নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন একজন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার কচুকাটা ব্রিজ এলাকায়, দুপুরে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী জালালের মোড়ে এবং রাতে জেলা শহরের পাঁচমাথা মোড়ে ও সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে সামনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার রাজারহাট এলাকার মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৬৫) ও দিনাজপুরের বিরামপুর কুশাখানি এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা বেগম। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেলে দেলোয়ার হোসেন সদরের কচুকাটা ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। এ সময় জলঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এদিকে দুপুরের দিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে স্বামীসহ ডিমলা উপজেলার কলোনি ভাটিয়াপাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন রোজিনা বেগম। ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের জালালের মোড় এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রোজিনা বেগম ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোজিনা বেগমকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার স্বামী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অপরদিকে রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের পাঁচমাথা বাইপাস সড়কে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন, তার পরিচয়ও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘বিকেলে ও রাত ৯টার দিকে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে একজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকজনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় স্থানীয়রা ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক এবং হেলপার পালিয়ে যায়।’
এমআর