সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এবার দুর্গাপূজার আনন্দ বিশেষ আনন্দে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে যেটা সবাই উপভোগ করছে। এ আনন্দ আরেকটু বেড়ে গেলো এজন্য, একদম নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সবাই চেষ্টা করেছে, কোনও রকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, কোনও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়। এজন্য সরকার এবং সরকারের বাইরে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে।’শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।সবাই মিলে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা করতে পারার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এর পেছনে আমাদের সহযোগিতা করেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, সরকারের কাছে যতো রকমের শান্তিরক্ষা বাহিনী ছিল সবাই।’তিনি বলেন, ‘সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ, সহজ না। এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সমাধা করতে পেরেছে, সবাই মিলে কাজ করলে যে সফলতা পাওয়া যায় সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নিজেদের মনে করিয়ে দেই— সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে, র্যাবকে দিয়ে আনন্দ, উৎসব করার আয়োজন করতে যাওয়াটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাটাকে আমরা গ্রহণ করেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই, কোনও জায়গায় একটা অংশ আনন্দ-উৎসব করবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করবো। এ রকম সমাজকে নিয়ে আমরা কী করবো। এ রকম সমাজ কী আমরা চাই। আমরা এ রকম সমাজ চাই না।’তিনি বলেন, ‘সমাজের যেকোনও অংশ উৎসব করবে, আমরা সবাই মিলে সেখানে শরিক হবো, তারা যেন নির্বিঘ্নে, আনন্দ সহকারে উৎসব করতে পারে, তারা নিজেরা এই আনন্দে অংশ নেবে, এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ওটা করতে পারছি না। এটা করতে পারছি না বলেই আমাদের ছাত্র-জনতা, শ্রমিক এরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে আজ আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যে আমরা আপনাদের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে উৎসবের সুযোগ করে দিলাম। এটা যেন ভবিষ্যতে আর কখনও করতে না হয়, সে জন্য আমরা একযোগে কাজ করবো।’তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। যে বাংলাদেশে যারা এই দেশের নাগরিক, তাদের সবার সমান অধিকার, এটা আমরা নিশ্চিত করছি।’এইচএ
এই মুহূর্তে বাসা-বাড়িতে নতুন গ্যাসের সংযোগ সম্ভব না: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩ হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এটার জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়। তাই এ মুহূর্তে বাসা-বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, এটা আমাদের জন্য একটি মিথ্যা আশ্বাস।রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কুপ) খনন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশসন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। বিবিয়ানার পরে এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস কোনো কুপে পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো। এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমদানি করে থাকে তাদের সঙ্গে কথা বলে বোতলজাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।এইচএ
জাতীয়
সব দেখুন
আগামী ৫ বছরের জন্য কর অব্যাহতি পেল গ্রামীণ ব্যাংক
আগামী পাঁচ বছরের জন্য আয়কর অব্যাহতি সুবিধা পেল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়ে।এতে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ক্ষমতাবলে ওই আইনের ৭৬-এর উপধারা (৫) এবং (৬)-এর বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সব আয়কে আয়কর প্রদান হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৯ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিঃশর্তভাবে কর মওকুফ সুবিধা পেয়ে থাকলেও ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই সময় কর অব্যাহতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করে গ্রামীণ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি সরকার। এবার নতুন করে ৫ বছর ৩ মাসের জন্য কর অব্যাহতির সুবিধা পেল গ্রামীণ ব্যাংক। গত ১ অক্টোবর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।এমআর
বিচার দেখেই জনগণ বুঝতে পারবে আমাদের পদক্ষেপ: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের কাজ ও কর্মের মধ্যে দিয়েইে জনগণ বুঝতে পারবে আমাদের পদক্ষেপ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরেপক্ষতা ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার বাড়ীর ঐতিহ্যবাহী পূজাম-প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এসময় তিনি বলেন, এই পরিবারের সাথে আমাদের অনেক পুরোনো সম্পর্ক। এখন উৎসবের সময় যাচ্ছে। তাদের সাথে সামিল হতে পারাই আমাদের সৌভাগ্য।এর আগে তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাকে গার্ড অনার প্রদান করা হয়। পরে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ীর পূজাম-প পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সাথে সৌজন্যে স্বাক্ষাত করেন।এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুসহ অন্যরা।এমআর
সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এবার দুর্গাপূজার আনন্দ বিশেষ আনন্দে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে যেটা সবাই উপভোগ করছে। এ আনন্দ আরেকটু বেড়ে গেলো এজন্য, একদম নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সবাই চেষ্টা করেছে, কোনও রকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, কোনও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়। এজন্য সরকার এবং সরকারের বাইরে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে।’শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।সবাই মিলে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা করতে পারার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এর পেছনে আমাদের সহযোগিতা করেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, সরকারের কাছে যতো রকমের শান্তিরক্ষা বাহিনী ছিল সবাই।’তিনি বলেন, ‘সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ, সহজ না। এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সমাধা করতে পেরেছে, সবাই মিলে কাজ করলে যে সফলতা পাওয়া যায় সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নিজেদের মনে করিয়ে দেই— সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে, র্যাবকে দিয়ে আনন্দ, উৎসব করার আয়োজন করতে যাওয়াটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাটাকে আমরা গ্রহণ করেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই, কোনও জায়গায় একটা অংশ আনন্দ-উৎসব করবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করবো। এ রকম সমাজকে নিয়ে আমরা কী করবো। এ রকম সমাজ কী আমরা চাই। আমরা এ রকম সমাজ চাই না।’তিনি বলেন, ‘সমাজের যেকোনও অংশ উৎসব করবে, আমরা সবাই মিলে সেখানে শরিক হবো, তারা যেন নির্বিঘ্নে, আনন্দ সহকারে উৎসব করতে পারে, তারা নিজেরা এই আনন্দে অংশ নেবে, এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ওটা করতে পারছি না। এটা করতে পারছি না বলেই আমাদের ছাত্র-জনতা, শ্রমিক এরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে আজ আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যে আমরা আপনাদের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে উৎসবের সুযোগ করে দিলাম। এটা যেন ভবিষ্যতে আর কখনও করতে না হয়, সে জন্য আমরা একযোগে কাজ করবো।’তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। যে বাংলাদেশে যারা এই দেশের নাগরিক, তাদের সবার সমান অধিকার, এটা আমরা নিশ্চিত করছি।’এইচএ
ফ্যাসিস্ট সরকারকে সহায়তা করা গণমাধ্যমের বিচার হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
পতিত ফ্যাসিস্ট রাজপথ থেকে পরাজিত হয়ে এখন অনলাইনে শক্তি প্রদর্শন করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার পক্ষে যেসব গণমাধ্যম ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে, তাদের বিচার করা হবে। ফেসবুকে প্রচুর গুজব রটানো হচ্ছে। ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমরা যেন মিথ্যা তথ্য ও গুজবে বিশ্বাস না করি।শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ইস্যুতে অপপ্রচার নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতে উগ্রবাদ চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করে না। ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হবে।তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের বয়স মাত্র দুই মাস, সংস্কারের জন্য আমাদেরকে একটু সময় দিতে হবে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা সংস্কারসহ বেশকিছু ইস্যু আছে যা অল্প সময়ে সম্ভব না। আমরা আহতদের চিকিৎসায় কাজ করছি, ধীরে ধীরে সব বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।তিনি বলেন, সারাদেশের গর্ব শহীদ আবু সাঈদ। আবু সাঈদের এই বিশ্ববিদ্যালয় গণঅভ্যুত্থানের লড়াই শুরু করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক অবহেলিত থাকবে না তাদেরকে সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, বরাবরই অবহেলিত ছিল রংপুর। রংপুরের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি বাজেট দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ জেলায়। আমাদের লড়াই ছিল এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে। প্রধান উপদেষ্টা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। রংপুরের প্রতি যে অবহেলা সেটি আমরা অবশ্যই দূর করব এবং রংপুরকে বাংলাদেশের উন্নত জেলা ও বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশ্বাস দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।এইচএ
নির্বাচন কমিশন গঠনে যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নির্বাচনকালীন সময় মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব ইসির (নির্বাচন কমিশন) হাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রি. জে. (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে কেমন সংস্কার চাই’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যাদেরকে নিয়োগ দেয়, তাদের ক্ষেত্রে ইসি যে রিপোর্ট দেয় সেটিই যেন চূড়ান্ত হয়। এটি জবাবদিহি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার যেন হস্তক্ষেপ না করে। নির্বাচনের সময় মন্ত্রণালয়গুলোর ওপর খবরদারির ক্ষমতা ইসিকে দিতে হবে।উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক জায়গায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কাজেই দায় দায়িত্ব এখন থেকেই শুরু৷ অনেক রক্ত ঝরেছে। ৫থেকে ৭শ মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে৷ তারা বলেছে কোনো অসুবিধা নেই। কাজেই আমরা যদি ঠিক করতে না পারি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে।তিনি বলেন, ডিসি'রা নির্বাচন করে এই কথা ঠিক না৷ আইনে ৩শ’ আসনে ৩শ’ রিটানিং অফিসার দেওয়া যাবে৷ আবার ডিসিদের দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।ইসির সঙ্গে কাজ করে ১৫ দিনের মধ্যে কোনো অনিয়ম করলে ইসি যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটাই যেন চূড়ান্ত শাস্তি হয়। এতে অনেক অনিয়ম কমে আসবে।সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ভোটের সময় সরকারের ওপর কিছুটা খবরদারির এখতিয়ার দিতে হবে। তিন ধাপে ইসি নিয়োগ করা যেতে পারে৷ তৃতীয় ধাপে পার্লামেন্ট থেকে চুড়ান্ত প্রস্তাব যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে৷ প্রথস ধাপে সকলের নামই প্রকাশ করা হবে।তিনি বলেন, দলের প্রাথমিক সদস্য পদে অন্তত তিন বছর থাকতে হবে দলের প্রার্থী হতে হলে৷ তৃণমূল থেকে এক দুই বছর থেকে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।নারী প্রার্থী ৫০ জন ১০০ জন যাই করেন সেটা সরাসরি নির্বাচন করেন। সংরক্ষিত আসনে নারীদের কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। তবে এটা করবেন কি না সেটা আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবেন।এইচএ
শুভেচ্ছা বিনিময় ও পূজা পরিদর্শনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ড. ইউনূস
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও পূজা পরিদর্শনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছান তিনি।এ সময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর তিনি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে পূজার খোঁজখবর নেন। উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে এসএসএফসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন। সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।এইচএ
এই মুহূর্তে বাসা-বাড়িতে নতুন গ্যাসের সংযোগ সম্ভব না: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩ হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এটার জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়। তাই এ মুহূর্তে বাসা-বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, এটা আমাদের জন্য একটি মিথ্যা আশ্বাস।রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কুপ) খনন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশসন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। বিবিয়ানার পরে এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস কোনো কুপে পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো। এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমদানি করে থাকে তাদের সঙ্গে কথা বলে বোতলজাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।এইচএ
ওয়াশিংটনে রিচার্ড ভার্মা ও আজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র সচিবের
পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।ওয়াশিংটনে আয়োজিত এই বৈঠকে তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতা, মানবিক প্রতিক্রিয়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং শ্রম অধিকার ইস্যু ইত্যাদি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।এছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার অ্যাজেন্ডা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট, শ্রম আইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন বর্তমানে ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন। এইচএ
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
বিদেশিদের চাপে সাবের হোসেন চৌধুরীকে মুক্তি দিয়েছে সরকার: নুর
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীকে বিদেশিদের চাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে কেমন সংস্কার চাই’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক নুর বলেন, স্বৈরাচার সরকারের দোসর ও আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে যদি মুক্তিই দেবেন তাহলে গ্রেপ্তার কেন করেছিলেন। আবার আপনার জেন্টালম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানকে কেন গ্রেপ্তার করলেন। কেন ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেন না। সাবের হোসেন চৌধুরীকে কোনোভাবেই ছাড়া উচিত হয়নি।তিনি বলেন, আপনারা পক্ষপাত আচরণ করলে বা তাদের গ্রেপ্তার করার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট ওই আওয়ামী লীগ আবারও ভিন্নরূপে আবির্ভূত হবে। আর এরকম কিছু হলে আপনারাও চলে যাওয়ার পর অপমান-অপদস্থ হতে হবে।প্রশাসনে পদায়ন প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, প্রশাসনে জামায়াত-বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হচ্ছে। সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে। এছাড়া বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করে সংস্করণের সুপারিশ করেন তিনি।এইচএ
বিদেশিদের চাপে সাবের হোসেন চৌধুরীকে মুক্তি দিয়েছে সরকার: নুর
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীকে বিদেশিদের চাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে কেমন সংস্কার চাই’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক নুর বলেন, স্বৈরাচার সরকারের দোসর ও আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে যদি মুক্তিই দেবেন তাহলে গ্রেপ্তার কেন করেছিলেন। আবার আপনার জেন্টালম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানকে কেন গ্রেপ্তার করলেন। কেন ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেন না। সাবের হোসেন চৌধুরীকে কোনোভাবেই ছাড়া উচিত হয়নি।তিনি বলেন, আপনারা পক্ষপাত আচরণ করলে বা তাদের গ্রেপ্তার করার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট ওই আওয়ামী লীগ আবারও ভিন্নরূপে আবির্ভূত হবে। আর এরকম কিছু হলে আপনারাও চলে যাওয়ার পর অপমান-অপদস্থ হতে হবে।প্রশাসনে পদায়ন প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, প্রশাসনে জামায়াত-বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হচ্ছে। সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে। এছাড়া বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করে সংস্করণের সুপারিশ করেন তিনি।এইচএ
সব ধর্মের মিলন যেন কেউ বিনষ্ট করতে না পারে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সব ধর্মের যে মিলন এটি যেন কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সম্প্রতির জাগ্রত চেতনাকে বিভাজন করা যাবে না। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূর্জা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, শুধু মাত্র কতৃর্ত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে বিভাজনের রাজনীতি করেছে বিগত সরকার। সম্প্রতির আনন্দের মধ্যে যারা বিবেদ তৈরি করছে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমনটা করছে।বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন দেশ, নারী এবং মায়ের ভালোবাসার উৎস দুর্গাপূজা। ধর্ম পরিচয় আলাদা থাকলেও সবাই একই ভূখন্ডের। তাই এই জাতিকে আর বিভাজনের রেখা দিয়ে আর বিভক্ত করা যাবেনা বলেও জানান তিনি। পূজাকে ঘিরে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলের নেতাকর্মীর সজাগ আছে বলে জানান রিজভী।
দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
৫ আগস্টের পর দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। নিজ দেশেই বিএনপি নেতাকর্মীরা শরণার্থীতে পরিণত হয়েছিল। নিপীড়নের চাপে জর্জরিত হয়ে নেতাকর্মীরা যখন অসহায় অবস্থায় ছিল তখন অনেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। শান্তি-স্বস্তিতে জীবনযাপন করেছেন। দুঃসময়ে অনেকের খবর ছিল না। এখন ফিরে এসে খবরদারি করছে।বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এদের কেউ বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না। জনপ্রশাসন, পুলিশ ও মিডিয়া হাউজকে টার্গেট করে অনেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসএফ
পতিত ফ্যাসিবাদ প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলেও সফল হবে না: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পতিত ফ্যাসিবাদ কিছুদিন পরপর প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখে। বিদেশে বসে দেশে অস্থিরতা চালাচ্ছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু এটি সফল হবে না।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির এ নেতা বলেন, মানুষের মধ্যে নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে। একটা নির্বাচিত সরকার লাগবেগণপরিষদ গঠনের কথা অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই গণপরিষদের ভাবনা যারা বলছেন, তাদের আবারও ভাবা উচিত।এসএফ
সাবের হোসেনের মুক্তি নিয়ে যে প্রশ্ন তুললেন রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে ১১টি গুম খুন হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কিভাবে সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো লোক জামিনে মুক্তি পায়?বৃহস্পতিবার খিলগাঁওয়ে গুম ও খুন হাওয়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে 'সাবের হোসেন চৌধুরীর বিচারের দাবিতে' এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। একজন খুনি কিভাবে জামিন পায়? এই এলাকায় কি রকম জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়েছেন। কতজন হাত-পা হারিয়েছে। জনির মত তরুণ ছেলে জীবন দিয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে এই জায়গায় নিয়ে এসে ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। সাবের হোসেন চৌধুরীর দায়ী নয় কি? তার নির্দেশেই ওই এলাকায় ১১ জন গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।তিনি বলেন, যার সন্তানকে খুন করা হয়েছে, সেই বাবার চোখের পানি মোছার টিস্যু এখনো তৈরি হয়নি। ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকার পাঁচ জন শহীদ হয়েছে। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। তার সহযোগী এই সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি তো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত পালিত। তাদের আমলে কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে টু শব্দ করতে পারেনি। বিএনপির পক্ষে, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে এবং তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলতে পারেনি। এজন্যই তিনি (সাবের হোসেন চৌধুরী) গুম ও খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন।রিজভী বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছেন। তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সে যদি জামিনে মুক্তি পায় তাহলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারি, যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে- তারা তো কয়েকদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে। এর উত্তর কী দিবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।পরে সাবের হোসেন চৌধুরীর গ্রেফতারের দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।এসএফ
গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপরিহার্য শর্ত হলো, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) শহিদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহিদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।তারেক রহমান শহিদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম উল্লেখ করেন বলেন, রক্তমাখা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শহিদ জেহাদ পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদাত বরণ করেন এ অকুতভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।তারেক রহমান বলেন, তাই শহিদ জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।এবি
সংবিধান টেনে রুমিন ফারহানা বললেন, ‘শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ঠিকই বলেছেন, দেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে আয়োজিত ‘সংবিধান : ক্ষমতার না জনতার’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বর্তমান সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কি কোনো সংবিধান আছে নাকি নেই? নেই, যদি সংবিধান না থাকে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিল কী করে? এটা একটা ওপেন ডিসকাশনের জায়গা।’‘এক হচ্ছে, যদি সংবিধান না থাকে তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় কী করে। দুই হচ্ছে, যদি এই সংবিধান থেকে থাকে তাহলে একটা ভয়ংকর খবর আমাদের সবার জন্য অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনা কিন্তু এখনো প্রধানমন্ত্রী। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বভার নেওয়ার আগ পর্যন্ত পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী তার পদে বহাল থাকবেন।’রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মকে না মেলানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা নতুন প্রজন্ম। আপনাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ জানাই, ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখবেন। রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের জায়গায় রাখবেন। কোনো দিন রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মকে, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মেলাবেন না।’তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে ২ক অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম। তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে। একই সংবিধানের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার যে মূলনীতি বলা আছে, তার একটি হলো জাতীয়তাবাদ, আরেকটি সমাজতন্ত্র, অন্যটি গণতন্ত্র ও অন্যটি ধর্মনিরপেক্ষতা। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রেখে আপনি কী করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি করলেন?’সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে এই বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘এই সংবিধান আগামী প্রজন্ম রাখবে কিনা সেটি নিয়ে আলাদা আলোচনা হওয়া দরকার। তবে এই সংবিধান কি আবারও সংশোধিত হবে, নাকি নতুন করে আমরা লিখব, সেটি নিয়ে গণভোট হতে পারে।’ আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।এসএফ
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
মিরপুরে অভিনব কায়দায় টাকা লুট: গ্রেফতার ৬
রাজধানীর মিরপুরে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাকছুদের রহমান এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা হারুনুর রশিদ নাফকো ডেভেলপার কোম্পানীর কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট কিনতে বায়নার টাকা দিতে মিরপুরের একটি বাসায় যান। এসময় দুটি ব্যাগে ৭২ লাখ টাকা নিয়ে গেলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুটে নেয় কয়েকজন।পরবর্তীতে এ বিষয়ে মামলা করার পর পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে আটক করে। একইসঙ্গে ৫৭ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, ডেভেলপার কোম্পানির এমডি ফয়সালের পরিকল্পনায় গ্রাহকের কাছ থেকে এভাবে টাকা লুট করানো হতো। ফ্ল্যাট বা জমির টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে ব্যাংকে না নিয়ে ক্যাশ নেয়ার জন্য চাপ দিতো ডেভেলপার কোম্পানির অভিযুক্ত ওই এমডি। সেসব টাকা নগদ নিয়ে দলিল করে দেয়ার কথা বলে অন্য ঠিকানায় আসতে বলে, সংঘবদ্ধভাবে টাকা লুট করতো কোম্পানির লোকজন।এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৪ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। তবে এমডি ফয়সালকে এখনও ধরা যায়নি।এসএফ
এম. আজিজুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কণ্ঠস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সচিব, কবি, সাহিত্যিক এম. আজিজুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৯ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে সময়ের কণ্ঠস্বর কার্যালয়ের হলরুমে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এতে আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার ও এম আজিজুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম আহসানুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সময়ের কণ্ঠস্বর ও আম্বালা ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সময়ের কন্ঠস্বর পরিবারের পক্ষ থেকে এম. আজিজুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে অবস্থিত জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে কবর জিয়ারত করা হয়।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ০৯ অক্টোবর সবাইকে কাঁদিয়ে বার্ধক্যজনিত কারণে চিরবিদায় নেন এম. আজিজুর রহমান। গুণী এ মানুষটি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'সময়ের কন্ঠস্বর' এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৩ সালের ১৪ জুন 'প্রজন্মের সংবাদ মাধ্যম' স্লোগান নিয়ে যার যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর কীর্তিধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে আজ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে কোটি পাঠকদের মন জয় করেছে।বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বরেণ্য এই মানুষটি মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের ইটখোলা বাজিতপুর গ্রামে ১৯৪৩ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আঃ মান্নান ও মা শিরিন জাহান।প্রচারবিমুখ এই মানুষটি মাদারীপুরে মায়ের নামে স্কুল-কলেজসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।এসএফ
বাস চাপায় নারীর মৃত্যু: প্রগতি সরণি অবরোধ
রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকার ফুজি ট্রেড সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নেক্সট ভেনচার কোম্পানির এক কর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন তার বোন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোম্পানিটির কয়েকশ কর্মী ঘটনাস্থলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। এর ফলে প্রগতি সরণি এলাকায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।নিহতের নাম আইরিন (২৪)। এ ঘটনায় নারীকে চাপা দেওয়া বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।বুধবার (৯ অক্টোবর) ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ। পোস্টে বলে হয়, বাড্ডা ট্রাফিক জোনের অধীন ফুজি ট্রেড সেন্টারের সামনে আউটগোয়িংয়ে আকাশ পরিবহন বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে নেক্সট ভেনচার কোম্পানির একজন নারী কর্মী ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ওই কোম্পানির কর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার কারণে রামপুরা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কের দিকে এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চেষ্টা করা হচ্ছে। সড়কে অবস্থান নেওয়া লোকজন সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.আব্বাস বলেন, সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দুর্ঘটনার পর ওই কোম্পানির কর্মীরা রাস্তায় অবরোধ করেন। তাদের অনেকেই রাস্তা ছেড়ে এখন চলে গিয়েছেন। তবে কিছু লোকজন আছে তারা সরে গেলে রাস্তায় যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার এইচ এম শফিকুর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাড্ডায় ফুজি ট্রেড সেন্টারের সামনে আকাশ পরিবহনের একটি বাসের চাপায় আইরিন নামের ওই নারীর প্রাণ যায়।এবি
শ্রেণিকক্ষের দরজা আটকে শিক্ষার্থী পেটানোর ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় ছাত্র নির্যাতনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সালাম পছন্দ না হওয়ায় দরজা বন্ধ করে নির্মমভাবে পেটালেন ছাত্রকে’ এই শিরোনামে শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। যা নজরে আসে আমলি আদালতের।এ ঘটনা নজরে এলে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত বলেন, পল্টন থানার ওই স্কুলে জামাল হোসাইন নামে এক শিক্ষক ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে কক্ষের দরজা বন্ধ করে নির্যাতন ও মারধর করেন। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য শিক্ষার্থীকেও বিভিন্ন কারণে মারধর ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় প্রকাশ পাওয়া এ ঘটনা শিশু আইন, ২০১৩ এর ৭০ ধারা এবং পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৪২ ধারাসহ অন্যান্য ধারার অপরাধকে আকৃষ্ট করে।এমন অবস্থায় পল্টন মডেল থানাকে সিসিক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ভিকটিম ও প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এসএফ
গ্রাহক পিটিয়ে ক্ষমা চাইল স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ
কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। স্টার কাবাবের ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে তারা দুঃখপ্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে পুনরায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে রেস্টুরেন্টটি। বিবৃতিতে তারা জানায়, রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে আমাদের বনানী স্টার কাবাবে একজন সম্মানিত কাস্টমারের (গ্রাহক) সঙ্গে একজন কর্মচারীর ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত। সেইসঙ্গে আমরা আমাদের এই সম্মানিত কাস্টমারের কাছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আমাদের সম্মানিত কাস্টমারদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে ঐতিহ্যগতভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিবারণে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। স্টার কাবাব সম্মানিত কাস্টমারদের সর্বাধিক মর্যাদায় মূল্যায়ন করে। ফের এমন ঘটনা না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব কর্মচারীর পক্ষ থেকে সম্মানিত এই কাস্টমারের কাছে পুনরায় আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবার ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সহযোগিতায় সমৃদ্ধি অর্জন, স্টার কাবাবের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে স্টার কাবাবের বনানী শাখায় সাংবাদিক ও কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে মারধর করা হয়। জানা গেছে, রবিবার দুপুরে অলোক তার এক বন্ধুর সামনে পরিবেশন করা খাবারে গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়। একথা শুনে গ্রাহক প্রতিবাদ করলে আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন।এতে ম্যানেজার কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন এবং স্টাফরা অলককে ধাক্কা দিতে দিতে দোতলা থেকে নিচতলায় নামান এবং নিচতলায় সিঁড়ির নিচে ফেলে ব্যাপক মারধর করেন। এতে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মী হামলায় অংশ নেন। পরে আহত সাংবাদিক অলককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এবি
মেহেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধে জোড়া খুন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে বোন ও ভাইয়ের বউ খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সানঘাট গ্রামের দাড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- সানঘাট গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী জাকিয়োল ইলমা (৪৫) ও চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী জোছনা খাতুন (৫৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন স্বামী জাহিদ হোসেন ও আরেক বোন শামীমা আক্তার।আহতরা মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘাতকের নাম মহিবুল ইসলাম ওহিদ।নিহত ইলমা ঘাতকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও জোছনা খাতুন তার বড় বোন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয়রা জানায়, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। শনিবার সকালে নিহত জোছনা খাতুন অপর বোন শামীমা খাতুন বাবার ১ একর ২৭শতক জমির পুকুরে মাছ ছাড়তে এসেছিলেন। বিষয়টি মীমাংসা জন্য সবাই বাড়িতে বসেছিলেন। একপর্যায় বোন জোছনা খাতুন, ছোট ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া পুকুরে মাছ ছাড়তে যান। এসময় মহিবুল ইসলাম ধারালো রামদা দিয়ে তাদের একের পর এক কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বোন জোছনা খাতুন ও ভাইয়ের স্ত্রী জাকিয়া।ওসি তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা, পুলিশ, সেনাবিাহিনী, র্যাবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।এমআর
ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২
ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্তে দুজনকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় সদরের কালিয়ানী সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় পাচারকারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি।আটকরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার খোড়দো এলাকার আজিজুল ইসলাম গাজী(৪৫) ও একই এলাকার শাহানারা খাতুন(৪২)। তাদের কাছ থেকে ভারতীয় রুপি, ভারতীয় নকল আধার কার্ড ও নকল জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। বিজিবি অধিনায়ক জানান, সদর উপজেলার কালিয়ানী সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে ভারতে পাচার করা হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় কালিয়নী বিওপির সীমানা পিলার ৭/৬৬ এস হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। আটককৃতদের সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত তিন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এআই
কোষ্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১
খুলনার কামারখোলায় যৌথ অভিযানে ১টি অবৈধ ওয়ান শুটার পাইপ গান, ৪ রাউন্ড কার্তুজসহ ১ জন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. মুনতাসীর ইবনে মহসীন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদকর্মীদের এ তথ্য জানান।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন কামারখোলা ইউনিয়নে শাহারাবাত এলাকায় শাহ আলম শেখ (৫৪) নামক একজন দুষ্কৃতকারী অস্ত্র ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে আজ আজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ১টায় ঐ এলাকায় কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট নলিয়ান এবং বাংলাদেশ পুলিশ এর সমন্বয়ে একটি বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে শাহ আলম শেখকে ১টি অবৈধ ওয়ান শুটার পাইপ গান, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ২ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ আটক করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটককৃত ব্যক্তিকে জব্দকৃত সকল আলামতসহ দাকোপ থানায় হস্তান্তর করা হয়।এআই
যশোরে সাবেক স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা
যশোরে নুর নাজমা বেগম (৩০) নামে এক নারীকে তার সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন জবাই করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১১ পক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের গোয়ালদহ এলাকার মুকুল ব্রিকসের পাশের নির্জন স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত নাজমা গোয়ালদহ গ্রামের মিয়াপাড়ার মশিউর রহমানের মেয়ে। নিহতের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এ এস আই রুবেল হোসেন জানান, দুপুরে নাজমা মুকুল ব্রিকসের দক্ষিণ পাশের মাঠে গরু আনতে যান। এ সময় সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন একা পেয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নাজমা ৪ বছর আগে সালাউদ্দিনকে ডিভোর্স দেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় সালাউদ্দিন তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার সকালেও সালউদ্দিন নাজমার বাবার বাড়িতে এসে গালিগালাজ করে চলে যায়। দুপুরের মাঠে একা পেয়ে হত্যা করেছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার পর থেকে সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছে। তাকে আটকে অভিযান চলছে। এআই
বেনাপোলে ৪৫৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক ৫
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী দৌলতপুর গ্রামে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের ৪শ‘ ৫৬ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ পাঁচ মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোর থেকে বিকেলে পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আলতাফ হোসেন (৫০), একই এলাকার খোরশেদ আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫), মৃত বরকত আলীর ছেলে শফিকুর রহমান ওরফে ডালিম (৩৪), ফজের আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (২৬) ও মৃত সাহেব আলীর ছেলে আরিফুর হোসেন (৩৫)।যশোর র্যাব-৬ ক্যাম্পের অধিনায়ক ফ্লাইট লে. মো. রাসেল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল সীমান্তের দৌলতপুর গ্রামে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি থেকে মোট ৪শ' ৫৬ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে র্যাব কৌশলে এক জনের মাধ্যমে আর একজন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করে এসব ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এসব মাদকদ্রব্যের চালান সরবরাহের জন্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করা ছিল। যার মূল্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা।তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে বিক্রি করে আসছিল। আটককৃত আসামী আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা এবং অপর আসামি আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলা, একটি হত্যা চেষ্টা মামলা ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। এআই
চট্টগ্রামের ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে: এ্যানী
বিএনপির যুগ্ম মহা সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, চট্টগ্রামে মন্ডপে ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। এ ষড়যন্ত্র যদি তারা সফল করতে পারে তাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হবে। তারা দূর থেকে ষড়যন্ত্রের জন্য টাকা ব্যয় করতে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে শহরের আনন্দময়ী কালি বাড়ি পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।এ্যানি আরো বলেন, অনেক দূর থেক টাকা দেয়া হচ্ছে। লুটের টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবেনা। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতও হিন্দুদের বাড়ি দখল সহ নানান ভাবে নির্যাতন করেছে। আর বিএনপি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। এদেশের সবার সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে অতীতেও চলেছে, বর্তমানেও চলছে, ভবিষ্যতেও চলবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, এড. হাফিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহীম সহ দলীয় নেতাকর্মী এবং পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীবৃন্দ।এমআর
ঈদগাঁওতে ৩ সহোদর আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক অপকর্মের অভিযোগ
কক্সবাজারের ঈদগাঁওর জালালাবাদ লরাবাকের মরহুম মুহাম্মদ ইদ্রিসের চার ছেলের তিনজন এসএম তারিকুল হাসান (৪৮), মোরশেদুল হাসান (৪৫) ও ইমরুল হাসান রাশেদ (৪০)। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা তিনজনের জীবনাচার ছিল অতি স্বাভাবিক। বড় ভাই অপ্রকৃতস্থ, ফলে ঘরের হাল ধরতে 'অনুরোধে চাকরি মেলা' সময়ে এলাকার প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে 'ইউনিয়নের এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তির তদবিরে' সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান মেঝ ছেলে এসএম তারিকুল হাসান। সেজ ছেলে মোরশেদ চাষাবাদ ও ঘর দেখাশোনা এবং ছোটজন ইমরুল রাশেদ পড়ালেখার পাশাপাশি ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মী।কালের প্ররিক্রমায় ২০১৪ সালে এসে ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের সাথে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান ইমরুল হাসান রাশেদ। এ-পদবীটি পুরো পরিবারের 'আলাদীনের চেরাগ' হয়ে আবির্ভাব হয়।জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে আর পেছনে থাকাতে হয়নি রাশেদকে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা ছাত্রলীগে গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে করেছেন কমিটি বাণিজ্য। দায়িত্বপাওয়ার দু'বছরের মাথায় ২০১৬ সালে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে লড়েন রাশেদ। 'ছাত্রলীগের মান রাখতে' দিনে-দুপুরে জয় ছিনিয়ে নিয়ে হন চেয়ারম্যানও। পালন করেন চেয়ারম্যানির সাথে ছাত্রলীগের দায়িত্বও। প্রায় একবছরে মাথায় বিতর্কের মুখে ছাত্রলীগ ছাড়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় আট বছর (২০২৪ এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত) দায়িত্বকালে পরিষদের বিভিন্ন খাতের আয়ের কোটি টাকা 'তসরুফ' করেন রাশেদ। যা নিয়ে দুদকে অভিযোগ হওয়ার পর এখনো তদন্ত চলছে। এসবের পাশাপাশি ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদী হতে ইজারাবিহীন বালি উত্তোলন শুরু করেন চেয়ারম্যান রাশেদ। কিন্তু দলের উচ্চ থেকে জেলা পর্যায় সবখানে যোগাযোগ ভালো থাকায় কেউ 'টুঁশব্দও' করতে পারেননি। বাড়ির সবার ছোট ভাই সহজ উপায়ে কোটি টাকা আয় করছে দেখে লোভে পড়ে টাকা আয়ে মাঠে নামেন শিক্ষকতায় থাকা মেঝ ভাই তারিকুল হাসান। তাকে দেখে থেমে থাকেননি সেজ ভাই মোরশেদও। চেয়ারম্যান ভাই নদীর যেখানে সেলোমেশিন বসায় তার এপাশে-ওপাশে বাকি দুই ভাইয়ের মেশিন বসেছে। ঈদগাঁও বাজার হতে পোকখালী পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটারে অসংখ্য মেশিন বসান তারা। এভাবে জালালাবাদ মনজুর মৌলভীর দোকানের পাশে জালালাবাদ-পোকখালী সংযোগ সেতুর নিচে রাত-দিন তিনটি মেশিনে নির্বিচারে বালি তোলায় ২০২১ সালের শুরুতে প্রথম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দুটি গার্ডারসহ ব্রীজটি নদীতে তলিয়ে যায়। এ ব্রিজ দিয়ে পোকখালীর লবণ মাঠ, বাজারসহ সবখানে সহজ পারাপার ছিল দু'পারে লাখো মানুষের। তা বন্ধ হয়ে যায়। পরিষদের কোটি টাকা তসরুফ, অনিয়ন্ত্রিত বালি উত্তোলনে ব্রীজ ধসে যাওয়ার পর এলাকায় অসন্তোষ দেখা দিলে নিজেকে রক্ষায় সাবেক হুইপ সাইমুম সরোয়ার কমলকে হাত করে বাগিয়ে নেন নব সৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি। এরপর তিনভাই আরো বপেরোয়া হয়ে জালালাবাদের তিন ফসলী ধঙ্কাবিলের ২৫০ একর জমির 'টপসয়েল' স্কেবেটর দিয়ে দিবা-রাত্রি ডাম্পারে করে ইটভাটা ও মানুষের ভিটা ভরাতে বিক্রি করেন। এভাবে প্রতিটি জমি এক থেকে তিনফুট নিচু করে ফেলায় এখন অনেক জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে, কিশোর ও অপরাধী গ্যাং দিয়ে হয়রানি করায় ক্ষমতার দাপটের কারণে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। পুরো আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে যখন-তখন স্কুল হতে বেরিয়ে গেলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ঠিকই নিয়েছেন মাস্টার তারেক। ভাই সরকারি দলের বড় নেতা হওয়ায় এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষও তাকে কিছু বলতে পারেননি। স্কুলের পাশে বক্তার মার্কেটে অফিস খুলে তাতে বিচারালয় খুলেন তিনি। ভাইয়ের ক্ষমতায় জমিদখল, টাকা আদায়, মারামারিসহ সব ধরণের বিচার করতেন তিনি। এসময় উভয়পক্ষ হতে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ায় অনেককে অন্যায় নির্দেশনাও মানতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের ক্লাসে নিয়মিত না হওয়ার বিষয়ে বললেই, ক্রিমিনালির মাধ্যমে স্কুলে নানাভাবে অশান্তি সৃষ্টি করতেন। ৫ আগস্ট দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলে তার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইমরুল রাশেদ এবং অপরভাই মোরশেদ দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়েছে। তারেকও কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু ছোট ভাই মোরশেদের শ্বশুর বিএনপির উপজেলা নেতা শুক্কুর ও প্রতিবেশি বিএনপি নেতা শওকতের ছত্রছায়ায় আবার স্কুল এবং এলাকায় ফিরে আগের সব অপকর্ম ধারাবাহিক রেখেছেন মাস্টার তারেক। কিন্তু তারা তিনভাইয়ের করা অপকর্মে জালালাবাদ, ঈদগাঁও, পোকখালী ইউনিয়নের লাখো মানুষ এখনো আগের মতোই ভোগছেন। এসব কথা উল্লেখ করে জালালাবাদ-পোকখালীর একাধিক ব্যক্তি তারিকুল হাসান তারেক, তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান রাশেদ ও মোরশেদের বিচার দাবি করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের কপি, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিজি মাউশি, আঞ্চলিক পরিচালক মাউশিঅ, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে অভিযোগকারিরা লিখেন, গত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্কুল ফাঁকি দেয়া, স্কুল কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ না করা, ঈদগাঁও নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন, ধঙ্কাবিলের ২৫০ একর ধানী জমির টপ সয়েল কেটে অবৈধ মাটির ব্যবসা করে কোটি টাকা আয় করলেও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্কুলের উপস্থিতি রেকর্ড বইতে স্বাক্ষর করিয়ে নিতেন। আওয়ামীলীগ নেতা ভাইয়ের দাপটে সবাইকে হুমকি-ধমকিতে রাখতেন তিনি। যদিও কোনদিন ক্লাসে আসলে গল্প-গুজব করে ফোনে ব্যস্ত সময় কাটাতেন। সম্প্রতি ক্লাসের পুরো সময় জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে বসে পায়ের উপর পা রেখে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে তার অলস সময় কাটানোর একটি ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবে ফাঁকি দিতেই, ম্যানেজিং কমিটি স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তে তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। বর্তমানে নিজের অপকর্ম সচল ও নিজেকে নিরাপদ রাখতে এলাকার ছাত্র সমন্বয়ক দাবি করা অছাত্র একঝাঁক তরুণকে অবৈধ আয়ের টাকায় লালন করছেন মাস্টার তারেক। সাথে হাতে নিয়েছেন ডানদল সমর্থক বেশ কয়েকজন শিক্ষককেও। এভাবে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করতে নানা ভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। কেউ প্রতিবাদ করলেই তারেক মাস্টার ও তার সিন্ডিকেট টোকাই শ্রেণি দিয়ে লাঞ্চনা এবং ভাইয়ের শশুর বিএনপি নেতাকে দিয়ে প্রশাসন ম্যানেজ করছেন। অথচ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে তার ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি, তারা তিন ভাইয়ের অপকর্মে আমরা এলাকাবাসী ক্ষতির সম্মূখীন ও অসহায়ত্বের সীমা ছিলনা। ধঙ্কাবিলের ধানী জমির ক্ষয়ক্ষতি, বালি উত্তোলনে ব্রীজ ধ্বংস ও ঈদগাঁও নদীর দুই পাশের বেড়ীবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ করায় জনস্বার্থে তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হউক। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও ব্রীজ এলাকার বাসিন্দা ওসমান সরোয়ার ডিপো জানান, তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল রাশেদের পরিবারের সদস্যদের কারণে ব্রীজটি তলিয়ে গিয়ে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্রীজটির পশ্চিমের বামাংশের বাঁধটি ভেঙ্গে অর্ধশতাধিক বাড়ি, সড়ক, পুকুর ও নানা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাউবো ভাঙ্গন মেরামতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে সাব কন্ট্রাকে কাজটি নেন চেয়ারম্যান রাশেদ নিজেই। ভাঙ্গন বাঁধতে ব্রীজের মাঝের পিলারে কাছাকাছি এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলে। ব্রীজের ক্ষতির শংকায় স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তিনি (চেয়ারম্যান) কর্ণপাত না করায় ইউএনওকে অভিযোগ করা হয়।এরপর ড্রেজার বসিয়ে ব্রীজের গার্ডারে কিনার থেকেই বালু তোলা হয়েছে। তার সাথে যোগ দেয়, চেয়ারম্যানের দু'সহোদরও। ফলে ২০০৬-০৭ সালের দিকে তৈরী গার্ডার ব্রীজটি কয়েক বছরের মাথায় তলিয়ে স্মৃতি হয়ে গেল। চেয়ারম্যানরা তিন ভাইয়ের লোভের কু-ফল ভোগ করছে নিয়মিত যাতায়তকারি লাখো মানুষ। পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ বলেন, কিছু মানুষের লোভের কারণে সেতুর মাঝ অংশ ভেঙে যাওয়ায় পোকখালী ও জালালাবাদসহ অন্যান্য এলাকার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা দূর্ভোগে পড়েছে। ব্রিজটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চলছে। দেশের বাইরে থাকায় সেতু ভাঙ্গাসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে জানতে জালালাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল রাশেদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।তবে, তার ভাই আরেক অভিযুক্ত তারিকুল হাসান তারেক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি সংক্ষুব্ধ পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মূলত তারাই ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করছেন। তারপরও বলবো; তদন্তে এইসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত আইনে যে শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নেবো। ক্লাস চলাকালীন সময়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওইদিন আমার শরীরে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর ছিলো। প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটির আবেদন করলে তিনি ছুটি দেন নি। একারণে শরীরে ঝিমুনিভাব চলে আসায় ক্লাসে বসে একটু আরাম করছিলাম দাবি করেন তিনি।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে একজন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তথ্যের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এইচএ
মিরসরাইয়ে মন্দির পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
যেহেতু আগামীকাল রবিবার বিসর্জন আমরা যদি এখন একটু স্বস্তিতে থাকি তাহলে যেকোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই পূজার শেষ সময়েও সবার চোখ কান খোলা রাখতে হবে। শেষ সময়েও সবাইকে এলার্ট থাকতে হবে।শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় মিরসরাই পৌর সদরের জগদ্বেশ্বরী কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক।এরআগে, সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ডিগনিটি বক্স, ফ্যামিলি কিট বক্স ও এককালীন অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাবরিনা লিনার সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ।অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮০ পরিবারকে ডিগনিটি বক্স ও ফ্যামিলি কিট বক্স এবং ৬৪ পরিবারের মাঝে ৭ হাজার টাকা নগদ অর্থ তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সিএসপিবি প্রকল্প এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ।পরবর্তীতে দুর্গাপূজা পরিদর্শনের সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন, জগদ্বেশ্বরী কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির কমপ্লেক্সের সভাপতি সুদর্শন রায়, সাধারণ সম্পাদক জহরলাল নাথ অভি, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সুভাষ সরকার ও উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযপান পরিষদের সভাপতি পরিমল কর্মকার প্রমুখ।এআই
নোয়াখালীতে ৫ আগস্ট পুলিশ হত্যায় তিন আসামি গ্রেফতার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানায় পুলিশ হত্যাসহ অস্ত্র-গুলি ও মালামাল লুটের ঘটনায় জেলা পুলিশ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্ধিগ্ধ ৩ আসামিকে। সোনাইমুড়ী থানার কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম হত্যায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক তাদের কাছ থেকে নিহত পুলিশ সদস্যের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা।শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন ইমন (২২) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যারবাগ গ্রামের এক কিশোর (১৬)।পুলিশ সুপার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সোনাইমুড়ী বাইপাস বাসস্ট্যান্ড থেকে নাইম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে সন্ধ্যায় ভাওরকোট গ্রাম থেকে ইমাম হোসেন ইমনকে এবং রাতে বাইপাস সড়ক থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের কাছ থেকে নিহত কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনার তিনদিন পর গত ৮ আগস্ট দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে আসামি ইমাম হোসেন ইমনের মেসেঞ্জারে ওমর ফারুককে পাঠানো ভয়েস মেসেজ পাওয়া যায়। যাতে আসামি ইমন পুলিশ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এছাড়াও মোবাইলে আসামিদের একে অপরের কললিস্ট পাওয়া যায়।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক আরও বলেন, শুক্রবার আসামিদেরকে ৫ আগস্ট থানায় আক্রমণ ও পুলিশ হত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক আফসানা রুমির কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ককে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম, (ক্রাইম এন্ড অপস্) নোয়াখালী, সহকারি পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ (চাটখিল সার্কেল), অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, সোনাইমুড়ি থানা ও মামলা সংশ্লিষ্ট এস আই মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান প্রমুখ।এআই
চকরিয়ায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আসিফ নেওয়াজের নেতৃত্বে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের জেলে পাড়া পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।এসময় মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলা উদ্দিন লিটন,যুগ্ম আহবায়ক জুসেফ বিন হায়দার ও যুগ্ম আহবায়ক ছৈয়দ নুরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আসিফ বলেন-দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। স্বৈরাচারের অনুসারীরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে নির্দেশে মাতামুহুরী ছাত্রদল সনাতন সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের পূজা মণ্ডপ বাড়িঘর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় কাজ করছে।মাতামুহুরী ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ একইসাথে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে সহায়তা করার লক্ষ্যে পাহারা দিচ্ছে বলে জানান।এআই
কোটালীপাড়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ঢাকাস্থ কান্দি ইউনিয়ন যুব সংঘের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার তারাকান্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হয়। কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কমিশনার (কাস্টমস) অরুণ কুমার বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা ক্যাম্পটির উদ্ধোধন করেন। ঢাকাস্থ কান্দি ইউনিয়ন যুব সংঘের সভাপতি বিপ্লব বৈরাগীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন্ত কুমার হালদার, সাবেক সভাপতি সংবাদিক প্রশান্ত অধিকারী, এডভোকেট লেখক খান চমন-ই- এলাহি, সমাজসেবক সুরুজিত বিশ্বাস, ডাক্তার হরিপদ রায়, সাংবাদিক মিজানুর রহমান বুলু বক্তব্য রাখেন। কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, ঢাকাস্থ কান্দি ইউনিয়ন যুব সংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর তারা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছে। তাদের এই কর্মকান্ড আগামীতেও অব্যাহত থাক এই প্রত্যাশা করছি। এমআর
সাবেক সেতু মন্ত্রীর স্ত্রীর ড্রাইভারের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রাইভেটকার চালকের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স আলিশান বাড়ি নির্মাণ নিয়ে উঠেছে নানা গুঞ্জন। জনমনে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা সহ হাজারো প্রশ্ন। আলোচিত এই ড্রাইভারের নাম আতিকুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়ি চালক হিসেবে পরিচিত। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে নিজ গ্রামে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। এছাড়া ঢাকায় রয়েছে তার একাধিক ব্যবসা। প্রাইভেটকার চালক হয়ে আতিকের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ অর্জনে তার অর্থের উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় জনগন ও প্রতিবেশী জানান, সিংগাইর পৌর এলাকার কাশিমনগর মহল্লার মৃত লেহাজুদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৮)। সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়ার ইতি টেনে ড্রাইভিং পেশা বেছে নেন। এলাকায় কর্মজীবন শুরু করেন বেবি ট্যাক্সি চালিয়ে। পরবর্তীতে ঢাকায় বড় ভাইয়ের ড্রাইভিং পেশায় চাকরির সুবাদে তার তদবিরে সুযোগ হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগে গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করার। দায়িত্ব পান সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর প্রাইভেটকার চালক হিসেবে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আতিককে। তাদের আস্থা অর্জন করে বিভিন্নভাবে অবৈধভাবে কামিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। গ্রামের বাড়িতে নির্মাণ করেন দৃষ্টি নন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। পাশাপাশি ঢাকায় শুরু করেন জেন্টস্ পার্লার ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশপাশের একাধিক ব্যক্তি জানান,করোনাকালীন সময়ে সিংগাইর থেকে কোনো ইটভর্তি ট্রাক ঢাকায় ঢুকতে বিধি- নিষেধ থাকলেও আতিক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে গাড়ি প্রতি ৫ হাজার করে টাকা নিয়ে গাড়ি প্রবেশ করার ব্যবস্থা করে দিতেন। এতে সিংগাইরের ভাটা মালিকরাও তার শরণাপন্ন হতেন। এভাবে আদায় করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা। তারা আরো বলেন, আতিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে সামান্য গাড়ি চালকের চাকরি করে কিভাবে শহরে একাধিক ব্যবসা ও গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেন। বিষয়টি টক অব দ্যা সিংগাইরে পরিনত হয়েছে । অভিযুক্ত প্রাইভেটকার চালক আতিকুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি । তবে আতিকের ছোট বোন রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ভাই ঢাকায় চাকরি ও ইটের ব্যবসা করেন। পাঁচ - ছয় বছর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন । এখন ছোট খাটো সাহেবের গাড়ী চালায়। বেঁচে থাকাবস্থায় আমার মাকে দেখানোর জন্য বাড়িটি নির্মাণ করেছেন। আতিকের মা ছাহেলা খাতুন বলেন, আমার ছেলে সরকারি চাকরি করে, গাড়ী চালায়। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি দোকান আছে পার্টনারে ব্যবসা করে। তিনি আরো বলেন, বাড়ি নির্মাণে ২ কোটি টাকার মতো ব্যয় তো হবেই। আমার ছেলেটা এখন চাপের মধ্যে আছে। বিভিন্ন লোকজন বাড়িতে এসে টাকা পয়সা দাবী করে বলেও জানান তিনি। সিংগাইর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুস বলেন, আমাদের কাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা। তদন্তের এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে এ বিষয়ে দুদকে কেউ অভিযোগ করলে কমিশন তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক ( সুজন) এর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবৈধ সম্পদ হলে তা সরকারি কোষাগারে নেয়া দরকার। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজ উল্লাহ বলেন, কেউ দু্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ করে থাকলে তবে সেটা সরকারিভাবে তদন্ত হওয়া উচিত । এটা আমার দুদক চায়, পিপি হিসেবে আমিও চাই । আমাদের কাছে কোনো রেকর্ড না আসা পর্যন্ত আমলে নিতে পারি না।এমআর
বিচার দেখেই জনগণ বুঝতে পারবে আমাদের পদক্ষেপ: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের কাজ ও কর্মের মধ্যে দিয়েইে জনগণ বুঝতে পারবে আমাদের পদক্ষেপ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরেপক্ষতা ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার বাড়ীর ঐতিহ্যবাহী পূজাম-প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এসময় তিনি বলেন, এই পরিবারের সাথে আমাদের অনেক পুরোনো সম্পর্ক। এখন উৎসবের সময় যাচ্ছে। তাদের সাথে সামিল হতে পারাই আমাদের সৌভাগ্য।এর আগে তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাকে গার্ড অনার প্রদান করা হয়। পরে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ীর পূজাম-প পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সাথে সৌজন্যে স্বাক্ষাত করেন।এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুসহ অন্যরা।এমআর
দখলদারি, চাঁদাবাজিতে 'নতুন মুখ', নেপথ্যে কারা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুরোনো চাঁদাবাজদের জায়গায় আসছে নতুন চাঁদাবাজ। সেই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে চাঁদাবাজির ধরনও। নানা কৌশলে নীরব চাঁদাবাজির বিষয়টি ফুটপাতের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পরিবহন সেক্টরসহ এমনকি ড্রয়িংরুম পর্যন্ত সর্বত্র মানুষের মুখে মুখে চাউর। ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিগত ক্ষমতাসীন দলের নেতা- পাতিনেতা কারও যেন নিস্তার নেই চাঁদাবাজদের হাত থেকে ফসকে যাওয়ার। অনুসন্ধান ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, চাঁদাবাজদের সবচেয়ে বড় টার্গেট শিল্পাঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, বাস-সিএনজি স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাট ও হাটবাজার। এই চাঁদাবাজদের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের অনুগত হয়ে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা অতিষ্ঠ ছিলেন এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের অত্যাচারে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই সরকার পতনের পর নির্যাতিতরা ভেবেছিল তাদের ভাগ্যে বোধ হয় পরিবর্তন আসবে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা ঘটেনি। বিগত সরকারের আমলের চাঁদাবাজদের ছেড়ে যাওয়া শূন্য আসন পূর্ণ হতে সময় লাগেনি। কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, শুভাঢ্যা, আগানগর, শাক্তা, রোহিতপুর, বাস্তা, তেঘরিয়া, কোন্ডা ও হযরতপুর ইউনিয়নসহ ১২ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেই আবার নতুন করে শুরু হয়েছে দখল ও চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদাবাজরাও বর্তমান সময়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু অসাধু নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। তবে পুলিশের চাঁদাবাজি নিয়ে আপাতত তেমন অভিযোগ মিলছে না। উপজেলার কদমতলি গোলচত্বর সন্ধ্যার পর ফুটপাতে মোবাইল সামগ্রী বিক্রি হকারদের কাছ থেকেও নতুন মুখ চাঁদা নিচ্ছে উল্লেখ করে নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হকার বলেন, সরকার পতনের পর কয়েক দিন চাঁদা দিতে হয়নি। এখন নতুন একজন এসে টাকা নিয়ে যায়। তার নাম এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এ উপজেলার চাঁদাবাজদের সবচেয়ে বড় রাজত্ব আগানগর ইউনিয়নে কদমতলি গোলচত্বর, ব্রীজঘাট বাজার, জিনজিরা ফুটপাত, সিট কাটিং মার্কেট, রোহিতপুর-রামেরকান্দা স্ট্যান্ড বাজার, শাক্তার খোলামোড়া বাজার নৌ-ঘাট, কলাতিয়া বাজার, তেঘরিয়া আব্দুল্লাহপুর গাড়ি পার্কিং স্পট, স্ট্যান্ড বাজার, কোন্ডা মোল্লা বাজার, নৌ-ঘাট ও শুভাঢ্যার হাসনাবাদ স্ট্যান্ড এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আগে এসব এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করত ‘কিশোর গ্যাং লিডার রাসেল, ফরিদ, আব্দুল্লাহ, আতাউর, রাজিব, মোস্তান, মাসুদ, অপু, তাহের, জিলানী, জসীম, জুয়েল, টিটু, মুসলিম, এমরাত, দাদন ও রমজান’ সিন্ডিকেট। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও হাটঘাট ব্যবসায়ী, পরিবহন নেতা নামধারী এই চাঁদাবাজরা এখন সবাই পলাতক। কিন্তু তাতে থেমে নেই ওইসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের চাঁদাবাজি। এসেছে নতুন মুখ। কদমতলি-জনী টাওয়ার, চুনকুটিয়া-হিজলতলা, মাঠের কোন-বিশ্বরোড, রোহিতপুর-সৈয়দপুরসহ পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বহাল তবিয়তেই রয়েছে। পুরোনোর শূন্যস্থানে এখন সক্রিয় ‘নতুন মুখের’ চাঁদাবাজি।আগানগর কাঁচা বাজার ব্যবসায়ি খোরশেদ আলম জানান, টোকেন (রশিদ) ছাড়াই খাজনা উত্তোলন করেন ইজারাদাররা। ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে এই বাজারে কোনো ধরনের চার্ট নেই। ফলে যতখুশি তত টাকা নেন ইজারাদাররা। সবজি বিক্রেতা সৌরভ বলেন, মীর আসাদ হোসেন টিটু ইজারাদার থাকাকালে দৈনিক ২৫০-৫০০ টাকা খাজনা নিতো। কোনো টকেন দিতো না। এখন নতুন ইজারাদার চার্ট অনুযায়ী কম নিচ্ছে না বেশি নিচ্ছে তা আমরা বলতে পারি না। কদমতলি গোলচত্বর অটোরিকশা চালক হারুনুর রশিদ ও লেগুনা চালক বাচ্চু মিয়াসহ ট্রাক-পিকআপ স্ট্যান্ডের একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টের পরও আমরা চাঁদা দিতে না চাইলে তারা দল বেঁধে লাঠি নিয়ে কখনো গাড়ির গ্লাস ভাঙে আবার কখনো বা মারতে আসে। সারাদিন যতবার গাড়ি বের করি ততবারই চাঁদা দিতে হয়। আওয়ামী লীগ নেতা জাকির নামে গোলাম বাজার ব্যবসায়ী হিরাকে গত ৪ অক্টোবর, মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে গা-ঢাকা দিয়েছে। হিরা লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল জাকির, আনোয়ার ও শাহীন সন্ত্রাসী বাহিনী। তিনি তা দিতে পারেননি। সে কারণেই তাকে মারধর করা হয়েছে, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অর্থের বিনিময়ে নিজেদের রক্ষা করতে মরিয়া। বিগত বছরগুলোতে নিজেদের কুকর্ম ডাকতে প্রভাবশালী এসব চাঁদাবাজদের ম্যানেজ করেই ফিরছেন জনসম্মুখে। ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, অন্যায়, অপশাসন, চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব প্রতিরোধে বিএনপি সর্বশক্তি নিয়োগ করে জনগণের পাশে থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দখলদারকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই চাঁদাবাজরা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন এই নেত্রী।এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ জানান, চাঁদাবাজদের কোনো দল নেই। যে দলের বা মতেরই হোক না কেন, তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মডেল সব থানার পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে। এমআর
হোসেনপুরে পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে গিয়াস উদ্দিন (৮২) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।নিহত গিয়াস উদ্দিন উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের মৃত আমজত আলীর ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিখোঁজ হন গিয়াস উদ্দিন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। পরে তাকে না পেয়ে সন্দেহবশত বাড়ির পাশের পুকুরে জাল টানা হয়। একপর্যায়ে মাছের সঙ্গে ভেসে আসে তার মরদেহ। পরে সেখান থেকে লাশ বাড়িতে আনা হয়।শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এআই
মঠবাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ৪
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্প হতে ক্যাম্প কমান্ডার এর নেতৃত্বে উপজেলার ধানীসাফা গ্রামে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র (৪টি রামদা, ১টি চাপাতি, ১টি চাইনিজ কুড়াল), ১৩৫ পিচ ইয়াবা, ২০ গ্রাম গাঁজা, নগদ ১৫,৯০০ টাকা, ৮টি চোরাই মোবাইল, ১টি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।এসময় মো. হাফিজুর রহমান হাসিব পিতাঃ মো. হেলাল উদ্দিন (৩টি মামলা), নাজমুল শিকদার ওরফে কালিয়া পিতাঃ নাসির শিকদার (২টি হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা), মোঃ ফাহাদ পিতাঃ মোঃ কুদ্দুস মুন্সি এবং মো. তৌহিদুল ইসলাম পিতাঃ রিপন হাওলাদার নামে ৪ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।আটককৃতদের মঠবাড়িয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে মঠবাড়িয়া থানায় উদ্ধারকৃত সামগ্রীসহ হস্তান্তর করা হয়।মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, যৌথ অভিযানে আটককৃতদের নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।এআই
পটুয়াখালীর মহিপুরে রাতের আঁধারে মাছের ঘেরে বিষ, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি
পটুয়াখালীর মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়ার স্থানীয় ব্যবসায়ী সানু মিয়ার (৪৫) মাছের ঘেরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নজরে আসলে স্থানীয়রা ঘটনা স্থালে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।জানা যায়, বরাবরের মত গতকাল রাতে ঘেরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় যায় সানু মিয়া ও তার স্বজনরা। আজ সকালে এসে দেখেন রাতের আধারে কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করায় ঘেরের মাছ ছোটাছুটিকরাসহ মৃত মাছ ভাসতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী জুয়েল রানা বলেন, সকালে শুনতে পাই সানু মিয়ার ঘেরে মাছ মরে গেছে। এখানে এসে দেখতে পেলাম মাছ মারার বিষক্ত ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে ঘেরের সব মাছ মরে গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ মুসুল্লি বলেন, সানু মিয়া আমাদের এই মসজিদের একজন মুসুল্লি তার ঘেরে বিষ প্রয়োগের খবর পেয়ে এসে দেখলাম সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। কে বা কাহারা এমন বড় ক্ষতি করলো এটার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবী জানাই। ক্ষতিগ্রস্ত শানু মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গভীর রাতে কে আমার এতো বড় ক্ষতি করলো তা আমি জানি না৷ সকালে এসে দেখি আমার ঘেরের সব মাছ ভেসে উঠছে। পানি বেশি থাকায় তাৎক্ষণিক মাছ ধরতেও পারছি না। আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। লতাচাপলি ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি জানার জন্য ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি, সাংগঠনিক, সিনিয়ার সহ-সভাপতি সহ ঘটনা স্থালে এসেছি। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। কে বা কাহারা করেছে এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভুক্তভোগী শানু মিয়াকে মহিপুর থানায় বিষয়টি অবহিত করার কথা জানিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক। এবিষয় মহিপুর থানায় অভিযোগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।এআই
গলাচিপায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে জুলাই বিপ্লব স্মৃতি রক্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গলাচিপা সরকারি কলেজ শাখার আয়োজনে সকাল ১১টায় কলেজে প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণের মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান মামুন। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সত্তার হাওলাদার ও গলাচিপা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফোরকান কবির। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীসহ আরো অনেকে।এসময় প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় ও ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে কলেজ ক্যাম্পাসে ১০ টি ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেন তারা। বৃক্ষরোপণ শেষে হাসান মামুন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বৃক্ষ প্রেমী ছিলেন। তার স্মৃতি ধরে রাখতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা বৃক্ষরোপণে উদ্যোগী হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে আজকের এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি। তাদের স্মৃতি যুগ যুগ ধরে স্মরণ করিয়ে দিবে বৃক্ষগুলী।গড়ব মোরা সবুজ দেশ জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ- এ স্লোগানকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে বৃক্ষরোপণ করবে ছাত্রদল।এআই
গলাচিপায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের গলাচিপা উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যুব সমাবেশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গলাচিপা সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে কোরআন তিলোয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এ সমাবেশ। অনুষ্ঠিত সমাবেশে গলাচিপা উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি ডা. মো. মাসুম বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মু. শাহ্ আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, বাংলাদেশ ল'ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক এ্যাড. মু. আব্দুর রাজ্জাক,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক এবিএম সাইফুল্লাহ, বাইতুলমাল সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহাগ, জেলা সদস্য ও সাবেক গলাচিপা উপজেলা আমীর মাওলানা মু. ইয়াহিয়া খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা আমীর মাওলানা ডা. মু. জাকির হোসেন ও পৌর আমীর মাওলানা বেলাল বিন সুলতান। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা যুব বিভাগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বশার। এছাড়াও সমাবেশে যুব প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শাহ জুবায়ের আব্দুল্লাহ ও বরিশাল মহানগরীর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ইসলামি ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী ও যুব বিভাগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি জেলা আমীর অধ্যাপক মু. শাহ্ আলম যুব সমাজের উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদসহ মুক্তিকামী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার, নানা দুঃশাসন, অপকর্মের কথা তুলে ধরেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুব সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্র সংস্কার ও বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যুব সমাজ তাই তাদের সঠিক পথে চলার দিক নির্দেশনা দেন। মাদকের থাবা হতে যুবকদের রক্ষা করতে তিনি সকলকে আহ্বান জানান। যুব সমাজকে অন্যায় অপরাধ থেকে বাঁচতে সালাত আদায় করার তাগিদ দেন ও দ্বীন ইসলামের পথে চলার দিক নির্দেশনা বক্তব্যে তুলে ধরেন। এছাড়াও ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়, ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।এআই
পর্যটকে টইটম্বুর কুয়াকাটা, রুম না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে
পর্যটকের ঢল নেমেছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। শারদীয় দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে এই সাগর কন্যা খ্যাত কুয়াকাটা । তবে অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছে বালিয়াড়ির কিটকটে। অনেক ভ্রমণপিপাসু বলছেন, রুম না পেয়ে কুয়াকাটা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে ভিড় করেছে লাখো পর্যটক। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। সবাই মেতেছেন বাধভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাসে।খুলনা থেকে আগত পর্যটক মোহাম্মদ হাসান বলেন, সকালে বাস থেকে নামার পর হোটেল খোঁজাখুঁজি করলেও রুম পাইনি। তবে একটি কটেজে রুম পেয়েছি সেটার ভাড়া অনেক বেশি চায়। রুমের অবস্থাও ভালো না।রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক মারুফ হোসেন বলেন, সকালে কুয়াকাটা পৌঁছানোর পর অনেক হোটেলে গিয়েছি কিন্তু কোথাও রুম পায়নি। শেষমেশ বালিয়াড়িতে লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে বসে আছি। যদি কোনো রুম পাই তাহলে আজকে থেকে যাব, না হয় রাতের গাড়িতে রাজশাহী ফিরে যাব।ব্যবসায়ী ও পর্যটকের দেয়া তথ্য বলছে, ৪দিনের ছুটি মানেই কুয়াকাটায় পর্যটকের চাপ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ২ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট এখন পর্যটকে ঠাঁসা। অনেকেই রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন সৈকতের বালিয়াড়িতে। তারা বলছেন, রুম না পেয়ে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কুয়াকাটা হোটেল- মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, টানা ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটকদের আগমন ঘটে। তাই বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসার অনুরোধ করছি। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমিন বলেন, হঠাৎ করে এখানে পর্যাপ্ত পর্যটক বেড়েছে। বিষয়টি আনন্দের। তবে কিছু পর্যটক হোটেলের রুম না পেয়ে বাসা বাড়ি ও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি তারা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ বলেন, কুয়াকাটায় ছোটো বড় মিলিয়ে প্রায় ২শ' মতো আবাসিক হোটেল রয়েছে, দুর্গা উৎসবের টানা ছুটিতে রুম সংকট হওয়ায়, কমিউনিটি টুরিজমের আওতায় বাসা বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন পর্যটকরা, আবাসন সংকট দূর করার জন্য বিনিয়োগ কারীদের এগিয়ে আসা দরকার। টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আঃ খালেক বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের ৫টি টিম কাজ করছে, যদি কোনো পর্যটক রুম না পায়, আমাদের কাছে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি, এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।এআই
নেত্রকোনায় ভারতীয় মানব পাচারকারীর সদস্যসহ আটক ৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিজয়পুর সীমান্তে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময়ে ভারতীয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য সহ চারজন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। তার মধ্যে দুইজন বাবা-মেয়ে ও বাকি দুজন মানব পাচারকারীর চক্রের সদস্য। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন ৩১ বিজিবির পিবিজিএম অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এইসময় তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার ২৯০ ভারতীয় রুপি ও ৫ হাজার ৪৬৯ বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ (৫৬), দুর্গাপুর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের শ্রী জীবন দেবনাথ (২২), পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের অজিত দেবনাথ, পাচারের উদ্দেশ্যে আনা একই গ্রামের প্রিয়াংকা দেবনাথ (১৮) ও তার বাবা পরিমল দেবনাথ (৪০)। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১১ টায় উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১১৫৪/৪-এস এর ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজয়পুর মনতলা নামক স্থানে বিজিবির টহল দল সীমান্তের অভ্যন্তরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে পাঁচজনকে আটক করে। পরে তাদের টাকা পরিচয় পত্রের মাধ্যমে একজন ভারতীয় মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য ও বাংলাদেশী চারজনের পরিচয় সনাক্তের পর তাদের আটক করে বিজিবি। এইসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন ৩১ বিজিবির পিবিজিএমঅধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান জানান, ভারতীয় মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বাংলাদেশী সহযোগী অজিত দেবনাথ দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশী মানবপাচারকারী শ্রী জীবন দেবনাথ এর সহযোগীতায় সীমান্তের বিভিন্ন রুট দিয়ে মানব পাচার করে আসছিল। শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের সাথে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা বাংলাদেশী নাগরিক প্রিয়াংকা দেবনাথ তার পিতা পরিমল দেবনাথসহ তাদের সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। এমআর
ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের করুণ মৃত্যু
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় ভিমরুলের কামড়ে বাবা ও মেয়ের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও একজন। মৃতরা হলেন- মাওলানা আবুল কাসেম (৪৮) ও তার কন্যা লাবিবা (৮)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধোবাউড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখন বন্যাকবলিত। সকালে বাড়ি থেকে নৌকাযোগে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইমাম আবুল কাশেম এবং তার দুই শিশু সন্তান। এ সময় একটি জঙ্গলের নিচ দিয়ে তাদের বহনকারী নৌকা যাওয়ার সময় ভিমরুলের চাকে আঘাত লাগে। এতে শত শত ভিমরুল নৌকার যাত্রীদের ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল মামুন সরকার জানান, মাওলানা আবুল কাসেম পেশায় স্থানীয় ধোবাউড়ার দুধনই বাজারের এক জামে মসজিদে ইমামতি করেন। তার ছেলে সিফাত উল্লাহ ভিমরুলের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।এমআর
নেত্রকোনায় বজ্রপাতে মৎস্য চাষির মৃত্যু
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ফিসারীতে খাদ্য দেওয়ার সময় বজ্রপাতে সেলিম সিদ্দীক (৫০) নামের এক মৎস্য চাষির মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেমুরা গ্রামের বাঘাই বিলে এ দূর্ঘটনা ঘটে।নিহত সেলিম সিদ্দীক একই গ্রামের মাকসু সিদ্দীকের ছেলে।পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেলিম সিদ্দীক ফিসারীর ব্যবসা করতেন। প্রতিদনের ন্যায় আজ সন্ধ্যায় বাঘাই বিলে ভাড়া নেওয়া ফিসারীতে মাছের খাবার দিতে গিয়েছিল। খাবার দেওয়ার সময় হঠাৎ বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে এতে আহত হন। বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় গ্রামের লোকজন ফিসারীর কাছে গিয়ে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত সেলিমের ভাগিনা মো. স্বপন মিয়া জানান, মামা ফিসারীতে খাবার দিতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি মারা যান। মামার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।বারহাট্টা থানার ওসি মো: কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যেহেতু বজ্রপাতে মৃত্যু লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এআই
দেওয়ানগঞ্জে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করে দুপুর একটার দিকে। পরে ইঞ্জিনটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্টেশনের লোকশেডে নেওয়ার পথে ইঞ্জিনের ছয়টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় যথা সময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারেনি ট্রেনটি। এতে করে যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। দেওয়ানগঞ্জ স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন সমায়ের কন্ঠস্বররকে জানান, স্টেশনের লোকশেডে নেওয়ার সময় কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। ময়মনসিংহ থেকে ইঞ্জিন আনা হচ্ছে। ইঞ্জিন এসে পৌঁছলে কমিউটার ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে দেওয়ানগঞ্জ ছেড়ে যাবে।এআই
ভালুকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারী নিহত, আহত ৭
ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সুফিয়া খতুন (৬২) ও মিঞ্জু আক্তার (৩২) নামে দুই নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে উপজেলার রাংচাপড়া এলাকার ভালুকা ফিডমিলের সামনে সিএনজি, ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা সরকারী হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সুফিয়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার সৈলাট গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী।অপরদিকে একই উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা ব্রিজের ওপর আরেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মিঞ্জু আক্তার নামে আরেক নারী নিহত হয়। আহত হয় দুইজন। মিঞ্জু আক্তার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের স্ত্রী।পৃথক ঘটনায় আহতরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫), একই উপজেলার শৈলাট গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে সাহেব আলী (৭০), গফরগাঁও পাগলা থানার লিটন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২৫), একই থানার মৃত হুদা মিয়ার স্ত্রী পারভীন (৪৫) ও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার রুবেল মিয়ার স্ত্রী সুরাইয়া (৩৫), ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার দিঘা গ্রামের খোজাম্মেল ইসলামের ছেলে হাসানুল ইসলাম (৪০), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের শিশু ছেলে ফুয়াদ (০৪)।ভালুকা মডেল থানার এসআই নূর কাশেম বলেন, আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিএনজির এক নারী যাত্রী মারা যান। আহত অন্যান্য যাত্রীদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ওসি গোলাম রসুল জানান, মহাসড়কে এক নারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুইজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের বর্জ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
যত্রতত্র ভাবে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য। সাধারণ বর্জ্য সঙ্গে জীবাণুযুক্ত তুলো, ব্যান্ডেজ বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সমস্ত পচে গলে মিশে যাচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে নোংরা দূষিত পানি। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি হুমকিতে পড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর অসচেতনতায় এমন অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী।তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় পৌরসভা নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ না রাখায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।সম্প্রতি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের পেছনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক ফুট দূরে ঘেষা বর্জ্যের স্তুপ। তার উত্তর পাশে রয়েছে নার্সিং ইনস্টিটিউট। এর মাঝে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে হাজারো রোগীর চিকিৎসা বর্জ্য। এ সব বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যবহৃত সুই, সিরিঞ্জ, তুলো, অব্যবহৃত ওষুধ ও রোগীদের রক্ত, গজ-ব্যান্ডেজ। শিশু ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম নামে এক রোগীর অভিভাবক বলেন, খোলা জায়গা ফেলে রাখা এ সব প্রাণঘাতী চিকিৎসা বর্জ্য অনেক ক্ষতিকর।আমরা যারা রোগীর লোক আছি আমাদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তার কথা শেষ না হতে রশিদা বেগম নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আবর্জনা গুলো পচে বিকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে হাসপাতালে ওয়ার্ড পর্যন্ত চলে আসে। এসব দুর্গন্ধ সহ্য করা যায়না, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসব দেখা উচিত ।নার্সিং ইনস্টিটিউট কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বর্জ্যের দুর্গন্ধে তারা ক্লাস করতে পারেন না। এমনকি ভাত খেতে গেলেও বমি আসে।শিপু আক্তার নামে এক নার্সিং শিক্ষার্থী বলেন, হোস্টেল থেকে ক্লাসে আসার সময় নাক-মুখ চেপে দ্রুত পার হতে হয়। এটা শুধু এক দিনের ঘটনা নয়, প্রতিদিনই এমন দুর্গন্ধ কারনে এভাবে পার হতে হয়।ইনস্টিটিউটের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট নুরে আলম সিদ্দিকি বলেন, অফিস কক্ষের পাশে বর্জ্যের দুর্গন্ধ। যার কারণে জানালা খোলা জায়না। দুর্গন্ধের কারণে সব সময় মাস্ক পড়ে থাকতে হয়।ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ অঞ্জনা রানী রায় বলেন, বর্জ্য স্তুপের পাশে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম ও হোস্টেল আছে। রুম থেকে বের হলে চারপাশ ভরে যায় অসহনীয় দুর্গন্ধে। এ সব বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধের সঙ্গে সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে মারাত্মক সব জীবাণু, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। অঞ্জনা রানী আরও বলেন, যখন বৃষ্টি হয় তখন রক্তমাখা ময়লা পানি রাস্তা দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা এ পানির উপর হেটে ক্লাসে আসে। এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ মেয়াদী স্কিন ডিজিজ ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের পশ্চিম দিকে একটি ইনসাইনেরেটর (চিকিৎসাবর্জ্য বিনষ্ট করার চুল্লি) রয়েছে। ওই স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার নিয়ম থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে তা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় তার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ময়লা-আবর্জনা ও হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃক হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিলেও তাদের কর্মকাণ্ড চলছে দায়সারাভাবে। পৌর কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগেও নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ করতো। তবে গত একমাসের বেশি সময় ধরে পৌরসভার গাড়ি নিয়মিত বর্জ্য নিতে না আসায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রাকিবুজ্জামান বলেন, যেখান থেকে ময়লা গুলো ডাম্পিং করা হচ্ছে তা অপসারন করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ টয়লেটের স্লাবের উপর ময়লা গুলো ফেলা হচ্ছে। এরপর ছোট গলিতে বড় গাড়ী ঢুকছেনা। এ বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারংবার আলোচনা করে ময়লা ফেলার জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের বজ্যের্র শৃঙ্খলা আনতে আধুনিক ও ধোয়া বিহীন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপিত হচ্ছে। ধোঁয়া বিহীন এ চুল্লিতে মুহূর্তে ছাই হয়ে যাবে যেকোনো ধরনের সংক্রামক বর্জ্য। এতে হাসপাতালে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে দাবি হাসপাতালটির এ তত্ত্বাবধায়কের।এআই
'ছাত্রশিবির তার আদর্শ ও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবে'
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সময়ে প্রত্যেক মানুষের নিকট পছন্দের একটি প্রিয় সংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবির তার আদর্শ ও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত মঞ্জিলে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তি যত ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির তার আদর্শ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তত জনপ্রিয় হয়েছে।’শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে শহর ও জেলা শাখার উদ্যোগে 'সাথী সমাবেশ' এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির নৈতিকতার প্রশ্নে সবসময় সবার সেরা ছিলো, আছে এবং থাকবে। শিবিরের নৈতিকতা মূল উৎস কুরআন এবং হাদিস। মূল আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সা:)। ইসলামী ছাত্রশিবিরের আচরন হবে মার্জিত সর্বোন্নত। এ ব্যাপারে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহকে ছাড়া পৃথিবীর কোনো শক্তিকে ভয় পায় না। সুতরাং দুনিয়ার কোনো ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।’তিনি আরও বলেন, "আমরা বিগত দুঃসময়ে দেখে এসছি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জনশক্তিকে গ্রেফতার করা হতো। তাদের হাত থেকে কুরআন-হাদিসের ও সাহিত্যের বই যখন উদ্ধার করা হতো তাদেরকে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হতো। যারা আমাদেরকে নিষিদ্ধ করেছিল, জনগণের উপর পাহাড় সমান জুলুম অত্যাচার চালিয়েছিল, সেই জালিমকে এই দেশের ছাত্র-জনতা দেশ থেকে বিতারিত করেছে।"এসময় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা আমীর মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।তিনি বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির মেধাবীদের সংগঠন। এটি যেন শুধু কথার ফুলঝুরি না হয় বরং প্রত্যেক সাথী যেন এই প্রশ্নে সেরাদের সেরা ভূমিকা পালন করে। সময়ের কোনো অপচয় যেন না হয়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকারও আহবান জানান তিনি।’উক্ত সাথী সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, ছাত্র শিবিরের নীলফামারী শহর শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন, নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি তাজমুল হাসান সাগর।এআই
বিরামপুরে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভ্যানযাত্রী নিহত
দিনাজপুরের বিরামপুরে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় জহুরুল হোসেন (৫৮) নামে এক ভ্যান যাত্রী নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে পৌরশহরের কুচিয়ামোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ভ্যানযাত্রী জহুরুল হোসেন উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের ধানঘরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন- উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে মো.মিলন (২০) অপরজন একই ইউনিয়নের সন্দলপুর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে এজার উদ্দিন (৭০) আহত হয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বিরামপুর শহর থেকে যাত্রী বোঝাই ভ্যান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল আহত ভ্যানচালক এজার উদ্দিন। পথে পৌরশহরের কুচিয়া মোড় এলাকায় পৌছালে নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক্টর ভ্যানটিকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানে থাকা যাত্রী জহুরুলের মৃত্যু হয়। এ সময় ভ্যানে থাকা যাত্রীসহ ভ্যানচালক গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, দুর্ঘটনার পর ঘাতক চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। ঘাতক ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বেয়াইয়ের মৃত্যু
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করলা খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই বেয়াইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পদুমহার গ্রামে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার পদুমহার গ্রামের জবান আলীর ছেলে মো. রাজা মিয়া (৪৫) ও ঘোড়াঘাট উপজেলার চৌরিগাছা গ্রামের মো. শাহজাহান আলী। তারা দু’জন সম্পর্কে বেয়াই।স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলার শাহজাহান আলী বেয়াই রাজা মিয়ার বাড়িতে বেরাতে আসেন। বিকেলের দিকে দুই বেয়াই মিলে গ্রামের পাশে করলা খেতে কাজ করতে যান। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে খেতের পাশে সেচ পাম্পের টিনের ঘরে আশ্রয় নেন তারা। সেখানে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই দু’জনে মারা যান। পরে দুই বেয়াই বাড়িতে না ফিরে আসলে তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। হাট-বাজার আশেপাশে কোথাও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকজনদের মনে পড়ে দুই বেয়াই মিলে করলা খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে গিয়ে তাদের মৃত দেহ দেখতে পায়। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, দুই বেয়াই মিলে করলা খেতে যায়, এসময় বৃষ্টি শুরু হলে তারা দুই বেয়াই মিলে খেতের পাশে সেচ পাম্পের টিনের ঘরে আশ্রয় নিতে গেলে বজ্রপাতে তাদের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলের আলামত দেখে আমাদের মনে হয় এটি বজ্রপাতের মৃত্যু হয়েছে আর পাশের একটি গাছ বজ্রপাতে ফেটে গেছে। আপত্তিনা থাকায় মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খানসামায় সবজি বাজারে আগুন, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
শীতের সবজির উৎপাদন কমে আসায় বাজারে সব ধরনের সবজির দামই দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আগাম শীত পড়ে। এর এই জেলার খানসামা উপজেলা সবজি উৎপাদনে সেরা। এরপরও কমছে না শীতকালীন সবজির দাম।প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, মূলা ৪০ , পিয়াজ ১২০, করলা ৩০, আলু ৫৫ টাকা, পটল ৬০, পুঁইশাক ২০, , বেগুন (গোল) ৫০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৫০ টাকা, ফুলকপি কেজি থেকে ১২০ টাকা, শসা ৬০, ঢেড়শ ৬০ টাকা, কায়তা ৫০, বটবটি ৪০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।উপজেলার পাকের হাটে সবজি কিনতে আসা ইউনুজ বলেন, 'আমাদের উপজেলায় এত সবজি আবাদ হয়, তারপরও কেন দাম কমে না। সবজি বাজার এলে মনে হয়, ভুল করে স্বর্ণের বাজারে এসেছি।'তিনি আরো বলেন, 'আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই চাই।'ফরিদুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের ওপর যে কী প্রভাব পড়ে সেটি বলে বোঝানো যাবে না। মাছ মাংস তো দূরের কথা সবজি কিনতে টাকা শেষ।' খানসামা বাজারে সবজি কিনতে আসা মোজাফ্ফর হোনেন বলেন, 'কাঁচা বাজার ঢুকতেই ভয় লাগছে। বাজারে আগুন ধরেছে। এত দাম হলে আমরা মধ্যবিত্তরা কি করে কিনব। এতে দিশেহারা হয়ে গেছি। সংসারে টানাটানি শুরু হয়েছে। এখন আমাকে সংসার চালাতে হলে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে, না হয় ধার করে চলতে হবে। অথবা কেনাকাটা কমাতে হবে। বাজারে এলে লিস্টের অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।'বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নজরুল ইসলাম বলেন, 'বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন বাড়েনি। বাজার করতে এসে সবজির দোকানগুলোতে দাম দর করছি। কিন্তু বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছে তাতে কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের এই ভরা মৌসুমে এমন মূল্যবৃদ্ধি কিভাবে সম্ভব আমার বুঝে আসছে না।' উপজেলার পাকেরহাটের সবজি বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, 'আমরা প্রতিটি সবজিতে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি। এখন যেমন লাভ করছি কিছু দিন আগে যখন দাম কম ছিল তখনো একই হারে লাভ করে বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এ জন্য আমাদের কেউ বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।' তিনি আরো বলেন, 'এখনো পুরোপুরি শীতকালীন সবজি আসে নাই। আসলে দাম অনেকটাই কমে যাবে। আশা করছি আগামী মাস থেকে দাম কমবে।'
স্ত্রীর নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সিয়াম আলী (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোররাতে পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ খানমরিচ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম উপজেলার হাটউধুনিয়া গ্রামের আল হেলালের ছেলে। তিনি ডেকোরেটরের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।গত ৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী স্ত্রী পাবনার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলাটি দায়ের করেন। পাবনার ৪নং আমলী আদালতের বিচারক বেবী নাজনীন বাদীর লিখিত আবেদন আমলে নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানাকে এজহার গ্রহনের নির্দেশ দেন।ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলার নথী থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ জুলাই অভিযুক্ত সিয়ামের সাথে ঐ নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সিয়াম। বিষয়টি নিয়ে ঐ নারী পাবনার আদালতে একটি মামলা করেন। বিপদ বুঝতে পেরে সিয়াম তার স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেন। এরপর স্বাভাবিক আরচণ করে সংসার করতে থাকেন। এর মধ্যে কৌশলে নিজ স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মূহুর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। এরপরে আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন সিয়াম।এক পর্যায়ে সিয়াম তার স্ত্রীর ভাইয়ের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তার বোনের ধারণকৃত নগ্ন ছবি পাঠিয়ে যৌতুক দাবী করেন। যৌতুক না দিলে ঐ ছবি নেটে ভাইরাল করে দেয়ারও হুমকি দেন। বিষয়টি ঐ গৃহবধুর পরিবার গুরুত্ব না দিলে সিয়াম তার স্ত্রীর নগ্ন ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি ফেইক আইডি খুলে তা ছড়িয়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী স্ত্রী গত ৬ অক্টোবর পাবনার ৪ নং আমলী আদালতে যৌতুক, পর্ণোগ্রাফী আইনে ও পারিবারিক আদালতে মোট তিনটি মামলা দায়ের করেন। পর্ণোগ্রাফী আইনে করা মামলায় আদালত ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেয়।ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ’আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী মামলা নথিভুক্ত করে শনিবার ভোররাতে খানমরিচ এলাকা থেকে সিয়াম কে গ্রেপ্তার ও তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।’এমআর
নাটোরে দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
নাটোরে দুর্ঘটনা কবলে পড়া একটি প্রাইভেট কারের ডালার ভিতর থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন।গ্রেফতারকৃত আসামি মো. আবু বক্কর (২২) চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম চাম্বল মুন্সিখিল (মৌলভীবাড়ী) এলাকার মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে।পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার রাত ৭টায় শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার। এতে দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এসময় কারে থাকা আবু বক্কর নামে একজনকে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলে পড়া প্রাইভেট কারটি তল্লাশি চালায়। এসময় গাড়ির ভিতর থেকে ৬০কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, এসব মাদক বিশেষ কায়দায় প্রাইভেট কারের পিছনের ডালার ভিতরে ৩০টি পোটলা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। প্রত্যকটি পোটলা ২ কেজি করে ওজনের গাঁজা ছিল। ঘটনার সময় অজ্ঞাত দুইজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এআই
ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি নেতাদের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন, মন্দির কমিটির সদস্য, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান।পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষের বাঁচার ও ধর্মীয় উৎসব পালনের অধিকার আছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল ধর্মের মানুষ জীবন দিয়েছে। তেমনি জুলাই ও আগস্টের নতুন স্বাধীনতায় সকল ধর্মের মানুষ জীবন দিয়েছেন। তাই সব ধর্মের মানুষ আমরা এক পরিবারের মত। এখানে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই।এসময় উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন রাজু, পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শামসুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ভিপি ফিরোজ আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান লিটন, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাহহার বাবর, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সালাম নুর, সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক বায়েজিদ বোস্তামী, সদস্য সচিব ডাবলু সরকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজন আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সায়েখ মো. আবু সায়েম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এআই
শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করলেন আসিফ নজরুল
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. আসিফ নজরুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে আসেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছারি বাড়িতে প্রবেশে ও কোনো প্রকার ছবি তুলতে এবং ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেন। সচিবালয়ের এক বিজ্ঞতিতে জানা যায়, উপদেষ্টা ডা. আসিফ নজরুল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জে ১৪টি স্থানে রাষ্টীয় সফরে আসেন। তিনি বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পরে তিনি শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে এলেও স্থানীয় কোন গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে সফরের বিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদান করেননি। এরপর সেখানে তিনি প্রায় ঘন্টাখানেক পরিদর্শন করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসহ সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।রবিন্দ্র কাছারির বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান জানান, উপদেষ্টা ডা. আসিফ নজরুল এর এটা রাষ্টীয় সফর ছিল, যা আমাকে গতরাতে উপজেলা প্রশাসন থেকে অবগত করা হয়। এ ব্যপারে এর থেকে বেশি কিছু জানি না।তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছারি বাড়ির প্রাঙ্গন থেকে বের করে দেয় যৌথবাহিনী।এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, আমরা ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে কাছাড়ি বাড়ি প্রবেশ করলে আমাদেরকে এক রকম হেনস্তা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গন থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) কামরুজ্জামান এ সফরের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিয়ে রাজি হননি।
ভাঙ্গুড়ায় অর্ধশত বছর পর আখের সুইটসের দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রীজ স্টেশন বাজারে উৎসব ছাড়াই আখের সুইটসের মিষ্টি খেতে সারাবছর ভিড় লেগে থাকে। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত এই দোকানে দিন দিন বাড়ছে তাদের তৈরিকৃত মুখরোচক মিষ্টির চাহিদা।মিষ্টির কদর রয়েছে ভোজনরসিক সব শ্রেণির মানুষের কাছে। খুশির খবর উদযাপন, অতিথি আপ্যায়ন, আত্মীয়দের বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে মিষ্টির জুড়ি মেলা ভার। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আখের সুইটসের দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন হয়েছে।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারের বকুল তলায় আখের সুইটসের দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন হয়।জানা যায়, খাঁটি দুধে তৈরি আখের সুইটসের দই, রসমালাই আর প্যারা সন্দেশ গুণে ও মানে এখনো অটুট। প্রায় অর্ধশত বছরেও এসব মিষ্টান্নের আবেদন এতটুকুও কমেনি কারো কাছে। নতুন শাখায় ঘরজুড়ে রুচির ছাপ স্পষ্ট। লম্বা বিশাল কাচের বাক্সে ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে মিষ্টির নমুনা সাজানো রয়েছে।ক্রেতারা জানান, উৎসব পার্বন তো রয়েছেই। রাজনৈতিক চর্চা কিংবা ঘুরাঘুরি। ভাঙ্গুড়ার সব কিছুতেই মিষ্টির প্রয়োজন পড়া মানেই প্রথম পছন্দে থাকে আখের সুইটস। দূর-দূরান্ত থেকে আসা অতিথি কিংবা বন্ধু-বান্ধবকে এখানকার বিখ্যাত দই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করার প্রচলন রয়েছে যুগ যুগ ধরে।আখের সুইটসের মালিক আরিফুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিষ্টি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। আমরা ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে সবসময় মিষ্টির গুণাগুণ ঠিক রাখি। কোনো ধরনের ভেজাল না মিশিয়ে দুধ ও ছানা দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মিষ্টি।এসএফ
পূজায় বাড়ি ফেরার কথা ছিল পপির, ফিরলো নিথর মরদেহ
দুর্গাপূজার ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পপি দেবের বাড়ি ফেরার কথা ছিলে। কিন্তু তা হয়নি। বাড়ি ফিরেছে তার নিথর মরদেহ। কক্সবাজারে উদ্ধার হওয়া পপির ঝুলন্ত মরদেহ বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কসবা গ্রামে নিজ বাড়িতে এলে পূজোর আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়ে শুরু হয় শোকের মাতম। এর আগে, গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারের রাজাপালং ইউনিয়নে রহমত উল্লাহর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পপি দেব হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে কসবা গ্রামের প্রয়াত সুখলাল দেবের মেয়ে ও চন্দন দাশের স্ত্রী।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোছাইন। জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালে চাকরি করতেন। থাকতেন উখিয়া সদরের ভাড়া বাড়িতে। ৯ অক্টোবর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে পপির মরদেহ বাড়ি ফিরে। সেখান থেকে জানা যায়, পপি প্রায় দুই বছর ধরে আশ্রয় শিবিরে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মাঝে মধ্যেই বাড়ি ফিরতেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পূজার ছুটি নিয়ে তার বাড়ি ফেরার কথা। এর আগেই তার মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। নিহত পপির ভাশুর অঞ্জন দাশ জানান, পপির স্বামী ভ্যান গাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন। বিয়ের পাঁচ বছর হলেও তাদের কোনো সন্তান নেই। রাতেই গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
মাদরাসার বিদ্যুৎ যাবে জাতীয় গ্রিডে
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সুজানগর আইডিয়াল মাদরাসায় পল্লী বিদ্যুৎতের বড়লেখা জোনালে প্রথম নেট মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এই মিটারের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরকারি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সৌর থেকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে স্থাপিত সৌরবিদ্যুত থেকে দিনের বেলায় মাদরাসার প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে তা নেট মিটারের মাধ্যমে সরকারী লাইন জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হবে। মাদরাসা যখন বন্ধ থাকবে সেদিনের বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে চলে যাবে। আবার রাতের বেলা এবং দিনে যখন সূর্যের আলো থাকবেনা তখন জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের মাধ্যমে মাদরাসার সকল কার্যক্রম চলবে। সুজানগর আইডিয়াল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এই প্লান্টের মূল তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল কুদ্দুস জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় আমাদের মাদরাসা থেকে যে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাবে সেই বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে। আবার যদি দেখা যায় পুরো বছরে জাতীয় গ্রীড থেকে আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছি তার থেকে আমরা বেশী বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করেছি তাহলে সরকার আমাদেরকে বিদুতের মূল্য পরিশোধ করবে। এই ব্যাপারে আমরা চুক্তি করেছি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে।তিনি জানান, এরকম একটি প্লান্ট আমার ভাগনা তৈরি করেছে। তার এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি এই কাজটি করি। প্রতিদিন ১৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ এখান থেকে উৎপাদন হবে। মাঝে মধ্যে কমবেশি হতে পারে। সূর্যের আলো থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর এই বিদ্যুৎ পবিবেশ বান্ধব। কার্বন উৎপাদন কমায়। প্লান্ট তৈরিতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন ও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এ.বি.এম মিজানুর রহমান আমাদের সহযোগিতা করেন। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রামে সব সময় বিদ্যুৎতের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে আবাসিক শিক্ষার্থীরা রাতে গরমের সময়ে প্রচণ্ড দূর্ভোগ পোহায়। তাদের এই দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমাদের কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের পরামর্শে আমরা কাজ শুরু করি। তিনি জানান, এই প্লান্ট রেডি করতে প্রথম পর্যায়ে আমরা ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্লান্টের কাজ সমাপ্ত করা হয়।মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা জোনাল অফিসের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, সৌর থেকে গ্রাহক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। এটা করতে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যাতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎতের চাপ কম থাকে।তিনি বলেন, যারা এইরকম করতে চায় আমরা তাদের একটি নেট মিটার দেই। তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে অন্তর্ভুক্ত করলে আমরা তাদেরকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য টাকা দেব। আর যদি আমাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাহলে সেই আলোকেই টাকা দিবেন। এটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আছে। বিশেষ করে বড় বড় ইন্ড্রাস্টি গুলোতে।এমআর
রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাধানগর এলাকায় অবস্থিত বালিশিরা রিসোর্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত। বুধবার (৯ অক্টোবর) তিনি মৌলভীবাজারে এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। প্রোগ্রাম শেষ করে রাত ১০টার দিকে তিনি শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে ঘুমাতে যান।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার রুমে গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ বিকল্প উপায়ে জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে তার লাশ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের আরও কয়েকটি প্রোগ্রামে তার অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে আমরা তথ্য পেয়ে রিসোর্টে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।বুধবার রাত ১০টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে তিনি যেকোনও মারা যান। এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে সালাহ উদ্দিন মাহমুদ যোগদান করেন। সম্প্রতি তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন এম এ মান্নান, জামিনে মুক্ত
জামিন পাওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এম এ মান্নান হাসপাতাল ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ (ছাড়পত্র) দিয়েছে চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।’এর আগে, তার চিকিৎসার জন্য ৬ সদস্যবিশিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীকে প্রধান করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে তাকে চিকিৎসকরা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১৩ নম্বর কেবিনে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, জামিনের কাগজপত্র পর্যালোচনা করার পর সাবেক মন্ত্রী মান্নানকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।এদিকে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্রের আদালতে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, রনজিত চন্দ্র সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখতসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়।এই মামলায় এম এ মান্নানকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন আদালতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু জামিন মঞ্জুর করা হয়নি।সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে থাকা অবস্থায় ৫ অক্টোবর সকালে এম এ মান্নান অসুস্থতাবোধ করেন। পরে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসকরা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।এসএফ
হিজাব পরায় শিক্ষা কর্মকর্তার হেনস্থার শিকার স্কুল শিক্ষিকা
হিজাব পরায় শিক্ষা কর্মকর্তার হেনস্থা ও বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম মাহমুদুল হক। তিনি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা। হেনস্থায় শিকার শিক্ষিকার নাম নার্গিস আক্তার (মাহবুবা নার্গিস)। সে উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা জানান, চিকিৎসাকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক তার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেন। কারণ সে পর্দায় আবৃত ছিলো এবং পর্দা করে চলেন। একপর্যায়ে অফিসে ওই কর্মকর্তা তাকে মুখ খুলতে জোর করলে সে বাঁধা দেন। এসময় ওই কর্মকর্তা ওই শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করেন- কোথায় এমন কথা বলা আছে যে, এভাবে পর্দা করতে হবে? ইসলামে এসব নাই। চাকরি করলে এভাবে চলতে পারবে না। মুখ খুলতেই হবেই। প্রতিউত্তরে এ শিক্ষিকা বাচ্চাদের সামনে মুখ খুলেই ক্লাস করেন জানালে তিনি আরো খারাপ আচরণ করেন।এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। এর আগে বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী ও স্বজনরা। স্ট্যাটাসে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পর্দানশীন নারীদের হেনস্থার করছেন শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক।হিজাব পরিহিত নারীরা কোন কারণে অফিসে গেলে তিনি তাদেরকে হিজাব খুলাতে বাধ্য করেন তিনি। এমনকি পরিদর্শনে বিভিন্ন স্কুলে গেলেও সেখানে মুখ ঢেকে রাখা মহিলাদের নানাভাবে মুখ খুলতে বাধ্য করতেন। যা স্পষ্টত তার বিকৃত মানসিকতা এবং মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্মীয় অধিকার হরণ।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদুল হক বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার অফিসে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে, মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। ওই কর্মকর্তাকে আমরা ডেকেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এইচএ
অনলাইন ভোট
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিকে আপনি কি সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
ইরানে হামলা হলে আকাশসীমা বন্ধ করে দেবে আরব দেশগুলো
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা বন্ধ রাখতে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরান বলেছে, ইসরায়েলকে সহায়তাকারী যে কোনো দেশকে তারা আগ্রাসনকারী হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এমন প্রতিবেশীরা ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসবে। এ প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও কাতার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে জানিয়েছে, হামলা হলে ইসরায়েলকে তারা তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না। জর্ডানও তার আকাশসীমায় যে কোনো অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।শুক্রবার সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, সম্ভাব্য হামলা নিয়ে ইরানে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ইসরায়েলে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শক্তির জানান দিলেও পাল্টা হামলার মাত্রা যাতে কম বা কার্যত ব্যর্থ হয়, সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ইরান। তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে বোঝাতে যুক্তরাষ্ট্র সফল হবে কিনা, তা নিয়েও দেশটি উদ্বিগ্ন। গত ১ অক্টোবর চালানো ইরানের হামলার জবাব ইসরায়েল কীভাবে দেয়, তা জানতে দীর্ঘদিনের মিত্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চায় না– এটা দেশটির কর্মকর্তারা আগেই তেল আবিবকে জানিয়ে দিয়েছেন। দুই মাসের মধ্যে গত বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিহুর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি জানান, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা ‘সমানুপাতিক’ হবে, এটাই তাঁর চাওয়া।মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং কাতারও ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শঙ্কার কথা জানিয়েছে। আরব কূটনীতিকরা বলছেন, পাল্টা হামলা হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইরান ও ইসরায়েল সংঘাতে জড়ালে তা আঞ্চলিক যুদ্ধ হিসেবে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা অবধারিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেও টেনে আনতে পারে– এ নিয়েও বেশি উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রশাসন। শঙ্কার বিষয় হলো, গত এক বছর ধরেই ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমতে দেখা গেছে। গাজার মতো লেবাননেও হামলার ক্ষেত্রে সংযম দেখাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েল ক্রমাগতভাবেই সেসব আহ্বান উপক্ষো করছে। গত এক মাসে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানিও সেটির প্রমাণ দেয়।তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও বৈরুতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর হত্যা ও গাজা-লেবাননে অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলে ১৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে আঘাত হানে। এতে প্রাণহানি না হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গত শুক্রবার শক্তিশালী হামলার হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে ইরানের প্রেস টিভি অনলাইন জানায়, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। সেখানে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, স্থল অভিযানে তাদের এক ডজনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। পৃথক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, বিভিন্ন অবস্থানে তারা ইসরায়েলের সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের তেল কোম্পানিগুলো ও তেলবাহী জাহাজের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, ইরানের রাজস্ব কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। শুক্রবার দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রজারিও মুরিলো গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।এফএস
মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৩ গুণ বাড়াল মহারাষ্ট্র সরকার
ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের কাছে টানতে এবার মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন তিনগুণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সংখ্যালঘু তহবিলে অর্থের পরিমাণও।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি ভারতের নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে একের পর এক সামাজিক প্রকল্পে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করতে উঠে পড়ে লেগেছে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকার।সম্প্রতি ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যেই ওবিসি, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য একাধিক প্রস্তাবে অনুমোদন দিল মহারাষ্ট্র সরকার।গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জনকল্যাণমূলক ৮০টি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যার মধ্যে ৩৮টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় একনাথ শিন্ডের সরকার।উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো। মহারাষ্ট্রে ডিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাসিক বেতন ছিল ৬ হাজার রুপি। সেটি বাড়িয়ে ১৬ হাজার রুপি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএড ও বিএসসি বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার রুপি করা হয়েছে। পাশাপাশি নন ক্রিমি লেয়ার আয়ের সীমা ৮ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।এদিকে আদিবাসী উন্নয়নের লক্ষ্যে শবরী ট্রাইবাল ফাইন্যান্সের আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ৫০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি করা হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ৭০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০০ কোটি করা হয়েছে।চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের মেয়াদ। তার আগেই হবে বিধানসভা নির্বাচন। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বর্তমান এনডিএ সরকার ভালো ফল করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু ভোটারদের কাছে টানতে দেশি গরুকে ‘রাজ্য মাতা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ধাঙড় সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিয়ে তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এবার মুসলিম ভোটারদের মন পেতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিল একনাথ শিন্ডের সরকার।সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং
বোয়িং-এ মাসব্যাপী ইউনিয়ন ধর্মঘট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। প্রায় ৩৩ হাজার কর্মী বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন। এ অবস্থায় প্রায় ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং। এছাড়া, ৭৭৭এক্স মডেলের বিমানের উৎপাদন কার্যক্রমেও বিলম্ব ঘটবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত তাদের। বর্তমানে কর্মীদের ধর্মঘট এবং বিমানের গুণমান নিয়ে উদ্বেগের কারণে বেশ কঠিন সময় পার করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলি অর্টবার্গ জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে মোট কর্মশক্তির ১০ শতাংশ কর্মী কমানো হবে। এছাড়া, পরবর্তী ছুটির চক্রও বাতিল করা হয়েছে।অর্টবার্গ কর্মীদের একটি ইমেইলে বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে উচ্চপদস্থ নির্বাহী, ম্যানেজার এবং সাধারণ কর্মচারী—সবার চাকরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমাদের ব্যবসার অবস্থা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। ছাঁটাইয়ের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাকরি ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ৭৭৭এক্স বিমানের উৎপাদনেও বিলম্ব করা হয়েছে। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চলমান ধর্মঘটের কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ স্থগিত রয়েছে।আমরা আমাদের গ্রাহকদের জানিয়েছি, ৭৭৭এক্স-এর প্রথম ডেলিভারি ২০২৬ সাল নাগাদ দেয়া হবে, বলেন অর্টবার্গ। এছাড়া, অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বিভাগেও বেশ ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে তিনি। বোয়িং-এ মাসব্যাপী ইউনিয়ন ধর্মঘট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। প্রায় ৩৩ হাজার কর্মী একটি ভালো বেতন প্যাকেজের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ইউনিয়নের প্রধান আলোচক জন হোল্ডেন রয়টার্সকে বলেন, "আমরা দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত এবং আমাদের সদস্যরা এটি বুঝতে পেরেছে।"এদিকে, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি বোয়িংকে ক্রেডিটওয়াচে রেখেছে, ধর্মঘট দীর্ঘস্থায়ী হলে তাদের রেটিং কমতে পারে।এইচএ
ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৩১ জন। এতে গত এক বছরে মোট নিহতের সংখ্যা দাড়ালো ৪২ হাজার ১২৬ জন। আহত ৯৮ হাজার ১১৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মেহের নিউজ এজেন্সি।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত গাজা উপত্যকার কমপক্ষে চারটি এলাকায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা এবং রকেট। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ অনেক মরদেহ এবং আহত ব্যক্তি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। পথ-ঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকার কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে আসে তারা। এই জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাসকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।এমআর
ভারতে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত
ভারতের তামিল নাড়ুর ত্রিভাল্লুর বিভাগে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে এই সংঘর্ষ হয়। খবর এনডিটিভির।এতে বলা হয়, সংঘর্ষের পর যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এছাড়া ট্রেনটির পার্সেলের বগিতে আগুন ধরে যায়। ভারতীয় রেলওয়ে এক বিবৃতিতে পরবর্তীতে জানায়, কাভারাইপেত্তাই স্টেশনে প্রবেশের সময় যাত্রীবহী ট্রেনের ক্রুরা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ওই সময় ট্রেনটি সিগন্যাল অনুযায়ী মেইন লাইন দিয়ে না গিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। ট্রেনটি লুপ লাইনে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে ঢুকে মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে।রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দিলিপ কুমার জানিয়েছেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯৫ শতাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তারা আরো জানিয়েছেন, আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং অন্যান্য যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।এমআর
মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আজহারীকে আটকে দিল পুলিশ, পাঠানো হচ্ছে দেশে
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে আটকে দিয়েছে সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিজানুর রহমান আজহারীর নামে অভিযোগ থাকায় তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।এফএস
সন্তানদের অত্যাচার সইতে না পেরে একসাথে জীবন দিলেন বৃদ্ধ বাবা-মা
ভারতের রাজস্থানে নিজের বাড়ির পানির ট্যাংকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। সন্তানদের অত্যাচার সইতে না পেরে এমন পথ বেছে নেন তারা। তবে আত্মহত্যার আগে সেসব পাষণ্ড সন্তানের পাশবিকতার বিস্তারিত কাগজের নোটে লিখে গেছেন তারা।এতে লেখা রয়েছে, নিজ ছেলেমেয়ে এবং মেয়ের স্বামীরা মিলে তাদের অন্তত পাঁচবার মারধর করেছেন। শুধু মারধরই নয়— হত্যার হুমকি দেওয়া, খাবার খেতে না দিয়ে ভিক্ষা করতে বলার মতো জঘন্য আচরণ করা হয়েছে তাদরে সঙ্গে।সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আত্মহত্যাকারী ওই বাবার নাম হাজারিরাম বিষ্ণয় (৭০) এবং তার স্ত্রী ৬৮ বছর বয়সী চাওয়ালী দেবী। আজ বৃহস্পতিবার তাদের মরদেহ বাড়ির পানির ট্যাংকে পাওয়া যায়। ওই সময় তাদের ঘরের দেওয়ালে দুই পাতার ওই সুইসাইড নোটটিও উদ্ধার করে পুলিশ।এতে তারা লিখেছেন, তাদের ছেলে রাজেন্দ্র দুইবার এবং সুনীল দুইবার তাদের আছাড় মেরেছেন। মারধরের পর আবার ছেলেমেয়েরা হুমকি দিয়েছে কাউকে এ ব্যাপারে বললে ঘুমের মধ্যেই তাদের হত্যা করা হবে।এই নোটে তারা আরও লিখে গেছেন, শুধুমাত্র সম্পত্তির জন্য ছেলেমেয়ে এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীরা তাদের সঙ্গে এমন পশুর মতো আচরণ করেছে। এতে আরও কিছু আত্মীয় স্বজনের উস্কানি ছিল বলেও জানিয়ে গেছেন তারা।আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেওয়া এই বৃদ্ধ দম্পতি আরও বলেছেন, প্রতারণা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেলেমেয়েরা তাদের তিনটি প্লট ও গাড়ি ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নিয়েছে।তারা আরও জানিয়েছেন, ফোনে ছেলেমেয়েরা তাদের তাদের সময়সময় ভয়ভীতি দেখানোসহ খারাপ ব্যবহার করত। এরমধ্যে ছেলে সুনিল একদিন ফোন করে ‘খাবারের জন্য রাস্তায় গিয়ে ভিক্ষা করতেও’ বলেন বলে উল্লেখ করেছেন তারা। আর খাবার না দিয়ে ভিক্ষা করার কথা বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল এই পাষণ্ড।স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এই বৃদ্ধ দম্পতির কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে বৃহস্পতিবার তারা তাদের বাড়িতে যান এবং সেখান থেকেই তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এরমধ্যে বৃদ্ধের পকেট থেকে বাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হবে।সূত্র: এনডিটিভি
পারমাণবিক উত্তেজনার মধ্যেই বৈঠকে বসছে রাশিয়া-পশ্চিমারা
পারমাণবিক অস্ত্রধারী পাঁচটি দেশের একটি দল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্কে এক শীর্ষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভকে উদ্ধৃত করে রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।রাশিয়াসহ এই বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য। যে দেশগুলোর সবাই পারমাণবিক শক্তিধর এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।রিয়াবকভ অবশ্য বৈঠকের নির্দিষ্ট তারিখ বা বৈঠকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন, তা উল্লেখ করেননি।তবে এই বৈঠকটি নিঃসন্দেহে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।কারণ, গত মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তন ঘোষণা করেন এবং বলেছিলেন যে, মস্কো তাদের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিস্থিতির তালিকা প্রসারিত করছে।এর আগে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার কয়েক সপ্তাহ আগে ‘পারমাণবিক শক্তিধর’ পাঁচ দেশ এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। যেখানে তারা বলেছিল যে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ প্রতিরোধ করা এবং কৌশলগত ঝুঁকি কমানোই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।তখন তারা আরও বলেছিল, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, পারমাণবিক যুদ্ধ কখনও জেতা যাবে না। তাই এ নিয়ে কখনও লড়াই করা উচিত নয়’। সূত্র: এনডিটিভিএসএফ
গাজায় আরও ৩ ইসরাইলি সেনা নিহত
গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার আরও তিন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে দেশটির গণমাধ্যম।ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হাদশুট বেজমান বৃহস্পতিবার রাতে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে জানায়, গাজা উপত্যকায় তিনজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন।এর আগে, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড এবং সরায়া আল-কুদস ও আল-মুজাহিদিন বাহিনীর সদস্যরা পৃথক বিবৃতিতে জানায় যে, তারা উত্তর ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন আক্রমণ, আত্মঘাতী ড্রোন হামলা এবং স্নাইপার দিয়ে ইসরাইলি সৈন্যদের হত্যা ও লক্ষ্যবস্তু করেছে।এই আক্রমণগুলোর মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীগুলো দাবি করেছে।এদিকে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪২,০৬৫ জন নিহত এবং ৯৭,৮৮৬ জন আহত হয়েছেন। সূত্র: ইরনা ও আল জাজিরাএসএফ
লেবাননে জাতিসংঘের অবস্থানে ইসরাইলি হামলা
ইসরাইলি বাহিনী শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি ওয়াচ টাওয়ারে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ সূত্র জানিয়েছে। এটি ছিল লেবাননে টানা তৃতীয় দিনের ঘটনা, যেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ইসরাইলি হামলার শিকার হচ্ছেন।এদিকে লেবাননের সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বৈরুতের কেন্দ্রে একটি ইসরাইলি বিমান হামলায় ২২ জন নিহত এবং ১১৭ জন আহত হয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিলেন হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়াফিক সাফা। তবে তিনি বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে তিনটি নিরাপত্তা সূত্র।এদিকে ইসরাইলের উত্তরে হিজবুল্লাহর হামলায় একজন থাই শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং ইসরাইলি বিমান বাহিনী হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। হিজবুল্লাহ এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত এক বছর আগে শুরু হয়, যখন ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি গাজা যুদ্ধে হামাসের সমর্থনে ইসরাইলে আক্রমণ করে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। যেখানে ইসরাইল বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছে।এদিকে জাতিসংঘ সূত্র জানায়, ইসরাইলি বাহিনী শুক্রবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রধান ঘাঁটির কাছে একটি টাওয়ারে গুলি চালায়। আগের দিনও সেখানে একই ধরনের হামলায় দুজন শান্তিরক্ষী আহত হন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের বাহিনীকে নিরাপদ স্থানে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল।এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানায়, তারা ইসরাইলের এ হামলার বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং ইসরাইলের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চায়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসও সংঘাতের প্রশমন এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।তবে সব ঘটনা মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ইরানের ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রত্যুত্তর নিয়ে।এ ঘটনায় ইরানে ‘মারাত্মক’ ও ‘অপ্রত্যাশিত’ প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালান্ট। বুধবার সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের আঘাত করবে, তারা তার মূল্য চুকাবে। আমাদের আক্রমণ হবে মারাত্মক, নির্ভুল এবং সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা হবে, সেটা হলো- অপ্রত্যাশিত। তারা বুঝতেই পারবে না কী ঘটেছে এবং কিভাবে এটি ঘটেছে’।অন্যদিকে, হামলা চালালে পালটা জবাবে আইআরজিসির একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ইব্রাহিম জাব্বারি বলেছেন, ইসরাইল যদি ইরানে আক্রমণ করে, তাহলে ইরানও ‘হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র’ ছোড়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।আইআরজিসি প্রধান কমান্ডার হোসেন সালামির উপদেষ্টা ইব্রাহিম জাব্বারি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি, সেক্ষেত্রে এখন আমরা শত শত বা হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যেগুলো তাদের দখলকৃত অঞ্চলে এবং তাদের নিরাপত্তা, সামরিক এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানবে‘।তিনি বলেন, ইসরাইলের ভৌগোলিক আকার ইরানের তুলনায় ছোট। তাই ইরানের প্রতিশোধের ফলাফল নিয়ে তাদের সতর্ক থাকা উচিত। সূত্র: রয়টার্সএসএফ
খেলা
সব দেখুন- বাফুফের সভাপতি পদের মনোনয়ন ফরম নিলেন তাবিথ আউয়াল
- গ্রিস ফুটবলারের রহস্যজনক মৃত্যু, সুইমিং পুল থেকে উদ্ধার হলো মরদেহ
- দেশি কোচদের নিয়ে তামিমের মন্তব্যের জবাব দিলেন সালাউদ্দিন
- ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে অবশেষে দুঃখপ্রকাশ করলেন সাকিব
- রিংকু-নীতীশের ব্যাটে হাল ধরেছে ভারত
- সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তামিম
বিনোদন
সব দেখুন
মানুষ কিন্তু শয়তানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী: তাসনিয়া ফারিণ
আমরা সবসময় শয়তানের ওপর সব দোষ চাপিয়ে বাঁচতে চাই। অথচ মানুষ কিন্তু শয়তানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। দুর্ভাগ্যবশত অধিকাংশ মানুষ তার অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখে না। আর যারা রাখে তাদের ওপর শয়তান কখনো আছর করতে পারে না। আপনি কোন দলে? শনিবার (১২ অক্টোবর) ফেসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।হঠাৎ ফারিণ এমন স্ট্যাটাস কেন দিলেন প্রশ্ন উঠতে পারে। এর পেছনে একটি কারণও রয়েছে। ১০ অক্টোবর থেকে অভিনেত্রীর নতুন ওয়েব সিরিজ 'চক্র' একটি ওটিটি প্লাটফরমে প্রদর্শিত হচ্ছে। আগেও একাধিক ওয়েব ফিল্মে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া কলকাতার সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন ফারিণ।তবে দেশীয় কনটেন্ট 'চক্র' নিয়ে তার নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর সেকারণে শয়তানের বিষয়টি সামনে আনলেন তিনি। ইতিমধ্যে সবাই জেনেছেন সত্য ঘটনাবলম্বনে নির্মিত সিরিজটি। কিন্তু কাজটি করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ফারিণকে।কাজটি করার সময় কিছু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। প্রায় তিন বছর আগে 'চক্র' একটি টেলিভিশন সিরিয়াল হিসেবে নির্মিত হলেও শেষ পর্যন্ত ওটিটিতে প্রকাশিত হলো। তেমনি শুটিং করার সময়ও শিল্পীদের অনেকেই বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন।ফারিণ বলেছিলেন, আমরা যেখানে বা যেই হাউসটিতে শুটিং করি, সেখানে প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম, সেদিনই আমার ভেতরে নেগেটিভ কিছু বিষয় উপলব্ধি হয়। শুটিং চলার সময় একবার আমি কোনো কারণ ছাড়াই অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমাদের নির্মাতা ভিকি ভাইয়ের পা ভেঙে যায়। এছাড়া শুটিংয়ের সময়ে প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকি। তারপর আমাদের শুটিং ইউনিটের অনেকেই কারণ ছাড়া আমাদের সেট থেকে চলে যাচ্ছিলেন, যেটির ব্যাখ্যা আসলে আমরা এখনও পাইনি। তবে কাজটি অবশেষে মুক্তি পেয়েছে, এটাই আনন্দের। তাই শুটিংয়ের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে এখন আর খুব বেশি কথা বলতে চাই না।বলে রাখা ভালো, ১৭ বছর আগে ময়মনসিংহের একটি পরিবারের ৯ জন সদস্য আত্মহত্যা করেন। তোলপাড় তোলা সেই ঘটনা নিয়েই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ। 'চক্র' ওয়েব সিরিজের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ ও তৌসিফ মাহবুব। আরও রয়েছেন শাহেদ আলী, মারশিয়া শাওন, একে আজাদ সেতু, মাসুদুল মাহমুদ রোহানসহ অনেকে।
‘ডোরেমনের’ ভয়েস আর্টিস্ট নোবুয়া ওইয়ামা আর নেই
১৯৭৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জনপ্রিয় কার্টুন ‘ডোরেমন’ চরিত্রে কণ্ঠ দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন নোবুয়ো ওইয়ামা।৯০ বছর বয়সী এই আর্টিস্ট, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিতক কারণে প্রাণ হারান। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবুয়ো ওইয়ামা মূলত কণ্ঠ দিয়েছিলেন নীল রঙের বিড়াল ডোরেমনের। তার কণ্ঠে মুগ্ধ করেছেন হাজারো ক্ষুদে দর্শকদের।কার্টুনটিটে, ২২ শতকের কাল্পনিক ভবিষ্যত থেকে আসা এই বিড়ালের একটি ‘জাদুর পকেট’ আছে, যেখান থেকে সে সব ধরনের অত্যাধুনিক গ্যাজেট বের করে আনতে পারে। তার সুপরিচিত গ্যাজেটের মধ্যে একটি ছিল পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য একটি বিশেষ দরজা। যেটির নাম এনি হোয়ার ডোর। ডোরেমন ছাড়াও এই কার্টুনে আরও চরিত্রে রয়েছেন নোবিতা, সুজুকা, সুনিও আর জিয়ান।উল্লেখ্য, ওইয়ামা অবসর নেওয়ার পর অন্যান্য শিল্পীরা তার জায়গা নিলেও ‘ডোরেমনের কন্ঠ’ হিসেবে তিনিই পরিচিত। পরে, অন্যান্য শিল্পীরা-ও তার মতো করেই কণ্ঠ দিয়েছেন।এসএফ
এবার বিপিএলে চমক থাকবে: শাকিব খান
দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকাই সিনেমার রাজত্ব একাই শাসন করছেন শাকিব খান। তবে এবার হালের এই জনপ্রিয় তারকাকে ক্রিকেট মাঠেও দেখা যাবে। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে নয়, বিপিএলের (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ) দলের মালিক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি বিপিএলের একটি দল কিনেছেন শাকিব খান। তার দলের নাম 'ঢাকা ক্যাপিটালস'। শাকিব খান তার কসমেটিকস ও হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের হয়ে এ দল কিনেছেন। এবার বিপিএল- এ দল কেনা নিয়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের মুখোমুখি হলেন শাকিব খান হঠাৎ বিপিএল এ দল কেনার উদ্দেশ্য এবং সুপারস্টার নায়ক কী এবার ক্রিকেটের সুপারস্টার সাকিবকে নিয়ে মাঠে ফিরবে! এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব খান বলেন- ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আমার ছোটবেলা থেকে ছিল। শুটিংয়ে থাকলেও বড় বড় ম্যাচের আপডেট নিতাম সব সময়। তাছাড়া এশিয়ানদের ইমোশনের জায়গা ক্রিকেট। বিপিএল-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা অনেক আনন্দের বিষয়। এই ইচ্ছে আমার অনেক আগে থেকে ছিল। আমার কোম্পানি রিমার্ক হারল্যানেরও ইচ্ছে ছিল। আগে থেকে ক্রিকেটের দেশ বিদেশে বড় বড় টুর্নামেন্টে রিমার্ক হারল্যান থেকে স্পন্সর করা হয়। আমরা নতুন ভাবে দল গঠনের চেষ্টা করছি। ঢাকা ক্যাপিটালস-শুধু আমার একার নয়, এই টিম আসলে সবার। আমার বিশ্বাস সবার ভালোবাসা ও সমর্থন পাবে ঢাকা ক্যাপিটালস। এবার বিপিএল আমাদের দেশে নতুন করে সেজে উঠছে। আমার বিশ্বাস এবার বিপিএল জমে উঠবে। এখনো খেলোয়াড় চুড়ান্ত করা হয়নি। চমক তো থাকবেই। জানা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। এবি
মানুষ আমাকে শাহরুখ খানের মতো করে ভালোবাসে: শাকিব খান
ঢাকাই সিনেমার একমাত্র মেগাস্টার শাকিব খান। যার নামেই সিনেমা হলে দর্শক আসে। যার সিনেমার টিকেট না পেলে দর্শক হল ভাংচুর করে। দিনকে দিন নিজেই নিজের একমাত্র প্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠছেন শাকিব খান। ঢালিউডে তার সাথে টক্কর দেওয়ার মতো কেউ নেই। বেছে বেছে বছরে একটি-দুইটি সিনেমায় কাজ করতে চান তিনি। যারই ধারাবাহিকতায় খুব শিগগিরই এই নায়ক 'বরবাদ' শিরোনামের সিনেমার শুটিং শুরু করতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি বর্তমানে তার ব্যস্ততা, ব্যাক্তিগত জীবন ও সাম্প্রতিক নানা প্রসঙ্গে সময়ের কণ্ঠস্বরের মুখোমুখি হন কিং খান। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেমন আছেন? আমি খুব ভালো আছি। আমার কোনো প্রবলেম নেই। আমি অরাজনৈতিক একজন মানুষ। সবসময় দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষের মানুষ। শাকিব খানকে দেশে কিং খান বলা হয় তবে ভারতে কিং খান বলতে শাহরুখ খানকেই দর্শক চেনেন। আপনি তাঁর সঙ্গে নিজের কি কোন মিল খুঁজে পান? শাহরুখ খান একজন বিশ্ববিখ্যাত তারকা, গ্লোবাল সুপারস্টার। এশিয়ার স্টারদের জন্য উনি অনুপ্রেরণার নাম। আমি মনের করি, শুধু ইন্ডিয়া নয়, সমগ্র এশিয়ার জন্য তিনি গর্বের নাম। তার সঙ্গে তুলনা করার প্রশ্নই আসে না। আমি চিন্তাও করিনি কখনও। মানুষ একটু হলেও যে তার মতো করে আমাকে ভালোবাসেন; বোধহয় এই মিলটুকু খুঁজে পাই। এটাই ভালো লাগার বিষয়। আপনার আসন্ন ছবি দরদ-এ সোনাল চৌহনের সঙ্গে কাজ করলেন। তা সঙ্গে কাজ করার সময় ভাষা গত কোনো সমস্যা হয়েছে?বাংলা-হিন্দি অনেক শব্দের মিল রয়েছে। তাই পরষ্পরের ভাষাগত বোঝাবুঝিতে একদমই বেগ পেতে হয়নি। তাছাড়া আজকের পৃথিবীতে ভাষা কোনো ব্যাপার না। সোনালকে নায়িকা হিসেবে কত নম্বর দেবেন? তাঁর কোন গুণটা ভাল লেগেছে?সোনাল ডেফিনেটলি কো-অপারেটিভ আর্টিস্ট। সে চেষ্টা করেছে ভেঙে নতুন ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে। শুটিংয়ে তার যে ডেডিকেশন দেখেছি, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, হ্যাপি হয়েছি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া তথা যারা দরদ দেখবে সবার কাছে ভালো লাগবে। তুফান ছবি বাংলাদেশে প্রায় রেকর্ড গড়েছে, কিন্তু কলকাতায় সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি। কারণ কী হতে পারে? ওখানে কর্মাশিয়াল ছবির বাজার খুবই মন্দ। যতটুকু গিয়ে দেখলাম, খোঁজখবর নিলাম ওখানকার বড়বড় স্টাররা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেক বছর ধরে কলকাতার কর্মাশিয়াল ফিল্মের বাজার অনুকূলে নেই। তুফানের সাকসেস কিন্তু শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ না, গ্লোবালি সাকসেস এসেছে। এই সাকসেস গত বছর প্রিয়তমা থেকে শুরু হয়েছে। পৃথিবীর বড়বড় শহরে অফিশিয়াল রিলিজ দিয়ে আমরা পরপর প্রিয়তমা, রাজকুমার, তুফানের সাকসেস পেয়েছি। দিনের পর দিন এটা বাড়ছে। আমার সামনের ছবিগুলো গ্লোবাল রিলিজের ক্ষেত্রে তুফানের চেয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা করে রাখা রয়েছে। আমি লক্ষ্য করছি, দেশের মতো সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ছবির মার্কেট তৈরি হয়ে গেছে। স্টকহোম, ডাবলিন, প্যারিস, মিডিল ইস্ট, নর্থ আমেরিকা ছাড়াও এমন এমন শহরের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে হলিউডি ছবিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ছবিগুলো রিলিজ হচ্ছে। সাকসেস আসছে, যেটা আগে ভাবনার গণ্ডির বাইরে ছিল। কিন্তু আমি এই স্বপ্নটাই দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি যা এখন সত্যি হয়েছে।সিনেমা থেকে গান ভারত বাংলাদেশের একটা সহজ চলাচল ছিল। এমন পালাবদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য কী সিনেমার শিল্পের উন্নতি সম্ভব?বাংলাদেশের ইলিশ মাছ তো ঠিকই যাচ্ছে। আমাদের ক্রিকেটাররা খেলতে যাচ্ছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মিটিং হচ্ছে। প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের পরস্পরের মিলে মিশে থাকা উচিত। তেমনটাই তো দেখছি। কিছু মানুষ এখান থেকে এক কথা বললে, ওখান থেকেও কিছু মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে আজে বাজে বলছে! মানুষের আবেগের জায়গা থেকে মতামতের একটা বিভেদ থাকতে পারে। আর সম্পর্ক থাকলে ভাঙা-গড়া সবখানে থাকেই। কিছুদিন পর আবার ঠিক হয়ে যায়। এসব নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত না। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকরা হয়তো সমস্যা খুঁজে সমাধান বের করবেন। আমি মনে করি, এশিয়ান হিসেবে আমাদের মিলেমিশে থাকা উচিত। এত বড় একটা পালা বদল অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়েছে, সিনেমা হল ভাংচুর হয়েছে। দেশের মেগাস্টার হিসেবে আপনি কীভাবে দেখছেন এই পরিস্থিতি?এতবড় ঘটনার পরে স্বাভাবিক হতে একটু তো সময় লাগে। আমাদের এখানকার একজন আর্টিস্টের ছবি যখন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেল, তখনই ওখানাকার একটি আন্দোলনের ফলে মুখ থুবড়ে পড়লো। সবখানে কমবেশি ওলট-পালট থাকে। দেশের ক্রাইসিসে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করবে, আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক।সাধারণ মানুষরাই অনেক কিছু ভাঙে আবার তারাই গড়ে! নতুন কিছু এলে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করে। তাই সবকিছু আবার যেভাবে গড়ে উঠছে আমি আশা করছি সবাই আবার স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে কাজে মনোযোগী হচ্ছে। আমি আশা করবো, আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আগের চেয়ে আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। বার বার আপনার ব্যক্তিগত জীবন তথা বিয়ে নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া হয়। ব্যক্তি শাকিবকে কতটা আঘাত দেয় এসব?আঘাত তো দিয়েছেই। কোনো ভাঙনই তো সুখের নয়। যতটুকু হয়েছে, হয়তো ওপর্যন্ত হওয়ার ছিল। লাইফ ইজ অ্যা জার্নি। জার্নিতে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, পরিচয় হয়। আমার জীবনে দুজন (অপু-বুবলী) মানুষ অতীত, এটা আগেও বলেছি। অতীত হিসেবে তারা থাকুক। এসব নিয়ে আমার আক্ষেপ-ভ্রূক্ষেপ কিছুই নেই। যা হয়েছে হয়তো ভালোর জন্য হয়েছে। ওগুলো আমি মনেও করিনা। আমার দুই সন্তান, বাবা-মা, বোন ও তার পরিবার, কিছু কাছের আপন মানুষ, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান (অথেনটিক কসমেটিক্স এন্ড হোমকেয়ার প্রতিষ্ঠান), এবং দেশ বিদেশের লাখো কোটি ভালোবাসার মানুষ রয়েছে। যারা আমাকে অঢেল ভালোবাসা দেয়; তাদের সবাইকে নিয়ে আমি খুব ভালো আছি। বাকি জীবনটা সবার ভালোবাসা নিয়ে কাটাতে চাই।মাঝে শোনা গিয়েছিল আপনি ফের বিয়ে করবেন। অনেকে বলছেন পাত্রী নাকি ডাক্তার। সত্যিই কী বিয়ে করছেন?মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। লেটস সি... কোনো ফোর্স নেই যে এই সালের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মার যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সেটেল দেখে যেতে চায়। বড় তারকার হওয়ার বিড়ম্বনা ঠিক কোনগুলি?অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ফেইস করতে হয় ভিত্তিহীন নিউজ। উদ্ভট উদ্ভট জিনিস নিয়ে মাঝে মধ্যে লেখালিখি দেখি। যার কোনো সত্যতা নেই, যা কখনও ঘটেনি সেগুলো অনেকে রঙ মিশিয়ে লিখে দেয়। কে কার আগে নিউজ দেবে বা ভিউ হবে এই প্রতিযোগীতার কারণে এসব হয়ে থাকে। এগুলো মাঝে মধ্যে বিব্রতকর লাগে। এছাড়া বিভিন্ন সময় মানুষ কাছে আসার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে, ঘিরে ধরে এটা আসলে ভালোবাসার কারণে হয়। এই ভালোবাসার কারণেই তো আমি।বরবাদ সিনেমা সম্পর্কে বলুন। কবে নাগাত শুরু হবে? কবে নাগাদ দেখা যাবে সিনেমাটি? এ মাসেই (অক্টোবর)-এ মুম্বাইতে শুরু হচ্ছে বরবাদ। আগামী বছর ভালো সময়ে রিলিজ হবে। আবার বিগত সিনেমাগুলো একটি আরেকটিকে ক্রস করেছে। বরবাদ অতীতের রেকর্ড ভাঙবে এই প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি। শুটিংয়ের আগে গ্লোবাল রিলিজে ইতোমধ্যে গুড ভাইব পাচ্ছিতুফান ২ নিয়ে আপনার আশাবাদ কেমন?প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এ বছর আমরা 'তুফান ২' করছি না। এতটুকু কনফার্ম ২০২৫-এ 'তুফান ২' আসছে না। তার আগে আমরা আলফা আই, চরকি, এসভিএফ মিলে অন্য একটি প্রজেক্ট করতে পারি। এই কাজটির প্লট আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে। কিছুদিনের মধ্যে সবাইকে এটি জানানো হবে। আমি বরাবরই মেধাবী ও নতুন গল্পে যারা আমাকে প্রেজেন্ট করতে পারবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করি। এতে নিজের মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ আনা যায়। হঠাৎ বিপিএল এ দল কেনার উদ্দেশ্য কি? এখানে সুপারস্টার নায়ক কী ক্রিকেটের সুপারস্টার সাকিবকে নিয়ে ফিরবে? ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আমার ছোটবেলা থেকে ছিল। শুটিংয়ে থাকলেও বড় বড় ম্যাচের আপডেট নিতাম সব সময়। তাছাড়া এশিয়ানদের ইমোশনের জায়গা ক্রিকেট। বিপিএল-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা অনেক আনন্দের বিষয়। এই ইচ্ছে আমার অনেক আগে থেকে ছিল। আমার কোম্পানি রিমার্ক হারল্যানেরও ইচ্ছে ছিল। আগে থেকে ক্রিকেটের দেশ বিদেশে বড় বড় টুর্নামেন্টে রিমার্ক হারল্যান থেকে স্পন্সর করা হয়। আমরা নতুন ভাবে দল গঠনের চেষ্টা করছি। ঢাকা ক্যাপিটালস-শুধু আমার একার নয়, এই টিম আসলে সবার। আমার বিশ্বাস সবার ভালোবাসা ও সমর্থন পাবে ঢাকা ক্যাপিটালস। এবার বিপিএল আমাদের দেশে নতুন করে সেজে উঠছে। আমার বিশ্বাস এবার বিপিএল জমে উঠবে। এখনো খেলোয়াড় চুড়ান্ত করা হয়নি। চমক তো থাকবেই। জানা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।এবি
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
দাম নিয়ে আপত্তি থাকলেও বাতিল হচ্ছে না আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি
দাম নিয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতের বেসরকারি সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার’ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে। তাই আদানির চুক্তিটি সরাসরি বাতিল করা কঠিন হবে। দ্বিতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি।অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়। এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি। ভারতের বেসরকারি সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার’ ও আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থার বাংলাদেশের কাছে মোট বকেয়ার পরিমাণ ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের শেষ দিক থেকেই বাংলাদেশ চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে, টান পড়েছে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভেও। অথচ এই বকেয়া পরিশোধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে খুব দ্রুতই অর্থের সংস্থান করতে হবে।এইচএ
সবজির বাজারে আগুন, কাঁচামরিচের কেজি ৪০০
দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা। সরবারহে খুব একটা কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে গেছে বিভিন্ন সবজির। ১০০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি মিলছে না।শুধু তাই নয়, কাঁচামরিচের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করছে, পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। মুরগি আর মাছের দাম তো আগে থেকেই বাড়তি। বাজারে গিয়ে কোনটা কিনবেন আর কোনটা কিনবেন না, ভেবে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা। সরকারের পট পরিবর্তনের ডামাডোলে বাজারদর নিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত নিম্ন-মধ্যবিত্তদের।বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, উৎপাদন এলাকায়ও চড়া সবজি দর। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে তবুও মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। তারা বলছেন, বন্যার কারণে সবজির জোগান কমেছে।শুক্রবার রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে ডিম, পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে শুধু চারটি সবজি। এগুলো হলো পেঁপে, পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা দরে। এছাড়া পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলার কেজি বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকা।বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা দরে। এরমধ্যে আছে গোলবেগুন, বরবটি, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, ধুন্দলের মতো সবজি। এসব সবজির দাম ১০০ টাকার নিচে নামছেই না।সবজির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এসব সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম নিয়ে বেড়েছে ক্রেতাদের অস্বস্তি। আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। কখনো কখনো ৪০০ টাকা ছাড়িয়েও যাচ্ছে।বাংলাদেশ পাইকারি কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি অস্বাভাবিক। উত্তরাঞ্চলেরও বেশ কিছু এলাকায় বন্যা হচ্ছে। ফলে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতেও সরবরাহ কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেজন্য উৎপাদন এলাকায় কৃষকরাও এখন তুলনামূলক দাম বেশি নিচ্ছেন।এদিকে, আমদানির উদ্যোগ ও শুল্ক কমানোর খবরে গত তিন দিনে ডিমের দাম কমেছে। শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহের শুরুতেই ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।তবে এ সময় ব্রয়লার মুরগির দর কমেনি। এখনো ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।ভারত রপ্তানির শর্ত শিথিল করায় দেশের বন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। তারপরও কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে।এসএফ
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি বাড়বে, বাংলাদেশের কমবে: বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস
দেউলিয়া পরিস্থিতির মধ্যেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আগামী দিনে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এর প্রভাব পড়বে। তবে বাংলাদেশে টানা কয়েক বছর ৫ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও এবার নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত ‘সাউদ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’- এর অক্টোবর সংখ্যায় এই পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতে প্রত্যাশাতীত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভর করে ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। ২০২৫ সালের মার্চে সমাপ্য চলতি অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এপ্রিলের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ ধরা হয়েছে। কৃষি উৎপাদনে ঘুরে দাঁড়ানো ও ব্যক্তিগত ভোগ বাড়ার ফলে প্রতিবেশী দেশটিতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে বিশ্ব ব্যাংকের বিশ্লেষণ।কিন্তু গত অগাস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এবং তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে রপ্তানিতে মন্দার কারণে প্রবৃদ্ধি কমবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে আগে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নামতে পারে। ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে দুর্বল প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে জোরালো প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ হবে না। এক্ষেত্রে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।চলতি অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস লক্ষ্যের চেয়ে তো অবশ্যই কম, কোভিড মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির হারও সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের অনুপস্থিতি এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটেছে পূর্বাভাসে। এ কারণে স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তবে মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে বিশ্বব্যাংক। সরকারের সংস্কার কর্মসূচির ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি। আর্থিক খাতে সংস্কার, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও বাণিজ্য চাঙা হওয়ার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চলতি বছরে এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা তাদের আগে করা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। এর ফলে এই অঞ্চল অর্থনীতির দিকে থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলে পরিণত হওয়ার ধারা বজায় রাখবে।বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার রয়টার্সকে বলেন, উদীয়মান ভোক্তা শ্রেণী ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান অর্থনীতির সংকট কাটছে। এদিকে পর্যটনের ভর করে নেপাল ও ভুটানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।পূর্বাভাসের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলে সামনের দুই বছরে ৬ দশমি ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে সংস্থাটির পূর্বাভাস। রাইসার বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য উর্ধ্বমুখী সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতি বজায় রাখতে দেশগুলিকে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিতে লেগে থাকতে হবে। গতকাল বুধবার চলতি অর্থবছরের জন্য তার জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭ দশমিক ২ শতাংশ বজায় রেখেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ধারণা, উৎপাদনে গতি ও মুদ্রানীতি সহজ করার ফলে চলতি অর্থবছর পাকিস্তানের অর্থনীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়বে, যা আগের পূর্বাভাস ২ দশমিক ৩ শতাংশের চেয়ে বেশি। সার্বভৌম ঋণ খেলাপি ও কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধির বড় ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন হয়েছে। এবছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০২৫ সালে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করছে। আর চলতি অর্থবছরের জন্য নেপালের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভুটানের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ৩২ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অঞ্চলে নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত বলে সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। রাইসার বলেন, ‘শ্রমশক্তিতে আরও বেশি নারীকে আনার ফলে উৎপাদন সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।’এসএফ
শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বেড়েছে রপ্তানি আয়
পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৫১ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ কোটি ডলার বেশি।গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এনবিআর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মতে রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে তারা তথ্য প্রস্তুত করেছেন। এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরব।ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ১৩৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৮২ কোটি ডলার।এইচএ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৪ দিন ব্যাংক বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ঘোষিত ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে টানা ৪ দিন দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকছে।এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।তবে সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে।এদিকে সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রবিবার (১৩ অক্টোবর) পূজার ছুটি। আর ১১ ও ১২ অক্টোবর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ তালিকায় বৃহস্পতিবার যুক্ত হওয়ায় দুর্গাপূজায় মোট ৪ দিন ছুটি মিলেছে। ফলে এ চার দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে।এইচএ
শাখায় টাকা রাখার জায়গা নেই, ট্রাকে করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে
আমানতের চাপে কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্টে টাকা রাখার জায়গা নেই। সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে এ সব ব্যাংকের অনেক শাখা। প্রতিদিন এ সব টাকা ট্রাক ভরে নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন ব্যাংক ৮৫ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দিয়েছে।গত ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে আট হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তা ছিল ছয় হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৮৫ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা জমা হয়েছে। তবে নতুন করে ৮৩ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা ধার নিয়েছে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশি গণমাধ্যম কালের কণ্ঠের একটি একটি প্রতিবেদনে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়।হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ব্যাংক খাতের লুটপাটের চিত্র প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের লুটপাটের শিকার ব্যাংকগুলো তীব্র তারল্য সংকটে পড়েছে। ব্যাংক লুটপাটের তথ্য প্রকাশিত হতে শুরু করলে গ্রাহকের টাকা উত্তোলনের চাপ সামাল দিতে পারছে না ডজনখানেক ব্যাংক। তাদের বিভিন্ন উৎস থেকে ধার করে চলতে হচ্ছে। এ ব্যাংকগুলো সরকার পতনের পর কয়েক দিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল। দৈনিক চাহিদা মেটাতে ধার করেছে অন্য ব্যাংক থেকেও।তবে গেল দুই সপ্তাহে ব্যাংকগুলো যত টাকা নিয়েছে, তার চেয়ে বেশি জমা করেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিটি ব্যাংকের শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত। সীমার বেশি টাকা এলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় জমা করতে হয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে নোটস ইন সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ কমে গত ৩ অক্টোবর তিন লাখ ১০ হাজার কোটিতে নামে। গত ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৬১ কোটি টাকা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়েছিল ব্যাংকে। তাই ওই সময় মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়েছিল। সেটি আবারও ব্যাংকিং চ্যানেলে ফেরত আসতে শুরু করেছে। সাধারণত নোটস ইন সার্কুলেশন বা মানুষের হাতে প্রচলিত টাকার পরিমাণ থাকে দুই লাখ ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি। ব্যাংকের ওপর আস্থা ধীরে ধীরে বাড়লে টাকা আরও ফেরত আসবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সার্কুলেশনে থাকা নোটের মধ্যে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সারা দেশে ১১ হাজারের মতো ব্যাংক শাখার ভল্টে ১৬ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো জমা থাকে। সার্কুলেশনে থাকা বাকি টাকা রয়েছে নাগরিকদের পকেট, ঘরের আলমারি, সিন্দুক কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।জানা গেছে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্জিত অর্থ বিভিন্নভাবে ঘরে রেখেছিলেন অনেকে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর তাদের বেশির ভাগ পলাতক। বর্তমানে তাদের কেউ কেউ ঘরে টাকা রেখে বিপদে আছেন। ফলে নিরাপদ বোধ না করায় বিভিন্নভাবে তারা ভালো ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন।আবার সরকার পতনের পর থেকে বড় অঙ্কের নগদ টাকা তুলতে পারছে না মানুষ। এর কারণ, সরকার পতনের প্রথম সপ্তাহে দিনে সর্বোচ্চ এক লাখ, দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই লাখ এবং তৃতীয় সপ্তাহে তিন লাখ টাকা নগদ উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এখন অবশ্য সে সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। তার পরও সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক থেকে অনেকে বড় অঙ্কের আমানত তুলতে পারছেন না। বিশেষ করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, বাংলাদেশ কমার্স ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের পে-অর্ডার নগদায়নের অপেক্ষায় রয়েছে।সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেবে না। তবে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রা সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা নিতে পারে।জানা গেছে, নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা। নামে-বেনামে টাকা বের করে নেওয়ায় তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংকগুলোয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে যেসব ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে সেগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থায় তারল্য সহায়তা দিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এ সব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে তারল্য সংকটের কারণে ক্ষুদ্র আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে টাকার জন্য ব্যাংকগুলোতে যাচ্ছেন। টাকা না পাওয়ায় অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি যোগ দিয়েই ব্যাংক খাতের সংস্কারে মনোযোগ দেন।এসএফ
আগামী ৫ বছরের জন্য কর অব্যাহতি পেল গ্রামীণ ব্যাংক
আগামী পাঁচ বছরের জন্য আয়কর অব্যাহতি সুবিধা পেল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়ে।এতে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ক্ষমতাবলে ওই আইনের ৭৬-এর উপধারা (৫) এবং (৬)-এর বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সব আয়কে আয়কর প্রদান হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৯ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিঃশর্তভাবে কর মওকুফ সুবিধা পেয়ে থাকলেও ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই সময় কর অব্যাহতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করে গ্রামীণ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি সরকার। এবার নতুন করে ৫ বছর ৩ মাসের জন্য কর অব্যাহতির সুবিধা পেল গ্রামীণ ব্যাংক। গত ১ অক্টোবর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।এমআর
দাম নিয়ে আপত্তি থাকলেও বাতিল হচ্ছে না আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি
দাম নিয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতের বেসরকারি সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার’ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে। তাই আদানির চুক্তিটি সরাসরি বাতিল করা কঠিন হবে। দ্বিতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি।অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়। এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি। ভারতের বেসরকারি সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার’ ও আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থার বাংলাদেশের কাছে মোট বকেয়ার পরিমাণ ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের শেষ দিক থেকেই বাংলাদেশ চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে, টান পড়েছে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভেও। অথচ এই বকেয়া পরিশোধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে খুব দ্রুতই অর্থের সংস্থান করতে হবে।এইচএ
সবজির বাজারে আগুন, কাঁচামরিচের কেজি ৪০০
দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা। সরবারহে খুব একটা কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে গেছে বিভিন্ন সবজির। ১০০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি মিলছে না।শুধু তাই নয়, কাঁচামরিচের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করছে, পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। মুরগি আর মাছের দাম তো আগে থেকেই বাড়তি। বাজারে গিয়ে কোনটা কিনবেন আর কোনটা কিনবেন না, ভেবে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা। সরকারের পট পরিবর্তনের ডামাডোলে বাজারদর নিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত নিম্ন-মধ্যবিত্তদের।বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, উৎপাদন এলাকায়ও চড়া সবজি দর। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে তবুও মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। তারা বলছেন, বন্যার কারণে সবজির জোগান কমেছে।শুক্রবার রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে ডিম, পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে শুধু চারটি সবজি। এগুলো হলো পেঁপে, পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা দরে। এছাড়া পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলার কেজি বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকা।বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা দরে। এরমধ্যে আছে গোলবেগুন, বরবটি, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, ধুন্দলের মতো সবজি। এসব সবজির দাম ১০০ টাকার নিচে নামছেই না।সবজির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এসব সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম নিয়ে বেড়েছে ক্রেতাদের অস্বস্তি। আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। কখনো কখনো ৪০০ টাকা ছাড়িয়েও যাচ্ছে।বাংলাদেশ পাইকারি কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি অস্বাভাবিক। উত্তরাঞ্চলেরও বেশ কিছু এলাকায় বন্যা হচ্ছে। ফলে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতেও সরবরাহ কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেজন্য উৎপাদন এলাকায় কৃষকরাও এখন তুলনামূলক দাম বেশি নিচ্ছেন।এদিকে, আমদানির উদ্যোগ ও শুল্ক কমানোর খবরে গত তিন দিনে ডিমের দাম কমেছে। শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহের শুরুতেই ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।তবে এ সময় ব্রয়লার মুরগির দর কমেনি। এখনো ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।ভারত রপ্তানির শর্ত শিথিল করায় দেশের বন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। তারপরও কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে।এসএফ
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি বাড়বে, বাংলাদেশের কমবে: বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস
দেউলিয়া পরিস্থিতির মধ্যেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আগামী দিনে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এর প্রভাব পড়বে। তবে বাংলাদেশে টানা কয়েক বছর ৫ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও এবার নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত ‘সাউদ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’- এর অক্টোবর সংখ্যায় এই পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতে প্রত্যাশাতীত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভর করে ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। ২০২৫ সালের মার্চে সমাপ্য চলতি অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এপ্রিলের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ ধরা হয়েছে। কৃষি উৎপাদনে ঘুরে দাঁড়ানো ও ব্যক্তিগত ভোগ বাড়ার ফলে প্রতিবেশী দেশটিতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে বিশ্ব ব্যাংকের বিশ্লেষণ।কিন্তু গত অগাস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এবং তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে রপ্তানিতে মন্দার কারণে প্রবৃদ্ধি কমবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে আগে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নামতে পারে। ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে দুর্বল প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে জোরালো প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ হবে না। এক্ষেত্রে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।চলতি অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস লক্ষ্যের চেয়ে তো অবশ্যই কম, কোভিড মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির হারও সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের অনুপস্থিতি এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটেছে পূর্বাভাসে। এ কারণে স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তবে মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে বিশ্বব্যাংক। সরকারের সংস্কার কর্মসূচির ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি। আর্থিক খাতে সংস্কার, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও বাণিজ্য চাঙা হওয়ার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চলতি বছরে এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা তাদের আগে করা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। এর ফলে এই অঞ্চল অর্থনীতির দিকে থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলে পরিণত হওয়ার ধারা বজায় রাখবে।বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার রয়টার্সকে বলেন, উদীয়মান ভোক্তা শ্রেণী ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান অর্থনীতির সংকট কাটছে। এদিকে পর্যটনের ভর করে নেপাল ও ভুটানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।পূর্বাভাসের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলে সামনের দুই বছরে ৬ দশমি ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে সংস্থাটির পূর্বাভাস। রাইসার বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য উর্ধ্বমুখী সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতি বজায় রাখতে দেশগুলিকে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিতে লেগে থাকতে হবে। গতকাল বুধবার চলতি অর্থবছরের জন্য তার জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭ দশমিক ২ শতাংশ বজায় রেখেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ধারণা, উৎপাদনে গতি ও মুদ্রানীতি সহজ করার ফলে চলতি অর্থবছর পাকিস্তানের অর্থনীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়বে, যা আগের পূর্বাভাস ২ দশমিক ৩ শতাংশের চেয়ে বেশি। সার্বভৌম ঋণ খেলাপি ও কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধির বড় ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন হয়েছে। এবছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০২৫ সালে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করছে। আর চলতি অর্থবছরের জন্য নেপালের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভুটানের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ৩২ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অঞ্চলে নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত বলে সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। রাইসার বলেন, ‘শ্রমশক্তিতে আরও বেশি নারীকে আনার ফলে উৎপাদন সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।’এসএফ
শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বেড়েছে রপ্তানি আয়
পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৫১ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ কোটি ডলার বেশি।গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এনবিআর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মতে রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে তারা তথ্য প্রস্তুত করেছেন। এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরব।ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ১৩৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৮২ কোটি ডলার।এইচএ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৪ দিন ব্যাংক বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ঘোষিত ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে টানা ৪ দিন দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকছে।এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।তবে সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে।এদিকে সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রবিবার (১৩ অক্টোবর) পূজার ছুটি। আর ১১ ও ১২ অক্টোবর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ তালিকায় বৃহস্পতিবার যুক্ত হওয়ায় দুর্গাপূজায় মোট ৪ দিন ছুটি মিলেছে। ফলে এ চার দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে।এইচএ
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে বিভাগ
নতুন কারিকুলামে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ উঠিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন কারিকুলাম বাতিল, সংযোজনের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে নবম শ্রেণিতে ফের বিভাগ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। সে হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণিতে বিভাগ চালু হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী বছর দশম শ্রেণিতে বিভাগ (মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান) নির্বাচনের সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বইও দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এক শিক্ষাবর্ষেই শিখন কার্যক্রম শেষ করার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে।এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, চলতি বছর যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা আগামী বছর দশম শ্রেণিতে বিভাগ নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে তারা এক শিক্ষাবর্ষেই শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুযায়ী হবে বলেও জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা শিক্ষাক্রম ২০১২ এর ভিত্তিতে হবে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পরিমার্জিত সিলেবাস বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। মূলত নবম শ্রেণির এই পরিমার্জিত সিলেবাস ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে।ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দশম শ্রেণির বইগুলো ছাপার ব্যবস্থা করছি। যাতে বছরের শুরুতেই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই হাতে পায়।ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ১ সেপ্টেম্বর নানা কারণে আলোচিত- সমালোচিত নতুন শিক্ষাক্রমটি বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে এক প্রজ্ঞাপনে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ২০২৬ সাল থেকে বিভাগ চালু করা হবে বলেও জানানো হয়।পরিপত্রে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।এইচএ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের 'ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচি' আয়োজন
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকায় ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।এসময় এখানে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জিসান, নর্থ হলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খোকনসহ ছাত্রদলের ঢাকা কলেজের বিভিন্ন পযার্য়ের নেতাকর্মীরা।এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জিসান বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃত্যুর হার। এজন্য দেশবাসী ও ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্ষায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ডেঙ্গুর লার্ভা থেকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসকে মুক্ত করতে তারা চেষ্টা করছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। ছাত্রদল সবসময় দেশনায়েক জনাব তারেক রহমান ও এদেশের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী। এদেশের ক্রান্তিকালে সকল দুযোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সকল সময়ে জনগণের পাশে থেকেছে। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের কোথাও সাধারণ জনগণের জন্য, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য জোড়ালোভাবে কাজ করার সুযোগ পায়নি। তাদের ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে আমাদের সেইসব সুযোগ সংকুচিত ছিলো। আপনারা জানেন, বিগত জুলাই- আগষ্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে। ফলে সারা বাংলাদেশে এখন কিছুটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল দেশগঠনে ও তাদেক রহমানের যে স্বপ্নের বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য যে চৌকস, মেধাবী ও ত্যাগী নেতাকর্মী দরকার সেই নেতাকর্মী গঠনের প্রয়াস ছাত্রদল চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই উদ্দেগ।এসময় ঢাকা কলেজ উত্তর হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন বলেন, ঢাকা কলেজ শাখার পক্ষ থেকে আজকের এই অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। গত ৫ আগষ্টের পর যখন আমরা হলে উঠলাম, তখন মশার প্রচুর উৎপাত লক্ষ্য করলাম। এর মধ্য সাউথ হলের একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। যা আমাদের খুবই চিন্তিত করেছে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, একটা অভিযান দিলে হয়তো এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমবে। এটা পুরোপুরি নির্মুল করতে আমরা ধাপে ধাপে কর্মসূচি দিবো। এছাড়া সমাজসেবামূলক কাযক্রমের অংশ হিসেবে অলরেডি আমরা একটা ভর্তি সহায়তা কাযক্রম পরিচালনা করেছি। এর ধারাবাহিকতায় আজকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কাযক্রম হাতে নিয়েছি। এরকম ভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত হবে এরকম সামাজিক কার্যক্রম আমরা সামনে দিবো।এসএফ
মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)। এদিন বেলা ১১টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন থেকে একযোগে জানা যাবে পরীক্ষার ফল। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার জানান, শিক্ষার্থীদের ফল জানতে স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড ফল অনলাইনে প্রকাশ করবে। এ ছাড়া, এসএমএস করেও ফল জানতে পারবে।যেভাবে জানা যাবে ফলএ বছরই প্রথম কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান না করে স্ব স্ব বোর্ড থেকে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।শিক্ষার্থীরা এবারও এসএমএস, ওয়েবসাইট এবং নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে পারবে।অনলাইনে জানা যাবে যেভাবেস্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ফল বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে Result sheet download করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd ও www.eduboardresults.gov.bd-এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবে।এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে যেভাবেSMS-এর মাধ্যমে নিম্নোক্ত উপায়ে ফল সংগ্রহ করা যাবে: HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।এসএফ
রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা না হলে সোমবার থেকে আন্দোলন
ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য আমি সাত দিনের সময় দিয়েছিলাম। রোববার (১৩ অক্টোবর) সেই সময় শেষ হবে। রোববারের মধ্যে যদি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে সোমবার থেকে আমার দাবির সমর্থনে আপনারা এখানে (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) আন্দোলন শুরু করবেন। নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমি ঢাকায় মাঠে থাকবো।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র জঙ্গি সংগঠন হলো ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্তি পেতে হবে। আগে ছাত্রলীগকে দিয়ে শুরু করি, পরে আওয়ামী লীগকে ধরবো।এসময় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিফল হলে বাংলাদেশে আবারও ভারতীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এজন্য তিনি সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।সভায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘দুটো লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছিল। প্রথম লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটানো। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে নির্মূল করা। আমাদের প্রথম লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়টা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। এখন সুযোগ এসেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদ চিরতরে উৎখাত করার। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সব চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ এই সরকার না টিকলে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সীসাঢালা ঐক্য লাগবে। ১৮ কোটি জনগণ যদি এক থাকে তাহলেই ভারতীয় আধিপত্যবাদের উৎখাত সম্ভব।’সরকারের সমালোচনা করে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক বলেন, ‘সরকার এখন পর্যন্ত তাদের শক্তি দেখাতে পারেনি। সরকার খুব স্লো। তারা আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অর্থবহ অ্যাকশন নিতে পারেনি। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোন আইনে সে ভারতে বসে আছে? সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আছে।’শেখ হাসিনাকে দিল্লির ঘৃণ্য এজেন্ট উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিস্ট ও ইসলামবিরোধী সরকার ছিল সেটি সরাসরি দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়েছে। ১৯৮১ সালে ইসলাম এবং বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য সে দিল্লি থেকে এসেছিল। পতনের পর এখন আবার প্রভুর কাছেই আশ্রয় নিয়েছে। দিল্লি ছাড়া তার আর যাওয়ার জায়গা নেই।’এসএফ
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
নিজেই নকশা করে স্ত্রীকে গাড়ি উপহার দিলেন মার্ক জাকারবার্গ
ভালোবেসে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের জন্য তৈরি করেছিলেন তাজমহল। এবার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে নিজে গাড়ির নকশা করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। সেই গাড়ি তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত মোটারগাড়ি নির্মাতা পোরশে। পোরশের সেই গাড়ি স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে উপহার দিয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।নিজের জন্যও একটি পোরশে গাড়ি কিনেছেন, তবে সেটির নকশা মার্কের করা নয়। দুটি গাড়ি পেছনে রেখে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের ছবিও প্রকাশ করেছেন মার্ক জাকারবার্গ।স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের জন্য জাকারবার্গের নকশায় তৈরি করা গাড়িটির নাম পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান। সাধারণত এমন গাড়ি পোরশে বানায় না। শুধু মার্ক জাকারবার্গের জন্যই ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় মিনিভ্যানটি তৈরি করেছে পোরশে। জাকারবার্গের নিজের জন্য কেনা গাড়িটির মডেল পোরশে ৯১১ জিটি৩। দুটি গাড়ির রংই ধূসর।প্রসঙ্গত ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমসের মাধ্যমে ক্রেতারা চাইলেই নিজের মতো করে গাড়ির নকশা ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই নিজের পছন্দের নকশায় স্ত্রীর জন্য পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান গাড়িটি তৈরি করেন মার্ক জাকারবার্গ।ইনস্টাগ্রামে মার্ক জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আরেকটা নতুন গল্প। প্রিসিলা একটি মিনিভ্যান চেয়েছিল, তাই আমি এমন কিছু নকশা করেছি। আমি নিশ্চিতভাবে এমন একটি নকশা করেছি, যা একটি পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান। আরেকটি ম্যানুয়াল জিটি–৩ নিয়েছি। পোরশে ও ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমকে ধন্যবাদ।’গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়ির পেছনের উঠানে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের বিশাল ভাস্কর্য উন্মুক্ত করেন মার্ক জাকারবার্গ। রুপালি চাদরে আচ্ছাদিত ভাস্কর্যটিতে প্রিসিলা চ্যানের চেহারা সবুজ রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হাইপারবিস্ট এসএফ
নাসার হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মিরহার সাফল্য
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের চলতি বছরের ‘বাংলাদেশ পর্বে’ রাজশাহী বিজিবি স্কুলের শিক্ষার্থী মিরহা সেনায়াত বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে।মিরহা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাজশাহী পরিচালিত শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা এসএম আজম রাজশাহীর একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। মা শাহিদা ফেরদৌসি একজন গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে মিরহা বড়। ছোট বোন মাহদিয়া নুসাইবা একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেজি ক্লাসের ছাত্রী।মেধাবী ছাত্রী মিরহা তার এ সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি। গত জুলাই মাসে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের বাছাই পর্বে জয়ী হয়ে এ বিষয়ে আমার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। ঢাকায় নাসা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এত বেশি আনন্দ পেয়েছি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর থেকে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত টানা ৩৬ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।এদিকে গত ৬ অক্টোবর রাতে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ পর্বের বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ মিলিয়ে মোট ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। একইসঙ্গে স্কুল শিক্ষার্থীদের দল ‘সোলার শ্যাডো’ পেয়েছে বিশেষ সম্মাননা।সৌরজগতে গ্রহ-উপগ্রহ সম্পর্কে খেলতে খেলতে শেখার গেইম তৈরি করে এ সম্মাননা জিতেছে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবহা সাফায়াত সিজদার নেতৃত্বাধীন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সেজদা জাকির তারল্য, মিরহা সেনায়াত, আমিনুর রহমান সাজিম ও গোলাম তাহরীম বিন আরিক।এসএফ
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে ৮ সদস্যের কমিটি
গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। হয়রানিমূলক এসব মামলা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হলো।কমিটি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ করবে এবং সময়ে সময়ে মামলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। কমিটিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (সম্প্রচার) সভাপতি করা হয়েছে।কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন– তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার, আইন ও বিচার বিভাগের একজন প্রতিনিধি (জেলা জজ পদমর্যাদার), চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস)।এসএফ
মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক
বিশ্বজুড়ে বহুল পরিচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ফেসবুক। যেখানে স্ট্যাটাসে কিংবা পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের মিউজিক ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরণের ছবির ভিডিও পোস্ট করে থাকে। এছাড়া অনেকেই আবার ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফেসবুকের সাধারণত ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস নামের তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে আয় করা যায়। তবে সম্প্রতি কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে। এই নতুন প্রোগ্রামটি ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।এক ঘোষণায় ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, গত বছরগুলোতে নির্মাতারা রিলস, ভিডিও, ছবি ও টেক্সট পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছেন। তবে অনেক নির্মাতাই তাঁর সম্ভাব্য আয়ের সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি। ফেসবুকের মনিটাইজেশন থেকে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ নির্মাতা বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করে আয় করতে পেরেছেন। নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি ২০২৫ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে, এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা এবং নিরাপত্তা উন্নয়নেও কাজ করছে, যাতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আরও সহজ এবং নিরাপদ হয়।এই উদ্যোগ ফেসবুকের ক্রিয়েটরদের প্ল্যাটফর্মে আরও আকৃষ্ট করবে এবং ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে। ক্রিয়েটররা এই সুযোগগুলোর মাধ্যমে তাদের আয়ের ধরন এবং কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার সুযোগ পাবেন।বিশেষ করে নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে কনটেন্টের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং বিজ্ঞাপনদাতারাও এই প্ল্যাটফর্মে আরও আগ্রহী হবে। একসাথে, এই প্রোগ্রামটি ফেসবুককে একটি শক্তিশালী কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলবে। যা ক্রিয়েটরদের ভবিষ্যৎ কনটেন্ট তৈরির প্রক্রিয়া এবং আয়ের জন্য আরও সহায়ক হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার ডেল’র সেরা পরিবেশক হল ‘স্মার্ট টেকনোলজিস’
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ডেল’র সেরা পরিবেশক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। দক্ষিণ এশিয়া এবং ইমার্জিং মার্কেট এর ১২টি দেশের শীর্ষ প্রযুক্তি খাতের নেতৃবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ এবং উদ্ভাবকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে, ডাটা সেন্টার সল্যুশন এবং স্টোরেজ ব্যবসায় উন্নয়নে বিশেষ অবদান স্বরূপ ‘স্মার্ট টেকনোলজিস’কে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।বুধবার (২ অক্টোবর ২০২৪) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক এর এথেনি হোটেলে ডেল টেকনোলজিস আয়োজিত সাউথ এশিয়া পার্টনার সামিটে ডেল কতৃপক্ষ সেরা পারফর্মার এওয়ার্ডটি স্মার্ট টেকনোলজিস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের হাতে তুলে দেন।ডেল এর সেরা পারফর্মার পুরষ্কার পেয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, “এই ধরনের স্বীকৃতি শুধুমাত্র আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, দেশের জন্যও ভীষণ গর্বের। কারণ, এখানে ১২টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে আমরা এই স্বীকৃতি পেয়েছি। স্মার্ট টেকনোলজিস এর ডেল এন্টারপ্রাইজ টিম দীর্ঘদিন ধরে ডেটা সেন্টার সলিউশন এবং স্টোরেজের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। আমাদের দলের উদ্ভাবনী পদ্ধতি, গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতিশ্রুতি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা এই স্বীকৃতি নিশ্চিত করার মূল কারণ।”অনুষ্ঠানে ডেল টেকনোলজিস এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল সেলস, সাউথ এশিয়া ইমার্জিং মার্কেট এর সিনিয়র ডিরেক্টর ভিনসেন্ট লী, প্রোডাক্ট এন্ড সল্যুশন সেলস স্পেশালিস্ট, এশিয়া প্যাসিফিক জাপান এর সিনিয়র ডিরেক্টর রিচার্ড জেরেমিয়াহ এবং ইমার্জিং মার্কেট এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর চিন ওয়াহ মাক।অনুষ্ঠানে স্মার্ট টেকনোলজিস এর পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার, হেড অব ডেল এন্টারপ্রাইজ বিজনেস এএইচএম রোকনউদ্দীন ফিরোজ এবং সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার, হেড অব কর্পোরেট সেলস শাহেদ ইকবাল।ডেল এর এই গুরুত্বপূর্ন সম্মাননা প্রাপ্তি নিয়ে রোকনউদ্দীন ফিরোজ বলেন, “স্মার্ট টেকনোলজিস বাংলাদেশের আইটি সলিউশন খাতের একটি নেতৃস্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা ডেটা সেন্টার অবকাঠামো, স্টোরেজ এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পরিষেবাগুলো নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করছে ৷ গ্রাহক-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেবার মানের কারনেই দেশের বাইরেও স্মার্ট টেকনোলজিস সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”পিএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুই মডেলের মাদারবোর্ড আনল গিগাবাইট
স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড গিগাবাইট ব্রান্ডের অরাস এক্স৮৭০ ও এক্স৮৭০ই মডেলের দুইটি নতুন মাদারবোর্ড বাজারে উন্মুক্ত করেছে। এই মাদারবোর্ড দুইটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত, যা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিজয় স্মরণীতে অবস্থিত থাই চি রেস্তোঁরায় গিগাবাইট পণ্যের এই লঞ্চিং সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গিগাবাইটের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান উপস্থিত শীর্ষস্থানীয় আইটি ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'গিগাবাইট অরাস এক্স ৮৭০ ও এক্স ৮৭০ই মাদারবোর্ড দিয়ে আমরা বাংলাদেশের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে চাই। এই মাদারবোর্ডগুলোতে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের কাজের দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।' গিগাবাইট অরাস এক্স ৮৭০ শক্তিশালী পারফরম্যান্স, দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার এবং উন্নত কুলিং সিস্টেম বৈশিষ্ট্যসহ এএমডি রাইজেন ৯০০০, ৮০০০ এবং ৭০০০ সিরিজের প্রসেসর সমর্থন করে। অন্যদিকে, গিগাবাইট এক্স ৮৭০ই গেমার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আদর্শ, মাদারবোর্ড গুলোতে রয়েছে ডিজিটাল টুইন ফেজ ভিআরএম সলুশন যা নিশ্চিত করবে পাওয়ারফুল পারফর্মেন্স, ওভারক্লকিং যা যেকোন এপ্লিকেশনের জন্য আদর্শ। এতে রয়েছে ডুয়াল চ্যানেল ডিডিআর৫ ৪টি ডিআইএমএমএস স্লট যা এএমডি এক্সপো মেমোরি মডিউল সাপোর্ট করবে। দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস এবং ডেটা ট্রান্সফারের জন্য রয়েছে ৪টি পিসিআইই ৫.০ স্লট এবং ৪টি এম.২ স্টোরেজ স্লট। এই দুটি মাদারবোর্ডে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের কাজের ধরন অনুযায়ী সিস্টেমকে অপটিমাইজ করে, যার ফলে কাজের গতি বাড়ে এবং শক্তি খরচ কমে।আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স সমর্থিত গিগাবাইট অরাস এক্স ৮৭০ ও এক্স ৮৭০ই মাদারবোর্ড গুলো খুব শিগগিরই সারাদেশের কম্পিউটার শো রুমগুলোতে পাওয়া যাবে।
আইন-আদালত
সব দেখুন
বিচার দেখেই জনগণ বুঝতে পারবে আমাদের পদক্ষেপ: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের কাজ ও কর্মের মধ্যে দিয়েইে জনগণ বুঝতে পারবে আমাদের পদক্ষেপ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরেপক্ষতা ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার বাড়ীর ঐতিহ্যবাহী পূজাম-প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এসময় তিনি বলেন, এই পরিবারের সাথে আমাদের অনেক পুরোনো সম্পর্ক। এখন উৎসবের সময় যাচ্ছে। তাদের সাথে সামিল হতে পারাই আমাদের সৌভাগ্য।এর আগে তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাকে গার্ড অনার প্রদান করা হয়। পরে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ীর পূজাম-প পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সাথে সৌজন্যে স্বাক্ষাত করেন।এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুসহ অন্যরা।এমআর
প্রবাস
সব দেখুন
মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
iমালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে জিদান (২২) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন পাকিস্তানি নাগরিক।শুক্রবার (১২ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার সময় বিকেলে দেশটির মেলাকা রাজ্যের বান্দা হিলিরের জালান বুকিত সেনজুয়াং-এর একটি নির্মাণাধীন তিনতলা ভবন ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।সেন্ট্রাল মেলাকা জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যাটিট জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে উদ্ধারকারী দলের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, ৩২ এবং ৪৯ বছর বয়সী দুই পাকিস্তানি নাগরিককে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এবং ৮টা ৪৫ মিনিটে ভবনের প্রথম তলার ধ্বংসস্তূপ থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পুলিশ প্রধান জানান, ঘটনার সময় ওই তিন বিদেশি শ্রমিক ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ার আগে কংক্রিটের কাজ করছিলেন।এদিকে মেলাকা ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর আর. সাইফুল ইসওয়ান্দি আর হাসান বলেছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার ব্রিগেড দেখতে পায় যে, ৬০ থেকে ৮০ ফুটের একটি বিল্ডিংয়ের পুরো প্রথম তলাটি নীচের তলায় ভেঙে পড়ে, যা নির্মাণাধীন ছিল।এমআর
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ ভালো, নাকি কুসুম?
ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য, যাকে পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই ডিম একটি অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য। ডিম রান্নার বা খাওয়ার হাজারও রেসিপি থাকলেও সেদ্ধ করে ডিম খাওয়াকে সবচেয়ে পুষ্টিকর মনে করা হয়। কারণ সেদ্ধ ডিমের ক্যালোরি মোটামুটি কম এবং পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট অক্ষুণ্ন থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। একটি সেদ্ধ ডিমের পুষ্টি উপাদান হলো: ক্যালোরি ৭৭, কার্বোহাইড্রেট ০.৫৫ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫, টোটাল ফ্যাট ৫.৫ গ্রাম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১.৬৫ গ্রাম, কোলেস্টেরল ১৮৬.৫ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৩ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ভালো পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, সালফেট ও বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।ডিমের অনেক উপকার। ডিম খেলে পেট তো ভরেই, তার সঙ্গে নানারকম পুষ্টিকর উপাদানও শরীরে যায়। সেদ্ধ ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের ডায়েটে অবশ্যই ডিম থাকতে হবে। এছাড়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও ব্লাড সুগারকে কার্যকর উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেদ্ধ ডিমের কুসুম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনাকে ডিম খাওয়া উচিত। শিশুরা নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খেলে দাঁত, হাড় শক্তিশালী হয়। গর্ভাবস্থায় মহিলারা নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খেলে তাদের ও সন্তানের উপকার হয়। সেদ্ধ ডিম স্নায়ু ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে যা ডিমের কুসুমে থাকে। এটা মস্তিষ্কের মেমব্রেন ও পেশি সুগঠিত রাখতে সাহায্য করে, যা মস্তিষ্কের ঝিল্লি গঠন করতে সহায়তা করে এবং এটা স্নায়ু থেকে পেশিতে সংবেদন পৌঁছাতে সহায়তা করে। সেদ্ধ ডিম খেলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।ডিম চোখ, চুল ও নখের জন্য উপকারী। প্রতিদিন একটা করে সেদ্ধ ডিম খাওয়া ‘ম্যাকুলার’ ক্ষয় কমায়। কারণ এতে আছে লুটেইন ও জ্যাক্সেন্থিন। ডিমে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকায় তা চুল ও নখ ভালো রাখতেও সহায়তা করে। তাছাড়া সেদ্ধ ডিম খাওয়া চোখের ছানি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।ডিমের কুসুম নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। যেহেতু ডিমের কুসুমে অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে, তাই ধারণা করা হতো, যাঁদের করোনারি হার্ট ডিজিজ রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের জন্য ডিমের কুসুম ক্ষতিকর। পরামর্শ দেওয়া হতো কুসুমছাড়া ডিম খাওয়ার জন্য।কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম থেকে যে কোলেস্টেরল পাওয়া যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না এবং এটি করোনারি হার্ট ডিজিজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। প্রতিদিন কুসুমসহ একটি ডিম সবার জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। ডিমের কুসুমে পুরো ডিমের প্রায় অর্ধেক পুষ্টি উপাদান থাকে। এ ছাড়া কুসুমে আমাদের জন্য উপকারী উপাদান ফলেট, কোলিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, লেটিইন এবং জি-অ্যাকজানথাইন থাকে।তাই কুসুম বাদ দিয়ে নয়, কুসুমসহ প্রতিদিন একটি ডিম সবার জন্যই স্বাস্থ্যসম্মত। সেদ্ধ ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো হলেও বেশি খাওয়া মোটেই ভাল নয়। উচ্চরক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে ডিম খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।লেখক: নিউট্রিশন অফিসার, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিএমআর