কক্সবাজার টেকনাফের সাগর উপকুলীয় এলাকার সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে,ফিশিং ট্রলার যোগে অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার সময় পাচারকারী চক্রের কবলে পড়া এক নারীসহ সাত জন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে।
এসময় দুই মানব পাচারে জড়িত দুই দালালকেও আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবির অভিযানিক দল।
ধৃত দুই পাচারকারী হচ্ছে-টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু তাহেরের পুত্র মো. ইসমাইল ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহমানের পুত্র মো.আলম।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ২ টার সময় টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শিশু পার্ক সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায়।
একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, একটি ফিশিং ট্রলার থেকে মালয়েশিয়াগামী ৭ ভিকটিম উদ্ধার ও সহ পাচারে জড়িত দুই দালালকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া এক ভিকটিম ঢাকা নারায়ণগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আবু তাহেরের সাথে কথা বলে জানা যায়,
মালয়েশিয়া অবস্থানরত তার এক আত্মীয় তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছে টুরিষ্ট ভিসায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে করে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবে।
অবশেষে মালয়েশিয়ার সেই দালাল অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য টেকনাফে থাকা দালালদের হাতে তুলে দেয় তাকে।
তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে যেতে রাজি না হওয়ায় দালাল চক্রের সদস্যরা তাকে অনেক নির্যাতন করেছে। এমনকি তার সাথে থাকা পার্সফোট, মোবাইল সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাকে জোর পূর্বক ফিশিং ট্রলারে উঠতে বাধ্য করেছে।
অবশেষে বিজিবির সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে আমার প্রান বাঁচিয়েছে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন, দালাল চক্রের খপ্পরে পড়া নারায়ণগঞ্জের ভুক্তভোগী এই যুবক।
মালয়শিয়াগামী ফিশিং ট্রলারে সর্বমোট মোট ২২ জন যাত্রী ছিলো। বিজিবির অভিযানের উপস্থিত টের পেয়ে ভয়ে,আতঙ্কে রাতের অন্ধকারে এদিক ওদিক ছুটে কৌশলে পালিয়ে গেছে বলেও জানান উদ্ধার হওয়া ভিকটিমরা।
এদিকে মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য ধৃত দুই আসামিকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
এসআর