গত মাস এবং চলতি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পর্যটন কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক, উপসড়কে বেশ কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সৈকত তীরের সী-গাল পয়েন্টে ঘটেছে হত্যার ঘটনা। সেসব এলাকায় সড়ক বাতির অপর্যাপ্ততা ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ঘটনাগুলো সিসিটিভিতে ধারণ হলেও প্রোডাক্টগুলো নিম্নমানের হওয়ায় অপরাধীদের শনাক্ত করা কষ্টসাধ্য হচ্ছে।
এমন পরিস্তিতির মধ্যেই কক্সবাজার শহরে সড়কে নিম্নমানের বাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৌরসভায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া জানান, পৌরসভার প্রায় সড়কে বাতি জ্বলে না। ছিনতাই বেড়েছে অলিগলিতে। সেসব সড়ক, উপসড়কে বাতি ও সিসিটিভি থাকার তথ্য পেয়েছি। এসব বাতি ও সিসিটিভি নিম্নমানের বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সড়কবাতি প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিস্তারিত কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের কার কতোটুকু দায়িত্ব তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবো।
কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা জানান, দুদক তাদের কাছে জানতে চেয়েছে শহরের প্রধান সড়ক গুলোতে সন্ধ্যার পর বাতি জ্বলেনা কেনো?
কক্সবাজারের প্রধান সড়কগুলো কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে জানিয়ে পৌরসভার এই কর্মকর্তা বলেন, সিসিটিভি এবং সড়ক বাতিসহ সড়কের যাবতীয় কাজে পৌরসভার কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
পরাক্রম চাকমা দাবি করেছেন, শহরের উপসড়ক গুলোতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও এলজিইডির মাধ্যমে পৌরসভা যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে সেটি আমি যোগদান করার পূর্বে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবোনা। কেউ অনিয়ম হয়েছে মনে করলে, সেটা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। তবে, আমি যোগদান করার পর এসব কাজ হয়নি।
পিএম