একদিন তাপমাত্রা বেড়ে আবার নিচের দিকে নেমেছে পৌষের কনকনে শীতের তাপমাত্রা। ভোরে ঝলমলে রোদ নিয়ে পূবালী সূর্য উঠে গেলেও হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়। সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতে ফের দুর্ভোগে উত্তরাঞ্চলের এ জেলা।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজ বাড়লেও গত দিনের থেকে আজ শীতের মাত্রাটা একটু বেশি। স্থানীয়রা বলছেন গতকাল বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই আবার জেঁকে বসে কনকনে হাড়কাঁপানো শীত।
হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী, শীতের কারণে বেড়েছে সর্দি, জ্বর, কাঁশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ৬৬ জন শিশুর বেশিরভাগই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। গত ডিসেম্বরে হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৪শ রোগী ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, শীতের কারণে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। তাই শিশুদের শীতে সুরক্ষা রাখতে বাবা-মাকে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, আজকে আবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে এ অঞ্চলে। হিমালয়ের হিম বায়ু এ এলাকায় সরাসরি প্রবেশ করায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আকাশে মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় সকালেই সূর্যের দেখা মিলছে।
এবি