মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মেয়ে নার্গিস আক্তার (২১) এবং স্বামী নুর মোহাম্মদ (৩০) একই ইউনিয়নের বাসিন্দা, জীবিকার তাগিদে ভাড়া থাকতেন পাশ্ববর্তী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের করেরগাও গ্রামে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ প্রায় লেগেই থাকতো। অন্যান্য দিনের মত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজেই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর ইব্রারহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ স্বামী বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার গুলগুলিয়ারচর গ্রামে নিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ঘতক স্বামী নুর মোহাম্মদ সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উপজেলার গুলগুলিয়ারচর গ্রামের নেওয়াজ আলীর পুত্র ও স্ত্রী নার্গিস আক্তার একই ইউনিয়নের পলাশপুর গ্রামের হাশেম মিয়ার মেয়ে।
সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ভাড়া বাসায় ঘাতক স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করে একটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে স্থানীয়রা স্বামীকে আটক করে লাশসহ সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পলাশপুর গ্রামের নিয়ে আসে। পরে আত্মীয়-স্বজনরা সিরাজদিখান থানায় জানানো হলে আমরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ আসলে ঘাতক স্বামীকে তাদের হাতে তুলে দেই। কেরানীগঞ্জ থানা তারা আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী নুর মোহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআই