয় ৭২ দশমিক ৬ জনের, আর দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ৭৮ দশমিক ১ জন।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক গবেষণা সংস্থা গ্যালাপের পাকিস্তান শাখা সম্প্রতি ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ ২০২৪ ডেটাসেট’ নামে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। খবর- জিও নিউজ'রগবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০২১— ৩০ বছরে পাকিস্তানে ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে ৩৫ শতাংশ, কিন্তু এই হ্রাসের হারও প্রতিবেশী দেশ ভারত, দক্ষিণ এশিয়া এবং বৈশ্বিক গড় হিসেবের তুলনায় কম। কারণ ৩০ বছরে ভারতে ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে ৩৭ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে ৩৮ শতাংশ এবং বিশ্বে গড়ে ৪২ শতাংশ।দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানে সিগারেটের দাম কম। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সিগারেট ১০০ প্যাকেট কেনার খরচ মাথাপিছু জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ভারতে এই হার ৯ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ৪ দশমিক ২ শতাংশ।২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে যদিও পাকিস্তানে সিগারেটের দাম ৩৮ শতাংশ বেড়েছে, তবে তারপরও তা আছে প্রায় সর্বস্তরের জনগনের নাগালের মধ্যে। বিলাল আই গিলানি জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ধূমপান এবং ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুর হার না কমার অন্যতম কারণ সিগারেটের সস্তা দাম।“পাকিস্তানে যে ধূমপানবিরোধী প্রচার-প্রচারণা চলে না এমন নয়। কিন্তু যে মাত্রায় প্রয়োজন— তা হয় না। জনসচেতনতর অভাব ধূমপান হ্রাস না পাওয়ার একটি বড় কারণ। তাছাড়া সরকার যদি সিগারেটের ওপর কর বাড়াতো, তাহলেও ধূমপান খানিকটা হ্রাস পেত বলে আমরা মনে করি,” জিও নিউজকে বলেন বিলাল আই গিলানি।
    দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের ১৪ ও বুশরা বিবির ৭ বছরের কারাদণ্ড
    দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।বার্তাসংস্থাটি বলছে, পাকিস্তানের একটি আদালত শুক্রবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।বিচারক নাসির জাভেদ রানা সাজা ঘোষণা করে বলেন, “প্রসিকিউশন তার মামলার অভিযোগ প্রমাণ করেছে। ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।”অন্যদিকে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।এএফপি বলছে, রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে যেখানে ইমরান খানকে বন্দি রাখা হয়েছে সেই কারাগারে দুর্নীতিবিরোধী আদালত বসানো হয়েছিল এবং তারা আল-কাদির ট্রাস্ট নামে একটি কল্যাণ ফাউন্ডেশনের জন্য ইমরান-বুশরা দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে।ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। যদিও ইমরান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্ধেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার জন্যই এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।অবশ্য ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি তার বিরুদ্ধে অতীতে হওয়া কারাদণ্ডের রায় স্থগিত করে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার সকালে আদালতের শুনানিতে অংশ নিতে তাকে কারাগারে আসতে দেখেন এএফপি সাংবাদিকরা।
    হামাস ইসরায়েলকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে: খামেনি
    গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী হামাসের প্রশংসা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী (হামাস) এবং ইরান-সমর্থিত ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ ইসরায়েলকে ‘পিছু হটতে’ বাধ্য করেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তাসনিম নিউজ এজেন্সি। গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরাইল। এই চুক্তি আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন,ইসরায়েলের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পর এই চুক্তিটি আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।  যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে হামাসের প্রশংসা করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বইতে লেখা থাকবে গাজায় একসময় একদল জনতা হাজার হাজার শিশু ও নারীকে হত্যা করেছিল। সবাই বুঝতে পারবে যে, জনগণের ধৈর্য এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের দৃঢ়তাই ইহুদিবাদী সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করেছিল।’এদিকে, এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলেছে, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি  এবং ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার (ইসরায়েল) ওপর যুদ্ধবিরতি আরোপ ফিলিস্তিনের জন্য একটি স্পষ্ট এবং অসাধারণ বিজয় এবং ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার জন্য একটি বৃহত্তর পরাজয়।’বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতিরোধ বাহিনী এখনও জীবিত, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী।  তারা আল-আকসা মসজিদ এবং জেরুজালেমকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতিতে গভীর বিশ্বাস রাখে।’এছাড়া ইসরায়েলের যেকোনো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সতর্ক করে ‘নতুন যুদ্ধ এবং অপরাধ’ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বজায় রাখারও কথা বলেছে বিপ্লবী গার্ড। এবি 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
    শুটিং সেটের ছাদ ভেঙ্গে আহত হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতো অর্জুন কাপুর। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেতে যাওয়া সিনেমা 'মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি' এর শুটিং এর সময় এ ঘটনা ঘটেছিল। জানা যায়, উচ্চ শব্দে সৃষ্ট কম্পনের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। সিলিং ভেঙ্গে পড়ার ওই সময়ে শুটিং সেটে ছিলেন কোরিওগ্রাফার বিজয় গাঙ্গুলি। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, "আমরা মনিটরের কাছে ছিলাম। তখনই হঠাৎ ছাদ ভেঙে পড়ে। ভাগ্য ভালো যে পুরোটা ভেঙ্গে পড়েনি। অনেকেই আহত হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন। তারপরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।"বিজয় গাঙ্গুলি আরও বলেন, সিনেমার ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফির দায়িত্বে যিনি আছেন , তার আঙ্গুল ভেঙ্গেছে। আর তিনি নিজে কনুই আর মাথায় আঘাত পেয়েছেন।এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বলিউডের পুরোনো শুটিং সেট এবং লোকেশন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সামনে চলে এসেছে।মিড ডে-এর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরিওগ্রাফার গাঙ্গুলি বলেন, "এই পুরনো লোকেশনগুলো প্রায়ই শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং প্রোডাকশন কোম্পানি হিসেবে আমরা ধরেই নিই যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা হয়েছে। তবে অনেক সময় আমরা না চাইলে লোকেশনের নিরাপত্তা যথাযথভাবে যাচাই করা হয় না।"সিলিং ভেঙ্গে পড়ার প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া  মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফিল্ম সেটগুলোর কঠোর নিরাপত্তা প্রোটোকলের গুরুত্ব তুলে ধরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 'মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি' সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন অর্জুন কাপুর, ভূমি পেড়নেকার এবং রাকুল প্রীত সিং। মুদাসসর আজিজ পরিচালিত এই সিনেমাটি ২১শে ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে।এই দুর্ঘটনার পরও,'মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি' এর সঙ্গে জড়িত কলাকুশলিরা সময় মতো শুটিং শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী। অর্জুন কাপুর কতটা আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে তারও আশা, সিনেমাটি নির্ধারিত সময়েই মুক্তি পাবে।
    সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
    ছোট পর্দার এ সময়ের পরিচিত মুখ জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। শুরুটা হয়েছিল নাচ দিয়ে, এরপর মডেলিং, তারপর আসেন অভিনয় জগতে। দিনে দিনে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে শক্তিশালী করেছেন নিজের জায়গা।নাটকের কাজে বরাবরের মতোই ব্যস্ত আছেন অভিনেত্রী হিমি। সম্প্রতি মোশাররফ করিমের সঙ্গে একটি নাটকের কাজ শুরু করেছেন তিনি। সেখানে এক ঠান্ডা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যদিও ঝগড়াটে চরিত্রের জন্য বেশি পরিচিতি রয়েছে হিমির।সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ, পর্দার চরিত্র, ক্যারিয়ারসহ নানান কিছু নিয়ে কথা বলেন হিমি। ঝগড়াটে চরিত্রের প্রসঙ্গ আসতে হিমি বলেন, 'বাস্তবে আমি একদমই ঝগড়াটে নই। ইনফ্যাক্ট আগে আরও চুপচাপ ছিলাম। নাটকে সংলাপ বলতে বলতে এখন একটু বেশি কথা বলতে পারি।' নিজের কাজকে খুব বেশি উপভোগ করেন অভিনেত্রী হিমি। জানালেন, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল অভিনয়ের। কিন্তু এটি যে পেশা হয়ে দাঁড়াবে, ভাবেননি। অভিনেত্রীর কথায়, 'ছোটবেলা থেকে অভিনয়টা আমার কাছে ন্যাচারাল। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতাম। এটাকে পেশা হিসেবে নেব, এখান থেকে আয় করব, সেটা কখনো ভাবিনি। ১০ বছর ধরে অভিনয় করছি।'অভিনয়ে কোনো ক্লান্তি নেই অভিনেত্রী হিমির। এমনকি অভিনয়ের ক্ষেত্রে টাকার কথাও ভাবেন না। অভিনেত্রীর কথায়, 'প্রথমদিকে স্বাভাবিকভাবেই কাজ কম পেয়েছি। তখনো ইনকামের চিন্তা আমার মাথায় আসেনি। এখন পেশাদার অভিনয়শিল্পী হিসবে কাজ করলেও অনুভূতি একই। শুধু টাকার জন্য নয়, ভালোলাগা থেকে অভিনয় করি। এ কারণে গভীর রাত পর্যন্ত কিংবা সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না।'
    দুর্ঘটনায় মারা গেছেন 'ধরতিপুত্র নন্দিনী’ খ্যাত অভিনেতা আমান
    সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় বলিপাড়ায় এখনও আতঙ্কের রেশ কাটেনি। তার মধ্যে এলো জনপ্রিয় অভিনেতা আমান জয়সওয়ালের মৃত্যুর খবর। ‘ধরতিপুত্র নন্দিনী’র লেখক ধীরজ মিশ্র তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।‘ধরতিপুত্র নন্দিনী’ ধারাবাহিকের সুবাদেই দর্শকমহলে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন আমান জয়সাওয়াল। সুদর্শন চেহারা এবং রসিক স্বভাব দিয়ে টেলিদুনিয়ায় অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। আর সেই হাসিখুশি মেজাজের ২২ বছরের ছেলেটিই চিরতরে বিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে।ধীরজ মিশ্র ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানান, নতুন একটি কাজের জন্য অডিশন দিতে যাচ্ছিলেন আমান। সেখানেই যোগেশ্বরী সড়কে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমান জয়সাওয়ালের।উত্তর প্রদেশের বালিয়া থেকে মুম্বাইতে কেরিয়ার গড়ার জন্য পা রেখেছিলেন আমান। ‘ধরতিপুত্র নন্দিনী’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকেই দর্শকমহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সোনি টিভির পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ সিরিয়ালে যশবন্ত রাওয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয়েছিল সেই ধারাবাহিক। একজন মডেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু করলেও হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেন রবি দুবে, শগুন মেহেতার শো ‘উদারিয়া’র মাধ্যমে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।এবি
    'আদিবাসী' ইস্যুতে জয়া আহসান বললেন, আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো?
    পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী শব্দসংবলিত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সংক্ষুব্ধ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। আজ বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন জয়া।ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, 'আদিবাসী নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।' বৈষম্য দূর হওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে জয়া লেখেন, 'একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।' 

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ‘স্বপ্ন’তে মাত্র ৯৯ টাকার মিলছে এক ঝুড়ি শীতের সবজি
    চেইন সুপারশপ 'স্বপ্ন' এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে শীতের সবজির মিক্স কম্বোর সাশ্রয়ী অফার। আজ শনিবার ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে।  'স্বপ্ন' কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে এক ঝুড়ি সবজি দিয়ে কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে পাওয়া যাবে ফুলকপি, লাউ, আলু, শিম, টমেটো, লেবু, শসা, বেগুন, গাজর ও পেঁয়াজের কলি। যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৯৯ টাকা। অফারটি চালু হয় গতকাল শুক্রবার থেকে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকায় নতুন এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা স্বপ্নের আউটলেট থেকে এসব পণ্য কিনছেন।এর আগে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস ও ১০০ গ্রাম আলুর কম্বো প্যাক বিক্রি শুরু করে স্বপ্ন সুপার শপ। এ অফার চালুর পর আউটলেটে কেনাকাটার লাইন পড়ে যায়। এরপর আরও বেশকিছু কম্বো প্যাক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। 
    ভ্যাট বাড়ছে না মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর
    তীব্র সমালোচনার মুখে বাড়তি ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত আবারো পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমানো হচ্ছে মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এরই মধ্যে জাতীয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন ভ্যাট হারের আদেশ জারি হবে শিগগিরিই। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। যাতে, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয় মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫ শতাংশ করা হয়। যার প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা। দেয়া হয় কর্মসূচিও।এনবিআর সূত্র থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দেয়। টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার (৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) সঙ্গে যোগ করে আদায় করতে হবে। একই সঙ্গে আইএমএফ শর্ত দেয় যে, বকেয়া আদায় বা মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করলে চলবে না, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে বাজেট পদক্ষেপের মাধ্যমে। অর্থাৎ কর হার বাড়িয়ে-কমিয়ে। এ অবস্থায় এনবিআর ভ্যাটহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। এ তালিকায় ছিল-জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, সিগারেট, জুস, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল (স্যান্ডেল), বিমান টিকিট। নতুন আদেশ অনুযায়ী, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। এ কারণে ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এনবিআরকে জানানো হয়। একইভাবে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। এ নিয়ে সব মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবি 
    সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
    জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।রাষ্ট্রপতির আদেশে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মকিমা বেগম।মুনাফার হার বাড়ানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট।সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হচ্ছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।এছাড়া পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। ছয় মাস পর জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগের মুনাফার হার পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। তবে বিনিয়োগকারী ইস্যুকালীন সময়ে বিদ্যমান মুনাফার পর বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদে পাবেন।অর্থাৎ ছয় মাস পর নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হলেও জানুয়ারি-জুন সময়ে যে মেয়াদ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা হবে, সেই সময় পর্যন্ত এখন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।এদিকে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পেস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরারা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পেনশনার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পরিবার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।এইচএ
    রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে বাংলাদেশে। এরপরই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান। এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আসার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর-এই তিন মাসের প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায়, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশে এসেছে। এরপরই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে সেটা ৩৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৯ কোটি ডলার। তবে গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন। অক্টোবরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি থেকে ৫০ কোটি ডলার এসেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি। আর নভেম্বরে ৫১ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।গত ৫ মাসে রেমিন্স বেড়েছে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং রপ্তানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার-এমন তথ্য জানিয়ে গত ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি, এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চার মাসের রিজার্ভ রয়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে।’প্রবাসে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন সবচেয়ে বড় সংকট উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সবাইকে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং করতে হবে, নয়তো রাজনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব।ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলেও জানান গভর্নর।  এফএস
    এলপিজির নতুন মূল্য নির্ধারণ, কার্যকর সন্ধ্যা থেকে
    দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজিতে ৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও আদেশ অনুযায়ী এলপিজির ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন করের (মুসক) হার পরিবর্তনের ফলে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা করেছে বিআইআরসি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যের ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। নতুন মূল্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৪৫৯ টাকা, যা মাসের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১,৪৫৫ টাকায়। এছাড়াও বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি গ্যাসের দাম ১২১.৫৬ টাকা ও রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম ১১৭.৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়াও গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭.২৭ টাকা, যা আগে ছিল ৬৬.৭৮ টাকা।এইচএ
    এবার ভারত থেকে জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ১১৩৭ কোটি
    ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই শুরু হয় ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন।  উভয় দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনাও চলছে। অবশ্য সম্পর্কের এই উত্তেজনা সত্ত্বেও ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। গত রবিবার বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। বিপিসি’র বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশি টাকা খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে।আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।এর আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন অ-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।এবি 
    অবশেষে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে ফের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
    ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পুনঃতফশিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এই সুযোগ পাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের অনেক শিল্প কলকারখানা। এতে উৎপদন বন্ধসহ নানা জটিলতায় খেলাপি হয়ে পড়ছে অনেকে। আছে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০ কোটি টাকার বেশি ঋণের প্রস্তাব এই কমিটি বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ব্যাংকগুলো প্রথমে পর্যালোচনা করে সুপারিশ কমিটিতে পাঠাবে। সুপারিশ কমিটি তখন সেগুলো পর্যালোচনা করবে। তবে এখানে ইচ্ছাকৃত খেলাপি এই পর্যালোচনার মধ্যে আসবে না। ২০১৯ সালেও খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে সুযোগ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এই সুযোগ পেয়েছিলো ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীরা। নতুন এই কমিটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমলে না নিয়ে নির্মোহভাবে কাজ করলে সুফল মিলবে বলে মনে করছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। আর ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। চলতি মাসে এ নিয়ে নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি 
    ‘স্বপ্ন’তে মাত্র ৯৯ টাকার মিলছে এক ঝুড়ি শীতের সবজি
    চেইন সুপারশপ 'স্বপ্ন' এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে শীতের সবজির মিক্স কম্বোর সাশ্রয়ী অফার। আজ শনিবার ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে।  'স্বপ্ন' কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে এক ঝুড়ি সবজি দিয়ে কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে পাওয়া যাবে ফুলকপি, লাউ, আলু, শিম, টমেটো, লেবু, শসা, বেগুন, গাজর ও পেঁয়াজের কলি। যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৯৯ টাকা। অফারটি চালু হয় গতকাল শুক্রবার থেকে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকায় নতুন এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা স্বপ্নের আউটলেট থেকে এসব পণ্য কিনছেন।এর আগে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস ও ১০০ গ্রাম আলুর কম্বো প্যাক বিক্রি শুরু করে স্বপ্ন সুপার শপ। এ অফার চালুর পর আউটলেটে কেনাকাটার লাইন পড়ে যায়। এরপর আরও বেশকিছু কম্বো প্যাক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। 
    ভ্যাট বাড়ছে না মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর
    তীব্র সমালোচনার মুখে বাড়তি ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত আবারো পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমানো হচ্ছে মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এরই মধ্যে জাতীয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন ভ্যাট হারের আদেশ জারি হবে শিগগিরিই। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। যাতে, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয় মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫ শতাংশ করা হয়। যার প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা। দেয়া হয় কর্মসূচিও।এনবিআর সূত্র থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দেয়। টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার (৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) সঙ্গে যোগ করে আদায় করতে হবে। একই সঙ্গে আইএমএফ শর্ত দেয় যে, বকেয়া আদায় বা মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করলে চলবে না, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে বাজেট পদক্ষেপের মাধ্যমে। অর্থাৎ কর হার বাড়িয়ে-কমিয়ে। এ অবস্থায় এনবিআর ভ্যাটহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। এ তালিকায় ছিল-জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, সিগারেট, জুস, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল (স্যান্ডেল), বিমান টিকিট। নতুন আদেশ অনুযায়ী, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। এ কারণে ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এনবিআরকে জানানো হয়। একইভাবে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। এ নিয়ে সব মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবি 
    সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
    জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।রাষ্ট্রপতির আদেশে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মকিমা বেগম।মুনাফার হার বাড়ানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট।সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হচ্ছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।এছাড়া পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। ছয় মাস পর জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগের মুনাফার হার পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। তবে বিনিয়োগকারী ইস্যুকালীন সময়ে বিদ্যমান মুনাফার পর বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদে পাবেন।অর্থাৎ ছয় মাস পর নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হলেও জানুয়ারি-জুন সময়ে যে মেয়াদ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা হবে, সেই সময় পর্যন্ত এখন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।এদিকে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পেস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরারা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পেনশনার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পরিবার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।এইচএ
    রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে বাংলাদেশে। এরপরই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান। এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আসার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর-এই তিন মাসের প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায়, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশে এসেছে। এরপরই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে সেটা ৩৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৯ কোটি ডলার। তবে গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন। অক্টোবরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি থেকে ৫০ কোটি ডলার এসেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি। আর নভেম্বরে ৫১ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।গত ৫ মাসে রেমিন্স বেড়েছে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং রপ্তানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার-এমন তথ্য জানিয়ে গত ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি, এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চার মাসের রিজার্ভ রয়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে।’প্রবাসে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন সবচেয়ে বড় সংকট উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সবাইকে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং করতে হবে, নয়তো রাজনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব।ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলেও জানান গভর্নর।  এফএস
    এলপিজির নতুন মূল্য নির্ধারণ, কার্যকর সন্ধ্যা থেকে
    দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজিতে ৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও আদেশ অনুযায়ী এলপিজির ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন করের (মুসক) হার পরিবর্তনের ফলে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা করেছে বিআইআরসি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যের ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। নতুন মূল্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৪৫৯ টাকা, যা মাসের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১,৪৫৫ টাকায়। এছাড়াও বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি গ্যাসের দাম ১২১.৫৬ টাকা ও রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম ১১৭.৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়াও গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭.২৭ টাকা, যা আগে ছিল ৬৬.৭৮ টাকা।এইচএ

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    রাবিতে খুলনা জেলা সমিতির সভাপতি নাঈমুল, সাধারণ সম্পাদক ইফতি
    "বাঘের গর্জন নদীর বাঁকে, ঐক্য মোদের প্রাণের ডাকে"—এই স্লোগানকে ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) খুলনা জেলা সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ নাঈমুল হাসান খান (মার্কেটিং বিভাগ) এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইশরাত ফিরো ইফতি (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ)।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে আয়োজিত "নবীন বরণ, বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা -২০২৫" অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা সমিতির অ্যালামনাস, শিক্ষকবৃন্দ ও উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতিক্রমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ- সহ-সভাপতি,দেবু দাস ও এম. এম. মাশরুফ আলম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ তৈয়েবুর রহমান শেখ ও অজয় সিংহ,সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম রাফায়েল আলম তমো ও ফয়সাল আলম, কোষাধ্যক্ষ, ফারহানা আক্তার যুথী প্রচার সম্পাদক,শাহাবুর খান ও আইরিন আফরোজ।প্রোগ্রামের শুরুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খুলনা জেলা সমিতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর সম্মানিত উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পুরনজিত মহালদার স্যারের সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।প্রফেসর ড. রুকসানা বেগম, নবগঠিত কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করে বলেন—"আমরা উপদেষ্টা পরিষদ, অ্যালামনাস, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়তে চাই। খুলনা জেলা সমিতির সদস্যরা শুধু সংগঠনের জন্য নয়, সমাজের প্রতিটি কল্যাণমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।"সমিতির আজীবন উপদেষ্টা ও নানকিং গ্রুপের সিইও এহসানুল হুদা দুলু বলেন "খুলনার মানুষ যেখানেই থাকুক, তারা একে অপরের পাশে থাকবে—এটাই আমাদের ঐতিহ্য। একতাবদ্ধ থাকলে আমরা সব ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারব। খুলনার যেকোনো প্রয়োজনে আমি সবসময় পাশে আছি।" অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা সমিতির আজীবন উপদেষ্টা ও ওরিয়ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের জোনাল ম্যানেজার (সেলস) মোঃ তানভীর আহমেদ।বিদায়ী সভাপতি এস এম তাহমিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. রুকসানা বেগম (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ), প্রফেসর এস.এম শাহিনুল ইসলাম (ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স), প্রফেসর ড. মুহা. বেলাল হুসাইন (আরবি বিভাগ), প্রফেসর ড. মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব (মনোবিজ্ঞান বিভাগ), মোঃ রাকিবুল ইসলাম (সহকারী অধ্যাপক, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ), কাশফিয়া রেজা তন্বি (সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, রুয়েট)এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মোঃ মনিরুল হক সহ আরও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা জেলা সমিতির অ্যালামনাস সদস্য সমীর ভদ্র ও মহিদুল ইসলাম শান্ত-সহ বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বিদায়ী সভাপতি এস. এম. তাহমিদ হাসান বলেন "খুলনা জেলা সমিতি শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি আমাদের পরিবার। নতুন কমিটির হাত ধরে এই পরিবার আরও সমৃদ্ধ হবে, খুলনার শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করবে।"সমিতির নতুন কমিটি খুলনার শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এবং তাদের একতাবদ্ধ রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানের শেষাংশে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।এমআর
    শিক্ষা ও সাক্ষরতার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেলেন জহিরুল ইসলাম
    ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি অ্যাসোসিয়েশন (ILA) সম্প্রতি ২০২৫ সালের গ্লোবাল ৩০ আন্ডার ৩০ তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এই পুরস্কারটি শিক্ষা ও সাক্ষরতার উন্নয়নে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখা নেতাদের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে তিনি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও জীবিকা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।ILA ৩০ আন্ডার ৩০ প্রোগ্রাম এমন ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেয় যারা শিক্ষা ও সাক্ষরতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ১৩টি দেশের মধ্য থেকে প্রায় ৩০ জনের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকার সদস্যরা শিক্ষা খাতে বিশেষ পরিবর্তন আনতে কাজ করছেন এবং পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম কর্তৃক পরিচালিত ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশন (IGF) ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, দূর্যোগ মোকাবেলা এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে।প্রতিষ্ঠানটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলোকে টেকসই আয়ের সুযোগ তৈরি করতে প্রশিক্ষণ ও সম্পদ দিচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি যুব উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, দূর্যোগকালীন সময়ে সাড়াদান ইত্যাদি কর্মকান্ড করে থাকে।IGF এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড, দ্য হিরো অ্যাওয়ার্ড, জাতিসংঘের শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ পুরস্কার এবং VSO বেস্ট ভলান্টিয়ার গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড। এই সম্মাননা শুধু সংগঠনের নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও একটি বড় অর্জন। আইএলএ-এর এই স্বীকৃতি IGF-এর কর্মসূচিগুলোর গুরুত্বকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে এবং ভবিষ্যতে নতুন উদ্যোগে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
    বেরোবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শহীদ আবু সাঈদ কর্ণার উদ্বোধন
    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে শহীদ আবু সাঈদ কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই কর্ণারের উদ্বোধন করেন বেরোবি উপাচার্র্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী।এসময় তাঁর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্রেজারার প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ঢাবি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, বেরোবি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ তানজিউল ইসলাম,  সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের গ্রন্থাগারিক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, উপ- গ্রন্থাগারিক মোঃ মামদুদুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।উদ্বোধনকালে বেরোবি উপাচার্র্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শহীদ আবু সাঈদ কর্ণার সৃষ্টির মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগামী দিনে লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা শহীদ আবু সাঈদের অবদান সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারবে।এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ঢাবি ট্রেজারার প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। দেশ ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের জুলাইয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ।এআই
    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. হোসাইন আল মামুন
    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। আগামী চার বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ.এস.এম. কাসেম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ১৩ (১) ধারা অনুসারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুনকে যবিপ্রবির ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে। পদে থাকাকালীন তিনি সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং যবিপ্রবির আইন, ২০০১ এর ১৩ (৩) (৪) (৫) (৬) ও (৭) ধারা অনুযায়ী বর্ণিত দায়িত্ব পালন করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।এআই

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    অ্যালেক্সায় আসছে এআই
    অ্যালেক্সা অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম। একাকী জীবনে অনেকেরই ভরসা হয়ে উঠেছিল অ্যালেক্সা। কিন্তু এআইয়ের দাপটে কিছুটা স্তিমিত ছিলো। তবে এবার নতুন উদ্যমে তাকে শক্তিশালী করে তুলছে অ্যামাজন। এবার অ্যালেক্সার মস্তিষ্কে যুক্ত হচ্ছে এআই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যালেক্সা নতুন বিপ্লব নিয়ে আসবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।  গত দুবছর ধরেই অ্যালেক্সাকে ঢেলে সাজাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে অ্যামাজন। তবে সংস্থার আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স টিমের নেতৃত্বে থাকা রোহিত প্রসাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও সময় আসেনি। আপাতত আরো নানা প্রযুক্তিগত বাধা পেরতে হবে অ্যালেক্সাকে। তারপরই তাকে উন্মুক্ত করা হবে।যেসব বাধা এখন অ্যালেক্সার চ্যালেঞ্জএর মধ্যে রয়েছে হ্যালুসিনেশন অর্থাৎ নকল জবাব। এছাড়াও সাড়া দেয়ার গতি ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারার মতো বিষয়গুলোতেও আরো নিখুঁত করা হচ্ছে অ্যালেক্সাকে। এখনও অ্যালেক্সাকে খুব সহজ কাজ দেয়া হয়। যেমন, অ্যালার্ম দেয়া কিংবা গান বাজানো। নতুন করে সে ভালো রেস্তোরাঁ খুঁজে দিতে পারবে কিংবা ব্যবহারকারীর ঘুমের রুটিন মেনে বেডরুমের আলোর দিকটা খেয়ালে রাখবে।ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিট আসার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। মাইক্রোসফট, গুগল, মেটা ও অন্য সংস্থাগুলো দ্রুত নিজস্ব এআই মডেল বাজারে আনলেও তাড়াহুড়া করতে রাজি হয়নি অ্যামাজন। সেই সময় থেকেই তারা ব্যস্ত অ্যালেক্সাকে আরো নিখুঁত করে তুলতে। কয়েক বছর আগে আত্মপ্রকাশ করার পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যালেক্সা। সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে অ্যামাজনের এই ওয়্যারলেস ডিভাইসটি। এইচএ 
    গেমিংয়ে চমক দিতে বাংলাদেশে আসছে নতুন এলজি এআই মনিটর
    গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া পেশাদারদের জন্য একটি চমৎকার খবর! গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশে নিয়ে আসছে এলজি ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক গেমিং মনিটর আলট্রাগিয়ার 32G810SA-W। ২০২৫ সালের মার্চের দিকে এটি দেশের বাজারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। গেমিং, এন্টারটেইনমেন্ট এবং পেশাদার কাজের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে একটি গেম-চেঞ্জার।এলজির নিজস্ব সিস্টেম ওয়েব ওএস উইথ এআই সমর্থিত মনিটর এটি যা একে স্মার্ট টিভির মতো কার্যকর করে তোলে। কোনো অতিরিক্ত ডিভাইস ছাড়াই আপনি সরাসরি ইউটিউব, নেটফ্লিক্স এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উপভোগ করতে পারবেন। নতুন এই মনিটরে আছে এআই পিকচার, ডাইনামিক টোন ম্যাপিং, এআই পার্সোনালাইজড পিকচার উইজার্ড, এবং এআই সাউন্ড—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও শব্দের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। স্পেশাল ফিচারস হিসেবে রয়েছে রিমোট সাপোর্ট, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। এই বৈশিষ্ট্য গুলি কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মাল্টিমিডিয়া পেশাদারদের জন্য দারুণ কার্যকর হবে।গেমারদের জন্য বিশেষভাবে এই মনিটরকে ডিজাইন করা হয়েছে। ৩২ ইঞ্চির বিশাল ইউএইচডি ৪কে স্ক্রিন সাথে ১০বিট কালার আপনার গেমপ্লে করবে আরও প্রাণবন্ত। ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম গেমিং অভিজ্ঞতাকে স্মুথ ও ফাস্ট করে তুলবে। এটি এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক ও এএমডি ফ্রি-সিঙ্ক প্রিমিয়াম কম্পাটিবল। হোক অ্যাকশন গেম বা রেসিং, প্রতিটি মুভমেন্ট হবে ঝকঝকে এবং ল্যাগ-ফ্রি। এছাড়া এইচডিআর১০ প্রযুক্তির মাধ্যমে গেমিং ও সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্পষ্ট ও জীবন্ত হয়ে উঠবে। আলট্রাগিয়ার 32G810SA-W শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই নয়, ডিজাইনেও অনন্য। ইউনিটি হেক্সাগনাল স্ট্যান্ডের অভিনব ডিজাইন এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনকেন্দ্রিক সুবিধা এটিকে অসাধারণ করে তুলেছে।কবে এবং কোথায় পাওয়া যাবে?যারা প্রি-অর্ডার করতে চান, মার্চের মাঝামাঝি সময় তাদের জন্য দ্রুত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। দাম সম্পর্কেও গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি থেকে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
    মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি
    মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যার সীমা তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহক। পাশাপাশি অপারেটররা গ্রাহককেন্দ্রিক বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও দিতে পারবে।রোববার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির জারি করা নির্দেশিকায় প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো।এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্দেশিকায়, মোবাইল গ্রাহকদের ৭, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০ টি ডাটা প্যাকেজ অফারের সীমা বেঁধে দেয় বিটিআরসি। যা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা।নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। নিয়মিত প্যাকেজ, যে প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকে; গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ—গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য; রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ বাজার যাচাই–বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে যে প্যাকেজ গ্রাহকদের দেওয়া হবে।নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে। এই তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি, দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন অর্থাৎ আনলিমিটেড প্যাকেজও থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে।অবশ্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা-মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ দেয়া যাবে না।কোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে।এফএস
    ভাঙা ব্রিজে ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের লাখো মানুষ
    কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া তবকপুর আমতলী এলাকায় ২০০৫ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার ফলে উলিপুর উপজেলার তবকপুর, ধামশ্রেনী ও চিলমারী উপজেলার থানাহাট, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা পোক্ত হয়। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বন্যার পানির তোড়ে ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে বিজ্রের একাংশ দেবে যায়। সে সময় পানির স্রোতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ছিড়ে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও জনগণের চলাচলের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুকনো মৌসুমে অন্যের জমি দিয়ে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। স্থানীয়রা চাঁদা তুলে কখনও বাঁশের সাঁকো, আবার কখনও প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা তৈরি করে যাতায়াত করছে। সেটিও টেকসই নয়। ফলে চুনিয়ার পাড়, আকন্দ পাড়া, তামাকু পাড়া, কবিরাজ পাড়া, বান্দার ঘাট, বানু কিষামত পাড়া, হিন্দু পাড়া, রাজারঘাট, বিষ্ণু বল্লভ, খামার তবকপুর, পাগলার ঘাট, বড়ুয়া তবকপুর, আমতলীসহ ২০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ সেতুর অভাবে চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন।কলেজ শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন জানান, ব্রিজটি হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন রিকশা, অটোরিকশা, জেএসসহ ছোট-বড় সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করতো। এখন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পায়ে হেঁটে কষ্ট করে যাতায়াত করছেন লোকজন। স্থানীয় রিপন মিয়া, আব্দুর রশিদ, সেকেন্দার আলীসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বর্ষা মৌসুমে এখানে গলা পানি হয়। তখন  প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা দিয়ে পার হতে হয়। সাত বছর ধরে এই ভোগান্তি। ব্রিজটির কারণে এ এলাকার হাজারো মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এখন পানি না থাকায় অন্যের জমি দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। জমির মালিকরা আর কত দিন হাটতে দেবে? দ্রুত সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে মানুষের চলাচলে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, সড়কটি পাকা হওয়ায় মানুষের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাগব হয়েছিল। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ২০ গ্রামের মানুষ আবারও সেই কষ্টে পড়েছে। আমি নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি।এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন,  সেখানে পুনরায় নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।এমআর
    ৫০টির বেশি দেশে সার্ভিস দিচ্ছে শরীফের এসইও কোম্পানি
    বাংলাদেশে তৈরি হলেও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শরীফ সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত এসইও কোম্পানি Upgraph। এটি এখন ৫০টিরও বেশি দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও সেবা প্রদান করছে। গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে স্থান করে নেওয়ার এই যাত্রা শুধু দেশের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্যও এক অনুপ্রেরণার উৎস।শুরুটা কেমন ছিল?শরীফ সিদ্দিকী, একজন তরুণ উদ্যোক্তা, ১১ বছরের এসইও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে Upgraph প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড তৈরি করা, যা এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠবে। শুরুতে, শরীফ একাই এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। তবে তার নেতৃত্বে দলটি দ্রুতই বৃদ্ধি পায়। আজ রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাধিক পেশাদারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দক্ষ টিম।সেবা এবং সফলতাUpgraph মূলত বিভিন্ন ধরনের এসইও সেবা প্রদান করে, যেমন:সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)পে-পার-ক্লিক (PPC)ওয়েব ডিজাইনলোকাল এসইওপ্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের শতাধিক ক্লায়েন্টের সাথে সফলভাবে কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ।শরীফ সিদ্দিকীর ভিশনশরীফ সিদ্দিকী বলেন, “এসইও ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে ৬৪ বিলিওন ডলারের। এই বিশাল ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা পিছিয়ে আছি শুধু আমরা ভালোমত নিজেকে স্কিল্ড করিনা। নিজেকে ডেভেলপ করিনা, আপডেট করিনা নতুন নতুন টেকনিকের সাথে।”তিনি আরও যোগ করেন, "আমার লক্ষ্য শুধু Upgraph কে একটি সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা নয়, বরং তরুণ প্রজন্মকে দক্ষতা অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করা।"আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার কারণUpgraph.io-এর সফলতার পেছনে শরীফের স্ট্র্যাটেজি, উচ্চমানের সেবা, এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার দক্ষতা রয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত নতুন টুল এবং টেকনোলজির সাথে নিজেদের আপডেট করে।ভবিষ্যতের পরিকল্পনাUpgraph এর লক্ষ্য শুধু ৫০টি দেশে সীমাবদ্ধ থাকা নয়। শরীফ সিদ্দিকী ভবিষ্যতে ১০০টি দেশে তাদের সেবা পৌঁছে দিতে চান। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও গ্লোবাল ব্র্যান্ড হতে পারে, যদি তারা দক্ষতা এবং মানসম্পন্ন সেবার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।
    নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন বানাতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত
    বিশ্বে মাত্র তিনটি দেশের কাছে মহাকাশে দুটি এয়ারক্রাফট কিংবা স্যাটেলাইটের মধ্যে ডকিং করার ক্ষমতা রয়েছে।  এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সফলতা পেয়েছে। এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল ভারতের। খবর এনডিটিভি  গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে স্পেস ডকিং পরীক্ষা বা স্পেডেক্স অভিযানটি সফলভাবে সূচনা করেছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে মহাকাশে দুটি মডিউল একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (ডকিং) করার প্রযুক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। ভবিষ্যত ভারত মহাকাশে স্টেপ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্পেডেক্স পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণে ইসরোর ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই অভিযান। এছাড়া এর মাধ্যমে ভারতের মহকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো চাঁদের মিশনেও অংশ নেবে।   চলতি বছরের অক্টোবরে ভারত সরকার জানায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দিল্লি মহাকাশে তাদের নিজস্ব স্টেশন নির্মাণ করবে।এই ‘স্পেডেক্স’ অর্থাৎ স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্টের উদ্দেশ্য হলো মহাকাশযানকে ‘ডক’ এবং ‘আনডক’ প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শন। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান দু’টো মহাকাশযানকে সংযুক্ত করা বা ডকিং এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করা বা আনডকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যে প্রযুক্তি, তারই বিকাশ।‘স্পেডেক্স’ অভিযান দুটো ছোট মহাকাশযান ব্যবহার করে ‘ইন-স্পেস’ ডকিংয়ের জন্য এটি একটা সাশ্রয়ী প্রযুক্তি মিশন। একই উদ্দেশ্যে যখন একাধিক মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়, তখন ‘ইন-স্পেস ডকিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।এই অভিযানে মূলত দুটো ছোট মহাকাশযান রয়েছে- ‘এসডিএক্স০১’ এবং ‘এসডিএক্স০২’। এদের ওজন প্রায় ২২০ কেজি। এগুলো পিএসএলভি-সি৬০- এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। পিএসএলভি হলো পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান।ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, দুটো মহাকাশযান বানাতে এবং অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য ভারতীয় মূল্যে আনুমানিক ১২৫কোটি টাকা এবং উৎক্ষেপণ যন্ত্রের জন্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।এবি 

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রবিবার
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রবিবারের শুনানির কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন। আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।এছাড়াও গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।এবি 

    প্রবাস

    সব দেখুন
    মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৭৬
    মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে আবারও বাংলাদেশিসহ ৭৬ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানায়, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সেলাঙ্গও রাজ্যের শাহ আলম এবং কাজাং-এ অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বেশি সময় ধরে অবস্থানকারী ৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালিত এই অভিযানে ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন বিভাগের ১১৩ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।অভিযানে মোট ৩৭৪ জন বিদেশী নাগরিককে তল্লাশি করা হয়েছে এবং এদের মধ্য থেকে বিভিন্ন অপরাধে ৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক। যাদের বয়স ২০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।জাকারিয়া বলেন, পরিচয়পত্র না থাকা এবং অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করার অপরাধে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর অধীনে আরও তদন্তের জন্য আটক অভিবাসীদের জোহরের পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।পরিচালক  বলেন, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অভিবাসীদের পাচার ও চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ (অ্যাটিপসম) আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।এর আগে, দেশটির পাহাড়ি এলাকা ক্যামেরন হাইল্যান্ডসে টানা দুইদিনের যৌথ অভিযানে অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ৭৬ বাংলাদেশিসহ ১২১ অভিবাসীকে আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।এবি 

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    আজ ১৮ জানুয়ারি, রাশিফলে কী আছে জেনে নিন
    প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা দিনের শুরুতেই কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখতে চান তারা একবার পড়ে নিতে পারেন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)মেষ হল কাল পুরুষের প্রথম রাশিচক্র। মেষ রাশি একটি অস্থির রাশিচক্র সাইন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি আগুনের উপাদানের লক্ষণ। এই রাশির প্রতীক হল ভেড়া। অশ্বিনী ও ভরনি নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং কৃত্তিকা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব এই রাশিচক্রের অধীনে আসে। মেষ রাশির চরিত্র ক্ষত্রিয়। মঙ্গলকে মেষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। শারীরিক গঠনে এরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কোনো কর্মপ্রচেষ্টায় এগোতে পারেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা জোরদার করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তারে লাভবান হতে পারেন। আগের কোনো সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি হবে।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)বৃষ রাশিকে একটি স্থির রাশিচক্রের চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি পৃথিবীর উপাদান চিহ্ন। এই রাশির প্রতীক ষাঁড় অর্থাৎ বৃষ। এই রাশিচক্রের অধীনে কৃত্তিকা নক্ষত্রের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্ব, রোহিণী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং মৃগাশিরা নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আসে। বৃষ রাশির চরিত্র বৈশ্য। শুক্রকে বৃষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। ভাস্য চতুর্মুখী। শারীরিক গঠনে এঁরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকেন। তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় শুভ পরিবর্তন হবে। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। হারানো কিছু পুনরুদ্ধার হতে পারে। বিদেশযাত্রার আলোচনায় অগ্রগতি হবে। সময় ও সুযোগের সুষ্ঠু ব্যবহার করুন, সুস্থ থাকুন।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)মিথুনকে দ্বৈত প্রকৃতির রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক যমজ মুখ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বুধ। মিথুন রাশির দিক পশ্চিম। মৃগাশিরা, অর্দ্র ও পুনর্বাসু নক্ষত্রে রয়েছে এই রাশি। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। মিথুন একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন, এটি দিনের মধ্যভাগে একটি শক্তিশালী রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কর্মক্ষেত্রে আশার সঞ্চার হবে। প্রিয়জনের সমস্যায় চিন্তিত থাকতে পারেন। কাছের মানুষদের বিশ্বাস অর্জন করা সহজ হবে। প্রত্যাশাপূরণে প্রয়োজনীয় কাজে ধৈর্য ধরুন। প্রয়োজনে নতুন পদক্ষেপ নিন।কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কর্কট একটি পরিবর্তনশীল রাশিচক্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রাশির প্রতীক কাঁকড়া। এই রাশির শাসক গ্রহ হল চাঁদ। কর্কট রাশির দিক উত্তর দিকে। এই রাশির পুনর্বাসু নক্ষত্রের প্রথম পর্ব হল পুষ্য ও অশ্লেষা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। কর্কট একটি মহিলা রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। জনসংযোগ ও প্রচারণামূলক কাজে অগ্রগতি হবে।অন্যের সন্তুষ্টির জন্য সাধ্যের বাইরে কিছু করতে হতে পারে। বিরূপ পরিবেশে বিষণ্ণ থাকতে পারেন। সাফল্য অর্জনের জন্য একাগ্রতা বজায় রাখতে হবে। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)সিংহ রাশিকে একটি স্থিতিশীল রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশির প্রতীক সিংহ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল সূর্য। সিংহ রাশির দিকটি পূর্ব। মাঘ ও পুর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের সকল পর্বের পাশাপাশি এটি উত্তরা ফাল্গুনীর প্রথম পর্ব। এটি একটি অগ্নি উপাদান চিহ্ন। সিংহ রাশি একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন। তাদের অনুকূল রং লাল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। বেকারদের কাজের সুখবর আসতে পারে। ব্যবসায় বাড়তি চাপ থাকবে। অর্থপ্রাপ্তিতে বিলম্ব হবে। পারিপার্শ্বিক কারণে কোনো সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হতে পারে। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিন। ইচ্ছাশক্তির জোরে বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে উঠতে পারবেন।কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কন্যা রাশিকে প্রকৃতি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল একটি মেয়ে তার হাতে একটি ফুলের ডাল ধরে। এই রাশির অধিপতি বুধ। কন্যা রাশির দিক দক্ষিণ। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। এর শুভ রং সবুজ। ভাগ্যবান সংখ্যা ৫। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কাজের স্বীকৃতি পাবেন। বাড়তি আয়ের সুযোগ আসতে পারে। সন্তানের কোনো সুখবরে আনন্দিত হবেন। প্রেম-প্রণয় শুভ। কারো আশীর্বাদ মনে শান্তি এনে দিতে পারে। বিনোদনমূলক কাজে আনন্দ পাবেন।তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)তুলা রাশিকে রাশিচক্রের সপ্তম রাশি বলে মনে করা হয়। তুলা একটি রাশিচক্রের চিহ্ন যা বায়ু উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর শাসক গ্রহ শুক্র। তুলা রাশির দিক পশ্চিম। চিত্রা নক্ষত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়, স্বাতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং বিশাখা নক্ষত্রের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় রয়েছে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কোনো সুখবর পেতে পারেন। পারিবারিক জটিলতা দূর হবে। প্রত্যাশিত অর্থলাভে বিলম্ব। ব্যবসায় শুভ পরিবর্তনের সম্ভাবনা। জীবন সম্পর্কে আশাবাদ অব্যাহত রাখুন। ঘরের সংবেদনশীল সমস্যাগুলো সমাধান করুন।বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)বৃশ্চিক রাশিচক্রের অষ্টম রাশি। এটি একটি মহিলা রাশিচক্র সাইন। এর প্রতীক বিছে। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। এই রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই রাশির দিকটি উত্তর। এই রাশিচক্রে বিশাখা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব, অনুরাধা এবং জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই রাশির শাসক গ্রহ হল মঙ্গল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কাজে উৎসাহ পাবেন। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। কোনো তথ্য আপনার কাজের সহায়ক হবে। অল্প পরিশ্রমে লাভবান হতে পারবেন। স্থির বুদ্ধির দ্বারা সময়ের মোকাবেলা করুন। কৌশলী হোন।ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)কাল পুরুষের রাশিফলের নবম রাশি হল ধনু। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল তীরন্দাজ, যার পিছনে একটি ঘোড়ার শরীর। এই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি। ধনু রাশির দিকটি পূর্ব। এই রাশির রাশিগুলি হল মুল এবং পূর্বাষাধা নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং উত্তরাষাধা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব। এটি অগ্নি উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। আপনার কাজে অন্যদের প্রশংসা পাবেন। শত্রুতা মোকাবেলায় সতর্ক পরিকল্পনা নিতে হবে। আর্থিক অবস্থা ভালো বলা যায়। ব্যবসা স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো হবে। আপনার চারপাশের লোকদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ান।মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)মকর হল কাল পুরুষের রাশিফলের দশম রাশি। এই রাশির চিহ্ন হল ছাগল, এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। মকর রাশির দিক দক্ষিণ। এই রাশির বর্ণগুলি হল ভো, জা, জি, খি, খু, খে, খো, গা, গি। এই রাশির রাশিগুলি হল উত্তরাষাধা নক্ষত্রের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শ্রাবণ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন।চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। নিজেকে দক্ষ এবং ভালো কর্মী হিসেবে প্রমাণ করতে পারবেন। নতুন পরিকল্পনায় অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় জটিলতা দূর হবে। পরিবেশ অনুকূলে থাকবে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হতে পারে। প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কুম্ভ হল কাল পুরুষের রাশিচক্রের একাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক একটি কলস। এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। কুম্ভ রাশির দিক পশ্চিম। এই রাশির বর্ণগুলি হল গু, গে, গো, সা, সি, সু, সে, সো, দা। এই রাশিচক্রের নক্ষত্রগুলি হল ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শতভিষা নক্ষত্রের চারটি পর্যায়, পূর্বাভাদ্রপদ প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্র।চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কর্মস্থলে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। অর্থের অপচয় হবে। স্বজন বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখবেন না। পরিবেশ আনন্দের ইঙ্গিত বহন করলেও আর্থিক চাপ থাকবে। বুদ্ধিবলে অবস্থার পরিবর্তন করুন।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মীন হল কালপুরুষের রাশিফলের দ্বাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক হল একজোড়া মাছ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। মীন রাশির দিক উত্তর। এই রাশির বর্ণগুলি হল দি, দু, থা, ঝা, এন, দে, দো, চা, চি। এই রাশিচক্রের নক্ষত্র হল পূর্বাভাদ্রপদের চতুর্থ পর্ব এবং উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায়। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। আগের তুলনায় আয় বৃদ্ধি ও আর্থিক যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে। কোনো সুযোগ অযাচিতভাবে আসতে পারে। বন্ধুর সহযোগিতায় কাজে অগ্রগতি হবে। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থা পক্ষে থাকবে। এমআর

    Loading…