দেশের সীমান্তঘেষা জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গেল দুই দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। তীব্র শীতে সব চেয়ে বিপাকে পড়েছে শিশু-বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। এই শীতে গবাদিপশুর উপরও প্রভাব পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল অব্দি অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। এতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজনের।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছেন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুরুষাফেরুষা এলাকার দিন মজুর আমিন মন্ডল (৭৫) বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ঘরে পরার মতো মোটা কাপড় নাই। ঘরে কম্বলও নেই। রাতে ঘুমাইতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়। ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে পাতলা একটি চাদর পড়ে আছি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন যতই দিন যাচ্ছে ততই ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে। তিনি আরও জানান ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর মৃদু শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসআর