মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে কোকোয়া ফল। যা কোকো ফল নামেও পরিচিত। এই ফল চাষ করে জেলায় সাড়া ফেলেছে সম্পদ কুমার মন্ডল (৩৫) নামে এক তরুণ উদ্যোক্তা। সম্পদ মন্ডল মহম্মদপুরের রাজপাট গ্রামের জগদীশ মন্ডলের ছেলে। তিনি বাড়ির পাশে মাত্র দশ শতাংশ জমিতে কোকো ফলের বাগান করেছেন। যা রীতিমতো সাড়া ফেলেছে এবং বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনও আসছেন।
কোকো ফলের পাউডার দামি কেক ও চকলেট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি সহ অন্যান্য ভিটামিন যা ত্বকের জন্য বেশি কার্যকর। এই কোকো ফল দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনে চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও মধ্য আমেরিকার অনেকগুলো দেশে চাষ করা হয় কোকো ফল।
কোকো গাছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফোটে। ডাল ও কান্ডে ছোট ছোট অনেক ফুল হয়। দেখতে হালকা গোলাপি ও সাদা। ছোট অবস্থায় কোকোর ফল সবুজ হলেও পাকা অবস্থায় গোলাপি রং ধারণ করে। যা দেখতে অনেকটা নাশপাতি ফলের মত। এর ফল টক ও মিষ্টি মিশ্রণ যা খেতে অনেক সুস্বাদু। কোকোর বীজ থেকে পাউডার তৈরি করা হয়ে থাকে। যা ডার্ক চকলেট, কেক ও অন্যান্য খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি অনেক দামি একটি ফল। মাগুরায় প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে এই কোকো ফল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছায়াযুক্ত বাগানে মাঝারি আকারের গাছগুলোতে ফুল ও ফল ধরে আছে। কিছু ফল পাকতে শুরু করেছে। একটি গাছের ডাল ও কান্ডে প্রায় শতাধিক ফুল এসেছে। ফলগুলো পাকা অবস্থায় দেখতে অনেকটা নাশপাতি ফলের মত।
উদ্যোক্তা সম্পদ মন্ডল জানান, ইউটিউব দেখে দুই বছর আগে ভারত থেকে মাত্র ৫টি গাছ কিনে আনেন তিনি। এখন তার বাগানে ২৫টি মত গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছেই ফুল ও ফল এসেছে। দামি এই ফল দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকেরা ছুটে আসেন। সম্পদ মন্ডল জানান কৃষি বিভাগের সম্পূর্ণ সহযোগিতা পেলে বানিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ করতে চান তিনি।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস সোবহান জানান, সম্পদ মন্ডলের কোকো বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মাগুরা জেলায় প্রথম চাষ হচ্ছে কোকো ফল। তাই এভাবে তরুণ উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে কোকো চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে প্রতিবছর বিদেশ থেকে যে টাকার কোকো আমদানি করতে হয় তা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন অনেকে।
এইচএ