দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
কুয়াশা কেটে যাওয়ায় তিন ঘণ্টা পর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় নদী পথে কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঝ সালাহউদ্দিন।তিনি জানান, কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় সকাল ৬টা ২০ মিনিট থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে সকাল সোয়া ৯টা থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।তিনি আরও জানান, বর্তমানে এ রুটে ছোট-বড় ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি বন্ধ থাকলেও দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের কোনো চাপ নেই।এমআর
১৮ বয়সী সকলকে ভোটার করে নিবে ইসি
২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হবে বা যারা এরই মধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন কিন্তু ভোটার হননি, তাদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগপূর্বক ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি।সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি ৪ লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য। যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব।এমআর
জাতীয়
সব দেখুন
সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার
সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে চলতি মাসেই ঘোষণা আসতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নেয়া উচিত।গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধি দলের সাথে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করতে হবে।নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূস বলেন, ‘পুরানো প্রচলিত সমস্যা পরিহারে নির্বাচন সংক্রান্ত কতিপয় সংস্কার নির্বাচনের আগেই শেষ করা জরুরি।’তিনি বলেন, ‘সরকার যদি এখন নির্বাচন দেয়, তবে সেটা হবে সেকেলে এবং তখন পুরানো সব সমস্যা আবারও ফিরে আসবে।’প্রধান উপদেষ্টা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন, যার জন্য নতুন নীতি এবং নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন।তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করতে খুবই আগ্রহী, আমরাও নির্বাচন করতে আগ্রহী।এবি
১৮ বয়সী সকলকে ভোটার করে নিবে ইসি
২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হবে বা যারা এরই মধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন কিন্তু ভোটার হননি, তাদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগপূর্বক ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি।সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি ৪ লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য। যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব।এমআর
এখন ঢাকায় ইউরোপের নতুন ৮ দেশের ভিসা মিলবে
আগামী ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে বহুজাতিক ভিসা প্রোসেসিং সার্ভিস সংস্থা ভিএফএস গ্লোবাল ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেনে যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা আবেদনের জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম চালু করবে।আবেদনকারী যখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করবেন তখন ভিএফএস গ্লোবাল দ্বারা একটি পরিষেবা ফি চার্জ করা হবে। আবেদনকারী যদি অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উপস্থিত না হন বা আবেদনকারীর নির্ধারিত সময়ের স্লটের ২৪ ঘণ্টা আগে আপনি এটি বাতিল করেন তবে ফি ফেরত দেয়া হবে না।ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস থেকে রোববার এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে সব আবেদনকারীদের অবশ্যই ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আগাম একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। ওয়াক-ইন আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না। অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটটি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তাই নিজেকেই বুক করতে হবে।আবেদনকারীর ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য যদি বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেন ভ্রমণ করা হয় তাহলে অনুগ্রহ করে শুধুমাত্র ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করবেন।অনুসন্ধানের জন্য অনুগ্রহ করে ভিএফএস হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। (+88) 09606 777 333 বা (+88) 09666 911 382 (সর্বজনীন ছুটি ছাড়া রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত)।এফএস
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী ভারত: রিজওয়ানা হাসান
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নয়ন এবং জোরদার করতে আগ্রহী ভারত। একই সঙ্গে, বিভিন্ন কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে যে কালো মেঘ জমেছে, তা দূর করতে চান তারা। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বারবার বলেছেন, বাংলাদেশে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং তা জোরদারের ব্যাপারে ভারত দৃঢ়ভাবে আগ্রহী। তিনি বলেন, ভারতীয় পক্ষ বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে অবগত রয়েছে এবং ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি আগ্রহী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে জানানো হয়েছে, তারা সার্ককে শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চায় এবং ভারতে বাংলাদেশ নিয়ে চলমান অপপ্রচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে ভারতকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। তিনি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে বল হয়েছে, তারা এসব কর্মকাণ্ডে দায়ী নয় এবং ভারতীয় মিডিয়া ও সংগঠনগুলো এসব প্রচারণা চালাচ্ছে।ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ভিসা ইস্যুতে উত্থাপিত অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখেছে এবং শিগগিরই ভিসা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারত দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।এসএফ
হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রসচিব
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে যখন সময় হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া শেষ হবে, তখন মন্ত্রণালয় তাদের (ভারত) জানাবে।"সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনাবৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানান মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, "আমরা বলেছি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কাম্য নয় এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে এটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা সবসময় বলেছি যে, সীমান্তহত্যা যেন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়।"ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সীমান্তে নানা ধরনের অপরাধ হয়, যা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, "আমরা কোনো অপরাধ সমর্থন করি না এবং হত্যাকাণ্ডকেও সমর্থন করি না। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে তারা যেন আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।"সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে পর্যবেক্ষণের আহ্বানমো. জসীম উদ্দিন আরও জানান, "সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের প্রতিনিধিদের এসে পর্যবেক্ষণ করে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ, আমরা একটি খোলা বইয়ের ভূমিকা পালন করতে চাই। এখানে নিজেদের কোনো বিষয় গোপন করা হয় না।"জল বিদ্যুৎ ও ভিসা প্রসঙ্গপররাষ্ট্রসচিব জানান, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও গভীর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।এসএফ
দিল্লি থেকে ভিসা সেন্টার ঢাকায় আনার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনও দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানিয়েছেন। ইইউ’র কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ অনুরোধ করেন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইন্টার্যাক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।’বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসব কথা জানান।বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রিভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় ভারত। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠণমূলক এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী তারা।সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।বিক্রম মিশ্রি বলেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আমার বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।তিনি বলেন, ভারত চায় দুই দেশের ইতিবাচক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক। অতীতেও আমাদের সেই সম্পর্ক ছিল, সেটি ভবিষ্যতেও আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। এই সম্পর্ক জনগণকেন্দ্রিক। যা সবার জন্য কল্যাণকর।বিক্রম মিশ্রি বলেন, আমাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমি জোর দিয়ে বলেছি, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায়। আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির ওপর আক্রমণের মতো সাম্প্রতিক দুঃখজনক কিছু ঘটনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ভারত আশা করে, সম্পর্ক বেগবান করতে বাংলাদেশ ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বিষয়গুলো দেখবে। আমরা সবসময়, অতীতেও দেখেছি এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্কটিকে একটি জনকেন্দ্রিক ও জনমুখী সম্পর্ক হিসেবে দেখতে থাকবো। যেই সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে সকল মানুষের কল্যাণ।তিনি আরও বলেন, পরস্পরের জন্য সহায়ক এই সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে কেন অব্যাহত থাকবে না, এটা ভাবার কারণ নেই। আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ভারতের আগ্রহের কথা তুলে ধরেছি। একই সময়ে আমরা কিছু সাম্প্রতিক পরিস্থিত ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি।এসময় তিনি দুই দেশের মধ্যে পর্যটন এবং ব্যবসাক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করতে কাজ চলছে বলেও জানান।এদিকে বৈঠকগুলোর বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের আলাদা প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এরপর আজ রাতেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।এবি
সাদা পোশাকে গ্রেফতার নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছেন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে কোনো আসামিকে গ্রেফতার বা হয়রানি করতে পারবে না। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) খুলনার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলার পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেন, ভুয়া মামলার ক্ষেত্রে বাদীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো আসামিকে অহেতুক হয়রানি করা যাবে না।পার্শ্ববর্তী দেশের বিষয়ে গুজব রোধে দেশের গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা পিঠ দেখাবো না। তবে আমাদের দেশের নাগরিকদের পাচার কাজে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।"উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর পেঁয়াজ, আলু এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট বন্ধে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিজয় দিবস উদযাপনে আনন্দ মেলা আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসকদের। পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ চলছে। ৬ শতাধিক প্রভাবশালীর তালিকা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।এসএফ
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত: বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দাবি করেছে, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। দলটির নেতারা বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই, এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ও লাগবে না।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মঈন খান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এটি সঠিকভাবে করা সম্ভব।তিনি আরও বলেন, সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করতে কম্পিউটারই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুল নির্বাচনকারীদের বাদ দিতে পারবে, যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা সম্ভব নয়। মঈন খান দাবি করেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে ৩-৪ মাসের বেশি সময় লাগবে না, এবং এই প্রস্তাবের জন্য নতুন কিছু করতে হবে না।নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গঠন এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বেশি সময় প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং প্রশাসনিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আইনি সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। তবে, ভোটার তালিকা তৈরি এবং অফিসার নিয়োগের কাজের জন্য ২-৩ মাসের বেশি সময় লাগবে না। তিনি তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এসএফ
তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত: বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দাবি করেছে, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। দলটির নেতারা বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই, এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ও লাগবে না।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মঈন খান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এটি সঠিকভাবে করা সম্ভব।তিনি আরও বলেন, সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করতে কম্পিউটারই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুল নির্বাচনকারীদের বাদ দিতে পারবে, যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা সম্ভব নয়। মঈন খান দাবি করেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে ৩-৪ মাসের বেশি সময় লাগবে না, এবং এই প্রস্তাবের জন্য নতুন কিছু করতে হবে না।নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গঠন এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বেশি সময় প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং প্রশাসনিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আইনি সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। তবে, ভোটার তালিকা তৈরি এবং অফিসার নিয়োগের কাজের জন্য ২-৩ মাসের বেশি সময় লাগবে না। তিনি তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এসএফ
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হলেন সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সারজিস আলম। সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনের আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়।গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য করা হয়। এরপর সম্প্রতি তাকে মুখ্য সংগঠক পদে মনোনীত করা হয়েছে। সংগঠনটির লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করা।জাতীয় নাগরিক কমিটি গত সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে এবং এটি একটি তরুণদের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে দেশের ৪৪টি থানা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করেছে তারা। এর মধ্যে ১৯টি থানা ঢাকায় এবং ২৫টি থানা-উপজেলা ঢাকার বাইরে রয়েছে।সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন।ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের কথা জানিয়ে বলেছেন, তিনি দেশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।এসএফ
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় আজ দুপুর ১১টায়, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে।সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে স্বাগত জানান। এ সময় তারা সমসাময়িক রাজনীতি এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা হয়।সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা এবং পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত।এসএফ
ভারতের মিডিয়া মিথ্যাচারে লিপ্ত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, "ভারত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে ডাহা মিথ্যা প্রচারণায় ব্যস্ত।"সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এ অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠন।রিজভী বলেন, “ভারতে অসংখ্য মুসলমান ও খ্রিস্টান নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও বাংলাদেশ কখনো সেই বিষয়ে মাথা ঘামায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করায় ভারত তুলকালাম শুরু করেছে।”তিনি আরও বলেন, "ভারত পেঁয়াজ, রসুন, আদার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে মনে করে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে। এটি তাদের ভুল ধারণা। বাংলাদেশ এর বিকল্প উৎস খুঁজে নিতে সক্ষম।"অনুষ্ঠানে রিজভী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। শহিদদের নামে স্থাপনা ও সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণের দল। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে শহিদদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।”অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজনের সঞ্চালনায় আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতা, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবং প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল। শহিদ রফিকুল ইসলাম, আফিকুল ইসলাম সাদ ও সায়াদ মাহমুদ খানের পরিবারসহ আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।এসএফ
ভারত নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, "আমাদের একটা পররাষ্ট্রনীতি আছে। আমরা বলেছি, সব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ব নয়। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গেই আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি থাকতে হবে।" তিনি বলেন, ছোট-বড় দেশ বলে কিছু নেই; প্রতিটি দেশই কারো না কারো ওপর নির্ভরশীল। "আমেরিকা যেমন বড় দেশ, তেমন তাদেরও বিভিন্ন বিষয়ে অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারত যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা তাদের নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার শামিল," বলেন তিনি।রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত "নেতা ও কবি" বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ মন্তব্য করেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, "সংস্কারের কোনো শেষ নেই, কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। বিশেষত নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কথা কেউ বলছে না।" তিনি আরও বলেন, "বিশ্বের সব পণ্ডিতরা একত্রিত হলেও রাজনীতিবিদরাই সবসময় দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন। যারা অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তারা যদি মনে করেন তারাই সব, তাহলে তা কিভাবে চলবে?"অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন। দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জহিরুল ইসলাম কলিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বইয়ের লেখক কালাম ফয়েজী এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্লাহ।এসএফ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেমে থাকা উচিত নয়: তারেক রহমান
জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’।এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারেক রহমান বিশ্বের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো মানুষ যাতে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্য অর্জনে ন্যায়নিষ্ঠ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় অতিক্রম করেছে, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ এবং গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছিল। এই দুঃসময়ে যারা প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের অনেকেই নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি এসব শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং এখনো নির্যাতিতদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তারেক রহমান বলেন, "আজ আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার এক নতুন যাত্রায় আছি।"জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আলোকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রয়োজন যেখানে কারও অধিকার লঙ্ঘিত হবে না। তারেক রহমান বলেন, দেশের আপামর জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস ও মিথ্যা মামলায় শাস্তি আমাদের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। তারেক রহমান বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। তিনি জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে সবাইকে এই যাত্রায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এটিকে দৃঢ় অঙ্গীকার হিসেবে গ্রহণ করতে বলেন। এসএফ
সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস ও আফরোজা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। শায়রুল কবির খান জানান, "তাদের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।"এর আগে, চলতি বছরের ১৪ মে একই কারণে এই দম্পতি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তখনও চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তাই উল্লেখ করা হয়েছিল।মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের সুস্থতার জন্য তাদের সহকর্মী ও সমর্থকদের প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে।এসএফ
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
কাফরুলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
রাজধানীর কাফরুলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কাফরুল থানাধীন ১৫ নম্বর সেকশনের বিজয় রাকিন সিটির ডি ব্লকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি এ,টি আহমেদুল হক চৌধুরী এসময় সভায় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের কার্যবিবরণী, সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদন, অর্থ সম্পাদক কর্তৃক প্রেশকৃত ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের আয় ব্যয়, নিরীক্ষা হিসাব উপস্থিত সমিতির সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।সমিতির গঠনতন্ত্রের উপ-বিধির ৮(ঘ) ধারা অনুযায়ী ২০২৫- ২৬ মেয়াদের জন্য ১৫ পনেরো সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হয়। সমিতির নবগঠিত কার্যকরী পরিষদ (২০২৫-২০২৬) এর নেতৃবৃন্দরা হলেন সভাপতি, এ.টি আহমেদুল হক চৌধুরী, সহ-সভাপতি (১) শাহজাহান মিয়া, সহ- সভাপতি (২) মাহবুব আলম খান, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এ,টি,এম খালেদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক (১) মোহাম্মদ আজহারুল হক, অর্থ সম্পাদক (০২) রায়হান উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক মফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ মহিলা ও বিষয়ক সম্পাদিকা বেগম নাজমা আরেফিন, ক্রিড়া, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনছার আলী খান, সদস্য (১) মো: আশিকুল হক চৌধুরী, সদস্য (২) আব্দুল হাই, সদস্য (৩) অধ্যাপক ড,আরিফুর রহমান।
রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় মিরপুর কনভেনশন সেন্টারে ৮ম তলায় এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী।এসময় মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকার নানা সমস্যা ও সমাধান এবং করণীয় বিষয়বস্তু নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেছেন এলাকাবাসী। এ সময় এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, সুশীলসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত থেকে এলাকায় মাদক সন্ত্রাস ইভটিজিং সহ নানা সমস্যা ডিএমপি'র এই অতিরিক্ত কমিশনার বরাবর তুললে সবকিছু সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়াও সভায় মাদকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্পটের কথা উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় এলাকাবাসী।গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর পুলিশের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে এবং পুলিশকে সহযোগিতা করতে মতবিনিময় সভায় এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপির অতিরিক্ত এই পুলিশ কমিশনার।এ সময় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মাকসেদুর রহমান, মিরপুর জোনের এডিসি ফারজানা, মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ রুমনসহ মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকার সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।এআই
বঙ্গবন্ধু মৎস্যজীবী পরিষদের সভাপতি ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বঙ্গবন্ধু মৎস্যজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া বাজার মোড়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল মো. আহাদুল ইসলাম। এ সময় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাদের গুলিতে আহাদুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয় ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. আহাদুল ইসলামের বাবা মো. বাকেরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এজাহারনামীয় আসামি নাসির উদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসকে ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করে খিলগাঁও থানার একটি দল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মোহাম্মদপুর কমিউনিটি এলায়েন্সের আলোচনা সভা সম্পন্ন
মোহাম্মদপুর কমিউনিটি এলায়েন্স’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে কমিউনিটি শক্তিশালী করার জরুরত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর, রোজ শুক্রবার, বিকাল চার ঘটিকায় মোহাম্মদপুর বাবর রোডস্থ জহুরী মহল্লার গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার, মীর হুযাইফা আল মামদূহ, কবি ও অধিকারকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী, কবি হাসান রোবায়েত, ভাবুক ও বয়াতি এস এম রেজাউল করিম, লেখক ও গবেষক তাসনিম রিফাত, মুফতি মোহাম্মদ এজহারুল হক, প্রকৌশলী ফাইয়াজ ফিরোজ অনি, সংগঠক ও রাজনৈতিক কর্মী মেঘমল্লার বসুসহ জেনেভা ক্যাম্পের প্রতিনিধিবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে শুধু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণই নয়, বরং সামাজিক সংগঠনগুলোর অংশীদারিত্বও যেন নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। এলায়েন্সের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পারভেজ হাসান সুমন এবং সঞ্চালনা করেন মীর হাবিব আল মানজুর। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নাগরিকদের সামাজিক সংহতির জায়গা আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা ব্যক্ত করে এলায়েন্সের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এসএফ
সাবেক কাউন্সিলর ফোরকান গ্রেপ্তার
একাধিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজধানীর উত্তর সিটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক কাউন্সিলর ফোরকান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।এআই
চুয়াডাঙ্গায় কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন
সারাদিন চুয়াডাঙ্গায় সূর্য দেখা মেলেনি। ভর দুপুরেও সন্ধ্যার মতো শীতল পরিবেশের মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনমজুরদের জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে তাদের আয়ের উৎসও হুমকির মুখে পড়ছে। শীত থেকে কিছুটা উষ্ণতা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে, আবার কেউ কেউ পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা শীতের তীব্রতা থেকে তাদের রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নয়, আর এর ফলে তারা চরম কষ্টে পড়েছেন।চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সারাদিন আকাশ মেঘলা আছে। এছাড়া বিকালে চুয়াডাঙ্গার কিছু কিছু জায়গায় গুড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। আগামীকালও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে মেঘলা আকাশ কেটে গেলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমে যাবে, যা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।শীতের প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মানবিক সহায়তা ও শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। শীতের এই সময়ে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা শীতের কবল থেকে রক্ষা পায়।এফএস
বিজেপি নেতার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বেনাপোলে সার্বভৌমত্বের পদযাত্রা
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে ভারতের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উগ্রবাদী আচারণ, বিভিন্ন মিডিয়ায় অপ প্রচার ও বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে যশোরের বেনাপোলে সার্বভৌমত্বের পদযাত্রা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বেনাপোল বলফিল্ড মাঠ থেকে ব্যান্ডদল সহকারে বিভিন্ন ব্যানার ও প্লেকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা করে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের দিকে রওনা দিলে বেনাপোল সীমান্তের ২০০ গজ দুরে বড়আঁচড়া মোড়ে বিজিবি ও পুলিশ তাদেরকে আর এগিয়ে না যাওয়ার আহবান জানান। এ সময় চেকপোষ্টের গাতিপাড়া সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে সড়কের উপর বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান তারা। এসময় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নানা ধরণের শ্লোগন দেন ছাত্ররা। প্রায় এক ঘন্টা তারা অবস্থান করেন।পদযাত্রা থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সর্বদাই সার্বভৌমত্ব বজায় রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়াসহ কিছু মানুষ নানাভাবে মিথ্যাচার করে দু‘দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খিস্টান সকলে ভাই ভাই। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ আছি। তাই কোনো উস্কানিতেই দুই দেশের সম্পর্কের ফাটল ধরানো যাবে না। পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মাহমুদ, সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। সমাবেশে শত শত ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহন করেন। এমআর
কুষ্টিয়ায় পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে দুই নারী গ্রেফতার
কুষ্টিয়া শহরে পুলিশের ট্রাফিক সদস্য নাজমুল হোসেনকে মারধর করার অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের রেলস্টেশন মোড়ে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ছিল, তবে সিগন্যাল উপেক্ষা করে ওই দুই নারী জোরপূর্বক যানবাহন চলাচল করতে চেয়েছিলেন। এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নাজমুল হোসেন তাদের বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই নারী পুলিশ সদস্যকে চড়থাপ্পড় মারেন। ঘটনাটি ক্যামেরায় ধারণ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব জানান, পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উক্ত দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতার হওয়া নারীরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহনা ইসলাম এবং হাউজিং বি ব্লক এলাকার রিপন হোসেনের স্ত্রী শান্তা খাতুন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, সিগন্যাল উপেক্ষা করে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ওই দুই নারী পথচারী ঘুরে এসে পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা দিয়ে জুতা দিয়ে পেটান। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের সরিয়ে দেন।এ ঘটনায় পুলিশ এখনো তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।এসএফ
বাগেরহাটের অধিকাংশ পিএসএফ অকেজো, পুকুরের পানিই ভরসা
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ভূগর্ভস্থ মিষ্টি পানির স্তর নেমে গেছে। যার কারণে লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ নানান কারণে সুপেয় পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সময় বদলের সাথে সাথে প্রকল্পের ধরণ বদল করে সরকারিভাবে জনগণের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে- অগভীর নলকূপ, গভীর নলকূপ, পিএসএফ, সোলার পিএসএফ। গাড়ীতে করে পানি সরবরাহ কার্যক্রম। এদিকে সুপেয় পানি সংকট মোকাবেলায় জেলায় বর্তমানে ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ট্যাংকি বিতরণ করা হচ্ছে।বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারী ভাবে ১৯৯২ সাল থেকে এই পর্যন্ত জেলায় ১৬ হাজার ৩৬১টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। অগভীর নলকুপ স্থাপন করা হয় ১৪ হাজার ১২৬টি। পিএসএফ স্থাপন করা হয় ২ হাজার ৭৯৯টি। তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের লবণাক্ত এলাকাগুলোতে সুপেয় পানির সংকট মোকাবেলায় সরকারী ও বেসরকারী উদ্যেগে পুকুর পাড়ে তৈরি করা হয় পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার)। কিন্তু সঠিক তদারকীর অভাবে অধিকাংশ পিএসএফ অকেজো হয়ে গেছে। ফলে ওইসব এলাকার মানুষ সরাসরি পুকুরের পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে এসব এলাকার প্রতিটি পরিবারের পেটের পীড়া নিত্যসঙ্গী হয়েছে।সরকারী হিসাবে জেলায় সরকারিভাবে স্থাপন করা ২ হাজার ৭৯৯টি পিএসএফ এর মধ্যে চালু রয়েছে ১ হাজার ৪৭৩টি। কিন্তু বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই। জেলায় সামান্য কিছু পিএসএফ এখনও চালু থাকলেও অধিকাংশ পিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে অকেজো রয়েছে। কোথাও কোথা পিএসএফ এর ভিতর বড় বড় গাছ, ঘাস ও লতাপাতা জন্ম নিয়েছে। কোথাও কোথাও এসব পিএসএফ এর পাশে নতুন বেসরকারি সংস্থার উদ্যেগে গড়ে তৈরি করা পানির ফিল্টারগুলোও জনসচেতনতার অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে নিরুপায় হয়ে পুকুর থেকে তোলা অস্বাস্থ্যকর পানি দিয়ে জীবন বাঁচাচ্ছেন স্থানীয়রা।এদিকে এই পুকুরের পানি ভ্যান গাড়িতে করে সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামে। রামপালের ফুলপুকুরে পানি নিতে আসা শিবানি রানী জানান, এই পুকুরই এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রায় ১ কিলোমিটার দুরের এই পুকুর থেকে পানি নিয়ে তারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন। এটা অনেক কষ্টের। পানির সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি এলাকার ডা. মিজানুর রহমান ডিয়ার বলেন, দৈবজ্ঞহাটি কলেজ পুকুরে স্থাপন করা সরকারী পিএসএফটি এখন ভেঙ্গে প্রায় মাটির সাথে মিশে গেছে। তাই পানির ব্যাপক সংকট রয়েছে। ফলে এই এলাকার অনেক লোক প্রায়ই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। রামপালের পরিবেশবাদী নেতা এমএ সবুর রানা বলেন, যথাযথ সমীক্ষা না করে, সরকারের নেয়া পিএসএফ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। হাতে গোনা দই একটি ছাড়া বেশিরভাগ পিএসএফ ও পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে। স্থায়ী ভাবে খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, 'সরকারী ভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর স্থানীয়রা এটির তত্ত্বাধায়ন করেন। তারা এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার না করলে নস্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তিনি দাবী করেন বেশিরভাগ পিএসএফ এখনও চালু রয়েছে।।এইচএ
ঝিনাইদহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত বাদশা মোল্লা (৪০) নামের এক কৃষক মারা গেছেন।সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত বাদশা মোল্লা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের দীঘল গ্রামের রাহেন মোল্লার ছেলে। এর আগে গত শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দু’পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীঘলগ্রামের মোক্তার মোল্লার সমর্থকদের সঙ্গে মাহাতাব মোল্লার সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত শুক্রবার উভয়-পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোক্তার মোল্লার সমর্থক বাদশা মোল্লা গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এদিকে তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। আতঙ্কে ওই গ্রামে বসবাসকারীরা নিজেদের বাড়ির আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল অন্য এলাকায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে।শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।এআই
পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখর নলুয়ার বিল
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার জলাভূমি নলুয়ার বিল এখন পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে পরিযায়ীরা আসর জমিয়েছে এখানে। দেশি—বিদেশি পাখির কিচিরমিচির ডাক ও ঝাঁক বেঁধে আকাশে ওড়ার বিমোহিত দৃশ্য দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। এসব পাখির ছোটাছুটির দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ওই এলাকায় ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমিরা। ঝাঁক বেঁধে পাখিগুলোর ছোটাছুটি, ওড়াউড়ি, কিচির—মিচির শব্দে মুখরিত অঞ্চলটি। কখনো জলাশয়ের স্বচ্ছ জলে, আবার কখনো গাছের মগডালে বসে সৃষ্টি করছে মনোরম পরিবেশ।জানা যায়, শীতকালে উষ্ণতার খোঁজে শীতপ্রধান বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের জলাধারগুলোকে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বেছে নেয় পরিযায়ী পাখি। সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বিলগুলো শীত মৌসুমের অতিথিদের বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।সাতকানিয়ার নলুয়ার বিলে প্রতিবছরের মতো এবারও এসেছে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। প্রতিদিন ভোরে কুয়াশার আঁচল ভেদ করে দল নিয়ে উড়ে চলা পাখির ডানার শো—শো শব্দ আর কলতানে ঘুম ভাঙে জলাধারের পাশের বাসিন্দাদের। এবারও বিলের কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদের মাঝে খোলা পানিতে জলকেলিতে মেতে উঠেছে পাখিরা।শীতকালের এই সময়টাতে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিরা যোগায় আনন্দের খোরাক। প্রতিদিন ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে বিলের আশপাশের এলাকা। গাছের ডালে বসে পাখিদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে পানির দিকে। কখন একটা মাছ পানির ওপর ভেসে উঠবে কিংবা কখন গাছ থেকে একটা পোকামাকড় পানিতে এসে পড়বে—সেই আশায়। খাবার মিললেই ছোঁ মেরে নিয়ে দে ছুট।নানান রঙের পরিযায়ী পাখিরা দল বেঁধে বিলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ায় সারাক্ষণ। পানিতে পেখমের ঝাপটায় অবতারণা হয় অপরূপ দৃশ্যের। এই দৃশ্য দেখতে স্থানীয়রা প্রতিদিন ওই এলাকায় বসে সময় পার করেন। দুপুরের পর পাখিরা একসঙ্গে দল বেঁধে স্নান পর্ব সেরে নেয়। একঝাঁক পাখি বিলের পানিতে নেমে গা ভিজিয়ে নেয়, তারপর দেয় উড়ান। মুহূর্তেই পানিতে নেমে আসে আরেক ঝাঁক পাখির দল। কিছু মানুষ মাঝেমধ্যে পাখিদের ওড়াওড়ি দেখতে ঢিল ছুঁড়ে মারে। তখন পাখিগুলো উড়ে যায় দূর আকাশে।এদিকে, এক শ্রেণির শিকারি অভিনব কায়দার নানা ফাঁদ ফেলে পরযায়ী পাখি শিকার করছেন। কেউ কেউ এসব পাখি শিকার করে স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, পাখি শিকার ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার কথা বলা হয়েছে। একই অপরাধ আবার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে।বান্দরবান সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পাখিপ্রেমি নাসিম জুবায়ের বলেন, এ দেশে এসে শিকারির ফাঁদে পড়ছে পরিযায়ী পাখি। তাই তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি শিকার বন্ধের পাশাপাশি তারা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারে, সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখা উচিত।পৃথিবীতে প্রায় ৫ লাখ প্রজাতির পাখি আছে। এসব পাখির মধ্যে অনেক প্রজাতিই বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় অন্য দেশে চলে যায়। শুধু ইউরোপ আর এশিয়ায় আছে প্রায় ৬০০ প্রজাতির পাখি। কিছু কিছু পাখি তাই প্রতিবছর ২২ হাজার মাইল পথ অনায়াসে পাড়ি দিয়ে চলে যায় দূরদেশে।বরফ শুভ্র হিমালয় এবং হিমালয়ের ওপাশ থেকেই বেশিরভাগ পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে। এসব পাখিরা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতের লাদাখ থেকে সেন্ট্রাল এশিয়ান ইন্ডিয়ান ফ্লাইওয়ে দিয়ে প্রবেশ করে। এ ছাড়া ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য সাইবেরিয়া থেকেও এসব পাখি আসে। এরা কিছু সময় পর আবার ফিরে যায় নিজ দেশে।এসব পাখির মধ্যে বাংলাদেশের অতি পরিচিতি অতিথি পাখি নর্দান পিনটেইল। এছাড়া স্বচ্ছ পানির বালি হাঁস, খয়রা চকাচকি, কার্লিউ, বুনো হাঁস, ছোট সারস পাখি, বড় সারস পাখি, হেরন, নিশাচর হেরন, ডুবুরি পাখি, কাদাখোঁচা, গায়ক রেন পাখি, রাজসরালি, পাতিকুট, গ্যাডওয়াল, পিনটেইল, নরদাম সুবেলার, কমন পোচার্ড, বিলুপ্ত প্রায় প্যালাস ফিস ঈগল (বুলুয়া) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।এছাড়াও নানান রঙ আর কণ্ঠ বৈচিত্র্যের পাখিদের মধ্যে রয়েছে— ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা, চিতি, সরালি, পাতিহাঁস, বুটিহাঁস, বৈকাল, নীলশীর পিয়াং, চীনা, পান্তামুখি, রাঙামুড়ি, কালোহাঁস, রাজহাঁস, পেড়িভুতি, চখাচখি, গিরিয়া, খঞ্জনা, পাতারি, জলপিপি, পানি মুরগি, নর্থ গিরিয়া, পাতিবাটান, কমনচিল, কটনচিল প্রভৃতি।এমআর
আইনজীবী সাইফুল হত্যার কথা স্বীকার, ১৩ জনের নাম বললেন চন্দন দাস
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাইফুল হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি চন্দন দাসের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।চন্দন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় নিজে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন চন্দন দাস। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো ১২-১৩ জন জড়িত আছে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি।ওসি আরো জানান, চন্দর দাসের দেওয়া নামের মধ্যে দুজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আছে। এই ঘটনায় হওয়া ৬ মামলায় মোট ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি বলেন, জবানবন্দির কপি হাতে পেলে মিলিয়ে দেখা হবে এর মধ্যে কতজন আছে। কেউ থাকলে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।এফএস
নোয়াখালীতে সেপটিক ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় কালাদরাপ ইউনিয়নের চুলডগিতে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি ঘিরে একটি কুকুরের ঘেউ ঘেউ করতে থাকার সূত্র ধরেই সেখানে থেকে রবিন হোসেন (১৬) নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় নিজের অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। এরপর গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন।এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে এলোমেলো কথাবার্তা বলে। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে, নিখোঁজের ঘটনার ৬দিন পর সোমবার সকালে সেফটি টাংকি ঘিরে একটি কুকুরের সন্দেহজনক ঘেউ ঘেউ শব্দে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির ঢাকনা খুললে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল। আজ সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে রবিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেয়া হয় বলে প্রতিমান হয়।এআই
কম দামে সবজি বিক্রি চকরিয়া বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের
কৃষকের কাছ থেকে কেনা দামে সবজি বিক্রি করছেন চকরিয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্রেতাগণ কম দামে সবজি ক্রয় করছেন বলে জানা যায়।সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে পৌরশহরের কাচাঁ বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা কম দামে সবজি বিক্রি শুরু করে। সরাসরি কৃষক থেকে এসব সবজি ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান। এতে একদিকে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষক, অন্যদিকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবজি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করতে মানুষের ভীড় দেখা গেছে। কম দামে সবজি ক্রয় করতে পেরে স্বস্তি বোধ করছে ক্রেতারাও।তারা বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ নিলে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে। পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হবে।বিক্রিত সবজিগুলোর মধ্যে এককেজি মরিচ ৫০ টাকা, ফুল কফি ৫০ টাকা,বাধা কফি ৩০ টাকা,মূলা ২০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা,শিম ৭০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধিরা বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে ও সাধারণ মানুষ যেন ন্যায্য মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারে এ লক্ষ্যে আমাদের এই উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কেনা দামে সবজি খাওয়াতে।এসময় চকরিয়া উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী সায়েদ হাসান, শামশুল আলম সাঈদী ও মোবারক হোছেন জিহানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।এআই
থানা থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ বুলেট খাল থেকে উদ্ধার
নোয়াখালীর চাটখিল থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২টি বুলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বুলেট গুলো চায়না রাইফেলের বুলেট বলেই জানিয়েছে পুলিশ।রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের দশনী টগবা ব্রিজ সংলগ্ন খাল থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাটখিল পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের দশনী টগবা রণখোলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে রণখোলা ব্রিজের নিচে খাল থেকে ৬১২টি চায়না রাইফেলের বুলেট, ১টি ম্যাগাজিন ও ১টি ওয়্যারলেস ব্যাটারি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিকেলে চাটখিল থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় থানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে লুট হওয়া একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক ভাবে ৫৬৬টি বুলেট গণনা করা হয়েছে। এরপর আরও ৪৬টি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৬১২টি বুলেট ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার শেষে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।এফএস
মাদারীপুরের রাজৈরে মৎসজীবী দলের দুটি কমিটি ঘোষণা
মাদারীপুরের ১৭ বছর পরে রাজৈর উপজেলা ও পৌরসভায় জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের পুনাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। সোমবার রাতে শহরের চরমুগরিয়া এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক সায়েম ব্যাপারী ও সদস্য সচিব সরোয়ার হোসেন খান এ কমিটি ঘোষণা করেন।দলটির সূত্র জানায়, ১৭ বছর আগে রাজৈর উপজেলায় মৎসজীবী দলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর থেকে দলীয় নানা জটিলতায় নেতাকমর্ীরা একত্রিত থাকলেও কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। নবনির্বাচিত রাজৈর উপজেলা মৎসজীবী দলের রাজু আহম্মেদ বাবুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুসহ ৩৩ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়াও রাজৈর পৌর কমিটিতে মো. হিরু মোল্লাকে সভাপতি ও মিঠু হাওলাদার সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যে আরেকটি কমিটি অনুমোদন করা হয়। দীর্ঘদিন পরে রাজৈর উপজেলা ও পৌরসভায় পূনাঙ্গ দুটি কমিটি অনুমোদন হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায়।কমিটি ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. আলমগীর সরদার, জেলা বিএনপির সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সালায়েত হোসেন লিটু বেপারী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবুল বাশার বেপারী, সদর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম, পৌর কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজু বেপারী, সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ বেপারী প্রমুখ।এফএস
মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় মহাকালীর সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে সজল নামের এক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলায় মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা মো.রিয়াজুল ইসলাম (৭৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সে মহাকালী ইউনিয়নের প্রয়াত শাহ আলম এর ছেলে।জানা গেছে, গেলো ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় সজল নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার নানী বাদি হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন। এই মামলায় মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম অন্যতম আসামী ছিলেন। সোমবার দুপুর দিকে ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলে ঐ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।সজল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক জানিয়েছেন, স্থানীয় ছাত্রজনতার সহায়তায় আজ দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেল দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।উল্লেখ্য, গেলো ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় মুন্সীগঞ্জে তিনজন মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিনটি হত্যা মামলা হয়।এমআর
ডিবি হারুনের বিলাসবহুল রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া হোসেনপুর এলাকায় অবস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদের মালিকানাধীন প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে অভিযান চালাচ্ছে এনবিআর।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি টিম হারুনের বিলাসবহুল এই রিসোর্টে অভিযান চালায়। এনবিআরের পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানীর নেতৃত্বে অভিযানে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। তবে প্রাথমিকভাবে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।এর আগে কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশিদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল-সিআইসি।গত (২১ অক্টোবর) সিআইসি থেকে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাতে সাবেক ডিবি প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। হারুন ছাড়াও তার বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবও জব্দ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়।এমআর
শিবচরে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়েছে স্বামী
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় স্ত্রীর মৃত্যুর পর মরদেহ হাসপাতলে রেখে পালিয়েছে তার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে, যখন মজিবর মাদবর তার গুরুতর আহত স্ত্রী শান্তি বেগম (৩৪) কে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তি বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন, এবং এরপরই স্বামী মজিবর গা ঢাকা দেন।শান্তি বেগমের পরিবারের সদস্যরা জানান, মজিবর মাদবরের সাথে শান্তি বেগমের প্রায় ১১ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে তাদের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। কিছুদিন আগে শান্তি বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান, এবং সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতের ভাই তাইজুল ইসলাম দাবি করেছেন, মজিবর তার বোনকে মারধর করতেন এবং গলা টিপে ধরেছিলেন, যার ফলস্বরূপ শান্তি বেগমের মৃত্যু হয়েছে।শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এফ এম ইয়াহিয়া সেতু জানান, শান্তি বেগমের গলায় গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল, এবং হাসপাতালের আনার পর তিনি মারা যান।এ ঘটনায় শিবচর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতার হোসেন জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।পুলিশ নিহতের স্বামী মজিবর মাদবরের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে, এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়েছে।এই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এসএফ
টাঙ্গাইলে বিএনপি-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সংঘর্ষ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরশহরের তালতলা চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ প্রতিহত করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও হাতাহাতিতে ছাত্রদলের এক কর্মী আহত হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত শনিবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বর্ধিত সভায় দলটির সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) আওয়ামী লীগের অপকর্মের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সেদিন রাতেই বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিএনপির অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় তালতলা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। কিন্তু বিএনপির নেতা–কর্মীরা ওই চত্বরটি দখলে নেন। বেলা ১১টার দিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ধাওয়া দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন।এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নাঈম শিকদার নামের এক ছাত্রদল কর্মী আহত হন।বিএনপি ধাওয়া দিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীদের হাসপাতাল গেট পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীরা কাদের সিদ্দিকীর বাসভবনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।স্থানীয় উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব বলেন, ‘আমাদের প্রতিবাদ মিছিলে বিএনপির নেতা–কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।থউপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু বলেন, ‘পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীরা লাঠির মাথায় গামছা বেঁধে তালতলা চত্বরে বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশের দিকে আসছিল। তাদের ছোড়া ইট–পাটকেলে আমাদের ছাত্রদলের একজন কর্মী আহত হয়েছে।থসখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘দুটি পক্ষ একই স্থানের সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা উভয় পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়েছি। তারপরও ইট–পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এমআর
বরিশালে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা
'নারী-কন্যার সুরক্ষা করি সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি' প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও জেলায় নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার পরিচালক মো. খন্দকার আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ নারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। যা সারা বিশ্বে নারী নির্যাতনের দিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ। নারীর প্রতি নির্যাতন ও ও সহিংসতা বন্ধ করতে গেলে নারীকে সুশিক্ষিত করতে হবে। সকল ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নারীদের পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নারী-পুরুষ একে অপরকে ছাড়া সফল হতে পারে না।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাজিমুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন সব্যসাচী দাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি। এসময় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, এ বছর বরিশাল জেলার পাঁচ জন নারীকে পাঁচ ক্যাটেগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। অর্থনৈতিক ক্যাটেগরিতে নুসরাত জাহান, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটেগরিতে মোছাঃ শাবনাজ পারভিন, সফল জননী ক্যাটেগরিতে রাজিয়া বেগম, নির্যাতন উপেক্ষা করে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা ক্যাটেগরিতে রিফা খানম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা ক্যাটেগরিতে উম্মে সুমাইয়াকে সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়।এআই
মঠবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । দুর্নীতির বিরুদ্বে তারুন্যের একতা গড়বে আগামীর শুদ্বতা এই স্লোগানকে সামনে রেখে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম।বিশেষ অতিথি সহকারী কমিশনা (ভূমি) মো. রাইসুল ইসলাম, মুখ্য আলোচক উপ সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, পিরোজপুর। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার, মঠবাড়িয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শামসুল আলম খোকা, সেক্রেটারী রফিকুজ্জামান আবীর, সদস্য ইসরাত জাহান মমতাজ সহ উপজেলা প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।এইচএ
শেবাচিম হাসপাতালের উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন নতুন পরিচালক
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নয়নে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান।তিনি বলেন, জনস্বার্থে লুকোচুরির কিছু নাই। বর্তমানে সারাদেশে সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালনার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাই এই হাসপাতালের রোগীদের ভাল মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি পূরণের চেষ্টা করবে। সে লক্ষ্যে সাংবাদিকদের তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।তিনি বলেন, এই হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম দীর্ঘ দিনে। সেগুলো সকলের সহযোগিতা মাধ্যমে ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার মেডিসিন সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান, বরিশাল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আল মামুন, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ ও প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বরিশালে কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক।এসময় সাংবাদিকরা বলেন, বিগত দিনে এই হাসপাতালটি উন্নয়ন ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব ছিল। এখানে আগামীতে রোগীদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ, পরীক্ষা নিরীক্ষার এমআরআই, কোবাল্ট ৬০ সহ নষ্ট থাকা মেশিন গুলো সচল করা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রোগী খাবারের মান বৃদ্ধি করার পরামর্শসহ রোগীদের দালাল ও অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিরোধের দাবি জানান।উল্লেখ্য, দক্ষিণাঞ্চলবাসী দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশা অনুযায়ী গত ২৫ নভেম্বর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর এসজিপি, এসইউপি, এমবিবিএস, এমফিল, এমপিএইচ, এমডিএম। তিনি এই হাসপাতালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেই হাসপাতালে রোগী সেবার মানবৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল ইউনিট প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, মিড লেভেলের চিকিৎসক, বরিশালের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বরিশালের শতাধিক প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগ দেন। তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর এবং এমফিল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদানের আগে তিনি ঢাকা, বগুড়া ও রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল স্টোর এবং ডিপোও কমান্ড করেন। তিনি ফিল্ড মেডিকেল ইউনিট এবং বিডিআর ও বিজিবিতে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬৮ তম পরিচালক হিসেবে সদ্য যোগদানকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর ১৮ টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের দুটি মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অসামান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য তিনি সেনা গৌরব পদক এবং সেনা উৎকর্ষ পদক এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি সেনা সদর দফতরের সামরিক সচিব শাখায়ও কাজ করেছেন। যেখানে তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে আর্মি মেডিকেল কর্পস অফিসার, ডেন্টাল কর্পস অফিসার এবং নার্সিং অফিসারদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার উপর কাজ করেছেন।এইচএ
পাথরঘাটার দুর্নীতি সংবাদের চিত্র প্রদর্শন
বরগুনার পাথরঘাটায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে বিভিন্ন জাতীয় গনমাধ্যমে প্রকাশিত পাথরঘাটার বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদের স্থির চিত্র প্রদর্শন করে দুর্নীতির দমন ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, সকাল ১০টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সামনে দুর্নীতি বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকোনুজ্জামান খান এর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ এমাদুল হক, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আহসান হাবীব, সাধারণ সম্পাদক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ইসমাইল সিকদার, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এরফান আহমেদ সোয়েন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আমিন সোহেল ও মরিয়ম চৌধুরী জেবু প্রমুখ।আলোচনা সভায় বক্তারা বিগত সরকারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ করেন। এছাড়াও জাতীয় গনমাধ্যমে প্রকাশিত পাথরঘাটার দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জন্য আহ্বান জানান।সভায় পাথরঘাটা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ইসমাইল সিকদার বলেন, পাথরঘাটায় এই প্রথম ভিন্নভাবে দুর্নীতির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ গুলো একসাথে প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে করে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস সার্থকতা পেয়েছে। জাতীয় গনমাধ্যমে প্রকাশিত পাথরঘাটার এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আহ্বান জানান।পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকোনুজ্জামান খান বলেন, পরিবার থেকেই দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা নিতে হবে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দুর্নীতিই দুর্নীতি নয় যে কোনো ধরনের অনিয়ম থেকেই দুর্নীতির শুরু হয়। তাই অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে।এইচএ
তালতলীতে যুবদল নেতাকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
বরগুনার তালতলীতে উপজেলা যুবদল নেতা শাহরিয়ার আহম্মেদ নাঈমকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে নাইদুর রহমান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে এঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী যুবদল নেতা শাহরিয়ার আহম্মেদ নাঈম। শাহরিয়ার নাইম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হকের ছেলে।জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আহম্মেদ নাঈমের সর্মথক মো. লাদেনকে একই উপজেলার করমজাপাড়া এলাকার ইউসুফ মুন্সীর ছেলে নাইদুর রহমান একটি ভয়েস মেসেজ দেয়। এতে বলতে শোনা যায় যে, লাদেন তুই যে নাঈমের রাজনীতি করো তাকে যেখানে পাইবো সেখানে বসেই খুন (হত্যা) করবো। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে লাদেনের মেসেঞ্জারে এ হুমকি দেন নাহিদুর রহমান। এ ধরনের হুমকির ফলে প্রাণ নাশের আশংকায় আছি। এ হুমকি পিছনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে জানান নাঈম।ভুক্তভোগী উপজেলা যুবদল নেতা শাহরিয়ার আহম্মেদ নাঈম বলেন, প্রাণনাশের হুমকির পরে থানা জিডি করেছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সামাজিকভাবে হেও করার চেষ্টা করছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করার জন্যই এই হত্যার হুমকির পিছনে তাদের ইন্ধন রয়েছে।এবিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) ইমরান হোসেন বলেন, হত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগী নাইম। বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে হুমকিদাতাসহ ইন্ধনকারীদের সনাক্তকরে আইনের আওতায় আনা হবে।এআই
৮ দিন ধরে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
ময়মনসিংহের ৩টি রেলপথে ৮ জোড়া এবং ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে ভাওয়াল মেইল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সড়ক পথে গন্তব্যে যেতে তাদের সময় ও টাকা লাগছে বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।গত ২ ডিসেম্বর মাইলেজ বন্ধের প্রতিবাদে রানিং স্টাফদের লাগাতার আন্দোলনে ৮ দিন ধরে লোকাল ট্রেনগুলোর চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।রাকিবুল ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, আমি লোকাল ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করি কিন্তু ৮ দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছি। বাড়তি টাকা খরচ করে কলেজে যেতে হচ্ছে।ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জলিল মিয়া বলেন, গ্রাম থেকে ট্রেনে করে পাইকারী দরে সবজি এনে শহরে বিক্রি করি কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত খরচে সবজি নিয়ে শহরে বিক্রি করে লাভ হয় না।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী ট্রেন চালক, সহকারী চালক, পরিচালক ও টিকিট কালেক্টরদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এ জন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা যাকে রেলওয়ের ভাষায় মাইলেজ বলে। সেই মাইলেজ সুবিধা বাতিল করার কারণে ৮ দিন ধরে নির্ধারিত ৮ ঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালন করছেন না রানিং স্টাফরা। সেজন্যেই লোকবল সংকটের কারণে লোকাল ট্রেনগুলো চালানো যাচ্ছে না। এদিকে আন্তঃনগর, কমিউটার এবং মেইল ট্রেন চলাচল করলেও রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত ডিউটি না করায় প্রত্যেকটি ট্রেন ১/২ ঘণ্টা করে বিলম্বে চলাচল করছে।রানিং স্টাফরা জানান, ২০২২ সালে নিয়োগ পাওয়া চালক, টিটিসহ অন্যান্যদের মাইলেজ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া পরবর্তীতে যারা নিয়োগ পাবেন তারাও মাইলেজ সুবিধা পাবে না। স্টাফ এলএম গার্ড ও টিটিই সংকটের কারণে ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনার জারিয়া, মোহনগঞ্জ ও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে লোকাল ট্রেন ৮ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৮ জোড়া লোকাল ট্রেন এবং ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে ভাওয়াল মেইল ট্রেন ১ ডিসেম্বর থেকে চলাচল বন্ধ। লোকাল ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীরা।রেলওয়ে রানিং স্টাফ, শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ১৬০ বছরের বেশি সময় ধরে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা চালু ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের থেকে মাইলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো ও মাইলেজ সুবিধা পেলেও ২০২১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রে পেনশন ও আনুপাতিক পার্ট অব পে মাইলেজ সুবিধা বাতিল করা হয়। বৈষম্যমূলক এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সবার জন্য মাইলেজ সুবিধা, পেনশন এবং আনুপাতিক পার্ট অব পে মাইলেজ চালু করতে হবে।তিনি জানান, এই দাবি নিয়ে তারা কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে। বন্ধ মাইলেজ চালুর দাবিতে সোমবার পর্যন্ত ৮ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ, শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন।ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লোকাল ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। উপরের নির্দেশনা পেলেই চালু করা হবে।এইচএ
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নেত্রকোনা মুক্ত দিবস পালন
নেত্রকোনা মুক্ত দিবসে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে একটি বর্ন্যাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।সেখানে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত “প্রজন্ম শপথ” ভাস্কর্য্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলাবাসী। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ শ্রদ্ধা জানান। পরে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে সাবেক কমান্ডারগণ পুস্পস্তবক অর্পন করেন।এরপর উন্মুক্ত করে দিলে একে একে বিভিণœ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাজনৈতিক দল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির নেতৃবৃন্দ নেত্রকোনা মুক্ত দিবসে অংশ নিয়ে উৎফুল্লতা প্রকাশ করে জিয়ার সৈনিক দিতে থাকে। এরপর পাবলিক হল মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এই দিনে মরণপন লড়াই করে নেত্রকোনা শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিলো বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। ৮ ডিসেম্বর রাত থেকেই শহরের বর্তমান কৃষিফার্ম এলাকায় এম্বুশ পেতে অপেক্ষায় ছিলেন বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। টাইগার খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক আহমদের নেতৃত্বে ভোরের আলো ফোটতেই শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। মরণপণ লড়াই করে নেত্রকোনা শহরকে মুক্ত করতে সন্মুখ সমরে শহীদ হয়েছিলেন আবু খাঁ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রশিদ।৮ ডিসেম্বর রাত থেকে শুরু করে রাজুরবাজার, চকপাড়া, সাতপাই, কাটলী, নাগড়া, কৃষিফার্ম এলাকা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা পর্যন্ত অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে পাকিদের ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।তিনজন মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে একটি স্মৃতিফলকও হয়েছিল। কিন্তু অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক তরুণ কান্তি শিকদার কালেক্টরেট প্রাঙ্গণেই নির্মাণ করেন প্রজন্ম শপথ।বীরত্বগাথা দিবসটি স্মরণে ‘প্রজন্ম শপথ’ নামের ভাস্কর্য নির্মাণে খুশি হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। দিবসটির সঠিক ইতিহাস নিয়ে প্রজস্মের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে দিবসটি পালিত হয়।যে কারণে জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের ১৬ ডিসেম্বর যেমন আনন্দের ঠিক ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনাবাসীর কাছে তেমনি আনন্দের। শহর শত্রু মুক্ত হতেই চারদিক থেকে মানুষ হৈ হুল্লোড় করে আনন্দে বাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। আমাদেরকে অভিনন্দন জানায়। এ দিনটি আসলে আমরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি।নেত্রকোনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেত্রকোনা জেলার ৩ হাজার ৪২৭ জন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে মুসলিম যোদ্ধা ২ হাজার ৯০৮ জন এবং হিন্দু ছিলেন ৪২৮ জন, আদিবাসী ছিলেন ৯১ জন। এর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন ৩৪ জন। শহীদ হয়েছেন মোট ৬৬ জন।এআই
বেগম রোকেয়া দিবসে সরিষাবাড়ীতে ৫ জয়িতা পেলেন বিশেষ সম্মাননা
‘‘নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংষতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে জয়িতাদের মাঝে সনদ প্রধান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রোমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শায়লা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ সিংহ, সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাহিদা ইয়াসমিন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. বাহাদুর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আন্নু মিঞা প্রমুখ। আলোচনা শেষে বিভিন্ন অবদানে সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী জুবেদা খানম, সফল জননী হিসেবে মোছা. রেহানা পারবীন, সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদানে রাখা মোছা. হ্যাপী বেগম, নির্যাতনের বিভীশিখা ভুলে নতুন উদ্যমে জীবন গড়ায় মোছা. কুসুম বেগম ও শিক্ষা-চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী মোছা. রুমি আক্তারকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।এ সময় উপজেলার দায়িত্বরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ এবং জয়িতাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।এআই
নেত্রকোণায় আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত
নেত্রকোণায় পালিত হয়েছে আর্ন্তজাতিক দুনীতি প্রতিরোধ দিবস। এ উপলক্ষে “দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয়” বিষয়ক আলোচনা সভা ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ছোট বাজার স্থানীয় শহীদ মিনারের সমানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ অঞ্চল দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নেত্রকোণা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি অনুষ্ঠানির আয়োজন করে।জেলা কমিটির সদস্য আলপনা বেগমের সঞ্চালনায় কমিটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় ও দুদকের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচীর ঘোষণা করেন উদ্বোধক জেলা প্রশাসক। এসময় বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, দুদক ময়মনসিং কার্যালয়ের সহাকারী পরিচালক রাজু মো. সারওয়ার হোসেন, জেলা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ডাক্তার সাহিদ উদ্দিন আহমেদ স্বপন।উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শামীম আল ইমরান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, মো. লুৎফর রহমানসহ প্রশাসনের জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এইচএ
দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন নির্মাণের খবর নেই, দুর্ভোগ যাত্রীদের
১৯১৯ সালে স্থাপিত দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন দেশের প্রাচীনতম একটি রেলস্টেশন। এক সময় এই রেলস্টেশনটি ছিল উত্তর অঞ্চলের ৮টি জেলার সঙ্গে রেলপথের সংযোগস্থল। এই স্টেশনের উপর দিয়েই যাতায়াত করতো উত্তরাঞ্চলের সব রেল যাত্রীরা। ২০০৭ সালে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেলে ২০০৮ সালে উত্তর অঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আস্তে আস্তে স্টেশনটির লোকশূন্য হয়ে পড়ে, বর্তমানে এই রেলপথে আন্তঃনগর তিস্তা ব্রহ্মপুত্রসহ সহ ৫টি ট্রেন চলাচল করে। দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ,গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী রাজিবপুরের লোকজন এই স্টেশন দিয়ে রেলপথে ঢাকায় যাতায়াত করে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা তথা এই অঞ্চলে বাসের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সবাই ট্রেনে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ এবং নিরাপদ বোধ করে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ষ্টেশন হয়ে ঢাকায় যায়। নতুন স্টেশন নির্মাণের অজুহাতে ২০২১ সালে স্টেশনের মূলভবন ভেঙে ফেলা হয়। স্টেশন ভেঙে ফেলার ৩ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নকশা জটিলতায় কাজ থেমে আছে। পূর্বের যেই ডিজাইনে স্টেশন নির্মাণ হবার কথা ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টেশন ভেঙে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। নতুন নকশা অনুমোদন হলে টেন্ডারে যাবে এর আগে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি। বর্তমানে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অস্থায়ীভাবে নির্মিত টিনের ছাপড়া ঘরেই চলছে স্টেশনের যাবতীয় কার্যক্রম। ছোট ছাপড়া ঘরে স্টেশন মাস্টার, সহকারী স্টেশন মাস্টার, সংরক্ষিত অফিস, টিকিট কাউন্টার বুকিং অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পড়ে অনেক মূল্যাবান অফিসিয়াল জিনিসপত্র বিনষ্ট হয়ে গেছে। শীতকালে কুয়াশার পানি ঝড়ে অফিসিয়াল কাজের বিঘ্ন ঘটছে। যাত্রীদের জন্য কোনো বিশ্রামাগার ও টয়লেট নেই। দুটি অন্তঃনগর ট্রেন সহ কয়েকটি লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রির লাখ লাখ টাকা সহ হাজার হাজার মূল্যাবান টিকিট অরক্ষিত অবস্থায় সেই টিনের ঘরে রাখা হয়। যে কোন সময় চুরি ডাকাতি সংঘটিত হতে পারে। টিকিট বিক্রির সমুদয় টাকা ৩/৪ দিন পর পর জামালপুরের হেড বুকিং অফিসে প্রেরণ করা হয়। এই সময়ের মাঝে সব টাকা পয়সা এখানেই থাকে। ট্রেনের যাত্রী চিকাজানীর বাসিন্দা মুজিবুল হক শামিম জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাকে গত ১৫ বছরে পরিকল্পিতভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এই স্টেশনটি দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে নির্মাণের কোন খবর নাই, এটা কোন দেশে বাস করছি আমরা। নতুন স্টেশনের নির্মাণ করবে বলে পুরাতনটা ভেঙে ফেলা হলো এখন আর নতুন টাও নাই পুরাতন টাও নাই। আমাদের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, টয়লেট নেই, বিশ্রামাগার নেই। স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার সোহেল আক্ষেপ করে বলেন, আগের যে জরাজীর্ণ ভবনটি ছিল সেটাতে তবুও কাজ চালানো যেত এখন আমরা উদ্বাস্ত হয়ে গেছি। বিগত সরকারের আমলে দায়িত্বশীল মন্ত্রী এমপিরা এখানে এসে কথা দিয়ে গিয়েছিল কিন্ত তারা কোন কথা রাখেনি। তারা আশ্বাস দিয়েছিল দুই বছরের ভেতর বিশ্বমানের একটি রেলস্টেশন হবে এখানে। কিন্ত ৩ বছর পাড় হয়ে গেছে এখনো কোন কাজের অগ্রগতি নেই। দেওয়ানগঞ্জের জন্য আলাদা একটি ট্রেন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল সেটারও বাস্তবায়ন হয়নি। ১৫ বছর দেওয়ানগঞ্জবাসীকে শুধু ধোকা দেওয়া হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন আক্ষেপ করে বলেন, স্টেশনটি নির্মাণের খবর নাই। তার আগে ভবন ভেঙে ফেলে রেখেছে। ৩ বছর ধরে বহু কষ্টে স্টেশন পরিচালনা করে আসছি। স্টেশনটি বড় একটি রেলস্টেশন এখানে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ সামগ্রী রয়েছে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির লাখ লাখ টাকা অরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়। ঝড় বৃষ্টি এবং চৈত্র মাসের প্রচণ্ড রোদে কাজ করতে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রেল স্টেশনটি নির্মাণের দাবি জানান। রেলওয়ে জামালপুরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সেই স্টেশনের আগের ডিজাইন বাতিল করে অন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডিজাইন পাশ হলে টেন্ডারে হবে এরপর কাজ শুরু হবে। নতুন ভবন নির্মাণের আগে কয়েক বছর যাবত পুরনো ভবন ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে কেন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। তিনি জানান সে সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না।এইচএ
উলিপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
“দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা” এই প্রতিপাদ্যে রেখে কুড়িগ্রামের উলিপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষ উপজেলা প্রশাসনিক ভবন হলরুমে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইউএনও মো. আতাউর রহমান। এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ফিরোজ আলম, সহ-সভাপতি ও উলিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। এমআর
দুই সন্তানের জননী প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে ধরা প্রবাসী
প্রেম মানে না কোন বাধা' এই জন্যই মনে হয়, চণ্ডীদাস প্রতিদিন মাছ ধরার ছলে বড়শি নিয়ে এপারে বসে থাকতেন তার প্রিয় মানুষটাকে দেখতে। এভাবেই দিন-মাস পেরিয়ে বছর চলতে চলতে ১২ বছর কেটে যায় নিরবে। পরকীয়ার টানে রাতের আঁধারে দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে দেখা করতে এসে হাতে ধরা খেলেন প্রবাসী এক যুবক।রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।প্রবাসী ওই প্রেমিক আলমগীর উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম বাসুলী মরিয়ম বাজার শাহপাড়া এলাকার সাদ্দারুল কবিরাজের ছেলে। অপরদিকে, পরকীয়া প্রেমিকা খোরশেদ মারজান খুশি গোবিন্দপুর মাদারডাঙ্গা গ্রামের হান্নারের স্ত্রী ও বাসুলী গ্রামের খলিল মাস্টারের মেয়ে। জানা গেছে, আলমগীর সাথে তার পাশের গ্রামের খুশির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেখানেও দেখা করতে গেলে মেয়ের পরিবার তাদের সম্পর্কের বিষয় জানতে পারে। পরে এক রাতেই অন্য জায়গায় খুশিকে বিয়ে দেয় তার পরিবার। কথা ছিল ৬ সন্তানের জননী হলেও বিয়ে করবে আলমগীর। দূরত্ব বেড়ে গেলেও যোগাযোগ বন্ধ হয়নি তাদের। ৭ বছরে ২ সন্তানের জননী হয় সেই প্রেমিকা খুশি কিন্তু সময়ের ব্যবধানে কর্মজীবনে আলমগীর বিদেশে যায়। দীর্ঘদিন পর বাসায় আসলে হঠাৎ দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সেই যুবক। আরো জানা গেছে, আলমগীর তার পরকীয়া প্রেমিকা খুশির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে আলমগীরকে আটকে রাখে। এমতাবস্থায় ওই প্রেমিকের কাছ থেকে আলোকঝাড়ি ইউপির সদস্য আশরাফুল ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বোনের বাসায় যাওয়ার পথে আমাকে রাস্তায় আটক করে। আমি আদৌ তার সঙ্গে দেখা করতে আসিনি। এছাড়াও খুশির সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নাই।এ বিষয়ে খুশির কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে খুশির স্বামী হান্নান বলেন, আমরা মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছি। মেম্বার যা করবে আমরা তাই মেনে নিব।এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আশরাফুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এইচএ
বিরামপুরে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত
নারী কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি–এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে বেগম রোকেয়া দিবস পালন করা হয়েছে। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়। উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা শেষে জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি নাজিয়া নওরীন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহানসহ অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে সফল জননী ও শ্রেষ্ঠ জয়িতা বাংলার ৪ নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এআই
দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ
আজ ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ। আজ সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। একই সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরকিল্পনা কর্মকর্তা সুমন ধর।সভায় যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানি কমান্ডার একে ভূঁইয়া বলেন, ১৯৭১ সালের এপ্রিলে দেবীগঞ্জ দখল করে পাকবাহিনী। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মুক্তিযোদ্ধারা করতোয়া নদীর পশ্চিম পাড়, ভাজনী, রামগঞ্জ বিলাসী, সোনাহার গোপাল বৈরাগী ঘাট এলাকায় সদরের তিন দিক থেকে পাকবাহিনীকে ঘেরাও করে রাখে। দীর্ঘ সাত মাস পর ৯ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিলে পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই দিন বিকাল ৪টায় দেবীগঞ্জ আনসার অফিসের সামনে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন হয়ে আসছে।আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব মুন, জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুল হালিম, বিএনপি'র পৌর আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। এইচএ
পলাশবাড়ীর আ. লীগের সভাপতি লিপন গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পলাশবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন কে ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।পলাশবাড়ী থানার ওসি তদন্ত লাইছুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে নিয়ে আসার জন্য পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিম ইতোমধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন।পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী সাংবাদিকদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে আদালতে প্রেরন করা হবে বলেও জানান তিনি।এআই
পলকের শ্যালিকা ফারজানা দলের কেউ না, দাবি উপজেলা বিএনপির
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে পলকের শ্যালিকার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশের মাঝেই রবিবার রাতে উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে। পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তারা দাবি করেন ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি তাদের দলের কেউ নয়। তবে মঞ্চে তার উপস্থিতির কারন দলের মধ্যে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। জনসভায় স্বেচ্ছাসেবকদের নজরে আসা মাত্র তারা তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন বলে দাবি।জনসভায় সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকা সিংড়া শহর বিএনপির সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম গতকাল রবিবার বহিস্কৃত নেতা দাউদার মাহমুদের চেম্বারে বসে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শারফুল ইসলাম বুলবুল।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শামীম হোসেন, শাহাদত হোসেন, বিএনপি নেতা ইব্রাহীম খলিল ফটিক, শহর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মহিদুল ইসলাম সহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামাদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। এসময় দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।এর আগে গতকাল বিকেলে মিডিয়ার সাথে কথা বলেন পলকের শ্যালিকা ডাঃ ফারজানা রহমান দৃষ্টি। তিনি উপস্থিত স্থানীয় কর্মীদের কথায় মঞ্চে উঠলেও সভা শুরুর পর নেমে যান বলে দাবী করেন তিনি। এদিকে জনসভায় প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ অন্য সকল অতিথিরা মঞ্চে বসে থাকার সময় তাদের পিছনের সারিতে এই আলোচিত নারী বসে আছেন এমন ছবি ও ভিডিও ব্যপক ভাইরাল হয়। ঘটনার পরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ এ বিষয়ে ব্যাখা চেয়ে সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে শোকজ নোটিশ পাঠান। এরই মাঝে উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির বহিস্কৃত যুগ্ম সম্পাদক দাউদার মাহমুদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত দাউদার মাহমুদ তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ডাঃ ফারজানা রহমান দৃষ্টি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজী। আর তার কার্যালয় সার্বক্ষণি খোলা থাকে, সেখানে বসে কে কি বলেছে তার জানা নেই।সিংড়া শহর বিএনপির সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম বলেন, তিনি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ঠিকই কিন্তু মঞ্চে কে উঠবে সেই দায়িত্ব জনসভার সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ছিল। তবে দলীয় বিভেদ থাকায় বহিস্কৃত নেতা দাউদার মাহমুদের কার্যালয়ে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করেন বলে জানান।এমআর
শাহজাদপুরে ৪ নারী পেলেন বেগম রোকেয়া জয়ীতা সম্মাননা পদক ২০২৪
বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে শাহজাদপুরে জয়ীতা সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে। সমাজের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চার নারীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুবিনা খাতুন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ ইসলাম, সহ অন্যান্য অতিথি এবং শতাধিক নারী।এসময় চার নারীকে তাদের অসামান্য অর্জনের জন্য জয়ীতা সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। পদকপ্রাপ্তরা হলেন – মোছাঃ রুমি খাতুন প্রিয়া, মোছাঃ রুবী খাতুন, মোছাঃ জোমেলা খাতুন এবং মোছাঃ নার্গিস খাতুন। সভাপতির বক্তব্যে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, "আজকের এই জয়ীতা নারীদের কষ্টকর স্মৃতিগুলি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও, তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা যে স্বাবলম্বীতা অর্জন করেছেন, তা দেখে সমাজের আরও অনেক সুবিধাবঞ্চিত নারী তাদের সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে সক্ষম হবে।"এসএফ
নাটোরে সাংবাদিকের ছেলেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
নাটোরে বৈশাখী টেলিভিশন ও দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক ইসাহাক আলীর ছেলেকে প্রকাশ্যে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। নলডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মোনায়েম হোসেন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাংবাদিক ইসাহাক আলীর মা সালেহা বেগম (৬০) তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তার নিজ গ্রাম নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল জামতৈল এর মৃত হাসেন ব্যাপারির ছেলে মো. আব্দুল মালেক আরো ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় এসে তার নাতি আসিফ আসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চাপাতি নিয়ে প্রকাশ্যে ধাওয়া করে। দৌড়ে বাড়িতে ঢুকে আসিফ আসলাম জীবন বাঁচায়। হামলাকারীরা এখনো তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। আসিফ ছাড়াও তার আত্মীয়-স্বজনকেও হুমকি দিচ্ছে হামলার চেষ্টাকারীরা। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি শনিবার নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পাবনায় শিমুল হত্যার বিচার দাবিতে সহপাঠীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
পাবনা জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সহপাঠী ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান আব্দুল হামিদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় নিহতের বিচার দাবিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বজনরা।বক্তব্যে তারা বলেন, জিলা স্কুলের ২০২২ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা অনেক শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের কারণে স্কুল এবং এলাকায় প্রশংসিত ছিল। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে চরঘোষপুর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বখাটেরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও মুলহোতারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিচারের দাবি জানান।এদিকে, শিমুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহীন মালিথা বাদী হয়ে রবিবার রাতে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।এআই
বেগম রোকেয়া দিবসে সিংড়ায় জয়িতা পুরস্কার পেলে ৫ নারী
নাটোরের সিংড়ায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং ৫ জন জয়িতাকে পুরস্কার দেয়া হয়।জয়িতা পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম।সিংড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুমি খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রবিন খান'সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস কায়েম।এইচএ
১৬ বছর পর তাহিরপুরে বিএনপির কর্মী সভা
১৬ বছর পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলায় বিএনপির আয়োজনে উপজেলার পরিষদ চত্তরে কর্মী সভা হয়। সভায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতাহ সিদ্দিকী। এসময় তিনি বলেন, পকেট কমিটি নয়,বিএনপির সাচ্ছা লোক দিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি করা হবে না। বিগত দিনে যারা দলের জন্য ত্যাগী শিকার করেছেন, নির্যাতিত হয়েছে,মামলা হামলার শিকার হয়েছেন তাদের কে মুল্যায়ন করা হবে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে। তাই যোগ্য ব্যক্তিকে তাদের যোগ্যতার বিবেচনা আর নেতা তৈরী করে নেতৃত্ব দিতে আপনরাই ঠিক করবেন। কাকে দিয়ে দলের উন্নয়ন আর আপনাদের মঙ্গল হবে।কর্মী সভায় নেতা কর্মীগন উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মীগন যোগ্য,পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয় বিএনপির নিবেদিত ব্যক্তিকে দিয়ে কমিটি গঠনের জন্য আহবান জানান।কর্মী সভা সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডঃ নুরুল ইসলাম নুরুলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও সুনামগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সাবেক সংসদ নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এআই
অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন, বন্ধে ডিঅসিবি'র স্মারকলিপি প্রদান
সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহআরপিন টিলায় অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবিদা সুলতানার মাধ্যমে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর দুর্নীতি অনুসন্ধান কমিটি বাংলাদেশ (ডিঅসিবি) এর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। আরো অনুলিপি প্রদান করা হয় জেলা পুলিশ সুপার, সহকারী ভূমি কমিশনার,অফিসার ইনচার্জ কোম্পানীগঞ্জ এবং সকল গণমাধ্যম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক বজলুর রশীদ, সদস্য সচিব এম এ এইচ শাহীন, যুগ্ম আহবায়ক ডা. নুরুল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল হক,সদস্য আব্দুর রব,ফাতেমা আক্তার ফাতেহা, উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ছালেহ আহমদ প্রমুখ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শতবর্ষের ঐতিহ্য ৩৬০ আউলিয়ার সফরসঙ্গী হযরত শাহআরপিন (রঃ) এর আসন মাজারটি রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত শাহ আরপিন টিলা উৎমা পাথর কোয়ারী সহ ভোলাগঞ্জ রেলওয়ের বাঙ্কার হতে অবৈধভাবে পাথর বালু উত্তোলন ও ধলাই নদীর ধলাই ব্রীজের নিচ হইতে উত্তর দিকে ভোলাগঞ্জ ১০ নং দয়ার বাজার ও কালাইরাগ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট বন্ধে স্মারক লিপি প্রদান করেন।দুর্নীতি অনুসন্ধান কমিটি বাংলাদেশ (ডিঅসিবি) পরিবেশ বিনষ্টকারী দানব খ্যাত লিস্টার মেশিন দ্বারা পাথর উত্তোলন করার ফলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। বিগত সরকারের দোসররা শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনকে যোগসাজশে অবৈধ পাথর এবং বালু লুটপাটের মহোৎসব, চলছে। এসব বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি বিশষভাবে আবেদন করা হয়।এমআর
সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা, মা-মেয়ে আটক
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিজিবির সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হরষপুর বিওপির একটি টহলদল রাজেন্দ্রপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে।আটকরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের আকাশ চন্দ্র দাসের স্ত্রী বিনা রাণী দাস (৪৫) ও তার মেয়ে রিয়া রাণী দাস (১৮)।সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, ভারতের আগরতলায় আটকদের পরিবারের একজন শুটকির ব্যবসা করেন। তার কাছে অবৈধভাবে যাওয়ার সময় হরষপুর বিওপির টহল দল তাদের আটক করে।অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হবিগঞ্জে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় বালুবোঝাই একটি চলন্ত ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন।শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রুদ্রগাও নাঈমা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা লিমন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রগাও নাঈমা ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছামাত্রই সামনে থাকা একটি বালুবোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় বাসে থাকা দুই যাত্রী নিহত হন। পরে খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্র ও শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের খন্দকার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণে রাত দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ২ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় রেখেছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এআই
মৌলভীবাজারে যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন, মা-চাচির মৃত্যু
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ রুমেল আহমদের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িতে থাকা তার মা শেখ মেহরুন নেসা (৬৫) ও চাচী ফুলেছা বেগম (৬০) শ্বাসরুদ্ধ হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়।শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে মোস্তফাপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার যীশু তালুকদার জানান, রাতে অগ্নিকুণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িতে থাকা শেখ মেহরুন নেসা ও ফুলেছা বেগম আগুনের ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।এআই
অনলাইন ভোট
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতে ফেইক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ মমতার
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনার মাঝেই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাষণে আরও একবার উঠে এলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রসঙ্গ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভার অধিবেশনে তিনি যেমন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তেমনই 'একটা রাজনৈতিক দলের' বিরুদ্ধে ফেক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।নাম প্রকাশ না করে তিনি উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের সম্পর্কে বর্তমানে যে টানাপোড়েন চলছে সেই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে চাইছে ওই দল। তার কথায়, অনেক ফেক ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দল উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।বিধানসভায় তার ভাষণে সম্প্রীতি ও শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার এবং প্রতিবেশী দেশের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সংযত থাকার অনুরোধও করেছেন তিনি।অন্যদিকে, দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের একটা ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে কিছু ব্যক্তিকে 'কলকাতা দখলের' ডাক দিতে দেখা গিয়েছিল। নিজেদের সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলে জানিয়েছিলেন তারা।একই সঙ্গে অন্য একটা ভিডিওতে বাংলাদেশের এক প্রবীণ নেতাকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা দখলের কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল। যারা এই মন্তব্য করেছেন তাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মমতা।গত সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশনে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে কেন্দ্রের তরফে জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠানোর আর্জি জানানো হয়। তার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বাংলাদেশ।দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে তার দলের নেতাসহ সবাইকে শান্ত থাকার এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। সীমান্তবর্তী রাজ্যের শান্তি যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই আহ্বান।বিধানসভায় তার বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।একই সঙ্গে সমস্ত বিধায়কের উদ্দেশে বলেছেন, কেউ উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেবেন না।তার কথায়, হিন্দু, মুসলিম, শিখ বা খ্রিস্টানরা দাঙ্গা শুরু করে না। সমাজবিরোধীরা দাঙ্গা শুরু করে। আমাদের এমন কোনো মন্তব্য করা উচিত নয় যাতে বাংলায় খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি খুশি যে এখানকার হিন্দু এবং সংখ্যালঘু উভয় সম্প্রদায়ই বাংলাদেশে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এটা আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ স্বভাবের পরিচয় দেয়।সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি তাদের নিষেধ করেছি। অনেকে এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। তারা আরেকটা দাঙ্গা শুরু করবে। আমরা দাঙ্গা চাই না, শান্তি চাই। হিন্দু-মুসলিম, শিখ ও খ্রিস্টানদের রক্ত একই।এরপরই কারও নাম না করে তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। অনেক ফেইক (ভুয়া) ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দল ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুই সম্প্রদায়ের মানুষকেই এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে, কিছু ক্ষেত্রে সেই বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, যারা এটা নিয়ে রাজনীতি করার কথা ভাবছেন, তাদের মনে রাখা উচিত, এতে আপনার রাজ্যেরও ক্ষতি হবে। ওখানে (বাংলাদেশে) থাকা বন্ধুদেরও ক্ষতি হবে।তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলাএফএস
ইতালির দূতাবাসে বহাল তবিয়তে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও তার প্রেতাত্মারা সরকারি বিভিন্ন দফতরে এখনও রাজত্ব করছে। খোলস পাল্টিয়ে ফের অনিয়ম ঘোষ বাণিজ্যে সক্রিয় হচ্ছেন এসব আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে ইতালির রোম বাংলাদেশ দূতাবাস চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং ঘুষের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। এ অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য দুর্নীতির সঙ্গে দূতাবাসের কয়েকজন আওয়ামীপন্থী অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। সরকার পতনের পর ইতালিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতকে পরিবর্তন করা হলেও আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এসব অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যে চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। ভোগান্তির সাথে বেড়েছে বিভিন্নরকম সেবার ফি । অনুসন্ধানে জানা গেছে, দূতাবাসে কনস্যুলার ফি, নতুন পাসপোর্টের আবেদন, পাসপোর্ট নবায়ন, সার্টিফিকেট প্রদান, চিকিৎসা, জ্বালানি, ভ্রমণ, আপ্যায়নসহ সব খাতেই ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। কয়েকজন আওয়ামী লীগ নামধারী নেতাদের যোগসাজশে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন দূতাবাসের এসব অসৎ, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, দূতাবাসে যেকোনো ধরণের সেবা নিতে গেলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। দালাল ছাড়া কোন কাজ করা যায় না। অতিরিক্ত টাকা গুনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও কাজ সম্পন্ন হয় না। আওয়ামী লীগের আমলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা এখনো বহাল থাকায় তাদের সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। প্রবাসীদের সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান এবং সেবার মান নিশ্চিরকরণে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের নির্দেশ থাকলেও এসব অসাধু কর্মচারীদের জন্য কনসুলেট সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। তারা আরও বলেন, এসব আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং থেকে শুরু করে সরকার পতনের পর দেশ থেকে আওয়ামী দোসরের বিদেশ পালাতে সহযোগিতা করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে এসব কর্মচারীরা প্রবাসীদের একপ্রকার জিম্মি করে বিভিন্ন কনসুলেট সেবার নামে টাকা আদায় করতো। দূতাবাসে বসে অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে বাংলাদেশ এবং ইতালির বিভিন্ন শহরে কিনেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। করেছেন অনেক দোকানপাট। একজন প্রবাসী বলেন, পাসপোর্ট সমস্যার জন্য এপয়েন্টমেন্ট নিতে টাকা দিতে হয় না হলে তারা কোন কাজ করেন না। যেখানে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা সেখানে কয়েক মাস গেলেও কাজ হয় না। ফোন দিলেও কেউ ফোন ধরেননা। একটা ছোট কাজের জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাত্ব হয়। জানা গেছে, এইসব কর্মকর্তারা অবৈধ টাকায় তাদের স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনদের নামে ইতালিতে বিভিন্ন হোটেল, বার, দোকান দিয়েছেন। প্রবাসী কমিউনিটির এক নেতা বলেন, ইতালিতে কোন বাংলাদেশি মারা গেলে তাদের লাশ দেশে পাঠাতে অনেক টাকা ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া দূতাবাস গুলো থেকে প্রবাসীদের জন্য যতটা সেবা প্রয়োজন কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও স্বজনপ্রীতির জন্য প্রবাসী সঠিক সেবাটুক পাচ্ছেন না। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সরকারের বিভিন্ন দফতর সংস্কার ও বদলিকরণ হলেও অদৃশ্য এক ছায়ায় ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এখনও বহাল তবিয়তে। নতুন রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আর্কষণ করে তারা বলেন, এসব অসাধু আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তাদের বদলি করে দূতাবাস থেকে সৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর মুক্ত করা হোক।এমআর
বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের দুবাইয়ের ভিসা
হোটেল বুক করে, বিমানের টিকিট কেটেও দুবাই যাওয়া বাতিল করতে হচ্ছে ভারতীয়দের। সংযুক্ত আবর আমিরাত প্রশাসন পর্যটক ভিসার ব্যাপারে কড়াকড়ি করায় সমস্যায় পড়েছেন তারা। অনেক ভারতীয়ের ভিসাও পর পর বাতিল হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগে দুবাইয়ের ভিসা আবেদনের ৯৯ শতাংশই অনুমোদিত হত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় সব নথি দেওয়ার পরেও ভিসার আবেদন প্রত্যাখান হচ্ছে বলেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। সংযুক্ত আবর আমিরাত সরকার সম্প্রতি দুবাইয়ের পর্যটকদের ভিসার জন্য নতুন এবং কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, পর্যটকদের তাদের হোটেল বুকিংয়ের বিবরণ এবং ফেরার বিমান টিকিট দাখিল করতে হবে ভিসা আবেদনের সময়। শুধু তাই নয়, যদি কেউ দুবাইয়ে কোনো আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত কারো কাছে উঠে, সে ক্ষেত্রে ওই লোকের যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আগে এক থেকে দুই শতাংশ ভিসার আবেদন বাতিল হত। কিন্তু বর্তমানে ভিসা বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন পর্যটকদের ১০০টি আবেদনের মধ্যে পাঁচ থেকে ছ’টি ভিসা বাতিল হচ্ছে। এক পর্যটন সংস্থার কর্মকর্তা নিখিল কুমার বলেন, নিশ্চিত বিমান টিকিট এবং হোটেলে বুকিং থাকা সত্ত্বেও ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে।এর ফলে অনেকেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ পর্যটকদের শুধু ভিসা আবেদনের ফি নয়, বিমান টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে।আমিরাত প্রশাসনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধু বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের বিবরণ দিলেই হবে না। ভ্রমণকারীদের প্রমাণ করতে হবে দুবাইয়ে থাকার জন্য তাদের কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে। যদি হোটেলে থাকতে চান, তবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে। আবেদনকারীকে ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে শেষ তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্যান কার্ডের প্রতিলিপি জমা করতে হবে।এসএফ
পরিবারসহ আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া
সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। কিন্তু তাঁর গন্তব্য জানা যাচ্ছিল না। সোমবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানাল, আসাদ মস্কোয় গিয়েছেন।এদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মানবিক জায়গা থেকে আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অভিযানে আচমকা ক্ষমতা হারানো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে রাশিয়ায় গিয়েছেন; যাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছে তার দীর্ঘদিনের মিত্র দেশটি।রাশিয়ার রাষ্ট্র্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ‘আরআইএ নভোস্তি’কে উদ্ধৃত করে রোববার বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, আসাদের সঙ্গে তার পরিবারও মস্কোতে আশ্রয় পেয়েছেন।ক্রেমলিনের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ‘আরআইএ নভোস্তি’র খবরে বলা হয়, “মানবিকতার জায়গা থেকে আসাদ ও তার পরিবারকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।”এদিকে কূটনীতিকদের বরাতে রয়টার্স লিখেছে, সশস্ত্র বিদ্রোহের পর সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পরই আসাদের সম্ভাব্য গন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দিকে খবর বেরোয়, বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢোকার সময়ই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে আসাদ সিরিয়া ছাড়েন।সিরিয়া সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, আসাদ রোববার সকালে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দামেস্ক ছেড়েছেন।পরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আসাদ এখন সম্ভবত দেশের বাইরে।” কিন্তু আসাদ কোথায় থাকতে পারেন তা তিনি জানাননি।তবে সিরিয়া ছাড়ার পর ইরান কিংবা রাশিয়ায় যাওয়া ছাড়া আসাদের বিকল্প নেই বলেও ধারণা করা হচ্ছিল।সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলের কয়েকঘন্টা পরই বাশার আল-আসাদের মিত্র রাশিয়া জানায়, তিনি পদত্যাগ করে সিরিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তখন এর চেয়ে আর বেশিকিছু জানায়নি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এবি
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, দেশজুড়ে উত্তেজনা
দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি তদন্ত ব্যুরোর প্রধান প্রসিকিউটর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আদেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি হুট করেই দেশে সামরিক শাসন জারি করে, কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেন ইউন। এতে দেশটিতে বড় আকারে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের মুখোমুখি রয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।এ ঘটনার পর পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টে অভিশংসন করার উদ্যোগ নেন। তবে শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) ইউনকে অভিশংসনের জন্য আনা প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) বলেছে, তার দলের নেতা এবং প্রেসিডেন্টের "শৃঙ্খলভাবে প্রস্থান" না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করবেন।এদিকে ইউনের প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রোববার এক ভাষণে পিপিপি নেতা হান ডং-হুন বলেছেন, ইউন বিদেশী এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আর জড়িত থাকবেন না। এখন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সরকারী বিষয়গুলি পরিচালনা করবেন। দলের নেতা হান বলেছেন, "প্রেসিডেন্ট কূটনীতিসহ রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়ে জড়িত থাকবেন না।"তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্লোর লিডার পার্ক চ্যান-ডে প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটিকে বেআইনি, অসাংবিধানিক দ্বিতীয় বিদ্রোহ এবং দ্বিতীয় অভ্যুত্থান" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধি কিম মিন-সিওকও ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছেন, পিপিপি নেতা হানকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেউ দেয়নি। সংবাদমাধ্যমকে দেয় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দল ঘোষণা দিয়েছে, তারা যৌথভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। কিন্তু এই ক্ষমতা তাদের কেউ দেয়নি, স্পষ্টতই এটি অসাংবিধানিক।অন্যদিকে দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এক ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেছে যে প্রেসিডেন্ট সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ধরে রেখেছেন। এর অর্থ হল উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হুমকিসহ যেকোনও বৈদেশিক নীতির বিষয়ে ইউন এখনও তাত্ত্বিকভাবে নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। যদিও শনিবার প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসে প্রেসিডেন্ট ইউন আরেকটি সামরিক আইন আরোপ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তার ঘোষণার জন্য সৃষ্ট "উদ্বেগ এবং অসুবিধার" জন্য জনগণের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে বিরোধী দল ইউনের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রেখেছে।এবি
দিল্লিতে ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি
ইমেইলের মাধ্যমে নয়াদিল্লির ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমন খবর পেয়ে নয়াদিল্লির স্কুলগুলোতে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে, দিল্লির যে ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে পশ্চিম বিহারের ডিপিএস আর কে পুরম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুলও রয়েছে। হুমকি পাওয়ার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশকেও জানানো হয়।গণমাধ্যম এনডিটিভি’র তথ্য অনুযায়ী, ওই ইমেইল অনুযায়ী, রোববার রাত ১১ টা ৩৮ মিনিটে ওই ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিলো। ইমেইলে দাবি করা হয়েছে, “স্কুলের ভবনের ভেতরে একাধিক বোমা রাখা হয়েছে। বোমাগুলো ছোট। তবে সেগুলোকে খুব ভালোভাবে লুকানো আছে। এটি ভবনের খুব বেশি ক্ষতি করবে না, তবে বোমা বিস্ফোরণে অনেক লোক আহত হবে। বোমার কারণে সকলেই কষ্ট পাবেন এবং অঙ্গ হারাবেন।”তবে চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে, ইমেইল প্রেরক বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেছেন। ইমেইলটি যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে পাঠানো হয়েছে, সেই অ্যাড্রেস দিল্লি পুলিশ তদন্ত করছে। সেই সাথে ইমেইল প্রেরককেও খুঁজছে তারা। ইতোমধ্যে, বোমা শনাক্তকারী দল এবং স্থানীয় পুলিশসহ দমকল কর্মীরা স্কুলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।এবি
'ভাববেন না বসে ললিপপ খাব' বাংলাদেশকে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য শান্তি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব আগেই দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মন্তব্য করেছেন কলকাতা দখল, বাংলা দখল প্রসঙ্গে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য মিনাজ প্রধান বলেছিলেন ৪ দিনে কলকাতা দখল করে নেবো। অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন চট্টগ্রাম দখলে নিলে বাংলা-বিহার উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে বিকৃত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে সরব হয়েছে মমতা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কথা প্রসঙ্গে মমতা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন- বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। এরপরেই বিএনপি নেতার মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি হুংকার দিয়ে বললেন, পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের কোনও জায়গা দখলের মুরোদ নেই বাংলাদেশের। আর কেউ যদি কলকাতা বা বাংলা দখল করতে আসে, তাহলে রাজ্য সরকার মোটেও চুপচাপ বসে ললিপপ খাবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত অখণ্ড। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই। বাংলা দখলের প্রসঙ্গ যখন উঠেছে তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিক্রিয়া দেবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এটাও স্পষ্ট করেছেন, "গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তাঁরাই ব্যবস্থা নেবে।আমরা কোনও পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) যাচ্ছেন। দেখা যাক কী হয়। আমাদের নীতি হল আমরা কূটনীতি মেনে চলব।’এদিন ভারতীয় গণমাধ্যমের একাংশের এক হাত নেন মমতা। পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘কয়েকটা মিডিয়া যা করছে তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু অনুরোধ করছি স্বাভাবিক থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে। রাজনীতি করবেন না।’সামরিক শক্তির নিরিখে বাংলাদেশের থেকে কয়েক গুণ এগিয়ে আছে ভারত। ২০২৪ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ। আর সেখানে ৩৭ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ।আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা সম্ভবত সেটাই মনে করিয়ে দিলেন। সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন যে রাজনীতির দিক থেকে ভারতের বিভিন্ন দলের মধ্যে বিভেদ থাকলেও কেউ যখন দেশের দিকে চোখ তুলে তাকাবে, তখন সবাই একসঙ্গে লড়াই করবে। সেটার ফল যে ভালো হবে না, সেটাও যেন বুঝিয়ে দিলেন।এবি
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ বাতিল করবেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ বাতিল করে দেবেন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (৯ ডিসেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ৪৭তম প্রেসিডেন্ট জানান, ওভাল অফিসের প্রথম দিনের কাজ ঠিক করে রেখেছেন তিনি। আর তা হলো যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সন্তানরা পাবে না মার্কিন নাগরিকত্ব।সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হবে বলেও জানান। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগের মেয়াদেই বেআইনী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে চেয়েছিলেন। তবে করোনাকালীন সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেটি করা সম্ভব হয়নি।এনবিসিকে ট্রাম্প আরও বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান জরুরি। মার্কিন ভূখণ্ডে কোন অবৈধ অভিবাসী থাকবে না। যারা বেআইনি প্রক্রিয়ায় এসেছেন তাদের সন্তানরাও অবৈধ। আমি কোনো পরিবার ভাঙতে চাই না। তাই সবাইকে এক সাথে যে দেশ থেকে এসেছে সেখানে পাঠিয়ে দেবো।এবি
আসাদ সরকারের পতন, যা বলছে সৌদি
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন সিরিয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরব। রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার জনগণ এবং তাদের পছন্দের বর্তমান "সঙ্কটজনক পর্যায়ে" পাশে আছে সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সিরিয়ার ইতিহাসের এই সংকটময় পর্যায়ে ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার জনগণ এবং তাদের পছন্দগুলোর প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করছে সৌদি। পাশাপাশি সিরিয়ার ঐক্য এবং এর জনগণের সংহতি রক্ষার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানাচ্ছে সৌদি আরব। যাতে দেশটিতে আরও বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করা যাবে।" বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে দেশটির জনগণকে সমর্থন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, "বহু বছর ধরে ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার জনগণের সহ্য করা ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে হবে। সেখানে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সৌদি আরব ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, রক্তপাত রোধ করতে এবং সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ সংরক্ষণের জন্য গৃহীত ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন সময় এসেছে ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার জনগণের প্রাপ্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন উপভোগ করার। নাগরিকদের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠন করতে হবে। এছাড়া তাদের সব উপাদান দিয়ে অবদান রাখার এবং সিরিয়ার আরব ও আরবের মধ্যে তার সঠিক স্থান পুনরুদ্ধারেরও উপযুক্ত সময় এখন।প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দামেস্ক দখলের পর রোববার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। বাশারের পালানোর খবর পেয়ে হাজার হাজার সিরিয়ানকে দামেস্কে জড়ো হয়ে বিজয় উদযাপন করতে দেখা গেছে। এবি
যাচ্ছে না বাংলাদেশিরা,পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধ্বস
২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২ লক্ষ ২১ হাজার মানুষ ভারতে চিকিৎসা করাতে যেত। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা পৌঁছায় ৩ লক্ষ ২৭ হাজারে। সে বছর বিভিন্ন দেশ থেকে যত মানুষ ভারতে চিকিৎসা করাতে গেছেন, তার প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষই গিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে। স্বাভাবিক নিয়মেই এই লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি মানুষের সিংহভাগই ভারতে এসে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের সবথেকে কাছে থাকা কলকাতাকেই বেছে নিয়েছেন।ভারতের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘চিকিৎসা পর্যটকদের সংখ্যা কমলে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে। কারণ, কলকাতার বিভিন্ন বড় হাসপাতাল থেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ ব্যবসা চিকিৎসার কারণে আসা বাংলাদেশিদের উপরে নির্ভরশীল।সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে বাংলাদেশিরা কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালেই চিকিৎসা করান। ভাষা, সংস্কৃতির মিল থাকার ফলেও তারা মুম্বাই বা দক্ষিণ ভারতের বদলে পশ্চিমবঙ্গকে প্রাধান্য দেন।দিল্লির আর্থিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশনস’ বা আইসিআরআইইআর সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এ ভারতের চিকিৎসা পর্যটনে বাংলাদেশের উপর নির্ভরতা নিয়ে সেই গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের চিকিৎসা পর্যটন শিল্পে সবথেকে বড় অংশীদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের অগস্টে শেখ হাসিনা গদিচ্যুত হওয়ার পরে ভারতের চিকিৎসা পর্যটন ক্ষেত্র ধাক্কা খেয়েছে। আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশিদের যাতায়াত কমেছে।পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা পর্যটক কমেছে। শুধু হাসপাতাল, তার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ক্ষেত্রে যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূ্র্বাঞ্চলে। কারণ, এই সব অঞ্চলেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা পর্যটক যান।পরিসংখ্যান বলছে, যে দশটি দেশ থেকে সবথেকে বেশি মানুষ ভারতে চিকিৎসা করাতে যান, তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। এ ছাড়া ওই তালিকায় রয়েছে ইরাক, ইয়েমেন, ওমান, মলদ্বীপ, সুদান, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, মিয়ানমার। ২০১৭ সালে বিদেশ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার মানুষ ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৪৪.৮ শতাংশই বাংলাদেশি। ২০২২-এ যান প্রায় ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার। তার ৬৮.৯ শতাংশ বাংলাদেশের। এর বাইরে বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে সীমান্তবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে যান।কলকাতার বণিকসভার এক শীর্ষ ব্যক্তি বলেছেন, ‘‘অনেকে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করছেন। কিন্তু এতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। হাসপাতালের ব্যবসা মার খাবে। তার ফলে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। নিউ মার্কেট থেকে ই এম বাইপাসে তৈরি বহু হোটেল বাংলাদেশি রোগীদের উপরে নির্ভরশীল। সেখানে কলকাতা ও রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কাজ করেন। বাংলাদেশি রোগী না এলে এই হোটেলের ব্যবসা মার খাবে। অনেকেই রুটিরুজি হারাবেন। ’’এমআর
বিনোদন
সব দেখুন
ক্যালেন্ডারে দাগ কাইটা রাখ, দাগির সাথে দেখা হবে ঈদে: আফরান নিশো
ঝড়ো হওয়া তুলে, তুমুল আওয়াজে এলেন তিনি! হেলিকপ্টারের দরজা খুলে যখন পা রাখলেন, তখনই অনেকের বোঝা হয়ে গেছে কে আসছেন। আর যখন ঝুটি বাঁধা চুল সামনে এল, ততক্ষণে সবাই নিশ্চিত হয়ে গেছেন তার ব্যাপারে। নতুন সিনেমার অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে এভাবেই হাজির হয়েছেন ভক্তদের 'বস' আফরান নিশো। এর মাধ্যমে আড়াল ভাঙলেন অভিনেতা। দেড় বছরেরও বেশি সময় কোথাও ছিলেন না আফরান। এ সময়ের মধ্যে দুটি সিনেমার খবর, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় চুলের ছবি; এই ছিল তার নিজেকে জানান দেয়া। ভক্তরা নানাভাবে, নানা মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন, কবে তাদের ’বস’–এর নতুন সিনেমার ঘোষণা আসবে। এত দিনের অপেক্ষা, জল্পনা শেষ হলো। সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ফিরলেন আফরান নিশো। জানালেন ’দাগি’ হয়ে ফিরছেন তিনি।আজ ৮ ডিসেম্বর অভিনেতার জন্মদিন। বিশেষ এ দিনে ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করেছেন নিশো। জানিয়েছন, আর নয় অপেক্ষা, রোজার ঈদে ফিরছেন 'দাগি' সিনেমা নিয়ে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। 'দাগি' নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় প্রযোজনা প্রতিষ্টান দুটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে অফিসিয়াল ভাবে জানানো হলো তথ্যটি। অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে জানানো হয়েছে সিনেমায় আছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল। তাদের নিয়ে সিনেমাটি পরিচালনা করবেন শিহাব শাহীন। ভিডিওটিতে নিশো বলেন, 'এতদিন নাকি অনেক খুঁজতেছিলা? এত সহজে খুঁজে পাইলে কী আর দাগি হয়? ক্যালেন্ডারে দাগ কাইটা রাখো, এই দাগির সাথে দেখা হবে ঈদে! একটা কথা মনে রাখবা, তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে সিনেমা হলে, ক্লিয়ার।' নিশোকে নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশার কথা ভালোভাবেই জানেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। জানান, সেই চাপ তিনি নিতে চান না। 'দাগি' একটি গল্প নির্ভর সিনেমা এবং এ সিনেমার হিরো এর গল্প। নির্মাতা বলেন, 'মুক্তি আর প্রায়শ্চিত্যের গল্প এটি। নতুন কিছুই দর্শক দেখতে পাবে। এই ধরনের গল্প এখানকার দর্শক দেখেনি আগে। গত দুই বছর ধরে গল্পটি নিয়ে কাজ করছি।' দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত তমা মির্জাও। এর মধ্যে অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেলেও করেননি তিনি। তমা বলেন,"এটা আমার জন্য একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জের এবং প্রশান্তির। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছি কিনা সেটা একটা চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে প্রশান্তি হলো দেরি করে ফিরলেও ঠিক–ঠাক একটা প্রোডাকশনে ফিরতে পারছি। 'দাগি'র গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে জন্যই কাজটি করছি। কার বিপরীতে কাজ করছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, আমার কাছে গল্প ও পরিচালক গুরুত্বপূর্ণ।" প্রতি বছর সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন আফরান নিশোদর্শকদের প্রত্যাশা কি 'দাগি' সিনেমা মেটাতে পারবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) শাহরিয়ার শাকিল বলেন, 'আমরা এই প্রত্যাশার কথা জানি, বুঝি এবং সম্মান করি। দর্শকদের প্রত্যাশা যেন পূরণ হয় সেই চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আর সে জন্যই আফরান নিশোকে নতুন রূপে ফেরাচ্ছেন শিহাব শাহীন। নতুন কিছুই হবে।' যার জন্য ভক্ত-দর্শকদের অপেক্ষা, সেই নিশো কী বলছেন? আফরান নিশো বলেন, 'আমি সমসময়ই চাই, গাতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সিনেমা করতে, যেখানে গল্পটাও একটা চরিত্র হবে। সেই দিক থেকে দাগির গল্প আমার খুব ভালো লেগেছে।'
কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিবে সেরকম কোনো মানুষ নেই: পরীমণি
ঢালিউডের ডানা কাটা পরী চিত্রনায়িকা পরীমণি। এই নায়িকাকে নিয়ে যেন আগ্রহের শেষ নেই ভক্ত-অনুরাগীদের। ভক্তদের প্রশ্নে তিনি নিজেও মন খোলা,দিল খুলে সবকিছু শেয়ার করেন প্রিয় অনুরাগীদের কাছে। লুকা ছাপায় থাকতে পছন্দ করেন না এ নায়িকা। যাকে যা বলেন সোজাসাপ্টা। এমনকি বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্ত করেন নিজের নানান অনুভূতির কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার প্রেম, বিয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে পরীমণি বলেন, 'মানুষ আমার প্রেমে পরে আমি পরি না। নায়কদের সঙ্গে প্রেম হয় না। একজনের সঙ্গে হয়েছিল, বাচ্চা হওয়ার পরে সব শেষ। এসব নিয়ে আমার অনুশোচনা হয় না।' তিনি বলেন, 'খুব সাধারণ জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। আমার পাশে সেরকম কোনো মানুষ নেই যে কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিবে যখন কান্না করি। আমার নিজে নিজে কান্না বন্ধ করতে হয়। যদি বুঝতাম আমরা কী চাই তাহলে জীবনটা অনেক সাজানো গোছানা থাকতো কোনো ভুল থাকতো না। আমি মরে যাইনি পাগল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কারণ অনেক কিছু ঘটেছে আমার সঙ্গে তবে আলহামদুলিল্লাহ কোনো আফসোস নেই। আমি জীবনকে অনেক সহজ করে দেখি।' পরীর ভাষ্য, 'দুঃখ হয় কান্না পাই আমিও তো মানুষ। যা মানুষের হয় আমারও তা হয় পরী বলে তো আসলে পরীদের মতো জীবন যাপনা না আমার মানুষের মতো জীবন যাপন করি। বাঁচতে ভালোবাসি আমার জীবনটাকে অনেক ভালোবাসি। যে জীবনকে ভালোবাসে তার তো এগিয়ে যেতে হবে।' বিসিএস ক্যাডার পাত্র চান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা'আমি সবার সাথে কথা বলতে পারিনি আমার কথা বলার আলাদা জোন আছে। আমি দুই চার মিনিটে বুঝে যায় আসলে তার সাথে আমার এক ঘণ্টা কথা বলার জায়গাটা আছে না নেই। আমার যেখানে জমবে না আমি ওখানে থাকি না।' সেই সাক্ষাৎকারে পরীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তার জীবনের প্রথম ক্রাশ কে, জবাবে তিনি বলেন, 'ক্রাশ! রণিত রায়।' বলে রাখা ভালো, পরীমণি হয়তো সেই রণিত রায়ের কথাই উল্লেখ করেছেন, যিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা। 'আদালত' সিরিজের 'কেডি পাঠক' হিসেবে যিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। প্রথম প্রেম কবে এসেছিল জববাবে নায়িকা বলেন, '২০১৪!' এ সময় বয়সের কথা জানতে চাইলে এড়িয়ে যান পরী, বলেন, 'এটা তো হিসেব করে বলতে হবে।' শোবিজে আসার পর প্রেম হয়েছে কি না প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'ওই কাছাকাছি সময়ে আরকি।’ সাক্ষাৎকারে আরও জানান, তার জীবনের প্রথম আয় ছিল ২১ হাজার টাকা। এদিকে টালিউড অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরই প্রেক্ষাগৃহে আসছে তার অভিনীত প্রথম টালিউড সিনেমা। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাতে পরীমণি সোহমের ছবি দিয়ে তৈরি 'ফেলুবক্সী' সিনেমার একটি পোস্টার শেয়ার করেন। ওই পোস্টার থেকে জানা যায়, নতুন বছর ২০২৫ এর শুরুতেই অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। কলকাতার সিনেমা 'ফেলুবক্সী'-তে পরীমণি ও সোহম চক্রবর্তী ছাড়াও রয়েছেন মধুমিতা সরকার। এ তিন সেলিব্রেটিকে একসঙ্গে পর্দায় আনছেন পরিচালক দেবরাজ সিনহা। থ্রিলার গল্পের এ সিনেমায় প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাদের।
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে
ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ। ফলে মামলায় প্রিন্স মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। পরে সেটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়। বিষয়টি আদালত সূত্রে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জানা গেছে।এর আগে গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লায়লা। মামলার পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ টিকটকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনেই আছেন।তদন্তে যা পাওয়া গেছে: আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে একজন টিকটকার হিসেবে পরিচিত তিনি। অপরদিকে বাদি লায়লা ফেসবুকে বেশ পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকার জন্য ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় লায়লার। পরে একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন টিকটকার মামুন।এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে একসঙ্গে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন। যা কিনা প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে।এর আগে মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমার শয়ন কক্ষে আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীসময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।এফএস
ভারতে বন্যার অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক
বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনুষ্ঠানে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কর্তৃক বয়কটের হুমকির ঘটনা তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হতে চলা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ১৯ তম পরিবেশ মেলায় সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বন্যাকে। কিন্তু, হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানে বন্যার অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে।বাংলাদেশের বিখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী এবং ২০২৪ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কৃত রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু, তার উপস্থিতি নিয়ে কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর এই বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে হুমকি, ভারতের সংস্কৃতি জগতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন এবং মধ্যমগ্রাম পৌরসভা কোনোভাবেই এই হুমকিকে গুরুত্ব দিতে প্রস্তুত নয়। পৌর প্রশাসক অরবিন্দ মিত্র এই ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন এবং বলেন, "শিল্পীর কোনো দেশ, জাতি বা ধর্ম নেই। হুমকি মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত।" তিনি আরও যোগ করেন, "পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে, এবং এই ধরনের উগ্রবাদীদের তীব্র নিন্দা করি, যারা সংস্কৃতি ও বাঙালি সমাজের জন্য কলঙ্ক।"এছাড়া, পৌর প্রধান নিমাই ঘোষও হুমকি প্রতিরোধে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।এসএফ
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
দেশে আবারো বাড়লো সোনার দাম
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম আবারো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা করা হয়েছে, যা আগের দামের তুলনায় এক হাজার ৬৬৬ টাকা বেশি। আজ পর্যন্ত ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেন। এর আগে ১ ডিসেম্বর সোনার দাম ১ হাজার ৪৮১ টাকা কমানো হয়েছিল।নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৯২ হাজার ৯৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া, রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা রাখা হয়েছে।আগামীকাল (১০ ডিসেম্বর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।এসএফ
কবে কমবে আলুর দাম, জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
এক মাসের মধ্যে বাজারে নতুন আলু আসলে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আলুতে চূড়ান্ত অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। নতুন আলু আসতে হয়তো ৪ সপ্তাহ লাগবে। আশা করছি তিন সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৮৬০ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৭ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ সংকট হয়েছে। এর ফলে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।এবি
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ৮ টাকা
ভোজ্যতেলের বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যেই বাড়ানো হলো বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম। দুই ধরনেই প্রতি লিটারে ৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা। আগে বোতলজাত তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে তেলের ঘাটতি রয়েছে, এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ভোক্তারাও অস্বস্তিতে রয়েছেন। সেজন্য আমরা তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি বাজারে আর তেলের ঘাটতি হবে না। তিনি বলেন, গত এপ্রিলে ১৬৭ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই বেড়েছে। যে কারণে দেশে স্থানীয় মজুতদারি বেড়েছে। তেলের পযাপ্ত মজুত রয়েছে। অনেকে কিনে মজুত করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা সেটা মনিটরিং করছি। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে এখন একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর সমস্যা হবে না। এ সময় ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিরগুলোর সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার বলেন, কয়েকদিন থেকে আমারা কীভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ১২০০ ডলারে উঠেছে। গত এপ্রিলে সরকার যখন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ছিল ১০৩৫ ডলার। এখন আমরা ১১০০ ডলার ধরে লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপদেষ্টা বলেন, যদিও এখন আমাদের প্রতি টন তেল ১২০০ ডলারে খালাস হচ্ছে। আরও দাম বাড়তে পারে, সে উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। কারণ বিশ্ববাজার এখনো স্থিতিশীল নয়। এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। তবে আলুর দামে অস্থিরতা এখনো আছে। নতুন আলু উঠলে দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে কমে আসবে বলে আশা করছি। এবি
রেমিট্যান্স প্রবাহে উর্ধ্বগতি: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এসেছে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেল এবং ব্যাংকিং পদ্ধতিতে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। ফলে নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।ব্যাংকভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে: ১৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ডলার।বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে: ৪ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার ডলার।বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে: ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে: ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার।অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গত আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ। এরপর অক্টোবর মাসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ এবং নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।চলতি অর্থবছরের শুরুতে, গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করার উদ্যোগ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।এসএফ
বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের জন্য এবারও থাকছে বিআরটিসি বাস
২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৫ শুরু হচ্ছে ০১ জানুয়ারি। চতুর্থবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্যমেলা স্থায়ী ভবনে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল ১০টায় মেলা প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বরাবরের ন্যায় এবারও বিআরটিসি বাস রাখা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বাস সার্ভিস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। রাস্তার ২ পাশে সারাদিন এ বাস চলাচল করবে। এখানে সম্ভবত ভাড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা হবে ১৪ কিলোমিটার রাস্তার জন্য। শুক্র ও শনিবার চাহিদা অনুযায়ী বাস দেওয়া হবে।বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, মেলা আয়োজনে কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। সেসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা মেলার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি চলতি মাস শেষেই আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে পারবো। উন্নত বিশ্বে যেভাবে মেলা আয়োজন করা হয়, এ বছর আমরা সেরকম করার চেষ্টা করছি। মেলাকেন্দ্রের ভেতরে সেল স্ক্রিন দিয়ে আন্তর্জাতিক মেলাগুলোর মতো ছোট ছোট স্টলগুলোর সীমানা দিয়ে দেওয়া হবে। ভেতরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মতো করে প্রয়োজন অনুযায়ী ডেকোরেশন করবে।আরও জানা গেছে, এবছর মেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু একটা নতুন সরকার এসেছে। তারা চায় দর্শনার্থীরা নিরাপদে নির্ভয়ে মেলা পরিদর্শন করতে পারে। এজন্য পুলিশ, র্যাবসহ এবছর সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থাকবে মেলার সার্বিক নিরাপত্তায়। এনিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক হবে সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ফলে আশা করছি অন্য যেকোনো বছরের থেকে এবছরের বাণিজ্যমেলা আরও বেশি নিরাপদ থাকবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে মোবাইল কোর্ট থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণের আশপাশের এলাকাগুলো হকারমুক্ত করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও র্যাব কাজ করবে।এছাড়া মেলাকেন্দ্রে বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রয়েছে। দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। তবে মেলার শৃঙ্খলার স্বার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই এক হাজার গাড়ি পার্কিং হবে। ১৫শ’ গাড়ির বেশি একই সঙ্গে থাকে না। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।প্রসঙ্গত, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা করা যায়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার চতুর্থবারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএ
বাণিজ্যমেলার টিকিট মিলবে অনলাইনেও
আগামী বছরের ০১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৫। চতুর্থবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্যমেলা স্থায়ী ভবনে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল ১০টায় মেলা প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন। এবছর প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। ই-টিকিটিং হলে দর্শনার্থীরা মোবাইলে কিউআর কোড দেখিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। ফলে দর্শনার্থী যেখান থেকে খুশি অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এতে প্রবেশে অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে দর্শনার্থীদের সময় বাঁচবে। একই সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট কিনতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকেও টিকিট যাতে করতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। গতবছরের মতো এবছরও মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা, আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা থাকছে। বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিবেক সরকার জানিয়েছেন, মেলায় দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এবছর ৭ থেকে ৮টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। এসব দেশ ১৩ থেকে ১৪টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।তিনি বলেন, এ বছর হলের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলে ৩৫০ স্টল থাকবে মেলায়। আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ স্টল বরাদ্দ হয়ে গেছে। বাকিগুলোর জন্য রিটেন্ডার করা হবে। এবারই প্রথম অনলাইনে টেন্ডার করা হয়েছে। এবছরও গতবছরের মতো প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে ১০০টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ১৫টি, জেনারেল স্টল, ফুডকোর্ট, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টল প্রায় ১৭০টি এবং ইউটিলিটি বুথ রাখা হয়েছে ৩০টি। এছাড়া এখন পর্যন্ত মেলায় তিনটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে। এরমধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং ট্যাক্স ভ্যাটের সংরক্ষণের জন্য সোনালী ব্যাংকের একটি বুথ থাকবে। এতে করে রাজস্ব আদায় ভালো হবে। ইসলামী ব্যাংকসহ তিনটি ব্যাংকের বুথ স্থাপন হয়েছে। পাশাপাশি হলের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে এক সঙ্গে ৫০০ মানুষ বসে খাবার খেতে পারবে। এছাড়া আরও ১২-১৫টি ফুড স্টল থাকবে।এইচএ
পোশাক শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে ৯ শতাংশ
পোশাক শ্রমিকদের বেতন শতকরা ৯ ভাগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বছর আগের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে নিম্নতম মজুরির ৪ শতাংশ যুক্ত করা হলো। ডিসেম্বর মাসের বেতনের সঙ্গে যোগ হবে এই ইনক্রিমেন্ট।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির খবর জানান শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। উপদেষ্টা বলেন, মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্টে যে অস্থিরতা ছিল তা আর থাকবে না।পোশাক খাত নিয়ে দেশে-বিদেশে নানান ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, সেগুলো পাশ কাটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে মালিক-শ্রমিকরা একমত বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। উপদেষ্টা বলেন, মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেতন ভাতা নিয়ে গার্মেন্টে যে অস্থিরতা ছিল তা আর থাকবে না।এফএস
দেশে আবারো বাড়লো সোনার দাম
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম আবারো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা করা হয়েছে, যা আগের দামের তুলনায় এক হাজার ৬৬৬ টাকা বেশি। আজ পর্যন্ত ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেন। এর আগে ১ ডিসেম্বর সোনার দাম ১ হাজার ৪৮১ টাকা কমানো হয়েছিল।নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৯২ হাজার ৯৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া, রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা রাখা হয়েছে।আগামীকাল (১০ ডিসেম্বর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।এসএফ
কবে কমবে আলুর দাম, জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
এক মাসের মধ্যে বাজারে নতুন আলু আসলে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আলুতে চূড়ান্ত অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। নতুন আলু আসতে হয়তো ৪ সপ্তাহ লাগবে। আশা করছি তিন সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৮৬০ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৭ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ সংকট হয়েছে। এর ফলে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।এবি
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ৮ টাকা
ভোজ্যতেলের বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যেই বাড়ানো হলো বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম। দুই ধরনেই প্রতি লিটারে ৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা। আগে বোতলজাত তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে তেলের ঘাটতি রয়েছে, এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ভোক্তারাও অস্বস্তিতে রয়েছেন। সেজন্য আমরা তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি বাজারে আর তেলের ঘাটতি হবে না। তিনি বলেন, গত এপ্রিলে ১৬৭ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই বেড়েছে। যে কারণে দেশে স্থানীয় মজুতদারি বেড়েছে। তেলের পযাপ্ত মজুত রয়েছে। অনেকে কিনে মজুত করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা সেটা মনিটরিং করছি। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে এখন একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর সমস্যা হবে না। এ সময় ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিরগুলোর সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার বলেন, কয়েকদিন থেকে আমারা কীভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ১২০০ ডলারে উঠেছে। গত এপ্রিলে সরকার যখন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ছিল ১০৩৫ ডলার। এখন আমরা ১১০০ ডলার ধরে লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপদেষ্টা বলেন, যদিও এখন আমাদের প্রতি টন তেল ১২০০ ডলারে খালাস হচ্ছে। আরও দাম বাড়তে পারে, সে উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। কারণ বিশ্ববাজার এখনো স্থিতিশীল নয়। এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। তবে আলুর দামে অস্থিরতা এখনো আছে। নতুন আলু উঠলে দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে কমে আসবে বলে আশা করছি। এবি
রেমিট্যান্স প্রবাহে উর্ধ্বগতি: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এসেছে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেল এবং ব্যাংকিং পদ্ধতিতে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। ফলে নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।ব্যাংকভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে: ১৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ডলার।বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে: ৪ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার ডলার।বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে: ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে: ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার।অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গত আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ। এরপর অক্টোবর মাসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ এবং নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।চলতি অর্থবছরের শুরুতে, গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করার উদ্যোগ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।এসএফ
বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের জন্য এবারও থাকছে বিআরটিসি বাস
২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৫ শুরু হচ্ছে ০১ জানুয়ারি। চতুর্থবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্যমেলা স্থায়ী ভবনে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল ১০টায় মেলা প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বরাবরের ন্যায় এবারও বিআরটিসি বাস রাখা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বাস সার্ভিস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। রাস্তার ২ পাশে সারাদিন এ বাস চলাচল করবে। এখানে সম্ভবত ভাড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা হবে ১৪ কিলোমিটার রাস্তার জন্য। শুক্র ও শনিবার চাহিদা অনুযায়ী বাস দেওয়া হবে।বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, মেলা আয়োজনে কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। সেসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা মেলার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি চলতি মাস শেষেই আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে পারবো। উন্নত বিশ্বে যেভাবে মেলা আয়োজন করা হয়, এ বছর আমরা সেরকম করার চেষ্টা করছি। মেলাকেন্দ্রের ভেতরে সেল স্ক্রিন দিয়ে আন্তর্জাতিক মেলাগুলোর মতো ছোট ছোট স্টলগুলোর সীমানা দিয়ে দেওয়া হবে। ভেতরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মতো করে প্রয়োজন অনুযায়ী ডেকোরেশন করবে।আরও জানা গেছে, এবছর মেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু একটা নতুন সরকার এসেছে। তারা চায় দর্শনার্থীরা নিরাপদে নির্ভয়ে মেলা পরিদর্শন করতে পারে। এজন্য পুলিশ, র্যাবসহ এবছর সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থাকবে মেলার সার্বিক নিরাপত্তায়। এনিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক হবে সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ফলে আশা করছি অন্য যেকোনো বছরের থেকে এবছরের বাণিজ্যমেলা আরও বেশি নিরাপদ থাকবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে মোবাইল কোর্ট থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণের আশপাশের এলাকাগুলো হকারমুক্ত করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও র্যাব কাজ করবে।এছাড়া মেলাকেন্দ্রে বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রয়েছে। দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। তবে মেলার শৃঙ্খলার স্বার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই এক হাজার গাড়ি পার্কিং হবে। ১৫শ’ গাড়ির বেশি একই সঙ্গে থাকে না। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।প্রসঙ্গত, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা করা যায়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার চতুর্থবারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএ
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
শেকৃবি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা পদ্ধতির সংস্কার এবং ছাত্ররাজনীতিতে সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে গণরুম সংস্কৃতি পুনরায় ক্যাম্পাসে চালু না করার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উঠে আসে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষার্থীরা জানান, সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে। অথচ শেকৃবি ভর্তিতে এখনও প্রায় ১১.১৭ ভাগ কোটা বহাল আছে।যার মধ্যে বেশিরভাগই অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ কোটা সংস্কার করে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বান জানান তারা। পোষ্য কোটা, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটা, খেলোয়াড় কোটা এবং বিকেএসপিসহ অন্যান্য কোটা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ কোটা রেখে সংস্কারের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতিতে সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্য গণরুম প্রথা পুনরায় চালু হওয়ার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশিক আহমেদ বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান থাকা কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আজ দেশে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে ভর্তি প্রক্রিয়ায় মেধাবীদের বাদ দিয়ে কোটা প্রথা চালু রেখে বৈষম্য সৃষ্টি করা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি বলেন, বর্তমানে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান থাকা ১১ শতাংশ কোটার সংস্থার করে ৪ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া গণরুম প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।গণরুম প্রথার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া গণরুম প্রথা বিদ্যমান রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়ার প্রত্যাশা দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ইতিহাস পূর্বে আমরা দেখেছি। কোনোভাবেই যাতে গণরুম তৈরি না হয়, সে উদ্দেশ্য আমাদের পদক্ষেপ। আমরা বলতে চাই, হাসিনা গেছে যেই দিকে, গণরুম যাবে সেই দিকে।এআই
যবিপ্রবিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স জ্ঞান এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার উন্নয়ন নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ।গতকাল সোমবার সকালে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারীতে ‘কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স জ্ঞান এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার উন্নয়ন ’ শীর্ষক সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাস্ট রোবো সোসাইটি ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা যখন গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মধ্যে থাকবে তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব র্যাংকিং এ ভালো অবস্থান বৃদ্ধি পাবে।আমরা টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছি আর এটি আমাদের জন্য একটি অর্জন যা আমরা ধরে রাখতে চাই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং রোবোটিক্স টেকনোলজি ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে যা শিল্প-কলকার খানাগুলোতে জনশক্তির পরিমাণ কমিয়ে দিবে তবে উৎপাদন সক্ষমতা এবং পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যেকোন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জায়গায় যদি টেকনোলজি কম্পিটিশন বা কোন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা হয়, আমি চাইবো আমাদের যবিপ্রবির ছাত্রছাত্রীরা সেখানে অংশগ্রহণ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। যশোর আইটি পার্কের দুইটি ল্যাব আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণা করার জন্য নিয়েছি। এই ল্যাব আমাদের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে উন্নত মানের গবেষণা করতে পারবে এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি দিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিযে যাবে।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানের ডেলোইট কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ শাহারিয়ার হোসেন। তিনি বিশ্ব বাজারে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্সের গুরুত্ব তুলে ধরেন। নতুন কিছু আবিষ্কার, প্রতিবন্ধকতা, প্রসেস বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক তথ্য উপস্থাপন করেন। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্স নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।এছাড়াও সেমিনারের আগে পোস্টার প্রেজেন্টেশন, কুইজ প্রতিযোগিতা, ই-ফুটবল, বিভিন্ন রকম স্মার্ট ফোন বেস বায়োসেন্সর, মাল্টি পার্পোজ রোবট লাইন, ফোলোয়িং রোবটসহ নানরকম প্রোজেক্ট দেখানো হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রোবোটিক্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক শিশির প্রমুখ। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার পরিচালনা করেন সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম।এমআর
শেকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন হলেন অধ্যাপক এ এস এম শামসুজ্জামান
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক এ এম এম শামসুজ্জামানকে। কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলীকে অব্যাহতি দিয়ে এ এম এম শামসুজ্জামানকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত অফিস নোটিশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরূদ্ধে অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলীর সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের দাবি এবং এদতসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে তাঁকে কৃষি অনুষদের ডিনের পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একই সঙ্গে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ২৩ (৭) উপ-ধারা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের প্রফেসর এ এম এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে কৃষি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।’নোটিশে আরও বলা হয়, ‘উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে বিধি মোতাবেক ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ অদ্য ০৮-১২-২০২৪ তারিখ অপরাহ্ন থেকে কার্যকর হবে।’এইচএ
৪৭তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে। এই প্রক্রিয়া আগামীকাল (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, ঠিক তার আগের দিন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানিয়েছেন, এই স্থগিতাদেশের সুনির্দিষ্ট কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি। তবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরে জানানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।গত ২৮ নভেম্বর প্রকাশিত ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী:অনলাইন আবেদন ও ফি জমা ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চালু থাকার কথা ছিল।এই বিসিএসে ৩,৪৮৭ জনকে ক্যাডার পদে এবং ২০১ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।স্বাস্থ্য ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে:সহকারী সার্জন: ১,৩৩১ পদসহকারী ডেন্টাল সার্জন: ৩০ পদযদিও পিএসসি অফিসিয়ালি কারণ জানায়নি, তবে আবেদন স্থগিত হওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির ঘাটতি, প্রশাসনিক জটিলতা, বা বিজ্ঞপ্তিতে কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।বিসিএস প্রার্থীদের পিএসসির ওয়েবসাইট এবং সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত আপডেটের দিকে নজর রাখা উচিত। পিএসসি থেকে নতুন তারিখ বা নির্দেশনা শিগগিরই জানানো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, পিএসসি সাধারণত এ ধরনের স্থগিতাদেশ দ্রুত সমাধান করে থাকে।এসএফ
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে মিশর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।স্মার্টফোনের মালিকানা এবং মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বের চারটি অঞ্চলের ১২টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে তালিকার নিচের দিকে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি বছরের অক্টোবরে 'দ্য স্টেট অব মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ২০২৪' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নিম্নমধ্যম আয়ের ১২টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ৪১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শহরে হার ৪৩ শতাংশ এবং গ্রামে ২৭ শতাংশ। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে মিশর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। শুধু ইথিওপিয়া ও উগান্ডা বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে।দৈনন্দিন ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের হার ৪০ শতাংশ ও গ্রামের ২৪ শতাংশ। তুলনায় ইথিওপিয়া ছাড়া অন্য সব দেশই এগিয়ে।জিএসএমএ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রধান বাধা। শহরাঞ্চলের ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং গ্রামাঞ্চলের জন্য খরচের বিষয়টি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে।স্মার্টফোনের উচ্চমূল্যও বড় একটি কারণ। শহরের ৮ শতাংশ এবং গ্রামের ১১ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনের উচ্চমূল্যের কারণে এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। এছাড়া, সাক্ষরতার অভাবের কারণে শহরের ২৮ শতাংশ এবং গ্রামের ১৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।তবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে—মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতার হার ২০১৯ সালে ৭২ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৫ শতাংশে বেড়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।এইচএ
ভারতের পতাকা পায়ে মাড়ানোর ভাইরাল ছবিটি বাস্তব নয়: রিউমার স্ক্যানার
সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ভারতের জাতীয় পতাকার প্রসঙ্গ যুক্ত একটি বিতর্কিত ছবি নিয়ে যে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি বলে ফ্যাক্ট-চেক প্ল্যাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার নিশ্চিত করেছে। ছবিটির প্রসঙ্গে বিশেষ করে রিভার্স ইমেজ সার্চ, আলোর প্রতিফলন, এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অসংগতি শনাক্ত করা হয়েছে।এই ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে ছড়ানো অপপ্রচার এবং ভুল তথ্যের একটি উদাহরণ। রিউমার স্ক্যানারের মতে, ছবিটির বিকৃতি চিহ্নিত করা গেছে যেমন:ডান পায়ের আঙুলের অস্বাভাবিকতা: ছবিতে থাকা ব্যক্তির ডান পায়ের আঙুল অর্ধেক দেখা গেছে, যা এআই-জেনারেটেড ছবির ক্ষেত্রে সাধারণ।পতাকার ভাঁজ ও অঙ্গভঙ্গি: বাংলাদেশের পতাকার লাল বৃত্ত এবং পরিধানের কাপড়ের ভাঁজও বাস্তবসম্মত নয়।আলোর ছায়া ও প্রতিফলন: ছবিতে আলোর ছায়া এবং ব্যক্তির চোখের অভিব্যক্তি প্রকৃত ঘটনার তুলনায় অপ্রাকৃত মনে হয়েছে।এছাড়া, বিভিন্ন এআই শনাক্তকরণ টুল এবং ডিপফেক শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ট্রুমিডিয়া নিশ্চিত করেছে যে ছবিটি ম্যানিপুলেটেড এবং বাস্তব কোনো ঘটনার প্রমাণ নয়।এসএফ
ইনস্টাগ্রামে ‘রিসেট’ টুল আনছে মেটা
ইনইস্টাগ্রাম হলো ছবি এবং ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। এবার ব্যবহারকারীদের জন্য ‘রিসেট’ টুল আনছে ইনস্টাগ্রাম। যেখানে অ্যাপটির রেকমেন্ডেশন পুরোপুরিভাবে রিসেট করার সুযোগ মিলবে। সম্প্রতি এমন সুখবর দিয়েছে মেটা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।নিজেদের রিকমেন্ডেশনে যা দেখছেন, অনেক সময় তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন না ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা। তাই এ সমস্যার কারণে তাদের সেই মুশকিল আসান হতে চলেছে মেটা। কারণ ব্যবহারকারীরা শিগগিরই রিসেট বাটনে চাপ দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অ্যাপের এক্সপ্লোর, রিলস ও ফিড সেকশনে প্রদর্শিত কনটেন্ট ক্লিয়ার করে রিফ্রেশ করে দিতে পারবেন।মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের রিকমেন্ডেশনগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পার্সোনালাইজ হতে শুরু করবে। আর কেমন কনটেন্ট তারা দেখেন এবং কেমন ধরনের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তারা আলাপচারিতা করেন, তার ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের নতুন কনটেন্ট দেখানো হবে।মেটা আরো জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের নতুন রিসেট ফিচারটি নিয়ে আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য শিগগিরই এই ফিচার রোলআউট করা হবে। কন্টেন্ট রিকমেন্ডেশন রিসেট করার জন্য সেটিংস অ্যান্ডজিটিতে যেতে হবে। এরপর কনটেন্ট প্রিফারেন্স দিতে হবে। এবার রিসেট সাজেস্টেড কনটেন্টে ক্লিক করতে হবে।রিসেটিংয়ের সময় ব্যবহারকারীরা সেই অ্যাকাউন্ট দেখতেই সক্ষম হবেন, যেগুলো তারা ফলো করছেন। এর ফলে ব্যবহারকারীরা এমন অ্যাকাউন্টকে আনফলো করে দিতে পারেন, যেগুলো থেকে শেয়ার হওয়া কনটেন্ট তারা পছন্দ করেন না।এইচএ
এবার গ্রহাণু অনুসন্ধানে মহাকাশে যাচ্ছে ‘রোবট বিড়াল’
গ্রহাণু অনুসন্ধানে বিপ্লব ঘটাবে বিড়াল। শুনতে অবাক লাগলেও আসলে বিড়াল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমনই এক রোবট বানিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি বিড়াল রোবটটি কম মাধ্যাকর্ষণ রয়েছে এমন পরিবেশেও আটকে থাকবে। বিড়ালের মতো দেহের ভঙ্গিমা পরিবর্তন করে এটি। চার পাওয়ালা এ রোবটটির জন্য এক বিশেষ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করেছেন চীনের ‘হারবিন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা। বিড়ালদের পা মোচড়ানো ও সফলভাবে থাবা দেওয়ার সক্ষমতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ রোবটটি বানিয়েছেন তারা। গবেষণাটি গত মাসে প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘জার্নাল অফ অ্যাস্ট্রোনটিক্স’-এ। প্রকাশিত নিবন্ধ বলছে, সমন্বিতভাবে নিজের চারটি পা নাড়াতে ও পড়ন্ত অবস্থায় নিজের ভঙ্গিমাও সামঞ্জস্য করতে পারে এটি।২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৮ কোটি কিলোমিটার দূরে পাথুরে গ্রহাণু ‘রিয়ুগু’তে কাঁচের বয়াম আকারের দুটি জাম্পিং রোভার পাঠিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল জাপান। এ মিশনে সাফল্যের পর গ্রহাণু ও চাঁদ অনুসন্ধানের জন্য নতুন ধরনের রোবট তৈরি করছে বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চলতি বছরের শুরুর দিকে গ্রহাণু ও চাঁদের মতো কম মাধ্যাকর্ষণ রয়েছে এমন পরিবেশে চলাচলের জন্য ‘স্পেসহপার’ নামের এক তিন পাওয়ালা লাফ দেওয়া রোবট উন্মোচন করেছেন সুইজারল্যান্ডের পাবলিক রিসার্চ ইউনিভার্সিটি ‘ইটিএইচ দজুরিখ’-এর গবেষকরা।এসএফ
রোববার ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকতে পারে ইন্টারনেট সেবা
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।এতে বলা হয়, আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৩টা (১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টা) থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।এই সময়ে SMW4 এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। এ কারণে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি।এসএফ
ইসকনের ওয়েবসাইট বন্ধ
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) ওয়েবসাইট বন্ধ রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায়নি। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে দেখা যায়, (Bandwhidth Limit Execceded, Server is temporary unavilable)।এরই মধ্যে দেশজুড়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে একটি রিট শুনানিকালে হাইকোর্টের এক বিচারক বলেছেন, ‘রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে, আদালতের আর কিছু করার নাই।’ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য আসে।উল্লেখ্য যে, ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের যাত্রা শুরু হয় ৫৮ বছর আগে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ইসকনের অস্তিত্ব থাকলেও অনেক দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ। এটির প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। ইসকন মূলত বৈষ্ণব ধর্মের একটি অংশ এবং ভগবান কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তাদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভক্তিযোগ বা কৃষ্ণভাবনামৃত সংস্কৃতি হাজার বছরের ধরে শুধুমাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের বহু দেশে সম্প্রসারণ ঘটেছে সংগঠনটির।এফএস
আইন-আদালত
সব দেখুন
৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেনকে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ
৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেন চন্দ্র অবশেষে মামলায় জয়ী হয়েছেন। প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুয়া মামলা করেছিল। এ কারণে বৃদ্ধ হরেন চন্দ্র নাথকে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আদালতে হরেন চন্দ্র নাথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ৪০ বছর আগে ব্যাংকের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। তবে মামলায় খালাস পেলেও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপিল করে মামলাটি জিইয়ে রাখে। এভাবে চার দশক কেটে গেলেও আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।বিএ পাস করে ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক পদে সোনালী ব্যাংকে ঢাকার একটি শাখায় যোগদান করেন। তিন বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক হন। এর পর তাকে যাত্রাবাড়ী শাখায় বদলি করা হয়। চাকরিরত অবস্থায় রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা যাত্রাবাড়ী শাখা থেকে লোকাল অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা সিল-স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে সমুদয় অর্থ বুঝে নেন। এর কিছুদিন পর ১৯৮৫ সালে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ওই টাকা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তহবিল তছরুপের অভিযোগে ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে তাদের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।এরপর গ্রাহকের টাকা জমা না দেয়ায় অপর একটি মামলায় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে স্থাপিত ওই কর্মকর্তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৯০ সালে হরেন্দ্রনাথ জেল খেটে বের হন।এর আগে ১৯৮৫ সালের ২৯ জুলাই হরেন্দ্রনাথসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ আদালতে ফৌজদারি মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। বিচারে ১৯৮৬ সালের ১৫ নভেম্বর বেকসুর খালাস পান হরেন্দ্রনাথসহ সবাই।মামলায় পরাজিত হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গোপনে ১৯৮৮ সালে হরেন্দ্রসহ সবার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। সেই মামলায় একতরফা রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়ার আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে আবেদন (মিস কেস) করেন হরেন্দ্রনাথ। ১৯৯২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত আপিল গ্রহণ করেন; একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করেন।এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে। ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট এ আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।এবি
প্রবাস
সব দেখুন
মঙ্গলবার লেবানন থেকে ফিরবেন আরও ৪০ বাংলাদেশি
লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা একে একে দেশে ফিরছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আরও ৪০ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরবেন।স্থানীয় সময় রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে এই তথ্য জানায় বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস।দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ৪০ জনের দ্বাদশ গ্রুপ বৈরুত থেকে দুবাই হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানযোগে রওনা করবে। তারা ওইদিন সকালে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। পরে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় তাদের বহনকারী উড়োজাহাজ হজরত শাহাজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরা অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ গত ২১ নভেম্বর দেশটি থেকে ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফেরে। এ নিয়ে কয়েক দফায় লেবানন থেকে দেশে ফিরেছে মোট ৬৯৭ জন।এবি
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
আজ ১০ ডিসেম্বর, রাশিফলে কী আছে জেনে নিন
প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা দিনের শুরুতেই কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখতে চান তারা একবার পড়ে নিতে পারেন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)মেষ হল কাল পুরুষের প্রথম রাশিচক্র। মেষ রাশি একটি অস্থির রাশিচক্র সাইন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি আগুনের উপাদানের লক্ষণ। এই রাশির প্রতীক হল ভেড়া। অশ্বিনী ও ভরনি নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং কৃত্তিকা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব এই রাশিচক্রের অধীনে আসে। মেষ রাশির চরিত্র ক্ষত্রিয়। মঙ্গলকে মেষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। শারীরিক গঠনে এরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে। দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে। বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে। বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্ত্রীর কাছ থেকে আঘাতজনক ব্যবহার পেতে পারেন। ছোটখাটো রোগকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। প্রবাসী আত্মীয় বাড়ি ফিরতে পারেন। বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। বাড়িতে অতিথি সমাগমে আনন্দ লাভ। বাইরের লোকের জন্য চারিত্রিক অবনতি। হঠাৎ বিষয়সম্পত্তির প্রাপ্তিযোগ।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)বৃষ রাশিকে একটি স্থির রাশিচক্রের চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি পৃথিবীর উপাদান চিহ্ন। এই রাশির প্রতীক ষাঁড় অর্থাৎ বৃষ। এই রাশিচক্রের অধীনে কৃত্তিকা নক্ষত্রের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্ব, রোহিণী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং মৃগাশিরা নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আসে। বৃষ রাশির চরিত্র বৈশ্য। শুক্রকে বৃষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। ভাস্য চতুর্মুখী। শারীরিক গঠনে এঁরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকেন। তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে। বাড়িতে বদনাম থেকে খুব সতর্ক থাকুন। ব্যবসায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আপনার দ্বারা যে কাজ সম্ভব নয়, সে দিকে যাবেন না। প্রতিকূল পরিবেশ মানিয়ে নিন। সন্তানদের কাজের ব্যাপারে সুখবর পেতে পারেন। বিদ্যার্থীদের ভাল ফল পেতে গেলে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। লেনদেনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ভুল কোনও সিদ্ধান্তে অধিক অর্থব্যয় হতে পারে। সংসারে আর্থিক চাপ বাড়তে পারে। অকারণে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)মিথুনকে দ্বৈত প্রকৃতির রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক যমজ মুখ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বুধ। মিথুন রাশির দিক পশ্চিম। মৃগাশিরা, অর্দ্র ও পুনর্বাসু নক্ষত্রে রয়েছে এই রাশি। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। মিথুন একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন, এটি দিনের মধ্যভাগে একটি শক্তিশালী রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন। শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। সন্তানের কাজে গর্ববোধ। পেটের সমস্যায় ভোগান্তি। হাঁটাচলা খুব সাবধানে করুন। সব কাজের মধ্যেও ধর্মীয় আলোচনায় মন যেতে পারে। কর্মরতা মহিলাদের উন্নতির যোগ। শত্রুরা ক্ষতি করতে সফল হবে না। সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে কেটে যাবে। খরচ বাড়তে পারে। দুপুরের পরে প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ সুযোগ পাবেন। কোনও ভয় আপনার বুদ্ধিনাশ করতে পারে। আবেগের বশে কোনও কাজ করলে বিপদ হতে পারে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কর্কট একটি পরিবর্তনশীল রাশিচক্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রাশির প্রতীক কাঁকড়া। এই রাশির শাসক গ্রহ হল চাঁদ। কর্কট রাশির দিক উত্তর দিকে। এই রাশির পুনর্বাসু নক্ষত্রের প্রথম পর্ব হল পুষ্য ও অশ্লেষা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। কর্কট একটি মহিলা রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। ভিটামিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। বিদ্যার্থীদের জন্য সময়টা ভাল নয়। স্ত্রীর বেহিসেবি খরচে সংসারে অশান্তি হতে পারে। বন্ধুদের ব্যবহারে দুঃখ পেতে পারেন। নিজের বুদ্ধিতে কর্মস্থানে উন্নতি লাভ। যানবাহন বা জমি, কোনও কিছু কেনার আগে ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। খাদ্যের প্রতি লোভ সামলাতে না পারলে শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা। কোনও বন্ধুর কারণে কোথাও সম্মানিত হতে পারেন। কাউকে পরামর্শ না দেওয়াই ভাল হবে।সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)সিংহ রাশিকে একটি স্থিতিশীল রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশির প্রতীক সিংহ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল সূর্য। সিংহ রাশির দিকটি পূর্ব। মাঘ ও পুর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের সকল পর্বের পাশাপাশি এটি উত্তরা ফাল্গুনীর প্রথম পর্ব। এটি একটি অগ্নি উপাদান চিহ্ন। সিংহ রাশি একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন। তাদের অনুকূল রং লাল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।সংসারে আর্থিক টানাপড়েন থাকলেও তা মিটে যাবে। উপার্জনের ভাগ্য ভাল ও আর্থিক উন্নতি বজায় থাকবে। সারা দিন সাংসারিক শান্তি বজায় থাকলেও, রাতের দিকে অশুভ। অযথা কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। সংসারে সুখ ফেরাতে বেগ পেতে হবে। পরিশ্রম সত্ত্বেও সংসারে অভাব-অনটন থাকবে। যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কন্যা রাশিকে প্রকৃতি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল একটি মেয়ে তার হাতে একটি ফুলের ডাল ধরে। এই রাশির অধিপতি বুধ। কন্যা রাশির দিক দক্ষিণ। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। এর শুভ রং সবুজ। ভাগ্যবান সংখ্যা ৫। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়। মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে। পিঠে ব্যথার সমস্যা হতে পারে। সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও আর্থিক অবস্থার তেমন উন্নতি হবে না। দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটবে। বাড়তি কিছু পাওনার আশায় ক্ষতি হতে পারে। সন্তানদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। নিজের পর্যাপ্ত আয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি উপায়েরও সম্ভাবনা আছে। রাগ বা জেদ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)তুলা রাশিকে রাশিচক্রের সপ্তম রাশি বলে মনে করা হয়। তুলা একটি রাশিচক্রের চিহ্ন যা বায়ু উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর শাসক গ্রহ শুক্র। তুলা রাশির দিক পশ্চিম। চিত্রা নক্ষত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়, স্বাতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং বিশাখা নক্ষত্রের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় রয়েছে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে। ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ। মা-বাবার সম্পত্তির ভাগ পেতে পারেন। আজ সব কাজ খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে, সামান্য ভুল বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আধ্যাত্মিক আলোচনায় শান্তি পাবেন। ভ্রমণে অযথা হয়রানি হতে পারে। পাওনা আদায়ে কষ্ট পেতে হবে। রাজনীতিবিদদের সময়টা ভাল যাবে না। কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় লাভ হতে পারে।বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)বৃশ্চিক রাশিচক্রের অষ্টম রাশি। এটি একটি মহিলা রাশিচক্র সাইন। এর প্রতীক বিছে। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। এই রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই রাশির দিকটি উত্তর। এই রাশিচক্রে বিশাখা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব, অনুরাধা এবং জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই রাশির শাসক গ্রহ হল মঙ্গল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভাল যোগ রয়েছে। পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র থেকে সাবধান থাকুন। খুব বুঝে না চললে ব্যয় বাড়তে পারে। হঠাৎ কোনও আইনি ঝামেলায় ফেঁসে যেতে পারেন। কাউকে বেশি উদারতা দেখাতে না যাওয়াই ভাল। বাড়ির বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়। রক্তপাত থেকে সাবধান থাকুন। কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় কাজ করবে। অর্থভাগ্য ভাল হলেও খরচ থাকবে প্রচুর। কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতির সম্ভাবনা। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)কাল পুরুষের রাশিফলের নবম রাশি হল ধনু। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল তীরন্দাজ, যার পিছনে একটি ঘোড়ার শরীর। এই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি। ধনু রাশির দিকটি পূর্ব। এই রাশির রাশিগুলি হল মুল এবং পূর্বাষাধা নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং উত্তরাষাধা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব। এটি অগ্নি উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে। শত্রুরা আপনাকে অপদস্থ করতে সক্ষম হতে পারে। সন্তানদের নিয়ে চিন্তা। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে অশান্তি হতে পারে। কোনও দামি জিনিস সামলানোর দায়িত্ব আপনার হাতে আসতে পারে। সেবামূলক কাজে আনন্দ লাভ। কর্মক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখুন। সারা দিন হিসেবি ভাবে চলার চেষ্টা করুন। শারীরিক ক্ষমতা বুঝে ভ্রমণ করুন। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)মকর হল কাল পুরুষের রাশিফলের দশম রাশি। এই রাশির চিহ্ন হল ছাগল, এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। মকর রাশির দিক দক্ষিণ। এই রাশির বর্ণগুলি হল ভো, জা, জি, খি, খু, খে, খো, গা, গি। এই রাশির রাশিগুলি হল উত্তরাষাধা নক্ষত্রের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শ্রাবণ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ। কোনও হারানো জিনিস উদ্ধার হতে পারে। নৃত্যশিল্পীদের উন্নতির যোগ। খুব কাছের কোনও বন্ধুর দ্বারা বিশেষ উপকৃত হতে পারেন। প্রেমে বিশ্বাস ফিরে আসতে পারে। আপনার মধুর ব্যবহার সকলকে আকৃষ্ট করবে। কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারও কাছে দয়ার পাত্র হতে হবে। ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাড়িতে কলহ বাধতে পারে। বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে না পারায় অনুতাপ। অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য রাতের দিকে মাথার যন্ত্রণা। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কুম্ভ হল কাল পুরুষের রাশিচক্রের একাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক একটি কলস। এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। কুম্ভ রাশির দিক পশ্চিম। এই রাশির বর্ণগুলি হল গু, গে, গো, সা, সি, সু, সে, সো, দা। এই রাশিচক্রের নক্ষত্রগুলি হল ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শতভিষা নক্ষত্রের চারটি পর্যায়, পূর্বাভাদ্রপদ প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন। কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে। তর্কবিতর্ক বিশেষ ভাবে এড়িয়ে চলুন। মায়ের দায়িত্ব পালন না করায় সংসারে মতান্তর হতে পারে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র খুব প্রতিকূল। অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে সংসারে অশান্তির যোগ। গুরুজনদের কথায় বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। ব্যবসায় অগ্রগতি থমকে যেতে পারে। সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে দুশ্চিন্তা।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মীন হল কালপুরুষের রাশিফলের দ্বাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক হল একজোড়া মাছ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। মীন রাশির দিক উত্তর। এই রাশির বর্ণগুলি হল দি, দু, থা, ঝা, এন, দে, দো, চা, চি। এই রাশিচক্রের নক্ষত্র হল পূর্বাভাদ্রপদের চতুর্থ পর্ব এবং উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায়। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যয় বাড়তে পারে। সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। পরিবারের কাছে সুনাম পাবেন। ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে লাভ না-ও হতে পারে। লাগাম ছাড়া আশায় অর্থব্যয় হতে পারে। ন্যায্য পাওনা আদায় না হওয়ায় নৈরাশ্য। যাঁরা বিবাহের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য দিনটি খুব ভাল হবে না। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি খুব চাপের। এমআর