এইমাত্র
  • কষ্টে আছেন, তবুও কারো কাছে হাত পাতেন না ‘রশিদ’
  • ময়মনসিংহে অবৈধ চিনি-জিরাসহ দুইজন গ্রেফতার
  • ভালোবাসার সংজ্ঞা শরীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়: সেমন্তী সৌমি
  • জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • ফের বেড়েছে সোনার দাম
  • অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অস্তিত্ব বিপন্নের শঙ্কায়’ হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ বেক্সিমকোর শ্রমিকদের, তিন গাড়িতে আগুন
  • সীমান্ত নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের চার সিদ্ধান্তে কী আছে?
  • ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথি তৈরির কাজ চলছে: রুবিও
  • তুরস্কে হোটেলে আগুন: ৪৫ মিনিটে সব শেষ, নিহত বেড়ে ৭৬
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সাঙ্গু নদী গিলে খেতে মরিয়া বালুখেকোরা

    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম

    সাঙ্গু নদী গিলে খেতে মরিয়া বালুখেকোরা

    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের ভোর বাজার এলাকায় সাঙ্গু নদীর প্রবল ভাঙ্গন প্রবণ স্থানে বালু উত্তোলনের জন্য একটি ড্রেজার মেশিন বসালে প্রশাসনের বাধায় পড়েন বালুখেকোরা। তবে বাধার মুখে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখলেও ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনের অন্যান্য সরঞ্জাম বসিয়ে ওই বালু সিন্ডিকেট ফের বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

    জানা যায়, কয়েকদিন আগে সাতকানিয়ার বাজালিয়া ভোর বাজার এলাকায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভাঙন প্রতিরোধ বাঁধের গা ঘেঁষে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সাঙ্গু নদী হতে বালু উত্তোলনের পাঁয়াতারা শুরু করে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। সম্প্রতি বাজালিয়ার ওই স্পটে ভাঙন প্রতিরোধ বাঁধ ঘেঁষে নদীর তলদেশ হতে বালু উত্তোলনে ড্রেজার মেশিন বসানো হলে প্রশাসনের অভিযানে বালু উত্তোলন হয়নি।

    এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন বাজালিয়া এলাকা সাঙ্গু নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে শত শত বসতঘর, ভিটে, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির ও ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাজালিয়া এলাকায় এমন পরিবারও রয়েছে যারা নদী ভাঙনে ভিটে বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। নদী ভাঙন থেকে এ এলাকার মানুষকে রক্ষা করার জন্য সরকার শত কোটি টাকা ব্যয় করে সিসি ব্লকের প্রতিরোধ বাঁধ নির্মাণ করে এলাকাবাসীকে শঙ্কামুক্ত করেছে। যদি এ ভাঙন প্রতিরোধ বাধের নীচ থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে নদী গভীর হয়ে বাঁধ ধসে পড়বে।

    স্থানীয়রা বলছেন, বিগত দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে এ এলাকা সাঙ্গু নদীর প্রবল ভাঙনের কবলে পড়ে বহু বাড়িঘর বসতভিটেসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গুটিকয়েক মধ্যসত্ত্বভোগীর ব্যবসার জন্য পুরো এলাকার সর্বনাশ হয়ে যাবে। সিসি ব্লকের গা ঘেঁষে নদীর তলদেশ হতে বালু উত্তোলন করলে শত কোটি টাকার ভাঙন প্রতিরোধ বাঁধ অচিরেই ধসে পড়বে।

    এদিকে এলাকার অনেকে বলেছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনে যাতে বাধার সম্মুখীন না হয় সেজন্য স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মাঠ ভরাট করার নামেই এ বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চক্রটি। তবে বালু উত্তোলনের পর মজুদ স্পট থেকে ডাম্পার (মিনিট্রাক) ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা হবে বলে জানান এলাকাবাসী।

    এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বাজালিয়া এলাকায় সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…