এইমাত্র
  • কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমাম আটক
  • মিষ্টির বক্সের ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় আনিস হত্যাকাণ্ডে খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
  • যশোরে বাড়ি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে রেজাউলকে হত্যা!
  • ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল যুবক!
  • জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল
  • আখাউড়ায় পৃথক অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩
  • এস আলমের আরও ৫৬৩ একর জমি জব্দের আদেশ
  • সঠিক বিচার হলে আ.লীগ পরিচালনা করার কেউ থাকবে না: মামুনুল হক
  • আজ সোমবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
    বিচিত্র

    ফেসবুকের যে পেজ ভারত- বাংলাদেশের মানুষকে শিকড় খুঁজে দিচ্ছে

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

    ফেসবুকের যে পেজ ভারত- বাংলাদেশের মানুষকে শিকড় খুঁজে দিচ্ছে

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

    বাংলাদেশের পিরোজপুরের মানুষের সহায়তা চেয়ে এক ভারতীয় নারী একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন এ বছর জুন মাসের গোড়ায়। তার আকুতি ছিল যে প্রায় আশি বছর আগে ফেলে আসা একটা বাড়ির খোঁজ যদি পিরোজপুরের কেউ দিতে পারেন।

    ‘বঙ্গ ভিটা’ নামের ফেসবুক পেজের সেই পোস্টে শ্বেতা রায় নামের ওই ভারতীয় নারী লিখেছিলেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার হারজি গ্রামের কথা।

    গত চার বছরে ওই ‘বঙ্গ ভিটা’ ফেসবুক পেজটি ভারত আর বাংলাদেশের পাঁচশোরও বেশি পরিবারকে খুঁজে দিয়েছে তাদের হারিয়ে যাওয়া শিকড়ের সন্ধান।

    “গ্রামের পাশে একটা খাল আর খালের পাশেই বাড়ি ছিল,” ফেসবুকে লিখেছিলেন মিজ রায়।

    সেটা ছিল তার মায়ের বাবা, অর্থাৎ দাদু মহাদেব দাসের বাড়ি। কাজটা ছিল একরকম ‘খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার’ মতো।

    মাত্র ১৮ দিনের মাথায় খুঁজে পাওয়া যায় পিরোজপুরে মি. দাসের ফেলে আসা বাড়ির সন্ধান, চলে আসে সেখানকার ছবি।

    বিবিসি বাংলাকে তিনি জানাচ্ছিলেন, “দাদুর কাছে ছোট থেকেই ওই গ্রামের বাড়ির কাহিনী শুনতাম। এর আগে পূর্ব বঙ্গে আমার ঠাকুমার পৈত্রিক বাড়ি খুঁজে পেয়েছিলাম আমরা। তাই এবার আমি আর মা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে দাদুর বাড়িটা খোঁজা শুরু করি।“

    তিনি বলছিলেন, “বঙ্গ ভিটায় আমার পোস্টটা দেখে প্রথম যিনি যোগাযোগ করলেন, তিনি হলেন ফজলে আলি খানের নাতির নাতি। এই ফজলে আলি খানই আমার দাদুর পরিবারকে স্বাধীনতা-পূর্ব দাঙ্গার সময়ে বন্দুক নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিতেন। এই ভদ্রলোক নিজের নাম জানাতে চান না অবশ্য। এরপরে এমন একজনের সাহায্যে সব তথ্য পাই, যিনি আবার বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দাদের পরিচিত।“

    “দাদু তো ভাবতেই পারে নি যে এতবছর পরে আবার তাদের ফেলে আসা বাড়ির ছবি দেখতে পাবে। ওই ছবিগুলো দেখে একবারেই চিনতে পেরেছে। বারবার বলছিল বাড়িটা, পাশের খালটা এখনও আছে, তবে একটা বটগাছ ছিল, সেটা কেটে ফেলা হয়েছে,” জানাচ্ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কর্মরত শ্বেতা রায়।

    আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে যাওয়া আব্দুস সেলিম ওই ‘বঙ্গ ভিটা’ পেজের মাধ্যমেই জানতে পারেন যে পশ্চিমবঙ্গের যে স্কুলে তিনি পড়াশোনা করতেন, সেখানকার এক প্রিয় মাস্টারমশাই কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন।

    এমএইচ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…