মাঘের হাড়কাঁপানো শীত। ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়। কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে এ অঞ্চলের মানুষ। বেশি বিপাকে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কমে গেছে আয় রোজগারও। তবুও শীতকে উপেক্ষা করে শীতের কাপড় জড়িয়ে তারা ছুটছেন কাজের সন্ধানে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি আলু ও শীতকালীন শাকসবজির আবাদও আছে ঝুঁকিতে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
কনকনে এ শীতে উপজেলায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে রোগী। কোথাও দেখা যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ শীতকালীন গরম পোশাকের দোকান। কিছুটা উষ্ণতার আসায় চায়ের দোকানে ভিড় করছে মধ্যে বয়স্করা। শীতবস্ত্রের আকুতি জানান কয়েকজন বয়োবৃদ্ধারা। খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সব মিলিয়ে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে দুদিন ধরে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এখন তীব্র শৈত্য প্রবাহে পরিণত হয়েছে।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জেলায় ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে সেই সাথে হিমেল বাতাস। শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
পিএম