তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ব যোগাযোগ এখন হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটসহ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে মুহূর্তের মধ্যেই যোগাযোগ সম্ভব এখন।
আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়জনের চিঠির জন্য এখন আর ডাকপিয়নের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রসরতায় গুরুত্ব হারাতে বসেছে পোস্টঅফিস। তাই অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ডাকবাক্স, কদর নেই ডাকপিয়নের।
একসময় মানুষ অপেক্ষায় থাকতো ডাকপিয়নের গলার আওয়াজের। এই বুঝি এলো প্রিয়জনের চিঠি। এখন আর সে অবস্থা নেই। ডাক বিভাগও যেন ক্লান্ত। নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস পালনেও উপজেলা পর্যায়ে কোনো নির্দেশনা নেই। পোস্ট অফিসের লোকজনও জানে না এ বছরের প্রতিপাদ্য স্লোগান।
এক সময় প্রতিদিন শত শত চিঠি আসতো ডাকঘরে। মানুষ চিঠির খোঁজে এখন আর ডাকঘরে আসে না। ভূমি অফিসের নামজারি ও জমাভাগ নোটিশ, ব্যাংক, আদালতের নোটিশ ও বিবাহ বিচ্ছেদের (তালাক) নোটিশ ছাড়া অন্য কোনো চিঠি আসে খুবই কম।
সাতকানিয়া উপজেলা ডাকবিভাগের মুছে গেছে সাইনবোর্ড। অকেজো নিরাপত্তা বেষ্টনী, চারদিকে ঝোপঝাড়, ডাকবিভাগের নেই কারো মাথাব্যথা, অপরিচিত কারো চেনার উপায় নেই- এটি কোন ডাকঘর। নিত্য যাদের কাজকারবার কিংবা স্থানীয় লোকজনই শুধু বলতে পারবেন এটি সরকারি ডাকঘর।
সাতকানিয়া উপজেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার চন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে যোগদান করেছি মাত্র। বেশ কিছু বিষয় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিগগির মুছে যাওয়া সাইনবোর্ডটি সরিয়ে নতুন সাইনবোর্ড লাগানো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এফএস