কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে বার্ষিক বনভোজন আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মেঘনা থানার সভাপতি মোখলেছুর রহমান তার ফেসবুকে লেখেন, "হাসপাতালের ভেতরে বাৎসরিক বনভোজনের নামে ডিজে পার্টি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জবাবদিহিতা করতে হবে, কোন আইনের বলে এই পার্টি করা হলো?"
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বৈধতা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এমনকি সরকারি নিয়ম-শৃঙ্খলা অমান্য করে এমন আয়োজন যেন আর কখনো না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, "কে যেন ৯৯৯-এ ফোন করেছিলো। সেখান থেকে আমাদের জানানো হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। তারা গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পায়। এরপর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ফোন করলে তিনি এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যাপী দাস জানান, " আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কর্মশালায় সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।"
ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর আমাদের এই প্রতিনিধিকে বলেন, "স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে গান বাজানো যাবে না। আবাসিক এলাকায় হলে সমস্যা নেই। তাছাড়া কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো স্থানে রোগীর সেবার বদলে উৎসবের আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো? এই বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নিতে দেরি হলে ভবিষ্যতে আরও এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
এআই