এইমাত্র
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
  • ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
  • নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব
  • গোপন গ্রুপের শামীমা তুষ্টি বললেন, গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে
  • মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষককে কুপিয়ে জখম
  • আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
  • নেশার টাকা না দেয়ায় পিতাকে হত্যা করল ছেলে
  • নেত্রকোনায় বিদ্যুৎপৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
  • আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এখন ফাস্টফুডের দোকান
  • কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
  • আজ শনিবার, ২৩ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
    ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কেউ যেকোনো অ্যামাউন্টের টাকা নিজ নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে সীমা আরোপ শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সেটি বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়।এফএস
    নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব
    নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে ওই বৈঠকের প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।ড. ইউনূস-মোদির বৈঠকের প্রস্তাবের বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।ওই সূত্র বলেছে, এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’’বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য সুসম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়।এফএস

    জাতীয়

    সব দেখুন
    সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত শতাধিক শ্রমিক
      সরকার পতনের আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-তে এক সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত গণতদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহম্মদ। সরকার পতনের আন্দোলনে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে নিহত-আহত শ্রমিকদের সংখ্যা বের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে আনুমানিক শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের তথ্য তুলে ধরে তদন্ত কমিটি। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে মজুরি আন্দোলনে ৪ জন শ্রমিক নিহত হন। তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে মারা হয়েছে। ১২ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। কিন্তু শ্রমিক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিককে গুলি করা হয়েছে, তাঁকে পুলিশ নাকি অন্য কেউ গুলি করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আনু মুহাম্মদ বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিক মারা গেছেন, তিনি কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলছেন, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু আপনি বলছেন আগুনে পুড়ে মারা গেছে; কোনটা সঠিক—এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে যে শ্রমিক মারা গেছেন, তাঁর শরীরে ছররা গুলি পাওয়া গেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে প্রশাসন প্রশ্ন তুলেছে। সুতরাং প্রশাসনও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিজিএমইএ থেকে কোনো তথ্য আমরা পাইনি। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের দমন-পীড়নে কাজ করেছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’ সংবাদ সম্মেলনে শিল্প পুলিশ বিলুপ্ত করাসহ ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—শ্রমিক হত্যার যথাযথ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, অবিলম্বে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে কোনো পুলিশ যদি কাউকে খুন কিংবা জখম করে তাহলে ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও তার দায়বদ্ধ করা, শিল্প পুলিশ যেন মালিকপক্ষের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে না পারে সে জন্য এই বাহিনী বিলুপ্ত করা, মজুরি নির্ধারণ ও নির্দিষ্ট মেয়াদে তার পুনর্বিন্যাস করার গ্রহণযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, মজুরি বকেয়া রাখা, জালিয়াতি, প্রতারণা বন্ধ করা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
    লুট হওয়া ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫
     গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।  পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে এখন মোট অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৫৩টি। এসময় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি রিভলভার, ১৮টি পিস্তল, ২টি রাইফেল, ১১টি শটগান, ১টি পাইপগান, ৬টি শুটার গান, ৩টি এলজি, ৩টি বন্দুক, ১টি একে ৪৭, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান ও ৩টি এসবিবিএল।এমএইচ
    ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৩
     দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৯৫ জন মারা গেলেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪০৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ১৫ হাজার ২০৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এরমধ্যে ৬১.৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৮.৭ শতাংশ নারী।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৩৫ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন রয়েছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২৫২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ১৩ হাজার ৬০৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আর হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী।এমএইচ
    আরব আমিরাত থেকে ক্ষমা পাওয়া ১৪ প্রবাসী দেশে ফিরছেন আজ
      বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি। পরে তাদের ক্ষমা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ক্ষমা পাওয়ার পর প্রথম ধাপে সেই ৫৭ জনের ১৪ জন আজ দেশে ফিরেছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ক্ষমা পাওয়া ১৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসীর প্রথম দলটি সন্ধ্যা আজ ৭টার মধ্যে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রাত ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’ এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর দণ্ডিত ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সেদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে আজ (মঙ্গলবার) সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ক্ষমা করেছেন। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।’  
    সীমান্তে আর পিঠ প্রদর্শন করবেন না : বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
      বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতি নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা সীমান্তে ফেলানীর মতো কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। সীমান্তে আর পিঠ প্রদর্শন করবেন না। সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবির মূল দায়িত্ব।’ আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলন চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। যারা ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবিকে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তিনি এ সময় বিজিবিকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।‘ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।’অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বাহিনীটির সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে বিজিবির সব রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।এমএইচ
    আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
    ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে গিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই হাসপাতালে আন্দোলনে গুরুতরভাবে আহত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১১ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।হাসপাতালের পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, আহতের মধ্যে ৪জনই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থার এখন উন্নতির দিকে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চারজনকেই দেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা।এ সময় ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলমসহ হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে, শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে এক লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আন্দোলনের আহতদের উন্নত চিকিৎসার ও শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করা হচ্ছ। এর প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এছাড়া যারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।এইচএ
    গণভবনে ‘স্মৃতি জাদুঘরের’ কাজ আগামী সপ্তাহে: উপদেষ্টা নাহিদ
    গণভবনকে জুলাই গণহত্যার স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গণভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল রবিবারের মধ্যে জাদুঘর নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। তিনি আরও বলেন, ‘গণভবন যেই অবস্থায় আছে সর্বোচ্চ সেই অবস্থায় রেখে জাদুঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও নিহতদের ইতিহাস থাকবে এই জাদুঘরে। পাশাপাশি গত ১৬ বছরে যত নিয়মবহির্ভূত হত্যা গুম খুন হয়েছে তারও দলিল থাকবে।’এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন আদিলুর রহমান খান।শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। আজ বেলা ১১টার দিকে তিন উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শনে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পরিদর্শন শেষে গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের কেবিনেট মিটিং ছিল। সেখানে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও শেখ হাসিনার শাসনকালে জনগণের ওপর যে অত্যাচার, গুম, খুন, নিপীড়নের স্মৃতি তা সংরক্ষণ করে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে এবং জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আজকে আমরা সেই উদ্দেশেই প্রাথমিকভাবে গণভবন পরিদর্শনে এসেছি।তিনি বলেন, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে স্থাপত্যশিল্পী, আর্কিটেক্ট ও বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করব।এইচএ
    রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
    আর্থিক খাতের রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এটা আরও দৃশ্যমান হবে। দৃশ্যমান হলে সবকিছু আপনারা দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ম্যানেজম্যান্টের (বিআইজিএম) সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা আরও বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না থাকায় এনবিআর অর্থ লোপাটকারীদের সহজে ধরে ফেলবে।বাজার কারসাজি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য। আশা করি চাঁদাবাজ কমলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। আলু ও পেঁয়াজে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। দাম শুধু কাওরানবাজারে দেখলে হবে না অন্যান্য বাজার দেখতে হবে। কাওরানবাজারে চারবার হাত বদল হয় নিত্যপণ্যের এটা বন্ধ করা হবে।বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার বলেও জানান তিনি।শিল্প কারখানা কারখানা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, পোশাক খাতের অস্থিরতা কমাতে মালিক শ্রমিক এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত এটা সমাধান হবে।রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা ইউনিট আগে চালু হোক। এরপরে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শুরু হবে। আগে একটা চালু হোক।এইচএ

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    বিএনপির কর্মকাণ্ডে আ.লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে: নুর
     সদ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়নি। দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। বিচার বিভাগ, শাসন ব্যবস্থা, দেশের ব্যবসায়িক খাত, অর্থনৈতিক অবকাঠামো এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ‘এখন আবার আরকেটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাস, লুটপাট দখলবাজি ও নৈরাজ্যে লিপ্ত হয়েছে; যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে।এটাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে হলে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে’। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। নুর বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা বিলুপ্ত করে অবরুদ্ধ করেছিল ১৮ কোটি মানুষকে। এসব কারণে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠে, সামিল হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে। যে কারণে ৫ আগস্ট দেশে থেকে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনাসহ তার এমপি-মন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শিকদারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। নুর আরও বলেন, দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাতে বিএনপিসহ একাধিক দল অংশ নেয়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়ে জয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি দেশে সেই নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়, তা হলে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে আবারো ঐক্যবদ্ধ হব। তবুও নৈরাজ্য বাহিনীকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যেমন যৌথ বাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। এই মাফিয়াদের দমন করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমি আমার জেলায় আসছি, সেখানে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে; এটা কেমন মানসিকতা। সংবাদের জেরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। বর্তমান সরকারকে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।এমএইচ
    বিএনপির কর্মকাণ্ডে আ.লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে: নুর
     সদ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়নি। দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। বিচার বিভাগ, শাসন ব্যবস্থা, দেশের ব্যবসায়িক খাত, অর্থনৈতিক অবকাঠামো এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ‘এখন আবার আরকেটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাস, লুটপাট দখলবাজি ও নৈরাজ্যে লিপ্ত হয়েছে; যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে।এটাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে হলে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে’। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। নুর বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা বিলুপ্ত করে অবরুদ্ধ করেছিল ১৮ কোটি মানুষকে। এসব কারণে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠে, সামিল হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে। যে কারণে ৫ আগস্ট দেশে থেকে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনাসহ তার এমপি-মন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শিকদারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। নুর আরও বলেন, দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাতে বিএনপিসহ একাধিক দল অংশ নেয়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়ে জয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি দেশে সেই নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়, তা হলে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে আবারো ঐক্যবদ্ধ হব। তবুও নৈরাজ্য বাহিনীকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যেমন যৌথ বাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। এই মাফিয়াদের দমন করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমি আমার জেলায় আসছি, সেখানে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে; এটা কেমন মানসিকতা। সংবাদের জেরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। বর্তমান সরকারকে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।এমএইচ
    পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই: ডা. জাহিদ
     বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই। তারা দেশে-বিদেশে নানা চক্রান্ত করছে। প্রশাসনের সব সেক্টরে এখনও তাদের লোক বসে আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব–তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা পাশের দেশের (ভারত) বড় বড় নেতাদের বক্তব্য শুনলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিককে ষড়যন্ত্র মোকবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের রেজাউর করিম পল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবিরসহ ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এমএইচ
    ভারত কি আবারও শেখ হাসিনার জমিদারি ফেরাতে চায়, প্রশ্ন রিজভীর
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ আশ্রয় দেয়নি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন রেখেছেন, ভারত কি আবারও তার (শেখ হাসিনা) জমিদারি ফিরিয়ে আনতে চায়? শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পেটুয়া বাহিনী দিয়ে দেশের মানুষের প্রতি অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার মতো পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ তাকে আশ্রয় দেয়নি।  বিএনপির এ নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জমিদারি আবারও কি ফিরিয়ে আনতে চায় ভারত? তারা কি বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব চায় না? তারা যদি বাংলাদেশের মানুষের কথা গুরুত্ব না দিয়ে শুধু শেখ হাসিনার কথা বিবেচনা করে, তবে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশি শক্তিকে রুখে দেবে।   বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, যে- ই নির্বাচন কমিশনে আসুক না কেন, আমরা চাই নির্বাহী বিভাগের রক্তচক্ষুর কাছে তারা মাথা নত করবেন না।এমএইচ
    সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন রিজভী
    প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শফিক রেহমানের বাসায় দেখা করতে যান তিনি।এ সময় রিজভী শফিক রেহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফিরেন শফিক রেহমান। বিমানবন্দরে তাকে লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শফিক রেহমান প্রত্যাবর্তন কমিটি।শেখ হাসনিার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে যান এই প্রবীণ সাংবাদিক।প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।এসএফ 
    দিশেহারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা, ছাড়তে চান রাজনীতি
    প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দলটি এখন নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে। অথচ গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরপূর্তি পালনেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু মাত্র দুই মাসের ব্যবধানেই পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে।  শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন। আবার কেউ কেউ ‘দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে’ হয়েছেন গ্রেফতার। এছাড়া অনেকেই আবার জনতার আক্রোশের শিকার হয়ে মারাও গেছেন। তবে নেতাদের মধ্যে এখনো যারা দেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘আত্মগোপনে’ আছেন।  বর্তমানে নেতৃত্ব শূন্য থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম হতাশায় ভুগছে। তাদের অনেকেই এখন উদ্বগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় তারা তাদের নামও প্রকাশ করতে চাননি। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের এখন দিশাহারা বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেছে। কারণ একমাস হয়ে গেলো অথচ কেন্দ্র থেকে কার্যকর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলো না। ফোন দিলেও কেউ ধরে না। হামলা-মামলা সব মিলিয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নেতাকর্মীদের অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।’অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের এখনকার যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, সেটার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ফরিদেপুরের একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘ক্ষমতা হারালে এমন অবস্থা যে হতে পারে, সেটা তো নেতাদের অজানা থাকার কথা না। তারাই তো এর জন্য দায়ী।’তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিম খাইলো নেতারা, কোটি কোটি টাকা বানাইলো তারা; আর তাদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হইতেছে আমাদের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।’তবে বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একাত্তর সালে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কাজেই দেশ যতদিন থাকবে, আমাদের দলও থাকবে। আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো।’এদিকে হামলার ভয়ে নিজেরা গা ঢাকা দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেশিরভাগের পরিবার-পরিজন তাদের এলাকাতে রয়েছেন। তবে আয়-রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে গিয়ে অনেকের স্ত্রী-সন্তানরা বিপাকে পড়েছেন। পালিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘আমরা নিজেরাই তো পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কাজ-কাম করবো কী করে? আর আয় না থাকলে সংসারের কী অবস্থা হয়, তা তো বুঝতেই পারছেন?’। পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি জানান, সংসার চালাতে না পেরে তার স্ত্রী প্রায়ই ফোন করে কান্নাকাটি করে। তিনি বলেন, ‘এভাবে কতদিন থাকবে? ভাবতে গেলেই কান্না আসে। মনে হচ্ছে, রাজনীতি করাই পাপ হয়েছে। তাই আর রাজনীতি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিছি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেন ফরিদপুরের ওই আওয়ামী লীগ কর্মী। কর্মীদের মধ্যে আরও অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের এক নেতা।‘আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়’গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ হাসিনা নাই, শেখ হাসিনা চলে গেছে; শেখ হাসিনা পালায় না।’ অথচ এ ঘটনার ঠিক ১০ দিন পরে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসার পর গত ৫ আগস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান, যা এখনও মানতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যারা চেনেন, জানেন। যারা কাছ থেকে তাকে দেখেছেন, তারা কেউই এটা মানতে পারবে না। কারণ উনি মোটেও পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। আওয়ামী লীগ সভাপতির দেশ ছেড়ে না গেলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।তৃর্ণমূলের এক নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর পর খালেদা জিয়া ছাড়েননি, এমনকী এরশাদের মতো স্বৈরাচারও পালায়নি। সেখানে নেত্রী কেন দেশ ছাড়ল, সেটাই আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। এ অবস্থায় বিচারের মুখোমুখি হতে হলেও এখন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা উচিৎ। তবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা যখন ‘আত্মগোপনে’ যাচ্ছিলেন, তখন ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছিল আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজ জেলা গোপালগঞ্জে।’শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে গত ৫ আগস্টের পরপরই বেশ কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিলও করেছিলেন তারা। কিন্তু গত ১৫ অগাস্টের পর গোপালগঞ্জেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে আর আগের মতো সক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।মূলত সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই তাদের ওপর ‘চাপ’ ছিল, যা এখন আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।তবে এত কিছুর পরেও প্রশ্ন একটা থেকেই যায় তাহলে হাল ধরবে কে?শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কিছুদিন পর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছিলেন যে, তার মার আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।আমার মনে হয় এখানেই শেষ। আমার পরিবার এবং আমি- আমাদের যথেষ্ট হয়েছে, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন জয়।তবে কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য তার কণ্ঠে ভিন্ন সুর শোনা যায়।অবশ্যই তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফিরবেন, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে, বিবিসিকে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে বলনে জয়। এবি 
    দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্যতম দায়ী: রিজভী
     বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করায় যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি, তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।’ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এক ভয়াবহ দানবের পতন হয়েছে পৃথিবী কাঁপানো শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও সমমনা জোটগুলো। ৫ আগস্টের একটি পটভূমির মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।’স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের দল এমন একটি রাজনৈতিক দল, যার সঙ্গে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমাদের।’ তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা অতীতে আঁতাত করা যাদের রেকর্ড আছে তারা ক্ষমার কথা বলছেন। গণহত্যাকারীদের কিসের ক্ষমা? গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এখনো সব অফিস আদালতে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যা জনগণের নজরে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল, শুধুমাত্র চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পত্রিকা বন্ধ করেনি, (তবুও দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ, দিনকাল বন্ধ করেছে) কিন্তু মালিকানা দিয়েছে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদের, তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। গণমাধ্যমের মূল কাজ সত্য উদঘাটন করে নিষ্ঠাবস্তু খবর পরিবেশন করা। এটাই গণতন্ত্র। এর বাহিরে গেলে সেটা গণমাধ্যম নয়, প্রচারমাধ্যম বা স্বৈরাচারের ডাণ্ডা। প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রকে বিকাশ করতে হলে একমাত্র উপাদান হচ্ছে স্বাধীন গণমাধ্যম, আবার সেই গণমাধ্যমকে অবশ্যই সত্য বস্তনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দখল-ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন, আপনি কেন পদত্যাগ করেননি? আপনার কাছে চাকরিটাই বড় ছিল, দেশ-রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা যেগুলো দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন।’সংবাদ সম্মেলনে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনো দিন দখল করিনি। সত্যের পথে আমি অবিচল থেকেছি। সৎভাবে আমি রাজনীতি করেছি। অথচ একটি গণমাধ্যমে আমার নামে অপ্রচার করেছে। স্বৈরাচারের দোসর আব্দুর রাজ্জাক ও নাসিম এই কৃষি ইনিস্টিটিউশনকে দখল, চাঁদাবাজির স্থান বানিয়েছিলেন।’কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন বলেন, ‘কৃষি ইনিস্টিটিউট বিএনপি দখল করেনি, দীর্ঘ ১৭ বছর পর এটি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বিজয় অর্জন হলে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের দোসররা পালিয়ে যায়।’এমএইচ
    যুবদলে কোনও দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নাই: যুবদলের সভাপতি
    কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন,‌ যুবদলের কোনও নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ড, কিংবা অপকর্মে লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলে কোনো দুষ্কৃতকারীদের ঠাঁই দেয়া হবে না। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের উদ্যোগে ‘বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।মোনায়েম মুন্না  বলেন, জিয়া পরিবার কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। আমরা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের দোসররা কিভাবে পালিয়ে গেছে দেশবাসী দেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা অনুযায়ী শক্তি কিংবা ভয় দেখিয়ে নয়, ইনসাফ এবং উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন, তাদের ভালোবাসা অর্জন করুন। তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই নির্দেশনা মেনে বিএনপি ও যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। মানুষের পাশে থেকে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে তাদের ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে। সেই লক্ষ্যে যুবদলের প্রতিটি নেতাকর্মী এখন থেকেই যার যার অবস্থান থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে করে জনগণের মনে কষ্ট লাগে।যুবদলের সভাপতি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাজার মাইল দূরে বসে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দল পরিচালনা করছেন। তিনি বিএনপি ও যুবদলকে একটি শক্তিশালী মাঠের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চান। বিএনপির রাজনীতিতে যুবদল সবসময় বড় ভূমিকা পালন করে বলে দাবি করেন তিনি।চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ উজ্জ্বল, লক্ষীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মো. জসিম, খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজ, ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম, বান্দরবান জেলা যুবদলের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মাসুম, রাঙামাটি জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এসএম মুরাদ চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন, লক্ষীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম হুমায়ূন, বান্দরবান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকার। এ ছাড়া এতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের আওতাধীন মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভার প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এবি 

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    দিলীপ আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তারে অভিযান
    ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধান আজ শুরুর পরই সেখানে অভিযানে গেছে র‍্যাব।আজ মঙ্গলবার রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।র‍্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যেই তার কার্যালয়ে গেছে র‍্যাবের একটি দল। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।এফএস
    হাজারীবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক নিহত
    রাজধানীর হাজারীবাগ বারইখালী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিএনজিচালিত এক অটোরিকশাচালক (১৮) নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মো. সুমন জানান, আজ ভোরের দিকে হাজারীবাগ বারইখালি এলাকায় যাত্রী বেশে কয়েকজন ছিনতাইকারী একটি সিএনজির গতি রোধ করে। কোন কিছু বোঝার আগেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চালককে গুরুতর আহত করে। পরে ওই চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।এআই 
    শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা ঠেকাতে সাভার-গাজীপুরে যৌথ অভিযান
    বিভিন্ন দাবিতে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই আন্দোলনে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, আজ ভোর থেকে আমাদের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কোনো শ্রমিক জমায়েতের তথ্যও পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকটি কারখানায় পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কারখানা বন্ধ দেখে অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরে গেছেন।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান অস্থিরতার পেছনে একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে। তাদের লোকজন লুঙ্গি পরে হেলমেট মাথায় দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে অস্থিরতা তৈরি করছেন এবং কারখানা ভাঙচুর করছেন। ফলে যারা শ্রমিকদের উসকে দিয়ে আন্দোলনে নামাচ্ছেন এবং শ্রমিক না হয়েও যারা আন্দোলন করছেন ও কারখানা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে একদল শ্রমিক আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি কারখানার সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দিতে এবং জন ভোগান্তি সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন। সেনা কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেন, শিগগির তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবেন।শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বর্তমানে জামগড়া, ডিইপিজেড, বাইপাইল ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক এলাকায় ৫০ শতাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে।এবি 
    সাতসকালের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সড়ক-অলিগলি, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
    গত কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর রাজধানী ঢাকায় আজ ভোর থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বস্তি আসলেও দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়ক-অলিগলিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তেজগাঁ এলাকায় ভেঙ্গে পড়েছে অসংখ্য গাছ।মঙ্গলবার ৩ আগস্ট ভোর ৫টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে রাজধানীর আজিমপুর, পলাশি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, শুক্রাবাদ, খিলক্ষেত, বারিধারা, মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীর মানুষ। সকালে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। স্কুল, কলেজ , অফিসে যেতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। অন্যদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ইম্পালস হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় বৃষ্টি ও ঝড় বাতাসে ধসে পড়েছে শতবর্ষী বিরাট একটি গাছ। এতে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের সংখ্যা তেমন বাড়েনি। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষজনই ছাতা নিয়ে অপেক্ষা করছেন গন্তব্যের বাসের জন্য। বেশি সমস্যায় পড়েছেন অফিসগামী মানুষজন। তবে অনেকেই জানালেন, বৃষ্টির কারণে আজ সমস্যায় পড়তে হতে পারে এমন ধারণা থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন তারা। হাউজবিল্ডিং এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষমাণ আব্দুর রশিদ বলেন, ভোর থেকে যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে সেজন্য ধারণা করছিলাম যানজট তৈরি হতে পারে। তাই আগেভাগেই অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। এখন দেখছি গণপরিবহন একেবারেই কম। আবার দীর্ঘ সময় পরপর গাড়ি আসলেও সবগুলোতেই প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে ওঠা যাচ্ছে না বলে জানালেন চাকরিজীবী রাবেয়া বসরী। তিনি বলেন, গাড়ি অনেকক্ষণ পরপর আসছে। কিন্তু মহিলারা কেউ উঠতে পারছি না। কারণ সবগুলো আগে থেকেই  যাত্রী ভরে আসছে।রাজধানীতে গতকাল সোমবার থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। দিনের বেলায় রাজধানীতে কিছুটা বৃষ্টি হয়। রাতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল বেশি। তবে আজ ভোর পাঁচটার পর শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। পরে থেমে থেমে বৃষ্টি চলে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ সকাল নয়টার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগেই আজ বৃষ্টি হয়েছে বেশি। এর মধ্যে রাজধানীতে তিন ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আজ এই দুই বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। অন্য বিভাগগুলোর কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়।
    বিমানবন্দর থেকে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ২ নারী আটক
    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ ছনিয়া আক্তার ও ছালমা বেগম নামের দুই নারী আটক হয়েছেন। স্বর্ণেরবারগুলো তাদের হাত ব্যাগে লুকানো ছিল।বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল।সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে আগত দুই যাত্রীকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দুজনের দুটি হাত ব্যাগ স্ক্যান করে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।’তিনি বলেন, ‘হাত ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচ টেপে মোড়ানো দুটি বান্ডিল থেকে ১২টি করে ২৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।’কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল কর্মকর্তা মিজান বলেন, ‘জব্দকৃত এসব স্বর্ণের বারের ওজন ২ কেজি ৭৮৪ গ্রাম। যারা আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। স্বর্ণের চোরাচালানটি কাস্টমস গোয়েন্দাদের তৎপরতার কারণে আটকানো সম্ভব হয়েছে। এসব স্বর্ণ ঢাকার কাস্টমস হাউসের গুদামে জমা করা হয়েছে।’আটক হওয়া ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে বিমানন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান মিজানুর রহমান।এআই 
    বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কাদের সহযোগিতায় ভারতে পালাচ্ছে অপরাধীরা
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পালাতে শুরম্ন করেছে নানান অপরাধীরা। রম্নট হিসেবে বেশি ব্যবহার করছে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত। তবে অপরাধীদের পালানো রোধে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতে প্রবেশের আগে বিজিবি, পুলিশ, এনএসআই ও ডিজিএফআই সদস্যরা সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। গত এক সপ্তাহে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস থেকে ৩ জন আটক হয়েছে। তবে আরো কতজন ভারতে চলে গেছে সেটা কেউ বলতে পারছে না। আর যারা সাধারণ যাত্রী তাদের যাতায়াতে কোনো সমস্যা নেই। এদিকে  ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কাস্টমসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অনেক অপরাধীরা পালানোর সুযোগ পাচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, ছাত্র ও জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে যায় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে নানান অনিয়ম, দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক নেতা, সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের হয়। বিদেশ ভ্রমণে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করে। সীমান্ত পথের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন কাস্টমসে পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যাত্রীদের উপর নজরদারি শুরম্ন করে। এতে ৩ জন আটক হয় বিজিবির হাতে। তবে বিজিবি সতর্ক থাকলেও চেকপোস্ট কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা করে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছে ভারতে। গত ২৩ আগস্ট চেকপোস্ট কাস্টমসের একটি বন্ধ গেট খুলে যশোর জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিদ নওশাদ পল্লবকে ভারতে পালানোর সহযোগিতা করে কাস্টমস সুপার সিবলী নোমান ও কামরম্নন্নাহার। এসময় বিজিবির সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে আটক করে।  অবৈধ ভাবে গেট খুলে প্রবেশের ঘটনা ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়।এদিকে বিভিন্ন পরিচয়ে পাসপোর্টযাত্রী ছাড়াও ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভবনে বহিরাগতদের বিচারণ রয়েছে। এদের মাধ্যমে ও নানান অনিয়ম ঘটছে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের সুপারেন্টেন্ড মোকলেছুর রহমান জানান, তাদের দুই সহকর্মীর কথায় কাস্টমসের এনজিও অনিমা বন্ধ গেট খুলে দিয়ে ওইদিন ৫ জন পাসপোর্টধারীকে ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করায়। এদের মধ্যে এক জন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি।  সিসি ক্যামেরায় সেটা দেখা গেছে। তবে বিষয়টি কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। এ ঘটনার পর থেকে ঐ গেটটি সম্পূর্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।পাসপোর্টধারীরা প্রবির মিত্র জানান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে প্রবেশের অনুমতি হচ্ছে তাদের।স্থানীয় ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান জানান, নিয়ম রয়েছে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনে কর্তব্যরত বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের পাসপোর্ট দেখিয়ে পরে যাত্রীরা ভারতে যাবে। কিন্তু শুন্য রেখায় বন্ধ থাকা কাস্টমস গেট খুলে আত্মীয় পরিচয়ে ভারতে পারাপার করে কর্মকর্তারা। এতে ওই যাত্রীর ভ্রমণ ট্যাক্স কেটেছে কিনা বা যাত্রীর ব্যাগ তল্লাসির সুযোগ আর থাকে না। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম হয়ে আসলেও দেখার কেউ নেই।দূনীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান লিটু বলেন, কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা অপরাধীদের ভারতে পালাতে সহযোগিতা করে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরম্নদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুলস্না সিদ্দিকী জানান, অপরাধীরা যাতে ভারতে পালাতে না পারে সে ব্যাপারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারীদের নজরদারিতে রাখছে।উলেস্নখ্য, গত এক সপ্তাহে আটকরা হলেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিব নওশাদ পলস্নব, ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হালদার ও ছুটি না নিয়ে পরিচয় গোপন করে ভারতে যাবার সময় বিজিবি সদস্য শাওন ঘোষকে  আটক করা হয়। এইচএ 
    নেশার টাকা না দেয়ায় পিতাকে হত্যা করল ছেলে
    চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নেশাদ্রব্য কেনার টাকা না দেওয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানকে তার মাদকাশক্ত ছেলে শিশির আহম্মেদ পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আব্দুস সোবহান অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এঘটনায় শনিবার দুুপুরেই অভিযুক্ত শিশির আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।স্থানীয়রা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুুপুরে নিহত আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তোলেন। ওই দিন রাতেই ছেলে শিশিরের সাথে গন্ডগোল বাধে। পরে দিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলে দুজনের মধ্যে দিনভর হট্টগোল চলে। ওই দিন মাঝ রাতে আব্দুস সোবহানের আত্মচিৎকার শোনেন প্রতিবেশীরা। এরপর থেকে নিহত সোবহানকে বাইরে দেখেনি এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে বাড়ির দ্বীতল ভবন থেকে পচা গন্ধ বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। নিহতের ভাইয়ের মেয়ে গুলশান আরার ভাষ্য মতে তার চাচাতো ভাই শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্থ ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে শনিবার দুপুরে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।এবিষয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের বাড়ি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শিশিরকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।এআই 
    শার্শার পল্লী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম: ছাত্র জনতার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
    যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্ন, উন্নয়ন ও নীতিগত পরিবর্তনসহ ৮ দফা দাবি ছুড়ে দেন তারা।শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় উপজেলার গোগা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিন করে চার রাস্তার মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।৮ দফা দাবিগুলো হলো- হাসপাতালের আওতাধীন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, ডাক্তারদের রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে, ওষুধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, ডাক্তারদের নিয়মিত সেবা প্রদান করতে হবে, হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধের সুষ্ঠুবন্ঠন ও ওষুধের সঠিক রেজিস্ট্রার থাকতে হবে, রেজিস্ট্রারে রোগীর স্বাক্ষর মোবাইল নাম্বার ও সঠিক ঠিকানা থাকতে হবে, হাসপাতালের কোয়ার্টার পূনরায় চালু করতে হবে। এসব শর্তসমুহ যে ডাক্তার বা কর্মী মানবে না তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন, শার্শা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন গোগা। এ ইউনিয়নে মাত্র একটি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও তিনি ঠিকমত এখানে এসে রোগী দেখেন না। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি ওষুধ আসলে তা কালো বাজারে বিক্রি করতো একটি মহল। ছাত্র জনতা আন্দোলন করে স্বৈরাচার পতন করেছে। এখন থেকে এ হাসপাতালে কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। এ হাসপাতালে আশপাশে প্রচুর দুর্গন্ধ থাকে। এখন থেকে হাসপাতালের আশপাশ পরিষ্কার রেখে এবং রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য ডাক্তারদের আহ্বান জানান।এ সময় এ মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে গোগা এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও ছাত্র জনতা উপস্থিত ছিলেন।এআই 
    চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ৩৬ ঘন্টা পর বৃদ্ধের ভাসমান লাশ উদ্ধার
    চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় জিকে খালে ভেসে যাওয়ার এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে নিখোঁজের ৩৬ ঘন্টাপর ভাসমান অবস্থায় আবুল কালাম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের সাতকপাট নামক এলাকার জিকে খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই বৃদ্ধার নাম আবুল কালাম। তিনি পৌর এলাকার কাঁচাবাজার পাড়ার প্রয়াত আব্দুল মজিদের ছেলে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক নারীকে বাঁচাতে জিকে খালের পানিতে বৃদ্ধা আবুল কালাম ঝাঁপ দেন। তিনি উপস্থিত মানুষের সহযোগীতায় ওই নারীকে উদ্ধার করেন। তবে খালের পানির স্রোতে তিনি ভেসে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। ওই দিন রাতেই খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্য অভিজ্ঞ ডুবুরি দল নিখোঁজ বৃদ্ধাকে উদ্ধারে টানা ২৪ ঘন্টা অভিযান চালায়। ডাউকি গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী নামের এক কৃষক জানান, শনিবার সকালে জিকে খালে জাল পাততে আসি। এসময় পানিতে তীব্র দুর্গন্ধ এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটির সদস্য ও  ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীদের সহযোগিতায় খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে।আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে শুক্রবার রাত ৯ পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। টানা ১৫ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। খালের পানি বেশি থাকা ও পাশে জঙ্গল থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যহত হয়েছিল। খালের প্রায় ৩ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে  অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধার এলাকা থেকে আরও ১ কিলোমিটার দুর থেকে আজ শনিবার সকালে ওই বৃদ্ধার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, গত দুদিন নিহত ব্যক্তি খালের পানিতে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল সংগ্রহ করেছে। এআই 
    মেহেরপুরে ছিনতাইকারীদের বোমা হামলায় আহত ১
    মেহেরপুরের গাংনীতে ছিনতাইকারীদের বোমা হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাজাদুর রহমান (৩৫) নামের গ্লোব ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের এক রিপ্রেজেন্টেটিভ মারাত্মক আহত হয়েছে। শুক্রবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সাজাদুর রহমান নাটর জেলার বাগাদিপাড়ার উপজেলার পাচারিয়া গ্রামের সেকেন্দার রহমানের ছেলে। তিনি গাংনীতে ঔষধ কোম্পানির চাকরি সূত্রে বসবাস করছেন।স্থানীয়রা জানান, পলাশীপাড়া থেকে ভোমরদহ যাওয়ার পথে ছিনতাই কারিরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে প্রতিরোধ করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে পরে বোমা নিক্ষেপ করে মোটরসাইকেল ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা জানান, দুই হাতে অনেক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, বোমা হামলা ও ছিনতাই এর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ছিনতাইকারীদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ।এআই 
    কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
    কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামের মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মহিউদ্দিন (৩০) পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মহিউদ্দিন গৌরীপুর বাজার থেকে বাড়িতে যাচ্ছিল। সে তার গ্রাম ওলাপাড়া মসজিদের কাছে গেলে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা করে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত বলা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে।এআই 
    টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: ধরা-ছোঁয়ার বাইরে অর্ধশত মামলার আসামি নুরুল হুদা
    কক্সবাজার জেলায় ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়েছে ইয়াবা পাচার। সরকার পরিবর্তনের অধ্যায় শেষ হতে না হতেই বের হয়ে আসতে শুরু করেছে এক সময়ের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের চেহারাগুলো। আইন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিংবা ম্যানেজ করে যেসকল ব্যবসায়ীরা অতীতে নিরবে নিবৃত্তে চালিয়েছিলো ইয়াবা ব্যবসা তারা এখন অনেকটাই ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে নেমে পড়েছে। তার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিভুক্ত নুরুল হুদা মেম্বার, নুরুল কবির ও নুরুল আবসার। তারা তিন ভাই প্রশাসনের সৎ মনোভাবকে দুর্বলতা ভেবে ইয়াবা পাচারে দ্বিগুণ বেপরোয়া ভাব নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এসব চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর তৎপরতার মুখে ছোটো খাটো ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অধিকাংশই থেমে যেতে বাধ্য হলেও ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধা পেয়ে সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। জনপ্রতিনিধি ও ভদ্রতার মুখোশ পরিধান করে থাকা এসব ইয়াবা ব্যবসায়ী এতটাই সচুতুর যে বাহির থেকে এদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানার কোনো সুযোগ রাখেনি। ফলে সমাজের সচেতন মহল থেকে শুর-করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্য সবার চোখে ধুলো দিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার ইয়াবা পাচার করে রাতারাতি বনে যাচ্ছে একেকজন বিশাল বিশাল শিল্পপতি। এমনই যাদুরকাটি তাদের হাতে আছে রীতিমতো বেকুব বনে যান পুলিশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর কর্মকর্তারাও। পান না ইয়াবা পাচারের সাথে তাদের সংশিষ্টতা।এমনকি সর্বশেষ গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর রাতে টেকনাফের ধুরুমখালী এলাকায় শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নুর হুদা মেম্বারের মালিকাধীন একটি পোল্ট্রি ফার্মের গাড়ি থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে র‍্যাব। এসময় গাড়িতে থাকা নুরুল ইসলাম ও ফারুক নামের দুজনকে আটক করা হয়। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মাদক বহনের গাড়িসহ ইয়াবার চালানটি ছিলো নুরুল হুদা মেম্বারের। সেদিন মাদক বহনের গাড়িটির আগে পিছে নুরুল হুদা মেম্বার ও তার ভাই নুরুল কবির মোটরসাইলেযোগে প্রটোকল দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্য র‍্যাবের অবস্থান টের পেয়ে নুরুল হুদা ও তার ভাই নুরুল কবির সটকে পড়ে। আভিযোগ আছে, নানা দেন দরবার করে ওই মামলা থেকেও রক্ষা পেয়ে যান তারা। তবে গাড়ি ও ইয়াবার মূল মালিককে আসামী না করায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আত্মস্বীকৃত ১০২ জন ইয়াবা কারবারির অন্যতম নুরুল হুদা। যিনি ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ৩ ডজনের বেশি মামলা। এরমধ্যে  ঢাকায় রুজু হওয়া একটি মাদক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যার নং ৫২৩/১৩। গেলো ২০২০ সালের ২ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা এবং ২,৭১,২৫,৩৩৭ টাকার জ্ঞাত বহির্ভুত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলের অপরাধে নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মহানগর দায়রা জজ ও চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আজ আদালতে মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর। যার মামলা নং-৪/২০২০।অনুসন্ধানে জানা যায়, সারা দেশব্যাপী একটি মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন নুরুল হুদা। আত্মমর্পন কালে ওই সিন্ডিকেটের হাতে পুরো নেটওয়ার্কের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যান। ফলে কারাগারে থাকাকালীন প্রতিদিন লাখ টাকা খচর করতেন তিনি। কালো টাকার জোগান থাকায় জামিনে বের হতেও বেগ পেতে হয়নি তার। কারাগার থেকে বের হয়ে কিছুদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে নেন। রীতিমতো বনে যান জনপ্রতিনিধিও। নুরুল হুদার সাথে আত্মসর্পনকারী অনেক মাদক ব্যবসায়ী জামিনে বের হয়েছে। যারা পুনরায় মাদক পাচার করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা ও আইসসহ আবারও আটক হয়েছে। ফলে মাদকের বিস্তার ভয়াবহভাবে বেড়েছে। নির্বিঘ্নে চলতে থাকা এই মাদককারবারে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে বিদেশী অস্ত্রসহ প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে দেখা যায় বলেও জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা।সূত্র জানান, নুরুল হুদার রয়েছে দুটি রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী দল। তারাই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও উখিয়ার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পালংখালী থেকে বিপুল সংখ্যক মাদক প্রবেশ করায়। পরবর্তীতে নুরুল হুদা মাদকগুলো তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পাইকারি ও খুঁচরা ব্যবসায়ীদের হাতে সুকৌশলে পৌঁছে দেন। মাদকগুলো বহন করার কাজে বিলাসী চাহিদা সম্পন্ন উঠতি বয়সী যুবক-যুবতী, এনজিও কর্মী ও বেকারদের সহ কমপক্ষে শতাধিক লোকজনকে তার এই কাজে সহযোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ওই পাচারকারী দলের কেউ আটক হলেও বরাবরেই অধরা থেকে যান নুরুল হুদা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুল হুদা এক সময় গাড়ির হেলপার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিলেন নুরা বলে। অপর পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে ছোট দুজনকে নিয়ে নাফ নদীতে জাল ফেলতেন তাদের বাবা। তিনজন পরের জমিতে লবণ শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু যাদের জমিতে চাষ দিতেন, কয়েক বছরের মাথায় ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে সেই জমিই কিনে নেন নুরুল হুদা। মহাসড়কের ধারে গড়ে তোলেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। তার পর একেক ভাইয়ের জন্য বানান একেকটি প্রাসাদ। ওঠাবসা ছিল অনেক প্রভাবশালীদের সাথে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। বনে যান নেতা। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হন নুরুল হুদা।সূত্র মতে, নুরুল হুদা টেকনাফের হ্নীলা ৮নং ওয়ার্ডের ২ বারের নির্বাচিত মেম্বার। গেলো নির্বাচনের ভোটের মাঠে জয়ী হতে প্রচুর কালো টাকা বিনিয়োগ করে নির্বাচনেও বিজয়ী হন।জানা গেছে, লেদা পশ্চিম পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল হুদা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে ইয়াবা, অস্ত্র, হত্যা মামলাসহ নানা অপরাধে ৫০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। যা বিচারাধীন আছে। এমন একজন চি‎হ্নিত রাষ্ট্রদ্রোহী, চোরাকারবারী, সরকারের আত্মস্বীকৃত ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে যা ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয় বলে অভিযোগ তুলেছেন সচেতন মহল।বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এককালের সেই হেলপার নুরা আজ শতকোটি টাকার মালিক। হ্নীলার টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের পাশেই তাদের ছয় ভাইয়ের নামে ৬টি নান্দনিক বাড়ি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে তাদের বাড়ির সংখ্যা ১৪। টেকনাফের হোছ্যারখালের উত্তর পাশে, হ্নীলা আলীখালী, লেদাবাজার এলাকায় হুদার নিজেরই তিনটি বাড়ি। নিজে বসবাস করেন পুরান লেদায়। ফ্ল্যাট আছে চট্টগ্রামে। তবে হ্নীলার দমদমিয়া বিজিবি চেকপোস্ট ঘেঁষে সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেন ছোট ভাই নূর মোহাম্মদ। ২০১৪ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন নূর মোহাম্মদ।এছাড়া হ্নীলা লেদায় শত একর জমি কিনে নিয়েছে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। পুলিশের খাতায় ৩ ডজন মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড নুরুল হুদা। অথচ টেকনাফ থানার ওসি জুবাইর সৈয়দ দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না। যদিওবা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হ্নীলার জাদিমুড়া থেকে খারাংখালী এলাকা পর্যন্ত নাফ নদীর দুই পাশে ইয়াবার সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন নুরুল হুদা। জাদিমোড়া, নয়াপাড়া, মোচনী, লেদা, রঙ্গীখালী, নাটমোড়া পাড়া, হ্নীলা সদর, ওয়াব্রাং ও খারাংখালী পয়েন্ট হয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে তার নামে ইয়াবার চালান আসত। সন্ধ্যার পর এসব খোলা বিলে লোকজনের উপস্থিতি না থাকায় ইয়াবা চোরাচালানের একটি অন্যতম রুটে পরিণত হয়। বর্তমানে নুরুল হুদার একাই প্রায় শতকোটি টাকার মালিক বনে আছেন। তিনি একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।পুলিশ জানায়, নুরুল হুদা হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সরওয়ার কামাল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি ও তার সব ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন-পুরনো সবকটি তালিকাভুক্ত ইয়াবা পাচারকারী। ২০১৪ সালে আত্মগোপনে থেকে মেম্বার নির্বাচিত হলেও শপথ নিতে পারেননি। পুলিশ জানায়, এরা পারিবারিকভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী। দ্বিতীয় ভাই শামসুল হুদা যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। নুরুল কবির, সরওয়ারসহ অন্য ভাইরাও ফেরারী।একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী কিভাবে বীরদর্পে চলাফেলা করে; নির্বাচনে জেতে, তা নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নুরুল হুদা আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী। অবৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। অনেক আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী কারামুক্ত হয়ে বেপরোয়া জীবন যাপন করছে। মাদক কারবারে জড়িয়েছে। জনগণ তাদের ভোট কেন দেয়, বুঝিনা। আত্মস্বীকৃত অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিৎ।পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনরা জানান, নূরুল হুদা’র জীবন বদলে যেতে শুরু করে ২০০৮ সালে। সে বছরে তার বড়ভাই নূর মোহাম্মদ নামেন ইয়াবা ব্যবসায়। এরপর নূর তার তিন ভাই- শামসুল হুদা, নূরুল আফসার এবং নূরুল কবিরকে নামান এই ব্যবসায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাদের সম্পদ। কয়েক বছরের মধ্যে নূর নিজেই তৈরি করেন তিনটি ‘বিলাসবহুল’ বাড়ি। সেগুলো রয়েছে টেকনাফের দামদামিয়া, নাইট্যংপাড়া এবং গুদারবিলে। ২০১৪ সালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নূর মারা যাওয়ার পর থেকে সেই বাড়িগুলোতে এখন আর কেউ থাকেন না।মাস পাঁচেক আগে লেদায় রোহিঙ্গা শিবিরের কাছে তাদের আরেক ভাই শামসুল হুদা নিহত হন অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে। আর নূরুল আফসার একটি মাদক মামলায় পাঁচ বছরের কারাভোগ করছেন। গত বছর মে মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর নূরুল হুদা এবং তার ছোটভাই নূরুল কবির আত্মগোপন করেন। আত্মসমর্পণ কর্মসূচির খবর পেয়ে তারা চলে আসেন প্রকাশ্যে।এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্যে তাদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। টেকনাফের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরুল বাশার নওশাদের উত্থানের পেছনেও রয়েছে বেশ জাদুকরী গল্প। এক সময় তিনি একটি চায়ের দোকান চালাতেন। এখন তিনি টেকনাফের কুলাল পাড়ায় একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির মালিক।স্থানীয়দের অভিমত, শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হাজী সাইফুল করিমের ভাগ্নিকে বিয়ে করার পর তিনি অনেক ক্ষমতার মালিক হয়ে উঠে।সূত্র জানায়, বিয়ের কয়েকদিন পর নওশাদ এই মাদকব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। শুরু করেন নতুন জীবন। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে নওশাদ তার চাচা মোহাম্মদ আমিন বুলু’কে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। অভিযোগ রয়েছে- নওশাদ ইয়াবা বিক্রির টাকা দিয়ে ভোট কিনেছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি মিয়ানমারের অধিবাসী এক নারীকে বিয়ে করেন। খবরে প্রকাশ, সেই নারী একজন শীর্ষ ইয়াবা প্রস্তুত ও সরবরাহকারী। নওশাদের ছোটভাই মিজান-ও ইয়াবা ব্যবসায় নিয়োজিত বলে জানায় পুলিশের বিভিন্ন সূত্র।তবে বাবা মোহাম্মদ ইউনুসের দাবি- তার ছেলেরা নির্দোষ। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তালিকায় তাদের নাম দিয়েছেন। পুলিশ ও র‌্যাবের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ইঙ্গিত দিয়ে ইউনুস বলেন, “এখন আমি তাদেরকে ‘নিরাপদ নিবাসে’ পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে তারা বাঁচতে পারে।” গত বছরের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮৫ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।স্থানীয়দের বক্তব্য, বদি’র ভাগ্নে ৩১ বছর বয়সী নিপু আগে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। কিন্তু, ২০০৮ সালে বদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি প্রচারণার কাজে যোগ দিতে কক্সবাজার আসেন। নিপু’র বাবা আব্দুর রহমান পুলিশের একজন পরিদর্শক হিসেবে অবসরে যান।নির্বাচনের পর বদি’র প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নিপু ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ) ব্যবসা শুরু করেন। এরপর জড়িত হন ইয়াবা ব্যবসায়। এক সময় শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হয়ে উঠা এই ব্যক্তির নিজের ‘বিলাসবহুল’ বাড়ি রয়েছে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে। নিপু’কে কখনো আটক করা হয়নি। মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর তিনি মালয়েশিয়ায় চলে গিয়েছিলেন বলে জানান অনেকে। গত সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি দেশে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।নিপু’র চাচাতো ভাই আক্তার কামালও একজন তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী। গত বছর অক্টোবরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কামাল নিহত হন। নিপু’র আরেক চাচাতো ভাই ও তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী শহীদ কামাল এখন তার সঙ্গে সেই ‘নিরাপদ নিবাসে’ রয়েছেন।সূত্র মতে, বদি’র সৎভাই আব্দুল আমিন ২০০৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় থাকতেন। বদি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০৯ সালে তিনি কক্সবাজারে ফিরে এসে টেকনাফ বন্দরে সিএনএফ-এর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেন। দেশের বিভিন্ন অংশে মাদক সরবরাহ করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।স্থানীয়রা জানান, যদিও আমিনের বেশ কয়েকটি গাড়ি রয়েছে তথাপি তিনি নিজে সিএনজি-চালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। তার নিজের অন্তত ডজনখানেক অটোরিকশা রয়েছে যেগুলো ইয়াবা সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হয়। বদি’র ভাই ফয়সাল রহমানেরও একই সংখ্যক অটোরিকশা রয়েছে। সেগুলোও এই কাজে ব্যবহার করা হয় বলে জানায় বিভিন্ন সূত্র। ফয়সালের মা একজন রোহিঙ্গা। ফয়সাল তার সৎভাইদের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হন বলে মন্তব্য স্থানীয়দের।এবিষয়ে জানতে নুরুল হুদা মেম্বারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টাও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি বলেন, তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।এআই 
    সীতাকুণ্ডের শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
    সীতাকুণ্ডের পুরনো জাহাজ ভাঙার এক কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ হয়েছেন।সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামালউদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইছড়ি শিপইয়ার্ডে এসএন করপোরেশন নামের ওই কারখানায় একটি পুরনো জাহাজ কাটার সময় সেটির পাম্প রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলে, ইউনিটে ১২ জন ভর্তি আছে।“তাদের ১০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর সবারই শ্বাসতন্ত্র কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”ডা. রফিক জানান, চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০, আহমদ উল্লাহর ৯০, কাশেমের ৩৫, সাগরের ২৫, আল আমিনের ৮০, মইনুলের ৮০, হাবিবের ৪০, বরকতের ৫০, আনোয়ারের ২৫, রফিকের ১০ শতাশ পুড়ে গেছে।এছাড়া রফিকুল ও সাইফুল নামের দুই জনের কানে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানান ডা. রফিক।পুলিশ এবং কারখানা কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি।এইচএ
    কুমিল্লায় জেল ফেরত যুবককে গলা কেটে হত্যা
    কুমিল্লায় মো. নাসির (৩৫) নামে জেল ফেরত এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, মাসুক মিয়া হত্যার বদলা নিতেই তার স্বজনরা নাসিরকে গলা গেটে হত্যা করেছেন। নিহত নাসির পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়াকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি ছিলেন নাসির। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্ত হয়ে জেল থেকে বের হন নাসির। এরপর থেকেই নিহত মাসুক মিয়ার স্বজনরা নাসিরকে হত্যার জন্য ওঁৎ পেতে থাকতেন। আজ বিকেলে মাঝিগাছা এলাকায় বাড়ির পাশে একা পেয়ে মাসুক মিয়ার পরিবারের পাঁচ সদস্য নাসিরকে ধাওয়া করেন। এসময় বাড়ির পাশের একটি ডোবাতে পড়ে যান নাসির। পরে তাকে ধরে গলা কেটে হত্যা করেন মাসুক মিয়ার স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিহতের পরিবার। এআই 
    ভিত্তিহীন অভিযোগে নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ
    নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ছাত্রলীগের কমিটি না দেয়ায় ও অসাধু সহকর্মীদের অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় পূর্বে থেকেই কিছু স্বার্থন্বেষী কুচক্রী মহলের রোষানলে পড়ে জামাত শিবির ট্যাগ বসানো হয় অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের নামে। সেই সূত্রপাতে স্বার্থান্বেষী সহকর্মীদের গভীর ষড়যন্ত্রে ভিত্তিহীন অভিযোগে এবং ভুল ব্যখ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুবিধাজনক সেন্টিমেন্টকে অন্যায় ভাবে কাজে লাগিয়ে নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষকে অপসারণ করে শাস্তি মূলক বদলি করা হয়েছে বলে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে অভিযোগ দাখিল করেছেন প্রকৃতপক্ষে তারা ছাত্রলীগ কর্মী। শুধুমাত্র মুখোশ পরিবর্তন করে তারা স্বার্থ হাসিলের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সেজেছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। অপরদিকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে কার্যত স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের সময় তারা নোয়াখালী জেলার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ফ্যাক্টরি ভিজিটে ছিলেন বলে অফিসিয়াল ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী ছাত্র আহসানুজ্জামান ও নাহিদ হাসান জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। এবং অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন আমরা মানিনা। সাবেক অধ্যক্ষ সার্বিকভাবে ভুল তথ্য প্রদান করেছেন।অপরদিকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ দুর্ব্যবহার, অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তি, অর্থ কেলেংকারী বা টাকা আত্বসাতের মতো দুর্নীতির অভিযোগের ডকুমেন্টারি কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর অভিযোগ ছিল বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ৩ বৎসর মেয়াদি ডিগ্রী অর্জন করার।অথচ সাইফুর রহমান ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া থেকে ২০১০ সালে ৪ বছর মেয়াদী ১৩০ ক্রেডিট বুটেক্স তথা কলেজ অব টেক্সটাইল এর ন্যায় বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।বস্ত্র অধিদপ্তরে পরিকল্পিতভাবে নামে বেনামে অভিযোগের ভিত্তিতে বস্ত্র মন্ত্রণালয় তথা বস্ত্র অধিদপ্তর অভিযোগের আলোকে ২বার তদন্ত করে অভিযোগ খারিজ করে। প্রথম পর্যায়ে শাহাদাৎ হোসেন উপসচিব এবং ২য় পর্যায়ে বৃহৎ পরিসরে তদন্ত করেন নেছার আহমেদ, যুগ্ম সচিব ও পরিচালকের (বস্ত্র) নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি। অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে খুঁটিনাটি সকল বিষয়সহ ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে সত্যতা নিশ্চিতের জন্য জানতে চাইলে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি ৪ বছর মেয়াদি ছিলো বলে তদন্ত কমিটির কাছে নিশ্চিত করে।এর আগে বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক  নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে সহকারী ইন্সট্রাক্টর হিসেবে অধিদপ্তরে যোগদান করেন তিনি। পরবর্তীতে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দুই বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ মোট ৫ বছরের অভিজ্ঞতা চেয়ে সহকারী অধ্যাপক (কারিগরি) পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তিনি পূর্বের শিক্ষকতার সময়কালকে সংশ্লিষ্টক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেকপূর্বক উক্ত পদ(সহকারী অধ্যাপক) এর একজন প্রার্থী হিসেবে বিধি মোতাবেক বিপিএসসিতে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি তার চাকরির ২০০৫ সাল থেকে সহকারি ইন্সট্রাক্টর পদের চাকরিসহ যাবতীয় তথ্যাদি বি পি এস সি ফরম -৩ এ সঠিকভাবেই উল্লেখ করেন, এতে কোন তথ্য ভুল বলে প্রতিয়মান হয়নি।অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগে বলা হয় আমি ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট ১২ তম গ্রেড থেকে সরাসরি ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদন্নোতি নিয়েছি। কিন্তু প্রমাণ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, আমার পদবী ছিল সহকারী ইনস্ট্রাকটর অথচ অভিযোগকারী উল্লেখ করেছেন ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট। কার্যত আমি চাকরি করেছি সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে। অথচ অভিযোগকারী অভিযোগে বলেছেন, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। যা বস্তুতপক্ষে চরম মিথ্যাচার। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি পদোন্নতি দিয়ে নয় বরং বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) এর সহকারী অধ্যাপক পদে আলাদাভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে, সেখানে তিনি অন্যান্য প্রার্থীর ন্যায় আবেদনপূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।বিপিএসসি-তে আবেদন করার পূর্বে তিনি কর্মরত কলেজ প্রসাশন, বস্ত্র অধিদপ্তর ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে তৎকালীন বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উপপরিচালক, ও সহকারী পরিচালকের সম্মুখে মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সকল সনদ পত্র যাচাই বাছাই পূর্বক তিনি (এন ও সি) প্রদান করেন। যে সকল অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও শর্তের ভিত্তিতে তিনি এই পদে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পান, পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন তার এই অভিজ্ঞতাকে গ্রহণ করে এবং যাবতীয় তথ্যসহ সনদ যাচাই করণ পূর্বক সহকারী অধ্যাপক (কারিগরি) পদে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে অন্যান্য প্রার্থীর ন্যায় তিনিও যোগ্যতার ভিত্তিতে 'বিপিএসসি' কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত হন। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টিরও ডকুমেন্টারি কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। সাইফুর রহমান ২০২১-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট কৃত অর্থের ২০% অর্থ ফেরত, ৫% ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে বাকী টাকা প্রতিষ্ঠানের ৬ টি গ্যাস বার্নারের বিল,জীপ ও বাস গাড়ির বিল প্রদান করেন বলে স্পষ্ট হয়। সাবেক অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান জানান, ছাত্রদের নিকট থেকে মিল ভিজিট বাবদ ২০০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি মীমাংসিত, মিল ভিজিটের সম্পূর্ণ খরচ শিক্ষকদের সম্মানি , গাড়ির ড্রাইভার ও হেল্পারের খরচ সহ , জ্বালানি ,মবিলসহ বিভিন্ন খাতে ঘাটতি দেখা দিলে বাজেটের টাকা খরচ করা হতো। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের যে মিল ভিজিট অসম্পূর্ণ আছে তার সম্পূর্ণ অর্থ কলেজ ফান্ডে জমা রয়েছে।সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, বিগত চার বছরে প্রয়োজনের তুলনায় ন্যূনতম টিএ/ডিএ বিল উত্তোলন করেছেন তিনি। কারণ হিসেবে দেখা যায় অফিশিয়াল গাড়ি ব্যবহারের সময় তিনি কোন টিএ/ডিএ বিল নেননি। এভাবে চার বছরে সর্বনিম্ন পরিমাণ টাকা উত্তোলন করেও অভিযুক্ত হওয়া একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করেন সাবেক অধ্যক্ষ। এদিকে কর্মচারী কর্ম-কর্তাদের নিকট থেকে ২০২৩ সালের পূর্বে কোন গ্যাসবিল গ্রহন করেনি কলেজ প্রশাসন। ২০২৩ সালের জুনের পর থেকে যে টাকা গ্যাস বিল নেয়া হতো তা নিয়ম মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার ডকুমেন্টারি প্রমাণ পাওয়া যায়। এভাবে প্রত্যেকটি ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ক্ষেত্রে কোন রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং এটি প্রমাণিত হয় যে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন অভিযোগ আনয়ন করে কথিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ভুল বুঝিয়ে সুযোগ সন্ধানী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে তাদের সহযোগিতায় অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানকে অন্যায় ভাবে অপসারণ করে পদাবনতি করেন।নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, প্রকৃতপক্ষে অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান থাকা অবস্থায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তিনি। সারা বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষার কার্যক্রমের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রথম স্থান অর্জন করে ইনোভেশনে মনোনীত হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা অত্র মন্ত্রণালয়ের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম স্থানের গৌরব অর্জন করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসের অবকাঠামো, সৌন্দর্য বর্ধন, টেক্সটাইল মিউজিয়াম, ব্যায়ামাগার, স্পেশালাইজড ল্যাব, মেকানিক্যাল ল্যাব সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা। ক্যাম্পাসের পারিপার্শ্বিক অবস্থা অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়নে প্রতিপক্ষ ঈশ্বার্নিত হয়ে ক্ষতির প্রচেষ্টা চালিয়েছিল দীর্ঘদিন আগে থেকেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য পুরোপুরি ভুল ব্যাখ্যায় অপ্রমাণিত অভিযোগে সুবিধা জনক সেন্টিমেন্টকে অন্যায়ভাবে কাজে লাগিয়ে একজন আদর্শবান শিক্ষকের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছর এদেশের মানুষ সঠিক বিচার পায়নি। কিন্তু আজ ন্যায়বিচারের সংস্কৃতি বদলের এই সুসময়েও অবিচার হওয়াটা দুঃখজনক বলে মনে করেন তার সহকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা চান অনতিবিলম্বে অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগের পুনঃ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হোক।এইচএ
    জনগণের এখনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: শায়খে চরমোনাই
    গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনা পলায়ন করলেও এখনো জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আজকে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ কষ্ট করছেন। হাজারো মানুষ ন্যায্য বিচারের দাবিতে আদালতে  ঘুরছে। আজকে মুসলিমদের দেশে দাড়ি রাখলে টুপি পড়লে চাকরি পাওয়া যায়না।দেশে আবারো জুলুম শুরু হয়েছে। এসবের জন্য ছাত্রজনতা জীবন দেয়নি। যেখানেই চাঁদাবাজ দেখবে মাদ্রাসার ছাত্ররা রুখে দাঁড়াবেন। গতকাল শনিবার বিকালে গাজীপুর জেলা ও মহানগর ইসলামি আন্দোলন শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক রাজবাড়ী মাঠে  গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, নায়েবে আমির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (শায়খে চরমোনাই)।ছাত্র জনতার গণ বিপ্লবের সংগঠিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবিতে গাজীপুরে এ গণসমাবেশের আয়োজন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।সমাবেশে আরো উপস্থিত থাকবেন আমিনুল ইসলাম কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, মাওলানা নেছার উদ্দিন কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাজীপুর জেলা, মোহাম্মদ ফাইজ উদ্দিন সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাজীপুর মহানগরসহ জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা।এমআর
    মির্জাপুরে মহেড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার
    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হত্যা মামলার আসামী মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌরসদরের বাওয়ার কুমারজানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানায় একদল দস্কৃতিকারী হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া টাঙ্গাইলের গোপালপুরের কলেজছাত্র ইমন পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর মারা যান। এ ঘটনার পর ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে ২২ আগস্ট ১৫৭ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ টাঙ্গাইলের সাবেক ৭ এমপি এবং মির্জাপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদক, মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াসহ ৪০০-৫০০ অজ্ঞাত আসামী করা হয়।এব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ৭ দিনের রিমা- আবেদন করলে আদালত ১ দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছেন। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এমআর
    গজারিয়ায় বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ইমামপুরের নয় গ্রাম
    মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ড্রেজার দিয়ে মেঘনা নদীর তীরঘেঁষে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে ইমামপুর ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম। তাই ভাঙন থেকে বাড়িঘর রক্ষা ও অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে হোগলাকান্দি গ্রামে ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করেন।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বালুমহাল ইজারার নিয়ম না মেনে ইজারাদার নদীর তীরঘেঁষে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বেরি মোল্লা কান্দি, বড় কালিপুর, মল্লিকের চর সহ আশপাশের ৯টি  গ্রামের তীরবর্তী ঘরবাড়ি গুলো।তারা আরো দাবি করেন, সম্প্রতি জেলার গজারিয়া উপজেলার ইউনিয়নের বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। রাজধানীর দিলকুশার ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেঘনায় বালু উত্তোলনের কাজ দেখভাল করে আসছেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। শেখ হাসিনার পতনের পর জিন্নাহ আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর  এই কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মহন মিয়াজী।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহন মিয়াজী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি। বালু মহলের সাথে আমি জড়িত নই। বালু মহল ইজারাদারের সাথে আমার কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। একটি পক্ষ ঈর্ষা নিত হয়ে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের  বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে।এমআর
    মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষককে কুপিয়ে জখম
    মাদারীপুরে জমিজমার বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুলাল চৌকিদার(৫০) নামের এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় মুজাম সরদার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের চরব্রাক্ষন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত দুলাল চৌকিদার চরব্রাক্ষন্দী এলাকার মৃত দলিলউদ্দিন চৌকিদারের ছেলে। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পরে শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আহতের স্ত্রী মাহিনুর বেগম বাদি হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ে করছেন। অভিযুক্তরা হলেন- গনি সরদারের ছেলে মুজাম সরদার (৫৫),আলাউদ্দিন বেপারীর ছেলে নাহিদ হোসেন (২৫),মন্নান সরদারের ছেলে কিবরিয়া সরদার (৩৫), সরোয়ার সরদার (৩৪), আজিম সরদারের ছেলে রুহুল সরদার (২২) রশিদ সরদারের ছেলে মিজান সরদার (৫০), কাওসার সরদারসহ বেশ কয়েজন।অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের চরব্রাহ্মন্দী এলাকার দুলাল চৌকিদার ও মুজাম সরদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সেই সুবাদে মোজাম সর্দারের লোকজনেরা দুলাল চৌকিদার জমি থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে হাত পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে সে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর  হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে আহত দুলাল চৌকিদার বলেন,কারো সাথে আমাদের একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল অনেক আগের থেকে এনে দফায় দফায় সালিশ সালিশ হয়েছে কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। এই সুবাদে মুজাম সরদারের লোকজনেরা আমাকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখন করেছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমি এর সরকারের কাছে সঠিক বিচার চাই। এদিকে আহত দুলাল চৌকদারের  স্ত্রী মাহিনুর বেগম বলেন, আমাদের একটাই চাওয়া তাদের বিচার চাই। দুলাল চৌকদারের নাতি বিল্লাল চৌকিদার  বলেন,জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে তাহলে একটা বৃদ্ধ লোককে এভাবে কি কেউ কোপাতে পারে আমরা তাদের বিচার চাই।  এব্যাপারে অভিযুক্ত মোজাম সর্দারের বাড়িতে গিয়েও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব তদন্ত করে। এআই 
    শরীয়তপুরে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর রোগীর স্বজনদের হামলা, চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ
    শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। রোগীর স্বজনরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার তুলাসার এলাকার শারমিন নামে এক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এসময় রোগীর ভর্তি ফাইল নিতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় রোগীর স্বজনরা। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় এক চিকিৎসকসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে হাসপাতালে জরুরি সভা করে দোষীদের গ্ৰেপ্তার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কর্ম বিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে সেনা সদস্যরা।ভুক্তভোগী সিনিয়র স্টাফ নার্স সানজিদা বলেন, রোগীর লোকজন রুলসের বাহিরে গিয়ে জোর করে ফাইল নিয়ে যেতে চায়। আমি তাদের বিষয়টি চিকিৎসককে জানাতে বলি। এরপর তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। হাসপাতালের কর্মচারী দুলাল ঢালী বলেন, আমরা না বোঝার আগেই রোগীর লোক বাহির থেকে লোক এনে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, রোগীর ভর্তি হওয়া নিয়ে আমাদের কর্মচারীদের সঙ্গে তুচ্ছ একটি ঘটনা ঘটে। পরে তারা বহিরাগত লোক নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। আমরা এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাই আপাতত জরুরি চিকিৎসা সেবা ছাড়া অন্য সকল সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আমরা দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।এইচএ 
    নেছারাবাদে ২৪৭ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার, গ্রেফতার-২
    পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রামবাসীদের সহায়তায় ২৪৭ কেজি ২০০ গ্রাম হরিণের মাংস ফেলে পালানোর সময় দু'জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সারেংকাঠী ইউনিয়নের পূর্ব গয়েসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কড়ফা বাজার সংলগ্ন খালে বাধা মাছের ট্রলার থেকে ১৯৯ কেজি ২০০ গ্রাম ও সোহাগদলের গড়াইবাড়ী মৃত হাতেম আলীর পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪৮ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার গহরপুর এলাকার মৃত মহিবুল হক মোল্লার ছেলে  মোঃ হারুন মোল্লা (৫৫) ও  পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ায়া উপজেলার তাপালবাড়ি গ্রামের আশরাফ আলী শিকদারের ছেলে মোঃ আবু কালাম (৫০)। সরেজমিনে জানা যায়, করফা বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাত আড়াইটার দিকে গ্রামবাসীরা প্রতিদিনের ন্যায় পাহেরা দেওয়া অবস্থায় একটি মাছের ট্রলার ঢুকতে দেখে ডাকাত সন্দেহে চিৎকার দেয়। তাৎক্ষণিক ট্রলার থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীরা দু'জনকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে দু'জনকে হস্তাস্তর করে গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ এইচএম শাহিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে গঠনাস্থলে গিয়ে একটি মাছ ধরা ট্রলারে হরিণের মাংস সহ দু'জনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।এমআর
    ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যু, লাখ টাকায় সমোঝতা
    প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আঁখি আক্তারের ভুল চিকিৎসায় অস্ত্রপাচারের সময় মুন্নি আক্তার নামের এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাসনের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইউনাইটেড নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে।শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় ওই ক্লিনিকে প্রসুতি নারীকে অস্ত্রপাচারের সময় তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অস্ত্রপাচারের সময় প্রসুতির মৃত্যু হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক শিশু। ওই ক্লিনিকে প্রসুতির নারীর মৃত্যু হলে চিকিৎসক বিষয়টি গোপন রেখে প্রস্তুতিকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি টের পেয়ে ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্লিনিকের ভিতরে হট্টোগোল শুরু করেন। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের  হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। রাতেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওই নারীর পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন। নিহত মুন্নি আক্তার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।নিহত প্রসুতি নারী মুন্নির বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুরে তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে তার পরিবারের সদস্যরা চরফ্যাসনের সেন্ট্রাল প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত গাইনি চিকিৎসক ডাঃ আঁখি আক্তার কোন রকম পরিক্ষা ছাড়াই গর্ভের সন্তান সংকটাপন্ন বলে জানান এবং পূর্বের পরিক্ষার রির্পোট অনুযায়ী তার মেয়েকে অস্ত্রপাচারের সিদ্ধান্ত নেন। অস্ত্রপাচারের সময় নবজাতক শিশু জিবিত থাকলেও মৃত্যু হয় মেয়ে মুন্নি আক্তারের। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সরা গোপন রেখে তার মেয়ের অবস্থাসংকাটপ্ন বলে তাকে দ্রুত বরিশালে নিয়ে যাওয়র পরামর্শ দেন। ঘটনাটি তিনি এবং তার স্বজনা বুঝতে পেরে ওই ক্লিনিকে হট্টোগোল শুরু করলে ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের চাপের মুখে পড়ে তারা মেয়েকে লালামোহন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান অস্ত্রপাচারের সময় তার মৃত্যু হয়েছে। পরে তারা মরদেহ নিয়ে ওই ক্লিনিকে গেলে কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে তারা  মৃতদেহ নিয়ে ক্লিনিক ত্যাগ করতে বাধ্য হন।তিনি আরও জানান, রাতে তারা নিহত মুন্নির মরদেহ দাফনের পর ওই ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষরা তাদের বাড়িতে যান। এবং তার মেয়ে গর্ভের ভূমিষ্ঠ হওয়ার নবজাতকের চিকিৎসা করানোর জন্য তার হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন।স্থানীয়দের অভিযোগ চরফ্যাসনের আনাচকানাচে গড়ে উঠা অবৈধ ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকদের ভূল চিকিৎসায় প্রাণ হারান অসংখ্য প্রসুতি নারীরা। ক্লিনিকগুলোতে প্রসুতি নারীরা চিকিৎসা বা নরমাল ডেলিভারির জন্য গেলে চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে সিজার করাতে বাধ্য করান। নিরুপায় হয়ে সিজারের নামে চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। পাশাপাশি তাদের অপচিকিৎসার বলি হন প্রসবের জন্য গ্রাম থেকে ছুটে আসা নারীরা। এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।এ বিষয়ে জানতে ওই ক্লিনিকে গেলে চিকিৎসক আঁখি আক্তারকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।তবে ওই ক্লিনিকের পরিচালক মো. বশির আহমেদ জানান, নারীর পরিবার বাড়িতে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করে যখন প্রসুুতির অবস্থা সংকাটপ্ন তখন তাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। চিকিসকের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি গর্ভের সন্তানের অবস্থা সংকাটপন্ন হওয়ায় তাকে দ্রুত অস্ত্রপাচারের সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রসুতি নারীর জ্ঞান না ফেরায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়। তবে চিকিৎসকরা ধারনা করেছেন ওই নারীর অস্ত্রপাচারের সময় স্টোক করেছেন। পরে তিনি মারা গেছেন।এমআর 
    কাউখালীতে কোন চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি ও নারী নির্যাতনকারীদের স্থান হবে না
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্র-জনতা ও বন্যায় নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম আহসান কবির।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচ,এম দ্বীন মোহাম্মদ, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মনিরুজ্জামান মিয়া, উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির  সদস্য শাফিউল আজম দুলাল, যুগ্ন-আহবায়ক জিয়াউল হাসান নিক্সন, শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ ফারাবী। দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিয়ালকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু, অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সিপাই। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্য ও অঙ্গসহ সহযোগী সংগঠনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির বলেন, কাউখালীতে কোন চাঁদাবাজ মাদক কারবারি ও নারী নির্যাতনকারীদের স্থান হবে না।উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচএম দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, কোন অপশক্তিকে কাউখালীতে থাকতে দেওয়া হবে না। আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নির্দেশে দেশকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলবো। এমআর
    সন্ধ্যা হলেই গাবখান সেতুুতে অন্ধকার, ঝুঁকিতে চালকরা
    বাংলার সুয়েজ খালখ্যাত গাবখান নদীর ওপর নির্মিত হয় পঞ্চম চীন মৈত্রী সেতু। সেতুর ওপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে ৬২টি লাইট পোস্ট স্থাপন করা হয়। বর্তমানেসেই ৬২টি লাইট পোস্টের ৪৩টি অকেজো রয়েছে এবং সচল রয়েছে ১৯টি। তারমধ্যেও কয়েকটি নিভু নিভু জ্বলে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার, দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬ দশমিক ২০ মিটার (যা দেশের সর্বোচ্চ), নিম্নতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার। ২৪টি পিলার ও দুটি অ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭ দশমিক ৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়াক রয়েছে ১ দশমিক ২৫ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন।স্থানীয়রা জানান, সেতু উদ্বোধনের ২২ বছর অতিবাহিত হতেই বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই সেতুর ওপর নেমে আসে অন্ধকার। এ কারণে প্রায় সময়ই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।ট্রাক চালক সাদ্দাম জানান, আমাদের গাড়ির হেডলাইটের মাধ্যমে অন্যান্য সড়কের মতো পথ দেখে চলতে হয়। সড়কের বাতি না থাকায় বাঁকে বাঁকে চলার সময় ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।অটোচালক জাফর জানান, গাবখান ব্রিজের ওপরের বাতিগুলো নষ্ট যাওয়ায় অন্ধকার থাকে বেশিরভাগ জায়গায়। ব্রিজ পারাপারের সময় সামনে থেকে পরিবহন বা ট্রাক এলে তখন কিছু চোখে দেখা যায় না। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।মোটরসাইকেল চালক মিজান জানান, ব্রিজে উঠলেই দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলে না। সামনে থেকে বড় কোনো গাড়ি এলে তখন আর চোখে কিছু দেখা যায় না। মাথায় হেলমেট থাকলে সবকিছু তখন ধোয়া দেখা যায়। পাশে মোটরসাইকেল রেখে অনেকেই বাতাস উপভোগ করেন। সড়ক বাতি না থাকলে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। নতুন চালক হলে তো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই নেই। অনেকদিন ধরে এমন অবস্থা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পড়লে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান জানান, সেতুর বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাতি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এমআর
    বউয়ের অত্যাচারে চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
     ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ এমন চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে  আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।জানা গেছে, উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খাঁনের ছেলে নরজরুল ইসলামের সঙ্গে গত দের বছর আগে একই গ্রামের দুলাল ভুইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল এমন দাবি তার পরিবারের। ওই দম্পতির এক বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার সকালে স্ত্রী খাজিদা বেগম তার ভাসুর ফেরদৌস খানকে বলেন, আমি আমার বাবার বাড়ী চলে গেলাম আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে। এ কথা বলে স্ত্রী খাজিদা বেগম বাবার বাড়ী চলে যায়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয়রা শিক্ষক নজরুল ইসলামকে একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়ে। এসময় পুলিশ নজরুলের পরিধানের কাপড়ে পেঁচানো একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্ত্রী খাজিদা বেগম গা-ঢাকা দিয়েছেন।নিহতের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে আমার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর শাস্তি দাবি করছি।আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।এমএইচ
    ত্রিশালে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফিশারিতে বিষ প্রয়োগে ৫০ লাখ টাকার মাছ নিধন
    ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের একটি মৎস্য ফিশারিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে ৫০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে আমিরাবাড়ী  ইউনিয়নের গুজিয়াম নদীর পাড় গ্রামের সিপাহি বাড়ীর মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিসমিল্লাহ নামক ফিশারিতে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে থাকা প্রায় ৫০ টন পাংগাস মাছ মরে ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম প্রায় ৪ একর জায়গার ওপর খনন করে কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। এবার পুকুরে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া,সহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছিলেন। এতে তার প্রায় কয়েক লাখ টাকা তার খরচ করতে হয়েছে। তাদের ধারণা ৩ থেকে মাসের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠত। ফিশারির নাইট গার্ড সামিউল বলেন, আমি লাইট মেরে দেখতে পারি ৬ থেকে ৭ জন লোক পুকুরটি অবস্থান করছিল। দূর থেকে সন্ত্রাস হাজার তাকে চলে না গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে সে দৌড়ে পালিয়ে ফিশারী মালিককে বিষয়টি অবগত করেন। স্থানীয় জসীমউদ্দীন বলেন, সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রের ভয় ভীতি দেখিয়ে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। একই এলাকার  আবু বক্কর ও আরিফ মিয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা পূর্বেও এই ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে ব্যাপক ক্ষতি করে। বর্তমানে ৭০/৮০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। এই লোকটি এখন ধ্বংস হওয়ার পথে। ফিশারির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে পুকুরের পাড়ে বিষের বোতল ও বিষাক্ত ট্যাবলেট পড়ে থাকতে দেখি। পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের সাথে  তাদের পারিবারিক ঝগড়া ও মামলা ছিল। কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়। রফিকুল ইসলামের ছেলে নাঈম মিয়া বলেন, একদল মুখচেনা সন্ত্রাসীরা গতকাল রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমাকে জিম্মি করে মুখ চেনা সন্ত্রাসীরা দেশীয়  অস্ত্র দিয়ে  ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে  মৎস্য ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে। এর আগেও তারা আমাদের ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে।  এ ব্যাপারে ফিশারির মালিক রফিকুল ইসলাম ত্রিশাল একটি অভিযোগ দাখিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এইচএ
    নেত্রকোনায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার
    অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার পূর্বধলা উপজেলার জালশুকা কুমুদগঞ্জ জামে মসজিদে শপিং ব্যাগে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ব্রাজিলিয়ান ব্রান্ডের একটি ৯ মিঃ মিঃ পিস্তল এবং একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলায় দায়িত্বরত ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিসানুল।মেজর জিসানুল হায়দার প্রেস রিলিজে মাধ্যমে জানান, গত পাঁচ সেপ্টেম্বর থেকে সন্ত্রাস দমন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকায় ইতিমধ্যেই অপরাধীরা গা ঢাকা দিয়েছে। সেইসাথে নিজেদের অবৈধ অস্ত্র সরিয়ে ফেলতে নানা পন্থা অবলম্বন করছে। নেত্রকোনার পূর্বধলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়। যদিও আটক কৃতদের নাম ঠিকানা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।পরবর্তীতে পূর্বধলা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আকিব নেতৃত্বে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীত সরকারের উপস্থিতিতে জালশুকা কুমুদগঞ্জ জামে মসজিদ থেকে একটি পিস্তল ও একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমে কুমুদগঞ্জ জামে মসজিদের ইমাম দেলোয়ার হোসেন পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ব্যাগে অস্ত্রটি দেখতে পান। পরবর্তীতে মসজিদ কমিটিকে অবহিত করেন ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে।তবে যৌথ অভিযানে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এতে দুষ্কৃতিকারীরা নিজেদের কাছে ছিনতাই করা অবৈধ অস্ত্র রাখতে অসস্তি বোধ করায় নামাজ পড়ার ছলে মসজিদে অস্ত্র রেখে যায়।এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. লুৎফর রহমান  জানান, যৌথ অভিযানে উদ্ধারকৃত নাইন এম এম পিস্তলটি গত ৪ আগস্ট পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রের একটি। গতকাল উদ্ধারের পর অসত্রটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট তারিখে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের ১০টি ৯ মিঃ মিঃ পিস্তল, ২৬ টি ম্যাগাজিন, ৪২০ রাউন্ড পিস্তল এ্যামোনিশন, ৪০ রাউন্ড রাইফেল এ্যামোনিশন এবং ৩২ টি টিয়ার গ্যাস শেল পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে লুট হয়।এআই 
    ময়মনসিংহে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে মহিলা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
    ময়মনসিংহের ফুলপুরে মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বের হয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।মাদরাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দুর্নীতি করে আসছেন। তার নিকট মাদরাসা লক্ষ লক্ষ টাকা পাবে বলে অডিট কমিটির এক রিপোর্টে জানা যায়। গত (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাদরাসা ছুটির পূর্ব মুহূর্তে অফিস সহকারী মো: নূরুল ইসলাম ও উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ শফীকুল ইসলামের সাথে দুর্ব্যবহার, গালিগালাজ ও কথা কাটাকাটি করেন অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন। এক পর্যায়ে অফিস সহকারী মো: নূরুল ইসলামকে গলা ধাক্কা দিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন তিনি। এছাড়া অফিস সহকারী রাজিয়া বেগমকে ছুটির পরও তিনি এক ঘন্টা আটকে রাখেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষক কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করে থাকেন বলে অভিযোগ করেন মো. জাকির হাসান নামে একজন প্রভাষক।আরও জানা গেছে, ফুলপুর মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও দূর্নীতসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীসহ ৪১ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দেন।পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর উপজেলা সভা কক্ষে আলোচনায় বসেন এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শারীরিক- মানসিক নির্যাতন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে তার পদত্যাগ ও বিচার দাবী করেন।  এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক তাদের কথা শুনে বলেন, আপনারা শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যান। শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ মাদরাসায় ফিরে যান।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা, আমি কেমন মানুষ তা সবাই জানে।এমআর
    ভালুকায় পোশাক কারখানার শতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ
    ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজে যোগদান করার পর হাঠাৎ প্রায় শতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় অবস্থিত এল এস্কোয়্যার লিমিটেড নামে গার্মেন্টস কারখানায়।পরে কারখানার অন্য শ্রমিকরা অসুস্থদের উদ্ধার করে স্থানীয় পপুলার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ভালুকা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতাল, অসুস্থ শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এল এস্কোয়্যার লিমিটেড নামে পোষাক কারখানায় তিনটি সেকশনে তিন সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছেন। প্রতদিনকার মতো তারা বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার পাঁচতলায় নারী শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন।কিন্তু কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ করে তারা অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যেতে শুরু করেন এবং একে এক প্রায় শতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় অনেকের মাঝে শ্বাসকষ্ট, বমি ও খিচুনীসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। খোঁজ পেয়ে কারখানার বিভিন্ন স্টাফ ও পুরুষ শ্রমিকরা প্রথমে স্থানীয় পপুলার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার রোগীদের নিয়ে ভর্তি করেন। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরে অন্য রোগীদের ভালুকা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।ভালুকা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত একাধিক রোগী জানান, প্রতিদিনের মতো পাঁচতলায় তারা কাজে যোগদান করতে যান। পরে কারখানার ভেতরেই পানি পান করার কিছুক্ষণ পরই তাতের শ্বাসকষ্ট ও বমিসহ বিভিন্ন সমস্য দেখা দেয়। এমনকি কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পরেন।কারখানার অ্যাডমিন (এইচআর) মুঞ্জুরুল মুর্শেদ জানান, কি কারণে এতো নারীশ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। হয়তো ভয় থেকে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।ভালুকা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) তাছলিমা আক্তার জানান, পানি খাওয়ার পর পানিতে থাকা কোনো জীবানু বা পেটে গ্যাস হয়ে এমনটা হতে পারে। তবে, এর কারণ জানার জন্য বিষয়টি নিয়ে তারা অধিকতর পর্যালোচনা করছেন।এফএস
    ত্রিশালে ট্রেন স্টপেজ দাবীতে বিক্ষোভ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ
    ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৪৭ আপ দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবীতে ময়মনসিংহের ত্রিশাল আউলিয়া নগর স্টেশনে মানববন্ধন শেষে ট্রেন অবরোধ করে একঘন্টা বিক্ষোভ করেন তিন উপজেলার  শিক্ষার্থী ও এলাকার সাধারন জনগন।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের আউলিয়া নগর স্টেশনে প্রায় একঘন্টা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন আটকে রাখে তিন উপজেলার আন্দোলনকারীরা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ থাকে। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার ও স্টেশন মাস্টারের ট্রেন থামার আশ্বাসে আন্দোলকারীরা ট্রেন লাইন ছেড়ে দেয়।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তালহা, আশিকুর, আরাফাত বলেন, আমাদের আউলিয়ানগর স্টেশন অনেক পুরনো।এখানে ভাল কোন ট্রেনের স্টপেজ নাই। ময়মনসিংহ শহরে আমরা অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করি আমাদের যাতায়াত করতে গেলে ত্রিশাল হয়ে ৪০ কিলো রাস্তা যেতে হয়। এতে সময় প্লাস টাকা উভয়ই বেশী লাগে এখানে এই ট্রেনটির স্টপেজ দিলে ২০ টাকা দিয়ে ২৫ মিনিট সময় লাগবে শহরে যেতে। চিকিতসা সেবা পেতেও আমরা হয়রানির শিকার।আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, এই ট্রেনের স্টপেজের জন্য বহুদিন আন্দোলন করেছি আমরা। অনেক এমপি, মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ট্রেন থামেনি। আমরা কাচামাল শহরে পরিবহন করতে অনেক কষ্ট হয়। এই ট্রেন থামলে সহজে মালামাল সহজে পরিবহন করতে পারবো।আউলিয়া নগর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আবু রায়হান বলেন, আমি এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। কতৃপক্ষ বলেছে লিখিত ভাবে দরখাস্ত দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিলে তারা রেললাইন ছেড়ে দেয়। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ট্রেন স্টপেজের যৌক্তিক দাবী হলে দ্রুতই সমাধান হবে। কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আন্দোলনকারীদের লিখিত আবেদন দিতে বলেছি। ময়মনসিংহ রেলওয়ে  স্টেশন ইন্সপেক্টর শাহীনুল ইসলাম বলেন, সবকিছু একটা প্রসেসের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এলাকাবাসীর এই দাবীটি যোক্তিক হলে লিখিত আবেদন দিলে আমার ট্রেনের স্টপেজের ব্যবস্থা করবো।এমআর
    চিকিৎসার অভাবে পায়ে বুলেট নিয়ে কাতরাচ্ছেন বাবু মিয়া
    ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দিন কাটাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব বয়সী বাবু মিয়া। পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। প্রতিদিন সকাল হলেই ছুটে যেতেন রংপুরের সিটি বাজারের সবজির দোকানে।যা আয় হতো তাই দিয়ে টেনেটুনে চলতো অভাবের সংসার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন সেই বাবু মিয়া। এখন পায়ে বুলেট নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন এই সবজি বিক্রেতা। অর্থাভাবে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না হওয়াতে পঙ্গুত্বের আশংকায় দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের। এখন নিজের অজানা ভবিষ্যত ভেবে ভেবে অঝোরে কাঁদছেন অসহায় বাবু মিয়া।রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবু মিয়া। ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এখনো তার পায়ের ভেতরে একাধিক বুলেট রয়েছে। থেমে থেমে পা থেকে রক্ত, পুঁজ ঝড়ছে। ব্যাথা আর তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। চোখের দু’কোন দিয়ে ঝরে পড়ছে অশ্রু। দিনভর স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউয়েরা সেবা দিয়ে আসছেন আহত বাবু মিয়াকে।বর্তমানে হাঁটা-চলা করতে পারছেন না বাবু মিয়া। অন্যের  কাঁধে ভর করে হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করছেন। সবজি ব্যবসার উপর ভর করে যে বাবুর সংসার চলতো আজ সেই তিনিই অন্যের সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছেন। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনে খেতে এবং চিকিৎসা করতে না পারায় দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের শংঙ্কা যে কোন সময় পঁচে যেতে পারে বাবু মিয়ার পা। এতে করে তিনি শেষ বয়সে পঙ্গুত্ববরণ করতে পারেন। জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রংপুর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। ছাত্র-জনতাদের দমাতে পুলিশ এপিসি থেকে গুলি ছোড়ে এবং ছোররা গুলি, রাবার বুলেটসহ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করেন সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবু মিয়া। এ সময় তিনি হঠাৎ পায়ে আঘাত অনুভব করেন এবং দেখেন পা থেকে রক্ত ঝড়ছে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি পায়ে ব্যাথা নিয়েই দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর বাবু মিয়া বাসায় এসে দেখতে পান তার পায়ে গুলি লেগেছে। পরদিন তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক তার পা থেকে দুটি গুলি বের করে দিয়ে ওষুধ লিখে দেন। বাবু মিয়ার পায়ের গভীরে আরও কয়েকটি বুলেট রয়েছে, যা বড় ধরণের অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে অপসারণ করা সম্ভব বলে চিকিৎসক জানান। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর দীর্ঘ প্রায় ৪৬ দিন ধরে বিছানায় শুয়ে দিন কাটছে বাবু মিয়ার। তার পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-নাতনী রয়েছে। ছেলেরা দিনমজুর হওয়ায় বাবার পায়ের অস্ত্রপচার ও ওষুধ কিনে খাওয়ানোর অর্থ যোগাড় করতে পারছে না। তাই ধীরে ধীরে বাবু মিয়ার পায়ের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা এলাকার কিছু বিত্তবানদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে বাবু মিয়াকে ওষুধ কিনে খাওয়াচ্ছে।গুলিবিদ্ধ বাবু মিয়া বলেন, আমি তো আন্দোলনে ছিলাম না। ছাত্র ও পুলিশের গন্ডগোল লেগে গেল। আমি এমন পরিস্থিতি দেখে দোকান বন্ধ করছিলাম। হঠাৎ দেখি আমার পায়ে রক্ত ঝরতে থাকে ও ব্যাথা শুরু হয়। আমি গুলি লাগার পর দৌড় দিয়ে আত্মরক্ষা করেছি। রাতে ব্যাথা বাড়লে, পরের দিন মেডিকেলে যাই। সেখানে অপারেশন করে কয়েকটি গুলি বের করে এবং এখনও কিছু গুলি পায়ের ভেতরে রয়েছে। দিনভর পা ব্যাথা করে, হাঁটতে পারি না। কবে আবার সুস্থ্য হয়ে বাজারে যেতে পারবো এই চিন্তা সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।  বাবু মিয়ার ছেলে আশরাফুল হোসেন বলেন, বাবার পা থেকে দুইটা গুলি বের করা হয়েছে। বাকীগুলো পায়ের বেশি ভেতরে থাকায় চিকিৎসকরা বের করেনি। মেডিকেল থেকে বলছিল যেসব ওষুধ লেখা হয়েছে সেগুলো খেলে গুলিগুলো পা থেকে বের হয়ে যাবে। কিন্তু গুলি তো বের হয়নি বরং এখন পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন বাহিরে বাবার অপারেশন করালে অনেক টাকা প্রয়োজন। ওষুধপত্রের অনেক খরচ রয়েছে। সেজন্য আমি বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই।ছেলের বউ মৌসুমি আক্তার বলেন, আমার শ্বশুরের পা থেকে রক্ত, পুঁজ বের হচ্ছে। সারাদিন সেই পা মুছতে আমাদের দিন কাটে। ওনার আয় সংসারের কাজে লাগত। কিন্তু এখন তিনি কাজ করতে না পারায় টাকা-পয়সার অনেক সমস্যা হয়েছে। তার উপর দামি দামি ওষুধ খাওয়াতে হচ্ছে। আমি চাই সরকার যেন দ্রুত আমার শ্বশুরের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবু চাচা অসহায় মানুষ। তার পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হবার পর তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পাড়াপ্রতিবেশী সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি। সরকারি কিছু অনুদান পেলে চাচার পা থেকে অপারেশনের মাধ্যমে বুলেটগুলো বের করা যেত। তাহলে তিনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠতেন। আহত বাবু মিয়ার চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য তার বড় ছেলে আশরাফুল হোসেনের সাথে যোগাযোগের নম্বর-০১৭৬১১৫৮৩৮৪ (নগদ)। এব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আ.ম আখতারুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সবাই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কোন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।এআই 
    রংপুরে ভূকম্পন অনুভূত
    রংপুরে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।  শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পম অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।ভুটানের রাজধানী থিম্পু থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে মাটির ৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় বলে জানিয়েছে ভারতের জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (এনসিএস)। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।  রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান ভূকম্পনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি ভুটানের সামসি থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে মাটির অগভীরে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪ দশমিত ১। ভূমিকম্পে রংপুরে কোথাও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।  স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। অনেকে সেভাবে টেরও পায়নি।  এফএস
    ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
    ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথকস্থানে বিষাক্ত সাপের কামড়ে আদিত্য (৭) ও জান্নাত (১২) নামে ২ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোড় রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট সৈয়দপুর গ্রামে ও সালান্দর ইউনিয়নের ইয়াকুবপুরে এ দূর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন।নিহত জান্নাত (১২) বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের জাকিরুল ইসলামের মেয়ে ও আদিত্য (০৭) সালন্দর ইউনিয়নের ইয়কুবপুর গ্রামের সনাতনের ছেলে।পরিবারের সদস্যরা জানান, বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট সৈয়দপুর গ্রামের জাকিরুল ইসলামের মেয়ে জান্নাত প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ রাত ১২টার পর সাপ কাপড় দেয়। এতে ব্যথা অনুভব করে। পরে ধীরে ধীরে সারা শরীরে বিষ উঠে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যায় জান্নাত। সে ওই এলাকার সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়তো বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। অন্যদিকে সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের ইয়াকুবপুর গ্রামের সনাতনের ছেলে আদিত্যকেও ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। পরে হঠাৎ আদিত্য বুঝতে পারে তাকে সাপে কামড় দিয়েছে। কামড় দেয়ার পর বেশ কয়েকবার বমি করে সে। পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে পথেই মারা যায় আদিত্য।আদিত্য ওই ইউনিয়নের কালুক্ষেত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু কাম্য নয়। সকলকে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।এইচএ
    গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শ্বশুর-জামাই নিহত
    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে জামাই-শ্বশুর নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বকচর নামক এলাকায় মহাসড়কের লেন পরিবর্তনের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- শ্বশুর জাহিদুল ইসলাম (৪০) ও তার জামাই শামীম মণ্ডল (২৫)। জাহিদুল ইসলাম উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। এছাড়া তার জামাই শামীম মণ্ডলের বাড়ি কোমরপুর গ্রামে। শ্বশুর জাহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন।স্থানীয়দের বরাতে হাইওয়ে থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, রাতে জাহিদুল ইসলাম তার জামাই শামীমসহ মোটরসাইকেল যোগে গোবিন্দগঞ্জের দিকে আসছিলেন। পথে বকচর এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের লেন পরিবর্তনের সময় হঠাৎ করে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে মোটরসাইকেলসহ দুজনেই মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর হয়।পরে স্থানীয়দের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলের নিকটতম ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।ওসি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতেই নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এবি 
    ঘোড়াঘাটে সড়ক দূর্ঘটনায় হেলপার নিহত, চালক আহত
    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মহাসড়কের দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে গাছের গুঁড়ি ও খড়ি বোঝাই একটি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চালক সহকারী(হেলপার) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে একই ট্রাকের চালক।শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কানাগাড়ী বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ। নিহত হেলপার হলেন শ্রী সৌরভ পাহান (২২), সে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শরিপদ পাহানের ছেলে। অপরদিকে আহত ট্রাক চালক হাফিজুল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলার রজতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গাজীর ছেলে। গুরুতর আহত ট্রাক চালক হাফিজুলকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানান, ভোর বেলা দিনাজপুরমুখী একটি ট্রাক কানাগাড়ী বাজারের পাশে থেমে ছিল। একই সময় ঘোড়াঘাট থেকে দিনাজপুরগামী গাছের গুঁড়ি ও খড়ি বোঝাই অপর একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৮২৯২) দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের ট্রাকটির সামনের অংশ দুমরে মুচরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ট্রাকের হেলপার সৌরভ।ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহসান হাবিব বলেন, সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় মধ্য বয়সী একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা দিনাজপুরে স্থানান্তর করি। অপর এক যুবককে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি।ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি ঘটনার পরেই পালিয়ে যায়। গুঁড়ি বোঝাই ট্রাকটি আমাদের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহণ আইনে নিয়মিত মামলা হবে।এবি 
    জয়পুরহাটে সাবেক হুইপ-এমপিসহ ১৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
    জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে হামলা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও গুলির অভিযোগে সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ ১৯০ জন ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেন রিমন হোসেন নামে গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থী। ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি করা হলেও গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির।.  মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে রিমন হোসেন অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহরের জেলা আ. লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সামছুল আলম দুদুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ছাত্র-আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। সেখানে আব্দুর রহিম নামের এক আসামির গুলিতে রিমন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যান। ঘটনার ১ মাস পর জয়পুরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী রিমন হোসেন।জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির জানান, ইতিমধ্যে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী রিমন হোসেনের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।এআই 
    সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ২ দিন পর ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিখোঁজের দুইদিন পর মুঞ্জিল শেখ নামে এক অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘুড়কা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুঞ্জিল শেখ রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আছাব আলীর ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে রঘুনাথপুর গ্রামের ভুইয়াগাঁতী থেকে সলঙ্গা যাওয়ার রাস্তার পাশে দেশ ইটভাটার ইটের খামালের ওপর হাত পা বাধা একটি মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা কে. এম রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় এবং মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এআই 
    বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
    সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপরে ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮জন। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৩নং পিলারের কাছে ঢাকাগামী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ভোর সোয়া ৫টার দিকে সেতুর ১৩ নম্বর পিলারের কাছে এসে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিন যাত্রী মারা যান। এঘটনায় আহত হন আরও ৮জন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওসি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজন ও আহত আটজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করে সেতুর ওপর যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে ট্রাকটি দুর্ঘটনার পরপরই চলে গেছে।এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহত হওয়া তিনজনের মরদেহ মর্গে রাখা আছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়াও আহতদের মধ্যে কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং তিনজন গুরুতর অবস্থায় ভর্তি আছেন। তবে তারা এখন শঙ্কামুক্ত।এআই 
    নাটোরে সাবেক ডিসি, এসপি সহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা এবং লুটপাটের এজাহার
    নাটোরের সাবেক ডিসি আবু নাছের ভুঁঞা, এসপি তারিকুল ইসলাম, ওসি তদন্ত আবু রায়হান, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা এবং লুটপাটের এজাহার দায়ের করা হয়েছে।৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে নাটোর সদর থানায় এই এজাহার দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের মা ফাতেমা বেগম। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন গত জুলাই মাসের ১৮ তারিখ দুপুর শোয়া একটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ঘাটতিদের অবস্থানকালীন সময়ে ডিসিএসপি এবং সংসদ সদস্যের হুকুমে পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপরে গুলি বর্ষন করে। এতে ফরহাদ হোসেন সহ আরো কিছু শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। পরে ৪ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য এর হুকুমে ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে আলমারি ভাঙচুর করে ২ লক্ষ টাকা লুট করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় আজ তিনি এই এজাহার দায়ের করেন বলে জানান। এদিকে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এই এজাহার গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন। এবি 
    বন্যার্তদের পাশে ভাঙ্গুড়ার হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদল
    ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের বেশ কয়েকটি জেলা। বন্যার কিছুটা উন্নতি হলেও যারা যেভাবে পারছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এতে পিছিয়ে নেই পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অবস্থিত সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদল।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাইজিদ বোস্তামী'র নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। পরে বিকেলে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে ৩৭ হাজার ৮২৭ টাকা পাঠানো হয়।স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেখানে কলেজ শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন। ছাত্রদলের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার আপামর জনসাধারণ।এসময় সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক তুহিন সরকার, ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সেলিম খান, সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসাইন, কলেজ ছাত্রনেতা জিম খান, মোহাম্মদ আকাশ, সোহান খানসহ কলেজ শাখা ছাত্রদলের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাইজিদ বোস্তামী সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের যেকোনো সংকটে সর্বাত্মক পাশে থাকে। এবারের বন্যার শুরুতেই ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমান আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত আমরা বন্যার্তদের পাশে থাকবো।এবি 
    মানসিক রোগী সেজে পেনশনের টাকা নিতে চান শিক্ষক
    মানসিক রোগী সেজে পেনশনের টাকা নিতে চান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। অথচ তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সূত্র বলছে, ওই শিক্ষক পেনশনের টাকা নিয়ে ভিজিট ভিসায় কানাডায় যেতে যাচ্ছেন। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জেলার সচেতন মহল। তারা বলছেন শিক্ষক এমন মিথ্যার আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছ থেকে কি শিখবে।জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক তাহমিদা ইসলাম মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতায় উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য কানাডায় যেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করেন। এরই মধ্যে ওই শিক্ষক শারিরীক ও মানসিক অসুস্থতা জনিত কারনে চাকুরি হতে অব্যাহতির জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ১২ আগস্ট আবেদন করেন। তাহমিদা ইসলাম আদৌ অসুস্থ কি না তা পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠালে মেডিকেল বোর্ড তার আবেদন বাতিল করেন।সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে কতিপয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাহমিদা ইসলামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এর প্রভাবকাটিয়ে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিদ্যালয়ে ইচ্ছামতো আসা যাওয়া করতেন। শিক্ষক তাহমিদা ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়েই তিনি সংযোগ কেটে দেন।মৌলভীবাজার সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রোহেনা খানম বলেন, তাহমিদা ইসলাম শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খোরশেদ আলম বলেন, যেহেতু মেডিকেল বোর্ড উনাকে ইনভেলিড ঘোষণা করেনি। তাই তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং বহি: বাংলাদেশ ছুটিও বাতিল হবে। ওই শিক্ষক কি মানসিক রোগী এটা কি কারো কাছ থেকে কখনও শুনেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনটি কখনও শুনিনি। মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ওই শিক্ষিকার মানসিক অসুস্থ্যতার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। উনাকে সিলেট এম এ জি ওসামানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।এইচএ
    শায়েস্তাগঞ্জে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক ফয়সলকে বিদায় সংবর্ধনা
    শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য কানাডা গমন উপলক্ষে সাংবাদিক সাইফুর রহমান ফয়সলকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের সভাপতিত্বে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আ স ম আফজল আলী রুস্তম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান ছয়ফুর, সবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক মুহিন শিপন, শায়েস্তাগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক, কলাকুশলী ও তার উপর হওয়া নির্যাতনের বর্ননা দেন। সুন্দর বাংলাদেশ দেশ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এসময় সাংবাদিক সাইফুর রহমান ফয়সলের বিদেশ যাত্রার সফলতা কামনা করেন অতিথিরা।এআই 
    সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
    সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কয়েকটি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়ে অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে এ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অভিযানকালে সিকৃবির কয়েকটি হল থেকে বিপুল পরিমাণ লোহার পাইপ ও রড, রামদা, মদ ও ফেনসিডিলের বোতল ও হেলমেট উদ্ধার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক জানান, প্রায় তিন ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে অভিযান হয়েছে। এতে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে কেউ আটক হয়নি।এবি 
    সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে কাজ করতে হবে: আল্লামা মামুনুল হক
    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহদের স্মরণে ও বিচারের দাবিতে বিশাল সমাবেশ ঐতিহাসিক রেজিস্টারী মাঠে মহানগর শাখা সভাপতি মাওলানা গাজি রহমত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান আলম ও জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা ফখরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আল্লামা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে। পরিশেষে ৫ সেপ্টেম্বর ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে মাধ্যমে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের কাছে শেখ হাসিনা ধিকৃত মানুষ। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, এখন দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে কাজ করতে হবে।তিনি আরো বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। তিনি সিলেটসহ সারাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। আল্লামা মামুনুল হক বলেন, সারাদেশের মানুষের আকাঙ্খা বুঝতে পেরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনা সরকার হটিয়েছে। এর ফলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি  সিলেটের নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রুদ্ধ সেন এবং গোলাপগঞ্জ সহ ছাত্র আন্দোলনে সকল নিহতদের মাগফেরাত কামনা করে সুষ্টু বিচার ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। বিশাল সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের নায়বে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতা উল্লাহ আমিন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা ইকবাল হুসাইন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মাওলানা লুৎফুর রহমান কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি ব্যারিষ্টার মওলানা সালেহ আহমদ হামিদী, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হাজিপুরী, সহ-সভাপতি ক্বারী মাওলানা ওয়াদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মালিক, মাওলানা আব্দুল মান্নান, কাজী জুনেদ আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি হাফিজ হারুনুর রশিদ, ডাঃ মাওলানা আব্দুল আহাদ, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা কমর উদ্দিন, এম আর রশিদ, খেলাফত মজলিস মহানগর সহ-সভাপতি ক্বারী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে মহানগর সেক্রেটারী মোঃ শাহজাহান আলী,  জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, জালালাবাদ ইমাম সমিতি জেলা সেক্রটারী মাওলানা হুসাইন আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহানগর সহ-সেক্রেটারী ডাঃ মোস্তফা আহমদ আজাদ, মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার, জেলা সহ-সেক্রেটারী মাওলানা মুতাছিম বিল্লাল জালালী, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ কয়েছ আহমদ, হাফিজ ফয়েজ আহমদ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন আহমদ, মাওলানা ওজিরুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুজ্জামান, হাফিজ সিরাজ উদ্দিন, হাফিজ মাওলানা আব্দুর রব, মাওলানা আফতাব নোমানী, মাওলানা শিহাবুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া মাসুক, মাওলানা জিলাল আহমদ, মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা আব্দুল মালিক, ডাঃ হাবিবুর রহমান জাহান, মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মুহাম্মদ সিকন্দর আলী, মাওলানা মুহামিন, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা শাব্বির আহমদ, হাফিজ সাইফুল ইসলাম, শাব্বির আহমদ, মাওলানা জিয়া উদ্দিন, মাওলানা আনসার আহমদ, মাওলানা নজমুল ইসলাম নোমানী, মাওলানা জয়নাল আবেদিন, মাওলানা আবু বকর সিরাজী, মাওলানা নুর উদ্দিন আহমদ, ক্বারী হুসাইন আহমদ, ফয়জুল ইসলাম ফয়েজ, আব্দুস সামাদ, মাওলানা শফিকুর রহমান, যুব মজলিস জেলা সভাপতি মাওলানা আমিন আহমদ রাজু, মহানগর দায়িত্বশীল হাফিজ রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন, ইসলামী ছাত্র মজলিস পশ্চিম জেলা সভাপতি রুহুল আমিন জাকারিয়া, পুর্ব জেলা সভাপতি সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।এবি 
    হবিগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে শ্রমিক হত্যা, আসামি আটক
    হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোস্তাক মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় এক আসামিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব।বুধবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই আসামীকে আটক করে। আটককৃত কাশেম মিয়া (২৭) বানিয়াচং উপজেলায় পাতারিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার ও সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল। মোস্তাক মিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৪৭ নম্বর আসামি কাশেম।র‌্যাব জানায়, গত ২ আগস্ট দুপুর দেড়টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্যও সেখানে অবস্থানে ছিল।এ সময় শায়েস্তানগরের দিক থেকে আসা একটি বিক্ষোভ মিছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে দিয়ে এসে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। এদিকে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা টাউন হল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।এ সময় তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকশ রাউন্ড টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। নিহত মোস্তাক মিয়া সিলেট জেলার বাসিন্দা।তিনি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) হবিগঞ্জের একটি প্রকল্পে লাইনম্যান হিসেবে কাজ করতেন।পরে এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট ১১১ জনের নাম উল্লেখ ও দেড়শ’ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরসহ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অন্যতম আসামি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এমআর

    অনলাইন ভোট

    পাপনের পরিবর্তে নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ফারুক আহমেদ কি পারবেন ক্রিকেটকে বদলে দিতে?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব
    নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে ওই বৈঠকের প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।ড. ইউনূস-মোদির বৈঠকের প্রস্তাবের বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।ওই সূত্র বলেছে, এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’’বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য সুসম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়।এফএস
    ভারতের মণিপুরে রকেট হামলা, নিহত ৬
     ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। আজ ভিন্ন দুটি ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। একটি ঘটনায় নজিরবিহীনভাবে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আজ সকালে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২২৯ কিলোমিটার দূরে জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহী হামলায় ইউরেম্বাম কুলেন্দ্র সিংহ নামে ৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। অন্যদিকে মেইতি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও পাহাড়ি কুকি উপজাতিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হন। জিরিবাম পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) জানান, মণিপুরের মইরাং শহরে কুকি বিদ্রোহীরা যখন রকেট চালিত বোমা হামলা চালায় প্রার্থনায় রত মেইতি সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার একদিন পর আবার হামলার ঘটনাটি ঘটল। গতকাল শুক্রবার সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতে সম্প্রদায়ের লোকজন ইম্ফল উপত্যকার পাঁচটি জেলায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ এই প্রতিবাদ-সমাবেশে অংশ নেন। সেদিনই ড্রোন ও রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। জেলায় দফায় দফায় ড্রোন ও রকেট হামলার ঘটনায় ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুই জেলায় ড্রোন ও রকেট হামলার পাশাপাশি গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আকাশে একের পর এক ড্রোন উড়তে দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও ইম্ফল পূর্ব জেলার আকাশে বহু ড্রোন দেখতে পান বাসিন্দারা। এসময় তাদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এই দুই জেলার বাসিন্দারা ঘটনার সময় তাদের বাড়িঘরের লাইট বন্ধ দেন। ভয়ে কেউই বাড়ির বাইরে বের হতে পারেননি রাতে।ইম্ফল পশ্চিম জেলার আশপাশের দুটি স্থানে ড্রোন থেকে বোমা ফেলেছেন সেখানকার বিদ্রোহীরা। এই ঘটনার পর বিষ্ণুপুর ও ইম্ফল পূর্ব জেলার আকাশে অনেক ড্রোন উড়তে দেখেছেন বাসিন্দারা।মণিপুরের সরকারি এক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন করে দেখা দেওয়া সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। তারা বেশিসংখ্যক মানুষের একসাথে চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ করছেন।বিষ্ণুপুর জেলার একাধিক এলাকায় আকাশে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। গুলির এই ঘটনা জনসাধারণের মাঝে চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী নাকি অন্যরা গুলি চালিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।এর আগে শুক্রবার মণিপুরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মাইরেম্বাম কোইরেংয়ের বাসভবনে রকেট হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এতে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হন। এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পার্শ্ববর্তী চুরাচাঁদপুর জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহৃত তিনটি বাঙ্কার ধ্বংস করেছে।মণিপুর পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার দুটি স্থানে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে দূর-পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এতে বয়স্ক এক নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, রাজ্যের চলমান সংঘাতে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে টহল দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চ-পর্যায়ের জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।তবে মণিপুরে প্রথম ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন  ইম্ফল পশ্চিম জেলার কৌত্রুক গ্রামের কাছে ড্রোন থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। সেদিন ড্রোন থেকে বোমা হামলার পাশাপাশি গ্রামে বন্দুক হামলাও চালানো হয়। এতে অন্তত দুজন নিহত ও ৯ জন আহত হন।গত বছরের মে মাসে মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায় এবং কুকি উপজাতিদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। ওই সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এরপর রাজ্যজুড়ে থেমে থেমে সহিংসতা চললেও এই প্রথমবারের মতো চলমান জাতিগত সংঘাতে ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।এমএইচ
    গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় ৬১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
     গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডের নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৪০ হাজার ৯৩৯ জনে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের ক্রমাগত অবরোধের কারণে খান ইউনিসের ইয়াকিন আল-আসটাল নামে এক শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে।এছাড়া নাবলুসের গভর্নর নিশ্চিত করেছেন, তুর্কি-মার্কিন তরুণী আয়েশেনুর এজগি আইগির ময়নাতদন্তে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলির প্রমাণ পাওয়া পাওয়া গেছে।শুক্রবার পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন আয়েশেনুর। সেখানে গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা।এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজার হালিমাহ আল-সাদিয়াহ স্কুলে হামলা চালায় তাদের সেনারা। সেখানে তাঁবু গেড়ে আশ্রয়ে থাকা ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও ৫ জন নিহত হয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে আরও অন্তত ৯৪ হাজার ৪৫৪ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। নিহতরা বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।বিশ্ব সম্প্রদায়ের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবির পরও ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে।  জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বলে আসছে, ‘গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।’গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।  এরপর থেকে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।এমএইচ
    পাকিস্তানের জলসীমায় তেল-গ্যাসের বিশাল মজুত আবিষ্কার
      পাকিস্তানের আঞ্চলিক জলসীমায় তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ পাওয়া গেছে বলে দাবি জানিয়েছে দেশটি। এতে করে অর্থ সংকটে থাকা দেশটির ভাগ্য পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।পাকিস্তানের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্যা ডন।ওই কর্মকর্তা জানান, একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় তিন বছরের সমীক্ষার পর জলসীমায় এই মজুত পাওয়া গেছে। এছাড়া পাকিস্তানের ভৌগোলিক জরিপ কর্তৃপক্ষও বিশাল এই মজুতের অবস্থান খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।এছাড়া জলসীমায় পাওয়া তেল ও গ্যাসের সম্পদের তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তাবগুলো অধ্যয়ন করা হচ্ছে, যার অর্থ খুব শিগগিরই অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে কূপ খনন করে তেল উত্তেলন করতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।এই মজুদকে 'নীল জলের অর্থনীতি' অভিহিত করে এই সম্পদ থেকে উপকৃত হওয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।তবে ‘ব্লু ওয়াটার ইকোনমি’তে তেল ও গ্যাসের সাথেও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ উপাদান থাকতে পারে যা সমুদ্র থেকে খনন করা যেতে পারে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত করা হলে পাকিস্তানকে তার অর্থনীতির উন্নতি এবং দেশের অর্থনৈতিক ভাগ্যকে ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে বলে জানান তিনি।তবে এই মজুদগুলো দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করে উৎপাদনের আকার ও পুনরুদ্ধারের হারের ওপর। যদি এটি একটি গ্যাস রিজার্ভ হয় তবে এটি এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারে এবং যদি এটি তেলের মজুত হয় তবে আমাদের তেল আমদানি বন্ধ করতে পারি।’তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যতক্ষণ না এই মজুতের আরও বিশ্লেষণ করা হয় এবং ড্রিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়, ততক্ষণ নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাবে না।তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, শুধুমাত্র অনুসন্ধানের জন্য প্রায় পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলারের বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন এবং যদি অনুসন্ধানে ভালো ফল পাওয়া যায়, তাহলে মজুদ উত্তোলন ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কূপ এবং অবকাঠামো স্থাপনের জন্য আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। ফলে এই ধরনের অবস্থান থেকে তেল বা গ্যাস উত্তোলনে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।এমএইচ
    জার্মানিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা
     জার্মানির মিউনিখে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর এক সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির পুলিশ। নিহত হামলাকারী ১৮ বছর বয়সী একজন অস্ট্রিয়ান নাগরিক। মিউনিখের পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বেয়নেট ও রাইফেল ছিল।  মিউনিখ পুলিশ এক্স-এর একটি পোস্টের জানিয়েছে, গুলি লাগার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়। পাঁচজন কর্মকর্তা তার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়ছে পুলিশের মুখপাত্র আন্দ্রেয়াস ফ্রাঙ্কেন।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনাটি আরো বিস্তারিত মূল্যায়নের জন্য একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে, দেশটির পুলিশ জানায়, অন্য সন্দেহভাজনরা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। গত মঙ্গলবার হারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হামলাটি পরিকল্পিত ছিল। গুলি চালানোর ঘটনাস্থলের কাছে একটি গাড়ি পার্ক করে রেখেছিল ওই কিশোর।একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী জার্মান মিডিয়াকে বলেন, পুলিশ সন্দেহভাজনকে মাটিতে গুলি করার আগে তিনি বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছি এবং একটি শুটিং ক্লাবের সদস্য হওয়ায় আমি বুঝতে পারছিলাম তারা গুলি করছে। তিনি আরো বলেন, প্রথম পুলিশ অফিসারদের তার পিছনে আসতে কয়েক মিনিট সময় লেগেছিল। এরপর তারা তাকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ বার গুলি করে। এরপর আমি কেবল তাদের চিৎকার করতে শুনেছি যে 'সে মাটিতে শুয়ে আছে, সে নড়ছে না।'এমএইচ
    হুমকির পর তুরস্কে ভারতীয় প্লেনের জরুরি অবতরণ
    মুম্বাই থেকে ফ্র্যাঙ্কফুর্টগামী ভিস্তারার একটি প্লেনে বোমাতঙ্কের পর তুরস্কের এরজুরাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। যাত্রী ও বিমানের ক্রু সদস্যরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন।জানা গেছে, একজন ক্রু সদস্যের চোখে পড়ে যায় একটি কাগজ। যেখানে বিমানে বোমা থাকার কথা লেখা ছিল। এরপরই তিনি অন্যদের সতর্ক করে দেন।ভিস্তারার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পরই সেটি তুরস্কে অবতরণ করানো হয়। দ্রুত নিরাপত্তা এজেন্সি প্লেনটির ভেতরে তল্লাশিও চালিয়েছে। তবে সবাই নিরাপদে রয়েছেন।গত জুনেই প্যারিস থেকে রওনা হওয়া ভিস্তারার একটি বিমানেও বোমাতঙ্ক দেখা দেয়। মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় সেটিকে। সেবারও একই ধরনের টিঠি পাওযা গিয়েছিল। তারপর দ্রুত বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ২৯৪ জন যাত্রী ও ১২ জন বিমানকর্মীকে।নিরাপত্তারক্ষীরা বোমার সন্ধানে গোটা প্লেনে তল্লাশি চালান। কিন্তু কোনো বিস্ফোরকের হদিশ মেলেনি। তার কয়েকদিন আগেই বারাণসী থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগোর প্লেনেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত খারাপ কিছু ঘটেনি।এইচএ সূত্র: এনডিটিভি
    ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৪ এর সফল উৎক্ষেপণ ভারতের
    ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির পথে আরও এক মাইল ফলক| মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৪ এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত।দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, সমস্ত অপারেশনাল এবং প্রযুক্তিগত প্যারামিটারগুলি যাচাই করা হয়েছে এদিনের পরীক্ষায়। সব পরীক্ষাতেই পাশ করেছে অগ্নি-৪। অগ্নি-৪ এর সফল পরীক্ষা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ। অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। তাই এটি ৪ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। কাজেই, ইসলামাবাদ হোক কিংবা বেজিং, ভারতে বসেই হামলা চালান যাবে এই শহরগুলিতে। সেই সঙ্গে এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতেও সক্ষম।গত এপ্রিল মাসে নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, অগ্নি-প্রাইম পরীক্ষার সফল হয়েছিল। এবার অগ্নি-৪-এর পরীক্ষাও সফল হল। অগ্নি-প্রাইম পরীক্ষাটি হয়েছিল ওডিশার উপকূলে অবস্থিত এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে।এইচএসূত্র: টিভি নাইন বাংলা
    মুসলিম দেশগুলোতে কোক-পেপসি বয়কট
    মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে বর্তমানে বয়কটের সম্মুখীন কোমল পানীয় দুই কোম্পানি ‘কোক-পেপসি’। গাজা যুদ্ধের কারণে স্থানীয় কোমল পানীয়গুলোর কাছে ব্যবসা হারাচ্ছে এই দুই কোম্পানি। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, মিশর থেকে পাকিস্তানসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে চরম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। মিসরে চলতি বছর তাদের লোকাল কোমল পানীয় ব্র্যান্ড ভিসেভেন মধ্যপ্রাচ্য এবং আরও কিছু অঞ্চলে গত বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি ব্যবসা করেছে। যেখানে ব্যবসা কমে গেছে কোকা কোলার।এদিকে ইসরায়েলে এই দুই কোমল পানীয়ের প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করছে কিনা এমন সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে ক্ষোভের মুখে পরে কোক। এর প্রভাব পড়ে বাজারেও। যার কারণে বিজ্ঞাপনটি তুলে নিতে বাধ্য হয় প্রতিষ্ঠানটি। কোকা-কোলা এইচবিসি–এর তথ্য অনুসারে, গত ২৮ জুন শেষ হওয়া ছয় মাসের হিসাবে মিসরে কোকের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অথচ গত বছরের এই সময়ের হিসাবে বিক্রি বেড়েছিল। অন্যদিকে, পাকিস্তানে-ও কোম্পানি দুটি’র একই অবস্থা। বিয়ের বাড়ি থেকে শুরু করে সব অনুষ্ঠানে ব্যবহার হচ্ছে দেশীয় কোমল পানীয়।এসএফ 
    ইউক্রেনে ৬৫০টি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণান্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
    রাশিয়ার ড্রোন ও বোমা হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনে ৬৫০টি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। যার মূল্য ২১৩.১৩ মিলিয়ন ডলার। শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর ) ব্রিটেন সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর গত সপ্তাহে ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে মস্কো। এ অবস্থায় রুশ হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা দাবি করেছে কিয়েভ। এ অবস্থায় জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ৫০ দেশের একটি অ্যাড-হক জোটের বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হেইলি ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনের নতুন সরকার ইউক্রেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সামরিক সহায়তা পাঠাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম চালান পাঠাবে।হেইলি বলেন, আমাদের নতুন প্রতিশ্রুতি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে যে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে হবে তার প্রস্তুতকারক হলো থালেস। এটি ৬ কিলোমিটারের অধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং স্থাল, সাগর এবং আকাশ থেকে এটি নিক্ষেপ করা যাবে। গত সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনে ২০০ এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে ৭ জন নিহত এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবি 
    গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৭ ফিলিস্তিনি
    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে।এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৮৭৮ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯৪ হাজার ৪৫৪ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১৭ জন নিহত এবং আরও ৫৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।এসএফ 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    গোপন গ্রুপের শামীমা তুষ্টি বললেন, গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে
    বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছোট পর্দার অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও সক্রিয় তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অভিনেত্রীর অবিস্থান ছিল ছাত্র-জনতার বিপক্ষে। বিগত সরকারের পক্ষ নিয়ে শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। 'আলো আসবেই' গ্রুপের চারজন অ্যাডমিনের মধ্যে তিনি একজন। তিনি যে ভুল ভুল করেছেন, সেই উপলব্ধি আগেই হয়েছিল। তবে সেটি প্রকাশ বা বলার সুযোগ ও সাহস পাননি এতদিন।অবশেষে সেই উপলব্ধি প্রকাশ করে দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) শামীমা তুষ্টি লেখেন, এই মুহূর্তে যা লিখতে যাচ্ছি, আমি জানি, তার জন্য আমি গালি ও ট্রলের সম্মুখীন হতে পারি। তবুও আমি আমার পজিশন ক্লিয়ার করতে চাই। আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে, আমি একটা রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এর কারণ আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বাবা মালিবাগ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তাই আমার বাড়িতে সবসময় এই পরিবেশই ছিল যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আমি আমার নিজের পক্ষ ভেবেছি। আমার এই পক্ষপাতিত্ব যে ভুল তাও আমি মনে করি না।নিজের কিছু বিচার-বিবেচনার কথা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, আমি মনে করি, আমি আমার অংশগ্রহণ ঠিক বিবেচনা করেই করেছি। কিন্তু এই দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমার নিজের কিছু বিচার-বিবেচনা আছে। আপনারা সকলেই জানেন কেউ কোনো দলের কর্মী হিসাবে কাজ করে, তখন তার সেই দলের নেতাদের কথামতো কাজ করতে হয়। সেসব দলীয় নির্দেশনার বিপক্ষে গিয়ে কাজ করার পরিস্থিতি থাকে না এবং আমি তা করতেও চাই না দলের কর্মী হিসাবে।শামীমা তুষ্টি নিজে হত্যাকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার সমর্থক নয় বলে দাবি করেন। তিনি লেখেন, তাই বলে এই হত্যাকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার আমি সমর্থক নই। এক মিনিটের জন্যও ছিলাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বহু কর্মীই তা ছিলেন না। আমাদের অনেকেরই পজিশন নেওয়া দরকার ছিল। অনেক আগেই দরকার ছিল। আমি জানি, আপনাদের অনেকে এই কথাতেও ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু আশা করি, এটা মানবেন যে, আমরা বাংলাদেশে কী ঘটছে তাও জানতে দেরি করেছি। দলীয় রাজনীতির মধ্যেও খবর ফিল্টার হয়। যার সন্তান গেছে তার অবস্থা ভেবেছি। প্রতি মুহূর্তে আমি, আমাদের কেউ কেউ, একটা পজিশন নিতে গেছি। সেসব পজিশন কারো না কারো কারণে অন্য আরেকটা পজিশন হয়ে গেছে। আমরা বিটিভিতে গেছি, শিল্পীরা সহিংসতা ও ছাত্রদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, করেছেনও, তবে সেটা সংবাদে তেমন করে আসেনি। কিন্তু যা এসেছে তাতে আরো ভুল বোঝার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে যা দেখা গেছে সেটাও ঠিক না তা আমি বলব না। আমরা হাসপাতালেও আহতদের দেখতে গেছি। আর তখনো আমি সকল কিছু বুঝে উঠতে পেরেছি তেমন না।পক্ষ বদলের চেষ্টা করছেন না এই অভিনেত্রী। সেকথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা যে যাই ভাবি না কেন, দল মূলত কী কী করতে যাচ্ছে বা কী করবে, তা সম্পূর্ণ জানার উপায় আমাদের ছিল না। আমি এসব কথা বলে পক্ষ বদলের চেষ্টা করছি না। বরং আমার দলের পক্ষে যেসব মারাত্মক ভুল ছিল আমার যেসব বোঝাবুঝি ছিল সেগুলোর কারণে আমার দোনোমনা আর পরিস্থিতির কথা আপনাদের জানাতে এসেছি। আমি একটা সংগঠন করি, যেখানে সিংহভাগই এই হিংস্রতা, এই হত্যার সমর্থক নয়। কিন্তু আমাদের কোনো একটা পজিশন কীভাবে নিতে পারি তা ভাবতে ভাবতেই প্রতিদিন আরও নতুন মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন আরো বেশি করে আপনাদের থেকে দূরে সরে গেছি।শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ 'আলো আসবেই'র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখানেও আমি বলেছি যে, সকলের সঙ্গে গিয়ে আলাপ করতে হবে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। কিন্তু ঘটনা এত দ্রুত ঘটছিল আমি যা সমর্থন করি না তা আপনাদের জানানোর সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমার অনেক সহকর্মীরাও এসবের ভিতরে ছিলেন, পরে হয়ত থাকেননি। তারাও আমাকে অনেক গালাগাল করেছেন। তবু আমি বলতে চাই যে, আমি আমার সহকর্মীদের জন্য অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই করব। এছাড়াও আমরা আমাদের সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পরিনি এক সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য। সেসবও আমাকে ভাবিয়েছে। দলীয় সকল কর্মকাণ্ড অভিনেত্রী সমর্থন করেন না দাবি করে লেখেন, এখনও আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে দেরি করেছি। যে ঘৃণার সম্মুখীন আমরা, যে গালাগালি আমি খেতে পারি সেসবের ভয়েই আরো আরো দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, এসব সমালোচনা আর গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে। আর সেসবের মধ্য দিয়েই শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। আপনারা দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি দল বদলের ইচ্ছা থেকে আসিনি। আমি যে দলে ছিলাম সেই দলের নেতৃবৃন্দের সকল কার্যক্রম যে আমি সমর্থন করি না সেটা জানাতে এসেছি। আমি জানাতে এসেছি, আমি দল করলেও নিজের বিচারবুদ্ধি বিবেক-বিবেচনা বিক্রি দিয়ে আমি দল করি না।ট্রল ও গালির ভয়ে এতদিন মুখ খুলেননি জানিয়ে শামীমা তুষ্টি লেখেন, আমি অনেক দেরিতে আপনাদের সামনে এসেছি। কিন্তু আমার অনুভূতি নতুন নয়। শুরু থেকেই হচ্ছিল। আমি সত্যি সত্যি ট্রল-গালির ভয়েই আমি আগে লিখিনি। অনেক ট্রল আর গালি নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। এখন কিছুটা কিছুটা নিজেকে সংযত করতে পেরেছি। সহ্য করার মত ধৈর্য আশা করি আমার হবে, আপনাদের সকল কথা নেওয়ার। সে রকম জায়গা থেকেই আমার অবস্থান আমি আপনাদের কাছে পরিস্কার করলাম।  সবশেষে তিনি লেখেন, আমি সকলের মঙ্গল কামনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বাংলাদেশে বিফলে না যায়, সেই প্রত্যাশা করছি। 
    যৌন হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী
    দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রির আন্দোলনের সেই ঢেউ এসে পড়ল বলিউডে। এক হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালকের হাতে যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী শিল্পা শিন্ডে।অভিনেত্রী কথায়, ১৯৯৮-৯৯ সাল নাগাদ আমার কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোর ঘটনা এটা। আমি নাম নিতে পারব না। অডিশনের নামে তারা আমায় বলেছিলেন, আপনি এই কাপড়টা পরুন আর এই দৃশ্যটা করুন। আমি সেই পোশাক অবশ্য পরিনি। এবার ওই ব্যক্তি আমার ওপর জবরদস্তি করতে থাকেন। ফলে আমি ভয় পেয়ে যাই। তাকে ধাক্কা দিয়ে আমি বেরিয়ে যাই। নিরাপত্তা কর্মী বুঝতে পেরেছিলেন কী ঘটেছে সেখানে! সঙ্গে সঙ্গে আমায় সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। তারা বোধহয় ভেবেছিলেন যে, আমি চেঁচামেচি করে লোক জড়ো করব। যদিও সেই প্রযোজকের নাম প্রকাশ করেননি প্রাক্তন ‘বিগ বস’ বিজয়ী শিল্পা। তবে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির। আমি ওই দৃশ্য করতে রাজি হয়েছিলাম, কারণ তিনি নিজেও একজন অভিনেতা ছিলেন। তবে আমি মিথ্যা বলছি না। কিন্তু আমি তার নাম নিতে পারব না। তার সন্তানরাই আমার থেকে ছোট। আর আমি নাম নিলে তার সন্তানরাও ভুগতেন। ‘ভাবি জি ঘর পর হ্যায়’ অভিনেত্রীর কথায়, বোধহয় এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রত্যেককেই যেতে হয়। আমি যেমন পালিয়ে গিয়েছিলাম, তেমন অনেকেই পালিয়ে যান। অভিনেতা হিসেবে আমরা যখন এসব বলি, তখন অনেকেই জানান, তাদের সঙ্গে এমনটাই ঘটেছে। এমনকি নামজাদা ব্যক্তিত্বরাও এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।
    কাকে আল্টিমেটাম দিলেন 'গোপন গ্রুপ'র সেই সোহানা সাবা?
    সময়টা একটা ভালো যাচ্ছে না অভিনেত্রী সোহানা সাবার। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আওয়ামীপন্থি তারকারা এখন জনগনের খুবই অপছন্দের মানুষ। বিশেষ করে সম্প্রতি 'আলো আসবেই' নামক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের গোপন কথোপকথনের স্ক্রিন শট ভাইরাল হওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনের সময় কিছু তারকার অবস্থান নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। সেই শিল্পীরা নেটিজেনদের কাছে ব্যাপকভাবে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। তাদের একজন এই অভিনেত্রী। এই পরিস্থিতির মধ্যে আবার নতুন করে বিপাকে পড়লেন সোহানা সাবা। অভিনেত্রী নিজেই তার ভেরিফায়েড ইন্সটাগ্রাম আইডিতে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।সাবা লিখেছেন, ‘"ভোরের কাগজ" অনলাইন আমার বিরুদ্ধে আজ (০৬/০৯/২০২৪) একটি (ইউটিউব এবং অনলাইন নিউজ) নিউজ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে, যাতে আমার সুনাম নষ্ট হয়। গত ২০ বছর ধরে আমি মিডিয়াতে কাজ করছি এবং সচেতনভাবে আমি আমার কাজের বাইরে কোনো বিতর্ক বা আলোচনায় থাকতে চাই না।'এই তারকা আরও লিখেছেন, 'এ বছরের শুরুতে একটি প্রতারণামূলক দল আমার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিল। আমি তখনই একটি জিডি করি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কেউ আর করার সাহস না পায়। সেখান থেকে এক অপরিচিত সাংবাদিক এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আমাকে ফোন করে কথা বলে। এখন দেখছি, সে আমার বিনা অনুমতিতে সেই কথোপকথনটি রেকর্ড করেছে, যা সম্পূর্ণ আইনের বাইরে।'সবশেষে সাবা হুশিয়ারি দিয়ে লেখেন, 'একজন নারী হিসেবে আমি সে সময়ে আমার সম্মান বাঁচাতে যে কাজটি করেছি, সেটি এই অসময়ে এসে ভোরের কাগজ আমার বিরুদ্ধেই বানোয়াট নিউজ করে আমার রেপুটেশন নষ্ট করার চেষ্টা করেছে একটি বিকৃত হেডলাইনের মাধ্যমে। আমি তাদেরকে শক্তভাবে বলতে চাই, আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে প্রত্যেকটি নিউজ ডিলিট করবেন। না হলে আমি এই প্রমাণ নিয়ে আইনানুগ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।'
    দুঃসংবাদ দিলেন ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রী হিনা খান
    বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান। জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল 'ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়'-এ অক্ষরা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। টেলিভিশন সাফল্যের পাশাপাশি হিনা ‘বিগ বস’ এবং 'খতরন কে খিলাড়ি'র মতো রিয়্যালিটি শোতে অংশগ্রহণ করেছেন। তারপর তাকে 'হ্যাকড' সিনেমায় দেখা গেছে।হিনা খান স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। সেরে উঠতে নিয়মিত নিচ্ছেন কেমোথেরাপি। এর মাঝেই  'মিউকোসাইটিস' রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া নতুন পোস্টে এ দুঃসংবাদ জানান হিনা। তিনি জানান, ক্যানসারের চিকিৎসার মধ্যেই মিউকোসাইটিসে আক্রান্ত তিনি।  জুন মাসে হিনা জানান তার স্তন ক্যান্সার তৃতীয় পর্যায়ে আছে। এরপর থেকে নিজের চিকিৎসা, শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে নিয়মিতই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে ভক্তদের জানিয়েছেন তিনি।  কেমোর কারণে চুলও পড়ে যায় অভিনেত্রীর। তবু মনের জোর অটুট রেখেছিলেন। তবে এবার যেন কিছুটা হলেও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেন তিনি।  ইনস্টাগ্রামে হিনা জানিয়েছেন, কেমোথেরাপির আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে মিউকোসাইটিস। যদিও প্রতি পদে পদে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছি সেরে ওঠার জন্য। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি এই রোগের সঙ্গে যুঝে থাকেন, তাহলে দয়া করে এর সঠিক সমাধানের উপায় বাতলে দিন আমাকে।একই পোস্টে হিনা আরও লেখেন, সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে, কিচ্ছু খেতে পারছি না। আপনারা কেউ যদি সমাধানের উপায় বলে দেন, তাহলে আমার খুব ভালো হয়।

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভ কত জানালেন গভর্নর
     শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে জনমনে ছিল ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যমে  ঠিকানাতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রিজার্ভ প্রসঙ্গে সেখানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী। গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ডলারও বাজারে বিক্রি করে নাই। বরং আমরা ডলার কিনছি রিজার্ভ বাড়াতে, এখন প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ডলার করে বাজার থেকে কিনছি।মূল্যস্ফীতিকে আগামী ৫ মাসের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেমন ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সেটা ৪ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা। এতদিন সেই হিসাব গোপন করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) সেটি দেওয়া হতো।এমএইচ
    কমেনি চালের দাম, মাংস ও সবজিতে কিছুটা স্বস্তি
    গত ৫ আগস্টের আগে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাল। যা এরপর কেটে যাওয়া একমাসেও কমেনি। বরং নতুন করে চালের দাম বাড়ার শঙ্কার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।প্রধান এই খাদ্যপণ্যটির চড়া দাম নিয়ে দারুণ বিপাকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। তারা বলছেন, নতুন সরকার অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যেমন উদ্যোগ নিচ্ছে, চালের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োজন। তারা বাজারে গিয়ে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হাজীপাড়া বউবাজারে চাল কিনতে এসে খালেক হোসেন নামের একজন বলেন, সংসারে প্রতিদিন দেড় কেজি চালের জন্য ১০০ টাকা লাগে। দাম কমছে না। এরমধ্যে ওএমএস বন্ধ। এখন আর তিনবেলা রান্না হয় না। এক কেজি চালে দিন পার করতে হয়।তিনি বলেন, শাক-সবজি ও মুরগির দাম কমলো, কিন্তু চালের দাম তো আগে কমা দরকার। কারণ, ভাত না জুটলে এগুলো দিয়ে কী হবে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে আবার অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না মোটা জাতের চাল। যে কারণে অনেক ক্রেতাকে বাধ্য হয়ে মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে।এদিকে, মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সরু চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা।মাস দেড়েক আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তবে একদিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রকৃতপক্ষে এর প্রভাব পড়তে কিছুটা সময়েরও প্রয়োজন।এ অবস্থায় গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।অন্যদিকে, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এখন ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।তবে কিছুটা কমেছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, দাম বেশি থাকার কারণে মাংস বিক্রি খুব কম ছিল। যে কারণে বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ী দাম কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সবজির বাজারে। সরকার পতনের পর থেকে বেশিরভাগ সবজির দাম ক্রেতার নাগালে রয়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পটোলের কেজি। এক মাস আগেও পটোলের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পটোলের মতো বেশিরভাগ সবজির দাম নেমেছে অর্ধেকের কাছাকাছি। এক মাস আগের ১৫০ টাকা কেজির বেগুন ও করলার কেজি এখন কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।মৌসুমের মাঝামাঝি এসে বাজারে ইলিশের সরবরাহও বেশ বেড়েছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি দাম। ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকায়। কমবেশি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। আর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেনা যাচ্ছে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায়। ছোট ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।এসএফ 
    মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে সনি-স্মার্টের শোরুম চালু
    এবার রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে চালু হলো সনি-স্মার্ট’র শোরুম। মোহাম্মদপুরের ২৫/৪, ব্লক-সি, তাজমহল রোড (মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন) ঠিকানার নীচতলায় স্থাপিত এই বিক্রয়কেন্দ্রটি সনি-স্মার্টের ২৫তম শোরুম। এখন থেকে এই শোরুমেই মিলছে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনি’র আসল ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা। বাংলাদেশে জাপানের সনি’র প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস্‌ (বিডি) লিমিটেড, দেশের ইলেকট্রনিক্স অঙ্গনে সনি-স্মার্ট নামে পরিচিত।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সনি-স্মার্টের নিজস্ব এই শোরুমটি ফিতা ও কেক কেটে উদ্বোধন করেন স্মার্ট টেকনোলজিস্‌ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে সনি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার প্রধান মি. রিকি লুকাস, সনি-স্মার্ট জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব সেলস জনাব সারোয়ার জাহান চৌধুরী, ফ্যাক্টরি জেনারেল ম্যানেজার মানব কান্তি দে এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব মার্কেটিং জনাব আজাদ রহমান, প্রমুখ সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদপুরে শোরুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে একটি অত্যাকর্ষণীয় অফার চালু করেছে সনি-স্মার্ট। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মোহাম্মদপুরের শোরুম থেকে প্রথম ৫০টি ক্রেতারা পাচ্ছেন ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের সনি ৪৩ ইঞ্চি টিভি মাইন্ডব্লোয়িং প্রাইস মাত্র ৫২ হাজার ৯০০ টাকায় ও ১ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের সনি ৫৫ ইঞ্চি টিভি মাত্র মাইন্ডব্লোয়িং প্রাইস ৮২ হাজার ৯০০ টাকায় ক্রয়ের সুযোগ। একইসঙ্গে আগামী সাতদিন ‘আমরা করবো জয়’ ক্যাম্পেইনের আওতায় জাপানের বিশ্বখ্যাত সনি-ব্রাভিয়া এক্সআর লেটেস্ট ‘এল’সিরিজ গুগল টিভি, জাপানের আরেক বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড শার্পের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ এবং স্মার্ট এলইডি টিভি, ফ্রিজ ও ডিপ-ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনসহ সনি-স্মার্ট’র সকল পণ্য আকর্ষণীয় মূল্যে কেনার চলমান সুবিধা তো থাকছেই। এছাড়াও রয়েছে প্রতিটি পণ্য ক্রয়ে নিশ্চিত উপহার, ডাবল সেভিংস, নির্দির্ষ্ট ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ০ শতাংশ ইএমআই ফ্যাসিলিটিস, জিপি ষ্টার ও নগদ অফার এবং জি-কেয়ার কার্ড -এর অধীনে দেশজুড়ে নানান স্বাস্থ্য সেবা, বেটার মিল/ ক্লাউড কফি/ স্যাফরন সুইটস -এর দেশের সকল শাখায় সকল খাবার পণ্য বিশেষ মূল্যছাড়সহ আরও অনেক সুবিধা।শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেনুইন মূল্যে জেনুইন পণ্য এবং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে দৃঢ় প্রত্যয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে সনি-স্মার্ট। মোহাম্মদপুরের এই শোরুমটি সনি-স্মার্টের ২৫তম শোরুম। দ্রুত সময়ের শোরুম সংখ্যা অর্ধশতকের মাইলফলক পেরুবে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।মোহাম্মদপুর শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মার্ট টেকনোলজিস্‌ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে প্রবেশের পর থেকেই গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে সনি-স্মার্ট। অল্প সময়ের ব্যবধানে সারা দেশে কাস্টমার-ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি আমরা। এসব সম্ভব হচ্ছে আনাদের সুদৃঢ় ব্যবসায়িক নীতির কারণে। আসল পণ্যের সাথে সঠিক মূল্যে প্রকৃত সেবার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা। আমাদের সঙ্গে যৌথ পথচলার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনি’র প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের হৃদয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থান গড়ে নিয়েছে সনি-স্মার্ট।” এসএফ
    শুল্ক কমল আলুতে, পেঁয়াজে প্রত্যাহার
    আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়ে নামানো হয়েছে ১৫ শতাংশে। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আলু-পেঁয়াজের এই শুল্ক সুবিধা বহাল থাকবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে কীটনাশকের আমদানি শুল্কও ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে; সঙ্গে তুলে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কীটনাশক আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, তুলে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।আলুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের উপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।এনবিআর আরও জানায়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের উপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়। তাই কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে উল্লিখিত শুল্ক ছাড় চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ করা হয়েছে।গৃহীত এই কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।এনবিআর বলছে, দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যে কোন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।এসএফ 
    এস আলমের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের চুক্তি বাতিল
    দেশের লোকসানে থাকা চিনিকলগুলোকে আধুনিক করতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) ও এস আলম অ্যান্ড কম্পানির মধ্যে সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছিল সরকার। গত ৪ জুলাই চিনি উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চুক্তিটি সই হয়।শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ২২ আগস্ট এস আলমের সঙ্গে সই করা সমঝোতা স্মারক বাতিল করা হয়েছে। সম্ভব্যতা যাচাইয়ের এমওইউ করলেও চিনিকলগুলো মালিকানা অংশিদারিত্ব হাতবদলে কোনো চুক্তি হয়নি।বিএসএফআইসির অধীনে ১৫ চিনিকলের মধ্যে ৯টি চালু আছে। ক্রমাগত লোকসানে থাকা ৬টি চিনিকল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ করে সরকার। তখন সরকার এই মিলগুলো আধুনিকীকরণ জরুরি হওয়ায় বন্ধ করেছে।ওই সময় দ্রুত আধুনিকায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ছিল। অনিদিষ্টকালের জন্য পাবনা, শ্যামপুর, পঞ্চগড়, সেতাবগঞ্জ, রংপুর ও কুষ্টিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোয় উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।২০২০ সালের ডিসেম্বরে জাপান, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রকল্পে বন্ধ ছয় কারখানা ও রপ্তানির উপজাতগুলো আপগ্রেড ও লাভজনক করা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।থাইল্যান্ডের সুটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি, আরব আমিরাতের শারকারা ইন্টারন্যাশনাল ও জাপানের সোজিটজ মেশিনারি করপোরেশন যৌথ উদ্যোগে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ও এক্সিম ব্যাংক অব থাইল্যান্ড প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহী হওয়ায় ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুমোদন না পাওয়ায় আর অগ্রগতি হয়নি। জানা যায়, তখন সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়। এর পরে এস আলম গ্রুপকে কারখানাগুলোর আধুনিকায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রাজি করায়।চুক্তিতে প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আখ উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলা হয়। পাশাপাশি আধুনিক আখ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট, ছয় মেগাওয়াট এগ্রোভোলটাইক সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাই প্রোডাক্ট প্রসেসিং প্ল্যান্ট ও প্যাকেজিং কারখানা করার পরিকল্পনা প্রস্তাব ছিল।  গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারতে পালানোর পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিএসএফআইসি সতর্ক অবস্থানে যায়।এসএফ 
    ২৩৮ কোটি টাকায় ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
    রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফাটিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা।বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বিতীয় ক্রয় কমিটির বৈঠক।সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে সার, এলএনজি এবং মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অতএব অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্লাক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৪৩.১৭ মার্কিন ডলার।আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সভায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকেও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩০.৫০ মার্কিন ডলার।এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার কেনা সংক্রান্ত যে তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।এসএফ 
    ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
    ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কেউ যেকোনো অ্যামাউন্টের টাকা নিজ নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে সীমা আরোপ শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সেটি বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়।এফএস
    বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভ কত জানালেন গভর্নর
     শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে জনমনে ছিল ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যমে  ঠিকানাতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রিজার্ভ প্রসঙ্গে সেখানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী। গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ডলারও বাজারে বিক্রি করে নাই। বরং আমরা ডলার কিনছি রিজার্ভ বাড়াতে, এখন প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ডলার করে বাজার থেকে কিনছি।মূল্যস্ফীতিকে আগামী ৫ মাসের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেমন ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সেটা ৪ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা। এতদিন সেই হিসাব গোপন করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) সেটি দেওয়া হতো।এমএইচ
    কমেনি চালের দাম, মাংস ও সবজিতে কিছুটা স্বস্তি
    গত ৫ আগস্টের আগে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাল। যা এরপর কেটে যাওয়া একমাসেও কমেনি। বরং নতুন করে চালের দাম বাড়ার শঙ্কার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।প্রধান এই খাদ্যপণ্যটির চড়া দাম নিয়ে দারুণ বিপাকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। তারা বলছেন, নতুন সরকার অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যেমন উদ্যোগ নিচ্ছে, চালের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োজন। তারা বাজারে গিয়ে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হাজীপাড়া বউবাজারে চাল কিনতে এসে খালেক হোসেন নামের একজন বলেন, সংসারে প্রতিদিন দেড় কেজি চালের জন্য ১০০ টাকা লাগে। দাম কমছে না। এরমধ্যে ওএমএস বন্ধ। এখন আর তিনবেলা রান্না হয় না। এক কেজি চালে দিন পার করতে হয়।তিনি বলেন, শাক-সবজি ও মুরগির দাম কমলো, কিন্তু চালের দাম তো আগে কমা দরকার। কারণ, ভাত না জুটলে এগুলো দিয়ে কী হবে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে আবার অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না মোটা জাতের চাল। যে কারণে অনেক ক্রেতাকে বাধ্য হয়ে মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে।এদিকে, মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সরু চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা।মাস দেড়েক আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তবে একদিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রকৃতপক্ষে এর প্রভাব পড়তে কিছুটা সময়েরও প্রয়োজন।এ অবস্থায় গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।অন্যদিকে, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এখন ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।তবে কিছুটা কমেছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, দাম বেশি থাকার কারণে মাংস বিক্রি খুব কম ছিল। যে কারণে বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ী দাম কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সবজির বাজারে। সরকার পতনের পর থেকে বেশিরভাগ সবজির দাম ক্রেতার নাগালে রয়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পটোলের কেজি। এক মাস আগেও পটোলের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পটোলের মতো বেশিরভাগ সবজির দাম নেমেছে অর্ধেকের কাছাকাছি। এক মাস আগের ১৫০ টাকা কেজির বেগুন ও করলার কেজি এখন কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।মৌসুমের মাঝামাঝি এসে বাজারে ইলিশের সরবরাহও বেশ বেড়েছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি দাম। ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকায়। কমবেশি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। আর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেনা যাচ্ছে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায়। ছোট ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।এসএফ 
    মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে সনি-স্মার্টের শোরুম চালু
    এবার রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে চালু হলো সনি-স্মার্ট’র শোরুম। মোহাম্মদপুরের ২৫/৪, ব্লক-সি, তাজমহল রোড (মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন) ঠিকানার নীচতলায় স্থাপিত এই বিক্রয়কেন্দ্রটি সনি-স্মার্টের ২৫তম শোরুম। এখন থেকে এই শোরুমেই মিলছে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনি’র আসল ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা। বাংলাদেশে জাপানের সনি’র প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস্‌ (বিডি) লিমিটেড, দেশের ইলেকট্রনিক্স অঙ্গনে সনি-স্মার্ট নামে পরিচিত।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সনি-স্মার্টের নিজস্ব এই শোরুমটি ফিতা ও কেক কেটে উদ্বোধন করেন স্মার্ট টেকনোলজিস্‌ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে সনি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার প্রধান মি. রিকি লুকাস, সনি-স্মার্ট জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব সেলস জনাব সারোয়ার জাহান চৌধুরী, ফ্যাক্টরি জেনারেল ম্যানেজার মানব কান্তি দে এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব মার্কেটিং জনাব আজাদ রহমান, প্রমুখ সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদপুরে শোরুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে একটি অত্যাকর্ষণীয় অফার চালু করেছে সনি-স্মার্ট। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মোহাম্মদপুরের শোরুম থেকে প্রথম ৫০টি ক্রেতারা পাচ্ছেন ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের সনি ৪৩ ইঞ্চি টিভি মাইন্ডব্লোয়িং প্রাইস মাত্র ৫২ হাজার ৯০০ টাকায় ও ১ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের সনি ৫৫ ইঞ্চি টিভি মাত্র মাইন্ডব্লোয়িং প্রাইস ৮২ হাজার ৯০০ টাকায় ক্রয়ের সুযোগ। একইসঙ্গে আগামী সাতদিন ‘আমরা করবো জয়’ ক্যাম্পেইনের আওতায় জাপানের বিশ্বখ্যাত সনি-ব্রাভিয়া এক্সআর লেটেস্ট ‘এল’সিরিজ গুগল টিভি, জাপানের আরেক বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড শার্পের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ এবং স্মার্ট এলইডি টিভি, ফ্রিজ ও ডিপ-ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনসহ সনি-স্মার্ট’র সকল পণ্য আকর্ষণীয় মূল্যে কেনার চলমান সুবিধা তো থাকছেই। এছাড়াও রয়েছে প্রতিটি পণ্য ক্রয়ে নিশ্চিত উপহার, ডাবল সেভিংস, নির্দির্ষ্ট ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ০ শতাংশ ইএমআই ফ্যাসিলিটিস, জিপি ষ্টার ও নগদ অফার এবং জি-কেয়ার কার্ড -এর অধীনে দেশজুড়ে নানান স্বাস্থ্য সেবা, বেটার মিল/ ক্লাউড কফি/ স্যাফরন সুইটস -এর দেশের সকল শাখায় সকল খাবার পণ্য বিশেষ মূল্যছাড়সহ আরও অনেক সুবিধা।শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেনুইন মূল্যে জেনুইন পণ্য এবং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে দৃঢ় প্রত্যয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে সনি-স্মার্ট। মোহাম্মদপুরের এই শোরুমটি সনি-স্মার্টের ২৫তম শোরুম। দ্রুত সময়ের শোরুম সংখ্যা অর্ধশতকের মাইলফলক পেরুবে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।মোহাম্মদপুর শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মার্ট টেকনোলজিস্‌ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে প্রবেশের পর থেকেই গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে সনি-স্মার্ট। অল্প সময়ের ব্যবধানে সারা দেশে কাস্টমার-ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি আমরা। এসব সম্ভব হচ্ছে আনাদের সুদৃঢ় ব্যবসায়িক নীতির কারণে। আসল পণ্যের সাথে সঠিক মূল্যে প্রকৃত সেবার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা। আমাদের সঙ্গে যৌথ পথচলার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনি’র প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের হৃদয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থান গড়ে নিয়েছে সনি-স্মার্ট।” এসএফ
    শুল্ক কমল আলুতে, পেঁয়াজে প্রত্যাহার
    আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়ে নামানো হয়েছে ১৫ শতাংশে। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আলু-পেঁয়াজের এই শুল্ক সুবিধা বহাল থাকবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে কীটনাশকের আমদানি শুল্কও ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে; সঙ্গে তুলে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কীটনাশক আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, তুলে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।আলুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের উপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।এনবিআর আরও জানায়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের উপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়। তাই কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে উল্লিখিত শুল্ক ছাড় চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ করা হয়েছে।গৃহীত এই কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।এনবিআর বলছে, দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যে কোন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।এসএফ 
    এস আলমের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের চুক্তি বাতিল
    দেশের লোকসানে থাকা চিনিকলগুলোকে আধুনিক করতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) ও এস আলম অ্যান্ড কম্পানির মধ্যে সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছিল সরকার। গত ৪ জুলাই চিনি উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চুক্তিটি সই হয়।শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ২২ আগস্ট এস আলমের সঙ্গে সই করা সমঝোতা স্মারক বাতিল করা হয়েছে। সম্ভব্যতা যাচাইয়ের এমওইউ করলেও চিনিকলগুলো মালিকানা অংশিদারিত্ব হাতবদলে কোনো চুক্তি হয়নি।বিএসএফআইসির অধীনে ১৫ চিনিকলের মধ্যে ৯টি চালু আছে। ক্রমাগত লোকসানে থাকা ৬টি চিনিকল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ করে সরকার। তখন সরকার এই মিলগুলো আধুনিকীকরণ জরুরি হওয়ায় বন্ধ করেছে।ওই সময় দ্রুত আধুনিকায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ছিল। অনিদিষ্টকালের জন্য পাবনা, শ্যামপুর, পঞ্চগড়, সেতাবগঞ্জ, রংপুর ও কুষ্টিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোয় উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।২০২০ সালের ডিসেম্বরে জাপান, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রকল্পে বন্ধ ছয় কারখানা ও রপ্তানির উপজাতগুলো আপগ্রেড ও লাভজনক করা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।থাইল্যান্ডের সুটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি, আরব আমিরাতের শারকারা ইন্টারন্যাশনাল ও জাপানের সোজিটজ মেশিনারি করপোরেশন যৌথ উদ্যোগে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ও এক্সিম ব্যাংক অব থাইল্যান্ড প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহী হওয়ায় ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুমোদন না পাওয়ায় আর অগ্রগতি হয়নি। জানা যায়, তখন সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়। এর পরে এস আলম গ্রুপকে কারখানাগুলোর আধুনিকায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রাজি করায়।চুক্তিতে প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আখ উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলা হয়। পাশাপাশি আধুনিক আখ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট, ছয় মেগাওয়াট এগ্রোভোলটাইক সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাই প্রোডাক্ট প্রসেসিং প্ল্যান্ট ও প্যাকেজিং কারখানা করার পরিকল্পনা প্রস্তাব ছিল।  গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারতে পালানোর পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিএসএফআইসি সতর্ক অবস্থানে যায়।এসএফ 

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    রাবির নতুন প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. শেখ সাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।অফিস আদেশ অনুযায়ী, ড. মাহবুবর রহমান ৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাসিক ছয় হাজার হারে সম্মানী পাবেন।ড. মাহবুবর রহমান ১৯৯৩ সালে পাবনার কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৫ সালে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর রাবি থেকে ১৯৯৯ সালে স্নাতক ও ২০০০ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অব লিয়ন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব ঘেন্ট থেকে পোস্টডক সম্পন্ন করেন তিনি।২০০৪ সালে রাবির রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১২ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এছাড়া তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেমসন ইউনিভার্সিটিতে ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার ছিলেন।এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সদ্য সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক গত ৭ আগস্ট পদত্যাগ করেন। তারপর থেকে ফাঁকা ছিল পদটি।এআই 
    নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চান না বেরোবি শিক্ষার্থীরা
    রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ফখরুদ্দীন নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১২ই অক্টোবর 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়' নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসলে ২০০৯ সালে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামানুসারে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম "বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর” নামকরণ করা হয়। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টি আওয়ামী লীগ পন্থী শিক্ষকদের দখলে ছিল।অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের সরকারের বিভিন্ন পদধারী নেতা কর্মীকে ও আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকেই বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের অনেকই  করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভেঙে  দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম তুলতে দেখা গেছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমানকে।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ জন উপাচার্য এসেছেন। কিন্তু কারো বিদায়ীই সম্মানের সহিত হয়নি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনা ও সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে  সদ্য বিদায়ী উপাচার্য পদত্যাগ করলেও বাকি চারজন উপাচার্য বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মুখে বিদায় নিয়েছেন।যার ফলে উপাচার্যদের এমন কর্মকাণ্ড ও তার সাথে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান কোনো শিক্ষার্থীই নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চান না।একাদিক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যত শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন সবাই আওয়ামী লীগের আমলে। সবাই আওয়ামী লীগের কোনো না কোনো ভাবেই সমর্থন দিয়ে আসছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী পন্থী শিক্ষকরা নিজেদের চেতনায় একাদিক সংগঠনেরও জন্ম দেয়। সেখানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি,বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ,নীল দল, হলুদ দল সহ একাধিক সংগঠন তৈরি করে আওয়ামী সরকারের পাশে ছিল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সীমাহীন দুর্নীতি সংস্কৃতি তৈরি হয়ে আসছে। কেনো নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি চান না এমন জবাবে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রমজান আলী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল না। আবু সাঈদ নির্মমভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হত্যা করা হয়। কোনো শিক্ষক যদি ওই জায়গায় থাকত তাহলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না।ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী হেলাল মিয়া বলেন, দেশের এই পরিস্থিতে দরকার সৎ,যোগ্য ও নিরপেক্ষ মানুষ।কিন্তু দেখা যায় যারা সৎ,নিরপেক্ষ তাদের অনেকেরই উল্লেখ্যযোগ্য তেমন গবেষণা পত্র নেই,ডক্টরেট অথবা পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রিও নেই।আবার যাদের গবেষণাপত্র আছে,ডক্টরেট,পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি আছে তাদের মধ্যে অনেকেই আবার দল করা।যারা আবার দলের বাহিরে আছেন তারা  আবার অনেকেই শিক্ষকদের সাথে সম্পৃক্তহীন।এর বাহিরে যারা আছে তাদের শিরদাঁড় প্রশ্নবিদ্ধ। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা চায় বাহিরে থেকে সৎ,যোগ্য, নিরপেক্ষ ও মেরুদণ্ড যুক্ত মানুষ আমাদের ভিসি হয়ে আসুক।রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার বলেন, আমরা শঙ্কিত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি আসলে তিনি তার সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা। সেই জন্য আমরা চাই এমন একজন মানুষ ভিসি হিসেবে আসুক যিনি শিক্ষিত, বাস্তববাদী ও একজন আর্দশ মানুষ। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর গাজী বলেন,ভিসি হবে মুক্তচিন্তার কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন মুক্ত চিন্তার শিক্ষককের বড্ড অভাব। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের গবেষণায় কেন কম বরাদ্দ দেওয়া হয় তা নিয়ে আন্দোলন করা উচিত সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দলের পাচাটা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। যোগ্য কেউ আসুক ভিসি হিসাবে যিনি এই জেনারেশন টাকে বুঝবে যিনি হবে মুক্তচিন্তার।নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি নিয়োগ না চেয়ে শিক্ষার্থীদের এমন ক্ষোভ কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন আবেগকে আমি সমর্থন করি কারণ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আপন করে নিতে পারেনি। কিন্তু যদি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। দিন শেষে তার পালানোর সুযোগ নেই। চার বছর পর তাকে এখানে চাকুরী করতে হবে। যার ফলে তার জবাবদিহিতা স্থায়ী জবাবদিহিতা হবে। ফলে কোনো শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা কর্মসূচিকে চটিয়ে পিছন দরজা দিয়ে পালানোর পারবেন না।তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ উপাচার্য এসেছেন কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় কি ভালো চলেছে। চলেনি। পাঁচ পাঁচ বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি পাঁচ বারই ব্যর্থ হয়েছি।আর যাকে আমরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে দেই নাই।আমরা কি করে বলতে পারি একজন মানুষ ব্যর্থ হয়েছেন।এআই 
    এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশনা
    চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র চেয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। পরদিন সেই বিজ্ঞপ্তির সংশোধনী দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষদের বোর্ডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব তথ্য ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে।সংশোধিত জরুরি নির্দেশনাগুলো হলো—*** এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের নিচের তথ্য সব ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/অধ্যক্ষদের পাঠাতে হবে।*** এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের নিয়মিত/অনিয়মিত/মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে (পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রেরণ করবেন। কোনো অবস্থাতেই ব্যবহারিক পরীক্ষার অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের কলেজে আনা যাবে না)১) সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT, বিষয় কোড-২৭৫) বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে প্রাপ্ত) অনলাইনে প্রেরণ করে এর প্রিন্টকপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মূল কপি (Final List) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।২) অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।৩) অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক স্বাক্ষরলিপির এক কপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করে মূল কপি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে(সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রেরণ করবেন।এইচএ
    পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসি চান বেরোবি শিক্ষার্থীরা
    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসি নিয়োগ চেয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির কাছে দাবি জানিয়েছেন।শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাইদ গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। এসময় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অচলাবস্থা চলছে। এ অবস্থা নিরসন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে হবে। একইসঙ্গে আবু সাঈদ হত্যার বিচারসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ (ইউজিসি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বেরোবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি যে, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে যোগ্য, মেরুদণ্ডসম্পন্ন এবং বিশ্বমানের পাঠ পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত এমন একজন ব্যক্তিকে বেরোবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শেখ  হাসিনা সরকারের পতনের পর একে একে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি পদত্যাগ করেন। বর্তমানে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এদিকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।এআই 

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: সহজেই রাখা যাবে চ্যাট ব্যাকআপ
    ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান করছেন। আপনিও হয়তো প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে।তবে এতো এতো চ্যাট করলেও কখনো হয়তো চ্যাট ব্যাকআপ নেননি। এতে পরবর্তিতে কোনো চ্যাট দেখতে চাইলে দেখতে পারেন না। এখন চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ নিতে পারবেন। এছাড়াও আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ।উচ্চস্তরের এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। সবাই ঠিক মতো পারে না। এবার এই প্রক্রিয়াটিকেই সহজ করার কাজে হাত দিল হোয়াটসঅ্যাপ।নতুন ফিচারের মাধ্যমে যে কেউ চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারবেন। এর জন্য প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকলেও চলবে। ভুল হওয়ার ভয়ও থাকবে না।অনেকেই আবার পাসওয়ার্ড ভুলে যান। বারবার বদল করেন। তাদের জন্য ব্যাক আপ চ্যাটের পাসকি অপশন নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ।পাসকি বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি ফিচার ব্যবহার করে। ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকার পড়ে না। আইফোনে যেমন ফেস আইডি কিংবা অ্যানড্রয়েডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাক আপ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সাপোর্ট করে, তবে সেটা ইউজারকে ম্যানুয়ালি করতে হবে।সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যানড্রয়েড বিটা ভার্সন ২.২৪.১৮.১৩-এ পাসকি-এর মাধ্যমে ব্যাক আপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে টেক বিশেষজ্ঞরাও একমত। তবে এই ফিচারের উপর এখনও কাজ চলছে।জানা যায়, আগামী সপ্তাহে বিটা টেস্টারদের কাছে তা পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ব্যাক আপ সেটিংসে এই ফিচার থাকবে। ইউজাররা ম্যানুয়ালি চালু করতে পারবেন।পরিসংখ্যান বলছে, সব হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা চ্যাট ব্যাক আপ ব্যবহার করেন না। যারা গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবং ব্যক্তিগত চ্যাট সংরক্ষণ করতে চান, তারাই তারা যে এনক্রিপশন আপগ্রেডকে দুই হাত তুলে স্বাগত জানাবেন তাতে সন্দেহ নেই।এখানেই শেষ নয়। আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ।এআর-এর মাধ্যমে কলিং অজ্ঞিতাও অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে। একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ওয়াবেটাইনফো। তারা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে শিগগিরই এই ফিচার চালু হবে। নতুন ফিচার আইওএস বিটা সংস্করণ ২৪.১৫.১০.৭০–এ পরীক্ষা করা হচ্ছে।ওয়াবেটাইনফো আরও জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে ‘টাচ আপ’ এবং ‘লো লাইট’ নামে দুইটি মোড থাকবে। ইনস্টাগ্রামে যেমন ফেসিয়াল ফিল্টার থাকে, টাচ আপ কাজ করবে সেরকমভাবে। আর কম আলোতেও যাতে পরিস্কারভাবে মুখ দেখা যায়, তার জন্য থাকবে ‘লো লাইট’ মোড ফিচার।এসএফ 
    মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে প্লাস্টিকের কণা: গবেষণা
    মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা। চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন মানুষের শরীর ময়নাতদন্তের সময় সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আট বছর আগে মস্তিষ্কে যে পরিমাণ অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা ছিল, বর্তমানে তা অনেকটা বেশি। খবর সিএনএন’র।গত মে মাসে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনো পিআর-রিভিউ এবং তা কোনো সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়নি। এর মূল লেখক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক। এই গবেষণার জন্য ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ময়নাতদন্ত করা ৯২ জনের মস্তিষ্ক, কিডনি ও যকৃতের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা।  অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন বলেন, টিস্যুগুলো পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আমরা মনে করছি, আমাদের মস্তিষ্কে খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিক প্রবেশ করছে। এগুলোর আকৃতি ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের মতো। আর ১ থেকে ৫ মাইক্রোমিটারের মতো বড় আকৃতির প্লাস্টিকগুলো লিভার ও কিডনিতে প্রবেশ করছে। তিনি আরও বলেন, ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের প্রতি গ্রাম টিস্যুতে আমরা ৪ হাজার ৮০০ মাইক্রোগ্রাম (১ গ্রাম সমান ১০ লাখ মাইক্রোগ্রাম) প্লাস্টিক কণা পেয়েছি। এটি মস্তিষ্কের মোট ওজনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে মস্তিষ্কে যে পরিমাণ প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল, ২০২৪ সালে তা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এর অর্থ আজকের দিনে আমাদের মস্তিষ্ক ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ, বাকিটা প্লাস্টিক।এই প্লাস্টিক আমাদের মস্তিষ্কের কতটুকু ক্ষতিসাধন করতে পারে, সে সম্পর্কে গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফোয়েবে স্ট্যাপলেটন। যদিও এই গবেষণা প্রতিবেদনের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তার। ফোয়েবে স্ট্যাপলেটন বলেন, এসব প্লাস্টিক কণা তরল কি না এবং সেগুলো মস্তিষ্কে যাচ্ছে আবার সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এগুলো স্নায়বিক টিস্যুতে পাওয়া যাচ্ছে কি না বা তা রোগের কারণ হচ্ছে কি না, তা–ও এই গবেষণায় স্পষ্ট করা হয়নি। কীভাবে মস্তিষ্কের কোষের সঙ্গে এসব কণার মিথস্ক্রিয়া ঘটে এবং এগুলো বিষক্রিয়া ঘটায় কি না, তা বুঝতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। অধ্যাপক ম্যাথিউর মতে, ‘এই ন্যানো প্লাস্টিকগুলো কোনো না কোনোভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে এবং মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে। প্লাস্টিক ফ্যাট বা লিপিড পছন্দ করে। তাই একটি তত্ত্ব হলো, আমরা খাবারের মাধ্যমে যে ফ্যাট গ্রহণ করি, সেগুলোর সঙ্গে ন্যানো প্লাস্টিক আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তা মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যায়।’ এ বিষয়ে বোস্টন কলেজের অধ্যাপক ফিলিপ ল্যানড্রিগান বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের হৃৎপিণ্ড, ধমনি, ফুসফুস, যকৃৎসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে। প্লাস্টিক এড়িয়ে চলা এখন অসম্ভব। প্লাস্টিক নেই, এমন মুঠোফোন বা কম্পিউটারও পাওয়া যাবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর সংস্পর্শে আসা কমানো যেতে পারে, যেমন প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বোতল। এসএফ
    কেউ মিথ্যা বলছে কি না জানবেন যে টেস্টে
    আপনার প্রিয়জন বা অন্যে যে কেউ আপনার সঙ্গে ফোনে মিথ্যা বলছে কি না তা যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে ব্যাপারটা খুব ভালো হয়। ‘লাই ডিটেকটর টেস্ট’ সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন। অপরাধীদের কাছ থেকে সত্য কথা বের করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একে পলিগ্রাফ টেস্টও বলা হয়।এই কাজটি আপনি আপনার ফোন থেকেই করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘লাই ডিটেকটর’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটি ইনস্টল হয়ে গেলে মাইক ব্যবহার করার অনুমতি দিতে হবে এবং রেকর্ড করার অনুমতি দিতে হবে।এবার আপনার যাকে ইচ্ছা হয় কোনো একটি প্রশ্ন করুন। সেই উত্তর রেকর্ড করুন। যখন স্ক্রিনে ‘অ্যানালাইজিং’ লেখা দেখাবে তখন ‘ভলিউম আপ’ বা ‘ভলিউম ডাইন’ যেকোনো একটি বোতামক্লিক করুন। যদি ‘আপ’ বোতাম টেপেন তাহলে উত্তর ‘ট্রুথ’ আসবে এবং ‘ডাউন’ বোতাম টিপলে স্ক্রিনে ‘লাইং’ অর্থাৎ ভুল দেখাবে।এই ধরনের অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশন আপনি পেয়ে যাবেন মোবাইল ঘাঁটলেই। তাই বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে চাইলে এই ধরনের অ্যাপ কিন্তু হতেই পারে আপনার সঙ্গী। কিংবা প্রিয়জন মিথ্যা বললে তা সহজেই জেনে নিতে পারবেন এভাবে।অনেক অ্যাপ আবার প্লে স্টোর ডাউনলোড করার পর প্রয়োজনীয় পারমিশন চেয়ে নেয়। এরপর এখানে বন্ধুকে প্রশ্ন করার সময় তাঁর আঙুলটি মোবাইলের স্ক্রিনে ছুঁইয়ে রাখতে হয়। টানা ৫ সেকেন্ড ছুঁইয়ে রাখতে হয় আঙুল। এর ফলে মোবাইলের স্ক্রিন ৫ বার ভাইব্রেট করবে। এবার মজার ছলে প্রশ্ন করুন। মনে রাখবেন প্রত্যেক ৫ সেকেন্ড অন্তর পরীক্ষার যে ফল আসবে তাতে প্রথমে ‘লাই’ এবং পরের বার ‘ট্রুথ’ এই ক্রমে আসবে।তবে এসব অ্যাপ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এই অ্যাপগুলো সাধারণত থার্ড পার্টিগুলোর হয়ে থাকে। আবার হ্যাকারদের ফাঁদও হতে পারে। অনেক সময় এই সব অ্যাপে যে ধরনের অনুমতি চাওয়া হয়, তা ‘অ্যালাউ’ করলে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে বা নিরাপত্তাজনিত অন্য আশঙ্কা তৈরিরও সম্ভবনা থাকে।এইচএ
    ভিপিএন দিয়ে এক্স চালালেই জরিমানা
    ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হয়েছে এক্স। কয়েকদিন আগেই ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস ইলন মাস্কের এই মাইক্রোব্লগিং সাইট নিষিদ্ধ করে।বিচারক মোরেস মাস্ককে এক্স-এর জন্য নতুন আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ করতে বলেছিলেন কিন্তু মাস্ক সে সব কথা কানেই নেননি। এরপরই এক্স-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাজিল। শুধু নিষিদ্ধই নয় ভিপিএন ব্যবহার করে কেউ এক্স ব্যবহারের চেষ্টা করলে প্রতিদিন প্রায় ৭.৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারক।এদিকে অনলাইন অ্যাপ স্টোর থেকে এক্স-কে ব্লক করার জন্য ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে অ্যাপল ও গুগলকে। একই সঙ্গে এক্স ব্লক করার জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।মোরেস তার রায়ে জানিয়েছেন, এক্স ব্রাজিলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। প্রতিষ্ঠানটি বারবার এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ অমান্য করেছে।রায়ে মোরেজ আরও জানিয়েছেন, ব্রাজিলে ভিপিএন এর মাধ্যমে এক্স ব্যবহার করলে প্রতিদিন ৮,৮৭৪ ডলার (প্রায় ৭.৫ লাখ টাকা) জরিমানা করা হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো জন্য এক্স-কে কিছু অ্যাকাউন্ট অপসারিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক্স সেগুলো বন্ধ না করে ব্রাজিলে এক্স-এর অফিসই বন্ধ করে দেন। বিচারকের এমন সিদ্ধান্তে মাস্ক লিখেছেন, ‘তারা ব্রাজিলে সত্যের এক নম্বর উৎসকে নিষিদ্ধ করল।’এমআর
    কণ্ঠ শুনেই অসুস্থতা বুঝে যাবে এআই!
    মানুষের জীবনযাপনে অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। ক্যাব ডাকা থেকে অনলাইন লেনদেন, কাছের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ- সবই অনায়াসে সম্ভব মুঠোফোনের মাধ্যমে। এবার আপনার কণ্ঠ শুনেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়েই অসুস্থতা টের পেয়ে যাবে স্মার্টফোন!গুগল তাদের ফাউন্ডেশন এআই মডেলগুলোকে প্রস্তুত করেছে নানা ধরনের শব্দ শুনিয়ে। জানা যাচ্ছে, ৩০ কোটি অডিও শোনানো হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে হাঁচি, কাশি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট জাতীয় সব ধরনের শব্দই রয়েছে।জানা গেছে, শুধু কাশির শব্দই রয়েছে ১০ কোটি। যা কাজে লাগিয়ে এআই ধরে ফেলবে কেউ যক্ষ্মায় কষ্ট পাচ্ছেন নাকি। কিংবা তার হৃদ্‌রোগে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে কি-না।ভারতীয় সংস্থা সালসিট টেকনোলজিসের সঙ্গে সমঝোতা করেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল। ওই সংস্থাটি একটি হেলথকেয়ার এআই স্টার্ট-আপ। লক্ষ্য, স্মার্টফোনকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যাতে সহজেই ব্যবহারকারীর বিপণ্ণতাকে অনায়াসে চিহ্নিত করতে পারে সেটি। এই প্রথম নয়। গুগল (Google) এর আগেও মানুষের চেতনাকে ডিজিটাইজ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এবার মানুষের অসুস্থতাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ধরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে এগোতে চেয়েছে তারা।এইচএ
    অ্যান্ড্রয়েড জি-মেইলে যুক্ত হলো এআই সুবিধা
    বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করেন জি-মেইল (Gmail)। টেক জায়ান্ট গুগলের (Google) এই সার্ভিসে অভ্যস্ত প্রায় সকলেই। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কাজে নয়, কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ অফিশিয়ালভাবেও ব্যবহার করা হয়। তাইতো ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে সহজে ই-মেইল খোঁজার নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-ভিত্তিক সুবিধা যোগ করেছে জি-মেইল।নতুন এই সুবিধায় জি-মেইলে থাকা বিভিন্ন তথ্য খুব সহজেই খুঁজে পাবেন ব্যবহারকারীরা। সুবিধাটি এখন গুগল ওয়ার্কস্পেসের ওয়েব সংস্করণে ব্যবহার করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডে চালু হওয়ায় স্মার্টফোন থেকেও এই সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। তবে আইফোনের জন্য সুবিধাটি এখনো চালু হয়নি। খুব শিগগিরই আইওএস যন্ত্রেও এটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের।জি-মেইল অ্যাপের ওপরে ডানদিকে থাকা জেমিনি টুলবার থেকে এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। জেমিনি টুলবার চিহ্নিত করতে একটি জেমিনি স্টার প্রতীক থাকবে। এখানে ট্যাপ করে এ সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। এ সুবিধায় ই-মেইলে থাকা সুনির্দিষ্ট তথ্য খোঁজার পাশাপাশি যেসব ই-মেইল পড়া হয়নি সেগুলোও খোঁজা যাবে। আবার নির্দিষ্ট কোনো প্রেরকের ই-মেইল দেখা যাবে এবং বিভিন্ন ই-মেইলের সারাংশ লিখে নেওয়া যাবে। এ ছাড়া গুগল ড্রাইভে থাকা বিভিন্ন নথিও খুঁজে দেবে জেমিনি। সর্বশেষ টুলটি ১৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ফলাফল প্রদর্শন করবে।গুগল ওয়ার্কস্পেস যেসব ব্যবহারকারী অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব করেছেন, এ সুবিধাটি শুধু তারাই ব্যবহার করতে পারবেন। এসব ছাড়াও জি-মেইলে জেমিনির ‘হেল্প মি রাইট’ ও ‘পলিশ’ নামের দুটি সুবিধা ব্যবহার করে চাইলেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপযোগী নতুন ই-মেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখিয়ে নিতে পারেন জি-মেইল ব্যবহারকারীরা। শুধু তা-ই নয়, জেমিনির লিখে দেওয়া ই-মেইল সম্পাদনার পাশাপাশি নতুন তথ্যও যুক্ত করা যাবে। ফলে কাজে ব্যস্ত থাকলেও দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল পাঠানো যাবে।এসএফ  

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আজ শনিবার আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। এফএস

    প্রবাস

    সব দেখুন
    গ্রিসে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা
    গ্রিসে বাংলাদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন নাহিদা রহমান সুমনা।  বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নাহিদা রহমান সুমনা গ্রিসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এর আগে তিনি ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।বুধবার স্থানীয় সময় সকালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পাল ও দ্বিতীয় সচিব রাবেয়া বেগমসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা নবাগত রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।নাহিদা রহমান সুমনা কূটনৈতিক জীবনে ব্রাসিলিয়া, অটোয়া, কলকাতা ও ক্যানবেরায় বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক সংস্থা উইংয়ের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।তথ্য মতে, ১৯৯৯ সালে নাহিদা রহমান সুমনা যোগ দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেবা ও কল্যাণ বিভাগের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদের দায়িত্ব ছাড়াও ব্রাজিলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত, কানাডায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনে কাউন্সিলর ও ক্যানবেরায় প্রথম সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আঞ্চলিক সংস্থা উইংয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গ্রিসে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন।নাহিদা রহমান সুমনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর এবং জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানি আইনে ফেলোশিপ অর্জন করেন।এসএফ 

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)আগুন থেকে সাবধান থাকুন। ব্যবসায় বিশেষ পরিবর্তন দেখতে পাবেন। সমাজসেবায় দান করার ইচ্ছা জাগবে। সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। গুরুজনদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। দাম্পত্য কলহ বাধার সম্ভাবনা। নিজের সম্পত্তির কিছু অংশ অপরকে দিতে হতে পারে। বিকেলের দিকে দামি উপহার পেতে পারেন। ব্যবসায় অগ্রগতি হওয়ায় আনন্দ। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সময়টা বিশেষ ভাল নয়। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)স্বামীর সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর যেতে পারে। স্বজনবর্গের সঙ্গে মনোমালিন্য মিটে যেতে পারে। শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। স্ত্রীর পরামর্শে লাভবান হতে পারেন। প্রেমে অপর কারও জন্য অশান্তি হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে। পুরনো ব্যথা নতুন করে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পদন্নোতির খবর আসতে পারে। কোনও বিতর্কে যাবেন না, ক্ষতি হতে পারে। পদার্থবিদ্যার শিক্ষার্থীরা সাফল্য পাবেন। পেটের সমস্যায় ভোগান্তি হতে পারে।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)বন্ধুদের সৌজন্যে প্রচুর আয়  হতে পারে। পথেঘাটে খুব সাবধানতা অবলম্বন করুন, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্তানদের জন্য ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। সমাজের কাজে বেশি না জড়ানোই শ্রেয়, মানহানির আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত আবেগ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। আটকে থাকা কাজ সম্পূর্ণ হতে পারে। নিজের কৌশলে শত্রুর মন জয় করতে পারবেন। বাড়িতে মনের মতো অতিথি সমাগমে আনন্দ লাভ। হঠাৎ বিষয়-সম্পত্তির প্রাপ্তিযোগ রয়েছে। অপ্রিয় সত্যি কথা বলায় বিপত্তি ঘটতে পারে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কারও প্রতি আপনার ব্যবহার রূঢ় হতে পারে। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। রক্ত সংক্রান্ত রোগে ভোগান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। নিজের কৌশলে ব্যবসায় উন্নতির যোগ দেখা যাচ্ছে।  গৃহনির্মাণে বাধা পড়তে পারে। রাস্তাঘাটে চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। সঙ্গীতচর্চার বিশেষ সুযোগ আসতে পারে। অকারণে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে। মামলায় জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)দাম্পত্য কলহের কারণে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে। কোনও জটিল সমস্যা আপনাকে ভোগাতে পারে। ভাল কথাবার্তায় সকলের মন জয় করতে পারবেন। জমিজমা কেনাবেচার পরিকল্পনা সফল হবে। বায়ুপথে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। নতুন কাজের সুযোগ আসতে পারে। বাড়ির দায়িত্ব পালনে সক্ষম না-ও হতে পারেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ সুযোগ আসতে পারে। শেয়ারে শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে। বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে। শত্রুর আক্রমণ থেকে একটু সাবধান থাকুন।কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায় ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাইরের অশান্তি আপনাকে নাজেহাল করতে পারে। খুব নিকট কারও কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন। নতুন বন্ধু হতে পারে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিপত্তি ঘটতে পারে। দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ করে অশান্তি দেখা দিতে পারে। গুরুজনদের শারীরিক অবস্থা ভাল যাবে না। কোনও আশা পূরণ হতে পারে। কোনও অজানা স্থান থেকে অর্থ আসতে পারে। শারীরিক কষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)আইনি কাজে সাফল্য লাভ। সারা দিন নানা দিক থেকে কাজের সুযোগ আসতে পারে। পিতার শরীর নিয়ে একটু ভাবনা হতে পারে। প্রেমে বাধা থাকলেও সঙ্গে আনন্দ থাকবে। বিদ্যার্থীদের নতুন যোগাযোগ আসতে পারে। সহকর্মীর ভাল ব্যবহারে নিজেকে ভাসিয়ে দেবেন না। গৃহনির্মাণের জন্য শুভ সময়। পেটের সমস্যা একটু থাকবে। পরিবারের পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। দুপুরের পরে সম্মান নষ্ট হতে পারে। সন্তানের ব্যবহারে মনঃকষ্ট। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)মানসিক যন্ত্রণার কারণে ঘুমের ব্যঘাত হতে পারে। কারও বিবাহ সংক্রান্ত কাজে কিছু দান করতে হতে পারে। শিল্পীদের জন্য সামনে খুব উপযুক্ত সময়। ভ্রমণের জন্য উৎসাহিত হতে পারেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। স্বাস্থ্য ভাল যাবে না। কিছু পাওয়ার জন্য মনে জেদ সৃষ্টি হতে পারে। কর্মস্থানে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। সন্তানদের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে। পড়াশোনার ব্যাপারে অসুবিধা থাকলে মিটে যাবে।  ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)বাড়ির সকলে মিলে তীর্থ ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।  পুরনো কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে। সন্তানের কোনও ভাল কাজ আপনাকে অবাক করবে। বিনিয়োগী ব্যবসায় ফল ভাল পাওয়া যাবে। ব্যয় কম হবে। সঙ্গীতচর্চায় হাল ছাড়লে মুশকিল হতে পারে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে খুব প্রতিকূল সময়। অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে সংসারে অশান্তির যোগ দেখা যাচ্ছে। গুরুজনদের কথায় বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগার জন্য মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। কোনও অসৎ কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)আপনার নিজের মতে কিছু করার জন্য বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে। বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যানবাহন নিয়ে চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। নিজের দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ব্যবসায় অশান্তি। পুরনো পাওনা আদায় হতে পারে। সারা দিন চিত্তচাঞ্চল্য বজায় থাকবে। কারও কাছ থেকে খুব দামি কোনও উপহার  পেতে পারেন। হতাশার জন্য শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুভ কাজে সাফল্য লাভ। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কারও বিবাহের সংবাদে আনন্দ লাভ। যানবাহনে ওঠানামায় বিপদের আশঙ্কা। ঘাড়ের যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে পারেন। কোনও উচ্চাশা সফল হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলাই ভাল হবে। সাংসারিক শান্তি বজায় থাকবে। পুরনো শত্রুর কাছ থেকে বন্ধুর মতো ব্যবহার পাবেন। সারা দিন হিসেবি ভাবে চললেও খরচ কমবে না। শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী কাজের চাপ নিন, অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে। চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ অনুকূল সময়। কাউকে নিজের দুর্বলতা দেখালে ফাঁসতে হতে পারে। দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সমস্যা থাকবে না। বাড়ির পরিবেশ অনুকূল থাকবে। বাড়ির বড়দের শরীর নিয়ে একটু চিন্তা থাকতে পারে। নিজের ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পাবেন। এবি 

    Loading…