


জাতীয়
সব দেখুন
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন






চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক যদি মানসিক রোগী হন তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
যদি মানসিক রোগী না হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে ফেসবুক লাইভে এসে আদম তমিজী হক বলা শুরু করলেন, তার মা হাফ ইসরায়েল এবং তিনি ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান করলেন তাকে উদ্ধার করার জন্য। আবার তিনি আমেরিকান মেরিন সেনাদের আহ্বান করেন বাংলাদেশ তাকে আটকে রাখা হয়েছে, তাকে উদ্ধার করতে।
হারুন অর রশীদ বলেন, আসলে বাংলাদেশ সরকার যদি তাকে গ্রেফতারই করতো তাহলে তমিজী হক যখন এয়ারপোর্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করলেন তখনই তাকে আটকাতে পারতাম। কিন্তু দেখা গেলো এয়ারপোর্ট দিয়ে এসে পাগলামি শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয় তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্যোশাল মিডিয়াতে দেখাচ্ছেন। যে দেশে তার শিল্প কারখানা রয়েছে, তা দিয়ে তিনি চলেন, সেই দেশের পাসপোর্ট তিনি পুড়িয়ে ফেললেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।
এছাড়া তিনি অসংখ্য বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে।
এরপরও আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো- কেন তিনি সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ও পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলে আনন্দ উল্লাস করছেন।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যদি মনে হয় আদম তমিজী হক মানসিকভাবে অসুস্থ তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে চিকিৎসার জন্য। আর যদি তিনি ইন্টেনশনালি বাংলাদেশে বসে শিল্প কারখানা চালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হারুন অর রশীদ বলেন, আদম তমিজী হক সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বলেছেন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে বলেছেন- তা তদন্ত করে বের করবো। যদি মনে হয় তার রিহ্যাবে পাঠানো দরকার তাহলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। এরপর চিকিৎসা করে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এমআর
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার সময় জাহিদ হাসান শান্ত (২২) ও তার তথ্যে কুমিল্লা থেকে রফিকুল ইসলাম রফিক (২৭) নামে ছাত্রদলের আরেক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ও বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) ভোররাতে তাদের দুজনকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
আটক রফিকুল ইসলাম রফিকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার কলাকান্দি গ্রামে এবং জাহিদ হাসান শান্তর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার তারাপাল্লা এলাকায়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ভূঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
তিনি বলেন, ৬ তারিখ রাতে মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার প্রস্তুতির সময় হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য জাহিদ হাসান শান্তকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শান্তকে জানায় ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে সে এই কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং আগুন দেওয়ার জন্য হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিক তাকে ৭ হাজার টাকায় কন্টাক্ট করে। কাজটি করার জন্য তাকে অগ্রিম ২ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং কাজ শেষ হলে আরো ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে রফিকুল ইসলাম রফিক।
তিনি আরো জানায়, তার দেওয়া তথ্য মতে মূল পরিকল্পনাকারী রফিকুল ইসলাম রফিককে কুমিল্লা জেলার হোমনা থেকে ভোররাতে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শান্তর আটকের বিষয়টি আমি জানতে পেরে আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনায় চলে যাই। সেখান থেকে পুলিশ আমাকে আটক করে।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করা হবে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই নাশকতার মামলা রয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ক্রেনের ধাক্কায় রাজধানীতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে কমলাপুর স্টেশনে আসার পথে তিতাস কম্পিউটার ট্রেনটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিটে তিতাস কমিউটার ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশন ছেড়ে আসার পরপরই ক্রেনের ধাক্কা খায়। ক্রেনের ধাক্কায় ট্রেনটির ইঞ্জিন ডিজেবল হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি লাইন থেকে সরানো যায়নি। ক্রেনের আঘাতে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে
মাসুদ সারোয়ার জানান, ইতোমধ্যে রেলের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটি লাইন থেকে সরানোর পর আবার রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।
এমআর

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত থেকেই এই বৃষ্টি শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে ছিল ঠান্ডা বাতাস, এতে তাপমাত্রা কমে শীত পড়তে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে বাইরে বের হওয়া মানুষ। অনেকেই ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্ধ্র প্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও কাছাকাছি দক্ষিণ উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া সারাদেশে রাতের সামান্য হ্রাস পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।
এদিকে বুধবার সামুদ্রিক আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এমআর

মহাখালীতে রয়েল ফিলিং স্টেশনে আগুনের ঘটনায় ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের নেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দগ্ধরা হলেন মো. মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), মো. সালাউদ্দিন (৪৫), মো. আমির হোসেন (৩২), মো. কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে ৮টা ২৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে বুধবার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মানিকনগর চৌরাস্তায় একুশে এক্সপ্রেসের তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
তাছাড়া বুধবার রাত ৭টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এফএস
অস্তির পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে বাজারে দাম কমে এসেছে অর্ধেকে। দেশি পেঁয়াজ ১৪০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দাম আরো কমার আশা বিক্রেতাদের। দেশি পেঁয়াজ বাজারে আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্থানে অসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান ও জরিমানার আওতায় আনা হলেও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোন অভিযানে নামেনি উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং এর অভাবে আসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছিল।
গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিনগুন হয়। ৮০ টাকা থেকে বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০০ টাকায়। এ সময়ে বেশি লাভের আশায় মজুদদার ও চাষীরা আগাম দেশি পেঁয়াজ মজুদ শুরু করে। ফলে সঙ্কট দেখিয়ে দাম বেড়ে যায় পেঁয়াজের বাজারে।
অন্যদিকে ভারত থেকে টিসিবি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছে ও সরকার ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে এমন খবরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। অধিক মুনাফার আশায় মজুদ করে রাখা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরা কিছুটা বেশি দামে এখনো বিক্রি করছেন বলে কয়েকজন ক্রেতা জানান। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না থাকায় প্রতারিত হচ্ছেন তাঁরা।
তবে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কাশেম আলী ও মামুন হোসেন বলেন, মোকামে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিয়েছে। বাজারে ছাড়ছেন মজুদ করে রাখা দেশি বিদেশি পেঁয়াজ। এজন্য কমছে দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম একশ টাকার নিচে নামবে বলে জানান তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, এবার পেঁয়াজের চাষ বেড়েছে। কৃষকেরা দামও পাচ্ছে ভাল। তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম সহনশীলতা পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) ফারজানা ইসলাম জানান, এমন বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে পেঁয়াজের বাজার অস্তির করার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
পিএম
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেবিকা ও ওয়ার্ড বয়দের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের স্বজনদের বিরুদ্ধে। এসময় বেশ কিছু আসবাবপত্রও ভাংচুর করা হয়। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের এক স্বজন গোপালপুর গ্রামের আলী হোসেন (৭২) হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের বি-৩২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সকালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় রোগীর এটেনডেন্টকে ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বললে, এতে তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজনকে ফোন দেন। এসময় শ্যামপুর ইউপির চেয়ারম্যান মতির ছোট ভাইসহ বহিরাগত আট দশ জন এসে ওয়ার্ডবয়, নার্স ও ডাক্তারদের উপর চড়াও হয়। এসময় ওয়ার্ড বয় হিমেল, ওয়ার্ড মাস্টার সেলিম সহ কয়েকজন বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়।
হামলার ঘটনা জানতে পেরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন এবং সংক্ষুব্ধদের তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার ফাঁকে বহিরাগত আরো কয়েকজন সেখান থেকে বের হয়ে পাশে হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি খাতুনসহ কয়েকজন সেবিকা ও ওয়ার্ডবয় লাঞ্ছিত হয়।
ঘটনার পর শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আাবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মো: ওবায়দুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, ঘটনা শুনে আমি হাসপাতালে গেছিলাম। হাসপাতাল সুপারের সাথে কথা হয়েছে। ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মোঃ হাসিবুর সাত্তার বলেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। তবে একজন জনপ্রতিনিধি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আজকে যে তাণ্ডব চালিয়েছে এতে হাসপাতলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হাসপাতালের সকল স্টাফ কর্ম বিরতিতে যেতে চাচ্ছে। আমরা হাসপাতালের সকল স্টাফ মিটিংয়ে বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আগের ঘটনাগুলোতে পুলিশে অভিযোগ করে কোন ফল পাওয়া যায়নি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আদালতে মামলা করব।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়া বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন অভিযোগ করেনি। আমি বাইরে থেকে ঘটনা শুনে ইন্সপেক্টর তদন্তকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর

আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ মজুদ রাখার অভিযোগে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ।
রবিবার বিকেল থেকে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে পর্যন্ত ভোমরা স্থলবন্দরে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, সাতক্ষীরা শাখার সহকারি পরিচালক নাজমুল হুসাইন।
তিনি বলেন, ভারত সরকার রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন বাজারে পিঁয়াজের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ ওঠে একমাত্র পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ মজুদদাররা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমনা আইরিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় অবৈধভাবে পিঁয়াজ গুদামজাত করার অভিযোগে ‘রাফসান ট্রেডার্সের’ এর ম্যনেজার দীপক কুমার সরকারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত রবিবার বিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আল আমিন একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় আঁখি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেনকে ২০ হাজার, এসআর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মারুফ হোসেনকে ৫০ হাজার এবং আজাদ ইন্টারন্যানশালের ম্যানেজার তাপসিরুল আলমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
এআই

নতুন শিক্ষাবর্ষের আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও যশোরের চৌগাছা, কেশবপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির দেড় লাখ বই এখনো এসে পৌঁছায়নি। চলতি মাসে এ বই পৌঁছানো নিয়েও রয়েছে সংশয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, যশোর জেলার ৮ উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১টি। এর মধ্যে এসেছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫টি। বইপ্রাপ্তির শতকরা হার ৮৯ ভাগ। বাকি এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৬টি বই এখনো পায়নি যশোর জেলা শিক্ষা অফিস। না পাওয়া সব বই চৌগাছা, কেশবপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির।
জেলায় প্রথম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার ৮২২টি, দ্বিতীয় শ্রেণির চাহিদা রয়েছে এক ৭৬ হাজার ৮৮৯টি, তৃতীয় শ্রেণির তিন লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৬টি, চতুর্থ শ্রেণির তিন লাখ ৩২ হাজার ৯২৮টি এবং পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা রয়েছে তিন লাখ দুই হাজার ১৩৬টি। এরমধ্যে ৫টি উপজেলা যশোর সদর, বাঘারপাড়া, মণিরামপুর, শার্শা ও অভয়নগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ নতুন বই পৌঁছেছে।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বই না পাওয়া চৌগাছা উপজেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য বইয়ের চাহিদা ৪৪ হাজার ২৩৫টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় চাহিদা ৫৭ হাজার ৩২৬টি এবং কেশবপুর উপজেলায় চাহিদা ৪৪ হাজার ৪৫টি। ইংরেজি ভার্সনের বইয়ের চাহিদা রয়েছে দুই হাজার ৪৩টি। এখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ পরীক্ষার ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর কয়েকদিন পার হলেই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস শুরু হবে।
প্রতি বছর এক জানুয়ারি ঘটা করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আয়োজন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়। কিন্তু দ্রæত দুই শ্রেণির বই না পৌঁছালে কেবলমাত্র প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনে নতুন বই থেকে বঞ্চিত হবে। দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বই মুদ্রণ ও প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, আমাদের চাহিদার অধিকাংশ বই এসে গেছে। তিনটি উপজেলার জন্য বরাদ্দের বই এখনো আমরা পায়নি। চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট বই চলে আসবে। আমরা বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেব।
এআই

আজ ঐতিহাসিক (১১ ডিসেম্বর) বাঙালি জাতির একটি স্মরণীয় দিন। আর যশোরবাসীর জন্য এ দিনটি গৌরব ও অহংকারের। পাক হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরের মাটিতে এদিন ভাষণ দিয়েছিলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ।
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ বিজয় সমাবেশ। মুক্ত বাংলার প্রথম এ জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এই মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা।’ সেদিন তিনি সর্বস্তরের মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফণিভূষণ মজুমদার, রওশন আলী, মোশাররফ হোসেন, তবিবর রহমান সরদার, লেখক এম আর আকতার মুকুল, জহির রায়হান প্রমুখ।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যশোরের তৎকালীন ডিসি ওয়াালি উল ইসলাম এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন ঘোষালকে নির্দেশ দেন, আইন শৃঙ্খলার যেনো কোনো অবনতি না হয়। একই সাথে জনতাকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করবেন।
তাজউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, স্বাধীন এই দেশে ধর্ম নিয়ে আর রাজনীতি চলবেনা। আর তাই জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, পিডিপি ও নেজামে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
মুক্ত স্বদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম এ জনসভার খবর সংগ্রহের জন্য উপস্থিত ছিলেন, লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক পিটার গিল, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সিডনি এসএইচ সানবার্গ, ওয়াশিংটন পোস্ট’র প্রতিনিধিসহ বহু বিদেশি সাংবাদিক।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর বিকেলের মধ্যেই যশোর শহর থেকে হানাদার বাহিনী পালিয়ে চলে যায়। এদিন বিকেলে মিত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল বারাতের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তি বাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে দখল নেয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা জনতার ঢল নামে শহরে। পাড়া মহল্লায় চলে খন্ড খন্ড আনন্দ মিছিল। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ। এরপর ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেনাপোলে প্রবেশ করে যশোরে আসেন। জনসভা শেষে একই পথে আবার ভারতে ফিরে যান তিনি।
এআই
গুরুতর অবস্থায় সিঙ্গাপুর নেয়া হয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) মেয়র ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে তাঁকে বহনকারী এয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর পৌঁছার পর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আশরাফুন নাহার।
তিনি জানান, গত বুধবার অক্সিজেন সেচ্যুরেশন কমে যাওয়ায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাতকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
এআই
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় লুন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রুপা এবং স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম।
এর আগে, গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতের দিকে কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নুর জুয়েলার্সে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। কিন্তু পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয় ৬০ ভরি স্বর্ণ-১৬০ ভরি রুপা।
দুর্ধর্ষ ডাকাতির পুলিশি অভিযানে আটকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের জগজীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মূল পরিকল্পনাকারী মো.শাহাদাত হোসেন (৩২) একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মুসলিম গ্রামের হাজী বাড়ির মো.সোলেমানের ছেলে মো.সাদ্দাম হোসেন ওরফে জিতু (৩০), লক্ষীপুরের কমলনগর থানার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের মৃত শহীদুল্লার ছেলে মো.নোমান (৩৫), একই জেলার কমলনগর থানার চর মার্টিন ইউনিয়নের পশ্চিম চর মার্টিন গ্রামের মোরশেদ আলমের বাড়ির মো.মোরশেদ আলমের ছেলে মো.সুজন হোসেন (২৭), কমলনগর থানার হাজীরহাট ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃঞ্চ কমল সরকার (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার মুন্সি বাড়ির মৃত অলি উল্যার ছেলে সালাউদ্দিন (৩২), কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের জৈনদপুর গ্রামের মোশারফ বিএসসির বাড়ির মৃত মো.শহীদুল্লার ছেলে মো.মিজানুর রহমান ওরফে রনি (৩৬)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত শুক্রবার ১০-১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে নৈশপ্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনকে ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘন্টা ডাকাতি সংঘটিত করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিলে নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হত্যাসহ ডাকাতির ঘটনায় কবিরহাট থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একই দিন রাতে সাড়ে ১১টার দিকে বাদী হয়ে পেনাল কোর্ড ৩৯৬ ধারায় একটি মামলা রুজু করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ডাকাতদের বহনকারী পিকআপ চালক নোমান লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানা এলাকায় লুন্ঠিত মালামাল বিক্রয়ের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ নোমানের অবস্থান চিহিৃত করে। পরে কমলনগর থানার মুন্সিরহাট এলাকা থেকে গতকাল রবিবার ১০ ডিসেম্বের নোমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তার ভাষ্যমতে জানা যায়, তার পূর্বে সে এলাকার পরিচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো.সুজনের কাছে মালামাল বিক্রি করার জন্য দেয়। মালামাল উদ্ধার করার জন্য সুজনকে তার বাড়িতে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন লুন্ঠিত মালামাল গ্রহণ এবং বিক্রয় করতে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করেন।
সুজন জানায়, লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার কমলনগর থানার চরলরেন্স বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী কৃঞ্চ কমলের কাছে বিক্রি করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয় এবং ১৬০ ভরি রুপা সুজনের থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানায়, এরা আন্তজেলা ডাকাত দলের পেশাদার সদস্য। এদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও হত্যা মামলা রয়েছে। চাপরাশি হাটে ডাকাতি কাণ্ডে লুন্ঠিত বাকি মালামাল ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এআই

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, 'এই ওসি তাদের (বিএনপি জামায়াত) কাছ থেকে টাকা খেয়ে কোম্পানীগঞ্জে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর জন্য যড়যন্ত্র করছে। এই ওসি পুলিশের খরচ আছে বলে আমার কাছ থেকে একলাখ টাকা খেয়েছে। যে আদালতে যাক আমি প্রমাণ দিতে পারবো। আর সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। আমরা ছেড়ে দেবোনা। আমরাও সব জানি। তুমি কি? তোমাকেও চিনি তোমার এসপিকেও চিনি। এসব বন্ধ করো। এসব বন্ধ করো বলে দিচ্ছি। নাহলে নিষ্কৃতি পাবেনা। আর ভালো না লাগলে কোম্পানীগঞ্জ ছেড়ে চলে যাও।
রোববার(১০ ডিসেম্বর) সকালে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কাদের মির্জা বলেন, 'পুলিশ প্রশাসন প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু লোক বিএনপি জামাত থেকে টাকা খেয়ে তাদের ধরছেনা। এই কোম্পানীগঞ্জের ওসি আমার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। এটার প্রমাণ আছে। এটা আমার নেত্রীকে আমি বলবো। মানুষ ঘরে গরু রাখতে পারেনা। এটার সাথে পুলিশ কি জড়িত না? পুলিশের কারণে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনা। পুলিশের কারণে সালিশের নামে বাণিজ্য চলছে। দুইপক্ষ থেকে টাকা নিয়ে আর কথা বলেনা। মুখ বন্ধ করে রাখে। পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিএনপি ডাকাতি, মানুষ হত্যা ও জ্বালাও পোড়াও করছে।'
বিএনপি জামাতকে কোম্পানীগঞ্জের ওসি এবং নোয়াখালীর এসপি উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ' ওসি ও এসপি বিএনপি জামাতকে উস্কানি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। এটার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। এরপরও যদি সংশোধন না হয় তাহলে আমরা নারী পুরুষ সবাইকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে ঝাড়ু মিছিল করবো। '
চুরি ও ডাকাতির সাথে পুলিশ সদস্যরা জড়িত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গরু চুরি এগুলো এদের( পুলিশ) কাজ। এরা এগুলার সাথে জড়িত। পুলিশ ধরাও পরেছে। ধরা পরে নাই? চর এলাহীতে রিক্সা চুরি করার সময় ধরা পরছে। রিক্সা চুরি করার সময় বলরাম নামে একটা হিন্দু ছেলেকে হত্যা করেছে। এটার জন্য পুলিশ দায়ী।'
পুলিশ আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি বলেন, 'আজকে পুলিশ আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। তারা আইনশৃংখলা রক্ষা করতে পারছেনা।
কোম্পানীগঞ্জে হরতাল অবরোধের দিন তারা মাঠে থাকেনা। এখানে কয়েকটা থাকে আমাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য থাকে, আর কোথাও পুলিশ নাই। আমরা কি এসব সময় অতিক্রম করি নাই। যেসব জায়গায় জামাত বিএনপির লোকজন আছে তাদের পাহারায় সেখানে পুলিশ থাকে সারাদিন রাত।'
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন,'এই যে এখানে সরকারি জায়গা সব পুলিশ দখল করে খাচ্ছে। তারা সরকারি বেতন সুযোগ সুবিধা পায় তবু সরকারি জায়গায় দোকান দিয়ে ভাড়া নেয়ার দরকার আছে নাকি? আমাদের রিক্সা স্টেন্ড নাই, সিএনজি স্টেন্ড নাই, তারা এখানে ঘর বানিয়ে ভাড়া খাচ্ছে। আপনারা সোচ্চার থাকেন, ভয় পাবেননা।'
এসময় তার ব্যবস্থাপনায় নির্মিত একটি বহুতল মার্কেট দেখিয়ে বলেন, 'এটাও তাদের দখলে ছিল। আমি সরকার থেকে একোয়ার করে এটা নিয়েছি। তখন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তারা এগুলো দখল করে এসপিকে টাকা দেয়। এসপি নোয়াখালীর কিছু সাংবাদিক লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।'
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, ' আপনারা বলেন আমার এখানে কোন 'হেলমেট বাহিনী' আছে? আপনাদের চোখে পরছেনি? উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে বলেন 'না'। এগুলো নাকি আমার অনুগত। আমি নাকি তাদেরকে লালন পালন করি। এটা ওসি বলে, এটা এসপি বলে। তারা রিপোর্ট দেয়। সব তথ্য আমার কাছে আছে। পুলিশের কোন কাজ নাই, এখানে এসে বসে থাকে। আমাদের নেতাকর্মীদের পাহারা দেয়ার জন্য।
এফএস

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর গাড়ির ধাক্কায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নগরীর উড়ালসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা হঠাৎ ব্রেক করায় পেছনে থাকা মেয়রের গাড়িটির সঙ্গে পুলিশের গাড়ির সংঘর্ষ হয়।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সিঅ্যান্ডবি কলোনি অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- মো. আবদুল কাদের ও মো. দিদার।
আহত পুলিশ সদস্য আবদুল কাদের বলেন, বাসা থেকে করপোরেশনের অফিসে যাচ্ছিলেন মেয়র। সে সময় মেয়রের গাড়িবহরের সামনে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উড়ালসড়কে হঠাৎ ব্রেক করলে দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রেক করার ফলে সামনে থাকা পুলিশের গাড়িটিতে জোরে ধাক্কা লাগে মেয়রের গাড়ির। তখন একজন কনস্টেবল পুলিশের ভ্যান থেকে ছিটকে পড়েন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মেয়রের গাড়িটি উড়ালসড়কে পড়ে ছিল। গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের গাড়িটিরও পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ হঠাৎ ব্রেক করা অটোরিকশাটি ধরতে পারেনি বলে জানান পুলিশ সদস্য আবদুল কাদের।
এমআর

নোয়াখালীর চাটখিলে অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাংকের টাকা লুট করার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তদের একজনকে আটক করে পুলিশ।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার রামনারায়নপুর কৃষি ব্যাংক শাখায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তির নাম আব্দুল মজিদ (৫০)। তিনি একই উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
রামনারায়নপুর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার অলোক কুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, 'আব্দুল মজিদ মুখে মাস্ক ও টুপি পরে দুপুর দেড়টায় ছুরি-হাতুড়ি নিয়ে ক্যাশে ঢুকে পড়ে। এরপর ক্যাশিয়ারকে ছুরি দেখিয়ে ক্যাশের টাকা লুট করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ক্যাশিয়ারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। অভিযুক্ত ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড শাহ আলমকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া করে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত সিকিউরিটি গার্ডকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।'
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, আটককৃত মজিদকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্রে করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ উভয় গ্রুপের আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে সালথা উপজেলার যদুনন্দী বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ২৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু দেশিয় অস্ত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার যদুনন্দী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে একটি বৈঠক হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন জামাল হোসেন মিয়ার অনুসারী মো. কাইয়ুম মোল্যা। এরপর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে যদুনন্দী বাজারে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার অনুসারী কাইয়ুম মোল্যা সমর্থকদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীর অনুসারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যা ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি খন্দকার সাজ্জাদ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা পিছু হটেন। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই যদুনন্দী নবকাম কলেজে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন কাইয়ুম মোল্যা ও তার লোকজন। পরে আমাদের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ বাধে। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী কাইয়ুম মোল্যা বলেন, ‘আমাদের সমর্থক টুকু ও জাহাঙ্গীরকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ ও ভয়ভীতি দেখান আব্দুর রব মোল্যা ও খন্দকার সাজ্জাদ। পরে জাহাঙ্গীর যদুনন্দী বাজারে গেলে তাকে জুতা দিয়ে পেটান খন্দকার সাজ্জাদ। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
সালথা থানার এসআই পরিমল কুমার বিশ্বাস বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এফএস
ঢাকার আশুলিয়ায় মহাসড়কে সন্ধ্যায় যাত্রীবেশে চলন্ত বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এঘটনায় কোন যাত্রী আহত কিংবা নিহতের ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৭টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর বাস স্ট্যান্ডে ইতিহাস পরিবহনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলেন, ইতিহাস পরিবহনের বাসটি চন্দ্রা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে আশুলিয়ার কবিরপুর বাস স্ট্যান্ডে যাত্রী নামানোর সময় আগুন দেয় যাত্রী বেসে থাকা কয়েকজন। এসময় আগুন দেখে দৌড়ে গিয়ে বোতলের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
ফায়ার সার্ভিসের লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়রা আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে আমরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই। ততক্ষণে গাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এমআর

ফরিদপুরের সদরের মোমিনখার হাটের পেঁয়াজের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানের খবরে জেলায় পেঁয়াজের দাম মণ প্রতি কমেছে সাতশত থেকে আটশত টাকা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ-উল-মাহমুদ ও জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল এ যৌথ অভিযানে পরিচালনা করেন।
এসময় পেঁয়াজের আড়তে মূল্য তালিকা ও পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ-উল-মাহমুদ মেসার্স নওশাদ ট্রেডার্স কে এক হাজার টাকা এবং জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ মেসার্স সেলিম স্টোরকে দুইহাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. বজলুর রশিদ খান এবং জেলা পুলিশের ২টি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এসময় তারা জানান ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
পিএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী নিজাম শেখ এর অসহায় পরিবারের স্থানীয় প্রভাবশালীদের অত্যাচারে বাড়িঘর ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাদের চাষাবাদের জমিও চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী নুপুর বেগম।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা। নিজাম শেখ প্রবাসে থাকায় পরিবারের সদস্যদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
প্রবাসী নিজাম শেখের স্ত্রী নুপুর বেগম জানান, আমার স্বামী বিগত ৫ বছর ইতালীতে থাকেন, আমাদের প্রতিবেশী ও আত্মীয় একই গ্রামের আয়জদ্দিন ওরফে আয়ুব মোল্লার নাতি, মিরাজ মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা (২২)। খৈলশপট্টি গ্রামের কামরুজ্জামান মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা (২৫), তুগোলদিয়া গ্রামের মৃত্যু ইছহাক মোল্লার ছেলে মোশারফ মোল্লা (৩৬) আমার স্বামীর ভাতিজা ভাসুর রেজাউল শেখ এর ছেলে, ২০২১ সালে দেশীয় দালালের মাধ্যমে কাজের তাগিদে রোমানিয়া যায়। সেখানে গিয়ে তারা উন্নত জীবনের আশায় অবৈধভাবে ইতালী যাওয়ার পথ খোঁজে। তারা আমার স্বামী ইতালী প্রবাসী নিজাম শেখ এর সাথে যোগাযোগ করে। তিনি মাধ্যম ধরিয়ে দেন, যিনি মাধ্যম তিনি ওই চারজনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা করে মোট ১৬ লক্ষ টাকা নেন ইতালী পৌছে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু আমার ভাসুরের ছেলে যেতে পারলেও পুলিশে ধরা খায় বাকি তিনজন। পরে তারা বিদেশে জেল খেটে দেশে ফেরত চলে আসে।
দেশে এসে তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করে। মানবপাচার আইনে তারা মামলা দেয় আমাদের নামে, সব মামলা খারিজ হয়ে যায়। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা তাদের টাকা ফেরৎ দেই। কিন্তু টাকা ফেরৎ নেয় না মিরাজ মোল্লা ও তার ছেলে মনির মোল্লা। তাদের দাবি রোমানিয়া যাওয়া সহ তাদের সব ধরনের ক্ষতিপূরনসহ ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। এই টাকা না দেওয়াতে প্রতিনিয়ত চলে আমাদের সাথে ঝামেলা। বিভিন্ন সময় বাড়ির উপর এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ, মাঠের জমি চাষাবাদে বাধাঁসহ নানাবিদ সমস্যার সৃষ্টি করে চলে। এই অবস্থায় এখানে আমাদের বসবাস করা দূরহ হয়ে পড়েছে।
নিজাম শেখ মা ফুলমতি বেগম (৭২) জানান, আয়জদ্দিন মোল্লা আমাদের প্রতিবেশী ও এলাকার প্রভাবশালী তাই তাদের অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। সব সময় ভয়ে ভয়ে দিন পার হয় আমাদের, রাতের আধাঁরে ঘরের চালের উপর ইটপাটকেল পড়ে মাঝ রাতে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ওই রাতে আমরা আর ঘুমাতে পারি না। কখন যেন দলবল নিয়ে বাড়ির উপর এসে হামতাম করে। আমরা এখন আর কি করবো।
নিজাম শেখ এর বড় ভাই রেজাউল শেখ বলেন, আমি এই সবের কিছুই জানি না তারপরও আমার নামে মানব পাচার আইনে মামলা দেয়। আমি আমাদের পুরান বাড়িতে থাকি। আমার ভাই নিজাম শেখের স্ত্রী ও আমার মা সহ ছোট বাচ্চারা অনিরাপদে দিন পার করে। আয়জদ্দিন মোল্লা ও তার ছেলেরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি তাই প্রতিবাদ করতে পারি না। তাই তারা যা খুশি তাই করে যাচ্ছে । উপায়ন্তোর না পেয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। থানায় অভিযোগ করাতে তারা আমাদের উপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। আমরা এর একটা সুষ্ঠ সুরাহা চাই।
এদিকে আয়জদ্দিন ওরফে আয়ুব মোল্লা অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমরা তাদের সাথে কোন খারাপ আচারণ করছি না। তারা যে অভিযোগ আনছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা আমাদের পাওনা টাকাটাই শুধু চাইছি। তিনি বলেন, আমার নাতি ও ছেলে গরীব মানুষ জমিজমা বন্ধক রেখে টাকা পয়সা সুদে করে তাদের দিয়েছে। তাহলে আমাদের এতোবড় ক্ষতি হল আমাদের এই ক্ষতি পূরন কে দিবে। ৪ লক্ষ টাকা আমাদের দিয়েছিলো আমরা ওই টাকা নেইনি। আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই, আর নিজাম এর ভাতিজা যেতে পারলো আর বাকী কেউ যেতে পারেনি এটা ও ইচ্ছা করে করেছে। তাই আমাদের সব টাকা দিতে হবে।
সালথা থানার এস আই সংস্লিষ্ট ইউনিয়ন বিট অফিসার সুমন বলেন, ইতালী প্রবাসী নিজাম শেখ স্ত্রী নুপুর বেগম একটি অভিযোগ করেছেন। আমরা দুপক্ষকে ডেকে শান্ত থাকতে বলেছি। জমি চাষাবাদে কোন বাধা নেই। টাকা পয়সা লেনদেন এর বিষয় সাক্ষ্যপ্রমানে পরবর্তীতে উভয় পক্ষ বসে সমাধান করা হবে।
এমআর

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে সোমবার (১১ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ হলরুমে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান, শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটন, কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলমগির হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার আয়শা খাতুন, বোয়ালমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হোসাইন আহমেদ সহ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
উপজেলায় শ্রেষ্ঠশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ) হিসাবে কাদিরদি ডিগ্রী কলেজ, শ্রেষ্ঠশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরি ) হিসাবে শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজ, শ্রেষ্ঠশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল) বোয়ালমারী জর্জ একাডেমী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) আল হাসান মহিলা মাদ্রাসা,শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কলেজ) মো.নুরুজ্জামান, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (স্কুল) আয়ুব আলী, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরি) লিয়াকত হোসেন লিটন,মাদ্রাসা সুপার এমএ কুদ্দুস, শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক (স্কুল) খরসুতী চন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, শ্রেষ্ট শ্রেনী শিক্ষক (মাদ্রাসা) তহমিনা খানম, কলেজ ইসারত আলী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী (স্কুল) আরিদা আলম রিনভি।
এছাড়াও উপজেলার শ্রেষ্ঠশিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
পিএম
বরগুনার তালতলীতে বিয়ের দাবিতে আল মামুন নামের এক প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করছেন তারই এক ছাত্রী (১৮)। শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রেমের সম্পর্ক করে শারীরিকভাবে মেলামেশারও অভিযোগ করে ঐ ছাত্রী।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে ওই প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে অনশন শুরু করেন তার ছাত্রী। প্রাইভেট শিক্ষক আল মামুন তালুকদার পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
অনশনরত ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে আল-মামুনের কাছে প্রাইভেট পড়াশোনার সময় দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কও করেন শিক্ষক। বিয়ের কথা বললে তালবাহানা শুরু করেন আল মামুন। আল মামুনকে বিয়ে না করলে ‘নিজেকে শেষ করে ফেলার’ হুমকি দিয়েছে ওই ছাত্রী ।
ঐ ছাত্রী আরও বলেন, আল-মামুন আমাকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে আজকের বিয়ে করার কথা রয়েছে। এজন্য আমি তার বাড়িতে এসে অনশন করছি। আমাকে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে দিবো না। আমাকে মামুন বিয়ে না করলে আমি বিষ খেয়ে মারা যাবো।
এ বিষয়ে আল মামুনের সাথে যোগাযোগ না হলেও তার বাবা আমির হোসেন বলেন, ঐ মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা আমরা জানি না। আমার ছেলেকে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেছিলাম। তিনি আরও বলেন ঐ মেয়ের পরিবার ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পিরোজপুর থেকে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শফিউর রহমানকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি পত্র ঢাকা থেকে পিরোজপুরে এসে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
সূত্র জানায়, ঢাকা এসপিবিএন-২ কার্যালয় থেকে ২০২৩ সালের ৩ জুলাই মোহাম্মাদ শফিউর রহমান পিরোজপুরে পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। তিনি পিরোজপুরে প্রায় ৫ মাস অবস্থানকালে কয়েকটি হত্যা মামলার ক্লু উদঘাটনসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অবিচল ছিলেন।
ইসির অপর একটি দ্বায়িত্বশীল সূত্র মনে করে, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং নির্বাচনের স্বার্থে’ এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তাদের স্থলে নতুন কর্মকর্তাদেরকেও দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এআই

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের ধোলাই মার্কেট এলাকায় নোঙ্গর করা একটি মাছ ধরা ট্রলারে হঠাৎ বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে। মূহুর্তের মধ্যে ট্রলারটি চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে পানিতে ডুবে যায় এবং ট্রলারে থাকা ২ জেলে আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন- চিংগড়িয়া গ্রামের চলাচিপা উপজেলার বাসিন্দা হারুন পহোলান (৬০) ও আবুল সরদার (৫০)।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে আবুল সরদার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফেরলেও হারুনের পা, শরীরের অধিকাংশ দগ্ধ হয়। বরিশাল শে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ট্রলারটি ছয় জেলে নিয়ে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় জেলেদের রাতের খাবারের জন্য রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো হারুন পহোলান নামের এক জেলে। আর ট্রলারের ছাদে নামাজ পড়তেছিল জেলে হাবিব। অন্য চার জেলে তীরে দাড়িয়ে কথা বলতেছিল। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ট্রলারটির সামনের অংশ ভেঙ্গে উড়ে যায়। ট্টলারের গ্যাস সিলিন্ডারটি অক্ষত থাকলেও কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ট্রলার মালিক আলমাস মোল্লা বলেন, মাছ শিকারে সাগরে রওয়ানা করবো বাজার করাসহ সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায় ঠিক এমন সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। আমার ২ জন জেলে আহত হয়েছ। তার মধ্যে বাবুর্চি গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। আমার ট্রলারটি নিমেষেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় পানিতে তলিয়ে গেছে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।
ধুলাস্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার সকালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার অখ্যাত রয়েছে। সিলিন্ডারটি রয়েছে ট্রলারের পিছনের দিকে আর বিধ্বস্ত হয়েছে ট্রলারের সামনের দিক। যখন এটি বিস্ফোরিত হয় তখন পুরো এলাকা কম্পন ধরে যায়। তবে এটা আসলে কি বিস্ফোরিত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ভোলায় মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে অটোরিকশার ধাক্কায় তানিশা (৫) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যাত্রী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গুপ্তমুন্সী নামক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তানিশা সদর উপজেলা ২ নম্বর পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সী গ্রামের আব্দুল খালেক মুন্সির মেয়ে এবং কারিমিয়া কেরাতুল মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ওসি জানান, মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুটি গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও এ দুর্ঘটনায় আরও দুই যাত্রী আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন আছে। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই

গৃহস্থলী কাজ শেষে রাহেলা বেগমের অবসর কাটত নিতান্তই অলসতায়। এসময়টাতে টানপোড়নের পরিবারের আর্থিক অক্ষমতা বিষন্ন করে তুলত তাকে। কিভাবে পরিত্রান মিলবে এমন ভাবনায় ছিলেন উদ্বিগ্ন। সিদ্ধান্ত নেন আলস সময়ে বাড়ীর আশেপাশের পতিত জমিতে মৌসুমী নানা সবজি চাষ করবেন। শুরুও করেছিলেন। কিন্ত পাচ্ছিলেননা কাংখিত ফলন। এসময় প্রতিবেশির পরামর্শে যোগাযোগ করেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সাথে। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে রাহেলাকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়। চাষ উপকরনসহ বীজ সরবারহ করে বেসরকারী এই উন্নয়ন সংস্থা।
শুধু বাড়ীর আশেপাশের পতিত জমি নয় বছরের পর বছর ধরে অনাবাদি থাকা লবনাক্ত পতিত জমিকে গড়ে তুলেছেন চাষ উপযোগী। এখন রাহেলা একজন সফল কৃষ উদ্যক্তা। প্রথম দিকে অনেকেই এটি নিছক পাগলামী মনে করলেও এখন তারাই রাহেলার সাহায্য নিয়ে পরিনত হয়েছেন সফল কৃষানীতে।
চাকামইয়ার চুঙ্গাপাশা গ্রামের রাহেলা ছাড়াও এখন সফল কৃষানী ও কৃষি উদ্যক্তা মহিপুরের মনোহরপুর গ্রামের মালতী রানী, লাভলী বেগম, লালুয়ার চারিপাড়া গ্রামের সালেহা বেগম। এদের দেখাদেখি এখন উপকূলীয় জনপদের অনেক নারীই সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে কৃষি কাজে।
এখন পটুয়াখালীর উপূলীয় এলাকার অধিকাংশ বাড়ীর আশেপাশেসহ আনাবদি পতিত লবনাক্ত জমিতে বছর জুরে চলছে সবজি চাষ। এসব সবজি চাষ করছে প্রান্তিক জনপদের নারীরা। সরকারী, বেসরকারী পৃস্টপোষকতায় এমন সবজি চাষ প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্থ পটুয়াখালীর উপকূলীয় জনপদের নারীদের করছে সাবলম্বী ও আতœনির্ভরশীলতা। পাশপাশি পরিবারে যোগান হচ্ছে বাড়তি অর্থনৈতিক সুবিধা। আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আসহায় প্রাস্তিক জনগোষ্ঠীর দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলার বাড়ছে সক্ষমতা। নারীরা পরিনত হবে দক্ষ জনশক্তিতে। কৃষি অর্থনীতিতে আসছে নতুন গতিশীলতা।
গৃহস্থলী অনেক কাজের পাশপাশি পটুয়াখালীর উপক‚লের প্রান্তিক জনপদের নারীদের কাছে দিনদিন গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে কৃষি কাজ। বাড়ীর অব্যহৃত জমিসহ আনাবাদি লবানাক্ত জমিকে চাষ উপযোগী করে বছর জুরে উৎপাদন করছে বিভিন্ন মৌসুমী সবজি। জমি প্রস্ততকরন, চারা রোপণ, বীজ বপন, সেচ, পরিচর্জা, ফসল উত্তলন, বীজ সংরক্ষন এমনকি বাজরজাতেও এককভাবে ভূমিকা পালন করছে এসব নারীরা। জৈব সারের ব্যবহারে উৎপাদিত এই সবজি পরিবারের পুস্টি চাহিদা পুরনের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে হচ্ছে সাবলম্বী নারীরা। হাঁস-মুরগী পালন করেও পরিবারে যোগান দিচ্ছে বাড়তি আয়ের।
চাকামইয়ার রাহেলা বেগম বলেন, অভাবের সংসারে বছর জুড়ে সবজি চাষ তার সংসারের অভাব দুর করেছে। এখন স্বামীর আয়ের সাথে বাড়তি যোগান দিচ্ছে তার উপার্যন।
মনোহরপুরের মালতী রানী, লাভলী বেগম বলেন, এ অঞ্চলে আদা চাষ হয়না। অনান্য সবজির সাথে তিনি আদা শুরু করেন। কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষন নেয়ার পর একটি এনজিও থেকে তাদের আদার বীজ সরবারহ করা হয়। পরীক্ষামুলক চাষে তারা বেশ সফলতা পেয়েছেন। তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই আদা চাষে এগিয়ে আসছে।
লালুয়ার সালেহা বেগম বলেন, একটি এনজিও থেকে পাওয়া মাত্র ১২টি হাঁষ পালন শুরু করেন। ডিম বিক্রি করে বেশ ভাল আয় হয়। ৩ বছরে এখন তার ফার্মে প্রায় ৩’শ হাঁস, দেড়’শ মুরগী আছে। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে এখন তার গড় আয় ২৪’শ টাকা।
ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশ’র এসিসটেন্স ফর সাসটেইন্যাবল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, উপক‚লীয় জনপদের নারীদের গৃহস্থলী কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করা গেলে বৃদ্ধি পাবে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আর্থিক সমক্ষমতা। কারন দুর্যোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আর্থিক সক্ষমতা আর্জনের ফলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা সম্ভব। আসহায় দুস্থ: ৩’শ ৬০টি পরিবারে হাঁসসহ ১৪/১৫ ধরনের মৌসুমি সবজি বীজ দিয়ে থাকেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রশিক্ষন, উপকরন সরবারহ, নিয়মিত তদারকি দিনদিন উপক‚লীয় জনপদের নারীরা কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। কোন জমি আর আনাবাদি থাকছেনা। কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা হচ্ছে।
এফএস
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার শামসুদ্দিন। স্টেশন চত্ত্বরে তার ডিউটি থাকলেও তিনি বাহিরে ঘুরাফেরা করতে বেশী পছন্দ করেন।
ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে ব্যাক্তিগত কাজের অজুহাতে বাজারে বের হয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ান। খুঁজে ফিরেন কার দোকানে রয়েছে মেয়াদ উর্ত্তিণ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার)।
তারপর তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে রিফিল (নবায়ন) করার জন্য নিয়ে যান। রিফিল করার জন্য টাকা নিলেও রিফিল না করেই পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার লাগিয়ে ফিরিয়ে দেন। আবার কারোরটা বিক্রি করে দেন। র্দীঘদিন যাবৎ এভাবেই প্রতারিত করে আসছেন সাধারণ মানুষকে।
চাকুরির পাশাপাশি অন্য কোন পেশায় জড়িত হতে না পারার নিয়ম থাকলেও শামছুদ্দিন দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে তার অবৈধ ব্যবসা।
মেয়াদ উর্ত্তীণ ফায়ার এক্সটিংগুইশারে নতুন স্টিকার লাগিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। টাকা দিয়ে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কিনেও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান মালিকেরা।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের সেবা ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক আমিনুল হক রেনু শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ফায়ার সার্ভিস অফিসের শামসুদ্দিন আমার প্রতিষ্ঠানে এসে বলে আমার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে।
৫ শত টাকায় রিফিল করার কথা বলে সিলিন্ডার নিয়ে যায়। কিন্তু ৩-৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আমাকে রিফিল করে দেয়নি। পরে আমি তাকে চাপ প্রয়োগ করলে আরও ২শত টাকা নিয়ে অন্য একটি বোতল এনে দেয়।
ইমডো ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক জাহিদ হাসান জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে আমার প্রতিষ্ঠানের দু’টি ফায়ার এক্সটিংগুইশার নিয়ে যায় রিফিল করার জন্য।
৮-১০ দিন পর আমার অবর্তমানে ফিরত দিয়ে চলে যায়। পরে আমি দেখতে পাই আমার একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমার বোতল আমাকে না দিয়ে অন্য কারো বোতল আমাকে দিয়ে গিয়েছে।
স্টার ফায়ার সেপ্টির পরিচালক মাইনুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সিলিন্ডার বিক্রি করি, আমরাই রিফিল করি। যারা আমাদের থেকে ক্রয় করে তারা আমাদের জানালে আমরা লোক দিয়ে রিফিল করিয়ে দেই। এই কাজ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নয়।
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রিফিল করা তার কাজ কিনা জানতে চাইলে স্টেশন সাব অফিসার শামসুদ্দিন জানান, সচেতনতার জন্য উপর থেকে নির্দেশনা রয়েছে তাই তিনি এটা করে থাকেন। কোন কোম্পানি থেকে রিফিল করান জানতে চাইলে তিনি কোন কোম্পানির নাম বলতে পারেননি। রিফিল না করেই পুরাতন সিলিন্ডার পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার কেন লাগান জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনর্চাজ দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বরাবরেই অস্বীকার করে থাকেন। এবারের বিষয়টি আমি উর্ধতন অফিসারকে অবহিত করবো।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মিজান গণমাধ্যমকে জানান, রিফিল করা ফায়ারকর্মীর নয়। উনি যদি করে থাকেন তাহলে এটা নিয়মবহির্ভূত।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানান, পুরাতন সিলিন্ডার পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার লাগানো অন্যায়। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমআর
আজ ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা। সে দিনটিকে স্মরণে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ত্রিশাল উপজেলা মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রা নেতৃত্ব দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। শোভাযাত্রাটি থেকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও পরে ‘চির উন্নত মম শির’-এ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কর্মসূচিগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ৯ ডিসেম্বর ত্রিশালের মুক্তিযোদ্ধারা এই অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেছিল। তাঁদের বীরত্বের ইতিহাস আমাদের জাতীয় ইতিহাসেরই অংশ। একারণে আমি ত্রিশালের জনসাধরণকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। কারণ ত্রিশালের মানুষ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, সবসময় প্রগতিশীলতার পক্ষে, সবসময় অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে তাদের আওয়াজ অতীতেও তুলেছিল এখনো তুলছে। ত্রিশালে মাটি পবিত্র মাটি, ত্রিশালের জনগণ উদার হৃদয়ের জনগন।
সশস্ত্র লড়াইয়ের আগে থেকেই ত্রিশালের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে নানা আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন মন্তব্য করে উপাচার্য আরও বলেন, আমি ত্রিশাল বাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি, ত্রিশালবাসীর প্রতি কুর্নিশ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি দিবসটিকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদসহ অন্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ অন্যরা।
এআই

শেরপুর সদরের আমতলীতে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ভারতীয় তিন ট্রাক চিনিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ( ৯ডিসেম্বর) সকালে শেরপুর সদরের আমতলী মোড় থেকে তাদের আটক করেন স্থানীয়রা।
পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহের ধুবাউরা থেকে চোরাইপথে আনা ভারতীয় চিনি ভর্তি তিনটি মিনি ট্রাক জামালপুর নিয়ে যাচ্ছিলো। আজ সকালে ট্রাকগুলো শেরপুর সদরের আমতলী মোড়ে আসলে স্থানীয়রা আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি মিনি ট্রাকে ভর্তি ১৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে। এসময় পুলিশ চিনির মালিক মানিক, আইয়ুব আলী, ট্রাক চালক নাজমূল, আনিসসহ চারজনকে আটক করে।
আটক চিনির মালিক মানিক ও আইয়ুব আলী জামালপুরের লাঙ্গলজোর নিয়ে যাচ্ছিলো। দীর্ঘদিন ধরেই তারা, ময়মনসিংহের ধুবাউড়া, হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে ভারতীয় চিনি কেনা বেচা করে আসছিলো।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, চোরাই চিনি আটকের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি মিনি ট্রাকসহ দেড়শ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করি এবং চারজনকে আটক করি। এ ব্যাপারে আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
65731cf621ff0.webp)
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা।
এ উপলক্ষে শুক্রবার ( ৮ডিসেম্বর) দিনব্যাপি কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিজয় র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিল।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আব্দুর রহিম ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন।
কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান, মো. তোফাজ্জল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল হাসান, জয়নাল আবেদীন, ফজলুল হক খান, ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, আব্দুল কদ্দুছ, প্রদীপ বিশ্বাস, এম এ মতিন, আব্দুল মান্নান, আবুল হাসিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড পৌর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান কাউসার, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র, সংগঠনের নেতা বিল্লাল হোসেন, রাজিবুল হক, মুজিবুর রহমান, আলী উসমান তুহিন, সুপক রঞ্জন উকিল, রিংকু চন্দ, ইসমত আরা, শাকিল আহমেদ, সুজন মিয়া, রুবেল মিয়াসহ আরও অনেকই।
উল্লেখ ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পাক হানাদার বাহিনী শহর ছেড়ে রেলযোগে গৌরীপুর থেকে পালিয়ে যায়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানী কমান্ডার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধার নিকট গৌরীপুর থানায় অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত হয় গৌরীপুর।
পিএম
6571d969deb37.webp)
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংবাদপত্র এজেন্ট শেখ আব্দুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গৌরীপুরে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার চৌধুরী রন্টির সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন- গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বেগ ফারুক আহাম্মদ, কমল সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শাহিন, মরহুমের ছেলে মশিউর রহমান কাউসার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আলী হায়দার রবিন, সহ সাধারণ সম্পাদক শেখ বিপ্লব, সদস্য কাজী আব্দুল্লাহ আল আমিন, ফারুক আহাম্মদ, আরিফ আহম্মেদ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া এদিন দুপুর ২টায় রেল স্টেশন এলাকায় খোদাবক্স ফুরকানিয়া মাদ্রাসায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আব্দুর রহিম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. নাজিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম, জিআরপি ইনচার্জ মীর্জা মোহাম্মদ মুক্তা, আরএনবি ইনচার্জ মো. মোরশেদুল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড গৌরীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল ফজল মুহম্মদ হীরা, সদস্য রাজিবুল হক, রোকন উদ্দিন প্রমুখ।
পিএম
পঞ্চগড়ে আদালতে আসামীদের জামিন দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে এজলাস চলাকালীন সময় বিচারককে জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। জুতা নিক্ষেপ করেছে মামলার বাদীনি।
সোমবার (১১ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় আমলী আদালত-১ এ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের আইনজীবি আবু ইউনুস মোহাম্মদ লেলিন।
তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামীদেরকে জামিন দেওয়ায় বিবাদী সংক্ষুব্ধ হয়ে তার পায়ের জুতা খুলে আদালতের বিচারক অলরাম কার্জিকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে। জুতাটি বিচারকের সামনে থাকা গ্লাসে লেগে নিচে পড়ে যায়। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।
বিচারককে জুতা নিক্ষেপকারী বাদীর নাম মিনারা আক্তার (২৫)। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর মিনারা আক্তার বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করেন, তার বাবা ইয়াকুব আলীকে কিল-ঘুষি মেরে আসামীরা হত্যা করেছে। সোমবার এই মামলার ১৯ জন আসামীর মধ্যে ১৬ জন আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত প্রত্যেকেরই জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদিনী পক্ষের আইনজীবি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, গত কয়েকদিন আগে বাদীনির বাবা মারা গেছেন। আজকে তাদের বাড়িতে কুলখানি হচ্ছে। এ অবস্থায় একটি হত্যা মামলার সব আসামীকে জামিন দেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। বিচারকের এমন আদেশে আমরা আদালত ত্যাগ করে চলে এসেছি।
আসামী পক্ষের আইনজীবি রাকিবুত তারেক বলেন, আসামীদেরকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কালীন জামিন দিয়েছে আদালত। আর মামলার যারা মূল আসামী তারা আত্মসমর্পন করেনি। যারা আত্মসমর্পন করেছে তাদের অধিকাংশই নারী ছিলো। এছাড়া আসামীদের বক্তব্য ছিলো- ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়নি, বরং হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আর যেহেতু মামলায় জব্দ তালিকা এবং সুরতহাল রিপোর্ট নথিতে নাই, তাই হয়তো সার্বিক বিবেচনা করে এই জামিন দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল বারি বলেন, আদালত চলাকালীন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর শুনেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি। যার কারণে সমিতির পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্তও নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারককে লক্ষ্য করে পর পর দুটি জুতা নিক্ষেপ করেন মনির খান নামের এক আসামী।
এমআর
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে শাহিন হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও তাঁর গ্রামবাসী।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় দেবীগঞ্জ পৌর সদরের দো-সীমানা এলাকায় গ্ৰামবাসীর আয়োজনে শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় দেবীগঞ্জ পৌসদরের দো-সীমানা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোঃ শাহিন (২০) নামে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে তাহের। আহত শাহিন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এঘটনায় শাহিনকে বাঁচাতে গিয়ে মিনার নামে আরেকজন আহত হয়।
এদিকে ঘটনার পরদিন (০৫ ডিসেম্বর) শাহিনের মা মোছাঃ চন্দ্রবানু বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন তাহেরের পিতা লাল মিয়া, দুই ভাই আলমগীর হোসেন ও হাচান আলী।
অন্যদিকে এজাহার দাখিলের পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামিকে গ্রেফতার না করায় পরিবার ও গ্ৰামবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানবন্ধনে গ্ৰামবাসী ও পরিবারের পক্ষ থেকে শাহিন হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি তাহেরকে গ্ৰেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ছুরিকাঘাতে আহত শাহিনের মা বলেন, আমার ছেলে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অথচ পুলিশ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আসামীর পরিবার আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এইবিষয়ে আমরা আন্তরিক আছি। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
এআই

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানার ভুক্ত পৃথক পৃথক মালার ৫ পলাতক থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে আদিতমারী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আদিতমারী পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিয়মিত পরিচালিত বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার রাতেও থানার ওসির নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম (ওসি তদন্ত) এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- উপজেলার জামুর টারী এলাকার শাহার আলীর পুত্র জাকির হোসেন মুচা, দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার মৃত শাহাদাৎ আলীর পুত্র ছপিয়ার রহমান, সাপ্টিবাড়ী গিলাবাড়ীর বাসিন্দা সৈয়দ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মিজান, পূর্ব দৈলজোর এলাকার মৃত আঃ আলীর ছেলে নুর ইসলাম এবং সাহানুর।
এ বিশেষ আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশের বিশেষ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা। শনিবার রাতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের রবিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এআই

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী আইনজীবী ফোরাম জেলা ইউনিট।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় বক্তব্য দেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী আইনজীবী ফোরাম ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিটের সহ সভাপতি এ্যাড. মো. মহসীন ভূঁঞা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এন্তাজুল হক।
বক্তব্যে তারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন। এটা আমাদের দাবি। এই দাবি সরকারকে মানতে হবে। তারা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য সভা সমাবেশও করতে দিচ্ছে না। আমরা সভা সমাবেশ করতে গেলেই দলিয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়াও বাজারে দ্রব্যমূল্যের সীমা অতিক্রম ছাড়িয়ে গেছে। যা সাধারণ মানুষের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখারও দাবি জানান তারা।
এআই

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে জেলা মহিলা দল।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিসের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বের হয়ে শহরের আমাদের বাজার মার্কেট হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয় এসে জড়ো হন।
পরে বিএনপি'র নেত্রীরা কার্যালয়ের সামনে ঘন্টা ব্যাপী কর্মসূচি পালন করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
নিরাপত্তা জোরদারে দলীয় কার্যালয় ও আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে।
এআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিরাজগঞ্জ-৫ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শিল্পপতি আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ১১ ডিসেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তারা পৃথক ভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত জবাব দিয়েছেন।
শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো: সোহেল রানা লিখিত জবাব আমলে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার মো: আমিরুল মোমেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শোকজ প্রাপ্ত নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নির্ধারিত সময়ের আগেই আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত জবাব দিয়েছেন। সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো: সোহেল রানা তাদের লিখিত জবাব আমলে নিয়েছেন। তাদের জবাব যাচাই বাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ৬ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে নির্বাচন অসুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো: সোহেল রানা স্বাক্ষরিত দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ লঙ্ঘন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ১১ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর চৌকি আদালতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
ওই নোটিশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস দুই প্রার্থীর হাতে পাওয়ার পর এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ মো: সোহেল রানার কাছে তাদের লিখিত জবাব প্রদান করেন।
এমআর
শাহজাদপুরে নাতনীকে দেখতে গিয়ে বেপরোয়া বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন দেলবার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ।
দেলবার শেখ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃ-আঙারু গ্রামের মৃত জুব্বার শেখ এর ছেলে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহজাদপুর উপজেলার সরিষাকোল বাসস্ট্যান্ডে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সকালে বৃদ্ধ দেলবার শেখ উপজেলার গারাদহ ইউনিয়নের সরিষাকোল উত্তরপাড়ায় নাতনিকে দেখতে তার শশুরবাড়িতে যান। ৮/৯ মাস পূর্বে সরিষাকোল উত্তরপাড়ার ঈসা ভুইয়ার ছেলে রেজাউলের সাথে তার নাতনীর বিয়ে হয়।
দুপুরের খাবার শেষে পার্শ্ববর্তী সরিষাকোল ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়ক অতিক্রম করার সময় পাবনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী সরকার ট্রাভেলস এর বেপরোয়া গতির একটি বাস বৃদ্ধ দেলবার শেখকে চাকার নিচে পিষ্ট করে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দেখা যায় বৃদ্ধ দেলবার শেখ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেছেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে দেলবার শেখ এর লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এসময় শাহজাদপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক শামিম সরোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. রেজাউল করিম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ২টি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পাবনা থেকে ঢাকা গামী সরকার ট্রাভেলস এর একটি বাস বৃদ্ধ দেলবার শেখকে চাকার নিচে পিষ্ট করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এআই

ইট, কাঠ ও চালের গুঁড়ার মিশ্রণ করে বিভিন্ন গুঁড়া মসলা তৈরি করার অপরাধে রায় মসলা কারখানা নামে একটি মসলার মিলকে সিলগালা করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় তাদেরকে এই অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের শহীদগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা ও মসলা কারখানাটি সিলগালা করে দেন।
হাসান আল মারুফ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শহীদগঞ্জ এলাকা, কাঠের পুল বাজার ও বাহির গোলা বাজারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধ দমনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় শহীদগঞ্জ এলাকায় কাঠের গুঁড়া, চাউলের কুড়া ও ইটের গুঁড়া মিশ্রণ করে বিভিন্ন গুঁড়া মসলা তৈরি করার অপরাধে রায় মসলা কারখানা নামে একটি মসলার মিলকে সাময়িকভাবে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন। জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এআই

নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় নাছিম ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের লিটন ব্রিজ এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাছিম ইসলাম পার্শবর্তী বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার সান্ধিরা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাছিম ইসলাম গোল্ডলীফ সিগারেট কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় সকালে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নওগাঁ শহরের দোকানগুলাতে অর্ডার নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে লিটন ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ব্রীজে উঠা মাত্রই পিছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন নাছিম। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় তাঁকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘাতট ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এআই

সরকার নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে সারাদেশে ন্যায় জয়পুরহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এর অংশ হিসেবে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শহরের নতুনহাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। বাজারে অভিযানের মুহূর্তে সাধারণ ক্রেতারাও পেঁয়াজ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
এসময় সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাজারে কারসাজি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজিতে ৮০-১০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এটা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার আগে যে পেঁয়াজটা বাজারে ঢুকেছে সেটারও দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালেহীন তানভীর গাজীর নির্দেশনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এআই
হবিগঞ্জের বানিয়াচং রত্না নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে স্থানীয়দের নৌচলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন লিজ গ্রহীতা রনজিত দাস। নদীতে বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনো ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ ধরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও তা মানছেন না এই মৎস্যজীবী।
সরেজমিনে গিয়া দেখা যায়, রত্না নদীর পূর্ব পাড় ও পশ্চিমপাড়কে সংযোগ করে বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহ ব্যাহত করা হচ্ছে। এতে নৌচলাচল বন্ধ করে লোন জাল দিয়ে মাছ আহরণ করা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন জনগণের পণ্য আনা নেয়াতে ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে বাঁধ দিয়ে লোন জাল ব্যবহার করে মৎস্য আহরণ করায় মাছের প্রজনন ধ্বংস হচ্ছে।
এভাবে আড়াআড়ি ভাবে বাঁধ দেয়ার কারণে অন্যান্য জেলেরা স্বাভাবিক ভাবে মাছ ধরতে পারে না। এতে বাঁধ দেয়া ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও গরীব জেলেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর বিধি-৪-এ উল্লেখ রয়েছে, নদী-নালা, খাল-বিলে স্থায়ী স্থাপনার মাধ্যমে (ফিক্সড ইঞ্জিন) মৎস্য আহরণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী স্থাপনা অপসারণ এবং বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
অথচ বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং-হবিগঞ্জ মহাসড়কের পাশে রত্না নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা চলছে। স্থানীয় জেলে সুবোধ দাস জানান, আগে তো আমরা নদ-নদীতে নেমে মাছ ধরতাম। কিন্তু এভাবে বাঁধ হওয়ার কারণে এখন আর কেউ নদীতে নামতে পারে না। কোনো নৌকাও চলাচল করতে দেয় না বাঁধ মালিকরা। কৃষ্ণ দাস,হরিপদ দাসসহ অনেক জেলেই রত্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ আহরণ করার কারণে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, এই নদী যারা লীজ নিয়েছেন তারা খুবই প্রভাশালী তাই আমাদের শত কষ্ট হলেও প্রতিবাদ করার কোন সাহস পাই না।
এই বিষয়ে রনজিত দাস বলেন, আমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ তাঁরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মাধ্যমে ছয় বছরের জন্য লিজ নিয়েছি।
নদীর পানির গতি প্রবাহ ও নৌ চলাচল বন্ধ করে বাঁধ দেয়া সঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা নদীতে বাঁশ ও পাটির বাঁধ দিয়ে প্রতিবছর এভাবেই মাছ আহরণ করি।
বিষয়টি নিয়ে ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়কুমার দাশের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার বিষয়ে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি রত্না নদী ও কালিদাশটেকার সুটকি এবং রত্না নদীতে বাঁশ ও পাটির মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে মৎস্য আহরণ করতে দেখেছি। বিষয়টা নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে পরামর্শ করে আপনাকে জানাবো।
বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান জানান, আমি এখনো এ বিষয়ে কোন কিছু জানিনা, এখন আপনার মাধ্যমে জানলাম। তবে মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআইহবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ মাইটিভির প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজাসহ অন্তত ২০ জনকে হবিগঞ্জ ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় দোকানপাট ও কয়েকটি গাড়ি ভঙচুর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের শায়েস্তানগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ বাধে। দুই ঘন্টব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপির নেতাকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম জানান, পুলিশের গুলিতে অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ ও ১৫ জন অন্যান্যভাবে আহত হয়েছে। তাদের মোট ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশের ভয়ে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, হঠাৎ করে পুলিশের উপর বিএনপির নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
পিএম

সিলেটের হবিগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে শায়েস্তানগরের পোলরোড এলাকায় বিএনপির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বাধে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে শায়েস্তানগর এলাকায় মানববন্ধন শুরু করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। অপরদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। থেমে থেমে এখনো সংঘর্ষ চলছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের দাবি, কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মানববন্ধন চলছিল। হঠাৎ কেন সংঘর্ষ শুরু হলো, কারা এটি সৃষ্টি করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মানববন্ধ ও মিছিল করছিল। এ সময় পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। হঠাৎ পুলিশের ওপর নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

বাংলাদেশি স্বামীর খোঁজো হবিগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হয়েছেন এক পাকিস্তানি নারী। তার নাম মাহা বাজোয়ার (৩০)। পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে তিনি।
মাহার স্বামীর নাম সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের (৩৫)। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বড়াইল এলাকার শফি উল্লা মজুমদারের ছেলে তিনি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) স্বামীর খোঁজে হবিগঞ্জে এসেছেন মাহা। সেখানে সাজ্জাদের ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে বিদেশি বধূ আসার খবরে আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা গেছে, দশ বছর আগে দুবাইয়ে সাজ্জাদের পরিচয় হয় পাকিস্তানি নারী মাহার। পরে তারা বিয়েও করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে মাহাকে ডিভোর্স দেন সাজ্জাদ। কিন্তু সেই ডিভোর্স মেনে নেননি মাহা। স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান।
তাই জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসেন মাহা। শুক্রবার রাতে তিনি উত্তর বড়াইল গ্রামে সাজ্জাদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
সাজ্জাদের ভাই স্বপন মজুমদার জানান, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ওই পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেন সাজ্জাদ। এরপর পর সাজ্জাদ তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং পরে পুনরায় পাকিস্তান চলে যান। সাজ্জাদ ১৭ নভেম্বর পুনরায় দেশে ফেরেন; একই দিনে বাংলাদেশে ফেরেন মাহাও।
এ বিষয়ে সাজ্জাদের ভাই স্বপন বলেন, দুবাইয়ের একটি নাইট ক্লাবে সাজ্জাদ চাকরি করতেন। সেখানেই মাহার সঙ্গে তার পরিচয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে তাদের সংসারে ভাঙন ধরে। সাজ্জাদ দেশে ফিরলে মাহাও বাংলাদেশে এসে হাজির হয়েছেন। এ মুহূর্তে সাজ্জাদ উপস্থিত নেই বাড়িতে। সে এলে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বসে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।
পাকিস্তানের ওই নারী বর্তমানে তার আতিথেয়তায় রয়েছেন বলেও স্বপন জানান।
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালে মাহা ও সাজ্জাদের তালাক হয়। কিন্তু মাহা তা মেনে নিচ্ছেন না। তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, মাহা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ এসেছেন। কিন্তু এদেশে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি তিনি অনুসরণ করেননি। ওই নারী থানায় এসেছিলেন এবং পরবর্তীতে আবার আসবেন বলে চলে যান।
এ বিষয়ে সাজ্জাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এআই

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় জুড়ী থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়ননের কালিনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগে জানা যায়, চম্পকলতা গ্রামের আজমল আলীর সাথে কালিনগর গ্রামের লুকুছ-লতিফদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার সময় আজমল আলী, তার পুত্র সেলিম আহমদ ও নাঈম আহমদ প্রাইভেট কারযোগে বাজার থেকে বাড়ী যাবার সময় প্রতিপক্ষের বাড়ীর পার্শ্বে কালভার্টের নিকট পূর্ব থেকে অপেক্ষমান প্রতিপক্ষ শিমুল, লুকুছ, রোমন, বদরুল, ইমন, লিমন, সায়মন, সুবল খা, গেন্দু মিয়াসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তাদের গতিরোধ করে দা, লাঠি, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় আজমল আলী রক্তাক্তসহ তিন জন আহত হন। খবর পেয়ে তাদের আত্মীয় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সালমা বেগম ও সায়মন মিয়া এগিয়ে গেলে শিমুল-লুকুছ গং তাদের উপর হামলা চালায়। একজন স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর অবস্থায় আজমল আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীদের কে স্হানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেপ্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আসামী লকুছ এলাকার চিহ্নিত একজন মাদকসেবি ও একটি ধর্ষণ মামলায় আজীবন সাজাভোগকারি অপরাধী।এ ঘটনায় নাঈম আহমদ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় মামলা (নং- ০১, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/৩৪, তারিখ- ০৯.১২.২৩) করেন।
এ বিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআই
অনলাইন ভোট
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন



বিনোদন
সব দেখুন



অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন











শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন


65746f5b5c710.webp)
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
6569b6bc1468e.webp)




আইন-আদালত
সব দেখুন
প্রবাস
সব দেখুন
লাইফস্টাইল
সব দেখুন