হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই আজ ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজে নেবে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর শুক্রবার ইরানিরা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন। জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান হতাশার এই সময়ে সর্বোচ্চ নেতার প্রতি অনুগত চার প্রার্থী এবার নির্বাচন করছেন।
বার্তাসংস্থাটি আরও বলছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়) ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং তা একটানা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে, তবে এরপরও ভোটার উপস্থিতি থাকলে ভোটদানের সময় মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে।
এছাড়া ভোটগ্রহণের পর যেহেতু ব্যালটগুলো ম্যানুয়ালি গণনা করা হয়, তাই চূড়ান্ত ফলাফল আগামী দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা বা প্রাথমিক পরিসংখ্যান শিগগিরই সামনে আসতে পারে।
যদি কোনো প্রার্থী শূন্য ভোটসহ প্রদত্ত সমস্ত ব্যালট থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে না জিততে পারেন, তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম শুক্রবার শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ফের রান-অফ রাউন্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ৮০ জনের রেকর্ড পর্যালোচনা করার পর সংবিধানের ১১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছয় জনকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এরপর এই ছয় প্রার্থী ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালান ও টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন।
তবে পরে ৬ জন প্রার্থীর দুই জন অন্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। এর ফলে এবারের নির্বাচনের চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন। এই চার প্রার্থী হলেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, সাইদ জলিলি এবং মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।
প্রসঙ্গত , গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে ২৮ জুন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আরইউ